মেডি ক্যাম্পাস- Medi Campus
ডাক্তার রা সব সময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত, তাই তো পৃথিবীতে ডাক্তারী পেশা এখনো ১ নম্বর পেশা ।
একটি আধুনিক আল্ট্রাসাউন্ডের গল্প
এবং চলতি ভাইরাস টপিক ... 😎
তার নাম ইয়াহিয়া মোহাম্মাদ আমিন। সাইকোলজিতে তার কোনো ডিগ্রী নাই। পড়াশুনা করেছে আহ্সান উল্লাহ্ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপরে। সে আহ্সান উল্লাহয় ভর্তি হয়েছিলো ২০০৮ সালে আর বিএসসি পাশ করেছে ২০২০ সালে। সে বিরাট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সেজে চেম্বার খুলে নিয়মিত রোগী দেখছে, ওষুধ দিচ্ছে। তার ফি ঘণ্টায় ১০ হাজার টাকা! ইউটিউবে তার সাবস্ক্রাইবার ছয়লাখের উপর। ভাবতে পারেন? এটা দেখার বাংলাদেশে কেউই নাই।
আসলে কি সত্যি?কেউ কি বিস্তারিত জানেন?
Collected
MBBS শেষ করে BCS করবো, তারপর FCPS করবো, তারপর একটা ১৮ বছরের মেয়ে খুজে বিয়ে করবো, এটাই আমার জীবনের বর্তমান লক্ষ্য
আমার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করলাম-
সাধারণ জনগন আপনারা অসুস্থ হলে কোথায় যান??
হাসপাতালে না কসাইখানায়?
ডাক্তাররা যদি কসাই না হয় কসাই আসলে কারা??
আমি এক হসপিটালে নাইট ডিউটি ডাক্তার হিসাবে ছিলাম,রাত নয় টায় একজন স্টোকের রোগী আসলো।আমি দৌড়ায়ে গিয়ে দেখলাম।ট্রিটমেন্ট শুরু করলাম,সাথে কিছু দরকারী পরীক্ষা নিরীক্ষা দিলাম।রাত ১১:৩০ মিনিটে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ অন্য হসপিটাল থেকে মেডিসিন এর ১ জন ডাক্তার কল করে আনলো।ভালো, স্যার দেখে আর ও কিছু ঔষধ দিলো।আর আমার দেওয়া প্রয়োজনীয় পরীক্ষা গুলোই করাইতে বলছে,স্যার রোগী দেখে বাহির হওয়ার সময় সিস্টার আমার কাছ থেকে কলম নিয়ে সিড়ির কাছে গিয়ে স্যারকে বাধ্য করেন আর ও কিছু পরীক্ষা -নিরীক্ষা দিতে,পরে স্যার বাধ্য হয়ে আরও কিছু পরীক্ষা দেন।কারণ না হয় স্যারকে অন কলে ডাকবে না আর।তখন স্যার সিস্টারকে বলেন মালিক তা হলে আর এক জন বাড়ছে, সিস্টার তখন হাসি দিয়ে বলে আমরা তা হলে কিভাবে বাচঁবো।তাই সাধারণ জনগন কে বলি, যে হাসপাতালে আপনার রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসে না। ঐ হাসপাতালে কখনো রোগী নিয়ে যাবেন না,যাইলে আপনাকে বিভিন্ন দিক দিয়ে জবাই করে দিবে, হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। আর দোষ দিবেন ডাক্তারদের কে।ধন্যবাদ সবাই কে, সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
★★★★★★ একটি শোক সংবাদ ★★★★★★ , ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি কুমিল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্নক আহত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ৬ ষষ্ঠ ব্যাচ এর প্রাক্তন ছাত্র ডাঃ মো: জহিরুল হককে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ (২৩/১০/২৩) সোমবার সকাল ৬-৩০ মিনিটে " মৃত" ঘোষণা করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহপাক তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমিন।দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
(Collected)
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ২ ডাক্তারের জামিনের খবরটা সস্তিদায়ক নয় , আনন্দেরও নয় !
ডাক্তারদের এটুকুতে সন্তুষ্ট হলে চলবে না। সুরক্ষা আইন না হওয়া পর্যন্ত সরকার এক্সিকিউটিভ অর্ডার জারি করতে পারে যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিএমডিসি কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না, গ্রেফতার করা তো দূরের কথা। চিকিৎসকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সে দাবী আদায় যে সম্ভব সেটা এই অর্ডারেই বোঝা গেছে।
তাদের খুঁজে বের করুন যারা এই জামিন দেওয়া যাবে না বলে হম্বি তম্বি করেছে। তারা কখনো হাসপাতালে এলে কি কি পরীক্ষা করতে পারেন সেটা কিছুদিন আগের পোস্টেই লিখেছি ।
নেতা চেনা যায় শুধু দুঃসময়ে । বিএমএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ভবিষ্যতে সরকারী দক্ষিণায় পদ পেতেই পারেন, কিন্তু চিকিৎসকদের মনে যে জায়গা তিনি হারিয়েছেন, সেটা আর কখনো ফিরে পাবেন বলে মনে হয় না।
Collected
ডেঙ্গি হেমোরেজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ তম বিসিএসের কর্মকর্তা ডা. এম আরিফুর রহমান আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা গেছেন। ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ হয়েছিল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।
তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিসিএসে যোগদান করে তিনি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনে এমডি ফেইজ-এ-তে অধ্যয়নরত ছিলেন।
আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
collected
আমার ড্রাইভারের বেতন এই তিন মাসে তিনবার বাড়িয়েছি,কাজের মহিলারাও একই অবস্থা, তারপরও ঘ্যানঘ্যান, একটাই কথা চলতে পারি না।
আমি হিসাব করে দেখলাম আমার ড্রাইভার এর বেতন ১৭,০০০+(৩০/৩১×২০০)+ উপরি+প্রতিমাসে মিটিং হলে প্রতি মিটিং এ ২০০ টাকা করে পায়,মাঝে মাঝে খাবার পায়,শুক্রবার সারাদিন থাকলে ৫০০ পায়,সব মিলিয়ে ও পায় ২৫০০০+।
আর পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে আসা আমার পোলাপান পাচ্ছে মাসে ২০,০০০ টাকা,আর আমার ছেলের মাসিক পড়াশোনার খরচ যে কিনা এভারেজ লেবেলের একটা স্কুলে পড়ে তাও ২০,০০০ এর উপরে,তাহলে ছেলে মেয়ে বাবা-মা নিয়ে এসব বুড়ো ছাত্রদের কেমনে চলবে?
