Tilottama Sikder
সিনেট সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক সহ সভাপতি- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
নির্বাচিত সদস্য- ডাকসু
কর্মফল ভোগ করতেই হবেঃ
কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গেলে তিনি তা মাটি থেকে তোলার জন্যে রথ থেকে নিচে নামেন। এসময় তিনি নিরস্ত্র ছিলেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ অর্জুন কে, কর্ণের উপর বান মেরে হত্যা করার নির্দেশ দেন।
অর্জুনও ভগবানের কথা মতো কর্ণকে লক্ষ্য করে একেরপর এক বান নিক্ষেপ করে। যা কর্ণ কে ভয়ংকর ভাবে বিদ্ধ করে। এতে কর্ণ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
মৃত্যু পূর্ববর্তী সময়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া কর্ণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কে প্রশ্ন করেন, "এই তুমি ভগবান? এই তুমি করুনাময়? এই তোমার ন্যায্য বিচার ! যে একজন নিরস্ত্র কে হত্যা করার পরামর্শ দাও ? "
সচ্চিদানন্দময় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ স্মিত হেসে জবাব দেন, "চক্রব্যূহে অর্জুন পুত্র অভিমুন্যও নিরস্ত্র হয়ে গেছিলো, যখন সকলে মিলে তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলে... তাঁর মধ্যে তুমিও ছিলে । তখন তোমার এই ধর্মজ্ঞান কোথায় ছিলো কর্ণ ? এ জগতে যে যেরূপ কর্ম করবে আমিও তাঁকে সেইরূপ কর্মফলই প্রদান করি। ইহাই আমার বিচার।"
অতএব... কর্ম করুন ভেবেচিন্তে। আপনি আজ কাউকে কষ্ট দিলে, যন্ত্রনা দিলে, অবজ্ঞা করলে, কারো দুর্বলতার সুযোগ নিলে.... আগামীতে আপনার জন্যেও সেই একই কর্মফল অপেক্ষা করে থাকবে এবং স্বয়ং তিনিই আপনাকে তা প্রদান করবেন।
স্বয়ং বিচার করুন 🙏
৭৫ বছরেও অম্লান আওয়ামী লীগ
---
৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন থেকে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু। বাঙালির অধিকার আদায়ে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন থেকে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু। বাঙালির অধিকার আদায়ে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ে দলটি।
১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙালি, স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৮১ সালে হাল ধরেন শেখ হাসিনা। জীবনবাজি রেখে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে ও দেশকে।
সেই আওয়ামী লীগের হীরকজয়ন্তী আগামীকাল রোববার। এই উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে দলটি। ভাষণ দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোভাযাত্রা, বৃক্ষরোপণসহ ১০ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যা দেশজুড়ে চলবে সারাবছর ধরে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এবারের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে নেওয়া।
ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট, ৫৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন প্রধান দল হিসেবে ক্ষমতায় আসে আজকের যে উন্নয়ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দেখছি সেই ভিতগুলো আওয়ামী লীগের করা। এটা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী জানেন না। গণআন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, সংবিধান সবকিছু আওয়ামী লীগের করা। এমনকি গত ১২ বছরে দেশের যে স্থিতিশীলতা সেটিও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনার কারণে। আজ যে বাংলাদেশ একটা মর্যাদায় পরিণত হয়েছে সেটাও আওয়ামী লীগের কারণে।’
