Mom for Mom

One Privileged mother will help another underprivileged mother through our platform

17/04/2024

গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মেয়েদেরই শুধু ঘরে বসে সময় অতিবাহিত করা কষ্টকর হয়ে যায়। অনেকে শুয়ে বসে থাকতে থাকতে অসুস্থ ও বিরক্ত হয়ে পড়ে।
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রামের পাশাপাশি হাঁটাচলা ও হালকা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। যেমনঃ
১. হালকা রান্নাবান্না করতে পারেন।
২. বাড়ির কাজকর্ম করতে পারেন। যেমন- কাপড় ভাঁজ করা, ঘর গুছানো, কিন্তু কোনো ধরনের ভারি কাজ করা উচিত হবেনা।
৩. ধর্মকর্মে মনোযোগী হতে পারেন।
৪. বই পড়তে পারেন।
৫. বিভিন্ন ধরণের সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হতে পারেন।
৬. সমবয়সী ও আত্নীয়দের সাথে আড্ডা দিতে পারেন। এতে মন ভালো থাকবে।

15/04/2024

নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। শিশুর গ্রোথ ও মাথার অবস্থানের উপর নির্ভর করে নরমাল ডেলিভারি করা যাবে কি না। তবে গর্ভের শিশু যদি উল্টো অবস্থায় থাকে তবে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়। মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই নিরাপদ হচ্ছে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান প্রসব করা। নিম্নে নরমাল ডেলিভারি হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় তা দেওয়া হলোঃ

১. নরমাল ডেলিভারিতে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ থাকে এবং মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে ভালোভাবে সন্তানের যত্ন নিতে পারে।
২. নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চার মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে যা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
৩. নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসবের সময় বাচ্চাটি এমনিয়োটিক নামক তরলের সংস্পর্শে ফলে সিজারিয়ান বাচ্চাদের তুলনায় এ বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
৪. নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চারা সহজে মাতৃদুগ্ধ পান করা শিখে যায়।
৫. নরমাল ডেলিভারিতে কাটাকাটির ঝামেলা নেই, তাই প্রসূতি মায়েরা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে।
৬. নরমাল ডেলিভারিতে প্রসব বেদনা একটু বেশি হয় কিন্তু প্রসবের পর আর কোনো সমস্যা হয় না।

10/04/2024

Eid Mubarak

07/04/2024

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ একটি সাধারণ ঘটনা, তবে মহিলারা যদি গর্ভবতী হওয়ার আগে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনেন এবং গর্ভাবস্থায় সেই পরিবর্তনগুলি বজায় রাখেন তবে এটি এড়ানো যেতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ, তাজা ফল ও শাকসবজির সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এড়ানো, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল গ্রহণের ওপর নজর রাখা এবং অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা এ সবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রায় ১০% গর্ভবতী নারী উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন। গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। গর্ভকালীন সিস্টোলিক চাপ ১৪০ মিমি পারদের সমান বা বেশি অথবা ডায়াস্টলিক রক্ত চাপ ৯০ মিলিমিটার-পারদের সমান বা বেশি হলে তাকে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বলে। আসুন আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের কিছু লক্ষণ-

উচ্চ রক্তচাপ (১৪০/৯০ মি.মি. বা তার বেশি)। রক্তচাপ ১৬০/১১০ মি. মি. বেশি হলে মারাত্মক।

প্রি-এক্লামসিয়ার লক্ষণ যেমন - হঠাৎ করে শরীরে পানি আসতে পারে বা শরীর ফুলে যেতে পারে।

মাথাব্যথা বা ক্রমশ প্রচণ্ড মাথাব্যথা হওয়া এবং মাথার পেছনে বা সামনে প্রচণ্ড ব্যথা। চোখে ঝাপসা দেখা। মাথা ভারি লাগা বা ঝিমঝিম লাগা। উপরের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ( ডান পাঁজরের নিচের দিকে )
প্রস্রাব কমে যাওয়া বা গাঢ় রঙের প্রস্রাব হওয়া।
প্রথমেই জেনে নিন- গর্ভধারণের আগে থেকেই যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, বিশেষ করে যারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করছেন, তারা গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধ গর্ভাবস্থায় সেবন করলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ডাক্তারকে জানালে তিনি এসব ঔষধ পরিবর্তন করে দিতে পারবেন। আর এই ব্যপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এটাকে কখনই হেয়ালিতে ফেলে দিবেন না।
মহিলাদের রক্তচাপ নিরীক্ষণের জন্য গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যদি এটি খুব বেশি হয় তাহলে ডাক্তাররা হয়ত সাধারণ লাইফস্টাইলে ও পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিতে পারেন। গর্ভবতী হওয়ার আগে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা এবং গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা ছাড়াও, গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ এড়ানোর জন্য আরও কিছু টিপস রয়েছে। যেমন - খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এবং গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। ক্যালসিয়াম সম্পূরক গ্রহণ করা যা প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, যা গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়।

যাদের গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাদের বাসায় অবশ্যই প্রেশার মেশিন রাখবেন। আপনার রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করাকে একটি প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

আপনার রক্ত-চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সেটিকে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করে তুলতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য থেকে লবণ পরিহার করুন। এটিকে সবচেয়ে কার্যকর ও প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন একটি অথবা দুটি করে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, এটি কেবল হজম শক্তির বৃদ্ধিকারী নয় এমনকি এ সময়ে কলা খেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ কমবে।

সারাদিন প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকলে আপনার শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। পরিশেষে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়া আপনার শক্তির মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং প্রক্রিয়াগুলি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার কারণে বিশেষভাবে চাপ বা বোধ করেন, তাহলে যোগব্যায়াম বা ধ্যানের মতো ক্রিয়াকলাপগুলির সাথে যুক্ত থাকুন যেন আপনার মন সতেজ থাকবে।

01/04/2024

গর্ভাবস্থায় কি শুধু শুয়ে বসেই সময় কাটাতে হয়? কিংবা এসময় কি কোনো ব্যায়াম করা যায়? এরকম হাজারটা প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরতে থাকে।

গর্ভাবস্থায় মেয়েদের কোনো ধরণের শারীরিক ব্যায়াম করা যায় না, এ ধরণের লোকমুখে প্রচলিত কথা হয়তো আমরা অনেক শুনেছি! কিন্তু আসলেই কি তাই?

