Quranic Ruqyah
তাবিজ-কবজ শিরক-কুফর মুক্ত ইসলামিক চিক?
মনে রাখা জরুরীঃ
গরু জবাই দেখলে মাথা ঘোরা অস্থির লাগা বা গরুর গোস্ত খেলে বমি ভাব বা পেটে ব্যাথা করা।
শরীরে অমুসলিম জ্বিন থাকার লক্ষণ।
বাংলাদেশ উল্লেখ যোগ্য সকলের পরিচিত জনপ্রিয় বক্তা হাবিবুর রহমান মিছবাহ সাহেব জ্বিন ও মারাত্মক জাদুটোনায় আক্রান্ত।
আল্লাহ পাক তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন #আমিন
আমি সবাইকে সব সময় সতর্ক করি যেহেতু আমাদের শেষ নবী (সাঃ) জাদুটোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁর মানে তাঁর উম্মতের মধ্যে কমবেশি অনেকেই জ্বিন ও জাদুটোনায় আক্রান্ত হতে পারে এজন্য সব সময় সতর্ক থাকা জরুরী।
#বাঁচতে_হলে_জানতে_হবে, বুঝেশুনে চলতে হবে।
বেশিরভাগ মানুষ বদনজর-হিংসাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। ভাবে দুর এতে আর কি হবে??
এতো কোন সমস্যা 'ই হবেনা, নজর লাগলে কি কি সমস্যা হতে পারে পড়ুন।
তাদের জন্য দুইটি হাদিস।
✅যদি বুঝা যায় নজর লেগেছে অমুক ব্যক্তি দ্বারা তাহলে তার ওজুর পানি দ্বারা গোসল দিলেই নজর কেটে যায়।
🔴একজন মানুষ দির্ঘদিন নজর দ্বারা আক্রান্ত থাকলে তার মাঝে জ্বিনের উপস্থিতি এমনি থাকে ৭০% রুগীকেই জ্বিনে আছর করে কিন্তু হিডেন থাকে, কেউ বুঝতে পারেনা।
বদনজরে আক্রান্তের লক্ষণঃ
১। ব্যবসা বানিজ্য ঝামেলা লেগে থাকে, ইনকামে বরকত হয়না, আস্তে আস্তে ইনকাম কমে আসে।
২। দোকানে আগে বিক্রি ভালো হলেও পরবর্তীতে কমতে থাকে।
৩। সংসারে আয় উন্নতি হয়না। কোন কাজ হয়ে গিয়েও হয়না
৪। চাকরি হয়েছে সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু দেখা যায় সেই চাকরিটা চলে গেছে কোন কারন ছাড়াই।
৫। কারো নজর লাগলে অসুস্থতা, রোগ বালাই পিছু ছাড়েনা!
৬। যে কোনো সমস্যা লেগেই থাকে একের পর এক।
৭। বাঁধাগ্রস্থ হওয়া। (বিবাহ, চাকরি, ব্যাবসা বানিজ্য, বিদেশে যাওয়া বা আয় উন্নতি সহ যে কোনো কাজে ঝামেলা লেগে থাকা)
৮। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, স্বামী স্ত্রী অল্পতেই রাগারাগি করে! আর আবিয়াত্তা গুলি মেজাজ দেখায়।
৯। খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়না! নাকে গ্রাণ পাওয়া যায়না!
১০। শরীরের তাপমাত্রার কখনো সহনীয় আবার কখনো উচ্চমাত্রা হয়ে যায়।
১১। প্রেশার কখনো হাই আবার কখনো লো হয়ে যায়।
১২। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব থাকেই ডাক্তার জ্বর খুজে পায়না। তবে ডাক্তার এইডারে বাতজ্বর বইলা দেয়।
১৩। ইবাদত করতে ইচ্ছে করেনা! জিকির আজকার ভালো লাগেনা।
১৪। যে কোনো রোগ বা অসুস্থতা দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও ভালো না হওয়া।
১৫। বাচ্চাদের নজর লাগলে তাদের ঠান্ডা কাশি পিছু ছাড়েনা -খাবার খেতে চায়না -কান্নাকাটি করে -ঘুমাতে চায়না -ইত্যাদি
১৬। দীর্ঘদিন বদনজরের কারণে খাদেম জ্বিন আছে কিনা সেটা বোঝার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে সরাসরি রুকইয়াহ করতে বাঁধাগ্রস্থ হওয়া, সেল্ফ রুকইয়াহ আমল করতে ভুলে যাওয়া বা কষ্ট হওয়া।
✅আর একটা বিষয় সকলের জানা জরুরী হিংসা থেকেই সকল প্রকার জাদুটোনা শুরু হয়। সময় থাকতে রুকইয়াহ করুন তাহলে কেউ জাদু করতে পারবেনা বা করলেও কাজ হবেনা। ইনশাআল্লাহ
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ
العين تدخل الرجل القبر وتدخل الجمل القدر
অর্থঃ বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে ।
(সহীহ আল জামেঃ শাইখ আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেনঃ ১২৪৯)
অর্থাৎ মানুষের নজর লাগায় সে মৃত্যুবরণ করে, যার ফলে তাকে কবরে দাফন করা হয়। আর উটকে যখন বদ নজর লাগে তখন তা মৃত্যু পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সেটা যবাই করে পাতিলে পাকানো হয় ।
জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ
أكثر من يموت من أمتي بعد قضاء الله وقدره بالعين
অর্থঃ আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু বদ নজর লাগার দ্বারা হবে। (মুসনাদে বাযযার)
আয়াতুল কুরসির ফজিলত নিয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা
#শানে_নুজুল
পবিত্র কোরআনের সুরা বাকার ২৫৫ নং আয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আয়াত। তা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। দুনিয়া ও আখেরাতের সব অকল্যাণ থেকে মুক্তি লাভে হাদিসে এ আয়াত পাঠের নির্দেশনা এসেছে।
মৃত্যুর পর জান্নাতের নিশ্চয়তা : প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই আয়াত পাঠে জান্নাতের নিশ্চয়তার কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু উমামা আল বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যুর ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (নাসায়ি, হাদিস নং : ৯৯২৮)
কিয়ামতের দিন মানুষ নিজকর্মের ফল ভোগ করবে। এতে অনেক মুমিন কেউ সরাসরি জান্নাত লাভ করবে। অনেকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগের পর জান্নাতে যাবে। অবশ্য মানুষের নিষ্ঠাপূর্ণ অনেক আমলের কারণে আল্লাহ নিজের বিশেষ অনুগ্রহে অনেক পাপী মুমিনকে সরাসরি জান্নাত দেবেন।
آية الكرسي مكتوبة
সুরা বাকার ২৫৫ নং আয়াত।
কোরআনের সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত : উবাই বিন কাব (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আবুল মুনজির, তুমি কি জানো, কোরআনের কোন আয়াত সবচেয়ে সম্মানিত?’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই তা বেশি জানেন। রাসুল (সা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আবুল মুনজির, তুমি কি জানো, কোরআনের কোন আয়াত সবচেয়ে সম্মানিত?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ হুওয়াল ...’ অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি। রাসুল (সা.) আমার বুকে হাত দিয়ে বললেন, হে আবুল মুনজির! তোমাকে উত্তম জ্ঞানের জন্য শুভেচ্ছা।’ অন্য বর্ণনা এসেছে, তিনি বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, এ সুরার একটি জিহ্বা ও দুটো ঠোঁট আছে, যা দিয়ে সে আরশের অধিপতির পবিত্রতা বর্ণনা করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৮১০)
