SmartTech Properties Ltd.
We are prepared to be a part of a large team as we will have to work with architects, contractors, l The gap between demand and supply is still very massive.
The real estate sector is the growth center for the development of an economy. Bangladesh, being one of the densely populated nations in the world, has been experiencing a severe shortage of houses we call homes for its citizens. Although the majority of the population is segmented into the middle and low-income groups, still housing for all has been a fallacy in Bangladesh. The private sector hou
SPL would like to extend its warm welcome to Mr. Sohel Sheikh for joining as CHIEF OPERATING OFFICER. It's great to have someone like you on board who has an endless chain of working experiences like as Cluster Head in Ratul Properties Ltd, Head of Sales and Marketing in Online Properties Ltd & different role in Navana Real Estate Ltd, Novartis Banngladesh and Square Group. We are utterly excited about the fresh perspectives and ideas you bring to the table. We truly believe your personalized skills and expertise allign perfectly with the company goals, and we can't wait to see the positive impact you will make with your innovative contributions.
Welcome aboard, Mr. Sohel Sheikh!
SPL is extremely proud to share that Mr. Shah MD Jamil has joined as a DIRECTOR OF SPL. We are delighted welcome him to our Company and simply overjoyed with the fact that he will be working as an Administrator in the Legal Department. He has a dynamic & successful 18 years experience in Grameenphone . We wholeheartedly respect his decision as he has choosen a company that is committed to providing excellence and superior professionalism to the clients. We believe, with his fresh thoughts, optimistic approaches and dynamic professionalism, the company will reach new heights.
Welcome Aboard, Mr. Shah Md. Jamil.
SPL is hilariously thrilled and excited to declare the joining of Mr. Subir Kumar Das as one of the directors. Our heartiest Congratulations & THANKS for joining the winning team. We eagerly look forward to the growth of our professional relationship as he navigate us towards further success with his successful 18 years of experience in Grameenphone. We will do our best to make sure that his vision becomes a reality.
Welcome Aboard, Mr. Subir Kumar Das.
লেকের পানির ছলছল ধ্বনিতে, প্রকৃতি নির্ভর শান্ত মনোরম পরিবেশেই হোক আপন ঠিকানা ।
আধুনিক নগরায়ণের (lifestyle amenities) সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ঢাকার ভবিষ্যৎ প্রাণকেন্দ্র বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়া এম ব্লক- এ, মাত্র ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনিও হয়ে যান আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাটের জমির মালিক।
দ্রুতই শেষ হচ্ছে শেয়ারের সংখ্যা, নয় (৯) তলা বিল্ডিংয়ের মধ্যে আর স্বল্প সংখ্যক শেয়ার বাকি আছে।
প্রকল্পের বিবরণঃ
প্রজেক্টের নামঃ এসপিএল ক্রিস্টাল প্যালেস
ঠিকানাঃ ব্লক-এম, বসুন্ধরা
জমির পরিমাণঃ ৮ কাঠা
রোড সাইজঃ প্লটের সামনের রাস্তা ২৫ফিট, ৭টা প্লট পরে ৫০ ফিট এভিনিউ রোড।
ফ্ল্যাট সাইজঃ ১৮০০+ স্কয়ারফিট
প্রকল্পের অবস্থানঃ লেক নিকটবর্তী (তিন প্লট পরেই লেকটির অবস্থান)
রাস্তাঃ ২৫ ফিট
মোট শেয়ারঃ ১৬টি
ইউনিট সংখ্যাঃ ২টি
পার্কিংঃ ১টি
কানেক্টিংঃ ৩০০ ফিট ও মাদানী এভিনিউ কানেক্টিং, ২০০ ফিট রোডের অতি সন্নিকটে।
প্রতি ইউনিটে যা থাকবেঃ
বেডরুমঃ ৩টি
বাথরুমঃ ৩টি
বারান্দাঃ ২টি
লিভিংরুমঃ ১টি
ডাইনিংরুমঃ ১টি
কিচেনরুমঃ ১টি
বিল্ডিংয়ে যা যা থাকবে ঃ
ভূমিকম্প সহায়ক মজবুত কাঠামো
আধুনিক ফায়ার সেফটি সিস্টেম
উন্নতমানের লিফট
সিসিটিভি ক্যামেরা
ইন্টারকম
কমিউনিটি হল
জেনারেটর
এলপিজি
সাবস্টেশন
সোলার
এছাড়াও প্রকল্পের কাছেই রয়েছেঃ
এভারকেয়ার হাসপাতাল
দেশসেরা স্বনামধন্য আর্ন্তজাতিক মানের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়
বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদ
বসুন্ধরা কর্তৃক নির্মিতব্য বহুতল ও আধুনিক গ্রোসারী শপ
আন্তর্জাতিক র্স্পোটস জোন।
তাই আজই আসুন মাত্র ৬৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে নিজের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ুন।
এর মধ্যে যা যা অন্তর্ভূক্ত থাকবে
জমিসহ শেয়ার মূল্য
বসুন্ধরা নাম ট্রান্সফার ফি
রেজিস্ট্রেশন ফি
নামজারি ফি
সরকারী গেইন ট্যাক্স
বিস্তারিত আরও তথ্য জানতে যোগাযোগ করুনঃ-
হটলাইন নাম্বারঃ ০১৭২১৯২৬৬৮০
আমরা আছি এই ঠিকানায়ঃ
১৬৭/২৪, ব্লু মুন গ্র্যাম টাওয়ার
লেভেল-৮, ইসিবি চত্বর,
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা -১২০৬।
আলহামদুলিল্লাহ বসুন্ধরা আই ব্লকে “এসপিএল গ্রীন পার্ক” এর ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলো।
Exciting Update! Relish the finest cakes and bakery delights at CLOUD CAKE & FOODS, Dhaka's premier bakery. Expanding to 6 areas by December '23, with plans for complete city coverage soon. Explore our unbeatable prices, delivering the utmost in quality and taste.
Proudly affiliated with Future Destination Limited and SmartTech Properties Ltd.
Best wishes from our group to cake & Food ! 🍰🌟
অভিনন্দন বাংলাদেশ! ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের বিজয়ে স্মার্টটেক প্রোপার্টিজ লিমিটেড পরিবার আনন্দিত!
Job Title: Digital Marketer
Vacancies: 2
Employment Type: Full-time
Office Hours: 9:00 AM to 6:00 PM (Saturday to Thursday)
Location: Baridhara, Dhaka
Job Description:
We're seeking an enthusiastic, creative, and highly motivated Digital Marketer to join our team. As a Digital Marketer, you will be responsible for creating and executing digital marketing strategies and campaigns.
Requirements:
• Proficiency in META Ads
• Expertise in Google Ads
• Strong skills in implementing digital marketing strategies, including SEO/SEM
Additional Requirements:
• Minimum of 2 years of digital marketing experience, preferably in an e-commerce setting
• Familiarity with website analytics tools like Google Analytics and the ability to make data-driven decisions for e-commerce sites
• Experience in setting up and optimizing Google Adwords and Google Shopping campaigns
• Knowledge of developing and implementing digital marketing strategies, covering SEO/SEM, email marketing, social media marketing, display advertising, affiliate marketing, and website optimization
Monthly Salary: Competitive and Negotiable, based on skills and experience
Other Benefits:
• Two Festival Bonuses
• Annual Salary Increment
• Performance Bonuses
• A conducive working and learning environment
If you meet the requirements and are interested in this opportunity, please submit your resume in PDF format with a photo to "[email protected]" and use the email subject: "Applying for Digital Marketer - Your Name"
⚡স্মার্টটেক প্রোপার্টিজ লিঃ নিয়ে এলো অবিশ্বাস্য এক সুযোগ!!⚡
💵 মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকায় শুরু হক আপনার স্বপ্ন যাত্রা! আপনার কষ্টার্জিত টাকার বিনিয়োগ হোক সঠিক জায়গায়।
সকল নাগরিক সুবিধা সম্বলিত ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়াতে মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে হয়ে যান লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক।
💥মাত্র এককালীন ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনিও হতে পারবেন ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক। এর সাথে পাচ্ছেন বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার, রেজিস্ট্রেশন, ল্যান্ড মিউটেশন, গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ। ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার কিনে মাত্র ২৫০০ টাকা (+-) স্কয়ার ফিট নির্মাণ খরচে আমাদের সাথে শুরু করতে পারবেন ১৮০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ।
এভাবে প্রায় আরও ৪৫ লক্ষ টাকা নির্মাণ খরচে হয়ে যান আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাটের মালিক! যা কিনা বর্তমান বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক!
