Paranormal Ghost Hunter
We investigate haunted places that are known to people as abandoned place. Stay with us and enjoy horror experience in reality show.
We try to explore the real things and capture on live video all of the activities of unseen creatures. Join our Facebook Group: https://www.facebook.com/groups/916359562435275
Join our YouTube Channel: https://www.youtube.com/channel/UCDqTNptVvco1hVrQT1QO89A
#কারিন_জ্বীন
খলিফা আল-মাহদী'র (৭৭৫-৭৮৫ ইং) দরবারে এসে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে নবী দাবি করলো। তার কাছে নাকি ওহী আসে! তখন লোকটির কাছে এর প্রমাণ চাওয়া হলো। সে বললো, আমি বলে দিতে পারবো তোমাদের কার হাতে কী আছে। অর্থাৎ তোমরা সবাই হাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু জিনিস রাখো। একটু পর এসে আমি বলে দিব তোমাদের হাতে কী আছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে আমার কাছে ওহী আসে। কেননা ওহী ছাড়া এমন খবর জানা সম্ভব নয়।
দরবারে উপস্থিত লোকেরা তাই করলো। একটু পর লোকটি এসে বলে দিলো কার হাতে কী আছে এবং কতো পরিমাণ আছে। সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলো। এমন সময় দরবারে একজন আলিম এলেন। তিনি বললেন, এই লোকটি মিথ্যাবাদী।
তিনি আরো বললেন, এই লোকটি একজন যাদুকর। সবাই বললো, আপনি কীভাবে বুঝলেন?
তখন আলিম বললেন, আমি তোমাদের সামনে হাতে কলমে প্রমাণ দিচ্ছি। যদি এই লোক বলতে পারে আমার হাতে কী আছে, তাহলে আমিও মেনে নেব সে একজন সত্যিকারের নবী!
এরপর তিনি লোকটিকে দরবারের বাইরে যেতে বললেন। এদিকে ঐ আলিম কিছু সংখ্যক দিরহাম নিয়ে তার হাতে রাখলেন। কিছুক্ষণ পর লোকটি দরবারে ফিরে এলো। আলিম বললেন, এবার বলো আমার কাছে কী আছে?
লোকটি প্রশ্ন শুনে কয়েক মুহুর্তের জন্য মাথা নিচু করে রইলো। এরপর মাথা তুলে বললো, তিরিশ!
এবার আলিম তার হাত খুলে সবাইকে দেখালেন।
লোকেরা দেখলো সেখানে একশ'র বেশী দিরহাম আছে। সবাই জানতে চাইলো, এই মিথ্যাবাদী লোকটি একটু আগে কিভাবে বলে দিচ্ছিল?
সেই আলিম জবাব দিলেন, যখন তোমরা মুদ্রা গণনা করেছো, তখন তোমাদের সাথে থাকা কারিন জিনও গণনা করেছে। এরপর কারিন জ্বীন ঐ মিথ্যাবাদী লোকটির কারিন দ্বীনের কাছে গিয়ে এই খবর জানিয়ে দিয়েছে।
এজন্য ঐ আলিম নিজে গণনা না করেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুদ্রা নিজের কাছে রেখেছিলেন। ফলে ঐ আলিমের সাথে থাকা কারিন জ্বীন সেগুলো গণনা করাতে পারেনি। তাই দরবারে আসা লোকটিও জানতে পারেনি ঐ আলিমের হাতে কতোগুলো মুদ্রা আছে।
এরপর মিথ্যাবাদী লোকটিকে গ্রেফতার করা হলো এবং তাকে প্রহার করা হলো। তখন লোকটি স্বীকার করলো সে ছিল একজন ভণ্ড ও যাদুকর।
পাঠক! প্রত্যেক মানুষের সাথে একজন জিন নিযুক্ত থাকে। তার নাম কারিন। এই কারিন জ্বীন অন্য জ্বীনের কাছে গিয়ে আপনার ব্যাপারে সমস্ত তথ্য জানিয়ে দিতে পারে। যেমন- জ্যোতিষী, গণক কিংবা যাদুকরের সাথে থাকা দ্বীনের কাছে গিয়ে তারা আপনার ব্যাপারে তথ্য জানিয়ে দেয়। তখন মনে হয় যেন ঐ লোক গায়েব জানে!
আজকাল আরেকটি বিষয়ের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। এর নাম 'মিডিয়ামশিপ' (আল-ওয়াসাত) বা মধ্যস্থতা। এরা দাবি করে তারা বিভিন্ন আত্মার সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারে। এগুলো মিথ্যাচার ও যাদুটোনা। যদি কেউ বলে কিন্তু আমি তো আমার মৃত পিতার কণ্ঠ শুনলাম! তখন এর সঠিক উত্তর হচ্ছে, নাহ! আপনি আপনার পিতার সাথে থাকা কারিন জ্বীনের কণ্ঠ শুনেছেন!
একজন মানুষের মৃত্যু হলেও তার সাথে থাকা কারিন জ্বীনের মৃত্যু নাও হতে পারে। সে আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি আপনার মৃত পিতার সাথে থাকা কারিন জ্বীন আশেপাশে থাকে, তাহলে সে আপনার পিতার কণ্ঠ নকল করে কথা বলতে পারে। যেভাবে কোন জীবিত ব্যক্তির উপরে ভর করা জ্বীনও ঐ ব্যক্তির কন্ঠ ব্যবহার করে কথা বলতে পারে। তখন আক্রান্ত ব্যক্তির কণ্ঠ থেকে জ্বীনের কণ্ঠ পৃথক করার কোনো সুযোগ থাকে না। ভণ্ড ওঝা বা যাদুকরের সাথে যোগাযোগ করে কারিন জ্বীন আপনার মৃত পিতার ব্যাপারে এমন সব তথ্য জানিয়ে দিতে পারে যা ঐ জ্বীন জানে। কারণ সে ছিল আপনার পিতার সহচর। এই ঘটনাকেই অজ্ঞ লোকেরা মনে করে, এসব ওঝারা মৃত আত্মার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম! কিন্তু এটা অসম্ভব। কারণ কুরআন ও সুন্নাহর দলিলের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত, কোন মৃত ব্যক্তির আত্মা দুনিয়াতে ফিরে আসতে পারে না।
বই : হালাল হরর স্টোরিজ পৃ.৬৫-৬৬
সংকলন, অনুবাদ : সিফাত-ঈ-মুহাম্মদ
প্রকাশনায় : Bookmark Publication
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০টাকা
পৃ. ২৩৮টি
--courtesy: Muhammad ashraful
❤❤Happy New Year 2022 ❤❤
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “আত-তামায়িমু শিরকুন” - তাবিজ হচ্ছে শিরক।
এটা আল্লাহর নবীর কথা (হাদীস), কোনো আলেমের ফতোয়া না! ফতোয়া হলে ভাবতেন মানুষের মত, ভুল-ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু এটি কার কথা? নবী (সাঃ) এর কথা।
আচ্ছা কেউ যদি বলে, তাবিজ যার মধ্যে শিরক থাকবে সেটা শিরক, আর যেটা কুরানের দুয়া দিয়ে করা, কুরানের সুরা বা নবীর হাদীসের দুয়া দিয়ে করা, সেগুলোতে কোনো সমস্যা নেই। এটি কি আদৌ সঠিক?
