Health & Daily Hacks

Health & Daily Hacks

Health & Daily Life Tips.

Omron HN-289 Digital Weight Scale, Black 03/07/2022

Omron HN-289 Digital Weight Scale, Black 25% OFF For New Users! - Buy Omron HN-289 Digital Weight Scale, Black at lowest prices in Bangladesh. Express Home Delivery in Dhaka, CTG & Countrywide

05/12/2021

ওষুধের পাতায় খালি ঘর থাকে কেন?

ওষুধের পাতায় অনেক সময় খালি ঘর থাকে, বিশেষ করে যেসব পাতায় একটি ওষুধ থাকে। কখনো কী ভেবে দেখেছেন, এত বড় একটা পাতার মাঝখানে কেন একটা ওষুধ থাকে? আর কেনই বা এর চারকোনায় চারটি ফাঁকা ঘর থাকে? আপনি কি ভাবছেন, ওষুধের কোম্পানিগুলো ভুলে এই ফাঁকা জায়গাগুলোতে ওষুধ ভরেনি? এটা অবশ্য ভাবার কোনো কারণ নেই।

আবার অনেকে ধারণা করেন, যে প্যাকেটে একটি মাত্র ওষুধ থাকে সেগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই বড় প্যাকেট দেখলে ক্রেতাদের দাম বেশি দিতেও আপত্তি থাকে না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এই খালি জায়গাগুলো রাখা হয় যাতে বাড়তি গ্যাস বা বাতাস শুধু ওষুধের মধ্যে প্রবেশ না করে। বিষয়টি পুরোপুরি এমন নয়। কেন ওষুধের পাতায় ও রকম জায়গা রাখা হয় সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগ।

১. ওষুধের কোম্পানিগুলো সাধারণত এই ফাঁকা জায়গা রাখে যাতে প্যাকেটের পেছনে প্রিন্ট দেওয়ার জায়গা থাকে। কারণ ওষুধের নাম লিখতে হয়, প্রস্তুত হওয়ার তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখার জন্য জায়গা রাখতে হয়। আর যেসব প্যাকেটে একটি ওষুধ থাকে, সেখানে এই লেখা প্রিন্ট করার জন্য পুরো সমান জায়গা না রেখে চারটি বা দুটি খালি ঘর করা হয়।

২. এ ছাড়া এই ঘরগুলো ওষুধ আনা-নেওয়ার সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়। অনেক সময় চাপে ওষুধ নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানে বড় ওষুধের প্যাকেটগুলোতে ফাঁকা ঘর রাখা হয়।

৩. একটা ওষুধের সঙ্গে যেন অন্য ওষুধের রি-অ্যাকশন না হয় এ কারণে মাঝখানের জায়গাগুলোতে ফাঁকা ঘর রাখা হয়। আর হ্যাঁ, এর সঙ্গে কোম্পানিগুলোর বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকে না।

24/05/2021

কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও যে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

কোভিড সেরে যাওয়ার পরে অনেকেরই হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা। তাই কোভিড সেরে যাওয়া মানেই আর কোনো চিন্তা নেই- এমন ভাবা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

কেন কোভিডের কারণে পরবর্তী সময়ে হৃদযন্ত্রের উপর চাপ বাড়ছে? চিকিৎসকদের কথায়, কোভিডের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীর যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে, তা অনেকে ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে। তাছাড়া কোভিডের কারণে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তারও প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রের পেশির উপর। গোড়ায় তা বোঝা না গেলেও পরে টের পাওয়া যায়।

তবে এগুলোর থেকেও বড় কারণ, রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা। করোনার কারণে অনেকেরই রক্ত জমাট বাঁধে। সেই বিষয়ে সচেতন না হলে, পরে সেগুলোই হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভারতের হৃদরোগবিদ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল বলছেন, ‘রক্ত জমাট বেঁধেছে কি না, তা বোঝার জন্য ডি ডাইমার পরীক্ষা করাটা খুব দরকারি। কোভিড সম্পূর্ণ সেরে যাওয়ার পরে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তার কারণ রক্ত জমাট বাঁধা।’

তার কথায়, কারও কারও ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, কোভিডের সংক্রমণ হলেও কোনও উপসর্গ দেখা গেল না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ক্ষতি হলো শরীরের। পরে কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ওই মানুষটি। এই সব কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোভিড কালে আলাদা করে হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কখন সতর্ক থাকবেন?

