Psychologist Zakia Akter Ruby

😂🙃😀

🔷Positive Self-talk / ইতিবাচক আত্ম-কথন 🔷

পজিটিভ সেল্ফ-টক বা ইতিবাচক আত্ম-কথন করার উপায়:

প্রথমত, ইতিবাচক আত্ম-কথন করতে হলে আপনাকে নেতিবাচক শব্দের পরিবর্তে ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
যেমন: “আমার রাগ বেশি” এর পরিবর্তে বলুন “আমি শান্ত ও ধীরস্থির” ।

দ্বিতীয়ত, ইতিবাচক আত্ম-কথন করার সময় “I statement” বা আমি শব্দ ব্যবহার করুন।
যেমন: আমি সুন্দর, আমি পারি, আমার দায়িত্ব ইত্যাদি।

তৃতীয়ত, ইতিবাচক আত্ম-কথন করার জন্য সবসময় present tense বা বর্তমান কালে থাকার চেষ্টা করুন।
যেমন: আমি নিজের যত্ন নিচ্ছি, আমি ব্যায়াম করছি , ইত্যাদি।

চতুর্থ, নিজের ভালো গুণ গুলোর কথা নিজেকে স্মরন করিয়ে দিন। আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজের ভালো গুণ গুলোর কথা বলুন।
নিজের এমন কোন গুনের কথা বলবেন না যেটা আপনার নিজের কাছেই অবাস্তব মনে হয়।

➡️লেখিকা:জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট : ডকটাইম

🔹Procrastination এর ক্ষতিকর দিক 🔹

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছুটা সময় আমরা কাজে ব্যয় করি আর কিছুটা সময় বিশ্রাম নেই অথবা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই।

আবার কাজ যখন করি তখন কিছু কাজ আমাদের ভালো লাগে আবার কিছু কাজ ভীষণ অপছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়। কিন্তু ভালো না লাগলে ও জীবন জীবিকার তাগিদে আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই কাজ গুলো করতে হয়।

যখনই কোনো কাজ আমরা পছন্দ করি না কিংবা কাজটা আমাদের কাছে আনন্দদায়ক মনে হয় না, তখনই আমরা প্রোক্রাস্টিনেট করে থাকি।

🌼এখন আসি এই Procrastination (প্রোক্রাস্টিনেশন ) বলতে আমরা কি বুঝি?

Procrastination এর বাংলা মানে হচ্ছে বিলম্বিত করা। সাইকোলজির ভাষায় প্রোক্রাস্টিনেশন করা বলতে বুঝায়, আমি জানি আমার কোন কাজটা করা দরকার/উচিত কিন্তু তারপরও কাজটা আমরা ফেলে রাখি এবং একবারে শেষ সময়ে এসে তাড়াহুড়ো করে কমপ্লিট করি।

প্রোক্রাস্টিনেশন অনেকের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য ট্র্যাপ/ফাঁদ এর মতো কাজ করে। ব্যক্তি যখন এই প্রোক্রাস্টিনেশন এর ফাঁদে আটকা পড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে ,ব্যক্তিকে ভালোই বেগ পোহাতে হয়।

🌼প্রোক্রাস্টিনেশন এর ক্ষতিকর দিক:

🌿ব্যক্তির মধ্যকার কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।

🌿ব্যক্তির সম্ভাবনাকে স্তিমিত করে দেয়।

🌿মনোবল হ্রাস পায়।

🌿 শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল আর চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরি হারোনোর মত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

🌿 টিমওয়ার্ক ব্যাহত হয়।

🌿ব্যক্তিকে হতাশার দিকে ধাবিত করে।

🌿ব্যক্তির মধ্যে নেতিবাচক অনুভূতি প্রভাব বিস্তার করে।

🌿ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।

[আপনার যদি প্রোক্রাস্টিনেশন এর কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।]

➡️লেখিকা : জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট:ডকটাইম ।

🔷Missing Tile Syndrome 🔷

আজকে আপনাদের সাথে একটি সাইকোলজিক্যাল কনসেপ্ট শেয়ার করবো। কনসেপ্টটি হচ্ছে “Missing tile Syndrome” .

মনে করুন, আপনি একটা নতুন বাড়ি বানালেন। এরপর সম্পূর্ণ বাড়িটা টাইলস দিয়ে সজ্জিত করলেন। শুধুমাত্র বাড়ির সিলিংয়ের এক কোনায় একটা টাইলস লাগানো হয় নাই। কারন টাইলস শেষ হয়ে গেছে। আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন টাইলস টা কিছুদিন পর লাগাবেন। এরপর আপনি আপনার সব আত্নীয় স্বজনদের আপনার নতুন বাড়িতে দাওয়াত দিলেন। সবাই এসে সিলিংয়ের এক কোনার যেই টাইলস টা মিসিং সেটা নিয়ে আফসোস করতে লাগলো। আপনার পুরো বাড়িটা টাইলসে সজ্জিত এই ব্যাপারটা সবাইকে আনন্দ তো দিলোই না উল্টো সবাই যেই টাইলস টা নেই ; সেটা নিয়ে আফসোস
করতে ব্যস্ত।

এই মিসিং টাইল সিনড্রোমে , আমরা সবাই কমবেশি আক্রান্ত। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের জীবনে যে জিনিসগুলি নেই সেগুলির উপর আমরা ফোকাস করি বেশি কিন্তু আমাদের যা আছে তা নিয়ে আল্লাহর কাছে খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

এই ব্যাপারটা আপনি যখন প্যারেন্টস তখন একটু বেশি মনে রাখবেন। আপনার শিশুর মিসিং টাইলস টা নিয়ে সবসময় আফসোস করবেন না। শিশুর মধ্যে কি কি ভালো গুণাবলী ও সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর প্রতি ও মনোযোগী হোন।

হ্যাপি প্যারেন্টিং।

➡️লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট:ডকটাইম।

Happy Ramadan Mubarak

❤️❤️❤️

https://www.facebook.com/share/p/tEmZ44YkQKWB3hjs/?mibextid=oFDknk

Today, as we celebrate International Women's Day, we honor the incredible women in our organization at Let's Talk Mental Health and every woman around the world. From leaders breaking glass ceilings to caregivers nurturing families at home, each woman contributes her unique strength to shape a brighter, more inclusive future.

