Abaron Abharon - আবরণ আভরণ
Nearby clothing stores
Uttara
Uttara
Uttara
Uttara, Uttarati
Uttara
Uttara
Uttarati 1230
Khilkhet
Uttara
Uttara
Uttara Dhaka, Jurain
Uttara
1230
Sector/4
Uttara
WELCOME TO THE LAND OF ABARON ABHARON - আবরণ আভরণ.JEWELLERY CLOTHES AND HELTHY SKINC We have Jewellery Cloth And Healthy Skincare Products.
If You Wanna A Marvelous And Smart Collection You can Trust our Page Becouse we are Here about your care. We Commitet to 100% Authentic products with Affordable price.Transparency Is Our capital.STAY WITH US.
আপাতত সেই ডেড সি কিংবা মৃত সাগরের প্রাসঙ্গিক একটা ঘটনা লিখছি।
হযরত লুত (আঃ) এবং মৃত সাগর!
আল্লাহ প্রেরিত নবী হযরত লূত (আঃ) এর পিতার নাম ছিল হারান। লূত (আঃ) ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এর ভাইয়ের ছেলে। ভাতিজা লূত (আঃ) ছোটবেলা থেকেই ইব্রাহীম (আঃ) এর সাহচর্যে বড় হন। এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর আহবানে সাড়া দিয়ে সঠিক ধর্ম গ্রহন করেন ও সেই সত্য ধর্ম প্রচার করার জন্য মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করে হিজরত করে মিশরে চলে আসেন। তিনি ইব্রাহীম (আঃ) এর যুগেই নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
মিসরে ইব্রাহীম (আঃ) এর সাথে লূত (আঃ) কিছুদিন কাজ করার পর ইব্রাহীম (আঃ) মিসর হতে সিরিয়ার ফিলিস্তিনে, আর লূত (আঃ) জর্দান রাজ্য বা ট্রান্সজর্দান এলাকায় চলে আসেন। এটি বর্তমানে মরু সাগরের নিকট সডম ও গমোরা নগর হিসাবে খ্যাত। এখানে সাদ্দুম নামে এক বস্তি ছিল। সে বস্তি এবং আশে পাশের আরো কিছু এলাকায় লূত (আঃ) সত্য ধর্মের প্রচার করতেন।
লূত (আঃ) যে জাতির প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন, তারা জঘন্য রকমের খারাপ স্বভাবের ছিলো। তারা কুফর, শিরক ইত্যাদির সাথে সাথে জুলুম, অত্যাচারে লিপ্ত ছিল। পথিক, বিদেশী আগন্তক, বনিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ হতে লুন্ঠন করতো। এছাড়াও তারা এমন এক কদর্য ও নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত ছিল, যা তাদের পূর্বে বিশ্ব জগতের আর কেউই করেনি। তারা মাঠে ঘাটে, রাস্তায়, মাহফিল, মজলিসে বিনা দ্বিধায় পুরুষদের সাথে কুকর্মে লিপ্ত হতো।
হযরত লূত (আঃ) এসব জঘন্য দুস্কর্মের জন্য দেশবাসীকে বিভিন্নভাবে বোঝালেন। তারা বুঝলো না। তারপর তিরস্কার করলেন, কিন্তু তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত করলো না। তিনি তাঁর দেশবাসীকে বললেন, নিশ্চয়ই তোমরা এমন এক নির্লজ্জ ও কুৎসিৎ কাজে লিপ্ত যা তোমাদের পূর্বে বিশ্ব জগতের কেউই করেনি। ছেলে ও পুরুষদের সাথে কুকর্ম, ডাকাতি এবং প্রকাশ্য মজলিশে কুকর্ম, তোমরা কি এসবে ডুবে থাকবে? দেশবাসী উত্তর করলো, ‘তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তবে আমাদের উপর গজব নিয়ে আসো।’ লূত (আঃ) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, ‘হে পরওয়ারদেগার, আমাকে এই দুষ্টদের মোকাবেলায় সাহায্য করুন।
তখন আল্লাহ দু’জন ফেরেশতা, মেহমানরুপে তাঁর গৃহে পাঠালেন। ফেরেশতারা অত্যন্ত সুদর্শন বালকরূপে এলেন। লূত (আঃ) বাড়ি এসে, এত সুদর্শন বিদেশী মেহমান দেখে, দেশবাসীর চরিত্র ও অভ্যাসের কথা মনে করে, অত্যন্ত ভীত হয়ে গেলেন। তাঁর স্ত্রী ছিল কাফের। সে লূত (আঃ) এর সাথে অত্যন্ত অসহযোগীতা করতো। সে যেয়ে দেশবাসীকে এসব সুদর্শন মেহমানদের খবর দিয়ে আসলো। দেশবাসী মাতালের মতো ছুটে আসতে লাগলো। লূত (আঃ) অস্থির হয়ে পড়লেন আর এদিকে গুন্ডারাও এসে উপস্থিত হলো।
লূত (আঃ) মেহমানদের রক্ষা করার উপায় হিসেবে নিজ কন্যাদেরকে গুন্ডাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু দুশ্চরিত্র ঐ সব লোকসমূহ সব কিছু অগ্রাহ্য করলো। এবং বললো আপনিতো জানেন, আমরা কি চাই!! লূত (আঃ) বিব্রত অবস্থায় পড়লেন। কিভাবে রক্ষা পাবেন, তাই চিন্তা করতে লাগলেন। তখন ফেরেশতারা গোপনে লূত (আঃ) এর কাছে নিজেদের পরিচয় দিলেন। এবং পরামর্শ দিলেন যে, আপনি আপনার পরিজন ও সঙ্গীদেরকে নিয়ে রাত্রেই এই দেশ ত্যাগ করবেন। ভোর হতে না হতেই এই দেশের উপর আল্লাহর আজাব নেমে আসবে।
লূত (আঃ) ফেরেশতাদের কথানুযায়ী তার অনুসারীদের সাথে নিয়ে রাতেই শহরের বাইরে চলে গেলেন, সিরিয়ার উদ্দেশ্যে। অবশ্য লূত (আঃ) এর স্ত্রী ওখানেই রয়ে গেলেন। ভোরে এই এলাকায় ভয়ংকর ভূমিকম্প, তর্জন-গর্জন আরম্ভ হলো। উপর হতে প্রস্তর বর্ষণ হতে লাগলো। সমগ্র দেশকে উপরে তুলে সজোরে নিক্ষেপ করা হলো। প্রভাতেই সমগ্র দেশ ধ্বংস হয়ে ভূপৃষ্ট হতে পাপিষ্টদের চিহ্ন চিরতরে মুছে গেল। শুধু রইল কুৎসিৎ কলঙ্কের কালিমা রেখা। সবকিছু ধ্বংস হয়ে সম্পূর্ণ এলাকা সাগরে পরিণত হলো। যা আজও জর্দানের মানচিত্রে বিদ্যমান আছে। আল্লাহর গজবে পতিত অভিশপ্ত এই এলাকাটি বাংলায় মৃত সাগর, ইংরেজীতে ও আরবীতে ‘বাহরে মাইয়েত’ নামে পরিচিত। এটি দৈঘ্যে ৭৭ কিলোমিটার (প্রায় ৫০ মাইল), প্রস্থে ১২ কিলোমিটারের কিছু উর্ধ্বে (প্রায় ৯ মাইল), গভীরতায় ৪০০ মিটার (প্রায় কোয়াটার মাইল)। পুরাতন ইতিহাসে এটি ‘লূত সাগর’ নামে আখ্যায়িত।
