Md.Amran Hossen Shefa

সেদিন এক বোনের ঘটনা শুনলাম।

আন্ডার গ্রাজুয়েট করা অবস্থায় বাবা বিয়ে দেয়নি
তার বাবা তকে বলেছিলেন
আগে পড়াশুনা শেষ করো, তারপর অন্যকথা। বাবার কথামতো পোস্টগ্রাজুয়েট, পিএইচডি করলেন। ফাঁক দিয়ে একজন স্বাভাবিক তরুণীর মতোই বোনটির দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে লাগলো।

সমস্যা হচ্ছে, এত উচ্চশিক্ষিতার জন্য উচ্চশিক্ষিত ছেলে পাওয়া খুবই কঠিন। বোনটা ভার্সিটির প্রফেসর হয়ে গেলেন। কলিগরা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেখানেও বাবা না করে দেন।
'
কোন ছেলের চেহারা তার ভালো লাগে না তো কোনো ছেলের টাকাপয়সা তার কাছে কম মনে হয়।

হয়তো মেয়ের জন্য পার্ফেক্ট ছেলে খুঁজতে গিয়ে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, পৃথিবীতে কেউই পার্ফেক্ট না। এমনকি তার মেয়েও না।

এর মধ্যে বহু নদীর জল বহু জায়গায় গড়াল। বোনের বয়সও ত্রিশ পেরিয়ে চল্লিশের দিকে এগোলো। প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগে একসময় হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি।

সামান্য অসুখই তীব্র আকার ধারণ করায় একসময় বোনটা মারা গেলেন। মৃত্যুর সামান্য আগে বাবাকে কাছে ডেকে বললেন, বাবা, বলুন আমিন।
বাবা বললেন, আমিন।
- আবার বলুন আমিন।
- আমিন।
- আরেকবার বলুন আমিন।
- আমিন।

বোনটা তারপর বুকে একরাশ ব্যাথা নিয়ে বললেন, "ওয়াল্লাহি! আল্লাহর কসম! আল্লাহ যেন আপনাকে আখিরাতে জান্নাতের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেন যেভাবে আপনি আমার যৌবনে আমাকে বিয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছেন।

ঘটনা টা শুনে আমি কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নিজের অজান্তেই দুচোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠলো

সাবধান! শ্রদ্ধেয় মা-বাবারা
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআ'লা মাজলুমের পক্ষে আছেন।

তাকবিরে তাশরিক....
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের কবুল করুন 🤲

আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন

🟩 আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি চলছে!

◼ কোর্সটি থেকে আপনি কী কী দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন?

১. আরবি ভাষার চারটি দক্ষতার প্রাথমিক স্তরগুলি সম্পূর্ণ করা: শোনা, বলা, পড়া, লেখা।

২. কুরআন ও হাদীসের সাধারণ অর্থ বুঝতে এবং সহজে অনুবাদ করতে সক্ষম হওয়া।

৩. স্ট্যান্ডার্ড আরবি বলার উপর বিশেষ অনুশীলন।

৪.আরবিতে খুতবা,বক্তৃতা,আরবিতে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ইত্যাদি।

৫. আরবি লেখার উপর বিশেষ অনুশীলন।

** কোর্সের বিবরণ :
◑২ টি লেভেল।
◑প্রতি লেভেল ২ মাস ব্যাপী।
◑প্রতি লেভেল এ ৩০ টি ক্লাস ।
◑ ২ মাস ও ৪ মাস ব্যাপী।
◑ সপ্তাহে ৪ দিন।
◑ প্রতি ক্লাস ৬০ মিনিট।
◑ ২টি লেভেল এ মোট ৬০টি ক্লাস।
◑ (বুক)পিডিএফ ।
◑ সার্টিফিকেট
◑ প্রতি লেভেল এ ১টি পরীক্ষা।

✅বিশেষ দ্রষ্টব্য: আরবি ভাষা, নাহু-সরফ, ইমাম নববী চল্লিশ হাদিস ও ইলমুল ফারায়েজ কোর্স এ ভর্তি চলছে।

অংশগ্রহণ করতে আজই Rahe Nazat Institute পেইজে যোগাযোগ করুন।
রেজিষ্ট্রেশন লিংক: কমেন্ট বক্সে।
** যোগাযোগ: +8801700918813 (WhatsApp)

