Public Voice

don't be good do good.

PUBLIC VOICE

দ্যর্থহীন কন্ঠে কিছু বলার একটা প্লাটফর্ম, যা আমাদের অনেক দিনের প্রয়াস।

আমরা সবাই আমাদের মনের কথা বলবো এবং কি করে সঠিক পথে চলবো তার দিকনির্দেশনা হিসেবে কে কি মনে করি Public Voice তা প্রকাশ করবে, শুধু প্রয়োজন আপনার উপস্থিতি ও উপস্থাপন।

"Let's make a better world a better place for you and for me and for the next generation"- public Voice এর লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের বক্তব্য

একজন আসিফ নজরুল, 'একই অঙ্গে অগণিত রূপ!' - সাফ কথা 03/09/2024

একজন আসিফ নজরুল, 'একই অঙ্গে অগণিত রূপ!' - সাফ কথা ডঃ আসিফ নজরুলের তত্বাবধানেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনস্থ বাংলাদেশে বৃটিশ আমলে ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ...

26/06/2024

"বহুগামীরা সময় মতো কথা বলেনা আর অসময়ে চুপ করেনা, এটা পুরোনো কথা"

(ছবি: আরটিভি; সংগৃহীত)

Public Voice

10/04/2024

Public Voice

https://safkotha.com/?p=1463

01/04/2024
যাত্রাবাড়ী আরতের খুনের আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘোরে! 05/02/2023

যাত্রাবাড়ী আরতের খুনের আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘোরে! মঞ্জুর মোর্শেদ : যাত্রাবাড়ীর রমজান, উজ্জ্বল আর আলামিন বাহিনীর সদস্যরা‌ই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে ....

কুখ্যাত হিসেবে চিহ্নিত ওসি মশিউর রহমানের আদ্যপান্ত 05/02/2023

কুখ্যাত হিসেবে চিহ্নিত ওসি মশিউর রহমানের আদ্যপান্ত মঞ্জুর মোর্শেদ : রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থানার সাবেক ওসি মশিউর রহমানের কর্মকান্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যখন প্রশ্....

27/01/2023

যাত্রাবাড়ী আরতের খুনের আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘোরে!
======================

যাত্রাবাড়ীর রমজান, উজ্জ্বল আর আলামিন বাহিনীর সদস্যরা‌ই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় সুত্র। এঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে তিন/চারজন, যাদের একজনের অবস্থা অসংখ্য জনক। ওদিকে যাত্রাবাড়ীতে চাউর রমজান এরেষ্ট....

উল্লেখ্য যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়তে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে উজ্জ্বল গ্রুপ বনাম ঢাকা জেলার সিটি টোল আদায়ের জব্বার গ্রুপের সংঘর্ষে ইমরান হোসেন নামে এক নিরিহ ব্যক্তি খুন হয়েছে বলে যে সংবাদটি দেশের প্রথম শ্রেণীর পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে, গণমাধ্যমে ভাইরাল, সেই খুনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ি ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম মোল্লাসহ ২২জনের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা হয়েছে, মামলার বাদী নিহত শ্রমিক ইমরানের স্ত্রী পপি আক্তার এবং এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম।

পপি আক্তার জানান, তার স্বামী ইমরান পেশায় একজন পিকআপ শ্রমিক। পাশাপাশি কাঁচা বাজারে পিকআপ-ট্রাকের কুলি মজুরদের টোল আদায় করতেন। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইমরান কাজের উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারে যায়। পরে রাতে পপি জানতে পারেন, টোল আদায়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে তার স্বামী খুন হয়।

উল্লেখ্য গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার মাছের আরতে ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের জোর করে চাঁদাবাজি করার খায়েশেই এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের মধ্যে বড়বাজার নামে এক আড়তে প্রতিদিন রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যবাহী গাড়িতে করে মাছ আসে। এসব গাড়ি থেকে কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা নিয়ন্ত্রিত ও নিয়মিত অবৈধ চাঁদা আদায় করে রমজান, উজ্জ্বল, আলামিনরা তাদের কিশোর গ্যাং, মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী সন্ত্রাসী গ্রুপের কর্মীদের সাথে নিয়ে। তারা সরাসরি জানের ভয় দেখিয়ে ২৫০/৩০০ টাকা (গাড়ি প্রতি) করে অবৈধ চাঁদা আদায় করে এবারের ডাকে পাওয়া ঢাকা জেলার সিটি টোল আদায়ের বৈধ পক্ষ জব্বার গ্ৰুপের উপর টেক্কা দিয়ে! ওদিকে ডাকে চাঁদা আদায়ের বৈধতা পেয়ে জব্বার গ্ৰুপের সদস্যরা একাজে বাঁধা দিতে থাকে এনিয়েই সংঘর্ষ। এবিষয়ে জব্বার গ্ৰুপ যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে জানিয়েও তেমন কোনো ফয়দা পায়নি কারণ যাত্রাবাড়ী ৫০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা।

যাত্রাবাড়ি ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা ছিলো আসলে রাস্তার পোলা। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ধলপুর, শনির আখড়া এসব এলাকার বিভিন্ন অলিগলি, মার্কেট, ফুটপাত, আবাসিক হোটেল, বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের সাথে লবিং করে চলতে চলতে বড়ো হয়েছে মাসুম মোল্লা....।
স্থানীয় সুত্রে থেকে এছাড়াও জানা গিয়েছে মাসুম মোল্লা গেলো বারেও বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর শক্তিশালী সদস্য হয়ে মাঠে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তার আন্ডারগ্ৰাউন্ডের লোকজন রমজান, উজ্জ্বল, আলামিনদের সাথে নিয়ে। যাত্রাবাড়ী এলাকার সম্ভ্রান্ত রাজনীতির সাথে তার কোনো কালেই তেমন কোনো ওঠাবসা ছিলো না। বিশেষ করে সে এবার ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হবার পরে হালে পানি পেয়েছে, তার বাহিনীরা চব্বিশ ঘন্টা জোয়ারের জলে ভাসে.....।
তারা জানান, বস্তুত নব্য আওয়ামীলীগ মাসুদ মোল্লা সিটি পলিটিক্সের সাথে এখন মিশে গিয়ে মেয়র লেভেলে লবিং করে চলে। যাত্রাবাড়ী থানার আগের ওসিরাও তাকে মাথায় নিয়ে ডিউটি করেছেন, আর বিশেষ করে এবার কাউন্সিলর হবার সুবাদে প্রটোকল বলে তো একটা কথা আছেই...