শয়তানের সঙ্গে সাহাবির আলাপ : অনেক সময় মানুষের রূপ ধারণ করে শয়তান মানুষের কাছে আসে। বিভিন্ন পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মানুষের চিরশত্রু শয়তানের এমন বর্ণনা এসেছে। নিম্নে সহিহ বুখারি গ্রন্থে উল্লিখিত একটি প্রশিদ্ধ ঘটনা বর্ণনা করা হলো।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘আমাকে রাসুল (সা.) জাকাতের সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করেন। অতঃপর এক খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। আমি ধরে ফেলি। তাকে বললাম, আমি তোমাকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমি অভাবী। আমার অভাব-অনটন। আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললা, হে আল্লাহর রাসুল, পরিবারের অভাব-অনটনের কথা জানায়। তার প্রতি আমার করুণা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে। সে আবার আসবে। রাসুল (সা.)-এর কথায় আমার বিশ্বাস হলো, সে অবশ্যই আবার আসবে।
অতঃপর আমি তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে আবার এসে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। এবার তাকে ধরে বললাম, আমি তোমাকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমি অভাবী। আমার অভাব-অনটন। আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, পরিবারের অভাব-অনটনের কথা জানায়। তার প্রতি আমার করুণা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’
যে আমল শিখিয়ে শয়তানের মুক্তি : ‘অতঃপর আমি তৃতীয় রাতেও তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে আবার এসে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। এবার তাকে ধরে বললাম, এবার আমি তোমাকে অবশ্যই রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। এবারের মতো তৃতীয় বারও তুমি না আসার কথা বলবে। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি আপনাকে এমন কিছু কথা শেখাব যেগুলো পড়লে আল্লাহ আপনার উপকার করবেন। আমি বললাম, তা আবার কী? সে বলল, যখন আপনি বিছানায় যাবেন তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। অতঃপর সে পুরো আয়াত পাঠ করে। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন প্রহরী থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত কোনো শয়তান আপনার কাছে আসবে না।’
মিথ্যুক যখন সত্য বলে : ‘তার কথা শুনে আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আজ সে বলল, আমাকে সে এমন কিছু কথা শেখায় যা পড়লে আল্লাহ আমার উপকার করবেন। তাই আমি তাকে ছেড়ে দেই। তিনি বললেন, সে কী বলেছে? আমি বলল, সে আমাকে বলেছে, ‘আপনি যখন বিছানায় যাবেন তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন প্রহরী থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত কোনো শয়তান আপনার কাছে আসবে না।’ রাসুল (সা.) বলেন, শুনে রাখো, সে সত্য বলেছে যদিও সে চরম মিথ্যুক। হে আবু হুরাইরা, তুমি কি জানো, গত তিন রাতে কার সঙ্গে আলাপ করেছ? আমি বললাম, না। রাসুল (সা.) বললেন, সে ছিল শয়তান।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ২৩১১)
বিবাহিত জীবনে আসিক জ্বিনের লক্ষণ
প্রেমিক বা আসিক জ্বিন হল সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রকারের জ্বীনদের মধ্যে একটি, এই জ্বিন একজন ব্যক্তিকে ভালোবাসেন এবং তারপর তাকে স্পর্শ করেন।
আসিক বা প্রেমিক জ্বিন দুইভাবে একজন মানুষ কে প্রভাবিত করে। কখনও সে নিজের ইচ্ছে
হিংসা করে বসবাস শুরু করে আবার কখনো যাদু দ্বারা দেহে বাস করে এবং সময়ের সাথে সাথে এটি প্রেমিকে পরিণত হয় এবং বসবাস শুরু করে যা পুর্বে অন্য এক লিখায় লিখেছি।
অনেক বিবাহিত পুরুষ মহিলা যারা চরম ক্লান্তিতে ভোগেন তারা অবাক হয়ে যান এবং এর কারণ হল তারা আসিক জ্বীনের দ্বারা তীব্র স্পর্শে উন্মোচিত হয়েছেন বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষ মহিলাদের জন্য, যখন একজন মহিলা একজন পুরুষকে বিয়ে করে,বা একজন পুরুষ একজন মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তারা প্রেমিক বা আসিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত তারা জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন! বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি করেই রাখে। যৌন মিলন থেকে বিরত থাকে। সে তার সাথে সহবাস ঘৃণা করে এবং তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পছন্দ করে।
বিবাহিত জীবনে আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত লক্ষণ সমুহ :-
(১) একজন বিবাহিত নারী ঘুমের সময় তার কাছাকাছি কেউ শ্বাস নিচ্ছে অনুভব করা ।
(২) কোনো হাত তাকে স্পর্শ করছে বা তার চুলে স্পর্শ করছে।
(৩)কখনো কল্পনা বা স্বপ্নে দেখতে পান যে তিনি তার এবং তার স্বামীর মধ্যে তুচ্ছ কারণে ঝামেলা করছেন।
(৪) স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করা এবং তাকে দেখলে মন খারাপ করা।
(৫)পায়ে এবং উরুতে বেশ কয়েকটি ক্ষতচিহ্নের উপস্থিতি, ক্ষতচিহ্ন রঙ নীল বা সবুজ দেখতে পাওয়া।
(৬)একজন মহিলা তার স্বপ্নে পোশাক ছাড়া একজন পুরুষকে দেখেন এবং তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হচ্ছে বা কোন পরিচিত ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক করছে দেখা।
(৭) স্বামী এবং তার স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কের অনুপস্থিতি এবং ফিজিক্যাল ভাবে মিলিত হতে অনিচ্ছা।
(৮) স্বামী এবং স্ত্রী নির্জনতায় আরাম খোঁজে, আর তার ঢিলেঢালা পোশাক পরার আকাঙ্ক্ষা।
(৯) পুরুষদের মধ্যে পুরুষত্বহীনতা, অকাল বীর্যপাত।
(১০) স্বামী স্ত্রী উভয়ই বিনা কারণে নাভি, যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করা।
(১১)উভয়ই বাথরুমে বসে অনেকক্ষণ সময় কাটানো।
(১২) ঘুমানোর সময় পারফিউমের গন্ধ অনুভব করা।
(১৩)একজন বিবাহিত পুরুষ মহিলার সাথে কথা বলার সময় ঘেমে যাওয়া এবং তার অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব করে। মহিলারা ডিম্বাশয়ে /জরায়ুতে ব্যথা অনুভব করেন।
(১৪)একজন নারী কখনো তার গোপন অঙ্গ পিঁপড়ে মতো কিছু চলাচল করে অনুভব করা এবং জরায়ুতে কিছু নড়াচড়া অনুভব করা এবং সাদা স্রাব নির্গত হওয়া।
(১৫)বাচ্চা কন্সিব করার এক দুই মাসের মধ্য তা কোন কারণ ছাড়া নষ্ট হয়ে যাওয়া (এটা কখনো গর্ভে সন্তান নষ্টের যাদু করে থাকলে এমন হয়)
(১৬)স্বামী স্ত্রী বিছানায় শুইতে গেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এটা কখনো হাসাদের সমস্যা জন্য হয়।
(১৭)স্বামী স্ত্রী উভয়ই কখনো কখনো অন্যজনের সাথে প্রণয়ের কথা বলতে আগ্রহ জাগা এবং বলা।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রণয়ের কথা বলার চরম বিরক্ত লাগা।
কি কি উদ্যেশ্যে যাদু করা হয়ে থাকে সাধারনত?
