Kunja Education & Immigration
Nearby schools & colleges
Momtaz Plaza
House 7, Road 4 R/A, Dhanmondi
House 7, Momotaz Plaza, Road 4, Dhanmondi,
House # 7, Road # 4, 4nd Floor, Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh.
House 15/A, Road 4, Dhanmondi.
House
Meher Plaza
Bhasha Sainik Oli Ahad Road
Old Northern University, Holding #13, Road, Banani Model Town
A Premier International Education & Immigration Consultant.
বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্পর্কে পড়াশোনাকেন্দ্রিক যত র্যাঙ্কিং তার সব কটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রথমের দিকেই থাকে। এবার ‘বেস্ট গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিজ র্যাঙ্কিং’-এ ২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২-২৩ এডিশনে করা সেই তালিকায় বিশ্বের ৯০টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের মতো ১৩ মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে।
সেই তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হলো—
১. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানটি স্কোর ১০০ নিয়ে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিদেশি।
২. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) আছে ২ নম্বরে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ৯৭ দশমকি ৭। এমআইটিতে পড়ুয়া ১১ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ শতাংশ স্নাতকের শিক্ষার্থী। এমআইটিতে ৫টি স্কুল রয়েছে। এগুলো হলো স্থাপত্য ও পরিকল্পনা; প্রকৌশল; মানবিক, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান; ব্যবস্থাপনা এবং বিজ্ঞান।
৩. ১৮৮৫ সালে যাত্রা শুরু বিশ্বের অন্যতম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান স্কোর ৯৫ দশমিক ২। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি স্কুল রয়েছে। এগুলো হলো মানবিক এবং বিজ্ঞান; ভূবিজ্ঞান; প্রকৌশল, ব্যবসা, আইন, শিক্ষা এবং মেডিকেল স্কুল।
৪. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে ৮৮ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪ নম্বরে আছে। ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে পড়াশোনা করেন।
৫. ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন সিয়াটেলের স্কোর ৮৬ দশমকি ৬। বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চম স্থানে আছে। ১৮৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করেন। স্নাতক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৭০টি প্রোগ্রাম।
৬. কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ‘বেস্ট গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিজ র্যাঙ্কিং’–এ আমেরিকার মধ্য ৬ নম্বরে আছে। বিশ্বে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সাতে। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কোর ৮৬ দশমিক ৫। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৭৫৪ সালে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে আসা। মোট শিক্ষার্থীর ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে পড়াশোনা করেন।
৭. ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি সপ্তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৯১ সালে থ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে। ১৯২০ সালে নাম বদলে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক স্তরের। প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৮. জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭৬ সাল থেকে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতালি ও চীনেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আছে। বৈশ্বিকভাবে ১০ নম্বরে থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কোর ৮৪ দশমিক ৭।
৯. ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বেস্ট গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিজ র্যাঙ্কিং’–এ ১১তম। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম। ১৭০১ সালে যাত্রা শুরু করা এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদেশি।
১০. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস বিশ্বের সেরা ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রের দশম। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কোর ৮৪ দশমকি ২। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ
#বৃত্তি
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে সিঙ্গাপুর সরকার। এর কেতাবি নাম সিঙ্গা অ্যাওয়ার্ড। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সিঙ্গা অ্যাওয়ার্ডের আওতায় আছে এজেন্সি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ (এস্টার), নানয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ), ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনএসইউ) এবং সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয় নিয়ে পিএইচডি করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পিএইচডি কোর্সের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর।
