TV TIME Live
TV time brings you the latest headlines and expert tips on parenting, health, food, style and wellness. TV time editors love interacting with you.
এই জয় সারাবাংলার।। অভিনন্দন বাংলাদেশ দল।।
পাশের বাড়ির মানুষটাকে যদি মুরগি কিনে খেতে হয়, তা হলে বন্ধ করুন লোক দেখানো সেই কোরবানি।
আমেদের প্রেম
রোগী মারা যাচ্ছে ওনারা ফুসকা খাচ্ছেন
এই যদি হয় ডাক্তারের অবস্থা ।এখন কি বলতে হবে নিরাপদ ডাক্তার চাই ??
একটু লকডাউন দেখতে বের হয়েছে-যশোর।
ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন
দেখে নেয়া যাক লকডাউন এ কি কি খোলা থাকবে..
উগান্ডাতে বিয়ের সময় মা-বাবার অনুমতি নিতে হয় কারণ তারা নিজেরাও জানেনা কে তাদের ভাই বোন।
ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার বিস্তারিত জানালেন পরীমনি।
এ বছর প্রায় সাত লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উত্তরের মোট এক হাজার ৯০৫টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে এই ক্যাপসুল। আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) ১৪ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে ডিএনসিসি।
বিশ্বকে নতুন একটি এন্টিবায়োটিক দিলো বাংলাদেশ!
সকলকে চমকে দিয়ে পাট থেকে নতুন এক এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এর ফলে বেঁচে যাবে অনেক রোগীর প্রাণ। আর তাদের এ সাফল্য বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এটি আবিষ্কার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, রিয়াজুল ইসলাম এবং জীন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল গবেষক।
ব্যাকটেরিয়া ও পাটের বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে মিল রেখে নতুন এ এন্টিবায়োটিকের নাম দেয়া হয়েছে ‘হোমিকরসিন’। বেশ কিছু শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এটি ভালো কাজ করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ২৭ মে বিশ্ব বিখ্যাত ন্যাচার পাবলিশিং গ্রুপের ‘সাইন্টিফিক রিপোর্ট’ জার্নালে তাদের এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাট নিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান।
পাটের জীবন রহস্য বের করতে গিয়ে তিনি এর বিভিন্ন অংশে নানা রকম অণুজীবের সন্ধান পান। সেই অণুজীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জানার আগ্রহ থেকে একই বিভাগের অণুজীব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় নতুন গবেষণা।
রিয়াজুল ইসলাম দেখতে পান পাটের তন্তুর খাঁজে খাঁজে ৫০টিরও বেশি অণুজীব বাস করে। এসব ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে স্টেফাইলো কক্কাস হোমিনিস নামের একটি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, যা তার শরীর থেকে এমন কিছু তৈরি করে যাতে অন্য ব্যাকটেরিয়ারা মারা যায়।
তাহলে কী আছে সেই ব্যাকটেরিয়ায়? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কাজ শুরু করেন জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন।
আর তাতেই বেরিয়ে আসে নতুন এ এন্টিবায়োটিকের খোঁজ, যা বাঁচিয়ে দিতে পারে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স জন্মানো অনেক রোগীর প্রাণ।
গত তিন বছর ধরে চলা এ গবেষণায় তাদের পাশে ছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ। গবেষক দলে ছিলেন বিসিএসআই এর প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও।
নতুন এ এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারকদের মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত বেশিরভাগ এন্টিবায়োটিকই জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়েছে। হাসপাতালেও রোগীরা সুপার বাগ নামে পরিচিত এমন কিছু ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হচ্ছেন, যা প্রচলিত কোন এন্টিবায়োটিকেই নিরাময় হচ্ছে না। সেখানেও সফল হয়েছে এ নতুন এন্টিবায়োটিক।
শুধু তাই নয়, হোমিকরসিনের নামের এ এন্টিবায়োটিকের মোট পাঁচটি ধরন পেয়েছেন তারা, যা এন্টিবায়োটিকের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই আবিষ্কারে লেখা থাকবে বাংলাদেশের নাম।
Mamunur Rashid
দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার খবরঃ
-------------------------
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন দেশে এমন অন্তত দুজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দুজন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেল।
চলতি মাসে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়।
বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।’
বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে এবারই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানান তিনি।
