Faraaz Rahman

রমজান জন্য অন্য দেশ তুলনামূলক দাম কমিয়ে রাখে এই বাংলাদেশে বাজারে গিয়ে জিনিসপত্রের দাম শোনার পর ফেসবুকের কোন ইস্যু, পৃথিবীর কোন শিল্প, সাহিত্য, সিনেমা; কোন কিছুর প্রতিই আমি কেন জানি আর আগ্রহবোধ করি না। এটা সম্ভবত আমারই সীমাবদ্ধতা।

কী পাপ করেছিলাম যে এই দেশে জন্ম হলো- সেটাই বারবার নিজেকে জিজ্ঞাসা করি।
প্রায় প্রতিটা বিক্রেতার ভাব এমন, 'নিলে নেন, না নিলে যান'

এটা কি আসলেই সংযমের মাস, নাকি 'স্বয়ং- যমের' ত্রাস?

ফেসবুক পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেল! 😑

যারা বলতেছেন আম্বানির ছেলের বিয়েতে বাংলাদেশ থেকে কেউ দাওয়াত পায় নাই ছবিটা তাদের মুখে ছুঁড়ে মারলাম।🥴

Celebrating my 2nd year on Facebook

12 fail নামক ইন্ডিয়া তে জীবন থেকে নেয়া গল্প থেকে সিনেমা বানানো হয়েছে এটা বাংলাদেশে কারো জীবনের গল্প থেকে সিনেমা বানানো হলে দেখা যেতো " হয় গার্লফ্রেন্ড ধোঁকা দিয়েছে এটা জিদ্দ করে ভালোভাবে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে & আবার দেখা যেতো গার্লফ্রেন্ড শুরু করে শেষ পর্যন্ত পাশে থাকছে বিসিএস ক্যাডার হয়ে ছেলেটা ভালো কাউকে বিয়ে করে নিয়েছে। " মোটিভেশন পোষ্ট 🥴

এখানে অনলাইনে জার্মান শেখার কিছু টিপস এবং সোর্স শেয়ার করা হলো:

১. যেকোনো ভাষা শেখার জন্য সেই ভাষার অ্যালফাবেটগুলো কীভাবে যখাযথভাবে উচ্চারণ করতে হয় সেটা জানা দরকার। প্রথমেই খাতা-কলম নিয়ে ইউটিউবে যাবেন এবং A, B, C, D-র উচ্চারণ শিখবেন।
এক নাম্বার পয়েন্ট পড়ে আপনার হাসি পেতে পারে। কিন্তু এটা আসলে খুব দরকার। অ্যালফাবেট উচ্চারণ করতে না পারলে আপনি শুদ্ধ উচ্চারণে কোনোকিছু পড়তে পারবেন না। বলার পরে সেটা লিখতেও পারবেন না। সুতরাং, ভিডিয়ো দেখে খাতা কলম নিয়ে লিখে উচ্চারণ শিখবেন।

২. তারপর Duolingo নামক অত্যধিক ধীর গতির অ্যাপটা ফোনে ডাউনলোড করবেন। এই অ্যাপে ততদিন জার্মান শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন যতদিন আপনার বিরক্তি না ধরে যায়।
এই অ্যাপটা জোস। খুব ধীর গতির। কিন্তু জোস। এক জিনিস এতবার শেখাবে যে ওটার বানান, উচ্চারণ সব আপনার কণ্ঠস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু একটা সময় আপনার কাছে মনেহবে এটা কচ্ছপ গতির। আপনার আরেকটু দ্রুত যাওয়া দরকার। তখন যাবেন তিন নাম্বার অপশনে।
জার্মান শেখার প্রতি আপনার দৃঢ় মনোবল এবং একটু অ্যাডভান্স লেভেল থেকে শুরু করতে চাইলে দুই নাম্বার বাদ দিয়ে সরাসরি তিন নাম্বার অপশন দিয়ে শুরু করতে পারেন।

৩. Busuu নামক একটা অ্যাপ আছে। খুবই চমৎকার জিনিস। এটার পেইড ভার্সনটা সবচেয়ে কাজের। তবে ফ্রি ভার্সনটাও দারুণ কাজ করে। এটাতে লেসন দ্রুত শেষ হবে। কিন্তু পুনরাবৃত্তি করার দায়িত্বটা আপনার। Duo-র মতো এটা আপনাকে সব মুখস্ত করিয়ে দিবে না। যারা খুব দৃঢ় মনোবল নিয়ে প্রতিদিন চেষ্টা করবে তাদের জন্য এই অ্যাপটা খুব ভালো কাজ করবে।

৪. এতক্ষণ যা বলেছি আপনি চাইলে সব ভুলে যেতে পারেন। আমি নিজে যত অ্যাপ ব্যবহার করেছি, জার্মান শেখার জন্য সবচেয়ে সেরা অ্যাপ আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সেটার নাম হচ্ছে DW Learn German. এটাতে Nicos Weg নামক একটা ডকুমেন্টারি থেকে জার্মান শেখার অপশন পাবেন। ফোনে অ্যাপটা রাখতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি যদি ল্যাপটপ নিয়ে বসে ওদের ওয়েবসাইট থেকে শেখা শুরু করেন তাহলে সেটা সবচেয়ে কার্যকরি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেই ওয়েবসাইট সবচেয়ে ভালো সেটার নাম কেন এত পরে বললাম? কারণ এই ওয়েবসাইটা খুব গোছানো। এটাতে একেকটা লেসন শেষ করতে আপনার ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে এবং নতুন শিক্ষার্থীরা এই ধৈর্যটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারে না। কেউ যদি ধৈর্য ধরে প্রতিদিন যথাযথভাবে অন্তত একটা করে লেসন শেষ করে তাহলে ছমাস পরে সে নিজেই নিজের পরিবর্তনটা ধরতে পারবে। ফ্রিতে জার্মান শেখার জন্য এরচেয়ে ভালো ওয়েবসাইট আমি আর অনলাইনে দেখিনি।

৫. এবার আপনাকে কিছু সেরা ইউটিউব চ্যানেলের নাম বলি: German with Jenny, Learn German, Learn German with Anja এই তিনটাই যথেষ্ট ভালো চ্যানেল। তবে শেখার জন্য আপনি নিজের পছন্দমতো যেকোনো একটাকে ফলো করলে ভালো হবে।

৬. Deutsch Verstehen এবং Janoschs Traumstunde নামক আরো দুইটা জার্মান চ্যানেল আছে যেগুলোতে জার্মান ভাষায় বিভিন্ন গল্প বলা হয়। খুবই কাজের দুইটা চ্যানেল।

৭. Easy German নামক আরেকটা খুব জোস ইউটিউব চ্যানেল আছে। এটা আমি আলাদা করে পয়েন্ট দিয়ে উল্লেখ করেছি কারণ মোটামুটি জার্মান শেখা হলে এই চ্যানেলের ভিডিয়োগুলো আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে খুব সাহায্য করবে।

