LawsnLawyers
Nearby law practices
No Court House Street
Court House Street
Room No
Dhaka Bar Association New
Kotwali
1207
Kotwali
Court House Street
Johnson Road, Ramna
Court House Street
Judge Court
1100
1216
Court Street House
Court House Street
LawsnLawyers is The No.1 Online Law Magazine Of BD. To Make Awareness About Basic Laws of Bangladesh for All Citizen. Visit:https://lawsnlawyers.com
তাদেরকে জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যেত।...Powerful & Historic Line For Democratic Country With Deep Meaning From a Minister..
*****Breaking News*****
জিরো রিটার্ন দাখিলকারীদেরকে নুন্যতম কর ২০০০ টাকা দিয়ে জমা স্লীপ নিতে হবে।
ভুল চিকিৎসা Wrong Treatment। হাসপাতাল বা ডাক্তারের অবহেলায় মুত্যু হলে কিভাবে পাবেন আইনী প্রতিকার
✈🛩দেখুন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কিভাবে আকাশ সীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। Aviation Law in Bangladesh✈🛩
What is Warehouse। ওয়্যারহাউজ। Types of Bonded Warehouse। বন্ডেড ওয়্যারহাউজ। Bangladesh Customs Act।
অনলাইনে উত্তরাধিকার সম্পত্তির হিসাব। Uttradhikar Calculator। মুসলিম উত্তরাধিকার আইন। Uttoradhikar
অনলাইনে মাত্র ১০০ টাকা জমির খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করুন। সিএস। এসএ। আর এস। বিএস। নামজারী খতিয়ান
অনলাইন নামজারি মাত্র ৩০ মিনিটে। Online Mutation। জমি খারিজ। ই নামজারি করার নিয়ম। Namjari Korar Niyom
এখন থেকে অনলাইনেই জানা যাবে মামলার তারিখ। Online Cause List। অনলাইন মামলার কজলিস্ট
এখন থেকে অনলাইনেই জানা যাবে মামলার তারিখ। Online Cause List। অনলাইন মামলার কজলিস্ট।
অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম। Online Khajna। ভুমি উন্নয়ন কর। Pay Land Tax Online। LD Tax Payment
অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম। Online Khajna। ভুমি উন্নয়ন কর। Pay Land Tax Online। LD Tax Payment
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু। এই কসাইদের শাস্তি হবে কবে?
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮। মোটরযান চলাচলের সাধারন নিয়ম না মানলে শাস্তি ও জরিমানা। Sarak Paribahan Ain। ট্রাফিক আইন। Traffic Law in Bangladesh
বাংলাদেশ সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ
আইনের চোখে সমতা: সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। [ অনুচ্ছেদ:- ২৭]
ধর্ম প্রভৃতি কারনে বৈষম্য: কেবলমাত্র ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী,নারী পুরুষ বা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। [অনুচ্ছেদ:-২৮(১)]
নারী পুরুষের সমঅধিকার: রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে। [অনুচ্ছেদ:-২৮(২)]
সরকারী নিয়োগ লাভে সমতাঃ
(১) প্রজাতন্ত্রে কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে।
(২) কেবল ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠি, নারী পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হবে না, কিংবা সেক্ষেত্রে তার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না ।
[অনুচ্ছেদ:-২৯(১)]
আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার: আইনের আশ্রয় লাভ এবং আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। বিশেষত: আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোন ব্যাক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।[অনুচ্ছেদ:- ৩১]
জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা লাভের অধিকার: আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা হতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না।[অনুচ্ছেদ:- ৩২]
গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ: কোন গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের কারন জ্ঞাপন না করে প্রহরায় আটক রাখা যাবে না এবং উক্ত ব্যাক্তিকে তার মনোনিত আইনজীবীর সাথে পরামর্শ ও তার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চবিবশ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে এবং আদালতের আদেশ ব্যতীত তাকে উক্ত সময়ের অধিককাল আটক রাখা যাবে না।
[অনুচ্ছেদ:- ৩৩]
জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ: সকল প্রকার জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ এবং এ বিধান কোনভাবে লঙ্ঘিত হলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।[অনুচ্ছেদ:- ৩৪]
বিচার ও দন্ড সম্পর্কে :
ক) এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারীতে সোপর্দ ও দন্ডিত করা যাবে না।
খ) ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যাক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচার লাভের অধিকারী।
গ) কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
ঘ) কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া, নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্চনাকর দন্ড দেয়া যাবে না।
[অনুচ্ছেদ:- ৩৫]
চলাফেরার স্বাধীনতা: জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সবর্ত্র অবাধ চলাফেরা, দেশের যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশে ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। [অনুচ্ছেদ:- ৩৬]
সমাবেশের অধিকার: জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। [অনুচ্ছেদ:- ৩৭]
সংগঠনের স্বাধীনতা: জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। তবে শর্ত থকে যে নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোন সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার থাকবে না।[অনুচ্ছেদ:- ৩৮]
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা:
ক) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
খ) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্র সমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে এবং আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তি সঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে
(১) প্রত্যেক নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।
(২) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে।
[অনুচ্ছেদ:- ৩৯]
পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা: আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তি সঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং যে কোন আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে।
[অনুচ্ছেদ:- ৪০]
ধর্মীয় স্বাধীনতা: আইন শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার সাপেক্ষে
ক)প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার থাকবে।
খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার থাকবে।
[অনুচ্ছেদ:- ৪১]
সম্পত্তির অধিকার: আইনে আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারন, হস্তান্তর ও অন্যভাবে বিধিব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে। আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ব বা দখল করা যাবে না। [অনুচ্ছেদ:- ৪২]
গৃহ ও যোগাযোগ : রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনগণের নৈতিকতা বা জনস্বার্থের প্রতিহুমকি সৃষ্টি না করলে কোন নাগরিকের গৃহে বলপূর্বক প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক করা যাবে না। এছাড়া ও প্রত্যেক নাগরিক তার চিঠিপত্রের অধিকার লাভ করবে।[অনুচ্ছেদ:- ৪৩]
মৌলিক অধিকার বলবতকরণঃ সংবিধানের ৩য় অধ্যায়ে বর্ণিত মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কোন ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগে যেতে পারবে।[অনুচ্ছেদ:- ৪৪]
ভুল চিকিৎসা Wrong Treatment। হাসপাতাল বা ডাক্তারের অবহেলায় মুত্যু হলে কিভাবে পাবেন আইনী প্রতিকার পাবেন?