(ক,খ,গ এগুলো রিয়েকশন। মুল উদ্যেশ্য না। যাদুর কারনে হয় আবার যাদু ছাড়াও হতে পারে)....
১) অসুস্থ করার যাদু
ক) বোবা করার যাদু
খ) প্যারালাইজড করার যাদু
গ) অন্ধ বধির বানানোর যাদু
ঘ) শ্বাসকষ্টের সমস্যার যাদু
ঙ) যে কোনো রোগ মেডিকেল ডাক্তার চিকিৎসায় স্থায়ী কাজ না করা, সাময়িক কিছুদিন কাজ করলেও পরে আবার যা-তাই।
২) পাগল করার যাদু
ক) অন্তরের উপর, ঈমানের উপর যাদু
খ) চরিত্র ধংসের উদ্যেশ্যে করা যাদু
গ) কল্পনাপ্রবন যাদু (হ্যালুসিনেশন)
ঘ) কুমন্ত্রনার যাদু (সিহরুল ওয়াসওয়াস)
ঙ) ভুলে যাওয়ার যাদু
চ) নিরাবেগ বা হতাশার যাদু
৩) মেরে ফেলার যাদু
৪) উন্নতির উপরে যাদু। যেমন-
ক) অবমাননা ও আপমানের উদ্যেশ্যে করা যাদু
৫) রিযিকের উপর যাদু যেমন-
ক) আয় উন্নতি বরকত নষ্টের যাদু (অনেক টাকা ইনকাম করার পরে কোথায় কিভাবে নষ্ট হচ্ছে হিসাব মিলাতে না পারা
খ) ব্যবসায় দেউলিয়া বানানোর যাদু
ঘ) চাকরি না পাওয়া ইত্যাদি।
৬) কাজ ধংস করার যাদু
৭) বিচ্ছেদের যাদু। যেমন-
ক) ভাইয়ে ভাইয়ে বিচ্ছেদের যাদু
খ) হাজবেন্ড ওয়াইফের মধ্যে বিচ্ছেদের যাদু
গ) বাবা মা ও সন্তানের মধ্যকার বিচ্ছেদের যাদু
৮) বিয়ে বন্ধের যাদু। যেমন-
ক) প্রস্তাব আসলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া
খ) প্রস্তাব অযৌক্তিকভাবে একেবারেই না আসা
গ) প্রস্তাব আসলে কোন কারন ছাড়াই ফিরে যাওয়া
৯) বাচ্চা নষ্ট হওয়ার যাদু
১০) আসক্ত করা বা বশীকরন যাদু
১১) পড়াশুনা ধংসের যাদু
১২) সম্পত্তি দখলের উদ্যেশ্যে যাদু
১৩)যৌন ক্ষমতা অক্ষম করার যাদু
বিঃদ্রঃ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া যাদু কার্যকর হয় না।
অনেকেই অবগত আছেন, গতমাস ২বার হোম সার্ভিসে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম।
এটা ছিল গতমাসের চট্টগ্রামের প্রথম পেশেন্ট যার পেট থেকে একেরপরএক জাদু বের হয়েছিল।
১ম বের হলো সুতা, তার পর আবারও সুতা, পরবর্তীকে বের হলো তাবিজ। তারপর বের হলো নক। এর পর ঘরে থাকা জাদু উদ্ধার হলো সর্বশেষ আমি চলে আসার পরে পেট থেকে আবারও বমির মাধ্যমে সুতা বের হলো।
#পেশেন্টের সমস্যা ছিল হত্যা এবং বিয়ে বন্ধের জাদু।
জাদুকরের চলানকৃত জ্বিন বা খাদেম জ্বিন, আশিক জ্বিন, মারিদ বা জদুকর জ্বিন।
আলহামদুলিল্লাহ এতো সমস্যা থাকার পরেও মাত্র ৩ দিনের এক সেশন রুকইয়াহ'তে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।
আগামী কাল পেশেন্ট এর বিয়ে দোয়া করি দাম্পত্য জীবন সুখী শান্তির জীবন জাপান করুক। আমিন
#সকলের_পড়া_এবং_জানা_জরুরী
জীবরিল আলাইহিস সালাম রাসুল সাঃ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন। হে মুহাম্মাদ! আপনি কী আপনার রবের কাছে কোন (অসুস্থতার) ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন? রাসুল সাঃ বললেন, হ্যা। প্রতি উত্তরে জীবরিল আঃ বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি। এমন প্রত্যেক বস্তু থেকে যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। প্রত্যেক কষ্টদানকারী ব্যক্তি থেকে এবং হাসাদ দানকারীর বদনজর থেকে। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুক। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি।
أنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبيَّ صلَّى اللَّهُ عليه وسلَّمَ فقالَ: يا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ؟ فقالَ: نَعَمْ، قالَ: باسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِن كُلِّ شَيءٍ يُؤْذِيكَ، مِن شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ، أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، باسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ.
