Outsourcing BD Institute by Imran sir
Nearby businesses
1229
House, 199/A, Road
Tangail Plaza
Khilkhet
Khilket
Khilkhet Bottola
Khilkhet
P. S. Banani
Khilkhet Division
Masterbari
We are a fanous fashion house in New York USA. We produce and sale all kinds of ladies. Gents and ki
জেনে নিন শীতের কষ্ট উপেক্ষা করে ওজুর ফজিলত
শীতকালে হাতের কনুই ও পায়ের গোড়ালী সতর্কতার সাথে ধৌত করি
শীতকালে গরম পানির ব্যবস্থা না থাকলে ওজু করা একটু কষ্টকর। যারা গ্রামে থাকেন, যেখানে শীতের তীব্রতা বেশি। সেখানে শীতকালে ওজু করা আরো বেশি কষ্টের। এই কষ্টের সময়েও যারা আমরা কষ্ট উপেক্ষা করে পরিপূর্ণ রূপে ওজু করে থাকেন, তাদের জন্য কী পুরস্কার আছে জানতে চান? চলুন একটি হাদীস পড়ে নেয়া যাক।
আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের এমন কাজ জানাবো না, যা করলে আল্লাহ (বান্দার) পাপরাশি দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি বলুন। তিনি বললেনঃ অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, মাসজিদে আসার জন্যে বেশি পদচারণা করা এবং এক সালাতের পর আর এক সালাতের জন্যে প্রতীক্ষা করা; আর এ কাজগুলোই হল সীমান্ত প্রহরা।
(সহীহ মুসলিম, তাহারাত অধ্যায়। হাদীস নং ৪৭৫)
এর থেকে বুঝা যায় শীত বা অন্য যে কোনো কষ্টের সময়েও যদি আমরা উত্তম রূপে ওজু করে সালাত আদায় করি। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাপরাশি দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। সুবহানাল্লাহ!
শীতকালে ওজু সম্পর্কে একটি বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি মনে করছি। তা হলো: শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শীতকালে আমাদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে থাকে। ফলে সতর্ক ভাবে প্রতিটি অঙ্গে পানি পৌঁছানো না হলে আশংকা থেকে যায় ওজুর কিছু স্থান শুকনা থাকার। বিশেষ করে হাতের কনুই ও পায়ের গোড়ালির শক্ত চামড়ায় সহজে পানি পৌঁছে না। অন্য ঋতুতে যেভাবে হাত ধোয়া হয় শুধু সেভাবে ধুলে শীতকালে দেখা যায় কনুইয়ের কিছু অংশ শুকনা থেকে গেছে। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিই।
আল্লাহ আমাদেরকে শীত-গ্রীষ্ম সকল ঋতুতে অল্প পানি দিয়ে উত্তম ভাবে ওজু করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
জেনে নিন শীতের কষ্ট উপেক্ষা করে ওজুর ফজিলত
শীতকালে হাতের কনুই ও পায়ের গোড়ালী সতর্কতার সাথে ধৌত করি
শীতকালে গরম পানির ব্যবস্থা না থাকলে ওজু করা একটু কষ্টকর। যারা গ্রামে থাকেন, যেখানে শীতের তীব্রতা বেশি। সেখানে শীতকালে ওজু করা আরো বেশি কষ্টের। এই কষ্টের সময়েও যারা আমরা কষ্ট উপেক্ষা করে পরিপূর্ণ রূপে ওজু করে থাকেন, তাদের জন্য কী পুরস্কার আছে জানতে চান? চলুন একটি হাদীস পড়ে নেয়া যাক।
আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের এমন কাজ জানাবো না, যা করলে আল্লাহ (বান্দার) পাপরাশি দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি বলুন। তিনি বললেনঃ অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, মাসজিদে আসার জন্যে বেশি পদচারণা করা এবং এক সালাতের পর আর এক সালাতের জন্যে প্রতীক্ষা করা; আর এ কাজগুলোই হল সীমান্ত প্রহরা।
(সহীহ মুসলিম, তাহারাত অধ্যায়। হাদীস নং ৪৭৫)
এর থেকে বুঝা যায় শীত বা অন্য যে কোনো কষ্টের সময়েও যদি আমরা উত্তম রূপে ওজু করে সালাত আদায় করি। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাপরাশি দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। সুবহানাল্লাহ!