বুক ভার

বুকের যেদিক হৃদযন্ত্র আছে, সে দিকটা ভারী লাগছে। মাঝে-মধ্যে অল্প অস্বস্তি হচ্ছে। মনে হচ্ছে হাত দিয়ে চেপে ধরলে ভালো হবে।

অক্সিজেন কম

অক্সিমিটারে পরীক্ষা করলে, হঠাৎ হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কম দেখাচ্ছে। কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও এমন হওয়ার অর্থ হৃদযন্ত্রে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।

প্রচণ্ড ঘাম

তেমন গরম লাগছে না। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছে। এটাও হতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণ।

শ্বাসের সমস্যা

কোভিড সেরে গেছে এক মাসের ওপর। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কমছে না। এর কারণ হতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 02/11/2020

দাঁড়িয়ে পানি পান স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়

দেহের কোষ, কলা বা টিস্যু, বিভিন্ন অঙ্গ তথা মস্তিষ্ক, কিডনী, পাকস্থলী, ত্বক, চুল ইত্যাদির যথাযথ কার্যকারীতার জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়। শরীরের সকল প্রকার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময় ভুল নিয়মে পানি পান করে নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেই আমরা। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা।

চলুন জেনে নেই দাঁড়িয়ে পানি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।

১. দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। স্টমাক থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়।
২. দাঁড়িয়ে পানি পান করা হলে তা দ্রুত কোলন বা মলাশয়ে চলে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ শরীরে শোষিত হয় না।

৩. গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা G.E.R.D দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। এরফলে পাকস্থলীর ভেতরের সরু নালিটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা G.E.R.D এর মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. পানি পান করার পরেই ছাঁকনিগুলো শরীর পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের অন্দরে থাকা ছাকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

৫. দাঁড়িয়ে পানি পান করলে নার্ভ উত্তেজিত হয়ে যায়, উদ্বেগ বাড়তে থাকে।

৬. কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় দাঁড়িয়ে পানি পান করলে। এতে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে। কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা থাকে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 14/10/2020

যে ৫ কারণে শসা খাবেন

শসা খুব পরিচিত খাবার। প্রায় সারা বছর ধরে এই ফলটি পাওয়া যায়। শসায় ক্যালরি খুব কম। ১০০ গ্রাম শসাতে থাকে ১৩ ক্যালোরি। এবার শসা খাওয়ার উপকারিতা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে একবার দেখে নেওয়া যাক-

১) কথায় বলে ডায়াবেটিস থেকে ডায়েরিয়া সকলের জন্যই শসা অপরিহার্য। প্রচণ্ড গরমে দেহের ওয়াটার ইলেক্ট্রোলাইটৈর ভারসাম্য বজায় রাখে শসা।

২) বদ হজম, অ্যাসিডিটি, অরুচি, গ্যাস্ট্রাইটিস লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের সমস্যা থাকলে শসা খাওয়া উচিত।
৩) আর্থারাইটিস হার্টের রোগ অস্টিওপোরেসিস এবং কনস্টিপেশন প্রতিরোধে শসা ভালো কাজ করে।

৪) বয়স্কদের মধ্যে অ্যালঝাইমার্স ও অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে শসায় থাকা ফিসটিন নামক এক ধরনের আন্টি ইনফ্লামেটরি যৌগ।

৫) এছাড়া কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ও অন্যান্য প্রদাহজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে অতি পরিচিত সহজলভ্য এই ফলটি।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 03/10/2020

লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে কফি

শরীরের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। আর আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির মারাত্মক একটি অসুখের নাম হল লিভার সিরোসিস। এই রোগে লিভার পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, যার ফলে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান।

তবে খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। বিগত কয়েক বছরে এক হাজারেরও বেশি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে আমাদের অতি পরিচিত একটি পানীয়, কফি। বিজ্ঞানীদের দাবি, শুধু লিভার সিরোসিসের ঝুঁকিই নয়, লিভারের একাধিক সমস্যার সমাধানে কফি অত্যন্ত কার্যকর!

এক হাজারেরও বেশি গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কফি পানের অভ্যাস লিভার ক্যান্সারের প্রতিরোধ করতে বা তার ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির ড. অলিভার কেনেডি এবং তার গবেষকদল, প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে গবেষণা চালিয়েছিলেন। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মোট ১,৯৯০ জন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। ড. কেনেডি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে তিনি দেখেছেন, যারা প্রতিদিন দু’ কাপ কফি পান করেন তাদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি প্রায় ৪৪ শতাংশ কমে যায়।
মোট ৯টি ভাগে ভাগ করে ড. কেনেডি ও তার গবেষকদল এই গবেষণা চালান। এর মধ্যে ৮টিতে দেখা যায়, কফি লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মার্কিন চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর গবেষকরাও এই ব্রিটিশ গবেষণার রিপোর্টকে নির্ভুল বলেই মেনে নিয়েছেন।