এছাড়াও যাত্রাবাড়ী এলাকার পুরোনো বাসিন্দারা(নাম না প্রকাশ করার শর্তে)জানান, শুধু মাছের আরতেই নয়, মাসুম মোল্লার পালিত রমজান, উজ্জ্বল, আলামিনদের নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী গ্ৰুপের সদস্যরা আখ্খা এলাকায় জোর করে চাঁদাবাজি, মোবাইল ছিনতাই, অপরিচিত লোকদের আটক করে নাটক সাজিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়া, মাদক ভেলিভারি থেকে বানিজ্য সবকিছু করে। ভয়ে কেউ মুখ খুলবে, কার ঘাড়ে কটা মাথা আছে? ওরাই চোর ওরাই পুলিশের ফর্মা, ওরা প্রশাসন মেইনটেইন করে চলে।

আওলাদ হোসেন নামের একজন ড্রাইভারের কাছ থেকে জানা যায়, উজ্জল-রমজান নেত্রিত্ব দিয়ে তুরাগ পরিবহনের দেলু, মামুন সহ আরোও কয়েকজন সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নাটক সাজিয়ে তার বারো হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরো আট হাজার বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলে হাতের মোবাইটিও রেখে দেয়।

আওলাদ হোসেনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার মতো এমন শত শত ঘটনা প্রতিদিন ঘটানোর পরেও তারা প্রকাশ্যে চলে, তাদের প্রয়োজনের সকল কিছুর যোগান দিয়ে থাকে মাসুম মোল্লা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক নেতা বলেন, মূলত এটাই মাসুম মোল্লার পরিচয়, এটাই তার রাজনীতি, এটাই সিঁড়ি। ৫০ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা তার এসব সন্ত্রাসীদের দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ীর মানুষগুলোকে হুমকির মুখে রেখে, ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ রেখে চলতে বাধ্য করছে। এলাকাবাসীরা এ থেকে নিস্তার পেতে চায় এবং এই মর্মে তারা বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী থানায় সদ্য বদলী হয়ে আসা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সকলের প্রশ্ন খুনের মামলার ২২ জন আসামির গ্ৰেফতার হয়েছে কয়জন? ওদিকে স্থানীয় লোকের মতে, তারা প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে, ১০০% আগের মতোই! তাদেরকে কেউ কিছু বলে না ভয়ে! তাছাড়া তাদের গ্ৰেফতার করা স্থানীয় থানার দায়িত্ব। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তাদের প্রশ্নঃ কি করে এইসব মারাত্মক অপরাধীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘোরে?

এমতাবস্থায় আমাদের কথা হচ্ছে, স্থানীয় মানুষের ঘামের পয়সা দিয়েই থানা পুলিশের পোশাক কিনে দেয়া হয়। পুলিশের হাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা তুলে দিয়ে মাস গেলে বেতন-ভাতা সহ আজীবন রেশন পেনশনের নিশ্চয়তা করা হয়েছে সাধারণ মানুষের অর্থেই। তাহলে পুলিশ কেনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা সহ সকল আসামীদের গ্ৰেফতার করতে ব্যর্থ হচ্ছে? তাদের কিসের কমতি আছে? তাহলে কি পুলিশ বাহিনী নিজস্ব অবস্থার কমতির কথা মেনে নিচ্ছে? তাই কি খুনের আসামীরা এলাকাতেই ওপেনে ঘোরেফেরে!? দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের।

(নিউজ লিংক: https://iannpress.wordpress.com/2023/01/28/%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0/)

Investigation Agency

01/01/2023

শান্তিনগর বাজারের উপর লুটেরা চক্রের আবার থাবা!
=======================

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শান্তিনগর, আর শান্তিনগরের হৃৎপিন্ড হচ্ছে 'শান্তিনগর বাজার'। তথ্য মিলেছে, এই শান্তিনগর বাজারের উপর হঠাৎ পরেছে ১২ শকুনের নজর!

উল্লেখ্য যে স্বাধীনতার আগে থেকেই ঢাকা শহরের শান্তিনগর বাজারে ব্যবসা করে একদল ভালো মানুষ ব্যবসায়ীরা, যারা আজীবন রাজধানী শহরে বসবাসকারী সকল শ্রেণীর মানূষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল রকমের পণ্যসামগ্ৰী বেচাকিনা করে সেবা প্রদান করেন। ঐতিহ্যবাহী শান্তিনগর বাজারের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থাটি হঠাৎ তছনছ করে দেবার আবারও একটা গোপন পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে জানান বাজারের দোকান মালিক, শেয়ার হোল্ডার, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। তাদের দেয়া তথ্য মতে, শান্তিনগর বাজারের আজীবনের মালিক শ্রেনীর লোকজন ও শেয়ার হোল্ডারদের সাথে প্রতারণা করে এই বাজারের‌ই একদল হাইব্রিড ব্যবসায়ীরা কমিটির উচ্চ পর্যায়ের পদগুলো কিনে নিয়ে অনেকদিন ধরেই একধরনের খেইল খেলছে, যা অনৈতিক ও অবৈধ‌ও বটে।