الراوي : أبو سعيد الخدري | المحدث : مسلم | المصدر : صحيح مسلم
এই হাদিস থেকে সমাজে প্রচলিত দুটো ভুল ধারনার উত্তর পাওয়া যায়।
এক. অনেকেই বলেন, সেল্ফ রুকইয়াহ করলেই সবাই পরিপূর্ন সুস্থ হয়ে উঠবেন, এবং যারা সরাসরি রাক্বীর দ্বারস্থ হন তাদেরকে কুৎসাপূর্ন কথা শুনিয়ে থাকেন। এটা ভুল ধারনা। কারন রাসুল সাঃ থেকে অধিক আযকারকারী, সেল্ফ রুকইয়াহকারী কেউ নেই। অথচ এরপরও ওনার অপরের কাছে রুকইয়াহ করার প্রয়োজন হয়েছিলো। ফলে আল্লাহ তা'লা রাসুল সাঃ এর রুকইয়াহ করার জন্য জীবরিল আঃ কে পাঠালেন। সেল্ফ রুকইয়াহ করা আবশ্যক। এটা কোন রাকীর দ্বারস্থ হন বা না হন সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ একটি সার্বজনীন আমল। কিন্তু যার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ যথেষ্ঠ হচ্ছেনা। তাকে অপরের কাছে রুকইয়াহ করতে বাধা দেওয়া অথবা যারা রাক্বীর কাছে রুকইয়াহ করেন তাদের ঈমান আমল কম বলে অপবাদ দেওয়া -এগুলো প্রত্যেকটি অজ্ঞতা, মিথ্যাচার ও নোংরামি। যারা রোগের বাস্তবতা না বুঝে এসব কথা বলে বেড়ান তাদের আল্লাহর পাকড়াও কে ভয় করা উচিত। জ্বীন যাদুর সমস্যা অন্য যেকোন রোগের ন্যায় একটি রোগ। নিজের পক্ষে সমাধান সম্ভব না হলে আমরা যেভাবে ডাক্তারের দ্বারস্থ হই তেমনিভাবে রুকইয়াহর ক্ষেত্রেও নিজের প্রচেষ্টা যথেষ্ঠ না হলে বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়ার মাঝে কোন সমস্যা নেই। এটা আমাদের যে কারো জন্যই প্রয়োজন হতে পারে যেমনিভাবে রাসুল সাঃ এর প্রয়োজন হয়েছিলো আর আল্লাহ ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
দুই. আপনি অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহ কে ডাকছেন। সর্বদা এরুপ হবে না যে, আপনি দু'আর ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরুপও হতে পারে যে আপনি দু'আ করেছেন আর আল্লাহ আপনার দু'আ কবুল করার ফলে তিনি আপনার সুস্থতা পাওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছেন। এমন ডাক্তার বা চিকিৎসক মিলিয়ে দিয়েছেন যিনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। যেমনটি রাসুল সাঃ এর দু'আর ফলে আল্লাহ ওনাকে সরাসরি সুস্থতা না দিয়ে ওনার জন্য রাকী হিসেবে জীবরিল আঃ কে পাঠিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর কাছে চাওয়া থামাবেন না। দু'আ কিভাবে কবুল হবে তা আপনি জানেন না।
লিখেছেন, আব্দুল্লাহ ফাহাদ
(প্রফেটিক কিউর সেন্টার, ঢাকা)
গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে রুকইয়াহ ৩ প্রকার (তিন স্তরের রুকইয়াহঃ)
💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎
#পোস্ট নংঃ৫৫
রুকইয়াহ শারইয়ার মাঝে যা কিছু পড়া হয়, সেগুলোকে আমরা তিন স্তরে ভাগ করতে পারি:
১. সর্বোত্তম
২. উত্তম
৩. বৈধ।
আমরা এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
তবে এর আগে জেনে রাখা ভালো, আপনাকে প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকেই পড়তে হবে, এটা আবশ্যক না। আপনি চাইলে উল্লেখিত সর্ব প্রকারের আয়াত এবং দোয়া থেকে পড়তে পারেন, অথবা চাইলে যেকোন এক প্রকার যেমন, শুধু আফদ্বাল বা খায়ের রুকইয়াহ থেকে পড়তে পারেন। তবে বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র মাসনুন রুকইয়াহগুলো বারবার পড়ে দীর্ঘক্ষণ রুকইয়াহ করলে তুলনামূলক বেশি উপকার হয়।
আরেকটি কথা, “সাধারণ আয়াতে রুকইয়াহ” বলতে যে আয়াতগুলো আমরা বুঝি, সেটা নিচে উল্লেখিত প্রথম দুই স্তরের আয়াত দিয়ে সাজানো হয়েছে।
১. আফদ্বাল ওয়া মাসনুন (সর্বোত্তম এবং সুন্নাত)
ক. রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা সাহাবায়ে কিরাম থেকে যেসব দোয়া এবং আয়াত দ্বারা রুকইয়াহ করার কথা বর্ণিত হয়েছে। যেমন: সুরা ফাতিহা, সুরা ফালাক, সুরা নাস। আযহিবিল বা’স রব্বান নাস….
খ. যেসব আয়াত এবং দুয়া শয়তান থেকে নিরাপদ থাকতে, বিপদ থেকে বাঁচতে, কিংবা সুস্থতার জন্য রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়েছেন অথবা পড়তে বলেছেন। যেমন: আয়াতুল কুরসি, সকাল-সন্ধ্যার কোন মাসনুন দোয়া
গ. কোরআনুল কারিম অথবা হাদিসে বর্ণিত অন্যান্য নবীদের দু’আ। যেমন: আইয়্যুব আলাইহিস সালামের দু’আ “আন্নি মাসসানিয়াদ দ্বুররু ওয়া আনতা আরহামুর রহিমীন”।
২. খইর (উত্তম)
প্রাসঙ্গিক আয়াতসমুহ। আক্রান্ত ব্যক্তির সমস্যার বিষয়ে কোরআনুল কারিমের যে আয়াতগুলোতে আলোচনা হয়েছে সেসব আয়াত। মাসনুন রুকইয়ার পর তুলনামুলকভাবে এই আয়াতগুলো অন্যান্য আয়াতের চেয়ে বেশি উপকারী।
যেমন যাদুর আক্রান্তের জন্য: সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত।
জিন আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য: সুরা সফফাতের প্রথম ১০ আয়াত, সুরা জিনের প্রথম ৯ আয়াত, সুরা আর-রহমানের ৩৩ থেকে ৩৬ আয়াত।
বদনজর আক্রান্তের জন্য: সুরা কাহাফের ২৯নং আয়াত, সুরা কলামের শেষ ২ আয়াত।
৩. জায়েয (বৈধ)
এছাড়া কোরআনুল কারিমের অন্য যেকোন আয়াত, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যেকোন দোয়া দিয়ে আপনি রুকইয়াহ করতে পারেন। এরসাথে নিজে থেকে চাইলে কোন দোয়া করতে পারেন। যেমন প্রসিদ্ধ কিছু দোয়া: হে আল্লাহ! সব যাদু ধ্বংস করে দাও (আল্লাহুম্মা ফুক্কা কুল্লা সিহর) সব রোগ থেকে আরোগ্য দাও (আল্লাহুম্মাশফি কুল্লা মারিয) আল্লাহ তোমার শিফা থেকে আমাকে তুমি আরোগ্য দাও। (আল্লাহুম্মাশফিনি বিশিফাক) আপনি এসব দোয়া আরবিতে করতে পারেন অথবা নিজের ভাষা বাংলায় করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই!
