Takiya Zaman Ejafa
Asalamu Alaikum
Ummah Hifz Madrasah, Mirpur Branch, Pre-Hifz Section
বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩
আলহামদুলিল্লাহ!! "তাকিয়া জামান এজাফর" প্রথম ছোট্ট প্রচেষ্টায় "আম্মু বলেন পড়রে সোনা"
কথা- কবি আল মাহমুদ
সুর- চৌধুরী আব্দুল হালিম
খাদ্যে ভেজাল- ঢাবির গবেষণা
দুধে ডিটারজেন্ট-এন্টিবায়োটিক-ফরমালিন, মশলায় টেক্সটাইল রঙ, তেল মানহীন
বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মান নিয়ে যৌথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদ।
তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ডিটারজেন্ট, এন্টিবায়োটিক ও ফরমালিন, গুঁড়া মশলায় (হলুদ) টেক্সটাইল রঙের উপস্থিতি এবং তেল (পামওয়েল, সরিষা, সয়াবিন), ঘি ও ফ্রুট ড্রিংকস বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
আজ (২৫ জুন) সকালে ঢাবির ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে (পিএলটি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক এবং বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যদি খাদ্যপণ্যে যত্রতত্রভাবে এসব ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয়, তাহলে আমরা বাঁচবো না, মরে যাবো।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ ও পশুর জন্য ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক সম্পূর্ণ আলাদা। গরুকে মানুষের এন্টিবায়োটিক দিলে, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে তা আবার মানুষের শরীরেই প্রবেশ করে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়।”
গবেষকরা জানান, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলিতেই মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক ‘লেভোফ্লক্সাসিন’ ও ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’ এবং ছয়টিতে ‘এজিথ্রোমাইসিন’ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত মিলিয়ে ১০টি নমুনার মধ্যে অপাস্তুরিত দুধের একটি নমুনায় ফরমালিন সনাক্ত হয়েছে।
পাস্তুরিত দুধের নমুনাগুলোর মধ্যে তিনটিতে এবং অপাস্তুরিত দুধের নমুনার একটিতে ডিটারজেন্ট সনাক্ত করা হয়েছে।
পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনায় ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ এর বিবেচনায় ছয়টি নমুনা; ‘সলিড নট ফ্যাট’ বিবেচনায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার সবগুলো; ‘এসিডিটি এনালাইসিস’ বিবেচনায় পাস্তুরিত দুধের একটি নমুনা ও অপাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা; ‘টোটাল ব্যাকটেরিয়া কাউন্ট’-এ পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলো, ‘কলিফর্ম কাউন্ট’-এ পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার দুইটি, ‘স্টেফাইলোকক্কাস স্পেসিজ কাউন্ট’ হারে পাস্তুরিত দুধের পাঁচটি নমুনার পাঁচটি মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।
গবেষকরা আরও জানান, বাজার থেকে সংগৃহীত আটটি ব্র্যান্ডের শুকনা মরিচের গুঁড়া মশলার নমুনায় ‘জলীয় উপাদান’ বিবেচনায় দুইটি নমুনা এবং ‘এসিড ইনসল্যুবল অ্যাশ’ বিবেচনায় আটটি নমুনার সবগুলোই বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এছাড়াও, আটটি ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া মশলার নমুনায় ‘জলীয় উপাদান’ এর হারে ছয়টি নমুনা বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
সংগৃহীত গুঁড়া হলুদের নমুনাগুলোর বেশ কয়েকটিতে ‘মেটানিল ইয়েলো’ নামের টেক্সটাইল রঙের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে, গবেষকরা জানিয়েছেন যে তারা এই পরীক্ষাটি পুনরায় পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকাশ করবেন।
গবেষকরা জানান, খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পাম অয়েলের ১০টি নমুনায় ‘স্যাপনিফিকেশন ভ্যালু’, ‘পারক্সাইড ভ্যালু’, ‘ইনসল্যুবল ইমপিউরিটিজ’ থাকার হারে সবগুলোই মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।
সরিষার তেলের আটটি নমুনায় ‘স্যাপনিফিকেশন ভ্যালু’ থাকার হারে তিনটি নমুনা, ‘পারক্সাইড ভ্যালু’ থাকার হারে চারটি নমুনা, ‘রিলেটিভ ডেনসিটি’ থাকার হারে চারটি নমুনা, ‘জলীয় উপাদান’ থাকার হারে সবগুলো নমুনাই মান উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত সয়াবিন তেলের আটটি নমুনায় ‘এসিড ভ্যালু’ থাকার হারে দুইটি নমুনা, ‘স্যাপনিফিকেশন ভ্যালু’ থাকার হারে সাতটি নমুনা, ‘পারক্সাইড ভ্যালু’ থাকার হারে পাঁচটি নমুনা, ‘আয়োডিন ভ্যালু’ থাকার হারে পাঁচটি নমুনা, ‘রিলেটিভ ডেনসিটি’ থাকার হারে তিনটি নমুনা, ‘মেটাল কনটেন্ট’ থাকার হারে ছয়টি নমুনা, এবং ‘জলীয় উপাদান’ থাকার হারে সবগুলো নমুনাই মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।
