Sohag Atanu
Nearby arts & entertainment
West Dhanmondi
Dhanmondi 8
Dhanmondi, Dhaka
Dhanmondi,Dhaka,Bangladesh
Dhanmondi
Kalabaga
Uttara
Dhanmondi
Dhanmondi
Dhanmondi
Dhanmondi
Dhanmondi Dhaka
Dhanmondi. Bangladesh
জীবন থেকে জীবন নিয়ে জীবনে জীবন যোগ করা জীবন।
আফরান নিশোর একজন শক্ত ভক্ত!
😭😂🤣😢😭
স্বপ্নে দেখি, বাঙলা একাডেমির দায়িত্ব পেয়েছি। অফিসে গিয়ে দেখি সব ছেঁড়া হয়ে গেছে। আমি কী ছিঁড়ি? শেষে ছেঁড়া গুলোই ছিঁড়তে শুরু করলাম।
পাট শিল্প : সংকট থেকে সম্ভাবনায় রূপান্তর
নিতাই চন্দ্র রায়
পাট শিল্প : সংকট থেকে সম্ভাবনায় রূপান্তর
পাট বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৮৯ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হয়। দেশের ৫০ লাখ কৃষক সরাসরি পাট চাষের সঙ্গে জড়িত। দেশে মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৩ থেকে ৪ ভাগ আসে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। পাট উৎপাদনে বিশ্বে ভারতের অবস্থান শীর্ষে এবং বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। বাংলাদেশ বিশ্বের মোট পাটের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে এবং কাঁচা পাটের ৯০ শতাংশ রপ্তানি করে। পাটকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ৩০৭টি পাট কল রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি পাট কলের সংখ্যা ২৫টি এবং বেসরকারি পাট কলের সংখ্যা ২৮২টি।
পাটকল শ্রমিকরা ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাট ও পাট শিল্প রক্ষা, জাতীয়করণকৃত পাটকল ব্যক্তি খাতে না দেওয়া, সময় মতো মজুরি প্রদান, অবসর-উত্তর পাওনা পরিশোধ এবং বহির্বিশ্বে পাটপণ্যের বাজার সৃষ্টি, মৌসুমের শুরুতে পাট ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানসহ ১১ দফা দাবিতে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘পাট ও পাটশিল্প : সংকট, সম্ভাবনা ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হলো পাট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটচাষিদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করা, গুণগত মানের পাট উৎপাদনে প্রণোদনা প্রদান এবং বাংলাদেশের ব্র্যান্ডকে টিকিয়ে রাখতে সরকারকে অবশ্যই পাট খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের মাধ্যমে পাটকলগুলোয় সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত হলে পুরাতন পাটকলগুলো উন্নত কারখানায় পরিণত হবে। চাষিরাও পাটের ন্যায্যমূল্য পাবেন। ব্যাকোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পও রক্ষা পাবে। বিজেএমসিকে সংস্কার করতে হবে। পাটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী একদল বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষকে ব্যবস্থাপনায় নিয়োগ দিতে হবে। করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় যাদের পাট ও পাটজাত বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় জ্ঞান আছে সেসব বিজ্ঞানীকেও যুক্ত করতে হবে। সরকারি খাতের পাটকলে দ্রুত শতবর্ষের পুরনো যন্ত্রপাতি সরিয়ে আধুনিক ও সর্বশেষ প্রযুক্তি সংবলিত মেশিন প্রতিস্থাপন করতে হবে। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। পাটকলগুলোর প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার নিয়োজিত অতিরিক্ত জনবল কমাতে হবে। আধুনিক ব্যবস্থাপনার উপযোগী জনবল তৈরিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিতদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। পাট মৌসুম শুরুর পূর্বেই পাটকলগুলোকে কাঁচাপাট ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে হবে। পাট শিল্পকে কৃষিশিল্পের মতো সব সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। উৎপাদিত পাটপণ্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে একটি বিশেষ পাট বিষয়ক ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। সরকারের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সব কার্যালয় ও সংস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাটপণ্য ব্যবহার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত পাট প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আন্তরিক উদ্যোগ নিতে হবে।
পাট এমনই একটি কৃষিপণ্য, যার কোনো কিছুই ফেলনা নয়। পাটের পাতা থেকে চা তৈরি করে তা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। পাটকাঠি জ্বালানি ও চারকোল তৈরি কাজে ব্যবহার করা হয়। পাটকাঠি পুড়িয়ে উৎপাদিত চারকোল থেকে প্রিন্টার মেশিনের কালি, ফেসওয়াশ, পানির ফিল্টার, বিষবিধ্বংসী ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহারের জন্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাট থেকে ভিসকস সুতা তৈরি সম্ভব। সেই সুতায় তৈরি পোশাক অনেক আরামদায়ক এবং দামও বেশি। দেশে প্রতি বছর বস্ত্র কারখানাগুলোতে ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টন ভিসকস সুতা আমদানি করা হয়। পাট থেকে সোনালি ব্যাগ তৈরির যে প্রযুক্তি দেশে উদ্ভাবিত হয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। দেশ বিদেশে সোনালি ব্যাগের প্রচুর চাহিদা আছে। পৃথিবীতে প্রতি বছর ৫০০ বিলিয়ন শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদার একটি ক্ষুদ্র অংশ বাংলাদেশের তৈরি সোনালি ব্যাগ দ্বারা পূরণ করা সম্ভব হলে পাট খাতে এক নীরব বিপ্লব সাধিত হবে। শুধু বিদেশে নয়; বাংলাদেশেও প্রতিদিন ৫০০ টন সোনালি ব্যাগ তৈরি হলেও তা বাজারজাতকরণের অসুবিধা হবে না। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পাট পাতা থেকে চা তৈরির কারখানাটি স্থাপিত হলে, তা হবে পাটচাষিদের জন্য আর একটি সু-সংবাদ। কৃষক তখন শুধু পাটের আঁশই নয়; পাতাও বিক্রি করে আয় করতে পারবেন প্রচুর অর্থ। ২০১০ সালে ৬টি এবং পরবর্তীতে ১৩টিসহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার যে আইন প্রণয়ন করেছে, তা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এতে দেশে প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকার পাটপণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হবে। পাটকল ও পাটচাষি উভয়েই লাভবান হবেন। পাট কাটিংস ও নিম্মমানের পাটের সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে নারেকেলের ছোবড়ার সংমিশ্রণে প্রস্তুত পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী জুট জিওটেক্সটাইল ভূমিক্ষয় রোধ, রাস্তা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদীর পাড় রক্ষা ও পাহাড়ধস রোধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন ৭০০ কোটি টাকার ওপর। এসব ছাড়াও পাট দিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, বাহারি ব্যাগ, খেলনা, শোপিস, ওয়ালমেট, আলপনা, দৃশ্যাবলি, নকশিকাঁথা, পাপোশ, জুতা ,স্যান্ডেল, শিকা, দড়ি, সুতলি, দরজা-জানালার পর্দার কাপড়, গহনা ও গহনার বক্সসহ ২৭৫ ধরনের পণ্য দেশে-বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে( জুলাই-ডিসেম্বর) এই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫১ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার , যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২১. ৫৫ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শ্রমিক নেতাদের কথা- বাংলাদেশের সরকারি পাটকলগুলোর বয়স ১৫০ বছর এবং এ প্রযুক্তি এখন আর তেমন কার্যকর নয়। তাই পাটশিল্পের উন্নয়নে আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই। সরকারি পাটকলগুলো আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। চীন থেকে আনতে হবে ৩ হাজার আধুনিক প্রযুক্তির তাঁত। এতে উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে যাবে। কোনো শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন হবে না এবং ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করেও পাটশিল্প ভালোভাবে চালানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে বিজিএমসি বলছে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করলে পাটশিল্পের লোকসান বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং রুগ্ণ প্রতিষ্ঠান চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, পাটের ভরা মৌসুমে যখন পাটের দাম কম থাকে , তখন সরকার পাট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবাহ করে না। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যখন কৃষকের ঘরে পাট থাকে না পাটের দাম বেড়ে যায়,তখন পাট কেনে বিজেএমসির মিলগুলো। এতে কৃষকও পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন এবং মিলগুলোও বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাটকলগুলো ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটশিল্পের ওপর বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হয়। পাটশিল্পে শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা সেখানকার পাটকলগুলো দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনায় ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনে যথেষ্ট অবদান রাখছেন। পাটশিল্পের উন্নয়নে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুরূপ বিশেষজ্ঞ তৈরি করা প্রয়োজন।
বর্তমানে বিজেএমসির অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকলে স্থায়ী শ্রমিক আছে ২৫ হাজার ৫১৯ জন। বদলি তালিকাভুক্ত শ্রমিক ২২ হাজার ৯৯৮ জন। দৈনিক ভিত্তিক তালিকাভুক্ত শ্রমিক ৪ হাজার ৯১০ জন। সব মিলে প্রতিদিন গড়ে কাজ করে ২৭ হাজার ৯৫৭ জন শ্রমিক। পাটকল শ্রমিকদের দাবির মুখে ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন মেনে বেতন দিতে যাচ্ছে বিজেএমসি। তবে পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে স্থায়ী শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। গত ৮ বছরে সরকারের এ খাতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই ৫৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। পাটকলগুলোর লোকসান খুঁজতে গিয়ে ৮টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একজন শ্রমিককে ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী চাকরি থেকে বিদায় জানানো হলে ওই শ্রমিক কমবেশি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পাবেন। ওই টাকা তিনি বিভিন্ন কাজে বা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ভালো আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি যোগ্যতা অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেও সংসার চালাতে পারবেন। ফলে তাদের আর বিনা বেতনে না খেয়ে আন্দোলন করতে হবে না। পক্ষান্তরে সরকারকেও আর লোকসান গুনতে হবে না।
আহারে ইচ্ছে!
ইচ্ছে ইচ্ছে গুলো বন্দি আছে! দিইনে ছাড়া তারে! নিজের......!
#করোনায়_স্বাস্থ্য_ঝুঁকি_এড়াতে_মেনে_চলুন
আসুন প্রথমে জেনে নেই, সবল বা ভালো বিপাকীয় স্বাস্থ্য ( Good Metabolic health) কী?