পুর্বে উল্লেখিত শরঈ বিধানের সীমারেখা লক্ষণ না করলে উপরের সবগুলোই জায়েজ, আর সবগুলো রুকইয়াহ শারইয়ার মধ্যেই গণ্য হবে। আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে ভালো জানেন।
মেয়েরা কি রুকইয়া করতে পারেনা?
💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎
#পোস্ট নংঃ৫৪
অবশ্যই পারে, রাকি হওয়ার জন্য ছেলে হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আর স্পষ্ট হাদিস আছে এব্যাপারে। সহিহ ইবনে হিব্বানের ৬২৩২নং হাদিস –
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলে, তখন একটা মেয়ের চিকিৎসা করা হচ্ছিল অথবা রুকইয়া করা হচ্ছিল। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন – কোরআন দ্বারা তার চিকিৎসা করো।
রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে রুকইয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন, এথেকে বুঝা যাচ্ছে শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে মেয়েরাও অন্য মেয়েকে রুকইয়া করতে পারে।
তবে, যিনি রুকইয়া করবেন তাকে সাহসী এবং সচেতন হতে হবে। অধিকাংশ মেয়েরা একটুতেই ঘাবড়ে যায়, এরকম হলে চলবে না।
এজন্য অভিজ্ঞ রাকিদের পরামর্শ হচ্ছে মেয়েরা নিজের জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ করতে পারবে, পরিবারের সদস্যদের বদ নজরের রুকইয়াহ করতে পারবে।
জ্বিন জাদু চিকিৎসা না করাই উত্তম।
অপারেশন করতে গিয়ে চিকিৎসক নিজেই যদি ফিট হয়ে যান, তবে তার অপারেশন আবার কে করবে?
পিরিয়ড চলাকালীন অবস্থায় রুকইয়া করা যাবে কি?
💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎
#পোস্ট নংঃ৫৩
প্রশ্নঃ রুকইয়া শোনা যাবে কি না।
উত্তরঃ হ্যাঁ যাবে। কোরআন শোনার জন্য পবিত্রতা শর্ত করেনি কেউ, তবে যত বেশি পবিত্র থাকবেন, রুকইয়ার তত বেশি ইফেক্ট হবে।
প্রশ্নঃ পিরিয়ডের সময় রুকইয়া গোসলের জন্য পানিতে হাত ডুবিয়ে ৭বার করে সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস পড়া যাবে কি না?
উত্তরঃ রুকইয়ার গোসলের জন্য যেহেতু তিলাওয়াত করতে হয়, আর অনেক তিলাওয়াত করতে হয়। তাই এসব সুরা নিজে না পড়ে, অন্য কারও সহায়তা নিতে হবে। অথবা শুধু দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে গোসল করতে হবে।
এই উত্তরটা আপডেট করা হয়েছে। এখানে পাবেন।
অর্থাৎ রুকইয়ার গোসলের জন্য নিজে তিলাওয়াত করবে না। তবে অন্য কেউ যদি এই সুরাগুলো পড়ে দেয়, তবে গোসল করতে সমস্যা নেই। কিন্তু অন্য কাউকে না পান, তবে রুকইয়ার কিছু দোয়া পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে গোসল করবেন। ইনশাআল্লাহ, উপকার হবে।
(মুখতাসার রুকইয়া প্রবন্ধে কিছু দোয়া আছে, চাইলে দেখতে পারেন)
অনুগ্রহ করে এর বিপরীতে কোন বেদয়াতি মুজাসসিমা আকিদার কারও ফাতওয়া আনবেন না। যদি সাহাবা, তাবীঈদের এর বিপরীত ফাতওয়া দেখান, তবে আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম বহির্ভূত সম্পর্ক এবং রুকইয়াহ
💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎
#পোস্ট নংঃ ৫২
আমরা কুরআনিক রুকইয়াহ গ্রুপের মাধ্যমে জ্বীন, যাদুর ইত্যাদি চিকিৎসায় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিভিন্ন পদ্ধতির বদলে শরিয়া সম্মত রুকইয়াহ প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করছি। আলহামদুলিল্লাহ, ইতোমধ্যে বিষয়টার ব্যাপারে যথেষ্ট প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে যা আশাপ্রদ। তবে লক্ষ করছি অনেকে এমন সব প্রশ্ন করছেন যার সমাধান দিতে গিয়ে আমাদের বিব্রত হতে হচ্ছে। কারণ বিষয়গুলো ইসলামের বেঁধে দেয়া সীমা অতিক্রম করে।
যেমন কেউ কেউ চাইছেন-
1. হারাম সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে রুকইয়ার সমাধান।
2. আবার কেউ প্রশ্ন করেছেন স্বামীকে ভুলে থাকতে চাওয়ার রুকইয়া।
3. কেউ বলছেন, স্বামী মায়ের ভক্ত হয়ে আছে, সে যেন বউয়ের কথায় উঠবস করে, এক কথায় স্বামীকে বশ করার রুকইয়াহ কি?
এরকম আরো বেশ কিছু প্রশ্ন আমরা পেয়েছি যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার পরিপন্থী।
সমাজে প্রচলন, মিডিয়ার অব্যাহত প্রচারণা বা দ্বীনী জ্ঞানের স্বল্পতা-যে কারণেই হোক না কেন, উনারা হয়ত বুঝতেই পারছেন না এসব কাজে আমরা সাহায্য করতে অপারগ।
কুরানে কারীমে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ পুরুষ ও নারীদের মধ্যে পর্দার সীমা নির্ধারন করে দিয়েছেন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সীমানাকে আরো স্পষ্ট করেছেন সাহাবাদের কাছে। তাই একজন মুসলিম বালেগ পুরুষের সাথে আরেকজন বালেগ নারীর সাথে দৃষ্টি বিনিময় হতে পারে না, বন্ধুত্ব হতে পারে না, কথা-বার্তা, হাসি-ঠাট্টা হতে পারে না।
এজন্য প্রেমের নামে যেসব সম্পর্ক প্রচলিত তার সবই ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচারের ভূমিকাস্বরুপ এবং পুরোপুরি নিষিদ্ধ। আপনার বিয়ের ইচ্ছা থাক বা না থাক তাতে ইসলামের কিছুই আসে যায় না। ইসলাম বলেছে হারাম, ব্যাস হারাম। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ!
আমাদের গ্রুপ ইসলামের জন্য কাজ করছে। সুতরাং এজাতীয় হারাম বিষয়ে আমরা কখনই সাহায্য করব না। যে কুরানে আল্লাহ এইসব কাজের বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধ করলেন সে কুরান দিয়েই ঐসব কাজে সাহায্য করা কি সম্ভব? এই কাজ তো আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের মত হয়ে যায়!