গবেষকরা জানান, ঘি’য়ের সংগৃহীত আটটি নমুনায় ‘জলীয় উপাদান’ ও ‘আয়োডিন ভ্যালু’ ও ‘তিলের তেলের উপস্থিতি’ থাকার হারে সবগুলো নমুনা বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফ্রুট ড্রিংকসের ১১টি নমুনায় ‘টোটাল প্লেট কাউন্ট’ বিবেচনায় সাতটি নমুনা, ‘কলিফর্ম কাউন্ট’ বিবেচনায় তিনটি নমুনা মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া, সবগুলো নমুনাতেই বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ কৃত্রিম মিষ্টিকারক ‘সাইক্লোমেট’ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
জেনে নিন আঙুর ফলের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন—যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকারি। সুস্বাদু এ ফলের আছে নানা খাদ্য ও ভেষজ গুণ। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঙুরের বীজ ও খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বার্ধক্য রোধে কাজ করে। শুধু তাই নয়, হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালিগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে। আঙুরের সেলুলাস ও চিনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়ক। যাঁরা রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য আঙুরের জুস খুবই উপকারী। আঙুরের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের সহায়ক ও ইনসুলিন বৃদ্ধি করে। আঙুরের জুসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামিটরির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহ দূর করে। এই প্রদাহ ক্যানসার রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, ত্বক ও মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতেও আঙুর সহায়তা করে।
#কোলস্টেরলের_মাত্রা_কমায়
রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমায় আঙুর। এতে টরোস্টেলবেন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে যা কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
#হাড়_শক্ত_করে
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে তামা, লোহা ও ম্যাংগানিজের মতো খনিজ পদার্থ থাকে যা হাড়ের গঠন ও হাড় শক্ত করতে কাজ করে।
#অ্যাজমা_প্রতিরোধ
আঙুরের ঔষধি গুণের কারণে এটি অ্যাজমার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। ফুসফুসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ায় ছোট এই ফল।
বদহজম দূর করে নিয়মিত আঙুর খেলে বদহজম দূর হয়। অগ্নিমান্দ্য দূর করতেও আঙুর কার্যকর। ভুলে যাওয়া
অনেকে ছোট ছোট বিষয়গুলো দ্রুত ভুলে যান। আবার কোনো ঘটনা বেমালুম স্মৃতি থেকে মুছে যায়। এটা কিন্তু একধরনের রোগ, হেলাফেলার কিছু নয়। এই রোগ এড়াতে খেতে পারেন আঙুর।
মাথাব্যথা হঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল। এ সময় আঙুর খেলে আরাম বোধ হবে।
#চোখের_স্বাস্থ্য
চোখ ভালো রাখতে কার্যকর এই ফল। বয়সজনিত কারণে যাঁরা চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য ভালো দাওয়াই এই ফল।
স্তন ক্যানসার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন এমন রোগীরা খেতে পারেন আঙুর। গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের উপাদানগুলো ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।
#কিডনির_জন্য
আঙুরের উপাদানগুলো ক্ষতিকারক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সহনশীল অবস্থায় রাখে। সেই সঙ্গে কিডনির রোগব্যাধির বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
#ত্বকের_সুরক্ষায়
আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। আর আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। বয়সের ছাপে বাধা শরীরের ফ্রি রেডিকেলস ত্বকে বলিরেখা ফেলে দেয়। আঙুরে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এই ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়ে, শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
#চুলের_যত্নে
