Advocate Bappi Khan
আইনি জিজ্ঞাসা, পরামর্শ ও সেবা ফৌজদারী, দেওয়ানী
ওয়ারিশ সম্পত্তি বা পৈত্রিক সম্পত্তি ক্রয়ের আগে তিনটি ডকুমেন্ট দেখে নিবেন। তিনটি ডকুমেন্ট না থাকলে ক্রয় বায়নাপত্র লেনদেন করবেন না।
#ডোকুমেন্ট_গুলো
১)প্রথম,ওয়ারিশ সনদ পত্র।
২)দ্বিতীয়,পারিবারিক ভাগবন্টন রেজিষ্ট্রেশন দলিল
৩)তৃতীয়,নামজারি খতিয়ান। তারপর অন্যান্য কিছু বিষয় দেখতে হবে।
*****খুব গুরুত্বপূর্ণ জানা খুব জরুরী*****
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ
👉দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে,যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) মৌজা 👉 গ্রাম।
২) জে.এল নং 👉 মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।
৩) ফর্দ 👉 দলিলের পাতা।
৪) খং 👉 খতিয়ান।
৫) সাবেক 👉 আগের/পূর্বের বুজায়
৬) হাল 👉 বর্তমান।
৭) বং 👉 বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে।
৮) নিং 👉 নিরক্ষর।
৯) গং 👉 আরো অংশীদার আছে।
১০) সাং 👉 সাকিন/গ্রাম।
১১) তঞ্চকতা 👉 প্রতারণা।
১২) সনাক্তকারী 👉 যিনি বিক্রেতাকে চিনে।
১৩) এজমালী 👉 যৌথ।
১৪) মুসাবিদা 👉 দলিল লেখক।
১৫) পর্চা 👉 বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
১৬) বাস্তু 👉 বসত ভিটা।
১৭) বাটোয়ারা 👉 বন্টন।
১৮) বায়া 👉 বিক্রেতা।
১৯) মং 👉 মবলগ/মোট
২০) মবলক 👉 মোট।
২১) এওয়াজ 👉 সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ বলে।
২২) হিস্যা 👉 অংশ।
২৩) একুনে 👉 যোগফল।
২৪) জরিপ 👉 পরিমাণ।
২৫) এজমালী 👉 কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা এজমালী জোত বলে।
২৬) চৌহদ্দি 👉 সীমানা।
২৭) সিট 👉 নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশাকে সিট বলে।
২৮) দাখিলা 👉 খাজনার রশিদ।
২৯) নক্সা 👉 ম্যাপ।
৩০) নল 👉 জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।
৩১) নাল 👉 চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।
৩২) পিং 👉 পিতা।
৩৩) জং 👉 স্বামী।
৩৪) দাগ নং 👉 জমির নম্বর।
৩৫) এতদ্বার্থে 👉 এতকিছুর পর।
৩৬) স্বজ্ঞানে 👉 নিজের বুঝ মতে।
৩৭) সমূদয় 👉 সব কিছু।
৩৮) ইয়াদিকৃত 👉 পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিলাম।
৩৯) পত্র মিদং 👉 পত্রের মাধ্যমে।
৪০) বিং 👉 বিস্তারিত।
৪১) দং 👉 দখলকার।
৪২) পত্তন 👉 সাময়িক বন্দোবস্ত।
৪৩) বদল সূত্র 👉 এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।
৪৪) মৌকুফ 👉 মাপ।
৪৫) দিশারী রেখা 👉 দিকনির্দেশনা।
৪৬) হেবা বিল এওয়াজ 👉 কোন জিনিসের পরিবর্তে ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।
৪৭) বাটা দাগ 👉 কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।
৪৮) অধুনা 👉 বর্তমান।
৪৯) রোক 👉 নগদ।
৫০) ভায়া 👉 বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।
৫১) দান সূত্র 👉 কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া গন্য হয়।
৫২) দাখিল খারিজ 👉 কোনো জোতের ভূমি ও জমা হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।
৫৩) তফসিল 👉 তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।
৫৪) খারিজ 👉 যখন কোনো সরকার বা জমিদার কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন তাহাকে খারিজ বলে।
৫৫) খতিয়ান 👉 প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয় তাহাকে খাতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম, খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম, তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা, ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি) দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ, হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।
৫৬) জরিপ 👉 সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই সার্ভে করা হইয়া থাকে।
৫৭) এওয়াজ সূত্র 👉সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।
৫৮) অছিয়তনামা 👉 যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।
৫৯) তফসিল 👉 বিক্রিত জমির তালিকা।
৬০) নামজারী 👉 অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।
৬১) অধীনস্থ স্বত্ত্ব 👉 উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।
৬২) আলামত 👉 ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর, মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।
৬৩) আমলনামা 👉 কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে আমনামা বলে।
৬৪) আসলি 👉 মূল ভূমি।
৬৫) আধি 👉 উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক, অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ বলে।
৬৬) ইজারা 👉 ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা নেওয়া।
৬৭) ইয়াদদন্ত 👉 স্মারকলিপি।
৬৮) ইন্তেহার 👉 ঘোষণাপত্র।
৬৯) এস্টেট 👉 ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে জমিদারী বা এস্টেট বলে।
