Habib's Diet Info.

স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক বিভিন?

14/07/2022

KBrO3 - Potassium Bromate
KIO3- Potassium Iodate
© বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ - Bangladesh Food Safety Authority

10/07/2022

আসসালামু আলাইকুম।
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
ঈদ মোবারক।

👉যতটুকু সম্ভব হয় মাংস থেকে চর্বি আলাদা করে রান্না করুন। কারণ, এতে করে তরকারিতে অতিরিক্ত ফ্যাটের উপস্থিতিতে টোটাল ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। যদি কিছু চর্বি রাখতেই হয়(ট্যাস্টের জন্য), তাহলে রান্নায় ভোজ্য তেলের পরিমান কমিয়ে দিতে হবে।

👉ঝোল না খেয়ে বা কম খেয়ে মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ ঝোলে সমস্ত তেল, মসলা, লবণ জমা হয়। যাদের সোডিয়ামের প্রবলেম আছে(কিডনি সমস্যা), তাদের জন্য বিপদজনক হবে।

👉মাংস খাওয়ার পর সফট ড্রিংকস খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে করে ক্যালরি আবারো বেড়ে যাবে। হজমের জন্য তরকারির সাথে লেবু খেতে পারেন, শসা খেতে পারেন, বা খাওয়ার পর দই খেতে পারেন। এতে করে আপনি প্রোবায়োটিক, ফাইবার, এন্টিএক্সিডেন্ট ইত্যাদি পাবেন।

উপরোক্ত তিনটি নিয়ম মেনে মাংস খেলে আশা করি যাদের কোনো সিরিয়াস সমস্যা নেই (যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, ওবিসিটি, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি), তারা আরামসে এই কোরবানির ঈদে মাংস খেতে পারবেন।

© Habib's Diet Info.

Photos from Habib's Diet Info.'s post 10/07/2022
14/04/2022

সবাইকে বাংলা নববর্ষ- ১৪২৯ এর শুভেচ্ছা।

12/04/2022

সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, মোবাইলে BMI Calculator জাতীয় মান্ধাতার আমলের ইন্ডিকেটর নিয়ে মাতামাতি না করে বাসায় মিজারমেন্ট টেপ ও ফ্যাট মিজারিং ক্যালিপার রাখুন।

ছেলেরা শোল্ডার-চেস্ট-ওয়েস্ট-হিপ
মেয়েরা চেস্ট-ওয়েস্ট-হিপ-থাই

এই মিজারমেন্টগুলি রেগুলার চেক করুন।
পাশাপাশি, নিজের বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজ চেকে রাখুন।

BMI একটা মান্ধাতা আমলের বাতিল কনসেপ্ট যার বাংলাদেশের কনটেক্সটে কোন মেনশনেবল ভ্যালু নাই। বাংলাদেশে হিউজলি ওভারওয়েট মানুষ খুব বেশি পাওয়া যায় না।

কিন্তু বাংলাদেশে মডারেট ওয়েটের মানুষদের হার্ট এটাক, স্ট্রোক হবার ঘটনা অহরহ। কারন ভিসেরাল ফ্যাট, পুওর মাসল মাস এবং বাজে লাইফস্টাইল।

এজন্য, নিয়মিত আপনার শরীরের খবর নিন।

ছেলেদের কোমরের মাপ উচ্চতার তুলনায় ৫০% এর বেশি হলে দ্রুত ডায়েট ও লাইফস্টাইল চেঞ্জ করুন।

মেয়েদের কোমরের মাপ উচ্চতার তুলনায় ৪০% এর বেশি হলে দ্রুত ডায়েট ও লাইফস্টাইল চেঞ্জ করুন। ছেলেদের বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজ ২২% এবং মেয়েদের ২৮% পার হওয়ার আগেই ডায়েট ও এক্সারসাইজ শুরু করে দিন।

আর ডায়েট মানে সারাদিন না খেয়ে থাকা, শুধু লেবু, শসা, গ্রীন টি-লেক্সাস বিস্কিট খাওয়া, সাদা ভাতের বদলে সেই একই রাবিশ আটার রুটি বা ফ্রুট জুস খাওয়া, এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেন।

হেলদি ইটিং মানে প্রচুর সবুজ শাকসবজি, এস্পেশালি শাক।
যথেষ্ট পরিমান প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাট, লিমিটেড পরিমান কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। যথেষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল এবং প্রচুর ভিটামিন সি ও ডি।
হেলদি ইটিং মানে প্যাকেটজাত খাবার বন্ধ, সুগার, সয়াবিন অয়েল বন্ধ।

হেলদি ইটিং মানে ফুড ইন্ডাস্ট্রি আর ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির মাথায় হাত, আর আপনার স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা।

© Sajal's Diet Falsafa

05/02/2022

✔Tuna Fish:
A tuna is a salt-water fish. They are elongated, robust, and streamlined fishes; they have a rounded body that tapers to a slender tail base and a forked or crescent-shaped tail. In colour, tunas are generally dark above and silvery below, often with an iridescent shine.

