BoiBazar
Nearby shops
Shantinagar
নয়া পল্টন
1000
Gazipur
1204
1000
Shop Name :D. S Mart
Naya Polton
1000
Shop
Naya Paltan
Nayapaltan Mosque Road
Kakrail Vip Road
1000
Welcome to BoiBazar.com, Join us in our mission to cultivate a sympathetic, knowledgeable, and book-loving nation.
Welcome to BoiBazar.com, your go-to destination for all things books! We are proud to be one of the largest online bookstores in the country, offering a vast collection of books spanning various genres and topics. Our mission is to foster a culture of reading and learning, helping to shape a more knowledgeable and empathetic society. Join us in our journey to promote the love of books and reading across the nation!
সর্বশেষ কোন বইটি পড়েছেন?
"আজ বিশ্ব প্রবীণ দিবস"
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রবীণ।
ভালো রাখুন আপনার কাছের প্রবীণ মানুষটিকে।
"জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই"
-ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
আরণ্যক: একটি মনোমুগ্ধকর উপন্যাস
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "আরণ্যক" উপন্যাসটা পড়লে মনে হবে যেন একটা জঙ্গলে হাঁটছি। লেখক এত সুন্দর করে জঙ্গলের ছবি তুলে ধরেছেন যে মনে হবে আমরাও সেই জঙ্গলেই আছি।
কাহিনীটা কি?
এই গল্পটা একজন ছেলের, সত্যচরণের। সে শহর থেকে একটা জঙ্গলে চাকরি করতে যায়। শুরুতে সে জঙ্গলকে খুব পছন্দ করত না। কিন্তু ধীরে ধীরে সে জঙ্গলের প্রেমে পড়ে যায়। সেখানকার গাছপালা, পাখি, নদী, সবকিছু তার খুব ভালো লাগতে শুরু করে। সে জঙ্গলের মানুষদের সাথে মিশে যায়, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে।
কেন এই উপন্যাসটা পড়া উচিত?
প্রকৃতির সৌন্দর্য: লেখক এত সুন্দর করে জঙ্গলের বর্ণনা করেছেন যে মনে হবে আমরা নিজের চোখে সব দেখতে পাচ্ছি।
মানুষের মনের গভীরে: এই উপন্যাস শুধু জঙ্গলের কথা নয়, এটা মানুষের মনের কথাও বলে। সত্যচরণ কীভাবে শহরের জীবন থেকে জঙ্গলের জীবনে মানিয়ে নিল, সেটা আমাদের অনেক কিছু শেখায়।
সহজ সরল ভাষা: বিভূতিভূষণ বাবুর ভাষা খুব সহজ এবং সুন্দর। তাই ছোট বড় সবাই এই উপন্যাসটা খুব সহজে পড়তে পারবে।
আপনার সংগ্রহে কতগুলো বই আছে?
স্বপ্ন-ষড়যন্ত্র-দাসত্ব-দুর্ভিক্ষ-রাজত্ব—কী দারুণ এক সত্য আখ্যান! বাধা-বিপত্তির দেয়াল পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছার এই অসাধারণ গল্প কোটি হৃদয়কে উজ্জীবিত করছে শত সহস্র বছর ধরে। হতাশার পাহাড় মাড়িয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার এ গল্প আজকের প্রজন্মকেও স্পর্শ করে খুব। লালসার সমুদ্রে এ যেন পবিত্র একফোঁটা স্বচ্ছ জলবিন্দু! ইউসুফ আলাইহিস সালাম আমাদের বিজয়ী মহানায়ক, বিশ্বাসীদের নকিব। সূরা ইউসুফ আমাদের প্রত্যাশিত জীবনের এক অনন্য রিফ্লেকশন।
বইয়ের নামঃ ইকিগাই
মূল লেখকঃ হেক্টর গার্সিয়া, ফ্রান্সেস মিরালেস
অনুবাদকঃ ফরিদ হায়দার ভূঁইয়া
"ইকিগাই" বইটি হেক্টর গার্সিয়া এবং ফ্রান্সেস্ক মিরালসের লেখা একটি আত্ম-উন্নয়নমূলক বই যা জাপানি দর্শনের একটি গভীর ধারণাকে ব্যাখ্যা করে। এই ধারণাটি জীবনের উদ্দেশ্য বা অর্থ খুঁজে পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত।
কেন এই বইটি পড়া দরকার?
জীবনের অর্থ খোঁজা: আজকের দিনে অনেকেই নিজের জীবনের অর্থ বা উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন। এই বইটি আপনাকে আপনার নিজের ইকিগাই খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
সুখী জীবন: এই বইটি আপনাকে কীভাবে একটি সুখী ও সন্তোষজনক জীবন যাপন করতে হয় তা শিখিয়ে দেবে।
আত্ম-উন্নয়ন: ইকিগাই ধারণাটি আপনাকে নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং আপনার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে সাহায্য করবে।
প্রেরণা: এই বইটি আপনাকে প্রতিদিন নতুন করে জীবনকে উপভোগ করার জন্য প্রেরণা যোগাবে।
জাপানি দর্শনের স্পর্শ: জাপানি সংস্কৃতি ও জীবনদর্শন সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। এই বইটির মাধ্যমে আপনি জাপানিদের দীর্ঘ জীবন এবং সুখী জীবনযাপনের রহস্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ইকিগাই কী?