Let's raise our voices in unity and appreciation for the marvelous achievements of women everywhere. To the trailblazers, the innovators, the nurturers, and the champions of change - your resilience and compassion inspire us all.

Together, we stand in solidarity, recognizing the importance of supporting one another and uplifting every woman's voice.

May this day serve as a reminder of the endless possibilities when we empower and uplift each other. Here's to strong women: May we know them, may we be them, may we raise them. Happy International Women's Day!

রাতে বউয়ের সাথে তীব্র ঝগড়া হলো। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ক্রোধের বশে আমি বলেই ফেললাম,

-"এ জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল তোমাকে বিয়ে করা।"

বউ আমার কথায় যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। তার ঝাঁঝালো কন্ঠে শুধালো,

-"কি বললে তুমি আমাকে বিয়ে করা তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল?"

আমিও আমার কন্ঠে জোর দিলাম। বউ উপর চেঁচিয়ে বললাম,

-"তা নয়তো কি? না আছে রূপ না আছে গুন। ঠিক মতো রাঁধতেও পারো না। কোনোদিন তরকারিতে লবন বেশি কোনোদিন মরিচ বেশি, কোনোদিন আবার ভাতের বদলে ফেরনি হয়ে যায়। এর থেকে যদি ঐ ম্যাচে কাজ করা বুয়াকেও বিয়ে করতাম তাতেও অন্তত রোজ একটু ভালো খেতে পারতাম। তোমার হাতের ঐ কুখ্যাত রান্না খেতে খেতে আমার জীহ্বা যেন পঁচে গেল।"

এতগুলো কথা বলে একটু দম নিলাম আমি। কিন্তু এবার আর বউ উত্তর দিল না কোনো। দেখলাম শুধুমাত্র আমার দিকে একবার শীতল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বেরিয়ে গেল কক্ষ থেকে। বুঝলাম বউ আমার অভিমান করেছে ভীষণ। কারন ও যখন রেগে থাকে তখন আমার সাথে তর্ক করে লাগাতার। ভিতরের সব রাগ উগড়ে দেয় আমার উপর। আর যখন অভিমান করে তখন চুপ হয়ে যায়, হাজার কথা বললেও উত্তর দেয় না কোনো। কিন্তু তাতে আমার কি? আমি বরং আজ ভীষণ খুশি। কতদিন পর বউয়ের সাথে তর্কে জিততে পেরেছি, দুই চার কথা শোনাতে পেরেছি তাকে। তাছাড়া ঝগড়া তো আর আমি আগে শুরু করিনি সেই তুচ্ছ একটা বিষয়ে আমার উপরে চড়াও হয়েছিল প্রথমে।

বেশ অনেদিন পরে বউকে বাক যুদ্ধে হারিয়ে ফুরফুরে মন মেজাজেই আজ ঘুমাতে গেলাম আমি। কিন্তু একি ঘুম আসছে না যে। বুকটা খালি খালি লাগছে ভীষণ। বউটা প্রতিদিন আমার বুকেই ঘুমায়। আজ নেই বলে হয়তো খালি খালি লাগছে। নিশ্চই সে আজ আমার উপর অভিমান করে অন্য কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়েছে। ঘুমাক তো, আজ আমিও যাব না তার অভিমান ভাঙাতে। মেয়ে মানুষ যত লাই দিবে এরা তত মাথায় উঠবে। এই যেমন আমার বউটা। লাই দিতে দিতে মাথায় তুলে ফেলেছি একদম। আগে হাজারটা প্রশ্ন করলেও জবাব দিতো না আর এখন কারনে অকারণে আমার সাথে ঝগড়া করে। নিজের ইগো দেখিয়ে আর গেলাম না বউয়ের কাছে। বিছানার একপাশ থেকে একটা কোল বালিশ বুকে জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা চালালাম। কিন্তু ঘুম আর হলো না আমার, সারারাত না ঘুমিয়েই কাটালাম।