৮. জার্মান মুভি, গান (Berge নামক একটা ব্যান্ড পাবেন ইউটিউবে, ওদেরকে আমার খুব পছন্দ), ডকুমেন্টারি যেখানে যা পান দেখার চেষ্টা করুন। মোবাইলের নোটপ্যাডে প্রতিদিন কী কী নতুন শুব্দ শিখলেন সেগুলো নোট করে রাখুন।

এই পোস্ট বড় হয়ে যাচ্ছে। জার্মান ভাষা শেখার সবচেয়ে কাজের পরামর্শ দিয়ে শেষ করে দিচ্ছি। জার্মানরা প্রত্যেক Noun-এর আগে Article (der, die, das) ব্যবহার করে। কখনোই, মানে ভুলেও কোনো Noun সেটার আর্টিকেল ছাড়া শিখবেন না।
যেমন: Handy মানে মোবাইল ফোন, শেখার সময় আপনি কখনোই শুধু Handy শিখবেন না; শিখবেন das Handy. ঠিক একইভাবে der Stift ( the pen), die Sonne (the sun) ইত্যাদি।

এই অনুচ্ছেদটা ভালো করে পড়ুন: আর্টিকেল ছাড়া জার্মান নাউন শিখলে পরবর্তীতে সব গ্রামার গুলিয়ে যাবে। জার্মান শেখার জার্নিটাকে তেজপাতা করে ফেলতে চাইলে আর্টিকেল ছাড়া নাউন শেখাই যথেষ্ট। আর কিছুর দরকার নাই।
(ভালোকথা, der die das নামক একটা অ্যাপ আছে। ওটাতে কোনো নাউন লিখলেই সেটার আর্টিকেল দিয়ে দেয়। খুব কাজের জিনিস।)

German language বা জার্মান ভাষা শিখে বর্তমানে Germany তে এসে নিজের মেধার বিকাশের এবং এই অসীম সম্ভাবনার দেশে আসার অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। প্রথমত বলে রাখি যে মোট ৬ টি ধাপ আছে এই ভাষার বিভিন্ন স্তরের।
যেমনঃ A1, A2, B1, B2, C1, C2.

Ausbildung করে চাকুরি এবং বেতন সহ যেমন Germany তে আসা যায়, তেমনি এই দেশে ৩ বছরের Ausbildung সফলভাবে সম্পন্ন করে চিরস্থায়ীও হওয়া যায় কয়েক বছর ফুল টাইম চাকুরি করার পর। এর জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন Goethe Institut এ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে B1 এর সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশের HSC পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট। তবে B2 থেকে C1 পর্যন্ত পড়াশোনা করে আসলে আরও ভালো সম্ভাবনা থাকে সবার Ausbildung পাওয়ার এবং পরবর্তীতে পড়াশোনা ও কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

কেউ ব্যাচেলর পড়তে আসতে চাইলে Goethe Institut B1 এর সার্টিফিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যাচেলরের শতকরা ২৫ ভাগ পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারলে জার্মানির বিভিন্ন University তে ব্যাচেলর পড়াশোনা করতে আসতে পারে।

বাংলাদেশে অসংখ্য স্বামী অথবা স্ত্রী যারা জার্মানিতে আসার পরিকল্পনা করে Family reunion ভিসায় Spouse হিসাবে নিজের স্ত্রী বা স্বামীর কাছে জার্মানিতে আসার জন্য, তাদের জন্যও German embassy থেকে নির্দেশনা হলো Goethe Institut A1 (Start Deutsch - 1) এর Certificate টি পরীক্ষায় পাশ করে নিয়ে আসার জন্য Visa interview এর সময়।

সরাসরি চাকুরির জন্য এপ্লাই করতে চাইলে বা Job seeking ভিসা তে ১২ মাসের জন্য আসতে চাইলে প্রয়োজন হবে অন্তত B1 এর সার্টিফিকেট এর।

এর পাশাপাশি Masters' এ পড়াশোনা করতে আসতে চাইলে যদিও অনেক ইংরেজি ভাষাভাষী কোর্স পাওয়া যায়, তবু পরবর্তীতে জার্মানিতে চাকুরি পেতে চাইলে প্রতিটি ধাপে যেটার সবচেয়ে প্রয়োজন, সেটা হলো জার্মান ভাষা বা Deutsch এর উপর অগাধ দখল।

এছাড়াও, জার্মানিতে বহু বছর ধরে যারা আছেন এবং যারা Permanent Residence (PR) ও Germany এর Passport পেতে চায়, তাদের জন্যও জার্মান ভাষা জানা এবং দক্ষতা অর্জন করা অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশী যারাই জার্মানিতে আছেন বেশিরভাগই যদি B1 এর certificate অর্জন করে ফেলেন, তাহলে নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুততম সময়ে করে ফেলা সম্ভব। নিকট ভবিষ্যতে Dual citizenship এবং ৩ থেকে ৫ বছরে পাসপোর্ট পাওয়ার মত সুযোগও তৈরি করার জন্য জার্মান সরকার বিভিন্নভাবে কাজ করছে। শুনে বুঝতে পারা, কোন লেখা পড়ে অর্থ উদ্ধার করা, নিজে থেকে কথা বলতে পারা এবং মনের ভাব লিখে প্রকাশ করা - এই মোট ৪টি ধাপ ভালোভাবে শিখতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে, পড়াশোনা এবং চর্চা করে আগাতে হয়।

চিন্তা করে দেখেন, এত এত সুযোগ আছে এই দেশে যেই কারণে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির অধিকারী দেশ হলো জার্মানি। এই জার্মান ভাষা শিখতে পারলে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়।
আর দেরি না করে ভাষা শিখুন ......

দেশে সেটেলড জব ছেড়ে বিদেশে আসা/না আসা ও জার্মানির সম্পর্কে কিছু কথা ....

কদিন ধরে সবার টেনশন এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা দেখছি তবে সেখানে কয়েকটি পয়েন্ট মিসিং বলে আমার মনে হয়েছে! মিসিং পয়েন্ট নিয়ে আমি লিখব!
প্রথমেই বলে নিই আপনার লক্ষ্য যদি থাকে সেভিংস করা তবে জার্মানী একদমই উপযুক্ত জায়গা নয়। এরা আমাদের মত এভাবে এত সেভিংস নিয়ে ভাবেনা, বরং জীবনমান নিয়ে বেশী আগ্রহী!

আমি গত বছর ৯ মাসের একটা internship শেষ করে এখন এই বছরের শুরু থেকে ফুলটাইম জব করছি যা আমার পড়াশোনার সাথে মিল নাই! আমি Sustainable development management থেকে Masters করেছি, জব করছি Supply chain field এ! জব পেয়েছি পড়াশোনা শেষ করার আগেই!
আর আমি অড জব করেছি Amazon, Zalando, Daimler, Asics, Freshnafp, Studitemps /job mensa থেকে laundry ইত্যাদি Lager এ, restaurant- KFC, McDonald’s, Burger king, Mexican এ, এছাড়াও করেছি Lieferando, Residential hotel এ রুম ক্লিনিং, Helping এ বাসা+অফিস ক্লিনিং! Unpaid internship ও করেছি।
Germany তে ছোট বড় মিলিয়ে ৩ টা state এর প্রায় ৭ টা সিটিতে থেকেছি!