এই গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক কাপ কফি পান করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। দু’কাপ কফি ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। তিন কাপ কফিতে কমে প্রায় ৫৭ শতাংশ ঝুঁকি এবং চার কাপ কফি পান করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে ড. কেনেডির মতে, ফিল্টার্ড কফির উপকারিতা, সেদ্ধ করা কফির তুলনায় বেশি হয়। তবে কফির ঠিক কোন উপাদান লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সরাসরি কার্যকর, এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন ব্রিটিশ গবেষকরা। সাউথহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, শুধু কফি খেলেই লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব, তা কিন্তু নয়। এরই সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রাও অত্যন্ত জরুরি।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 29/09/2020

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও হার্ট ভাল রাখে গাজর

গাজর একটি শীতকালীন সবজি। তবে এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর কাঁচা ও রান্না দু’ভাবেই খাওয়া যায়। গাজরের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে: গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধক। গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত গাজর খেলে ফুসফুস, স্তন, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।

২. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: গাজরে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন লিভারে পৌঁছে ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. হার্ট ভালো রাখে: গাজরে থাকা প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো হার্টের ধমনির ওপর কোনো আস্তরণ জমা হতে দেয় না। সেই সঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৪. দাঁত ভালো রাখে: দাঁতের সুস্থতার জন্যও গাজর বেশ উপকারী। গাজরের রস দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এতে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় মাড়ির সুস্থতা বজায় রাখে। মাড়ি ফোলা ও দাঁত থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যার সমাধানেও গাজর বেশ উপকারী।

৫. স্মৃতিশক্তি বাড়ে: গাজরে থাকা প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে। তাই মস্তিষ্কেও শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশি করে গাজর খান।

28/09/2020

প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়া দূরে রাখবে বহু মারণব্যাধিকে

মনে করুন সেই দিনগুলোর কথা, যখন আপনি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। নাস্তা কথাও ভুলে যান। দিন শুরুই করেন দুপুরের খাবার দিয়ে। একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝবেন এই দিনগুলো আপনার একরকম থাকে না। আসলে আপনার শরীর সঠিক পুষ্টি না পাওয়ায় ওই দিনগুলোতে আপনার কার্ডিয়াক রিদম নষ্ট হয়। বিপাকের ছন্দ কাটে। চিকিৎসকরা বলছেন ওবেসিটি তথা ওজনবৃদ্ধির মূল কারণ এটাই। সঙ্গে এই অভ্যাস তরান্বিত করে হৃদরোগ।

দেখা যাচ্ছে, প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি ও আয়ুর্বেদে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে রুটিনে। স্পষ্টই বলা হয়েছে, রুটিনে বাঁধা জীবনই সুস্থ জীবন।একটি ছন্দ বজায় রাখার কথা বারববার বলা হয়েছে সেখানে। সুস্থ থাকার মূল দাওয়াই হল, খাওয়া, ঘুম, স্বাস্থ্যচর্চা জীবনের সব কিছুতেই একটা রুটিন রাখা।

এখানেই জানতে হবে ক্রোনো নিউট্রিশনের গুরুত্ব। ফরাসি নিউট্রিশনিস্ট জ্য রবার্ট রাপিন এই ডায়েটের বিষয়ে প্রথম সরব হন। এই ডায়েটটি তৈরিই হয়েছে চীনা এবং আয়ুর্বেদিক মতামত সংক্রান্ত বোঝাপড়াকে কেন্দ্র করে।
বলা হচ্ছে, আপনি যদি দিনের প্রতিটি খাবার ঘড়ি ধরে খেতে পারেন, অনিয়ম ছাড়াই চালিয়ে যেতে পারেন তবে আপনার বিপাক ঠিক থাকবে। সমস্ত হরমোন সঠিকভাবে ক্ষরিত হবে। মন-শরীর দুটোই তরতাজা থাকবে। ওবেসিটি, ক্যান্সারের মতো রোগগুলোও দূরে থাকবে।
ক্রোনো ডায়েটে খাবারের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মানেও নজর দিতে হয়। এক সময়ে এক পরিমাণ ও এক মানের খাবার খাওয়াই ক্রোনো ডায়েটের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বাড়ে। রক্ষা পাওয়া যায় কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকেও।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 26/09/2020

লেবুর খোসা খেলে সারবে যেসব রোগ

লেবু খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছে। গরমে ক্লান্তি ও পিপাসা দূর করতে অনেকের প্রথম পছন্দ লেবুর শরবত। তবে শুধু রসই নয়, এর খোসাও বেশ উপকারী।

লেবুর রস যেমন উপকারী, তেমনি লেবুর খোসাও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া লেবুর খোসা থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায়—

* লেবুর খোসায় ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড থাকে, যা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* লেবুর খোসায় সাইট্রাস বায়ো ফ্লেভোনয়েড থাকে, যা স্ট্রেস (মানসিক চাপ) কমাতে সাহায্য করে।

* ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর খোসা খুবই উপকারী। কারণ লেবুর খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বক থেকে টক্সিক বের করে দেয়।

* লেবুর খোসায় স্যালভেসস্ট্রল কিউ-৪০ ও লিমোনেন্স থাকে, যা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াল ও ছত্রাক সংক্রমণের প্রকোপ কমায়।

* নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

* লেবুর খোসায় পেকটিন নামে একটি উপাদান থাকে, এটি শরীরের ফ্যাট বার্ন করে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 21/09/2020

ব্রণ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে অতুলনীয় ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকাম এক ধরনের সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। অতি সহজেই এই সবজি টবে চাষ করা যায় বলে বেশ জনপ্রিয় এটি। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

চামড়া পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী, এটি চামড়ার র‍্যাশ হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।

এর ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএ’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এভাবে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
ক্যাপসিকাম যেকোনও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।

ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা হ্রাস করে।

সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।

এতে অ্যালকালোয়েড, ফ্লেবোনয়েড, ক্যানিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। অ্যালকালোয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যানিন আন্ত্রিক রোগের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়।

এর ভিটামিন-সি মস্তিষ্কের টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে; দেহের হাড়কে সুগঠিত করে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 17/09/2020

চুল পড়া কমাতে কাজে লাগান লাল শাকের অব্যর্থ টোটকা

সবুজ শাক-সবজি খেতে চিকিৎসকরা সব সময় বলেন। কিন্তু লাল শাকের মধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে যা শরীরের পক্ষে উপকারি। ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা যায়। সেই সব দূরে রাখতে লাল শাক খুবই উপযোগী। যদি প্রতিদিন লাল শাক খাওয়া যায় তাহলে খুবই উপকারি। নিয়মিত লাল শাক খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় তা দেখে নেওয়া যাক-

লাল শাকে ভিটামিন সি থাকায় চোখের রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা দৃষ্টি শক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। যারা গ্লুকোমার সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন এই শাক খান।

নিয়মিত লাল শাক খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও রক্ত পরিশুদ্ধ হয়ে। এছাড়াও লাল শাক শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। তাই কেউ যদি অ্যানিমিয়ায়ে ভোগেন তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন লাল শাক।
লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মেজে, লবণন[আনি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দাঁতের মধ্যে থাকা হলুদ ভাব কেটে যায়। এছাড়াও দাঁত জনিত অন্যান্য সমস্যাগুলিও আর হয়ে না।

লাল শাক ভাল করে বেটে তার মধ্যে এক চামচ বেটে লবণ মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি খান। চুল পড়া কমে যাবে অনেকটাই।

14/09/2020

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যে ৬ খাবার

পটাসিয়াম শরীরের জন্য অন্যতম জরুরি উপাদান। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই খাবারে পটাসিয়াম রাখা জরুরি। কলা খেলে পটাসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। মাঝারি আকারের একটা কলায় পটাসিয়াম থাকে প্রায় ৪২২ মিলিগ্রাম। কিন্তু অনেকেই কলা খেতে পছন্দ করেন না। তবে শাক, টমেটো, ফলের রস এবং সব রকমের ডালে মিটবে পটাসিয়ামের ঘাটতি।

পালংশাক
এই শাকে ভিটামিন এ, সি, কে ছাড়াও রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। এক কাপ পালংশাকে প্রায় ৫৪০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

ডাবের পানি
এক কাপ ডাবের পানিতে রয়েছে প্রায় ৪০৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। তাই খেতে পারেন ডাবের পানি।
তরমুজ
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পানি। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উপকারী তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। মাত্র এক টুকরো তরমুজে ৩২০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।

আলু
১০০ গ্রাম আলুতে ৪২১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। তাই সহজেই অপরিহার্য মৌলের ঘাটতি মেটায় এই সবজি।

বেদানা
টকটকে লাল রঙের এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও ফোলেট। ১০০ গ্রাম বেদানায় পটাসিয়ামের পরিমাণ ২৩৬ মিলিগ্রাম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর।

লেবুজাতীয় ফল
পটাসিয়াম রয়েছে মোসাম্বিতে। ১০০ গ্রাম মোসাম্বিতে রয়েছে ৪৯০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে রয়েছে ১৮১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 12/09/2020

ক্রমশ মাথার চুল ঝরে যাচ্ছে? যেভাবে রোধ করবেন

মাথা থেকে চুল পড়া নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। উত্তাপ, দূষণ, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক আরও অনেক কারণেই চুল পড়তে পারে মাথা থেকে। তবে খাদ্য তালিকায় বিশেষ কিছু খাবারের সংযুক্তি ঘটালে অনেকাংশেই সমাধান মিলতে পারে এই সমস্যার।