শীতকালে ওজু সম্পর্কে একটি বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি মনে করছি। তা হলো: শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শীতকালে আমাদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে থাকে। ফলে সতর্ক ভাবে প্রতিটি অঙ্গে পানি পৌঁছানো না হলে আশংকা থেকে যায় ওজুর কিছু স্থান শুকনা থাকার। বিশেষ করে হাতের কনুই ও পায়ের গোড়ালির শক্ত চামড়ায় সহজে পানি পৌঁছে না। অন্য ঋতুতে যেভাবে হাত ধোয়া হয় শুধু সেভাবে ধুলে শীতকালে দেখা যায় কনুইয়ের কিছু অংশ শুকনা থেকে গেছে। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিই।
আল্লাহ আমাদেরকে শীত-গ্রীষ্ম সকল ঋতুতে অল্প পানি দিয়ে উত্তম ভাবে ওজু করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Follow To Follow.
Like to like.. Pls
আজকের আয়াত/হাদীস
আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, যে, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيَمِينِ ، وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ لِتَكُنِ الْيُمْنَى أَوَّلَهُمَا تُنْعَلُ وَآخِرَهُمَا تُنْزَعُ.
যখন তোমাদের কেউ জুতা পরিধান করে তখন সে যেন ডান দিক থেকে আরম্ভ করে। আর যখন খোলে, তখন সে যেন বাম দিক থেকে আরম্ভ করে। যাতে পরার বেলায় ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।
রেফারেন্সঃ
সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৮৫৫ (ফুআদ আবদুল বাকী তাহকীককৃত) ৫৪৩৭
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
পাদটীকাঃ
অর্থাৎ জুতা পরার সময় প্রথমে ডান পায়ের জুতা পরা এবং খোলার সময় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খোলা সুন্নাহ।
খাবার খাওয়া শুরুর দুআ
দুআ ১
-------------------
(শুরুতে)
بِسْمِ اللّٰهِ
আল্লাহর নামে (খাওয়া শুরু করছি)
আর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে,
بِسْمِ اللّٰهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
(খাবার খাওয়ার) শুরু ও শেষ আল্লাহ্র নামে
আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭।
আজকের আয়াত/হাদীস
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطُشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لأُعِيذَنَّهُ
আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলির সাথে দুশমনি করে আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেই। আমি আমার বান্দার উপর যা ফরজ করেছি আমার কাছে তার চেয়ে বেশি প্রিয় এমন কোন কাজ নেই, যা দ্বারা বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে।
বান্দা নফল আমল দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে। তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে। তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে।
তখন সে যদি আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে দান করি এবং সে যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে তাকে অবশ্যই আশ্রয় দান করি।
রেফারেন্সঃ
সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৫০২
সূত্র : রিয়াযুস সালেহীন, ২য় খণ্ড, মাকতাবাতুল আশরাফ কর্তৃক প্রকাশিত, হাদীস নং ৯৫
পাদটীকাঃ
এ হাদীসে আল্লাহ তাআলা জানান যে, বান্দা যখন ফরয ইবাদতের পাশাপাশি নফল অমলে রত থাকে, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবেসে ফেলেন। এভাবে বান্দা আল্লাহর ওলী ও বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। আর যখন সে তাঁর ওলী হয়ে যায় এবং তিনি তাকে ভালোবেসে ফেলেন, তখন তিনি তার কান, চোখ, হাত ও পায়ে পরিণত হয়ে যান।