তাই মেম্বারদের অনুরোধ করছি, দয়া করে রুকিয়া করার আগে রুকিয়া কী তা জানুন। শারিরীক ও মানসিকভাবে আল্লাহকে মানার, আল্লাহর হুকুম আহকামের সামনে পূর্ণ আত্মসমর্পনের প্রস্তুতি গ্রহন করুন। এরপরে ইসলামের বাধা নেই এমন কাজে সাহায্যের পোস্ট দিন। ইনশাআল্লাহ আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সহায়তার জন্য। কিন্তু ইসলাম-নিষিদ্ধ কাজে সাহায্য চেয়ে পোস্ট দিলে তাতে আমাদের পক্ষে সাহায্য করা সম্ভব হবে না।
রুকইয়াহ করার আগে রুকইয়াহ কিভাবে করে কি কি করতে হয় দুই তিন মাস জেনে এরপর রুকইয়াহ করুন।
তাহলে প্যরা কম হবে
#স্বপ্ন_যাঁরা_খাবার_খান_তাঁরা_সাবধান।
একই পেশেন্ট এর পেট থেকে রুকইয়ার মাধ্যমে বের হলো; কালো সুতা, লাল সুতা, চুল, নক ও তাবিজ।
⭕অনেকেই রুকইয়া দীর্ঘদিন করার পরও শারীরিক সমস্যা থেকেই যায়। একটা কথা মনে রাখবেন আপনার পেটে যদি কোন কুফরি যাদু খাওয়ানো থেকে থাকে তাহলে, সারাদিন রুকইয়াহ শুনলেও তেমন কোন কাজ হবে না। হয়ত সাময়িক কিছু উপকার পেতে পারেন কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়না। বিষয়টা হলো গর্তের ভিতর সাপ রেখে মাটি চাপা দেওয়ার মত। পেটে খাওয়ানো যাদুর এই লক্ষনগুলো আমি বাস্তব আক্রান্ত পেশেন্ট থেকে খুঁজে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
✅🔴পেটে খাওয়ানো যাদুর লক্ষণ সমূহ উল্লেখ করা হলোঃ
১। পেটের খিদে আস্তে আস্তে কমে যায় , পেটে আর বেশি খিদা লাগেনা , পেট সবসময় ভরা ভরা লাগে ,খেতে ইচ্ছে হয় না, খাবার খেলেও অল্প পরিমাণে খাবে।
২। যদি জ্বিনের মাধ্যমে জাদু করা হয় স্বপ্নে ভিবিন্ন খাবার খেতে দেখা বিষয় এক্ষেত্রে সরাসরি কিছু না খাওয়ালেও জ্বিনের মধ্যে খাবার খাওয়ানো হয়।
৩। চেহেরা দিন দিন কালচে ও শুকিয়ে যাওয়া ও বুক ধরফর করা ও মানুষিক অস্বস্তিতে ভোগা।
৪। প্রায় সময় বমি বমি ভাব হয় কিন্তু বমি হয়না (আবার কখনো কখনো হয়তো বমি হয়েও যায়)
৫। পেটে জ্বালাপুড়া করা, কোন প্রকার জ্বাল খাবার একেবারে খেতে না পারা।পেটে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্যাস হওয়া ওষুধে স্থায়ী ভাবে কাজ না করা।
৬। এর জন্য ওষুধ খেয়েও তেমন ভালো হয়না, কিছু দিন পরে ওষুধ খেলেও কাজ হয়না,গ্যাস কমে না এবং আস্তে আস্তে বেশি দামি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে হয়।
৭। পেট গরম থাকে, গরম খাবার খেলেই পেট গরম হয়ে যায়।
৮। পেটে খাওয়ানো যাদুর রোগিকে রুকইয়াহ (ঝাঁড়ফুক) করতে শুরু করলে বমি বমি ভাব হয় বা বমির ভাব টা আরো বেড়ে যায় এবং কখনো কখনো বমি হয়েও যায়।
৯। প্রায় সময় পেট ও বুকের ভেতর কাটার মতো ঘা দেয় বিঁধে।
১০। লিভার দুর্বল হয়ে যায় , এর জন্য দুই তিন দিনেও বাথরুম হয়না।
১১। পায়খানা কসের মতো হওয়া ও প্রায় আমেশার মত হওয়া।
১২। বন্ধ ঘরে একা থাকতে পারবেনা তার প্রচন্ড ভয় লাগবে মনে হবে যেন তার পিছনে কে যেন রয়েছে।
১৩। তার বুক ধড়ফড় করবে, সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে।
১৪। কখনো কখনো তার শরীর থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হতে থাকে।
১৫। এর প্রভাবে দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে কারো কারো ক্ষেত্রে
১৬। নাভির চারপাশে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হওয়া।
১৭। মাথা সবসময় ধব ধব করবা, মাথা সবসময় ভারি হয়ে থাকা, প্রচুর টেনশন ও যন্ত্রণা হবে, আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকা, মনে হয় যেন প্রেসার।
১৮। এ ধরনের ব্যক্তি একা ঘরে থাকতে ভয় পায়/রাতে একা কোথাও হাটলে মনে হয় পিছন দিয়ে কেউ আসছে অথচ কিছু না।
১৯। রাতে ঘুমানোর মধ্যে মৃত ব্যক্তি স্বপ্নে দেখা, মনে করবে কেউ তাকে পাঁকড়াও করছে, বিভিন্ন জীব জন্তু তাকে আক্রমন করতে দেখা।
২০। রাতে সহজে ঘুম আসবে না এবং একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আবার চোখে ঘুম আসতে অনেক সময় লাগা
২১। ঘুমের মধ্যে ভয়ে শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠা, ইত্যাদি।
কুরআনীক চিকিৎসা রুকইয়াহ পেতে সরাসরি কল করুন 019866798887(imo)
বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদি বেশ কয়েকটা মিলে যায় এবং আপনি শারিরীক সমস্যা গুলো ডাক্তারের চিকিৎসা করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না তাহলে, অবশ্যই রুকইয়াহ চিকিৎসার সরণাপন্ন হন। তবে অবশ্যই আগে ডাক্তার দেখাবেন।
মেয়েদের অধিকাংশ গোপন রােগ যাদুটোনা, আশিক জ্বিন ও বাদ নজরের কারণে হয়ে থাকে কিছু কিছু সময় ওষুধ মেডিসিন কাজ করলেও অধিকাংশ সময় সাধারণত ওষুধ বা মেডিসিন কাজ করেনা।
#পিরিয়ড_সমস্যা
#ওভারিসিস্ট
#টিউব_ব্লক
#সন্তান_না_হওয়া
#গর্ভে_সন্তান_নষ্ট_হওয়া
#সদাস্রাব
#পিচ্ছিল_স্রাব
#সহবাসে_অক্ষমতা
#জরায়ুচুলকানি
✅মেয়েরা সাধারণত শারিরিক অনেক সমস্যার কথা লুকিয়ে রাখেন যা একেবারই ঠিক না।
েয়েদের_পড়া_উচিৎ