LGBT আন্দোলন নিয়ে কুরআন হাদিসের কিছু রেফারেন্স -
# আল-কোরআনঃ সমকামিতা সম্পূর্ণ হারাম। এমনকি স্বাভাবিক ব্যভিচারের চাইতেও নিকৃষ্ট।
- "এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। অতঃপর আমি তাকে ও তাঁর পরিবার পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম, কিন্তু তার স্ত্রী। সে তাদের মধ্যেই রয়ে গেল, যারা রয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করলাম।
সূরা আরাফঃ ৮১-৮৩।
- "সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।" - সূরা শুয়ারাঃ ১৬৫-১৬৬।
- "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।
সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আমরা এই জনপদের অধিবাসীদের উপর আকাশ থেকে আযাব নাজিল করব তাদের পাপাচারের কারণে।
আমি বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে এতে একটি স্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি। - সূরা আনকাবুতঃ ৩১-৩৫।
# হাদিস
"ইবনে আব্বাস বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা কর যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।"
- (আবু দাউদ 38:4447)
Atique Ua Khan
মতভেদে হযরত লুত (আঃ) এর স্ত্রীর মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিচিহ্ন হয়ে, যিনি আল্লাহর আদেশ না মেনে পিছনে ফিরে তাকিয়েছিলেন। যদিও কিছু স্কলার এতে একমত হননি। উনাদের মতে এটা শুধুই ধ্বংসাবশেষের মনুষ্য আকৃতি স্মৃতিচিহ্ন। আল্লাহ ভাল জানেন।
# রিপোস্ট - সময়ের প্রয়োজনে।
কালেক্টেট
❤️❤️❤️
মূসা আলাইহিস সালামের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে নান্দনিক যে পরিণতি—সেখানেও আছে দরিয়ার উপস্থিতি।
আমরা জানি—নবি মূসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দরিয়ায় তৈরি করে দিয়েছিলেন পথ এবং ওই একই দরিয়ায় তলিয়ে মেরেছিলেন জালিম ফিরআউন ও তার বাহিনীকে। জীবনের চরম সংকটময় এই মুহূর্তে মূসা আলাইহিস সালামের অবস্থান আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে রাখে।
সামনে অকূল দরিয়া আর পশ্চাতে ফিরআউনের বিশাল বহরের শক্তিশালী বাহিনী! এ যেন জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘের গল্পটার মতোই—দুই জায়গাতেই নিশ্চিত মৃত্যুর হাতছানি! অবস্থা বেগতিক দেখে ভয়ে অস্থির হয়ে উঠলো বনি ইসরাঈল সম্প্রদায়। তারা বললো— ‘আমরা বুঝি ধরা পড়েই গেলাম’। (১)
অন্য সকলের মতো মূসা আলাইহিস সালামও দেখছিলেন যে—সম্মুখে যতোদূর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি! নেই কোনো নৌকা, পারাপারের বাহন। আর পশ্চাতে একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে চিরশত্রু ফিরআউন! তিনি না সম্মুখে যেতে পারছেন, না পারছেন পেছনে যাত্রা করতে। দৃশ্যত অন্য সকলের মতো তার সামনেও যাওয়ার আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
কিন্তু অন্য সবার মতো তিনি ঘাবড়ে গেলেন না। যদিও খালি চোখে সম্মুখে উপনীত বিপদ এড়াবার কোনো পথ তিনি দেখছেন না, তবুও একেবারে নির্ভয় আর নির্ভার থেকে তিনি অন্যদেরকে আশ্বস্ত করলেন এই বলে যে— ‘কখনোই নয়। আমার রব আমার সাথে আছেন। তিনি শীঘ্রই আমাকে পথ দেখাবেন’। (২)
সম্মুখে অকূলপাথার আর পশ্চাতে ঘাড়ের ওপর পড়তে যাচ্ছে শত্রুর নিশ্বাঃস! এর মধ্যে পথ কোথায় পাওয়া যাবে? পথ যে কোথায় পাওয়া যাবে তা মূসা আলাইহিস সালাম নিজেও জানেন না। তবে তিনি এটুকু জানেন—আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁকে পথ অবশ্যই দেখাবেন।
এরপর যা ঘটলো, তা তো রূপকথাকেও হার মানিয়ে দেয়! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দরিয়ায় মূসা আলাইহিস সালামের জন্য তৈরি করে দিলেন পথ। আর পশ্চাতে যে শত্রু পিছু নিয়েছিলো, তাকে ডুবিয়ে মারলেন ওই দরিয়ার জলেই। ওইদিন মূসা আলাইহিস সালাম কল্পনাও করতে পারেননি যে—তাঁর জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সমুদ্রের মধ্যে পথ তৈরি করে দেবেন। তিনি শুধু এটুকু জানতেন—তাঁর রব তাঁর সাথে আছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যার সাথে থাকেন তিনি পথের কথা ভাবেন না, ভাবেন পথের মালিকের কথা। মূসা আলাইহিস সালামও পথের মালিকের স্মরণে বিভোর ছিলেন সেদিন।
রেফারেন্স:
(১) সূরা আশ-শুয়ারা, ৬১
(২) সূরা আশ-শুয়ারা, ৬২
( অংশটুকু আমার লিখিত ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইয়ের ‘নীল দরিয়ার জলে’ অধ্যায় থেকে নেওয়া।)
আমার বড় মেয়ে তার কলেজে একটা কোয়েশ্চেনীয়ার জমা দেবে। সেখানে অনেকগুলি প্রশ্নের ভেতর একটা প্রশ্ন হচ্ছে – “তােমার প্রিয় ব্যক্তি কে?” সে লিখলো, ‘আমার মা’।
আমি ভেবেছিলাম সে লিখবে – বাবা।
আমার সব সময় ধারণা ছিল আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে খুব পছন্দ করে। অন্তত তাদের মা’র চেয়ে বেশি তাে বটেই। করারই কথা, আমি কখনাে তাদের বকা-ঝকা করি না। অথচ তাদের মা এই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করছে –
“বাথরুম ভেজা কেন?”