একদম না। দেখুন, নবী (সাঃ) এগুলোর মাঝে কোনো পার্থক্য করেননি, যদি পার্থক্য করতেন তাহলে তিনি অবশ্যই বলে দিতেন, দেখো তোমরা কুরআন হাদীসের দুয়া দিয়ে তাবিজ করিও কোনো অসুবিধা নেই কিংবা বলে দিতেন, শিরকি কথা দিয়ে বা বুঝা যায়না এমন কথা বার্তা দিয়ে তাবিজ করিওনা।
এভাবে তিনি ভেঙ্গে দুইটাকে আলাদা করে বলতেন, কারণ তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে শরীয়ত স্পষ্ট করে মানুষের কাছে পোঁছে দেওয়ার জন্যই এসেছিলেন। কিন্তু তিনি এইরকম কোনো পার্থক্য করেন নি, সব তাবিজকেই শিরক বলেছেন। সুতরাং, তাবিজ তা যেকোনো রকমেরই হোকনা কেনো, আল্লাহর নবী বলেছেন - তাবিজ হচ্ছে শিরক সুতরাং শিরক।
আর বর্তমান সমাজে প্রচলিত যেই সকল কিতাবাদীতে চুরি ঠেকানো, ধন-সম্পদ বৃদ্ধি, রোগ বালাই থেকে মুক্তির জন্য যে সকল বইয়ে বিভিন্ন তদবীর পাওয়া যায় তার সবটাই শ্রেফ শিরক এবং শিরক..
ধর্মের নামে এভাবেই অধর্ম করে যাচ্ছে সমাজের তথাকথিত কিছু বড় হুজুরেরা....
জারজ সন্তান চেনার উপায়!
ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) সহ কয়েকজন ফিকাহবিদ মাঠে বসে ফিকহী আলোচনা করছেন। পাশেই কয়েকটা ছেলে বল খেলতেছিল।
ঘটনাক্রমেঃ খেলার বলটি ইমাম আবূ হানীফাদের মধ্যখানে এসে পড়ল। ছেলেগুলো কিংকর্তব্যবিমূঢ়! এটা তো চরম বেয়াদবী!
বলটি কে আনবে? কীভাবে আনবে? উনারা কী বলবে? এই ভেবে কাঁচুমাচু!
হঠাৎ একটি ছেলে লুঙ্গী উল্টিয়ে অহংকার ও উদ্যত ভাব প্রদর্শন করে বলটি নিয়ে আসল। অর্থাৎ সে এমনটি করে বুঝাতে চেয়েছে, মোল্লারা আর কী করবে? এদের সাথে বেয়াদবি করলেই বা আর কী!
তখন ইমাম আবূ হানীফা (র) বললেন...এই সন্তানটি জারজ। এবং জোর দিয়েই বলছেন, তোমরা খোঁজ নিয়ে দেখো। সাথীরা আশ্চর্য! খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, সত্যি সত্যিই ছেলেটি জারজ।
এবার সাথীরা প্রশ্ন করলেন হুজুর আপনি যা বলছেন তা সত্য, কিন্তু এত জোর দিয়ে বিষয়টি বললেন কীভাবে? আবূ হানীফার উত্তর- জারজ ছাড়া ওরাসাতুল আম্বিয়া তথা আলেমদের সাথে কেউ বেয়াদবী করতে পারে না, এটা আমি নিশ্চিত।
★সুত্রঃ (ইসলাহী খুতুবাত,
- বিচারপতি মুফতি তাকী উসমানী দাঃ বাঃ)
"আর এই সঙ্গে তারা এমন সব জিনিসের অনুসরণ করাতে মেতে ওঠে, যেগুলো শয়তানরা পেশ করতো সুলাইমানী রাজত্বের নামে। অথচ সুলাইমান কোন দিন কুফরী করেনি। কুফরী করেছে সেই শয়তানরা, যারা লোকদেরকে যাদু শেখাতো। তারা ব্যবিলনে দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছিল তা আয়ত্ব করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। অথচ তারা(ফেরেশতারা) যখনই কাউকে এর শিক্ষা দিতো, তাকে পরিষ্কার ভাষায় এই বলে সতর্ক করে দিতোঃ দেখো, আমরা নিছক একটি পরীক্ষা মাত্র, তুমি কুফরীতে লিপ্ত হয়ো না। এরপরও তারা তাদের থেকে এমন জিনিস শিখতো, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা এনে দিতো। একথা সুস্পষ্ট, আল্লাহর হুকুম ছাড়া এ উপায়ে তারা কাউকেও ক্ষতি করতে পারতো না। কিন্তু এ সত্ত্বেও তারা এমন জিনিস শিখতো যা তাদের নিজেদের জন্য লাভজনক ছিল না বরং ছিল ক্ষতিকর। তারা ভালো করেই জানতো, এর ক্রেতার জন্য আখেরাতে কোন অংশ নেই। কতই না নিকৃষ্ট জিনিসের বিনিময়ে তারা বিকিয়ে দিল নিজেদের জীবন!হায়, যদি তারা একথা জানতো!"