আমাকে মাঝে মাঝে অনেকেই ফোন দিয়ে বলে থাকেন দীর্ঘদিন আমি অমুক সমস্যায় আক্রান্ত।
এ বিষয়ে আপনার পােস্ট মাঝে মাঝে দেখে থাকি কিন্তু লজ্জার কারনে বলতে পারিনা বা বলার সাহস পাইনা। রােগ নিয়ে লজ্জা করে চিকিৎসা না করে আল্লাহর দেওয়া শরীরকে কষ্ট দেওয়া হারাম। তাহলে শুধু শুধু কেন একটা হারাম কাজ করবেন? আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
চিকিৎসা না করে বলবেন আল্লাহ ভরসা , আল্লাহর দেওয়া শরীরকে কষ্ট দিলে এজন্য অবশ্যই গুনাগার হতে হবে।
মনে রাখবেন, আল্লাহর দেওয়া শরীর আপনার কাছে আমানত।
🔴 যাদুটোনার কারনে মেয়েদের যে সব সমস্যা হয়ঃ
১। চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা। (নারী-পুরুষ উভয়ের)
২। কোন কারণ ছাড়াই শরীর গরম থাকা।(নারী-পুরুষ
উভয়ের)
৩। ব্যাকপেইনঃ বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা। (নারী-পুরুষ উভয়ের)
৪। বার বার বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া (বিবাহ বাঁধা)
৫। স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভালাে না থাকা।
৬। সন্তান না হওয়া বা বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা হওয়া।
৭। ডিভাের্স হওয়া। বার বার ডিভোর্স হওয়া বা ডিভোর্সের পর বিবাহে বাধাঁগ্রস্থ হওয়া।
৮। পরিবার,বাসা,সমাজের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা ও আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগা।
৯। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা অথবা মেজাজ খারাপ থাকা।
১০। কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা হওয়া।
১১। প্রিয়োড সমস্যা যা ডাক্তারি চিকিৎসায় স্থায়ী কাজ না করা।
১২। স্বামী সহবাসে আগ্রহ হরিয়ে ফেলা অস্বস্তি অনুভব করা জলাপোড়া করা।
১৪। স্বামী সাহবাসে দির্ঘ সময় মেলামেশা করতে না পারা। (নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে)
🔴আশিক জ্বিন বা জ্বিনের সাথে সহবাস জ্বিনের কারণে মেয়েদের যে সব সমস্যা হয়ঃ
১। প্রিয়োডের সময় তলপেট ব্যাথা হওয়া ( যা ডাক্তারি মেডিসিনে স্থায়ী ভাবে কাজ না করা।
২। বিবাহের আগেই কোনো কারণ ছাড়াই কুমারীত্ব নষ্ট হয়ে যাওয়া।
৩। অধিক পরিমাণে চুল পড়া। দিন দিন চেহারা ও রুপ-লাবন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। (জ্বিন,জাদু, বদনজর যেকোনো কারণে হতে পারে)
৪ | অলস প্রকৃতির শুয়ে থাকতে পছন্দ করা আবার ঘুম না হওয়া।
৫। মাথা ব্যাথা বা পেটে ব্যাথা (যা ডাক্তারি মেডিসিনে স্থায়ী ভাবে কাজ না করা)
৬। অল্প বয়সে যৌনাঙ্গ ও স্তন বেশী বড় হয়ে যাওয়া।
(শিশু ও না বালিকা মেয়েদের সমস্যা হলে বুঝতে হবে তার মায়ের আশিক জ্বিন বা জাদুটোনার সমস্যা আছে)
৭। বিবাহের পুর্বেই কোনো কারণ ছাড়া স্তন অতিরিক্ত ঝুলে যাওয়া।
৮। যৌনাঙ্গ অতিরিক্ত ঢিলা হয়ে যাওয়া অথবা সাহবাস রাস্তা ব্লক অর্থাৎ যৌনাঙ্গ শুকিয়ে যাওয়া সাহবাসে বাঁধা গ্রস্থ হওয়া (স্বামী সহবাসে আনন্দ হারিয়ে ফেলা)
৯। সাদাস্রাব (ডাক্তারি চিকিৎসায় স্থায়ী কাজ না করা)
১০। বার বার প্রসাবে ইনফেকশন হওয়া।
১১। যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়া।
১২ । সহবাসে ব্যাথা অনুভব করা।
১৩। দীর্ঘদিন আক্রন্তের কারণে পিরিয়ড, সমস্যা, ওভারিসিস্ট, টিউবব্লক, জরায়ু চুলকানী, সিফিলিস ও গনোরিয়া, স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়া।
আশিক জ্বিনের কারণে মেয়েদের বিশেষ যে সমস্যা হয়ঃ
ক ) শরীর ব্যাথা শারীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে শরীর, হাত-পা, কোমর ও যৌনাঙ্গ ব্যথা হয়ে থাকে।
শারীরিক সম্পর্কের সময়ে যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল না হওয়া, তা হলে ভেতরে আঘাত পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এক্ষেত্রে ছিলে যাওয়া, জ্বালাপােড়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
খ ) শারীরিক মেলামেশায় আনন্দ না পাওয়া। মেয়েরা চিরকালই একটি লাজুক। অনেক মেয়েই তার সঙ্গীর কাছ থেকে চাহিদামতাে শারীরিক সুখ পান না । তবুও তারা এ বিষয়টি কেউকে বলতে বা পরামর্শ করতে চান না ।
গ ) ইনফেকশন যৌনাঙ্গে কোনাে ধরনের ইনফেকশন থাকলে সহবাসের সময়ে ব্যাথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। সাধারণ ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনাে ইনফেকশনের কারণেও এমনটি হতে পারে । এক্ষেত্রে প্রাথমিকভবে উচিৎ মেডিকেল চিকিৎসা গ্রহণ করা । তাতে যদি ভালাে ফলাফল না পাওয়া যায় তাহলে উচিত হবে দ্রুত কুরআনিক চিকিৎসা রুকাইয়াহ গ্রহণ করা। তাছাড়া রােগ যত গােপন করে পুষে রাখবেন সমস্যা দিন দিন ততই বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
✅বয়ঃসন্ধি কালের শুরুতে অনেকেরই জ্বীনের কারণে দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে শরীরে অনেক সমস্যা হয় তবে বেশিরভাগ মেয়েদেরই লজ্জায় এ ব্যাপারেগুলাে কাউকে বলেন না!
