Psychologist Rono

Psychologist Rono

This is Md. Wahid Anowar Rono,
Psychologist and trained CBT practitioner. I am-

- Open
- Nonjudg

02/11/2023

বাবার ধর্মীয় বিশ্বাস, আদর্শ বা কর্ম দিয়ে সন্তানকে জাজ করা মোটেই সমর্থন করি না, সুই*সাইডাল কেসে তো প্রশ্নই আসে না। হোক সেটা তারেক জামিল সাহেবের পুত্র কিংবা শাহরিয়ার কবির সাহেবের কন্যা!

আমাদের মাথায় বদ্ধমূল হয়ে আছে হুজুরের ছেলে হবে হুজুর, নেতার সন্তান হবে নেতা, সেলিব্রেটির সন্তান হবে সেলিব্রেটি, আমলার সন্তান হবে আমলা।

এই যে বাবার মতো হওয়ার জন্য সমাজের চাপ, বাবা মায়ের চাপ- একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তির আত্মপ্রকাশের অন্তরায়। প্রাকৃতিক ভাবেই প্রতিটি মানুষের চিন্তা, চেতনা, মানসিক দৃঢ়তা, মূল্যবোধে পার্থক্য থাকবে।

আমরা সেটা বুঝতেই চাই না। আমরা সন্তানকে গিয়ে চাপ দিই - আরে, তোমার বাবা কত বড় অমুক, তুমি কি করলা জীবনে? তোমার কি এটা করা মানায়?

আবার বাবা মা কেও চাপ দিই - আপা, আপনি নিজে কত বড় অমুক, আপনার ছেলে ক্যান পড়াশোনা করে না, সে কি করবে জীবনে? কিংবা আপনার ছেলে/মেয়ে এমন কাজ কেমনে করতে পারলো? আপনি তাকে কি শেখালেন?

হ্যাঁ, শিখিয়ে দিলেই একটা মানুষ প্রত্যাশিত আচরণটা করবে বা নাক বরাবর সেই পথে চলবে- এই প্রত্যাশা আমাদের তখনই আসে যখন আমরা মানুষকে খুবই কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কোন প্রাণী মনে করি। এইরকম ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের আকারের প্রাণীগুলোকে যা শেখানো হয়, ওরা তা-ই করে যায় জীবনভর। কারণ, তাদের মাথায় কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হয় না।

অর্থাৎ, মানুষের লার্নিং প্রসেসে পিতা-মাতার দেয়া ইনপুটই সব নয়।

“আপনি নিজের সন্তানকে কি শেখালেন, যে সে আত্ম*হ*ত্যা করলো?”- এই প্রশ্ন তারেক জামিল সাহেবকে করার আগে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে আদম (আঃ) কাবিলকে হ*ত্যার শিক্ষা না দিলেও পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মানব হ*ত্যা কাবিলের হাতেই হয়েছে৷ অর্থাৎ, শেখালেই সবকিছু আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হবে না। অনেক কিছু শেখানোর বাইরেও হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, ডিপ্রেশন কিংবা আত্মহ*ত্যা প্রবণতা হলো মানসিক রোগ। এর জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। ডিপ্রেশনের মাত্রা অনুযায়ী ঔষধ ও নিয়মিত সাইকোথেরাপি সেশনে যুক্ত থাকার মাধ্যমে এই রোগ থেকে সেরে ওঠা সম্ভব। আমরা ডিপ্রেশনকে খুবই হালকা করে দেখি, অন্যের ডিপ্রেশন নিয়ে গসিপ করি৷ আবার অনেক সময় অজ্ঞতাবশতঃ বলে থাকি শুধুমাত্র ধর্মীয় ইবাদত করলেই ডিপ্রেশন ভালো হয়ে যাবে।

হ্যাঁ, ধর্মীয় ইবাদত মানসিক শান্তি ও স্থিরতা আনতে খুব সহায়ক। কিন্তু রোগে প্রকৃত চিকিৎসা না নিয়ে শুধু ধর্ম কর্ম যদি রোগ সারাতে পারতো তাহলে পৃথিবীতে এত হাসপাতাল, চিকিৎসক, সাইকোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, গবেষণার দরকার হতো না।

হ্যাঁ, রোগ সারার জন্য সৃষ্টিকর্তার রহমত প্রয়োজন এবং মানুষের আয়ুও সৃষ্টিকর্তা নির্ধারিত। আবার এটাও সত্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, পাচ্ছে। তার মানে সৃষ্টিকর্তা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন , আলহামদুলিল্লাহ।

আমরাও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহায়তা নিব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ নয়- এই সত্য অনুধাবন করবো। বাবা-মা বা সন্তানের দিকে আঙুল তোলা নয়, সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে, দ্বন্দ্বের নিরসনে কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করবো।

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

( বি. দ্র. : আত্ম* হ*ত্যা করলে ব্যক্তি জাহান্নামে যাবেন - এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আত্ম হ*ত্যা করা ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে থাকি। আসলে এই ফতোয়া' র সত্যতা কতটুকু?

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট আলেম আহমদউল্লাহ সাহেবের বক্তব্যে জানতে পেরেছি - হ্যাঁ, এটি চরম গুনাহের কাজ নিঃসন্দেহে। কিন্তু ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামে যাবেন এমন কোন দলিল নেই।
আমরা আদৌ জানি না মৃত্যুর পর কার গন্তব্য কোথায় হবে। এই বিষয়ে সৃষ্টিকর্তা ভালো বলতে পারবেন।

আসুন, আমরা নিজেরা জান্নাতী-জাহান্নামী নির্ধারণ করা থেকে দূরে থাকি, সৃষ্টিকর্তার সিদ্ধান্তে আস্হা রাখি। পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে কঠিন করে তোলা থেকে বিরত থাকি। )

24/10/2023

🥲
Sad but true...
Mamun Mohammad Abdullah Al ভাই...
Restart Mental Health Service 🌹

22/10/2023

Sharing with consent

ক্লায়েন্টের অনেক নেতিবাচক চিন্তা কাজ করতো। তাঁর মূল চিন্তন ছিল অন্যদের কেন্দ্রিক।

- অন্য কেউ আমাকে দেখছে, আমার হাঁটার ভঙ্গি জাজ করা হচ্ছে
- আমার কথা শুনে অন্যরা কি বলবে
- রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে কারো সাথে ধাক্কা লাগলে কি হবে

এরকম আরো বেশ কিছু চিন্তার কারণে সামাজিক যোগাযোগ ও মেলামেশা এভয়েড করা, বাইরে বের না হওয়া ছিল তাঁর জন্য দৈনন্দিন।

এছাড়া পাবলিক স্পিকিং, বন্ধু বানানোতে সমস্যা ফেস করতেন।

এই বিষয়গুলো, এই সংক্রান্ত চিন্তাগুলো নিয়ে সেশন বাই সেশন কাজ করার পর ৫ম সেশনে ক্লায়েন্ট অনেকটাই উন্নতির জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন।

19/10/2023

সামর্থ্য আর ফর্মে ইন্ডিয়া এগিয়ে।
তবে মন বলছে বাংলাদেশ জিতবে!