দিঘল চুল একটু অযত্নেই খুশকিতে ভরে যায়। চুলের আগা ফেটে গিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। ধূসর রঙের হয়ে যায় কখনো। সব শেষে চুল ঝরতে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে খেতে পারেন আঙুর। শুধু চুল ভালোই থাকবে না, মাথায় নতুন চুলও গজাবে।
তাই সবারই দিনে একবার হলেও আঙুর খাওয়া উচিত।
িসেম্বর_২০১৯
যাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হয়, মহান আল্লাহর কাছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সকল গ্রাহককে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ি_প্রয়োজনীয়_স্বাস্থ্য_টিপস
১) আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। এতে করে দেখা যাবে খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করছে।
২) হাত পায়ের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে চাইলে হাতে ও পায়ে নিয়মিত আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে করে আগের থেকে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে এবং কালো দাগগুলো দূর হবে খুব সহজে।
৩) আপনার স্ট্রোক প্রতিরোধ নিয়মিত চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত চা খেলে আমাদের ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।
৪) আপনার শরীরকে অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে করে আপনার ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।
৫) আপনার ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি যদি নিয়মিত করেন তাহলে ঠোটেঁর কালো দাগ অনেকাংশে উঠে যাবে।
৬) টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে কিছু সময় যদি মুখে লাগিয়ে রাখলে রোদে জ্বলা ভাব অনেকাংশে কমে যাবে।
৭) আমাদের সকলের পরিচিত মধু নানাগুণের অধিকারী । আমাদের শরীরে অসাড়তা, গলাব্যথা, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মানসিক চাপ, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।
৮) আপনার কনুইতে কালো ছাপ দূর করতে চাইলে এখন থেকে নিয়মিত লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এটা নিয়মিত কিছু দিন করুন অন্তত ২ সপ্তাহ। এতে আপনার কনুইতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।
৯) মুখ আমাদের পরিচয় বহন করে। এই সুন্দর মুখ যদি ব্রনে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে আপনার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাবে আপনার মুখ থেকে।
১০) আপনার শরীরে লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে চিরতরে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশ্রিত করে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে শরীরের যে অংশে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান। খুব ভাল ফলাফল পাবেন।
১১) যদি মাথাব্যাথার সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করে তাহলে এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত প্রচুর মাছ খান। কেননা মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া আরও খেতে পারেন আদা। কেননা আদা প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকর।
১২) আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগাতে পারেন। আর পায়ের গোড়ালি খুব বেশি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন ফাটা জায়গায়। একটা সময় গোড়ালি ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
১৩) সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রিত করে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা বা তার একটু বেশি সময়। তারপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কিছুদিন লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ করে। তারপর দেখবেন আর হাত ঘামবে না।
১৪) আপনার পিঠের অনেক পুরানো কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন, নিয়মিত ২ সপ্তাহ এটা করতে পারেন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।
১৫) আপনার মুখে যদি বাদামী দাগ থাকে তাহলে বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান কিছু সমউ রেখে দিন, পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
#ঘরোয়া_শখ
েল_খাওয়ার_উপযুক্ত_সময়_বিডিনিউজ
সময় বুঝে আপেল খেলে অধিক পুষ্টি মেলে, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের এমনটাই বলা আছে। এর পিছনে যথার্থ কারণও আছে।
খাদ্যপুষ্টি-বিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় প্রতিদিন সকালে একটা আপেল রোগবালাই দূরে রাখতে সাহায্য করে।