দেশের সবচেয়ে পুরোনো এই দলের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করছে দলটি। থাকছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তিন দিনের অনুষ্ঠান। বছরজুড়ে চলবে সভা-সেমিনার। ২৩ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে জনসভা। এরই মধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়গুলোকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরার কাজগুলো সারা বছরব্যাপী হবে। আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় কীভাবে আমরা দাঁড় করাতে চাই সেই পরিকল্পনাও কিন্তু আমাদের আছে। সেগুলোও আমরা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরব।’
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমরা মানুষকে জানান দিতে যাচ্ছি আওয়ামী লীগের বয়স ৭৫ বছর। এই বয়সে আওয়ামী লীগ কত ইতিহাস তৈরি করেছে। এই বাংলাদেশে মুসলিম লীগ ছিল, পাকিস্তানে মুসলিম লীগ ছিল, সেই মুসলিম বিলীন হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ দিনে দিনে শক্তিশালী হয়, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন শক্তিশালী হয়।’
জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে সম্মাননা জানানো হবে প্রবীণ নেতাদের। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
©️ Independent Online
#প্লাটিনামজুবিলী #আওয়ামীলীগ #বাংলাদেশ
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে ❤️
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান
ভারতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর উপলক্ষ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।
তারিখ: ২২ জুন ২০২৪
স্থান: রাষ্ট্রপতি ভবন, নয়াদিল্লি।
ভাইপারনামা।
সরাসরি কথা হল:
১. রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সহ আরো তিনটা অতি বিষধর সাপের বিষ প্রতিষেধক (পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম) বাংলাদেশে আছে, আছে, আছে। অনেক উপজেলা লেভেলেই আছে৷ অ্যান্টিভেনম শুধু রাসেল ভাইপারই নয় গোখরা, কেউটে এদের বিষের বিরুদ্ধেও কার্যকর।
২. অ্যান্টিভেনমের কার্যকারিতা ২০% বলে যা ছড়ানো হচ্ছে সেটার ভিত্তি জানা নাই। কেউ জানালে উপকৃত হব। তবে আমার জানামতে বিষ প্রতিষেধক বেশ কার্যকর।
৩. রাসেলস ভাইপার নাকি মানুষ দেখলে তাড়া করে কামড়ায়। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য। এরা অলস প্রকৃতির। অন্যান্য সাপের মতই কেবল কোন বিপদ টের পেলে এরা আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক সাপেরা একটু কম অলস হয়ে থাকে।
৪. সমানে বাচ্চা পয়দা করে। এটা অতিরঞ্জন কিন্তু খুব বেশি না। এই প্রজাতির সাপ অন্যান্য বিষধর সাপের তুলনায় বেশি বাচ্চা দেয়।
৫. এই সাপের বিষের ধরন ৫-৬ ধরণের। ভুল তথ্য। এই সাপের বিষ মূলত হিমোটক্সিক, মানে রক্তে বিষ্ক্রিয়াকারী, তবে নিউরোটক্সিক( মস্তিষ্কে বিষক্রিয়াকারী) বিষও আছে। কাজেই দুই ধরণের।
৬. বন্যার পানিতে নাকি সারাদেশ ছড়ায়ে যাবে। আমার সাধারণ বুদ্ধি বলে পানিতে সাঁতরায়ে এখানে সেখানে যেতে চাইলে বন্যার পানি লাগবে কেন? নদী আছে, মন চাইলে নদী দিয়েই যেতে পারে। এই সাপ থাকে শুকনায় ; খেত, ঝোপ, আবাদী জমিতে যেখানে প্রচুর ইঁদুরজাতীয় প্রাণী পাওয়া যায়। বন্যায় সাপ শুকনো যায়গা খুঁজবে। কাজেই বাড়ি ইঁদুরমুক্ত রাখুন।
৭. 'এই সাপের কোন অবদান নাই।' অম্লমধুর হলেও সত্য, এই সাপের বিষ দিয়ে বিরল রোগ ধরার টেস্ট করা হয়।
এই সাপের কামড়ে অধিক মৃত্যু হারের মূল কারণ কী তাহলে?
শুধু এই সাপ নয়, যেকোন বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি হবার মূল কারণ ওঝা, কবিরাজের কাছে ঘুরাঘুরি করে শেষে অবস্থা খারাপ করে হাসপাতালে যাওয়া। মোট কথা দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা।
আতঙ্কিত হব না?
না। সাবধান হোন। অতি বিষধর রাসেল ভাইপারের চেয়ে বিষাক্ত সাপ (গোখরা, কেউটে) আপনার আশেপাশে এমনকি বাড়িতেই থাকে।
ক। বাড়ি ইঁদুরমুক্ত রাখুন।
খ। আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখুন।
গ।বাড়িতে পর্যাপ্ত লাইটিং করুন রাতের বেলা।
ঘ। রাতের বেলা খেত খামারের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবেন না।
ঙ। মশারী টাঙাবেন।
কামড় দিয়েই ফেলল। কী করব?