৭০) ওয়াকফ 👉 ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।
৭১) কিত্তা 👉 চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে এক একটি কিত্তা বা পট বলে।
৭২) কিস্তোয়ার জরিপ 👉 গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার
৭৩) কিস্তি 👉 নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।
৭৪) কায়েম স্বত্ত্ব 👉 চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।
৭৫) কবুলিয়ত 👉 মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।
৭৬) কটকোবালা 👉 সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয় তাহাকে কটকোবালা বল।
৭৭) কান্দা 👉 উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও কান্দা বলে।
৭৮) কিসমত 👉 মৌজার অংশকে কিসমত বলে।
৭৯) কোলা ভূমি 👉 বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা ভূমি বলে।
৮০) কোল 👉 নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে তাহাকে কোল বলে।
৮১) খানাপুরী 👉 প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।
৮২) খামার 👉 ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার, খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।
৮৩) খাইখন্দক 👉 ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।
৮৪) খিরাজ 👉 কর, খাজনা।
৮৫) খানে খোদাঃ মসজিদ।
৮৬) খসড়াঃ জমির মোটামুটি বর্ণনা।
৮৭) গর বন্দোবস্তিঃ যে জমির কোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয় নাই।
৮৮) গরলায়েক পতিতঃ খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত বলে।
৮৯) গির্বিঃ বন্ধক।
৯০) চক 👉 থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক বলে।
৯১) জমা বন্দী 👉 খাজনার তালিকা।
৯২) চাকরাণ 👉 জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।
৯৩) চাঁদা 👉 জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা বলে।
৯৪) চটান 👉 বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে চটান বলে।
৯৫) চালা 👉 উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)
৯৬) চর 👉 পলিমাটি গঠিত ভূমি।
৯৭) জবর-দখল 👉 জোরপূর্বক দখল।
৯৮) জমা 👉 এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।
৯৯) জোত 👉 এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।
১০০) জজিরা 👉 নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয় তাহাকে জজিরা বলে।
১০১) জায়সুদী 👉 হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়, যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।
১০২) জালি 👉 এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে জন্মে।
১০৩) টেক 👉 নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।
১০৪) টাভার্স 👉 ঘের জরিপ।
১০৫) ঠিকা রায়ত 👉 নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।
১০৬) ঢোল সহরত 👉 কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।
১০৭) তামিল 👉 আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা।
১০৮) তামাদি 👉 খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।
১০৯) তুদাবন্দী 👉 সীমানা নির্দেশ।
১১০) তহশিল 👉 খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে।
১১১) তলবানা 👉 সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত ফিস।
১১২) তলববাকী 👉 বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।
১১৩) তালুক 👉 নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।
১১৪) তরমিমঃ শুদ্ধকরণ।
১১৫) তরতিব 👉 শৃংখলা।
১১৬) তৌজি 👉 ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।
🔸১১৭) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১১৮) দর পত্তনী 👉 পত্তনীর অধীন।
১১৯) দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা 👉 দখলদার হিসেবে যে প্রজার স্বত্ত্ব আছে।
১২০) দশসালা বন্দোবস্ত 👉 দশ বৎসরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।
১২১) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১২২) দাগ নম্বর 👉মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর বলে।
১২৩) দরবস্ত 👉 সমুদয়।
১২৪) নথি 👉 রেকর্ড।
১২৫) দেবোত্তর 👉 দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।
১২৬) দেবিচর 👉 যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।
১২৭) দিঘলি 👉 নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী একপ্রকার প্রজা।
১২৮) নক্সা ভাওড়ন 👉 পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।
১২৯) নামজারী 👉 ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী বলে।
🔸১৩০) নাম খারিজ বা জমা খারিজ 👉 ১৬ আনা জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬ আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম খারিজ বা জাম খারিজ বলে।
উত্তরাধিকার বা ওয়ারিস সনদ এখন থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নিতে হবে।