#আপেল_খাওয়ার_উপযুক্ত_সময়
‘প্রতিদিন একটা আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখে’ এমন একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। তবে মনে রাখতে হবে এই ফল যখন তখন খেলেই কাজে দেবে না। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, প্রতিটা ফল খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, এতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এই কারণে আপেল খাওয়ারও একটা সুনির্দিষ্ট সময় আছে।
#সকাল_বেলা
পুষ্টিবিজ্ঞানের রীতিতে সকাল বেলা আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ, আপেলের খোসা আঁশ ও পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ঘুম ইত্যাদির কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সবচেয়ে ভালো। অন্যন্য ফলের তুলনায় সকালে আপেল খাওয়া অন্ত্রের ক্রিয়া সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
#পেকটিন
দ্বিতীয়ত, পেকটিন ল্যাক্টিক অ্যাসিড সুরক্ষিত রাখতে এবং কোলনে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ভালোভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা পরবর্তিতে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেকটিন টক্সিনের পরিমাণ কমাতে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজেন্স দূর করতে সাহায্য করে।
#অবেলায়_আপেল_খেলে_কী_হয়?
বিকাল বা রাতে আপেল খাওয়া হলে তা হজম ও অন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর অর্থ হল, রাতে আপেল খাওয়া হলে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পরে অনেকটা সময় অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
#জৈব_অ্যাসিড
আপেলের জৈব অ্যাসিড পাকস্থলির অ্যাসিডকে সাধারণের তুলনায় বাড়িয়ে তোলে এবং অন্ত্রের ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
#আপেলের_উপকারিতা
সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা দুপুরের খাবারের আগে নাস্তা হিসেবে আপেল খেলে বেশি উপকার হয়। যা পুষ্টি সরবরাহে, ওজন কমাতে, ত্বক ভালো রাখতে, হজমক্রিয়া বাড়াতে এবং দীর্ঘসময় শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
#যেসব_প্রাকৃতিক_খাবারে_দৈহিক_শক্তি_বাড়ে_অনলাইন_ডেস্ক
গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখলে এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে দৈহিক দুর্বলতায় ভুগবেন না। এছাড়া শক্তি বাড়াতে আরও যা খাওয়া দরকার :
#রসুন : দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক শক্তি বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
#ডিম : দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার দুর্বলতার সমাধান হবে।
#চকলেট : চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
#ভিটামিন_সি_জাতীয়_ফল : দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি।
#দুধ : যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি দৈহিক শক্তির হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
#জয়ফল : গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের দৈহিক শক্তির নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
#মধু : দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
#গরুর_মাংস : গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
#কফি : কফি দৈহিক শক্তি বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মিলনের মুড কার্যকর রাখে।
#কলা : কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি আসবে না।
#ঘরোয়া_শখ
সংগ্রহঃ বিডি প্রতিদিন
#শীতে_যে_৫_টক_ফল_অবশ্যই_খাবেন
#বরই, #পেয়ারা, #জলপাই, #আমলকী
শীত এলে কিছু মৌসুমি ফলও চলে আসে বাজারে। এর মধ্যে কয়েকটি ফল বেশ লোভনীয়। দেখলেই জিবে সুড়ুৎ করে জল আসে। যেমন কুল বা বরই। আরও আছে পেয়ারা। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ এসব ফল শীতে খসখসে হয়ে যাওয়া ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আর তাই সুযোগমতো এসব ফল খেতে ভুলবেন না।
এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি চাই ভেতর থেকে সুস্থতা। শীতে কিছু ফল আপনাকে সজীবতা ও সুস্থতা দেবে। শরীরে ফাইবার বা আঁশের ঘাটতি মেটাতে ও ভিটামিন ‘সি’র জোগান দিতে শীতের সময় বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে পারেন। জেনে নিন এ মৌসুমের দারুণ পাঁচটি টক ফল ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