*দ্রুতই শেষ হচ্ছে শেয়ারের সংখ্যা। মাত্র ১৬টি শেয়ারের মধ্যে আর মাত্র অল্প সংখ্যক শেয়ার বাকি!*
✅ প্রকল্পের সুবিধা সমূহঃ
• ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার
• প্রতি শেয়ার মূল্য ৫৫ লাখ
• বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার
• রেজিসট্রেশন
• ল্যান্ড মিউটেশন
• গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ
✅ প্রকল্পের বিবরণঃ
• লোকেশন বসুন্ধরা এম ব্লক
• ২০০ ফিট রাস্তার কাছে
• জমির পরিমান ৮ কাঠা
• মোট শেয়ার ১৬টি
• ফ্ল্যাট সাইজ ১৮০০ স্কয়ার ফিট
• প্রতি ফ্লোরে ইউনিট সংখ্যা ২ টি
• সাথে পাচ্ছেন ১টি পার্কিং
✅ ফ্ল্যাটের সুবিধাঃ
• বেডরুম ৩টি
• বাথরুম ৩টি
• বারান্দা ২টি
• ড্রয়িং রুম
• ডাইনিং রুম
• কিচেন
• লিফট ও সিড়ি
• কার পার্কিং
বসুন্ধরা এম ব্লকে প্রকল্পের কাছেই আছে এভারকেয়ার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ, মসজিদ, সুপারমার্কেট, বাজার, প্রশস্ত রাস্তা সহ সকল নাগরিক সুবিধাদি।
💵তাই মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা নিরাপদে বিনিয়োগ করে নিজের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ুন।💵
📱বিস্তারিত জানতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের হটলাইনেঃ ০১৯২৭৪৪২২৪৪
☎️ ০১৭১১০৮০৬১২, ০১৭১১৫০৭৮৫০
🏢আমাদের অফিসঃ বাসাঃ ০১, রোড নং ৮, বারিধারা জে ব্লক, ৩য় তলা, ঢাকা ১২১২
⚡স্মার্টটেক প্রোপার্টিজ লিঃ নিয়ে এলো অবিশ্বাস্য এক সুযোগ!!⚡
💵 মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকায় শুরু হক আপনার স্বপ্ন যাত্রা! আপনার কষ্টার্জিত টাকার বিনিয়োগ হোক সঠিক জায়গায়।
সকল নাগরিক সুবিধা সম্বলিত ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়াতে মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে হয়ে যান লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক।
💥মাত্র এককালীন ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনিও হতে পারবেন ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক। এর সাথে পাচ্ছেন বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার, রেজিস্ট্রেশন, ল্যান্ড মিউটেশন, গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ। ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার কিনে মাত্র ২৫০০ টাকা (+-) স্কয়ার ফিট নির্মাণ খরচে আমাদের সাথে শুরু করতে পারবেন ১৮০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ।
এভাবে প্রায় আরও ৪৫ লক্ষ টাকা নির্মাণ খরচে হয়ে যান আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাটের মালিক! যা কিনা বর্তমান বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক!
*দ্রুতই শেষ হচ্ছে শেয়ারের সংখ্যা। মাত্র ১৬টি শেয়ারের মধ্যে আর মাত্র অল্প সংখ্যক শেয়ার বাকি!*
✔️প্রকল্পের সুবিধা সমূহঃ
• ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার
• প্রতি শেয়ার মূল্য ৫৫ লাখ
• বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার
• রেজিসট্রেশন
• ল্যান্ড মিউটেশন
• গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ
✔️প্রকল্পের বিবরণঃ
• লোকেশন বসুন্ধরা এম ব্লক
• ২০০ ফিট রাস্তার কাছে
• জমির পরিমান ৮ কাঠা
• মোট শেয়ার ১৬টি
• ফ্ল্যাট সাইজ ১৮০০ স্কয়ার ফিট
• প্রতি ফ্লোরে ইউনিট সংখ্যা ২ টি
• সাথে পাচ্ছেন ১টি পার্কিং
✔️ফ্ল্যাটের সুবিধাঃ
• বেডরুম ৩টি
• বাথরুম ৩টি
• বারান্দা ২টি
• ড্রয়িং রুম
• ডাইনিং রুম
• কিচেন
• লিফট ও সিড়ি
• কার পার্কিং
বসুন্ধরা এম ব্লকে প্রকল্পের কাছেই আছে এভারকেয়ার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ, মসজিদ, সুপারমার্কেট, বাজার, প্রশস্ত রাস্তা সহ সকল নাগরিক সুবিধাদি।
💵তাই মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা নিরাপদে বিনিয়োগ করে নিজের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ুন।💵
📱বিস্তারিত জানতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের হটলাইনেঃ ০১৯২৭৪৪২২৪৪
☎️ ০১৭১১০৮০৬১২, ০১৭১১৫০৭৮৫০
🏢আমাদের অফিসঃ বাসাঃ ০১, রোড নং ৮, বারিধারা জে ব্লক, ৩য় তলা, ঢাকা ১২১২
১৫ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবসে স্মার্টটেক প্রোপার্টিজের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
#শোকদিবস
**স্মার্টটেক প্রোপার্টিজ লিঃ নিয়ে এলো অবিশ্বাস্য এক সুযোগ!!** ⚡
💵 মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকায় শুরু হক আপনার স্বপ্ন যাত্রা! আপনার কষ্টার্জিত টাকার বিনিয়োগ হোক সঠিক জায়গায়।
সকল নাগরিক সুবিধা সম্বলিত ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়াতে মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে হয়ে যান লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক।
💥মাত্র এককালীন ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনিও হতে পারবেন ফ্ল্যাটের জমির শেয়ারের মালিক। এর সাথে পাচ্ছেন বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার, রেজিস্ট্রেশন, ল্যান্ড মিউটেশন, গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ। ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার কিনে মাত্র ২৫০০ টাকা (+-) স্কয়ার ফিট নির্মাণ খরচে আমাদের সাথে শুরু করতে পারবেন ১৮০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ।
এভাবে প্রায় আরও ৪৫ লক্ষ টাকা নির্মাণ খরচে হয়ে যান আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাটের মালিক! যা কিনা বর্তমান বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক!