ইকিগাই হলো এমন একটি কাজ বা উদ্দেশ্য যা আপনাকে জীবনকে উপভোগ করতে এবং পূর্ণতা পেতে সাহায্য করে। এটি আপনার জীবনের চারটি মূল উপাদানের মধ্যে একটি মিশ্রণ:
যা আপনি ভালোবাসেন
যা আপনি ভালো করেন
যা দুনিয়ার জন্য প্রয়োজন
যার জন্য আপনি পেমেন্ট পেতে পারেন
বইটি থেকে আপনি কী শিখতে পারেন?
নিজেকে খুঁজে পাওয়া: আপনি কে, আপনি কী চান এবং আপনি জীবন থেকে কী আশা করেন তা বুঝতে সাহায্য করবে।
লক্ষ্য নির্ধারণ: আপনার জীবনের জন্য স্পষ্ট এবং অর্থপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
সমস্যা সমাধান: আপনার জীবনের সমস্যাগুলি সমাধান করতে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
সুখী জীবন: একটি সুখী এবং সন্তোষজনক জীবন যাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলি শিখতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি নিজের জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে চান এবং একটি সুখী এবং সন্তোষজনক জীবন যাপন করতে চান তাহলে এই বইটি আপনার জন্য।
"বইপড়া" কিভাবে শিশু-কিশোরদের জীবন বদলে দেয়?
'বইপড়া' সব বয়সী মানুষেরই শ্রেষ্ঠ অভ্যাস। আর এই অভ্যাস যদি গড়ে তোলা যায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে, তাহলে তা সর্বশ্রেষ্ঠ। বইপড়ার অভ্যাস একবার গড়ে তুলতে পারলে তা শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ জীবনের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে।
বই পড়ার ফলে শিশুদের মধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন গড়ে ওঠে। চলুন দেখা যাক কি কি ধরণের ভালোদিক বই পড়ার ফলে শিশুর মধ্যে আসেঃ
১। কল্পনাশক্তিঃ "কল্পনাশক্তি জ্ঞানের থেকেও বেশি শক্তিশালী" - আইনস্টাইন। বইয়ের প্রতিটি লাইন শিশুকে ভাবতে শেখায়, কল্পনা করতে শেখায়। এই কল্পনা কোনো ভিডিও বা ভিজুয়াল থেকে পাওয়া সম্ভব না। প্রতিটি দৃশ্য শিশু-কিশোররা কল্পনা করার যে সুযোগ পায়, তাতে তাদের মনোজগতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনে।
২। সৃজনশীলতাঃ শিশু-কিশোর বইপড়ার সময়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা হয়, বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে ভাবতে হয়, এর ফলে তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে চিন্তা করার শক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাভ করে।
৩। ভাষার দক্ষতাঃ বইপড়ার মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাচনভঙ্গির সাথে পরিচিত হওয়ায় তাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়। এতে তাদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়ে। ইংরেজি, বাংলা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের এই উন্নতি ঘটে।
৪। মনোযোগ ও ফোকাসঃ বই পড়তে এবং বুঝতে শিশু-কিশোরদের মনোযোগ দিতে হয়। এতে তাদের মধ্যে মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধি পায় যা তার পরবর্তী জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
৫। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সঃ বই পড়ার মাধ্যমে অনেক চরিত্র এবং তাদের ইমোশন এর ব্যাপারে বিভিন্নভাবে জানা যায়, যা অন্যদের ইমোশন বুঝতে শিশু-কিশোরদের সাহায্য করে। এতে সামাজিকতা এবং মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জন্মায়।
৬। শেখার আগ্রহঃ যেসব শিশুরা বই পড়ে, তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ, জানার আগ্রহ বহুগুণে বেশি থাকে। যা ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আসে।
৭। একাডেমিক সাফল্যঃ বই পড়ুয়া শিশু-কিশোররা সাধারণত পড়তে ভালবাসার কারনে, তাদের একাডেমিক শিক্ষাজীবনেও বড় সাফল্য পায়। তাদের ম্যাচুরিটি লেভেল অন্য বাচ্চাদের থেকে বেশি থাকার কারনে তাদের পক্ষে জটিল বিষয়গুলো সহজেই ধরা সম্ভব হয়।
৮। স্বাধীনভাবে চিন্তাঃ শিশুরা সাধারণত অন্যদের উপর নির্ভরশীল থাকে সকল কাজে। বইপড়া অভ্যাস তাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে, এতে তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৯। বিনোদনঃ বর্তমানে হাজারো রকম ক্ষতিকর বিনোদন মাধ্যম শিশুদের হাতের কাছে আছে, সেই তুলনায় বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তা ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো থেকে দূরে রাখে।