১. অধিক প্রোটিন: চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হল প্রোটিন। তাই এমন ধরনের খাবার খেতে হবে যার মধ্যে প্রোটিন রয়েছে। যেমন-

ডিম: ডিমের মধ্যে প্রোটিন ও বায়োটিন রয়েছে। বায়োটিনে রয়েছে ভিটামিন-ডি, যা কেরাটিনের উৎপাদনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ, ডি, জিঙ্ক- যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
মাছ: যেসব ধরনের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে সেগুলো চুল পড়া রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

২. শাক-সবজি: বিভিন্ন ধরনের সবজি যার মধ্যে ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেমন ক্যাপসিকাম, কিংবা জিঙ্ক, প্রোটিনযুক্ত বিনস। এছাড়াও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ অ্যাভোকোডো জাতীয় সবজিতে চুল পড়া সমস্যার সমাধান হতে পারে।

৩. বাদাম: বাদামেও অধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন-ই, বি। তাই এগুলো খেলেও সমস্যার প্রতিকার হতে পারে।

৪. ফল: পেয়ারা, পেঁপে, কমলালেবু অর্থাৎ যেসব ফলে ভিটামিন-সি থাকে সেগুলো চুল পড়া সমস্যা রুখতে কাজে আসতে পারে।

11/09/2020

দীর্ঘদিনের হজমের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে

হজমের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি তেলেভাজা জাতীয় খাবার বা মশলাদার খাবারের অভ্যাস থাকলে কিছু দিন পরপরই হজমের সমস্যায় পড়তে দেখা যায় অনেককেই।

এই রকম হজমের সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক সহজ উপায় রয়েছে। কিছু অভ্যাসে বদল এনে আর কয়েকটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলে হজমশক্তি বাড়িয়ে নেওয়া যায় খুব সহজেই। আর একটু নিয়ম মেনে চলতে পারলেই মুক্ত থাকা যায় হজম সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা থেকে। আসুন এবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...

১. খাবার ভাল করে চিবিয়ে খান: অনেকেই খাবার দুয়েকবার চিবিয়ে গিলে ফেলেন। এতে করে হজমের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই কাজটি হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই খাবার খাওয়ার সময় যত বেশি চিবিয়ে খাওয়া যায় ততই হজমের জন্য ভাল।
২. খাবার পাতে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন: শাক-সবজি খেলে হজমের সমস্যা এমনি এমনিই অনেকটা কমে আসে। কারণ, শাক-সবজি দ্রুত হজম হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সব চেয়ে ভাল হয় যেসব সবজি কাঁচা খাওয়া যায়, সেগুলো যদি খাওয়া যায়। এতে হজমশক্তি আরও উন্নত হয়।

৩. গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন: হজমশক্তি বাড়ানো এবং হজমসংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে গ্রিন টি-এর তুলনা নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই গ্রিন টি হজমশক্তি বাড়ায় এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না পান তবে আদা চা পান করে নিতে পারেন। এতেও অনেক ভাল ফল পাবেন।

৪. ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান: ক্যালসিয়াম হজমশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। ক্যালসিয়াম পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতেও বেশ সহায়তা করে।

৫) ঝাল খাবার খান: গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মরিচের ক্যাপসাইসিন হজমশক্তি ভাল করতে অনেক বেশি কার্যকরী। খাবার বুঝে শুনে একটু ঝাল দিয়ে খেতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 10/09/2020

াড়ের ক্ষয়রোধ করে নাশপাতি
নাশপাতি

নাশপাতি পুষ্টিগুণে ভরপুর এক ফল। বিশ্বজুড়ে কয়েক ধরনের নাশপাতির চাষ হলেও মূলত এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকাতেই এটি বেশি পাওয়া যায়।

নাশপাতিতে প্রচুর পরিামাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই ফল তাই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যানসার দূর করে নাশপাতি। এতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠাণ্ডাজনিতে রোগে ভুগলে নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক ডাক্তার।
নাশপাতিতে প্রচুর আয়রন ও কপার থাকে, যা অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভালো ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।
অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য উপকারী ফল নাশপাতি। এতে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে হাড় মজবুত রাখে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 07/09/2020

আগুনে দগ্ধ হলে তাৎক্ষণিক যা করবেন, যা করবেন না

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ঘটনা ও দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয় মানুষকে। অনেক সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায়ও পড়তে হয় কাউকে কাউকে। তবে কেউ আগুনে দগ্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু করণীয় আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হল-