🗨️ বিস্তারিত জানতে আমাদের মেসেজ করুন:+8801700918813

👋আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
❣️
রাহে নাজাত ইনন্সিটিউট এর অধিনে হাজেফ/আলেমঅভিজ্ঞ মুয়াল্লিম নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। 🕌🕋
🛑আপনাদের মধ্যে যাদের অনলাইনে পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে তারা অগ্রাধিকার বেশি পাবেন ইনশাআল্লাহ।যাদের নেই তারাও এপ্লাই করতে পারেন আমরা অত্যাবশ্যকীয় করণীয় শর্ত গুলো উল্লেখ্য করে দিচ্ছি :
✅কোরআন সহীহ এবং পূর্বে কোরআন পড়ানোর অভিজ্ঞতা এবং মুয়াল্লিম ট্রেনিং প্রাপ্ত হতে হবে।(পূর্বে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে)।
✅গুগল মিট বা জুম অ্যাপস মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নেয়া হয় সেগুলো সম্পর্কে বেসিক টু এডভ্যান্স সকল কিছু জানা থাকতে হবে।
✅অবশ্যই শুদ্ধ বাংলায় অনর্গল কথা বলতে হবে যেনো আঞ্চলিক ভাষার কোনো রেশ না পাওয়া যায়।

✅ধৈর্য্যশীল এবং দ্বায়িত্ববান হতে হবে।
✅বুঝিয়ে পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকা লাগবে।
সকলকে আমাদের পোস্টারে দেয়া নাম্বার টি তে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হলো। 📱
❌বর্জনীয় শর্ত সমূহ আমাদের প্রতিনিধি ইন্টারভিউয়ের সময় জানিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
🤝দ্বীন প্রচারের এই অগ্রযাত্রায় আপনিও হতে পারেন সহায়ক✅🌹আল্লাহু মুয়াফফিকুন 🤲

১৭ রমজান : স্মৃতিবিজড়িত বদর দিবস আজ

১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মার্চ মদিনা মুনাওয়ারা থেকে ৮০ মাইল দূরে ঐতিহাসিক বদর নামক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের প্রথম সমর যুদ্ধ। ইসলামে ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে এ যুদ্ধ। স্মৃতিবিজড়িত ইসলাম ও মুসলমানদের প্রথম সমর যুদ্ধ বদর প্রান্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হিজরি দ্বিতীয় বছরের ১৭ রমজান মদিনার মুসলমান ও মক্কার মুশরেকদের সঙ্গে প্রথম বড় যুদ্ধ এটি। 'বদর যুদ্ধ' ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের বিজয়ই মদিনার ইসলামি রাষ্ট্রের ভিত প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেয়।

মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ সাহায্যে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান মদিনা থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয়কারী এ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। আর তাতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয় অর্জিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসে বদরযুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।

ইসলামের ইতিহাসে বদর যুদ্ধের গুরুত্ব তাৎপর্য অত্যাধিক। ১৭ রমজানের এ প্রেক্ষাপট ইসলামে বিশেষভাবে সংরক্ষিত। এ দিন ৩১৩ জন সাহাবিকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তৎকালীন সময়ের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মক্কার কাফের-মুশরেকদের সঙ্গে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল রক্তক্ষয়ী বড় যুদ্ধ। মুসলমানদের প্রভু এ যুদ্ধে ফেরেশতাদের দ্বারা বিশেষভাবে সাহায্য করে ঐতিহাসিক বিজয় দান করেছিলেন।

তাওহিদ তথা একত্ববাদের বার্তাবাহক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য এটি ছিল প্রথম বড় সামরিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধের আগে মুসলমান ও মুশরেকদে মধ্যে বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হলেও বদরের যুদ্ধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বড় যুদ্ধ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে। ফলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও মদিনা রাষ্ট্রে ভিত্তি তৈরিতে এ যুদ্ধে বিজয় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

প্রতিকূল পরিস্থিতি ও অবস্থানে থেকে মুসলিম বাহিনী বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধের সময় মুসলিম বাহিনী যে প্রান্তরের অবস্থান নিয়েছিলেন, সে স্থানটিতে সূর্যের তেজ সরাসারি তাদের মুখের ওপর পড়ে। আর কাফেরদের মুখে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পড়ে না। আবার মুসলমানরা যেখানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেন, সেখানে বালুময় মাটি, যা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত নয়। অপর দিকে কাফেররা যেখানে অবস্থান নিয়েছিল, সেখানে মাটি শক্ত এবং যুদ্ধের জন্য স্থানটি উপযুক্ত। এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মহান আল্লাহ মুসলিম বাহিনীকে দান করেছেন বিজয়। এটি ইসলামের অনেক বড় বিজয়েরই নামান্তর।