✔Smoking Process of Tuna Fish:
• Selection of Raw Fish: Quality of raw fish has the significant influence on the quality of smoked product. That is why freshly caught and well nourished fish should be used for the smoking process.

• Splitting and Gutting: Splitting and gutting of tuna should be ensured then thoroughly.

• Cutting into proper size: Then the large size tuna fish should be cut into chunks or steaks of 1.5 inches thick. The chunks or steaks should not be cut into too thin as because thinner cuts may be dried out.

• Washing and Cleaning: The pieces of tuna are washed with fresh water and the steaks should be cleaned properly.

• Salting or Brining: First of all, using correct amount of salt brine should be prepared. Usually two ways are followed for preparing brine-
1. 1.5 cups of salt to 1 gallon water- 12 hours in refrigerator
2. 4 cups of salt to 1 gallon cold water- 15 minutes
Then the steaks or chunks of tuna fish should be immersed in brine. During brining the temperature should not be higher than 40°F.

• Hanging: After brining the flesh of the fish will be moist. Surface proteins will dissolve in the brine yielding a sticky solution. For efficient smoking fish must be dry enough with no free water on the surface. Free water can cause condensation of the distillation products, particularly tar which leave dark brown colour in the product. During hanging the sticky solution dries on the surface and makes the skin glossy.

• Smoking process: There are three ways of smoking- Cold smoking, Hot smoking, Long smoking. In cold smoking, fish is not cooked. This method is generally used for salmon fish.

For smoking tuna fish hot smoking is more preferable. Several designs of kilns or smoking tunnels are available for hot smoking fish. The fuel (hardwoods) is burnt either directly inside the kiln on movable trolleys or external hearths located near the tunnel. The steaks of tuna fish should be charged into the tunnel in cages. The temperature in the chamber is maintained at or above 100°C. The steaks will be ready in about one hour. An indication that they are done will be found in the golden yellow colour of the skin.

Hot smoked fish are moist and juicy when properly finished. As a result of this hot smoked fish can be used for immediate consumption or to keep the fish for a maximum of 48 hours.

• Post-process handling: On removing from the kiln, the smoked fish is warm and is generally allowed to cool before grading and packing. If the smoked fish is packed while warm, moisture will condense and deposit inside the containers. This will create a situation conductive to premature mould growth. Smoked fish can also be frozen and cold stored which will minimize the chances of spoilage before consumption.

© https://unsplash.com

Photos from Habib's Diet Info.'s post 16/01/2022

Butter is a high milk fatty dairy based product. It contains.....
80.2% Fat
16.3% Moisture
2.5% Salt
1.0% Curd

মাখন একটি উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য।
এতে রয়েছে.....
80.2% ফ্যাট
16.3% আর্দ্রতা
2.5% লবণ
1.0% কার্ড

Photos from Habib's Diet Info.'s post 10/12/2021

প্রতি 100 গ্রামে চালে থাকে-------

এনার্জি 1,527 kJ (365 kcal)
কার্বোহাইড্রেট 79 গ্রাম
সুগার 0.12 গ্রাম
ফাইবার 1.3 গ্রাম
ফ্যাট 0.66 গ্রাম
প্রোটিন 7.12 গ্রাম
পানি 11.62 গ্রাম

Every 100 grams of uncooked rice contains -------

Energy 1,527 kJ (365 kcal)
79 grams of carbohydrates
Sugar 0.12 g
1.3 grams of fiber
0.66 grams of fat
7.12 grams of protein
11.62 grams of water

28/07/2021

"আপনার পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আপনার সন্তান হওয়া উচিত না।"

ছোটবেলায় মাকে দেখতাম, মাছের মাথাটা সবসময় আব্বার প্লেটে দিতে। খুব ছোটবেলা থেকেই বুঝতাম যে তিনি এই পরিবারের প্রথম শ্রেণীর মানুষ। তিনি যখন ঘুমাতেন, তখন আমরা উচ্চস্বরে কথা বলতাম না। তার সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে, তার সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলার সাহস কখনই তৈরি হয়নি।
আবার দাদা-দাদী যখন বেড়াতে আসতেন, তখন মাকে দেখতাম আব্বার কিছু কিছু সুবিধা কমিয়ে দিতে। এটুকু ধারণা মা পরিষ্কার তৈরি করেছিলেন যে, সিনিয়ররা জুনিয়রদের চেয়ে অধিক শ্রদ্ধাভাজন এবং অধিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন। বাসায় সার্বক্ষণিক মায়ের সাহায্যকারী মানুষ থাকলেও ১০ বছর বয়স থেকেই নিজের কাপড় নিজেই ধুয়েছি, খাওয়ার পর নিজের প্লেট ধুয়ে রেখেছি। (এখনো কারো বাসায় গেলে অভ্যাস বসত প্লেট ধুয়ে ফেলি!)