শান্তিনগর বাজার দোকান মালিক সমিতি (রেজিঃ নং -ঢ ৩২১৭) এবং আমিনবাগ কো-অপারেটিভ মার্কেট সোসাইটি লিমিটেড এর শেয়ারহোল্ডার ও দোকান মালিক স্বার্থ সংরক্ষণ ফোরামের একটি লিখিত বিবৃতিতে জানা যায়, "আমাদের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনগর বাজারে আজ লুটেরা চক্রের রাহুগ্ৰাসের কবলে পরেছে। গত ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতের আঁধারে বর্তমান কমিটির ১২ সদস্য ধানমন্ডিতে গিয়ে 'কস্প্রহিনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেড' -এর সাথে চুক্তি করে ৩ কোটি টাকা নিয়ে এসেছে আমিনবাগ কো-অপারেটিভ মার্কেট সোসাইটি লিমিটেড -এর উন্নয়ন নীতিমালা ২০১২ লঙ্ঘন করে, দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করে, এমনকি ভবিষ্যৎ দোকান প্রদানের চুক্তি ছাড়াই উক্ত ডেভেলাপার বরাবর এ বাজারের সম্পত্তি হস্তান্তর করার চুক্তি করার ফলে গভীর হুমকির মুখে পরেছে শেয়ার হোল্ডার, দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সহায় সম্পদ। এতে করে উচ্ছেদের শিকার হবে দোকান মালিক। চিরতরে বেহাত হবে দোকান মালিকের দোকান। রুজি-রুটি বন্ধ হয়ে অগণিত ব্যবসায়ীগণ হবে ভিখারি।"

লিখিত বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, "রাতের আঁধারে সম্পত্তির এ চুক্তির শর্তানুসারে প্রায় ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১০২ কাঠা সম্পত্তির মালিকপক্ষ (আমিনবাগ কো-অপারেটিভ মার্কেট সোসাইটি লিমিটেড) আর্থিক মূল্যমান হিসেবে পাচ্ছে মাত্র ২৮%, অন্যদিকে ডেভেলাপার (কস্প্রহিনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেড) আর্থিক মূল্যমান হিসেবে পাচ্ছে প্রায় ৭২%। যেকোনো মার্কেটের নিচতলা তথা ১ম তলা এবং ২য় তলা যা সর্বোচ্চ মূল্যে হস্তান্তর হয়। শুধু এই দুই ফ্লোরের মূল্যমান কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা, যা দেয়া হয়েছে ডেভেলাপারকে।"

উল্লেখ্য যে উন্নয়নের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে একের পর এক নতুন নতুন কোম্পানির সাথে চুক্তি চুক্তি খেলা করে আমিনবাগ কো-অপারেটিভ -এর লুটেরা কমিটি এভাবে প্রতিবার‌ই হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

২০০৫ সালে‌ প্রকাশ্য চুক্তিতে ১০ লাখ টাকা গ্ৰহন করে আইডিয়াল হোম বিল্ডার্স হতে কিন্তু গোপন কমিশন বানিজ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন তাদেরকে সাড়ে তিন (৩.৫) কোটি টাকা পরিশোধ করছে।

২০১০ সালে প্রকাশ্য চুক্তিতে ৫০ লাখ টাকা গ্ৰহন করে সিদ্দিক রিয়েল এস্টেট হতে কিন্তু গোপনে ১কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত চেকের মাধ্যমে এনেছিলো। ফলে এখন তাদেরকে পরিশোধ করছে আড়াই (২.৫) কোটি টাকা।

নকশী হোমস হতে কত টাকা নিয়ে চুক্তি করেছে এবং তাদেরকে কত টাকা ফেরত দিচ্ছে তা গোপন করছে।

চুক্তি চুক্তি খেলার মাধ্যমে টাকা লুটের সর্বশেষ কোম্পানি হোলো 'কস্প্রহিনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেড'।

এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ও অধিকার বঞ্চিত শান্তিনগর বাজার দোকান মালিক সমিতি এবং আমিনবাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট সোসাইটি লিমিটেড এর শেয়ারহোল্ডার ও দোকান মালিক স্বার্থ সংরক্ষণ ফোরাম একটি লিখিত দাবী জানান।

তাদের দাবি:

১. ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতের আঁধারে সম্পাদিত অবৈধ, অসম, লজ্জাজনক চুক্তি এবং আম-মোক্তার বাতিল করতে হবে;

২. উন্নয়নের নামে চুক্তি চুক্তি খেলা বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়নের লক্ষ্যে এজিএম-এ পাশকৃত উন্নয়ন নীতিমালা ২০১২ মেনে ডেভেলপার এর সাথে প্রকাশ্য চুক্তি করতে হবে;

৩. শান্তিনগর বাজার যেনো ক্রেতাশুন্য না হয়, সেজন্য বাজার বন্ধ না করে উন্নয়নের কাজ ৩ ভাগে করতে হবে;

৪. উন্নয়ন চুক্তিতে প্রতি শেয়ার হোল্ডারের জন্য ১০০ বর্গফুট -এর অধিক স্পেস বরাদ্দের জন্য শেয়ারহোল্ডার-সোসাইটি-ডেভেলাপার ত্রিপাক্ষিক রেজিস্ট্রার্ড চুক্তি করতে হবে;

৫. উন্নয়ন চুক্তিতে প্রত্যেক দোকান মালিককে তার বর্তমান দোকানের বর্গফুটের সমান একটি দোকান ১ম তলা/নিচতলায় অবশ্যই থাকতে হবে এবং আরেকটি দোকান ৩য়/৫ম তলায় থাকতে হবে। অর্থাৎ দোকানের বিপরীতে প্রত্যেক দোকান মালিকের ২টি দোকান প্রাপ্তির রেজিস্ট্রার্ড চুক্তর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে;

৬. উন্নয়ন চুক্তিতে বিদ্যমান মসজিদ-মাদ্রাসার যথাযথ পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শরিয়তের বিধানানুসারে ওয়াকফকৃত মসজিদে সাধারণ মুসল্লিগণের ব্যবস্থা রাখতে হবে;

৭. উন্নয়ন চুক্তিতে কৃষ্টি ও কল্যান সংসদের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শান্তিনগরের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনগর বাজারটি বারবার দুর্নীতি কালো ছায়ায় আচ্ছাদিত করে, তারা কারা? কারা সেই ১২জন দাপুটে যাদের সাথে মিলিত হয়েছে কিছু হঠাৎ ধনী ও হাইব্রিড তথাকথিত ব্যবসায়ীরা যারা এই বাজারটি নিয়ে বার বার ছিনিমিনি খেলছে অনেক বছর ধরেই।

শান্তিনগর বাজারে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের আদ্যপান্তসহ আরো অনেক অজানা রহস্যের অনুসন্ধানী রিপোর্ট নিয়ে এসেছে একদল সংবাদকর্মীরা, যার বিস্তারিত ধারাবাহিক ধাপে ধাপে ভাবে প্রকাশিত হবে, সেসব অজানা তথসমূহ জানতে চোখ রাখুন, আমাদের সাথেই থাকুন...

