বিডি সাইবার
ভালবাসা প্রযুক্তিময় “প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়” - www.bdcyber.com
./Page closed.
শূন্যস্থানেও আলোর গতি পরিবর্তনশীল!!
আমরা যখনই মহাবিশ্বের শুন্যস্থানের (ভ্যাকুয়ামের) কথা শুনি তখনই চোখের সামনে ভেসে উঠে এমনই একটি জায়গার ছবি, যেখানে আলো কিংবা কোন রকম শক্তিরই কোন অস্তিত্ব নেই। গত এক শতাব্দিতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন মহাশুন্যের এই বিশাল শুন্যস্থান অন্য আরেকটি শুন্যতা দ্বারা সৃষ্ট। ইউরোপিয়ান ফিজিক্যাল জার্নালেরএকটি রিসার্চ পেপারে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্সেল আরবান এবং তার ফরাসি সহকারীরা ভ্যাকুয়ামকে বিভিন্ন ফ্লাকচুয়েশান শক্তিসম্পন্ন কণা দ্বারা পরিপূর্ণ বলে দাবি করতে গিয়ে একটি নতুন ভ্যাকুয়াম লেভেল ম্যাকানিজমের উদ্ভব ঘটিয়েছেন; যার ভিত্তিতে বলা যায় ভ্যাকুয়ামের ধর্ম নির্দিষ্ট নয়। অর্থাৎ শুন্যস্থানে আলোর গতি স্থির নয়।
আরেকটি গবেষণায় জার্মানিতে অবস্থিত Max Planck Institute for the Physics of Light’এর জেরারড লেউস এবং লে সাঞ্চেইজ দাবি করছেন, ফিজিক্যাল কন্সটেন্ট, যেমন আলোর গতি এবং তথাকথিত মহাশুন্যের ইম্পিডেন্স এই সবকিছু হল প্রকৃতির মৌলিক কণাগুলোর নিদর্শন। পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল ধারণা হল ভ্যাকুয়াম। যখন কোয়ান্টাম লেভেলে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তখন ভ্যাকুয়াম মোটেই খালি নয়। ভ্যাকুয়াম তখন ইলেকট্রন-পজিট্রন কিংবা কোয়ার্ক-এন্টিকোয়ার্কের মত কণাযুগল দ্বারা পরিপূর্ণ। এই কণাগুলো কৃত্রিম না হলেও এদের স্থায়িত্ব অত্যন্ত কম।
আরবান এবং তার সহকারীরা এই প্রথম এমন একটি কোয়ান্টাম ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেটি আলোর সসীম বেগ, ভ্যাকুয়ামের ব্যাপনযোগ্যতার মতই ভ্যাকুয়ামের চৌম্বকত্ব এবং পোলারাইজেশানের পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে পারে। তাদের এই ধারণাটি প্রাসঙ্গিক কেননা এটি প্রতি একক শুন্যস্থানে অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী কিছু কণার অস্তিত্বের কথা বলে। ফল স্বরূপ আলোর বেগ নির্দিষ্ট না হওয়ার কিছু তাত্ত্বিক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আলোর কোয়ান্টাম বা ফোটন শক্তি, এবং কোয়ান্টাম স্তর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওঠানামা করে তার চেয়ে অনেক বেশী স্বাধীন একটি পর্যায়ে ফ্লাকচুয়েট হতে পারে। আলোর গতি নির্ভর করবে মহাশুন্যের ভ্যাকুয়াম প্রপার্টিজের বৈচিত্র্যতার উপর। অন্যদিকে জেরারড লেউস এবং লে সাঞ্চেইজ বলছেন কৃত্রিমভাবে আহিত কণাযুগল ভ্যাকুয়ামের পোলারাইজেশানের জন্যে দায়ী।
তারা ইম্পিডেন্স নামক শুন্যস্থানের যে নতুন ধর্মের কথা বলেছে সেটি জোর দিয়ে বলছে, শুন্যস্থানে অবস্থানরত কণাগুলোর চার্জের বর্গের যোগফলের উপরেই কেবল আলোর গতি নির্ভর করে। তাদের ধারণা যদি নির্ভুল হয়ে থাকে তবে আলোর গতি এবং শুন্যস্থানের ইম্পিডেন্সের মানের সমষ্টি প্রকৃতিতে অবস্থিত মোট মৌলিক কণার সংখ্যার প্রতি ইঙ্গিত করে। আর আশার কথা হল পরীক্ষালব্ধ ফলাফল এই হাইপোথিসিসকে সমর্থন করে।
তথ্যসূত্রঃ ফিজ ডট অর্গ
কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর চমক- “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন”!!!
পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন সম্ভবত নিজের অস্তিত্ত্ব নিয়েঃ আমরা কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাবো, আমাদের জীবনের তাৎপর্য কী? সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এসেছে। আর তারি ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত খুজে ফিরছে এসব প্রশ্নের উত্তর,কারন একমাত্র বিজ্ঞানই পারে সব কিছুর রহস্য উন্মোচন করতে।আমরা ছোট থেকেই জানি যে সব কিছু নিয়ম মাফিক চলে। “সবকিছুরই একটা নিয়ম থাকবে- নিয়মের বাইরে কিছু ঘটবে না”- এটাই বিজ্ঞানের মূলকথা । আর এই নিয়মগুলো আবিষ্কার করাটাই বিজ্ঞানের কাজ । কিন্তু পরবর্তীতে এমন কিছু ব্যাপার আবিষ্কৃত হল যা বিজ্ঞানের এই মূলনীতিকেই সরিয়ে দিল। অতি ক্ষুদ্র কণিকার জগত নিয়ে বিজ্ঞানীরা যত ঘাঁটাঘাঁটি করা শুরু করলেন ততই দেখলেন এই কণিকাগুলো যেন হতচ্ছাড়া ধরনের- কোন নিয়ম ই যেন এদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে কি বিজ্ঞান অর্থহীন ? ঠিক তখনি এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলোর অবাধ্যতা নিয়েই বিজ্ঞানীরা খুলে বসলেন পদার্থবিজ্ঞানের নতুন শাখা- “কোয়ান্টাম মেকানিক্স” !!