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার পাশাপাশি টুকটাক ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করা উচিত!

এ ধরণের ব্যায়াম মায়েদের গর্ভাবস্থায় ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়া লেবার পেইন এবং যেকোনো ধরণের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখবে।

31/03/2024

ডেলিভারির সময় যত ঘনিয়ে আসে, তত যেনো মনে অজানা শঙ্কা এসে পড়ে। কবে হবে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান।
তবে হঠাৎ প্রসব বেদনা শুরু হলে অনেক সময় অনেকে ভয় পেয়ে যান। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে কি করা উচিত।
আজকে তাই আপনাদের জন্য ছোট্ট কিছু টিপস শেয়ার করছিঃ

১. হুট করে প্রসব বেদনা শুরু হয়ে গেলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। যদি ডাক্তার আশেপাশে না থাকে তাহলে অভিজ্ঞ কাউকে পাশে রাখার চেষ্টা করবেন।
২. ব্যথা শুরু হলে পিঠে আলতো করে ম্যাসেজ করবেন। এতে ব্যথা কিছুটা কমে যাবে।
৩. ব্যথা শুরু হলে শুয়ে থাকবেন না। হাঁটাচলা করবেন। এতে বাচ্চা তাড়াতাড়ি নিচে চলে আসবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ডেলিভারি হবে।
৪. কোনো ধরণের নেতিবাচক চিন্তা করা যাবেনা। বরং মনকে শক্ত করতে হবে।
৫. স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে বাচ্চার অক্সিজেন ঠিক থাকবে।
এ সময়ে রোগীকে সাহস দিতে হবে এবং রোগীর পাশে থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

28/03/2024

গর্ভবতী মায়েদের প্রসব যেন স্বাভাবিকভাবে হয় এমনটা কে না চায়! কিন্তু স্বাভাবিক প্রসবের জন্য মায়ের যেমন মনের জোর প্রয়োজন তেমনি দরকার শারিরীক সুস্থতার।
আমরা অনেক মায়েরাই জানি না এক্ষেত্রে কি ধরণের প্রস্তুতি প্রয়োজন।
সেজন্য নিম্মে ৫টি টিপস দেওয়া হলঃ

১. ‌এই সময় যথাসম্ভব ফিট এবং একটিভ থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।

২. ‌এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

৩.‌ যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

৪. ‌পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

৫. সর্বোপরি একটি পরিকল্পনামাফিক জীবনযাপনের মধ্যে চলতে হবে।

25/03/2024

যদিও মায়ের গর্ভ থেকেই শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশ শুরু হয় এরপরও শিশু জন্মের পর ৮ বছর পর্যন্ত তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হতে থাকে। এই সময়কার শিক্ষাগুলো শিশুর ব্যাক্তিত্ব তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এরপরও শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে এরকম কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলোঃ

১. আপনার শিশুর সামনে তার প্রশংসা করুন। আমাদের বাবা-মায়ের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত ছিলো, প্রশংসা করতে হবে আড়ালে, দোষ-ত্রুটি বলতে হবে সামনে। কিন্তু সম্মুখে প্রশংসা করলে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যেসব শিশুদের সব সময় তিরস্কার করা হয় বেশিরভাগ সময় তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তাদের সব সময়ই মনে হতে থাকে যে তাদের দিয়ে কিছু হবে না।

২. আপনার শিশুকে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করান। তার বয়সী বিভিন্ন বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন, খেলতে দিন। বিভিন্ন ধরণের খেলার মাধ্যমে সে যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়া, সৃজনশীল চিন্তা করাসহ বিভিন্ন ধরণের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। পারলে আপনিও তার সাথে বাসায় বিভিন্ন ধরণের খেলায় সঙ্গ দিন, যেগুলো আপনার সাথে তার সম্পর্কে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।

৩. আপনার শিশুর সাথে ভালোবাসার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তার সাথে খেলুন, একটা পর্যাপ্ত সময় তার সাথে কাটান, সে যে ধরণের এক্টিভিটিস করে সেগুলো করুন, গল্প করুন । তাকে আপনার ছোটোবেলায় ঘটে যাওয়া নানান গল্প শোনান। ছোটো থেকে তার সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন, এই সম্পর্কটাই শিশু বড় হওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে দাঁড়াবে।

৪। আপনার শিশুর কাছে আপনার অনুভূতির অভিব্যাক্তি করুন। আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন, আপনি যখন কষ্ট পান কতটুকু পাচ্ছেন সেগুলো তাকে বলুন। সে কিভাবে তার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করছে সে জায়গায় গুরুত্ব দিন। এর ফলে সে আপনার কাছে নিরাপদ অনুভব করবে এবং এই অনুভূতিটাই তার জীবনে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

এছাড়াও সপ্তাহে একদিন আপনার শিশুকে নিয়ে ঘুরতে বের হোন, তার পছন্দের জিনিস কিনে দিন, তার সাথে গুণগত সময় কাটান। শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি শিশুর মানসিক বিকাশেও সচেতন হোন।

23/03/2024

একটি শিশু জন্মের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত মানসিক বিকাশের বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে যায় এবং একটি ধাপ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার পরেই কেবল সে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারে। এজন্য বাচ্চাদের কথায় কথায় বাধা না দিয়ে মানসিক বিকাশের সহায়ক হয়ে তার শৈশবটা ভালো করে উপভোগ করুন।

শিশুর মানসিক বিকাশে ৫টি বিষয় সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

১. একটি শিশু যখন বড় হতে থাকে তার আশে-পাশের পরিবেশ তার উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে, এজন্যই শিশুর বিকাশের জন্য দরকার সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ।

২. শিশুর হাতে ডিভাইস/কোনো ধরণের মোবাইল না দিয়ে তাকে তার বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের সৃজনশীল খেলনা দেওয়া যেতে পারে। এতে তার বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।

৩. যেসব শিশুরা ছোটোবেলা ছবি আঁকতে শেখে তারা অন্তত মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। ছবির মাধ্যমে ভাবের বিকাশ হয়, পাশাপাশি চিন্তাশক্তিও বৃদ্ধি পায়।

৪. ছোটোবেলা থেকে শিশুদের বইপড়ার অভ্যাস করা উচিত। এর ফলে তাদের চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। চরিত্র গঠনে বই ভালো ভুমিকা পালন করে।