***তালাক কিভাবে প্রত্যাহার করবেন?
*** ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুসারে, তালাক যেভাবেই দেয়া হোক না কেন, মৌখিক তালাক কার্যকর হবে না। বরং বিবাহবিচ্ছেদ করতে হলে তালাক ঘোষণার পর, অপর পক্ষ যে অঞ্চলে থাকেন সে অঞ্চলের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র কিংবা সিটি কর্পোরেশন মেয়রকে অবশ্যই বিবাহবিচ্ছেদের লিখিত নোটিশ দিতে হবে। একই সাথে তালাক গ্রহীতাকে উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি দিতে হবে।
চেয়ারম্যান বা মেয়র কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোনও তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হবে না। কারণ নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান বা মেয়র সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে সালিশি পরিষদ গঠন করবেন এবং এই জাতীয় Settlement বা সমঝোতার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
*** এ ক্ষেত্রে, চেয়ারম্যানের নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে সমঝোতার ৯০ দিনের সময়কাল শুরু হয়; তালাক দেয়া বা নোটিশ লেখার তারিখ থেকে শুরু হয় না।(Shafiqul Islam and Others v. State, 46 DLR page 700)।
সালিশি পরিষদ মোট ৯০ দিন সময় পেয়ে থাকে। তাই প্রতি ৩০ দিনে ১ টি করে সর্বমোট ৩ টি নোটিশ প্রদান করবে। এই সময়ে, স্বামী-স্ত্রী যদি মনে করেন যে, তাদের মধ্যে পারস্পারিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিবাহবিচ্ছেদের (তালাক) নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তবে তারা আপসের মাধ্যমে তালাক প্রত্যাহার করে পুনরায় সংসার করতে পারেন, নতুন বিয়ের দরকার হবে না।
তবে নিম্নলিখিত কাজগুলি করা ভাল। যেমনঃ
** সালিশি পরিষদকে বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) প্রত্যাহার করার বিষয়ে অবহিত করতে হবে এবং প্রাপ্তি স্বীকার ও সীল-স্বাক্ষর করতে হবে।
** এই প্রাপ্তি অনুলিপি অবশ্যই উভয় পক্ষ সংরক্ষণ করবেন। যাতে পরবর্তী সময়ে স্বামী-স্ত্রী তালাক প্রত্যাহারটি অস্বীকার করতে না পারে।
** ক্ষেত্র বিশেষ, সালিশি পরিষদ তালাক প্রত্যাহারের ঘোষণা অবগত সাপেক্ষে তালাক প্রত্যাহারের আদেশ জারি করতে পারেন। উক্ত আদেশের একটি Certified copy (প্রত্যয়িত অনুলিপি) সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।
কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ প্রেরণের পরে যদি ৯০ দিন অতিবাহিত হয়, অর্থাৎ বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পরে যদি স্বামী বা স্ত্রী অন্য কোথাও বিয়ে না করে থাকেন, তবে তারা পুনরায় নতুনভাবে বিয়ে করে নিতে পারেন।
আরোও উল্লেখ্য যে, একই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো তালাক বলবৎ হলে পুনরায় বিবাহের ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়ে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ আইন, ১৯৬১ এর ৭(৬) ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ প্রেরণের সময় স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকেন, তবে সন্তানের প্রসবের আগে যে কোনও সময় বিবাহবিচ্ছেদ প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং পুনরায় সংসার করতে পারেন। সন্তান ভূমিষ্টের পর যদি সংসার করতে চান, সেক্ষেত্রে পুনরায় বিবাহ করতে হবে।
নোটিশ প্রাপ্তির ৯০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই যদি তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী অনত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তবে বিবাহটি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। [Syed Ali Newaz v. Colonel Md. Yusuf, 15 DLR (Appellate Division) Page-9]