১০। বাস্তব জ্ঞানঃ শিশু-কিশোর বইয়ের সাথে থাকলে তারা বাস্তবতার সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। অনেক ধরণের জীবন যাপনের কথা বইয়ে জানতে পারে, ফলে মানসিকভাবে তারা বাস্তব জ্ঞানসম্মত হয়।
ঈশপ - একজন ক্রীতদাস যিনি (খ্রিস্টপূর্ব ৬২০-৫৬৪) প্রাচীন গ্রীসে বসবাস করতেন। ঈশপ মূলত ছিলেন একজন গল্পকথক। গল্পের পর গল্প সাজিয়ে তিনি তার শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখতেন। তার গল্পগুলো অন্যান্য গল্পের থেকে একটু ব্যতিক্রম।
প্রতিটি গল্পের একটি উপদেশ বা নীতিকথা থাকে যার মাধ্যমে পাঠককে আদর্শ ও সত্যের শিক্ষা দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। আসুন ঈশপের একটি গল্প পড়িঃ
অতি চালাকের গলায় দড়ি
একদা এক বনে এক গাধা আর এক শেয়াল বাস করতো। ওদের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব হয়েছিল। দুই বন্ধু একদিন বেরোলো। কিছুদূর যাবার পর সামনে এক সিংহ দেখতে পেয়ে বিপদ বুঝে শেয়ালটা নিজেকে বাঁচাবার জন্য সিংহের একেবারে কাছে গিয়ে বললো মহারাজ যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলি। তবে তার আগে কথা দিতে হবে, আমাকে আপনি ছেড়ে দেবেন। তারপর ফিসফিস করে বললো ঐ গাধাটাকে আপনার একেবারে হাতের মুঠোয় এনে দিতে পারি।
সিংহ বলল বেশ তো তাই হবে। কথা দিলাম আমি। সিংহের এই কথা শুনে শেয়াল গাধাটাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সিংহের কাছাকাছি একটা ফাঁদের মধ্যে ফেললো।
আর এদিকে সিংহ যখন দেখল গাধার আর পালাবার উপায় নেই, তখন প্রথমে শেয়ালটাকেই শেষ করলো, তারপর ধীরে সুস্থে গেল গাধাটার কাছে।
গল্পটির উপদেশ হল- “অপরের সর্বনাশ করার চেষ্টা করলে নিজেরই আগে ক্ষতি হয়।”
পৃথিবীর অনেক কিছুই অদ্ভুত এবং রহস্যময়। অনেক অস্বাভাবিক বিষয়ও রয়েছে, যা শুনে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়! 'জানতে ক্ষতি নেই! এর এই পর্বে থাকছে বিশ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবাক করা ১০টি তথ্যঃ'
১। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ইংরেজি শব্দ হলঃ "pneumonoultramicroscopicsilicovolcanoconiosis"
"নিউ-মো-নো-আল-ট্রা-মাই-ক্রো-স্কো-পিক-সি-লি-কো-ভল-কা-নো-কনি-ও-সিস" - ৪৫ বর্ণের এই শব্দ আসলে ফুস্ফুসের একটি রোগের নাম।
২। মারিয়ানা ট্রেঞ্চ - বিশ্বের সবথেকে গভীরতম স্থান। এটি এতই গভীর যে এখানে মাউন্ট এভারেস্ট পর্বতও অনায়াসে স্থান পাবে। প্রায় ৩৬০০০ ফুট বা ১০৯৯৪ মিটার বা ১১ কিলোমিটার।
৩। পৃথিবীর সবথেকে প্রাণী - আফ্রিকান হাতি। প্রায় ৫৯০০ কেজি ওজন এবং ১৩ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা হতে পারে একেকটি হাতির।
৪। বিশ্বের সর্বোচ্চ গাছ হল হাইপেরিয়ন নামের একটি উপকূলীয় রেডউড। এটি প্রায় 379 ফুট (115 মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৫। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ স্থান হল ইরানের লুট মরুভূমি। মরুভূমিতে তাপমাত্রা 66 ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি হতে পারে।
৬। আবার সবথেকে ঠান্ডা স্থান অ্যান্টার্কটিকা। এর অনেক জায়গায় -89.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
৭। বিশ্বের বৃহত্তম মরুভূমি হল সাহারা মরুভূমি। প্রায় ৯২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। মানে বাংলাদেশের থেকে প্রায় ৬২ গুন বড়!!!
৮। প্রশান্ত মহাসাগর - পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩০ শতাংশ জুড়ে এর অবস্থান!
৯। পৃথিবী প্রতি ঘন্টায় ১৬৭০ কিলোমিটার বেগে নিজের অক্ষে এবং প্রতি ঘন্টায় ১০৭০০০ কিলোমিটার বেগে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
১০। বিশ্বের সবথেকে বড় গুহা রয়েছে আমেরিকার কেনটাকিতে। ৬৮৬ কিলোমিটার লম্বা প্রায়। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার দুরুত্ব ৯১২ কিলোমিটার আর একটা গুহা ৬৮৬ কিলোমিটার!!!
বইয়ের নামঃ কাইজেন
মূল লেখকঃ সারাহ হার্ভে
অনুবাদকঃ শেহজাদ আমান
প্রকাশনীঃ রুশদা প্রকাশ
কেন "কাইজেন" বইটি পড়া দরকার?