*দ্রুতই শেষ হচ্ছে শেয়ারের সংখ্যা। মাত্র ১৬টি শেয়ারের মধ্যে আর মাত্র অল্প সংখ্যক শেয়ার বাকি!*
✔️প্রকল্পের সুবিধা সমূহঃ
• ফ্ল্যাটের জমির শেয়ার
• প্রতি শেয়ার মূল্য ৫৫ লাখ
• বসুন্ধরা নাম ট্র্যান্সফার
• রেজিসট্রেশন
• ল্যান্ড মিউটেশন
• গভর্নমেন্ট গেইন ট্যাক্স খরচ
✔️প্রকল্পের বিবরণঃ
• লোকেশন বসুন্ধরা এম ব্লক
• ২০০ ফিট রাস্তার কাছে
• জমির পরিমান ৮ কাঠা
• মোট শেয়ার ১৬টি
• ফ্ল্যাট সাইজ ১৮০০ স্কয়ার ফিট
• প্রতি ফ্লোরে ইউনিট সংখ্যা ২ টি
• সাথে পাচ্ছেন ১টি পার্কিং
✔️ফ্ল্যাটের সুবিধাঃ
• বেডরুম ৩টি
• বাথরুম ৩টি
• বারান্দা ২টি
• ড্রয়িং রুম
• ডাইনিং রুম
• কিচেন
• লিফট ও সিড়ি
• কার পার্কিং
বসুন্ধরা এম ব্লকে প্রকল্পের কাছেই আছে এভারকেয়ার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ, মসজিদ, সুপারমার্কেট, বাজার, প্রশস্ত রাস্তা সহ সকল নাগরিক সুবিধাদি।
*তাই মাত্র ৫৫ লক্ষ টাকা নিরাপদে বিনিয়োগ করে নিজের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ুন।*
📱বিস্তারিত জানতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের হটলাইনেঃ ০১৯২৭৪৪২২৪৪
🏢আমাদের অফিসঃ বাসাঃ ০১, রোড নং ৮, বারিধারা জে ব্লক, ৩য় তলা, ঢাকা ১২১২
Alhamdulliah
আলহামদুলিল্লাহ আজ বসুন্ধরা আই ব্লকে “এস পি এল গ্রীন পার্ক” এর পাইলিং এর কাজ শুরু হলো।
Project: SPL Green Park
Location: Road # 32, Plot # 1457, Block # I , Bashundhara, Dhaka
Project Status: Pilling on going
Project: Swapner Thikana
Location: Road # 20, Plot # 2194, Block # L, Bashundhara, Dhaka
Project Status: 5th Floor Slab Casting
Project: Swapner Thikana
Location: Road # 20, Plot # 2194, Block # L, Bashundhara, Dhaka
Project Status: 1 Floor Slab Casting
Project: Swapner Thikana
Location: Road # 20, Plot # 2194, Block # L, Bashundhara, Dhaka
Project Status: Column Shuttering
"LAND WANTED" for Joint Venture Development.
Anywhere Located at L and M Block
Front Road 20 feet wide.
Please Contact: 01927442244
SmartTech Properties Limited is a Real Estate & Construction company in Bangladesh.
SmartTech Properties Limited is a name of Good Quality & Commitment. SmartTech Properties Limited Established for Ensuring Best Quality, keeping commitments also world-class Structure and Architecture design.
Project Name: Green Park
Location: Block # I, Bashundhara, Dhaka
Collecting Soil for Soil Test.
Our Upcoming Project.
Haji Camp, Ashkona, Dhaka.
Congratulation Bangladesh Team!
Population is not a big deal. Population should utilize properly. Then it will the turning factor for our country.
Eid Mubarak!
Now we are part of history. Congratulations Bangladesh!
Today we attend a good Stress Management Session at our Corporate Office.
World Environment Day!
কীর্তিমান ও সৃষ্টিশীল স্থপতি সিজার পেল্লি:
গত ১৯ জুলাই, ২০১৯-এ ৯৩ বছর বয়সে সাম্প্রতিককালের একজন প্রতিভাবান ও সৃষ্টিশীল স্থপতি সিজার পেল্লি আমেরিকার কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেনে তাঁর বাড়িতে গত হয়েছেন। তিনি মূলত বহুতল ভবনের নকশায় তাঁর স্থাপত্যশিল্পের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি আর্জেন্টিনার সান মিগুয়েল দে টুকুমেনে ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্থাপত্যে লেখাপড়া করেছেন ইউনিভার্সিটিজড ন্যাশনাল দে টুকুমানে এবং ১৯৪৯ সালে স্নাতকপ্রাপ্ত হন। প্রথমদিকে স্বল্পমূল্যের বাসগৃহ নকশায় নিয়োজিত হন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্কুল অব আর্কিটেকচার থেকে স্থাপত্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণশেষে ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্মান লাভ করেন ও তখন থেকেই তাঁর স্ত্রী ডায়ানা বালমোরিসহ আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করেন।
এই সময়ে মিশিগানের বস্নুমফিল্ড হিলসে অবস্থিত স্থপতি এরো সারিনেনের অফিসে যোগ দেন এবং সেখানে ১০ বছর অতিবাহিত করেন। তাঁর সঙ্গে পেল্লি জন এফ কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সুবিখ্যাত টিডবিস্নউএ টার্মিনাল নকশায় যুক্ত ছিলেন এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটির দি মর্সে অ্যান্ড স্টিলস কলেজেসের স্থাপত্য নকশার সঙ্গেও।
এরপর লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থাপিত স্থাপত্য-আপিস ড্যানিয়েল, মান, জনসন অ্যান্ড মেনডেনহলের ডিরেক্টর অব ডিজাইন হিসেবে যোগ দেন ১৯৬৪ সালে। তখন একটি প্রকল্পের নকশা করেন এবং সেটা ছিল সানসেট মাউনটেন পার্ক আরবান নিউক্লিয়াস নামে যদিও তা বাস্তবে নির্মিত হতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে, ১৯৬৮ সালে গ্রম্নয়েন অ্যাসোসিয়েটের ডিজাইন পার্টনার হয়ে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৬৯-এ মেরিল্যান্ডের ক্লার্কসবার্গে কমস্যাট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ প্রকল্পের নকশায় নিয়োজিত হন। তখনই তাঁর স্থপতিজীবনের প্রথম উলেস্নখযোগ্য ও গুরুত্ববহনকারী প্রকল্প ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসিফিক ডিজাইন সেন্টার, যেটি ওয়েস্ট হলিউডে নির্মিত হয় ১৯৭৫ সালে, এই বিখ্যাত ভবনের বিশালত্ব এবং নীল রঙের জন্য এলাকার মানুষজনের কাছে ‘নীল তিমি মাছ’ হিসেবে এটি পরিচিতি লাভ করে। পেল্লি সেই সময় জাপানের টোকিওতে ইউনাইটেড স্টেটস এমবাসি ভবনেরও নকশা করেন। তিনি স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষক হিসেবেও নিজেকে ব্যস্ত রাখেন স্থাপত্যপেশা চর্চার পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি ইউসিএলএতে।
সিজার পেল্লি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯-এর মধ্যে নিজেকে বহু স্থাপত্য প্রকল্পের পেশা চর্চায় ব্যস্ত রাখেন, সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক হিসেবেও। এই সময়ে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত স্থাপত্য প্রকল্পের উলেস্নখ করা যায়।
কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেনে অবস্থিত ইয়েল স্কুল অব আর্কিটেকচারের তিনি ১৯৭৭ সালে ডিন হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৪ পর্যন্ত সে-দায়িত্ব পালন করেন। ইয়েলে আসার পর সিজার পেল্লি নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট ভবনের সম্প্রসারণ এবং সংরক্ষণ-সংযোজনের দায়িত্ব লাভ করেন এবং তখনই তিনি তাঁর নিজের স্থাপত্য উপদেষ্টা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন সিজার পেল্লি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নামে। ১৯৮৪ সালে তখন মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট রেসিডেনসিয়াল টাওয়ার শেষ হয় সংযোজন ও বিনির্মাণের সঙ্গে। ১৯৮৮-তে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারের উইন্টার গার্ডেনের প্রসারিত বিশাল গণপরিসর বাস্তবায়িত হয়। এর আগে ১৯৮৪ সালে হয় ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে ক্রাইল ক্লিনিক বিল্ডিং, একই বছরে টেক্সাসের হিউস্টনে রাইস ইউনিভার্সিটির হেরিং হল। ১৯৮৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট হলিউডে প্যাসিফিক ডিজাইন সেন্টারের গ্রিন বিল্ডিং এবং ১৯৮৯-এ মিনেসোটায় মিন্নিয়াপলিসের ওয়েলস ফারগো সেন্টার প্রকল্পের স্থাপত্য নির্মাণ শেষ হয়। সিজার পেল্লি ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে অনেক উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখেন শিক্ষকতা এবং স্থাপত্যচর্চায়। এ সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯১ সালে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকটস তাঁকে দশজন মেধাবী স্থপতির মধ্যে অন্যতম প্রধান প্রাধান্য বিস্তারকারী আমেরিকান স্থপতি হিসেবে নির্বাচিত করে। একই প্রতিষ্ঠান তাঁকে ১৯৯৫ সালে স্বর্ণপদক প্রদান করে সম্মান দেখায়। ২০০৪ সালে পেল্লি ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা দুলুথ থেকে ওয়েবার মিউজিক হল নকশা করার জন্য একটি সম্মানসূচক ডক্টর অব হিউম্যান লেটার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ২০০৫-এ কানেকটিকাট আর্কিটেকচার ফাউন্ডেশনের সম্মানিত নেতৃত্ব প্রদানকারী পুরস্কার লাভ করেন।
এই সময়কালে সিজার পেল্লি তাঁর বিভিন্ন স্থাপত্য প্রকল্পের নকশায় নানামুখী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শুরু করেন, বিশেষ করে ভবনে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীকে কেন্দ্র করে। বহুতল ভবনের স্টেইনলেস স্টিল তার মধ্যে অন্যতম। তখন, ১৯৯১ সালে, লন্ডনের ক্যানারি হোয়ার্ফে ওয়ান ক্যানাডা স্কয়ার, একই সালে নির্মিত ক্যালিফোর্নিয়ার কস্তা মেসায় প্লাজা টাওয়ার এবং ১৯৯৫ সালে সমাপ্ত হয় টোকিওর এনটিটি হেডকোয়ার্টার্স বহুতল ভবন। আসলে এগুলো পেল্লির মালয়েশিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী কুয়ালালামপুরে নির্মিত পেট্রোনাস দ্বৈত বহুতল ভবন নকশার প্রাথমিক স্থাপত্যকর্ম হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৯৭ সালে সমাপ্ত হওয়া এই ভবনে ব্যবহৃত স্টেইনলেস স্টিলের পাত দ্বারা পরিকল্পিত ইসলামি নকশার নানা অনুষঙ্গমিশ্রিত হয়ে বাস্তবে রূপ নেয় এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিত ছিল। এটি সেই বছরেই আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার লাভ করে।
২০০৫ সালে জাপানের ওসাকায় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আর্ট প্রকল্প শেষ হয় এবং ওই সময়ে পেল্লির উপদেষ্টা স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান পেল্লি ক্লার্ক পেল্লি আর্কিটেকটস নামে নতুনভাবে তাঁর পার্টনার ফ্রেড ডবিস্নউ ক্লার্ক আর পুত্র রাফায়েল পেল্লি দ্বারা গঠিত হয়।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভবন সৃষ্টিতে নিমগ্ন ছিলেন তিনি। স্কুইল কিল নদীর তীরে সিরা সেন্টারের নকশা করেন এবং এটি ২০০৬ সালে শেষ হয়। আমেরিকার ছাত্রাবাস নির্মাণে নিয়োজিত হন মাস্টারপস্ন্যান-প্রস্তাবিত বহুতলবিশিষ্ট সিরা সেন্টার সাউথে এবং ভবনটি উৎসর্গিত হয় ছাত্রদের আবাসিক ব্যবস্থার প্রতি। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্রাবাস ভবন এই সময়ের পরে ২০১৪ সালে শেষ হয়। সিরা সেন্টার সাউথ ডেভেলপমেন্টের আওতাধীন ৭৩০ ফুট উঁচু যৌগ ব্যবহারের বহুতল বিলাসবহুল দালানেরও স্থপতি ছিলেন পেল্লি।
আগে তিনি বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক ও গণভবনের নকশা বাস্তবে রূপ দেন। এর মধ্যে ২০০৬ সালে উদ্বোধিত ফ্লোরিডার মিয়ামিতে অবস্থিত পারফর্মিং আর্টস ও মিনেপলিস সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ভবন উলেস্নখ্য। রেনি হেনরির সিগারস্ট্রম কনসার্ট যেটি ক্যালিফোর্নিয়ার কস্তা মেসাতে স্যামুয়েলি থিয়েটার ভবনের সঙ্গে সেই সময়ে নির্মিত হয়।
পেল্লি গত দশকে এশিয়া ও দক্ষক্ষণ আমেরিকায় অনেক বহুতল ভবনের নকশা করেন। ২০১২ সালে তাঁর ৪০ বছর আগের নকশা করা যখন গ্রম্নয়েন অ্যাসোসিয়েটসে কর্মরত ছিলেন, সেই সময়ের প্যাসিফিক ডিজাইন সেন্টারের তিনটি ভবন একটি রেড বিল্ডিংসহ শেষ হয়।
২০০৮ সালে সিজার পেল্লি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। একই সময় তিনি কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট (সিটিবিইউএইচ) কর্তৃক দ্য লিন এসবিডল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে ভূষিত হন। ২০১২ সালে পেল্লি দ্য প্লাটিনাম কোনেক্স অ্যাওয়ার্ড এবং দৃশ্যমান শিল্পের জন্য লাভ করেন দ্য ডায়মন্ড কোনেক্স অ্যাওয়ার্ড। তিনি ২০১০ সালে আবুধাবিতে দ্য ল্যান্ডমার্ক টাওয়ার ও স্পেনের সেভিলে সেভিল টাওয়ার শেষ করেন এবং সেই সময়ে শেষ হয় সানফ্রান্সিসকোর ট্রান্সবে ট্রানজিট সেন্টারের প্রথম পর্যায়ও। ২০১৯ সালে আরো উলেস্নখযোগ্য সম্মানে ভূষিত হন। তা হলো পেল্লির নকশা করা সেলসফোর্স টাওয়ারটি সিটিবিইউএইচ কর্তৃক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ উঁচু বা বহুতলবিশিষ্ট ভবন হিসেবে আখ্যায়িত হয়।
সিজার পেল্লি বর্ণাঢ্য স্থাপত্যশিল্পের সৃজনশীল ৯৩ বছরের জীবনে বহুরকম ভবন নকশা করলেও বিশ্বের বিভিন্ন শহরে সুউচ্চ আকাশছোঁয়া কিছু দালানের জন্য তিনি তাঁর নিজস্বতা নিয়ে পরিচিত হয়ে থাকবেন। এর মধ্যে কিছু ভবন সম্বন্ধে আলোচনা করা যেতে পারে। এ কথা নিশ্চিত যে, আধুনিক নগরায়ণের অন্যতম দিকচিহ্ন হচ্ছে আকাশস্পর্শী বহুতলবিশিষ্ট অট্টালিকাসমূহ। বর্তমানে সব শহর বা নগরে এসব দৃশ্যমান। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আবিষ্কৃত বিদ্যুৎশক্তি, ভারবহন যন্ত্র বা লিফট, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রসহ নির্মাণপদ্ধতি বিশেষ করে কংক্রিট, ধাতু বা ইস্পাত, নিদাগ ইস্পাত কাঠামো, ভিত্তি নির্মাণে ভূমিকম্পনিরোধ ক্ষমতার ব্যবস্থা – এগুলোর সুচারু ব্যবহার বহুতল ভবন সারাবিশ্বে বিকাশ লাভ করে।
একটি শহরের ভবনগুলো হয়ে ওঠে এক-একটি প্রতীক-নিদর্শন, নিগমবদ্ধ করপোরেট শক্তির প্রতিভূ এবং গর্বের বস্ত্ত।
১৮৮০ সাল থেকে এর শুরু শিকাগোর ১৮০ ফুট উঁচু হোম ইন্স্যুরেন্স ভবন থেকে। স্থপতি জেন্নি, যিনি লুই সুলিভান, বার্নহাম, হোলাবার্ড ও মার্টিন রসসহ শিকাগো স্কুল ধারায় বাণিজ্যিক ভবনের গোড়াপত্তন করেন, যা আজো বহমান, যদিও ১৯৩১ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