সবল বা ভালো বিপাকীয় স্বাস্থ্য আমরা তখনই বলবো যখন নীচের পাঁচটি মার্কার স্বাভাবিক রেঞ্জে থাকবে।
১। রক্তের গ্লুকোজ, ২। রক্তচাপ ৩। স্থুলতা ৪। রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ৫। রক্তের HDL-
এই পাঁচটি বিষয় যে কেবল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই নয়, বরং এরা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথেও নিবিড়ভাবে জড়িত।
এই পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন তিনটি যদি স্বাভাবিক রেঞ্জে না থাকে, তবে তাকে আমরা বলবো মেটাবলিক সিন্ড্রোম ( Metabolic Syndrome or Syndrome X) যার অপর নাম দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য (Poor Metabolic health)। মেটাবলিক সিন্ড্রোম কে গবেষকরা ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করে থাকেন।
ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স হল, যখন ইন্সুলিনের প্রতি আপনার কোষ আগের মত আচরন করে না, অর্থাৎ, ইন্সুলিন কোষের রিসিপ্টরের সাথে যুক্ত হতে পারে না। ইন্সুলিনের দু'টি কাজঃ ১) রক্তের গ্লুকোজকে কোষের ভিতর ঢুকানো, ২) অতিরিক্ত গ্লুকোজকে রক্ত থেকে পরীষ্কার করে তাকে চর্বি বানিয়ে পরবর্তী সময় ব্যবহারের জন্য লিভারে জমা করা। রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকলে তা রক্তনালীতে ক্ষতের ও প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে এথেরোসক্লেরোসিস (Atherosclerosis) তৈ্রী করে রক্ত চলাচলে বাঁধা দেয়, ফলে স্ট্রোক বা হার্ট এটাক হতে পারে। ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স হলে তাই রক্তে ইন্সুলিনের পরিমান যেমন বেড়ে যায়, ঠিক তেমনি, এর ফলস্বরূপ রক্তে সুগারের পরিমানও বেড়ে যায়। এর সাথে সাথে লিভারে জমাকৃত চর্বির পরিমানও বাড়তে থাকে। ইন্সুলিন সমস্ত গ্লুকোজকে সরাতে পারে না বলে, তা রক্তের নালীর ক্ষতি করে। যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স আছে তাদের এন্ডোথেলিন ১ নামে একটা পেপ্টাইড বা হরমোন নিঃসরন হয়, যা রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়, রক্তনালীকে সংকুচিত করে, ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
তাহলে বুঝা গেল, ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স থেকেই প্রিডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ মাত্রার কোলেষ্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরী হয়, যা বিভিন্ন হৃদরোগের সৃষ্টি করে।
এখন প্রশ্ন হলঃ ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স কেন হল বা সহজ করে জিজ্ঞাসা করা যায়, কোষ কেন ইন্সুলিনের সঙ্গে এই ব্যবহার করলো? এর কারন হল বার বার খাওয়া বা একটু পর পর খাওয়া এবং শর্করা জাতীয় খাদ্য অত্যধিক খাওয়া। আপনি যখনই শর্করাযুক্ত খাদ্য খাবেন, তখনি আপনার ইন্সুলিন কোষের কাছে যাবে এবং তাকে গ্লুকোজ গ্রহন করতে বলবে। এভাবে বার বার কোষকে ব্যস্ত ও বিরক্ত করলে কোষও একপর্যায় ক্লান্ত (Exhausted) হয়ে পরে ও ইন্সুলিনের প্রতি বিরূপ আচরন করে। উদাহরন দিয়ে বলা যায়, আপনাকে ডাক্তার সাহেব নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে বললেন, কোনো সমস্যা হলে জানাবেন। সুযোগ পেয়ে আপনিও ডাক্তার সাহেবকে ১০ মিনিট পর পর প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে ফোন দিলে, উনি একসময় বিরক্ত হয়ে আপনার নাম্বারটা ব্লক করে দিবেন, এটাই স্বাভাবিক। ইন্সুলিনের ক্ষেত্রে কোষের এই আচরনকেই বলে ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স।
ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স হল মেটাবলিক সিন্ড্রোম ( Metabolic Syndrome or Syndrome X) তথা দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য (Poor Metabolic health) এর প্রধান ট্রিগার ফ্যাক্টর। দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য হলে অবশ্যই কিছু লক্ষন দেখা দিবে। যেমন ধরুন, আপনি দাঁড়ালে যদি আপনার পা না দেখতে পান তবে বুঝে নিতে হবে আপনি দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য-এর দিকে ঝুঁকছেন। পুরুষের পেটের মাপ ( Waist circumference ) যদি ৪০ ইঞ্চি-এর উপর হয় এবং মহিলাদের যদি ৩৫ ইঞ্চি- এর উপর হয়, তবে এমনটি হবার সম্ভাবনা আছে। আবার, পায়ের টিবিয়া হাড়ের উপর যদি চাপ দিলে দেবে থাকে (Pitting edema) , তবে সেটাও দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য-এর লক্ষন হতে পারে।পরীক্ষা করে দেখুন। এছাড়াও চামড়ায় আঁচিলের মত উঠা (skin tags) এবং চামড়ায় কালো দাগের আধিক্য (Acanthosis Nigricans) দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য-এর লক্ষন।