আমার মায়ের কড়া নিষেধ ছিল যে সেই সাহায্যকারীকে আমরা কেউ কোন কাজ করতে বলতে পারবো না। সে শুধু মায়ের কথা ও তার দেয়া কাজ করবে!! নিজের প্রতিটি কাজ নিজেকেই করতে হতো।

এখন অবস্থা পাল্টেছে। যে কোন বাবা-মাকেই যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কে? তারা নিঃসন্দেহে বলবে, তাদের সন্তান। তাদের সন্তান সোনার টুকরা, হীরার টুকরা, প্লাটিনামের টুকরা।

যদি প্রশ্ন করা হয়, কেন তারা এতটা গুরুত্বপূর্ণ, তারা এমন কি কাজ করেছে যে তারা এতটা গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সদুত্তর দিতে পারবে না। তারা কোন কারণ ছাড়াই, কোন যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই পরিবারের প্রথম শ্রেণীর সদস্য!! 😒

আমাদের সমস্যার জায়গা এখানেই। কোন অফিসে যদি এমডির পরিবর্তে জুনিয়র অফিসার বেশি গুরুত্ব পায়, তাহলে ঐ অফিসের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। যদি আর্মি জেনারেলের চেয়ে তার অধীনস্থ সৈন্যরা বেশি গুরুত্ব পায়। তাহলে ঐ আর্মি দিয়ে যুদ্ধ জয় সম্ভব না। আমাদের সন্তানরা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বুঝতে পারে, তারা পরিবারের প্রথম শ্রেণীর সদস্য, তাদের সুযোগ সুবিধা দেখার জন্যই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের বাবা-মাকে, যারা এই পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেণির সদস্য। এবং তাদের নানা-নানী, দাদা-দাদীরা তৃতীয় শ্রেণির সদস্য!!

সন্তান যখন দেখবে, সে কোন যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই এই পরিবারের প্রথম শ্রেণীর সদস্য, তখন সে এমনকি যোগ্যতা অর্জন করতেও চাইবে না। পরিবারে বাবা-মার অবস্থান সম্পর্কে, তাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হবে। দাদা-দাদীর সঙ্গে, নানা-নানীর সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয়, এগুলো শিখবে না। সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় শিখবে না, কারণ সে তো জন্মগতভাবে প্রথম শ্রেণীর সুবিধাভোগী ব্যক্তি।

এখন মাঝে মাঝেই শোনা যায়, সন্তান মা-বাবার সঙ্গে জেদ করছে, তাকে কেন দামী মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হচ্ছে না, দামী ল্যাপটপ কিনে দেওয়া হচ্ছে না,..............................।

তারা এরকম করবে এটাই স্বাভাবিক, কারণ তারা এটা জেনে বা দেখে বড় হচ্ছে যে - তাদের সুবিধা দেওয়াই তাদের বাবা-মার দায়িত্ব। তারা কিভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে এটা তাদের ব্যাপার। বাবা-মা এখন আর চায় না যে তাদের সন্তান একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হোক। বাবা-মা তাদের সন্তানদের তাদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে কখনই জানান না, সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে কখনো কিছু বলেন না। শুধু বলেন, বেটা/মা তোকে বিসিএস ক্যাডার হতে হবে, ডাক্তার হতে হবে, ইন্জিনিয়ার হতে হবে।

কতজন বাবা-মা আছে যে তাদের সন্তানদের বলে, বাবা/মা তোরা ভালো মানুষ হ?? সামাজিক দায়িত্ববোধ শূন্য, সামাজিক সম্পর্ক শূন্য এইসব ছেলেমেয়েরা সমাজকে, আমাদের সংস্কৃতিকে কিভাবে উপরে তুলবে?? এরা বরং যে কোন সময় সুবিধাজনক প্লাটফর্মে নিজেদেরকে শোষিত হতে দিতে অহংকার করবে। কোনটা লজ্জাবোধের বিষয়, কোনটা অহংকারের বিষয় - পার্থক্য তৈরি করতে পারবে না।

বাবা-মার প্রাথমিক দায়িত্ব সন্তানকে বিশাল চাকুরীজীবি বানানো না। বাবা-মার প্রাথমিক দায়িত্ব সন্তানকে একজন দায়িত্বশীল, বিবেকবান, সহানুভূতিশীল নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে জীবন দক্ষতা (life skill) শেখানো যেন নিজের কাজ নিজে করতে পারে!!"