-
(আল ক্বোরআন- 2:102)
লম্বা শ্বাস নিয়ে দম বন্ধ করে নিন এবার বলটি ঘুরতে থাকা অবস্থায় কতবার পূর্ণ ঘূর্ণন হল তা গণনা করুন এবং নিচের গ্রাফ হতে নিজেই আপনার ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করে নিন
-রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই (৮)টি আমল করার চেষ্টা করি।
❏ -গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো হলো- ❏
(১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিবে : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।)
__________(বুখারি-৫০১৭)।
(২) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।
__________(বুখারি-২৩১১)।
(৩) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ।
__________(বুখারি- ৪০০৮)।
(৪) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।
__________(সহীহ তারগীব-৬০২)।
(৫) একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে? এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হলো। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।
__________(বুখারী- ৫০১৫)
(৬) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜।
__________(বুখারি- ৬৩২৪)।
(৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হযরত আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্, এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।
__________(বুখারী- ৩৭০৫)।
(৮) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
__________(নাসাই- শাইখ আলবানি (রঃ) হাদিসটাকে হাসান সহিহ বলেছেন এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)।
➤ আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দিন আমীন।
#জ্বীনের_জানাযা (সত্য ঘটনা)
"১৯৪৭ এর পরপরই এ ঘটনাটি ঘটে।হাজি সাহেব নামক একজন লোক একটি জনবিরল এলাকায় বসবাস করতেন।ওখানে একটি মসজিদ তৈরি হওয়ায় উনি সেখানেই চাকরি নিয়ে ইমাম হন।এবং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।তার বয়ান,তাফসির,তেলাওয়াত অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠে।মসজিদটা অনেক ছোট হওয়ায় উনি প্রায়ই বাইরে একটি জায়গায় বয়ান সহ নানান উপদেশ এবং শিক্ষামূলক বয়ান করতেন।জায়গাটি ছিলো সবুজে ঘেরা!!এখানে লোকজন তাদের গরু ছাগল চড়াতেন!!চারদিকে অসংখ্য গাছের মধ্যে একটি অনেক প্রাচিন বিশাল গাছের নিচেই চলতো হাজি সাহেব এর বয়ান!!!দূর দূরান্ত হতে লোকজন আসতেন।আসলে এলাকা এবং আশেপাশের এলাকায় এমন জ্ঞানী লোক কেউই ছিলো না।একমাত্র ব্যতিক্রম হাজি সাহেব।তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন।এতোটাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে লোকেরা মৃত্যুর পর ওসিয়ত করিয়ে যেতেন যেন তাদের জানায়া হাজি সাহেব পড়িয়ে দেন!!!
প্রচন্ডরকম শীতের একটি রাত!হাজি সাহেব এশার নামাজ পড়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।এমন সময় তার দরজায় করাঘাত করা হলো!উনি দরজা খুলে তিনজন লোককে দাড়িয়ে থাকতে দেখতে পান।এদের একজন সুন্দর করে সালাম দেন এবং উনি কেমন আছেন জানতে চান।লোকটা সাদা ফকফকে জুব্বা পরিহিত এবং চেহারায় নূর আছে!!লম্বা দাড়ি!!হাজি সাহেব সালাম এবং প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের আসার কারন জানতে চান এবং ভিতরে আসতে বলেন!!অপরিচিত লোকেরা ভেতরে প্রবেশে অনীহা প্রকাশ করে বলেন "আসলে আজকে আমার ভাইয়ের ইন্তেকাল হয়েছে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী জানাযাটা হাজি সাহেব কে পড়িয়ে দিতে হবে!!কারন আমার ভাইটা আপনার খুবই ভক্ত ছিলেন আপনাকে মারাত্মক পছন্দ করতেন!আপনার বয়ানের নকল আমাদের শোনাতেন!!বেচারা আজকে মারা গেল।সব একেবারে তৈরি করা আছে আপনি গিয়ে শুধু জানাযাটা পড়াবেন!!হাজি সাহেব এতোক্ষণ ধরে তাদেরকে লক্ষ্য করছিলেন।তারা সংখ্যায় তিনজন!দেখতে প্রায় একই রকম এবং একজনই কেবল কথা বলছেন বাকি দুজন একেবারেই চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে এবং ভীষণ অবাক হয়ে তাকে দেখছে মনে হয় অনেক বিস্মিত হচ্ছে!!! সবশুনে হাজি সাহেব বললেন " আচ্ছা আপনার ভাই কে আমি চিনি??উত্তরে লোকটা বললো "সেটা জানি না।তবে ও আপনাকে চিনতো!ও আপনাকে পুরোনো ঘর থেকে অনুসরণ করে আসছিলো!!এটা শুনে হাজি সাহেব আরো অবাক হন।পুরোনো ঘরে উনি সবসময়ই একা থাকেন!এবং এখানেই উনি তার জ্ঞানের চর্চা করেন!!!তবু হাজি সাহেব তৈরি হওয়ার সময় চেয়ে নেন এবং তৈরি হয়ে তাদের সাথে এই প্রচন্ড শীতে বেরিয়ে যান!!!
তারা বিনাবাক্য ব্যয়ে পুরোটা পথ পারি দিচ্ছিলো!!এবং তাদের গতির কাছে হাজি সাহেব পিছিয়ে পড়ছিলেন!!তবে একসময় তারা খানাখন্দভরা একটি পাহাড়ি এলাকার দিকে চলতে থাকা হাজি সাহেব তাদের কে থামিয়ে দিয়ে বললেন" আমার মনে হয় আপনারা পথ হারিয়েছেন! এদিকে কোনই জনবসতি নেই!!এটা দূর্গম এবং জনবিরল এলাকা!!আমাকে বলুন কোন জায়গায় যাবেন আমি পথ বাতলে দিবো!!এবার লোকটা বেশ বিরক্ত হলো!!জবাবে হাজি সাহেব কে বললো "এ আদমজাত সন্তান!!ভয়ের কিছু নেই!! আমরা এখানেই বসবাস করি" আমরা সঠিক পথেই আছি!!আদমজাত কথাটা শুনেই হাজিসাব সব বুঝে নিলেন!!উনি কাদের পাল্লায় পড়েছেন!!!