প্রচুর পানি ঢালুন

শুধু পানি ঢাললেই পোড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বহমান ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পোড়া জায়গা অন্তত ২০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। তবে বরফ, বরফ শীতল পানি কোনও ধরনের ক্রিম ও তৈলাক্ত পদার্থ যেমন মাখন দেওয়া যাবে না।

কাপড় ও গহনা খুলে ফেলুন

কেউ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হলে তার পরিহিত কাপড় ও গহনা যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপি কিংবা ডায়াপার থাকলে সেটি খুলে ফেলতে হবে।

কিন্তু পোড়া চামড়া বা পেশীর সাথে যদি কোনও ধাতব পদার্থ বা কাপড়ের টুকরো আটকে গিয়ে থাকে তাহলে তা সরানোর চেষ্টা করা যাবে না। এক্ষেত্রে ক্ষত আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পানি ঢালার পর রোগীর শরীর গরম রাখার চেষ্টা করতে হবে যাতে হাইপোথারমিয়া না হয়। সেক্ষেত্রে কম্বল দিয়ে তাকে জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে শরীরের যে অংশ পুড়ে গেছে সেখানে যাতে কোনও ধরনের কাপড় না থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে

আগুনে পোড়োর পর প্রথম ২৪ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া গেলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রথম ২৪ ঘণ্টায় স্যালাইন দেওয়ার কারণে যে উপকার পাওয়া যায় পরে আর সেটি পাওয়া যায় না। এজন্য এই ২৪ ঘণ্টাকে পোড়া রোগীর জন্য গোল্ডেন আওয়ার বলা হয়।

টুথপেস্ট, লবণ, ডিমের সাদা অংশ দেওয়া যাবে না

পোড়া রোগীকে তার ক্ষত স্থানের ওপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেওয়া যাবে না। এটি প্রাথমিকভাবে জীবাণুমুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে এটাকে সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেয়।

যদি রোগীর মুখ কিংবা চোখ পুড়ে যায় তাহলে রোগীকে যতক্ষণ সম্ভব সোজা করে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ফোস্কা পড়া বা ফুলে যাওয়া কমে যায়।

বেশি করে তরল খাওয়াতে হবে

পোড়া রোগীকে স্যালাইন দেওয়া সম্ভব না হলে মুখে অন্তত স্যালাইন, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে।

এছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম বা মুরগি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 06/09/2020

মাইগ্রেন সারিয়ে তোলে আপেল, কমায় ক্যানসারের আশঙ্কা

প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে নাকি আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। সকলে জানেন, আপেলের উপকারিতা অনেক। কিন্তু আপেলের আরও কিছু ব্যাপার আছে যে ব্যাপারে সকলের খুব বেশি জানা নেই। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নেওয়া যাক আপেল খাওয়ার উপকারিতা।

মাইগ্রেনে যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে একটা করে আপেল খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে মাইগ্রেন আর মাথা ধরার মত নানা রোগ সেরে যায়।

আপেলে প্রচুর আয়রন। তাই কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তারা যদি রোজ আপেলের রস খান তবে উপকার পাবেন।
কাশি হলেও আপেল খেতে পারেন। আপেলের রসে অল্প মিছরি আর গোল মরিচ মিশিয়ে রোজ খান। আর কাশি হবে না।

বয়স বাড়লে মস্তিষ্কে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এ জন্য আপেল খান। আবার দাঁত সুস্থ রাখতেও আপেল সাহায্য করে।

আপেলে প্রচুর ফাইবার, তা হজমে সাহায্য করে। রোজ আপেল খেলে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। পাশাপাশি নিয়মিত আপেল খেয়ে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমে যায়।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 05/09/2020

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

জনপ্রিয় একটি ফল কমলা। কমলা এখন বিদেশি কোনো ফল নয়। ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম।

প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী।

কমলা 'বি' ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের সাত ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন।
কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 02/09/2020

গ্যাসের সমস্যা দূর করে আদা

আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়াও কাঁচা আদায় রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা।

খেতে একেবারেই ইচ্ছে হচ্ছে না? অসুস্থ বোধ করছেন খাবার দেখলেই? কোনো সমস্যাই নয়। খাওয়ার আগে ১ চা চামচ তাজা আদা কুচি খেয়ে নিন। মুখের রুচি ফিরে আসবে।

প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমাণের আদা কুচি খাওয়া অভ্যাস সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে সাহায্য নিতে পারেন আদার তেলের। খানিকটা অলিভ অয়েলে আদা ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে নিন ৫ মিনিট। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন হাতে পায়ের জয়েন্টে। আদার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান দূর করে দেবে ব্যথা।
বমি বমি ভাব হচ্ছে? কিংবা মাথা ঘুরানো? একটুখানি আদা স্লাইস করে লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন বমি ভাব একেবারেই কেটে গিয়েছে।
হজমে সমস্যার কারণে পেতে ব্যথা হলে আদা কুচি খেয়ে নিন। আদা পেতে গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে বেশ কার্যকরী।

