Voice
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Voice, News & Media Website, 220 Central Bashabo, Dhaka.
'Voice' is a daily online newspaper began its journey in 2020 for credible and courageous news delivery through innovative presentation.'Voice' encourages citizen journalism to collect, disseminate news from public.
আমেরিকাতে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির পরিমাণ হু হু করে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে বাড়ছে আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার।
সোমবার শ্রীলঙ্কায় সরকার পক্ষীয় ও সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছে। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এমন বিক্ষোভ চলছিল। মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই দেশটির রাষ্ট্রপতি।
নয়াদিল্লীর মুসলিম অধ্যুষিত এক মহল্লায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে সোমবার শত শত বাসিন্দা এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সেখানে প্রতিবাদ করতে জড়ো হয়। বুলডোজারগুলো চলে যাওয়ার আগে কোন ভবন ভাঙা পড়েনি।
গত মাসে গোটা ভারত জুড়েই মুসলিমবিরোধী মনোভাব ও আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবের মধ্যে ধর্মীয় শোভাযাত্রার সময়ে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে পাথর ছোড়ার মত ঘটনাও রয়েছে। এরপরই কিছু রাজ্যে উচ্ছেদ অভিযান আরম্ভ হয়, যেখানে মুসলিমদের মালিকানায় থাকা অনেক সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সর্বসাম্প্রতিক সময়ে নয়াদিল্লীর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এক মহল্লায় গত মাসে এমনটা হতে দেখা যায়। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে অভিযান থামানোর আগে সেখানে মুসলিমদের বেশ কিছু সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঐ এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় গ্রেফতার আরম্ভ হলে, তার কয়েকদিন পরই সেখানে উচ্ছেদ শুরু করা হয়।
সোমবার বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে শাহীন বাগে বুলডোজার আসা শুরু করে। ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ২০১৯ সালে সংসদে বিতর্কিত এক আইন পাসের পর, ২০২০ সালে ঐ মহল্লাটি ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনাস্থলে পরিণত হয়েছিল।
নতুন ঐ আইনটি, আশপাশের কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়া দ্রুতকরণ করবে। তবে, সেসব মানুষের মধ্যে মুসলিমরা অন্তর্ভুক্ত নয়। এর ফলে অনেকেই আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলেছেন।
এর ফলে ভারত জুড়ে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলে এবং শাহীন বাগ দ্রুতই প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠে। মহল্লার মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া মহাসড়কে মুসলিম নারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়ে সেখানে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন।
কর্মকর্তারা বলছেন যে, উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ ভবনগুলোকেই ধ্বংস করা হচ্ছে এবং কোন বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে তা করা হচ্ছে না।
তবে সমালোচকরা পাল্টা বলেছেন যে, এমন পদক্ষেপ মুসলিমদের হয়রানি ও প্রান্তিকীকরণের সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা।
তারা এও বলছেন যে, পদক্ষেপগুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে, বর্ধিত ধর্মীয় মেরুকরণের ধারার প্রতিই নির্দেশ করে। ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ১৪% মুসলিম।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একটি সেতু শনিবার (৭ মে) ধসে পড়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বরফে জমে যাওয়া একটি হ্রদ তাপপ্রবাহের কারণে গলে গেলে আশপাশের এলাকা ও নদীতে পানির ঢল নামে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম বলেছে, শিসপার হ্রদের পানির পরিমাণ গত ২০ দিনে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অপ্রত্যাশিতভাবে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এমনটা হলো।
তারা আরও বলে যে, হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাওয়ার ফলে উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ৩,০০০ এরও বেশি হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে তেত্রিশটি যে কোন সময়ে ফেটে পড়ে নদীগুলোতে বিপুল পরিমাণ পানির ঢল নামতে পারে। (রয়টার্স)
দুর্বল হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, চলে যাচ্ছে ডলার
পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো নয়, তবে আন্তর্জাতিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে ভেতর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ক্ষত তৈরি হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মতো ভয়ের কারণ নেই। অবশ্য এটা তো ঠিক, পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিও আগের মতো শক্ত নয়। দেশের চলতি হিসাবে বিশাল ঘাটতি, যা শ্রীলঙ্কারও আছে। এবার যে ঘাটতি হতে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সুতরাং উদ্বেগের কিছু জায়গা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় ডলারের বিনিময় হারে সমন্বয় দরকার ছিল, কিন্তু হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ হারে।
এই হারে যদি আমদানি বাড়ে, তবে চলতি অর্থবছর শেষে তা ১০ হাজার কোটি ডলার হবে। এটা ভয়ানক উচ্চমাত্রার। আমাদের ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় কখনও হয়নি। এই প্রবণতা যদি আর এক বছর চলে, তাহলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও শেষ হয়ে যাবে।
কমছে রিজার্ভ:
বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ৪২৫ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) ডলারে নেমে এসেছে। ছয় মাস আগেও প্রায় ৪৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় ছিল রিজার্ভ।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) ডলারের রেকর্ড আমদানি বিল পরিশোধের পর গত ৬ মার্চ রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় একমাসে আবার বেড়ে ৩১ মার্চ তারিখে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে রিজার্ভ।
এখনকার আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময় আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। অথচ ছয় মাস আগেও ১০ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে।
চাপ বাড়ছে অর্থনীতিতে
আগের অর্থবছরে যেখানে চলতি হিসাবের ভারসাম্য ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে, এবার তা ঋণাত্মক।
আগের অর্থবছরেও প্রথম সাত মাসে প্রবাসী আয়ে ছিল বড় প্রবৃদ্ধি, এবার সেটিও উল্টোদিকে।
যার মানে হলো, দেশে এখন যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে তারচেয়ে ব্যয় হচ্ছে ঢের বেশি। এতে করে পরে রিজার্ভের অর্থ অবকাঠামো প্রকল্পে খরচ করার সুযোগ কমে আসবে। বিশেষ করে বড় প্রকল্পে অর্থ ব্যয়, দায় পরিশোধ ও সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক নিয়ে এখনই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
১২৫ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি
বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষক ও ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ ১২৫ শতাংশ বেড়েছে। তার ওপর রেমিটেন্স প্রবাহ ক্রমান্বয়ে কমায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্য নেতিবাচক এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলারের। যা আগের বছর ছিল ২ হাজার ৫২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। চলতি বছরে যা ১ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ১২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ডলার সংকট
বেশ কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দাম অস্থিতিশীল। আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে টাকার বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থায় এ মুদ্রার।
সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার মান কমিয়েছে। এদিন প্রতি ডলার ৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে রফতানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হলেও আমদানিকারকদের খরচ বাড়ছে।
এর আগে জানুয়ারির শুরুতে ডলারের মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকাররা বলছেন, ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজার এখন অস্থির। সরবরাহ নেই, অথচ চাহিদা তুঙ্গে। এর প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোতেও টাকার সংকট তৈরি হচ্ছে।
আমদানি খরচ
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ঋণপত্র খোলার হার (এলসি) বেড়েছে ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ। এতেও ডলারের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্টে বড় ঘাটতি
মহামারির ধাক্কা সামলে যখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তখনই আমদানির চাপে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঘাটতিতে পড়েছে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুন-জানুয়ারি) এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে।
দেশের ইতিহাসে লেনদেন ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টে এত বড় ঘাটতি আর হয়নি। আগের অর্থবছরে এই সময়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১৫৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ঝুঁকি বাড়ছে ব্যাংকের
দেশে ডলার সংকট বাড়ায় ঋণপত্রের দায় পরিশোধে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার করপোরেট ডিলের আওতায় ৮৬ টাকা ৫ পয়সার বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যাংকের ধারের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে, এতে ব্যাংকের লোকসান ও ঝুঁকি বাড়ছে। তাই গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অনাপত্তিপত্র নেওয়ার নিয়ম চালু করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটি ৫০ হাজার ডলারের বেশি ঋণপত্রের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিনিময় হারে পরিশোধের জন্য গ্রাহক থেকে অনাপত্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু করেছে।
শাখায় পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে প্রায় ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এতে ঋণপত্রের দায় পরিশোধে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাচার হচ্ছে টাকা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ২০১৫ সালেই পাচার হয়েছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচারের চিত্র তুলে ধরে সংস্থাটি বলেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত (২০১৪ সাল বাদে) ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে চার হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চার লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৯০ টাকা হিসাবে)। এই পরিমাণ অর্থ দেশের চলতি বছরের (২০২১-২০২২) জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান। অর্থপাচারে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
জিএফআই বলেছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ২০১৫ সালে বিদেশে পণ্য কেনাবেচার যে খতিয়ান দিয়েছেন, তার ১৮ শতাংশই ভুয়া। আমদানিতে বেশি আর রফতানিতে কম দেখিয়ে ওই বছর গায়েব করা হয়েছে এক হাজার ১৮৭ কোটি ডলার যা, এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
১০ বছরে বৈদেশিক ঋণ আড়াই গুণ