অনু পরমানুর কনা জগৎকে ব্যাখ্যা করার জন্যে পদার্থবিজ্ঞানের যে চমৎকার শাখা ব্যবহার করা হয় তাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে।দুর্ভাগ্যক্রমে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্ভবত বিজ্ঞানের সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলির একটি, কিন্তু এর মাধ্যমে প্রকৃতিকে যতো ভালোভাবে জানা যায় বিজ্ঞানের অন্য কোনো শাখার মাধ্যমে ততোটা ভালোভাবে জানা যায়না।একটা উদাহরণ দেইঃ আপনি যদি একটা ফুটবলকে কিক মারেন আপনি আশা করবেন ফুটবলটি কয়েক ফুট দূরে যেয়ে একটা জায়গায় যেয়ে থামবে। ফুটবলটা একটা নির্দিষ্ট পথ দিয়ে যেয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাবে। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে যে ফুটবলটা আসলে ওই নির্দিষ্ট পথ ছাড়াও আরো অনেক পথে তার গন্তব্যে পৌঁছে থাকতে পারে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত এর একটি পথই দেখি। ফুটবল জিনিসটা অনেক বড় দেখে আমরা এর অন্য পথগুলো দেখিনা। কিন্তু ফুটবলের জায়গায় যদি একটা ইলেক্ট্রন থাকতো তাহলে আমরা একটা এক্সপেরিমেন্ট দাঁড় করিয়ে সত্যি সত্যি দেখতে পারতাম যে ইলেক্ট্রনটি একাধিক পথ পাড়ি দিয়ে তার গন্তব্যে যেয়ে পৌঁছেছে! এটা পরীক্ষিত সত্য!! (উইকি , ইউটিউব ভিডিও) এই কোয়ান্টাম মেকানিক্স যেসব চমকপ্রদ ব্যাপার আবিষ্কার করেছে, তার মাঝে ১ টি হল “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন”(Quantum Fluctuation) । “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন” নিয়ে বলার আগে একটু পেছনে যেতে হবে…
আমরা স্কুলে পড়েছিলাম “শক্তির নিত্যতার সূত্র” এবং “ভরের নিত্যতার সূত্র” । মহাবিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ সমান , মোট ভর ও তাই । কিন্তু পরে আমরা জানলাম ব্যাপারটা সত্যি না পুরপুরি । আসলে ভর ও শক্তি নিজেদের মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে । আইনস্টাইন এর E = mc^2 প্রমাণ করে ভর ও শক্তি একই জিনিস । এখানে অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন, ভরের বা শক্তির নিত্যতার সুত্র ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সের স্বীকার্য। কিন্তু, আইন্সটাইনের ভর শক্তি সমীকরণ রিলেটিভ ফিজিক্সের ব্যাপার। এ দুটোকে একসাথে আমি এখানে কেন তুলে আনছি! আসলে ভেতরদিকে তাঁকালে এ দুটোর মাঝে একটা সম্পর্ক আছে। সত্যি কথা বলতে এ বিশ্বে সবকিছুই কোন না কোনভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যাই হোক, এদের মাঝে একটা সম্পর্ক আছে। এই লেখার মাঝে আমি আর সেদিকে যাচ্ছি না, যা বলছিলাম, একটা নির্দিষ্ট স্থানে ভর ও শক্তির পরিমাণ একসাথে নির্দিষ্ট – আলাদা আলাদা ভাবে নয় । একে আমরা বলি “ভর ও শক্তির নিত্যতা” ।. একটা নির্দিষ্ট স্থানে ভর ও শক্তির মিলিত পরিমাণ কখনো পরিবর্তিত হবে না- এটাই এর মূল কথা। কিন্তু এই ধারণাতেও চির ধরাল সেই গোলমেলে কণিকা জগত হতচ্ছারা কণার দল। আর তখনই আবির্ভাব হল “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন” এর ।
এখন প্রশ্ন হল “কোয়ন্টাম ফ্লাকচুয়েশান” কি? “Fluctuation” শব্দটার মানে হল কোন ধরণের স্বল্পস্থায়ী অস্থিরতা বা কোন কিছুর মাত্রায় হঠাৎ কোন ওঠানামা দেখা দেয়া। সাধারণ ভাবে চিন্তা করলে তাই বলে দেয়া যায়, কণা পর্যায়ে কোন অস্থিরতার সৃষ্টি হলে তাকে বলা যায় কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশান। কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সে আমরা এতটুকুতেই সন্তুষ্ট নই। আমরা আরো গভীরে যেতে চাই। এই স্বল্পস্থায়ী অস্থিরতাকেই আমরা একটু গভীরভাবে দেখি- একটি নির্দিষ্ট স্থানে অনবরত বিভিন্ন ধরনের কণিকা (অর্থাৎ ভর, তথা শক্তি) তৈরি হয় এবং অল্প সময় পর আবার তা মিলিয়ে যায়। আর এটাই হল “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন” । .এ সম্পর্কে “Universe Review” বইতে খুব সুন্দর একটা লাইন পরেছিলাম। লাইনটা ছিল এরকম – “Quantum fluctuation is the temporary appearance of energetic particles out of nothing, as allowed by the Uncertainty Principle.” (the Uncertainty Principle বা অনিশ্চয়তা নীতির কথায় একটু পরে আসছি)।
একটা ব্যাপার একটু পরিষ্কার করে বলি – এই কণিকাগুলো কিন্তু “কোনকিছু” থেকে উৎপন্ন হয় না। অর্থাৎ “Something from nothing” !! বিশ্বাস ই হচ্ছে না- কিন্তু এটাই হয়- এবং সব সময় ই হয়। আপনার আশপাশে যা কিছু দেখছেন তাদের ভেতরে অতি ক্ষুদ্র জগতে ঢুকতে পারলে আপনি দেখতেন কত অবিশ্বাস্য ব্যাপার স্যাপার সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে…
আমরা আমাদের জীবনে এই ফ্লাকচুয়েশন দেখতে পাই না??বুঝতে পারি না? “ কারন এত ক্ষুদ্র পর্যায়ে এটা ঘটে যে এটা বোঝা আমাদের জন্য অসম্ভব । ভর যখন বাড়ে- তখন ফ্লাকচুয়েশন কমে যায়… ( ডি ব্রগলী এর সমীকরণ এর মত )এবং আমাদের চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান আপ্লিকেবল হয় । একটা জিনিস বলে রাখি- কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে শক্তি বা ভর এর তারতম্য অত্যন্ত কম সময়ের জন্য হলেও এর প্রভাব কিন্তু সুদূরপ্রসারী হতে পারে। যেমন ফ্লাকচুয়েশন এর কারনে ইলেকট্রন এর চার্জ কম বেশি হয় ।এখন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে উৎপন্ন কণাগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যাক ।