বাংলাদেশের বর্তমান দল ভালো। কিন্তু দলের ঐক্যের অভাব। সবাই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবে, নিজের জান বাঁচানো খেলা খেলে।
আরে ভাই, দল হতে গেলে আগে এক আত্মা এক পরাণ হতে হয়। মনটাকে বড় করে ইগোগুলোকে এক পাশে রেখে দেশের জন্য লড়তে হয়।

আজ সেটাই করে দেখাক লাল সবুজের বাংলাদেশ।

আমি বিশ্বকাপ জেতার আনরিয়েলিস্টিক আশা করি না। আজকের ম্যাচ জয়ই আমার কাছে বিশ্বকাপের সেরা প্রাপ্তি।

যতটা আবেগ, ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস এদেশের মানুষের - এইটুকু কি তারা আশা করতে পারে না?

18/10/2023

তোমার সাফল্যে আমি আনন্দিত, গর্বিত!
নানা ঝামেলার মধ্যেও ডাবল মাস্টার্স কম্প্লিট করেছ, স্ত্রী হিসেবে প্রতিটি কাজ নিজ হাতে করেছ, অফিস সামলেছ, তারপরও কত ভালো রেজাল্ট!

Congratulations for completing your 2nd Master’s in Counselling Psychology from University of Dhaka.

I know you are the best!

13/10/2023

Sharing with consent....

এই কেসটি হতে পারে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক অবস্থার উপর কিভাবে প্রভাব রাখে তার একটি উদাহরণ।

ক্লায়েন্টের সাইকোসেক্সুয়াল ইস্যু ছিল। যৌন সক্ষমতা নিয়ে চিন্তন ত্রুটি ছিল। সকল প্রকারের টেস্ট করেছিলেন। শুধুমাত্র টেস্টোস্টেরন হরমোন টেস্টের স্কোর ছিল ২.১৩। যেটা পুরুষের স্বাভাবিক মাত্রার কাছাকাছি হলেও একটু কম।

ক্লায়েন্টের চিন্তনের জায়গাগুলো নিয়ে সেশন বাই সেশন কাজ করলাম। ওভারঅল লাইফস্টাইল পর্যবেক্ষণ করে বুঝলাম স্ট্রেসের কারণে ওনার টেস্টোস্টেরন কমে যেতে পারে। এর একটা কারণ হচ্ছে ওনার কাজে কোন ছুটি নেই, মাসে ৩০ দিন কাজ করেন।

লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন, রিলাক্সেশন, খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কাজ করলাম। তবে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট ক্লায়েন্টের। তিনি প্রতি সপ্তাহে সেশনগুলো নিয়েছেন নিয়মিত। সপ্তাহের মাঝের সময়টা কাজগুলো করেছেন ১০০% সিরিয়াসনেস নিয়ে।

ফলাফল হলো ওনার টেস্টোস্টেরন হরমোন ২.১৩ থেকে বেড়ে ৯.২০ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

এই মাঝের সময়টি উনি কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া কেবল নিয়মিত সেশনগুলো নিয়েছেন এবং চিন্তায়, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এনেছেন।

হ্যাঁ, সাইকোথেরাপি পারে মনের, চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে। যে পরিবর্তন নিউরোনের রোডম্যাপে, হরমোনে পরিবর্তন আনতে কার্যকর!

মোঃ ওয়াহিদ আনোয়ার রনো
সিইও, রিস্টার্ট মেন্টাল হেল্থ সার্ভিস।

11/10/2023
Photos from Psychologist Rono's post 09/10/2023

To whom it may concern...

Photos from Psychologist Rono's post 09/10/2023

স্কুল সাইকোলজিতে মাস্টার্স ভর্তি বিজ্ঞপ্তি...

-যারা চাইল্ড নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী...
-শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অবিভাবকদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী...
-প্যারেন্টিং বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী...
-অটিজম, ADHD, লার্নিং ডিসএবিলিটি সহ নিউরো ডেভলপমেন্টাল সমস্যায় কাজ করতে আগ্রহী...
-সাইকোমেট্রিক এ্যাসেসমেন্ট, টেস্ট ডেভেলপমেন্ট, কন্ডাক্ট, ইন্টারপ্রিটেশনের কাজে যুক্ত হতে আগ্রহী...

তাদের জন্য স্কুল সাইকোলজি হতে পারে দারুণ ক্যারিয়ার অপরচুনিটি!

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল সাইকোলজিস্ট গণ মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত।

26/09/2023

পড়াশোনার চাপ নিয়ে Consel Health এর লাইভে রনো....

26/09/2023

চাইল্ড সাইকোলজিস্ট তাসলিমা আক্তার আঁখি র সাক্ষাৎকার নিলাম। সন্তানকে মারা বা শারীরিক শাস্তিকে জাস্টিফাইড মনে করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই।

এর মানসিক প্রভাব কতটা? আসুন জানি....