(নিউজ লিংক: https://iannpress.wordpress.com/2023/01/01/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a7%81/)

Investigation Agency

04/12/2022

দেশে হিড়িক পরেছে বিদেশি নাগরিক হবে!
=======================

গোপালগঞ্জের এমপি ফারুক খানের ভাই আজিজ খান, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল মোমেনের সন্তানরাও নাকি আমেরিকার নাগরিক। এমন আরও অনেক ভিআইপি আছেন যাদের স্ত্রী সন্তানরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

এদেশ থেকে উপার্জন করে আর বিদেশে তাদের স্ত্রী সন্তানরা ভোগ করে!

একদিকে লাখ লাখ প্রবাসী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোটি কোটি টাকার রেমিট্যান্স দেশে পাঠায়। অপরদিকে দেশের টাকা বিভিন্ন কায়দায় বিদেশে পাচার করে ক্ষমতাধরেরা।

সময় এসেছে নব্যরাজাকারদের চিহ্নিত করার ...

Investigation Agency

04/12/2022

'আদালত পাড়ার সিসি কানা তাই ডিসি কানা! এটাই কি ঘটনা!?
=====================

এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আদালত পাড়ার প্রতিটি বিন্ডিং, ইমারতের প্রতিটি তলার প্রতিটি দরজা, জানালা, ভেন্টিলেটর, সিঁড়ি, কোঠাসহ গারদ অথবা মালখানা, জজকোর্ট, হাইকোর্ট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, শিশু ও পারিবারিক আদালত ছাড়াও প্রতিটি দোকান পাট, হোটেল রেস্টুরেন্ট, চায়ের স্টল, অনিগলি, রাস্তাঘাট, চিপাচাপাসহ প্রতিটা চত্বরের ইঞ্চি ইঞ্চি জায়গার প্রতি সেকেন্ডের ছবি ও ভিডিও, এমনকি উক্ত এলাকায় আসাযাওয়া করা প্রতিদিনের প্রতিটি মাথাও ডিসি অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, আদালত পাড়ার সকল সিসি ক্যামেরার একমাত্র স্টোরেজ কিন্তু জেলা প্রশাসক তথা ডিসি সাহেবের অধীনে আছে। অত‌এব ডিসি তথা জেলা প্রশাসক‌ই আদালত পাড়ার 'মাষ্টার-কী'।

তথ্যমতে, আদালত পাড়ার টোটাল এরিয়াটিকে অত্যন্ত মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারদের প্লানিং-এর উপর ভিত্তি করে দক্ষ টেকনিশিয়ানদের নিপুণ হাতে স্থাপিত অগনিত সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করে তা তুলে দেয়া হয়েছে ডিসির হাতে, তদুপরি সেখানে হাজারো দুর্নীতিসহ বারংবার আসামী পালিয়ে যাবার মতো ক্লুলেস ঘটনাও ঘটে!
সরেজমিনে দীর্ঘদিন ঘুরে দেখা গেছে, অত্র এলাকাটিতে সিসি ক্যামেরার বিন্যাস ঘটানো হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন ভাবে এবং তাতে করে আদালত পাড়ায় উপস্থিত হ‌ওয়া আসামী বা তাদের লোকজন তো ভালো কথা, এমনকি প্রতিটি পথচারীর‌ও কে কবে, কখন কোন দিক দিয়ে ঢুকে, কোথায় কোথায় গিয়ে, কতক্ষন থেকে, কোন ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গেছে তার সবকিছুই সময়সহ সিসি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত করতে পারাটা খুবই সাধারণ বিষয়, যদি সদিচ্ছা ও সকল ক্যামেরাগুলা ১০০% কার্যকর থাকে।

অত‌এব সহজাত কারণেই প্রশ্ন আসে, তাহলে কি আদালত পাড়ায় স্থাপিত সকল সিসি ক্যামেরাগুলো কাজ করে না? কাজ করলে আদালতে হাজিরায় এসে আসামি কি করে পালাতে পারে? আর ঘাটে ঘাটে অনৈতিক লেনদেন‌ই বা কিভাবে চলে? সর্বোপরি এসব কিছুতে যে কারোই কোন অবৈধ হস্তক্ষেপ‌ও থাকে না, তার‌ই বা কি নিশ্চিয়তা আছে?
আর প্রতিবার‌ই অঘটন ঘটার পরে 'আই-ওয়াশ ট্রান্সফারের‌ই বা কি মানে? তাছাড়া চেয়ার থেকে বদলি করাকে কি করে কর্তব্য অবহেলার অপরাধের শাস্তি বলা যেতে পারে?

এবারের আলোচিত ঘটনা ফাঁসির আসামিদের (জঙ্গী) পালিয়ে যাওয়াটা ও তার পরবর্তী অবস্থাকে বিশেষজ্ঞরা হাস্যকর পরিস্থিতি বলেও মনে করেন!

এমন আরোও অনেক কারণে নিন্দুকেরা আদালত পাড়ার সিসি ক্যামেরার ফুটেজের বিষয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর সমালোচনা করেছেন। তারা আদালত পাড়ার বিভিন্ন অনিয়মসহ আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্বলিত ডিসি অফিসের দেয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজের পরিমাণ, আকার ও প্রকার দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন!

একজন সমালোচক বলেন, "আদালত পাড়ার প্রতি ইঞ্চি জায়গা ডিসির দায়িত্বে থাকা কোনো না কোনো সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত যদি না থাকে, তবে তা কেনো নয়?
আর যদি আওতাভুক্ত কিন্তু সবগুলো ক্যামেরার ১০০% কার্যকরীতার নিশ্চয়তা না থাকে, তবে এসব কারণে ডিসি সাহেব ছাড়া আর কে কে দ্বায়ী বলে বিবেচিত হবেন?