কৃতজ্ঞতা: John Rosemond, Psychologist

07/07/2021

বাংলাদেশের মানুষ এখনো রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে আগ্রহী না, আগ্রহী হচ্ছে রোগ নিরাময়ে। কিন্তু পুরানো মেটাবলিক ডিজিজ প্রায়ই নিরাময় করা অত্যন্ত কঠিন, বারবার ফিরে আসতে চায়।

প্রি ডায়বেটিস ডায়বেটিসে না যাওয়া পর্যন্ত, এক স্তরবিশিষ্ট ভুড়ি তিন স্তরবিশিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত, আর্টারিয়াল ব্লকেজ ১০% থেকে ৪০% এ না যাওয়া বা দুই একখানা এনজিওপ্লাস্টি/বাইপাস না করা পর্যন্ত, অথবা কিডনির ইজিএফআর কমে তলানিতে না যাওয়া পর্যন্ত, সিস্ট ৫-৬ সেন্টিমিটার সাইজে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের বোধদয় হয় না যে মেডিসিনে সব সমস্যার সমাধান নেই।

এর প্রধান কারন, খাবার আর লাইফস্টাইল দিয়ে আসলে কি করা সম্ভব তা বাংলাদেশে এখনো অত্যন্ত অল্পসংখ্যক মানুষই জানেন।

অথচ, প্রয়োজন অসুস্থ হওয়ার আগে শরীরটাকে ঠিকভাবে তৈরি করার।

ছেলেদের ১৬-২১ বছর বয়স এবং মেয়েদের ১৩-১৯ বছর বয়স হচ্ছে শরীরকে তৈরি করার আদর্শ সময়। এই সময়ে কি করবেন তার ওপরে অনেকাংশে নির্ভর করে বাকি জীবনটা কেমন যাবে।

আরেক সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের ছেলেরা চাকরিজীবনে ঢোকার পর এবং মেয়েরা বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পর মনে করেন তারা বুড়ো হয়ে গেছেন, জীবনে আর কিছুর দরকার নাই।

আরে ভাই, শরীর ঠিক না থাকলে সন্তান লালন পালন কি আপনারটা আরেকজন এসে করে দিয়ে যাবে??

আমরা অনেক এবনরমালকে নরমাল বানিয়ে নরমালকে এবনরমাল ধরে নিয়েছি।

৩৫ বছর বয়স হলে আর বাচ্চা হবে না সেটাকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছি, অথচ অপটিমাম ফিটনেসে থাকলে ৪৫ বছরেও বাচ্চা হয়।
আমরা ৪০ বছর বয়স হলে ডায়বেটিস, হাই প্রেসার থাকবে, ৫০-৫৫ হলে হার্টে দুচারটা নাড়াচাড়া হবে, এগুলোকে আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছি।

অথচ অস্বাস্থ্যকর কার্বস, সুগার আর রিফাইন্ড অয়েল ঝেড়ে ফেলে ফিজিক্যালি এক্টিভ থাকলে এমনটা হওয়াটাই বরঞ্চ অস্বাভাবিক।

আমরা ধরে নিয়েছি বয়স ৪০ হলে হাড়ক্ষয় কোমর ব্যথা হবেই। অথচ, ১৫-২৫ বছর বয়সে নিজের ফিটনেসকে সঠিক জায়গায় নিয়ে এলে, বাচ্চা একটার জায়গায় পাচটা হলেও কোমর ব্যথা হওয়ার কথা না, বয়স ৪০ না, ৬০ হলেও কোমর ব্যথা হওয়ার কথা না।

কিন্তু কে শোনে কার কথা??
আমরা সঙ্গী করে নিয়েছি অস্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশ আর জীবনযাত্রাকে, সঙ্গী করে নিয়েছি মানসিক চাপ আর প্রচুর ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতাকে।

আমাদের তো এমনটা করার কথা ছিল না!!
© Sajal's Diet Falsafa

Photos from Habib's Diet Info.'s post 06/07/2021

চিনি বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের দেহে বাসা বাধঁতে পারে বিভিন্ন রোগব্যাধি। অতিরিক্ত চিনি কনজিউম করার কুফল নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১। চিনি হৃদরোগের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।
২। চিনি স্থুলতা এবং ডায়াবেটিসে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
৩। ১৫ বছর ধরে চলা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা তাদের মোট গৃহীত ক্যালোরির ১৭-২১% ক্যালোরি চিনি থেকে গ্রহণ করেছিলো, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার সম্ভাবনা অন্যদের থেকে ৩৮% বেশি।
৪। মূলত আমাদের লিভার চিনি বিপাকে সাহায্য করে এবং এটাকে ডায়েটারি কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাটে কনভার্ট করে (অনেকটা অ্যালকোহলের মতো)।
৫। এই ফ্যাট পরবর্তীতে ফ্যাটি লিভার ডিজিসের সৃষ্টি করে।
৬। আর ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ফলেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
৭। আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
৮। তাছাড়া অতিরিক্ত চিনি উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure) এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের (chronic inflammation) কারণ। উচ্চ রক্তচাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের ফলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।।

অনেকতো চিনির কুফল শুনলাম। কিন্তু আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে চিনি ছাড়া চলা তো অসম্ভব। সেক্ষেত্রে সমাধান কি?
উত্তর হলো যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং যারা স্থুলকায় তাদের সাদা চিনি অবশ্যই অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আর যারা সুস্থ সবল তাদেরকে সাদা চিনি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হতে পারে লাল চিনি (brown sugar), মধু, corn syrup, fruit juice concentrate, malt sugar, molasses ইত্যাদি।
© Habib's Diet Info.