কারণ বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) পুরোপুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত পক্ষগণ আইনতঃ স্বামী ও স্ত্রী রয়ে যায়। (Shafiqul Islam and Others v. State, 46 DLR page 700)। এছাড়াও এই ৯০ দিন পর্যন্ত স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য। কেউ যদি আলাদাভাবে বসবাস করেন তবে তারা নতুনভাবে একত্রে থাকার ঘোষণা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই।
অন্যদিকে, স্বামী বা স্ত্রী যদি কোন কারণ বশতঃ সংসার করতে না চান, তবে তাদের যে কেউ দাম্পত্য অধিকার দাবি করে পারিবারিক আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। এমনকি স্বামী-স্ত্রী যদি সেই সময় আদালতে উপস্থিত হয়ে আপস-মীমাংসা করে পুনরায় দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করতে পারেন।
সর্বোপরি, যদি ভাঙা সংসার নতুন করে জোড়া লাগে, তবে তারা পূর্বের ন্যায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় পাবেন। আগে যেমন তাদের একে অপরের উপর অধিকার ছিল, সংসার জোড়া লাগার পরেও তাদের একই অধিকার থাকবে। সন্তান ভরণ-পোষণ ও দেনমোহর, সবকিছুই স্বাভাবিক অধিকার হিসাবে থাকবে।
♦হিন্দু বিধবা নারীরা শুধু বসতভিটা নয়, স্বামীর সব সম্পত্তিতে ভাগ পাবেন : রায় প্রকাশ
হিন্দু বিধবা নারীরা শুধু বসতভিটা নয়, স্বামীর সব সম্পত্তিতে ভাগ পাবেন; এমন রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে হিন্দু উইমেন্স রাইটস টু প্রোপার্টি অ্যাক্ট (১৯৩৭ সালের) বাংলাদেশে প্রযোজ্য।
বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মামলার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ নাফিউল ইসলাম রায় প্রকাশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, আইনে কোনো সুনির্দিষ্ট সম্পত্তির কথা নেই। ‘সম্পত্তি’ শব্দের অর্থ সব সম্পত্তি যেখানে স্থাবর বা অস্থাবর, বসতভিটা, কৃষিভূমি, নগদ টাকা বা অন্য কোনো ধরনের সম্পত্তি। কৃষিজমি ও বসতভিটার মধ্যে পার্থক্য করার সুযোগ নেই এবং এ ধরনের সম্পত্তি বিধবার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর খুলনার হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে করা এক আবেদনের (রিভিশন) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আইনজীবী নাফিউল ইসলাম বলেন, খুলনার রাজবিহারী মণ্ডলের দুই ছেলে। তারা হলেন- জ্যোতিন্দ্রনাথ মণ্ডল ও অভিমন্যু মণ্ডল। অভিমন্যু মণ্ডল ১৯৫৮ সালে মারা যান। এ অবস্থায় মৃত ভাইয়ের স্ত্রী (গৌরী দাসী) কৃষিজমি পাবেন না, শুধু বসতভিটা থেকে অর্ধেক পাবেন- এমন দাবি নিয়ে ১৯৮৩ সালে নিম্ন আদালতে মামলা করেন জ্যোতিন্দ্রনাথ। মামলায় পক্ষ যথাযথভাবে না করায় ১৯৯৬ সালে তা খারিজ করে রায় দেন আদালত। তবে গৌরীর কৃষিজমির সম্পত্তি পাবেন না বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে খুলনার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আপিল করেন জ্যোতিন্দ্রনাথ। আদালত ২০০৪ সালের ৭ মার্চ রায় দেন। রায়ে বসতভিটা ও কৃষিজমিতে গৌরী দাসীর অধিকার থাকবে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জ্যোতিন্দ্রনাথসহ অন্যরা। রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন।
>>>দেনমোহর/Dower:-
★যে কোন বিষয় সম্পত্তি মোহরানার জন্য ধার্য করা যায় না। ইহা হতে পারে নগদ অর্থ, কোন বীমা পলিসি বা অন্য কোন দ্রব্য সামগ্রী। তবে কোন হারাম বস্তু হতে পারবে না। স্বামীর দখলে নেই এমন কোন সম্পত্তি পারে না। ভবিষ্যত কোন বিষয়ও এর অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।
★১৯৬১ সালের পারিবারিক আইনের ১০ ধারা অনুসারে , দেনমোহর পদ্ধতি সম্পর্কে কাবিনে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকিলে স্ত্রীর চাওয়া মাত্র সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