আদালত পাড়ার সিসি ক্যামেরাগুলোর প্রতিটির সঠিক কাজ না করার কারণেই যদি জেলা প্রশাসকের চোখ থাকিতেও অন্ধের মতো দশা হয়, অথবা স্বয়ং জেলা প্রশাসক নিজেই যদি সিসি ক্যামেরাগুলোকে কাজে না লাগিয়ে অন্ধ বা কানা হয়ে থাকেন(নিজে থেকেই) অজানা কারণে, অথবা যদি শহিদুল্লাহ কিম্বা নাহিদ হোসেনদের মতো অফিসারদের ‌এই সুবাদে ট্রান্সফার' করে জায়গা খালি করে পছন্দের কাউকে এনে পুরোনো সিষ্টেমের বানিজ্যই(জাগো নিউজ, ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় যার কিয়দংশ প্রকাশিত হয়েছে) চলমান রাখেন সবার চোখের আড়ালে, তাহলে 'কারণ দর্শাও নোটিশ' জেলা প্রশাসক ছাড়া আর কি কারো জন্য জায়েজ হবে!?

আসলে বিষয়টা কি, "আদালত পাড়ার সিসি কানা তাই ডিসি কানা নাকি ডিসি কানা তাই সিসি কানা?"

আদালত পাড়ার সিসি ও ডিসি প্রসঙ্গ নিয়ে আরোও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও প্রসঙ্গের উত্তর ও কারণ নিয়ে একটা সাংবাদিক দল অচিরেই যাচ্ছেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের সাক্ষাৎকার নিতে, যার বিস্তারিত প্রকাশিত হবে পত্রিকায় নিউজ আকারে, চোখ রাখুন, আমাদের সাথেই থাকুন...

Investigation Agency

শতশত সাংবাদিকরা খুঁজছে মালয়েশিয়ার বিশাল ব্যবসায়ী সাংবাদিক সেলিমকে, 30/11/2022

শতশত সাংবাদিকরা খুঁজছে মালয়েশিয়ার বিশাল ব্যবসায়ী সাংবাদিক সেলিমকে, বিশেষ প্রতিবেদন : সেলিম নিজামীর ব্যর্থতার কারণ জানা গেছে, তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ অনৈতিক ও বেআইনি পদ্ধতিতেই বিএ.....

বিএমএসএফ তার নিজস্ব গঠনতন্ত্রে পরিচালিত, ট্রাস্টিনামা দলিলের হস্তক্ষেপ অবৈধ: সাধারণ সভায় সর্ 26/11/2022

বিএমএসএফ তার নিজস্ব গঠনতন্ত্রে পরিচালিত, ট্রাস্টিনামা দলিলের হস্তক্ষেপ অবৈধ: সাধারণ সভায় সর্ মঞ্জুর মোর্শেদ : আজ ২৬ নভেম্বর রোজ শনিবার ২০২২ খ্রীঃ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নির্.....

প্রধান শিক্ষক ও তথাকথিত সাংবাদিকের ইয়াবা সেবনের ছবি প্রকাশের জেরে নরসিংদীতে খুনের পাঁয়তার 21/11/2022

প্রধান শিক্ষক ও তথাকথিত সাংবাদিকের ইয়াবা সেবনের ছবি প্রকাশের জেরে নরসিংদীতে খুনের পাঁয়তার বিশেষ প্রতিবেদন : গত ১৬ নভেম্বর রোজ বুধবার, সময় রাত ১০:০২মি: নরসিংদীর হিয়াইল্লার পুসকুনিরপার মসজিদের পাশের গলির ...

14/11/2022

বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মৃত্যুর কারণ কি তবে মাদক!?

=======================

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় একটি প্রাইভেট কারে করে, কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পর গাড়িটি চিহ্নিত করা সহ বেশকিছু নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

উল্লেখ্য গত ৪ নভেম্বর রাত পৌনে দু'টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ফারদিনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। সে সময়ে এলাকার কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্ৰহ করা হয়। এতে ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও মরদেহ সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও দেখা গেছে।

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করেন মাদক কারবারিরা। গভীর রাতে এ ঘটনার পর একটি প্রাইভেটকারে করে তার মরদেহ সরিয়ে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

ফারদিন হত্যা মামলার তদন্তে যুক্ত একটি বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ সরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি সনাক্ত হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।

ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মিলেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ঘটনার আগে-পরে চনপাড়া বস্তি ঘিরে অস্বাভাবিক তৎপর ছিলেন মাদক কারবারিরা।

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। বর্তমানে হত্যা মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পাশপাশি র‌্যাবসহ আরও কয়েকটি সংস্থা ছায়াতদন্ত করছে।

এদিকে তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেন, ৪ নভেম্বর গভীর রাতে ফারদিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অনুযায়ী তার সবশেষ অবস্থান সনাক্ত হয় রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি এলাকায়।

চনপাড়া বস্তি এলাকা পুরোটাই মাদক বিক্রির এলাকা হিসেবে পরিচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ফারদিনকে চনপাড়া বস্তি এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হত্যা করা হয়। এরপর একটি প্রাইভেটকারে তুলে তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন মাদক কারবারিরা।

এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত স্থানীয় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে হেফাজতে নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আলাদা দুটি ইউনিট। জব্দ করা হয়েছে সেই গাড়িটিও।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ফারদিনের মোবাইল ফোনের শেষ লোকেশন সনাক্ত করে চনপাড়া এলাকায়। এরপর ফোন নম্বরের সিডিআর বিশ্লেষণ করে বস্তির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলোর জ্যোতি নামের ফার্নিচারের দোকান ও তার পাশের একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের মধ্যবর্তী অংশ চিহ্নিত করা হয়।

সেখানেই রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ফারদিনের মোবাইলটি সবশেষ চালু ছিল। হাতে পাওয়া সেই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চনপাড়া বস্তি এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই নির্দিষ্ট জায়গাটি ঘিরে রাত দেড়টার দিক থেকে পরবর্তী ২ ঘণ্টা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক তৎপরতা ছিল।