৫. সঙ্গীতচর্চা করলে শিশুদের নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ হয়, মনস্তাত্ত্বিক গঠনের উন্নয়ন ঘটে, সুরের সাথে কোনো কিছু মুখস্থ রাখার অভ্যাস বাড়তে থাকে, মানুষ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখে।

সুতরাং শিশুর মানসিক বিকাশের সহায়তায় এই ৫টি উপায় অনুসরণ করতে পারেন ।

16/03/2024

গর্ভাবস্থায় মেয়েদের সাধারনত রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, আর তাই গরমে গর্ভবতী মায়েদের কিছু ভোগান্তি পোহাতেই হয়, তাই এই সময়ে জরুরি কিছু টিপস মাথায় রাখা প্রয়োজন -
১। প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় পানীয় পান করা
গরমের সময় প্রচুর ঘামার কারণে পানিশূন্যতা একটি সাধারণ সমস্যা। এই পানিশূন্যতা কাটাতে গর্ভবতী মাকে সারাদিন প্রচুর পানি পান করা উচিত তা না হলে শরীর দূর্বল হয়ে যাবে । পানিশূন্যতা এমন একটা বাজে জিনিস যে আপনি কোন ভারী কাজ হয়তবা করেন নি, তবু আপনি প্রচুর দূর্বল বোধ করতে থাকবেন। দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। তাই এমন হওয়ার আগেই তাকে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার যেমন ডাবের পানি, ফলের জুস, লাচ্ছি, লেবু পানি, দই ইত্যাদি দিতে হবে। আর প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পানি খেতে হবে। শরীর যদি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে স্যালাইন পানি খেতে হবে।

২। সরাসরি রোদের সংস্পর্শ থেকে দুরে থাকা
আমরা সবাই হয়ত জানি গর্ভাবস্থায় রোদ পোহানো ভালো কারণ এতে ভিটামিন ডি রয়েছ। কিন্তু এর পরেই আপনার জানা উচিত-
তীব্র গরমের সময় গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সরাসরি রোদের মধ্যে না যাওয়াই ভাল। বেশ কয়েকটি গবেষণা এই বিষয়টি উল্লেখ করে যে, খুব বেশি সূর্যের সংস্পর্শে আসলে গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ফোলেটের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। আর যদি এরকম কোনও ব্যাপার ঘটে থাকে, তাহলে গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটাতে পারে অথবা শিশুদের মধ্যে নিউরাল টিউবের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে প্রথম তিন মাস ফোলিক অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়কালটিতে অতিরিক্ত রোদের কাছে না আসাই শ্রেয়, আবার একেবারেই আলোর সংস্পর্শ ছাড়া থাকা যাবে না।

৩। হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পরা
গরমের সময় সবার পোশাকই হালকা, ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক হওয়া উচিত আর গর্ভবতী মা দের এটা নিয়ে সচেতন থাকা উচিত। পোশাকটি এমন হওয়া উচিত যাতে শরীরে প্রচুর বাতাস লাগে। এজন্য কাপড় সিনথেটিক না হয়ে সুতি কাপড় হওয়াই ভালো কারণ সুতি কাপড়ে তাপ শোষণ ক্ষমতা কম থাকে বলে গরম কম অনুভূত হয়। বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম কাপড় যেমন পলিইয়েস্টার কাপড়ে তাপ শোষণ ক্ষমতা কম বলে এগুলো পরিহার করাই উত্তম।

৪। গরমের সময় নিয়মিত গোসল করা
গরমের সময় বাইরের তাপমাত্রা যেমন বেশী থাকে তেমন শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশী থাকে। এজন্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন গোসল করা দরকার।

13/03/2024

গর্ভাবস্থায় শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এসময় হরমোনের মাত্রা ওঠানামা থেকে শুরু করে ওজন, স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশের পরিবর্তন ঘটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এ সময় শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া আবশ্যক।

তবে অনেকেরই গর্ভাবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই হবু মায়েদের উচিত গর্ভাবস্থায় বেশ কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভুলগুলো কী কী-

Photos from Mom for Mom's post 01/02/2024

'নাইটওয়্যার কাফতান'
নতুন প্রিন্টে রিস্টক হয়ে এলো নাইটওয়্যার কাফতান। যেহেতু বসন্ত এসে গেছে তাই মায়েদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ফুলেল মোটিফের আর দারুণ রঙিন প্রিন্টের কাফতান। মাতৃত্বকালীন সময়টাতে মায়েরা নিজের বেবি বাম্প এবং হরমোনের ওঠানামায় ওজন বৃদ্ধির কারণে নিজের পরার জন্য ঠিক কোন পোশাক বেছে নিবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তাই আপনাদের জন্যই 'মম ফর মম' নিয়ে এলো নাইটওয়্যার কাফতান। তবে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা ছাড়াও যেকোনো মেয়েরাই আমাদের এই কাফতানগুলো পরতে পারবেন। ফুল লেন্থ, কাফতানগুলো লিনেন কটনে তৈরি, হাতা থ্রি কোয়ার্টার ও ঢিলেঢালা করে নকশা করা হয়েছে। কোমরে ফিতা দেয়া আছে, ফিতা টেনে নিজের ইচ্ছেমতোন ল্যুজ অথবা টাইট করে নিতে পারবেন।তাই আমাদের আরাম আরাম ফেব্রিক এবং স্টাইলিশ ধাচের কাফতানে এই বসন্তে থাকুন ফুরফুরে মেজাজে।
*আলোর কারণে রঙে সামান্য তারতম্য হতে পারে।
*বিস্তারিত জানতে ছবিসহ ইনবক্স করতে হবে।

23/01/2024

শীত আসলেই ছোট শিশু নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এ সময়ে বাতাসের মাধ্যমে থাকা ভাইরাসগুলো সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বেশিরভাগ শিশুদেরই আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সর্দি কাশি লেগেই থাকে।

তাই আমরা 'মম ফর মম' থেকে নিয়ে এসেছি আপনাদের ছোট্টসোনামণিদের জন্য খুবই উপকারী কিছু টিপস। আশা করি আপনার শিশুর সাথে আপনার ঋতুবদলের এই সময়টি ভালো কাটবে।