একদিন এক রেসিডেন্ট দুপুরে ছুটি চাইল,কোথায় যাও? স্যার ক্রেডিট কার্ডের বিল দিব,পরে জানতে পারলাম সংসার চালানোর জন্য ওরা দুই জন রেসিডেন্ট স্বামী স্ত্রী ক্রেডিট কার্ডের উপর নির্ভরশীল, আর এর কিস্তি দিতে মাসের শুরুতে এদের হিমসিম খেতে হয়।
ওরা আজ এসেছিল এই কাগজ নিয়ে ডিপার্টমেন্টে, আমি বললাম তোমাদের দাবী ন্যায় সংগত,আমার তো ক্ষমতা নেই, ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়ে দিতে পারি।
এদের ন্যায় সংগত সম্নানী কত হওয়া উচিত এটা বিচারের ভার আপনাদের উপরেই,আশা করি বিবেচনা করবেন।
আন্দোলনরত পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রশিক্ষার্থীরা বিসিপিএস এর সেক্রেটারির নিকট লিখিত স্মারকলিপি পেশ করে এই মুহূর্তে বিসিবিএস ক্যাম্পাসে অপেক্ষা করছে।
বিসিবিএস এর সম্মানিত সেক্রেটারি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেছেন আজ দুপুর একটা থেকে বিসিপিএস, বিএসএমএমই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা মিটিং করবেন এবং ফলাফল জানাবেন।
এফসিপিএস পার্ট ওয়ান পরীক্ষার আগে বা
fcps part 2 পরীক্ষা দিয়ে এভাবে পরীক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
দীর্ঘদিনের কষ্টের সফলতা হাতে পাওয়ার অধীর প্রতীক্ষার পর পাশের সুখবরটা খুশবু ছড়ালে মরা কান্নার মত আনন্দ কান্নার সেই হাউমাউ আওয়াজ আমার কানে এখনো বাজছে। সে আনন্দ সে তৃপ্তি ব্যক্তিবিশেষই জানে।
কিন্তু বৃদ্ধ পিতা-মাতার সন্তানের নিজেদের পেট চালানোর- চুলা জ্বালানোর কষ্ট নিবারণের জন্য ভাতা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এভাবে বসে থাকতে হবে তা আমাদের কল্পনায়ও ছিল না।
যেখানে আছে শুধু লজ্জা, বিরম্বনা, হতাশা আর অনুকম্পা।
স্বাধীনতার 52 বছর পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনী চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে এটা কি আমাদের জানা ছিল?
দেখার কি কেউ নেই??
(Collected)
পরপর চার সন্তানের চারজনই কন্যা হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাকে শুনতে হতো স্বামীর বাড়ি প্রতিবেশীদের ভর্ৎসনা। নিজে খুব বেশি পড়ালেখা করতে পারেনি কিন্তু সন্তানদের পড়ালেখা করাতে সারাজীবন খেটে গেছেন অমানুষিক পরিশ্রম। আজ তার চার মেয়ের চারজনই দেশের সুনামধন্য ডাক্তার। স্বপ্নজয়ী মা মোমেনা বেগম ও তার চার কন্যা ডাক্তার হয়ে ওঠার গল্প উঠে এসেছে আজকের ইত্তেফাকে....
ইয়ং ডাক্তার 👨⚕️
তখন আমি ইন্টার্ন ডাক্তার। সদ্য এমবিবিএস পাশ করেছি। ডিউটিতে আছি। সিস্টার বললো, পাঁচ নম্বর কেবিনে একটা পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে। পেট ব্যাথায় ছটফট করছে।
আমি পেশেন্ট রিসিভ করতে পাঁচ নম্বর কেবিনে গেলাম।
: মা.. আমি ডা. সাদিক। আপনার কি সমস্যা.. কোথায় ব্যাথা করছে.. সবকিছু আমাকে খুলে বলুন।।
মেয়েটি ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। কান্না থামিয়ে কটমট করে আমার দিকে তাকালো। মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে আমি কিছুটা অপ্রস্তুত।
: আমাকে কি আপনার মায়ের বয়সী মনে হচ্ছে??
: সরি.. তা মনে হবে কেন??.. আমরা সব মহিলা পেশেন্টকেই মা বলে ডাকি।।
: আমাকে কি মহিলা মনে হচ্ছে??
: আপনাকে মহিলা ঠিক না.. তবে ইয়াং মহিলা মনে হচ্ছে।
: আপনি কি স্টুডেন্ট না ডাক্তার??