“সন্ধ্যা হয়ে গেছে, পড়তে বসনি। পড়তে বােস।”
“টুথপেস্টের মুখ লাগানো নেই, এর মানে কি?”
“বন্ধুর সঙ্গে এতক্ষণ টেলিফোনে কথা কেন?”
“ফ্রকে ময়লা কি ভাবে লাগলো?”
“মাছ তাে গোটাটাই ফেলে দিলে। বােন-প্লেট থেকে তুলে এনে খাও। তােল বলছি। তােল।”
এই সব যন্ত্রণা আমি তাদের দেই না। খাবার টেবিলে আমি ওদের সঙ্গে মজার মজার গল্প করি। ভিডিও ক্লাবে কোন ভাল ছবি পাওয়া গেলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে দেখি। তারচেয়েও বড় কথা, এমন সব কাণ্ড-কারখানা মাঝে মাঝে করি যা বাচ্চাদের কল্পনাকে উজ্জীবিত করবেই। যেমন শহীদুল্লাহ হল-এ যখন থাকতাম তখন ভরা জোছনার রাতে বাচ্চাদের খুম থেকে তুলে পুকুরে গােসল করতে নিয়ে যেতাম। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে সবাইকে নিয়ে পানিতে ভেজা তাে আমার চিরকালের নিয়ম। সব সময় করছি। যে মানুষটি এমন সব কাণ্ডকারখানা করে সে কেন প্রিয় হবে না? আমার বড় মেয়ের কোয়েশ্চেনীয়ার দেখে হঠাৎ করে আমার মনে হল আমি কি এদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছি? যদি দূরে সরে গিয়ে থাকি তাহলে তা কখন ঘটলো ?
সারাদিন নানান কাজে ব্যস্ত থাকি। ইউনিভার্সিটির কাজ, নাটকের কাজ, লেখার কাজ। এর ফাকে ফাকে লোক আসছে। প্রকাশকরা আসছেন লেখার তাগাদা নিয়ে। এসেই চলে যাচ্ছেন না, বসছেন, গল্প করছেন। চা খাচ্ছেন। নাটকে অভিনয় করতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীরা আসছে। যে ভাবেই হােক তাদের টিভি নাটকে সুযোগ দিতে হবে। আমার গল্প-উপন্যাস পড়ে খুশি হয়েছে এমন লােকজন আসছে। খুশি হয়নি এমন লােকজন আসছে। আসছে পত্রিকা অফিসের মানুষ। কেউ বুঝতে পারছে না, আমি ক্লান্ত ও বিরক্ত। আমার বিশ্রাম দরকার, নিরিবিলি দরকার। আমার অনেক দূরে কোথাও চলে যাওয়া দরকার। আমার সবটুকু সময় বাইরের লোকজন নিয়ে নিচ্ছে । আমার ছেলেমেয়েদের জন্যে, আমার স্ত্রীর জন্যে একটুও সময় আলাদা নেই।
তবু ক্ষীণ আশা নিয়ে একদিন মেঝে মেয়েকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গেলাম। গলা নিচু করে কথা বলছি যেন অন্য কেউ কিছু শুনতে না পায়।
“কেমন আছ গো মা?”
“খুব ভাল, না মোটামুটি ভাল?”
“খুব ভাল।”
“এখন বল দেখি তােমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে ?”
“কোন প্রিয় মানুষ নেই বাবা।”
“না থাকলেও তাে এমন মানুষ আছে যাদের তােমার ভাল লাগে। আছে না?”
“মা তোমার সবচেয়ে প্রিয়?”
“হু–মা।”
“আর কেউ আছে?”
“আর ছােট চাচী।”
“আর কেউ?”
“শাহীন চাচা।”
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম লিস্ট লম্বা হচ্ছে – কিন্তু সেই দীর্ঘ লিস্টে আমার নাম নেই। আমাকে সে হিসেবের মধ্যেই আনছে না। এ রকম কেন হবে। দু’দিন আমি খুব চিন্তা করলাম। ভেবেছিলাম ব্যাপারটা নিজের মধ্যেই রাখবো। আমার স্ত্রী গুলতেকিনকে জানাব না। এক রাতে তাকেও বললাম। সে বললো, “কি অদ্ভুত কথা বলছো? বাচ্চারা তােমাকে অপছন্দ করবে কেন? তুমি ওদের খুবই প্রিয়।”
“তুমি আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে বলছো?”
“মােটেই না। আমার ধারণা তােমার মত ভালো বাবা কমই আছে।”
“সত্যি বলছো?”
“হ্যা সত্যি। শীলার দুধ খাওয়ার ব্যাপারটা মনে করো। ক’জন বাবা এরকম করবে? শীলার দুধ খাওয়ার কথা মনে আছে?”
