Goribs Video
thanks for joining my page please my video like comment and share
জে কাউকে সাপোর্ট কোরতে পার তার জন্য বাংলাদেশ কে গালাগালি করা তোদের ঠিক হয়নি৷ ইন্ডিয়া হারলে কি কান্না কোরবে #বাংলাদেশকেগালাগালি
দর্শন রাওয়ালের পাগল ভক্ত গান গেয়ে শোনালেন, দর্শন বিয়ে করতে চাইলে কি করবেন জানালেন এই তরুণী
#দর্শন_রাওয়ালের_কনসার্ট #ঢাকাতে_দর্শন_রাওয়ালের_কনসার্ট
এক মেয়ে লটারি তে ৫ কোটি টাকা পেয়েছে!!🥹🫰
কোম্পানি চিন্তা করলো হঠাৎ এই সংবাদ মেয়েকে জানালে মেয়ে খুশিতে ম/রে যেতে পারে!!🥹🥹
তাই বল্টু কে পাঠানো হলো এমনভাবে বলার জন্য যাতে মেয়ে খুশিতে না ম/রে!!😌😌
বল্টু মেয়েকে গিয়ে বললঃ🙂👍
মনে করেন,,আপনি ৫ কোটি টাকা পেলেন তাহলে কি করবেন?🤐😬
মেয়েঃ আপনার সামনে নাচবো, আপনাকে ভালবাসবো,
বিয়ে করব শুধু এটাই না অর্ধেক টাকা আপনাকে দিয়া দিব!!🥹🫡
শা/লা বল্টু নিজেই খুশিতে ম/ই/রা গেল!🥲🥲🥲
©
#বল্টুর
#বলবো
Noted 🙄
সবাই কাপড় চুরিতে ব্যস্ত ছিলো রোজা রেখে বঙ্গ মার্কেটে। কিন্তু এই বাচ্চাটি বসে ছিলো ফায়ার সার্ভিসের ফুটা পাইপ চেপে ধরে। রিয়াল হিরো সেলুট ভাই তোকে।
২৪ ঘণ্টায়ও অক্ষত সহীহ বুখারী শরীফ
#কোরানশরীফ
#বঙ্গবাজারেআগুন
#গুলিস্তান
#বঙ্গবাজার #অগ্নিকান্ড
#আজসকালে #বঙ্গবাজারেআগুন
#অগ্নিকাণ্ড #বঙ্গবাজারেআগুন #গুলিস্তান #আগুনেপুড়ছেবাংলাদেশ
বঙ্গ মার্কেটে আগুন!!!
ঢাকার বৃহত্তম পাইকারি মার্কেট এ আজ সকাল ৬.১০ মিনিটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেডের ৫০ টি ইউনিট দুই থেকে তিন ঘন্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু নেগ পেতে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী সাহায্য কারি দল একত্রে কাজ করছে। খুব দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে আশে পাশে। আগুন যেনো অন্য ভবনে ছড়িয়ে না যায় সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বঙ্গ বাজার মার্কেটের সামনে চোখে পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাজারো ব্যাবসায়ী। আসন্ন ঈদের জন্য তাদের কত স্বপ্ন সব আজ পুড়ে শেষ হয়ে গেলো। আগুনে পুড়ে যাচ্ছে স্বপ্ন, সব হারিয়ে দিশেহারা শতশত ব্যবসায়ী।
দর্শনার্থীদের মতে, গুলিস্তান মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। গুলিস্তান মার্কেটে থেকে আগুনটি বঙ্গবাজার, মহানগর ও এনএসকো ছরিড়ে পড়ে । (সময় টিভি)
প্রতিটা অগ্নীকাণ্ডেই দেখা যায় উৎসুক জনতার ভীড় যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়। সকালে অফিসে আসার সময় দেখলাম হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যে পরিমান উৎসুক জনতা রয়েছেন যার কারণে জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। আবার শুনলাম উৎসুক জনতার কারণে নাকি দুইজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আহত হয়েছেন।
আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।
&collect
আল্লাহ তুমি তাদের হেফাজত করো৷ 🥲🥲
#বঙ্গবাজারেআগুন
#আগুনেপুড়ছেবাংলাদেশ
#গুলিস্তান
ওপেন চেলেন্জ দিলাম বস নেইমার ওই জিতবে
❤️❤️❤️
Today's the best Photo 🌿🥰
💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚.... beautiful
*লে আমার বান্ধবী! 😆🤣
ঘটনাটি খুব সম্ভবত ফরিদপুরের, ৯ বছরের মেয়ে কে ধরষন করে কিন্তু কেন এই এরকম মারধোর করছে এ বিষয়ে তদন্ত করা দরকার #ধর্ষন
অসংখ্য কাছে প্রিয় হবার চেয়ে,,!🙂মানুষের
- নিদিষ্ট একটা মানুষের প্রিয় হওয়া অনেক শ্রেয়..!🖤🌺
- চোখের সামনে বড় হওয়া মুরগির বাচ্চাটাও আজ 3 টা বাচ্চার মা.!🐔😕
- ভাবতাছি জীবনে কি করলাম আমি.!🐸🥲
আর্জেন্টিনাকে ৭ গোল দিয়ে সেভেন আপ ফেরত দিবোঃ চিত্রনায়িকা জেনিফা
আর্জেন্টাইন ফ্যানদের মহড়া।🇦🇷🇦🇷🇦🇷😎
— "ভাইজান.... ভাইজান শুনেন!"
কেউ আমাকে ডাকছে। দূর থেকে ভেসে আসা একটা কন্ঠস্বর শুনে আমি হাঁটা থামিয়ে ঘুরে তাকালাম। এখন সন্ধ্যা। সামনেই আমার বাসা। প্রতিদিন এ পথ দিয়েই অফিস শেষে বাসায় ফিরি। বাসায় হেঁটে যেতে মিনিট পঁচিশ লাগে। সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে এই সন্ধ্যায় এতোটা পথ কেনো হেঁটে যাই সেই প্রশ্নটা মনে আসতেই পারে। এই সময়টা অদ্ভুত। সূর্যের শেষ আলো এবং রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা সোডিয়াম লাইটের আলো মিলেমিশে একটা অদ্ভুত ঘোরলাগা সৌন্দর্য দৃষ্টি হয়। যা আমার ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও রাস্তার দু'ধারে বড় বড় গাছের ছায়া যখন রাস্তায় ভেসে উঠে তখন মনে হয় রাস্তায় আঁকা হয়েছে বিশেষ এক কারুকার্য। আধো আলো অন্ধকার, রাস্তায় গাছের কারুকার্য এবং চারিদিকে নিরব-নিস্তব্ধ পরিবেশটা আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়।
আমি একা দাঁড়িয়ে। তাকিয়ে আছি মৃদু অন্ধকার থেকে ভেসে আসা কন্ঠস্বরের দিকে। কিছুক্ষণ পরেই দেখি একটা আঠারো উনিশ বছরের ছেলে আমার দিকে দৌড়ে ছুঁটে আসছে। তার এভাবে আসা দেখে আমি খানিকটা বিষ্মিত হই। আমি এমন কোনো বিশেষ মানুষ নই যে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে দেখে অটোগ্রাফের জন্য এভাবে ছুটে আসবে। আমি নিতান্তই গোবেচারা একজন মানুষ। সে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে। আমি কিছু বলি না। সে কি বলবে সেটা শোনার অপেক্ষায় থাকি।
— "আপনে এই কয়দিন কই আছিলেন?"
ছেলেটার এরকম অদ্ভুত প্রশ্নে আমি এবার সত্যিই খানিকটা অবাক হলাম। আমি বললাম,— "কেনো?"
সে বলল, — "আপনারে মেলা জায়গায় তালাশ করছি। সন্ধ্যা হইলে এই পথের ধারে দাঁড়াইয়া থাকছি। কোথাও আপনারে পাইনাই।"
ছেলেটা আমাকে সত্যি একটা রহস্যের মধ্যে ফেলে দিছে। কেউ আমাকে কেনো খুঁজবে? কোনো কারণ অবশ্য নেই। তাই অবাক হওয়াটা স্বাভাবিক। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, — "আমাকে কেনো দরকার?"