শুধু রাসেলস ভাইপারই নয়, যেকোন বিষধর / অবিষধর সাপ কামড় দিলে যায়গাটা অচল ( immobilise) করে সোজা নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন। কারো কথায় কান দিবেন না। কোন সাপে কামড় দিয়েছে নিশ্চিত হতে পারলে ভাল, না পারলেও সমস্যা নাই।
পরিশেষেঃ
অ্যান্টিভনম নিয়ে অনেকের আতঙ্ক আছে।
অ্যান্টিভেনম নিরাপদ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তবে প্রাণঘাতী নয়৷
ডা. মাইনুল ইসলাম
এমবিবিএস (সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ)
৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য)
রাসেল ভাইপার সাপ দেখা মাত্রই হটলাইন নাম্বারে কল করুন+8801999000095
+8801713076683
+8801916095643
+8801747036237
+8801611786536
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালীতে সেঁজেছে ঢাকা নগরী।
প্রাসঙ্গিক....
বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে আওয়ামী লীগের নাম।
শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ ।।
সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।।
প্লাটিনাম জয়ন্তীর থিম সংঃ কথা - জুলফিকার রাসেল সুর ও সংগীত - পাভেল অরিন পরিচালনা - ইশতিয়াক মাহমুদ পরিকল্পনা ও সমন্বয়- ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া
Jubilee Hasina #প্লাটিনামজুবিলী #আওয়ামীলীগ #বাংলাদেশ ...
রাসেলের ভাইপার সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা।
তথ্য: ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, সমন্বয়ক ও গবেষক, বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।
ফ্যাক্টচ্যাক: টিম বিজ্ঞানপ্রিয়।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের ৯ নং ওয়ার্ড এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রনি দার ভাগ্নীর বিয়েতে।
শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়...
বাংলাদেশ নৌবাহিনী! 🤍
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্ঠ শুনেই ছুটে আসলো খরগোশের দল। শনিবার ১৫ জুন ২০২৪গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপন শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সেন্টমার্টিন ছাড়তে ঘোষণা দেওয়া ও সেন্টমার্টিনে জাহাজ পাঠিয়ে সবাইকে ফিরিয়ে আনার খবরটি ভুয়া।
🩵🩵🩵
একাত্তরে কতভাবে গণহত্যা হয়েছে এই দেশে!
ট্রেনে করে নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ৪৩৭ জন নিরীহ মানুষকে কচুকাটা করা হয়েছিলো আজকের দিনে। সেদিন ছবির এই কালভার্ট আর রেললাইন পরিণত হয়েছিলো লাশের মহাসমুদ্রে। কুখ্যাত 'অপারেশন খরচাখাতা' এক ভয়ংকর অধ্যায়।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে বাস করতেন বিপুল সংখ্যক মাড়োয়ারি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক, যাঁরা ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের বহু আগেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে এসে এই শহরে থেকে যান। এরা স্থানীয় হয়ে যান সৈয়দপুরেই।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর তিনদিন আগে ২৩ মার্চ রাত থেকে সৈয়দপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর সৈয়দপুরের বিহারিরা বাঙালি নিধন শুরু করে। মহল্লায়-মহল্লায় ঢুকে নেতৃস্থানীয় বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলো শহরের মাড়োয়ারিপট্টির বাসিন্দারা। ২৪ মার্চ থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙালি পরিবারগুলো পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
সৈয়দপুরের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে স্থানীয় মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের শীর্ষব্যক্তিত্ব তুলসীরাম আগরওয়ালা, যমুনাপ্রসাদ কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাকে ১২ এপ্রিল রংপুর সেনানিবাসের অদূরে নিসবেতগঞ্জ বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। মাড়োয়ারিপট্টিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিহারিরা মাড়োয়ারিদের বাসায় চালায় লুটতরাজ।
এর মধ্যে চলে এলো জুন মাস। জুন মাসের ৫ তারিখে হঠাৎই পাকিস্তানি বাহিনী মাইকে ঘোষণা শুরু করে। ঘোষণায় বলা হয়, "যাঁরা হিন্দু মাড়োয়ারি তাঁদের নিরাপদ স্থান ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটি ১৩ জুন মাড়োয়ারিদের বর্ডার অব্দি পৌঁছে দিবে।"
তখনো কেউই অনুমান করতে পারেনি কী হবে সামনে, কী ভয়ংকর অধ্যায় আসছে তাঁদের সামনে।