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে কণা,প্রতিকণা ও ভার্চুয়াল কণা সবই তৈরি হতে পারে। একটি কণার সমান ও বিপরীত চার্জ যুক্ত এবং সমান ভরের একটি “কণা”, যা প্রথম কণার সাথে সংঘর্ষে সম্পূর্ণভাবে মিলিয়ে যায় এবং শক্তি তৈরি করে তাকে বলে প্রথম কণাটির প্রতিকণা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই “কণা” ও “প্রতিকণা”র মাঝে শুধু একটি মাত্রায় ( Dimension ) এই পার্থক্য । আর তা হল চতুর্থ মাত্রা – “সময়” !!!! আমরা চারদিকে যা কিছু দেখছি (কণার জগতে) তারা , অর্থাৎ আমরা সবাই সময়ের যেই দিকে যাচ্ছি- প্রতিকণা তার উল্টোদিকে যাচ্ছে !! প্রকৃতির মোটামুটি সব কণারই প্রতিকণা আছে । যেমন আমাদের সবার চেনা ইলেকট্রন এর প্রতিকণা “পজিটিভ ইলেকট্রন” বা “পজিট্রন” । এই “পজিট্রন” ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়ে শক্তিরূপে ফোটন কণা নির্গত করে । নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় পজিট্রন উৎপন্ন হয় এবং তা ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়ে শক্তিশালী “গামা রে” তৈরি করে ।
এরপর আসি ভার্চুয়াল কণিকায় । ভার্চুয়াল কণিকা হল ভরবিহীন এমন এক ধরনের কণিকা যারা নির্দিষ্ট স্থান-কালে উৎপন্ন হয় জোড়ায় জোড়ায় (কণা ও প্রতিকণা) । আমাদের খুব চেনা একটি ভার্চুয়াল কণিকা হল ফোটন ।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স প্রকৃতির সবকিছুকে এই কণা বা ক্ষেত্র দিয়ে প্রকাশ করতে চায় । উদাহরণ স্বরূপ আমরা ফোটনের ভরশূন্যতার কথা বলতে পারি…১টা কণা কিভাবে ভরশূন্য হয়- তা আমরা কল্পনা করতে পারি না । কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে এই ভরও একটি কণার ফসল ! এর নাম “হিগস” কণা । “হিগস” কণা কোন বস্তু বা অন্য কোন কণার সাথে যুক্ত থাকলেই শুধু তার ভর থাকবে । না থাকলে থাকবে না! ভার্চুয়াল কণা যেমন বিভিন্ন Force Carrier কণা- ফোটন, গ্র্যাভিটন এদের সাথে “হিগস” থাকে না জন্যই এরা ভরহীন । সুতরাং এতদিন যা জেনে এসেছি আমরা- ভর বস্তুর মৌলিক ধর্ম- ব্যাপারটা তেমন সত্যি না !! আপনার শরীর থেকে সব হিগস সরিয়ে নিলে আপনার ভর থাকবে না… যদিও আপনি থাকবেন ! (আমি অবশ্য জানি না এটা Practically সম্ভব কি না )তবে হিগস নিয়ে আমাদের জ্ঞান অনেক কম । CERN এর LHC তে এটা নিয়ে গবেষণা চলছে ।
এবার ফিরে আসি আবার কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে । কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস আমাদের সামনে এনেছে , যা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের চিন্তার জগতকে CHANGE করে দেয় । যেমন –
১. পরম শূন্যতা বলে কোন কিছু নেই । আপাত দৃষ্টিতে শূন্য স্থানের মাঝেও শক্তি ও ভরের এক খেলা প্রতিনিয়ত চলছে।
২. একটা স্থানের মোট শক্তি-সময় (নির্দিষ্ট সময়ে শক্তি ) কখনো নির্ণয় করা যাবে না। হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা নীতি থেকে আমরা জানতে পাই যে কোন ক্ষুদ্র কণা (যেমন ইলেকট্রন) এর ভরবেগ ও অবস্থান কখনো একসাথে জানা যাবে না। একটা জানা গেলে অপরটা জানা অসম্ভব । এখানে ভরবেগ-স্থান যেরকম যুগল , ঠিক তেমনি সময়-শক্তিও সেরকম যুগল কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে । আসলে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনও হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা নীতি থেকেই এসেছে ।
হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা নীতি বিজ্ঞানের রাজ্যে এক রহস্য
৩. মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে নতুন ধারনা – কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন আসার আগ পর্যন্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারটি সবচে ভালোভাবে যে তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করত তা হল “বিগ-ব্যাং” থিউরি ।(এখনও তা সঠিক বলেই মানা হয়, কিন্তু একটু সংশোধন করা হয়েছে) মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে-এই তথ্যকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে উৎপত্তি লাভ করেছে“বিগ-ব্যাং” ।. এই তত্ত্ব বলে মহাবিশ্ব শুরুতে ১ টা অতিক্ষুদ্র কণার মত ছিল । যার ঘনত্ব ছিল অসীম । কোন এক কারনে এই কণা বিস্ফোরিত হয় এবং প্রসারিত হয়ে হয়ে বর্তমান মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয় । বিস্ফোরণের ফলে সেই কণাটির ভর চারদিকে ছড়িয়ে যায় এবং এখনকার গ্রহ- উপগ্রহ (এবং আমরাও)সেখান থেকেই এসেছে । “বিগ-ব্যাং” এই প্রসারণের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারনা দেয় ।