তারা একেবারে সরু একটি খাদে নেমে পড়েন!!সেখানেই একটি বেশ লম্বা বড়সড় লাশ রাখা দেখতে পান হাজি সাহেব। উনি এসবে খেয়াল না করেই দ্রুত জানাযা পড়িয়ে দেন!!এবং শেষ করা মাত্র ওই লোকটা পাশে এসে দাড়ান!!এবার আবারো সালাম দিয়ে বলতে থাকেন"আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমার ভাইয়ের জানাযা পড়িয়ে তার শেষ ইচ্ছে পূরন করলেন! বেশকিছু কয়লা নিয়ে হাজি সাহেব এর দিকে এগিয়ে বলেন "এই নিন আপনার সম্মানি" ভয়ার্ত হাজি সাহেব বেশ ছোট একটি কয়লা তুলে নেন।এবং লোকটি বলেন আপনি বুদ্ধিমান লোক এতোক্ষণে টের পেয়েছেন আমরা জ্বীন।আমরা মুসলমান জ্বীন!!আপনি অযথা ভয় পাচ্ছেন!!আমরা আপনার কোনই ক্ষতি করবো না।তবে আপনাকে আমরা আর বাসায় পৌঁছাতে পারছি নাহ
এ দূর্গম পথটা আপনাকে একাই যেতে হবে।আমরা অনেক দূরে যাবো তো!!আপনি চলে যান আমাদের অনেক দূরে যেতে হবে!!!ভয়ার্ত হাজি সাহেব রাওনা হন পেছন হতে আল্লাহ হাফেজ আওয়াজে ফিরে তাকাতেই দেখেন পুরো এলাকায় কেউই নেই!!এবার কেনই জানি ভয়ে একেবারে চিমসে যান!!এবং বেহুশ হয়ে সেখানেই পড়ে যান!!!
হুশ হওয়ায় নিজেকে তার বিছানায় পান।এবং এসব স্রেফ একটা স্বপ্নই মনে করেন।জামার পকেটে কিছুর উপস্থিতি অনুভব করে হাত দেন এবং একটি হিরার টুকরো বের করে আনেন!!!
এদিকে হাজি সাহেব এর রুমে একজন খাদেম এসে চমকে যান এবং বলতে থাকেন "আলহামদুলিল্লাহ হাজি সাহেব টানা ৩ দিন পর হুশে ফিরলেন!!!
#যাদুকরের_শাস্তি
(মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ হুজুরের বই থেকে উনার অনুমতি নিয়ে এখানে দিলাম)
ব্ল্যাক ম্যাজিক:
ইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো।
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
-শায়খ! আমি অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি। আল্লাহ তা'আলা কি আমাকে ক্ষমা করবেন?
-কেনো ক্ষমা করবেন না, অবশ্যই ক্ষমা করবেন। নিশ্চই তিনি অতি ক্ষমাশীল অতি দয়ালু।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, (আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু(যুমারঃ ৫৩)।
- কিন্তু আমার গুনাহটা অনেক বড় আর গুরুতর। আল্লাহ কিছুতেই আমাকে ক্ষমা করবেন না।
- না বোন! আপনি এমনটা ভাববেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
(নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া আর (সব) পাপ তিনি যাক ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ঘোরতর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (নিসাঃ১১৬)
-আমি সাত-সাতবার হজ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও কা'বাঘর নিজ চোখে দেখতে পাইনি।
শায়খঃ ইয়াল্লাহ! ইয়া রাব!
মহিলাঃ আমি হেরেমে প্রবেশ করার পর তাওয়াফ কারীদেরকে দেখি, কিন্তু কা'বাঘর দেখতে পাই না। এমনকি একজন আমার হাত ধরে কা'বা শরী ছুঁইয়েও দেখিয়েছি। আমি হাত দিয়ে কা'বা ধরতে পেরেছি। কিন্তু কা'বা আমার সামনে দৃশ্যমান হয়নি।
শায়খঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আপনার পাপটা সত্যিই গুরুতর। বলুনতো কি এমন পাপ করেছেন? নিশ্চিত হয়ে বলুন, যাতে আমার বুঝতে সুবিধা নয়।
মহিলাঃ আমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পরও অনেকবার হয়েছে। আমি ঠিক বলতে পারছি না, কোন পাপের কারনে আমার এই অবস্থা হয়েছে।
শায়খঃ অসম্ভব! এটা ছাড়াও অন্য কোনো পাপ আছে। শুধু অশ্লীলতার জন্য এমনটা ঘটতে পারে না। আপনি ভেঙে বলুন। আপনি কী করেছেন?
মহিলাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি একজন নার্স। আমার গোপনে সম্পর্ক ছিলো একদল ব্ল্যাকম্যাজিক (কালোজাদু) চর্চাকারীদের সাথে। তারা নানাভাবে জাদুচর্চা করতো। তারা শবসাধনা করতো।
জাদুকরের শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের হিমাগারে চুরি করে প্রবেশ করতাম। শবগুলো মুখে 'বিশেষ কাজ" করে মুখগুলো সেলাই করে দিতাম। শবগুলোকে এই অবস্থাতেই দাফন করা হতো। এই ন্যাক্কারজনক কাজ অসংখ্যবার করেছি।
শায়খঃ এমন কাজ কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জাদুবিদ্যা তো শিরক।
নিশ্চয়ই শিরক বড় পাপ (লুকমানঃ১৩)
দুই সপ্তাহ পরে, ইক্বরা অনুষ্ঠানে একটা ফোন আসলো।
-আসসালামু আলাইকুম
- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
- হ্যালো শায়খ! দু' সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ফোন করেছিলেন, আমি তার সন্তান।
শায়খঃ জি, বাবা! চিনতে পেরেছি। বলো কি খবর।
ছেলেঃ শায়খ! আমার আম্মু ইন্তিকাল করেছেন। তার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু দাফনের সময় এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ ধারণাও করতে পারি নি এমনটা কখনো ঘটতে পারে।
শায়খঃ কী ঘটনা?