প্রতিদিন সকালে বউ আমার ঘুম ভাঙালেও আজ ঘুম ভাঙালো না। আমি একা একাই উঠে পড়লাম। ফ্রেশ হয়ে গেলাম ডাইনিং রুমে। কই কোথাও কেউ নেই। সবকিছু কাল রাতের মতোই পড়ে আছে। হয়তো কাল রাতের কথা ধরে মেয়েটা ওঠেওনি খাবারও বানায়নি। যাক ভালোই হয়েছে ওর ঐ বিস্বাদ খাবার ছেড়ে আজ অন্তত রেস্টুরেন্টে ভালো মন্দ খাওয়া যাবে। বউকে আর ডাকলাম না খুঁজলামও না যে সে কোন কক্ষে আছে। অফিসের জন্য তৈরী হয়ে বেরিয়ে এলাম বাড়ি থেকে। বেশ ভালো একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে পছন্দসই কিছু খাবারও অর্ডার করলাম। ওয়েটার খাবার দিয়ে গেলে উৎফুল্ল ভঙ্গিতে খেতে উদ্যত হলাম। কিন্তু সে খাবার আমার গলা থেকে নামলো না। হৃদয়ে তীব্র বেগে আঁচড়ে পড়লো "বউটা খেয়েছে তো আমার?" আসার সময় একবার দেখেও আসলাম না মেয়েটাকে। মেয়েটা নিশ্চই আমার সাথে অভিমান করে না খেয়েই আছে। খেতে চেয়েও কিছু খেতে পারলাম না আমি। ওয়েটারকে বলে খাবার গুলো প্যাক করে নিয়ে বেরিয়ে এলাম রেস্টুরেন্ট থেকে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভাবলাম কল দেই বউকে একবার। জিজ্ঞেস করি খেয়েছে কিনা। কিন্তু নিজের ইগোর কাছে হার মানলাম পরক্ষনেই। ভাবলাম ঝগড়া তো কাল আমি একা করিনি সেও করেছিল। সেই তো ঝগড়া আগে শুরু করেছিল তাহলে আমি কেন তাকে আগে কল করবো, আগে কথা বলবো? আর কল দিলাম না বউকে। খাবারগুলো রাস্তার পাশে কিছু অবহেলিত মানুষকে দিয়ে গেলাম অফিসে। সেখানেও কোনো কাজে মন বসাতে পারছিলাম না আজ। আবার নিজে ইগোও ভাঙতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ভাবলাম ফেক আইডি থেকে বউয়ের খোঁজ খবর নেওয়া যাক। তাতে বউ আমাকে নিশ্চই চিনতে পারবে না, বউয়ের খোঁজও পাব আর ইগোও ভাঙবে না। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ফেক আইডি থেকে বউকে মেসেজ করলাম।‌ বউ এসএমএস দেখলোই না। একবার দুইবার তিনবার কতগুলো এসএমএস করলাম ওপাশ থেকে কোনো সাড়াই দিল না। আমিও দমার পাত্র নই। একের পর এক কমপক্ষে ৩০ টার মতো এসএমএস করলাম বউকে। শেষে বউ বিরক্ত হয়ে উত্তর দিল,

-"সমস্যা কি? কে আপনি?"

বউয়ের উত্তর পেয়েই উৎফুল্ল হলাম আমি। সাথে সাথেই হাত চালিয়ে লিখতে গেলাম "খেয়েছো তুমি?" কিন্তু এতে যদি বউ চিনে নেয় আমাকে তাই আর লিখলাম না। অপরিচিত হওয়ার ভান ধরে বউয়ের সাথে ভাব জমাতে চাইলাম। বউকে পটানোর জন্য লিখলাম,

-"আমার সমস্যা তো আপনি।"

-"কেন কি করেছি আমি।"

-"আপনি ভীষণ সুন্দর।"

সাথে সাথেই দেখলাম বউ ওপাশ থেকে জবাব দিয়েছে,

-"শা'লা অন্যের বউকে সুন্দর বলতে লজ্জা করে না? চরিত্রহীন কোথাকার।"

আমি আহাম্মক বনে গেলাম যেন। নিজের বউকে নিজে সুন্দরী বলে কিনা চরিত্রহীনের উপাধি পেতে হলো শেষ পর্যন্ত। নাহ এ অপমান মানা যায় না। বউকে ফের এসএমএস দিতে গিয়ে দেখলাম বউ আমাকে ব্লক মেরে দিয়েছে। প্রথমে আশাহত হলেও পরক্ষনেই আমার হৃদয় উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। বউটা আমার ঠিক কতটা ভালোবাসে আমাকে। আমার দৃষ্টির আড়ালেও সে অন্য পুরুষের সাথে ঘনিষ্ট হওয়া তো দূরে থাক কথাই বলে না। আজকালকার যুগে এমন মেয়ে বউ হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর আমি কিনা কাল কতকিছু বলে অপমান করলাম তাকে। সকালে একবার না দেখেই চলে এলাম। মনের ভিতরে অনুতাপবোধ জাগ্রত হলো। নিজের ইগোকে ছুঁড়ে ফেললাম বাইরে। অফিস থেকে জরুরি ভিত্তিতে ছুটি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম।

দোকান থেকে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি, বেলী ফুলের মালা আর দুই মুঠো চুরি নিলাম বউয়ের জন্য। বউয়ের অভিমান ভাঙাতে হবে যে, আর তারপর খাওয়াতে হবে।

বাসার দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজালাম। ক্ষানিক বাদেই মলিন মুখে বউ দরজাটা খুলে দিল। মেয়েটার মুখটা দেখে হৃদয়টা আমার কম্পিত হলো যেন। এক রাতেই মেয়েটার মুখশ্রী কেমন চুপসে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। বউ আমাকে দেখেই উল্টো হাঁটা ধরলো আমিও সময় ব্যয় করলাম না। কোনো রকম দরজাটা আটকেই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম বউকে। বউ ছিটকে সরে যেতে চাইলো আমার বাঁধন থেকে। আমিও কম যাই না। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম বউয়ের ছোট খাটো কোমল দেহটাকে। অপধারীর কন্ঠে বললাম,

-"স্যরি বউ মাফ করে দাও। আমি কাল খুব বেশিই বলে ফেলেছি।"

বউ আমার শান্ত হয়ে দাঁড়ালো তবে বলল না কিছুই, ফিরেও তাকালো না আমার দিকে। আমি এক প্রকার জোর করেই বউকে আমার দিকে ফিরিয়ে নিলাম। দুই হাতে কান ধরে বললাম,

-"এই দেখো কান ধরেছি আর কখনও ওভাবে বলবো না। তবুও আমার সাথে অভিমান করে থেকো না লক্ষ্মীটি।"

বউ হুট করেই আমাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরলো। বুকে মুখ গুঁজে ডুকরে কেঁদে উঠলো। কাঁদতে কাঁদতেই বলল,

-"কাল কতগুলো কথা বললেন আপনি আমাকে। আপনি ভীষন পঁচা, পঁচা লোক একটা।"