সুযোগ-সুবিধাগুলো
শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
প্রতি মাসে শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পাবেন।
এককালীন আবাসন ভাতা ১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার পাবেন।
মেডিকেল ইনস্যুরেন্সের সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা।
বিমানে আসা-যাওয়ার খরচ বাবদ ১ হাজার ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার।
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ১ জুনের মধ্য আবেদন করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন https://www.a-star.edu.sg/Scholarships/for-graduate-studies/singapore-international-graduate-award-singa
°
✅Apply Now
☎️+88 01927-444 666
[email protected]
:
✔Free Assessment & Career Counseling
✔Course & University Selection Support
✔Admission & University Offer Confirmation
✔Proper Sponsor Guideline
✔Visa Application Guideline
✔Expert Counseling Support
✔Free Visa Interview Training
✔Highest Visa Success Rate
✔Pre-Departure Briefing
Call : 01927-444 666
✅Apply Now
☎️+88 01927-444 666
[email protected]
:
✔Free Assessment & Career Counseling
✔Course & University Selection Support
✔Admission & University Offer Confirmation
✔Proper Sponsor Guideline
✔Visa Application Guideline
✔Expert Counseling Support
✔Free Visa Interview Training
✔Highest Visa Success Rate
✔Pre-Departure Briefing
& UK
✅Apply Now
☎️+88 01927-444 666
[email protected]
:
✔Free Assessment & Career Counseling
✔Course & University Selection Support
✔Admission & University Offer Confirmation
✔Proper Sponsor Guideline
✔Visa Application Guideline
✔Expert Counseling Support
✔Free Visa Interview Training
✔Highest Visa Success Rate
✔Pre-Departure Briefing
রাশিয়ায় পড়তে যেতে লাগবে না ব্যাংক বিবরণী, আইইএলটিএস
প্রতিবছর ২ লাখের বেশি অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটিতে পড়তে যান। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৬০০ এরও অধিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত প্রভাবশালী পরাশক্তি রাশিয়া। দেশটির ৫০% এরও বেশি মানুষ উচ্চশিক্ষা নিতে পারে। এছাড়া প্রতিবছর ২ লাখের বেশি অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটিতে পড়তে যান। বিশ্বের নামিদামী বিশ্বিবিদ্যালয় এবং খ্যাতিমান অ্যাকাডেমিশানরা থাকায় রাশিয়ার উচ্চশিক্ষার আলাদা মূল্যয়ন তৈরি হয়।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৬০০ এরও অধিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। গুণগত মানের দিকে বেশি জোর দেওয়ায়, বিশ্বের সেরা স্কলারদের কাছে শেখার সুযোগের কারণে চাকরির বাজারে রাশান গ্রাজুয়েটদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।
টিউশন ফি, বৃত্তি
রাশিয়া তুলনামূলকভাবে কম খরচে ব্যবহারিক-সম্পন্ন মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে। রাশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতে ১৪ হাজার ডলার খরচ হয়। যা অন্যদেশের তুলনায় চারভাগের একভাগ। গত দশক থেকে রাশিয়া অন্যদেশের ছাত্রদের জন্য বিপুলসংখ্যক বৃত্তি প্রদান করে আসছে। একাডেমিক ফলাফল ভালো থাকলে বৃত্তির সুযোগ বেশি।
জীবনযাত্রার কম খরচ
রাশিয়াতে খুবই গর্জিয়াস জীবন যাপন করেও ব্যয় তুলনামুলক কম। ধরেন বাইরের দেশের ছাত্র হিসেবে দেশটিতে সবচেয়ে উন্নত এবং দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থার একজনের খরচ হয় মাসে ৬ ডলার। একমাসে এভারেজ মানের খাবার খেতে খরচ লাগবে ৬০ ডলারেরও কম।
ডিগ্রির পর চাকরির সুযোগ
ডিগ্রি শেষ করার পর, আপনাকে কাজ খোঁজার সুযোগ দেওয়া হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি আপনি নিয়োগপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে আসতে পারেন তাহলে আপনি কাজের ভিসা পাবেন। তিন বছর পর ওয়ার্কিং ভিসার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আপনি রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাইহোক, আপনি রাশিয়ায় যে ডিগ্রি-বিষয় অধ্যয়ন করেছেন তার সঙ্গে চাকরির সরাসরি সম্পর্ক থাকতে হবে।
পূর্বের পাঠ্যক্রম ইংরেজিতে হলে আইইএলটিএস লাগবে না
রাশিয়ায় বিশেষ করে এশিয়ানদের জন্য সাধারণত আইইএলটিএস এর প্রয়োজন হয় না। ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য, পূর্বের পাঠ্যক্রম ইংরেজি সংস্করণে ছিল তার প্রমাণ দিলেই হয়ে যায়।
ব্যাংক-স্টেটমেন্ট বা বিবরণী লাগবে না
যেহেতু টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কম, তাই দূতাবাসের কাছে প্রমাণ হিসাবে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে না।
ভিসা পাওয়া সহজ
রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা নমনীয় অভিবাসন বিধি অনুযায়ী করা। ফলে কোনো শর্ত বা ঝামেলা ছাড়াই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।
NB:অনলাইনে আবেদন করতে বা ফাইল প্রসেস করতে যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় বা কোন পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন, আশাকরি সুপরামর্শ পাবেন এবং উপকৃত হবেন, পরামর্শের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন
°
১০ দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কম খরচে পড়ার সুযোগ
এশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বিদেশিদের কম খরচে পড়ার সুযোগ দেয়। আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যায়।
যে ১০ দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
১। জার্মানি-
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। সে দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় খরচে চলে। ব্যাচেলর কোর্স ও বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি। এর সঙ্গে টিউশন ফির সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে পাবলিক পরিবহন, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনিক ফির খরচ বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯ হাজার ৬৫০ থেকে ৩৩ হাজার ৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা) মতো হয়ে থাকে। বাসস্থান, খাবার, পোশাক ও বিনোদন এতে অন্তর্ভুক্ত।
২। নরওয়ে-
এ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হয়, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরোর (প্রায় ২ হাজার ৮৯০ থেকে ৫ হাজার ৭৮০ টাকা) মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহন, জাদুঘর পরিদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্রীড়াসহ বেশকিছু সুবিধা থাকে।
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা) মতো খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বড় শহরগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেশি। ছোট শহরে ৮০০ থেকে এক হাজার ইউরোর (প্রায় ৭৭ হাজার থেকে সাড়ে ৯৬ হাজার টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া ও চলাফেরার খরচ হয়ে যায়।
৩।ফ্রান্স-
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও ইউরোপীয় বাজারে তাদের অভিজাত পদচারণা আছে। স্নাতকের পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা সেখানে ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য ও জীবনধারা—প্রায় সবকিছুর আনন্দদায়ক মিশ্রণ পাওয়া যায় ফ্রান্সে।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে বছরে খরচ হতে পারে ২ হাজার ৭৭০ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা)। মাস্টার লেভেলে বছরে খরচ হতে পারে ৩ হাজার ৭৭০ ইউরো বা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মতো অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে ছোট শহর বেছে নিলে ৬৫০ ইউরোর (প্রায় ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা) কমে থাকা যাবে।
৪। অস্ট্রিয়া-
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ (ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু, নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬ ইউরো (প্রায় ৭০ হাজার টাকা) ধার্য করে।
তবে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত।
এ তালিকায় আছে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয়।
অপরূপ এ দেশটিতে জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ ইউরোয় (প্রায় ৮৬ হাজার ৭০০ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৩০ টাকা) ভিয়েনা ও সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কর্মসূচি ও গণপরিবহণসহ সব খরচ মেটানো যেতে পারে।
অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজে সাধারণত ৯০০ থেকে এক হাজার ইউরোর (প্রায় ৮৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক খরচ হয়ে যায়।
৫।তাইওয়ান-
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি, ইতিহাস, রান্না, সংস্কৃতি, ভাষা ও প্রাকৃতিক সম্পদসহ অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার স্বঘোষিত এই দ্বীপদেশটি। এখানে বেশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে পড়ছেন।
বহুসাংস্কৃতিক ও ইতিহাসসমৃদ্ধ তাইওয়ান বিদেশি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। এখানে সাবলীলভাবে চলাফেরা করা যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়।
তাইওয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ার খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২ হাজার ৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা থেকে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। এখানে প্রতি মাসে কমপক্ষে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার ৫৪০ থেকে ৮৪ হাজার ৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
৬।তুরস্ক-
এশিয়া ও ইউরোপকে স্পর্শ করে গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় ও হট এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। এখানকার যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে তা হলো এর মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা।
দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা 'বোলোগনা প্রক্রিয়া' হিসেবে পরিচিত। এ কারণে তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিপ্লোমা বা অন্যান্য ডিগ্রি ইউরোপে স্বীকৃত।