সে আচমকা বলল, — "ভাইজান, আমারে মাফ কইরা দেন। আমি ভুল করছি।"
ছেলেটার কথার আগা মাধা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমার খানিকটা সন্দেহ হচ্ছে। কোনো বদমতলব আছে কি-না সেটাই ভাবতে থাকি।
আমাকে চুপচাপ দেখে ছেলেটা আবার বলল, — "ভাইজান, কিছু কইতাছেন না ক্যান?"
এবার আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম, — "আমি কেনো তোমাকে ক্ষমা করব? তুমি কি করেছ?"
ছেলেটা এবার তার পকেট থেকে একটা মানিব্যাগ বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, — "এইডা আপনার। সেদিন বাস থেইক্কা নামার সময় আমি চুরি করছিলাম।"
মানিব্যাগটা হাতে নিতেই চিনতে পারলাম। হ্যাঁ, এটা আমারই মানিব্যাগ। সেদিন বাসের ভাড়া দিয়ে পকেটে মানিব্যাগটা রেখেছিলাম। পরে বাস থেকে নেমে দোকানে এসে দেখি পকেটে মানিব্যাগ নেই। এমাসের পুরো বেতনটাই মানিব্যাগে ছিল। তাই, মন খারাপ করে দুইদিন অফিসে যাই নি। দুইদিন ধরে ভেবেছি, যদি পকেটমারকে একবার ধরতে পারি তাহলে কি কি করব। কিন্তু এখন এই মুহুর্তে চুরি হয়ে যাওয়া মানিব্যাগটা ফেরত পেয়ে আমি খুশি হবো নাকি চোরের উপর রাগ করবো বুঝতে পারছি না।
— "ভাইজান, ভেতরটা দেইখা লন সবকিছু ঠিক আছে কি-না।"
ছেলেটার এরকম কথায় আমি ধাক্কা খেলাম। আমি ভেতরটা না দেখেই ওভাবে পকেটে রেখে দিলাম মানিব্যাগটা। আমি মূলত ছেলেটাকে কিছুটা অবাক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছেলেটা মোটেও অবাক হয় নি।
সে বলল, — "ভাইজান, চেক কইরা দেখলেন না যে? এভাবে আমার মত একটা চোরকে বিশ্বাস করা ঠিক হইতাছে?"
আমি কথার প্রসঙ্গ পাল্টে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, — "তুমি মানিব্যাগটা চুরি করলে তারপর সেটা আবার ফেরত দিলে, কেন?" আমি কিছুটা কৌতুহলী হয়েই ছেলেটার কাছে জানতে চাইলাম।
ছেলেটার মুখ হঠাৎ মলিন হয়ে উঠলো। বেশকিছু সময় চুপ থেকে সে বলল, — "ভাইজান, আপনার মানিব্যাগের মইধ্যে দেখলাম আপনার আম্মার প্রেসক্রিপশন। নিশ্চয়ই আপনার আম্মায় অনেক অসুস্থ?"
ছেলেটার কন্ঠ ক্রমশ ভাড়ী হয়ে উঠলো। কথাগুলো ভেজা ভেজা লাগছে। সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে কান্নাটা বুকের মধ্যে চেপে রাখার। সে কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলতে শুরু করলো,— "জানেন ভাইজান, আমার আম্মায়ও অসুস্থ হইতে হইতে মইরা গেছে। কেউ একবারও আমার আম্মারে ডাক্তারের কাছে লইয়া যাই নাই। কেউ আম্মারে একটা ওষুধ কিন্না খাওয়াই নাই। আমি তহন মেলা ছোট। তাই যখন মানিব্যাগ খুইলা দেখলাম, আপনার আম্মার প্রেসক্রিপশন তক্ষন থেইকা মনটা আনচান করতে থাকলো। এ আমি কি করলাম! সেই থেইক্কা মানিব্যাগটা ফিরাই দেওয়ার জন্যে আপনারে খুঁজতাছি। আপনি আমারে মাফ কইরা দিয়েন।"
আমার মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বলতে পারেন কৌতুহল! হ্যাঁ, সেদিন সকালে মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলাম। মা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। কয়দিন ধরে শরীরটা একটু বেশিই খারাপ। ডাক্তার দেখিয়ে মাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনটা মানিব্যাগে রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম আজ বেতন দিলে, ফেরার পথে ওষুধ কিনে বাসায় ফিরব। ফার্মেসিতে গিয়ে বুঝতে পারি মানিব্যাগ পকেটে নেই। ওষুধ না কিনেই সেদিন বাসায় ফিরেছিলাম।
আমি ছেলেটাকে বললাম, — "তুমি বুঝলে কি করে আমার মা অসুস্থ?"