৫ দিন ঘোষণা চলে আর এদিকে নিরীহ মাড়োয়ারীরা বুক বেঁধেছে আশায়। আগের রাত থেকেই সাড়ে চারশর বেশি মাড়োয়ারি অপেক্ষমান সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনে যদি জায়গা না পাওয়া যায় সেই আশঙ্কায় আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মাড়োয়ারিরা। ভোর পাঁচটার দিকে ট্রেন আসতেই ট্রেনের চারটি বগিতে গাদাগাদি, হুড়োহুড়ি করে উঠে পড়েন মাড়োয়ারিরা। বাক্স পেটারা আর মানুষে পূর্ণ তখন ট্রেন। অপেক্ষা কখন ট্রেন ছাড়বে। ট্রেন ছাড়ার আর কতো দেরি। অপেক্ষার তর সইছেনা তাদের। একদিকে উত্তেজনা, অন্যদিকে ভয় কাটিয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়ার অপেক্ষা।
অবশেষে নির্ধারিত সকাল ১০টায় ট্রেনটি ছাড়ে। ট্রেন ছাড়ার পর সব জানালা-দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিলো। ট্রেনটি ধীরগতিতে দুই মাইলের মতো পথ অতিক্রম করার পর শহরের গোলাহাটের কাছে এসে থেমে যায়। সবাই আশ্চর্য হয়ে ভাবছে কী হলো, ট্রেন থেমে গেল কেন? কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি! এক অজানা ভয় ও শঙ্কা দেখা দিলো তাদের চোখেমুখে।
অন্যদিকে বিহারী ও রাজাকার ইজাহার আহমেদ, বিহারী নেতা কাইয়ুম খান ও বিপুলসংখ্যক বিহারী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সৈন্য উপস্থিত তখন গোলাহাটে সেই ট্রেনটিরই অপেক্ষায়। ট্রেন থামতেই প্রতিটি বগির দরজা খুলে ভেতরে রামদা হাতে কয়েকজন বিহারি প্রবেশ করে, বাইরে তখন ভারী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। যেন একজন মাড়োয়ারিও পালাতে না পারে। শুরু হয় রামদা দিয়ে কোপানো। মুহূর্তের মধ্যেই বীভৎস আর পৈশাচিক উৎসবে মেতে ওঠে বিহারীরা। কোনো কোনো লাশকে কয়েক টুকরো করে রেললাইনের চারপাশে ছুঁড়ে ফেলা হয়। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিশুদের।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শহীদ হন ৪৩৭ জন নিরীহ মানুষ। ওই হত্যাযজ্ঞ থেকে কোনোরকমে আশ্চর্যজনকভাবে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান মাত্র ১০ জন যুবক। তারা ট্রেন থেকে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে দিনাজপুরে যান।
আজ ১৩ই জুন। নীলফামারীর কুখ্যাত গোলাহাট গণহত্যা দিবস আজ। যাকে বলা হয় "অপারেশন খরচাখাতা" নামে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও অসীম ভালোবাসা রইলো শহীদদের প্রতি।
~সংগৃহিত
Respect 🙏
বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৯ জুন ২০২৪) ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন দিল্লিতে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় লালকৃষ্ণ আদভানির কন্যা প্রতিভা আদভানি সঙ্গে ছিলেন...
Today's Best Photo
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও সালাম প্রদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করে ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়।
ছবি : সাইফুল ইসলাম কল্লোল।
ঢাকায় যারা আছেন সাবধান…
১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষ কে মেরে রক্তাত্ত করে চলেছে আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে যে, সে যার সাথে দেখা করবে তার মোবাইলে কল দিতে হবে কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরণের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা,রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা।
এমন বলে যে রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।
৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকা আলি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইসারা, যে আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন, যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৫। গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট , মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।
৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।
৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থাকে ফেলে দেয়।
৮। লঞ্চ এ কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।
৯। যারা দ্রুত যাতায়াত এর জন্য স্পীড বোট এ যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।
১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।
এছাড়াও যাতায়াতের সময় এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন।
যদি কোন বিপদে পড়েই যান তবে দ্রুত জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
উচ্ছল ❤️
TOP 6 University in Bangladesh based on QS Top Universities World University Rankings 2025
QS ranking-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫৪তম অবস্থান অর্জন করেছে!
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Website
Address
Suhrawardi Uddan Road
Dhaka
P9JW+P6