: আমি ডাক্তার।
: ও তাই বলুন.. আমি ভাবছিলাম স্টুডেন্ট।
মেয়েটি আবার পেট ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলো। ব্যাথায় কাতরানো শুরু করলো। মেয়েটির সাথে তার মা ও কাঁদছে।
মেয়েটির মা বললেন, প্লিজ আমার মেয়ের জন্য আপনারা কিছু একটা করেন.. আমার একটাই মেয়ে.. প্রয়োজনে আপনাদের বড় স্যারকে ডাকুন।
মেয়েটিকে দেখে একুশ বাইশ বছরের সুশ্রী কোন তরুণী মনে হচ্ছে। সম্ভবত ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। মেয়েটির উপর আমার একরকমের রাগই হচ্ছে। নন কোওপারেটিভ একটা পেশেন্ট। যাহোক ডাক্তারদের কখনও রুগীর উপর রাগ করতে হয় না।।
ধৈর্য্য নিয়ে আবার মেয়েটিকে বললাম,
মা.. আপনার কোথায় ব্যাথা করছে .. যদি আমাকে একটু খুলে বলতেন..
মেয়েটি আবার চোখ রাঙিয়ে আমার দিকে তাকালো।
: আপনি আমাকে আবার মা বলে ডাকছেন !!!.. আপনাকে আমি কিছুই বলবো না.. আপনি যান..
মেয়েরটির মা আমাকে কিছুটা অনুনয়ের সুরে বললেন,
বাবা.. তুমি ওর কথায় কিছু মনে করো না.. তোমাদের বড় স্যারকে যদি আসতে বলতে..
আমি ওয়ার্ড থেকে সোজা এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের রুমে গেলাম। ওখানে রুহুল ভাই বসে আছেন।
: কি খবর সাদিক.. কেমন আছো??
: ভালো নেই রুহুল ভাই.. মেজাজ খারাপ.. পাঁচ নম্বর কেবিনে একটা পেশেন্ট আসছে.. পেশেন্ট খুবই নন কোওপারেটিভ ..
: কেন.. কি হয়েছে??
: তাকে মা বলে ডেকেছি বলে ভীষন মাইন্ড করেছেন... মা বলে ডাকবো নাতো কি বউ বলে ডাকবো??.. ভীষন অপমানবোধ করছি ভাই।
রুহুল ভাই বেশ শব্দ করে হেসে উঠলো। ঘটনাটি শুনে তাকে বেশ উৎফুল্ল ও চাংগা মনে হচ্ছে।
বললেন, এত অপমানবোধ থাকলে তুমিতো বড় ডাক্তার হতে পারবে না.. এইসব অপমানবোধ ভেতর থেকে ছুড়ে ফেলে দাও ছোটভাই।
রুহুল ভাইয়ের মুখে লম্বা দাড়ি। পরহেজগার একজন মানুষ। শুশ্রূমন্ডিত রুহুল ভাইকে দেখতে কিছুটা বড় প্রফেসরদের মতই লাগে।
: মেয়েটির কি সমস্যা??
: আমাকে তো কিছুই বলছে না.. শুধু দেখলাম পেট ব্যাথায় ছটফট করছে।
: চলো যাই দেখে আসি তোমার নন কোওপারেটিভ পেশেন্ট..
আমি রুহুল ভাইয়ের পিছে পিছে পাঁচ নম্বর কেবিনে গেলাম। দেখলাম তখনও মেয়েটি ব্যাথায় ছটফট করছে। সামনের দিকে কুঁকড়ে আছে। তার দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। মেয়েটিকে দেখে হঠাৎ করে খুব মায়া হতে শুরু করলো। যদিও মায়া হবার মত কোন কারন আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
রুহুল ভাই বললো, মা.. আপনার কি সমস্যা হচ্ছে সবকিছু আমাকে খুলে বলেন।
এবার দেখলাম লক্ষী মেয়ের মত মেয়েটি রুহুল ভাইকে সবকিছু গড়গড় করে খুলে বলছে।
মেয়ের মাকে দেখে মনে হলো উনি কিছুটা সন্তুষ্ট। সম্ভবত রুহুল ভাইকে বড় কোন প্রফেসর ভাবছেন।
রুহুল ভাই মেয়েটিকে বললো,
আপনি শুয়ে পড়ুন.. আপনার পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করা লাগবে.. ব্যাথার কারন খুঁজতে হবে।
এবার রুহুল ভাই ইচ্ছে করে আমাকে বললো, সাদিক.. এক্সিমিন দ্য এবডোমেন।।
আমি মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেলাম।
মেয়েটিকে বললাম, মা.. আমি আপনার পেট পরীক্ষা করবো।
মেয়েটি আগের মত একইভাবে কটমট করে আমার দিকে তাকাচ্ছে।
মেয়েটি রুহুল ভাই কে বলল, প্লিজ আপনি পরীক্ষা করুন।
রুহুল ভাই এবার শক্তপোক্ত করে বলে উঠলো,
সরি.. উনি একজন ডাক্তার.. আপনারা যদি কোওপারেট না করেন আমরা এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হবো.. আর একটা কথা শুনে রাখুন.. গেদা বাচ্চা থেকে শুরু করে একশো বছরের বুড়ো বুড়ী সবাইকে আমরা বাবা মা বলেই সম্বোধন করি.. আমাদের কে এভাবেই শেখানো হয়।।
মেয়েটি পরীক্ষা করাতে রাজী হলো।
যতটুকু সম্ভব আমার জ্ঞান বুদ্ধি খরচ করে তার পেট পরীক্ষা সম্পন্ন করলাম।
পরীক্ষা শেষে ইচ্ছে করে মেয়েটিকে বললাম, মা.. আপনাকে ধন্যবাদ।।
যাহোক সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মেয়েটির Acute Pancreatitis ধরা পড়লো। ইমিডিয়েটলি চিকিৎসা শুরু করা হলো।
এরপর প্রতিদিন রাউন্ডের সময় প্রফেসর স্যার ও রুহুল ভাইয়ের সাথে মেয়েটিকে দেখতে যাই। মেয়েটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। ব্যাথা আগের চেয়ে কমতে শুরু করেছে। মেয়েটির দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা দেখে আমার মধ্যে এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে। সম্ভবত এটাকে ডক্টর পেশেন্ট রিলেশনশিপ বলে। অন্যকিছু নয়।।
রাউন্ডের সময় প্রতিদিন মেয়েটি বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকায়। আমি পাত্তা দিই না। কিছুটা ভাব নিয়ে থাকি। মেয়েটি মিটমিট করে হাসে। ইয়াং ডাক্তারদের কখনও এইসব মিটমিট করা হাসির অর্থ খুঁজতে হয় না। তাদের সামনে অনাগত সুদূর কণ্টকময় ভবিষ্যত...!!