ইসলামের বিরুদ্ধে বিশাল সৈন্য বাহিনীর মোকাবেলায় ইমানদারদের ছোট একটি দলের সম্মুখ সংগ্রাম ছিল এটি। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জেহেলের নেতৃত্বে ছিল এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব রকমের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহ তাআলা অস্ত্রহীন ইমানদারদের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন।

সেদিন ইসলামে দীক্ষিত নব মুসলিমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিল, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। আবার সম্মান অপমানও আল্লাহর হাতে। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক অন্যরকম ইতিহাস রচিত হয়েছিল। যা যুগ যুগ পর্যন্ত এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

বদর প্রান্তরে এক আল্লাহর প্রতি একান্ত আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই মুসলিম বাহিনী যুদ্ধ করেছিলেন। শান্তি ও নিরাপত্তা বীজ বপন করেছিলেন। সংখ্যা, সরঞ্জাম ও সম্পদ কম থাকার পরও মহান আল্লাহ দান করেছিলেন এক সুস্পষ্ট বিজয়।

ঐতিহাসিক তথ্য মতে, ১৬ রমজান মাগরিবের পর তারিখ পরিবর্তন হয়ে ১৭ রমজান শুরু হলো। সেই রাতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবিরা বদর প্রান্তের তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। অপর দিকে কাফেররাও তাদের ক্যাম্পে অবস্থান করছিল।

১৭ রমজানের বিশেষ এই রাতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ দোয়া করেছিলেন। ইসলামের বিজয়ে জন্য কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করেছিলেন এভাবে-‘হে আল্লাহ! আগামীকালের (সত্য-মিথ্যার) নীতিনির্ধারণী যুদ্ধে তোমার সাহায্য আমাদের অতি প্রয়োজন। এ যুদ্ধে আমরা তোমার সাহায্য ছাড়া বিজয় লাভ করতে পারব না। আর আমরা যদি পরাজিত হই তাহলে তোমাকে সেজদা করার কিংবা তোমার নাম ধরে ডাকার লোক এ পৃথিবীতে আর নাও থাকতে পারে। অতপর তুমিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর, তুমি কী করবে। কারণ, তুমিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মালিক। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। আমরা আমাদের জীবন তোমার পথে উৎসর্গ করলাম। বিনিময়ে তোমার দ্বীনকে আমরা তোমার জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তুমি আমাদেরকে বিজয় দান করো। আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই।’ (যুরকানি, সিরাতে ইবনে হিশাম)
আল্লাহ তাআলা নব মুসলিম ও নতুন রাষ্ট্রে দান করলেন বিজয়। নিরস্ত্র মুসলিমরা অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীকে পরাজিত করলেন। এ যুদ্ধে কাফেরদের পক্ষে নিহত হলো ৭০ জন। বন্দি হয় আরও ৭০ জন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র ১৪ জন।
ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে মুসলিমদের জন্য ছিল অভাবনীয় বিজয়। মহান আল্লাহর একান্ত কুদরতের প্রমাণ। তিনি অল্প সংখ্যক লোক দিয়েও বিজয় দান করেন। তাতে সূচনা হয়েছিল ইসলাম বিজয়। তাই প্রতি বছর ১৭ রমজান বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ঐতিহাসিক বদর দিবস।
বদর দিবসে মহান আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে দান করুন ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয়। সব নেয়ামত মাগফেরাত ও নাজাতে ভরে ওঠুক রোজাদারের আমল ও মন। বদর যুদ্ধে বিজয় হোক সব বিপদে মুমিন মুসলমানের অনুপ্রেরণা। আল্লাহ তাআলা বদর যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সাহাবাদের দান করুন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান। আমিন।

Online & Offline Arabic Language Learning Course from 15th February 2023 for General Educated Persons & Madrasah Students, at Demra, Dhaka.

course is organized by Rahe Nazat Institute, Demra, Dhaka
Rahe Nazat Institute- المعهد راه نجاة

** What skills will you gain from the course?

1. To complete the basic levels in all four skills of the Arabic language: listening, speaking, reading, writing.

2. To be able to understand the general meaning of the Quran and Hadith and translate them easily.

3. To read and understand any basic classical or modern Arabic book or passage without diacritics (harakat).

4. Special practices on Standard Arabic speaking.

5. Special practices on freehand Arabic writing.

** Course Details :

1. Total 50 classes in 4 months.

2. 3 days/week, 1 hour 20 minute per class.