এর অর্থ আল্লাহ তাআলার মানবরূপ ধারণ করা নয়। তিনি মানুষে পরিণত হয়ে যান এমন নয়; বরং মানুষ যাতে এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক ব্যবহার করতে পারে সে ব্যাপারে তিনি তাকে সাহায্য করেন।
মানুষ বেশিরভাগ গুনাহ এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারাই করে থাকে। মানুষ যখন আল্লাহর ওলী ও বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়, তখন আল্লাহর সাহায্যে গুনাহ থেকে বাঁচতে সক্ষম হয় এবং এসব অঙ্গকে নেক কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পায়। সে তার কান দিয়ে কোনও অবৈধ ও অহেতুক কথা শোনে না। এমন কথাই শোনে, যাতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। সে তার চোখ দিয়ে কোনও অবৈধ বস্তু দেখে না। বরং এমন জিনিস দেখে, যাতে পুণ্য অর্জিত হয়। সে তার হাত দিয়ে কোনও হারাম বস্তু স্পর্শ করে না; বরং এমন কাজ করে, যাতে আখিরাতের সঞ্চয় হয়। এবং সে তার পা দিয়ে কোনও অবৈধ পথে চলে না; বরং এমন পথে চলে, যাতে দুনিয়া ও আখিরাতের প্রভৃত কল্যাণ সাধিত হয়।
আজকের আয়াত/হাদীস
উসমান ইবনে আফফান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُمْسِىَ
যে ব্যক্তি সকালে এ দোয়া তিনবার পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকস্মিক কোনো বিপদ তাকে আক্রান্ত করবে না। আর সন্ধ্যায় যে পড়বে সকাল পর্যন্ত আকস্মিক কোনো বিপদ তাকে আক্রান্ত করবে না।
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَىْءٌ فِى الْاَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
(অর্থ : আমি আল্লাহর নামে (দিন শুরু করছি), যার নাম সঙ্গে থাকলে আসমান-জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।)
এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী ছিলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি যার কাছে এ হাদীস বর্ণনা করছিলেন সে তার দিকে বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়েছিল। তিনি তখন বললেন: আমাকে দেখে তুমি অবাক হচ্ছ? আল্লাহর কসম, আমি মিথ্যা বলি নি। যেদিন আমি এ বিপদে পড়েছি সেদিন দোয়াটি পড়তে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
রেফারেন্সঃ
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৮৮
জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢
কোম্পানি: সিটি গ্রুপ। তীর ব্রান্ড। (জীবন পানি। চা পাতি । রেডি মসলা আইটেম।)
পদের নাম: সেলস অফিসার।(S.O)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সর্বনিম্ন এইচএসসি /অনার্স পাশ।
অভিজ্ঞতা: সেলস্ এন্ড মার্কেটিং এ সর্বনিম্ম অভিজ্ঞতা ১বছর।
কর্মস্থল: গুলশান এরিয়া ।ঢাকা।
বেতন:(আলোচনা সাপেক্ষে) ।
সাথে টিএ,ডিএ বিল।
মাসের ৩০ তারিখে বেতন প্রদান করা হয়।
অন্যান্য সুবিধা: মাসিক টার্গেট বোনাস, দুই ঈদে মূল বেতনের ৬০% বোনাস,কোম্পানিতে চাকরির বয়স এক বছর হলে প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির সুবিধা, কর্মদক্ষতা দিয়ে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।
কাজের ধরন: রুট চার্ট অনুযায়ী অর্ডার সংগ্রহ করা, কোম্পানির সকল পন্য বিক্রয়ের মনমানসিকতা থাকতে হবে।
বিস্তারিত যোগাযোগ এর জন্য কল করতে পারেন।
ফোনঃ 01982-119302 #01313011829.