#বরই: হজমের জন্য এই ফল ভালো। এটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ। ফ্লু, হাঁপানি, কোলন ক্যানসার ও বাতের ব্যথা সারাতে বরই বেশ উপকারী। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের তথ্য অনুযায়ী, বরইয়ে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ আছে নানা কিছু। রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। বরই সবার জন্য ভালো হলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু না। পাকা বরইয়ে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পাকা বরই না খাওয়াই ভালো।
#পেয়ারা: শীতকালেও আপনি বাজারে পেয়ারা পাবেন। স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন: স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার), চোখে ছানি, আরথ্রাইটিস বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
#কমলা: পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহারের তথ্য অনুযায়ী, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে কমলায়। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, সর্দি-কাশি সারায়, মানসিক অবসাদ দূর করে। জ্বর ও ফ্লুর সময় কমলা খাওয়া ভালো। কোয়ার পাতলা ত্বকে আঁশ আছে বলে কোষ্ঠকাঠিন্যও কমাবে। কমলার রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম আছে। রক্তশূন্যতা ও জিবের ঘা সারাতেও কমলা উপকারী।
#জলপাই: শীতে প্রচুর জলপাই ওঠে বাজারে। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, ‘ই’, লৌহ ও অসম্পৃক্ত চর্বি। ফলে এটি স্থূলতা কমায়, শরীরে উপকারী চর্বি বাড়ায়। বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমে জলপাই কার্যকর। এই ফলের তেল বা অলিভ অয়েল হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। হৃদ্রোগ ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এই ভোজ্য অলিভ অয়েল বিশেষ ভূমিকা রাখে।
#আমলকী: ভিটামিন ‘সি’তে ভরপুর আমলকী খেলে দাঁত, চুল, ত্বক ভালো থাকে। এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল, রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। কমলার তুলনায় আমলকীতে ২০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ আছে।
#ঘরোয়া_শখ
#ভেজাল_খাদ্য_পণ্যে_স্বাস্থ্যঝুঁকিঃ
১৯৯৪ সালে আমেরিকার এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন এজেন্সির প্রতিবেদনে প্রকাশ, ফরমালিন ফুসফুস ও গলবিল এলাকায় ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গলবিল এলাকায় ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য ফরমালিনকে দায়ী করে। টেক্সটাইল কালারগুলো খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশের পর এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যার ক্ষতি করে না। তবে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ক্ষতিগুলো হয় আমাদের লিভার, কিডনি, হৃৎপি- ও অস্থিমজ্জার। ধীরে ধীরে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চা ও বৃদ্ধদের বেলায় নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি, তরুণদের কিছুটা দেরিতে।
খাদ্যপণ্য ভেজালের কারণেই দেশে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেলিউর, হৃদযন্ত্রের অসুখ, হাঁপানি এগুলো অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীদের লম্বা লাইন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের ‘বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি’ শীর্ষক সেমিনারে বলা হয়, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা দেশে প্রায় ১৫ লাখ।
কেমিক্যাল মিশ্রিত বা ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো- পেটব্যথাসহ বমি হওয়া, মাথাঘোরা, মল পাতলা বা হজম বিঘ্নিত মল, শরীরে ঘাম বেশি হওয়া এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া, পালস্ রেট কমে বা বেড়ে যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, ইউরিয়া ও হাইড্রোজ হচ্ছে এক ধরনের ক্ষার। এগুলো পেটে গেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পেপটিন এসিড তৈরি করে যা ক্ষুদামন্দা, খাবারে অরুচি, বৃহদান্ত ও ক্ষুদ্রান্তে প্রদাহসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে। জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের ডা. আহমদ সাইফুল জব্বার বলেন, মেটাল বেইজড ভেজাল