লং পোস্ট তবে হেল্পফুল হবে গ্যারান্টেড 😉

আমরা সেভিংস করি কেনো?

১. বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ : আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য ভাল কিছু সম্পদ রেখে যেতে চাই কিংবা তাদের পড়াশোনা , বিয়েশাদি ইত্যাদিতে খরচ হবে এর জন্য একটা এমাউন্ট এর টাকা জমাতে চাই!
উল্টো দিকে জার্মান বাচ্চা, সরকার থেকে কিন্ডারগেল্ড পায় ২৫০ ইউরো জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অব্দি।প্রেগন্যান্সির সময়ে মা টাকা পায় তার লাস্ট জব এর স্যালারি অনুযায়ী, স্টেট থেকে মুটার গেল্ড ২০০ ইউরো থেকে শুরু হয়।আর ম্যাটারনিটি লিভের কারণে জব থেকে তো পায়ই, সেটাও স্যালারি অনুযায়ী পায়। বাচ্চারা ১৫ বছর বয়স থেকে কাজ করে উপার্জন করা শুরু করে। ১৮ বছর বয়সের পরে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে bafög থেকে টাকা পায়। আর বাকিরা আউসবিল্ডুং করলে পড়াশোনার পাশাপাশি যে কোম্পানিতে আউসবিল্ডুং করে সেখান থেকে টাকা পায়। সুতরাং জার্মান বাপ মায়ের বাচ্চাদের নিয়ে এত সেভিংস করে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হয় না!

২. আমাদের চাকরি না থাকলে/ ব্যবসায় লস করলে কি হবে এই কারণে : এখানে ১ বছর চাকরি করার পরে চাকরি চলে গেলে বাসা ভাড়ার জন্য Wohnung geld Bürgaramt থেকে , Arbeitslosengeld জব সেন্টার থেকে দেয়া হয়।জব ভিসা 18 b তে থাকলে ৩-৬ মাস সময় পাবেন নতুন জব খোঁজার জন্য! আপনি যদি জার্মান ভাষা জানেন, আপনার সেক্টরের কাজের জন্য সফটওয়্যারের ব্যবহার জানেন যেমন এক্সেল , SAP সহ আরো বিভিন্ন সফটওয়্যার ইত্যাদি তবে ৬ মাস অনেক সময় নতুন জব পাওয়ার জন্য! কারণ Job center আপনার সিভি তৈরি করে দেয় , নিয়মিত নতুন জবের অফার/সারকুলার পাঠায় এবং একটা রেফারেন্স নাম্বার দেয় যেটা হেল্প করে জব পেতে! সমস্যা হলো আমরা নিজেদের স্কিল বাড়াই না আর হা-হুতাশ করতে থাকি! মাসে ১০ টা এপ্লাই করে মাথা চাপরাই যেখানে দিনে ১০ টা এপ্লাই করা উচিৎ হয়তো!
ব্যবসায় লস হলে সরকার ভরতুকি দেয়, এই বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানিনা কারণ খুব কম মানুষ ব্যবসায় যায়।
আর এত এত জব যে কাজ না করে বেকার থাকার সুযোগই কম এখানে! এখন অব্দি কাউকে জব পায় নাই এমন দেখিনাই, যাদের জব প্রবেশনে চলে গেছে তারাও ৩ মাসের মধ্যে নতুন জব পাইছে।
আমাদের লক্ষ্য থাকে টাকা বানানো , এসেই ভাষা শিখিনা, স্কিল ডেভেলপ করিনা, কিভাবে মানুষকে কনভিন্স করতে হয় তাও জানিনা/জানতে চাইনা, পড়াশোনার পাশাপাশি internship এর ট্রাই করে কাজ শেখার সুযোগ নেই না কিন্তু চাকরি নিয়ে হা-হুতাশ করি! এখানে কেউ জিজ্ঞেস করে না কই থেকে পড়েছ, সিজিপিএ কত, কোন সাব্জেক্টে পড়েছ, পাব্লিক নাকি প্রাইভেট থেকে পড়েছ বরং জিজ্ঞেস করে কি কি কাজ পারো, কি কি সফটওয়্যার জানো, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং কেইস দিয়ে বলে এখানে তুমি কি করে সমাধান করবে! তাই আমাদের এগুলো নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়! এরা সঠিক ক্যান্ডিডেট না পেলে অপেক্ষা করবে কিন্তু হুদাই কাউকে রিক্রুট করবেনা কোনোদিনই! তাই নিজেকে এই জায়গায় প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমরা বেশীরভাগই সেটা করিনা কারণ আমাদের সব ধ্যান থাকে টাকা কামানোয়! আমাদের বাড়িতে দিতে হয়, লোন থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি!

৩. বৃদ্ধ বয়সের পুঁজি : আমরা টাকা জমাতে চাই কারণ আমাদের বৃদ্ধ বয়সে যে পেনশনের টাকা পাই/কিছু ক্ষেত্রে পাই না তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য! এখানে রিটায়ার করার পরে পেনশন ভাতা দেয় প্রতি মাসে, আপনার জীবনে করা প্রতিটি জব অনুযায়ী ঠিক হয় এই টাকার পরিমাণ! এই টাকাটা প্রতি মাসে আপনার বেতন থেকে কেটে নেয়া হয় আগেই যেটা ওই ১০-৪২% ট্যাক্স এর ভেতরে যায়। এই নিয়ে বিস্তারিত একটু পরে লিখব। সুতরাং যেহেতু আপনি এই বিষয়ে সিকিউরড সুতরাং টাকা জমানোর ধান্ধায় থাকতে হয় না, যদিও এখানে বেশীরভাগই বাড়ি/ফ্ল্যাট, জমি ইত্যাদি কিনে রাখে হোম লোন নিয়ে। কিন্তু কিছু কেনা না থাকলেও না খেয়ে মরবেনা!

৪. এক্সিডেন্টাল কস্ট: হঠাৎ কারো এক্সিডেন্ট বা কেউ অসুস্থ হলে বেশ ভাল একটা টাকার ধাক্কা সামলাতে হয় বাংলাদেশে। কিন্তু এখানে অসুস্থ হয়ে কাজে যেতে না পারলে এই অবস্থায় ৬ সপ্তাহ অব্দি কোম্পানি রেগুলার ঠিকঠাক বেতন দেয়, এরপরে Health insurance টাকা দেয় বেতনের ৬৫% এর মত প্রায় ১ বছর!