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
রাত ১টা ২৮ মিনিটে স্থানীয় ৬ যুবক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গলি থেকে বেরিয়ে চনপাড়া-রূপগঞ্জ মূল সড়কে উঠে হাতের বামে মোড় নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে চলে যান।

এর ঠিক ২৩ মিনিট পর ১টা ৫১ মিনিটে তারা আবাব ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে ফিরে আসেন।

এরপর রাত ২টা ২৩ মিনিটে দ্রুত পায়ে ৪ জন যুবক বালুব্রিজ এলাকা থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসা মাঠে অপেক্ষায় থাকা একজনের সঙ্গে উদ্বিগ্ন ভঙ্গিতে কথা শুরু করে। তাদের অভিব্যক্তিতে পরিষ্কার কোনো ঘটনার খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ছুটে এসেছেন।

এর পরবর্তী ২০ মিনিটে একাধিক যুবক ঘটনাস্থলের দিকে যান।

রাত ২টা ৪৪ মিনিটে দুই যুবক গলির মুখে এসে অনেকটা পাহারা দেয়ার মতো করে পায়চারি করতে থাকেন।

ঠিক ২টা ৫২ মিনিটে বালুব্রিজ এলাকা থেকে দ্রুতগতির একটি সাদা রংয়ের টয়োটা এক্সিও গাড়ি এসে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনাস্থল দিকে যায়। একইসঙ্গে গলির মুখে পাহারা দেয়া দুই যুবক গলি থেকে বেরিয়ে যান।

এর ঠিক ১১ মিনিট পর দ্রুত গতিতে সাদা প্রাইভেটকারটি ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যেদিক থেকে এসেছিল ঠিক সেদিকেই অর্থাৎ বালু ব্রিজের দিকে চলে যায়।

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
গাড়িটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গলি অতিক্রমের সময় স্থানীয় যুবকদের দুই জন গাড়ির দুই পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে গাড়িটিকে গলি পার করে দেন।

সিসিটিভি ফুটেজে প্রাইভেটকারটি ঢোকার সময় তাতে চালক ছাড়া আর কাউকে দেখা না গেলেও বের হওয়ার সময় পিছনের আসনে আরোহী দেখা গেছে।

তবে কেনো মিলেনি ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থানের সিসি ফুটেজ

ফারদিন হত্যা রহস্য তদন্তে নেমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর একাধিক ইউনিট শুরুতে প্রযুক্তিগত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। তারা ফারদিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন ধরে চনপাড়া বস্তির ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।

তবে ওই এলাকায় একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলোর কোনটিতে মূল ঘটনাস্থলের (হত্যাকাণ্ডের স্থান হিসেবে ধরণা করা জায়গা) কোনো ছবি ধরা পড়েনি।

এর কারণ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা ও স্থানীয়রা বলছেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম শাহিন বা সিটি শাহিন গ্রুপের সঙ্গে র‌্যাব সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকার সব দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ রাস্তার দিক থেকে ঘুরিয়ে দেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গার ক্যামেরা ভাংচুরও করে। এর মধ্যে অন্যতম এই ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটি। সিটি শাহিনের বাড়িও এই ওয়ার্ডে।

সিটি শাহিন গত ১১ নভেম্বর গোলাগুলিতে নিহত হন। র‌্যাবের দাবি, মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিই তার মৃত্যুর কারন।

ফারদিনের মোবাইল ফোনের সবশেষ লোকেশন পাওয়া গেছে সিটি শাহিনের বাসার গলি থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অফিসঘাট অভিমুখে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর মুখ রাস্তা থেকে উল্টো দিকে ঘোরানো থাকায় সেখান থেকে ফারদিনের উপস্থিতির কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া না গেলেও ওই এলাকার সোর্সের পাশাপাশি স্থানীয় এক বয়স্ক প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার দিন দায়িত্বরত এক নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে সে রাতের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পায় তদন্তকারী একটি বাহিনী।

ওই বাহিনীর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, চনপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যে জায়গায় ফারদিনের মোবাইল লোকেশন পাওয়া গেছে তার ঠিক বিপরীত পাশেই পূর্ব দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে মাদক ব্যবসা চালান ময়না নামের প্রভাবশালী এক নারী।

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
মাদক কারবারি ময়না (বাঁয়ে) এবং এখন তার তালাবদ্ধ ঘর
বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মাদকসেবীরা তার ঘরে বসে মাদক সেবন করেন। ওই রাতে আনুমানিক ২টার দিকে ফেনসিডিল খেয়ে টাকা কম দিতে চাওয়া এক যুবকের সঙ্গে ময়নার লোকজনের বিবাদ হয়। একপর্যায়ে পাশের তিনতলা ভবন মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী আরেক মাদক কারবারি রায়হান ও তার অনুসারীও ওই যুবকের উপর চড়াও হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, ’আমরা ঘটনাটির ছায়াতদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাস্থলের ফারদীনের উপস্থিতির সিসিটিভি ফুটেজ এখনও পাইনি। কারণ কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ঘটনাস্থল কাভার করে না। সব ক্যামেরার মুখ আগে থেকেই উল্টোদিকে ঘুরানো।

‘তবে যেহেতু ফারদিনের মোবাইলটি তার কাছেই পাওয়া গেছে আর মোবাইল নেটওয়ার্কের সবশেষ লোকেশন ওখানকার, তাই আমরা নিশ্চিত ফারদিন যেভাবেই হোক সেখানে অবশ্যই গিয়েছিলেন।

‘তিনি কোনো মোটরসাইকেলে চড়ে আসেননি। তেমনটা হলে প্রধান সড়কের ক্যামেরায় তার আসার দৃশ্যটি ধরা পড়ত। হয়তো কোনো অটোরিক্সায় করে এসেছিলেন, তাই তার আসার দৃশ্য ধরা পড়েনি।’

ফারদিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে হত্যা

ফারদিন হত্যার ঘটনাস্থল হিসেবে দাবি করা চনপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদকর্মীরা। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফারদিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে সন্দেহ করেছিলেন ওই এলাকার মাদক কারবারিরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নারী মাদক কারবারি ময়নার বাসায় যাওয়া ফারদিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে সন্দেহ করেন স্থানীয় মাদক কারবারি রায়হান আহমেদের অনুসারীরা।