20/09/2023

ঘুম থেকে উঠে দেখলাম ফিরোজ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের এক ছোট ভাই আমার হল বিজয় একাত্তরের যমুনা ব্লক থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে৷ তার সুইসাইড নোটটা পড়লাম।

পড়ে মনে হলো সে বিষন্নতায় ভুগছিল। নিজেকে তার হয়তো worthless মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছে হীনম্মণ্যতা তাকে গ্রাস করছিলো। আত্মসম্মানে আঘাত আসার বিষয়টি উল্লেখ করেছে আত্মহত্যাকারী।

তার এরকম মনে হওয়ার পেছনে কিছু টক্সিক বাক্য কিংবা নেতিবাচক আচরণ দায়ী কি না? জানার সুযোগ নেই আর।

ডিপ্রেশনকে আমরা যতটা সহজ ভাবে নিই, ডিপ্রেশন তার চেয়ে অনেক গুণ ভয়ানক একটি মানসিক সমস্যা।

প্রতিবছর সারা বিশ্বে আত্মহত্যা করেন প্রায় ৭ লাখ মানুষ। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন। পুরুষের আত্মহত্যার হার নারীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। বাংলাদেশের আত্মহত্যা পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো হলেও দিন দিন আত্মহত্যার হার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা।

ফিরোজ তো মাত্র কয় বছর আগের দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলো। তার সামনে সুন্দর ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছিল। তবে কিসের হতাশা তার? - এমনটাও বলছেন কত জন।

একেবারে কোন কারণ ছাড়াই যে কোন বয়সের যে কোন পেশার মানুষের ডিপ্রেশন হতে পারে। আবার বেশ কিছু কারণে হতে পারে হতাশা ও আত্মহত্যা প্রবণতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলো হলো-

- ক্যারিয়ার নিয়ে মানসিক চাপ
-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিকূল পরিবেশ
- একাডেমিক রিএ্যাড এবং খারাপ ফলাফল
- কিছু শিক্ষকের বৈষম্যমূলক ও অপমানজনক আচরণ
- রিলেশনশিপ ইস্যু
- আর্থিক চাপ
- পারিবারিক দ্বন্দ্ব
- সামাজিক প্রত্যাশার চাপ
- বেকারত্ব

আসুন, মানুষকে তার পেশাগত পরিচয় দিয়ে বিচার করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসি। তাহলে দূর্নীতি, হতাশা, মানসিক চাপ অনেক কমে যাবে। মানুষের এক জীবন অনেক ছোট এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখার জন্য। জীবনটাকে জটিল নয়, সহজ করি। অন্যের অনুভূতি ও চিন্তাগুলোকে সম্মান করি।

আসুন, কারো মাঝে হতাশা কিংবা আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা গেলে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে, জাজ না করে শুনতে চেষ্টা করি। যেটা আমার কাছে কোন সমস্যাই না, আরেকজনের কাছে এটাই অনেক বড় ইস্যু হতে পারে। আর ডিপ্রেশন একটা ভয়ানক মানসিক সমস্যা। এর ফলে ব্যক্তি তার আত্মনিয়ন্ত্রণ, যৌক্তিক চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। তার সেই চিন্তাগুলো নিয়ে বিদ্রুপ না করে তার চিন্তার যৌক্তিকতাকে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা৷

প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সহায়তা নিন।

ফিরোজের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

16/09/2023

বাংলাদেশের জয় সব সময় আনন্দের, ভালো লাগার।

কিন্তু “যাক, ভারতকে হারালাম, যা এশিয়া কাপ জয়ের সমান” - এই মানসিকতার সমর্থকরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শত্রু।

এখন আমরা সম্মানজনক স্কোরের জন্য খেলি না। আমরা বলি, আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয়। অথচ, আমরা ভারতকে হারানোতেই সব ভুলে যাই।

আমরা ভুলে যাই, কতটা সহজ জয় হাতছানি দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কার সাথে। সেই ম্যাচটা জিতলে আজ আমরাই ফাইনাল খেলতাম। ট্রফি জিততে এসে এরকম হারের কোন ক্ষমা হয় না, হতে পারে না।

হ্যাঁ, হারজিত খেলার অংশ। হার মেনে নেয়ার মানসিকতা খেলোয়াড়, দর্শক, সমর্থক সবার থাকতে হবে। কিন্তু এই যে আমাদের কোন বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি নেই, এর কারণ সহজ ম্যাচে হেরে বসা।

সক্ষমতার চেয়ে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকা, অপেশাদারিত্ব, ভুল সিদ্ধান্ত, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলগুলো সমাধান না করায় আমাদের প্লেয়াররা সক্ষমতার ১০০% দিতে পারে না।

আমরা ভারতকে হারালাম, শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পথে ছিলাম। ওরাই ফাইনালে গেল। ওদের এক দল চ্যাম্পিয়নও হবে। আর আমরা?

আমরা সাইকোলজিক্যালি পিছিয়ে থাকবো। আন্ডারডগ মানসিকতা থেকে বের হতে পারবো না। স্বান্তনার জয় আমাদের কাছে হবে ট্রফি জয়ের সমান।

বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবলে ভালো স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট দরকার। সায়েন্টিফিক, পরিসংখ্যানগত এনালাইসিস এর মাধ্যমে যিনি হেল্প করতে পারেন।

বিকেএসপিতে স্পোর্টস সাইকোলজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স আছে। বেশ কয়েকজন ভালো মনোবিজ্ঞানী আছেন৷ তবে আমাদের খেলোয়াড়েরা যাদের সহায়তা নেন, আমি জানি না তারা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি না৷

তবে ধর্মীয় মোটিভেশান যদি সবসময় কার্যকর হতো, তাহলে নাঈম শেখ আগুনের উপর হেঁটে কি ফলাফল পেল?

সোহান তবে কেন দলের বাইরে?

সবকিছুতে ধর্ম ঢুকিয়ে যত সহজে বাঙালির চোখ এবং ব্রেন ওয়াশ করে ফেলা যায়। এসব কথা বলাও যথেষ্ট বিপজ্জনক। কারণ, অনেকের সেন্টিমেন্টে লাগে। কিন্তু এই যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের দিয়ে পপুলারিটি অর্জন করলেন, তাদের কার কি অবস্থা এটাও জাতির বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

আজ স্রোতের বিপরীতে একজন হলেও আমি বলে গেলাম। সবকিছুতে ধর্মকে টানা, আর বাস্তবে ধর্মীয় আচার না মানা- এই দ্বিচারিতার কারণে বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধর্ম ব্যবসা শিকড় গেঁড়ে বসেছে।

01/09/2023

আমার বড় মামা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী Muhit Al Hasan Munna এর পিতা আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অনেক স্নেহ মমতার সহস্র স্মৃতি বিজড়িত মানুষটি। সহজ সরল আর স্নেহ বৎসল বড় মামার অসংখ্য স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছে। এভাবেই সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে সকল কিছুর উর্ধ্বে, কোন এক দিন।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁকে বেহেশত নসীব করুন। 😥

বিশাল সম্ভাবনার এমন অপমৃত্যু 26/08/2023

দৈনিক সমকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে বন্ধু Mazharul Islam Robin এর প্রতিবেদনে একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবে আমার কিছু কথা...