#দয়া_করে_কারো_প্রয়োজন_না_হলে অপ্রয়োজনীয়' কোন মন্তব্য করবেন না।
ধন্যবাদ।
আজকের আয়াত/হাদীস
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
রিহম অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্বন্ধ আল্লাহর ‘আরশের সাথে ঝুলন্ত রয়েছে। সে বলে, যে ব্যক্তি আমার সম্পর্ক বজায় রাখবে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক রাখবেন। আর যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
রেফারেন্সঃ
সহীহ মুসলিম ৬২৮৮।
পাদটীকাঃ
অর্থাৎ যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করেন, তাকে ভালবাসেন। আর যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহ তায়ালাও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তাকে তিনি অপছন্দ করেন।
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً
জামা’আতে সালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত সালাতের থেকে সাতাশ গুণ বেশী।
রেফারেন্সঃ
সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫ (ফুআদ আবদুল বাকী তাহকীককৃত), ৬১৭.
পাদটীকাঃ
এ সওয়াব পুরুষদের জন্যে। আর মহিলাদের জন্যে নিজ ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। সহীহ হাদীসে এমনই বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে চলমান জুমাদাল উলা মাসের দিন গণনা শুরু হয়েছিল ১৬ নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার থেকে।[1] সে হিসাবে আইয়ামে বীজের নফল রোজাগুলো রাখতে হবে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ নভেম্বর রোজ মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
অর্থাৎ সোমবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে মঙ্গলবার রোজা শুরু করতে হবে। এরপর পরবর্তী দুই দিন বুধ-বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে হবে।[2] রোজাগুলো রাখার জন্য আপনার ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন।
আইয়ামে বীজ আরবি দু’টি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। আইয়ামে অর্থ দিবসসমূহ, আর বীজ অর্থ শুভ্র, সাদা, শ্বেত, খাঁটি, নির্ভেজাল। প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীজ বলা হয়। অনেকগুলো সহীহ হাদীস দ্বারা এই তিন দিন রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ রোজাগুলো নবীজির (সা) সারা জীবনের সুন্নত।
তাই চলুন আমরা সাধ্যমত প্রত্যেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে নফল সিয়ামগুলো পালন করি। কারণ সিয়াম এমন একটা ইবাদত যার প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন। সিয়াম পালনকারী বান্দাকে আল্লাহ এত পরিমাণ প্রতিদান দিবেন যে বান্দা আনন্দিত হয়ে যাবে। প্রতি মাসে আইয়ামে বীজের ৩টি রোজা রাখা, সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।[3]
যদি এই ৩ দিন মিস হয়ে যায় তাহলে মাসের যে কোনো ৩ দিন রোজা রাখতে পারি। এতেও ইনশাআল্লাহ সারা মাস (৩০ দিন) রোজা রাখার সওয়াব হবে। কারণ প্রত্যেক নেক আমলের প্রতিদান ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।[4]
এছাড়াও সাধ্য মত সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে পারি। নবীজি (সা) গুরুত্ব সহকারে এই দুই দিন সিয়াম পালন করতেন।[5] আর শীতকালের রোজা সম্পর্কে নবীজি (সা) বলেছেন এটি মুমিনের জন্য অনায়াশলব্ধ গনিমতের মালের মত। যা অনায়াশে লাভ করা যায়।[6] কারণ শীতকালে রোজা রাখায় কষ্ট কম হয়। শীতকালের কয়েকটি বিশেষ আমল সম্পর্কে জানা যাবে এখান থেকেঃ
https://muslimsday.com/শীতকালের-বিশেষ-আমল
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন।
দাওয়াতের উদ্দেশ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। কেউ এটি দেখে নিয়মিত আমল করলে তার সওয়াবের অংশ ইনশাআল্লাহ আপনিও পাবেন।
তথ্যসূত্রঃ
[1] ইসলামিক ফাউন্ডেশন
[2] https://muslimsday.com/আইয়ামে-বীজ-রোজার-ফজিলত
[3] আবু দাউদ ২৪৪৯
[4] সূরা আন'আম, আয়াত ১৬০
[5] https://muslimsday.com/সোম-বৃহস্পতিবার-রোজা
[6] https://muslimsday.com/শীতকালের-বিশেষ-আমল
শীতকালের জন্য বিশেষ কিছু আমল - Muslims Day শীতকালে আমরা বিশেষ কিছু আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট প্রিয় হতে পারি। যেমনঃ শীতার্তকে বস্ত্র দান, বেশি বেশি নফল রোজ.....