আমি হাসলাম বউয়ের কথায়। তার সুবাশযুক্ত চুলের ভাঁজে চুমু খেয়ে বললাম,

-"হুম, তোমার পঁচা জামাই।"

পঁচা_জামাই
অনুগল্প
সাদিয়া_শওকত_বাবলি

স্বামীর ধনসম্পদ নয়, বরং স্বামী যদি সৎ, আদর্শবান, Understanding, Loving & Caring হয় তাহলে সেই স্বামী নিজেই কোটি টাকার সম্পদ! ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ!
আর যদি Loving & Caring না হয়, তাহলে সেই স্বামীর কোটি টাকাও সুখ দিতে পারে না! বাস্তবতা হচ্ছে সৎ, আদর্শবান, Understanding, Loving & Caring পুরুষ পৃথিবীতে দুষ্প্রাপ্য সম্পদ!❤️


#নানুরমেয়ে

https://www.facebook.com/share/ES1f19JturtJimUN/?mibextid=oFDknk

সাংসারিক অশান্তিতে ভুগছেন?

We are on board with our NLP practitioner batch. Professionals are joining from different organisations and places. Power structures exist in all communities. We are ready to identify power structures of this community.

#শিশুর মুখে গা*লি* বা বাজে শব্দ

সন্তানকে নিয়ে সবসময়ের বেশীরভাগ বাবা মায়ের একমাত্র চাওয়া তার সন্তান একদিন অনেক বড় হবে এবং তার সন্তানকে সবাই ভালো বলবে।
এবং বাবা-মায়ের ধারণা উপরের দুটি জিনিস পাওয়ার জন্য তার সন্তানকে অনেক শিক্ষিত ও ভালো আচরণের অধিকারী হতে হবে।

কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন বাবা-মা দেখে তার সন্তান
আশানুরূপ আচরন করার পরিবর্তে বিপরীতমুখী আচরন করে।

সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর বিষয়টি কিংবা শিখার আগ্রহ তৈরি নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো।

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় খারাপ আচরণের একটি মূল উপাদান যেটা হচ্ছে গা*লি* বা বাজে শব্দ ব্যবহার।

আপনি যদি চান আপনার সন্তান সুন্দর ভাষা ও শ্রদ্ধা বজায় রেখে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাথে মিশুক এবং ছোট/বড়/সমবয়সীদের সাথে কথা বলার সময় বাজে শব্দ ব্যবহার না করে, সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলুক তাহলে
নিচের চারটি কাজ করুন:-

প্রথমত, আপনার সন্তানের সাথে বেশী বেশী কথা বলুন। সন্তানের সাথে কথা বলার সময়, আপনি শব্দ দিয়ে তার সাথে ভাব বিনিময় করছেন ; সেখান থেকে কিছু কিছু শব্দের অন্য সহজ ও সাবলীল সমার্থক শব্দ সম্পর্কে তাকে জানান। এতে করে আপনার সন্তানের শব্দ ভান্ডার বাড়বে।

দ্বিতীয়ত, আপনার সন্তানের সাথে কথা বলার সময় আপনি এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাষার ব্যবহারে সচেতন হোন। আরে ওতো ছোট, কিছু বুঝতে পারবে না। এমন ধারণা মনের মধ্যে রেখে শিশুর সামনে বাজে শব্দ ব্যবহার করা বন্ধ করুন।

তৃতীয়ত, আপনার শিশু মনের অজান্তে কিংবা স্বেচছায় যদি গালি বা বাজে কথা বলে। সেই মুহূর্তে শিশুকে পজিটিভ বা নেগেটিভ অ্যাটেনশন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারন শিশু যদি দেখে তার এধরনের শব্দ ব্যবহারের পর আপনি আপনার ফোকাস তার দিকে সরিয়ে নিচ্ছেন তাহলে সে সেইম শব্দ বারবার করতে চাইবে।

চতুর্থ, আপনার শিশু কোন ধরনের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় /টিভিতে এমন কন্টেন্ট দেখে কিনা যেখানে বাজে কথা বলাটাকে আধুনিক কিংবা কুল মনে করা হয়। শিশুর এধরনের বাজে সঙ্গী ও বাজে অনুষ্ঠানে দেখা বন্ধ‌ করুন।

সর্বোপরি, আপনার শিশুর সামনে আদর্শের ফাঁকা বুলি না আওড়িয়ে; আপনার নিজেকে শিশুর জন্য একজন আদর্শ রোল মডেল হিসেবে তৈরি করুন। আপনার সন্তানের সাথে আপনার মতাদর্শ ও সম্পর্ক উন্নয়নে পজিটিভ প্যারেন্টিং প্রাকটিস করুন। নিজে একা না পেরে উঠলে প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট এর কাছ থেকে কাউন্সিলিং সেবা নিন।

➡️ লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট:ডকটাইম ।

আপনি জানেন আপনি একজন ভালো মনের মানুষ। কিন্তু তারপরও আপনার ভালোবাসার মানুষটি যদি , আপনার সাথে সম্পর্কে থাকা অবস্থায় পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত এবং আপনাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে চলে যেতে চায়।
তাহলে দুঃখ না পেয়ে, তাকে চলে যেতে দিন।

কারণ আপনি একটি বানরকে কখনোই বোঝাতে পারবেন না যে মধু সবসময়ই কলার চেয়ে বেশি মিষ্টি এবং বেশি স্বাস্থ্যকর।

তাই আপনি আপনার নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

ভুল মানুষটিকে ভালোবাসে জীবনের যে শখ আহ্লাদ গুলো জলাঞ্জলি দিয়েছেন, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। একটা একটা করে সবকটা শখ পূরণ করুন।