এই বিগ-ব্যাং তত্ত্ব কিন্তু কিছু জিনিসকে মেলাতে পারে না। তার মাঝে একটি হল -দূর মহাকাশে এমন অনেক নক্ষত্র আছে যাদের দূরত্ব বিগ ব্যাং থেকে প্রাপ্ত জগতের বয়সের সমান আলোকবর্ষের চেয়ে বেশী । অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরে আমরা যে গতিতে প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছিল , এখন যে মাত্রায় প্রসারণ ঘটছে , তার চেয়ে অনেক বেশী মাত্রায় প্রসারণ ঘটেছে অতীতের কোন এক সময়ে । এ সময় এলো “ইনফ্লেশন থিউরি” । .এই তত্ত্ব মতে -সেই আদি অতিক্ষুদ্র কণায় বিস্ফোরণের পরে কিছুটা সময়ের জন্য অত্যধিক মাত্রায় প্রসারণ ঘটেছিল । মুহূর্তে মহাবিশ্ব বিশাল আকারে চলে আসে , তারপর আবার স্তিমিত মাত্রায় প্রসারণ চলতে থাকে । বিজ্ঞানীরা এই ইনফ্লেশনের সময় , হার নিখুঁতভাবে বের করে ফেলেন । ফলে ১ টা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়- “ইনফ্লেশন থিউরি”, “বিগ-ব্যাং থিউরির” “EXTENSION “ হিসেবে রাখা হয়… কিন্তু আরও প্রশ্নের সমাধান তখনও হয়নি ।
এই যে “অতি ক্ষুদ্র কণিকা” তার আগে কি ছিল? সেটাই বা এলো কিভাবে ? কোত্থেকে এলো ? বিগ ব্যাং এর সেই ক্ষুদ্র কণা আসলে এসেছিল কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এর মাধ্যমে । আর যেহেতু এটা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন – সুতরাং কোথা থেকে এসেছে- তা আমরা জানি ,কোথাও থেকে আসেনি- একা একাই সৃষ্টি হয়েছে । কোন কিছু যে একা একা তৈরি হতে পারে না – এই ধারনা থেকে আমাদেরকে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন বের করে এনেছে । কিন্তু কথা হল, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন থেকে তৈরি কণার তো আয়ু স্বল্পস্থায়ী হবার কথা, হল না কেন ? এর উত্তর আমরা পেয়েছি “ইনফ্লেশন থিউরি “ থেকে । ফ্লাকচুয়েশন থেকে সৃষ্ট কণাটিতে ইনফ্লেশন ঘটে । আর এ কারনেই তা ফুলে-ফেঁপে change হয়ে যায় । আর যদি বলা হয় -এই ছোট ব্যাপারটা থেকে কিভাবে এত বড় জগত তৈরি হল-তাহলে আগেই আমরা জেনেছি যে – ফ্লাকচুয়েশন ছোট হলেও এর প্রভাব বড় হতে পারে ।
এখন যদি বলা হয় “তার আগে কি ছিল? ” বিগ-ব্যাং , ইনফ্লেশন, ফ্লাকচুয়েশন সবাই বলে এর আগে কোন স্থান- কাল ছিল না। অর্থাৎ অন্যরকম এক জগত ছিল যেখানে আমাদের চেনা জানা কার্যকারণ সম্পর্ক (যাকে পদার্থবিজ্ঞানে বলে“CASUALITY”) অনুপস্থিত ছিল । তাহলে আমরা কথাটি এভাবে বলতে পারি বিগ-ব্যাং,ইনফ্লেশন,ফ্লাকচুয়েশন এর আগে এমন একটি সাব-এটমিক অবস্থা ছিল , যেখানে CASUALITY ছিল না।
বিজ্ঞান গতিময় , প্রতিনিয়ত তা পরিবর্তিত হচ্ছে । আর এটাই বুঝি এর সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য ।
লেখকঃ এস এম সাজ্জাদ বিন লতিফ
মৃত্যু নিয়ে আমাদের কতই না ভয়। বেহস্ত-দোজখের ব্যfপার তো আছেই। যারা সেটা মানেন না, তাদেরও মৃত্যুভয় কম নয়। কারণ মৃত্যুই যদি শেষ কথা হয়, তাহলে ভয়ের কথাই বটে। কিন্তু নতুন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বলছে মৃত্যুই জীবনের চূড়ান্তরূপ নয়।
কোয়ন্টাম পদার্থবিদ্যা বলছে, কোনো ঘটনার সবদিক একবারে হিসাব করা যায় না। বরং কয়েকটি ভিন্ন সম্ভবনায় ভাগ করে একটাকে অনির্দিষ্ট ধরে আরেকটা সম্ভাবনা যাচাই করতে হয়।
বিজ্ঞানের বহুল চর্চিত একট বিষয় হলো, মাল্টিভার্স তত্ত্ব। এ তত্ত্বের মূল বিষয় যেকোনো বস্তুর যেকোনো অবস্থার বিপরীতে আরেকটি অবস্থা দাঁড় করানো। এই অবস্তানটা হবে তার বর্তমান অবস্থার ঋণাত্মক। উদাহরণ হিসেবে আমরা প্রতি-পদার্থর কথা ভাবতে পারি। ধরা যাক প্রোটনের কথা। তত্ত্বানুযায়ী ধনাত্মক প্রোটনের বিপরীতে ঋণাত্মক প্রোটন থাকার কথা। সেটাকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এন্টি-প্রোটন বা প্রতি-প্রোটন। প্রতিপদার্থ যে শুধুই কোনো থিয়োরি নয়, তার প্রমাণ বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন পরীক্ষাগারে প্রতি-পদার্থ হাজির করে । যেহেতু প্রতি-ইলেক্ট্রন (পজিট্রন), প্রতি-নিউট্রনেরও হদিস পাওয়া গেছে, তাই প্রতি-পরামাণু যে থাকবে তাতে আর সন্দেহ কি! প্রতি-পরামাণু মানেই প্রতি-মৌল। আরে একাধিক প্রতি মৌলের মিশ্রণে তৈরি হয় প্রতি-যৌগ। ষোল কলা পূর্ণ হয়ে গেল প্রতি-পদর্থের। আর প্রতি-পদার্থ আছে নিশ্চয় প্রতি পদার্থের একটা জগৎও আছে। আর সেই জগৎ হবে আমাদের জগৎ অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের বিপরীত একটা মহাবিশ্ব। এই মহাবিশ্বের খুব জনপ্রিয় নাম প্যারালাল ইউনিভার্স। আমাদের এই মহাবিশ্বই আর এর সমান্তরাল মহাবিশ্বই কি শেষ। আর কিছু নেই? বিজ্ঞান বলছে আছে। তাই যদি হয়, সেগুলো কোথায়, কেমন, আমরা দেখতে বা পাই না কেন। আমাদের এই মহবিম্বের যা কিছু আমরা দেখি সবই ত্রিমাত্রিক দৃষ্টিতে। মিনেকোস্কি-আইনস্টাইন এই দৃষ্টিটাকে একটু প্রসারিত করে যোগ করেছিলেন আরেকটি মাত্রা। সময়ের মাত্রা। কিন্তু বিজ্ঞান একই সাথে আরেকটি কথাও বলে, চারমাত্রার মধ্যেই আবদ্ধ নয় আমাদের মহাজগৎ। আরো বহুমাত্রা আছে। আসলে আমাদের এই চারমাত্রার মগজ দিয়ে এখনি সেই মাত্রাগুলো দেখার সক্ষমতা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। তাই বলে হচ্ছে, বহুমাত্রা যখন আছে তখন আরো মহাবিশ্বও আছে। আর তার সংখ্যা অসীম। আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতের প্যারালাল জগতে যদি আমাদের প্রতি-অবস্থাগুলো থাকে তাহলে অন্য মহবিশ্বগুলোতে কী অবস্থা থাকবে? এইখানেই বিজ্ঞানীরা দেখছেন নতুন সম্ভবনা।