‘আমরা সতর্কভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ করছি’ উল্লেখ করে ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।’
তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীকে মাত্রা না বুঝে স্টেরয়েড দিলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে মিউকরমাইকোসিস হয়ে থাকে। এটি বাতাসের চেয়ে মাটিতে এবং শীত ও বসন্তকালের চেয়ে গ্রীষ্ম ও শরৎকালে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন এই আণুবীক্ষণিক ছত্রাকের স্পোরের সংস্পর্শে আসে। সুতরাং এই মিউকরমাইসিটিসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব।
তবে, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই ছত্রাক ক্ষতিকর নয়। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তাদের শরীরে মিউকরমাইসিটিসের স্পোর প্রবেশ করলে ফুসফুস ও সাইনাস আক্রান্ত হতে পারে। যা পরে শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।
সিডিসি’র মতে, এই বিরল ছত্রাকে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। তবে, ৯২৯টি ঘটনা নিয়ে করা ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুহার ৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব বয়সী মানুষের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি না থাকায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই।
তারা আরও জানান, কোভিড-১৯ ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী, যারা স্টেরয়েড নিচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অথবা যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই নয়, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কারণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘যখন একজন বয়স্ক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন যথেচ্ছভাবে স্টেরয়েডের ব্যবহারের কারণেও তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।’
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভারতের স্বাস্থ্যখাতে নতুন হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত রোববার জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় তারা খুব শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি করবেন।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি কমিটি কিছু সুপারিশ তৈরি করছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যসেবা উপদেষ্টা কমিটিও এই রোগ প্রতিরোধে কিছু বিধিবিধান তৈরি করছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় এগুলো খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
ডা. নাজমুল আরও জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।
তবে, ভারতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, যেসব কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে।
ভারতের তামিলনাড়ু, গুজরাট, ওডিশা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা- এই পাঁচ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা রোগীরা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার রোগীরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’
সিডিসি’র গাইডলাইন বলছে, অ্যান্টি ফাঙ্গাল মেডিসিন ব্যবহার করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসা করা হয়। এসব ওষুধের বেশিরভাগই শিরা পথে দেওয়া হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধের মধ্যে আছে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি। এই ওষুধটি সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেরে উঠতে রোগীকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ওষুধ দিতে হতে পারে। তবে, কত তাড়াতাড়ি রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা আরম্ভ করা হয়েছে তার ওপরও এটা নির্ভর করে।
সম্প্রতিকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার করে রোগীর ছত্রাক আক্রান্ত কোষ ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এতে কিছু রোগী তাদের ওপরের চোয়াল ও চোখ হারিয়ে থাকেন।
Source : Daily Star
অথচ এত কিছু পাবার পরেও আমাদের সব সময় অপুর্ণতা থেকে যায়...
ঈদ করতে সাইকেল চালিয়ে ২৮০ কিলোমিটার
মেয়েটির নাম মৌসুমী। গ্রামের বাড়ি বগুড়া। ঢাকাতে থাকেন শিক্ষকতা পেশা নিয়ে। গণপরিবহন বন্ধ।
ঢাকা থেকে রোজা রেখেই ২৮০ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে বগুড়াতে বাড়ি ফেরেন।
শেকড়ের টান ও ইচ্ছাশক্তি তাকে নিয়ে গেছে গ্রামের বাড়ি।
বাড়ী ফেরার আনন্দ অন্যরকম, এর অনুভূতি লিখে শেষ করা যাবে না।
আসলে ঈদ মানেই সেই প্রিয় গ্রাম...