"কাইজেন" শব্দটি জাপানি শব্দ যার অর্থ "ধারাবাহিক উন্নতি"। সারাহ হার্ভে এই বইতে কাইজেনের পদ্ধতিগুলোকে সহজ ও সাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও কর্মক্ষেত্রে কীভাবে কাইজেনকে প্রয়োগ করা যায়, তা দেখিয়েছেন।
আমাদের জীবনের সবথেকে বড় ৬টি বিষয়ে আমাদের সমস্যা, সমাধান, উন্নতি, চিন্তা কিংবা সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে।
বিষয়গুলো হলোঃ
১। স্বাস্থ্য
২। কর্ম বা কাজ/পেশা
৩। অর্থ ও সম্পদ
৪। পরিবার/ঘরবাড়ি
৫। জীবনের সম্পর্কগুলো
৬। আমাদের জীবনের অভ্যাস
ছোট ছোট পরিবর্তন, বড় ফলাফল: কাইজেন পদ্ধতিটি শিখে আপনি বুঝতে পারবেন যে বড় বড় পরিবর্তনের করার চিন্তার পরিবর্তে, দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট উন্নতি আনলেই কীভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা যায়।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি: সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যাটি ভালভাবে জানা ও বুঝতে পারা জরুরি। এই বইটি আপনাকে সমস্যাগুলোকে কিভাবে এনালাইসিস করতে হয়, বুঝতে হয় এবং তাদের সমাধানের জন্য নতুন উপায় কিভাবে খুঁজে বের করতে হয় তা দেয়া আছে।
দলবদ্ধ কাজের উন্নতি: কাইজেন পদ্ধতি দলবদ্ধ কাজকে উৎসাহিত করে। এই বইটি আপনাকে কীভাবে দলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে উন্নতি আনতে হয়, তা শিখাবে।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: কাইজেন আপনাকে নতুন চিন্তা, ধারণা ও সমাধান খুঁজে বের করার পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হয়েছে। বইটি আপনার সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতি: কাইজেন শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও উন্নতি আনতে পারে। এই বইটি আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত লক্ষ্য অর্জন করতে সাহায্য করবে।
আপনি কি এই বইটি পড়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় লেখক ও গীতিকার Latiful Islam Shibli কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সমরেশ মজুমদার এর কোন বইটি আপনার সবথেকে প্রিয়?
পৃথিবী বদলে দেয়া ১০০টি বই
বিশ্বের ৩৫টি দেশের লেখক, বইপ্রেমীদের মধ্যে 'বিবিসি কালচার' থেকে একটি জরিপ চালানো হয়, যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, কোন বইগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, সমাজ বদলে দিয়েছে।
১০৮ জন লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অনুবাদকরা ৫টি করে বই নির্ধারন করেন, যেগুলো পৃথিবী বদলে দিয়েছে। বিশ্বের ৩৩ ভাষার বই রয়েছে এর মধ্যে, যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে উগান্ডা থেকে পাকিস্তানি, কলম্বিয়া থেকে চায়নার মানুষ রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ইংরেজি।
এই নির্বাচনকারীদের মধ্যে ৬০ ভাগ নারী ও ৪০ ভাগ পুরুষ ছিলেন। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ফ্রাঞ্জ কাফকা, ভার্জিনিয়া উলফ এই লেখকদের ৩ টি করে বই স্থান পেয়েছে এই তালিকায়।
চলুন দেখে নেয়া যাক কোন বইগুলো পৃথিবী বদলে দিয়েছেঃ
১. দ্য ওডিসি (হোমার, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক)
২. আঙ্কল টম'স কেবিন (হ্যারিয়েট বিচার স্টো, ১৮৫২)
৩. ফ্রাঙ্কেনস্টাইন (মেরি শেলি, ১৮১৮)
৪. নাইটিন এইটি-ফোর (জর্জ অরওয়েল, ১৯৪৯)
৫. থিংস ফল অ্যাপার্ট (চিনুয়া আচেবে, ১৯৫৮)
৬. ওয়ান থাউজ্যান্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইটস (বিভিন্ন লেখক)
৭. ডন কিহোতে (মিগুয়েল দে সারভান্তেস, ১৬০৫–১৬১৫)
৮. হ্যামলেট (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৬০৩)