3. Assessments and exams are held after every 24 classes (total of 4 exams covering all 4 language skills).

4. Students achieving a minimum of 60% in all exams will be provided a certificate.

** Upcoming Batches

1. B-1; Evening (8:00-9:20 pm),Friday, Satarday, Sunday.

2. B-2; Evening (8:00-9:20 PM), Tuesday, Wednesday, Thursday,

** Course Coordinators -

1. Muminul Islam Azhary ,
M.Phil Researcher Al-Azhar University,Cairo,Egypt.

2.More classes will be taken by experienced teachers & students of Darunnazat Siddikia Kamil Madrasah & other experienced teachers.

** Course Fees -

1. Admission Fee: Tk. 6000.
(Our course fee is 3500 Tk for students and 4000 Tk for generals at discount.)

You may pay the whole amount up front, or pay in 2 (two) installments. If you opt for 2-installments, you need to pay at least Tk. 2000 as first installment at admission time.

** Course Start - 15th February, 2023

** Offline Course Registration. ( fee 500 for registration)

- Use this Link : Admission from
https://forms.gle/itTobrdd8e4VEedF6

** Our Contract Number: 01700-918813,01881-721890
wa.me/+8801700918813
Fb page:
http://www.facebook.com/rahenazatinstitute


#المعهد #راه #نجاة #اللغاة #العربية #اللغة #القران #القاهرة #القران #المهرة #لتعليم #جامعةالازهر #রাহে #নাজাত #রাহেনাজাতইনস্টিটিউট

ছবিটা দেখে নরমালি বুঝা যাচ্ছে যে,ভিতরে মৃতদেহ আছে।হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু। সবাই পলিথিন দিয়ে লাশটা ঢেকে বারান্দায় বা,ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। যে ছবিটা ক্যাপচার করেছে,সেও রুম থেকেই তুলেছে।
এবার বুঝে নিন আপনার প্রয়োজন কতটুকু।মরার একটু পরেই সবাই পর।আপনার লাশটি ঘরে তোলা যাবে না।আপনার জন্য কেউ বৃষ্টিতে ভিজতেও পারবে না।শুধু একটু অশ্রু ঝরবে সবার,যা বাড়িতে পোষা কোনো প্রাণী মারা গেলেও ঝরে চোখ থেকে।
কিন্তু,কোনো ব্যক্তির দামী কোনো অলংকার হারিয়ে যতবার সেই হারিয়ে যাওয়া অলংকারের কথা স্মরণ করে ততবার আপনি মারা গেলেও স্মরণ করবে না।

সুতরাং,যতদিন বাঁচবেন নিজের জন্য বাঁচেন।ঈমান আমল নিয়ে বাঁচেন। কারণ, সবচেয়ে আপন হলেন আমাদের রব আমাদের আল্লাহ।
আসুন এখন থেকেই পরকালের চিন্তা করি আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।🤲

বিষয়: সাহু সাজদাহ
প্রশ্ন: তৃতীয় রাকাতের সিজদা থেকে উঠে চতুর্থ রাকাতের জন্য না দাড়িয়ে বসে পড়লাম। বসা অবস্থায় মনে পড়লো , আমার দাঁড়ানোর কথা ছিল। সাথে সাথে দাঁড়ালাম। এখন নামাজের শেষে সাহু সাজদা দিতে হবে নাকি নামাজ ভেঙ্গে যাবে?
আরিফ রাসুল, ঢাকা।

উত্তর: কোন ফরজ(রুকন) বা ওয়াজিব আদায়ের পূর্বে এক রুকন অর্থাৎ তিন তাসবিহ পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি ‍দেরি করলে সাহু সাজদা দিতে হয় ।
তাই তৃতীয় রাকাতের পর বসা অস্থায় এক রুকন অর্থাৎ তিন তাসবিহ বা তার চেয়ে বেশি সময়ের পড় দাড়ালে সাহু সাজদা দিতে হবে।