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالمُرْتَشِيَ فِي الحُكْمِ
বিচারক্ষেত্রে ঘুষখোর ও ঘুষদাতাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন।
রেফারেন্সঃ
জামে আত-তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৬ (আহমাদ শাকের তাহকীককৃত) ১৩৪o.
আমরা কে না চাই যে, আমাদের রিযিক বৃদ্ধি পাক? হালাল রিযিক ও অভাব-ঋণগ্রস্ত অবস্থা থেকে রক্ষা চেয়ে রাসূল (সা) নিয়মিত দুআ করতেন। বিশেষ করে ঋণের থেকে হেফাজতে থাকার জন্য রাসূল (সা) আল্লাহর কাছে দুআ করতেন। তিনি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তির জানাজার সালাত পড়াতেন না।
আজকে আমরা কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে হালাল রিযিক বৃদ্ধির দুইটি আমল সম্পর্কে জানব।
॥॥ তাকওয়া অবলম্বন করা ॥॥
আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়া অবলম্বন করা। তাঁর আদেশগুলো পালন ও নিষেধ করা বিষয়গুলো বর্জন করা। রিযিকের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি, ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং আল্লাহ তায়ালার সিদ্ধান্ত বা অনুগ্রহে সন্তুষ্ট থাকা। তাওয়াক্কুল করা এবং রিজিক অন্বেষণে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। কারণ, যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
- فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ فَارِقُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ وَأَشْهِدُوا ذَوَىْ عَدْلٍ مِّنكُمْ وَأَقِيمُوا الشَّهٰدَةَ لِلَّهِ ۚ ذٰلِكُمْ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْءَاخِرِ ۚ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُۥ مَخْرَجًا
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُۥٓ ۚ إِنَّ اللَّهَ بٰلِغُ أَمْرِهِۦ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَىْءٍ قَدْرًا
“আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াতঃ ২-৩)
॥॥ আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ॥॥
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের হক আদায়ের মাধ্যমেও রিযিক বাড়ে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ
"যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।"
(বুখারী ৫৯৮৫)
অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের আত্মীয়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখি, তাদের হক্ব আদায় করি, তাদের জন্য সাধ্য মত খরচ করি, তাদের মধ্যে অভাবীদেরকে সহযোগিতা করি। তাহলে আমাদের হায়াত ও রিযিকে আল্লাহ বরকত দিবেন ইনশাআল্লাহ।
রাসূল (সা) এর সহীহ হাদীস থেকে পাওয়া যায় সাদাকা বা দানের মাধ্যমে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। একটু পরীক্ষা করেই দেখুন না! আপনার কোনো অভাবী আত্মীয়দের জন্য, অভাবী বা কষ্টে থাকা বন্ধুদের জন্য সাধ্য মত খরচ করুন। দেখবেন আল্লাহ অকল্পনীয় উৎস থেকে আপনার রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবেন। এটা বান্দার সাথে আল্লাহর ওয়াদা!
আল্লাহ আমাদের সকলের অভাব দূর করে দিন। প্রত্যেকের ক্যারিয়ারকে সফল করুন। রিযিক বৃদ্ধি করে দিন। আমীন।
@@ to My Page on the visited. Thanks For You....!!!!!