ছেলেঃ জানাযার পর আমরা কবরস্থানে গেলাম। লাশ কবরে নামাতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধলো। আমরা কবরে নামলেই কবরটা সংকুচিত হয়ে আসে। লাশ বের করলে কবরটা আবার ঠিক হয়ে যায়। আবার লাশ নামালে কবরটা সংকুচিত হয়ে যায়। এমনকি আমাদের পক্ষে ভেতরে দাঁড়ানোও অসম্ভবত হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ ঘটনা দেখে, সাথে যারা ছিলো ভয়ে পারলিয়ে গেলো। তারা বললো, তোমার মা হয়তো এমন কোনও কাজ করেছে যে, কবর তাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আমি বসে বসে কাঁদতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক আসলে। তার পোশাক ছিলো অত্যন্ত উজ্জ্বল আর শুভ্র। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় এমন একজন মানুষ। তাকে দেখেই আমার মনে হলো, আমার আমনে এজন ফিরিশতা দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে তার সাথে কথা বলে বিশ্বাসটা আরও বদ্ধমূল হলো। তিনি বললেন,
তোমার আম্মুকে যেভাবে আছে রেখে চলে যাও। পেছনে ফিরে তাকাবে না। আমি কোনও কথা না বলে চলে আসলাম। কিছুদূর আসার পর আমি আর কৌতূহল দমন করতে পারলাম না। আমার মায়ের কী হলো সেটা না দেখে বাড়ি যেতে মন টানছিলো না। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, আকাশ থেকে প্রকাণ্ড এক অগ্নিগোলক ছুটে আসলো। চোখের নিমিষেই আম্মার লাশটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলো। খাটিয়াসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।
আগুনের উত্তাপ এত প্রবল ছিল যে, এতদূর থেকেও আমার মুখটা ঝলসে গেল। শুধু দুচোখ অক্ষত রইলো।
আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম, আমার চেহারা কেনো ঝলসে গেলো? আল্লাহ কি আমার প্রতি নারাজ?
শায়খঃ প্রিয় বৎস! সম্ভবত আল্লাহ তা'আল মায়ের পাপ থেকে তোমাকে পবিত্র করতে চেয়েছেন। তুমি তো তোমার মায়ের হারাম উপার্জনেই বড় হয়েছো। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর কাছেই ক্ষমা চাও। আল্লাহ আ'আলা তোমার জন্য যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।
যারা যাদুকর/কবিরাজ/কুফরী হুজুরদের কাছে যান তারা নিজেদের পরিনতি সম্পর্কে সচেতন হোন। তওবা করে ফিরে আসুন। মৃত্যু অতি সন্নিকটে।
আল্লাহ সবাইকে এমন কুফরী কার্যে যাওয়া ও নিজেকে জড়ানো হতে হেফাজত করুন আমিন
রহস্যময় জগতের কতকিছুই এখনও অদেখাই রয়ে গেছে !
সবাইকে ভিডিওটি দেখার আমন্ত্রণ রইল
funny_ghost get more videos -Subscribe and Like us on YouTube and FacebookShare link to your friends and family ever...
এই দোআটি যাদু আক্রান্তদের জন্য কার্যকারীঃ
-
উসমান ইবনে আফফান (রাদিয়াল্লাহু আ'নহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দু'আ তিনবার করে পড়বে,
بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الْأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
'বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা'আসমিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামা-ই, ওয়াহুয়াস সামী'উল আলীম।'
-------
অর্থাৎ, আল্লাহর নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।”
-----------
কোন কিছুই সে ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবে না।"
--[আবু দাউদ ৫০৯০, তিরমিযী ৩৩৮৮]
#ব্ল্যাক_ম্যাজিক_ও_যাদুকরের_শাস্তি
(মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ হুজুরের বই থেকে উনার অনুমতি নিয়ে এখানে দিলাম)
ব্ল্যাক ম্যাজিক
ইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো।
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
-শায়খ! আমি অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি। আল্লাহ তা'আলা কি আমাকে ক্ষমা করবেন?
-কেনো ক্ষমা করবেন না, অবশ্যই ক্ষমা করবেন। নিশ্চই তিনি অতি ক্ষমাশীল অতি দয়ালু।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, (আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু(যুমারঃ ৫৩)।
- কিন্তু আমার গুনাহটা অনেক বড় আর গুরুতর। আল্লাহ কিছুতেই আমাকে ক্ষমা করবেন না।
- না বোন! আপনি এমনটা ভাববেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
(নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া আর (সব) পাপ তিনি যাক ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ঘোরতর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (নিসাঃ১১৬)
-আমি সাত-সাতবার হজ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও কা'বাঘর নিজ চোখে দেখতে পাইনি।
শায়খঃ ইয়াল্লাহ! ইয়া রাব!
মহিলাঃ আমি হেরেমে প্রবেশ করার পর তাওয়াফ কারীদেরকে দেখি, কিন্তু কা'বাঘর দেখতে পাই না। এমনকি একজন আমার হাত ধরে কা'বা শরী ছুঁইয়েও দেখিয়েছি। আমি হাত দিয়ে কা'বা ধরতে পেরেছি। কিন্তু কা'বা আমার সামনে দৃশ্যমান হয়নি।
শায়খঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আপনার পাপটা সত্যিই গুরুতর। বলুনতো কি এমন পাপ করেছেন? নিশ্চিত হয়ে বলুন, যাতে আমার বুঝতে সুবিধা নয়।
মহিলাঃ আমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পরও অনেকবার হয়েছে। আমি ঠিক বলতে পারছি না, কোন পাপের কারনে আমার এই অবস্থা হয়েছে।
শায়খঃ অসম্ভব! এটা ছাড়াও অন্য কোনো পাপ আছে। শুধু অশ্লীলতার জন্য এমনটা ঘটতে পারে না। আপনি ভেঙে বলুন। আপনি কী করেছেন?
মহিলাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি একজন নার্স। আমার গোপনে সম্পর্ক ছিলো একদল ব্ল্যাকম্যাজিক (কালোজাদু) চর্চাকারীদের সাথে। তারা নানাভাবে জাদুচর্চা করতো। তারা শবসাধনা করতো।
জাদুকরের শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের হিমাগারে চুরি করে প্রবেশ করতাম। শবগুলো মুখে 'বিশেষ কাজ" করে মুখগুলো সেলাই করে দিতাম। শবগুলোকে এই অবস্থাতেই দাফন করা হতো। এই ন্যাক্কারজনক কাজ অসংখ্যবার করেছি।
শায়খঃ এমন কাজ কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জাদুবিদ্যা তো শিরক।
নিশ্চয়ই শিরক বড় পাপ (লুকমানঃ১৩)
দুই সপ্তাহ পরে, ইক্বরা অনুষ্ঠানে একটা ফোন আসলো।
-আসসালামু আলাইকুম
- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
- হ্যালো শায়খ! দু' সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ফোন করেছিলেন, আমি তার সন্তান।
শায়খঃ জি, বাবা! চিনতে পেরেছি। বলো কি খবর।
ছেলেঃ শায়খ! আমার আম্মু ইন্তিকাল করেছেন। তার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু দাফনের সময় এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ ধারণাও করতে পারি নি এমনটা কখনো ঘটতে পারে।
শায়খঃ কী ঘটনা?
