ডিকেন গানওয়ালা
শখের গায়ক
ফেসবুকে ব্যক্তিগত ওয়ালে বা বিভিন্ন গ্রুপে মায়ের প্রতি ভালবাসা দেখাতে গিয়ে অযথা অনেককে স্ত্রীকে আন্ডার এস্টিমেট বা তাচ্ছিল্য করে পোস্ট দিতে দেখা যায়। আবার অনেকে মা ও স্ত্রীর মধ্যে কাল্পনিক প্রতিযোগিতার ও অবতারণা করেন, এটা কি মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের সঠিক উপায়? এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
যমুনা টিভিতে সকালের গান আর আড্ডা ...
Thank you!
আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি....
আগামিকাল সকাল সাতটায় যমুনা টিভিতে লাইভ গাব। সাথে থাকবেন।
গল্পঃ নবনী
পর্ব - ৩
নবনীর বাবা প্রায়ই অফিসের বিভিন্ন কাজে অনেক সময় ঢাকার বাইরে যেত। নবনী অনেক সময় তার বাবা আর মায়ের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছিল, এরকম ঢাকার বাইরে যেতে পারলে তার বাবার কিছু টাকা রোজগার হত। নবনীর মা তার অনেক পরে, যখন ওরা তিন ভাইবোন একটু বড় হল, তখন সেলাইয়ের কাজ করে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করত। ক্লাস সিক্স থেকে সেভেনে উঠে নবনী ক্যাডেট কলেজে চলে যায়। ক্যাডেট কলেজ থেকে ছুটিতে এসে সে মায়ের সেলাই করা দেখত। সেই ছোট্ট বয়সেই নবনীকে তার জীবন অনেক কিছু শিখিয়েছিল। সেই সময় তার মা তাকে অনেক সময় বাজার সদাই আনতে কাছের দোকানে পাঠাত। বিভিন্ন সময়ে অনেক সদাইপাতির সাথে দুয়েক টা জিনিস ফ্রি পাওয়া যেত। যেমন টুথপেস্টের সাথে ব্রাশ, শ্যাম্পুর সাথে সাবান এরকম। পরে বড় হয়ে তার মনে হয়েছে, দারিদ্র্যের সাথেও অনেক কিছু ফ্রি পাওয়া যায়। যেমন, নিরাপত্তাহীনতা, অপমান, টেনশন, মানুষের কু নজর, মানুষের প্রতারণায় পড়ার অধিক সুযোগ, আরও অনেক কিছু। এগুলো হল খারাপ জিনিস, দারিদ্র্যের সাথে কিছু কিছু ভাল ভাল জিনিসও ফ্রি পাওয়া যায়। যেমন ম্যাচিওরিটি, শক্ত নার্ভ, ভাল অভিযোজন ক্ষমতা, অল্পতে খুশি হওয়ার ক্ষমতা, আরও ভাল ভাল অফার থাকে দারিদ্র্যতাপূর্ণ জীবনে। তবে, দারিদ্র্যের সবচেয়ে খারাপ দিক হল, মনটা ছোট হয়ে যায়। অনেক বড় কিছু চিন্তা বা পরিকল্পনা করার ক্ষমতা শুষে নেয় দারিদ্র্য, অবশ্য এটা একান্তই ব্যক্তিগত মতামত নবনীর।
একদিন, নবনীর বাবা সেরকম একটা কাজে ঢাকার বাইরে গিয়েছিল। নবনীরা তিন ভাইবোন আর তাদের মা ছিল বাসায়। এর আগে এরকম অনেক বার তারা থেকেছে এভাবে। রাতে খেয়ে দেয়ে নবনীরা শুয়ে পড়েছিল। হঠাত রাত এগারোটার দিকে নবনীর মায়ের প্রচণ্ড পেট ব্যাথা ওঠে। আধা ঘণ্টা সেই ব্যাথা সহ্য করে পরে হার মানে ব্যাথার কাছে সালমা। এই ব্যাথার ওষুধ সালমার জানা আছে। কিন্তু ঘরে তখন সেই ওষুধটা ছিল না। বাধ্য হয়ে নবনীকে মোড়ের দোকান থেকে ওষুধটা আনতে পাঠায় তার মা। টাকা নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য যখন গেটের কাছে আসে, তখন সে খুব মিষ্টি একটা গন্ধ পায়। গন্ধটা ইসরাইলের ঘরের দিক থেকে আসছিল। এত সুন্দর গন্ধ আগে কখনো সে পায় নি। কৌতূহলী নবনী গন্ধের উৎস জানতে পা টিপে টিপে ইসরাইলের ঘরে কাছে যায়, তার আধা খোলা জানালা দিয়ে দেখে ইসরাইল খাটে একটা মোমবাতির সামনে বসা। তার ডান হাতে সিলভার রঙের একটা লম্বা রাংতা কাগজ ধরা আর সেই রাংতা কাগজের নিচে সে গ্যাস লাইটার দিয়ে তাপ দিচ্ছে। নবনী বুঝতে পারল এই মিষ্টি গন্ধটা ইসরাইলের রাংতা কাগজে যা পোড়ানো হচ্ছে, তার গন্ধ। হঠাত ইসারাইল নবনীর দিকে তাকাল, নবনী ভয় পেয়ে দৌড়ে পালালো আর সোজা চলে গেল ওষুধের দোকানে।