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি ন্যায়ের ওপর থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া ছেড়ে দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের জিম্মাদার। যে ব্যক্তি কৌতুকের ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।
রেফারেন্সঃ
সুনানে আবু দাউদ ৪৮০০
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমর (রাঃ) ততক্ষণ পর্যন্ত আহার করতেন না যতক্ষণ তাঁর সঙ্গে খাওয়ার জন্য একজন মিসকীনকে ডেকে না আনা হতো। একদা আমি তাঁর সঙ্গে বসে আহার করার জন্য জনৈক ব্যক্তিকে নিয়ে আসলাম। লোকটি খুব বেশি আহার করল। তিনি বললেনঃ নাফি’! এ ধরনের লোককে আমার কাছে নিয়ে আসবে না। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, মু’মিন এক পেটে খায়। আর কাফির সাত পেটে খায়।
রেফারেন্সঃ
সহিহ বুখারী ৫০০১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ
এক ব্যক্তি তার ভাইকে দেখার জন্য অন্য এক গ্রামে গেলো। আল্লাহ্ তা’য়ালা তার জন্য রাস্তায় একজন ফেরেশতা মোতায়েন করলেন। সে ব্যক্তি যখন ফেরেশতার কাছে পৌঁছলো, তখন ফেরেশতা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করেছ? সে বললো, আমি এই গ্রামে আমার এক ভাইকে দেখার জন্য যাচ্ছি। ফেরেশতা বললেন, তার উপর তোমার কি কোন অনুগ্রহ আছে, যা তুমি আরো বৃদ্ধি করতে চাও? সে বললো, না। আমি তো শুধু মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ্র জন্য তাকে ভালবাসি। ফেরেশতা বললেন, আমি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তোমার কাছে এ পয়গাম নিয়ে এসেছি যে, আল্লাহ্ তোমাকেও ভালবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁরই জন্য ভালবেসেছ।
রেফারেন্সঃ
সহিহ মুসলিম ৬৩১৬
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে দিন আল্লাহ্র (রহমতের) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে, ৩. সে ব্যক্তি যার কলব মসজিদের সাথে লেগে আছে, ৪. সে দু’ ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহ্র জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহ্র জন্য, ৫. সে ব্যক্তি যাকে কোনো উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’, ৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না, ৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিক্র করে, ফলে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়।
রেফারেন্সঃ
সহিহ বুখারী ৬২৭
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
চলমান রবিউল আউয়াল মাসের আইয়ামে বীজের নফল রোজাগুলো রাখতে হবে আগামী ২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ২০২৩ রোজ শুক্র, শনি ও রবিবার। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করতে হবে। ভুলে যাওয়া এড়াতে আজই আপনার ফোনে রিমাইন্ডার সেট করে রাখুন![1]
আইয়ামে বীজ আরবি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। আইয়ামে অর্থ দিবসসমূহ, আর বীজ অর্থ শুভ্র, সাদা, শ্বেত, খাঁটি, নির্ভেজাল। প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীজ বলা হয়। বেশ কয়েকটি সহীহ হাদীসে এ তিন দিনের রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। এ রোজাগুলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সারা জীবনের সুন্নত। প্রতি মাসে আইয়ামে বীজের ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।[2]
তাই চলুন, আমরা প্রত্যেকে সাধ্যমতো পরিবারের সকলকে নিয়ে নফল রোজাগুলো পালন করি। রোজা এমন একটা ইবাদত যার প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন।
১২ রবিউল আউয়াল ঈদ উদযাপন ও বিশেষ আমল কি সুন্নাহ সম্মত?