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় আমাদের মহাবিশ্বে যখন একটা বস্তুর জন্ম হচ্ছে তখন প্যারালাল মহাবিশ্বে সেই বস্তুটির কী ঘটছে। ধরে নিলাম তার সেখানে তার প্রতি-বস্তুর জন্ম হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে কী ঘটছে? এখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলছে, যদি আমাদের চারমাত্রিক জগতের জন্ম বা মৃত্যুর কথা হিসাব করি তবে তবে অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে একই হিসাব খাটবে না। ধরা যাক, আমাদের মহাবিশ্ব (একই সাথে প্যারালাল মহবিশ্বে) কেউ মৃ্ত্যুবরণ করছে তাহলে আমাদের মহাগতের জন্য এই মৃত্যু নির্দিষ্ট ঘটনা। তাহলে অন্য আরেকটি মহাবিশ্বগুলোর জন্য এই মৃত্যু কোয়ান্টামের ভাষায় নির্দিষ্ট নয়। তখন এরটা হিসেব করতে গেলে অসীম কোনো মানে চলে যাবে। তেমনি অন্য আরেকটি মহাবিশ্বে যদি ওই বস্তুটার মৃত্যুঘটে তবে আমাদের মহাবিশ্বের এই মৃত্যুর হিসাব আসবে অসীম। অর্থাৎ জীবিতও আসতে পারে। এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন তত্ত্ব। এর নাম ‘বায়োসেন্ট্রিজম’ (biocentrism) তত্ত্ব। সহজ হিসাব যেহেতু মহাবিশ্বের সংখ্যা অসীম সুতরাং জীবন-মৃত্যুর সংখ্যাও অসীম। কোথাও হয়ত সে মৃত। অন্য অসংখ্য মহাবিশ্বে তার জীবিত অবস্থা বিদ্যমান। ‘আমি কে?’—শুধু এই অনুভূতিই মস্তিষ্কে ২০-ওয়াট শক্তি সঞ্চালন করতে পারে। এই শক্তি কি মৃত্যুর সময় বিলুপ্ত হয়ে যায়? মোটেই নয়! নতুন এই তত্ত্ব বলছে, এই শক্তি এক মহবিশ্ব থেকে আরেক মহাবিশ্বে সঞ্চালন হয়। আর এই তত্ত্বের সবচেয়ে বড় ভিত্তি শক্তির নিত্যতা সূত্র। এই সুত্র মতে সূত্রের অবিনশ্বর। তাহলে মস্তিষ্কের ওই শক্তি ঝর্না মৃত্যুর পরে কোথায় যায়? দামি প্রশ্ন।
এই প্রশ্নের আপত সমাধান এই ‘বায়োসেন্ট্রিজম’ তত্ত্ব। সম্প্রতি ‘সায়েন্স’ নামের এক জার্নালে এই তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে, কিভাবে কোনো শক্তির বা বস্তুর বিপরীতমুখী পরিবর্তন ঘটতে পারে। ধরা যাক একটা কণা, সে একটি একটা বিমের প্রক্ষিপ্ত একটা কণাকে আপনি পর্যবেক্ষণ করছেন। যখন কণাটা প্রক্ষিপ্ত হচ্ছে আপনি তখন কণাটার দিকে তাকিয়ে আছেন। মানে কণাটার অবস্থান দেখছেন। যে অবস্থান দেখলেন কণার সেই মুহূর্তের আচরণ পর্যবেক্ষণ বা হিসাব করা আপনার জন্য অসম্ভব। আবার এখন কণাটির আচরণের কথা আপনাকে ভাবতে গেলে আপনাকে কণাটিকে থামিয়ে তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তখন কিন্তু কণার সেই অবস্থান অতীত হয়ে গেছে। আবার কণাটির আচরণ যদি প্রক্ষিপ্ত অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করতে যান, তখন দেখবেন কণাটির একটি নির্দিষ্ট অবস্থানের দিকে আর খেয়াল রাখতে পারেন নি। বায়ো সেনট্রিজমের ধারণা আমরা, সময় ও স্থান আসলে কঠিন বা জড় নয়। আপনি দূরের কোন জিনিস হাত বাড়িয়ে নিন, তাহলে অবশিষ্ট কী থাকে? কিছুই নয়। একই ব্যাপার মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করুন। আপনি নিশ্চয়ই কোনো বস্তুকে হাড় বা অন্যকোনো বস্তুর সাহায়্যে দেখছেন না। দেখার বিষয়টা হচ্ছে, কোনো ঘটনা থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আপনার আপনার মস্তিষ্কে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করবে তখনই কিন্তু দেখার ব্যাপারটা ঘটে। তার মানে আপনি যা কিছু দেখছেন তা জড় পদার্থ নয়। বরং আপনার মস্তিষ্কের ভেতর পূর্ব অভিজ্ঞতা আর মনের প্রতিক্রিয়ার ফসল এই দেখার বিষয়টা। এখানে জড়ের কোনো স্থান নেই। অভিজ্ঞতা বললাম এই কারণে কোনো ঘটনা আপনি যখন দেখবেন তা কিন্তু একেবারে তরতাজা কোনো ঘটনা নয়। কিছুটা অতীতের। কোন ঘটনা থেকে আরো এসে আপনার চোখে না পড়া পর্যন্ত আপনি দেখতে পাবেন না। আলো আসতে যত কমই হোক কিছুটা সময় লাগবেই। সেই সময়টুকু পার হতে হতে সে ঘটনা কিন্ত অতীতে চলে গেছে। উদাহরণ একটু বৃহত্তর দৃষ্টিতে দেখলে আরো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। সুর্যের কথাই ধরা যাক। একন যদি কোনো কারণে সুর্যের বুকে বিরাট একটা বিস্ফোরণ ঘটে, তা দেখতে আমাদের আট মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ আমরা যেটা দেখছি সেটা অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের জন্য সেটা বর্তমান। এখেনে এক্ষেত্রে সুর্যের আমরা সুর্যের আচরণ জানতে পারছি কিন্তু অবস্থান জানতে পারছি না। এখন যদি সুর্যের অবস্থান নির্দিষ্ট করে জানতে হয় তবে আমাদের দুজন পর্যবেক্ষক দরকার হবে। একজন থাকবেন পৃথিবীতে আরেকজন থাকবেন সুর্যে। যিনি সুর্যে থাকবেন তিনি সুর্যের অবস্থানটা ঠিকভাবে মাপতে পারবেন, কিন্তু পৃথিবীতে সুর্যের ওই মহূর্তের অবস্থান জানা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ তার জন্য সেটা আট মিনিট অতীত হয়েছে। একটা কথা বলতে পারি আমরা সবসময় অতীতে বাস করছি।. কিন্তু আমরা বর্তমানের কোনো ঘটনা যেটাকে জড় বলছি, সেটা মুলত আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। আর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে জড় হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা কঠিন। এখানে মস্তিষ্কের ওই অনুরণন শক্তিটা আসল। অতএব সময় ও স্থানকে বা জড়কে আমরা একই ক্যাটাগরিতে ফেলতে পারি।