প্রতিদিন নিজের মতো করে বাঁচুন। মনে রাখবেন আমাদের জীবনটা ভীষণ ছোট। পুরো জীবনটা আফসোস আর হতাশার মধ্যে ডুবে থাকার জন্য আল্লাহতায়ালা আমাদের দুনিয়ার বুকে পাঠাননি। আমাদের জীবনের সুন্দর কিছু লক্ষ্য রয়েছে।

পাশাপাশি আমাদের জীবনে কঠিন সময় আসলে কিভাবে সেটাকে সুন্দরভাবে কাটাতে হয় সেই লাইফস্কিলটা ও শিখতে হবে।

জীবনের কিছুটা সময় সেল্ফ কেয়ার, কিছুটা সময় ইবাদত, কিছুটা সময় আপনজনদের ভালোবাসা , কিছুটা সময় আল্লাহর সৃষ্টিকুলের জন্য আপনার সাধ্যের মধ্যে কিছু করার চেষ্টা করুন।

সর্বোপরি, অন্য কারো কাছ থেকে ভালোবাসা আশা করার আগে, নিজেকে ছোট্ট একটা প্রশ্ন করুন। আমি আমার আমাকে কতটুকু ভালোবাসতে পেরেছি????

➡️লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট: ডকটাইম ।

#নিজের #যত্ন

আজকে আমরা জানবো বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার কি এবং এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।

🌿বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার🌿

➡️বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হল একটি মানসিক ব্যাধি যা একজন ব্যক্তির ইমোশন বা আবেগ পরিচালনা করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। যার ফলে ব্যক্তি সবসময় অস্থিরতায় , মন খারাপ এ ভোগে এবং এদের রাগের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তি মনে করে তার আপনজনরা তাকে ছেড়ে চলে যাবে, যেটা ব্যক্তির মধ্যে ভীতির উদ্রেক করে।

🌿বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার এর লক্ষণ🌿

#১) মানসিক অস্থিরতা / "অ্যাফেক্টিভ ডিসরেগুলেশন" :

➡️বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়শই তীব্র নেতিবাচক আবেগ অনুভব করে থাকে ।যেমন :- রাগ , দুঃখ , লজ্জা , ভয় ইত্যাদি ।এছাড়াও ব্যক্তির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শূন্যতা ও একাকীত্বের অনুভূতি হয়ে থাকে ।ব্যক্তির মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা ও দেখা যায়।

#২) ব্যক্তির মধ্যে Cognitive distortions "জ্ঞানগত বিকৃতি" বা perceptual distortions"বোধগম্য বিকৃতি" দেখা যায়।যেমন:-

ক)ব্যক্তির মনে নানা রকম মনখারাপ বা বিরক্তিকর অনুভূতির চিন্তা আসে – যেমন: মনে করা যে সে একজন ভয়ানক ব্যক্তি বা তার অস্তিত্ব নেই।

খ)Brief episodes of strange experiences/ অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত এপিসোড – যেমন একবারে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মাথার বাইরে কণ্ঠস্বর শোনা।

গ)Prolonged episodes of abnormal experiences/ অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার দীর্ঘ পর্ব – যেখানে আপনি হ্যালুসিনেশন (আপনার মাথার ভিতরে অন্য কেউ আপনার সাথে কথা বলছে) এবং কষ্টদায়ক বিশ্বাস উভয়ই অনুভব করতে পারেন ।(যেমন: বিশ্বাস করা যে আপনার পরিবার গোপনে আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে)।

#৩) ইমপালসিভ বা আবেগপ্রবণ আচরণ:
➡️সেল্ফ হার্ম বা নিজের ক্ষতি করা, অতিরিক্ত রাগ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ড্রাগ মিসইউজ,গ্যাম্বলিং, সুইসাইডাল প্রবনতা ইত্যাদি।

#৪) অন্যদের সাথে গভীর এবং আনস্টেবল সম্পর্ক :

➡️এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে তার সাথে নিম্নোক্ত কিছু আচরণ করে:

ক)অন্য ব্যক্তিকে ক্রমাগত টেক্সট বা ফোন করা।

খ) হঠাৎ মাঝরাতে ওই ব্যক্তিকে ফোন করা।

গ)যদি সেই ব্যক্তি তাকে ছেড়ে চলে যায় তবে নিজেকে ক্ষতি করার বা হত্যা করার হুমকি দেওয়া ইত্যাদি।

➡️ লেখিকা:জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট: ডকটাইম

🌿References:
NHS . UK
McLeanhospital . org
nimh . nih . gov

#শিশুর ভাষার বিকাশ

শিশুদের ভাষার বিকাশ হল শৈশবকালীন ভাষা বোঝা এবং প্রকাশের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া শিশুদের জন্মের আগে থেকে শুরু হয় এবং তারপর অনেক বছর ধরে চলতে থাকে।
একটি শিশুর বিকাশের সাথে সাথে, তাদের মস্তিষ্ক বিভিন্ন ধরনের শব্দ, বক্তৃতা সনাক্ত করতে শেখে। তারা সাধারণত ওয়েবিং, ব্যাবলিং এবং ইশারা করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়৷

আজকে আমরা শিশুর ভাষার বিকাশের কি কি ধাপ / পর্যায় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবো।

চলুন শুরু করি:

শিশুর ভাষার বিকাশের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে।

১)প্রাক-ভাষাগত পর্যায় (Pre-linguistic stage)
২) ব্যাবলিং পর্যায় (Babbling stage)
৩) প্রথম শব্দের পর্যায় (First-word stage)
৪)দুই-শব্দের পর্যায় (Two-word stage )
৫)টেলিগ্রাফিক পর্যায় (Telegraphic stage)
৬)বহু-শব্দ পর্যায় (Multi-word stage)