বিশাল সম্ভাবনার এমন অপমৃত্যু ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জয়া কুণ্ডু। সব একাডেমিক পরীক্ষায় প্রথম হওয়া এই মেধাবী .....

25/08/2023

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা, স্কুল সাইকোলজি বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট অটিজম গবেষক, বাংলাদেশের অটিজম ও NDD বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান, মনোবিদ ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল BRICS সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জি পিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

মানসিক স্বাস্হ্য ও নিউরোডেভলপমেন্টাল ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

Health care is incomplete without mental health!

15/08/2023

বাংলাদেশ স্কুল সাইকোলজি সোসাইটি (BSPS) 'র বার্ষিক ম্যাগাজিন, সাইকোলজি বিষয়ক অন্যতম জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ প্রকাশনা “মনোতরী” র ৫ম সংখ্যার জন্য দেশবরেণ্য মনোবিজ্ঞান গবেষক, সাইকোলজিস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ মনোবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী সকলের লেখা আহবান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞ সম্পাদক মন্ডলীর সম্পাদনায় সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন লেখাগুলো নির্বাচন ও প্রকাশে আমরা দায়বদ্ধ।

লিখতে পারেন মনোবিজ্ঞান সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে। তবে স্কুল সাইকোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখা প্রাধান্য পাবে। শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন সমকালীন বিষয়, স্কুল ব্যবস্হাপনা, ক্যারিয়ার গাইডেন্স, অটিজম ও যোগাযোগ বৈকল্য, লার্নিং ডিসএবিলিটি, সাইকোমেট্রিক গবেষণা, সৃজনশীল চিন্তা বা তাত্ত্বিক লেখা, নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও দৃষ্টিভঙ্গি - এই বিষয়গুলোতে লিখতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

ওয়ার্ড ফাইলে বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রবন্ধ পাঠানোর জন্য আহবান করা যাচ্ছে।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা:

[email protected]

শেষ তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Photos from Psychologist Rono's post 06/08/2023

ঢাবির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি।

যারা একটা এপ্লাইড ফিল্ডে মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন এটা একটা ভালো সুযোগ হতে পারে। বিশেষ করে ঢাবিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের আগ্রহ থাকলে এটা একটা ভালো সুযোগ।

I/O Psychology এখনো হয়তো সেরা ক্যারিয়ার অপরচুনিটি এনশিওর করতে পারবে না সাইকোলজি ফিল্ডে, অন্যান্য এপ্লাইড মাস্টার্সের তুলনায়। তবে I/O থেকেও অনেকে ভালো ভালো পজিশনে আছে।

আর আমি বলবো, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই ডিগ্রিটার ভ্যালু অনেক বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রিগুলো আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারী, বায়াররা এমপ্লয়িদের জন্য ভালো পরিবেশ চায়। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, পারফরম্যান্স এপরাইজাল নিয়ে ভাবে। সেই প্রেসার মালিক পক্ষের উপর পরে বলেই এখন ইন্ডাস্ট্রিগুলো আরো বেশি লজিস্টিক এবং হিউম্যানিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এখনো HRM ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে MBA, IBA র জয়জয়কার হলেও I/O এখানে কাগজে কলমে হলেও অনেক পটেনশিয়াল। সেই দিক থেকে I/O মাস্টার্স করা নিজের উপরে দারুণ একটা ইনভেস্টমেন্ট হতে পারে।

বি.দ্র.: যারা I/O তে মাস্টার্সে ছিল, আমাদের স্কুল সাইকোলজির সাথে তারাও মেহতাব ম্যামের “Experiential Training on Counselling Psychology” ৬ মাসের ট্রেনিং পেয়েছিল, Department of Psychology, University of Dhaka থেকে।

05/08/2023

-ছেলেটা অনেক মেধাবী। একটু পড়লেই সব পারে। কিন্তু পড়তে বসলে কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে চলে যায়। এক টানা ১০ মিনিটও মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে না৷ আবার চাপ দিলে বই নিয়ে বসে থাকে, সারাদিনে ১ পাতাও অগ্রগতি নেই।

- মেয়েটা কেমন যেন বেখেয়ালি। কথা বললে শোনে না, এক কথা কয়েক বার বলতে হয়। নিয়মিত তার নিজের জিনিসগুলো হারিয়ে ফেলে৷ পরিবারে তার নাম হয়েছে ”উড়নচন্ডী”...

- খুবই জনপ্রিয় একজন শিল্পী। কিন্তু তাঁর সমস্যা হলো সময় মতো কখনোই তাকে পাওয়া যায় না। শিডিউল মেইনটেইন করার ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন। প্রচুর কথা বলেন, সবসময়ই তাড়ার উপর থাকেন। তাঁর অতিকথন কিংবা শিডিউল মেলাতে না পারায় বিরক্ত প্রডিউসাররা৷ দিন দিন প্রতিভা থাকার পরেও তিনি পিছিয়ে পরছেন।

- একজন পিএইচডি গবেষক। তার সকল প্রকার কঠিন জটিল রিসার্চ ওয়ার্ক, এনালাইসিস করা শেষ, পেপার তৈরি করাও শেষ। আর অল্প কিছু কাজ শেষ করতে পারলেই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। কিন্তু সেই শৈশব থেকেই সব গুটিয়ে এনে শেষ করতে না পারা - এজন্যই বার বার পিছিয়ে পরছে তাঁর অর্জন।

আমাদের আশপাশে এরকম অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পরছে, অন্যের বিরক্তির কারণ হচ্ছে কিংবা সমস্যায় পরছে। হয়তো শৈশব বা কৈশোরের প্রারম্ভে এই অমনোযোগীতা, অতিচঞ্চলতার শুরু। এই কারণে অনেক সমস্যা হলেও, অনেক কথা শুনতে হলেও আমরা কেউ ভাবতে চাই না এটা হতে পারে ADHD বা এ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারএ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার।

আমরা সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে আগ্রহী নই, সাইকোলজিস্টের কাছে সেশন বাই সেশন সাইকোথেরাপি সেশনে যুক্ত হতে ইচ্ছুক নই। আমরা ভাবতে পছন্দ করি ADHD হলো ছোটদের সমস্যা৷ বড়দের কি ADHD হয় নাকি?