আদালত তামাদি মওকুফ করতে বাধ্য কিনা?
আলােচনা
তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মওকুফের আবেদন মঞ্জুর করতে আদালত বাধ্য না। যদিও এই সম্পর্কে ৫ ধারায় কিছু বলা হয়নি কিন্তু ৫ ধারায় তামাদি মওকুফের আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা।
এই ক্ষেত্রে রফিকুল ইসলাম বনাম বাংলাদেশ, মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ বলেছে যে, বিলম্ব মওকুফ আদালতের বিবেচনার উপর নির্ভর করে। যদি আদালত বিলম্বের কারণ এবং ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়, তাহলে বিলম্ব মওকুফ করতে পারে। কোন বিলম্ব মওকুফের আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে, কত দিন বিলম্ব হয়েছে সেটা প্রশ্ন নয়, কিভাবে এবং সরল বিশ্বাসে বিলম্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিনা তা মূল বিবেচ্য বিষয়। যদি বিলম্বের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হয় এবং সরল বিশ্বাসে করা হয়, তাহলে আদালত বিলম্ব মওকুফ করতে পারে।
মােহাম্মদ ইসহাক বনাম রুহুল আমীন এবং অন্যান্য, মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ বলেছে যে, যদি দরখাস্তকারী বিলম্ব বিষয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারে এবং উক্ত বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে আদালত উপযুক্ত মামলায় বিলম্ব মওকুফ করতে পারে । এটা আইনের মীমাংসীত নীতি যে, প্রত্যেক দিনের বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
তবে প্রত্যেক দিনের বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করার বিষয়টি সহজাতভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যেন ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ বনাম সলেয়মান বিওয়া-এই মামলায়, দরখাস্তকারী ২৯৯ দিনের বিলম্বের কারণের মধ্যে মাত্র ২৭ দিন বিলম্ব হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছিল। কিন্তু এই ২৭ দিনের বিলম্বের কারণ সাধারণভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। আদালত মত প্রকাশ করে।
যে, যেহেতু প্রতি দিন ভিত্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি, তাই এটা তামাদি আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা বলে গণ্য করা যায় না। তাই আদালত বিলম্ব মওকুফের আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
সুতরাং বিচারিক নজীর বিশ্লেষণে বলা যায় যে, তামাদি আইনের ৫ ধারায় বিলম্ব মওকুফের বিষয়টি আদালতের বিবেচনা এবং সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে। কিন্তু বিলম্ব মওকুফের আবেদন মঞ্জুর করতে আদালত বাধ্য না।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার নিয়ম সর্ম্পকে আপনি কতটা জানেন , বর্তমানে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। বেড়েছে যৌন হয়রানি, ধর্ষণসহ, অপহরণের ঘটনা। এগুলোর মধ্যে কিছু ঘটনা প্রকাশিত হলেও বেশির ভাগ ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায় লোকলজ্জার কারণে । এসব ঘটনায় নির্যাতিতদের আইনি সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০০০ সালে সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৈরি করে। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০১৩ সালে সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয় । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রতিকার চাইলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য কোথায় যেতে হবে, কার কাছে যেতে হবে বিচারপ্রার্থীদের সম্পর্কে কিছু জানে না। তাই কীভাবে আইনি সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আজকের আলোচনা।
যে সবল অপরাধ নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত
বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী যেসব অপরাধ এ আইনের অন্তর্ভুক্ত তা হলো- দহনকারী বা ক্ষয়কারী, নারী পাচার, শিশু পাচার, নারী ও শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা, যৌন নিপীড়ন, যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি, ধর্ষণের ফলে জন্মলাভ কারী শিশু সংক্রান্ত বিধান।
থানায় মামলা দায়ের
উপরে উল্লেখিত যে কোনো ঘটনার শিকার হলে আপনার পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গহণ করে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন । পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারসম্পন্ন হাকিম আদালতে প্রেরণ করবেন। এখতিয়ারাধীন হাকিম তা গ্রহণ করলে ওই মামলার প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন। এবং পরবর্তী সময়ে মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপযুক্ত আদালত তথা নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠাবেন। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচারের জন্য সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করলে সেই তারিখে মামলাটির বাদী ও অভিযুক্তকে আদালতের সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলতে থাকবে।