☑️মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা।অনেকেই হয়তাে লজ্জায় কাউকে বলেন না বা চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না এ কারণেই জ্বিনেরা আরাে বেশী সুযােগ পায় অনেক সময় বিয়ের আগে থেকে মেয়েদের জ্বিনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হতে পারে আবার বিয়ের পরেও স্বামী কাছে না থাকলে জ্বিনের সাথে সহবাস হতে পারে ফলে শরীর, হাত-পা, কোমর ও যৌনাঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হতে পারে।
(কম বয়সে যেসব মেয়েদের বিয়ে হয়, তাদের ক্ষেত্রে ব্যাথা হওয়াটা স্বাভাবিক)
যাদের যথেষ্ট বয়স হয় তাদের ক্ষেত্রে সাভাবিক নয় তবে অনেক নারী জানে না এটি একটি সমস্যা।
যৌনাঙ্গ দেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ। যৌন সম্পর্ককালে এই অঙ্গে ব্যাথা পাওয়া বা কষ্ট অনুভূত হলে অতি অবশ্যই বিষয়টির প্রতিকার করতে হবে। অন্যথায় স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়।
#পোস্টটি_সম্পূর্ণ_আমার_ব্যক্তিগত_অভিমত_তাই_অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_সম্পূর্ণ_নিষেধ_এবং_দণ্ডনীয়_অপরাধ।
সঠিক চিকিৎসা নিন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
যে কোনাে জ্বিন, যাদুটোনা ও শারীরিক-মানুষিক সমস্যার চিকিৎসা সেবাও পরামর্শ পেতে সরারসরি কল করুন 01986679887 (imo& WhatsApp)
ধন্যবাদ সময় টিভি কে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক এত সুন্দর একটা প্রতিবেদন করার জন্য।
জাদুকর ও জাদুটোনার সাথে সম্পৃক্ত সকলে কাফের বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে।
শায়খ আহমাদুল্লাহও কি তাহলে হঠাৎ রাকিদের সাথে সুরে সুর মিলিলে কথা বলছেন? উনিও কি সবখানে জ্বীন খুজে পাচ্ছেন? এবার কি হবে😢🙄
একজন আলিম যিনি রুকইয়াহ ফিল্ডে আহামরি সময় দেন না। তিনি যদি বাস্তবতা এতটুকু উপলব্ধি করতে পারেন। তাহলে আমরা যারা ঘুম থেকে উঠে চোখ খোলার পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত রুকইয়াহ নিয়ে পড়ে থাকি তাদের কাছে বাস্তবতা কতটুকু পরিস্কার হওয়ার কথা?
জ্বীনাক্রান্ত হওয়া একটা মহামারী। কয়জন আক্রান্ত হিসেব না করে কয়জন বাদ আছে হিসেব করা প্রয়োজন।
সেন্টারে অনেক পেশেন্ট আসেন। যারা সমস্যাগ্রস্থ। কিন্তু তারা জ্বীনাক্রান্ত বা যাদুতে আক্রান্ত এটা শুনতে প্রস্তুত নন। তারা আগেই নিজেরাই ডিসিশন নিয়ে আসেন তাদের কি হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ শুনতে চায় যে, তাদের বদনজরের সমস্যা। অথবা শুনতে চায় যে, এটা মেডিকেল ইস্যু।
কিন্তু আমিতো শুধু টাকার জন্য রুকইয়াহ করি না।একটা আদর্শিক জায়গা থেকে রুকইয়াহ করি। ফলে মিথ্যে বলা সম্ভব না। বরং দেখা যায় যে ২০ মিনিট রুকইয়াহ করলে বাকি এক ঘন্টা সময় দেই "রুকইয়াহ" কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝানোতে। জ্বীন কিভাবে ধোকা দেয় সেটা বুঝানোতে। অনেকে সামনে সামনে তাল দিলেও পরবর্তীতে বাসায় গিয়ে প্রচন্ড ব্যাড রিভিউ দেয়।
"এই লোক সবাইকে জ্বীনের রোগী বানায়। হ্যানতেন আরো কত কিছু।"
আমি সর্বোচ্চ হিকমাহর সাথে সত্য কথাগুলো বলার চেষ্টা করি। তার সমস্যার ডায়গ্নোসিস তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
এই জায়গায় সমস্যা ডায়গ্নোসিস না করে "বদনজর" বলে চালিয়ে দিলে ইনকাম আর রেপুটেশন দুটোই বাড়তো আমার। কালিবিহীন ক্যারিয়ার।
"আপনার জ্বীনের সমস্যা থাকতে পারে" কথাটি তে কোন কারন ছাড়াই প্রচন্ড রিয়েক্ট দেখানোও জ্বীনাক্রান্তের অন্যতম লক্ষন। এরপরও আমি মেডিকেল ইস্যুগুলো সহ পেশেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।
এই সকল পেশেন্টগন সঠিক ডায়গ্নোসিস জেনে রাগ করে আরো দশ জায়গায় ঘুরে আবার এখানেই ফিরে আসবেন -এটা জানার কারনে এখন আমি এ ধরনের পেশেন্ট পেলে একদম নির্লিপ্ত থাকি। আগে তর্ক যুক্তির দ্বারা বুঝানোর চেষ্টা করতাম। এখন চুপ থাকি, সময় নিজে থেকে কথা বলার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা... সময় যাক, আমার আগে বলা কথাগুলো নিজের মুখেই বলবেন তিনি... কিছু সময় পরে বা আগে। এতটুকুই...
বাংলাদেশে রুকইয়াহ ফিল্ডে রুকইয়াহর নামে কিছু ভ্রান্তি আর মিথ্যের দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো ভাংতে হবে। কাউকে না কাউকে হবেই। নয়তো সমাধান না পাওয়ার দরুন মানুষ একসময় রুকইয়াহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে এবং যেই উদ্দেশ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লা রুকইয়াহ শাস্ত্রকে নাযিল করেছেন। সেই উদ্দেশ্য কখনোই সাধিত হবেনা।
© Abdullah Fahad Vai এর টাইম লাইন থেকে
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Modhubag, Mogbazar
Dhaka, 1217
Reiki, Homoeopathy, Ayurveda, Acutherapy, Yog, Magnet Therapy, Naturopathy, Unani, Siddha & Sowa-Rigpa.
LEVEL-6, SHOP-21, CENTER POINT SHOPING MALL
Dhaka, 1217
আমরা আপনার স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিশেষ করে রুক্বইয়াহ, হিজামা, বদনজর-জিন- যাদু ঘটিত সমস্যায়।
Uttara
Dhaka, 1230
Builds and maintains bones and teeth, Regulates heart rhythm. Reduse body fat, Growing of hairs. Regain hair color, Boost sexuality. Thickening of the skin, reduction of wrinkles.