ছেলেটা এবার একগাল হাসি দিয়ে বলল, — "বুঝব না কেন? প্রেসক্রিপশনে আপনার আম্মার নাম লেখা আছে না!"
— "আমার মায়ের নাম তুমি জানো?"
— "আমি কীভাবে জানবো? আমি তো আপনারে চিনিই না। চিনলে কি এই কয়দিন আপনারে সবখানে খুঁজতাম? তয় আপনার ভোটার আইডি কার্ড যখন দেখি তখন সেখানে আপনার আম্মার নাম দেখে বুঝতে পারি ওটাই আপনার আম্মার নাম।"
— "তুমি তো অনেক বুদ্ধিমান।"
ছেলেটা খিলখিল করে হেসে দিলো। ইতোমধ্যে আকাশের শেষ আলোটুকু ফুরিয়ে গেছে। এখন চারপাশে শুধুই কৃত্রিম আলো। সেই আলোতে ছেলেটার হাসি মিশে রইল। কি সুন্দর হাসি!
ছেলেটা হাসি থামিয়ে বলল, — "আমি না। জান্নাতির মেলা বুদ্ধি। ও ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ছে। পরে আর পড়বার পারে নাই। ওর ইচ্ছে ছিলো ও ডাক্তার হইবো। কিন্তু গরিবের ইচ্ছা কি পূর্ণ হয়! বাপটা ওরে আর স্কুলে পাঠাইলো না। পরীক্ষাটাও দিতে দিলো না। "
আমি বুঝতে পারলাম ছেলেটা মেয়েটাকে পছন্দ করে। সেই বিষয়ে আরো কিছু জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করলেও করলাম না। আমি ছেলেটাকে বললাম, — "চলো, কোথাও বসে কথা বলি।"
ছেলেটা আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইল, — "কই যাইবেন? এইখানেই ভালো। কেউ নাই। আশেপাশে মেলা মানুষ থাকলে আমার ভালো লাগে না। নিশ্বাস লইতে কষ্ট হয়।"
আমি ছেলেটাকে বললাম, — "তুমি আমার এতো বড় একটা উপকার করলে তোমাকে কিছু খাওয়াইতে ইচ্ছে করছে। কি খাবে বলো?"
— "আমি কিচ্ছু খাবো না ভাইজান। আমি একটা বড় অন্যায় করছি আপনে আমারে মাফ কইরা দিলেই আমি খুশি। আর আপনার আম্মার দিকে খেয়াল রাইখেন। আম্মা না থাকনের কষ্ট আমি জানি। মেলা কষ্ট হয়। বুকটার মধ্যেখানে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়।"
ছেলেটার চোখ টলমল করছে। সে খুব দামী একটা কথা বলেছে। মানুষ কখনোই তার মূল্য বুঝে না; যে সবসময় তার পাশে ছায়ার মত লেগে থাকে। তারপর একদিম আচমকা সেই মানুষটা দূরে হারিয়ে গেলে মানুষ একা হয়ে যায়। তার শূন্যতা অনুভব করে।
আমি ছেলেটাকে বললাম, — "তুমি না খেলে আমি কষ্ট পাবো। তুমি কি সেটা চাও?"
ছেলেটা আমার দিকে তাকায়। তবুও অন্ধকারের মধ্যে টলমল করা চোখ লুকায়। সে বলে, — "আইচ্ছা, আপনি যেহেতু এতো কইরা কইতাছেন সেহেতু চলেন যাই।"
হেঁটে যেতে যেতে আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করি,— "তোমার নাম কি?"