হ্যাঁ, বড়দেরও ADHD থাকতে পারে। নিয়মিত চিকিৎসায় ADHD অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কিন্তু আমরা ভাবতে পছন্দ করি, সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে গেলে, সাইকোলজিস্টের কাছে সাইকোথেরাপি সেশন নিলে অনেকগুলো টাকা খরচ হবে। একবারে কম খরচে সেবা নেয়ার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। আর প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কিছুটা খরচ হবে।

তবে এই যে প্রতিভা, সময় ও মেধার অপচয় হচ্ছে ADHD র কারণে, তার মূল্য টাকায় হিসাব করলে কত হয়?

03/08/2023

বৃটেনে প্রাকটিশনার লাইসেন্সধারী বাংলাদেশী সাইকোলজিস্ট Jum Nazmul Hossain স্যারের সার্বিক তত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান Centre For Psychological Health- CPH এ বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট হিসেবে নিযুক্ত হলাম।

এখান থেকে বাংলাদেশ, ভারত, বৃটেন, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশি ক্লায়েন্টরা আমার কাছে বিহেভিয়ার থেরাপি ও কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারবেন অনলাইনে, অফলাইনে।

Photos from Psychologist Rono's post 26/07/2023

ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে যে কোন ডিসিপ্লিনের, যে কোন বয়সের ভর্তিচ্ছুরা।

অনেকেই সাইকোলজি ফিল্ডের বাইরে থেকে অনার্স করা। তারা সাইকোলজি পড়তে চান, জানতে চান, ডিগ্রি অর্জন করতে চান। তাদের জন্য হতে পারে বিরাট সুযোগ!

শুধু মনোবিজ্ঞান বিভাগই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনেক বিভাগেও যে কোন বিভাগ থেকে অনার্স করে মাস্টার্স করার সুযোগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। অনেকেই আসন সংখ্যার স্বল্পতা ও তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারেন না। এখন সেই সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

শিক্ষার সুযোগ হোক উন্মুক্ত, অবারিত!

Photos from Psychologist Rono's post 09/07/2023

সপ্তাহে ১ দিন নিজেকেও ‘থেরাপি’ দেয়া জরুরি।

Drawing can be a great medium of relaxation 🍀

08/07/2023
Photos from Psychologist Rono's post 04/06/2023

ক্ষুদ্র জীবনের এক অনন্য প্রাপ্তি!

Bangladesh Psychometric Society এর Life Member হিসেবে মনোনীত হলাম।

আজ বাংলাদেশ সাইকোমেট্রিক সোসাইটি আয়োজিত “Psychometrics for Improving Self Awareness” শীর্ষক সেমিনারে জীবন সদস্য হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হলাম।

অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সাইকোমেট্রিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. Md. Kamal Uddin স্যারের প্রতি।

সাইকোমেট্রিক্স হলো মানব মনের সাংখ্যিক বহিঃপ্রকাশ। ক্যারিয়ার গাইডেন্স, সিলেকশন প্রক্রিয়া, HRM, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বব্যাপী এর বহুল ব্যবহার হয়। সাইকোমেট্রিক ডাটা এনালাইসিস করে সোস্যাল মিডিয়ার AI বলে দিতে পারে আমরা এখন কি ভাবছি বা কিনতে চাইছি।

বাংলাদেশে সাইকোমেট্রিক্স এর পথিকৃৎ শ্রদ্ধেয় কামাল স্যার। তাঁর এই যুগোপযোগী, আধুনিক ও উন্নত চিন্তার সান্নিধ্যে আসতে পারা আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি!

p.c.: Shathi Roy দিদি ❤️

16/04/2023

কথা হচ্ছিল এক্সপোজিং নিয়ে, এখন কথা হচ্ছে বিদ্যানন্দকে নিয়ে, সামনে কথা হবে অন্য কোন টপিকে। কথার নিচে কথাগুলো, টপিকের নিচে টপিকগুলোর গণকবর রচিত হবে।

এই গণকবরে পঁচে গেছে ইভ্যালির লাশ, ই-কমার্সের বাঁশ, আগুনে পোঁড়া মানুষের সর্বনাশ। সব ইস্যুই পঁচে যায়, নতুন ইস্যু গজিয়ে ওঠে।

চিন্তন ত্রুটি মানুষের সিদ্ধান্ত ও পছন্দকে করে ত্রুটিপূর্ণ।

সেই সাথে ব্যক্তির জাজমেন্টগুলোকে ভুল পথে নিয়ে যায়। হ্যাঁ, জাজমেন্ট এবং তুলনার উর্ধ্বে ওঠা মানব মনের জন্য সাধনার বিষয়। সবাই সেই সাধনার পথযাত্রী নয়, তাই ঢালাওভাবে মানুষ মাত্রই জাজমেন্টাল বলাটা গুরুতর পাপ না। (আরেকটি জাজমেন্ট!)

তো, এই জাজমেন্টাল মানবগোষ্ঠীর সবচেয়ে ত্রুটিপূর্ণ চিন্তন হলো কারো লেবাস দেখে তাকে জাজ করা। (আরেকটি জাজমেন্ট!)

বিশ্বাস ভাঙতে পারে যে কেউ। সে হতে পারে ধর্মীয়ভাবে মুসলিম কিংবা হিন্দু, আস্তিক কিংবা নাস্তিক। মূল কথা হলো আমরা আমাদের ফিলোসফি দিয়ে, আমাদের চোখের ফিল্টারে যাকে মাপি, তার ইনার ফিলোসোফি আমার/আমাদের মতো না হতে পারে। মানুষ যা দেখায় এবং যা দেখে তা-ই কি সত্য? আর যা দেখি না, বা দেখা যায় না তা- ই কি মিথ্যা?

তাহলে সত্য পর্যন্ত, প্রকৃত রূপ পর্যন্ত পৌছার কিংবা জানার উপায় কি?