Source- আনন্দ বাজার পত্রিকা
Source- World Health Organization(WHO)
করোনা আপডেট
৮ মে ২০২১ ইং, রোজঃ শনিবার
প্রচারেঃ Tv Time
১৯১৮ সালের বিশ্বে মহামারীর দৃশ্য
করোনা আপডেট
৫ মে ২০২১ ইং, রোজঃ বুধবার
প্রচারেঃ Tv Time
৫ মে বিশ্ব অ্যাজমা দিবসঃ
১৯৯৮ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। প্রথম স্পেনের বার্সেলোনায় ৩৫ দেশের প্রতিনিধিদের এক সম্মেলনে বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (Global Initiative for Asthma-GINA) নামক একটি সংস্থা বিশ্ব অ্যাজমা দিবসের সংগঠক। অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করে থাকে।
হাঁপানির পরিচয় :
হাঁপানি রোগটির সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি, শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট। হাঁপানির প্রধান তিনটি লক্ষণ হলো প্রথমে কাশি, বুকে সাঁই সাঁই শব্দ এবং শ্বাসকষ্ট। এগুলোর মধ্যে বুকে সাঁই সাঁই শব্দই হলো হাঁপানি চেনার প্রধান উপায়। প্রদাহজনিত কারণে শ্বাসনালির পথে বাধার সৃষ্টি হয় এবং এ বাধাপ্রাপ্ত সরু নলের মধ্য দিয়ে বায়ু চলাচলের ফলে সাঁই সাঁই শব্দ হয়।
হাঁপানি রোগীরা আর পাঁচজনের মতো চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারেন। কিন্তু আক্রমণের সময় কাশি, সাঁই সাঁই শব্দ ও শ্বাসকষ্ট হয়। হাঁপানির এ লক্ষণগুলো সাধারণত ভোররাতে সবচেয়ে বেশি হয়। বলা যায়, শতকরা নব্বইজন হাঁপানি রোগী রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে শ্বাসকষ্টের শিকার হন। সকালেও কিছুক্ষণ হাঁপানি উপসর্গ থাকে এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে কমে আসে। রাতের বেলায় হাঁপানি বাড়ার কারণ হলো- রাতে রক্তে কর্টিজোন এবং অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা কমে যায়। প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তাছাড়া শোবার ঘরে অ্যালার্জেনের মাত্রাও রাতে হাঁপানির কারণ।
বেশিরভাগ হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট হঠাৎ আরম্ভ হয়, সাথে থাকে শুকনো কাশি এবং সাঁই সাঁই শব্দ। কিছুক্ষণ পরে শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায় এবং বুকের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হয়। প্রশ্বাসের সময় শ্বাসনালির ব্যাস আরো সরু হয়ে যায় এবং ওই সরু নালির মধ্যে বাতাস চলাচলের সময় বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ শোনা যায়। এ ধরনের শ্বাসকষ্ট সাধারণত হয় রাতে এবং তখন রোগী উঠে বসে থাকে। তাছাড়া আগেই বলা হয়েছে বেশিরভাগ রোগীর শ্বাসকষ্ট শেষ রাতে বাড়তে দেখা যায়।
মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে, ‘হাঁপানির একমাত্র কারণ অ্যালার্জি। যদিও অ্যালার্জি হাঁপানির একটি প্রধান কারণ। কিন্তু অ্যালার্জি ছাড়াও অনেক কারণই হাঁপানির জন্য দায়ী। যে উদ্দীপক কারণ হাঁপানির জন্য দায়ী, সেগুলোকে বলা হয় ট্রিগার ফ্যাক্টর।
হাঁপানির কারণ :
(ক) ভাসমান অ্যালার্জেন : ঘরের ধুলো, ঘরের ধুলোর পোকা, পরাগ রেণু, পোষা প্রাণীর পশম, ছত্রাকের স্পোর, আরশোলার অ্যালার্জেন, ত্বকের মামড়ি ইত্যাদি।
(খ) জ্বালাকারক বা উত্তেজক ধোঁয়া; যেমন বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া, কল-কারখানার ধোঁয়া, বাতাসে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন গ্যাস, মশা মারার ধুপ, সুগন্ধী সাবান, সেন্ট, পাউডার, ডিওডোরান্ট ইত্যাদি।
(গ) জীবাণু সংক্রমণ, শ্বাসনালির সংক্রমণ; যেমন রাইনো ভাইরাস, কোরোনা ভাইরাস, এডিনো ভাইরাস ইত্যাদি দ্বারা নাক, গলা ও বুকের সংক্রমণ।
(ঘ) ব্যায়াম বা অতিপরিশ্রম কিংবা খেলাধুলা।
(ঙ) মানসিক : মানসিক টেনশন, অবসাদ, আবেগ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, হতাশা ও ভয়।
(চ) ছত্রাক : ফ্রিজের গ্যাসকিট, চামড়ার জুতো, স্যাঁতসেঁতে জায়গা, বাড়ির আশপাশে ছত্রাক জন্মে। এ ছত্রাকের স্পোর থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
(ছ) মাইট : ‘মাইট’জাতীয় জীবাণু থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এ জীবাণু বিছানা, তোষক, তোয়ালে ও ঘরের ধুলোবালিতে মিশে থাকে।