================================================
সমাজে প্রচলিত ঈদে মীলাদুন্নবী বিষয়ে আমাদের ব্লগে ৩টি আর্টিকেল লিখেছেন মাওলানা শিব্বীর আহমদ। উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা। আর্টিকেলের লিংকগুলো নিচে দেয়া হলো:
ঈদে-মীলাদুন্নবীর-ইতিহাস
রবিউল আউয়াল মাসে কিছু লোক বিভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ ও দরূদের ব্যাপারে ফজিলত বর্ণনা করেন। "এ মাসের অমুক দিন এত রাকাত নামাজ পড়লে এই ফজিলত... অমুক দিন এত লক্ষ বার ঐ দরূদ পড়লে এই ফজিলত..." - এরকম চটকদার কিছু বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়। বাজারে প্রচলিত "বারো চান্দের ফজিলত" বা মোকছেদুল মোমিন নামক কিছু অগ্রহনযোগ্য বই-পুস্তকে এসব কথা বেশি পাওয়া যায়। এগুলো সবই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। রবিউল আউয়াল মাসের কোনো বিশেষ আমল কুরআন ও হাদীসে কোথাও পাওয়া যায় না।[3]
-------------------
রবিউল আউয়াল মাসের ব্যাপারে উক্ত বর্ণনাগুলোর নেপথ্যে রয়েছে ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম হয়েছিল মর্মে এমন একটি বর্ণনা। যদিও ইতিহাস ও সীরাতের আলোকে আমরা বলতে পারি, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ শতভাগ নিশ্চিত করে বলার মত প্রামাণ্য কোনো বর্ণনা নেই। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম কত তারিখে হয়েছিল তা নিয়ে ১০-১২টি মত রয়েছে। অনেক গবেষকই তন্মধ্যে ৯ রবিউল আউয়ালকে জন্ম তারিখ এবং ২ রবিউল আউয়ালকে ইন্তিকালের তারিখ হিসাবে বেশি সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে ঘটা করে যেভাবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিনের স্মরণে "ঈদ" পালন করা হয়, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এবং পরবর্তী সাহাবীগণ ও তাবেয়ীগণের যুগে এই প্রথা ছিল না। ইসলামে জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করার কোনো অনুমতি নেই। কোনো সাহাবী, তাবেয়ী, ইমাম, উলামায়ে উম্মাহ কেউ এমনটি করেন নি; বরং করাকে বিদআত বলেছেন। সুতরাং তা পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার রসম-রেওয়াজ ও বিদআত থেকে হেফাজত করুন। এগুলোর পিছনে না পড়ে পুরোপুরি সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন।[4]
৪০০ হিজরীর দিকে সর্বপ্রথম মিসরের ফাতেমীয় শীয়া শাসকগণ রবিউল আউয়াল মাসে ‘মীলাদ’ বা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিবস পালনের প্রচলন করে। ৬০০ হিজরীতে ইরাকের ইরবিল শহরে ৮ রবিউল আউয়াল ‘মীলাদ’ বা ‘ঈদ মীলাদুন্নবী’ নামে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম উদযাপন শুরু হয়। অপরদিকে ভারত ও অন্যান্য দেশে ১২ রবিউল আউয়ালে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত উপলক্ষে ‘ফাতেহা’ বা ‘ফাতেহায়ে দোয়াজদহম’ উদযাপন শুরু হয়।[5]
একদল অতি আবেগী লোক ১২ রবিউল আউয়ালকে সকল ঈদের সেরা ঈদ আখ্যা দিয়ে ঈদ পালন করে থাকেন। সুন্নাহ পরিপন্থী এই কাজের পিছনে তাদের যুক্তি হচ্ছে "দয়াল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিনে খুশি হব না তো কী হব? তাই এই দিন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ঈদ"। যেই ঈদ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তী জীবনে তিনি একবারও পালন করেন নি, সাহাবীগণ পালন করেন নি, তাবেয়ীগণ পালন করেন নি, এরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখটি নিশ্চিত না হওয়া সত্ত্বেও এই দিনকে ঈদ বানিয়ে নিয়েছে। মীলাদুন্নবী উদযাপনের জন্য খরচ করলে জান্নাতে হযরত আবু বকরের সঙ্গী হওয়া যাবে- এমন বানোয়াট কথাও তারা প্রচার করে।[6]