07/06/2021

সুস্থতা ও লিভার কথনঃ

স্বাভাবিকভাবে আমরা প্রায়ই একটা কথা বলি যে, অসুস্থ হলেই বুঝা যায় সুস্থতা আল্লাহর কত বড় নিয়ামত, তাই অসুস্থ হওয়ার আগেই তার কদর করা উচিত। দেহের যেকোন একটি অঙ্গে সামান্য সমস্যা দেখা দিলেই আমরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে অস্বস্থি বা বিরক্তি অনুভব করি। আর সেটা যদি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন অরগান হয় তাহলে সেটা আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক। তাই আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং সাবধানতা সর্বদা নিশ্চিত করা উচিত। সঠিক খাদ্য এবং পুষ্টি সচেতনতা আমাদেরকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখে এবং সুস্থ জীবনযাপনে এগিয়ে রাখে। দেহের প্রতিটি অঙ্গের সঠিক এবং স্বাভাবিক কার্যকলাপ আমাদের সার্বিক সুস্থতার মানদন্ড। তাই খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবার বিকল্প নেই।

যাইহোক, আমাদের উদর গহবরের উপরিভাবে ডানদিকে অবস্থিত প্রায় লালচে রঙ্গের যকৃত বা লিভার আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ হচ্ছে লিভার, অর্থাৎ ত্বক এর পর এর অবস্থান। শরীরের বিপাকীয় কার্যাবলির প্রায় পুরোটাই লিভার সম্পন্ন করে। আমাদের শরীরের প্রায় ২০০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিভার সম্পন্ন করে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
-লিভার মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সাপ্লাই করে এবং অতিরিক্ত পুষ্টি সঞ্চয় করে রাখে যার ফলে তাৎক্ষণিক শরীরের শক্তির চাহিদা মেটায়।
-লিভার পিত্ত উৎপন্ন করে এবং এই পিত্ত আমাদের পরিপাকে সাহায্য করে।
-শরীরের বিষাক্ত রাসায়নিক গুলোকে শরীর থেকে বের করে, যার ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে এবং রক্ত উৎপন্ন করে পুরো শরীরে সরবরাহ করে।
-তাছাড়া লিভার আমাদের শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

লিভারের এতো এতো ফাংশন তখনই সফল ভাবে সম্পন্ন হতে থাকে, যখন লিভার সার্বিকভাবে সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকে। এর জন্য আমাদেরকে এর যত্ন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পুষ্টি নিশ্চিত করা একান্ত জরুরী। তা না হলে লিভারের কর্মক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
যাদের লিভারে সমস্যা তাদের সাধারণত সারা বছর পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। গবেষকদের মতে, লিভারের রোগকে "নিরব ঘাতক" বলা হয়। কারণ লিভারের যেকোন রোগ সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। রোগ বেড়ে গেলে লক্ষণ প্রকাশ পায়। তখন আর কিছু করার থাকে না অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু লিভারের সব ধরনের সমস্যাই প্রতিরোধযোগ্য। প্রথমত, লিভারে সচরাচর কি রকম সমস্যা হতে পারে সেটা জানতে হবে।
**লিভারের স্বল্পমেয়াদী রোগ হচ্ছে হেপাটাইটিস, যা আমরা জন্ডিস হিসেবে জানি। এটা মূলত হেপাটাইটিস রোগ, এর বাহ্যিক লক্ষণ হচ্ছে জন্ডিস। এক্ষেত্রে লিভার দুর্বল হয়ে যায় এবং কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন, হালকা জ্বর জ্বর লাগে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা হয়, পেটে ব্যাথা, বমিবমি ভাব সাথে বমিও হতে পারে এবং খাবারে অরুচি দেখা দেয়। আর উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হচ্ছে চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া। এটি মূলত রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি পদার্থ বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। তখন আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জে রোগীকে হলুদ, মসলা ছাড়া তরকারি খেতে দেয়া হয়। কিন্তু এটা ভ্রান্তধারণা। আসলে চোখের হলুদের সাথে তরকারির হলুদের কোন সম্পর্ক নেই। ওই অবস্থায় একজন মানুষ স্বাভাবিক খাবারই খেতে পারে না, সেক্ষত্রে মসলাহীন সাদা তরকারী খাওয়া রীতিমতো কষ্টসাধ্য। তাই এই অবস্থায় রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। সেটাও যদি না পারে তাহলে তুলনামূলক নরম এবং সহজপাচ্য খাবার দিতে হবে।