৯. ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিটিউড (গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, ১৯৬৭)
১০. দ্য ইলিয়াড (হোমার, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক)
১১. বিলভড (টনি মরিসন, ১৯৮৭)
১২. দ্য ডিভাইন কমেডি (দান্তে আলিগিয়ারি, ১৩০৮–১৩২০)
১৩. রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৫৯৭)
১৪. দ্য এপিক অফ গিলগামেশ (লেখক অজানা)
১৫. হ্যারি পটার সিরিজ (জে কে রাওলিং, ১৯৯৭–২০০৭)
১৬. দ্য হ্যান্ডমেইড'স টেল (মার্গারেট অ্যাটউড, ১৯৮৫)
১৭. ইউলিসিস (জেমস জয়েস, ১৯২২)
১৮. অ্যানিমেল ফার্ম (জর্জ অরওয়েল, ১৯৪৫)
১৯. জেন আয়ার (শার্লট ব্রন্টি, ১৮৪৭)
২০. ম্যাডাম বোভারি (গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, ১৮৫৬)
২১. রোমান্স অব দ্য থ্রি কিংডমস (লুয়ো গুয়ানঝং, ১৩২১–১৩২৩)
২২. জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট (উ চেং'এন, আনুমানিক ১৫৯২)
২৩. ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট (ফিয়দোর দস্তয়েভস্কি, ১৮৬৬)
২৪. প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (জেন অস্টেন, ১৮১৩)
২৫. ওয়াটার মার্জিন (শি নাই'আন, ১৫৮৯)
২৬. ওয়ার অ্যান্ড পিস (লিও টলস্টয়, ১৮৬৫–১৮৬৭)
২৭. টু কিল আ মকিংবার্ড (হার্পার লি, ১৯৬০)
২৮. ওয়াইড সারগাসো সি (জিন রাইস, ১৯৬৬)
২৯. ঈশপ'স ফেবলস (ঈশপ)
৩০. ক্যান্ডিড (ভলতেয়ার, ১৭৫৯)
৩১. মেডিয়া (ইউরিপিডিস, খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১)
৩২. মহাভারত (বেদব্যাস, খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতক)
৩৩. কিং লিয়ার (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৬০৮)
৩৪. দ্য টেল অফ গেনজি (মুরাসাকি শিকিবু, ১০২১-এর পূর্বে)
৩৫. দ্য সরোস অফ ইয়ং ওয়ের্থার (জোহান উলফগ্যাং ভন গোথে, ১৭৭৪)
৩৬. দ্য ট্রায়াল (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯২৫)
৩৭. রিমেমব্রেন্স অফ থিংস পাস্ট (মার্সেল প্রুস্ট, ১৯১৩–১৯২৭)
৩৮. উইদারিং হাইটস (এমিলি ব্রন্টি, ১৮৪৭)
৩৯. ইনভিজিবল ম্যান (রালফ এলিসন, ১৯৫২)
৪০. মবি-ডিক (হারম্যান মেলভিল, ১৮৫১)
৪১. দেয়ার আইজেস ওয়্যার ওয়াচিং গড (জোরা নীল হার্স্টন, ১৯৩৭)
৪২. টু দ্য লাইটহাউস (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৭)
৪৩. দ্য ট্রু স্টোরি অব আহ কিউ (লু সুন, ১৯২১–১৯২২)
৪৪. অ্যালিস'স অ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (লুইস ক্যারল, ১৮৬৫)
৪৫ আন্না ক্যারেনিনা (লিও টলস্টয়, ১৮৭৩–১৮৭৭)
৪৬. হার্ট অব ডার্কনেস (জোসেফ কনরাড, ১৮৯৯)
৪৭. মাঙ্কি গ্রিপ (হেলেন গার্নার, ১৯৭৭)
৪৮. মিসেস ড্যালোয়ে (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৫)
৪৯. ইডিপাস দ্য কিং (সফোক্লিস, খ্রিস্টপূর্ব ৪২৯)
৫০. দ্য মেটামরফোসিস (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯১৫)
৫১. দ্য ওরেস্টেইয়া (এস্কাইলাস, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক)
৫২. সিন্ডারেলা (লেখক অজানা, তারিখ অজানা)
৫৩. হাউল (অ্যালেন গিন্সবার্গ, ১৯৫৬)
৫৪. লে মিজারেবল (ভিক্টর হুগো, ১৮৬২)
৫৫. মিডলমার্চ (জর্জ এলিয়ট, ১৮৭১-১৮৭২)
৫৬. পেদ্রো পারামো (হুয়ান রুলফো, ১৯৫৫)
৫৭. দ্য বাটারফ্লাই লাভারস (লোককাহিনী)
৫৮. দ্য ক্যানটারবরি টেলস (জিওফ্রে চসার, ১৩৮৭)
৫৯. পঞ্চতন্ত্র (বিষ্ণু শর্মা, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০)
৬০. দ্য পোস্টহিউমাস মেমোয়ার্স অফ ব্রাস কিউবাস (হোয়াকিম মারিয়া মাচাদো দে আসিস, ১৮৮১)
৬১. দ্য প্রাইম অব মিস জিন ব্রডি (মুরিয়েল স্পার্ক, ১৯৬১)
৬২. দ্য র্যাগেড-ট্রাউজারড ফিলানথ্রপিস্টস (রবার্ট ট্রেসেল, ১৯১৪)