(জ) খাবার : ডিম, দুধ, চিংড়ি, ইলিশ, বোয়াল, গরুর গোশত ইত্যাদিতেও অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়া খাবারে যেসব রঙ মেশানো হয় তাতেও অ্যালার্জি হতে পারে।
(ঝ) ওষুধের প্রতিক্রিয়া : কিছু কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়া হিসেবেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে; যেমন পেনিসিলিন, সালফারজাতীয় ওষুধ, কুইনিন, বিটাব্লকার, অ্যাসপিরিন, নোভালজিন প্রভৃতি ব্যথানাশক ওষুধ।
হাঁপানি প্রতিরোধঃ
(১) অ্যালার্জিকারক বস্তু এড়িয়ে চলা; যেমন ধুলা, বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া, ঝাঁঝালো গন্ধ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
(২) ঘরবাড়ি ধুলাবালিমুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এজন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে আসবাবপত্র ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। কিংবা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
(৩) ঘরে কার্পেট না রাখা।
(৪) বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা।
(৫) মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনে মোকাবিলা করা কিংবা মানসিক উত্তেজনা এড়িয়ে চলা।
(৬) পরিশ্রম বা খেলাধুলায় শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ পরিহার করা।
(৭) পেশাগত কারণে অ্যাজমার কষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে স্থান বা পেশার পরিবর্তন করা।
(৮) ধূমপান না করা।
(৯) যেসব খাবারে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে, তা পরিহার করা। বিশেষভাবে রঙ দেয়া খাবার পানীয় পরিহার করা।
(১০) ফ্রিজের খাবার, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।
(১১) সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা। ইতিবাচক মন হাঁপানির কষ্ট কমাতে পারে।
হাঁপানি রোগীর কিছু নিয়ম :
(১) সাধারণ পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ করা।
(২) রাতের খাবার পেট ভরে খাবেন না। ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাবেন।
(৩) লাল, হলুদ ফল, শাকসবজি নিয়মিত খাবেন। কারণ এতে প্রচুর বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
(৪) ভিটামিন ‘’সি ও ‘ই’সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসকে শক্তিশালী করে। এজন্য সবুজ শাকসবজি প্রচুর খেতে হবে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ অয়েল নিয়মিত খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া নিয়মিত আপেল খেলেও ফুসফুস শক্তিশালী হবে।
(৫) শ্বাসকষ্টের সময় প্রচুর পানি পান করুন; যাতে আপনার কাশি তরল হতে পারে।
(৬) বেশি রাত জাগবেন না। নির্দিষ্ট নিয়মে মাঝ রাতের আগে ঘুমাতে যাবেন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে।
(৭) নিয়মিত ব্যায়াম করুন অথবা সকাল বেলা হাঁটুন; সাঁতার কাটুন।
(৮) মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
(৯) রাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন।
(১০) অতিরিক্ত মসলা, ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার কিংবা এসিডজাতীয় খাবার; যা শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে তা পরিহার করা।
(১১) গরুর দুধ, বিশেষভাবে শিশুদের গরুর দুধ না খাওয়ানোই ভালো।
(১২) হাঁপানি অনেকাংশে বংশগত রোগ। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা দরকার ছেলেমেয়ের উভয় পরিবারেই হাঁপানি আছে কিনা। উভয় পরিবারেই হাঁপানি থাকলে ছেলেমেয়েদের হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে- তাই এমন বিয়ে এড়িয়ে চলা ভালো।
স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনাই হাঁপানি রোগের মূল চিকিৎসা। অন্যান্য চিকিৎসার মতো হোমিওপ্যাথিতেও এ রোগের ভালো চিকিৎসা রয়েছে। মনে রাখবেন, এ রোগে যারা বিশেষজ্ঞ তারাই এর ভালো চিকিৎসা দিতে পারবেন।
- অধ্যাপক জিএম ফারুক
লেখক : মহাসচিব, ইন্টিগ্রেটেড অ্যাজমা সোসাইটি, ফোন : ০১৭১২৮১৭১৪৪
কেউ যদি #কদরের_রাতে আমল করতে চান, এই নিয়মে করতে পারেন...