এখন আসুন করোনা ভাইরাস আমাদের কিভাবে আক্রমন করে তা জেনে নেই।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে আমাদের নাকের ভিতর যায়, সেখান থেকে তা ফ্যারিংসে পৌঁছায়। এজন্য আমাদের গলা ব্যথা শুরুতে দেখা যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, তাদের এখানেই ভাইরাসের দৌরাত্য শেষ হয়। কিন্তু যদি এই ভাইরাস শ্বাস নালী হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়, তবে সেখান থেকে কোষে ঢুকার জন্য তার প্রবেশ পথ লাগে, যাকে বলা হয় Entry Point. আমাদের কোষের এক বিশেষ ধরনের এঞ্জাইম থাকে যার নাম ACE2 ( Angiotensin Converting Enzyme 2), যা ফুসফুস, লিভার ও অন্যান্য কোষের (হৃদপিন্ড) আবরনে থাকে, যার সাহায্যে করোনা ভাইরাস আমাদের কোষে প্রবেশ করে। এই ACE2 Enzyme এর সংখ্যা তাদের ক্ষেত্রে বাড়ে যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স ও স্থুলতা (Obesity) আছে। এছাড়াও যারা ধুমপান করেন, তাদের ও কোষে এই এনজাইমের সংখ্যা বেড়ে যায়। যত ACE2 Enzyme বাড়বে, তত ভাইরাস লোড কোষে বাড়বে।
যখন ভাইরাস আক্রমন হয়, তখন একে প্রতিরোধের জন্য আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার ( Immune System) উপর নির্ভর করতে হয়। কোষ তখন সাইটোকাইন ও গ্রোথ ফ্যাক্টর নামে প্রোটিন নিঃসরন করে, যা আমাদের হয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সৈন্য হয়ে লড়াই করে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স আছে তাদের ক্ষেত্রে সাইটোকাইন ও গ্রোথ ফ্যাক্টর ভাইরাসের সাথে সামঞ্জস্য হয়ে নিঃসরন হয় না, ফলে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। অনেক সময়, সাইটোকাইনের নিঃসরন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, ফলে সাইটোকাইন-এর আধিক্যের কারনে ভালো কোষও নষ্ট হয়ে যায়, যাকে সাইটোকাইন ঝড় (Cytokine Storm) বলে ,এতে ভাইরাসের সাথে লড়াইয়ে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা পুরাই বিকল হয়ে পড়ে। এধরনের পরিস্থিতিতে ভেন্টিলেটরে নিলেও করোনা রোগীর বাঁচার আশা থাকে না।
এখানে একটি সুক্ষ্ম বিষয় আলোচনা করা চাই। প্রাথমিক পর্যায়ে ( Early Phase) অর্থাৎ প্রথম ১-৬ দিনের সময় একজন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি যার ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স নেই এবং একজন ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স আছে ব্যক্তির সাইটোকাইন রেস্পন্স প্রায় একই রকম থাকে, পরবর্তী ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স আছে ,তাদের সাইটোকাইন রেস্পন্স বেড়ে যায়। আশ্চর্যজনক যে, যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স আছে, তাদের সাইটোকাইন রেস্পন্স ভাইরাস থেকে মুক্ত হবার পরও ( Recovery Phase 3-5weeks) অস্বাভাবিক বেশী থাকে। এজন্য, আক্রান্তের ১৪ দিন পর করোনা টেস্ট নেগেটিভ হবার পরও রিকভারী ফেজে পুনরায় আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য পত্রিকাতে দেখবেন লেখা থাকে, " তার করোনা টেস্ট আজ নেগেটিভ এসেছে"। দু'দিন পর আবার লেখা আসে, " তার অবস্থার আবারো আবনতি হচ্ছে...... তিনি আজ ভেন্টিলেটরেই মারা গেলেন..."। ভালো করে বুঝে নেন, যাদের ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স থাকে, যাকে আমরা প্রিডায়াবেটিক বলি, তাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে; তাহলে যাদের ডায়াবেটিস, তাদের ক্ষেত্রে কি ঘটনা ঘটবে তা চিন্তা করুন।
এছাড়াও ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স যাদের আছে, তাদের নেচারেল কিলার কোষ ( Natural Killer Cell) যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, গ্লাইকেসনের ( Glycation) মাধ্যমে নষ্ট হয়ে যায়, ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
ইন্সুলিন রেজিস্টেন্সের এই ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি সহজেই বুঝা যায় যাদের ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থুলতা এমনকি ফুসফুসের রোগ পুর্ব থেকেই ছিলো , তারা করোনার দ্বারা আক্রান্ত বেশী কেন হয় আর আক্রান্ত হলে কিভাবে ভেন্টিলেটর পর্যন্ত পৌঁছে।
আপনাদের পরিচিত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের কতজন এইসব মেটাবলিক রোগে ভুগছিলেন আর কয়জন সুস্থ ছিলেন।
অত্যন্ত আশার কথা হলো এই দুর্বল বিপাকীয় স্বাস্থ্য (Poor Metabolic health)যার মূল চাবি ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স তা থেকে অতি সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এবং তা মোটেও ব্যয় সাপেক্ষ নয়। শুধু আপনার ইচ্ছা ও দৃঢ়তার উপর নির্ভর করে। খুব সংক্ষেপে বলছি যেন ভুলে না যানঃ
আপনি শুধু আপনার খাদ্যাভাস একটু বদলে ফেলুন। ব্যাস, আমি যেমনটি বলছি, এটা তেমনই সহজ --ভালো বিপাকীয় স্বাস্থ্য (Poor Metabolic health) আপনার হাতের নাগালে।
কি করতে হবে তাহলে?