সাতদিন পর মেয়েটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। রাউন্ডের সময় স্যার ডিসচার্জ দিতে বললেন। ইন্টার্ন রুমে এসে মেয়েটির ডিসচার্জ পেপার লিখলাম। ভাবলাম ডিসচার্জ কাগজটি আমি নিজ হাতে মেয়েটির কেবিনে দিয়ে আসবো এবং প্ল্যান করলাম তাকে একটু চমকে দিব।
বেলা বারোটার দিকে মেয়েটির কেবিনে ঢুকলাম। মেয়েটি আমাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দিল। মেয়েটির মাকে সালাম দিলাম। একটা চেয়ারে মেয়েটির ছোট ভাই বসে আছে। দেখলাম সবাই বেশ খুশি।
মেয়েটির মা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, তোমরা আমার মেয়েটির জন্য অনেককিছু করেছো.. তোমাদের এই ঋণ শোধ করতে পারবো না.. তোমাদের জন্য প্রান খুলে দোয়া করছি।
আমি ভদ্রমহিলাকে উনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ দিলাম।
এবার চমকে দেবার জন্য মেয়েটির কাছাকাছি গেলাম। ইচ্ছে করে বললাম,
মা.. এখন আপনি কেমন আছেন??.. নিশ্চয় অনেক ভালো..!!!
মুহুর্তের মধ্যে মেয়েটি আমাকে বললো,
আব্বা!!! আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি.. আপনি ভালো আছেন আব্বা??.. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আব্বা..!!!
মেয়েটি হাসছে.. রহস্যময় এক হাসি।।
একমাত্র সাইকিয়াট্রিস্ট ছাড়া অন্য ডাক্তারদের এইসব রহস্যময় হাসির অর্থ না খোঁজাই ভালো।
মেয়েটির আব্বা ডাক শুনে আমি উল্টো চমকিত হয়ে কেবিন থেকে দ্রুত বের হয়ে গেলাম।।
(ইয়াং ডক্টর ফ্যাক্ট)
✒️ ডা. জহির সাদিক
“আজ ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস”-
"বিয়ের আগে পরীক্ষা করলে রক্ত"💉
সন্তান থাকবে থ্যালাসিমিয়া মুক্ত"!👩🍼
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ 🔥
চান্সপ্রাপ্ত সকল ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের মেডি ক্যাম্পাস- Medi Campus এর পক্ষ থেকে জানাই অভিনন্দন ও শুভকামনা ❤️
ডাক্তার রা কেন জিম্মি? কেনো স্পাইনলেস?
ধানমন্ডির স্বনামধন্য হাসপাতাল জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, বাহিরে ফিটফাট ভিতরে worst than even সদরঘাট। স্পাইনলেস ডাক্তার জাতি যারা এখানে কাজ করে তারা হাসপাতালের নিকৃষ্ট ও অপরিপক্ক ম্যানেজমেন্ট এর কাছে জিম্মি। বহু বছর ধরে অত্যন্ত কম বেতনে কাজ চালানো, বেতন বাড়ানোর কথা ঊঠালে থাকলে থাকেন নাহলে সিভির অভাব নাই, আপনাদের মত কাকের অভাব হবেনা ভাত ছিটালে এসব উক্তি একজন থার্ড ক্লাস এম্পলয়ি ডাক্তারদের দেয়। এই হাসপাতালে ডাক্তার বাদে সবার বেতন বাড়ে, ডাক্তারদের বেতন বাড়াতে ডাক্তারদের বসতে হয় ৪-৫ ঘন্টার মিটিং এ.. বাহ ডাক্তার জাতি। হাসপাতালের মালিক বা উচ্চপদস্থ যিনিও ডাক্তার নামমাত্র মিটিং স্যান্ডুইচ খাওয়ায়েই শেষ করে ফেলেন। জোড়াতালির উদাহরণ হাসপাতালে ডাক্তার সংকট থাকাকালীনও হঠাৎ হঠাৎ এক এক দিন এক ডাক্তার দিয়ে সব ফ্লোর চালানোর নির্দেশ সাথে ম্যানেজমেন্ট এর কমান্ডিং ভয়েস ফ্রি। ঔষধ কোম্পানীর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এই ম্যানেজমেন্ট কর্ত্ৃক উপরে উঠা নিষেধ এখন থেকে, ডাক্তার ভিজিট করা নিষেধ, এসব মেডিকেল অফিসার ভিজিট করে কি হবে, নিচ তলায় আগে পানি ঢালেন। এই বলে প্রতিদিন নানান ঔষধ ও গিফট প্রদান প্রক্রিয়া স্থানান্তর হয়েছে সরাসরি ম্যানেজমেন্ট এর শার দের রুমে। সর্বোপরি, নার্স কিংবা ওয়ার্ডবয় এর ভুল এর মাশুল হিসেবে ডাক্তার কে রোগীর আরাম আয়েশের খেয়াল রাখার নির্দেশ এ রাখতে বলা, এবং প্রথমবারের মত ইতিহাস সৃষ্টি করে সিনিয়র এমও এবং এমও রাউন্ড দিবে সব রোগী ম্যানেজমেন্ট এর লোকের সাথে পুরো হাসপাতাল কারণ তিনি শার। শার দেরও শার। এই ধরনের