১। রাত দশটার পর থেকে টিভি বা মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকুন।
২। বেশি গরম লাগলে গোসল করুন ও পরিষ্কার পোষাক পরিধান করুণ।
৩। কোরআন পড়তে পারলে ১২ টার আগ পর্যন্ত কোরআন পরুন।
৪। ৩০মিনিট ধ্যান খেয়াল এনে সালাতু তাজবিহের নামাজ পরুন।
৫। রাত ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জিকির করুন। যেমনঃ-
(১) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। (১০০ বার করে)
(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২০০ বার)
(৩) আস্তাগফিরুল্লাহ (কমপক্ষে ৫০০ বার, যত বেশি সম্ভব হয়)
(৪)বেশী বেশী দুরুদ পড়া।
(৫) সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)
(৬)"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির" (কমপক্ষে ১০০ বার)
(৭) দুয়া ইউনুস - "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যলিমীন" ।(যত পারেন)
(৮)"সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল 'আযীম।" (কমপক্ষে ১০০ বার) ।
(৯) "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি পড়তে পারেন।
(১০) সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।
৬। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পরুন ৮ রাকাত। রুকু ও সিজদায় বেশি সময় ব্যয় করুন।
৭। তাহাজ্জুদের পর তিন রাকাআত বিতরের নামাজ পরুন।
৮। সেহরি খাওয়ার পূর্বেই হাত তুলুন মালিকের কাছে। আপনার প্রয়োজনের সব কিছু খুলে বলুন..একটু চোখের পানি ফেলে বলুন, "মালিক, আমি আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই হাত পেতেছি... খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না.....ইত্যাদি...
৯। সেহরি খান।
১০। ফরজ নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরুন।
উপরের কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমান সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।..." [মুসলিম ২৬৭৪]
[সংগৃহীত]
আল্লাহ্ আমাদের আমল করার তৌফিক দিন,আমিন।
আজকের করোনা আপডেট
৪ মে ২০২১ ইং, রোজঃ মঙ্গলবার
প্রচারেঃ Tv Time
আজকের করোনা আপডেট
আজকের সেহেরীর সময়সূচি
ঢাকার সময়সূচিঃ৩ঃ৫৮
চট্টগ্রামের সময়সূচিঃ৪ঃ০০
আজকের ইফতারের সময়সূচি
ঢাকার সময়সূচিঃ৬ঃ৩১
এই মুহূর্তে ইন্ডিয়ান মানুষদের জন্য আর কিছু না পারি দোয়া করি।
এই ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস বাংলাদেশে আসলে ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় কবর খুড়তে হবে। তাই সবাই আর একটু সচেতন হই।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Dhaka
Kha 11/1, Shahajadpur Bus Stand(3rd Floor), Progoti Sharoni, Gulshan
Dhaka, 1212
আসুন প্রয়োজনিয় সময় ব্যায় করি।
ঠিকানা নীলথামারী
Dhaka, 4466
আসসালামু আলাইকুম! আপনেরা সমস্যা কি? প্রেমে ব্যর্থতা.স্বামী স্ত্রী আমিন. শনি. রাহু . যাদু. টানা. বান. পাওনা টাকা আদায় . লটারি বিজয়ী. বিদেশে যাও বাধা. ব্যবসায় লোকসান. মামলা মোথাদ...
1/2 Shere Bangla Nogor, Aagargaon
Dhaka, 1207
DEN Bangla television is a most popular TV station of Bangladesh. As a mixed channel we on aired Mov
223, Medial Bashabo. Shobujbagh
Dhaka
DNews is one of the leading online news portals of Bangladesh. We are dedicated to serve you the lat