21/01/2024

শীতের হিমেল বাতাসে সবচেয়ে বেশি নাজুক হয়ে পড়ে শিশুরা। সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এছাড়াও হাঁচি, কাঁশি আর সর্দি তো লেগেই থাকে।

এজন্য পর্যাপ্ত শীতের কাপড় পরানোর পাশাপাশি বাচ্চাদের সাবধানে রাখতে হবে। একবারে অনেক বেশি শীতের কাপড় না পরিয়ে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় পরানো উচিত। বাচ্চাদের গায়ের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখবেন, গরম মনে হলে দুই একটা কাপড় খুলে দিবেন।

18/01/2024

মা ও নবজাতকের মৃত্যু একটি বিশেষ সমস্যা এবং এর বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব একটি সঠিক প্রসব পরিকল্পনার মাধ্যমে। দেখে নিন মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধের অন্যতম উপায়গুলো

১ কমপক্ষে ৪ বার সময়মত ও মানসম্মত গর্ভকালীন সেবা
২ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব
৩ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে নিরাপদ প্রসব ও
৪ প্রসব পরবর্তী সেবা।

17/01/2024

আপনি জানেন কি? পুরো পৃথিবীতে মাত্র ০.৩ শতাংশ নারীদের দুটি জরায়ু থাকে। দুটি জরায়ুর নিজস্ব ডিম্বাশয় এবং ফেলোপিয়ান টিউব থাকে। দুটি জরায়ুতে একই সঙ্গে সন্তানধারণের ঘটনা আরও বিরল। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি জরায়ু নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। ১০ লক্ষ মহিলার মধ্যে মাত্র এক জনের ক্ষেত্রে এমন বিরল ঘটনা ঘটে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন দুটি পৃথক জরায়ুতে গর্ভধারণের অনেক ঝুঁকিও থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে তেমনই এক বিরল ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা নামের এক অঙ্গরাজ্যে। কেলসি হ্যাচার (৩২) নামক এক নারী পরপর দুই দিন দুটি পৃথক জরায়ু থেকে জন্ম দিয়েছেন দুটি কন্যাশিশুর! জানা যায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের আরিফা সুলতানা (২০) নামে এক মহিলার ক্ষেত্রে এর চেয়েও বিরল এবং চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিলো। তিনি দুটি পৃথক জরায়ু থেকে তিনটি সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম দিন একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেবার ২৬ দিনের ব্যবধানে আরও দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। মা ও তিনটি সন্তানই সুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়।

Photos from Mom for Mom's post 11/01/2024

একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। মম ফর মম তাই সবসময়ই চেষ্টা করে মায়েদের জন্য নতুন নতুন নকশা নিয়ে কাজ করার। সেই ধারায় চলে এসেছে একেবারে আনকোরা নকশার নতুন ম্যাটারনিটি ম্যাক্সি। খুবই আরামদায়ক, ফুলেল ছাপায় ফিডিং সুবিধাসহ ম্যাটারনিটি ম্যাক্সিগুলো নিতে আজই ইনবক্স করুন।
*আলোর কারণে রঙে সামান্য তারতম্য হতে পারে।
*বিস্তারিত জানতে ছবিসহ ইনবক্স করুন।

09/01/2024

অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের নতুন বছরটা নিশ্চয়ই ভালো কাটছে। শীতের এই মৌসুমে মজাদার মৌসুমী সবজি, ফলমূল ও পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাচ্ছেন তো? একজন অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার গর্ভস্থ শিশুর জন্য কোন কোন খাবারগুলো ভালো আমরা হয়তো অনেকেই জানি। কিন্তু কোন কোন খাবারগুলো মা ও সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তা জানি কি? তবে আসুন আজই জেনে নেই গর্ভবতী মায়েদের কোন কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত ও সতর্ক থাকতে হবে-
১ গর্ভাবস্থায় অর্ধসিদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া থেকে পুরোপুরি বিরত থাকবেন। কারণ, এসব অর্ধসিদ্ধ খাবারে নানারকম জীবাণু থাকে যা আপনার শরীরে জটিল অসুখ তৈরি করতে পারে। নোরো ভাইরাস, ভিব্রিও, সালমোনেল্লা, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণু মায়ের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। তাই মাছ, মাংস, ডিম ভালো করে ধুয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে খান।
২ আজকাল সুপারমার্কেটগুলোতে বিভিন্ন রকমের প্রসেসড বা প্রস্তুতকৃত মাছ ও মাংস পাওয়া যায়। যেমন: সসেজ, সালামি পেপারনি, প্রস্তুতকৃত টুনা ইত্যাদি। এই প্রোসেসড মাছ, মাংস ভুলেও খাবেন না। কেননা এগুলোতেও ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস, যেমনঃ টোক্সোপ্লাসমা, ই-কোলি, লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেল্লা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে চোখের সমস্যা, স্নায়ুর অসুখ, স্টিল বার্থ, মৃগী ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৩ কলিজা বা কলিজা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু হলেও এটি পরিমাণে বেশি খাওয়া অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য বিপজ্জনক। কলিজায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে মায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেকে মনে করেন অতিরিক্ত ভিটামিন এ যুক্ত এই খাবারটি বেশি করে খেলে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুর অনেক উপকার হবে, যা পুরোপুরি ভুল। গর্ভবতীদের এই সময়টাতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত কিছুই খাওয়া উচিত নয়।
৪ অপাস্তুরিত দুধ, চিজ বা পনির গর্ভাবস্থায় মারাত্নক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। অপাস্তুরিত দুধ এর অর্থ হলো কাঁচা দুধ। দুধ পাস্তুরিত করাই হয় দুধে বিদ্যমান বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করার জন্য। গর্ভাবস্থায় তাই চিকিৎসকেরা পনির, চিজ দেয়া খাবার খেতে নিষেধ করেন। কারণ, বিভিন্ন প্রস্তুতকৃত খাবারে অপাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি চিজ বা পনির দেয়া হয়। তাই এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তবে ঘরে বানানো পাস্তুরিত অর্থাৎ জ্বাল দেয়া দুধ দিয়ে তৈরি পনির বা চিজ খেতে পারেন।
৫ আপনার যদি চা বা কফি পানের নেশা থেকে থাকে তবে এই অভ্যাস আপনার ত্যাগ করতে হবে। এ সময়টাতে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি পান করলে শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুর ওজন বৃদ্ধির মতো আশংকাও দেখা দিতে পারে। তাই চা/কফি পান করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। তবে খুব বেশি ইচ্ছে করলে একেবারে ছোট কাপের এক কাপ সারাদিনে একবার পান করতে পারেন এর বেশি নয়। এছাড়াও এসময় কোল্ড ড্রিংকসহ যেকোনো ধরনের কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৬ সামুদ্রিক খাবার অন্তঃসত্ত্বা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য খুবই উপকারি। তবে চিকিৎসকদের মতে এই সময় অত্যাধিক সামুদ্রিক মাছ না খাওয়াই ভালো, এতে শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রবেশ করতে পারে।
৭ গর্ভাবস্থায় বাসী, টক, গন্ধযুক্ত খাবার খাবেন না। ফাস্টফুডসহ যেকোনো বাইরের খাবার খাওয়ার বেলায় সতর্ক থাকবেন।
মনে রাখবেন এ সময় শুধু আপনি নন, আপনি কি খাচ্ছেন এর ওপর আপনার গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যও নির্ভর করে। তাই উপোরোক্ত খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনার মাতৃত্বের যাত্রায় ‘মম ফম মম’ এর পক্ষ থেকে আপনাকে শুভকামনা।
বি;দ্র;- আমাদের কোন কন্টেন্ট সরাসরি কাউকে চিকিৎসা দেবার জন্য নয়। বরং সচেতনতা সৃষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
লেখা- বনোমিতা ঘোষ।