1. الفتاوى الهندية (1/ 126)
وَلَا يَجِبُ السُّجُودُ إلَّا بِتَرْكِ وَاجِبٍ أَوْ تَأْخِيرِهِ أَوْ تَأْخِيرِ رُكْنٍ أَوْ تَقْدِيمِهِ أَوْ تَكْرَارِهِ أَوْ تَغْيِيرِ وَاجِبٍ بِأَنْ يَجْهَرَ فِيمَا يُخَافَتُ وَفِي الْحَقِيقَةِ وُجُوبُهُ بِشَيْءٍ وَاحِدٍ وَهُوَ تَرْكُ الْوَاجِبِ، كَذَا فِي الْكَافِي.
2. الفتاوى الهندية (1/ 131)
وَإِذَا شَكَّ فِي صَلَاتِهِ فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا وَتَفَكَّرَ فِي ذَلِكَ كَثِيرًا ثُمَّ اسْتَيْقَنَ أَنَّهُ صَلَّى ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ تَفَكُّرُهُ شَغَلَ عَنْ أَدَاءِ رُكْنٍ بِأَنْ يُصَلِّيَ وَيَتَفَكَّرَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَإِنْ طَالَ تَفَكُّرُهُ حَتَّى شَغَلَهُ عَنْ رَكْعَةٍ أَوْ سَجْدَةٍ أَوْ يَكُونُ فِي رُكُوعٍ أَوْ سُجُودٍ فَيَطُولُ تَفَكُّرُهُ فِي ذَلِكَ وَتَغَيَّرَ عَنْ حَالِهِ بِالتَّفَكُّرِ فَعَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ اسْتِحْسَانًا، هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
3. بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (1/ 164)
وَعَلَى هَذَا إذَا شَكَّ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ فَتَفَكَّرَ فِي ذَلِكَ حَتَّى اسْتَيْقَنَ، وَهُوَ عَلَى وَجْهَيْنِ: إمَّا إنْ شَكَّ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الصَّلَاةِ الَّتِي هُوَ فِيهَا فَتَفَكَّرَ فِي ذَلِكَ، وَإِمَّا إنْ شَكَّ فِي صَلَاةٍ قَبْلَ هَذِهِ الصَّلَاةِ فَتَفَكَّرَ فِي ذَلِكَ وَهُوَ فِي هَذِهِ، وَكُلُّ وَجْهٍ عَلَى وَجْهَيْنِ: أَمَّا إنْ طَالَ تَفَكُّرُهُ بِأَنْ كَانَ مِقْدَارُ مَا يُمْكِنهُ أَنْ يُؤَدِّيَ فِيهِ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الصَّلَاةِ كَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، أَوْ لَمْ يَطُلْ فَإِنْ لَمْ يَطُلْ تَفَكُّرُهُ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ، سَوَاءٌ كَانَ تَفَكُّرُهُ فِي غَيْرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ أَوْ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ؛ لِأَنَّهُ إذَا لَمْ يَطُلْ لَمْ يُوجَدْ سَبَبُ الْوُجُوبِ الْأَصْلِيِّ وَهُوَ تَرْكُ الْوَاجِبِ أَوْ تَغْيِيرُ فَرْضٍ أَوْ وَاجِبٍ عَنْ وَقْتِهِ الْأَصْلِيِّ، وَلِأَنَّ الْفِكْرَ الْقَلِيلَ مِمَّا لَا يُمْكِنُ الِاحْتِرَازُ عَنْهُ فَكَانَ عَفْوًا دَفْعًا لِلْحَرَجِ.