খুব সহজ ভাষায় যদি বলি, মানুষের খুব ছোট আচরণে, কথায়, শব্দ চয়নে লুকিয়ে আছে তার ইনার সেল্ফ। এগুলো মানুষ নিজের অজান্তেই প্রকাশ করে। শুধু পর্যবেক্ষণ করার ধৈর্য্য ও দক্ষতা থাকতে হয়। (আরেকটি জাজমেন্ট!)

তো, বলতে চাই না - “আসুন, কাউকে জাজ না করি।” কারণ, আমি বলে মানুষের (এবং আমার নিজের) ১০০% ননজাজমেন্টাল হওয়া সুনিশ্চিত করতে পারবো না।(আরেকটা জাজমেন্ট!) আমার ভালমন্দ “জাজমেন্ট” করার ক্ষমতা হারিয়ে গেলে মানসিক স্বাস্থ্যের মানদণ্ডে “অস্বাভাবিক" হিসাবে আমাকে “জাজ" করা হবে এতটুকু জানি।

বলতে চাই - “কাউকে বাইরের লেবাস দেখে জাজ করবেন না।”

কাউকে আদর্শিক বা চেতনার দিক দিয়ে জাজ করতে না যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। (আরেকটা জাজমেন্ট!)

কেন বললাম এই কথা?

কারণ, যখনি আপনি এই প্যারামিটারে কাউকে জাজ করতে যাবেন, তখন আপনার ইমোশন এর সাথে মিশে যাবে। আপনার জাজমেন্ট হবে ত্রুটিপূর্ণ। (আরেকটা জাজমেন্ট)

আর যখনই কেউ আপনার চেতনা এবং ইমোশনগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করার সুযোগ হাতে পাবে, সম্ভাবনা ৯৯% যে সে এটার অর্থনৈতিক ব্যবহার করবে (আরেকটা জাজমেন্ট!)

বাকি ১% সম্ভাবনা সে ভালো এবং লয়্যাল থাকবে। আর এই ১% এর বলেই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকে আছে আজো৷ (আরেকটি জাজমেন্ট!)

আপনি এই ১% কে খুঁজে নিতে পারেন, আবার ৯৯% কেও চিনে নিতে পারেন। তার জন্য দরকার ধৈর্য্যশীল, রেশনাল থিংকিং, বায়াসনেসমুক্ত মন।

মাঝে মাঝে নিজের বায়াসনেসগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে পারলে চিন্তন ত্রুটিগুলো কমে।

ধন্যবাদ কষ্ট করে জাজমেন্টে ভরা এই পোস্টটি পড়ার জন্য।ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে মানুষ চিনতে শিখুন, মানুষের আচরণ বুঝতে শিখুন।

তার আগে নিজেকে বোঝা দিয়েই শুরুটা হোক নাহয়!

07/02/2023

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ক্লায়েন্টদের চিরায়ত অভিযোগগুলোর সমাধান হিসেবে খুব শীঘ্রই আমার নিজের প্রতিষ্ঠান Restart Mental Health Service পথচলা শুরু করতে যাচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব হচ্ছে -

√ অনেক কম খরচে অফলাইনে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা

√ প্যাকেজ আকারে সার্ভিস নেয়ার সুবিধা

√ প্রফেশনাল কোলাবোরেশান, সমস্যার ধরণ অনুযায়ী স্পেশালিষ্টের সেবা নেয়ার সুযোগ

√ একটি সুনির্দিষ্ট প্ল্যান অফ কেয়ারের ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে সমস্যা থেকে মুক্তি পর্যন্ত সার্বক্ষনিক সহায়তা

√ সেশন টাইম: ১ ঘন্টা

√ ব্যক্তিগত তথ্যের সম্পূর্ণ গোপনীয়তা

√ ননজাজমেন্টাল, মানবিক সেবা

√ সার্টিফাইড প্রফেশনালদের মাধ্যমে পরিচালিত

আমরা অনেক সময় ভাবি - “যদি জীবনটা নতুন করে শুরু করা যেতো, তাহলে কত ভালোই না হতো! ”

জীবনটা বাস্তবে নতুন করে শুরু করা যায় না বটে, তবে আমরা যেখানে থমকে গেছি, যেখানে গিয়ে আর পথ খুঁজে পাচ্ছি না, সেখান থেকেও নতুন উদ্যমে, নতুন প্রেরণায় Restart করা যায়।

আর সেই Restart এর সারথি হতে আমরা আছি সহযাত্রী হিসেবে....!

01/01/2023

নতুন বছরের প্রথম দিন...

সাধারণত এই দিনটা ঘিরে পুরো এক বছরের মানসিক প্রস্তুতি তৈরি হয়। অনেক কিছু অর্জন, অনেক কিছু বর্জনের নানা লক্ষ্য নির্ধারণের ফাঁকে এ বছর নিজের জন্য কিছু সময় হাতে রাখুন, কেবল নিজের জন্য।

নিজের অস্তিত্ব সচেতনভাবে অনুভব করা, ভালোমন্দ অনুভূতিগুলো উপভোগ করা কিংবা নিজের একটু অবসর বিনোদনের নামই বেঁচে থাকা।

নতুন বছরেও প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, সুখ দুঃখ থাকবে। এগুলোর ভিড়ে বেঁচে থাকতে হবে, জীবনকে উপভোগে করতে হবে, অতীত ও ভবিষ্যতের চক্রব্যূহ ভেঙে বর্তমানকে সচেতনভাবে অনুভব করতে হবে - তবেই ২০২৩ স্বার্থক!

Happy New year 2023 🌹💐😍😍

25/12/2022

Getting back to study ☘️

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা নিয়ে যে কোন প্রশ্ন অথবা সহায়তার জন্য কমেন্টে লিখতে পারেন অথবা সরাসরি ইনবক্সে অথবা What's app এ নক দিয়ে শিডিউল বুক করতে পারেন খুব সহজেই, সর্বোচ্চ তথ্যগত গোপনীয়তা বজায় রেখেই!

What's app: +880 1888-143330

18/12/2022

Healing Heart Counseling Unit, one of the oldest and finest mental health organisation is celebrating it's 12th anniversary!

1 decade with the challenge of improving unwell individuals with diverse range of mental health issues as well as providing quality training to the young professionals - such a notable contribution to the neglected field of mental health all over the nation.

I am proud to have opportunity to learn from honorable sister Dr. Lipi Groria Rozrio mam and lucky enough to find school psychology elder brother James Simon Das as my mentor.

Thanks a lot for inviting us!