02/01/2024

ভোরের নরম রোদ আর বাতাসে হালকা কুয়াশা নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। অনেকেই বলে থাকেন শীতকালীন সময় গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুসময়। কেননা এসময় অতিরিক্ত গরম নেই, সুন্দর আবহাওয়া সাথে পুষ্টিকর মৌসুমী সবজির সমাহার থাকে সব জায়গায়। তবে শীতকাল অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণও বটে। একটু সাবধান আর যত্নে না থাকলে মা ও গর্ভের সন্তান উভয়েরই ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে। তাই শীতের এই সময়টাতে অন্তঃস্বত্ত্বা মায়েদের জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেই-
১ শীতকালে পিপাসা কম লাগে বলে পানি অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম পান করেন। যেটা খুবই ক্ষতিকর, এতে ডিহাইড্রেটেড হবার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভবতীদের দৈনিক কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। পানির পাশাপাশি অন্য যেকোন স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন- ফলের রস, গরম স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারেন।
২ শীতের পুরোটা সময় মৌসুমী ও পুষ্টিকর শাক-সবজীতে ভরপুর থাকে বাজার। আর গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার একটু বেশিই খেতে হয় মায়েদের। অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা যদি এ সময়ের তাজা শাক-সবজী ও ফলমূল বেশি করে খান তবে তার নিজের সুস্থতার পাশাপাশি একজন সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ।
৩ শারীরিকভাবে সুস্থ ও মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। বছরের অন্যান্য সময়ে ব্যায়াম অনুশীলন করলেও শীতে আলসেমি করে হয়তো ব্যায়ামই করলেন না। এতে করে হয়তো আপনার সুস্থতার ব্যাপারেই আপনি আপোষ করলেন। ৩০ মিনিট হাঁটা, শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যায়াম, মেডিটেশন ইত্যাদি নিয়মিত করবেন, এটি প্রসবের সময় কাজে দিবে।
৪ শীতে ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন। গোসলের পরে শরীর ভেজা থাকতেই অলিভ অয়েল, বডি লোশন কিংবা গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হবে। ঠিক একইভাবে মুখে ময়েশ্চারাইজার আর ঠোঁটে লিপ বাম। এছাড়াও চাইলে ঘরোয়া উপায়ে বিশুদ্ধ নারিকেল তেল তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। বেশি সময় নিয়ে গরম পানি, সাবান ইত্যাদি দিয়ে গোসল করবেন না, এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
৫ শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় পরলেও চেষ্টা করবেন আঁটসাঁট কোনো পোশাক না পরে আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে। আঁটসাঁট কাপড় পরলে গর্ভের সন্তানের ওপর চাপ পরতে পারে।
৬ শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় কেননা ঠান্ডার পাশাপাশি বাতাসে ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায় সাথে বেড়ে যায় জীবাণুও। এ কারণে যতটা সম্ভব ঘরের বাইরে কম যাবার চেষ্টা করুন। বাসায় আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পায়ে আরামদায়ক জুতা পরতে ভুলবেন না যেন।
তথ্যসূত্র- কালের কন্ঠ
লেখা- বনোমিতা ঘোষ।

01/01/2024

We wish all the Inspirational Mothers who spread endless smiles to their families everyday...A Year of Abundance, joy, prosperity, health, love, and blessings!

Happy New year 2024.