★দেনমোহর নিশ্চিত হয় দাম্পত্য মিলন দ্বারা, বৈধ অবসর, স্বামী অথবা স্ত্রীর মৃত্য দ্বারা। স্বামী দাম্পত্য মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিলে দেনমোহরের পরিমাণ অর্ধেক হইবে। কিন্তু দাম্পত্য মিলনের পূর্বে স্বামীর মৃত্যু হইলে স্ত্রীকে সম্পূর্ণ দেনমোহরে প্রদান করিতে হইবে।
★দেনমোহরের বাবদ দেয়া অর্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১/তাৎক্ষনিক; যাহা চাহিবামাত্র পরিশোধযোগ্য এবং অপরটি
২/বিলম্বিত; দেনমোহর-যাহা মৃত্য অথবা তালাকের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ পরিশোধযোগ্য।
★দেনমোহরের মামলা এবং সময়:
স্ত্রী, তাহার, দেনমোহরের টাকা না পাইলে, সে এবং তাহার মৃত্যর পর তাহার উত্তরাধিকারীগণ, উহার জন্য মামলা দায়ের করিতে পারে।
তাৎক্ষনিক দেনমোহর আদায়ের মামলা দায়ের করিবার সময় সীমা হইল দেনমোহরটি দাবী ও উহা প্রদানে অস্বীকৃতির তারিখ হইতে তিন বছর, অথবা যেখানে বিবাহ থাকাকালীন এই জাতীর কোন দাবীই উপস্থাপিত হয় নাই, সেখানে মৃত্যু কিংবা তালাকের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিলে, তখন থেকে ৩ বছর (১৯০৮ সালের তামাদী আইন, তফসীল-১, অনুচ্ছেদ-১০৩)।
বিলম্বিত দেনমোহরটি আদায়ের সময় সীমা হইল মৃত্য অথবা তালাকের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিলে ঐ তারিখ হইতে তিন বৎসর [তফসীল-১, অনুচ্ছেদ-১০৪]
বিলম্বিত দেনমোহরের দাবীতে স্বামীর সম্পত্তি বিধবার বৈধ দখলে থাকাকালীন সময়ে তামাদীর মেয়াদ বিধবার বিপক্ষে যাইবে না। স্ত্রী লিখিতভাবে তালাক প্রাপ্ত হইলে, তামাদী আইনের ১০৩ ও ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্ত্রীকে উক্ত লিখিত তালাক দানের তথ্য বা সংবাদটি অবগত করিবার তারিখ হইতেই তামাদীর সময় শুরু হবে।
মামলা করার ক্ষেত্রে স্ত্রীর বাসস্থান যে আদালতের আত্ততাভূক্ত, স্ত্রী সেখানেই মামলাটি দায়ের করিতে পারিবে।
এই ক্ষেত্রে শাহ বানু বেগম বনাম ইফতেখার মাহমুদ খান (1957) মামলায় বলা হয়েছে, দেনমোহর কখনই মাফ হয় না। স্বামী যদি মারাও যায় তবে সে স্বামীর সম্পদ হতে দেনমোহর আদায় করা যায়। ইসলামী আইনে দেনমোহরকে দেনা বলে বিবেচনা করা হয়। দেনমোহরের পরিমাণ যত বেশি হোক না কেন, পক্ষগুলোর মধ্যে স্বীকৃত হলে স্বামী তা সম্পূর্ণ রূপে স্ত্রীকে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে। এমনকি স্বামীর আর্থিক সঙ্গতি না থাকলেও আদালত দেনমোহরানার দায় হতে স্বামীকে মুক্তি দেবে না।
★জামিনদার:
যদি কোন ব্যক্তি একজনের স্বামীর স্ত্রীর মোহরানার দায়িত্ব নেয় তবে সে উহা পরিশোধের জন্য দায়ী হবে। বিবাহ উত্তর দেনমোহরের জন্য জামিনদার থাকলে সেক্ষেত্রেও জামিনদার দায়ী হবে। স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
★উত্তরাধিকারীগণের উপর দেনমোহর ঋণের দায়:
ঋণের ন্যায়-দেনমোহর ঋণের উত্তরাধিকারীর মৃত্যের সম্পত্তিতে প্রাপ্য অংশের আনুপাতিক হারে প্রত্যেক উত্তরাধিকারী দায়ী হইবে। সুতরাং বিধবা স্ত্রী দেনমোহরের দাবীকে তাহার স্বামীর সম্পত্তির দখলে থাকিলে তাহার স্বামীর অন্যান্য উত্তরাধিকারীগণ সম্পত্তিতে নিজ নিজ প্রাপ্য অংশের আনুপাতিক হারে দেনমোহর ঋণ পরিশোধ করিবার পর পৃথক ভাবে স্ব স্ব অংশ উদ্ধার করিতে পারিবে। যদি স্বামীর উত্তরাধিকারীরা স্বামীর সম্পত্তি থেকে দেনমোহর দিতে অস্বীকার করেন তাহলে স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন। যদি স্বামীর আগে স্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধিত না হয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা ঐ দেনমোহর পাওয়ার অধিকারী। ফলে স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা দেনমোহর পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করতে পারবেন।
বিধবার দেনমোহরের দাবী তাহাকে তাহার স্বামীর কোন সুনির্দিষ্ট সম্পত্তিতে কোন “চার্জ” সৃষ্টির অধিকারী করেনা। কিন্তু যখন তাহার “দেনমোহরের পরিবর্তে” সে প্রতারণা ব্যাতিরেকে এবং “বৈধভাবে” তাহার মৃত স্বামীর সম্পত্তি লাভ করিয়া এবং উহার দখলে থাকিবে, সে তাহার দেনমোহর পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তাহার স্বামীর সম্পত্তি নিজ দখলে রাখিতে পারিবে।