** লিভার রোগের মধ্যে রয়েছে
হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-ই, হেপাটাইটিস -ডি হেপাটাইটিস -বি এবং হেপাটাইটিস-সি।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা যা বর্তমানে বেশি হারে দেখা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে ফ্যাটি লিভার। এটি মূলত মেদবহুল শরীর এবং খাবার-দাবারের অভ্যাসের কারণে হয়।

#প্রথমত, হেপাটাইটিস এ,ই হচ্ছে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। সেজন্য আমাদেরকে ফুটানো পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় শুধুমাত্র ফিল্টার করা পানিও নিরাপদ নয়। কারণ ফিল্টার শুধু ব্যাকটেরিয়াকে ফিল্টার করতে পারে কিন্তু অনেক ভাইরাস বা অন্যান্য ক্ষুদ্র অনুজীব ফিল্টার করতে পারে না। তাছাড়া গরম খাবার খেতে হবে। যত্রতত্র বাহিরের ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

# হেপাটাইটিস-বি এবং হেপাটাইটিস-সি খুবই মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।হেপাটাইটিস বি একটি সংক্রামক রোগ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি দেখা দেয় যা যকৃতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। রক্ত, বীর্য অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। বড়দের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ ভালো হয়ে গেলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই জন্মের পর সময়মত বাচ্চাদের হেপাটাইটিস-বি ভেক্সিন নিতে হবে। রক্ত দানের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে। রক্ত দানের পূর্বে এইচবিএসএজি স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। ব্যবহৃত সিরিঞ্জ পুনঃব্যবহার করা যাবে না। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি স্টেরিলাইজড করে নিতে হবে। তাছাড়া হেপাটাইটিস-বি রক্তজাত ওষুধ, সুচ, রোগীর ব্যবহৃত ক্ষুর, রেজর, ব্লেড, ব্রাশ ইত্যাদি থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
বর্তমানে হেপাটাইটিস-বি এর বিস্তার এতোই লক্ষণীয় যে, ধরা হয় বাংলাদেশে প্রতি দশ জনে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়। হেপাটাইটিস-বি মারাত্নক আকার ধারণ করলে লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ভ্যাক্সিন গ্রহণের মাধ্যমে এটি সফলভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী এই টিকা দিতে হবে- ০,১,৬,১২ মাসে।
অন্যদিকে হেপাটাইটিস সি এক প্রকারের সংক্রমণ যা প্রধানত যকৃৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (এইচসিভি) এই রোগ সৃষ্টি করে। হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত ব্যক্তির সচরাচর কোন উপসর্গ (স্বাস্থ্য সমস্যা বা তার রোগ আছে এমন কোন লক্ষণ) থাকে না। তবে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যকৃতে ক্ষত এবং বেশ কয়েক বছর পর সিরোসিস সৃষ্টি করে।
কোন কোন ক্ষেত্রে সিরোসিস আক্রান্ত ব্যক্তির যকৃৎ অকার্যকর, যকৃতের ক্যান্সার, বা খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর শিরা স্ফীত হতে পারে, যার ফলে রক্তক্ষরণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসাধীন ৫০-৮০% লোকের রোগ নিরাময় হয়। সিরোসিস ও যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্তদের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে, তবে প্রতিস্থাপনের পর সাধারণত ভাইরাসটির পুনরাবির্ভাব ঘটে। হেপাটাইসিস সি-এর কোন টিকা নাই। তাই এর ভয়াবহতাও অনেক।