তুরস্কের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাশ্রয়ী। একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪ হাজার ইউরোর (প্রায় ৯ হাজার ৬৪০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৬ টাকা) মতো খরচ করতে হয়।
অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী তুরস্কে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো খরচ করে (৩৮ হাজার ৫৬০ থেকে ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা) থাকতে পারেন।
৭।পোল্যান্ড-
সাড়ে ৪০০-র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করে আছে। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষা না থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য অন্তত প্রয়োজন হবে মাধ্যমিক শিক্ষার প্রশংসাপত্র, আর্থিক কার্যকারিতা প্রশংসাপত্র ও ইংরেজি বা পোলিশ ভাষায় দক্ষতা।
প্রথম, দ্বিতীয় ও দীর্ঘ-চক্র অধ্যয়নের জন্য টিউশন ফি ২ হাজার ৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ১১০ টাকা)। পোল্যান্ড স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩ হাজার ৭৩৪ থেকে ৫৩ হাজার টাকা)। শহর ভেদে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
৮।মালয়েশিয়া-
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১ হাজার ১৬১ বিদেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে প্রতি বছর খরচ হয় ২ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার ইউরো (১ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০ থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা)।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো (প্রায় ৪৮ হাজার ১৯০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
জীবনযাত্রার খরচের জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরো (প্রায় ৪৩ হাজার ৩৭২ থেকে ৭৭ হাজার টাকা) প্রয়োজন হয়।
৯।গ্রিস-
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গ্রিস শুধু সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার জন্যও গর্বিত। গ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজিতে পড়ার সুবিধা রেখেছে।
ইইউভুক্ত দেশ হিসেবে গ্রিস 'বোলোগনা প্রক্রিয়া'র সদস্য। শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোনো বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার ইউরোর (১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৭০ টাকা) মতো অর্থ খরচ করতে হয়।
গ্রিসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩ হাজার ৩৭২ থেকে ৭২ হাজার ২৮৭ টাকা) প্রয়োজন হয়। এটি স্পেন, জার্মানি বা ইতালির তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী।
১০।হাঙ্গেরি-
বৈচিত্র্য ও বহুসংস্কৃতির চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফির দিক থেকে পশ্চিমের সমকক্ষদের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ইউরোর (প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৬০ থেকে ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা) প্রস্তুতি নিতে হয়।
এ ছাড়া, বসবাসের জন্য প্রয়োজন ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরো (প্রায় ৩৬ হাজার ১৪০ থেকে ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকা)। এটি অবশ্যই শহর ভেদে ভিন্ন হয়।
আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে থাকতে গেলে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৫৭ হাজার ৮৩০ টাকা) প্রয়োজন। ছোট শহরে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টাকা) প্রয়োজন হতে পারে।
কম খরচে দেশের বাইরে পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর চাহিদা, সামর্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কলারশিপের চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
বিদেশে স্নাতক পড়ার জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল ও ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বেসরকারি সংস্থার বৃত্তি।
NB:অনলাইনে আবেদন করতে বা ফাইল প্রসেস করতে যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় বা কোন পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন, আশাকরি সুপরামর্শ পাবেন এবং উপকৃত হবেন, পরামর্শের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন
°
নরওয়েতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়তে যাওয়ার সুযোগ
কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বাদে নরওয়েতে পড়ালেখার খরচ একদম ফ্রি। প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে যে রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়া লাগে তা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে তিন থেকে সাত হাজারের মতো
বিদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরের সুবিধা রেখেছে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়েজিয়ান সরকার। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও অধ্যয়নের সুযোগ নিতে পারবে। নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে ইংরেজি ভাষার মাস্টার্স কোর্সগুলো করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