জার্মান সিস্টেম এভাবেই করা যে আপনি এক্সট্রা গাদিগাদি টাকা জমাতে পারবেন না কিন্তু যা পাবেন তা দিয়ে আপনার জীবনমান ঠিক থাকবে, যেমন জিনিসের দাম বাড়লে বেতন বাড়ে। যে স্টেটে লিভিং কস্ট বেশী সেখানে স্যালারি রেঞ্জও অনেক বেশী! আমি Munich, Berlin থেকেছি, এখন Köln/Cologne এ থাকি সুতরাং বড় শহরে থাকার অভিজ্ঞতা যেমন আছে তেমনি ছোট ছোট শহরে থাকার অভিজ্ঞতাও আছে!

এবার আসি সবার টেনশন এর কারণ ৪২% ট্যাক্স নিয়ে:

১. জার্মানীতে সবার ট্যাক্স এর পরিমাণ এবং ট্যাক্স ক্লাস একইরকম না! স্টুডেন্ট অবস্থায় মিনি জবে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না, টাইলসাইট করলে খুবই কম/নাম মাত্র একটা পরিমাণ কাটে ২০-৪০ ইউরোর মত আর ফুলটাইম করলে ১০-২০% কাটে। এরপরে জব ভিসা/সারা বছর ফুলটাইম কাজ করলে আরো বেশী ট্যাক্স কাটে কিন্তু এখানে কিছু পয়েন্ট আছে!

২. ট্যাক্স মানে শুধুই ট্যাক্স না, এখানে আরো অনেককিছু যোগ হয়! এই ১০-৪২% এর মাঝে থাকে Tax/ট্যাক্স ,mandatory Health insurance/হেলথ ইন্সুইরেন্স যেটা স্টুডেন্ট থাকার সময় ৩০ বছরের আগে ১২০ ইউরোর মত আর ৩০ এর পরে ২২০+ হয়ে যায় এবং চাকুরির স্যালারি অনুযায়ী ৩০০-৫০০ ইউরো অব্দি যায়, কম্পালসারি Pflegeversicherung - এর বাংলা জানিনা, Rentenversicherung-পেনশন ভাতা এর জন্য একটা এমাউন্ট, Arbeitslosengeld- জব সেন্টার চাকরি হারালে যেই টাকা দেয় তার একটা অংশ স্যালারি থেকে আগেই কেটে নেয়, church fees - মুসলিম/হিন্দু হলে দিতে হয়না, কয়টা বাচ্চা আছে এটার উপরে কিছু একটা হিসেব করে ওরা ভবিষ্যতে কিন্ডারগেল্ডের জন্য- আমার বেবি নাই তাই ২২ ইউরো বেশী কাটে ইত্যাদি! তো এতসব জিনিস মিলে হলো ১০-৪২% ট্যাক্স এর হিসাব! একটু ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন, এই কেটে নেয়া টাকা গুলো জীবনে কোনো না কোনো সময় আপনি ফেরত পাচ্ছেন! হেলথ ইন্সুইরেন্স আপনাকে হেলথ রিলেটেড সবকিছুতে সাপোর্ট দিচ্ছে, জব চলে গেলে জব সেন্টার টাকা দিচ্ছে, রিটায়ার হবার পরে পেনশনের টাকা পাচ্ছেন মাস মাস মারা যাওয়ার আগে অব্দি! সুতরাং এই টাকাগুলো একভাবে সেভিংসই! আর ট্যাক্স রিটার্ন নেয়া যায়!

৩. ট্যাক্স রিটার্ন : আমি জার্মানিতে ৬ বছর এখন, গত ৫ বছর স্টুডেন্ট ছিলাম! আমি প্রথম ৪ বছরে ট্যাক্স ক্লেইম করে রিটার্ন পেয়েছি প্রায় ৪০০০ ইউরো, এইটা নির্ভর করে আপনি কতদিন কাজ করেছেন, আপনি কত টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন এসবের উপরে! স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় দেয়া ট্যাক্স প্রায় সবটুকুই ফেরত পাওয়া যায়! গত ২ বছরে এখনো ক্লেইম করিনি যেহেতু ফুলটাইম জব করছি তাই পুরোটা পাবো না কিন্তু ৬০-৭০% ফেরত পাব!
তাই ট্যাক্স এর % দেখে যারা হা-হুতাশ করেন,মূলত এই জিনিস গুলো এরকম খারাপ না!

এবার work life balance নিয়ে একটু বলি!
জার্মানরা এই ব্যালেন্স বলতে কাজের পরে আপনি বাসায় গিয়ে রান্না করেন, ঘর পরিস্কার ,গ্রোসারি করে এগুলো বোঝায় না! Work life balance বলতে এরা বোঝে স্পেসিফিক ৭-৯ ঘন্টার পরে আপনি আর কাজ করবেন না, সাপ্তাহিক ছুটিতেও কাজ করবেন না, বছরে ২৮-৩০ দিন ছুটি দেয় অফিস থেকে যার জন্যও অফিস টাকা দেয় আমাদের ছুটি কাটাতে। আপনার ব্যক্তিগত খাওয়া ,রান্না, ঘর পরিস্কার এগুলো কি আসলেই কাজ? আমরা এগুলোকে কাজ মনে করি কারণ আমরা এগুলো নিজে করে অভ্যস্ত নয়! কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েরা মনে হয় সেটাতেও অভ্যস্ত কারণ চাকরি শেষে এসে ঘরের খেয়ালও রাখতে হয় তাই আমরা আসলে এগুলোকে আলাদা কোনো “কাজ” বলে work life balance হচ্ছে না এই অভিযোগ করিনা দিনশেষে! চাকুরীর পরে কাজ নিয়ে কেউ বিরক্ত করেনা, সাপ্তাহিক ছুটিতে কেউ কাজ কাজ করেনা, বছরের ৩০ দিন paid ছুটি দেয় এই সুবিধাগুলো দেশে দেয় বলে মনে পরেনা আমার!

এবার আসি কেনো আপনি এখানে আসবেন/আসবেন না

১. জব সিকিউরিটি বলতে যদি খালি বুঝেন জব না যাওয়া জীবনভর, তবে আসবেন না! অনেক start up আছে, জব চলে যায় ইত্যাদি যারা বলেন তাদের জন্য- আমি Yababa তে কাজ করতাম, খুবই অদ্ভুত একটা কাজের জায়গা ছিল যাইহোক , তো সেটা মোটে ১০ মাস ব্যবসা করে! তারপর সবার চাকরি চলে যায় এবং আমার দেখা কেউ বসে নাই, সবাই ওর চেয়ে ভাল জব পাইছে!
এখানে সুবিধা এটাই যে যথেষ্ট কাজের/জবের সুযোগ আছে! আর জব market অনুযায়ী নিজেকে prepare না করা নিয়ে আগেই বলেছি! ইন্ডিয়ান কিংবা পাকিদের দেখলে বুঝতে পারা যায় আমাদের অবস্থা, ইন্ডিয়ানরা এসেই ভাষা শিখে ভাল ভাল জায়গায় এপ্লাই করে, লেগে থাকে/চেষ্টা করতেই থাকে যতদিন সেটা হয়নি তাই সবখানে গেলেই এদের পাওয়া যায়! আর আমরা কামলা দিয়ে এতই খুশি থাকি, কনফিডেন্সের অভাবে, পরিচিতদের দেয়া discouragement এর জন্য মোটিভেশান হারায়ে যে আমাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না, দিনশেষে শুধু হতাশা!