“আছে।”
আমার মেয়ের দুধ খাওয়ার গল্পটা বলি তার কাছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দের খাবার হল দুধ। দুধের বদলে তাকে বিষ খেতে দেয়া হলেও সে হাসিমুখে খেয়ে ফেলবে। সেই ভয়াবহ পানীয় তাকে রােজ বিকেলে এক গ্লাস করে খেতে হয়। আমি আমার কন্যার কষ্ট দেখে, এক বিকেলে তার দুধ চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেললাম! তাকে বললাম, মাকে বলিস না আমি খেয়েছি। এরপর থেকে রােজ তার দুধ খেতে হয়। এক সময় নিজের কাছেও অসহ্য বােধ হল। তখন দু’জন মিলে যুক্তি করে বেসিনে ফেলে দিতে লাগলাম। বেশিদিন চালানাে গেল না। ধরা পড়ে গেলাম
বাবা হিসেবে আমি যা করেছি তা আদর্শ বাবার কাজ না। তবে শিশুদের পছন্দের বাবার কাজ তাে বটেই। গুলতেকিন আমার কন্যার দুধের গল্প মনে করায় আমার উদ্বেগ দূর হল। আমি মােটামুটি নিশ্চিত হয়েই ঘুমুতে গেলাম। যাক, আমি খারাপ বাবা নই একজন ভাল বাবা। তবু সন্দেহ যায় না।
পরদিন ছােটমেয়ে বিপাশাকে আইসক্রীম খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। সে বিস্মিত, তাকে একা নিয়ে যাচ্ছি। অন্য কাউকে নিচ্ছি না। ব্যাপারটা কি ?
তাকে ডলসি ভিটায় কোন আইসক্রীম কিনে ফিস ফিস করে বললাম, “আচ্ছা মা বল তাে, কাকে তােমার বেশি পছন্দ ? তােমার মা’কে, না আমাকে?”
সে মুখভর্তি আইসক্রীম নিয়ে বললো, “তােমাকে”।
তার বলার ভঙ্গি থেকে আমার সন্দেহ হল। আমি বললাম, “তােমার মা শিখিয়ে দিয়েছে এরকম বলার জন্যে, তাই না?”
“হুঁ।”
“সে আর কি বলেছে ?”
“বলেছে–বাবা যদি তােমাদের জিজ্ঞেস করে কে সবচেয়ে প্রিয় তাহলে আমার নাম বলবে না, তােমার বাবার নাম বলবে। না বললে সে মনে কষ্ট পাবে। লেখকদের মনে কষ্ট দিতে নেই।”
সত্যকে এড়ানাে যায় না, পাশ কাটানাে যায় না। সত্যকে স্বীকার করে নিতে হয়। আমি স্বীকার করে নিলাম। নিজেকে বুঝালাম – আমার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা যে কোন ব্যস্ত বাবার ক্ষেত্রেই ঘটবে। একদিন এই ব্যস্ত বাবা অবাক হয়ে দেখবেন এই সংসারে তার কোন স্থান নেই। তিনি সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। সংসারও তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এই এক আশ্চর্য খেলা।
-এই আমি
-হুমায়ূন আহমেদ
-ছবি: সংগৃহীত
⭕ ঘটনা - ১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন । তারপর, ভারী গলায় বললেন - বাহ ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো ! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না ! ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো ! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে ! এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও ! তারপর তোমার নিয়োগ হবে ! ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না ! গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন ! তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেলো !
⭕ ঘটনা - ২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন ! বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে ! তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন ! ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন ! বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো - আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা !
⭕ ঘটনা - ৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক ! হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেলো ! বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন ! বড় স্যার কোনও উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন !
⭕ ঘটনা - ৪
বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি ! ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ ! খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন ! বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন ! ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি ! বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো ! ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে ! কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন !
⚫🔴 শিক্ষাঃ আপনি অতীতে যা করেছেন, বর্তমানে যা করছেন, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে আপনার কাছে ফিরে আসবেই !!
প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটা সমান ও বিপরীতমূখী প্রতিক্রিয়া আছে! (নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্র)
সুতরাং সময় থাকতেই সাবধান থাকুন!!
সৎ পথে চলার অভ্যাস করতে হবে। ভালো কাজে অংশ গ্রহন ও মানুষের উপকারে আসলেই তাহলে ভালো থাকতে পারবেন।
-
সংগৃহীত পোস্ট।
#শিক্ষা_ও_তথ্য_কেন্দ্র।
👌 just wow
আমরা সব কিছু জেনে বুঝে ও মিথ্যার মায়ায় আসক্ত হই। নিচের চমৎকার গল্পটি পড়ুন আর ভাবুন...
নিন্মের ছবিটি নগ্ন। এটি Jean Leon Gerome নামক বিখ্যাত চিত্রকরের পেইন্টিং। ১৮৯৬ তে আঁকা এই ছবিটা ঊনিশ শতকের একটি লোক কথাকে ভিত্তি করে আঁকা হয়েছিলো যার শিরোনাম ছিলো- "The truth is coming out of the well."
গল্পটা ছিল এরকম -একবার সত্য এবং মিথ্যা পরস্পরের সঙ্গে দেখা করলো কিছু বিষয়ে মীমাংসার তাগিদে। হাঁটতে হাঁটতে তারা চলে গেলো একটা কুয়োর পাশে।
মিথ্যা বললো, দেখো, কী পরিষ্কার জল। চলো স্নান করি।
বলাবাহুল্য সত্য বিশ্বাস করেনি মিথ্যার কথা। নিজে পরখ করে দেখলো। যখন দেখলো কুয়োর জল সত্যিই পরিষ্কার তখন মিথ্যার প্রস্তাবে রাজী হলো।
দুজনে পোশাক ছেড়ে নেমে পড়লো কুয়োয়। স্নানের মাঝপথে মিথ্যা কুয়ো থেকে উঠে এসে সত্যের পোশাক পরে পালিয়ে গেলো।
খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর মিথ্যাকে ফিরতে না দেখে সত্য উঠে এলো কুয়ো থেকে। না, মিথ্যা তো কোথাও নেই, পোশাকও নেই। রাগে অন্ধ হয়ে সত্য বের হলো মিথ্যাকে খুঁজতে, কিন্তু নগ্ন সত্যকে দেখে ছিঃ ছিঃ ধিক্কার করলো সভ্য মানুষেরা। এমন কী তেড়েও এলো অনেকে।
সত্য অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের বোঝাতে না পেরে রাগে দুঃখে অপমানে ফের কুয়োয় নেমে গেলো।
তারপর থেকে সত্যকে আর কখনও কেউ দেখেনি।
যাকে দেখেছে কিংবা দেখছে সে আসলে সত্যের পোশাক পরা মিথ্যা!