১। শর্করার খাদ্যের পরিমান কমিয়ে দিন এবং উথস বদলে ফেলুন। কার্বোহাইড্রেট সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল এর মতো ভালো উৎস থেকে আসা উচিত। যদি কেউ ভাত বা আলু বা রুটি বা ওটস খায় এবং খাবারের পরে তাদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যায়, তাহলে এই খাবারগুলোকে বা নির্দিষ্ট খাবারকে এড়ানোই ভালো। কারন নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়া একই নয়। হয়তোবা আমার জন্য রুটি ঠিক আছে কিন্তু ভাত ঠিক নয় কারন এটি আমার রক্তে সুগার লেভেল হঠাত করে বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, হয়তোবা আইসক্রিম আমার জন্য ঠিক আছে কিন্তু রুটি ঠিক নয় কারন দুই ঘন্টা পরে এটি আমার ব্লাড গ্লুকোজ খুব বাড়িয়ে দেয়। তাই নির্দিষ্ট কার্ব যেটি আপনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে চান, সেটি খাবার পর গ্লুকোমিটার দিয়ে আপনার ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল চেক করুন। যদি নির্দিষ্ট শর্করা গ্রহনের দুই ঘন্টা পর গ্লুকোজ হঠাত করে বেড়ে যায় তাহলে; আপনি ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস হলে তা এড়িয়ে চলা ভালো; আর আপনার পারিবারিক ডায়াবেটিস রোগজনিত ইতিহাস থাকলে বা আপনি সেডেন্টারি কর্মচারী (বেশিভাগ সময় যারা বসে কাজ করেন) হলে সেই নির্দিষ্ট শর্করা সীমিত করা ভালো।
২।ফ্যাট এর ক্ষেত্রে; অলিভ ওয়েল, সরিষার তেল, নারিকেল তেল, বাদাম, ডিমের কুসুম, ঘরে বানানো মাখন, টকদই এবং মাছ এর মতো ভালো ফ্যাট ব্যবহার করা উত্তম। এদের অধিকাংশেরই এইচ ডি এল এবং ওমেগা থ্রি এর মতো ভালো লিপিড আছে। এবং মার্জোলিন, সয়াবিন তেল অথবা যেকোন ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল ( যেহেতু তারা high heated তাই তারা কোষ এবং কোষ প্রাচীরের জন্য প্রদাহী বা ইনফ্লামেটরি) এর মতো বাজে ফ্যাট এড়িয়ে চলা ভালো।
৩।প্রোটিনের মাত্রা ২০ শতাংশের বেশি বাড়ানো উচিত নয় এবং এটি ভালো উৎস থেকে যেমন ডিম, মাছ, ঘাস খাওয়ানো হাস- মুরগী অথবা গরু থেকে আসা উচিত।
৪। সবিরাম উপবাসের অভ্যাস করুন সাধ্যমত। সবিরাম উপবাস (ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং) আমাদের জমাকৃত গ্লুকোজ এবং ফ্যাটকে কাজে লাগাতে সাহায্য করে এবং এভাবে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অটোফেজীর মাধ্যমে সবিরাম উপবাস আমাদের শরীরের কোষগুলোকে পরিষ্কার করে নবজীবন দান করে।
৫। ভালো খাদ্যাভাসের পাশাপাশি একটু ব্যায়ামের অভ্যাস আর রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস আপনাকে দিবে সুস্থ দেহের নিশ্চয়তা। সুস্থ দেহেই সুস্থ মনের আধার। আর জানেন তো সুস্ত দেহে আল্লাহ চান তো করোনা টিকতেই পারে না।
আত্মমর্যাদা যখন আপন জনের কাছে অনিরাপদ, সীমাবদ্ধতা সীমাহীন সময়ের চক্রে ঘূর্ণায়মান, আশার বাসা যখন ঝড়ের মুখে বালুকাবেলা। বাঁচবার বাসনা তখন এক গাল সিগারেটের ধোঁয়া।
গত পনেরো বছর ধরে রচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ। এ লজ্জা কার?
#দেশে #ফ্যাভিপিরাভির #ক্লিনিক্যাল #ট্রায়ালে #সফলতা #মিলেছে
৯২ থেকে শতভাগ সুস্থতা দাবি ভাইরাস নেগেটিভ হয়েছে ৮ থেকে ১০ দিনে
ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যবহৃত জাপানী ফ্যাভিপিরাভির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফলতা মিলেছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেই ওষুধটি সফল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। জাপানের ফ্যাভিপিরাভিরকে কিছুটা সংস্কার করে এ্যাভিফ্যাভির নাম দিয়ে গত ১১ জুন থেকে প্রয়োগ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার ১৫ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সময়ে সুস্থতার হার আশাব্যঞ্জক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানের ফুজিফিল্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান তয়োম ফার্মাসিউটিক্যালসের
তৈরি ফ্যাভিপিরাভির এ্যাভিগান করোনা সারাতে কার্যকর বলে চীনা চিকিৎসকদের দাবির পর সারাবিশ্বে এই ওষুধ নিয়ে আগ্রহ বাড়ে। ওষুধটি নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যেও জাপান ব্যাপকভাবে এটি তৈরি করে সারাবিশ্বে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে চাইছে। একই ওষুধে রাশিয়া তৈরি করে এ্যাভিফ্যাভির নাম দিয়ে ব্যাপকভাবে দেশের করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ শুরু করেছে। রাশিয়া গত ১১ জুন থেকে তাদের দেশের হাসপাতালগুলোয় এ্যাভিফ্যাভির প্রয়োগ করছে। এতে দেশটিতে সংক্রমণের হার একই রকম থাকলেও সুস্থতার হার বেড়েছে। ফলে করোনার এ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমার হার আশা জাগিয়েছে। রাশিয়ার এই পরিস্থিতিতে দেশেও ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদনকারীদের কাছে খোঁজ নিতে গিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশার খবর জানা গেছে।
ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদনকারী কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক গ্লোবাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মঞ্জুরুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, এখন পর্যন্ত দুটি ট্রায়াল হয়েছে। দুটিতেই তারা ওষুধ সরবরাহ করে সহায়তা করেছেন। একটি বিমান বাহিনী করেছে। অন্যটি করেছে সেনাবাহিনী। দুটি ট্রায়ালের ফল দারুণ আশা জাগিয়েছে। মেডিসিন সোসাইটি আরও ৪৮ জনের ওপর একটি বড় ট্রায়াল করছে সেটির ফল হাতে আসতে আরও সপ্তাহখানেক সময় প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, রাশিয়াতেও একই ওষুধ প্রয়োগ হচ্ছে। যেহেতু উন্নত বিশ্বের প্যাটেন্ট জটিলতা রয়েছে সেহেতু ফ্যাভিপিরাভিরকে কিছুটা সংস্কার করে এ্যাভিফ্যাভির নাম দিয়েছে। এখানে দুটি ওষুধ একই; এর কার্যকারিতাও আলাদা কিছু নয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চিকিৎসক এয়ার কমোডর আবদুন নূর ২৯ জনের ওপর চালানো একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কথা উল্লেখ করে জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা দারুণ আশা জাগানো ফল পেয়েছি। তিনি জানান, বিমান বাহিনীর ১২৫ জনের একটি দলের শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। তাদের আমরা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাই। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে তাদের আমরা সিএমএইচে প্রেরণ করি। বাকি ২৯ জনের ওপর ফ্যাভিপিরাভির প্রয়োগ করি। সবাইকে ১৭ মে থেকে ফ্যাভিপিরাভির প্রয়োগ শুরু হয়। এদের প্রত্যেকের ২৪ এবং ২৬ মে পর্যায়ক্রমে দুটি করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জনের ২৪ তারিখে করোনা নেগেটিভ আসে। এর পর তারা শান্তিরক্ষা বাহিনীর মিশনে চলে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ফ্যাভিপিরাভির নিচ্ছিলেন এমন ২৯ জনের মধ্যে বাকি দুজনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, বাকি দু’জনের ৩০ তারিখে করোনা নেগেটিভ আসে। খবরটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক উল্লেখ করে ডাঃ নূর বলেন, আজও আমাদের একটি সেমিনার হয়েছে সেখানে ফ্যাভিপিরাভির প্রয়োগে সফলতার কথা বলেছি।
গত ২ জুন রাশিয়া দাবি করে তাদের উদ্ভাবিত এ্যাভিফ্যাভির ৩৩০ জনের ওপর প্রয়োগ করেছে। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে সফলতার হার ৯০ ভাগের ওপরে দাবি করছে দেশটি। গত ১১ জুন থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে আক্রান্তদের ওপর এই ওষুধটি প্রয়োগ করছে। রাশিয়া বলছে, ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ্যাভিফ্যাভির প্রয়োগে ভাইরাস নেগেটিভ হচ্ছে।
সেই হিসেবে গত ১৫ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত রাশিয়ার সংক্রমণের হার মোটামুটি একই থাকলেও আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেখা গেছে, গত ১৫ জুন রাশিয়াতে এ্যাক্টিভ করোনা আক্রন্ত মানুষ ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮০ জন। ওই দিন আট হাজার ২৪৬ জন নতুন আক্রান্ত হওয়ার পরও ১৬ তারিখে এ্যাক্টিভ করোনা রোগী ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৮ জন। ওই দিন রাশিয়াতে ১৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একইভাবে ১৬ জুন ৮ হাজার ২৪৮ জন নতুন আক্রান্ত হওয়ার পরও ১৭ জুন ১৬ জুনের তুলনায় এ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে দুই হাজারের মতো।
দ্যা মস্কো টাইমসের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ছয় দিনে রাশিয়াতে ৪৭ হাজার ৭৮৮ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে ছয় দিনে ৮৭২ জন মারা গেলেও সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫০ জন। এবং নতুন আক্রান্ত হওয়ার পরও প্রতিদিন করোনায় এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
দেশে ফ্যাভিপিরাভিরের অন্য যে ট্রায়ালটি চালিয়েছিল সেনাবাহিনী সেখানে সফলতার হার ৯২ দশমিক ৬ ভাগ বলে বিকন ফার্মার পরিচালক মঞ্জুরুল আলম জনকণ্ঠকে জানান। তিনি বলেন, ট্রায়ালটি চালিয়েছিলন মেজর জেনারেল ডাঃ আজিজ। তবে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির প্রয়োগ শুরু হয়। ইবোলা ভাইরাসের প্রতিশেধক হিসেবে ব্যবহার হওয়া রেমডেসিভির প্রয়োগ করোনা নিয়ন্ত্রণে ভাল ফল দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের দাবির পর দেশটির খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) রেমডেসিভির প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। রেমডেসিভিরের মূল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্স ভারত এবং পাকিস্তানের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে এর মধ্যেই দেশের দুটি কোম্পানি রেমডেসিভির তৈরি করে। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় ইভারমেকটিন প্রয়োগে দেশে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। এটিও পরজীবী ধ্বংসকারী ওষুধ। সরাসরি করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি নয়। ওষুধটি ইভেরা টুয়েলভ নামে বাজারে এনেছে বেক্সিমকো ফার্মা। অর্থাৎ করনো চিকিৎসায় ভাল কাজ করছে এমনটি জানার পর দেশেও সেই ওষুধ প্রস্তুত করে সরবরাহ করছে কয়েকটি কোম্পানি।
Courtesy: JONOKONTHO
এহেন কথা আমি কহিতে গেলে তাহাদের অনুভূতি তছনছ হইবে। তাই বঙ্গদেশে জন্মাইয়া প্রাণ ভয়ে কেবল মূর্খতা দর্শন করি।
"ভাষা আন্দোলন, মুক্তি যুদ্ধ, সাংস্কৃতিক আন্দোলন সহ দেশের সকল গৌরবময় ইতিহাসের সাথে কামাল লোহানী নামটি যুক্ত। আমরা যা হারালাম তা বর্ণনাতীত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের খবর বেতারে যার মুখে শুনেছিলাম তিনিই কামাল লোহানী।
একুশে পদকপ্রাপ্ত কামাল লোহানী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও সংগঠনের একজন পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন। ছায়ানট, গণ শিল্পী, ক্রান্তি এবং উদীচি গঠনে তার অবদান ভুলবার নয়।সাংবাদিক কামাল লোহানী স্বাধীন বাংলা বেতারের বার্তা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পাবনা জেলা স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হন কামাল লোহানী। সেখান থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি। ১৯৫৩ সালে নুরুল আমিনসহ মুসলিম লীগ নেতাদের পাবনা আগমন প্রতিরোধ করতে গিয়ে তিনি কারা অরণ করেন। মুক্ত হতে না হতেই আবার ১৯৫৪ সালে গ্রেপ্তার হন কামাল লোহানী। সেই সময় তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শে দীক্ষিত হন। তার মৃত্যুতে দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনদিন পূরণ হবার নয়। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
কেউ কি খেয়াল করেছেন, এই মহামারির সময়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে একটা প্যারাডাইম শিফট হয়েছে?
