BHIM 2.0

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَیْكُمُ الصِّیَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَۙ

১. হে ঐসব লোক, যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের নবীগণের উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছিল। এর ফলে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণ পয়দা হবে। (সূরা বাকারা ০২:১৮৩)

اَیَّامًا مَّعْدُوْدٰتٍ ؕ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَّرِیْضًا اَوْ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ وَ عَلَی الَّذِیْنَ یُطِیْقُوْنَهٗ فِدْیَةٌ طَعَامُ مِسْكِیْنٍ ؕ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَیْرًا فَهُوَ خَیْرٌ لَّهٗ ؕ وَ اَنْ تَصُوْمُوْا خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

২. কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনের রোজা। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে সে অন্য সময় যেন এ দিনগুলোর রোজা আদায় করে নেয়। আর যারা রোজা রাখতে সক্ষম (হয়েও রোজা রাখে না) তারা যেন ‘ফিদ্ইয়া’ দেয়। এক রোজার ফিদইয়া হলো একজন মিসকিনকে খাওয়ানো। যদি তোমরা বুঝ তাহলে রোজা রাখাই তোমাদের জন্য বেশি ভালো। (সূরা বাকারা-০২:১৮৪)

Trying.....

কান দেখে কি মানুষ চেনা যায়???
- মো: রোকনুজ্জামান
-----------------------------------------

উপরের প্রশ্ন অনেকের কাছেই বেমানান লাগতে পারে। মানুষ সনাক্ত করার মাধ্যম হিসেবে কেউ কান ইউজ করেনা। বাট University of politics and Islamophobia production (ঢাবি ) এর চেতনা ব্যবসায়ী , বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষকদের অন্যতম গবেষণার বিষয় হচ্ছে কান দেখে মানুষ সনাক্ত করা। এজন্য এরা ক্লাসরুমে, পরীক্ষার হলে মানুষ সনাক্তের অজুহাত দিয়ে মুসলিম ধর্মভ মেয়েদের কান খোলা রাখার বিধান করে।

এদের আসল উদ্দেশ্য কি এবং কিভাবে এদের গবেষণা চলে চলুন দেখে আসি :

ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষক কনফারেন্স রুমে জড় হয়েছে ৪০ জন শিক্ষক। এরমধ্যে বাংলা বিভাগের ১৫ জন। বাকি ২৫ জন অন্য বিভাগের। মিটিংয়ে স্বয়ং ভিসি উপস্থিত। প্রক্টর প্রভোস্ট ,ডিনরাও আছে।
শুরুতেই কথা বলা শুরু করলো মেসবাহ কামাল।

মেসবাহ কামাল - ঢাবিতে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার পরও মাদ্রাসা আর হিজাব নেকাব পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে না। এটা কোনভাবেই মানা যায়না। আমি বিভিন্নভাবে পাবলিকলি এ ব্যাপারে ওদের ছোট করে কথা বলেছি। চোখের সামনে নেকাব পরা মেয়ে ঘুরতে দেখলে কষ্ট লাগে। যেভাবেই হোক নেকাব হিজাব বন্ধ করা উচিত।

ভিসি - আমাদের ঠান্ডা মাথায় কাজ করা উচিত। পুরো ভার্সিটিতে হিজাব নেকাব নিষিদ্ধ করলে বড় ধরনের প্রতিবাদ হতে পারে। আমরা বিভাগ ভিত্তিক করতে পারি। এজন্য আমরা কৌশল অবলম্বন করতে পারি। যেমন : পরিচয় সনাক্তের নামে আমরা কান খোলা রাখার নিয়ম করতে পারি। আর কান খুলতে গেলে মুখ খুলতেই হবে। সো ,ওদের নেকাবও খুলতে হবে , আবার হেনস্তাও হবে। তাহলে আমাদের উদ্দেশ্য ও হাসিল হবে , এবং আমরা বলতে পারবো যে আমরা হিজাব নেকাব নিষিদ্ধ করিনি। অলরেডি আমি ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় কান খোলা ছবি দেওয়ার নিয়ম করেছি। পরীক্ষার হলেও কান খোলা রাখার নিয়ম করেছি। প্রথম যখন এসব নিয়ম করি, একটু শোরগোল হয়েছিলো বাট এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি। মাদ্রাসা পড়ুয়াদের আমরা সিস্টেমে টপ সাবজেক্টে ভর্তি হতে দিইনা। হিজাব নেকাব দাড়িওয়ালাদের আমরা ভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিইনা। এখন সিস্টেমে হিজাব নেকাব নিষিদ্ধ করলেও একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।

হটাৎ একজন ডিন বলে উঠলো - মিডিয়া , সরকার সব আমাদের পক্ষে। ক্যাম্পাস থেকে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন দূর করার এখনই সময়। আমাদের দূর্নীতি নিয়ে কথা বললে এরাই বলবে।

এরপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলো বাংলা বিভাগে প্রথম হিজাব নেকাব নিষিদ্ধের নিমিত্তে কান খোলা রাখার নিয়ম চালু করবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগে নিষিদ্ধ করবে।