27/12/2023

মোবাইল ফোন ও প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত আসক্তিতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক কি কি ক্ষতি হয় তা পূর্বের লেখায় উল্লেখ করেছি। এ প্রসঙ্গে সানি’স স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ডেভিড কার্পেন্টার বলেছেন, ‘শিগগিরই আমরা হয়তো একটি মহামারি রোগের শিকার হতে পারি এবং সেটি হবে মস্তিষ্কের ক্যানসার।’ এই আসক্তির ভয়াবহতা অনুধাবন করেই প্রযুক্তির এসব পণ্য থেকে শিশুদের দূরে রাখার জন্য দেশে দেশে অভিভাবকেরা উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিশেষ করে বহির্বিশ্বের অনেক দেশেই স্কুলে মোবাইল ফোন ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমাদের দেশেও কিছু স্কুলে এই নিয়ম জারি আছে। তবে শুধু স্কুলে নয়, এই ভয়াবহ মহামারি রোগ থেকে শিশুদের বাঁচাতে চাইলে অভিভাবকদের কিছু কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন সেগুলো জেনে নেই
১ শিশুরা অনুকরণপ্রিয়, ছোটবেলা থেকেই যদি সে দেখে যে বাড়ির সবাই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত, তাহলে শিশুকে শুধু শুধু দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা আগে মোবাইল ফোন ব্যবহারে সংযত হোন। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
২ শিশুদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারলে খুব ভালো। ছোটবেলা থেকে রোজ রাতে শোবার আগে সন্তানকে যদি বই থেকে গল্প পড়ে শোনান, তাহলে তার মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৩ শিশুদের মেধা বিকাশে বেশি বেশি সৃজনশীল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করুন। যেমন- ছবি আঁকা, আবৃত্তি করা, গান গাওয়া, বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য পাজেল মিলানো, শব্দজট খেলা ইত্যাদির চর্চা করতে অনুপ্রাণিত করুন। এতে করে আপনার সন্তানের সুস্থ ও সুন্দর মানসিক বিকাশও হবে পাশাপাশি শিশু ব্যস্তও থাকবে।
৪ শিশুরা যে ধরনের কাজ করতে পছন্দ করে যেমন- খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো ইত্যাদি কাজ যদি সে করতে চায় তবে এই কাজগুলো করার জন্য তাকে উৎসাহ দিন। তাহলে স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমতে শুরু করবে। যে সময়টিতে সে ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে কাটায়; এর বিকল্প কিছু করানোর চেষ্টা করুন।
৫ সাপ্তাহিক কোনো ছুটির দিনে আপনার শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যান। গ্রীষ্মকালীন কিংবা শীতকালীন ছুটির দিনগুলোতে দূরে কোথাও নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়ুন। ভ্রমণ শিশুর সুষম বিকাশে কাজ করে। শিশুরা অনুকরণ-অনুশীলনের মাধ্যমে শেখে, পরিবেশ থেকে শেখে। তারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর করে।
৬ শিশুরা করতে পারে এমন ছোট ছোট কাজ যেমন- নিজের বই, খাতা, পেন্সিল গুছিয়ে রাখা, খেলা শেষ হলে খেলনা গুছিয়ে রাখা, ইউনিফর্ম নিজে নিজে পরা, চুল আঁচড়ানো, গাছে পানি দেওয়া, বাসায় কোনো পোষা প্রাণি থাকলে তার দেখভাল করা, তাদেরকে খেতে দেওয়া, বাসায় ছোট কোনো ভাই-বোন থাকলে তাদেরকেও দেখে রাখা এসব কাজ আপনার শিশুকে আস্তে আস্তে শেখান। এই কাজগুলো করার মাধ্যমে সে ভবিষ্যতে আত্ননির্ভরশীল ও দায়িত্ববান হয়ে উঠবে। সে শিখবে যে নিজের পাশাপাশি অন্যকে দেখে রাখাও (সে হতে পারে পরিবারের কেউ, পোষা প্রাণী বা গাছ যাই-ই হোক না কেন) একজন মানুষ হিসেবে তার দায়িত্ব।
৭ শিশুদের প্রযুক্তির ব্যবহার ও স্ক্রিন টাইমের সময় নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। দেখা গেলো ভিডিও গেইম বা কার্টুন দেখার জন্য শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিলেন। কিন্তু কত সময় সে ব্যবহার করবে সেটা আপনি নির্ধারণ করে দিলেন কিন্তু দিনের কোন সময়টায় ব্যবহার করবে এটা তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। তবে কি ধরনের কার্টুন বা ভিডিও গেইম খেলছে এ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন হতে হবে।
৮ আপনার সন্তানকে গুণগত সময় দিন। সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন না করে সন্তানের সাথে বন্ধুর মতো মিশুন। আজকের এই সময়ে আমরা সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। তবুও ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, তার সাথে যেকোনো এক্টিভিটিতে যোগ দিন, গল্প করুন, তার লেখাপড়ায় তাকে সাহায্য করুন। দেখবেন আপনার সন্তানের ফোনের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে কমে যাবে।
তথ্যসূত্র- প্রথম আলো
লেখা- বনোমিতা ঘোষ।

25/12/2023

মা মেরির কোলে যদি যীশু খ্রীষ্টের জন্মই না হতো তাহলে কি আর এই পৃথিবী কখনো জানতো যে পিতা ছাড়াও সন্তানকে জন্ম দেওয়া যায় এবং পিতার সাহচর্য ছাড়াও সন্তানকে জগতখ্যাত হিসেবে তৈরি করা যায়?

আজকের এই বিশেষ দিনে সেই সকল অসাধারণ মায়েদের কথা স্মরণ করে সকলকে জানাই বড়দিনের শুভেচ্ছা।

Merry Christmas! May the Christmas Season bring only happiness and joy to you and your family.

Photos from Mom for Mom's post 24/12/2023

আপনার মাতৃত্ব উদযাপন করুন ‘মম ফর মম’ এর দারুণ নকশার মাতৃত্বকালীন টপ্স এর সাথে। গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তনের ফলে নারীরা প্রচলিত ফ্যাশনেবল কাপড় পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। শিশুকে কিভাবে ফিড করাবেন, পরিধেয় পোশাকটি স্বস্তিদায়ক হবে কি না ইত্যাদি বিষয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ ধরনের চাহিদাগুলোকেই আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। মায়েদের সুবিধা, স্বস্তি ও ফ্যাশন সবদিক মাথায় রেখেই আমরা নিয়ে এসেছি ফিডিং সুবিধাসহ ম্যাটার্নিটি টপ্স।
পণ্যের বিবরণঃ
প্রিন্টেড জরজেট
বডি- ৪৪”
স্লিভ লেন্থ- থ্রী কোয়ার্টার
ড্রেস লেন্থ- ৩৬”
বুকের দু’পাশে লম্বালম্বিভাবে হিডেন জিপার দেয়া আছে।