ছেলেঃ জানাযার পর আমরা কবরস্থানে গেলাম। লাশ কবরে নামাতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধলো। আমরা কবরে নামলেই কবরটা সংকুচিত হয়ে আসে। লাশ বের করলে কবরটা আবার ঠিক হয়ে যায়। আবার লাশ নামালে কবরটা সংকুচিত হয়ে যায়। এমনকি আমাদের পক্ষে ভেতরে দাঁড়ানোও অসম্ভবত হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ ঘটনা দেখে, সাথে যারা ছিলো ভয়ে পারলিয়ে গেলো। তারা বললো, তোমার মা হয়তো এমন কোনও কাজ করেছে যে, কবর তাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আমি বসে বসে কাঁদতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক আসলে। তার পোশাক ছিলো অত্যন্ত উজ্জ্বল আর শুভ্র। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় এমন একজন মানুষ। তাকে দেখেই আমার মনে হলো, আমার আমনে এজন ফিরিশতা দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে তার সাথে কথা বলে বিশ্বাসটা আরও বদ্ধমূল হলো। তিনি বললেন,
তোমার আম্মুকে যেভাবে আছে রেখে চলে যাও। পেছনে ফিরে তাকাবে না। আমি কোনও কথা না বলে চলে আসলাম। কিছুদূর আসার পর আমি আর কৌতূহল দমন করতে পারলাম না। আমার মায়ের কী হলো সেটা না দেখে বাড়ি যেতে মন টানছিলো না। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, আকাশ থেকে প্রকাণ্ড এক অগ্নিগোলক ছুটে আসলো। চোখের নিমিষেই আম্মার লাশটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলো। খাটিয়াসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।
আগুনের উত্তাপ এত প্রবল ছিল যে, এতদূর থেকেও আমার মুখটা ঝলসে গেল। শুধু দুচোখ অক্ষত রইলো।
আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম, আমার চেহারা কেনো ঝলসে গেলো? আল্লাহ কি আমার প্রতি নারাজ?
শায়খঃ প্রিয় বৎস! সম্ভবত আল্লাহ তা'আল মায়ের পাপ থেকে তোমাকে পবিত্র করতে চেয়েছেন। তুমি তো তোমার মায়ের হারাম উপার্জনেই বড় হয়েছো। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর কাছেই ক্ষমা চাও। আল্লাহ আ'আলা তোমার জন্য যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।
[যারা যাদুকর/কবিরাজ/কুফরী হুজুরদের কাছে যান তারা নিজেদের পরিনতি সম্পর্কে সচেতন হোন। তওবা করে ফিরে আসুন। মৃত্যু অতি সন্নিকটে।]
◾◾সহীহ বুখারীর ১০ টি বৈজ্ঞানিক হাদীস◾◾
১)নবীজি বলেন,"জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে!সুতরাং,জ্বর কে পানি দ্বারা প্রশমিত কর! (সহীহ বুখারী,, খন্ড: ৭:অধ্যায় ৭১:হাদিস ৬২১)
২)নবীজি বলেন,"যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার! "(সহীহ বুখারী, 4:54:537)
৩)নবীজি বলেন,কালোজিরা আস- সামস ব্যতিত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন,আস- সামস কি?নবীজি উত্তরে বলেন,মৃত্যু! "(সহীহ বুখারী ৭:৭১:৫৯১)
৪)নবীজি বলেন,"যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে! (সহীহ বুখারী 7:69:538)
৫) নবীজি বলেন,"জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,"হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকলে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ! (সহীহ বুখারী 4:54:482)
৬)নবীজি বলেন,"আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!
"(সহীহ বুখারী 8:73:242)
৭)নবীজি বলেন,"ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। "(সহীহ বুখারী 9:87:115)
৮)আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে! (সহীহ বুখারী 2:21:245)
৯)নবীজি বলেন,"তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।
(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৯৪)
১০) নবীজি বলেন,,"যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭ টি আজওয়া খেজুর খায়,তার ওপর বিষ ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা! "(সহীহ বুখারী ৭:৬৫:৩৫৬)
গর্তে প্রস্রাব করার বিপদ!
====================
কখনো কোনো গর্তে প্রস্রাব করবেন না। এতে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
"তোমাদের কেউ যেন কখনো কোনো গর্তে প্রস্রাব না করে।"
হাদিসটির অন্যতম বর্ণনাকারী কাতাদাহ্ (রাহ:)-কে লোকজন জিজ্ঞাসা করলো:
"গর্তে প্রস্রাব করলে কী সমস্যা?"