ছেলেটা আমার দিকে তাকায়। ছেলেটাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে প্রতিবার সে কয়েক সেকেন্ড চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই ব্যাপারটা আমার ভাল লাগেছে। সে বলল, — "আমার তো অনেকগুলো নাম। মানুষ আমারে বিভিন্ন নামে ডাকে। কোনটা কমু?"
আমি তাকে বললাম, — "তোমার বাবা-মা তোমাকে যে নামে ডাকে সেই নামটা বলো।"
ছেলেটার মুখ মলিন। আমি কি ভুল কিছু বললাম? তখনই মনে পড়লো ছেলেটা বলেছিল, তার মা অসুস্থতায় মারা গেছে। কিন্তু তার বাবা? সে কোথায়?
ছেলেটা আমাকে বলল, —"আমার আব্বা কে, তা আমি জানিনা। আম্মায় কখনো আব্বার কথা কয়নাই। আসলে, আম্মাও জানেনা, আমার আব্বা কেডা। তয় মা আমাকে খাইরুল বইলা ডাকতো। আপনে আমারে আজকের জন্যে চাইলে খাইরুল বইলা ডাকতে পারেন। তয়, শুধু আজকের জন্যেই। এই নামে কেউ আমায় ডাকুক আমি চাই না। এই নাম শুনলে আম্মার কথা মনে পড়ে। আর তক্ষন বুকের মধ্যে যন্ত্রণা হয়। জানেন ভাইজান, ভুইলা থাকনের সুখ অন্য কিছুতে নাই!"
ছেলেটার লাস্টের কথা আমার বুকে বিধলো। লাইনটা মনে মনে বিড়বিড় করলাম খাইরুলের মত করে। "ভুইলা থাকনের সুখ অন্য কিছুতে নাই!"
আমরা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে আসি। রাস্তার মাথায় ভাল একটা হোটেল আছে। সেদিকেই আমরা যাই। যেতে যেতে খাইরুলকে জিজ্ঞাসা করি, — "তুমি কাজ কাম কিছু করো?"
— "হ, কাম না করলে খাওয়াইবো কেডা?
— "কোথায় কাজ করো?"
— "বস্তির পাশে একটা গ্যারেজ আছে। ওইখানেই দিনে কাম করি।"
— "আর?"
— আর কিছু করি না। তয় মাঝেমধ্যে যখন টাকার দরকার হয় তখন টুকটাক চুরি করি।"
খাইরুল অকপটে তার কথাগুলো বলছে। তাকে আবার জিজ্ঞাসা করি, — "বড় হইয়া কি হওয়ায় ইচ্ছা?"
— "আমার কোনো ইচ্ছা নাই। তয় ওস্তাদের কাছ থেইকা ডাকাতের প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। এই ছোটখাটো চুরি কইরা হইবো না। জান্নাতিরে ডাক্তার বানাইতে মেলা টাকার দরকার। ওর ইচ্ছাটা পূরণ করতে মন চায়। এছাড়া আমার কোনো ইচ্ছা নাই।"
আমি খায়রুলকে জিজ্ঞাসা করি, — "জান্নাতিরে তুমি কি ভালোবাসো?"
খায়রুল বলে, — "ভালোবাসা কি সেইটা কি আর আমি জানি। তয় ভাইজান, ও যখন কান্দে তখন আমারও কান্দন আয়ে। ওই কষ্ট পাইলে আমারও কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে ওরে ওর বাপ মারে। তক্ষন রাগ হয়, ইচ্ছা করে ওর বাপরে গিয়ে ইচ্ছামত মারি। কিন্তু ওর আব্বা বলে লোকটাকে কিছু কইতে পারি না।"
খাইরুল আবার বলে, — "জানেন ভাইজান, জান্নাতির অনেক বুদ্ধি। ক্লাসে ও ফাস্ট হইতো। ওর ডাক্তার হওনের ইচ্ছা আছিল। কিন্তু ওর বাপ ওরে আর স্কুলেই দিলো না। সেদিন ও মেলা কাঁদছে। সেদিন আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করছি আমি ওরে ডাক্তার বানাইবো। কিন্তু কেমনে? আমরা গরীব মানুষ। দুইবেলা ভাতই খাইতে পারিনা ঠিক মতন।"
খায়রুল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তার দৃষ্টি দূরে। বহুদূরে। সেই দৃষ্টির মধ্যে কিছু একটা আছে। সুক্ষ্ম ও তীক্ষ্ণ। চোখের দিকে তাকালে ভয় করে। আমি আর কিচ্ছু জিজ্ঞাসা করলাম না। আমরা হোটেলে ভেতরে ঢুকে হাতমুখ ধুয়ে টেবিলে বসলাম।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, — "কি খাবে?"