আলোর কারণে রঙে সামান্য তারতম্য হতে পারে।
বিস্তারিত জানতে ছবিসহ ইনবক্স করুন।

21/12/2023

বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের নিয়ে অধিকাংশ বাবা-মায়েদের একই অভিযোগ। তাদের সন্তানেরা অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে আসক্ত। এই আসক্তি কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। আবার অনেক বাবা-মায়েরাই সন্তানের এই প্রযুক্তিপ্রীতিতে খুশি হন; ভাবেন, সন্তান অনেক কিছু শিখছে বা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রযুক্তির কারণে শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখছে না অনেকেই।
আপনার বাচ্চা খাচ্ছে না? কিছু না ভেবেই চটজলদি আপনার মুঠোফোন ওর হাতে তুলে দিলেন। কান্না করছে? একটা ভিডিও চালিয়ে দিয়ে বাচ্চাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। এখান থেকেই কিন্তু অভ্যাসটা তৈরি হয়। বর্তমানে মুঠোফোন ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় সাফল্যের কারণে যেকোনো কিছুই একেবারে আমাদের হাতের মুঠোয়। তাই শিশুদের শান্ত রাখা, খাওয়ানো, বিনোদনের জন্য কার্টুন, অক্ষরজ্ঞানচর্চা থেকে শুরু করে ছড়া পাঠের জন্যও অভিভাবকেরা ফোনের ওপর নির্ভরশীল। বড়দের উদাসীনতার কারণে ছোট বাচ্চারা ক্রমাগত এই বিপজ্জনক আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে অজান্তেই। আসুন জেনে নেই ফোনের প্রতি আসক্তিতে শিশুদের কি কি ক্ষতি হতে পারে -
১ দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে।
২ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
৩ ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪ মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
৫ রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
৬ নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
৭ স্ক্রিনের রেডিয়েশন প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই শিশুদের জন্য তা আরও বেশি মারাত্মক ক্ষতিকর। যা কিনা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ব্যাহত করে।
৮ গবেষণা থেকে আরও বেরিয়ে এসেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের শ্রবণক্ষমতাও হ্রাস করে।
৯ মোবাইলের প্রতি আসক্তি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা নষ্ট করে।
১০ প্রযুক্তির এ আসক্তির ফলে শিশুদের আবার দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে; ফলে শিশুর স্থূলতাও বেড়ে যাচ্ছে।
১১ দীর্ঘ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে শিশুর চোখেও মারাত্মক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
১২ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহারে শিশুদের পারিবারিক ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।

উপর্যুক্ত তথ্যে দেয়া মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করতে সচেতন থাকুন। আপনার সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

লেখা- বনোমিতা ঘোষ।

Photos from Mom for Mom's post 19/12/2023

'ম্যাটার্নিটি ম্যাক্সি'
আপনি কি সদ্য মা হয়েছেন? শিশুকে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় পোশাকের জন্য সমস্যা হচ্ছে? কেমন পোশাক পড়া উচিত সেটা নিয়ে চিন্তা করছেন? তাহলে আপনার জন্য এই ম্যাক্সিগুলো হতে পারে দারুণ সমাধান।
শিশুকে ব্রেস্ট ফিডিং এর সময় আঁটসাঁট কিংবা খুব বেশি ভারি পোশাক পরিধান করা উচিত নয়। এ সময় ওজনে হালকা, কম ঘাম হয়, ঢিলেঢালা এ ধরণের পোশাকটা নির্বাচন করা উচিত। কারণ ব্রেস্ট ফিডিং এর সময় আপনার আরামের সাথে আপনার শিশুও স্বস্তি বোধ করছে কি না সেই কথাটা মাথায় রাখতে হবে।
আর তাই আমরা 'মম ফর মম' নিয়ে এলাম ম্যাটারনিটি ফ্লেয়ার ম্যাক্সি। এই ম্যাক্সিগুলো লিনেন সুতি কাপড়ের তৈরি, সামনে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর বোতাম দেওয়া আছে, যেন আপনি সহজেই আপনার বাচ্চাকে চটজলদি খাওয়াতে পারেন।
তাহলে অর্ডারের জন্য ইনবক্স করছেন তো?
* আলোর কারণে রঙে সামান্য তারতম্য হতে পারে।
* বিস্তারিত জানতে ছবিসহ ইনবক্স করুন।

18/12/2023

বর্তমান যুগে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার এবং চাহিদার কারণে শিশুদেরকে সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। লেখাপড়া, নতুন কিছুর চর্চা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, বিনোদনসহ প্রত্যেকটি জায়গায় এখন তথ্য-প্রযুক্তি অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। তবে অনলাইনের নানাবিধ সুবিধার সাথে সাথে অসুবিধাও কিন্তু কম নেই। একটু চারপাশে চোখ বুলালেই দেখতে পাবেন যে বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্করাও অনলাইনে সুরক্ষিত নন। সাইবার বুলিং, একাউন্ট হ্যাকিং, ফিশিং, তথ্য চুরি ইত্যাদি হরহামেশাই ঘটছে অনেকের সাথে। সে তুলনায় শিশুরা অনলাইনে আরও বেশি ঝুঁকির মুখে আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই অভিভাবক হিসেবে কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে আপনিই পারেন আপনার সন্তানকে এসব ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে। আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেই কিছু টিপস।
১ আপনার শিশুকে অনলাইন ব্যবহারে সতর্ক করুন
শিশুর হাতে কোনো প্রযুক্তি যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার ইত্যাদি দেবার আগে অনলাইন এর ব্যাপারে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। অনলাইনে বিনামূল্যের শিক্ষা উপকরণ থেকে সতর্ক থাকুন। এই উপকরণগুলো ব্যবহার করার জন্য কখনোই আপনার শিশুর কোনো ছবি বা পুরো নাম দেওয়া উচিত হবে না। তথ্য চুরি কমানোর জন্য গোপনীয়তা সেটিংস পরীক্ষা করে দেখুন। আপনার শিশুকে ব্যক্তিগত তথ্য বিশেষ করে অপরিচিত কারো কাছে তথ্য গোপন রাখার বিষয়টি শিখিয়ে দিন। যেমনঃ অপরিচিত কাওকে ভুলেও পুরো নাম, বাসার ঠিকানা, স্কুলের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দেয়া যাবে না। কারণ, এসব শেয়ার করার কারণে অনেকের কাছে আপনার শিশুর তথ্য চলে যাবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি তার ক্ষতি করতে চায় তাহলে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য অনলাইন থেকেই পেয়ে যাবে।

২ আপনার ও শিশুর অনলাইন প্রাইভেসি সেটিংস ঠিক রাখা
অনলাইনে আপনার ও আপনার সন্তানের প্রাইভেসি সেটিংস পাবলিক দিয়ে না রাখাই ভালো। তাহলে আপনার অনুমোদিত মানুষের বাইরের লোকজনও আপনার শেয়ারকৃত সকল তথ্য দেখতে ও শেয়ার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে এমন অনেক মানুষের কাছে আপনার সন্তানের তথ্য চলে যাবে, যারা আসলে শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব ছবি নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন আজেবাজে পেইজ, গ্রুপে ছবি শেয়ার দিতে পারে যা অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা নষ্ট করবে। সেজন্য প্রাইভেসির ব্যাপারটা খুব খেয়াল করে ঠিক করতে হবে।