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ঋণের হার এখন জিডিপির ৩৮ শতাংশ। গত বছরের জুন পর্যন্ত হিসাবে বাংলাদেশের মোট দেনার পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বিদেশ থেকে নেওয়া। অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ এসেছে বিদেশি উৎস থেকে । বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের হার জিডিপির ১৩ শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩১ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ। এই হিসাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে বরাবরই বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় বাংলাদেশকে। তুলনামূলক রাজস্ব আয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ অর্জন কম হওয়ায় এবং দেশের বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্যই মূলত বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে সরকার। একইভাবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন বেশকিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে দফায় দফায় বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে সরকার। তবে, বিগত দিনের তুলনায় এই বৈদেশিক ঋণ নেয়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণের স্থিতি। ফলে দিন যত যাচ্ছে, ততই বিদেশি ঋণের বোঝা আরও ভারী হচ্ছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির হার তুলনামূলক অনেক বেশি। বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে বিগত ৩৯ বছরে যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে, গত ১০ বছরেই তা বেড়ে আড়াই গুণে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট স্ট্যাটিসটিক্স-২০২২’ শীর্ষক এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ২ হাজার ৬৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।
২০১৬ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। একইভাবে বেড়ে ২০১৭ সালে ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৮১ কোটি ৯০ লাখে। ২০১৮ সালে ৫ হাজার ২১৩ কোটি ৮০ লাখ, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৭০৯ কোটি ৪০ লাখ এবং সর্বশেষ ২০২০ সাল শেষে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৭৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
নতুন ঋণের সঙ্গে আগের ঋণের সুদ যুক্ত হওয়ায় বছর বছর স্থিতি বেড়েই চলছে।
এদিকে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের পাঁচ মাসেই বিদেশি ঋণ সহায়তা নেওয়া হয়েছে ৩০৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক সহায়তা বিষয়ক মাসিক রিপোর্টে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত) বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩০৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এরমধ্যে অনুদান রয়েছে ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার, ঋণ ৩০১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছর একই সময়ে অনুদানসহ ঋণের পরিমাণ ছিল ২০৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
বেসরকারি খাতেও বিদেশি ঋণ
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩০৮ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা।
২০২০ সাল শেষে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ছিল এক হাজার ৪৭৬ কোটি ডলার বা এক লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। এতে করে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ বেড়েছে ৮৩২ কোটি ডলার (প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা)। এর আগে এক বছরে এত বেশি হারে বাড়েনি।
জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতিমালায় নানা শিথিলতার কারণে এখন বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া সহজ হয়েছে। আবার দেশের উদ্যোক্তাদের বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা ও দরকষাকষির সুযোগও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ এক হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার। বাকি ৭৬১ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদি।
Source: banglatribune
সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হাসানুল বান্নাহ (১৮) নামের ফার্সি বিভাগের প্রথমবর্ষের এক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় থানায়।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিনোদপুর মণ্ডলের মোড়ে আব্দুর রহিম ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাবি ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে রাগারাগি করে এমন ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে বান্নাহ। সে এখনো কথা বলতে পারছে না। চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। তারপর বলা যাবে কী হয়।
ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Many are returning empty-handed after waiting a long time...
Images of the Antonov An-225 'Mriya' wreckage, the world's largest aircraft, have been released after it was sadly destroyed in Ukraine following Russia's invasion.
Source: Reuters
টিপ পরায় রাজধানীর এক কলেজ শিক্ষিকাকে পুলিশ সদস্যের হেনস্তা করার ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টিপ পরা কয়েকটি ছবি দিয়ে লিখেছেন ‘আমি মানুষ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি নারী।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Website
Address
220 Central Bashabo
Dhaka
1214
64–65, Kazi Nazrul Islam Avenue
Dhaka, 1215
Till June 2013, was a weekly young people's magazine by The Daily Star. It’s coming back 27th July.
17 Mohakhali C/A, Red Crescent Concord Tower, 17th Floor
Dhaka, 1212
Official page of bdnews24.com, Bangladesh's largest news publisher by reach & volume; Bangla/English, Internet-only, a global first, open since 23 Oct 2006
19 New Eskaton Road (mogbazar)
Dhaka, 1000
বাংলাদেশের থিয়েটার সংক্রান্ত তথ্য, কোথায় কি হচ্ছে বা হয়েছে তা জানা যাবে। থাকবে শিক্ষনীয় বিষয়বস্তু আর-
House 18, Road 1, Dakhingaon, Sabujbagh
Dhaka, 1214
An online news portal focused on breaking news and analysis from home and abroad.
14, Darussalam Arcade, Purana Paltan
Dhaka, 1000
আমার এই পেজটি রাজনীতি বিশ্লেষন বিষয়ক ?