রায়হানের বাসা ও মাদক স্পট ময়নার বাসার ঠিক পাশেই। সিসিটিভি ফুটেজে রাত ১টা ২৮ মিনিটে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে ২৩ মিনিট পর আবার ফিরে আসা ৬ যুবকই রায়হানের অনুসারী। তারা ফারদিনকে বেদম পিটিয়ে হত্যা করেন।

ফারদিন নিথর হয়ে গেলে রায়হানের ফোন পেয়ে ২টা ২৩ মিনিটে দ্রুত পায়ে ৪ যুবক বালুব্রিজ এলাকা থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন। তারা মাদ্রাসার গেটে অপেক্ষমান একজনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান।

রায়হানের পারিবারিক আত্মীয় হলেন একই এলাকার অপর শীর্ষ মাদক কারবারি ফাহাদ আহমেদ শাওন। ঘটনার পর শাওন তার দুই মাস আগে কেনা টয়োটা এক্সিও গাড়িটি নিয়ে সেখানে আসেন। এরপর ফারদিনের মরদেহ গাড়ির ট্রাঙ্কে তুলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান শাওন ও তার সহযোগীরা।

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
মাদক কারবারি রায়হান (বাঁয়ে) ও শাওন
সিসিটিভিতে ধরা পড়া প্রাইভেটকারটি শাওনের বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি। তারা জানান, দুই মাস আগে কেনা গাড়িটি শাওন নিজেই চালাতেন।

এছাড়াও সোর্স সন্দেহে ফারদিনকে পিটিয়ে মারার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একাধিক সূত্র। সাবেক একজন ইউপি মেম্বার বলেন, ‘চনপাড়া বস্তির পুরোটাই মাদকের সাম্রাজ্য। এখানে ৬৪টি মাদকের স্পট রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানের সময় গোলাগুলিতে নিহত রাশেদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সিটি শাহিন।

‘রায়হান, শাওন ছিলেন শাহিনের আস্থাভাজন বন্ধু। শাহিনকে গ্রেপ্তারে গত কয়েক মাসে একাধিক অভিযান চালায় র‌্যাব। তবে অনুসারীদের হামলার কারণে এসব অভিযান ব্যর্থ হয়।’

ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
গোলাগুলিতে নিহত শাহিনের (বাঁয়ে) সঙ্গে শাওন
সাবেক ওই জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘সবশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর র‌্যাব শাহিনকে ধরতে গেলে অল্পের জন্য তিনি হাত ফসকে যান। এরপর শাহিন ও তার সহযোগীরা এলাকায় নিজেদের মতো করে পাহারা জোরদার করে।

‘মাদক কারবারিরা বিশেষ করে রাতে দলে দলে ভাগ হয়ে টহল দিতে শুরু করে। ঘটনার রাতে ময়নার বাড়িতে আসা যুবক মাদকের দাম নিয়ে তর্কে জড়ানোয় তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে সন্দেহ করে মাদক কারবারিরা।’

স্থানীয় কয়েকজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, সোর্স সন্দেহে পিটিয়ে মারার কারণেই ফারদিনের মোবাইল, মানিব্যাগ কিছুই ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। মাদক কারবারিরা ভেবেছিলেন এগুলো রেখে দিলে পরে বিপদ হতে পারে। আর সোর্স হিসেবে বিবেচনা করার কারণেই মরদেহ সরাসরি এলাকার পাশের নদীতে না ফেলে প্রাইভেটকারে করে বেশ কিছুটা দূরে নিয়ে ফেলে দেয়া হয়।

ঘটনার পর হত্যাকারীরা ও নারী মাদক কারবারি ময়না এলাকাতেই ছিলেন। গত শুক্রবার শাহিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তারা সবাই পালিয়ে যান।

তবে বরিশাল থেকে রায়হানকে এবং রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ওই প্রাইভেটকারসহ শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে আলাদা ‍দুটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। অবশ্য এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

ফারদিন হত্যা মামলার সার্বিক তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান বলেন, ‘এটা একেবারেই ক্লুলেস একটা ঘটনা। অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলছে না। ফারদিনের মোবাইল ফোনের লাস্ট লোকেশন থেকে বডি পাওয়া গেছে বেশ দূরে। সেখানে কীভাবে গেল তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সবকিছুই খুব সূক্ষ্মভাবে আমরা তদন্ত করছি।

‘আমার খুব চেষ্টা করছি ফারদিনের লাস্ট লোকেশনে উপস্থিতি কীভাবে হলো সেটা জানার। কারণ আমারা রামপুরার থেকে ওর কেরাণীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, তারপর চনপাড়া যাওয়ার ফুটপ্রিন্ট পেয়েছি। এতগুলো জায়গা সে কেন ঘুরল এটা জানাটা জরুরী। আমরা কাজ করছি। আশা করি সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’

ওদিকে ডিবি মতিঝিল বিভাগে উপ কমিশনার রাজিব আল মাসুদ বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় সামনে রেখে আমাদের তদন্ত চলছে। আমরা সম্ভাব্য সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও মন্তব্য করার মতো কোনো কিছু সামনে আসেনি।’

এদিকে ফারদিন হত্যা মামলার আসামি তার বান্ধবী বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মামলা যাচ্ছে ডিবিতে।

Investigation Agency

12/11/2022

শফি মন্ডল সস্ত্রীক খেলাফত গ্রহণ করলেন
======================

বাংলা গানের জগতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শফি মন্ডল, যার বাউল গান‌ই তাকে খ্যাতিমান করেছে। তিনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অনেক শিল্পীর গুরুও বটে। নন্দিত এই বাউলশিল্পী তার প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে খেলাফত নিয়েছেন, একটি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে।

‘এসো হে প্রভু নিরঞ্জন’ এই বাণীকে প্রতিপাদ্যে করে প্রয়াত গুরু সুলতান ফকিরের আদেশে এ খেলাফত নিয়েছেন শফি মন্ডল। 'ইহজাগতিক লোভ, লালসা, মায়া-মমতা ও মোহ ত্যাগ করে জীবিত থেকেই গ্রহণ করেছেন মরণের স্বাদ' বলে জানিয়েছেন।