বহুতল ভবন চিহ্নিত হয় সুদৃশ্যভাবে আমেরিকান একটি শিল্পগঠন রূপে এবং নিউইয়র্ক ও শিকাগো শহর দুটো এসবের পরীক্ষাগার।
আমাদের ঢাকা শহরেও বহুতল ভবনের ছোঁয়া সেই সত্তরের দশকেই দেখা গেছে, এবং ফরিদপুরের ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান) বহু বহুতল ভবনের নির্মাতা সেই শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার, ১৪৫৪ ফুট উঁচু, ১৯৭৪ সালের নির্মাণ ধারায় নতুন পদ্ধতি টিউব-ইন-টিউব শৈলী, যাতে নির্মাণ ব্যয়ের সাশ্রয় ঘটিয়ে এক যুগান্তকারী বহুতল ভবন সৃষ্টিকর্ম শুরু করেন। বহুতল ভবনের এই কর্মশালা বিকাশের জন্য আমরা অবশ্যই বাঙালি হিসেবে গর্ব বোধ করি।
এফ আর খানের কোনো নির্মাণ নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশে নেই, যদিও তাঁকে স্বাধীনতার পর ঢাকা শহরের সার্বিক নগর পরিকল্পনার জন্য আহবান করা হয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি বিজ্ঞাপনে, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা সফলতার মুখ দেখেনি। সিজার পেল্লি ১৯৯১ সালে গ্রেট ব্রিটেনের সেই সময়ে প্রথম বহুতল ভবন লন্ডনের ৮০০ ফুট উঁচু ক্যানারি হোয়ার্ফ টাওয়ার নির্মাণ-নকশা করেন। ভবনটি খুব সমালোচিত হয়। ১৯৮৯ সালে প্রিন্স চার্লস বলেন, ভবনটি ১৯৬০ সালের ভুল ভাবনায় নির্মিত, যেটি ১৯৮০ সালের চিহ্ন বহন করে। পেল্লি বলেন, এই ভবনটি একটি যোগসূত্র তৈরি করেছে ভবিষ্যতের সঙ্গে এবং একবিংশ শতাব্দীর নিদর্শন। এটি একটি চতুষ্কোণ স্তম্ভ বা অবেলিস্কের মতো, যার ওপরে পিরামিড আকার স্থাপিত, যেটি সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে।
১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১৪৭৬ ফুট উঁচু পেট্রোনাস টাওয়ার্স নির্মিত হয় কংক্রিট, ইস্পাত ও গস্নাস দ্বারা। দুটো টাওয়ার পাশাপাশি ৪২ তলায় একটি সংযোগ সেতু দিয়ে যুক্ত। পেল্লি বলেছেন, ভবনদুটির নকশার মধ্য দিয়ে সেই দেশের জলবায়ু, বিদ্যমান ইসলামি ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক উপাদান নিয়ে কাজ করেছি। একটি পানপাত্র, উপাসনার ঘর, হাঁটু গেড়ে পবিত্র মক্কার দিকে মেঝেতে সিজদা – এরকম দৃশ্যমানতা ভবনের আঙ্গিকে প্রতিফলনের চেষ্টা করা হয়েছে। সবমিলে একটি স্বচ্ছ আনুভূমিক কাচের জানালা ভারমুক্ত অবয়ব এবং ভবনের মাঝখানটি ফাঁকা যা রহস্যময় এক অনুভূতির সৃষ্টি করে সবাইকে গভীরভাবে ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের একটি শহরের মধ্যে আর একটি শহর – এই নতুন চিন্তার প্রতিমূর্তি বাস্তবায়িত হয় এই টুইন টাওয়ারের মাধ্যমে।
সিজার পেল্লি একজন কীর্তিমান ও সৃষ্টিশীল স্থপতি হিসেবে এইসব স্থাপনার মধ্যে বেঁচে রইবেন।
লেখাঃ রবিউল হুসাইন
কালিকলম
বাংলাদেশে স্থাপত্যপেশা আজ একটি উলেস্নখযোগ্য পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়েছে। পেশার ব্যাপ্তি শুরুর দিকের তুলনায় সময়ের সঙ্গে দ্রুত বিসত্মৃতি লাভ করছে। বলা বাহুল্য, আদিতে বিষয়টি এমন কুসুমাসত্মীর্ণ ছিল না। বিভিন্ন বৈরী পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করে এ-পেশা বর্তমান অবস্থানে উপনীত হতে পেরেছে। তবে আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই; উন্নত দেশের মতো স্থাপত্যবিদ্যার আবশ্যকীয়তা হৃদয়ঙ্গম করে মর্যাদাময় পর্যায়ে যেতে আরো বহুদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ তথা তদানীন্তন পূর্ব পাকিসত্মানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থাপত্যপেশার সূত্রপাত বর্তমান স্থাপত্য অধিদপ্তরের পূর্বসূরি ‘অফিস অব দ্য কনসালটিং আর্কিটেক্ট’ দপ্তরের মাধ্যমে। ১৯৪৭-এর ভারত বিভাজন-পরবর্তী পূর্ব পাকিসত্মানের সিঅ্যান্ডবি দপ্তরের আওতাভুক্ত ‘অফিস অব দ্য কনসালটিং আর্কিটেক্ট’, ‘অফিস অব দ্য গভর্নমেন্ট আর্কিটেক্ট’, ‘অফিস অব দ্য চিফ আর্কিটেক্ট’ থেকে ১৯৭৭-এ এসে ‘স্থাপত্য পরিদপ্তর’ বা ‘Directorate of Architecture’ সৃষ্টি হয়। ১৯৮৩-তে ওই স্থাপত্য পরিদপ্তরের সঙ্গে অপর দুই সরকারি স্থাপত্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘গণপূর্ত স্থাপত্য বিভাগ’ এবং ‘গৃহসংস্থান স্থাপত্য শাখা’ একীভূত করে স্থাপত্য অধিদপ্তর গঠন করা হয়। উলেস্নখ্য যে, ’৪৭-এর বিভাগ-পূর্ব ভারতে প্রশাসনিক কার্যার্থে দিলিস্নতে একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতবর্ষব্যাপী তেরোটি প্রাদেশিক সরকার বিরাজমান ছিল। এই তেরোটির মধ্যে যথাক্রমে সম্পূর্ণ সাতটি ও বিভাজিত তিনটি প্রদেশ ভারতের এবং সম্পূর্ণ তিনটি ও বিভাজিত তিনটি প্রদেশ পাকিসত্মানের অন্তর্ভুক্ত হয়। সিন্ধু, বেলুচিসত্মান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ আর দ্বিখ–ত পাঞ্জাব নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিম পাকিসত্মানের চারটি প্রদেশ; অন্যদিকে বিভাজিত বাংলা আর আসামের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয় পাকিসত্মানের পূর্বাংশে পূর্ব বাংলা প্রদেশ। বিভাগ-পূর্বকালে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় ভবন, রাসত্মা ইত্যাদি ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পিডবিস্নউডি এবং প্রাদেশিক সরকারগুলোর ভৌত অবকাঠামোর জন্য সিঅ্যান্ডবি নামে দুটি সংস্থা চালু ছিল। পাকিসত্মানের কেন্দ্রীয় রাজধানী স্থাপিত হয় করাচিতে আর পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী স্থাপন করা হয় ঢাকায়। ভারত-পাকিসত্মান প্রতিষ্ঠার প্রশাসনিক ধারাবাহিকতায় দিলিস্নতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন দপ্তর ভাগ করে করাচিতে এবং কলকাতায় বিদ্যমান অবিভক্ত বাংলা সরকারের দপ্তর ভাগ করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এভাবে যথাক্রমে যাত্রা শুরু হয় পাকিসত্মান পিডবিস্নউডি এবং সিঅ্যান্ডবি দপ্তরের। এই দুই দপ্তরের সঙ্গেই স্থাপত্য শাখা অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিসত্মান পিডবিস্নউডির স্থাপত্য শাখার কার্যক্রম পূর্ব পাকিসত্মানে বেশ সীমিত ছিল এবং ১৯৬৬-এর পূর্বে এখানে কোনো স্নাতক স্থপতি নিয়োজিত ছিলেন না।
অপরদিকে কলকাতা থেকে বিভাজিত হয়ে আসা সিঅ্যান্ডবি এবং তৎসংশিস্ন¬ষ্ট কনসালটিং আর্কিটেক্টের দপ্তর ১৯৪৭-পরবর্তীর শুরু থেকেই ব্যস্ত সরকারি দপ্তরে পরিণত হয়। ঢাকার মতো একসময়ের মফস্বল শহরকে প্রাদেশিক রাজধানীর উপযোগী চাহিদা অনুযায়ী সচিবালয় থেকে শুরু করে সকল সরকারি দপ্তরের ভবন ও বাসভবন নির্মাণসহ সব ধরনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং প্রদেশের অন্যান্য শহরে সাধারণ প্রশাসন, কোর্ট-কাছারি-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, থানা, কারাগার স্থাপনের বৃহৎ কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত হতে হয় সিঅ্যান্ডবি এবং আর্কিটেক্ট দপ্তরকে।