DR. BIPUL CHOWDHURY
লেখা আরিফ আজাদ
একজন মানুষকে চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তার অতীত সম্পর্কে সে কী ভাবে সেটা বোঝা।
ধরুন একটা সময়ে আর্থিকভাবে আপনি বেশ নাজুকতার মধ্য দিয়ে গেছেন৷ বেশ কষ্টে কেটেছে আপনার দিনগুলো৷ কষ্টের পরে একসময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনার জীবনে বারাকাহ দিলেন, আপনার কিছু পয়সাপাতি হলো, আপনি মোটামুটি একটা অবস্থানে আসতে শুরু করেছেন সমাজে।
সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি আপনার বন্ধুমহলও বদলে যায়— যেমন কোটিপতি মানুষ না হলে আপনি কারো জন্য সময় করেন না, লাখোপতি না হলে আপনি কারো বাসায় দাওয়াতে যান না, ব্র্যাণ্ডের জামা গায়ে না থাকলে যেকাউকে আপনার গরীব গরীব লাগে— এসব উপসর্গ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে বন্ধু হিশেবে আপনি অবশ্যই সুবিধের নন।
নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মক্কার সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত গোত্রের লোক, কিন্তু সমস্ত অসহায়, দরিদ্র আর গরীবদের জন্য তিনি এতোটাই নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন যে— কারো ঘরে খাবার না থাকলে তারা সবার আগে নবিজীর কাছে চলে আসার কথা চিন্তা করতে পারতেন৷ তারা জানতেন— আবদুল মুত্তালিবের নাতির কাছে গেলে আর যাহোক খালি হাতে ফিরতে হবে না৷ একটুকরো রুটিও যদি থাকে, তিনি সেটাকে দুভাগ করে বন্টন করে দেবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মানুষকে সম্পদ দিয়ে যেমন পরীক্ষা করেন, সম্পদ না দিয়েও পরীক্ষা করেন৷ যাকে সম্পদ আর ক্ষমতা দেয় তার জন্যে পরীক্ষা হলো সে কতোটা ‘ডাউন টু দ্য আর্থ’ থাকছে৷ এর উজ্জ্বল উদাহরণ নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মক্কা যেদিন বিজয় হলো, তিনি হয়ে গেলেন সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক৷ অথচ— মক্কা বিজয়ের দিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা চত্বরে যখন ঢুকছিলেন তাঁর বাহনে চড়ে, তখন তিনি সিজদাবনত অবস্থায় ছিলেন৷ এটা হলো বিনয়, নিরহংকার আর সত্যিকার মাটির মানুষ হয়ে থাকার উদাহরণ।
পয়সাওয়ালার সাথে বন্ধুত্ব করতে দোষ নেই, যেমনি করে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বন্ধুত্ব করেছেন আবু বকর, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে৷ কিন্তু এ-ও তো সত্য— আবু বকর আর উসমানদের ভিড়ে, নবিজীর জীবন থেকে কখনোই বিলাল আর আবু হুরায়রারা হারিয়ে যাননি।
"আমি যতবারই কোনো মানুষকে তার প্রাপ্য মর্যাদার চাইতে বেশি সম্মান করেছি, ততবারই সে আমাকে ঠিক ততটুকু অমর্যাদা করেছে।"
ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)
[তারীখু ইবন ‘আসাকির: ২/১৫]
কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন?
খুব যত্ন করে দিন যাতে কেউ টের না পায়!
তবে নিজেকেও একটু তৈরী রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য।
যে কষ্টগুলো কাউকে দিচ্ছেন, দুনিয়াতেই তার পুরোটা না হলেও মিনিমাম এক তৃতীয়াংশ ভোগ করে যেতে হবে যে আপনাকে ও।
গোলাকার এই পৃথিবীতে আপনার দেওয়া কষ্টগুলো ঘুরেফিরে কিন্তু আপনার কাছেই একদিন না একদিন ফেরত আসবে!!!
আপনি নিজেই আত্ম অনুশোচনায় ভুগতে ভুগতে একটা সময় শেষ করে দেবেন নিজেকে; হয়তো যেটা আপনার "so called" ইগোর জন্য ঐ মানুষটার কাছে ক্ষমাও চাইতে পারবেন না!
সবার মনে রাখা উচিত, মানুষের দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ।
সামনে এগোতে গেলে শেকলের মত পা জড়িয়ে টেনে ধরে।
ভাল থাকুক চারপাশের মানুষগুলো।
ভালোবাসার, ঘৃণার, কাছের, দূরের সবাই ভাল থাকুক।
অভিশাপ না দিলেও "রুহের হায়" বলে একটা কথা আছে,
যাকে Revenge of Nature” বলে।।
যেটা আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে। সৃষ্টি কর্তা কিছুই ভোলে না!
সময়ের ব্যবধান মাত্র।
সবসময় হয়তো আমরা বুঝে উঠতে পারিনা, সঠিক কোন কাজের শাস্তি পাচ্ছি৷
কাউকে কষ্ট দিয়ে,অপমান করে, কাউকে কাঁদিয়ে, কাউকে কথা দিয়ে বেমালুম ভুলে যাই আমরা, কিন্তু আল্লাহ ভোলে না, আল্লাহ ক্ষমা করে না।
প্রত্যেকটা মানুষ তার খারাপ কাজের শাস্তি কিছুটা হলে ও দুনিয়াতে ভোগ করে!
ক'দিন আগে কিংবা ক'দিন পরে!