নরওয়ের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ বিষয়গুলোতে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স করার সুযোগ আছে। এর জন্য নরওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বাদে নরওয়ের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার খরচ একদম ফ্রি। প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে যে রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়া লাগে তা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে তিন থেকে সাত হাজারের মতো।
তবে সমস্যা হলো- অন্যান্য দেশগুলোর মত এখানে শুধু ব্যাংক সল্ভেন্সি দেখালেই হয় না। ভিসা হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাবার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়র একাউন্টে প্রায় ১২ লাখ টাকা পাঠাতে হয়। নরওয়েতে এক বছরের শিক্ষার্থীর থাকার খরচ বাবদ অগ্রিম এই টাকাটা নেওয়া হয়। এটা আসলে কোনো ব্যাংক সলভেন্সি দেখানো না বা কোনো ব্লক্ড একাউন্ট না।
জার্মানির ক্ষেত্রে যেটা হয়- বিশ্ববিদ্যালয়র একাউন্টে টাকা পাঠানোর পর সেই টাকা ১২ মাসে ভেঙে ভেঙে ফেরত দেওয়া হয়। আর নরওয়েজিয়ান ইউনির্ভাসিটিগুলো টাকাটা একবারেই দিয়ে দেয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নরওয়েতে যাওয়ার পর নিজের একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সেই ১২ লাখ টাকা শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। এই বিষয়গুলো পরিকল্পনার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আইইএলটিএস
নরওয়েতে আন্ডারগ্রাজুয়েশন করার জন্য সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হয় না। এর পেছনে কারণ হলো দেশটির অধিকাংশ আন্ডারগ্রাজুয়েশন কোর্স নরওয়েজিয়ান ভাষায় পড়ানো হয়। তবে স্নাতকোত্তর সব কোর্সই ইংরেজি ভাষায় করার সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ইংরেজি হওয়াতে আইইএলটিএস ছাড়া নরওয়েতে পড়তে যাওয়া সম্ভব নয়। নূন্যতম স্কোর ছয় পয়েন্ট পাঁচ হতে হয়। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছয় স্কোরও গ্রহণ করে। সুতরাং পরিকল্পনার পর নরওয়েতে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয় হিসেবে প্রথম কাজ হলো আইইএলটিএস দেওয়া। নরওয়েতে পরিবার নিয়েও যাওয়া যায়। সেক্ষত্রে আবেদনকারীর আইইএলটিএস হলেই হবে। পরিবারের আর কারও লাগবে না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এসএসসি, এইচএসসির ও নূন্যতম তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রির সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট। (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। স্টাডি গ্যাপ সর্বোচ্চ চার বছর গ্রহণযোগ্য)। পাসপোর্ট। আইইএলটিএস সনদ। স্টাডি প্ল্যানসহ মোটিভেশন লেটার। দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার (যে বিষয়ে নরওয়েতে পড়তে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ের ওপর অধ্যাপকের কাছ থেকে একটি, আর আরেকটি ব্যাচেলর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ডিনের কাছ থেকে)। ব্যাংক সলভেন্সি পেপার।
আবেদন
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা স্টাডি ইন নরওয়ে ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজেই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এই সাইটের মাধ্যমে আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়তে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আবেদনের ব্যবস্থা রয়েছে। নিজের কাঙ্ক্ষিত বিষয়টির পাশে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়র নামের ওপর ক্লিক করে বিশ্ববিদ্যালয়তে আবেদনের পেইজে প্রবেশ করা যাবে। অতঃপর এই অনলাইন আবেদনে যা যা নথি চাওয়া হবে সেগুলো সব আপলোড করে সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াতে কোথাও কোনো ধরনের ফি প্রয়োজন হবে না।
প্রতি বছরের আগস্টে সেশন শুরু হয়। আর এই সেশন ধরার জন্য আবেদন করতে হয় ঠিক তার এক বছর আগে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। তার মানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের সেশন ধরতে হলে আবেদনের সময় শুরু হবে ২০২২ এর আগস্ট থেকে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামে আবেদন করে দরকারি সব কাগজপত্রের সফট কপি জমা দিয়ে ফেলতে হবে। আবেদনের পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদনকারীকে একটা কনফারমেশন মেইল দেওয়া হবে। এ সময় অতিরিক্ত কোনো কাগজ লাগলে সেটা মেইল করে জানানো হবে।
ভিসার আবেদন
আবেদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ফলাফল আসবে পরের বছরের মার্চের শেষ নাগাদ কিংবা এপ্রিলের শুরুর দিকে। ঠিক এই সময়েই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অফার লেটার পাওয়ার পর আবেদনের সময় জমা দেওয়া কাগজপত্রগুলো এবার অ্যাটাস্টেড করে গুলশানের ভিএফএস (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিস) গ্লোবালে জমা দিতে হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়র দেওয়া একাউন্টে ১২ লাখ টাকা পাঠিয়ে দিতে হবে। এই টাকা পাঠানোর কনফারমেশন পেপারও সেই ভিএফএস গ্লোবালে অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়।