আগস্টে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই ১৯৪৭-এর সেপ্টেম্বরে পূর্ব বাংলা সরকারের প্রথম প্রধান স্থপতি (সে-সময়ে পদবিটি ছিল কনসালটিং আর্কিটেক্ট, যা পরবর্তীকালে গভর্নমেন্ট আর্কিটেক্ট এবং চূড়ান্তভাবে প্রধান স্থপতি নির্ধারিত হয়) হিসেবে নিযুক্ত হন ব্রিটিশ স্থপতি ই. সি. হিকস (Edward Coleman Hicks, জন্ম ১৯১০)। রয়েল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস (RIBA) এবং রয়েল টাউন পস্ন্যানিং ইনস্টিটিউটের (RTPI) সদস্য ই. সি. হিকস ঢাকায় আসার আগে দিলিস্নতে অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় পিডবিস্নউডিতে সিনিয়র আর্কিটেক্ট পদে আসীন ছিলেন; কিন্তু পূর্ব বাংলা সরকারের অধীনে চাকরির আগ্রহ ব্যক্ত করে ঢাকায় চলে আসেন। সম্ভবত সে-সময়ে দিলিস্নতে পিডবিস্নউডির শীর্ষ কর্মকর্তা তথা প্রধান প্রকৌশলী খান বাহাদুর মো. সুলেমানের ঢাকায় পূর্ব বাংলা সরকারের অধীনে চাকরি নেওয়ার ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিকস ঢাকায় আসেন। প্রসঙ্গত উলেস্ন¬খ করা যায়, চাকরিস্থল পরিবর্তন করে ঢাকায় আসার আগে সুলেমান দিলিস্নতে যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। অবিভক্ত ভারতে তাঁর কর্ম-অভিজ্ঞতা ছিল সমীহ করার মতো। (২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এই লেখকের সুযোগ হয়েছিল দিলিস্নতে সেন্ট্রাল পিডবিস্ন¬উডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের; সেখানে ১৮৫৪-তে প্রতিষ্ঠিত দপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলীর দীর্ঘ তালিকায় ব্রিটিশ ও ভারতীয়দের ভিড়ে ১৯৪৬-এ একটি মাত্র মুসলমান নাম প্রত্যক্ষ করি, সেটি খান বাহাদুর মো. সুলেমানের)। হিকস আগ্রহভরে দিলিস্ন থেকে ঢাকায় যোগদান করলেও তিন বছর চাকরির পর নিযুক্তিকালে দেওয়া আশ্বাসমতে বেতন প্রদানে আমলাদের অনীহার কারণে চাকরি ছেড়ে বিলেতে ফিরে যান। হিকসের সঙ্গে একই সময়ে অধীনস্থ স্থপতি হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নমেন্ট আর্কিটেক্ট পদে যোগদান করেন কলকাতার দপ্তর থেকে আসা রেমন্ড ম্যাক্কনেল (Raymond McConnel, জন্ম ১৯১৭) এবং এস.এ. আজগার। হিকসের প্রস্থানের পর ম্যাক্কনেল গভর্নমেন্ট আর্কিটেক্ট পদে নিযুক্তি লাভ করেন। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ম্যাক্কনেল ছিলেন RIBA-এর সহযোগী সদস্য এবং নগর পরিকল্পনায় সার্টিফিকেটধারী। তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পূর্ব পাকিসত্মান সরকারের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন (পরবর্তীকালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা অধ্যাপক শাহ আলাম জাহির উদ্দিন)।
গস্নাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য স্নাতক অবাঙালি আজগার ’৪৭-এ যোগদান করলেও সম্ভবত বছর-দুয়েকের মাথায় অন্যত্র চলে যান।
হিকস সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিসত্মানের নগরাঞ্চল সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন নতুন ঢাকার কিছু এলাকা, আজিমপুর হাউজিং এস্টেট, নিউ মার্কেট, অধুনালুপ্ত শাহবাগ হোটেল, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, জিন্নাহ অ্যাভিনিউ বাণিজ্যিক এলাকা, ইডেন ভবন সম্প্রসারণ প্রভৃতি হিকসের পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়িত হয়।
ফেব্রম্নয়ারি ১৯৪৯-এ জহির উদ্দীন খাজা (জন্ম ১৯২২) সরকারি স্থাপত্য অফিসে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট হিসেবে যোগ দেন এবং তাঁকে চট্টগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বোম্বের (বর্তমানে মুম্বাই) মর্যাদাপূর্ণ জে জে স্কুল অব আর্টস থেকে স্থাপত্যে ডিপেস্নামাপ্রাপ্ত এবং লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিক ডিজাইনে স্নাতকোত্তর ছিলেন। ১৯৪৬-এ তিনি RIBA এবং ১৯৪৮-এ RTPI-এর সদস্যপদ অর্জন করেন। জহির উদ্দীন চট্টগ্রামের প্রাথমিক নগর পরিকল্পনাসহ আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, বায়েজীদ বোসত্মামী শিল্প এলাকা, স্টেডিয়াম, বিভাগীয় কমিশনারের বাংলো প্রভৃতির ডিজাইন প্রণয়ন করেন। ১৯৫২-এর শুরুতে জহির উদ্দীন এখানকার চাকরি ছেড়ে পশ্চিম পাকিসত্মানে চলে যান এবং মুখ্য স্থপতি ও নগর-পরিকল্পনাবিদ হিসেবে যথাক্রমে পাঞ্জাবের থল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (TDA), করাচি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KDA) ও ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটিতে (CDA) দায়িত্ব পালনশেষে ১৯৬৫ থেকে সরকারি চাকরি ছেড়ে বেসরকারি উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান গড়ার মাধ্যমে পেশা অনুশীলনে ব্যাপৃত হন। বিশেষ করে সিডিএর স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম পরিচালক হিসেবে জহির উদ্দীন পাকিসত্মানের নতুন রাজধানী ইসলামাবাদ শহর গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৭-তে তিনি ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস পাকিসত্মান (IAP) গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এবং প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে কয়েকবার তিনি IAP-এর সভাপতির পদ অলংকৃত করেন।
১৯৫২-এর আগস্টে চট্টগ্রামে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট হিসেবে যোগদান করেন এডিনবরা থেকে স্থাপত্যে স্নাতক হায়দরাবাদের অধিবাসী এ. রহমান হাই (জন্ম ১৯১৯)। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শহর পরিকল্পনায় তিনি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হাই ১৯৫৬ পর্যন্ত এদেশে অবস্থান করেন এবং পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিসত্মানে গমন করেও সরকারি স্থপতি হিসেবে নিয়োজিত হন। সেখানে যথাক্রমে পশ্চিম পাকিসত্মান ও পাঞ্জাব সরকারের প্রধান স্থপতি হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন। কার্যকালে পাকিসত্মানের বহু স্থানে অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি বেশকিছু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিজাইন প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৩-তে ম্যাক্কনেলের অধীনে প্রথম স্নাতক বাঙালি স্থপতি হিসেবে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট পদে যোগদান করেন মাজহারুল ইসলাম (জন্ম ১৯২৩)। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৯৪৬ সালে পুরকৌশলে স্নাতক মাজহারুল ইসলাম ’৪৭ থেকে ’৫০ পর্যন্ত সিঅ্যান্ডবি দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেন এবং সরকারি বৃত্তিতে ১৯৫০-৫৩ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক শিক্ষা সমাপন করে নতুন পদে যোগ দেন। উলেস্নখ্য, বৃত্তি নিয়ে আমেরিকায় স্থাপত্য অধ্যয়নের জন্য তিনি ১৯৪৭ সালেই মনোনীত হন; কিন্তু ভারত-পাকিসত্মান সৃষ্টিজনিত কারণে তা স্থগিত হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে ১৯৫০-এ তাঁর পক্ষে বৃত্তিটি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়। (উলেস্নখ্য যে, চলিস্নশের দশকে তৎকালীন ভারত সরকার যেসব বিজ্ঞান বা কারিগরি বিষয়ের শিক্ষাদানের সুযোগ ভারতবর্ষে নেই বা সীমিত সেসব বিষয়ে স্থানীয়দের প্রশিক্ষিত করার জন্য পোস্ট-ওয়ার স্কলারশিপ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে; তারই আওতায় মাজহারুল ইসলাম মনোনীত হন। একই বৃত্তিতে তাঁর পূর্বে জে জে স্কুল অব আর্টসের স্নাতক অচ্যুত কানভিন্দে ও জহির উদ্দীন খাজা যথাক্রমে হার্ভার্ড ও লিভারপুল থেকে এম. আর্ক ও এমসিডি ডিগ্রি এবং শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক হাবিব রহমান এমআইটি থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় বি. আর্ক/এম.আর্ক অর্জন করেন। হাবিব রহমান সিপিডবিস্নউডিতে ভারত সরকারের প্রধান স্থপতি হিসেবে ১৯৭৪-এ অবসরগ্রহণ করেন। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৫৫-তে পদ্মশ্রী এবং ১৯৭৪-এ পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত করে।
১৯৫৩-৬৩ সময়কালে মাজহারুল ইসলাম প্রধান স্থপতির দপ্তরে কর্মরত ছিলেন – ১৯৬৪-তে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ‘বাস্ত্তকলাবিদ’ নামে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। সরকারি স্থপতি হিসেবে তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ঢাকা, আজিমপুর এস্টেটে ডুপেস্নক্স ও সিমপেস্ন¬ক্স অ্যাপার্টমেন্ট, ঢাকা স্টেডিয়াম, খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা এবং রাঙামাটি শহরের মহাপরিকল্পনাসহ ছোটখাটো আরো প্রকল্পের স্থপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে আর্ট কলেজ ও লাইব্রেরি ভবনের অনুপম স্থাপত্যের জন্য মাজহারুল ইসলামকে এদেশে আধুনিক স্থাপত্যধারার পথিকৃৎ গণ্য করা হয়। তিনি ১৯৬৭-৬৮-তে IAP-এর সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ১৯৭২-এ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (IAB) প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকাসহ প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
১৯৫৭-তে ডেনমার্কের অধিবাসী স্থপতি জ্যঁ ডেলোরা (Jean Pierre Louis Delouran, জন্ম ১৯১১) সরকারি স্থাপত্য দপ্তরে স্পেশাল অফিসার আর্কিটেকচার পদবিতে যোগদান করেন। তিনি তাঁর দেশের রয়েল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস থেকে স্থাপত্যে স্নাতক এবং হাসপাতাল পরিকল্পনায় উচ্চতর প্রশিক্ষিত ছিলেন। ঢাকায় চাকরিতে যোগদানের আগে তাঁর ডেনমার্কে ১৪ বছর এবং স্পেনে চার বছরের কর্ম-অভিজ্ঞতা ছিল। আমার ধারণা, দ্বিপক্ষীয় কোনো কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় তিনি এখানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সীমানায় পূর্বে নির্মিত ডেন্টাল কলেজ ও ফার্মেসি ভবনসহ সিলেট, বরিশাল ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিজাইন প্রণয়ন করেন ডেলোরা। এছাড়া রমনা পার্কের রেসেত্মারাঁ এবং কক্সবাজারে হিলটপ সার্কিট হাউসের ডিজাইন তাঁর প্রণীত। তবে তাঁর সবচেয়ে উলেস্নখযোগ্য কাজ ছিল ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আর্কিটেকচারাল নকশা প্রণয়ন। শহিদ মিনারের মূল নকশাকার হিসেবে শিল্পী হামিদুর রহমান সর্বজনস্বীকৃত হলেও বাস্তবতা এই যে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিজাইনটির সাইট ও নির্মাণ নকশা প্রণয়নকালে বর্তমানের আনুপাতিক ও পরিশীলিত অবয়বটির রূপদান করেন স্থপতি ডেলোরা। তিনি ১৯৬২ পর্যন্ত এদেশে অবস্থান করেন।
উপরোক্ত উপস্থাপনা থেকে দেখা যায়, ১৯৪৭-পরবর্তী দুই দশক পর্যন্ত মাজহারুল ইসলাম ছাড়া সরকারি পর্যায়ে স্থাপত্য পেশার অনুশীলন ও লালন হয়েছে ভিনদেশি বা অস্থানীয়দের হাতে। ১৯৬৭-তে নিজস্ব ভূখ–র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থানীয় স্থাপক সৃষ্টি শুরু হওয়ার পর দেশীয় পরিবেশ, জলবায়ু, নির্মাণ-কুশলতা ও আর্থ-সামাজিক কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল স্থাপত্য উদ্ভাবনে ক্রিয়াশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তা সত্ত্বেও এ-কথা অনস্বীকার্য, আজকের অবস্থানে আসার অন্তরালে ভিনদেশি বা অস্থানীয়দের অবদান অভিবাদনেয়।
ইডেন ভবন কাহিনি
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্রের সাধারণভাবে প্রচারিত নাম ‘সচিবালয়’ বা সম্পূর্ণ উচ্চারণে ‘বাংলাদেশ সচিবালয়’। এই স্থানটির আদি ইতিহাস হয়তো অনেকেরই অজানা। স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার আগে এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিসত্মান সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র তথা প্রাদেশিক সচিবালয়। সাধারণ্যে অধিক প্রচারিত ছিল ‘ইডেন বিল্ডিং’ নামে। বোধ করি অবিভক্ত বাংলার সচিবালয় কলকাতার ‘রাইটার্স বিল্ডিং’-য়ের ঐতিহ্য অনুসরণে।
১৯৪৭-এর স্বাধীনতা ও ভারত বিভাজনের প্রেক্ষাপটে ‘পূর্ব বাংলা’ নামীয় প্রদেশের জন্ম হয়। এখানে উলেস্নখ্য, পাকিসত্মানের পূর্ব অংশ ১৯৪৭-এর আগস্ট থেকে ১৯৫৫-এর অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব বাংলা নামে অভিহিত হতো। ১৯৫৫-তে পাকিসত্মানের পশ্চিম অংশের চারটি প্রদেশ একীভূত করে পশ্চিম পাকিসত্মান নামকরণ করা হয় এবং একই সঙ্গে পূর্ব বাংলার নাম পূর্ব পাকিসত্মান হিসেবে পরিবর্তন করা হয়।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর স্বাভাবিক কারণেই এ-অঞ্চলে নবসৃষ্ট প্রদেশের বৃহত্তম শহর ঢাকা রাজধানী হিসেবে নির্ধারিত হয়। কিন্তু ১৯৪৭-এর ঢাকায় রাজধানীর জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি দপ্তরা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বাসস্থান স্থাপনের জন্য ন্যূনতম অবকাঠামো এবং ভবনা ছিল না। অথচ তৎকালীন নব্য স্বাধীন দেশের প্রাদেশিক সরকারের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এগুলোর অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে পাকিসত্মানের বৃহত্তর পশ্চিমাংশের তুলনায় ক্ষুদ্রতর এই অনগ্রসর পূর্ব বাংলা প্রদেশটির হাজার মাইলের বিচ্ছিন্নতা এই প্রয়োজনীয়তাকে আরো অত্যাবশ্যক করে তোলে। সে-সময়কার নীতিনির্ধারকগণ বাস্তবতার আলোকে এই বাস্ত্ত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ফলে ঢাকার নবাব আবদুল গনি রোড ও তোপখানা রোডের মধ্যবর্তী এলাকায় সদ্য নির্মিত ইডেন স্কুল ও কলেজ ভবনগুলোকে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক সরকারের সদর দপ্তর হিসেবে সচিবালয় আর পলাশীসহ শহরের কিছু কিছু স্থানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালে মিত্র বাহিনী-নির্মিত আধা-পাকা মিলিটারি ব্যারাকে সংস্থান করা হয় সরকারি কর্মচারীদের জরুরি আবাসন। এভাবেই কলকাতা থেকে ভাগ হয়ে আসা সরকারি দপ্তর ও বাসস্থানের তাৎক্ষণিক চাহিদা সামাল দেওয়া হয়। এমনকি স্থানাভাবে ঢাকায় সব দপ্তর সংস্থান সম্ভব না হওয়ায় নিকটবর্তী অন্য শহরেও কিছু দপ্তরের আপাত সংস্থান করা হয়।