وَإِنْ طَالَ تَفَكُّرُهُ فَإِنْ كَانَ تَفَكُّرُهُ فِي غَيْرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ، وَإِنْ كَانَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ فَكَذَلِكَ فِي الْقِيَاسِ، وَفِي الِاسْتِحْسَانِ عَلَيْهِ السَّهْوُ.
4. الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 93)
(وَ) اعْلَمْ أَنَّهُ (إذَا شَغَلَهُ ذَلِكَ) الشَّكُّ فَتَفَكَّرَ (قَدْرَ أَدَاءِ رُكْنٍ وَلَمْ يَشْتَغِلْ حَالَةَ الشَّكِّ بِقِرَاءَةٍ وَلَا تَسْبِيحٍ) ذَكَرَهُ فِي الذَّخِيرَةِ (وَجَبَ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ فِي) جَمِيعِ (صُوَرِ الشَّكِّ) سَوَاءٌ عَمِلَ بِالتَّحَرِّي أَوْ بَنَى عَلَى الْأَقَلِّ فَتْحٌ لِتَأْخِيرِ الرُّكْنِ، لَكِنْ فِي السِّرَاجِ أَنَّهُ يَسْجُدُ لِلسَّهْوِ فِي أَخْذِ الْأَقَلِّ مُطْلَقًا، وَفِي غَلَبَةِ الظَّنِّ إنْ تَفَكَّرَ قَدْرَ رُكْنٍ.
(رد المحتار)
قُلْت؛ وَالْحَاصِلُ أَنَّهُ اُخْتُلِفَ فِي التَّفَكُّرِ الْمُوجِبِ لِلسَّهْوِ، فَقِيلَ مَا لَزِمَ مِنْهُ تَأْخِيرُ الْوَاجِبِ أَوْ الرُّكْنِ عَنْ مَحَلِّهِ بِأَنْ قَطَعَ الِاشْتِغَالَ بِالرُّكْنِ أَوْ الْوَاجِبِ قَدْرَ أَدَاءِ رُكْنٍ وَهُوَ الْأَصَحُّ، وَقِيلَ مُجَرَّدُ التَّفَكُّرِ الشَّاغِلِ لِلْقَلْبِ وَإِنْ لَمْ يَقْطَعْ الْمُوَالَاةَ، وَهَذَا كُلُّهُ إذَا تَفَكَّرَ فِي أَفْعَالِ هَذِهِ الصَّلَاةِ؛ أَمَّا لَوْ تَفَكَّرَ فِي صَلَاةٍ قَبْلَهَا هَلْ صَلَّاهَا أَمْ لَا، فَفِي الْمُحِيطِ أَنَّهُ ذَكَرَ فِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُ لَا سَهْوَ عَلَيْهِ وَإِنْ أَخَّرَ فِعْلًا؛ كَمَا لَوْ تَفَكَّرَ فِي أَمْرٍ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا حَتَّى أَخَّرَ رُكْنًا وَفِي رِوَايَةٍ يَلْزَمُهُ لِتَمَكُّنِ النَّقْصِ فِي صَلَاتِهِ لِأَنَّهُ يَجِبُ عَلَيْهِ حِفْظُ تِلْكَ الصَّلَاةِ حَتَّى يَعْلَمَ جَوَازَ صَلَاتِهِ هَذِهِ بِخِلَافِ أَعْمَالِ الدُّنْيَا فَإِنَّهُ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهَا حِفْظُهَا. وَاسْتَظْهَرَ فِي الْحِلْيَةِ هَذِهِ الرِّوَايَةَ، وَأَنَّهُ لَوْ لَزِمَ تَرْكُ الْوَاجِبِ بِالتَّفَكُّرِ فِي أُمُورِ الدُّنْيَا يَلْزَمُهُ السُّجُودُ أَيْضًا. وَاسْتَظْهَرَ أَيْضًا الْقَوْلَ الْأَوَّلَ بِأَنَّ الْمُلْزِمَ لِلسُّجُودِ مَا كَانَ فِيهِ تَأْخِيرُ الْوَاجِبِ أَوْ الرُّكْنِ عَنْ مَحَلِّهِ، إذْ لَيْسَ فِي مُجَرَّدِ التَّفَكُّرِ مَعَ الْأَدَاءِ تَرْكُ وَاجِبٍ، وَتَمَامُ الْكَلَامِ فِيهَا وَفِي فَتَاوَى الْعَلَّامَةِ قَاسِمٍ