# ফ্যাটি লিভার সাধারণত যারা মেদবহুল এবং খাবার-দাবার এ কুঅভ্যাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে লিভারের অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় এবং এক সময় প্রদাহ হয়ে যায়। পরবর্তীতে লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লিভারের স্বাভাবিক ওজনের ৫-১০% বেশি হলে তখনই ফ্যাটি লিভার এর আশংকা দেখা দেয়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপোথায়রয়ডিজম, হরমোনজনিত জটিলতার কারণেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। সাধারণত মহিলাদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবনেও এটি হতে পারে।
-বিশেষভাবে আমাদেরকে মোটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। সেজন্য নিয়মিত ব্যায়াম অর্থাৎ শরীরের ঘাম ঝরানোর অভ্যাস করতে হবে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও ফ্যাটিফুড গ্রহণ ফ্যাটিলিভারের আশংকা বাড়িয়ে দেয়। তাই সুষম খাবারের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট কম রাখা এবং ওয়েলি ফুড পরিহার করা উচিত। তবে ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড, মনো-আনসেচুরেইটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। বেশিবেশি শাকসবজি, ফলমূল অর্থাৎ আঁশযুক্ত খাবার মেনুতে রাখতে হবে।
- দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। খেয়েই সাথে সাথে ঘুমানো উচিত নয়। খেয়েই ঘুমালে আমরা খাবার যা খাই তা সাথে সাথে লিভারে গিয়ে চর্বিতে পরিণত হয়।
# # লিভারের রোগের জন্য আমাদের দৈনন্দিন আরও কিছু অভ্যাস দায়ী-
° দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে দেরি করে ওঠা এবং সকালবেলা প্রস্রাব না করা।
° সকালের নাশতা না করা।
° অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং চর্বিযুক্ত খাবারের অভ্যাস।
° এলকোহল জাতীয় পানীয় বা খাবার গ্রহণ করা।
অর্থাৎ অবহেলাবশত দৈনন্দিন সকল কুঅভ্যাস থেকে মুক্ত থাকা আমাদেরকে অনেক দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাচিয়ে রাখতে পারে।

লিভার সুস্থ রাখার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত কিছু নির্দেশনা-
১. সবুজ শাকসবজি আমাদের জন্য খুবই সহজলভ্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। এটি আমাদের লিভার পরিষ্কার এবং সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে উচ্চমাত্রায় ক্লোরোফিল থাকার কারণে এটি রক্তপ্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়। তাই বেশি বেশি মৌসুমি শাকসবজি খাবারমেনুতে রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
২. লেবু তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকে যা লিভারে বেশি করে এনজাইম তৈরি করে এবং এটি হজমশক্তির জন্য খুবই উপযোগী। লেবুর এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান লিভার পরিষ্কার রাখে এবং লেবু তে থাকা মিনারেলস লিভারের নানা পুষ্টি উপাদান শোষন করে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া প্রচুর ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আমলকী লিভারের সুস্থতার জন্য খুবই উপকারী।
৩. রসুনে থাকা এনজাইম লিভারে বিষাক্ত পদার্থ দূরে। তাই খাবারের তালিকায় রসুন রাখা প্রয়োজন।
৪. লিভারের সুস্থতায় মৌসুমি ফল খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে।
এর মধ্যে নিয়মিত একটি আপেল রাখা উচিত। আপেলে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে যা পরিপাকতন্ত্র তথা লিভারকে টক্সিনমুক্ত করে। তাছাড়া লিভারে থাকা ম্যালিক এসিড রক্ত হতে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে।
৫. তাছাড়া নিয়মিত গ্রীন টি বা কফি খেলেও লিভারের জন্য ভালো। গ্রীন-টি তে শরীরের জন্য উপকারী এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
সর্বপুরি অনেক অনেক কার্যক্ষমতা সম্পন্ন অর্গান লিভার বা যকৃতের সুস্থতার জন্য আমাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সতর্কতা অবলম্বনের কোন বিকল্প নেই। লিভারের জটিলতা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যা আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।

-দেলোয়ার হোসেন দিলু
বি এস সি (অনার্স) ইন খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান।

28/05/2021

সবাইকে বিশ্ব পুষ্টি দিবসের শুভেচ্ছা।

28/04/2021

#করোনা_ভাইরাস
#সতর্ক_হোন
শয়তান একবার হযরত ঈসা (আঃ)-কে বললো ,"তুমি এই পাহাড় থেকে লাফ দাও, যদি তোমার সৃষ্টিকর্তা সত্য হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন"। তখন হযরর ঈসা (আঃ) শয়তানকে বললেন, "আমার প্রভু সবার পরীক্ষা নেন, আমি কখনোই আমার প্রভুর পরীক্ষা নিতে যাবো না"। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা উল্টো প্রভুর পরীক্ষা নেই । "প্রভুর উপর ভরসা রাখলে বা প্রভুর নাম নিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হব না" এই ডায়লগ দিয়ে অসাবধানতা অবলম্বন করি, চায়ের দোকানে আড্ডাবাজি করি আর ডায়লগ মারি "আল্লাহ ভরসা" কিন্তু নিজেকে ঈমানদার প্রমাণের নামে আসলে সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিচ্ছি আমরা। সাবধান হোন।সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিতে যাবেন না। এটা আপনার আমার ভিতরে থাকা শয়তানের প্ররোচনা। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে বিবেক দিয়েছে। সেই বিবেক আপনাকে বলছে যে, আগুনে ঝাঁপ দিলে মারা যাবেন। কিন্তু আমি যদি বলি, আমি সাচ্চা বান্দা, তাই সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাচাঁবেন, অতএব আমি আগুনে ঝাঁপ দিলেও আমার কিছু হবে না। তাহলে প্রকৃত পক্ষে আপনি ইবলিশের দোসর। কারন , আপনি সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তা এ ক্ষেত্রে আপনাকে রক্ষা তো করবেনই না, বরং আত্মহত্যার দায়ে আপনাকে শাস্তি দিবেন।
হযরত নুহ (عليه السلام) কে বন্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়, যার জন্য তিনি জাহাজ তৈরি করেছিলেন। জাহাজ তৈরি ছাড়াই তো সৃষ্টিকর্তা তাকে রক্ষা করতে পারতেন। করেছেন কি?
হযরত ইউসুফ (عليه السلام) কে খরা ও খাদ্য সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। সতর্ক করার প্রয়োজন ছিল কি? সতর্ক করা ছাড়াই হজরত ইউসুফ কে নিরাপত্তা দিতে পারতেন।
হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه و آله وصحبه وسلم) কে তাঁর জীবন নাশের প্রয়াস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল এবং তিনি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন। সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা করলেই তাকে হিজরত করতে নিষেধ করতে পারতেন। অতএব,আপনাকে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা নিতে যাইয়েন না, বরং নিজে সতর্ক হোন ।'
(Collected)