খাবারে কিডনি স্বল্পমাত্রা থেকে সম্পূর্ণ বিকল হতে পারে। পরিপাকতন্ত্রে ভেজাল খাবারের জন্য হজমের গণ্ডগোল, ডায়েরিয়া এবং বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের এনেসথেশিয়া ডা. মো. মিল্লাত-ই-ইব্রাহীম বলেন, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে এ খাবারগুলোতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিষক্রিয়া কার্যকর থাকে। যা রান্না করার পরও অটুট থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার ও ফলমূল আকর্ষণীয় করে ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড, ইন্ডাসট্রিয়াল রঙ, ফরমালিন, প্যারাথিয়ন ব্যবহার করা হয়। এগুলো গ্রহণের ফলে কিডনি, লিভার ফাংশন, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভেজাল খাবারের কারণে যে রোগগুলো দ্বারা মানুষ বেশি আক্রান্ত হয় তাহলো অ্যালার্জি, অ্যাজমা, চর্মরোগ, বমি, মাথাব্যথা, খাদ্য বিষক্রিয়া, অরুচি, উচ্চরক্তচাপ, ব্রেন স্ট্রোক, কিডনি ফেলিউর, হার্ট অ্যাটাক প্রভৃতি।
মাছ ও সবজিতে ফরমালিন
শুধু ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতেই ইউরিয়া, ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছকে বিপজ্জনক বিষে পরিণত করা হচ্ছে। হাট বাজার ঘুরে কেমিক্যালমুক্ত মাছ মেলে না কোথাও। এর মধ্যেই ক্ষতিকর পিরহানা মাছ, রাক্ষুসে মাগুর, জীবনহানিকর পটকা মাছের দেদার বাজারজাত চলছে। বাধা দেয়ার যেন কেউ নেই। মাঝে মাঝে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযানে বিষাক্ত মাছ জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়। কিন্তু মাছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রয়োগ মোটেও বন্ধ করা যাচ্ছে না। সবুজ সবজিতেও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে অবাধে। পাইকারি আড়তগুলোতে মাছের স্তূপ দিয়ে তার ওপর প্রকাশ্যেই ফরমালিন ছিটানো হতো অথবা স্প্রে করা হতো কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি। প্রশাসনের নজরদারির ভয়ে এখন আর আড়তে কেমিক্যাল মেশানোর ঝুঁকি নেয় না কেউ। মাছ আহরণ স্থল থেকেই প্রয়োগ করা হয় ফরমালিন। অপেক্ষাকৃত বড় আকারের মাছগুলোতে তাজা থাকা অবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ফরমালিন পুশ করা হয়। আর ছোট আকারের মাছগুলো শুধু ফরমালিন মিশ্রিত পানির ড্রামে চুবিয়ে তুললেই চলে। ব্যবসায়ীরা বাজারে ফরমালিন ব্যবহারের ব্যাপারটা অস্বীকার করলেও পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট বাজারের বেশিরভাগ দোকানেই অবাধে ফরমালিন ব্যবহার করতে দেখা যায়। আড়তগুলো ফরমালিন মিশ্রিত বরফ দ্বারা মাছের গায়ে ফরমালিন প্রয়োগ করছে অভিনব স্টাইলে। এক্ষেত্রে ফরমালিন মেশানো পানি দিয়েই বরফের পাটা বানানো হয়। সেই ফরমালিন বরফের মধ্যেই দিনভর চাপা দিয়ে রাখা হয় মাছ। সাধারণ পানি দিয়ে বানানো বরফ পাটাগুলো ধবধবে সাদা থাকে, ফরমালিন বরফ পাটার রঙ থাকে হালকা বাদামি।
#ঘরোয়া_শখ
#ভেজাল_মুক্ত_খাবার
#আচার
আমলকীর কিছু উপকারিতা :
#ডায়াবেটিসের_ক্ষেত্রে_উপকারী
যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা ইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা যায় যে মাত্র ৩ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্য যেকোনো ডায়াবেটিসের ঔষধের চেয়ে বেশি কার্যকরী। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
#যকৃতের_বিষাক্ততা_দূর করতে
এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।
#ক্যান্সারের_বিরুদ্ধে_লড়াই_করতে
যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। আর আমলকীর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। সুতরাং আমলকী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অনেক উপকার।
#গ্যাস্টিকের_সমস্যা_কম_করতে
আমাদের দেহে কোন রোগ হলে আমরা অনেক বেশি কষ্ট পায়। বিশেষ করে গ্যাস্টিকের সমস্যা। আর এই গ্যাস্টিকের সমস্যাই আমলকীর কোন তুলনা হয় না। এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
#পেটের_ব্যাথা_দূর_করতে
আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ, পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট মোচড়ানো, প্রদাহ সহ বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীর দ্বারা দূর করা সম্ভব। আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
#দৃষ্টিশক্তি_বৃদ্ধিতে_সাহায্য_করতে
আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