কোন আদালতে মামলা করবেন
কোনো কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যদি অভিযোগটি গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তাহলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে মামলাকারী ব্যক্তি প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমনে নিযুক্ত নারী ও শিশু পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি নারী ও শিশু) কাছে প্রত্যয়ন ও সত্যায়িত করে মামলা করতে হবে। এ ছাড়া আবেদনটি বিচারকের সামনে হাজির করার সময় অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দী দিয়ে মামলা করতে হবে। আদালত অভিযুক্তের জবানবন্দি শোনার পর মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
সরকারি আইনজীবী
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাদী নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা অনুযায়ী তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পাবেন। তিনি মামলার সব তত্ত্বাবধান করবেন। যদি বাদী নিজে আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান তাহলে সেই আইনজীবী সরকারি আইনজীবীর অধীনে কাজ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবীকে কোনো খরচ দিতে হবে না।
বিচার প্রক্রিয়া
দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, অথবা এখতিয়ার সম্পন্ন বিচারক দ্বারা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলমান আছে। এই আইনে ট্রাইব্যুনাল রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার পরিচালনাও করতে পারেন। কোনো ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বা স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করলে বিচারক শুধু মামলার দুই পক্ষকে এবং তাদের নিয়োজিত আইনজীবীদের নিয়ে বিচার পরিচালনা করতে পারেন। তা না করলে বিধান মোতাবেক বিচার পরিচালিত হবে।
বিচারের মেয়াদ
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০১৩ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করবেন। ট্রাইব্যুনাল যদি ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার কারণসংবলিত একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করবেন। যার একটি অনুলিপি সরকারকেও দিতে হবে। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে কারণ উল্লখপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এ রকম দাখিলকৃত প্রতিবেদনগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচিত হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই আইন অনুযায়ী পুলিশ যদি অভিযোগ গ্রহণ না করে সে ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল সরাসরি বিচারের জন্য অভিযোগ নিতে পারেন। এই বিধানটি যদি বাস্তবে প্রয়োগ করা হয়, তবে জনগণের অভিযোগ করা অনেক সহজ হবে।
নিরাপত্তামূলক হেফাজত
এই আইনের অধীন বিচার চলাকালে যদি ট্রাইব্যুনাল মনে করেন কোনো নারী বা শিশুকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজন, তাহলে ট্রাইব্যুনাল ওই নারী বা শিশুকে কারাগারের বাইরেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বা যথাযথ অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন। বিচার চলাকালে যদি অপরাধী মহল নির্যাতিত নারী বা শিশুকে আবার কোনো ধরনের আঘাত করে বা করতে চায়, তা থেকে রক্ষার জন্য এই বিধান। তা ছাড়া অভিযুক্তকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতে পারে ট্রাইব্যুনাল। তবে কোনো নারী বা শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল ওই নারী বা শিশুর মতামত গ্রহণ ও বিবেচনা করবেন।
তদন্ত
অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতেনাতে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করবে। আর অপরাধী ধরা না পড়লে তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত না হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করে সময় শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনাল ইচ্ছে করলে অন্য কর্মকর্তার ওপর তদন্তভার অর্পণের আদেশ দিতে পারেন। এই আদেশ দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
শাস্তি
বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে অর্থদণ্ডের বিধান।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্য পরিচালনা ?