এখানে দরকারি কাগজপত্রগুলোর সঙ্গে পূর্ণ পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম, শেঞ্জেন ফরমেটের (৩৫ মিলিমিটার বাই ৪৫ মিলিমিটার) ছবি, স্টেটমেন্ট অব পার্পাস, কভার লেটার, অ্যাম্বেসির মনোনীত প্রতিষ্ঠান থেকে হেলথ ইনসুরেন্স সনদ এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ভিসার যাবতীয় প্রক্রিয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৬২ হাজার টাকা খরচ হবে। সবকিছু পাওয়ার পর ভিএফএসের পক্ষ থেকে ছোট্ট একটা ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউয়ের ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস পর কাঙ্ক্ষিত সেই নরওয়ে যাবার ভিসা হাতে পাওয়া যাবে।
নরওয়ের নাগরিকত্ব
নরওয়ের পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্স) ব্যবস্থা বেশ সহজ। দুবছর অধ্যয়নের পর যে বিষয়ে মাস্টার্স করা হয়েছে সে বিষয়ের ওপর কোনো চাকরি করতে পারলেই পিআর নিশ্চিত। তিন বছর মেয়াদী পিএইচডি করা অবস্থাতেও এই পিআর পাওয়া যায়। কারণ নরওয়েতে পিএইচডি”কে চাকরি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তার মানে পিআর-এ কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
NB:অনলাইনে আবেদন করতে বা ফাইল প্রসেস করতে যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় বা কোন পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন, আশাকরি সুপরামর্শ পাবেন এবং উপকৃত হবেন, পরামর্শের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন
°
উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যেতে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য-
প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য যুক্তরাজ্য।প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। যুক্তরাজ্যে পড়তে যাওয়া সুযোগ বা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে অনেকেই বেশ আগ্রহী। এই নিবন্ধে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সেরকম প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকের সুযোগ
স্নাতক পর্যায়ে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্বমানের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যে রাসেল গ্রুপ নামে পরিচিত।তবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে সরাসরি স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির সুযোগ কম। ফাউন্ডেশন কোর্স করে স্নাতক পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া যায়। এ লেভেল–ও লেভেলে পড়া শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারেন।
বৃত্তির সুযোগ
স্নাতক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও আর্থিক সহযোগিতা, ফেলোশিপের সুযোগ কম। তিন থেকে পাঁচ হাজার পাউন্ডের বৃত্তির জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভীষণ প্রতিযোগিতা করতে হয়। শতভাগ বৃত্তি স্নাতক পর্যায়ে নেই বললেই চলে। রাসেল গ্রুপের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু বৃত্তির সুযোগ পান। তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বৃত্তির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও শুধু মাস্টার্সের জন্য চিভনিং বৃত্তি আছে। অনেক সময় বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে অধ্যাপকরা নিয়মিত পিএইচডির জন্য বৃত্তি দেন।
সরকারি বৃত্তির যোগ্যতা
কমনওয়েলথ বৃত্তি ও চিভনিং বৃত্তির জন্য স্নাতক পর্যায়ে ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নেতৃত্বের যোগ্যতা, সামাজিক বিভিন্ন কাজে সংশ্লিষ্টতা, পেশা ও গবেষণাক্ষেত্রে সংযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাস্টার্স পর্যায়ে চিভনিং বৃত্তির মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীরা পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন নিয়মিত। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নেটওয়ার্কিং দক্ষতা বিকাশেরও সুযোগ পান। ২০২৩-২৪ সেশনের চিভনিং বৃত্তির জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ চলছে। বিস্তারিত: www.chevening.org/scholarship/bangladesh/
অন্যান্য বৃত্তি
রাসেল গ্রুপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বৃত্তি চালু আছে। বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বৃত্তি দেয়। এন্ড্রু কার্নেগির অনুদানে কার্নেগি-ক্যালেডোনিয়ান স্কলারশিপ দেওয়া হয় স্কটল্যান্ডে। প্রতি বছর ১৫ জন পিএইচডি গবেষক এই বৃত্তি পান। এ ছাড়া ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে নিয়মিত বেশ কিছু পিএইচডি স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
উচ্চশিক্ষায় সুইজারল্যান্ডে বৃত্তি পাওয়ার উপায়
আইইএলটিএস স্কোর
ভর্তির প্রতিযোগিতায় টিকতে আইইএলটিএস একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। নির্দিষ্ট স্কোর অর্জন করার মাধ্যমে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। তবে এই স্কোর বৃত্তিতে ভূমিকা রাখে না। অধিকাংশ বৃত্তির আবেদন আইইএলটিএসের স্কোর ছাড়াই করা যায়। তবে, আইইএলটিএস স্কোরকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৬.৫ থেকে ৭.৫ স্কোর প্রয়োজন হয়।
পড়াশোনার ধরন :