অতীতের কথা একটু ভাবা যাক। অতীতকে যদি বাস্তবে খুঁজতে যান নিরাশ হতে হবে। কিন্তু অতীতকে অস্বীকার করার উপায় আছে? আর বর্তমান! আদৌ কি বর্তমানের কোনো অস্তিত্ব আছে। একট যুগকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে বর্তমান বলে আখ্যায়িত করি। কিন্তু আরো সু্ক্ষ্ম দৃষ্টিতে যদি বিচার করা হয় তাহলে বর্তমানের অস্তিত্ব কি আছে? মুহূর্তের মধ্যে কোনা ঘটনা অতীত হয়ে যায়। যেটাকে আমরা মুহূর্ত বলছি তার দৈর্ঘ্যেই বা কতটুকু?—হিসাব করা যায় কি? আবার ভবিষ্যৎ, অতীতের মতো বাস্তব না হলেও তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আর সেই ভবিষ্যতের নীরিখে যদি জীবন-মৃত্যুকে বিচার করেন তাহলে সেটা দাঁড়ায়, আপনি জীবত অথবা মৃত। বর্তমানের কথাই ভাবুন (পরম বর্তমান নয়)—আপনি হয়তো গাড়ি নিয়ে কোথাও বেরিয়েছিন। পথিমধ্যে আপনার গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গেল। আপনি দাঁড়িয়ে পড়লেন। কিন্তু আপনার কোনো স্বজন বাড়িতে বসে ভাবছেন আপনি গাড়িতে আছেন আর আপনার গাড়ি চলমান। এক্ষেত্রে দুটো ভিন্ন পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে দু’রকম ফলাফল পাওয়া গেলো। তেমনি জীবন-মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একই ব্যক্তি কারো কাছে মৃত এবং অন্য ব্যক্তির কাছে জীবিত। তিনি হয়তো জানেনই না ওই ব্যক্তি মারা গেছে।
অসীম কালে ও স্থানে মৃত্যুই শেষ কথা হতে পারে না। আইনস্টানের উদ্ধৃতি থেকে বলা বলা যায়, সময় অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য শুধু একগুঁয়ে বিভ্রমের। সময়ের বাইরে হিসাব করলে বা অসীম সময়ে হিসাব করলে মানুষের জীবন-মৃ্ত্যুর ফলাফল দাঁড়ায় সে জীবিত অথবা মৃত। অসীম মহবিশ্বের হিসাবে তুচ্ছাতিতুচ্ছ এক মানুষের জীবন-মৃত্যুর হিসাব অতি গৌণ। তবু মৃত্যুই শেস কথা নয়। এই মৃতের যে শক্তিটুকু ছিল তা হয়তো আরেকটা কোনো মহাবিশ্বে জীবন হিসেবে বিকশিত হচ্ছে।
সুত্রঃ জিরো টু ইনফিনিটি
Google কে এবার ব্যবহার করুন প্রক্সি হিসেবে আর Youtube বা Blocked ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন তুরি মেরে..... !! :D
প্রক্সি হল একধরনের ডিভাইস বা সার্ভিস যা আপনার কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। প্রক্সি ব্যবহারে মাধ্যমে আপনি ব্লক ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন খুব সহজেই। কিন্তু আমি এবার দেখাব অন্য এক খেলা যার মাধ্যমে আপনি Google এর ট্রান্সলেটর ব্যবহার ব্যবহার করে প্রক্সির কাজ করতে পারবেন ও Blocked ওয়েব সাইটে সহজেই ঢুকতে পারবেন। তো চলুন প্যাঁচাল না বাড়িয়ে কাজে নেমে পরি।
প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজার খুলুন।
এবার ওয়েব ব্রাউজারের এড্রেস বারে নিচের মত করে লিখুন
http://www.google.com/translate?hl=en&sl=da&tl=en&u=http://www.your-web-site.com/
লাল রং করা অংশটুকুতে ঐ ওয়েব সাইটে এড্রেস লিখুন যে ওয়েব সাইটে আপনি প্রবেশ করতে চাচ্ছেন
নিচে কিছু উধাহরন দেয়া হল
=======================================================================================
http://www.google.com/translate?hl=en&sl=da&tl=en&u=http://www.techtunes.com.bd/
http://www.google.com/translate?hl=en&sl=da&tl=en&u=http://www.youtube.com/
http://www.google.com/translate?hl=en&sl=da&tl=en&u=http://www.youtube.com/watch?v=5rpuft7djBA/
=======================================================================================
এবার ইন্টার করুন, তাহলেই আপনার কাঙ্খিত সাইটে প্রবেশ করবেন।
আমারা সবাই pd-proxy ব্যাবহার করে ফ্রী ইন্টারনেট চালাই কিন্ত এর একটি সমস্যা হচ্ছে একটি id দিয়ে ১০০ এমবি এর চেয়ে বেশি ব্যাবহার করা জায়না।
আজ আপনাদের একটি Trick দিব যেটা দিয়ে আপনারা একটি id দিয়ে একাধিক বার ফ্রি ইন্টারনেট ইউস করতে পারবেন।
প্রথম এ এখান থেকে PD PROXY ডাউনলোড করে নিন।
http://pdproxy.com/
তারপর ৩-৪ টি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।এবার ৫১ কেবি সাইজ এর আর ১ টি ফাইল http://technet.microsoft.com/en-us/sysinternals/bb897436.aspx ডাউনলোড করে নিন।
এবার ফাইল টি কপি করে Local disk c>>User>samsung এ past করুন(আপনার pc/laptop যে ব্র্যান্ড এর ওইটাতেই যাবেন )...এবার ফাইল টি Run as administator হিসেবে ওপেন করুন ।এবার আপনার কম্পিউটার এর start menu তে যেয়ে cmd লিখে এন্টার দিন।
তারপর c: লিখে এন্টার দিন।আবার বরাবর এটা volumeID.exe c:1a23-1b45 লিখে এন্টার দিয়ে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন।তারপর আপনার mozila firefox এর options>Advanced>network>setting>use system proxy setting>click DONE!