জর্ডানের ভূমিতে অসংখ্য নবী রাসূল শায়িত রয়েছেন।

মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক ২৪ ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ দিয়ে বেরোতে থাকে। যা হতে এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যেটা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নিমন্ত্রণ দেয়।
দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা, মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।

কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।
ছয় দিন পরে নখ খসে পড়তে থাকে।
নয় দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়।
মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পরে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়।

১৭ দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে।

৬০ দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়। মানুষের শরীরে একটু টুকরো মাংস অবশিষ্ট থাকে না।

৯০ দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।

এক বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়।
অতএব আমার ভাই ও বোনেরা বলুন -
মানুষের এতো অহংকার, এতো আত্মগরিমা, এতো হিংসা, এতো বিদ্বেষ, এতো লালসা, এতো নাম, এতো শৌর্য্য, এতো সম্মান, এতো শক্তি, এতো সামর্থ্য, এতো ধণদৌলত, এতো ক্ষমতা, এই বাদশাহী কোথায় যায়?
সবকিছুই মাটিতে মিশে যায়।

মানুষের অস্তিত্ব বা কি আছে?

মাটি থেকে সৃষ্ট, মাটিতেই কবরস্থ হয়ে, মাটিতেই মিশে যায়।

৫ ফুট, ৬ ফুট, ৭ ফুটের মানুষ কবরে চলে যাওয়ার পরে তার নাম, চিহ্ন মুছে যায়।
এই দুনিয়াতে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিচরণকারী যখন কবরে চলে যায় তখন তার অস্তিত্ব মাটি ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না।

অতএব মানুষের আসল জীবন, আমৃত্যু জীবন যাতে সুন্দর হয় এবং শান্তিপূর্ণ হয় তার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই মোতাবেক কাজ করা উচিত।

প্রতিটি ভালো কাজ, এবং প্রতিটি উত্তম কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। আর প্রতিটি মন্দ চিন্তাভাবনার অস্তিত্ব নষ্ট করার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থণা করা উচিত।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন।
#আমিন
(সংগৃহীত)
-p2

চোখে পানি চলে আসার মত,
একটু পড়ে দেখুন....

"কিছুদিন আগে নখ কাটছিলাম। নখগুলো টেবিলের উপর ছিল।নখ কাটা শেষ হতে না হতেই দেখি তিন-চারটা পিঁপড়া এসে একটা নখ নিয়ে যাবার জন্য টানা হেঁচড়া করছে।তখন হঠৎ করে মনে এ ভাবনার উদয় হলো....
যতক্ষন এ নখগুলো আমার দেহের সাথে সংযুক্ত ছিল তখন কোন পিঁপড়ে এসে তা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেনি,কিন্তু যেই না তা আমার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হলো তখনি তা পিঁপড়ের খাবারে পরিণত হলো।
ঠিক তেমনি যখন আমার দেহ থেকে আমার প্রাণ বের হয়ে যাবে,আমার শত যত্নে গড়া এ সাঁধের দেহ মাটির ঘরে রেখে আসা হবে তখন এ দেহের কোন দাম থাকবে না,হোক না তা যতই সুন্দর কিংবা কুৎসিত, সাদা কিংবা কালো, চিকন কিংবা মোটা, ঢিলে-ঢালা শরীর কিংবা ব্যায়ামের মাধ্যমে গড়া শরীর।
অবশেষে তা হবে পোকা-মাকড়ের আর পিঁপড়ের খাবার,পরিণত হবে তাদের বসত বাড়ীতে।মাটির দেহ অবশেষে মাটির সাথেই মিশে যাবে শুধু বেঁচে থাকবে আমার আমল আর আমার কর্ম।

হে আল্লাহ্! আমি তো মাটি দিয়ে গড়া এক আদম সন্তান, যার দেহ পঁচে যাবে আর পরিণত হবে পোকা-মাকড়ের খাবারে তবুও এই অস্থায়ী দেহ দ্বারা তোমার যে ইবাদত করা হয় তুমি তা কবুল করে নাও
এবং আরো বেশী নেক আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
-p1

শুধুমাত্র ব্যবহার না জানলে যে কারো জীবনের সমস্ত অর্জন জিরো, যতই সফল হউন না কেন বা যত বড় মাপের মানুষই হউন না কেন !

আবার আপনার সুন্দর ব্যাবহার আপনাকে করবে মহান, ব্যতিক্রম ও সবার চেয়ে আলাদা।

সুন্দর চেহারাও বেশিদিন থাকে না কিন্তু চিরদিন আপনাকে আলোকিত করবে সুন্দর মন।

ক্ষমতা থাকলে বা টাকা পয়সা হলে অথবা অভাবে থাকলেও বা নেগেটিভ মানসিকতা থাকলে, অনেকে বিনয়টা ভুলে যায়।

অনেকে মনে করে সুন্দর ব্যবহার ও বিনয় এটা শুধু ছোটরা বড়দের করবে – এটা ভুল ! এটা বড়দেরকে বেশী বেশী বিনয়ী হতে হবে, তবেই ছোটরা শিখবে ! একই সঙ্গে ছোটদেরও বড়দের কথা শুনতে হবে এবং কোন কিছু অপছন্দ হয়ে বিনয়ের সাথে বলতে হবে।

কখনো কখনো কেউ কেউ বিনয়কে দুর্বলতা ভাবে – ভাবুক, আপনি আপনারটা করে যান। নিজের বিবেকের কাছে জেতাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জয়।

কোন পদ বা চেয়ার কখনো ক্ষমতা হতে পারে না বা কাউকে বড় করতে পারে না, তাঁকে বড় করে তাঁর কাজ ও বিনয়।

মানুষের দেখানোর যদি কিছু থাকে তা হল বিনয় ও ভালোবাসা।

https://fb.watch/g2HmNFnsbG/

প্রসিদ্ধ জনপ্রিয় আলিম শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহেবের সম্মানিত পিতা জনাব দেলোয়ার হোসেন সাহেব (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ.