Go ahead Healing Heart 😍

24/11/2022

Coming soon!

17/11/2022

You can find me in Consel Health, the rapidly growing online platform for taking care of your mind!

Thanks a lot for the support Md. Alauddin 🌹

Keep me in your prayers!

16/11/2022

Completion of certificate course on Rational Emotive Behavior Therapy from ISO certified institution PsychEDD, India.

The journey with the highly acknowledged therapeutic approach over the world will certainly make me more competent and comfortable in dealing clients!

11/11/2022

পেশাগত চর্চায় ডকুমেন্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম।

সাইকোলজিস্টরা ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই এখতিয়ার নিয়ে সাইকোলজিস্টরা আন্দোলন করছেন। তবে আমি এই আন্দোলনের সাথে একমত নই। সাইকিয়াট্রিস্টের (MBBS + FCPS) কাজ যদি সাইকোলজিস্টরা করেন, সাইকোলজিস্টের কাজ যদি ডাক্তাররা করেন, তাহলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি কোলাবোরেশানের জায়গাটা সংকুচিত হয়ে যায় এবং ক্লায়েন্টের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কোন ইতিবাচক চর্চা বলে মনে করি না।

আমরা যত যা ই করি না কেন, দিনশেষে ক্লায়েন্টের সুস্থতার প্রশ্নে আমাদের ঐক্যমত্য আবশ্যক। একজন সাইকোলজিস্ট কখনোই কোন ক্লায়েন্টকে ঔষধ রেফার করতে পারেন না। তাহলে তিনি আসলে কি করেন?

- বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে সমস্যার খুঁটিনাটি শোনা এবং গভীরে প্রবেশ করে কারণ ও সূত্র অনুসন্ধান। ক্লায়েন্ট যখন নিজের অব্যক্ত কথাগুলো সায়েন্টিফিক মেথডে এক্সপ্লোর করেন, তার অনেকটা উপশম হয়। তার নিজের সুপ্ত বোধ ও মানসিক শক্তির জাগরণ ঘটে।

- সমস্যার এ্যাসেসমেন্ট, ডায়াগনোসিস ও ইভ্যালুয়েশন করা। বিভিন্ন সাইকোমেট্রিক টেস্ট, টুলস এবং DSM গাইডলাইন অনুসরণ করে সমস্যার ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক শনাক্তকরণ, Mental State Examination (MSE) ও পূর্ণ History taking, সেশন বাই সেশন উন্নতি নিয়ে ক্লায়েন্টের নিজের মতামত মূল্যায়ন।

- ব্রিথিং এক্সারসাইজ, মাসল রিলাক্সেশন, মেডিটেশনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ক্লায়েন্টের আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি বৃদ্ধি এবং উপশম করা।

- ত্রুটিপূর্ণ চিন্তার প্যাটার্ণ, অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল পরিবর্তনে সহায়তা করা

- ক্লায়েন্টের জীবনে সমৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা, উপস্থাপন দক্ষতা বৃদ্ধি, সাফল্য লাভের মাইন্ডসেট তৈরি, সম্পর্ক উন্নয়ন, Human Resource Management সহ ইতিবাচক দিকের উৎকর্ষে কাজ করা।

এছাড়াও আরো হাজার হাজার কাজ আছে একজন সাইকোলজিস্টের। এত এত কাজ যেগুলো-

১. গুরুত্বপূর্ণ
২. অর্থবহ
৩. যুগের চাহিদা
৪. প্বার্শপ্রতিক্রিয়ামুক্ত

হওয়ার পরেও শুধু ঔষধ লেখা আর না লেখায় আটকে থাকা, নিজে নিজে হীনমন্যতার ভোগা একটা বোকামি ছাড়া কিছু না। বরং, আমাদের এখতিয়ারে যা আছে আমরা তা সঠিকভাবে ব্রান্ডিং করতে পারছি না, উপযুক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছি না। এর জন্য আমাদের নাক উঁচু, Rigid একটা অংশের দায় আছে।

তারা ইথিকসটাকে ব্যবহার করে অন্যকে দমন করার জন্য এবং নিজেকে জাহির করার জন্য। নিজেরা কতটা কি মানে তা তারা নিজেরা যেমন জানে, আমরাও অনেক কিছু জানি, বলি না। কারণ, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে সর্বপ্রথম ইথিকস হচ্ছে আরেকজন প্রফেশনালের ক্ষতি না করা, পাবলিকলি নগ্নভাবে তার সমালোচনা না করা।

কিন্তু কিছু কথা আজ বলা প্রয়োজন। সেই ১৯০০ সালে কার্ল রজার্স বলে গেছে ক্লায়েন্টকে তার সমস্যার লেবেলিং করতে না। এই কথা ধরে অদ্যাবধি আমরা ক্লায়েন্টকে ডায়াগনস্টিক ডিসিশন জানাই না। ক্লায়েন্ট এখন আর চুপ করে বসে থাকে না, ইউটিউব দেখে, ডাক্তারের কাছ থেকে জানে। এতে তার মধ্যে এই ধারণা জন্মায় যে - সাইকোলজিস্টরা রোগ শণাক্ত করতে দক্ষ না, আমাদের পরামর্শগুলো ক্লায়েন্ট প্রায়ই ভুলে যায়, অনুসরণে গুরুত্ব দেয় না।

একজন মনোবিজ্ঞান শিক্ষার্থী যখন অনার্স শেষ করে এমনকি অনেক সময় মাস্টার্স করার পরেও তার কাছে এই পুরো রোডম্যাপটা আসলে পরিস্কার না কিভাবে ঔষধ ছাড়া কথার মাধ্যমে মানুষ সুস্হ হয়। আমি এমনও অনেককে দেখেছি, যারা মনোবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টে পড়ে সার্টিফিকেটের জন্য এবং নিজেরাও মনে করে যে এইসব সাইকোথেরাপি কোন কাজের না। এই থেকে আমার মনেই সন্দেহ ছিল যে আসলেই কি ঔষধ ছাড়া কাজ হয় কি না।

কিন্তু আমি নিজে যখন প্রাকটিস শুরু করেছি তখন বিষ্ময়কর কিছু বিষয় লক্ষ্য করেছি। যদি ব্যক্তি স্বেচ্ছায় এবং বিশ্বাস নিয়ে আসেন সাইকোথেরাপি নিতে এবং যদি কমপক্ষে ৩ সেশন কন্টিনিউ করেন, আমি শতকরা ৯০% + কেসে ক্লায়েন্টকে নিজের মুখে আগের অবস্থার চেয়ে উন্নতি স্বীকার করতে দেখেছি।