এ সস্ত্রীক খেলাফত গ্রহণ উপলক্ষে শিল্পীর আখড়াবাড়িতে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে আগমন ঘটেছিল হাজারো সাধু গুরু বাউল এবং লালন অনুসারীদের।

গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নিজেদের দীনহীন করে শুধুমাত্র সাদা কাফনের কয়েক টুকরো কাপড় পরিধান করে শফি মন্ডল ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুন কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদে নিজ আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠানিকভাবে খিলকা পরিয়ে গুরু দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে খেলাফত গ্রহণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত পরিবারের সদস্য, বাউল সাধু ও দর্শকদের আবেগময় কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।

অনুষ্ঠানে চোখ বেঁধে সাতপাক ঘুরিয়ে দীনহীন করে তাদের গুরুদীক্ষায় দীক্ষিত করা হয়। পরানো হয় শুভ্র ভূষণ। এর আগ মুহূর্তে শফি মন্ডল তার অভিব্যক্তিতে লালন সাঁইজির বাণীর বরাত দিয়ে বলেন, 'দিন থাকিতে দিনের সাধন কেন করলি না, সময় গেলে সাধন হবে না। তাই বর্তমান সময়কে সুন্দর কাজে লাগাতে না পারলে, পরবর্তীতে এসবের জন্য পস্তাতে হবে। একালে বসে পরকালের ইবাদত করলে একালের ইবাদত হবে না। এপারেও যিনি ওপারেও তিনি। ভিন্নতা কোথায়?'

তিনি আরও বলেন, "আমার গুরু সুলতান ফকির বলেছেন, 'শফি সময় হয়েছে দীক্ষা নিতে হবে'। তাই গুরুর আদেশ পালন করছি। গুরুকৃপা ছাড়া কি মুক্তির পথ মেলে?"

Investigation Agency

12/11/2022

রাত ২টার দিকে লাইফ সাপোর্টে থাকা অর্জুন ভাদুড়ি মারা গেলেন,
=====================

ফেনীতে দিনে দুপুরে ডাকাতের হামলায় আহত জুয়েলারির মালিক অর্জুন ভাদুড়ি আশংকাজনক অবস্থায় লাইফসাপোর্টটে বেঁচে ছিলেন এ-কদিন কিন্তু গতরাত ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে, জানিয়েছে তার ভাতিজা মানিক ভাদুড়ি।

জানা যায়, লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকালে কিডনির ডায়ালাইসিসের পর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

উল্লেখ্য গত ৩০শে অক্টোবর রোববার ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় স্বর্ণকারকে কুপিয়ে প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দোকানি অর্জন চন্দ্র দাস গুরুত্বর আহত হন। দিনে-দুপুরে বেলা ২টার দিকে উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের জমাদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জোহরের নামাজের সময় হঠাৎ দুই মোটরসাইকেল যোগে পাঁচ-ছয়জন সশস্ত্র অবস্থায় জমাদার বাজারের স্বর্ণের দোকান অর্জুন শিল্পালয়ে ঢুকে পড়ে। এ সময় দোকানি অর্জুন চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে জখম করে তারা। দোকানের শোকেচ ভেঙে স্বণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

Investigation Agency

Want your business to be the top-listed Media Company in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

আমরা একজন জাতীয় কন্ঠ-সম্পদ হারিয়েছি,সাফকথা
Let's make a better world.Public Voice
সাংবাদিক নামের চিকন কামলা...=====================এদেশে সাংবাদিক নামের রাজাকারের বাচ্চা এক শ্রেণীর চিকন কামলারা সোনাভানের...
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,
Strangers'World presents,

Telephone

Website

https://voiceofstrangers.com/

Address


শাহজাহানপুর
Dhaka
1217

Other Media/News Companies in Dhaka (show all)
Daily Naya Diganta Daily Naya Diganta
1, R K Mission Road (4th Floor)
Dhaka, 1203

Official Fan Page of Daily Naya Diganta, One of the Largest popular daily News Paper in Bangladesh.

Neer Entertainment Neer Entertainment
Dhaka

Tv program,single drama, drama, serial, short film, Art film, Commercial film makers...

EBarta24 (ইবার্তা24) EBarta24 (ইবার্তা24)
Dhanmondi
Dhaka, 1212

■ ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম, Online Newspaper, eBart

www.Apurbo.com www.Apurbo.com
House 50, Road 1, Block I, Banani
Dhaka, 1213

Apurbo.com is a 12 Years Renown Modeling and Photography Company. Be fan of this page and get Update

Queen Pori Queen Pori
Mohammadpur
Dhaka

Please Like Comment & Share

Cricklive24.com Cricklive24.com
Mirpur 2, Dhaka
Dhaka, 1216

সবার আগে সর্বশেষ খেলার আপডেট পেতে আমা?

Bdjobs.com Ltd. Bdjobs.com Ltd.
Bdjobs. Com Ltd. 8th Floor/West BDBL Building (Old BSRS) 12 Karwan Bazar Dhaka
Dhaka, 1215

Bdjobs.com is the first and popular job searching news portal in Bangladesh.

Protik Communication Protik Communication
Naya Paltan
Dhaka, 1000

Keep Ahead with creative Advertisement

techzoom24.com techzoom24.com
11/A Tallabag, Sobhanbag
Dhaka, 1207

http://www.techzoom24.com | Making Sense of Technology Largest and Most Popular Online Technology Newspaper In Bangladesh. The country's first Technology online newspaper [both Ba...

Daily Short News Feed - DSNF Daily Short News Feed - DSNF
Al Qairawani Al Wizarat
Dhaka, 12626

Informative power is more critical than nuclear power.

Bollywood gossip Bollywood gossip
Dhaka

An Entertainment Page Based On Bollywood Gossip

Crime Tribune-ক্রাইম ট্রিবিউন Crime Tribune-ক্রাইম ট্রিবিউন
Dhaka, 1207

Crime Tribune is an online base bangla News portal to provide news articles and features content usi