এভাবে আপনি প্রতিদিন ৫ টি বা তার বেশি id use করার পরের দিন ওই একই Id আবার use করতে পারবেন।তার মানে ৫ টি id থেকে আপনি প্রতিদিন ৪৫০ mb use করতে পারবেন।৪৫০ mb বলায় অনেক এ হয়তো ভাবছেন আমি অংকে কাঁচা আসলে একটি id দিয়ে ৯০mb use করার পর আরএকটি আইডি কানেক্ট করতে হবে না হয় ওইদিন আর কোন আইডি কানেক্ট হবেনা।ভালো স্পীড পাওয়ার জন্য p1 বাদ দিয়ে অন্য যে কোন প্যাকেজ বেবহার করুন।
কোন হেল্প লাগলে কমেন্ট করবেন আর এই ধরনের পোস্ট পেতে চাইলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির গুলোর নাম
যদি বাংলা রাখা হতো -
১. অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় (State
University)
২. মহানুভব শিল্প বিশ্ববিদ্যালয়
(University of Liberal Arts)
৩. কেন্দ্রীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়
(Central Women’s University)
৪. শহর বিশ্ববিদ্যালয় (City
University)
৫. হলুদ রঙ্গের বসন্তকালীন ফুল
আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (Daffodil
International University)
৬. পূর্বদেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় (Eastern
University)
৭. পূর্ব-পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয় (East West
University)
৮. সবুজ বিশ্ববিদ্যালয় (Green
University)
৯. স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়
(Independent University)
১০. উত্তর দিকস্থ বিশ্ববিদ্যালয়
(Northern University)
১১. জাতির বিশ্ববিদ্যালয় (People’s
University)
১২. প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় (Prime
University)
১৩. এশিয়ার অধিবাসীর মৌলিক
বিশ্ববিদ্যালয় (Primeasia
University)
১৪. দক্ষিণ-পূর্ব বিশ্ববিদ্যালয়
(Southeast University)
১৫. উত্তর-দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয় (North
South University)
১৬. এশিয়া প্রশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়
(University of Asia Pacific)
১৭. এশিয়ার অধিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়
(Asian University)
১৮. দক্ষিণ-এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
(University of South Asia)
১৯. দক্ষিণ দিকস্থ বিশ্ববিদ্যালয়
(Southern University)
২০. পৃথিবী বিশ্ববিদ্যালয় (World
University)
২১. পূর্ব-প্লাবন বিশ্ববিদ্যালয় (East
Delta University)
২২. আমেরিকান আন্তর্জাতিক
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (AIUB)
২৩. প্রধান নগর বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়
(Metropolitan University)
২৪. প্রেসিডেন্টের
পদমর্যাদা বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency
University)
২৫. সহস্র বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়
(Millennium University)
২৬. সংযুক্ত আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
(United International University)
২৭. রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয় (Royal
University)
২৮. রাণীর বিশ্ববিদ্যালয় (Queens
University)
২৯. অগ্রগণ্য বিশ্ববিদ্যালয় (Premier
University)
৩০. আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
চিটাগাঙ (IIUC)
৩১. তুমি আমি তুমি (UIU)
সামওয়্যার ইন ব্লগ থেকে নেয়া......
বিডি সাইবার's cover photo
WINDOWS 8 অ্যাপ স্টোর থেকে পেইড অ্যাপ নামান ফ্রীতে !!!
মাইক্রোসফট এর নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮।উইন্ডোজ ৮ এর প্রধান আকর্ষণ অ্যাপ স্টোর।উইন্ডোজ স্টোরের অ্যাপগুলো দারুন।ফ্রী এবং পেইড দুই ধরনের অ্যাপ আসে।সবগুলু অ্যাপই দারুন।অ্যাপ ছাড়া উইন্ডোজ ৮ এ মজা নেই।আজ আমি আপনাদের দেখাব কিভাবে উইন্ডোজ স্টোর এর অ্যাপগুলো ফ্রীতে ব্যাবহার করা যায়।
প্রথমে উইন্ডোজ ৮ এর স্টার্ট মেনু থেকে স্টোরে ক্লিক করুন।
এবার পছন্দের অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
এবার এখান থেকে ফাইল টি ডাউনলোড করুন।
http://dl.dropbox.com/u/97892114/wsservice_crk.rar
এবার ফাইলটি Extract করুন।
ফোল্ডারটি ওপেন করুন।এবার release ওপেন করুন।তারপর wscrack_32(৩২ বিট) অথবা wscrack_64(৬৪ বিট)।এবার installer ওপেন করুন এবং install এ ক্লিক করুন।তারপর wscrack_anycpu\TokensExtractor.exe ওপেন (run as administrator) করুন।
এবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপটি সিলেক্ট করে Crack It! এ ক্লিক করুন।
ব্যাস এবার আপনা অ্যাপটি ফুলভার্সন হয়ে গেল।
কোন সমস্যা হলে Comment করুন।
আসুন ইন্টারনেটের প্রাণ সম্পর্কে একটু জেনে নেই....