দেনমোহরের আপাদমস্তক :
দেনমোহর হচ্ছে বিয়ে উপলক্ষে স্বামী কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে স্ত্রীকে নগদ অর্থ, সোনা-রুপা বা স্থাবর সম্পত্তি দান করা। এটা প্রত্যেক স্বামীর উপর বাধ্যতামূলক। অনেকে মনে করেন এটা স্ত্রীর উপর স্বামীর দয়া বা করুনা কিন্তু এটা আসলে একজন স্ত্রীর অধিকার। এটা স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ এবং এটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে এমন কি স্ত্রী দাবি না করলেও স্ত্রীকে উপযুক্ত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
দেনমোহরের পরিমান নির্ধারন:
দেনমোহর নির্ধারিত বা অনির্ধারিত দুটোই হতে পারে। হানাফি আইন অনুসারে, নির্ধারিত দেনমোহরের পরিমান হবে ১০ দিরহাম আর মালিকি আইনে ৩ দিরহাম। তবে সর্বোচ্চ কত হবে তা কোথাও উল্লেখ নাই। দেনমোহরের দুইটি অংশ থাকে - "মোহরে মু'আজ্জাল" বা নগদে প্রদেয় আর "মোহরে মুয়াজ্জাল" বা বাকীতে প্রদেয়। আমাদের দেশে মোহরের অর্থ বাকী রেখেই সাধারনত বিয়ে হয়ে থাকে। আর সেই বাকীই এক সময় ফাঁকিতে পরিনত হয়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেনমোহরের টাকা নগদে বিয়ের সাথে সাথে বা প্রথন মিলনের রাতের আগেই পরিশোধ করা উত্তম। কোনো ভাবেই দেনমোহর বাকী রেখে বছরের পর বছর সংসার করা যাবে না। এটা দেনমোহরের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। দেনমোহরের পরিমান ঠিক হয়ে গেলে আবার কমানো যায় না তবে চাইলে বাড়ানো যেতে পারে। যদি দেনমোহর অনির্ধারিত থাকে এবং তা আদালতের হস্তক্ষেপে আদায় করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আদালত পিতৃকুলের অন্যান্য মহিলার দেনমোহরের পরিপ্রেক্ষিতে দেনমোহর নির্ধারন করে দিবেন।
নারীর অধিকার ও আইনি প্রতিকার:
দেনমোহর যদি বাকী থাকে এবং তা বাকী রেখেই যদি স্বামী মারা যায় তাহলে ঐ স্ত্রী দেনমোহরের জন্য কোন সম্পত্তি দখলে রাখতে পারবেন এবং যত দিন দেনমোহরের টাকা উসুল না হবে ততোদিন দখল চালিয়ে যেতে পারবেন। এই ধরনের দখলের জন্য স্বামীর উত্তরাধিকারীদের কোনরকম সম্মতি নেয়ার প্রয়োজন নাই। বিধবা নারীর দখলীয় সম্পত্তিতে দুই ধরনের অধিকার আছে। একটি হল বকেয়া দেনমোহর আদায়ের অধিকার আর দ্বিতীয় হল উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অধিকার।
কোনো নারী দেনমোহরের টাকা তাৎক্ষণিক চেয়ে না পেলে সে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে ও দাম্পত্য মিলনে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে। চাইলে সে আলাদা থাকতে পারবে এবং এক্ষেত্রে স্বামী তাকে ভরণপোষণ দিতে বাধ্য থাকবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী তার দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের মামলা করেন কিন্তু এই সব মামলা সাধারনত খারিজ হয়ে যায় কারন স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহরের টাকা তিনি পরিশোধ করেন নি।
যদি স্বামী দেনমোহর দিতে না চায় বা এমন পরিস্থিতি হয় যে তাতে বোঝা যায় স্বামী দেনমোহর দিতে অস্বীকার করছে তাহলে স্ত্রী পারিবারিক আদালতে ৩ বছরের মধ্যে মামলা করতে পারবে। তবে যদি এই সময় অতিবাহিত হয় তাহলে মামলা করার অধিকার নষ্ট হবে।
প্রচলিত কুসংস্কার:
১) অনেকের মুখে প্রায়ই শোনা যায় যে, যদি মেয়ে নিজে তালাক দেয় তাহলে স্বামীকে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে না। এটা এই ২০১৯ সালের আমাদের সব থেকে বড় ভূল ধারনা। দেনমোহর যেকোন অবস্থায়ই স্বামীর ঋণ। এক্ষেত্রে দেনমোহর কখনোই মাফ হবে না। ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ-বিচ্ছেদ আইনের ধারা ৫ -এ বলা হয়েছে, যে কারনেই একটি বিবাহের বিচ্ছেদ ঘটুক না কেন তা একজন স্ত্রীর দেনমোহর প্রাপ্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করবে না। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে বলেছে, যদি কেঊ সালিশ পরিষদের অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করে তাহলে তার বর্তমান স্ত্রীকে তার দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে আর যদি তা পরিশোধ করা না হয় তবে তা বকেয়া রাজস্বের মত আদায় হবে।