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্য পরিচালনা হয় দ্রুত । চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য-সংক্রান্ত অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন পাস হয়। সে বছরই ঢাকার প্রথম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন
ধারা ৪(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হইলে, ট্রাইব্যুনাল গঠনকারী প্রজ্ঞাপনে সরকার প্রতিটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা নির্দিষ্ট করিয়া দিবে৷
(৩) প্রত্যেক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একজন করিয়া বিচারক থাকিবেন এবং উক্ত বিচারক বিচার কর্ম বিভাগের জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন৷
(৪) সরকার যে স্থান বা স্থানসমূহ নির্ধারণ করিবে সেই স্থানে বা স্থানসমূহের যে কোন স্থানে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বসিতে পারিবে এবং উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে৷
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার
ধারা – ৫ – সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করিবে শুধু সেই মামলাই এই ট্রাইব্যুনাল বিচার করিবে৷
মামলা স্থানান্তর
ধারা -৬-সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জনস্বার্থে, হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধের বিচারাধীন কোন মামলা উহার যে কোন পর্যায়ে ক্ষেত্রমত, দায়রা আদালত বা বিশেষ আদালত বা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত হইতে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করিতে পারিবে৷
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মর্যাদা ও দণ্ডারোপের ক্ষমতা
ধারা ৭(১) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে৷
(২) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তত্কর্তৃক বিচারকৃত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত যে কোন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে৷
বিচার কার্যক্রম
ধারা ৮(১) যে পর্যায়ে কোন একটি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হইবে সেই পর্যায় হইতে উক্ত মামলার বিচারকার্য পরিচালিত হইবে৷
সাক্ষ্য-সাবুদ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সাক্ষ্য-সাবুদ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং সুবিচারের জন্য প্রয়োজন না হইলে এই সাক্ষ্য-সাবুদ পুনরায় গ্রহণ করার প্রয়োজন হইবে না৷
বিচারের বিশেষ পদ্ধতি
ধারা ৯(১) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত মামলার বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XX, যতদূর এই আইনের সহিত সাংঘর্ষিক না হয় ততদূর, প্রযোজ্য হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন মামলা সম্পর্কিত অপরাধটির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সাত বত্সরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, মামলাটির বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XXII যতদূর সম্ভব অনুসরণ করা হইবে৷
(৩) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত কোন মামলায় অভিযুক্ত কিংবা দণ্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির জামিনে মুক্তির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মামলাটি যে আদালত হইতে স্থানান্তরিত করা হইয়াছিল, সেই আদালতে এই আবেদন দাখিল করা হইলে যে বিধান প্রযোজ্য হইত সেই বিধান প্রযোজ্য হইবে৷
মামলা নিষ্পত্তির মেয়াদ
ধারা ১০(১) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত কোন মামলা স্থানান্তরের তারিখ হইতে নব্বই কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷
(২) কোন অনিবার্য কারণে উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ত্রিশ কার্য দিবসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিতে পারিবে এবং তত্সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি যুক্তিসঙ্গত কোন কারণে কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সর্বশেষ আরো পনের কার্য দিবস সময় নিতে পারিবে এবং এইরূপ সময় বর্ধিতকরণ সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
(৪) কোন ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেও যদি কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে মামলাটি যে আদালত হইতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত করা হইয়াছিল সেই আদালতে উক্ত ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ উহা ফেরত পাঠাইবে এবং উক্তরূপে ফেরত পাঠানো সম্পর্কে কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন মামলা কোন আদালতে ফেরত আসিলে সেই মামলাটির বিচারকার্য উক্ত আদালতে বিচারাধীন অন্যান্য সকল মামলার উপর প্রাধান্য পাইবে এবং যে পর্যায়ে মামলাটি ফেরত আসিয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচারকার্য পরিচালনা করা হইবে, যেন উক্ত আদালতে মামলাটি ঐ পর্যায়ে বিচারাধীন ছিল এবং ইহা কখনও স্থানান্তরিত হয় নাই:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালতে উক্ত সময়ে যদি অন্য কোন মামলার শুনানী চলিতে থাকে, তবে ঐ মামলার শুনানী শেষ হইবার পর ফেরতপ্রাপ্ত মামলাটির শুনানী শুরু করিতে হইবে এবং ইহার শুনানী শুরু করিবার পর ইহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটানা চলিতে থাকিবে এবং অনিবার্য কোন কারণ ব্যতীত, যাহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, ইহার শুনানী মুলতবী করা যাইবে না৷
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
শিশু আদালতে মামলা দায়ের ও বিচার প্রক্রিয়া কি?
শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোনো অপরাধের বিচার করিবার জন্য, প্রত্যেক জেলা সদরে শিশু–আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকিবে। তবে যে, কোনো জেলায় উক্তরূপ কোনো ট্রাইব্যুনাল না থাকিলে উক্ত জেলার জেলা ও দায়রা জজ স্বীয় অধিক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শিশু–আদালত হিসাবে গণ্য করা হইবে।
শিশুর বয়স
বিদ্যমান অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু আইন অনুযায়ী অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠার) বছর বয়স পর্যন্ত সকল ব্যক্তি শিশু হিসাবে গণ্য হইবে।
শিশু আদালত
শিশু আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে এবং, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে একটি আদালত থাকিবে, যাহা শিশু-আদালত নামে অভিহিত হইবে।
ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আইন ও বিচার বিভাগ, সুপ্রিমকোর্ট’ এর সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলা এবং, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত দায়রা জজ এর আদালতকে শিশু-আদালত হিসাবে নির্ধারণ করিবে এবং একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হইলে উহাদের প্রত্যেকটির আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্দিষ্ট করিবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, কোন জেলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ না থাকিলে উক্ত জেলা’র জেলা ও দায়রা জজ তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে শিশু-আদালতের দায়িত্ব পালন করিবেন।
শিশু আদালতের ক্ষমতা
(১) আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোন মামলায় জড়িত থাকিলে, যেকোন আইনের অধীনেই হউক না কেন, উক্ত মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু-আদালতের থাকিবে।
(২) কোন মামলায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সহিত কোন শিশু জড়িত থাকিলে, ধারা ১৫ এর অধীন পৃথক চার্জশীটের ভিত্তিতে, শিশু-আদালতকে উক্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, একই দিবসে পৃথকভাবে পৃথক অধিবেশনে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা একই নিয়মে পরবর্তী কর্মদিবসে বিরতিহীনভাবে অব্যাহত থাকিবে।
(৩) শিশু-আদালত ধারা ১৮ এর বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বিধি দ্বারা নির্ধারিত স্থান, দিন এবং পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে, উহার অধিবেশন অনুষ্ঠান করিবেন, তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শিশু-আদালতের বিচারক তাহার স্বীয় বিবেচনায় বিচারের দিন, ক্ষণ, স্থান নির্ধারণক্রমে, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে, উহার অধিবেশন আরম্ভ এবং সমাপ্ত করিবেন।
(৪) যে সকল দালান বা কামরায় এবং যে সকল দিবস ও সময়ে প্রচলিত আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় উহা ব্যতীত, যতদূর সম্ভব, অন্য কোন দালান বা কামরায়, প্রচলিত আদালতের ন্যায় কাঠগড়া ও লালসালু ঘেরা আদালতকক্ষের পরিবর্তে একটি সাধারণ কক্ষে এবং অন্য কোন দিবস ও সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যতীত শুধুমাত্র শিশুর ক্ষেত্রে শিশু-আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
শিশু-আদালতের এখতিয়ার
(ক) ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের ক্ষমতাসমূহ;
(খ) সমন জারি , সাক্ষী তলব ও উপস্থিতি, কোন দলিলাদি বা বস্ত্ত উপস্থাপন এবং শপথ গ্রহণপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারসমূহ।
শিশু আদালতের পরিবেশ
(১) আদালতকক্ষের ধরন, সাজসজ্জা ও আসন বিন্যাস বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(২) শিশু-আদালতের আসন বিন্যাস এমনভাবে করিতে হইবে যেন সকল শিশু বিচার প্রক্রিয়ায় তাহার মাতা-পিতা বা তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ বা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য এবং প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইনজীবীর, যতদূর সম্ভব, সন্নিকটে বসিতে পারে।
(৩) উপ-বিধি (১) এর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া আদালতকক্ষে শিশুর জন্য উপযুক্ত আসনসহ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য, প্রয়োজনে, বিশেষ ধরনের আসন প্রদানের বিষয়টি শিশু-আদালত নিশ্চিত করিবে।
(৪) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক শিশুর বিচার চলাকালীন, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোন কর্মচারী আদালতকক্ষে তাহাদের পেশাগত বা দাপ্তরিক ইউনিফরম পরিধান করিতে পারিবেন না।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
আরজি কি? কোন কোন পরিস্থিতিতে আদালত আরজির সংশোধনের দরখাস্ত নামঞ্জুর করিবেন?
নালিশের কারন সম্বলিত আদালতে দাখিলকৃত লিখিত বিবৃতি যার ভিত্তিতে যদি কোন প্রতিকার প্রার্থনা করে তাকে আরর্জি বলা হয় । দেওয়ানী কার্যবিধির ৬ আদেশের ১৭ বিধিতে প্লীডিংস সংশোধনের বিধান আলোচনা করা হয়েছে। এই বিধিতে কখন আদালত আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করবে এবং কখন মঞ্জুর নাও করতে পারে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কি কি কারণে আদালত আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করবে না তা উক্ত বিধি এবং বিচারিক নজীর দ্বারা নির্ধারিত হয়। দেওয়ানী কার্যবিধির ১৭ বিধিতে আদালতকে আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে আদালত আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করবে না তা বিচারিক বিবেচনার বিষয়।
