রং তুলিতে গল্প -Story with colors

প্যা*লে*স্টা*ই*ন সিরিজের দ্বিতীয় ছবি এটি।
মাস খানেক আগে 'Starving Ga*z*a শিরোনামে আঁকা এই ছবিটি আমার প্রথম বারের মতো এক্সিবিশনে জায়গা পাওয়া ছবি।সময় স্বল্পতায় স্বল্প সময়ে আঁকায় কাজে হয়তো কিছুটা কমতি আছেই।তবুও ছবিটা আমার স্বপ্নের একটা বিশেষ জায়গা। ফিলিস্তিনের প্রতিটি মানুষ থেকে শুরু করে আজকের পৃথিবীর পশ্চিমা বিশ্বের যেসব শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের পক্ষে আঙ্গুল তুলতে সাহস যুগিয়েছে ছবিটি তাদের উদ্দেশ্যেই উৎসর্গিত।

আঁকাআঁকির সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষদের সবচেয়ে বড় স্বপ্নই হয়তো থাকে, একদিন কোন এক এক্সিবিশনের গ্যালারীতে তার অতি যত্নে আঁকা সেই শিল্পকর্মটি জায়গা করে পাবে। আলহামদুলিল্লাহ,প্রথম বারের মতো সেই অসাধারণ সুন্দর অনুভূতি হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ।25-27 এপ্রিল 'এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ' এ প্রথমবারের মতো নিজের সেই স্বপ্নের জায়গা পেতে যাচ্ছে।
দোয়ায় রাখবেন।যেন আগামীতে অসাধারণ কিছু উপহার দিতে পারি।বিনয়ী ,সুন্দর, ভালো মানুষ হতে পারি।

আমি সর্বদাই পুরোনোতে মুগ্ধ। পুরোনো দেয়ালের সাথে গেঁথে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্মের ইতিহাস। দেয়ালগুলোর সাথে গেঁথে থাকে মানুষদের গল্প। হোক মানুষ কিংবা অন্য কিছু আমি পুরোনোকে আঁকড়ে রাখতে বড্ড ভালোবাসি।

আমার মতো অতি অলস আঁকিয়ে হলে যা হয় আরকি। কাজের অর্ধেক করে বিশাল বিরতির ফাঁকে মেইন রেফারেন্স পিকচার হারিয়ে ফেলেছি। ঘন্টা খানেক খুঁজেও তার হদিস পেলাম না।পরে ঝাপসা ফোটোগ্রাফি থেকে করা কাজটা শেষ করলাম।

কাগজে জলরং 🎨🖌️
A4 সাইজ পেপারে করা।

প্রথম বারের মতো আউটডোর পেইন্টিং এর চেষ্টা।
স্হান :রমনা
অনুপ্রেরণায়: ইলিউশা সামায়রা ইমা আপু💜🌼

আমার হ্যান্ড পেইন্ট করা প্রথম পাঞ্জাবি পৌঁছে গেলো গ্রাহকের হাতে।

বহুদিন পর ক্রাফটিং

In Shaa Allah, Coming something new..
Fabric painting 🎨 🖌️

পুরোনো দেয়ালের সময়ের সাথে গেঁথে থাকা সব গল্পেরা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে নিয়ে যাওয়া গল্প প্রতিটি ইটে জন্মানো শেওলা গুলো জানান দেয় এর প্রাচীন প্রাচুর্য।পুরো ভবন দালানকোঠা আমার ভীষণ পছন্দের তাই এঁকে ফেললাম একখানা।

🌼২০২৩ এর শেষ আঁকা আঁকি।
🖌️📋কাগজে জলরং
যে বন্ধুত্বের কোন ছবি নেই সেই বন্ধুর জন্য একটি ছবি।
সেই রাঙ্গামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ডে শিফট,ডানদিকের বেঞ্চি,আর সেই বন্ধুত্ব।
আমার অসাধারণ সুন্দর হৃদয়ের অধিকারী বান্ধবীদের একজন সে।যে মানুষকে ভালোবাসতে জানে।অতসী, আমাদের আবার দেখা হোক, গল্প হোক,সেই ক্লাস সিক্সের মতো।

স্মৃতিতে আমার ,যে টুকু মনে পড়ে তাই আঁকতে চেষ্টা করেছি রং তুলিতে।

মৃদভাষী, প্রকৃতিপ্রেমী সে,আকাশ তার ভীষণ রকম পছন্দ,আর পছন্দ সবুজ।তাই এটা শুধুই ফারিহার জন্য।
আমার করা আরেকটা পেইন্টিং কার্ড
🌿🌾☁️

সে কিঞ্চিৎ বাসের যাত্রী। আমাদের ক্লাসের শেষের গল্প চলে ঠিক বাসে উঠার আগ পর্যন্ত। রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার পাশ ঘেষে যে যাত্রী ছাউনী ঠিক ওখানটায়।বাস এসে আমাদের গল্প থামিয়ে দেয়। এভাবে করতে করতেই একদিন আমাদের বাসের অপেক্ষা আর এই অপেক্ষার ফাঁকের গল্পরা সহসাই ফুরিয়ে যায়।
মনের কোনে আঁকড়ে রাখা ঐ ছবিটাকেই ফুটিয়ে তুলেছি রং তুলিতে।
(এখানে কাগজগুলো ছাড়া প্রতিটা জিনিসই আমার হাতে করা, আমার নিজের করা সবচেয়ে পছন্দের কাজগুলোর একটি)

আমার প্রথম ওয়াল পেইন্টিং।
স্থানঃ রোকেয়া হল ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এককালে হাতে বানানো বুকমার্ক 🔖📑

শীতের পাতা ঝরা বৃক্ষের শাখারা ছড়াচ্ছে দিগন্ত পানে

নভেম্বরের শুরুতে আঁকা শুরু করেছিলাম ছবিটা। মোটামুটি ১৫ দিনেরও বেশি সময় লেগেছে এই ছবিটা শেষ করতে ।প্রতিদিনের হৃদয়ে ক্ষত তৈরি করে দেওয়া ছবিগুলো রং তুলিতে বন্দী করা। আজকের মার্চ ফর প্যা*লে*স্টা*ইনের সৌজন্য চলে গেলো সেই পবিত্রভূমির মানুষের হাতে। একদিন স্বাধীন ফি*লি*স্তিনের কোন এক বাসায় দূর দেশের অখ্যাত শিল্পীর এই ছবিটি ঝুলানো থাকবে মুক্ত দেয়ালে!ভাবতেই শান্তি লাগে।

আমি সব সময় পুরোনোকে ভালোবাসি।
পুরোনো ইট পাথরে যুগ যুগ ধরে রেখে যাওয়া স্মৃতিরা শেওলার মতো আঁকড়ে থাকে পুরোনো দেয়ালে।

🌼ক্যানভাসে এক্রেলিক

ভুলবশত এই পেইজটি ডিঅ্যাকটিভেট হয়ে গিয়েছিল। আবার ফিরে এলো।
অনেক দিন আগে আঁকা ,তাও মাস দশেক হবে।
আমার আনাড়ি আঁকাআঁকির সমর্থক ও অনুপ্রেরণা
দাতাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

অনেকদিনের স্বপ্নের শুরুটা এখানে।সেই রিয়ালিস্টিক পেইন্ট করার স্বপ্ন। নিজেকে আঁকা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন সে স্বপ্ন বাস্তবতার প্রথম পদক্ষেপ (ইনশাআল্লাহ)।আমাকে যারা ভালোবেসেছেন সাথে থেকেছেন এতটা পথ ধরে, তাদের সঙ্গ আশা করছি।