২. কারো বয়স যদি হয় ৩৫-৪০ বছর এবং তার একটা সরকারি চাকুরী আছে তবে আপনি অবশ্যই আসবেন না! কারণ আপনি অলরেডি স্ট্রাগল করে একটা জায়গায় এসেছেন, একটা certain life style আছে আপনার সেটা ফেলে এখানে এসে শূন্য থেকে শুরু করার কোনো মানেই হয় না! বিদেশ মানে আবার নতুন করে শূন্য থেকে দুনিয়া তৈরি করা! এই প্রসেসে আপনি ক্লান্ত হয়ে হতাশ হয়ে পরবেন undoubtedly!

৩.আপনি যদি পরিবারের কাছাকাছি থাকতে ভালবাসেন , মানুষের সংগ আপনাকে ভীষণ ভাল রাখে/একমাত্র ভাল থাকার উপায় হলো বন্ধুদের সাথে চিল করা- বিদেশ আপনার জন্য নয়! বিদেশে আমরা ভীষণ একা, পরিবার পরিজন নেই, অসুখে মন খারাপে কাউকে কাছে পাবেন না, সবাই ভীষণ ভীষণ ব্যস্ত এখানে, একই শহরে থেকেও মাসের পর মাস দেখা হবেনা পরিচিত লোকজন/বন্ধুদের সাথে! একা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাবেন, কেউ দেখতে আসবে না খাবার নিয়ে! দিনশেষে এতকিছু কেন করতেছি মনে হবে!

৪. মেয়েদের জন্য শুধু: রাস্তাঘাটে দিন দুপুরে শরীর সামলে চলার যে অমানুষিক ভয় আর টেনশন থাকে দেশে সেটা এখানে নেই! রাত ১/২ টায়ও কাজে থেকে ফিরে নিরাপদে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার যে শান্তি সেটা কোনো টাকায় পরিমাপ করা যায় না! সারাক্ষণ এই ভয়ে থাকতে হয় না যে কেউ গায়ে হাত দিবে, কাপড় মাপবে, নোংরা চোখে তাকাবে, নোংরা কথা বলবে! দেশে রাস্তায় বেরুলে যে গা ঘিনঘিনে একগাদা চোখ তাড়া করে সবখানে, অফিসে গেলে মেয়ে বলে পুরুষ সহকর্মীরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, বিয়ে করনাই কেন, বাচ্চা নাও নাই কেন, সেপারেশনে কেন ইত্যাদি ইত্যাদি অহেতুক জিনিস নাই! নিজেকে একটা মানুষ ভাবা যায়, শুধুই মানুষ!

৫. ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য: কক্সবাজার কিংবা সাজেকের খরচ দিয়ে এইখানে ২-৩ টা দেশে ঘোরা যায়! ইউ জোন বা এর বাইরেও কিছু দেশে অন এরাইভাল ভিসা দিয়ে প্রায় ৩০টি দেশ ঘোরা যায় অনায়াসে! সুতরাং কেউ ঘুরতে ভালবাসে এমন হলে ইউরোপ চুজ করা বেটার!

৬. জার্মানিতে থেকে ইউরোতে বেতন পেয়ে দেশে জিনিসের দাম আর এখানের দাম তুলনা করাটা অমূলক! দেশে মাস্টার্স পাশ করে ব্রুটো ৪০০০ ইউরো থেকে নেটো ২৬০০ ইউরো প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি জব পাওয়া যায়? পাওয়া গেলে জানায়েন ভাই, আমিও যাব তাইলে 😁
আমি দেশে গেলে আমার কাছে বাংলাদেশ অনেক এক্সপেন্সিভ মনে হয় কারণ মানুষের বেতন বাড়েনি কিন্তু বাজারে জিনিসের দাম জার্মান দামের সমান! জার্মানিই সস্তা , affordable লাগে আর দেশে কিছু হাত দিতে পারিনা এই অভিজ্ঞতা আমি সহ আমার বন্ধুদেরও!

তাহলে কি জার্মানি heaven?

না, কোনো দেশই heaven না! বরং স্ট্রাগল এর, কারণ এখানে আপনি কাউকে চেনেন না, নিয়ম জানেন না, এদের মত অনর্গল এদের ভাষা বলতে পারেন না, আইনের ফাঁকফোকর জানেন না, কোথায় গেলে সঠিক তথ্য পাবেন/কাজ হবে তা জানেন না, এদের সংস্কৃতি -চিন্তা ভাবনা আমাদের থেকে অনেক আলাদা! বেশিরভাগ দেশি ভাইয়েরা ভুলভাল তথ্য দিয়ে আপনাকে আরো পেইনে ফেলে দিবে!
কিন্তু যদি নিরাপদে বেঁচে থাকতে চান তবে দেশের সাথে তুলনায় অবশ্যই heaven! আই রিপিট , “বাংলাদেশের সাথে তুলনামূলকভাবে”!

Germany তে কি সমস্যা নাই?

অবশ্যই আছে!
১. বাসা পাওয়া আর চাঁদ পাওয়া সমান, বাসায় দেয়াল ছাড়া কিছু থাকেনা, একগাদা টাকা দিয়ে সব furniture কিনতে হয়, বাসা বদলের সময় অনেক ঝামেলায় পরতে হয় এসব নিয়ে,

২. বাচ্চা থাকলে কিটা-ডে কেয়ার/প্রি-স্কুলে জায়গা পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার ,

৩. আপনি হয়তো জানেনই না কোন রুলস ভেঙে বসে আছেন কিন্তু জরিমানার চিঠি এসে হাজির, রেডিও বিল না দিলে একগাদা জরিমানা সহ চিঠি আসবে তবে installment এ দেয়া যায়,

৪. ইন্টারনেট কানেকশন পেতে একমাস অপেক্ষা করতে হয় এবং একবার কন্ট্রাক্ট সাইন করছেন তো ২ বছর আপনাকে টাকা দিতেই হবে ব্যবহার করেন আর না করেন, জিম মেম্বারশিপ বা ফোনের কন্ট্রাক্টও তাই! এক কথায় কোনো কন্ট্রাক্ট সাইন করছেন মানে টাকা দিতেই হবে ওই সময় অব্দি, মাফ নাই! টাকা না দিলে কেস হয়ে যাবে, উকিল নোটিস আসবে! তখন ওই উকিলের ফিসও আপনাকেই দিতে হবে!