কিন্তু শাস্তি সে পাবেই – এই আশা রাখি।।
এমনকি এই মুহূর্তে আপনি যার সাথে ইচ্ছাকৃত অন্যায় করে নিজেকে জয়ী ভেবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন,
মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন-
সে হয়তো প্রতিবাদ করবেনা, কিন্তু তার নীরবতা,
কষ্ট থেকে আসা 'দীর্ঘশ্বাস 'আপনার সাথে বোঝাপড়াটা সঠিক সময়ে করে নেবে, কারণ উপর ওয়ালা কাউকে ঠকান না, তিনি কারোর একার নন।
তিনি সবার..!!
"সংগ্রহীত পোস্ট "
কাজ শেষে বাসায় ফিরে দেখি দুই বউ ঝ*গড়া করছে।
একজনের চুল আরেক জন টান*তেছে। ওদের ঝ*গড়া দেখে নিজের মাথায় নিজে বাড়ি মারতে ইচ্ছে করছে। কেনো আমি প্রথম বউ হেমার উপরে রা*গ করে দ্বিতীয় বউ মালিনীকে বিয়ে করি! এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের ঝ*গড়া দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
দুই বউ ঝ*গড়ায় এতোটাই মগ্ন হয়ে আছে যে, আমি দরজায় দাঁড়িয়ে তা কেউ খেয়াল করলো না। অনেকক্ষণ পর ছোট বউ মালিনীর চোখ পড়লো আমার উপরে।
- মহেশ তুই এসেছিস! এই বলে আমার দিকে দৌড়ে এলো। দেখ এই সয়*তান বেটি কি করেছে আমার চুল ছিঁ*ড়ে। এই বলে আমায় জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো।
মালিনি আমার কলেজ ফ্রেন্ড ছিল তাই আমাকে তুই করে ডাকে।
আমাকে জড়িয়ে ধরতে দেখে এইবার বড় বউ হেমা আরো ক্ষে*পে গেলো। পিছন থেকে মালিনীর চুল ধরে টে*নে মাটিতে ফেলে দিল। আর চিৎকার করে বলল.....
ব*দ বেটি তোর এতো সাহস হলো কি করে? আমার সামনে আমার জামাইরে জড়িয়ে ধরিস। এই বলে দুইজন এইবার মা*রা মা*রি শুরু করলো।
হেমা বিয়ে হওয়ার পর একদিন রা*গ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। আনতে গেলে বলে আমি তোমার সাথে যাবো না। তখন তারে বলি না গেলে আরেক বিয়ে করবো। হেমা উত্তর দেয় পারলে করো বিয়ে। তাই বউয়ের উপর রা*গ করে দ্বিতীয় বিয়ে করি। সেই দিন থেকে জীবন আমার দূর্বি*ষহ হয়ে উঠলো।
মা*রা মা*রি বেশি হচ্ছে দেখে দু'জন কে ছাড়াতে মাঝখানে ঢু*কলাম। দু'জন কে দু'দিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
কি হয়েছে ঝ*গড়া কেনো করছো?
হেমা বলল শুনো আমি তোমার প্রথম বউ তাই আজকে থেকে তুমি আমার সাথে থাকবে। না হলে বউ থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করার অপ*রাধে জে*লে পাঠাবো।
এই কথা শুনে মালিনী বলে,,,,
আজকে থেকে তুই আমার সাথে থাকবি না হলে আমিও পুলিশে দিবো। একটা বউ থাকতে আমাকে ঠ*কিয়ে বিয়ে করার অপ*রাধে।
এই বলে দুইজন দু'দিকে চলে গেল। আমার তো মাথায় হাত এইবার কার কাছে যাবো। তাড়াতাড়ি করে পকেট থেকে মোবাইল বার করলাম আর বন্ধু আসাদ কে কল দিলাম৷ সব কিছু বলার পর আসাদ পরামর্শ দিল আজকে বাড়িতেই না থাকতে।
তাই বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধু বাসায় গেলাম। বন্ধু অনেক খাতিরযত্ন নিলো প্রাণ ভরে রাতের খাবার খেলাম। তার পর ঘুমিয়ে পড়লাম বন্ধুর সাথে ফোনটা বন্ধ করে। যাতে কেউ কল না দিতে পারে।
সকাল ৯টার দিকে কেউ এসে দরজা খোলার জন্য শোরগোল শুরু করলো। আসাদ সাহেব বাসায় আছেন?