খায়রুল বলল, — "ভাইজান, সরষে ইলিশ খাওনের শখ আছিল অনেকদিন ধইরা।"
আমি ওয়েটারকে ডাকি। তাকে জিজ্ঞাসা করি সরষে ইলিশ আছে কি-না। সে বলে, আছে। আমি অর্ডার দিয়ে খায়রুলকে জিজ্ঞাসা করি, — "তোমার গ্রামের বাড়ি কোথায়?"
— "আমাগো কি গ্রাম থাকে? আম্মায় আছিল....!" খায়রুল মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের করতে পারে না।
আমিও তাকে এই বিষয়ে আর কিছু জিজ্ঞাসা করি না। ওয়েটার খাবার নিয়ে আসে। খাইরুল ভাতের মধ্যে সরষে ইলিশ ঢেলে নেয়। তারপর মাখিয়ে গালে দেয়। সে তৃপ্তি সহকারে খায়। আমি তার খাওয়া দেখি। আমার ভালো লাগে। আর কোনো প্রশ্ন জিগ্যেস করিনা তাকে। ছেলেটা খাক। তৃপ্তি সহকারে খাক।
খাওয়া শেষ করে আমরা হোটেল থেকে বের হই। খাইরুল বলে, — "ভাইজান, আমারে মাফ করতে পারছেন?"
আমি তাকে বলি, — "খারাপ কাজ ছেড়ে দিলে হয় না?"
খাইরুল উদাস ভঙ্গিতে বলে, — "পাপ থেইকা যার জন্ম সে কেমনে ভালোমানুষ হইবো?"
খাইরুলের বলা কথাটা আমার বুকে বড় সরো একটা থাক্কা মারে। আমি তাকে আর কিছু বলতে পারি না। সে বিদায় নিয়ে চলে যায়। আমি তাকে ডাকি। সে আর ফিরে তাকায় না। সে চলে যায়। ক্রমশ রাত্রির অন্ধকারে মিশে যায়া। আমিও বাড়ি ফিরি। কোথা থেকে একটা পাখি করুন সুরে ডাকে। সেই ডাক শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। বাড়ি যেতে যেতে ভাবি খাইরুল জান্নাতি এরা ভালো থাকুক। অনেক ভালো থাকুক!
ছোটগল্পঃ মানিব্যাগ
~ সবুজ আহম্মদ মুরসালিন
Free fire Live Mace 🥰🥰🥰🥰
নতুন সফিক এর আমদানি
ভিডিও টি দেখে আসুন
৷৷
https://youtu.be/sds_m9keoDo
ফ্রী ফায়ার লাভার যখন বিয়ে কোরতে আসে
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Address
Ground Floor, House # 302 Road # 4, Baridhara DOHS
Dhaka, 1212
Complete web solutions including domain, hosting, design, development & digital asset management.
Dhanmondi
Dhaka
HI, I am Lihan. like to make friends...love to traval and ride motorcycle also make moto vlog....
All The Funny Turn
Dhaka
This is all about fun. We are gathering all the funny moments of life....
Cricket@BD24/7
Dhaka
This page was created long ago for no reason & its still looking for its Path ? Let's give it one :)
Haragach, Rangpur. Bangladesh
Dhaka
ব্যার্থতা একটা পরিক্ষা মাত্র। শক্তি রেখে যারা চলে, তারা কখনো হারে না। আল্লাহ ভরসা❤️
Dhaka
"দুনিয়াতে আপনি আল্লাহকে খুশি করতে এসেছেন মানুষকে নয়।" ~ ড. বিলাল ফিলিপ্স হাফিজাহুল্লাহ