অরাজকতা কখন হয়? কেন হয়? কিভাবে হয়? ডাক্তার মালিক হওয়া সত্তেও? এগুলো মেনে নেয়া হচ্ছে কেন? থার্ডক্লাস এম্পলয়ি দের হাতে এত পাওয়ার, এত অহংকার, এত ক্ষমতা কেন আসে? এর জন্য কে দায়ী? এই হাসপাতালের ডাক্তাররা রোগীদের হাতে মাইর খায় আর মালিক পক্ষ যারা নিজেরাই কিনা ডাক্তার তারা চুপ করে বসে থেকে ডাক্তার এর ই দোষ ধরে! আরো অনেক গুপ্ত চ্যাপ্টার তো আছেই। বললে কাপড় থাকবেনা। কিভাবে রোগিদের ঠকিয়ে বিল বানানো হয়, কিভাবে বিল বাড়ানো হয়, কিভাবে রোগী ধরে আনা হয়, নো ইনক্রিমেন্ট, নাম মাত্র বোনাস, এরকম অনেক। আজ থাক। এই হাসপাতাল বয়কট না, এই হাসপাতাল এর আশ পাশ দিয়েও না হাটলে ভালো।
(Collected)
বাংলাদেশের ১ম নারী চিকিৎসক হিসেবে 𝗙𝗲𝗹𝗹𝗼𝘄 𝗼𝗳 𝗘𝘂𝗿𝗼𝗽𝗲𝗮𝗻 𝗖𝗼𝗺𝗺𝗶𝘁𝘁𝗲𝗲 𝗼𝗳 𝗦𝗲𝘅𝘂𝗮𝗹 𝗠𝗲𝗱𝗶𝗰𝗶𝗻𝗲 (𝗙𝗘𝗖𝗦𝗠) ডিগ্রি অর্জন করেছেন ডা. সুষমা রেজা।
(Collected )
রোগের চিকিৎসা এত সহজ না...
আমার ভাগ্নী ফোন দিয়েছে-মামা, আমার শরীর ফুলে গেছে, পা ফুলে গেছে কি ঔষধ খাবো। ভাগ্নী হাইপ্রেসারের রোগী, আমি বললাম শরীর ফুলে যাবার অনেক কারন থাকতে পারে, তুমি এসে টেস্ট করো-এটা হার্ট, কিডনী, লিভার বা হরমোনের জন্য হতে পারে।
ভাগ্নী বলে-মামা বাসায় খুব সমস্যা, এখন যেতে পারবো না, ৩-৪ দিন পরে যাবো, এই কয়েকদিনের জন্য পানি কমার একটা ঔষধ দেন। আমি দিলাম না, বললাম- টেস্ট করার জন্য আসো।
আমি জানি, আমি পানি কমার ঔষধ দিলে কমে যাবে কিন্তু পানি যে রোগের কারনে হয়েছে সেটা আর নির্ণয় হবে না, ও অনেক ভুগবে। তাই আপাতত ও মন খারাপ করলেও আমি ঔষধ দিলাম না।
৭ দিন পর ভাগ্নী আসলো, টেস্ট করা হলো- থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ধরা পড়ল, ওর চিকিৎসা শুরু করা হলো। এখন ভালো আছে।
যে কোন সমস্যার জন্য সেই সমস্যা যে রোগের কারনে হচ্ছে সেটার চিকিৎসা দিতে হবে, শুধু লক্ষনের চিকিৎসা দিলে রোগী সাময়িক সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ হবেন না, কিছুদিন পর আবার সেই রোগ ফিরে আসবে। ......................................................................................................................................
(Collected)
অন কলে রাতে একটা হসপিটালে গেলাম ডিউটি করতে /কামলা দিতে।
ডিউটি ডাক্তারের রুমে দেখে নিজেকে আর ডাক্তার মনে হচ্ছে না, কামলা মনে হচ্ছে।
কথা আছে না, বাহিরে ফিট ফাট ভিতরে সদরঘাট।বাহির দিক দিয়ে হসপিটাল অনেক উন্নত, রুগির কেবিন গুলো এসি করা,এট্যাস ওয়াস রুম, যা যা থাকার সবই আছে।রুগীর লোক জন হ্যাপি সেবা নিয়ে,কিন্তু ডাক্তারের রুমে এসির বাতাস নাই , নাই ওয়াস রুম,আছে শুধু ছারপোকা, মশা আর গ্লাসের তৈরী রুমে পচন্ড গরম।মশা দেখে তাড়াতাড়ি Good knight power Active Liquid vapouriser কিনে আনলাম,আর যে বন্ধুর কলে আসলাম তাকে ফোন দিলাম।
বন্ধু অনেক গরম আর ছাড়পোকা, বন্ধু এক জনের নাম বললো তাকে বলিস একটা কেবিন খুলে দিতে।আমি দুই জন কে বলছি একটা কেবিন খুলে দিতে , তাকে না চিনে । তাদের মধ্যে এক জন দাঁড়িওয়ালা ম্যানাজার, দেখলে মনে হবে বড় হুজুর /পীর সাহেব।
ওনাকে বলার পর বলে আজকে দেওয়া যাবে না(আমি মনে মনে বলি পরে আর আসলে না দিতেন) কিছুক্ষন পরে এমন একটা খুলে দিছে, এটা থেকে যে রুগী গেছে তাদের ময়লার বোল টা ও পরিষ্কার করা হয় নাই। রুমের ভিতর পচন্ড দুর্গন্ধে ভিতরে থাকা যায় না।পরে আমি আবার আগের কামলা রুমে চলে আসছি।
বি দ্র: হসপিটাল টা এক জন ভালো /নামকরা ডাক্তারের
আমার খারাপ লাগলো এক জন ডাক্তারের হসপিটালে আর জন ডাক্তারের রুম এমন কামলা করে বানানো হলো। আমরা ডাক্তারা যদি জুনিয়র ডাক্তারদের না দেখতে পারি!!! ব্যবসায়ীদের হসপিটালে ডাক্তার দের অবস্থা কেমন হবে??