তিনি বলেন:
"ওটা জ্বীনদের বসবাসের স্থান।"
[নাসাঈ, আবু দাঊদ, মুসনাদে আহমাদ: ২০৭৭৫]
বর্ণিত আছে যে,
গর্তে প্রস্রাব করার কারণে আনসার সাহাবি সা'দ বিন উবাদাহ্ (রা.)-কে জ্বীনেরা মেরে ফেলে, তাঁর বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়।
তাঁর মৃত্যুর পর শূন্যে ঘোষণা আসে:
"আমরাই খাযরাজ গোত্রের নেতা সাদ বিন উবাদাহকে হত্যা করেছি।"
ঘোষণাকারীকে দেখা যায়নি, কেবল তার কণ্ঠই শোনা গেছে। [মিরকাত শরহে মিশকাত: ৬/২৩৪৬, আল কাশিফ: ৩/৭৭৭]
জ্বীনের ব্যাপারটি ছাড়াও গর্তে প্রস্রাব করা উচিত নয়।
কারণ, আল্লাহর অনেক দুর্বল সৃষ্ট জীব গর্তে বসবাস করে। তাদেরকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।
কখনো কোনো বিষাক্ত প্রাণীর আক্রমণেরও শিকার হওয়া লাগতে পারে।
এ ছাড়াও পানির পাইপ লাইনে যেমন,
বেসিন, টয়লেট ইত্যাদিতে গরম পানি ঢেলে দেওয়া নিষেধ। কারণ, সেখানে জ্বিনরা বসবাস করে।
আপনার ফেলা গরম পানি লেগে তাদের কেউ মারা গেলে বা আহত হলে তারা কিন্তু প্রতিশোধ নিতে পারে যা আপনার বা আপনার ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য হুমকি স্বরুপ,
তাই কোথাও গরম পানি ফেলতে হলে অবশ্যই "বিসমিল্লাহ" বলে ফেলবেন, এতে করে ওখানে বসবাসরত জ্বীন থাকলে সরে যাবে আর তাদের কোন ক্ষতি হবে না,
আর জ্বিনদের খাবার হলো:
কয়লা, শুকনো গোবর, হাড়/হাড্ডি ইত্যাদি। তাই হাদিসে এগুলো দিয়ে এস্তেন্জা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সুরা ইখলাস পাঠে অনেক ফজিলত
সুরা আল ইখলাস মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৪। শব্দ সংখ্যা ১৫, অক্ষর ৪৭। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
মুশরিকরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ ----
বলুন, তিনি আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
আল্লাহ কারও ওপর মুখাপেক্ষী নন এবং সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
তাঁর কোনো সন্তান নেই এবং তিনি কারও সন্তানও নন
এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তাওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তাওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলাওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সূরা ইখলাসের উপর আমল করবার তৌফিক দিন আমীন
ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি সুন্নতী আমলঃ
_____________________________
১. আয়াতুল কুরসী পাঠ করা – ১ বার।
ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলতঃ
ক. সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী (ফেরেশতা)
তাকে নিরাপত্তা দেবে।
খ. শয়তান তার কাছে আসতে পারবেনা। “যখন বিছানায় ঘুমুতে যাবে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার উপর সব সময় একজন হেফাযতকারী নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার ধারে কাছেও আসতে পারবে না।”
সহীহ বুখারী, খন্ড ৬, অধ্যায় ৬১, হাদিস নং- ৫৩০।
*এখানে হাদীসটা আসলে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা আসলে এক জিনের সাথে এক সাহাবীর আশ্চর্যজনক বড় একটা ঘটনা। সম্পূর্ণ কাহিনীটা জানার জন্য আপনারা রিয়াদুস সালেহীন এর বই ৯, হাদিস নং- ১০২২ থেকে দেখে নিতে পারেন।
_____________________________
২. সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – ১ বার।
ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ২ আয়াত (২৮৫+২৮৬) পড়ার ফযীলতঃ
ক. রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে
খ. বালা-মুসিবত ও যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
গ. জিন ও শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
ঘ. আয়াতগুলো পড়ে শেষ “আমিন” বললে আয়াতগুলোতে যেই দুয়া আছে সেইগুলো আল্লাহ তাআ’লা কবুল
করে নেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ
দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে”।
সহীহ বুখারিঃ ৫০১০, সহীহ মুসলিমঃ ৮০৭।
বিখ্যাত হাদীস গ্রন্থ “রিয়াদুস সালেহীন” এর লেখক ও সহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার, ইমাম আন-নববী (রহঃ) বলেন, “এর অর্থ কেউ বলেছেনঃ কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেনঃ শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেনঃ বালা-মুসিবত থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে।
তবে সবগুলো অর্থ সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শারহুন নববী আ’লা সহিহ মুসলিমঃ ৬/৩৪০, হাদীস ৮০৭।
সহীহ বুখারীর ভাষ্যকার, আমিরুল মুমিনিন ফিল হাদীস, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) এই অভিমত সমর্থন করে বলেন, উপরের সবগুলো অর্থ নেওয়া সঠিক। আল্লাহ ভালো জানেন। প্রথম অর্থটি (তাহাজ্জুদের সমান সওয়াব পাওয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউ’দ (রাঃ) থেকে একটি মারফু হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ
আছে।
ফাতহুল বারী ৮/৬৭৩, হাদীস ৫০১০।
এ কারণেই আলী (রাঃ) বলেনঃ “আমার মতে যার সামান্যও বুদ্ধিজ্ঞান আছে, সে এ দুটি আয়াত পাঠ
করা ছাড়া নিদ্রা যাবে না”। মানাকিবুস সাহাবা। ইমাম নববী এটাকে সহীহ বলেছেন, আল-আযকার।
_____________________________
৩. ঘুমানোর আগে সুরা কাফিরুন পড়া – ১ বার
উপকারীতাঃ শিরক থেকে বাচতে সাহায্য করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন বা সুরা কাফিরুন), এই সুরাটিতে শিরক থেকে বাঁচার শিক্ষা রয়েছে।”
আবু দাউদঃ ৫০৫৫, তিরমিযী, আহমাদ, ইমাম
ইবেন হাজার আসকালানী ও শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
১০০০ সুন্নত, পৃষ্ঠা – ১৬০।
ফরওয়া ইবন নাওফাল (র) থেকে বর্ণিত তিনি নবী (স) এর কাছে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ)!
আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমি আমার শয্যাগ্রহণের সময় বলতে পারি। তিনি বললেনঃ ক্কুল
ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন সূরাটি পাঠ করবে। কেননা এটি হল শিরকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা।
সুনানে আত-তিরমিজি, দু’আ অধ্যায়, অধ্যায় ৪৮, হাদীস নং- ৩৪০৩। হাদীসটি হাসান
সহীহ, দারুস সালাম।
______________________________
৪. সুরা ইখলাস পাঠ করা সুরা ইখলাস পাঠ করা ১ বার, ৩ বার অথবা ১০ বার অথবা, যার যতবার পড়তে ভালো লাগে। তবে ৩ বার পড়লে যেহেতু এক কুরান খতম করার সমান, সুতরাং ৩ করা যেতে পারে। কারো ইচ্ছা হলে আরো বেশি ১০ বারও করতে পারেন – ১০ বার সুরা ইখলাস পড়লে তার জন্য জান্নাতে একটা বাড়ি বানানো হয়।
ক. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীগণকে বললেন, “তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।). তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ” (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান”।. (অর্থাৎ এই
সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
সহীহুল বুখারী ৫০১৫, নাসায়ী ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
খ. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করবে,
তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে”।
সহীহ আল-জামি আস-সগীর ৬৪৭২।
_______________________________
৫. তাসবীহ’, তাহ’মীদ ও তাকবীর পাঠ করাঃ
৩৩ বার তাসবীহ’ (সুবহা’নাল্লাহ), ৩৩ বার তাহ’মীদ (আলহা’মদুলিল্লাহ), ও ৩৪ বার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করার ফযীলতঃ
ক. কারো একজন দাস থাকলে দিনে-রাতে যে সেবা-যত্ন ও সাহায্য করতো তার থেকেও বেশি উপকার পাওয়া যাবে এই আমল করলে।
খ. মোট ১০০ বার পড়লে, মীযানে ১০০০ নেকীর সমান হবে।
ক. আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার কাছে আটা পেষার দরুন তার হাতে ফোসকা পড়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেন। আমি বললাম তোমার পিতা (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে যদি একটা খাদেমের আবদার জানাতে।
(ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খাদেম দেওয়ার কথা বললেন তখন) তিনি (রাসুল) বললেনঃ তোমার জন্য কি খাদেমের চাইতে উত্তম কোন কিছু বলব না?