উপরের মিটিংটা কাল্পনিক হলেও এসব বিজ্ঞানমনস্ক অসাম্প্রদায়িক অভিনেতাদের মিটিংগুলো এমনই হয়।
এদের আল্টিমেট লক্ষ্য পরিচয় সনাক্ত না , বরং ক্যাম্পাস থেকে হিজাব ,নেকাব , দাড়ি নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসকে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন শূন্য করা।

এই ভন্ডরাই আবার বলে ডিজিটাল ভার্সিটি। এতটাই ডিজিটাল যে পরিচয় সনাক্ত করতে কান দেখা লাগে!!
এই শিক্ষকরাও কিন্তু নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলন করে। তবে সেই স্বাধীনতা বড্ড একপেশে। তাদের পোশাকের স্বাধীনতা অনুযায়ী একজন নারী চাইলেই ছোট ছোট বিকিনি পরতে পারবে , সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রায় নগ্ন হতে পারবে , বাট হিজাব , নেকাব পরতে পারবে না!
What a অসাম্প্রদায়িক! What a neutral মুক্তমনা!!

গত সাত মাসে আমি আমেরিকা , ইংল্যান্ড , ফ্রান্সসহ আটটি দেশের এয়ারপোর্টে সিকিউরিটি চেক ফেস করেছি। সব এয়ারপোর্টে আমার পাশে নেকাব পরা মহিলা ছিলো। কোথাও পরিচয় সনাক্তের নামে কখনও কান খুলে চেক করতে দেখিনি। আর সব এয়ারপোর্টে মেয়েদের চেক করে মেয়েরা।
সো , এদের যদি পরিচয় সনাক্ত করা লাগে , তো পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে মহিলা শিক্ষক দিয়ে ফেস চেক করতে পারে। কেন পুরো সময় সবার সামনে কান , মুখ খোলা রাখতে হবে??

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার ভার্সিটিতে পড়ছি। অনেক মুসলিম মেয়েরা নেকাব করে। মিডলইস্টের অধিকাংশ ছেলেদের মুখে দাড়ি , পরনে জুব্বা। কোনদিন শুনিনি পরীক্ষার হলে কোন শিক্ষক নেকাব খুলতে বলেছে, কোন ছেলে মেয়ে ইসলামিক লেবাসের কারণে হেনস্তা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আমার টিএ ক্লাসের শিডিউল প্রফেসরের সাথে। জুমার নামাজের জন্য প্রফেসর আমাকে ক্লাসে না থেকে মসজিদে যাওয়ার সুযোগ দেয়। অমুসলিম শিক্ষকরাও আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি কত শ্রদ্ধাশীল। আর ঢাবির মুসলিম নামধারি এসব শিক্ষকদের টপ টু বটম ইসলাম বিদ্বেষ। কিভাবে ক্যাম্পাসকে ইসলাম শূন্য করা যায় , এটাই তাদের একমাত্র গবেষণা।

এখনতো তারা হিজাব ,নেকাব নিষিদ্ধ করছে ( অলরেডি বিভিন্ন স্কুল ,কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ ) , এরপর মাদ্রাসা নিষিদ্ধের দাবি তুলবে। হয়তো একপর্যায়ে মসজিদ কমানোর দাবিও তুলবে। অলরেডি সুলতানা কামাল বলেছিলো - হাইকোর্টের সামনে মূর্তি না থাকলে , ঢাকা শহরে মসজিদও থাকবে না।

সত্যিকার অর্থে বর্তমানে বাংলাদেশের সব জায়গায় ইসলাম এক প্রকার নিষিদ্ধ। আপনি কুরআন হাদিস অনুযায়ী চলতে গেলেই আপনার উপর নেমে আসবে নির্যাতন , নিপিড়ন , অপমান।
এই পরিস্থিতির জন্য ইসলাম বিদ্বেষী শাহবাগিরা যতটা দায়ী , তার চেয়েও বেশি দায়ী হুজুর নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এসব হুজুররা একজন আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দিতে দিতে মুখ ব্যথা করে ফেলে , বাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে তারা টু শব্দ করেনা। সংবিধান থেকে ইসলাম ধর্ম তুলে দেওয়া হলেও এরা বোবা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বর্তমানে যারা ওয়াজ করে, প্রখ্যাত মোফাসসেরে কোরআন , এদের ৯৫% ধর্ম ব্যবসায়ী।
এদের কারনেই মুসলমানরা আজ বিভক্ত , মুসলমানদের দুর্ভোগের জন্য এরাই বেশি দায়ী।

দলমত নির্বিশেষে ইসলামের মৌলিক ইসুতে সবাই এক হয়ে সম্মিলিত প্রতিবাদ না করলে সামনে আরো খারাপ অবস্থা ওয়েট করছে।
হুজুররা বিভক্ত হলেও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ ও পুরো ডেডিকেটেড।

Writer
Md Roknuzzaman
PhD student
University of Florida , USA

আলহামদুলিল্লাহ্