৬৩. সং অফ লাউইনো (ওকোট পি'বিটেক, ১৯৬৬)
৬৪. দ্য গোল্ডেন নোটবুক (ডোরিস লেসিং, ১৯৬২)
৬৫. মিডনাইট'স চিলড্রেন (সালমান রুশদি, ১৯৮১)
৬৬. নার্ভাস কন্ডিশনস (টসিতসি ডাংগারেমবগা, ১৯৮৮)
৬৭. দ্য লিটল প্রিন্স (অঁতোয়া দ্য সেন্ট-একজুপেরি, ১৯৪৩)
৬৮. দ্য মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিটা (মিখাইল বুলগাকভ, ১৯৬৭)
৬৯. রামায়ন (বাল্মিকি, খ্রিস্টপূর্ব ১১শ শতক)
৭০. অ্যান্টিগোন (সফোক্লিস)
৭১. ড্রাকুলা (ব্রাম স্টোকার, ১৮৯৭)
৭২. দ্য লেফট হ্যান্ড অফ ডার্কনেস (উরসুলা কে. লে গুয়িন, ১৯৬৯)
৭৩. আ ক্রিসমাস ক্যারল (চার্লস ডিকেন্স, ১৮৪৩)
৭৪. আমেরিকা (রাউল ওতেরো রাইখ, ১৯৮০)
৭৫. বিফোর দ্য ল (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯১৫)
৭৬ চিলড্রেন অফ গেবেলাওয়ি (নাগিব মাহফুজ, ১৯৬৭)
৭৭. ইল কানজনিয়েরে (পেত্রার্ক, ১৩৭৪)
৭৮. কেবরা নাগাস্ট (বিভিন্ন লেখক, ১৩২২)
৭৯. লিটল ওমেন (লুইসা মে অ্যালকট, ১৮৬৮–১৮৬৯)
৮০. মেটামরফোসেস (ওভিড, ৮)
৮১. ওমেরোস (ডেরেক ওয়ালকট, ১৯৯০)
৮২. ওয়ান ডে ইন দ্য লাইফ অফ ইভান ডেনিসোভিচ (আলেক্সান্ডার সলঝেনিৎসিন, ১৯৬২)
৮৩. অরল্যান্ডো (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৮)
৮৪. রেইনবো সার্পেন্ট (অস্ট্রেলীয় গল্প)
৮৫. রেভল্যুশনারি রোড (রিচার্ড ইয়েটস, ১৯৬১)
৮৬. রবিনসন ক্রুসো (ড্যানিয়েল ডিফো, ১৭১৯)
৮৭. সং অফ মাইসেলফ (ওয়াল্ট হুইটম্যান, ১৮৫৫)
৮৮. দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ হাকলবেরি ফিন (মার্ক টোয়েন, ১৮৮৪)
৮৯. দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ টম সয়ার (মার্ক টোয়েন, ১৮৭৬)
৯০. দ্য আলেফ (হোর্হে লুইস বোর্হেস, ১৯৪৫)
৯১. দ্য ইলোকোয়েন্ট পিয়াজেন্ট (প্রাচীন মিশরীয় লোকগল্প)
৯২. দ্য এম্পেরর'স নিউ ক্লোদস (হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, ১৮৩৭)
৯৩. দ্য জঙ্গল (আপটন সিনক্লেয়ার, ১৯০৬)
৯৪. দ্য খামরিয়াত (আবু নুওয়াস)
৯৫. দ্য রাডেটজকি মার্চ (জোসেফ রথ, ১৯৩২)
৯৬. দ্য রেভেন (এডগার অ্যালান পো, ১৮৪৫)
৯৭. দ্য স্যাটানিক ভার্সেস (সালমান রুশদি, ১৯৮৮)
৯৮. দ্য সিক্রেট হিস্টরি (ডোনা টার্ট, ১৯৯২)
৯৯. দ্য স্নোই ডে (এজরা জ্যাক কেটস, ১৯৬২)
১০০. টোবা টেক সিং (সাদাত হাসান মান্টো, ১৯৫৫)
তথ্যসূত্রঃ BBC Culture, BBC
বইয়ের নাম: দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ ও দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড
লেখক: মোঃ মতিউর রহমান
প্রকাশনী: মিফতাহ প্রকাশনী
মোঃ মতিউর রহমান রচিত এই দুটি বই মূলত দাম্পত্য জীবনের সম্পর্কের মানসিক ও মানবিক দিক নিয়ে লেখা।
দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ - বইটিতে একজন স্ত্রীর দায়িত্ব ও সম্পর্কের যত্ন নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে কিভাবে একজন স্ত্রী তার ভালোবাসা, সমর্থন ও যত্ন দিয়ে দাম্পত্য জীবনে সৌন্দর্য ও শান্তি আনতে পারে তা অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় লেখক বর্ণনা করেছেন।
অন্যদিকে, দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড - বইটিতে একজন স্বামীর করণীয় দায়িত্ব ও সম্পর্কের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি ভূমিকা তা নিয়ে বলা হয়েছে। স্বামী হিসেবে একজন পুরুষ কিভাবে তার পরিবারকে ভালোবাসা, সুরক্ষা, ও মানসিক সমর্থন দিতে পারে তা এই বইয়ের মূল বিষয়বস্তু।
দুটি বইই দাম্পত্য সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, বোঝাপড়া ও সম্মানের গুরুত্ব খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে।
বই কেন পড়বেন? বই পড়লে কি হয় আর না পড়লে কি হয়?