কেউ কেউ ১ টা সেশনে যুক্ত থেকে আর প্রয়োজন মনে করেন নি। এখন তিনি আসলে বেটার ফিল করে আসেন নি, নাকি তিনি ইফেক্টিভ মনে করছেন না বলে আসেন নি, তা আমার জানা সম্ভব না।

হ্যাঁ, ১ সেশনে ক্লায়েন্ট ড্রপ করলে আমার খারাপ লাগে। কিন্তু এখানে আমার কিছুই করার নেই৷ কারণ-

১. কোন ভালো সাইকোলজিস্ট ১ সেশনে সমস্যা থেকে মুক্তির গ্যারান্টি দিবেন না।

২. প্রথম সেশনে হিস্ট্রি নিয়েই বেশির ভাগ কাজ করতে হয়। হিস্ট্রি নিতে এমনকি ২/৩ সেশনও লাগতে পারে। কোন ভালো সাইকোলজিস্ট ১ম সেশনে সরাসরি ইন্টারভেনশনের দিকে যাবেন না।

৩. যে-কোনো মানুষ হোক সে ডাক্তার, সাইকোলজিস্ট কিংবা গবেষক - কেউ ১০০ তে ১০০ শতাংশ সফল হতে পারে না। আমিও মনে করি না, শতকরা ১০০ জনকেই আমিই রিকভার করতে পারবো। হ্যাঁ, শতকরা ১০০ জনকেই দল, মত, গোত্র, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে আমার সেরাটা দেয়ার গ্যারান্টি দিব। কিন্তু আমার সেরাটা সবার জন্য যথেষ্ট হবে না, এটাও আমি মানি৷

৪. একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবে আমি ২৪ ঘন্টা কারো সাথে লেগে থেকে কিংবা তার বাসায় গিয়ে নিজ হাতে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। এটাও মানুষ হিসেবে আমার সীমাবদ্ধতা। আমার সেশনের পাশাপাশি ক্লায়েন্টের নিজের সদিচ্ছা, সেশন বাই সেশন টাস্কগুলো কম্প্লিট করার উপরেও অনেকটা ইম্প্রুভমেন্ট নির্ভর করে।

৫. আমি ক্লায়েন্টকে কখনো জাজ করি না। তবে আমার নিজস্ব ভালো মন্দ বিচার ক্ষমতা তো মাথা থেকে ডিলেট করা যায় না। তাই অনেক ক্লায়েন্ট অন্যায় আবদার নিয়ে আসে, সে ই অন্যায় কাজে আমাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তখন ক্লায়েন্টকে 'না' করাই আমার পেশাগত দায়িত্ব। এতে ক্লায়েন্ট অনেক সময় মনোক্ষুণ্ণ হয়।

যাই হোক, আমার পেশাগত চর্চাকে কম্প্লিট সায়েন্টফিক ডকুমেন্টেশনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্লায়েন্টের তথ্যগুলো একটি শনাক্তকারী ID নম্বরের আওতায় এনে গোপনীয়তা নিশ্চিত করে ইন ডিটেইলস সেশন বাই সেশন টাস্কগুলো দেয়া, প্রোপার সায়েন্টিফিক এ্যাসেসমেন্ট করাকে আমি বর্তমান সময়ের একটি পেশাগত দাবী হিসেবে মনে করি।

আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবার চর্চায় যে ধরণের ডকুমেন্টেশন প্রচলিত, যত দিন আমরা নাক উঁচু করে সেগুলো থেকে সেগুলো থেকে নিজেদের দূরে রাখবো, ততদিন এই পেশা একটা এলিট সোসাইটির মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে।

গণমানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে কাউন্সেলিং সেবার প্রয়োজনীয়তা ছড়িয়ে দিতে আমাদের নিজেদের এলিট ভাবা বাদ দিতে হবে সবার আগে। সুশীল সমাজের মতো চিন্তা না করে চিন্তা করতে হবে সাধারণ গণ মানুষের মতো, বাঙালি জীবনধারা ও সংস্কৃতির আদলে।

(কথাগুলো আমার একান্ত নিজস্ব, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা এখানে উদ্দেশ্য নয়। কারো গায়ে লাগলে দায় তার ব্যক্তিগত)

Videos (show all)

Getting back to study ☘️শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা নিয়ে যে কোন প্রশ্ন অথবা সহায়তার জন্য কমেন্ট...
Coming soon!
শয়তান x নফস x impulses সম্প্রতি, ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে একজন যুবক প্রশ্ন করেন,'শয়তান যখন আল্লাহর হুকুম অমান্য করে আ...
-আমাদের বাচ্চাকে আমরা কিচ্ছু করতে দিই না। ওকে এক গ্লাস পানি ঢেলে দেয়ার জন্যও লোক রাখা হয়েছে। -যখন যা দরকার চাওয়ার আগেই হ...
'আপনি বাবাকে বলেন, আমাকে আমার পছন্দের বাইক কিনে দিলেই আমি ঠিক হয়ে যাব।''জানেন, আমার কোন সমস্যাই নাই। জাস্ট একটা চাকরি পে...
ডিপ্রেশন: ৩য় পর্বডিপ্রেশন সিরিজের গত ২ পর্বে মোট ৫ টি লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এ পর্বে আরো ৪ টি লক্ষণ নিয়ে আলোচনা ক...
ডিপ্রেশন: পর্ব ২👉'ডিপ্রেশন' ভিডিও সিরিজের এই পর্বে শরীরের ওজন, ঘুম ও Psychomotor Activity তে ডিপ্রেশনের প্রভাব আলোচিত হয়...
ডিপ্রেশন: পর্ব ১👉'ডিপ্রেশন' বহুল প্রচলিত একটা শব্দ হলেও এর প্রয়োগ কি সঠিক ক্ষেত্রে হয়? মন খারাপ আর ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন ...
সরল ভাষায়, সাধারণ মানুষের ভাষায় মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কন্টেন্ট পেতে পারেন আমার পেজটিতে। সবার সমর্থন পেলে নি...

Telephone

Website

Address

Bijoy Ekattor Hall, University Of Dhaka
Dhaka
1000