ওষুধ নিয়ে দ্রুত ফেরত আসল নবনী। গেট দিয়ে মাথা ঢুকাতেই হঠাত কেউ তার মুখ চেপে উঁচু করে ইসরাইলের ঘরের দিকে নিয়ে গেল। ঘরের ভেতর প্রচণ্ড ভীত অবস্থায় মোমের আলোতে নবনী দেখল এটা ইসরাইল আর তার চোখ লাল টকটকে। চেপে ধরা অবস্থায় নবনীর মুখের ভেতরে কাপড় দিয়ে মুখ বেধে ফেলল। এরপর তার হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেধে বিছানার উপর ছুড়ে মারল। বিছানায় গড়াতে গড়াতে কোন এক অবস্থায় তার মুখের বাধন খুলে গেল, জিহ্বা দিয়ে ঠেলা মেরে মুখের ভেতরের কাপড় সরিয়ে সে সারা শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মা বলে জোরে একটা চিৎকার করল। মুখের কাপড় সরে যাওয়ায় এবার ইসরাইল ভয়ে পেয়ে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে গেল। নবনীর চিৎকারে তার মা আর বাসার অন্য তলা থেকে ও লোক জন এসে তাকে বের করে নিয়ে আসল।
নবনীর সেই ভয় কাটতে অনেক বছর লেগেছিল। মাঝে মাঝেই রাতে ইসরাইলের সেই ভয়াল লাল চোখ স্বপ্নে দেখে কেঁপে উঠত ঘুমের ভেতর। তারপর ইসরাইলকে আর কখনো দেখে নি নবনী।
আজ ঘাঘট নদীর তীরে ইসরাইলের লাশ দেখে তার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে। অফিসে গিয়ে ইসরাইলের বিষয়ে একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, ইসরাইল গত পনের ষোল বছর আগে ঢাকা থেকে তার এই নিজের এলাকায় ফেরত আসে আর সে আগাগোড়াই একজন মাদক কারবারি, ১৫ টার উপরে মাদক ছাড়াও হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধের জেরে গতরাতে সে খুন হয়েছে।
বাসায় ফিরে একটা ফ্রেশ শাওয়ার নিয়ে এক মগ চা হাতে ছাদে এল নবনী। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে তার হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রকৃতিকে বলল, ‘থ্যাংক ইউ’।
(সমাপ্ত)
গল্পঃ নবনী
পর্ব - ২
নবনীর বাবা ছিল একজন একজন ছোট খাট চাকুরে। ঢাকায় পোস্টিং ছিল। নবনীরা দুই বোন এক ভাই, নবনী বড়। নিজের জীবনের অনেক বড় কিছু হওয়ার অপূর্ণ থাকা স্বপ্ন গুলো নবনীর বাবা ইদ্রিস আলী তার তিন সন্তানের জীবনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে খুব সচেষ্ট ছিল। তার সামান্য বেতনে শত কষ্ট সহ্য করে, মাসে দুই পয়সা সঞ্চয়ের লোভ সামলে সে তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করত। কারণ ছিল শুধু ছেলেমেয়েদের কে ঢাকার স্কুলে পড়ানো আর জীবনে বড় কিছু হওয়ার উপযোগী ভাল একটা পরিবেশ দেয়া। ইদ্রিস আলীর স্ত্রী সালমা বেগম অনিন্দ্য সুন্দরী এক রমণী। ছেলেমেয়েদেরকে বড় করার ব্যাপারে স্বামীর সাথে সাথে তারও অনেক প্রচেষ্টা।