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার রোজা রাখতেন। এর পিছনে অন্যতম কারণ ছিল সোমবার তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন। যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম বারে রোজা রাখতেন, সেখানে একালের "আশেকে রাসূল" দাবীদারগণ "ঈদ" উদযাপন করেন। সোমবার রোজার হাদীস উল্লেখ করে তাদের ঈদের দলিল দেয়। কতটা হাস্যকর এসব অপব্যাখ্যা! ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য ধর্মে (হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও ইহুদী) জন্মদিন পালন করার বিশেষ রীতির উল্লেখ পাওয়া যায়। প্যাগান ধর্ম বিশ্বাসেও জন্মদিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অপর পক্ষে ইসলামী শরীয়তে কারো জন্ম বা মৃত্যুকে বিশেষ ভাবে উদযাপনের রীতি কুরআন-হাদীসের মাধ্যমে পাওয়া যায় না।[7]
আল্লাহ তাদেরকে সঠিক ইসলামের বোঝ দান করুন। ইসলামকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণ এর মতো করে বোঝার তাওফিক দান করুন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে সাহাবীগণের চেয়ে অধিক অগ্রগামী নিজেদেরকে আমরা না মনে করি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণের চেয়ে ইসলামকে বেশি বুঝতে গেলে পথভ্রষ্ট হওয়া নিশ্চিত! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্নাহের উপর জীবন চালানোর তাওফিক দান করুন। বিদআতমুক্ত জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
(যে কোনো প্রচলিত বিদআতের বিপরীতে পোস্ট করার পর আমরা বরাবরই অনেক গালাগাল ও কটুক্তির শিকার হই। এ ধারাবাহিকতায়, বলাবাহুল্য, এই পোস্টের পরও একদল লোক এসে আমাদেরকে গালাগালি করবেন। নবীর দুশমন, ইহুদীদের দালাল, ওহাবী, আবু জেহেলের বংশ ইত্যাদি ট্যাগ দিবেন। আল্লাহ তায়ালা সেই সকল ভাইদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমীন।)
তথ্যসূত্রঃ
[1] https://muslimsday.com/আইয়ামে-বীজ-রোজার-ফজিলত
[2] আবু দাউদ ২৪৪৯
[3] ভিত্তিহীন বর্ণনাঃ https://www.alkawsar.com/bn/article/2737
[4] ফযীলতপূর্ণ দিবস ও রজনীঃ https://www.alkawsar.com/bn/article/779
[5] https://www.hadithbd.com/books/link/?id=4948
[6] মীলাদুন্নবী বিষয়ে দুটি ভিত্তিহীন বর্ণনাঃ https://www.alkawsar.com/bn/article/2862
[7] ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন বনাম ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধানঃ https://hellohasan.com/2022/10/05/ঈদে-মিলাদুন্নবী-উদযাপন
প্রসঙ্গ মীলাদুন্নবী : জন্মদিন পালনের ইতিহাস ও ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধান নবীজির সা. প্রেমে জীবনকে সুন্নাহের আলোকে ঢেলে সাজানো কঠিন। কিন্তু নবীপ্রেমের নামে জশনে জুলুস পালন করা সহজ। জন্মদ...
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Address
Dhaka
40/3 Naya Paltan (1st Flr), VIP Road
Dhaka, 1000
Gift Items, Printing and Publication, Design Development, Project Consultancy, Graphic Design, Product Design, Handicrafts and Export
Planner's Tower 12 Th Floor, 13/A Sonargaon Road, Banglamotor
Dhaka, 1200
Bangladesh Knitwear Manufacturers & Exporters Association (BKMEA) was formed in 1996. Its core activities are to promote Bangladeshi Knitwear.
Cristal Palace, 140, Road 22, Gulshan Avenue
Dhaka, 1212
Welcome to DhakaSnob.com, the first and only directory of its kind in Dhaka. Now you can easily find information for the finest businesses of Dhaka
Suite # 04, Level # 12, Red Crescent Bhavan, 61 Motijheel C/A
Dhaka, 1000
House 29, Road 12, Sector/10, Uttara
Dhaka, 1230
This is official page of Divine IT Limited, an IT consulting & software development company
Chowdhury Complex, Room No/10&17 (1st Floor), 15 Purana Palton
Dhaka, 1000
Worldwide Express Courier Service and Air and Sea Fright Forwarder, C&F Agent, Incoming and outgoing
Station Road. Tongi. Gazipur-1710
Dhaka
all type of tower crane er****on jacking up and down crane service works act