২) অনেক স্বামী তার স্ত্রীকে দামী উপহার দিয়ে মনে করেন এটার মাধ্যমে সে তার দেনমোহর পরিশোধ করেছে। এটা ভূল ধারনা। তবে যদি সে উল্লেখ করে স্ত্রীকে জানিয়ে দিয়ে থাকে তবে তা দেনমোহর হিসেবে গন্য হবে। আবার অনেকে টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখে স্ত্রীর জন্য আর সেটাকে দেনমোহর বলে চালিয়ে দেয়। এটাও সঠিক না। তবে যদি ঐ টাকার উপর স্ত্রীর নিরুঙ্কুশ অধিকার থাকে তা ব্যাবহার ও খরচের উপর তাহলে তা দেনমোহর হিসেবে গন্য হবে।
বিয়ের সময় স্বামী যে অলংকার, প্রসাধনী স্ত্রীকে দেয় তাও দেনমোহরের কোনো অংশ না।
৩) আবার দেখা যায়, বাসর রাতে অনেকে স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর মাফ করিয়ে নেয় আবার স্বামীর মৃত্যু হলে পরিবারের অন্য মহিলারা স্ত্রীকে দেনমোহর মাফ করে দিতে অনুরোধ করে।এতে আসলে দেনমোহর মাফ হয়ে যায় না।কারন এখানে অনুভুতিকে পুঁজি করে মাফ করিয়ে নেয়া হয়ে থাকে প্রায়শই।
কেবল মাত্র কোনো প্রকার ছলনা, প্ররোচনা,চাপ ও হুমকি ছাড়া এবং যদি স্বামী অস্বচ্ছল হয় আর স্বেচ্ছায় যদি স্ত্রী দেনমোহরের কিছু অংশ বা পুরো মোহরানা মাফ করে দেয় তাহলেই স্বামী তা থেকে মুক্তি পাবে। অন্যথায় না।
# দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর এক প্রকার ঋণ। কোন কারন ছাড়া ইহা পরিশোধ না করলে বিবাহের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তাই সবাই সচেতন হোন এবং অপরকে সচেতন করুন।
#শিক্ষা_মূলক_পোষ্ট...
এক লোক একটা বড় গরু গ্রীল করে তার মেয়েকে বললেন– 'আমাদের আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী আর প্রিয়জনদের ভোজের জন্য ডেকে নিয়ে এসো'।
মেয়ে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকলো– 'আমাদের বাসায় আগুন লেগেছে। আপনারা আগুন নিভাতে সাহায্য করুন'।
কিছুক্ষণ পরে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলো। বাকিরা এমন ভাব করলো যেনো তারা কিছু শুনতেই পায়নি! যারা আসলেন তারা পেট পুরে মজাদার সেই খাবার খেলেন।
মেয়েটির বাবা খুব আশ্চর্য্য হয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন– 'এই যে অল্প সংখ্যক মানুষ যারা এসেছেন তাদেরকে প্রায় কাউকেই আমি চিনিনা এবং অনেককেই কখনোও দেখিনি। আমাদের আপনজনরা সব কোথায়?'।
মেয়েটি উত্তর দিলো– 'এই যে যারা এসেছেন, তারা কিন্তু খাবার খেতে আসেননি। বরং এসেছেন আমাদের বাসায় আগুন নিভানোর কাজে সাহায্য করতে। তারাই আসলে আমাদের আতিথেয়তার যোগ্য'।
নীতিবাক্যঃ যারা তোমার বিপদের সময় তোমার পাশে থাকেনি, তারা তোমার আনন্দের অংশীদারী হওয়ার যোগ্যতাও রাখেনা।
*** ই কমার্স সাইট গুলোতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরতো থাকুন।
*** অতি লোভ আপনার ধ্বংস ডেকে আনবে।
Admision Form Dhaka Bar
কাল থেকে আর চলবে না নকল মোবাইল ফোনসেট
চুরি হওয়া সেট কেউ ব্যবহার করতে পারবে না
কাল ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ কোনো মোবাইল সেট চলবে না। সেটে সিম প্রবেশ করানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা চলে আসবে। সেট অবৈধ হলে যে কোনো সময় বন্ধের সতর্কতা দিয়ে বার্তা আসবে। পাশাপাশি বৈধ কাগজপত্র থাকলে তা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে বা সেটটি বৈধ না হলে সংক্রিয়ভাবে সেটি অচল হয়ে যাবে।