সালমা বেগমের সাথে যখন ইদ্রিসের বিয়ে হয়, তখন ইদ্রিস সুন্দরী বউ পেয়ে খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার সেই আনন্দ কিছু দিনের মধ্যে টেনশনে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বিয়ের সময় তার পোস্টিং ছিল একটা জেলা শহরে। গ্রাম থেকে বিয়ে করে নতুন বৌ নিয়ে ওঠে অফিসের টিনশেড কোয়ার্টারে। এই সুন্দরী বউ নিয়ে তার টিনশেড কোয়ার্টারের প্রাইভেসিহীন জীবনে অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছিল। আশ পাশের উঠতি বয়সী ছেলে ছোকরাদের অযথা আনাগোনা আর সহকর্মীরা যথেষ্ট বিরক্ত করেছিল তার বিয়ের প্রথম কয়েক মাস। বিয়ের ছয়মাস পরে তার নবনী যখন পেটে, তখন স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আসে ইদ্রিস। এর পরের বছর তার বদলী হয় ঢাকায়।
জেলা শহরের বাজে অভিজ্ঞতা থেকে ইদ্রিস আর ঢাকার অফিসের কোয়ার্টারের দিকে পা বাড়ায় নি। বাইরে ভাল পরিবেশ দেখে একটা বাসা ভাড়া নেয়। বাসাটা ছিল নিচতলার গ্যারেজের পাশে ছোট দুই রুম বিশিষ্ট। গেটে বৃদ্ধ এক দারোয়ান থাকত। এই বাসাতেই নবনীর পর প্রান্ত আর লাবনীর জন্ম হয়। বাড়ির মালিক ছোট চাকরি করত, দূর্নীতির টাকায় এই পাঁচ তলা বাড়ি বানিয়েছে। ইদ্রিস আলীর নিজের উপর ধিক্কার হত মাঝে মাঝে নিজে দূর্নীতি করতে না পারার কারণে। দূর্নীতি সবাই করতে পারে না। তার অফিসের অধিকাংশ কলিগরাই ঘুষ বা স্পিড মানিকে তাদের অধিকার মনে করত এবং নিঃসংকোচে অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছে তা দাবি করত। সালমা বেগমের তীব্র বাধা প্রদান আর নিজের কাপুরুষ আর মিনমিনে টাইপের স্বভাবের কারণে ইদ্রিস কোন দিন দূর্নীতি করতে পারেনি। আমাদের সমাজে সততাকে বোকামি আর অযোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় বলে ইদ্রিসের সব সময় মনে হয়েছে। ‘সততার অহংকার’ এই টাইপ কনসেপ্টকে তার কাছে গাঁজাখুরি কথা বলে মনে হত।
তবুও চলে যাচ্ছিল মন্দ না। ঝামেলার শুরু হল গেটে পাহারায় থাকা বৃদ্ধ দারোয়ানের মৃত্যুর পর। সে মারা যাওয়ার পর বাড়ির মালিকের বৌ ইসরাইল নামের বছর ত্রিশেক বয়সের এক আত্মীয়কে দারোয়ান হিসেবে নিয়োগ দেয়। শুরু থেকেই তার ধূমপানের গন্ধ ভেসে আসত ঘরের ভিতরে। এটা নিয়ে ইদ্রিস তাকে অনুরোধ করে যেন সে সিগারেট দূরে গিয়ে খায়, তাদের অসুবিধা হয়। কিন্তু তাদের সে অনুরোধ সে কখনো শোনেনি। তার ধূমপানের যন্ত্রণায় সালমা বেগম সারাদিন সামনের দরজা জানালা বন্ধ করে ভেতরে বদ্ধ অবস্থায় থাকতে বাধ্য হতো। এছাড়াও, মেয়েদের আল্লাহ পাক পুরুষ মানুষের চোখের ভাষা পড়তে পারার যে অসাধারণ ক্ষমতা দিয়েছেন, সেই ক্ষমতার বলে এক লহমায় সালমা মেপে ফেলত ইসরাইলের ভেতরের ইবলিস কত লম্বা। কিছু দিনের মধ্যে ইদ্রিস খেয়াল করতে লাগল, রাত বারোটার পর কিছু তরুণ যুবক ইসরাইলের কাছ থেকে কি যেন নিয়ে যায়, বুঝতে অসুবিধা হল না যে সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছে। কিন্তু, বাড়ির মালিক আর তার স্ত্রীর সামনে তার বিনয় আর আনুগত্য ছিল দেখার মত। তার সেই চতুর আনুগত্য দিয়ে বাড়ির মালিককে সে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল। দারোয়ানের বিষয়ে অভিযোগ করে খুব একটা ভাল ফল পায়নি ইদ্রিস। সেখান থেকে সে সিদ্ধান্ত নেয় বাসা পাল্টানোর আর নতুন বাসা খোজা শুরু করে।
কিন্তু, এর মধ্যেই ঘটে যায় তখন ক্লাস ফোরে পড়া নবনীর জীবনের সেই ভয়ংকর তম ঘটনা।
(চলবে)
গল্পঃ নবনী
পর্ব -১