🔷প্রাক-ভাষাগত পর্যায় (Pre-linguistic stage)🔷

👉 শিশুর ভাষার বিকাশের এই পর্যায়ে, যা একটি শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাসে ঘটে থাকে । শিশুরা এই ধাপে উদ্দীপনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করে। এই ধ্বনিগুলি মূলত কান্নাকাটি এবং বার্পিং (burping) এর মতো ধ্বনি নিয়ে গঠিত।

শিশুর দুই মাস বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত , কুইং (cooing) অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়ে থাকে।কিন্তু আনুমানিক দুই মাস বয়সে, শিশুরা ইচ্ছাকৃতভাবে কুইং(cooing) শব্দ তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি প্রাক-ভাষাগত পর্যায়ে শিশুরা শব্দ উপলব্ধি করতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়।

🔷 ব্যাবলিং পর্যায় (Babbling stage)🔷

👉বাচ্চাদের বয়স যখন প্রায় ছয় মাস হয় তখন ব্যাবলিং পর্যায় শুরু হয় এবং প্রায় এক বছর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে।
বাচ্চার বয়স যখন প্রায় চার মাস তখন তার গলবিল গহ্বর বা (pharyngeal cavity)গঠিত হয় যা তাদের আরও শব্দ তৈরিতে সাহায্য করে। এসময় শিশুর চোয়ালগুলিও ড্রপ করে যা শিশুকে তার জিহ্বা নাড়াচাড়া করতে সহায়তা করে। এই বিকাশগুলি বাচ্চাদের ব্যাবলিং শব্দ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

🔷প্রথম শব্দের পর্যায় / হলোফ্রাস্টিক স্টেজ(First-word stage)🔷

👉প্রথম শব্দের পর্যায়, প্রায় এক বছর থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস (প্রায় ১-১/২ বা ২ বছর বয়স পর্যন্ত) চলতে থাকে।

এই পর্যায়টিকে হলোফ্রাস্টিক স্টেজ হিসাবেও উল্লেখ করা হয় কারণ এই পর্যায়ে একটি
"একটি শব্দ = একটি বাক্য" প্যাটার্ন
শিশু দ্বারা উৎপাদিত উচ্চারণে বিদ্যমান বলে মনে হয়।
যেমন: মামা, দাদা, বল, জুস ইত্যাদি।

🔷দুই-শব্দের পর্যায় (Two-word stage )🔷

👉দুই-শব্দের পর্যায়টি সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়সে ঘটে এবং এতে ছোট বাচ্চারা তাদের বক্তৃতায় দুই-শব্দের বাক্যাংশ ব্যবহার করে।
এই পর্যায়ে, বাচ্চারা মৌলিক বাক্য তৈরি করতে দুটি শব্দকে একত্রিত করতে শুরু করে।
যেমন: 'বই পড়' বা 'মা আসো' ইত্যাদি।

🔷টেলিগ্রাফিক পর্যায় (Telegraphic stage)🔷

👉এই পর্যায়টি সাধারণত ২৪-৩০ মাসের মধ্যে ঘটে। যেহেতু এই পর্যায়ে উৎপাদিত বাক্যগুলি টেলিগ্রামে পাওয়া তথ্যের অনুরূপ তাই এই পর্যায়টিকে টেলিগ্রাফিক পর্যায় বলা হয়।
এই পর্যায়ে শিশুরা বাক্যগুলোকে ছোট করলে , সাধারণত শব্দ ক্রম ত্রুটি দেখা যায় না।
"গাড়ি যায়" "বাবা ক্লান্ত", "হ্যান্ড ওয়াশ" সবই টেলিগ্রাফিক বক্তৃতার উদাহরণ।

🔷বহু-শব্দ পর্যায় (Multi-word stage)🔷

শিশু যখন ৩০ মাস অতিক্রম করে, তখন তারা বহু-শব্দ পর্যায়ে প্রবেশ করে।
তারা ক্রমবর্ধমান জটিল বাক্য তৈরি করে যার ফলে তারা তাদের ধারণাগুলিকে আরও ভালভাবে প্রকাশে করতে পারে । তারা আরো মিনিংফুল ওয়েতে শব্দ বা বাক্যাংশ তৈরি করতে morphemes অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করে।

উদাহরণস্বরূপ, তারা একাধিক কুকুর উল্লেখ করার সময় "কুকুর" এর পরিবর্তে "কুকুর গুলো " শব্দটি ব্যবহার করতে জানে।

➡️লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট : ডকটাইম।

➡️Reference:

> structural learning . com
> Study . com
> mnstate . edu
> Studysmarter. co . uk
> indeed . com

https://youtu.be/mTymdvM_c5I?si=w5-jMAj7U-1oz40L

উদ্বিগ্নতা পর্ব-১

🔷 পড়া সহজে মনে রাখার উপায় 🔷

পড়া মনে রাখার জন্য আমরা একেক জন একেক পদ্ধতি ফলো করি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পড়া মনে রাখার দারুন কার্যকরী একটি পদ্ধতি সম্পর্কে শেয়ার করবো।

এই পদ্ধতিটির নাম হচ্ছে ফাইনম্যান টেকনিক।
এই পদ্ধতিটির উদ্ভাবক হচ্ছেন রিচার্ড ফিলিপস ফাইনম্যান।
তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

এখন আপনাদের জানাবো ফাইনম্যান টেকনিক সম্পর্কে:

🔹ফাইনম্যান টেকনিক 🔹

ফাইনম্যান টেকনিকে যেকোন বিষয়ে বোঝার জন্য চারটি স্টেপস বা ধাপ অনুসরন করা হয়।
এই টেকনিকটি না বুঝে কোন কিছু মুখস্ত করাকে প্রত্যাখান বা নিরুৎসাহিত করে।
এখানে ব্যক্তিকে যেকোন টপিক নির্বাচন, সেটা নিয়ে গবেষণা,লেখা,ব্যাখ্যাকরন এবং পরিমার্জনকে উৎসাহ প্রদান করা হয়। চারটি স্টেপস এর প্রতিটি স্টেপস পুনরাবৃত্তিযোগ্য।