#সুন্দর_চুল_এবং_নখের_উপকার_করতে
আমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠনে যার ফলে দেহে পুনর্যৌবন লাভ করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং আজকাল চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এই আমলকী থেকেই। আমলকী চুলের সাথে সাথে হাতের নখও ভাল রাখে। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম, চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
#ত্বকের_সমস্যা_দূর_করতে
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষ ত্বক, ইত্যাদি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনের প্রদাহ দূর করতে পারে এই আমলকী। প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
#চুলের_সুরক্ষতায়
আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে। শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।
#দাঁত_ও_মুখের_দুর্গন্ধ_দূর_করতে
এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকী লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ভাল রাখে।
#রুচি_ও_স্বাদ_বাড়াতে_আমলকী
আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
#রোগ_প্রতিরোধ_ক্ষমতা_বাড়াতে_ও_মানসিক_চাপ_কমাতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকী উপকারি প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।
াতে_সাহায্য_করে
আমাদের দেহের একটা বড় সমস্যা হল মেদ বেড়ে যাওয়া। এটা নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তা করে থাকি। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে আমলকী খান, তাহলে দেহের এই মেদ কমানো সমভাব। কারন শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে আমলকী অনেক সাহায্য করে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
#যৌবন_ধরে_রাখতে_আমলকী
আজকাল আমাদের বিভিন্ন মানসিক চাপ ও কাজের চাপে খুব দ্রুত বয়স বেশি বলে মনে হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত আমলকী খেতে থাকেন, তাহলে আমলকীর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারন বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস। আর আমলকীর ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধের ফলে সৌন্দর্য আবার ফিরে আসবে। সুতরাং যৌবন ধরে রাখতে আমলকীর ভূমিকা অপরিসীম।
#সর্দি-কাশি_ও_রক্তশূন্যতা_দূরীকরণে
আমলকী রক্তশূন্যতা দূরীকরণে ও সর্দি-কাশিতে অনেক উপকার করে থাকে। আপনি যদি সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতাই আমলকী ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন। এই জন্য নিয়মিত আমলকী খাওয়া খুবই ভাল।
রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা:
অনেক বছর আগে থেকে রসুন ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জাতিই রসুনকে বিভিন্ন রোগ নিরায়মের জন্য ব্যবহার করে আসছে। রসুনে প্রচুর পরিমাণের রয়েছে ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, ভিটামিন সি। এছাড়া রসুনে আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমানে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তুলা যায়।চলুন তাহলে জেনে নেই খালি পেটে রসুন খাওযার উপকারিতাসমূহ:
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
অন্ত্রের জন্য ভাল
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে
শ্বসন
যক্ষ্মা প্রতিরোধক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
হজমের সমস্যা মুক্তি
জমে যাওয়া কফ থেকে মুক্তি
যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা
হৃদপিন্ডের সুস্থতায়
প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে
গিট বাতের সমাধানে
শরীরের ফুড়া সারাতে
ক্যান্সের প্রতিরোধে রসুন
ব্রনের সমস্যা দূর করতে
পেটের কৃমি নিরাময়ে
রক্ত পরিষ্কার রাখে
ঠান্ডা ও জ্বরে
ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে
কাটা সারিয়ে তুলতে
চোখের যত্নে রসুন
ত্বকের যত্নে রসুনের গুন
#রসুনের_অপকারীতা
#সতর্কবার্তা:
রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকর।দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় এটি ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন ব্যবহার করতে হবে । যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা থাকে বা হয় তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল। আবার অতিরিক্ত খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতেও পারে তাই বেশি রসুন খাওয়া ঠিক নয়।