খাবারের পুষ্টি দেহে সঠিকভাবে শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায় আদা। তাই প্রতিদিন খুব সামান্য পরিমাণে হলেও আদা খাওয়া অভ্যাস করা উচিত সকলের।

বুকে সর্দি কফ জমে গিয়েছে? নিঃশ্বাস টানতে সমস্যা হচ্ছে? ২ কাপ পানিতে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি যখন অর্ধেক হয়ে আসবে জ্বাল হয়ে তখন ছেঁকে নামিয়ে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করে ফেলুন। বেশ আরাম পাবেন।

02/09/2020

স্ট্রেচ মার্কস দূর করার ৫ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়

স্ট্রেচ মার্কস অনেকেরই সৌন্দর্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্রেচ মার্কসের জন্য বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নারীদের। কোমড়ে, পেটে, হাতে বা পায়ে স্ট্রেচ মার্কসের জন্য অনেক পছন্দসই পোশাক পড়তে সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে এমন বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলি কাজে লাগিয়ে সহজেই স্ট্রেচ মার্কস দূর করা যায়। আসুন এবার সেই সব ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

আলুর রস-

পাতলা করে আলু কেটে আলুর রস স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলতো করে মালিশ করুন। ৫-১০ মিনিট রেখে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহ খানেক স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলুর রস মাখতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।

ডিমের সাদা অংশ-
ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলতো করে মাখিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট এ ভাবেই রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর কোনও ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। যত দিন না দাগ হালকা হচ্ছে, এই পদ্ধতি কাজে লাগান।

লেবুর রস-

যে কোনও দাগের ওপর লেবুর রস লাগিয়ে মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহ খানেক স্ট্রেচ মার্কের ওপর লেবুর রস লাগিয়ে মালিশ করলে উপকার পাবেন।

হলুদ-

সরিষার তেল বা পানির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে সেই মিশ্রণ একটু ঘন করে স্ট্রেচ মার্কসের ওপর লাগান। দিনে অন্তত ২ বার করে লাগান। ফল পাবেন হাতে নাতে।

অ্যালোভেরা জেল-

ত্বকের বেশির ভাগ দাগ দূর করতে প্রতিদিন অ্যালোভেরার রস বা জেল ব্যবহার করতে পারেন যত দিন না দাগ হালকা হচ্ছে। উপকার পাবেন।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 31/08/2020

মেঝে বা মাটিতে বসে খাবার খেলে যেসব উপকার পাবেন

মেঝে বা মাটিতে বসে খাওয়া বাঙালির আদি অভ্যাস। এখনকার সময়ে মেঝে বা মাটিতে বসে খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন চেয়ার টেবিলে বসে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেঝে বা মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

মেঝে বা মাটিতে বসে খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। এভাবে খেতে হলে মেঝে বা মাটিতে থালা রেখে সামান্য ঝুঁকে খেতে হয়, তারপর আবার সোজা হয়ে বসতে হয়, এটাই স্বাভাবিক অভ্যাস। বারবার এই ঘটনা ঘটে বলেই অ্যাবডোমেনের মাসেলে টান পড়ে। এতে হজম হয় দ্রুত।

মেঝে বা মাটিতে বসে খেলে ওজন কমতে পারে দ্রুত। কারণ, এতে অ্যাবডোমেনের মাসেলের মুভমেন্ট হয় যা পেটের মেদ অনেকটা কমতে পারে। এতে মাথারও অনেকটা রিল্যাক্স হয়। এভাবে বসে খেলে বেশি খাওয়াও সম্ভব নয়। ফলে খাওয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মেঝে বা মাটিতে বসে খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে হার্টের অবস্থা ভাল থাকে। কারণ, মাটিতে বসলে হার্টের ওপর চাপ কম পড়ে। আর সারা শরীরে সমানভাবে রক্ত সঞ্চালিত হয়।

মেঝে বা মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার বসার স্বাভাবিক অভ্যাসটাই পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে কোমর, পা থেকে মেরুদণ্ড, সব কিছুর উপকার হয়।

মেঝে বা মাটিতে বসে খেলে মাথা ও শরীরের রিল্যাক্সেশন হয়। পদ্মাসনে সেই কারণে মেডিটেশন করতে বলা হয়। পদ্মাসনে না হোক, মেঝে বা মাটিতে বসে খেলেই শরীরে সহজে অক্সিজেন ফ্লো তৈরি হয়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

29/08/2020

যে ৫ ফল খেলে ত্বক ভাল থাকে

নিয়মিত ফল খেলে ভাল থাকবে ত্বক। তবে জানেন কি? কোন ফল খাবেন। পাঁচটি ফল রয়েছে যা খেলে আপনার ত্বক ভাল থাকবে।