হ্যান্ডসেট কেনার আগে যা করতে হবে : পহেলা অক্টোবর থেকে যে কোনো মাধ্যমে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা যাচাই করতে হবে। সেজন্য একটি পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে বলছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে space দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখতে হবে। এরপর ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজ মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট যেভাবে নিবন্ধন হবে : বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট দেশে চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে ১০ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ঐ হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
হাতের সেটটি বৈধ কি-না জানবেন কীভাবে : যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১ # নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে Status Check সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের আইইএমআই নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। গ্রাহকের মোবাইলে তখন হ্যাঁ/না অপশন সংবলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসবে। তাতে হ্যাঁ Select করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে কোনো ধরনের হয়রানি, অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আইনি সহায়তার জন্য এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশকে জানান। আপনার কাছে যদি কেউ অবৈধভাবে অর্থ দাবী করে, যেকোনো ধরনের অবৈধ সুবিধা দাবী করে।
০১৩২০১৯৪৯৯৯, এই নাম্বারে ২৪ ঘন্টা যে কোনো সময়ে কল করুন। আপনার অভিযোগ শুনতে এবং আপনাকে আইনি সহায়তা দিতে ২৪/৭ প্রস্তুত আছে
তথ্য দিন, সেবা নিন।
*** Maxim Series, part- 01***
*** আসুন কয়েকটি Latin Maxim বুঝার চেষ্টা করি-
যে Maxim গুলো নিয়ে আলোচনা করবো-
1. Ipso Facto
2. Prima Facie
3. Non Est
4. IBID
5. এবং আরো অনেক Maxim...
*** আসেন উপরোক্ত Maxim গুলো নিয়ে একটু গল্প করি, মুখস্ত না করে। আশা করছি খুব সহজ ভাবেই বুঝে যাবেন।
* Ipso Facto:
Ipso Facto মানে হচ্ছে By this Fact ( অর্থাৎ এই কারনটি ই যথেষ্ট), কঠিন মনে হচ্ছে?
আসেন একটা উধাহরন দেই- ধরেন একটা মামলায় ৩ টি বিচার্য (Fact) বিষয় নির্ধারিত হয়েছে, এর মধ্যে ২ টি Fact প্রমানিত হলো না এবং একটি Fact এর ক্ষেত্রে বিচারক লিখলেন- Fact one is Ipso Facto, অর্থাৎ এটি দিয়ে বিচারক বুঝাতে চাচ্ছেন যে- এই ১ টি Fact বা Ground বা দলিল ই যথেষ্ট মামলাটির রায় বা Judgement বা Decree দেওয়ার জন্য।
অর্থাৎ বলা যেতে পারে, ধরেন আমার অনেক গুলো Post বা নোট এর মধ্যে একটি নোট বা লেখা দেখে আপনি impress হলেন এবং এই গ্রুপটিতে join করলেন, এই নোট টি ই হচ্ছে Ipso Facto post বা নোট।
to be continue....
বার কাউন্সিল ভাইভার ফলাফল, অভিনন্দন ও শুভ কামনা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Dhaka
Dhaka
Hasan Tarique Chowdhury is a columnist,writer & Supreme Court Lawyer. He contributes regularly in several National and International News Magazine and journals.He is the Executive ...
Eastern Mansion, Pioneer Road
Dhaka, 1000
Hello everyone, I am Shiak Al Hassan Jony, Advocate of Bangladesh Supreme court.
Dhaka, 1219
Myself Sohana Afrin, I am an Advocate. I love to travel, shopping. Love to live a simple happy life
3/1 Purana Palton, Henolux Center, 3rd Floor
Dhaka
Advocate, Supreme Court of Bangladesh.
89 South Mugda, Mugda
Dhaka, 1214
At BLUELAWYS Lawyers we make a difference to our clients’ lives.
90 Kakrail 3rd Floor
Dhaka, 1000
Barrister At Law. Practice Civil,Criminal & Company Law. Competent In Immigration Law Too.
Dhaka, 1217
Advocate Rowshan Ali Practicing Lawyer Supreme Court of Bangladesh.