বই পড়ার ১০টি কারণ যা বই সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিবে -
১। মানসিক ব্যায়ামঃ
শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন ব্যায়াম এর বিকল্প নেই তেমনি একইভাবে, আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখতে মানসিক ব্যায়াম জরুরি। মানসিক ব্যায়াম না করার ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।
ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের এই ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। ব্যবহার না করলে এই ক্ষমতা হারিয়ে যাবে। বই পড়া মানসিক ব্যায়াম এর একটি বড় মাধ্যম। আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখার জন্য নিয়মিত বই পড়া জরুরি।
২। মানসিক চাপ কমানোঃ
আপনি ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, একাডেমিক কিংবা চাকরিজীবনে যতই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, এই সকল চাপকে আপনি পাশে সরিয়ে রাখতে পারেন যখন আপনি একটি ভালো বইয়ের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেন।
একটি ভালো বই আপনার দুশ্চিন্তা ও অবসাদ্গুলোকে পাশে সরিয়ে আপনাকে একটি অন্য দুনিয়ায় নিয়ে যেতে পারবে, যার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৩। জ্ঞানঃ
বই পড়লে জ্ঞান বাড়বে - একথা বলাই বাহুল্য। নতুন নতুন তথ্য যা অব্যশই কোন না কোনো দিন আপনার দরকারে আসবে। আপনার জ্ঞানের ভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, আপনার জীবনের বাধা বিপত্তি গুলো অতিক্রমে আপনি ততটাই শক্তিশালী হবেন।
একটি কথা আমরা সবাই জানি - আপনার চাকরি/ব্যবসায়, আপনার সম্পত্তি, আপনার অর্থবিত্ত, আপনার স্বাস্থ্য - সবই হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনার অর্জিত জ্ঞান সবসময়ই আপনার সাথে থাকবে।
৪। শব্দভান্ডার বৃদ্ধিঃ
আপনি যত পড়বেন, তত নতুন নতুন শব্দ শিখবেন। আর এতেই আপনার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। পারস্পরিক কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ আমাদের শিক্ষাজীবন, ব্যক্তিজীবন বা কর্মজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে তো সুন্দর ভাষা বা ভালো যোগাযোগ দক্ষতার জন্য অনেকে বেশ সমাদৃত হন।
এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে আপনাকে সব থেকে সাহায্য করবে, 'বই পড়া'। নতুন শব্দ, এর অর্থ ও প্রয়োগ আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করে তুলতে পারে।
৫। স্মৃতিশক্তির উন্নতিঃ
তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি আমরা কে না চাই! প্রায়ই আমরা বলে থাকি, স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে, অনেক কিছু মনে থাকে না। আবার ভালো স্মৃতিশক্তির মানুষকে আমরা শ্রদ্ধার চোখে দেখি।
আপনি যখন একটি বই পড়েন, আপনাকে বইয়ের চরিত্র ও তাদের ভূমিকা, তাদের পটভূমি, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তাদের ইতিহাস, সূক্ষ্মতা স্মরণে রাখতে হয়।
আর মজার ব্যাপার হলো, আপনি যখনই আপনার মস্তিষ্কে নতুন একটি স্মৃতি দেন, তা একটি নতুন পথ তৈরি করে আপনার ব্রেইনে এবং আগের স্মৃতিগুলোকেও শক্তিশালী করে তোলে।
৬। চিন্তাশক্তি দক্ষতা:
দিন দিন একটি শব্দ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, Critical Thinking বা জটিল চিন্তাশক্তি। কর্ম বা ব্যক্তিজীবনে এই দক্ষতার কদর বেড়েই চলেছে। আমরা বই পড়ার সময় প্রায়ই জটিল কিছু ঘটনার কথা পড়ি, যেগুলো নিয়ে আমরা সচেতন বা অবচেতনভাবে চিন্তা করি। ঘটনাগুলোকে ধাপে ধাপে সাঁজাতে চেষ্টা করি, সমাধান করার চেষ্টা করি।
অনেক পাঠক তো রীতিমত কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় রহস্য গল্প সমাধান করার জন্য। এছাড়াও বই গুলো নিয়ে আমরা অনেকের সাথে আলাপ করি, আমাদের চিন্তা, লেখকের চিন্তা ব্যক্ত করার চেষ্টা করি।
এইসবই কিন্তু আমাদের চিন্তাশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই দক্ষতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
৭। একাগ্রতা বৃদ্ধিঃ
আপনি কি খেয়াল করেছেন, ফেসবুকে একসময় আমরা দীর্ঘ বা বড় ভিডিও দেখতাম, কিন্তু সেখান থেকে আমরা ছোট্ট রিলসে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি? আমরা সারাদিন ফেসবুক ব্যবহার করি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই দিন শেষে বলতে পারবে না, আজকে ফেসবুকে কি কি বিষয় আমরা দেখেছে? শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি, প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।
আর আমাদের কাছ থেকে কেঁড়ে নিয়ে গেছে একাগ্রতার মত গুন। যেকোনো কাজে একাগ্রতা অত্যাবশক একটি ব্যাপার। একাগ্রতা দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ অতীতে হয়েছে। যা দিন দিন আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
যখন আমরা বই পড়ি, তখন আমরা অন্যসব কিছু থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারি, একাগ্রভাবে গল্পের বা বইয়ের মধ্যে ডুবে যেতে পারি। যা আমাদের একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ব্যাপকভাবে।
৮। ভালো লেখার দক্ষতাঃ
পড়া এবং লেখা একে অপরের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। পড়ার মাধ্যমে আমাদের ভাষা ও শব্দের জ্ঞান বাড়ে আর এই জ্ঞান আমাদের লেখনীশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই জন্যই বলে, লেখক হতে গেলে আগে অনেক অনেক পড়তে হবে, এরপর লিখতে হবে।
৯। প্রশান্তিঃ
বর্তমান সময়ে বই পড়ার সবথেকে বড় উপকার যদি চিন্তা করেন, বই পড়ার কারণে আমরা যে মানসিক প্রশান্তি পাই, সেটাই অনেক বড়। বই পড়ার সময়ে আমরা হয়তো ডিজিটাল ডিভাইসের পিছনে সময় নষ্ট করতাম, সেটা না করে আমরা যে ভালো কিছু পড়েছি, কিছু শিখেছি, এই চিন্তা এই প্রশান্তির কি অমূল্য নয়?