আসুন জেনে নেই যেসব ফল খেলে ত্বক ভাল থাকে।

১. ভিটামিন এ, সি, ডায়েটারি ফাইবার, পট্যাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর আপেল। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে। তাই ত্বক ভালো থাকবে।
২. লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে। এছাড়া শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
৩. পেঁপে খেলে অনেক উপকার পাবেন। প্রতিদিন ৬-৮ টুকরো পাকা পেঁপে খান। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।

৪. কলায় রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও প্রচুর পানি। এতে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে।

৫. ভিটামিন এ, ই, সি এবং কে, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনোলিকস, বিটা ক্যারোটিন এবং জ্যান্টোফিল রয়েছে। এই সব আপনার ত্বককে ডিএনএ ড্যামেজ থেকে বাঁচায়।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 26/08/2020

ওজন কমায় পেঁপে

পেঁপে স্বাদে অতুলনীয়। পেঁপে খেলে ওজন কমে, ত্বক পরিষ্কার হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর নানা উপকারী উপাদানে ভরপুর পেঁপে খেলে একদিকে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি চুল আর ত্বকের জন্যও উপকারী। খাবারে তাই পেঁপে রাখাটা জরুরি।

ওজন কমায় পেঁপে
মাঝারি আকারের একটি পেঁপেতে মাত্র ১২০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া এর যে পাচক তন্তু থাকে, তা হজমে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসে উপকারী
পেঁপে খেতে মিষ্টি স্বাদের হলেও এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এক কাপ টুকরো করা পেঁপেতে ৮ দশমিক ৩ গ্রাম চিনি থাকে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধক উপাদান আছে পেঁপেতে।
চোখের জন্য দরকারি
পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনাইডস নামের উপাদান, যা চোখের জন্য উপকারী। পেঁপেতে টমেটো বা গাজরের চেয়েও বেশি ভিটামিন এ আছে। এ ছাড়া চোখের মিউকাস মেমব্রেনকে সবল করতে ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যে ধরনের উপাদান দরকার, পেঁপেতে তা অধিক পরিমাণে থাকে।

ত্বকের সুরক্ষায়
ভিটামিন ‘এ’ আর প্যাপিন নামের উপাদান আছে পেঁপেতে, যা শরীরের ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। শরীরের নিষ্ক্রিয় প্রোটিন ভেঙে ফেলে এবং কম মাত্রায় সোডিয়াম ত্বককে আর্দ্র রাখে।

হজমি গুণ
পেঁপেতে প্যাপিন এনজাইম থাকায় তা খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি মাংস নরম করতেও ব্যবহৃত হয়। এতে তন্তু ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

Photos from 𝒩𝑒𝑜𝐻𝑒𝒶𝓁𝓉𝒽 𝒯𝑒𝒸𝒽's post 24/08/2020

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও বেশি কার্যকরী মধু: গবেষণা

মধু অতিপরিচিত একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এই উপাদানটি ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানও এবার এই মধুর গুণাগুণ নিয়ে দিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, সর্দি-কাশির চিকিৎসায় প্রচলিত বিভিন্ন ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের তুলনায় মধু বেশি কার্যকরী।

মধু সস্তা, সহজলভ্য এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় বলেন, ‘সর্দি-কাশির জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারেন।’
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন (ইউআরটিআই) নাক, গলা, কন্ঠস্বর এবং শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে থাকে, যা ফুসফুস সংক্রমণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- গলাব্যথা, নাক বন্ধ এবং কাশি।

শিশুদের কাশি, গলাব্যথা এবং সাধারণ সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে মধুর কার্যকারিতা প্রমাণের গবেষণাগুলো পদ্ধতিগতভাবে পর্যালোচনা হয়নি। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। এজন্য ১৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সের মোট ১,৭৬১ জন অংশগ্রহণকারী ছিল। এই গবেষণাগুলোর ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্দি-কাশির ঘনত্ব এবং তীব্রতা কমানোর ক্ষেত্রে মধু অনেক বেশি কার্যকর ছিল।

দুটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মধু খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি থেকে নিরাময় ওষুধের তুলনায় ২ দিন আগে হয়েছে।

বিএমজে এভিডেন্স বেজড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনে (ইউআরটিআই) প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেহেতু বেশিরভাগ ইউআরটিআই ভাইরাল, তাই অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন উভয়ই অকার্যকর এবং অনুপযুক্ত।

বিজ্ঞানীদের মতে, আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধু প্রেসক্রাইব করা যেতে পারে।

Want your business to be the top-listed Beauty Salon in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


New Market
Dhaka
1205