যখন আরজি সংশোধনের আবেদন নামঞ্জুর করা যায়:
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আদালত আরজি সংশোধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
ক) আরজি সংশোধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে যখন মোকদ্দমার পক্ষদ্বয়ের মধ্যেকার বিরোধের বিষয়টির প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আরজি সংশোধন করা প্রয়োজন না৷
খ) সংশোধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে যদি সংশোধনের ফলে নতুন, ভিন্ন এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন বিরোধ সূচনা হয় বা মামলার মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়। এটা প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, যে সংশোধন মোকদ্দমার মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে, সেই সংশোধন মঞ্জুর করা যাবে না।
গ) সংশোধনের ফলে অন্যপক্ষকে তার পক্ষে তৈরী হওয়া কোন আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করলে। ওলডোন বনাম নীল মামলার ঘটনা হলো ‘ক’ ‘খ’ এর বিরুদ্ধে মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের করে। ‘ক’ পরবর্তীতে হামলা এবং অবৈধ কারাবাসের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি যুক্ত করার জন্য আরজি সংশোধনের আবেদন করে। সংশোধনের আবেদন
করার সময় উক্ত বিষয়গুলো তামাদিতে বারিত হয় যদিও মূল মোকদ্দমা দায়ের করার সময় উক্ত বিষয়গুলো তামাদি মেয়াদের মধ্যে ছিল। আরজি সংশোধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় কারণ আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করা হলে বিবাদীর অনুকূলে যে অধিকার (তামাদি আইনের অধীন সুরক্ষা) জন্ম হয়েছে তা থেকে বিবাদীকে বঞ্চিত করা হবে।
ঘ) আরজি সংশোধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে যদি আবেদনটি সরল বিশ্বাসে দায়ের না করা হয়।
প্রীডিংস সংশোধনের আবেদন করার সময়:
দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৬ এর ১৭ বিধিতে প্রীডিংস সংশােধন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে আদালত যে কোন পক্ষকে ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে ও শর্তে তার আরজি বা জবাবে পরিবর্তন বা সংশোধন করার অনুমতি দিতে পারে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণের উদ্দেশ্যেই এইরুপ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সংশোধনের করা যাবে। সুতরাং মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে আরজি সংশোধনের আবেদন করা যায়।
বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ রাধাকৃষ্ণ বনাম দ্বারকা দাস [ ৩৬ ডিএলআর (এডি) ২৫৩] মামলায় এই মত দিয়েছে যে আরজি সংশোধনের আবেদন বিচার শুরুর আগে, বিচার চলাকালে, বিচারের পর বা আপীলে বা রিভিশনে বা আপীল বিভাগে এমনকি কোন কার্যধারা বা বাস্তবায়নের সময় করা যায়। কিন্তু দেওয়ানী কার্যবিধি (সংশোধনী) ২০১২ আরজি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে আদালতের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। ২০১২ সালে দেওয়ানী কার্যবিধির সংশোধনীর মাধ্যমে বলা হয়েছে বিচার শুরু হওয়ার পর প্লীডিংস সংশোধন করার কোন আবেদন মঞ্জুর করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে আবেদনকারী যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করার পরও মোকদ্দমার বিচার শুরু হবার আগে সংশোধন করার আবেদন করতে পারেনি। সুতরাং বিচার শুরু হওয়ার পরে প্রীডিংস আরজি বা লিখিত জবাব) সংশোধনের আবেদন করা যাবে কিন্তু উক্ত ক্ষেত্রে আদালত তা মঞ্জুর করবে কিনা তা আদালতের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪8 এবং ১৪৫ ধারার পার্থক্য গুলো কি?
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ এবং ১৪৫ ধারায় শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখা দিলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যকোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদিও উদ্দেশ্যগতভাবে ১৪৪ এবং ১৪৫ ধারার মধ্যে সামঞ্জস্য বিদ্যমান তবুও প্রয়োগ, কারণ এবং অবস্থাগত দিক থেকে এই ধারার মধ্যে পার্থক্য আছে । নিচে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ এবং ১৪৫ ধারার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো ।
১. প্রয়োগ
উৎপাত বা আসন্ন বিপদের জরুরী ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারার আদেশ দেওয়া হয় । অন্যদিকে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে বিরোধ দেখা দিলে ১৪৫ ধারায় আদেশ দেওয়া হয়।
২. কারণ।
আইননানুগভাবে কর্মরত কোন ব্যক্তি বাধা, বিরোধ, প্রতিবন্ধকতা বা ক্ষতির আশংকা করলে বা মনুষ্য জীবন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিপন্ন হবার আশংকা থাকলে বা যখন গণশান্তি বিঘ্নিত হয় বা দাঙ্গা বা মারামারির আশংকা দেখা দেয় বা যদি দেখা যায় পরিস্থিতি খুবই জরুরী এবং জটিল , সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে।
অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৫ জারী করতে পারে যদি জমি, জলাশয় বা এর সীমানা সংক্রান্ত কোন বিরোধ থাকে, বা ভূমিতে দখলজনিত কোন বিরোধ দেখা দিলে, বা জমির ফসল সংক্রান্ত কোন বিরোধ এবং এই সকল বিরোধের কারণে শান্তি ভঙ্গের দেখা দিলে।
৩. সম্পত্তিগত পার্থক্য
১৪৪ ধারা অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু ১৪৫ ধারা শুধুমাত্র স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ এর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
৪. আদেশের ধরণ
১৪৪ ধারার অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে পারে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে কিংবা কোন ব্যক্তিকে তার দখলীয় বা পরিচালনাধীন কোন সম্পত্তির ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান দিতে পারে। ১৪৫ ধারার অধীন ম্যাজিস্ট্রেট দখলের অধিকারী পক্ষের দখল নির্ধারণ করতে পারে,সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিতে পারে বা রিসিভার নিয়োগ করতে পারে।
৫. অপ্রযোজ্যতা
১৪৪ ধারার বিধান মহানগর এলাকায় প্রযোজ্য না। ১৪৫ ধারার বিধান মহানগর এলাকায়ও প্রযোজ্য।
৬. বলবৎ এর মেয়াদ
সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করে ভিন্ন কিছু নির্দেশ না দিলে ১৪৪ ধারার আদেশ ২ মাসের অধিক বলবৎ থাকবে না। ১৪৫ ধারায় প্রদত্ত আদেশ কোন মামলার মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তির স্বত্ব বা দখল নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত বা মামলায় কোন নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকে।
৭. কার্যক্রম গ্রহণ
১৪৪ ধারার কার্যক্রম ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে। যদি তিনি মনে করেন যে ১৪৪ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তাহলে তিনি ১৪৪ ধারা জারী করতে পারে। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ সম্পর্কে পুলিশের রিপোর্ট থেকে বা অন্যকোনভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদ পেলে ১৪৫ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু পুলিশ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৫ ধারার অধীন আদেশ প্রদান করে, তাই পুলিশের নিকট স্থাবর সম্পত্তির দখল সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রথমে বিরোধের কোন পক্ষ। এজাহার দায়ের করতে পারে।
৮. শুনানীর সুযোগ
১৪৪ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এককভাবে নির্দেশ দিতে পারে । এখানে শুনীর কোন বিধান নেই। কিন্তু ১৪৫ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত আদেশ দ্বারা পক্ষদ্বয়কে হাজির হয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করার আদেশ দেয় এবং দখল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য শ্রবণ করে।
৯. ক্রোক বা রিসিভার নিয়োগ
১৪৪ ধারায় ক্রোক বা রিসিভার নিয়োগের কোন বিধান নেই। কিন্তু ১৪৫ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট ক্রোক বা রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিতে পারে যে ক্ষেত্রে বিরোধীয় সম্পত্তিতে কোন পক্ষ দখলের অধিকারী তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
ওয়েভার ও এস্টোপেল কি ? সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২এর আলোকে এস্টোপেল এবং ওয়েভার সম্পর্কিত মতবাদ গুলো বিশ্লেষণ।
ওয়েভার হলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অধিকার ত্যাগ করা বা এমন কোন কার্যত্যাগ করা যা প্রমাণ করে কোন আইনগত অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে। যে জিনিসে কোন ব্যক্তির স্বত্বের অধিকার আছে তেমন কিছু পরিত্যাগ করার সম্মতি হলো ওয়েভার। এটা হলো কোন আইনগত অধিকার ত্যাগের বা অধিকার দাবী করার চুক্তি। ওয়েভার এর অত্যবশ্যাক উপাদান হলো এস্টোপেল এবং যেখানে কোন এস্টোপেল নেই সেখানে কোন ওয়েভার নেই। এস্টোপেল কোন বিরোধের বিষয় নয় কিন্তু ওয়েভার যেহেতু কোন অধিকার পরিত্যাগের বা অধিকার দাবি না করার চুক্তি তাই ওয়েভার বিরোধের বিষয় হতে পারে , ওয়েভার মোকদ্দমার কারণ হতে পারে। এস্টোপেল হলো - যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ঘোষণা দ্বারা বা কোন কাজ দ্বারা বা কোন কাজ থেকে বিরতি দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন কিছু সত্য বা মিথ্যা বলে বিশ্বাস করিয়েছেন এবং সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করতে দিয়েছেন তখন তাদের মধ্যে বা তাদের প্রতিনিধির মধ্যে কোন মামলায় প্রথম ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি উক্ত বিষয়ের সত্যতা অস্বীকার করতে পারবেন না ,এটিই হলো এস্টোপেল ।
শর্তসমূহ
১. যে ব্যক্তি ওয়েভার মুলে তার অধিকার ত্যাগ করে বা অধিকার দাবি করবে না বলে ঘোষণা দেয়, তার বিরুদ্ধে ওয়েভার প্রয়োগ করা যাবে যদি না তার অধিকার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে।
২. ওয়েভার অবশ্যই স্বেচ্ছাকৃত হতে হবে।
৩. ওয়েভার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই দুইটি পক্ষ থাকবে। এক পক্ষ পরিত্যাগ করবে এবং অন্য পক্ষ এইরুপ ওয়েভার এর মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবে।
৪. ওয়েভার এর ক্ষেত্রে এস্টোপেল থাকতে হবে।
পদমপদ সুগার মিলস বনাম স্টেট অব উত্তর প্রদেশ এবং অন্যান্য