আসাদ চোখ কচলাতে কচলাতে বিছানা থেকে উঠলো। দরজা খুলতেই দেখলো পু*লিশ এসেছে। আমিও পুলিশের কথা শুনে তাড়াতাড়ি রুমের বাইরে গেলাম।
আপনাদের মধ্যে মহেশ কে? পুলিশের প্রশ্নে উওর দিলাম জ্বী আমি। তখন আমাকে বলল,,,,, আপনাকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে বড় সাহেবের নির্দেশ। সঙ্গে আসাদকেও।
থানায় পৌঁছে দেখি আমার দু'বউ বসে আছে। আমি চমকে উঠলাম ওদের দেখে। জিজ্ঞেস করলাম তোমরা এইখানে কেনো? তখন থানার ওসি বলে,,,,
তারা দু'জন এখানে কি করছে তা আমি বলছি। এই বলে ওসি সাহেব আমার গালে একটা চ*ড় বসিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে ডান পাশের সব গুলো দাঁত নড়েচড়ে উঠলো। আমাকে চ*ড় মারছে দেখে বন্ধু আসাদ রে*গে-মেগে ছুটে আসলো।
কি ব্যাপার আপনি আমার বন্ধুকে মারলেন ক্যান?এই বলতে না বলতে বন্ধু আসাদের গালেও একটা বসে গেলো চ*ড়। বন্ধু এইবার মাথা ঘুরে মাটিতেই পড়ে গেলো।
এক তো দুই বিয়ে করে আবার দু'বউ একি বাসায় রেখে বন্ধু সাথে আড্ডা মারে। দুটোকে জেলে ভরো আর ইচ্ছে মত লা*ঠি পি*টা করো।
তার পর দুই ঘন্টা ধরে লা*ঠির বাড়ি খেয়ে জানতে পারলাম। আমি কালকে বাসা থেকে আসার পর দু'বউ আমাকে নিয়ে আবার ঝ*গড়া লাগে। এবং ঝ*গড়া করতে করতে বাসায় আ*গুন লাগিয়েছে। আমাকে বার বার কল করেও কেউ কিছু জানাতে পারেনি ফোন বন্ধ থাকায়। তাই পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে আসে। বিল্ডিং এর অন্য পরিবার গুলো আমার নামে মা*মলা করেন। ক্ষতি*গ্রস্ত হয়েছে প্রায় সবাই তাই ক্ষতিপূরন হিসেবে দশ'লাখ টাকা জরিমানা করে।
এইটা জানার পর বন্ধু আসাদকে ইচ্ছে মত পি*টাতে লাগলাম। ওর কথা শুনে আজকে ঘর-বাড়ি টাকা-পয়সা বউ সব হারালাম। বউ'দুটাও ছেড়ে চলে গেল সাথে দু'বিয়ের অপ*রাধে দুই বছরের জেল সাজা প্রাপ্ত হলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,, সমাপ্তি,,,,,,,,,,
Collected
ঝুমঝুম ঝুম বৃষ্টি 💭💭💦💭💭
এক বোনের গল্প জানি, ভয়ংকর সুন্দরী সেই আপা। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে হলো আনম্যারিড ভাইয়ের সাথে। স্বামী স্ত্রী সুখে ছিল। সুখ সহ্য হলো না শাশুড়ীর, পাত্রের আশেপাশের মানুষজনের। মায়ের কাছে গেলেই মায়ের হায় হুতাশ আফসোস চোখের পানি দেখে ভাই দোটানায় ভুগতে থাকে। ঘরে ফিরে মুখ কালো, আপার সাথেও আর ভালো হাসিখুশি ভাবে কথা বলতে পারে না। ধীরে ধীরে সংসারটা গোরস্থানে পরিণত হয়। এমন সংসার কি আর টিকে! যা হবার হলো, আপার এই সংসারটাও গেলো ....
ভয়েজ মেসেজে আপার চিৎকার দিয়ে কান্নার সাউন্ড এখনও আমার কানে বাজে।
খুব বিনয় নিয়ে বলেছিলো তার বাচ্চাদের কেউ নাই উনার মায়ের বান্দী হয়ে থাকবে তবুও মেনে নিক। ভাইয়ের মা নাকি নাক শিটকে বলেছিলো "এক ডিভোর্স হইসে আরেকটা হইলে কিসের কষ্ট তোমার? আমরা তোমাকে টাকা দিয়ে দিবো।আমার অবিবাহিত ছেলের জন্য কুমারি মেয়ে আনবো।"
সেই সময় আপাকে সামলানো অনেক কঠিক হয়ে পড়েছিলো। পাগলের মতোন হয়ে গিয়েছিলো, সব কিছু থেকে নিজেকে গুটায় নিলো। সবার থেকে অপরিচিত হয়ে গেলো। সমাজের মানুষও তাকে দোষ দিলো, সেই ইই খারাপ।
সময়ের সাথে সব ঘা সেড়ে যায়। আল্লাহ আপার ভাঙা অন্তর জোড়া লাগায় দিলো। তিনটা বাচ্চা নিয়ে একাই থাকে, চাকরী করে। থার্ড বাচ্চাটাকে ভাই দেখতে আসতে চেয়েছিল তার মা দেয়নি, আপাও আর চায়নি সে আসুক .... যেই মানুষটা কষ্টের দিনে আসে নাই, একলা ফেলে চলে গিয়েছে, আজ কেন আসতে চায়??? এইটাই বলতো, বুঝতাম অভিমানগুলো ক্ষোভগুলো আকাশ ছুয়েছে ....
গতকাল সন্ধ্যায় সেই ভাই ফোন দিয়ে খুব কাদলো, ছেলে মানুষের কান্নার শব্দ কঠিন অনেক কঠিন। কাদতে কাদতে বললো, "আমার মাকে যেন বাবুনের মা মাফ করে দেয়, তোমার আপার নাম্বার দাও, আমার মায়ের জন্য মাফ চাইবো, আমার মা গত বছর থেকে প্যারালাইজড, কথা বলতে পারে না, সব বিছানায় করে।"...
আমি চুপচাপ শুনে গেলাম কিছুই বলি নাই। নাম্বারও দেই নাই। শুনলাম ভাইয়ের মায়ের পছন্দ করে আনা বউমা নাকি শাশুড়ীর সেবা যত্ন কিছুই করে না, উঠতে বসতে রাগারাগি করে, একদিন নাকি শাশুড়িকে থাপ্পড়ও দিসে, এতো কেন জ্বালায়, অসুস্থ রোগীর এতো কাজ কেন! শাশুড়ী বিছানায় পড়ে থাকে বউ মল মূত্র কিছুই পরিষ্কার করবে না, ভাই অফিস থেকে এসে সব করে,ততোক্ষণ সে শুয়ে থাকে ওভাবেই। বাচ্চা নেই তবুও দেনমোহরের ভয়ে ছাড়তেও পারছে না। একবার ডিভোর্সের কথা বলেছিলো যৌতুক মামলায় নাকি জেলেও ঢুকিয়েছিল .... আমি শুনে হাসছিলাম মিটিমিটি। আর আপার একটা কথা খুব মনে পড়ছিলো ....
সেই সময় আমি রাত জেগে থাকতাম, বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাতে পারতাম না, আপার সাথে কথা বলতাম, মেন্টাল সাপোর্ট দিতাম। একদিন এক মধ্যরাতে আপা বললো,
"রাত যতো বাড়ে, আমার সিজদাহ ততো গভীর হয় .... অন্তর থেকে রুহের বদদুয়াগুলো সব বের হয়ে আসে। সংসার ভাঙা মেয়ে আমি, সব ভুলে আবার সংসার সাজিয়েছিলাম, তবুও ওদের সহ্য হলো না, আমার সাজানো জীবনটা যারা নষ্ট করলো আল্লাহ যেন ওদের বিচার করে তিলে তিলে কষ্ট দেয়, যন্ত্রণা দেয় ওরা যেন বুঝে কষ্ট নিয়ে বেচে থাকা কতোটা কষ্টের .... "
শুধু বলতাম ইন শা আল্লাহ হবে, এতো তাড়াতাড়ি হবে বুঝতে পারি নাই। মানুষের রুহের হায় খুব খারাপ!