21/04/2021

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা অনেক সচেতন তবে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে তেমন গুরত্ব দেই না। এই গরমে অনেকেরই রক্তচাপ লো হয়ে যায়। ঘেমে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হচ্ছে নিম্ন রক্তচাপের কারণে। মানবদেহে রক্তচাপের একটা স্বাভাবিক মাত্রা আছে। সাধারণত একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১২০/৮০। এর উপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ আর নিম্ন রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। প্রেশার বৃদ্ধি বা হ্রাস দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ এর আশেপাশে থাকে তা হলে একে লো প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। অনেকই লো প্রেশার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই লো প্রেশার তেমন ক্ষতির কারণ হয় না। তবে লো প্রেশার যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তবে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠে।

চলুন দেখেন নিই কোন খাবারে নিম্ন রক্তচাপ দূর হবে।
১। খাবার স্যালাইন
২। গ্লুকোজ
৩। লবণ
৪। ডিম
৫। দুধ
৬। ফ্যাটযুক্ত মাছ
৭। চা কফি
৮। মধু
৯। বাদাম
১০। পুদিনা

#নিম্ন_রক্তচাপ
#প্রতিকার

Want your business to be the top-listed Health & Beauty Business in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Other Nutritionists in Dhaka (show all)
Puchki Puchki
Dhaka

Sajal's Diet Falsafa Sajal's Diet Falsafa
(Tuesday), Bangladesh Center For Rehabilitation , 234/C (1st Floor), Shonargaon Road, Katabon, Opposite Of The Katabon Bus Stoppage , , (Saturday), Banani Clinic (Specialized Hospital), Block-C, House
Dhaka, 1205

খাবারকে ভয় পেয়ে নয়, সুস্থ থাকুন খাবারকে ভালোবেসে!!

Khanum Ummed Nahar Homaira Khanum Ummed Nahar Homaira
Dhaka, DHAKA-1219

Khanum Ummed Nahar Homaira. BS.c(Hon’s), MSc(Food & Nutrition). MPH (Public Health Nutrition).

Natural Hammer Natural Hammer
Dhaka, 1207

Bodybuilder and Fitness Trainer. Get workout routines and Diet plans. Feel free to contact.

Mohammad Niamul Wakil Mohammad Niamul Wakil
Dhaka, 1205

_Health || Nutrition || Lifestyle_

Nutriful Life with Jinnatun Nahar Nutriful Life with Jinnatun Nahar
Dhaka

Who doesn't want a healthy life? And I will empower you with the insights of reliable health advise

Dr.Shebendra Karmakar PhD USA Dr.Shebendra Karmakar PhD USA
Dhaka, 1217

Article on Stem Cell Nutrition uploads for nursing course at Harvard University,USA.

BRB Dietetics & Nutrition Center BRB Dietetics & Nutrition Center
77/A, Panthapath
Dhaka, 1215

Nutritionist and Dietician, Diet And Nutrition of Food, Disease wise food.

Nutrition Valley Nutrition Valley
Bhuapur Tangail
Dhaka

অনলাইনে অফলাইনে সবার আগে সবখানে! #Nutrition-Valley 🍎

Nutrietive - A Tale of Nutrition Nutrietive - A Tale of Nutrition
Dhaka

ALL ABOUT NUTRITION

Nutritionist Asiki Nisu Nutritionist Asiki Nisu
Dhaka

Nutritionist | Dietitian Eat Healthy, Live Healthy 🥗

Your Nutritionist Your Nutritionist
Dhaka

Diets & Daily Diary #food #nutrition #nutritionist #diet #dietplan #dietiti