১০। বিনোদনঃ
বই পড়ে উপরের সবগুলো উপকার তো আমরা পাচ্ছিই, পাশাপাশি এটা আমাদের একটা বিনোদনের মাধ্যম। সবথেকে সস্তা কিন্তু কার্যকরী মাধ্যম। একটি ভাল গল্প, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের মনকে বিনোদিত করে আর এটা বিনোদনের সর্বোত্তম পথ। নির্মল ও শান্তিময় বিনোদন হলো - বই পড়া।
বিঃদ্রঃ অনূদিত।
সফলতার সিঁড়ি: পাড়ি দেওয়ার কিছু ধাপ
সফলতা একটি লক্ষ্য নয়, বরং একটি যাত্রা। এই যাত্রায় সফল হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। আসুন, সেই পদক্ষেপগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
১. কঠোর পরিশ্রম: সফলতা কখনোই আকাশ থেকে পড়ে না। এর জন্য নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। শর্টকাট নেই, সহজ পথ নেই। কঠোর পরিশ্রমই সফলতার একমাত্র চাবিকাঠি।
২. ধৈর্য: সফলতা একদিনে আসে না। ধৈর্য্য হারালে সফলতার পথে অনেক দূর যেতে হবে। প্রথমে কিছুই হয় না, এরপর একটু একটু হয় এবং পরে একসাথে অনেকটা সামনে চলে যাওয়া যায়। কাজের ফল তাৎক্ষণিক না পেয়ে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে চলতে থাকলে একদিন সফলতা নিশ্চিত।
৩. আত্মত্যাগ: স্বপ্নপূরণের পথে অনেক কিছুই ছেড়ে দিতে হয়। আরাম, বিনোদন, এমনকি কখনো কখনো অনেক অনেক প্রিয়কিছু। পৃথিবীতে কোনো কিছুই ফ্রি-তে বা সহজে পাওয়া যায় না। আত্মত্যাগ ছাড়া সফলতার শিখরে পৌঁছানো কঠিন।
৪. ধারাবাহিকতা: ধারাবাহিকতা আমাদের কাজগুলোকে মধ্যম মানের থেকে সর্বোত্তম মানের করে তোলে। একবারের চেষ্টায় সফল হওয়া সম্ভব নয়। ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যেতে হবে।
৫. শৃঙ্খলা: অনুপ্রেরণা কাজ শুরু করতে সাহায্য করে, কিন্তু শৃঙ্খলা কাজ শেষ করতে সাহায্য করে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আপনাকে হতাশ করবে, তবে সেই সময়ও আপনাকে চলতে সাহায্য করবে আপনার শৃঙ্খলা, আপনার সেরা অভ্যাসগুলো।
শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন সফলতার অন্যতম পূর্বশর্ত।
৬. আত্মবিশ্বাস: ব্যর্থতা স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যর্থতার পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসই আত্মবিশ্বাস। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যে সাহস আপনার থাকবে, সেটাই আত্মবিশ্বাস। নিজের উপর বিশ্বাস না থাকলে সফল হওয়া অসম্ভব।
"বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে।"
- জেমস রাসেল
ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের সবার জীবনে সুখ ও শান্তি বয়ে নিয়ে আসুক৷
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
14th Floor, Sattara Center 30/A VIP Road, Naya Paltan
Dhaka
1000
Opening Hours
Monday | 09:00 - 18:00 |
Tuesday | 09:00 - 18:00 |
Wednesday | 09:00 - 18:00 |
Thursday | 09:00 - 18:00 |
Saturday | 09:00 - 18:00 |
Sunday | 09:00 - 18:00 |
Dhaka, 1217
Assalamu Alaikum. Welcome to পুঁথি কুটির. Do you like to read books in your spar
Shop-3, 40/41 Ahamed Complex Banglabazar
Dhaka, 1100
যে কোনো বই সহজেই অর্ডার করতে ভিজিট করুন 👇 https://boimelaonlinebd.com
Plot # 286 & 288, Apt # D-1, Road # 04, Avenue # 03, Mirpur DOHS
Dhaka, 1216
ISRA Book is a Bangladeshi online bookstore. Our main aim is selling and promoting Islami books.
2nd Floor, 33/1-A, Opposite To Post Office, Banglabazar
Dhaka
পছন্দের বই সর্বাধিক ছাড়ে পেতে আমাদের ইনবক্স করুন..
১০২/২/বি পুলপার বটতলা, কাটাসুর, মোহাম্মদপুর
Dhaka, 1207
Old & New Books (Depends on stock)