'আর্ট অফ স্লিপিং' নামে ড. হামজা একটি আর্টিকেলে লিখেছিলেন, বেনিফিশিয়াল স্লিপিং-টাইম হচ্ছে ইশার পর থেকে রাত১২টা পর্যন্ত। এসময়টায় ১ঘন্টার ঘুম মানে ৩ঘন্টার ঘুম! পিনিয়াল গ্রন্থি তখন দুটি শর্তে ঘুমের জন্য সহায়ক মেলাটোনিন হরমোন উৎপন্ন করে।

১.কক্ষটি নিঃশব্দ ও অন্ধকার হতে হবে।
২.পূর্ণভাবে আরামে শায়িত হতে হবে।

আমরা যখন সারারাত অহেতুক টাইমপাস করে ইনসোমনিয়ার গালগল্প শোনাই, তখন ক'জন এই দুইটা কাজ করার চেষ্টা করি?— হাতেগোনা কয়েকজন বাদে, বেশিরভাগই সেলফোনে বুঁদ হয়ে থাকি৷।অজুহাত দাঁড় করাই কেবল ফজরের সালাতের জন্যই। কারো রাতে ঘুম হয়না, কারো আবার ভোরে উঠলে মাথা কাজ করেনা।

অথচ, ঘন্টা দু'য়েকের ব্যবধানেই রুমে-রুমে এলার্মের মহড়া উঠে, ব্রেকফাস্ট-টেবিলে জায়গা মিলে না, ওয়াশরুমে পড়ে যায় লম্বা-লাইন। কেউ যাবে স্কুলে, কারো আবার অফিসটাইম। বসের কিংবা টিচারের ভয়ে আমরা আরামের কাঁথা-কম্বল ছেড়ে ঠিকই ভোরে উঠতে পারি, কিন্তু, বিশ্বচরাচরের বসের ভয়ে দিনের প্রথমভাগের সালাত মিস করতে আমাদের দু'বার ভাবারও প্রয়োজন হয়না। কারণ, আমাদের কাছে দুনিয়ার প্রায়োরিটিই বেশি। তবে, ফজরের সালাত কাযা করে, বারাকাহ্'র স্বপ্ন দেখাটাও আকাশ-কুসুম ভাবনা। আপনি একদিকে সফলতা দেখবেন, অপরদিকে হবেন অসংখ্য ক্ষতির সম্মুখীন। জীবনের নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়েই, এটা খেয়াল করতে পারেন!

এজন্যই, সুবহে-সাদিকের প্রশান্তি আর অঢেল বারাকাহ্ নিয়ে আসা ফজর হলো দিনের প্রথম লিটমাস-টেস্ট। আদায় করলেন তো জিতে গেলেন। দুনিয়া এবং আখিরাত লাভের জিত। ওই যাকে বলে 'ডাবল ভি'! কারণ, যে রিজিকের জন্য আমাদের এতো চিন্তা, এতো পেরেশানি, সেই রিযিকের জিম্মাদার যখন খোদ রিযিকের মালিকই হয়ে যান কেবলমাত্র প্রত্যেকটা ফজরের বিনিময়ে, তখন কিসের আর সমস্যা আমাদের?

"যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়লো সে মহান আল্লাহর যিম্মায় রইলো।"-[সুনানে ইবনে মাজাহঃ৩৯৪৬]

নেক আমলের বসন্ত ‘রমাদান মাস’ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর মাত্র কয়েক প্রহরের অপেক্ষা। আমরা প্রস্তুত তো?

রমাদানের প্রস্তুতি নিন— মানসিকভাবে, পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। পরিমানে অল্প তবে সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা করুন। সুপরিকল্পনা কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায়।

বিশেষ করে কুরআন তিলাওয়াত, অর্থসহ কুরআনের অনুবাদ পড়া, কুরআনিক স্টাডি গ্রুপে অংশগ্রহণ— এসব কাজে বেশী সময় ব্যয় করুন। কুরআন নাযিলের এ মাসে আমাদের প্রতিটি দিন হোক কুরআনময়।