যেকোন নেটওয়ার্কের জন্য সার্ভার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সার্ভারকে ইন্টারনেটের প্রাণ বলা হয় । সার্ভার ঠিক মত সার্ভিস না দিতে পারলে সম্পূর্ণ ইন্টারনেটই বৃথা । কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের জন্য বহুল ব্যবহৃত কিছু সার্ভার নিচে বিবৃত করা হলো-
ফাইল সার্ভার (File Server) :
এই ধরনের সার্ভার ব্যবহারকারী বা ক্লায়েন্টদের ফাইল শেয়ার বা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয় । এছাড়া ফাইল সার্ভার ডেটা বা ফাইল সংরক্ষণ , উত্তোলন এবং এক পিসি হতে অন্য পিসিতে স্থানান্তরের কাজটি করে থাকে । আর হ্যাঁ, ফাইল সার্ভার ক্লায়েন্ট পিসির জন্য কখনও কোন প্রকার ডেটা প্রসেসিং এর কাজ করে না ।
ম্যাসেজ সার্ভার (Message Server) :
ফাইল সার্ভিসের মাধ্যমে ডেটা শুধুমাত্র ফাইলের আকারে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে চলাচল করে । কিন্তু মেসেজ সার্ভিসের সাহায্যে ডেটা গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও, টেক্স এবং বাইনারী আকারে চলাচল করতে সক্ষম। মেসেজ সার্ভিস মূলত: চার ধরনের হয়। যথা-
* Electronic Mail *
Workgroup Application
*Object Oriented Application
* Directory services
ইমেইল সার্ভার (Email Server)
ইমেইল সার্ভার নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট হতে প্রাপ্ত মেসেজসমূহ জমা করে এবং তা প্রয়োজনে অন্য সার্ভার বা ক্লায়েন্ট প্রান্তে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে ইমেইল সার্ভার প্রোটোকল হচ্ছে POP (Post Office Protocol)। তাছাড়া এটি ভিন্ন ইমেইল সিস্টেম হতে প্রাপ্ত মেসেজ এবং মেইল কনভার্ট করার জন্য গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে।
ওয়েভ সার্ভার (Web Server) :
ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট যে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে। আমরা ব্রাউজারের সাহায্যে বিভিন্ন পেজ বা সাইট ওয়েব সার্ভার হতে আমাদের পিসির পর্দায় নিয়ে আসি। ওয়েব সার্ভার HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) ব্যবহার করে ইউজারদের ওয়েবপেজ সংক্রান্ত অনুরোধে সাড়া দিয়ে ওয়েবপেজ সরবরাহ করে। ইন্টারনেটের আওতায় HTTP সম্বলিত সকল ওয়েব সার্ভারই হলো www ( World Wide Web)....
প্লিজ like দিয়ে পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকবেন ...
ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে – দেখে নিন কিভাবে ব্লক ফেসবুক সহ সকল সাইট ভিজিট করবেন |
ফেসবুক খুলে দেয়া হয়েছে কিছুক্ষণ আগে....
আজ বৃহস্পতিবার ২০১৩ দুপুর ১২টার পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। বেশির ভাগ আইএসপি থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে আইএসপি ভেদে কোথাও কোথাও ফেসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে।
অনেকে মনে করছেন, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায় চলাকালে নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে। কারণ সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা হলে নাশকতা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ফেসবুক বিড়ম্বনার ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে সমস্যার কথা বলা হয়েছে। তবে বিষয়টিকে নাকোচ করে দিয়েছেনব তথ্য-প্রযুক্তিবিদরা। তাদের মতে, গেটওয়ের সমস্যা হলে সব ধরণের ইন্টারনেট সমস্যায় পড়ার কথা।
আরো বিস্তারিত দেখুন এই পোষ্টটি -
http://www.tunerpage.com/archives/211233
happy new year :)
এবার পুরো ওয়েবপেজের স্ক্রীনশট নিন খুব সহজে!!
অনেক সময় ওয়েব পেজ ব্রাউজ করার সময় ব্রাউজারে খোলা পুরো ওয়েবপেজের স্ক্রীনশট নেয়ার প্রয়োজন হয়।
ওয়েবপেজের আকার বড় থাকলে তা স্ক্রল করা ছাড়া মনিটরে দেখার আর কোন উপায় নেই এঅবস্থায় স্ক্রীনশট নেয়া অসম্ভব।
আর সে অসম্ভব কে সম্ভব করা কোন ব্যাপার না। এ জন্য আপনাকে মজিলা ফায়ারফক্স আর ফায়ারফক্সে মাত্র ৭০ কেবির ছোট্ট একটা আড-অন যোগ করে নিতে হবে। এজন্য প্রথমে এখানে ক্লিক করুন।
http://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/screengrab
এরপর অ্যাড-অন যুক্ত যে পেজটি খুলবে তার ডান পাশে Add to Firefox এ ক্লিক করুন। কমপ্লিট হওয়ার পর ব্রাউজার রিস্টার্ট করতে বলবে।
Restart Firefox এ ক্লিক করুন। ব্রাউজারটি বন্ধ হয়ে আবার চালু হবে। এবার ফায়ারফক্স ব্রাউজার দিয়ে যে ওয়েবপেজের স্ক্রীনশট নিতে চান তাতে যান > মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে সবার নিচে ScreenGrab নামে একটি অপশন রয়েছে সেটাতে ক্লিক করে ScreenGrab>Save>Complete page/Frame- এ ক্লিক করুন। যে ফরম্যাটে (PNG বা JPG) সেভ করতে চান তা সিলেক্ট করুন...
আর এই ধরনের আরও পোস্ট পেতে পোস্টটিতে লাইক করুনঃ। :)
R U READY GUYS..?
সবার আগে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
অনেক দিন পর আবার পোস্ট করতে বসলাম।
আশা করি আবার আপনাদের জন্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক নতুন নতুন পোস্ট করতে পারব ।
আর আপনাদের কাছে একটা অনুরধ লাইক কমেন্ট করে পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকবেন। আর কোন পোস্ট ভাল লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।তাহলে আরো নতুন নতুন পোস্ট দিতে উৎসাহ পাব। আর পেজে অ্যাক্টিভ না থাকলে আমাদের পোস্ট আর আপনাদের ওয়াল এ ফেসবুক নিয়ম অনুযায়ী দেখা যাবে না।
আজ কে আপনাদের The Wow! Signal সম্পর্কে বলব...
১৯৭৭ সালের আগষ্ট মাসে ডক্টর জেরী আর এহমান যখন তাঁর সেতি প্রজেক্ট এর কাজে ওহিও স্টেট ইউনিভারসিটি এর Big Ear radio telescope এর কাছে ছিলেন তখন এই শক্তিশালী বেতার সংকেত আসে।
৭২ সেকেন্ড সময় ধরে থাকা এই সংকেত সৌরজগতের বাইরে কোনো স্থান থেকে এসেছিল। পরে মহাকাশের ওই স্থান এর দিকে বেতার টেলিস্কোপ তাক করে ও কিছু পাওয়া যায় নি।
এই সিগন্যাল এর কম্পিউতার প্রিন্ট আউট এর ছবি দেওয়া হল। ডক্টর এহমান এই সিগন্যাল এর কাছে Wow! কথাটি লিখেন। সেই থেকে এই এলিয়েন সিগন্যাল The Wow! Signal নামে পরিচিত।
বিস্তারিত এই লিঙ্ক এ :
http://en.wikipedia.org/wiki/Wow!_signal
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Products
Contact the business
Website
Address
Bailly Road,shantinagar
Dhaka
3500