খুব .... যেই মানুষটা ভালোবাসে, আপনার যত্ন নেয়, আপনার জন্য দুনিয়াটাকে সাজায় রাখে .... সেই মানুষগুলোকে কষ্ট দিয়েন না। ঠকায়েন না।
রুহের অদৃশ্য হায় অদেখা অদৃশ্য রবের কাছে পৌছে যায়।
যে ঠকায় সেও ঠকে যায়, পার্থক্য শুধু সময়ের ....
#সংগৃহীত
পিক পর এটেনশন
Eid Mobarok ❣️
লং সিতা সেট ❣️❣️❣️
খুচরা পাইকারি দুভাবেই নেয়া যাবে।
কী সুন্দর 💖 খুচরা পাইকারি দুভাবেই নেয়া যাবে।
যার সাথে এমনটা হয়েছে একমাত্র সেই বুঝবে ।
"মেধা আর সৃষ্টিশীলতার সাথে কারো ব্যক্তিগত চরিত্র মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।।মেধাবী,হিউমারাস কোন ক্রিমিনাল লাইফ পার্টনার যার জুটবে,,একমাত্র সেই এটা অনুধাবন করতে পারবে।।
আর তোমার সেল্ফ রেসপেক্ট থাকলে তুমি সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হবে।।
🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤"
"পঞ্চাশ/ষাট বছর পূর্বের বুদ্ধিজীবী
পরিবারের সন্তানগুলো একটু সহজ সরল
ছিলো। যেমন বীজ তেমন ফল।
বর্তমানের বুদ্ধিজীবীগুলো টাউট।পোলাপান
আরও বড় টাউট।
ধানমন্ডি ১০/এ রোড নিশ্চয়ই অনেকে চিনেন।
এই রোডটির বৈশিষ্ট সড়কের মাঝে ডিভাইডার
আছে। তৎকালীন ধনী এবং উচ্চ শিক্ষিত পেশার
মানুষের জন্য বরাদ্ধ ছিলো।
১৯৮৮ সনে কথাশিল্পী হুমায়ুন আহমদের সাবেক
স্ত্রী গুলতেকুন পৈত্তিক সম্পত্তিস্বরূপ ধানমন্ডি
১০/এ পাঁচ কাঠা প্লট পেয়েছিলো। প্লটটি ভিতরের
দিকেই ছিলো।
হুমায়ুন আহমেদ শ্বশুড় বাড়ীর পারিবারের নিকট
অনুরোধ করলেনঃ "আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিলো,
দক্ষিনা মুখে বাড়ী। আপনারা যদি আমার স্বপ্ন পূর্ণ
করে দিতেন।"
পরিবারের সবাই ভাবলো, জামাই বাবা জ্বী এতো
বিখ্যাত মানুষ। তার স্বপ্ন। গুলতেকনকে দক্ষিনা
অর্থাৎ গেইটের সাথে পাঁচ কাঠা প্লট দেওয়া হলো।
বাংলায় একটা কথা আছে,কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না।
বাটপার স্বামী স্ত্রীকে অনুরোধ করলোঃ তোমার নামের
প্লটখানা আমার নামে লিখে দিলে, ব্যাঙ্ক থেকে লন নিয়ে
ছয় তালা বাড়ী বানিয়ে ভাড়া দিলে হাতে কিছু পয়সা আসবে।
তুমিতো চাকরী করো না, তোমাকে ব্যাঙ্ক লন দেবে না।"
বোকা গুলতেকিন নিজ চার সন্তানের বাবাকে বিশ্বাস করে
সেই পাঁচ কাঠা প্লট লিখে দিলো।
পরবর্তীতে এই বাড়ীতেই হুমায়ুন আহমেদ শাওনকে নিয়ে
থাকতো। গুলতেকুন চার সন্তান নিয়ে উত্তরায় একটি বাসা
ভাড়া করে চলে যায়।
চরিত্রহীনকে কখনোই বিশ্বাস করবেন না।"
কার্টেসীঃ Ehtesham T Mukut
Click here to claim your Sponsored Listing.
ABARON ABHARON - আবরণ আভরণ
Hi beautiful ladies we are here for your care.If you are tensed about your beauty clothes and jewelry just knock our page. we will try our best to solve your problem.
এসোনা গল্প করি CLOTHES AND JEWELRY.💕
Videos (show all)
Category
Contact the business
Website
Address
Uttara Sector 11
Dhaka
1230
Opening Hours
Monday | 09:00 - 23:00 |
Tuesday | 09:00 - 23:00 |
Wednesday | 09:00 - 23:00 |
Thursday | 09:00 - 23:00 |
Saturday | 09:00 - 23:00 |
Sunday | 09:00 - 23:00 |
Plot#29, Road#13, Sector#11, Uttara
Dhaka, 1230
Original designer boutique based in Dhaka. Estd. 2010
Takia Center, House: 39, Shonargaon Janapath Road, Sector: 07, Uttara
Dhaka, 1230
Official Page of Mansha
Dhaka
Shahnaz Hamza (Lipi) established "Virgo" in 1991. The label specializes in ethnic and indo-western wear developed by an innovative blend of variety of fabrics and colours. "Virgo" ...
Dhaka
PURPLE is an online boutique • an only pre-order basis • It's an online shop for designer collection
Dhaka, 1212
♥ ♥ ♥ Fashion refers to the styles and customs prevalent at a given time. In its most common
Dhaka, 1207
"Hawkeri" is a place where you will find some of unique eye caching product which developed with extensive care, love, and passion to maximize satisfaction of yours.
Modhubag, Konapara, Jatrabari
Dhaka, 1362
SOMOY Fashion Shop is a reputed online shop. all kinds of fashionable products are available here for you.
Level_4, Block_c, Shop No_93-96, Bashundhara City Shopping Mall. Panthapath
Dhaka, 1215
Sharee Centre" for Everyday Every Occasion. Exclusive collection, inexpensive price and of course ex