আবারও মেডিকেল কমিউনিটির উপর আক্রমণ !
সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের স্থানীয় দোকানদাররা ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় দোকানদাররা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে, পরবর্তিতে আরও শীক্ষার্থীরা তাদের বাচাতে গেলে সবার উপর স্থানীয় ব্যাবসায়িরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে অন্ততপক্ষে 20-30 জন শীক্ষার্থীদের গুরতর আহত করে! তার মধ্যে একজন HDU সহ বাকি সবাই হাসপাতালে ভর্তি...
উল্লেখ্য উক্ত হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেনি!
উক্ত বর্বরোচিত হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই।
Collected
#বক্ষব্যাধি সার্জারি
বুকের ভেতর ছুরি
ছিনতাইকারী কবলে পরে পিঠে ছুরিকাঘাত। ছিনতাইকারী ছুরি বের করতে গিয়ে ছুরি ভেঙে সেটার ফলা ফুসফুস ছিদ্র করে মেরুদণ্ডের হাড়ে আটকে যায়। আজকে সকালে সেই ছুরি ভাঙ্গা অংশ অপারেশন্ করে বের করা হয়।
রোগী শঙ্কামুক্ত। যদিও তার ব্যথা রয়েছে। এবং ফুসফুসের ছিদ্র ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
ডা সেরাজুস সালেকিন
সহকারী অধ্যাপক
থোরাসিক সার্জন
থোরাসিক সার্জারি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
একদিনে ৩ জন মেডিকেল শীক্ষার্থীর বিদায়!!!
গতকালের দিনটা মেডিকেলিয়ানদের জন্য অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু অন্যরকম!
দিনের শুরু হলো ১ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে, শেষটা হলো ১ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে, মাঝে আরেকজন কে হারালাম!!
▪️গতরাতে হারালাম ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজের ২০১৭-১৮ সেশনের “মোঃ হৃদয়” কে !
▪সকালে স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ এর ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী “অন্তর রায়” কে !
▪️কিছুক্ষণ আগে কুমিল্লা মেডিকেলের ২৪ তম ব্যাচের ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া কে!!
একদিনে তিন তিনটা মৃত্যু!!!
আল্লাহ সহায় হোক 🤲🤲
ফার্স্ট ইয়ারে প্রথম আইটেম এর আগের দিন আব্বা মারা গেলো।
ফার্স্ট কার্ডের আগে আম্মা আমাদের মেডির আই সি ইউ তে।
ডিপার্টমেন্ট হেড স্যার কে ফোন দিলাম। স্যার বললেন,পরে দিও। এখন মায়ের কাছে থাকো।
ফার্স্ট টার্মের সাপ্লির আগের দিন আম্মা মারা গেলো।
পরের দিন আম্মা ছাড়া বাসাটায় কেমন লাগতেসিলো দেখে পরীক্ষা দিতে গেসিলাম,
ব্যাচ টিচার ম্যাম বললেন," তুই কেন আসসিস মা? বাসায় কে আছে? আমার কাছে আয়,রিব টা ধর।"আমি উলটা ধরছিলাম,পারতাম না কিছু।
ম্যাম বললেন এভাবে ধরে না মা,ওখানে বসে পড়িয়ে ক্লিয়ার করে দিলেন।অইবার অই সাপ্লিটা ক্লিয়ার না করলে প্রফের ক্লিয়ারেন্স পেতাম না।
ফর্ম ফিলাপ এর ডেট দিলো মাসের শেষে।স্যার কে বললাম,স্যার কয়টা দিন পরে করলে কী খুব সমস্যা হবে?
স্যার ফর্ম ফিলাপে টাকা দিয়ে বললেন,বাসায় গিয়ে পড়।একবারে পাস করা লাগবে।
এগুলো গল্প না।সত্যি।
হ্যা পরবর্তীতে আকাশ পাতাল এক হয়ে গেসিলো প্রফ পাশ করতে।কিন্তু স্যার,ম্যাডাম,বন্ধু বান্ধবদের সাহায্য, তাদের দেয়া সাহস এর বলে আজ এই পর্যন্ত টিকে আছি।আলহামদুলিল্লাহ।
এটা সত্যি,ক্লিয়ারেন্স কেউ বাসায় এসে দিয়ে যাবেনা,পড়াশোনা না করে কেউ ই এই মেডিকেল নামক টানেল থেকে বের হতে পারবে না।এটা দিনের আলোর মতোন সত্যি।
কিন্তু দুইটা ভালো কথা বলে কন্সোল করা,পিছিয়ে পড়া ছাত্রটার খবর নেয়া,তাকে কাউন্সেলিং করা কী খুব কষ্টের?
উত্তর আমার জানা নাই।
হয়ত আমার ভাগ্য ভালো বলে এত ভালো ভালো মানসিকতার শিক্ষক পেয়েছি।
তা না হলে কবেই হারিয়ে যেতাম!