#জেনে_নেওয়া_যাক_জলপাইয়ের_বিভিন্ন_উপকারিতা -
জলপাই হচ্ছে টক জাতীয় একটি ছোট ফল। এর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত, কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। সাধারণত আমরা জলপাইয়ের আচার করে খাই। এর চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ে রয়েছে বেশি পুষ্টি।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক জলপাইয়ের বিভিন্ন উপকারিতা..
হৃদযন্ত্রের যত্নে জলপাই:- যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই:- কালো জলপাই ভিটামিন ই এর বড় উত্স। যা কিনা ফ্রির্যাডিকেলকে ধ্বংস করে। ফলে শরীরের অস্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, জলপাইতে রয়েছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই:- কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে। এছাড়া ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই।
হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাই:- এর মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি। রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল। যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যাথা জনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল।
পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই:- নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আয়রনের বড় উত্স জলপাই:- কালো জলপাই আয়রনের বড় উত্স। রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল। আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে।
চোখের যত্নে জলপাই:- জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ঔষধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।
বিভিন্ন রোগ দূর করে জলপাই:- সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জলপাই:- জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Our Story
The terms and policies mentioned below should be followed and accepted by all the users, visitors, buyers or others who wish to access into the website of iyanot.com, your compliance with our terms and no violation of our privacy will be highly appreciated. By accessing to our website you are bound to abide by these policies, if you are not willing to do so then you do not have the permission to access in iyanot.com website.
Our mission is to make IYANOT the preferred shopping destination for our customers by delivering outstanding value, continuous innovation and exceptional experience by consistently fulfilling their demands.
To support our mission, we are guided by our commitments to great value, the community, diversity and the environment.
We love hearing your thoughts. The IYANOT page is a community for our customers to actively engage with IYANOT and each other.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Mirpur 1
Dhaka
1216
Opening Hours
Monday | 09:00 - 21:00 |
Tuesday | 09:00 - 21:00 |
Wednesday | 09:00 - 21:00 |
Thursday | 09:00 - 21:00 |
Friday | 09:00 - 21:00 |
Saturday | 09:00 - 21:00 |
Sunday | 09:00 - 21:00 |
H#219, R#2, Shamoly
Dhaka, 1217
Has a strong desire to work in a challenging environment where I can utilize my educational skills. To achieve this aim I am determined to offer honesty, e
Dhaka
Khalil Ullah Khan, widely known as Khalil, is a powerful actor both on silver and small screens. He work in so many TVC.
Garden Road, Tejgaon
Dhaka, 1215
Hi there! Welcome to our page. It is an infotainment platform. Please like, follow and share the pag
Dhaka
An award winning photographer published in over 12 countries for UNICEF...changes coming soon to page
Dhaka
Iqbal Asif Jewel- Official Fan Page Guitarist & Vocalist of Miles and Artcell. Founder of X-Factor.
Dhaka, 1212
"H" Brothers means Hossain Brothers.It's a team of two brothers(Jaouad Hossain Rafat & Shakhawat Hossain Ullash).Whose are going to make & act in a new movie named 'VIRUS'.It will...