৫. মাঝেমধ্যে রেসিস্ট আচরণের শিকার হতে হবে, গ্রোসারি শপিংয়ে গেলে বেশী হয় এটা! ক্যাশিয়ার অন্য সবাইকে দেখে হেসে হালো বললেও হয়তো আপনাকে বলবেনা! আরো অনেক জায়গায় হয়, Ausländerbehorde (ভিসার জন্য), Finanzamt (ট্যাক্স/টাকা পয়সার কারণে), Rathaus (আনমেল্ডুং/সিটি রেজিষ্ট্রেশন) ইত্যাদিতে গেলে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করবে যে কেন আসছিলাম- এদের ব্যবহার দেখে!

৬. ড্রাইভিং শেখা ও লাইসেন্স করতে ৩০০০-৪০০০ ইউরো লাগে! পরীক্ষায় ফেল করা অনেক স্বাভাবিক তাই ফেল করলে আরো টাকা লাগে! আমার মত গরীবের জন্য এই টাকা মেনেজ করা খুবই কঠিন ব্যাপার!

৭. জার্মান ভাষা : দুনিয়ার কঠিন ভাষাগুলোর একটা! এই ভাষা শিখতে এবং ব্যবহার এর কনফিডেন্স আসতে আপনার ঠিক কত সময় লাগবে সেটা কেউ জানেনা! আমি তো ১ মাসের জন্য দেশে গেলেই শব্দ ভুলে যাই 🤦‍♀️

***অনেকেরই মনে হতে পারে যে, আমি মেয়ে তাই আমার কি আর এত দায়িত্ব ছিল! তাদের জন্য, ব্লকের টাকা লোন নিয়ে এসেছিলাম সেটা শোধ করেছি, এতগুলো বছর দুই বোনের পড়াশোনা ,মায়ের লিভিং কস্ট , বাবা মায়ের চিকিৎসা ব্যয়ভারসহ সকল এক্সিডেন্টাল কস্ট সবই বহন করেছি। আমার একাউন্টে যতগুলো পতাকা দেখা যায় সবগুলো দেশে ঘুরেছি! আমার মত মিনিমাম ৩ জন মেয়ে আরো দেখাতে পারব যারা এসবের সবই করেছে এবং করে যাচ্ছে! তাই “মেয়ে” বলে দায়িত্ব কম ভাবার কোনো কারণ নাই! ১৪ গোষ্ঠীতে প্রথম মেয়ে একা বিদেশ আসছি তাই মাথার উপরে, আশেপাশে কেউ কোনোদিন ছিলনা! যা করার একাই করেছি! তাই কাশ ফুলের নরম ছোঁয়ার মত ছিলনা এই journey.

আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি, কারো অন্য অভিজ্ঞতা থাকতেই পারে! সবার জীবন আলাদা, অভিজ্ঞতা আলাদা তবে রুলস সবার জন্য সমান! এখন সিদ্ধান্ত আপনার , কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে!

©Akhter Sarmin

ইউরোপের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের নাম এবং ওয়েবসাইটগুলো এক নজরেঃ ♦️♦️

পশ্চিমা দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন ইউরোপের ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। এর মূল কারণ হচ্ছে ইউরোপের শিক্ষার মান ও জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। এছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনার জন্য কোন প্রকার টিউশন ফি লাগে না। রয়েছে ভ্রমণের সুযোগ। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয় নজরকড়া ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ইউরোপ মহাদেশ।

আজ আমরা এক নজরে ইউরোপের যত ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ আছে বাংলাদেশীদের জন্য ( শর্ট কোর্স, ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পি.এইচ.ডি ) সেগুলোর নাম এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবো।

স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্কলারশিপগুলোতে শুধুমাত্র আইইএলটিএস এবং বর্তমানে কর্মরত চাকরী দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। পিএইচডির জন্য পদ্ধতি ভিন্ন ।

আবেদনকারীকে স্কলারশিপের নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিতে হবে আবেদনের সময় ,প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে।

1. Erasmus Mundus : https://ec.europa.eu/programmes/erasmus-plus/opportunities/individuals/students/erasmus-mundus-joint-master-degrees_en

2. UK:
Commonwealth SScholarship:
Britishnwealthtudy-uk.britishcouncil.org/scholarships-funding/commonwealth-scholarships

British Chevfind-a-Scholarship

https://www.chevening.org/scholarships/who-can-apply/eligibility/

3. Sweden:
Swedish Institute Scholarship:https://www.studyinholland.nl/finances/scholarships/find-a-scholarship

Swedish Scholarship:https://studyinsweden.se/scholarships/other-scholarships/

4. Germany:
DAAD: https://www.daad.de/deutschland/stipendium/en/

5. Austria:
OeAD: https://studyinaustria.at/en/useful-tips/questions-and-answers/scholarships/

6. Switzerland:
Swiss Governments Excellence ScholZurich: https://www.sbfi.admin.ch/sbfi/en/home/education/scholarships-and-grants/swiss-government-excellence-scholarships.html

ETH Zurich: https://ethz.ch/students/en/studies/financial/scholarships/excellencescholarship.html

7. Neorange-knowledgScholarship
: https://www.studyinholland.nl/finances/scholarships/highlighted-scholarships/orange-knowledge-programme
University Excellence Scholarship: https://www.studyinholland.nl/finances/scholarships/find-a-scholarship

8. Finland:
Finnish Government Scholarship:
https://www.studyinfinland.fi/scholarships/bachelors-and-masters-scholarsScholarship:https://www.oph.fi/en/development/edufi-fellowship -who-can-apply-and-for-whom

9. Denmark:
Danmark Government Scholarship:
https://studyindenmark.dk/study-options/tuition-fees-scholarships/tuition-fees-and-scholarships

10. Belgium:
VLRIOUS : https://www.vliruos.be/en/home/1

Government of Flanders Master Mind Scholarships for International Students :
http://www.studyinflanders.be/en/scholarship-programmes/master-mind-scholarships/

11. France:
Eiffel Scholarship
The Emile-Boumty Scholarship for Science

scholarship.html #:~

12. Italy:
Italian Government Scholarship: https://studyinitaly.esteri.it/en/call-for-procedure

13. Norway:
Free of Tuitions : https://www.studyinnorway.no/study-in-norway/find-available-scholarships-and-grants

14. Portugal:
DGES

15. Hungary:
Stipendium Hungaricum : http://studyinhungary.hu/study-in-hungary/menu/stipendium-hungaricum-scholarship-programme

16. Estonia:
Estonian Scholarships: https://www.studyinestonia.ee/

17. Czech Republic:
Government Scholarship for Developing Countries:
http://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries?lang=2

18. Luxembourg:
Free of Tuitions: http://luxembourg.public.lu/en/etudier/index.html

19. Iceland:
Same comment as Spain except size of the country.
University Excellence Scholarship

20. Malta:
University of Malta

21. Poland:
All About Poland Scholarship : http://www.studyinpoland.pl/en/index.php/education-in-poland/46-scholarships

22. Lithuania:
Lithuanian State Scholarship Program

23. Latvia:
No Scholarship

24. Russia:
Russian Government Scholarship

25. Turkey
Turkey Burslari

Marie Sklodowsca Curie Fellowship:
This scholarship is only for PHD students.

