https://www.facebook.com/100474943110054/

Seg's Adultation

বছর দুয়েক হলো আমাদের আর কথা হয় না।
তোমার কন্থটাও যেন ভুলতে বসেছি আমি
ভুলে গেছি তোমার হাসির শব্দটাও।

প্রথমে দিয়েছিলে তুমি বাধা কিন্তু শেষে মেনেও তো নিয়েছিলে আমার সব বোকা আবদারদের।

আমরা মানিয়ে নেই, আমরা ভুলে যাই , ভুলে যাই তোমার চশমার পাওয়ারটা কত ছিল। এখন কি তা বেড়েছে নাকি আছে আগের মতো? তুমি কি মোটা ফ্রেমের চশমা পড়তে নাকি চিকন ফ্রেমের? এই যা এটাও ভুলে গেছি।
ভুলতে ভুলতে এখন আর ঠিক করে তোমার চেহারাটা চাইলেও মনে করতে পারি না, আগে মন খারাপ হলেই চোখ বন্ধ করলে তোমাকে দেখতে পেতাম এখন আর তা হয় না। তোমার চেহারাটা কেমন যেন মুছে গেছে আবছা লেখার মতো। মুছে যাবেই বা না কেন সারাজীবনে যে দিয়েছিলে যে মাত্র একটিই ছবি পহেলা বৈশাখে,তাও আবার ডিলিট করে দিতে বলেছিলে। তোমার কথা রাখতে গিয়ে যে ডিলিটও করে দিয়েছিলাম। ছবিটি থাকলে হয়তোবা সেটা দেখেই রাতের পর রাত পার করে দিতে পারতাম। যদিও দিয়েছিলে আধঃমুখ তবুও আমার ওটা তেই চলে যেত। এ সব এখন থাক!

তোমার কথা ভেবে আমি আর কবিতার ছন্দ সাজাই না, তোমার জন্য গল্প লেখার তাগাদা হয় না।
তোমারও আমার কথা আর মনে পড়ে না তাই না? হঠাৎ খুব কষ্ট পেলে মনের এক কোণে আমার নামটা হয়তো উঁকি দেয়। নাও দিতে পারে!
ফিঁকে হয়ে গেছি আজ, তোমার আঁকা সেই ছবিটির মতো। যদিও ছবিটির উল্টোটাই হয়েছে আমার সাথে।
এখন জানি এবং বুঝি সবই মেনে নিয়ে মানিয়ে নেই। এভাবে করেই জীবন দিব্যি চলে যায়। তুমি আমাকে একটা ছদ্দ নাম দিয়েচিলে মনে আছে কি হয়তো ভুলেই গেছো থাক মনে নাই বা করাই।

বরাবরই ছিলাম হাবা তবুও এই হাবা আমিটা এটাও ভুলে গেছি কি করে ভালোবাসতে হয়। সুন্দর নাহ?
কিছু বলতে চেয়েও না বলতে পারাটা আরো অনেক বেশি আঘাত দেয়।

মৃত্যু অনিবার্য জেনেও জন্ম নিলাম
তোমাকে পাবোনা জেনেও তোমাকেই চাইলাম।
তবু ধিক্কার নাহি দিতে পারি সানন্দ হে তোমাতে!
মায়াবিনি আমি আছি কি তোমার মনেরও কোন এক গহিন কনে?

আজ নকি বিশ্ব চিঠি দিবস তাই দিনের এ শেষ খনে তোমার উদ্দেশ্য পাঠালাম এক উড়ো চিঠি। জানি তুমি অবধি পৈছাবেনা তাও কেন জানি লিখে ফেললাম!

প্রেরক আর প্রাপক নাই দিলাম
আশা করি যার উদ্দেশ্য লেখা
সে বুঝে যাবে কে লেখেছে
যদিও জানি যে পৈছাবে না এটা তুমি অদ্ধি...