সকাল আটটা বিশ বাজে। জানালার পাশে বসে থাকা একটা কাকের বিশ্রী কা কা ডাকে ঘুম ভাঙল নবনীর। নবনী গত তিন মাস হল সার্কেল এ এস পি হিসেবে এই পাগলাপীর এলাকায় জয়েন করেছে। গতকাল রাতে একটা মন্দির ভাঙ্গার ঘটনা নিয়ে ভোর চারটা পর্যন্ত গ্রামের পথে পথে হেঁটে বেড়াতে হয়েছে। সব সিনিয়র স্যাররাও ছিল সারা রাত। ভোর পাঁচটায় ফিরে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করল। এত ক্লান্তির ভেতরে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসে বসেছে জানালার কাকটা। ঘুম জড়ানো এক চোখ খুলে অসহায়ত্ব আর রাগ নিয়ে কাক টাকে দেখে আবার ঘুমের চেষ্টা করল। আধা ঘণ্টা তন্দ্রা আর জাগরণীর সাথে যুদ্ধ করে উঠে বসতে বাধ্য হল শেষে।
টেবিলের উপর নাস্তা রেডি করে ঢেকে রেখে দিয়েছে আকলিমা খালা, নবনীর কাজের বুয়া। আকলিমা খালা নবনীর লাইফ স্টাইলের সাথে নিজেকে সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।যেদিন নবনী রাতে এরকম দেরি করে আসে, সেদিন আকলিমা খালা নিঃশব্দে কাজ করে যাতে নবনীর ঘুমে অসুবিধে না হয়। নবনী এই তিন রুমের ফ্ল্যাটে আকলিমা খালা কে নিয়ে থাকে।
নবনীর বিয়ে হয়েছে বছর চারেক হল। ওর বর প্রতীক পিএইচডি করছে আমেরিকার একটা ইউনিভার্সিটিতে। প্রতীক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের পর প্রতীকের উৎসাহেই বিসিএস এ বসা আর তারপর এই চাকুরীতে যোগদেয়া। নবনী তার পেশাটাকে দারুণ উপভোগ করে। মানুষ যে কত ধরনের হতে পারে, আর খারাপ মানুষের যে কত ধরন থাকতে পারে, তা এই পুলিশ সার্ভিসে যোগ দিয়ে খুব ভাল ভাবে জানা গিয়েছে। অবশ্য পুলিশের চাকরির আগেও তার খারাপ মানুষের পরিচয় পাওয়ার অভিজ্ঞতা যে নাই তা না।
টেবিলে সাজানো নাস্তা খেতে খেতে ফেসবুক উল্টাচ্ছিল নবনী। হঠাৎ একটা থানা থেকে ফোন। কাছেই একটা এলাকায় ঘাগট নদীতে একটা লাশ পাওয়া গেছে। খবর টা শুনে ড্রাইভারকে গাড়ি লাগাতে বলল আর নিজে রেডি হয়ে নিল। সকাল দশ টা এগারোটার আগে এই এলাকার রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা ফাঁকা থাকে। নবনীর গাড়িটা পনের মিনিটের ভেতর ঘাঘট নদীর পাড়ে এসে পৌছালো। গাড়ির দরজা খুলতে খুলতে দূরে মানুষের জড় হওয়া আর তাদের দৃষ্টি দেখে বোঝা গেল লাশটা ঠিক কোথায় পড়ে রয়েছে। মানুষ সরাতে সরাতে নবনী সেদিকে এগিয়ে গেল। লাশের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোকে সরিয়ে নবনীর রাস্তা বানানো হল। একটা পানিতে ভেজা লাশ পড়ে রয়েছে ঘাসের উপর। প্যান্ট আর শার্ট পরা লাশটা। কাছে যেতেই বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠল নবনীর। পঞ্চান্ন বছর বয়সী এই লাশটা যে মানুষের, নবনী তাকে চেনে। তাকে ভোলার জন্য নবনী অনেক চেষ্টা করেছে। ওকে এভাবে লাশ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে নবনী সৃষ্টিকর্তাকে আকুন্ঠ ধন্যবাদ জানাতে থাকল। ওর চোখে মুখে এক অসাধারণ পৈশাচিক আনন্দের আলো খেলে গেল। তারপর একটু সময় নিয়ে নিজের আবেগকে সামলে নিল। তারপর পেশাগত কিছু কাজ শেষ করে আবার গাড়িতে উঠে বসল।
লাশ হয়ে শুয়ে থাকা জানোয়ারটাকে দেখে নবনী ফিরে গেল তার শৈশবের স্মৃতির জগতে।
(চলবে)
মশারা তাদের নিজস্ব কর্মদক্ষতা আর উৎকর্ষতার মাধ্যমে নিজেদের আপগ্রেডেশন আদায় করে নিয়েছে।
আজ ওরা আমাদের কাছে আর 'বিরক্তিকর' নয়, আজ ওরা 'ভীতিকর'.