৩ প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার
আপনার শিশুর ডিভাইসে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন রাখুন। তাহলে শিশুর জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট, অ্যাপ, গেইম, কন্টেন্ট থেকে তাদের দূরে রাখতে পারবেন। এছাড়াও প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপ ব্যবহার করে শিশুর অনলাইন কার্যক্রম দেখতে পারবেন সহজেই। এই নিয়ন্ত্রণগুলো শিশুকে নিরাপদ রাখার জন্য জরুরি। অনেক সময় শিক্ষার প্রয়োজনে শিশুকে ডিভাইস দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে সহজেই অনলাইন মাধ্যমের ঝুঁকিগুলো থেকে তাদের নিরাপদ রাখার জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের সুবিধা হলো এসব সেটিংস পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখা যায়। ফলে শিশু চাইলেও অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়া এই সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে না।

৪ সেফ সার্চ অন রাখা
সার্চ ইঞ্জিন যেমন – গুগল, পিপীলিকা, Bing এ কোন কিছু সার্চ করলে অনেক ধরনের তথ্য সামনে আসে। একজন শিশু যখন সার্চ করে তার জন্য বয়স উপযোগী কন্টেন্ট সামনে আসে না। অনেক অযাচিত কন্টেন্টও চলে আসে। আবার ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট আসলে তা শিশুকে মানসিক ভীতিতে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সেফ সার্চ সেটিংস অন করে রাখুন। তাহলে এমন ঝুঁকিগুলো থেকে কোমলমতি শিশুকে নিরাপদে রাখতে পারবেন

৫ প্রযুক্তি ও অনলাইন ব্যাবহার সীমিত রাখুন
প্রযুক্তি ছাড়া আজকের দিনে চলা মুশকিল এটা সত্যি হলেও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখতে হবে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিশুকে স্মার্ট ডিভাইসের সামনে থাকার অভ্যাস করুন। ওই সময়ের বাইরে তাকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখুন। এছাড়া শিশু স্মার্টফোনে কী করছে বা কী দেখছে- তার প্রতিও নজর রাখতে হবে।

৬ নিজেরাও সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অভ্যাস তৈরি করুন
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়, তারা যদি সবসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সারাক্ষণ মোবাইল ফোন নিয়ে ইন্টারনেটে ব্যস্ত থাকতে দেখে তবে তারও এই বদভ্যাস তৈরি হবে। তাই শিশুর সুস্থ ও সুন্দর জীবযাপনের অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনার বাড়ির পরিবেশ ঠিক করুন। আপনাদের নিজেদেরও এ ধরনের বদভ্যাস থাকলে সেটা আগে পরিবর্তন করুন।

৭ আপনার সন্তানের খুব কাছের বন্ধু হোন
অনলাইন মাধ্যমে একটি শিশু বিভিন্নভাবে বিপদে পড়তে পারে। সেসব বিপদে শিশুর পাশে থাকুন, তাদের উপর দোষ না চাপিয়ে, অযথা শাসন না করে আপনার সন্তানের সমস্যার কথা ভালোভাবে শুনুন। তার পক্ষে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিন। তাহলে শিশু আপনার উপর ভরসা করবে এবং পরে যেকোনো বিপদে আপনার সহযোগিতা চাইবে। কিন্তু তাকে দোষী করলে পরবর্তী কোন বিপদে কিছু জানতেই পারবেন না, এতে করে শিশু আস্তে আস্তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে।

Want your business to be the top-listed Clothing Store in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

ম্যাটারনিটি কুর্তির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু বলে মনে করছেন? ★প্রথমেই বলতে চাই - এই কুর্তি একটা স্পেশাল সময়ের জন্য ডিজাইন করা, ...
ফুলে ফুলে এই রঙিন কুর্তি গুলো কার কার লাগবে?
আসছে নতুন কালেকশন 💚
Maternity cape shawl kurti
অনুভবে মাতৃত্ব
#Happy_Friday Maternity kurti available ache 🥰Ajke order korlei Delivery charge Free!! Weekend offer!
Let's celebrate motherhood
Maternity Kaftan 🤱🏻Feeding option is available  - two way hidden zipper Fabric is super comfortable cotton #maternity #f...
💫 Happy new year 2022 💫

Telephone

Address


Dhaka
1213

Other Maternity & Nursing Clothing Stores in Dhaka (show all)
Goponjinis.com Goponjinis.com
Moghbazar, Mouchak
Dhaka, 1217

Goponjinis.com is an exciting online undergarments store that aims to provide high-quality undergarm

Mother Goose Mother Goose
Banani DOHS
Dhaka, 1213

Office-going expecting/new mom looking for functional soft-fabric maternity and nursing wear? You don't need to give up on fashion because of this new change in your life, because ...

Eshaal's Castle Eshaal's Castle
Dhaka, 1230

This is the castle where you will find your desires. We provide products & services for babies & mom

Bloom-The 1st choose Bloom-The 1st choose
Khilkhet
Dhaka, 1229

উন্নত মানের ম্যাক্সি, নিজস্ব ডিজাইনের কাঠব্লক শাড়ি, বিছানার চাদর, লেডিস্ কালেকশন

Kicks N Crawl Kicks N Crawl
Flat-B1 (Debonair Duplexes), House 1/A, Road-79, Gulshan/2
Dhaka, 1212

This is a one stop shop, especially catered with premium Imported clothing and accessories for Newbo

goponjinis.com goponjinis.com
Mogbazar, Mouchak Dhaka
Dhaka, 1217

goponjinis.com is an exciting online undergarments store that aims to provide high-quality undergarm

Yours, Mammamia Yours, Mammamia
Dhaka
Dhaka

We make functional maternity & nursing wear on soft & breathable fabric! Customised to your size.

DorjiApu - দর্জিআপু DorjiApu - দর্জিআপু
Dhaka

Your trusted fashion partner.....

BloomingZ BloomingZ
Kamal Soroni 60 Feet Road
Dhaka

Welcome to our page hope you like ours products

Misty's page Misty's page
Dhanmondi
Dhaka

Maternity Wear Bd by Rifath Ara Ananna Maternity Wear Bd by Rifath Ara Ananna
203, Washa Road, West Shawrapara
Dhaka, 1216

Maternity Wear Design By ARA