ফাইনম্যান টেকনিকের চারটি ধাপ:

ধাপ-১: স্টাডি বা অধ্যয়ন:-

প্রথমে, শেখার জন্য যেকোনো একটি কনসেপ্ট বা ধারণা নির্বাচন করুন। যে বিষয়গুলো আপনি শিখতে চান কিংবা যে টপিক গুলো আপনার কঠিন মনে হয় কিংবা বারবার পড়ে ও মনে রাখতে পারেন না; সেখান থেকে যেকোনো একটি টপিক সিলেক্ট করুন। টপিক নির্বাচনের পর উক্ত বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ধাপ-২: শেখানো:-

এবার উক্ত টপিকটি পড়ে আপনি কি বুঝলেন সেটা নিজের কাছে নিজেই ব্যাখ্যা করুন কিংবা আপনার আশেপাশের বন্ধু বা উপস্থিত কাউকে বিষয়টা বোঝান। মুখে বলতে ইচ্ছে না করলে টপিকটা পড়ে আপনি কি বুঝলেন, সেটা খাতায় লিখে ফেলুন।

ধাপ-3: ফিল ইন দ্যা গ্যাপস বা শূন্যস্থান পূরণ করুন:-

আপনি অন্যকে বোঝানোর সময় কিংবা নিজে লিখার সময় যদি আটকে যান, তাহলে আপনার নির্বাচিত টপিকটি আবার পড়ুন। পড়ে দেখুন আপনি কোথায় আটকে যাচ্ছেন। আপনার কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা বা কঠিন লাগছে সেটা সনাক্ত করুন।

ধাপ-৪: সিম্পলিফাই বা সরলীকরণ :-

আপনার ব্যাখ্যাটাকে জটিল না করে ছোট ছোট ভাগে সিম্পলিফাই করুন। কিছু কিছু জায়গায় আপনার মনে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন অ্যানালজি বা উপমা ব্যবহার করতে পারেন।

উপরের টেকনিকটি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কিংবা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি যারা নিচ্ছেন তাদের জন্য ভীষণ উপকারী।

লেখাটি ভালো লাগলে আপনার আপনজনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

➡️ লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট:ডকটাইম।

https://youtu.be/Mru8GyakvWg?si=XOh4phnNe2JarwEi

বাবা মায়ের মধ্যকার ঝগড়াঝাঁটি ও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি ।

⏹️ লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ ⏹️

অনেক স্ত্রীরা আছেন যারা সবসময় তাদের স্বামীর কাছে কমপ্লেইন করে থাকে যে, তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না। পাশের বাসার ভাই ভাবীর জন্য কত কিছু করে, প্রতিমাসে ভাবিকে শপিংয়ে নিয়ে যায়! বছরে দুইবার ফরেন ট্যুর দেয়!... ইত্যাদি ।

তখন স্বামী বেচারা বিপদে পড়ে যায়, মনে মনে ভাবে সারাজীবন লয়াল থেকে কি লাভ হল!! যদি দিনশেষে প্রিয়তম স্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য শুনতে হয়।

আসলে এক এক মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের ধরন একেক রকম। একেক জন একেক রকম ভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পছন্দ করে।

আপনার দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আজকে আপনাদের সাথে ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যান (Dr. Gary Chapman)এর মতে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম বা লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো কি কি সেটা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।

ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যান ,
ভালোবাসা প্রকাশের পাঁচটি মাধ্যমের কথা বলেছেন:
🔹 প্রেইজ বা প্রশংসা করা।
🔹 কোয়ালিটি টাইম।
🔹 ফিজিক্যাল টাচ বা শারীরিক স্পর্শ।
🔹 সঙ্গীনির কাজে সহায়তা।
🔹গিফ্ট বা উপহার আদান-প্রদান ।

🔷 প্রেইজ বা প্রশংসা করা🔷

➡️ দাম্পত্য সম্পর্ক হোক অথবা প্রেমের সম্পর্ক, আপনার সম্পর্কটি ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আপনার পার্টনারের প্রশংসা করতে হবে ।এইটা আপনাদের সম্পর্ককে আরো সুন্দর করতে সহায়তা করবে।
অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না, কিভাবে প্রশংসা করবেন।

যেমন ধরুন; আপনার পার্টনারের ছোট ছোট সুন্দর কাজ, বক্তব্য, পোশাক, আচরন ইত্যাদির প্রশংসা করতে পারেন। তবে প্রশংসা করার সময় অতিরঞ্জিত শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো।

🔷কোয়ালিটি টাইম🔷

➡️ সময় পেলে আপনার সঙ্গীনির সাথে, কিছুটা সময় সুন্দরভাবে কাটান।
যেমন: সাধ্য অনুযায়ী, তার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়া কিংবা পছন্দের রেষ্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, একসাথে বসে গল্প করা অথবা দু’জনার একসাথে হাঁটতে যাওয়া ইত্যাদি।

🔷ফিজিক্যাল টাচ বা শারীরিক স্পর্শ🔷

➡️ প্রতিদিন আপনার সঙ্গীনিকে জড়িয়ে ধরা, আলিঙ্গন করা , হাত ধরা, কপালে চুমু দেওয়া ইত্যাদি। এতে করে আপনার পার্টনার আপনার কাছে নিরাপদ অনুভব করেন। আপনাদের সম্পর্ককে আরো বেশি মজবুত ও দৃঢ় করে।