দেখা হবে আজ রাত দশটায়...
নাম গুম জায়েগা ।। আন প্লাগড ট্র্যাক
শীত বরনের প্রস্তুতি। আমাদের গ্রীষ্মের চরম আর্দ্রতায় খেলাধুলো খুব কষ্টকর হয়ে যায় বয়স্কদের জন্য। শীতের ব্যাডমিন্টন হতে পারে সারা বছরের জন্য একটা স্বাস্থ্য সঞ্চয়ের লাভজনক স্কিম। আপনি প্রস্তুত তো?
মিষ্টি একটা গন্ধ ।। মান্না দের কাভার সং
তুম ইতনা জো ।। গজল।।
সপ্তাহান্তের শুভেচছা। সবার নেক ইচ্ছার বড়শিতে মাছ ধরুক, শুভ কামনা!
কবিতার নামঃ ভেবেছিলাম
কবিঃ স্থপতি রেজা মোঃ সাইফুর রাশিদ,
এক্স ক্যাডেট, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, (২১ ইনটেক),
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগ, ২য় ব্যাচ
- And, we share the same mother and father...
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের কবর কবিতা।।
এই আবৃত্তিটি উতসর্গ করছি Muhammad Rais Uddin Manik স্যার কে। আমার মত নগণ্য একজনকে শিল্পী হিসেবে যারা অকুণ্ঠ স্বীকৃতি দিয়েছেন, আপনি তাদের অন্যতম স্যার।
কবিতাঃ স্বপ্নরা ক্ষয়ে গেছে।
কবিঃ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর শিপন।।
এই নীল মনিহার! অনেক দিন আগে রংপুরে ৯৭-৯৯ বন্ধুদের এক সংগীত আড্ডা!
ফেসবুক এই পেজটা ডিলিট করে দেবে, হুমকি দিয়েছে। অপরাধ কি তা সুস্পস্ট করে জানানোরও দরকার মনে করল না। যদিও সেটিংসে দেখলাম আমার পেজে কোন ভায়োলেশন নাই, তারা রেকোমেন্ড করছে। ঘটনা কি?
কবিতা।। কেউ কথা রাখেনি। সুনীল গংগোপাধ্যায়।
ড্রোন ক্লিপ লোকেশনঃ লবণচরা, খুলনা।
কবিতাটি আমার সহোদর রেজা রাশিদের লেখা। অবশ্যই শেয়ার করে সাথে থাকবেন।
লিজেন্ড ভুপেন হাজারিকা আর আবিদা সুলতানার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নিকোটিন জেল খানার গল্প। পর্ব-১। Share it for good.
Hoto se chulo tum. হোটো সে ছুলো তুম।। জগজিৎ সিং এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী।।
মানুষ তো সব সময় নতুন কিছু খোজে, ফেসবুক পুরোন হতে বা এতে অরুচি তৈরী হতে কত দিন লাগতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
Thank you World University of Bangladesh, EEE Alumni! You guys are very energetic audience, full of life! Best wishes!!!
এই তো সেদিন তুমি।। মান্নাদের গান।
আসছে সামনে শরৎকাল। শরতের আকাশ আর মান্নাদের গান এক অন্যের পরিপূরক। শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন শরতের শুভেচ্ছা।।
পারে লয়ে যাও আমায়। লালন গীতি। লালন শাইয়ের (১৭৭৪ - ১৮৯০) প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অসাধারন আয়োজন ছিল মিরপুরিয়ান ৯৭-৯৯ দের। THANK YOU!
খুব দ্রুত পেজটি কলেবরে বেড়ে চলেছে। এখন এটি তের হাজার মানুষের একটি কমিউনিটি। আপনাদের সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম আর ধন্যবাদ।
আমার পূজার ফুল... A Tribute to the Legend Kishore Kumar.
গানটি শেয়ার দিয়ে আর পেজটা ফলো করে সাথে থাকুন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Dhaka