এই মামলায় বলা হয়েছে ওয়েভার অর্থ হলো কোন অধিকার পরিত্যাগ করা এবং এটা ব্যক্ত এবং অব্যক্ত হতে পারে। কিন্তু ওয়েভারের মৌলিক শর্ত হলো এটা হবে জেনে শুনে স্বেচ্ছামূলক কাজ। কোন ওয়েভার হয়েছে বলে গণ্য হবে না, যদি না যে ব্যক্তিকে অধিকার পরিত্যাগের কথা বলা হয়েছে তর্কে তার অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি জানানো না হয় এবং সে ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকার পরিত্যাগ না করো।
ফিরে এ্যালোস কর্পোরেশন, এলটিডি বনাম ইনিয়ন অব ইণ্ডিয়া
এই মামলায় বাদীর পূর্বপুরুষ বিবাদীকে বিরোধীয় সম্পত্তির ভাড়াটিয়া হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল । লীজটি প্রতি ১১ মাস পর পর নবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু এটা কখনো করা হয় নি। বাদীর পূর্বপুরুষ মারা যাওয়ার পর ভাড়াটিয়া ভাড়া দেওনা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাদীর পূর্বপুরুষ ভাড়াটিয়াকে চিরস্থায়ীভাবে উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করার জন্য সম্মতি দিয়েছিল তার কোন প্রমাণ ছিল না। আদালত সিদ্ধান্ত দেয় যে, বাদী তার স্বত্ব পরিত্যাগের কোন সম্মতি দেয়নি এবং বাদী ওয়েভার দ্বারা বাধিত না ।
এস্টোপেল এবং ওয়েভারের মধ্যে পার্থক্য
ডাওন্সস ব্যাংক লি. বনাম নিপ্পন মেনকাও কাবুসিকী কাইশা, মামলায় প্রিভি
কাউন্সিল এস্টোপেল এবং ওয়েভারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করেছে।
১. সাক্ষ্য আইনের নিয়ম:
এস্টোপেল হলো সাক্ষ্য আইনের একটি নীতি যেটা ওয়েভারের মাধ্যমে যে অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয় তা ফেরত পেতে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ওয়েভার কোন সাক্ষ্য নয় বরং কোন অধিকার বা দাবী ত্যাগ করা
হয়েছে কিনা তা এর বিবেচ্য বিষয়।
২. মোকদ্দমার কারণের উৎপত্তি:
যেহেতু এস্টোপেল সাক্ষ্য আইনের একটি নিয়ম মাত্র, তাই এস্টোপলের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমার কোন কারণ উৎপত্তি হয় না।
৩.সংজ্ঞা গত পার্থক্য:
ওয়েভার হলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অধিকার ত্যাগ করা বা এমন কোন কার্যত্যাগ করা যা প্রমাণ করে কোন আইনগত অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে। যে জিনিসে কোন ব্যক্তির স্বত্বের অধিকার আছে তেমন কিছু পরিত্যাগ করার সম্মতি হলো ওয়েভার। এস্টোপেল হলো - যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ঘোষণা দ্বারা বা কোন কাজ দ্বারা বা কোন কাজ থেকে বিরতি দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন কিছু সত্য বা মিথ্যা বলে বিশ্বাস করিয়েছেন এবং সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করতে দিয়েছেন তখন তাদের মধ্যে বা তাদের প্রতিনিধির মধ্যে কোন মামলায় প্রথম ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি উক্ত বিষয়ের সত্যতা অস্বীকার করতে পারবেন না ,এটিই হলো এস্টোপেল ।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ [email protected]
Click here to claim your Sponsored Listing.
LawsnLawyers is The First And No.1 Law Magazine Of Bangladesh
LawsnLawyers is The First And No.1 Law Magazine Of Bangladesh. It is An Initiative Of The Countries No. 1 Law Firm Jurist Communication. It is situated in Dhaka, Bangladesh. Head Of Chamber of this Firm is Adv. Ibrahim Khalil Palash. LawsnLawyers Deals with various aspects of law like civil, criminal, corporate, commercial and all types of financial legal issues.
Service We Provide:
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Room No. 8008, 8th Floor, Lift-07th, New Annex Building, 6-7 Court House Street, Dhaka Bar Association, Dhaka Judge Court
Dhaka
1100
Opening Hours
Monday | 09:00 - 17:00 |
Tuesday | 09:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Sunday | 09:00 - 17:00 |
Flat No. G3, (lift 3), Building No. 285/2, Dom Inno Apartment, (Inner Extension Building At The Backside), Dhanmondi 15 No. West, , (The Road Beside Keari Plaza)
Dhaka, 1209
‘Legal Lawbrella’ is a full-service law firm. Its area of practice includes Foreign Investment &
50/13-D, Matikata, Uddayan Tower, Dhaka Cantonment
Dhaka, 1206
Our services: Income Tax Return & Services VAT Return & Services
Room No : 208, Supreme Court Bar Building
Dhaka
Advocate, Supreme Court of Bangladesh
44/3, Chamelibagh (3rd Floor), Shantinagar
Dhaka, 1217
A House of Legal Services
House # 10, (2nd Floor), Road #9, Section # 2, Mirpur
Dhaka, 1216
Talent Sourcing and Corporate Solutions are a full range of Legal and Human Resources Consultancy Firm in Bangladesh.
Golden Nest, House-27(Ground Floor), Road-12, Block-F, Niketan, Gulshan/1
Dhaka, 1212,
We Provide legal training for law students, law graduates, lawyers and oher professionals.
11/1, Shahid Abdul Matin Road, Kalabagan 1st Lane
Dhaka, 1205
Team DMS in Association with Dr. Khaled H. Chowdhury & Associates (Dispute Management Specialists) a
Dhaka, 1207
3S Chambers, a niche legal chamber with an experience of a decade, provides a high level of quality of services to its clients and strives to reach clients’ goals and business stra...