🔷 সঙ্গীনির কাজে সহায়তা🔷

➡️ আপনার স্ত্রী তার কাজের জন্য আপনার কাছে কোন ধরনের সাহায্য এক্সপেক্ট করে, সেটা তাকে জিজ্ঞেস করে এবং সে অনুযায়ী তার কাজে সহায়তা করুন।

🔷গিফ্ট বা উপহার আদান-প্রদান 🔷

➡️ আপনার সঙ্গীনি যে ধরনের উপহার পছন্দ করে, সেগুলো মাঝে মাঝে তাকে কিনে দিন।
যেমন: ফুল, চকলেট, এক্সেসরিজ কিংবা আপনার উপস্থিতি ইত্যাদি।

আপনার পার্টনার উপরের কোন কোন লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ পছন্দ করে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

➡️লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট : ডকটাইম

🔷 হাসির উপকারিতা 🔷

আমাদের মনের সুখ ও আনন্দ অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে হাসি।আপনি উচ্চ স্বরে হাসেন কিংবা মুচকি হাসি হাসেন দুটোই আপনার মুড এ ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এটি একটি অতীব প্রয়োজনীয় কমিউনিকেশন স্কিল।

হাসির মাধ্যমে আমরা নিজেদের মনের আনন্দ অনুভূতি গুলো আমাদের আশেপাশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি। হাসির মাধ্যমে আমরা আমাদের দুঃখ, কষ্ট ও ক্লান্তি গুলো ভুলে গিয়ে কিছুটা সময় স্বস্তি ফিরে পাই।

চলুন আজকে আমরা হাসির কিছু উপকারি দিক সম্পর্কে জানি:

>আমাদের রাগ কমাতে হাসির ভূমিকা অপরিসীম।
>রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
>শরীরকে রিলাক্স করতে সহায়তা করে।
>এন্ডরফিন হরমোন নিঃসরণ করে।
>শরীরের ক্যালোরি বার্ন করে।
>হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
>পারস্পরিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।
>স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

সর্বোপরি, আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখতে হাসির উপকারিতা অপরিসীম।

➡️লেখিকা: জাকিয়া আক্তার
কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট:ডকটাইম

#হাসি
#হাসির_উপকারিতা

তুমি প্রোফাইল পিকচারে যাকে দেখো, সে আমি নই। খেয়াল করে দেখো, ওই ছবিতে খুঁত নেই কোথাও। ওই ছবিটা সুন্দর! দশটা ছবি তোলার পরে সবচেয়ে সেরাটা যায় প্রোফাইলে। ওটাতে চোখের নিচের অর্ধ ডজন ভাঁজ নেই, নেই দেড় ইঞ্চি জুড়ে থাকা ডার্ক সার্কেল, কিংবা মুখের এখানে সেখানে থাকা ব্রণের দাগ। তুমি বলো, ওসব ছাড়া মানুষ হয় নাকি?

প্রোফাইলে টাঙ্গানো ছবিটা চুলে শ্যাম্পু করার পর তোলা। বাস্তবে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা থাকে না। বাস্তবে বেশিরভাগ সময় মাথায় কাকের বাসা হয়। মজা করে বলছি না, অমন অপরিপাটি চুল নিয়ে কোথাও কিছুক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলে কাক এসে ডিম পেড়ে যেতেও পারে!

ঠোঁটের কোণের চিলতে হাসি বাস্তবে সবসময় থাকে না। কপালে বিরক্তির ভাঁজ থাকে। চোখেমুখে বিতৃষ্ণার ছাপ থাকে। ঠোঁটে ফেটে যাওয়া দাগ থাকে। হাতে পায়ে রুক্ষতার ছাঁট থাকে। গায়ে ঘামে ভেজা কাপড় থাকে। গর্তে ঢুকে যাওয়া চোখে নানান কাজের চাপ থাকে; থাকে সেই অপ্রাপ্তির গল্পটা যেটা তুমি প্রোফাইল পিকচারে ধরতে পারো না।

বিশ্বাস করো, প্রোফাইলের হাসিখুশি মানুষটাকে বাস্তবে দেখলে তুমি ভয়ও পেয়ে যেতে পারো। মনে হতে পারে যুদ্ধ কবলিত কোনো এলাকা থেকে আগত কেউ একজন। মনে হতে পারে দুর্ভিক্ষ কবলিত এলাকায় জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো কেউ একজন। মনে হতে পারে যাকে তুমি দেখেছ এ সে নয়; অন্য কেউ।

প্রোফাইল পিকচার এমন এক মিথ্যে কথা যা আমরা সবাই বলি। কেন বলি? নিজের জন্য বলি। জীবনের যাঁতাকলে পিষ্ট প্রত্যেকটা মানুষ একটু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে সুখী-সুন্দর দেখতে চায়। সুখী-সুন্দর মুখ দেখতে সবার ভালো লাগে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সুন্দর জামা-কাপড় পরে থাকলে, মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, মন ভালো থাকে। আমরা সবাই নিজেদের মন ভালো রাখতে চাই। মিথ্যে করে হলেও চাই। নির্দিষ্ট কাউকে ঠকানোর উদ্দেশ্য না থাকলে এই চাওয়াতে দোষ দেখি না।

তুমি যেন আবার ওই ছবি দেখে আমাকে বিচার করো না! ওই ছবিতে আমাকে যতটা সুন্দর দেখায়, বাস্তবে আমি তার ধারে কাছেও নই। ওই ছবি দেখে ক্রাশ পর্যন্ত ঠিক আছে। ভুলেও ছবি দেখে আমাকে আবার ভালোবেসে ফেলো না। ফেঁসে যাবে, একদম ফেঁসে যাবে!

➡️লেখিকা: খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া

প্রেমে পড়া বারণ
১৯.০৬.২০২০