ফিরে আসি ইডেন স্কুল প্রসঙ্গে – ব্রিটিশ শাসনামলের গোড়ার দিকে এদেশে বিদ্যাশিক্ষার প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত ছিল – একথা বলা যাবে না। তৎকালীন ঢাকায় ছেলেদের স্কুল-কলেজ কিছু থাকলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে তা ছিল একরকম অনুপস্থিত। তাছাড়া সেকালে সহ-শিক্ষা ছিল অকল্পনীয়। আর এ-কথা অনস্বীকার্য বাঙালি মুসলমানদের তুলনায় বাঙালি হিন্দুরা শিক্ষা-দীক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। ঢাকায় মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষার এই শোচনীয় অবস্থা থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে সমাজের অগ্রসর মন-মানসিকতার অনুসারী গুটিকয় মহৎপ্রাণ এ-সময়ে আগ্রহী মেয়েদের বিদ্যাশিক্ষা লাভের পথ সৃষ্টির জন্য এলাকাবিশেষে ঘরোয়া পর্যায়ে কিছু পাঠশালা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এসব পাঠশালার পাঠদান কার্যক্রম সাধারণত বিত্তবান কোনো গৃহস্বামীর বাসভবনের চৌহদ্দির কাছারি জাতীয় ঘরে পরিচালিত হতো। এ-প্রক্রিয়াতেই ঊনবিংশ শতকের সত্তরের দশকে গোড়াপত্তন ঘটেছিল ইডেন স্কুল-কলেজের পূর্বসূরির। মূলত ব্রাহ্মসমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনের পৃষ্ঠপোষকতায় ফরাশগঞ্জ এলাকায় সরু গলির এক বাড়িতে ছয়-সাতজন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই গার্লস মিড্ল ভার্নাকুলার স্কুলের। তৎকালীন বাংলার ব্রিটিশ সরকার স্থানীয় মেয়েদের বিদ্যাশিক্ষায় আগ্রহের বিষয়ে অবগত হয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। তারই ফলে ওপরে বর্ণিত স্কুলের সঙ্গে আরো কয়েকটি ক্ষুদ্র স্কুলের সম্মিলন ঘটিয়ে ১৮৭৮ সালে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা শহরে প্রথম মেয়েদের স্কুল চালু হয়। তৎকালীন বাংলা প্রদেশের বিদ্যোৎসাহী ছোটলাট (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) স্যার অ্যাশলে ইডেনের নামানুসারে স্কুলটির নামকরণ করা হয় ঢাকা ইডেন ফিমেল স্কুল।
১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে লক্ষ্মীবাজারের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্কুলের কার্যক্রম সদর পূর্বপাশে এক পর্তুগিজ ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ১৯২৬-২৭ সালে এখানেই ম্যাট্রিকের (মাধ্যমিক) পাশাপাশি ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চমাধ্যমিক) শিক্ষাক্রম যোগ করাতে এটি পরিণত হয় ইডেন স্কুল ও কলেজে। সদরঘাটের সেই ক্ষুদ্র পরিসরে আঙিনার দীনতা থাকলেও পাঠদানে কিংবা ছাত্রীসংখ্যায় দীনতা ছিল না। নারীশিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির অবদান বিষয়ে এর অভিভাবকগণ একসময়ে দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হন সেকালের একচ্ছত্র বাঙালি নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের। ১৯৩৭-৪৩ সময়কালে শেরে বাংলা ছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে প্রথম দুই বছর ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রকের সরাসরি দায়িত্বে। তাঁরই আনুকূল্য ও ভালোবাসায় অপরিসর স্কুলটির ঠিকানা, আঙিনা, অবয়ব আর ব্যাপ্তির পরিবর্তন ঘটে। শেরে বাংলা তথা মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে বাংলা সরকারের পূর্ত দপ্তর তোপখানা রোড এলাকায় গড়ে তোলে বোর্ডিংসহ একটি আদর্শ স্কুল এবং কলেজের আধুনিক ক্যাম্পাস। পরিবর্তিত স্থানে স্কুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে কলেজ সংযোজিত হয়। ১৯৪৫ সালে নবনির্মিত ভবনাদির আদর্শ পরিবেশে অধিষ্ঠিত হয় ইডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। (তৎকালে কলকাতার পূর্ত দপ্তরে নিয়োজিত ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট কর্তৃক প্রণীত স্বয়ংসম্পূর্ণ এই ক্যাম্পাসের বিশদ স্থাপত্য নকশা একটি দর্শনযোগ্য অভিজ্ঞতা)। বর্তমান সচিবালয়ের বিংশ তলা, প্রথম ও দ্বিতীয় নয়তলা, ক্লিনিক ভবন, গেস্ট হাউস এবং মসজিদ ছাড়া বাকি সবই ইডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ হিসেবে নির্মিত কাঠামোর অংশ। এখনো সচিবালয়ের অভ্যন্তরে এগুলোকে স্কুলভবন অথবা কলেজভবন হিসেবে উলেস্নখ করা হয়।
১৯৪৭ পর্যন্ত ইডেনের ভবনগুলো প্রধানত দোতলা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছিল। ’৪৭-পরবর্তীকালে দাপ্তরিক চাহিদার প্রেক্ষাপটে চারতলা সম্পন্ন হয়। সে-সময় এটিই ছিল ঢাকার সর্ববৃহৎ ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট ইমারত সমাহার। রাতারাতি প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় কোনো উপযুক্ত পাকা ভবন সে-মুহূর্তে ছিলও না, তাই শিক্ষা প্রদান কেন্দ্রের উদ্দেশ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে গড়তে হয় আমলাকেন্দ্র!
‘ইডেন বিল্ডিং’ সচিবালয়ের সূত্রপাত ও নামকরণ এভাবেই। অন্যদিকে ইডেন স্কুল ও কলেজকে আবার হতে হয় বাস্ত্তহারা!
স্কুল অংশকে টিকাটুলির কামরুন্নেসা গার্লস স্কুলের সঙ্গে একীভূত এবং কলেজ অংশকে বক্শীবাজার এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৬২-তে আজিমপুর এলাকায় নতুনভাবে ইডেন কলেজটি স্থানান্তরিত হলেও ইডেন স্কুলটি স্বনামে আর বিকশিত হতে পারেনি। স্কুল বিল্ডিং নামে পরোক্ষে এটি বেঁচে আছে হয়তো পিডবিস্নউডির ইডেন ভবন বিভাগের নথি আর পুরনো কর্মীদের উচ্চারণে!
আজ যাঁরা সচিবালয় চৌহদ্দিতে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে অল্পসংখ্যক হয়তো এই অতীত বিষয়ে অবগত। তবু সকলেই এই ইতিহাসের অংশ নিঃসন্দেহে।
লেখকঃ সেলিম ইসমাইল
কালিওকলম
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
167/24, Blue Moon Gram Tower, Level-8, ECB Chottor, Dhaka Cantonment
Dhaka
1206
Opening Hours
Monday | 10:00 - 18:00 |
Tuesday | 10:00 - 18:00 |
Wednesday | 10:00 - 18:00 |
Thursday | 10:00 - 18:00 |
Friday | 10:00 - 18:00 |
Saturday | 10:00 - 18:00 |
Sunday | 10:00 - 18:00 |