(Collected)
Nusrat Jahan
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ।
২০১৭-১৮ সেশন।
Splenomegaly. Weight- 18 pounds
স্রষ্টা প্রতেকটা মায়ের গর্ভে, প্রতিটা পরিবারে ডাঃ মাসুদের মত একটা সন্তান দিও...
মাসুদ আমার ছোট ভাই, সদ্য ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ডাক্তার হয়েছে, এমবিবিএস পাস করেছে সি ইউ থেকে। ওর সাথের সবাই ইন্টার্নিতে জয়েন করেছে এক সপ্তাহ হলো। মাসুদের ও কথা ছিল দীর্ঘজার্নি শেষে এমবিবিএস পাস করে সবার মত উৎযাপন করা পরিবার বন্ধু বান্ধব সবার সাথে। মাসুদ তার তার ডাক্তার হওয়া সেলিব্রেট করেছে তবে অন্য সবার মত না। মাসুদের বাবা একজন স্কুল শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য ব্যধি ক্যানসারে আক্রান্ত। অনেক বছর ধরে আঙ্কেলের চিকিৎসা চলছে পুরোটা সময় ধরে মাসুদ তার বাবার জন্য এই বয়সের একটা ছেলের যতটুকু করার দরকার তার সর্বোচ্চটার উপরে করেছে। আঙ্কেলের এই অসুস্থতার মাঝে হঠাৎ করে আন্টি গত বছর অসুস্থ হয়ে পড়ে,আঙ্কেলের সাথে যোগ হলো আন্টির অসুস্থতা। সকল প্রেশার বাড়তে লাগলো মাসুদের, মাসুদ পরিবারের সবার বড় সন্তান। পড়াশোনার পাশাপাশি আন্টি আঙ্কেলের চিকিৎসার সকল দৌড়াদৌড়িতে মাসুদ ক্লান্ত প্রায়। কোনদিকেই ঠিকভাবে কুলিয়ে উঠতে পারতেছিল না। হঠাৎ করে আন্টির লিভার টিউমার ডায়াগনোসিস হয়। সেই রাতে মাসুদের কান্না সবকিছু যেন ঘোমট হয় আসছিল বাবাকে প্রায় হারাতে বসেছে এই অবস্থায় মাকেও। যতটুকু শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি তখন কোন শান্তনাই কাজে আসেনা সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়।
আন্টির চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক টিম সিদ্ধান্ত দিলেন লিভার ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করাতে হবে। কিভাবে করবে সবাই চিন্তিত। কে দিবে আন্টিকে লিভার(কলিজা)। হন্য হয়ে খোঁজ করতে লাগলো কিন্তু কিভাবে সম্ভব! যে দেশ মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্ত লাগলে হন্য হয়ে খোঁজতে হয় এবং একজন সুস্থ মানুষ রক্ত দিতে ভয় পায় সে দেশে কলিজা ডোনেট! কল্পনার রাজ্যে বসবাস ছাড়া কিছুই নয়।
পরিবারের অন্য সবার পরীক্ষা নিরীক্ষা হলো তিনজনের ওর ছোটবোন ছোটভাই আর মাসুদের সাথে সবকিছু ম্যাচ করে, বাকি ভাই বোন দুজনের বয়স কম এখনো সবকিছু বুঝার ক্ষমতা হয়ে উঠেনি মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল ওর আম্মুকে বাচাঁতে হলে নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল ওর কলিজা দিয়ে ওর আম্মু বেঁচে থাকবে এর থেকে ভালো কাজ জীবনে কি হয়। মাসুদের কলিজার ৩০% ওর আম্মুর জন্য ডোনেট করবেন।
আমিতো বলি ৩০% শতাংশ কলিজা তো কেটে দিবে মাত্র ও তো ওর পুরো কলিজাটাই মা বাবা জন্য দিয়ে দিয়েছে।
মাসুদ আর আন্টি বর্তমানে ভারতে আছেন আগামী পরশু অপারেশন
মাসুদ আন্টি আঙ্কেলসহ ওর পরিবারের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই ।
Proud of you brother Masudul Karim ❤️
(Collected)
৫ তলা থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী।
আমরা ও চাই মেডিকেল এ সিজিপিএ আসুক পরিবর্তন আসুক....ভার্সিটি তে যেমন সিজিপিএ তেমন ই ...তবে আমাদের কিছু দাবী আছে....
১.আমাদের কোর্স এর সময় ৫বছর এর জায়গায় ৪ বছর করা হোক.
২.আমরা ১বছর গাধার খাটুনি খেটে ইন্টার্ন করতে পারবো না...
৩.পাশ মার্ক ৬০ এর বদলে ৩৩ করতে হবে..
৪. অসপি আর কেস বাদ দিতে হবে...
৫.ভাইভা হতে হবে নাম মাত্র... নিজের ঘুম নষ্ট করে দিনের পর দিন লেখা পড়া করে ভাইভা দিতে পারবো না....
৬.ওয়ার্ড এ চেয়ার টেবিল এর ব্যবস্থা করতে হবে ....২/২.৩০মিনিট দাঁড়াই ক্লাস করতে ব্যাক পেইন হয়ে যায়...
৭.আলাদা আলাদা ৬০ পেয়ে
পাশ এর বদলে সব মিলিয়ে ৩৩ উঠলে পাশ দিতে হবে...
৮.প্র্যাক্টিকাল খাতার পরিমাণ কমাতে হবে...