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার ধরনে ব্যবহারিক প্রয়োগ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাস্তব জীবনের নানা সমস্যা ও পরিস্থিতি, গ্রুপওয়ার্ক, ওয়ার্ক সিমুলশনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ইউরোপের অন্য দেশের চেয়ে যুক্তরাজ্যের পড়াশোনার কাঠামো আন্তর্জাতিক মানের ও আধুনিক।
জীবনযাত্রার মান ও খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে যুক্তরাজ্যে খরচ ভিন্ন। রাসেল গ্রুপে সংযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যয় বেশি, সুযোগ-সুবিধাও আন্তর্জাতিক মানের অবশ্য। এমনিতে জীবনযাত্রার মান যুক্তরাজ্যের সব জায়গায় প্রায় একই রকম। দক্ষিণে ব্যয় একটু বেশি। লন্ডনের সঙ্গে ম্যানচেস্টারে একই ধরনের বাড়ির ভাড়ার পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো। সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য খুব বেশি নেই। লন্ডনে চাকরির সুযোগ বেশি, কিন্তু চাকরির অবেদনকারীর সংখ্যাও অনেক বেশি। উত্তরের শহর ম্যানচেস্টার, লিডস, লিভারপুল বা শেফিল্ডে খরচ কম, কিন্তু বেতন কাঠামো একই।
বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ অনেক বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে মাস্টার্স শ্রেণিতে বৃত্তি ছাড়া পড়তে বছরে ১০ থেকে ১৬ হাজার পাউন্ডের মতো খরচ পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টিউশন ফিতে পার্থক্য আছে। রাসেল গ্রুপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার পাউন্ড। মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি ১৪ থেকে ১৮ হাজার পাউন্ড। থাকা-খাওয়ায় মাসে আটশো থেকে হাজার পাউন্ড লেগে যায়।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ
যুক্তরাজ্যে একজন শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন। সরাসরি ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে। অনেক শিক্ষার্থী স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করা যায়।
বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ অনেক বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে মাস্টার্স শ্রেণিতে বৃত্তি ছাড়া পড়তে বছরে ১০ থেকে ১৬ হাজার পাউন্ডের মতো খরচ পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টিউশন ফিতে পার্থক্য আছে। রাসেল গ্রুপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার পাউন্ড। মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি ১৪ থেকে ১৮ হাজার পাউন্ড। থাকা-খাওয়ায় মাসে আটশো থেকে হাজার পাউন্ড লেগে যায়।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ
যুক্তরাজ্যে একজন শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন। সরাসরি ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে। অনেক শিক্ষার্থী স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করা যায়।
NB:অনলাইনে আবেদন করতে বা ফাইল প্রসেস করতে যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় বা কোন পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন, আশাকরি সুপরামর্শ পাবেন এবং উপকৃত হবেন, পরামর্শের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন
°
আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে যেতে পারেন হাঙ্গেরিতে, আছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
হাঙ্গেরির স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অন্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, ছাত্রদের আইইএলটিএস থাকতে হয় না
ইউরোপের সেতু হাঙ্গেরি যেকোনো ছাত্রের জন্য নিরাপদ গন্তব্য। প্রতি বছর, হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশটিতে পড়তে যায়। তাদের বেশিরভাগই চাকরির অনুমতি নিয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়ে থাকেন। এছাড়া সহজেই ইইউ ভুক্ত দেশগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
উচ্চমানের শিক্ষা
হাঙ্গেরিয়ান শিক্ষা ব্যবস্থা উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা। ১৩৬৭ সালে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশটিতে। হাঙ্গেরি তার গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্যও ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছে। এটি সেই জায়গা যেখানে প্রথম বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কৃত হয়েছিল। তাছাড়া, হাঙ্গেরি বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা, হলগ্রাফি, হাইড্রোজেন বোমা, কোডাক সুপার সিক্স-২০ ক্যামেরার উদ্ভাবনের আবাসস্থল।
অধ্যয়নের বৈচিত্র্যময় পরিসীমা
আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধ্যয়নের বিস্তৃত সুযোগ রয়েছে। প্রায় সমস্ত প্রোগ্রাম ইংরেজিতে শেখানো হয় এবং এইভাবে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত। আপনি স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডির পাশাপাশি পড়াশোনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধ্যয়ন করতে পারেন। মেডিসিন, জীববিদ্যা, দন্তচিকিৎসা, রসায়ন, আর্থ সায়েন্স, ভেটেরিনারি, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়নের জন্য সেরা গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হাঙ্গেরি।
সাশ্রয়ী মূল্যের টিউশন ফি:
হাঙ্গেরিকে কখনো কখনো সেরা সাশ্রয়ী-অধ্যয়ন-গন্তব্য হিসাবে বলা হয়। এটি একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যেখানে আপনি প্রতি শিক্ষাবর্ষে মাত্র এক হাজার ইউরো খরচ করে আপনার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য যদিও আপনার কাছে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড ডিগ্রি থাকবে যা স্পষ্টতই ইইউ এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্য।
বৃত্তির সুযোগ
যদিও হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি বেশ সস্তা, তবুও এটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শত শত বৃত্তি প্রদান করছে। বৃত্তি সাধারণত টিউশন ফি”র সমপরিমাণ দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রদের একাডেমিক কৃতিত্বের ওপর নির্ভর করে মাসিক জীবনযাত্রার খরচও প্রদান করে থাকে।
জীবনযাত্রার খরচ খুবই কম
কম খরচে পড়তে যাওয়ার জন্য হাঙ্গেরি ইউরোপের সেরা গন্তব্য। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ইউরো দিয়ে মাসের সব ধরনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেও সেরা মানের খাবার, ডরমেটরিতে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, যাতায়াত এবং কেনাকাটা করা সম্ভব।
হাঙ্গেরিকে কখনো কখনো সেরা সাশ্রয়ী-অধ্যয়ন-গন্তব্য হিসাবে বলা হয়। এটি একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যেখানে আপনি প্রতি শিক্ষাবর্ষে মাত্র এক হাজার ইউরো খরচ করে আপনার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য যদিও আপনার কাছে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড ডিগ্রি থাকবে যা স্পষ্টতই ইইউ এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্য।
বৃত্তির সুযোগ
যদিও হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি বেশ সস্তা, তবুও এটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শত শত বৃত্তি প্রদান করছে। বৃত্তি সাধারণত টিউশন ফি”র সমপরিমাণ দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রদের একাডেমিক কৃতিত্বের ওপর নির্ভর করে মাসিক জীবনযাত্রার খরচও প্রদান করে থাকে।
জীবনযাত্রার খরচ খুবই কম
কম খরচে পড়তে যাওয়ার জন্য হাঙ্গেরি ইউরোপের সেরা গন্তব্য। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ইউরো দিয়ে মাসের সব ধরনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেও সেরা মানের খাবার, ডরমেটরিতে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, যাতায়াত এবং কেনাকাটা করা সম্ভব।
NB:অনলাইনে আবেদন করতে বা ফাইল প্রসেস করতে যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় বা কোন পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন, আশাকরি সুপরামর্শ পাবেন এবং উপকৃত হবেন, পরামর্শের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন
°
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
HS#07, RD#04, Dhanmondi
Dhaka
1205
Opening Hours
Monday | 09:00 - 17:00 |
Tuesday | 09:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Saturday | 09:00 - 17:00 |
Sunday | 09:00 - 17:00 |
Dhaka, 1216
Right place for Business student .... BBA/MBA .... Accounting, Finance and as well as Business Studies for O/A level student.
House #2B, Road #12, Mirpur Road, Dhanmondi, Dhaka/
Dhaka, 1209
As the country’s largest skills development center, BSDI has been working since 2003 to develop the necessary skills for the youth of Bangladesh.
Luxmibazar Campus: 3/1, Nobodip Bosak Lane, Luxmibazar, Dhaka-1100, Bangladesh. Addmission Hot Line :01191791067 Lalmatia Campus: 6/5, Lalmatia, Block#F, Kazi Nazrul Islam Road, ( Physical More, Behin
Dhaka
Our mission is to make skilful & educated manpower by giving world standard education. We provide each student a diverse education in a safe, supportive environment that promotes s...
Concord Royal Court (3rd Floor), House: 40, Road: 27 (old) 16 (new), Dhanmondi
Dhaka, 1209
Embark on your academic journey overseas with Executive Study Abroad.
House 17, Level-2 (F-4), Road 14, Sector-13, Uttara
Dhaka, 1230
Dream Abroad Educational Consultancy (DAEC) place for interested people those who dream of studying abroad and we are here to catch dreams together. Our dream is to assist a studen...
Tongi, Gazipur
Dhaka
Certified Digital Marketer with 4year+ Experience. Expert in Facebook ads & Google Merchant center 💥
Dhaka
BCS & Job Math এর বেসিক, ছোটো-বড়ো সব সমস্যার সলভ, প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য এই পেইজ-এ সবাইকে স্বাগতম ☺️
Siddeshwari
Dhaka
Facilitate the students to get admission for higher study to overseas Universities and colleges.
Ka, 74, Shahjadpur, Gulshan, Dhaka. 1212
Dhaka, 1212
Greenhouse tutorial is an uncompromising endeavour for the academic and moral development of our next leaders of the nation.
Dhaka
We leading CPA marketing education agency that helps individuals and businesses develop the skills