Thanks..
~Suvra Nag...
Germany

জব কিভাবে খুজব?
আউসবিল্ডং আবেদন করার ওয়েবসাইট -

https://www.ausbildung.de/
https://www.stepstone.de/
https://www.monster.de/
https://bd.linkedin.com/
https://www.arbeitsagentur.de/jobsuche/
https://degreeola.com/job-search/
https://www.azubi.de

তামিমকে অবসর ভাঙিয়ে এনে বিশ্বকাপ দলে না রাখাটা হইল মেহমানকে দাওয়াত দিয়ে বাসায় তালা ঝুলিয়ে বেড়াতে যাওয়ার মতো।🌚

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে, আপনার ৩০টি প্রশ্নের উত্তর:

১. ভাই আমি জার্মানীতে ব্যাচেলর করতে চাই,
কিভাবে যেতে পারি?

উত্তর: ব্যাচেলরে করতে হলে আপনাকে HSC এর পরে জার্মানী স্বীকৃত বাংলাদেশের যে কোন প্রাইভেট/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছর পড়তে হবে, এবং মোট কোর্সের ২৫% শেষ করতে হবে।

২. জার্মানীতে স্বীকৃত বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় কোন গুলো সেটা কিভাবে বুঝবো?

উত্তর: Anabin University list bangladesh লিখে গুগল করেন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে H++ থাকবে, সেগুলো জার্মান স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এই লিস্টের ১ টায় পড়লেই হবে।

৩. ভাই, ১ বছর কমপ্লিট করার জন্য নর্থসাউথে পড়বো নাকি ন্যাশনাল ইউনিতে পড়বো?

উত্তর: যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে আপনি সিজিপিএ বেশী তুলতে পারবেন, টাকা কম লাগবে সেটায় পড়বেন। তবে সেইফ জোনে থাকতে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়া উচিত। কারন জীবনের সবকিছুই অনিশ্চিত। দেখা গেলো, কোন কারনে আপনার ব্যাচেলরে/মাস্টার্সে আসা হলো না, তখন দেশের চাকরির বাজারে আপনার যেন সাফারার না হতে হয়, সেদিক চিন্তা করে হলেও কোয়ালিটি আছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া উচিত।

৪. ভাই, IELTS পয়েন্টে কত লাগবে?
উত্তর: IELTS 6 লাগবে। কিছুক্ষেত্রে MOI/5.5 দিয়েও অফারলেটার পাওয়া যায়।
তবে সাম্প্রতি এম্বাসি রিকয়ারমেন্ট 6 করেছে।
ভিসা পেতে আপনার IELTS 6 থাকাটা বাধ্যতামূলক।

৫. ভাই, Medium of Instruction (MOI) সার্টিফিকেট কি?
উত্তর: Medium of Instruction (MOI) মিডিয়ায় ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট হচ্ছে আপনার বাচেলর/বিএসসি/বিবিএ পড়াশোনার মাধ্যম যে ইংরেজীতে ছিলো সেটার প্রত্যয়ন/প্রমানপত্র /সার্টিফিকেট। আমাদের দেশে শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল প্রফেশনাল কোর্স+ সব পাবলিক+প্রাইভেট ভার্সিটির ব্যাচেলর ইংরেজীতে। সুতরাং আপনি যদি এর অর্ন্তভুক্ত হন আপনিও তুলতে পারবেন।

৬. MOI কি করে এটা দিয়ে? খায় নাকি মাথায় নেয়?

উত্তর: আপনি IELTS এর অল্টারনেটিভ হিসেবে ব্যাবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর পরিবর্তে MOI সার্টিফিকেট একসেপ্ট করে। সাধারনত MOI সার্টিফিকেট কে IELTS 6.5 এর সমমান ধরা হয়ে। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় MOI একসেপ্ট করবে কি না সেটা তাদের ওয়েব সাইটে উল্লেখ করে থাকে। অনেক যায়গা উল্লেখ না থাকলে ঐ সাবজেক্টের কোর্স কোয়াডিনেটরকে মেইল করলেই সে আপনাকে জানাবে যে তারা IELTS এর পরিবর্তে MOI গ্রহন করে কি না।

৭. ভাই, MOI কিভাবে তুলবো?
উত্তর: ভার্সিটির সার্টিফিকেট সেকশনে গিয়ে বলবেন MOI তুলতে চাই, তারা একটা ফর্ম দিবে। সেটা পূরন করে, একাউন্টসে ৩০০/৫০০/- টাকা জমা দিয়ে, সার্টিফিকেট সেকশনে ফর্ম জমা দিলেই সপ্তাহ খানেক পরে সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন।

৮. ভাই, MOI দিয়ে কি জার্মানীতে আবেদন করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ। জার্মানীতে কিছুকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুকিছু সাবজেক্টে MOI দিয়ে আবেদন করা যায়। এবং এডমিশন পাওয়া যায়। তবে জার্মান এম্বাসী ফেস করতে IELTS 6.0 থাকাটা বাধ্যতামূলক। IELTS না থাকলে আপনাকে কোনদিনও ভিসা দিবে না।

৯. পারটাইম জব পাওয়া যায়?
উত্তর: জি ভাই, পাওয়া যায়। তবে ছোট শহরের তুলনায় বড় শহরে সুযোগ বেশী। আসল কথা হইলো, জার্মানীতে পড়তে আসা সবাই ই পারটাইম জব করে নিজের খরচ নিজে চালায়।

১০. ভাই, জার্মানীতে পারটাইম জব পেতে জার্মান লাঙ্গুইজ লাগে?
উত্তর: ছোট শহরে লাগে। বড় শহরে ল্যাঙ্গুয়েজ না জানলেও জব পাওয়া যায়।

১১. ভাই, ডিপ্লোমা করে জার্মানীতে B.Sc করতে যেতে চাই। পারবো?

উত্তর: ডিপ্লোমা করা হয় যেহেতু সাবজেক্ট ভিত্তিক, সুতরাং ব্যাচেলরে আপনার সাবজেক্ট এর সাথে মিল আছে এমন ইংরেজি মাধ্যমে সাবজেক্ট খুজে পাওয়া কঠিন। যা পাওয়া যায়, তা আবার Uniassist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, Uni-Assist ডিপ্লমা একসেপ্ট করে না। তবে কয়েকটা ভার্সিটির কয়েকটা সাবজেক্ট আছে যারা সরাসরি আবেদন নেয় এবং Diploma একসেপ্ট করে, তবে ব্যপারটা অনেক কঠিন। সে ক্ষেত্রে মাস্টার্সে যাওয়াই ভাল।

১২. ভাই মাস্টার্সে আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগব?
উত্তর:-
১. HSC Certificate/Diploma Certificate
২. HSC Transcript/ Diploma Transcript(১থেকে ৮ টা সব)
৩. B.Sc Certificate
৪. B.Sc Transcript
৫. IELTS 6.0 Certificate
৬. Passport
৭. Recommendation Letter From Professor (২ টা ২ জন থেকে)
৮. Recommendation Letter From Office Head (১টা)
৯. Works Experience Certificate
১০. Europass CV
১১. Letter of Motivation
১২. Medium of Instructions (MOI)
১৩. Trade Course Certificate (Auto Cad, MS office if any)
এই সব ডকুমেন্ট নোটারি করতে হবে।

১৩. নোটারী আবার কি?
উত্তর: বাংলা কথা, উকিল দিয়ে সত্যায়িত করাই নোটারি।

১৪. কি কি কাগজ নোটারী করবো?