যে রোগীরা আগে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতো কিংবা দেশের বড় কোন কর্পোরেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতো তারা এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগী এবং রোগীর অ্যাটেনডেন্টদের পোশাক দেখলে, মুখের কথা শুনলে বা ডাক্তারদের সাথে তাদের ব্যবহার দেখলেই বুঝা যায় তারা সমাজের অবস্থাসম্পন্ন গোত্রের সদস্য।
এই গোত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে এর আগে কখনোই ঢাকা মেডিকেলের বারান্দায় পা রাখেনি। অথচ আজ তারা সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেরকমই এক কোভিড-১৯ রোগী ঢাকা মেডিকেলে ১৮ দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর আজ ছুটি হয়েছে। রোগীর মেয়ে ছাড়পত্র নেয়ার সময় ছবির এই থ্যাংক ইউ নোটটি আমাকে দেয়।
আমার মতো চিকিৎসকরাও এই গোত্রের চিকিৎসা দিয়ে অভ্যস্ত না। আমরা ডাক্তার হওয়ার পর থেকেই বিত্তহীন, নিম্নবিত্ত কিংবা বড়জোর নিম্ন-মধ্যবিত্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছি। যে রোগীরা ঠিকমতো থ্যাংক ইউও বলতে পারে না। তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদের গাছের পেয়ারা কিংবা মাছের তরকারি উপহার দিয়ে।
চা শ্রমিক দীপক ছিলো অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের রোগী। সে গরীবের চাইতেও গরীব। আমি তাকে দীপক বাবু বলে সম্বোধন করতাম। সে আমাকে তার বাড়ির পোষা মুরগির ডিম উপহার দিয়েছিলো। মুখে ধন্যবাদ বলতে পারে নি৷ কিন্তু তার চোখের তারায় অসম্ভব আনন্দ খেলা করছিলো। ৫০ বছরের জীবনে কেউ তাকে কখনো দীপক বাবু বলে সম্বোধন করেনি।
তাই রোগী এবং রোগীর অ্যাটেনডেন্ট ছুটির সময় ইংরেজিতে থ্যাংক ইউ নোট দিয়ে যাবে এমনটা স্বপ্নেও ভাবিনি। আজ রোগীর অ্যাটেনডেন্টের ব্যক্তিত্বের সামনে আমার নিজেকেই চা শ্রমিক দীপক মনে হচ্ছিলো। দীপকের মতো আমিও মুখে ধন্যবাদ বলতে পারিনি। কিন্তু আমার চোখের তারায় অসম্ভব আনন্দ খেলা করছিলো। দীপকের সেই আনন্দ আমি দেখতে পেলেও আমার আজকের আনন্দ গগলস আর ফেস শিল্ড পার হয়ে রোগীর অ্যাটেনডেন্টের চোখে ধরা পড়েছে বলে আমার মনে হয় না।
এই খুশির মধ্যেও একটা বিষাদ মাথায় ঘুরে ফিরে আসছে। সমাজের বিত্তশালীরা তাও না হয় ঢাকা মেডিকেলের ওয়ার্ডে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে কিন্তু দীপকরা কোথায় যাচ্ছে?
Nazirum Mubin
From the page- Health Cadre Association
আজ ঝড়ের রাতে—
সুন্দরবনে বিপন্ন প্রাণিদের অভিশাপ,
তোমাকে নরক বা জাহান্নামে পৌঁছে দেবেই!
তুমিই এ পৃথিবীর নিকৃষ্টতম প্রাণী।
তোমার বিলুপ্তিই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখবে।
তোমার ধ্বংস অনিবার্য।
যা অনিবার্য তা দ্রুতই ঘটুক।
তোমার আগ্রাসনে ক্ষীপ্ত পৃথিবী,
তোমায় উৎখাতের যুদ্ধে লিপ্ত পৃথিবী!
তীব্র আক্রমণের মুখে তুমি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
তোমার পরাজয় দেখে হাসছে, ঘাস ফুল,
তোমার পরাজয় দেখে নাচছে কদম ডাল।
বনের হরিন কুচকাওয়াজ করতে করতে ঢুকে পড়ছে নগরীতে!
রয়েল বেঙ্গল টাইগার তোমায় দেখে ঘৃণায় বমি করে দিচ্ছে,
শকুনে খেতে চাইছে না, তোমার পচা শরীর।
তোমার অনুপস্থিতিতে দুধের বাছুর
খেলছে তার মাকে ঘিরে।
হাম্বা রবে উল্লাস প্রকাশ করছে সেই বলদটি,
যার আর কিছুক্ষণ পর তোমার রসনার বলি হবার কথা ছিল।
তোমার শিশু সন্তানটি একটি শিম্পাঞ্জির হাত ধরে চলে যাচ্ছে গহীন বনের দিকে.....!
মহামতি অতনু
২০.০৫.২০২০
নড়াইল
বাঁচতে হলে মানতে হবে
বদ অভ্যাস ত্যাগ করুনঃ
কথায় কথায় মুখে আঙুল দেয়া,
কলমের মুখ কামড়ানো,
আঙুল জিহ্বায় লাগিয়ে কাগজ উল্টানো,
থুতু দিয়ে টাকা গোনা ইত্যাদি যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সাথে মাস্ক পরতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
পরিবেশঃ
আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমরা এমন পরিবেশে আছি। নয়ত এই ঘনবসতি পূর্ণ দেশ কবেই শেষ হয়ে যেত। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা খুব ভালো আমাদের। আর্দ্রতা বেশি থাকলে বাতাসে ধুলাবালি কম উড়বে। শীতে আর্দ্রতা কম থাকে, চারিদিক শুষ্ক থাকে বলে বেশি ধুলা ওড়ে। এজন্য শীত প্রধান দেশে এই ভাইরাস হানা দিচ্ছে বেশি। এসি এড়িয়ে চলতে হবে, এসি ঘরের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়।
ইমিউনিটিঃ
এটা অত্যন্ত জরুরী । হার্ড ইমিউনিটির বিকল্প নাই। আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতেই হবে।
শারীরিক এবং মানসিক
শারীরিকঃ
*1নিয়ম মাফিক ঘুমাতে হবে, রাত জাগা খুব খারাপ শরীর ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
2★প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, প্রায় ১৫-৩০ মিনিট। মাসল এক্টিভিটি বাড়াতে হবে।
3★ প্রায়ই রোদে ঘুরতে হবে ছাদে। রোদ দরকার, ভিটামিন ডি লাগবেই।
1★ভাতে তেমন কোন পুষ্টিও নাই, উল্টা অতিরিক্ত ভাত খেলে আপনি মোটা হবেন। ভাত কম খেয়ে তরকারি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
2
★প্রচুর পানি খেতে হবে ( এটা খুব বাজে অভ্যাস আমরা পানি খেতে চাই না)
3★এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। শাক সবজি খেতে হবে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে বাজারে যান, নয়ত ইমিউনিটির অভাবে এমনিও মরতে হবে।
4★ভিটামিন সি বা টক যুক্ত ফল, কমলা, লেবু খেতে হবে। এছাড়াও মৌসুমি ফল খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে লেবু জল খান।
5★ ফাস্ট ফুড একেবারেই বন্ধ , চিনি ও লবণ খাওয়াও কমাতে হবে।
6★আমাদের দেশের মশলা গুলা দারুন কাজের। লবঙ্গ, জিরা, হলুদ, দারুচিনি এই গুলা চমৎকার ভাবে ইমিউনিটি বুস্ট করে। দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবেন, হলুদ অনেক কাজের। চায়ে মশলা মিশিয়ে খাবেন। গ্রিন টি (এন্টিঅক্সিডেন্ট) বেস্ট, গ্রিন টি তে এই মশলা গুলা খেলে অনেক ভাল।
7★ কালিজিরা কার্যকরী একটা জিনিস। প্রতিদিন সকাল বেলা উঠে এক চামচ মধুর সাথে কালিজিরা অনেক ভালো ফল দেবে। এছাড়া কালিজিরা ভর্তা/ভাজি খাবারে সাথেও খেতে পারেন।
মানসিকঃ
ইমিউন বুস্টের জন্য সঠিক হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখা খুব জরুরি। তাই মন কে শান্ত রাখতে হবে, হাসি খুশি থাকতে হবে। যোগব্যায়াম ও প্রাণায়াম করুন।
সবাই ভাল থাকুন আপনি ভালো থাকলে আমিও ভালো থাকবো, আমি ভালো থাকলে আপনিও ভালো থাকবেন।
এই সংকটময় মুহূর্তে আপনার গরীব আত্মীয় স্বজনরা ভালো আছে তো? দানের ভান করে ছোটলোকের পরিচয় দেবেন না। আগে কাছের মানুষদের গোপনে সাহায্য করুন।
দুই দিনের ক্লান্ত পরিশ্রমে ঝর্ণাধারাটি তৈরি করতে সমর্থ্য হয়েছি। যারা দুদিন আমাকে না পেয়ে রেগে আছেন, তারা চাইলে তাদেরও এটি বানিয়ে দিতে পারি।
মহান বিজয় দিবসের শুভেচছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)-র একমাত্র উপদেষ্টা কমরেড বিমল বিশ্বাস। তিনি বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। শহিদ এবং জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, একটি শোষণ মুক্ত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের দিশা নিয়ে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছে। অথচ মুক্তি যুদ্ধের পর সকল সরকারই ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকতে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা থেকে সরে এসেছে। পূনর্বাসন করেছে যুদ্ধাপরাধীদের। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে সে কারণে তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চারনীতিতে অটল থাকতে পারেনি। সংবিধানে একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। ধর্মীয় মৌলবাদকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ম্লান করে দিয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ক'রে একটি শোষণ মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্য বদ্ধ হবার আহ্বান জানান তিনি।
Music & Singer: Tanveer Alam Shawjeeb
Lyric: Hasan Matiur Rahman
Tune: Anup Bhattacharya
প্রথম ভ্রমণে সবই ভালো লাগে, সাদামাটা চায়ের দোকানও, তাই বলি.....................!
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the establishment
Telephone
Website
Address
Dhaka
1205
Dhaka, 1219
For Festival and Occasional Mehndi , Bridal Mehndi. Get your best Mehndi design on budget rate.
Ashulia
Dhaka, 112255
hi friend!I am shanta , nice to meet you all my bear friends.This page created for entertain you all
Dhaka
Hi i am Sabrina Nupur lifestyle. my new page. i am Bangladeshi. welcome to my new page.