৯.এসাইনমেন্ট এর জন্য এক্সাম এ আলাদা ১০মার্ক দিতে হবে
১০.সকালের ক্লাস ৭টার থেকে ২.৩০ এর বদলে ১০টা থেকে ২টা করতে হবে।
১১.সন্ধ্যার ওয়ার্ড ক্লাস নামক টর্চার বাদ দিতে হবে
১২.কেস প্রেজেন্টেশন করে রোগী এক্সামিনেশন করে এক্সামিনার সন্তুষ্ট করে পাশ করা এর বদলে মুখস্থ বলে পাশ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে .......
১৪.শর্ট কেস লং কেস এসব আলাদা না নিয়ে টোটালি বাদ দিতে হবে..কারণ এভারেজ এ নাম্বার কমে যায় ...
আপাতত এই কয়টা দাবী মেনে ব্যবস্থা করলে পোলাপাইন রে বলবো নে তোরা আর আন্দোলন করিস না .........
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: সমালোচনা করতে সমান সমান বা তার থেকে বেশি যোগ্যতা লাগে...যোগ্যতা না থাকলে অন্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা পাপ....মহাপাপ.....
#জুনিয়রদের জন্য
বাতিল চাই..
বহাল চাই.......
Collected
Stetho-BP হীন ছেলে টি এখন ডাক্তার!!??
মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টরা 3rd year থেকে স্টেথোস্কোপ -বিপি নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে। আর বাবা হীন ছেলে টি দারিদ্রতার কারণে বন্ধুর /মেসমেটের স্টেথো-বি পি নিয়ে ওয়ার্ডে আসে।যদি ও ছেলে টি একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজে পড়তো।কলেজে ভর্তির অর্ধেক টাকা আর কিছু বেতন দিয়ে, 3rd year উঠার আগে, ভাতিজাকে ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখানো কাকা টি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে বিদেশে মারা যায়।ছেলেটি চারদিকে শুধু হতাশা আর হতাশা দেখেন।কলেজের বেতন, ভর্তি ফি এর বাকী টাকা,নিজের থাকা খাওয়ার টাকার টেনশনে সব সময় থাকতেন।তখন তার (বন্ধুর মতো/বড় ভাইটি) কিছু কিছু টাকা দিতে থাকেন।থাকা খাওয়ার টাকা, বেতন দিতে ভাইয়ের অনেক কষ্ট হতো।ছেলেটি টিউশনীর জন্য অনেকের কাছে গেছে, কেউ একটি টিউশনি ও দেন নি।এভাবে কেটে গেল মেডিকেলের বছর গুলো,ফাইনাল পরীক্ষার সময় ভর্তির বাকি টাকার জন্য কলেজ চাপ দেন ছেলেটিকে।ছেলেটির মা চারদিকে আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চান ,না পেয়ে,বাধ্য হয়ে ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে, ফাইনাল পরীক্ষা দেন।এসব করতে করতে আর কিনা হলো না, স্টেথোস্কোপ আর বিপি ।অন্যর স্টেথো -বি পি দিয়ে সে আজ এম বি বি এস ডাক্তার।
#মানব জীবন বড়ই কঠিন #এটা সম্পুর্ণ সত্যি কাহিনী #ছেলেটির সম্মানের জন্য তার নাম টি দেওয়া হলো না
CGPA বাতিল এবং Carry on বহালের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের BMDC এর সামনে অবস্থান ৷
দুই দফা,দুই দাবি...✊
মেডিকেলে-
ালচাই
াতিলচাই
(Collected)
নিচের ৩টি ছবিই আমার নিজের। প্রথম টা ক্যান্সার ডায়াগনোসিস হওয়ার আগে, ২য় টা ৫ম কেমোথেরাপির পরে,আর ৩য় টা আজকের সকালের, মানে ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সম্পুর্ন হওয়ার ১ মাস ১৫ দিন পরের! ৩ টা ছবিই এক ই ক্যামেরা দিয়ে তোলা এবং ৩টার কোনটাতেই কোন মেক-আপ, ক্যামেরা ইফেক্ট বা ফিল্টার ব্যাবহার করা হয় নি।
৩ টি ছবিই গত এক বছরের মধ্যে তোলা। ছবি ৩ টা আপ্লোড দেওয়ার উদ্দেশ্য একটাই,..... "আমার নেই" এটা নিয়ে যেমন হতাশ হওয়ার কিছু নাই, আবার "আমার আছে" এটা নিয়ে অহংকার করারও কিছু নেই। আল্লাহ চাইলে নিতেও সময় লাগে না, আবার দিতেও সময় লাগে না.....just keep faith on Allah! He is the best Planner.
Dr. Farzana Sultana
TMDU, Tokyo, Japan.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Cumilla
3570
Shawkat Villa 27(kha), Rammala Road, Tomsom Bridge Cumilla. Behind Cumilla Central Hospital Pvt. Ltd, Near Sel Aysha Garden
Cumilla, 3500
Owned by Best female graduate physiotherapist in cumilla city
Housing Estate
Cumilla, 3500
Health Service Information Center in Comilla, Banglsdesh
Majumdar Complex (2nd Floor), Bizra Bazar, Laksham
Cumilla
Gouripur Homna Road, Daudkandi, Cumilla
Cumilla, 3516
* Here in the developed world, there is a system of accurate diagnosis through accurate examination
Hol. No. 341, Gafur Villa, Sonali Jame Mosjider Pase, Monoharpur, Kotwali
Cumilla, 3500
"ভেষজ চিকিৎসা-Vasoj Cikisha " দেশের সেরা ভেষজ চিকিৎসার অনালাইন প্লাটফর্ম ।
Tower Hospital. Kandirpar Cumilla
Cumilla, 3500
Hearing aid, Programmable Digital hearing aid, CIC, BTE TYPE, BODY WORN TYPE, Ear plug, Battery, Albo tips, Cord, Receiver, Hard & soft Ear mould, Repair & Servicing