(তা হল) তোমরা যখন তোমাদের শয্যাগ্রহণ করবে তখন আলহা’মদু লিল্লাহ ৩৩ বার, সুবহা’নাল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়বে।
সুনানে আত-তিরমিজি, দু’আ অধ্যায়, অধ্যায় ৪৮, হাদীস নং- ৩৪০৮। হাদীসটি সহীহ, দারুস সালাম।
খ. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন শয্যাগ্রহণ করবে তখন সুবহানাল্লাহ,
আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করবে একশত বার। এটা তোমাদের যবানে তো হল একশ, কিন্তু মীযানের পাল্লায় হবে এক হাজার (নেকী)।
সুনানে আত-তিরমিজি, দু’আ অধ্যায়, অধ্যায় ৪৮, হাদীস নং- ৩৪১০। হাদীসটি হাসান সহীহ, দারুস সালাম।
____________________________
৬. ঘুমানোর দুয়া পড়াঃ
ডান কাতে শুয়ে ঘুমানো সুন্নত।
ডান কাতে শুয়ে ঘুমানোর আগে এই দুয়া পড়তে হবেঃ
ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
উচ্চারণঃ বিস্মিকাল্লা-হুম্মা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার নাম নিয়েই আমি মৃত্যুবরণ করছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।
সহীহ বুখারীঃ ৬৩২৪, সহীহ মুসলিমঃ ২৭১১।
ঘুম থেকে উঠে যেই দুয়া পড়তে হয়ঃ
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﺃَﺣْﻴَﺎﻧَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﺎ ﺃَﻣَﺎﺗَﻨَﺎ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨُّﺸُﻮْﺭُ
উচ্চারণঃ আলহা’মদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বাঅ’দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্-নুশুর।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করেছেন, আর
আমরা সবাই তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।
সহীহ বুখারীঃ ৬৩১৪, সহীহ মুসলিমঃ ২৭১১।
______________________________
৭. সুরা মুলক পড়া
প্রতিদিন (দিনে বা রাতে যেকোনো এক সময়) সুরা মুলক মুলক তেলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নতঃ
***অনেকে মনে করে, এটা রাতেই পড়তে হবে, এটা ঠিক না। কেউ রাতে পড়লে ভালো। তবে সুবিধামতো সময়ে দিনে রাতে, যেকোনো সময়েই পড়া যাবে। “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আলিফ লাম মীম তানজিলুল কিতাব (সুরা আস-সাজদা) ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক) তেলাওয়াত না করে কোনদিন ঘুমাতেন না”।
সুনানে আত-তিরমিযী ২৮৯২, মুসনাদে আহমাদ ১৪২৯। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬।
***এই সুরাটি নিয়মিত প্রতিদিন তেলাওয়াত করলে কবরের আজাব থেকে সুরক্ষা করবেঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক) তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর যামানায় এই সুরাটিকে আমরা “আল-মা’আনিয়াহ” বা সুরক্ষাকারী বলতাম। যে রাতের বেলা এই সুরাটি পড়বে সে খুব ভালো একটা কাজ করলো”।
সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সহীহ আত-তারগীব ওয়াল তারহীব ১৪৭৫।
***এই সুরা প্রত্যেকদিন রাতের
বেলা তেলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন শাফায়াত করে জান্নাতে নিয়ে যাবে ইন শা’ আল্লাহঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “কুরআনে এমন একটা সুরা আছে যার মধ্যে ৩০টা আয়াত রয়েছে যেটা একজন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল
মুলকু (সুরা মুলক)”।
সুনানে আত-তিরমিযী ২৮৯১, সুনানে আবু দাউদ ১৪০০, মুসনাদের আহমাদ, ইবনে মাজাহ
৩৭৮৬।
ইমাম তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি হাসান, ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেন সহীহ মাজমু ২২/২২৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩০৫৩।
বিঃদ্রঃ এইখানে তেলাওয়াত মানে শুধু তোতা পাখির মতো রিডিং পড়ে যাওয়া না। এই প্রসংগে সউদী আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের আলেমদের ফতোয়া হচ্ছে, “এই হাদীসগুলোর আলোকে বলা যায়ঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুরা মুলক বিশ্বাস করবে ও তেলাওয়াত করবে, এই সুরাতে যে শিক্ষা দেওয়া আছে তা গ্রহণ করবে এবং যে হুকুম আহকাম দেওয়া আছে সেইগুলো মেনে চলবে কেয়ামতের দিন তার জন্য এই সুরাটি শাফায়াত করবে”।
ফতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ ৪/৩৩৩, ৩৩৫।
(collected)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Address
Mirpur 10, Goal Chakkor, Main Road
Dhaka
1216
Dhaka
Dhaka, 1214
Hi everyone! I'm just another person with a camera on my helmet and making videos, lol. I travel videos will also help to prepare yourself for your next tour ;-) So, stay and wat...
Dhaka
Hi Biker. It's BikerBro for Moto vlogger & video content. Follow fb.com/bikerbro.com.bd. Thanks.
Tea House
Dhaka, 1205
This page is basically for tea lovers......who are very much fond of tea....
Dhanmondi
Dhaka, 1217
বাংলাদেশ ও বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুনপ্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বদ্ধ পরিকর।