উত্তর:- উল্লেখিত ১১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখিত, ১,২,৩,৪,৫,৬,১২,১৩ নং পেপারস গুলো অবশ্যই অফসেটে পেইজে সাদাকালো প্রিন্ট করে নোটারী করতে হবে। নোটারী প্রতি পেইজ ৮-১০ টাকা করে লাগে।
ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর টাউনহল মার্কেট, সহ ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় নোটারী করা যায়। দামাদামি করে রেট ঠিক করবেন।

১৫. ভাই, Bsc/ব্যাচেলর করেছি, নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি কি জার্মানীতে চান্স পাবো?

উত্তর: জ্বি পাবেন। শুধুমাত্র আপনার ভার্সিটি জার্মান স্বীকৃত হলেই হবে।

১৬. ভাই, আমি ডিপ্লামা করে Bsc করেছি+আমার সেমিষ্টার ১০ টা+ আমি নাইট শিফটে পড়েছি,
আমি কি জার্মানীতে আবেদন করতে পারবো?

উত্তরঃ জ্বি ভাই পারবেন। কোন সমস্যা নাই।

১৭. ভাই, সিজিপিএ কত লাগে?
উত্তর: ব্যাচেলরের সিজিপিএ ৩.৫ থাকলে সবচেয়ে ভাল। ৩.০ থাকলেও হবে। তবে ২.৬৮ পেয়েও জার্মানীতে আসার নজির আছে। সুতরাং কোন কিছুই অসম্ভব না।

১৮. ভাই জার্মানীতে যেতে কত টাকা লাগে?
উত্তর: মোটামুটি 15 লাখ টাকা লাগে।

১৯. কিভাবে 15 লাখ টাকা লাগে?
উত্তর: ব্লক একাউন্ট 13 লাখ, প্লেন ভাড়া
অনান্য খরচ...

২০. ভাই, ব্লক একাউন্ট কি?
উত্তর: জার্মানীতে আপনার নিজের নামে 11208 ইউরো ১ বছরের জন্য জমা করতে হয়। জার্মানীতে যাওয়ার পরে আপনি পুরো টাকাটা ১২ কিস্তিতে ফেরত পাবেন।
অনান্য দেশের দেশে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়, জার্মানীতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে ব্লক একাউন্ট করতে হয়। ব্লক একাউন্ট সোনালী, সিটি, ইস্টার্ন, ঐছাড়া অনান্য ব্যাংকে করতে পারবেন।
ব্লক একাউন্ট কি, কেন? কিভাবে করবেন,
এর বিস্তারিত ইউটুব থেকে দেখে নিবেন।

২১. ভাই, নিজেনিজে আবেদন করবো কিভাবে?
উত্তর: প্রথমে, গ্রুপের ফাইল সেকশনের সবগুলো ফাইল পড়ে নিন, অনেকই হেল্প চেয়ে পোস্ট করেন, তাদের কমেন্টে পড়ুন, সব প্রশ্নের সমাধান এবং গাইডলাইন দুইটাই পাবেন।

২২. ভাই, জার্মানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন আবেদন করতে হয়?
উত্তর:- আপনি বছরে ২ টা সেশনে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ডেডলাইন আলাদা হতে পারে তবে,
১. উইন্টার( জানুয়ারি ১৫-জুলাই ১৫)
২. সামার ( ১লা অক্টবার-ডিসেম্বর ১৫)

২৩. ভাই, কখন আবেদন করলে ভাল হবে?
উত্তর: উইন্টারে সবচেয়ে বেশী কোর্স অফার করে জার্মানীতে। তাই উইন্টারে আবেদন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সাধারনত প্রতিটা ভার্সিটির আবেদনের ডেডলাইন এক এক রকমের থাকে, তাই প্রতিটা কোর্সের ওয়েব সাইটে নিজে নিজে খুজে বের করে রাখুন। আপনার কোন সময়ে আবেদন করতে হবে।
কোর্স সার্চ করতে, Daad de international Program লিখে গুগল করুন। এরপর সার্চ করে আপনার কোর্স সিলেক্ট করুন।

২৪. ভাই জার্মানীতে টিউশন ফি আছে?
উত্তর: কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি এড করা হয়েছে। বার্ডেন বুডেনবার্গে আছে, সেটা প্রতি সেমিষ্টারে ১৫০০ ইউরোর মতো।
এছাড়া সারা জার্মানীতে অনান্য সকল স্টেটে, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ফ্রি। তবে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিষ্টারে সেমিষ্টার কনট্রিবউশন ১০০-৩০০ ইউরো লাগে। এতে করে ঐ স্টেটের সকল পাবলিক পরিবহণে টিকেট ফ্রি।

২৫. জার্মানীতে স্কলারশিপ আছে?
উত্তর: হ্যা আছে। DAAD স্কলারশিপ।

২৬. আবেদন করতে কি যোগ্যতা লাগে?
উত্তর: ব্যাচেলর শেষে, কমপক্ষে ০২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে। এবং IELTS 6.5 লাগে।

২৭.DAAD স্কলারশিপ পেলে কি কি সুবিধা?
উত্তর: ব্লক একাউন্ট লাগব না। মাসে ৮৫০ ইউরো পাবেন। এবং এম্বাসিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত এপায়নমেন্ট পাবেন।
DAAD স্কলারশিপ মানে হট কেক। পেলে লাইফ ফুরফুরে হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করতে ক্ষতি কি!

২৮. ভাই জার্মানীতে পড়াশোনা শেষ করে ভবিষ্যতে দেশে পাঠিয়ে দেয়?
উত্তর: না। আপনি চাকরি খুজতে ২ বছরের জব সার্সিং ভিসা পাবেন।

২৯. ভাই, জার্মানীতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়?
উত্তর: জ্বি ভাই। জার্মানীতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
সাধারনত নাগরিকত্ব পেতে ক্যাটাগরি ভেদে, ২ থেকে ৮ বছর লাগে।

৩০. ভাই, আপনাকে ইনবক্স করবো?
উত্তর: হ্যা করতে পারেন। তবে আপনার কিছু জানার থাকলে অবশ্যই বাংলায় টাইপ করে, পয়েন্ট আকারে একবারে সব প্রশ্ন লিখুন।


সবশেষে একটা কথাই বলবো, জার্মানীতে উচ্চশিক্ষা কঠিন কিছুই না। ধৈর্য্য ধরতে হবে। মনোবল বাড়াতে হবে এবং লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে।