Police Bureau of Investigation
Nearby government services
Level #2, House #95, Block #A, Road
মামলা তদন্ত সংক্রান্তে কোন অভিযোগ থাকলে Send Message অপশনে ইনবক্স করুন।
Police Bureau of Investigation-
A Specialised Investigation Unit of Bangladesh Police;
Maximises the use of scientific tools and modern equipment to investigate cases;
Gradual shifting from oral testimony to physical evidence based investigation;
Maintains good rapport with the court and the prosecution;
Keeping victim and/or complainant updated with the development of cases;
Investigation c
মামলা তদন্তে সততা, নিষ্ঠার পাশাপাশি ইনোভেশন ও ডকুমেন্টেশনে গুরুত্বারোপের আহবান জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান
মামলা তদন্তে সততা, নিষ্ঠার পাশাপাশি ইনোভেশন ও ডকুমেন্টেশনে গুরুত্বারোপ করার আহবান জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে পিবিআই সিলেট জেলায় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় পিবিআই সিলেট জেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আলোচ্য ইউনিটের স্থাপনা, অফিসের কক্ষ সমূহ, হাজতখানা, খাবারের মেস পরিদর্শনসহ পিবিআই সিলেট অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি অফিসে আগত দর্শনার্থীদের যেনো কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পিবিআই সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ খালেদ—উজ—জামান অ্যাডিশনাল আইজিপি মহোদয়কে সহযোগিতা করেন।
পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় ও অপরাধ সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন। সভায় তিনি পিবিআই সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি পিবিআইর তদন্তে সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকল তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিরলসভাবে কাজ করার উৎসাহ প্রদান করেন।
পিবিআই এর সফলতার নজির স্বরূপ কিছু মামলার সাফল্যের বিষয়বস্তু আলোচনা করেন। মামলা তদন্ত সহ বিচার কার্যে ডকুমেন্টেশনে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন “মামলা তদন্তে ডকুমেন্টেশন ভালোভাবে করতে হবে। তিনি গুরুত্বর্পূণ মামলা সহ সিআর মামলাকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা, ভিকটিম উদ্ধার, ইনোভেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দর্শনার্থী, নারী ও শিশু এবং ভিকটিমদের প্রতি আন্তরিক ও সহানুভুতিশীল হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। মামলা তদন্তে সততা, নিষ্ঠা, তদন্তের গুনগত মান ধরে রাখা ও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ছায়াতদন্ত রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণে সর্বদা আন্তরিক থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার পাশাপাশি সকল তদন্তকারী কর্মকর্তাগণকে তাদের তদন্তকালীন প্রতিটি চ্যালেঞ্জ ও তার সমাধান সমূহ বই লেখার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্দেশনা প্রদান করেন । বিশেষ মতবিনিময় সভা শেষে অ্যাডিশনাল আইজিপি মহোদয়কে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন পিবিআই সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ খালেদ—উজ— জামান।
অ্যাডিশনাল আইজিপি মহোদয় তাঁর সহধর্মিণী ডাঃ জয়া মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে সিলেট জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ডিবির হাওর, জাফলং, তামাবিল স্থল বন্দর জিরো পয়েন্ট, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, লাক্কাতুরা চা বাগান, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, আগুন পাহাড় ভ্রমণ করেন। এ সময় পিবিআই সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ খালেদ—উজ—জামান ও সহধর্মিণী ডাঃ শেখ তানিয়া বিনতে হাফিজ দ্বয় তাদের সফর সঙ্গী ছিলেন। পিবিআই প্রধান সুনামগঞ্জ জেলার হাছন রাজার বাড়ি, মিউজিয়াম ও কবরস্থান, অদ্ধৈত্ব মাহাপ্রভুর বাড়ি, হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ) মাজার, হাওর বিলাস দর্শন করেন। এছাড়াও তিনি সিলেটে হযরত শাহজালাল(রঃ) মাজার ও হযরত শাহপরাণ (রঃ) মাজার এবং শ্রী শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর বাড়ি দর্শন করেন। তিনি গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে সাবেক পুলিশ সমন্বয়ক (আইজিপি) প্রয়াত ফণী ভূষণ চৌধুরী’র সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
পিবিআই সিলেট জেলার অধিগ্রহণকৃত ভূমি পরিদর্শনকালে পিবিআই প্রধান উক্ত জমিতে ০১ টি অর্জুন গাছের চারা ও তাঁর সহধর্মিণী ডাঃ জয়া মল্লিক ০১ টি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপন করেন।
গত ১৮ ই ডিসেম্বর পাঁচ দিনের সরকারী সফরে পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় সিলেটে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম, এসএমপি'র পুলিশ কমিশনার জনাব মো: জাকির হোসেন খান, পিপিএম, সিলেট রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব শেখ শরীফুল ইসলাম, পিবিআই সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ খালেদ—উজ—জামান , সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সহ এসএমপি'র বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোরচক্রের ৯ জন কে গ্রফতার ও দুই টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার
মোঃ আলম হাওলাদার ইজি বাইক চালক ও মালিক প্রতিদিনের ন্যায় গত ইং ০৭/১২/২০২৩ তারিখ তার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর বাস স্ট্যন্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করা অবস্থায় একজন (মোঃ বসির উদ্দিন ওরফে সাগর) নিজেকে র্যাব অফিসার পরিচয় দিয়ে তার গাড়ীতে যাত্রীবেশে উঠে পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানা এলাকায় বাধাল বাজারের নিকটবর্তী নির্জন শাখা রোডে আসে। সেখানে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা তার সহযোগীর বাচ্চু এসে জানায় তার গাড়ী পুলিশ আটক করছে। তখন র্যাবের অফিসার পরিচয়দানকারী ব্যক্তি বলে ”তুই আমার কথা বলস নাই আমি র্যাবের অফিসার আমার লোকের গাড়ী কিভাবে আটকায়। যা কাগজপত্র নিয়া আয়”। কিছুক্ষন পরে র্যাবের অফিসার পরিচয়দানকারী ব্যক্তি মোঃ বসির উদ্দিন ওরফে সাগর ইজিবাইক চালককে বলে ”তুমি একটু ওর বাসায় গিয়ে বলো ও যেন আসার সময় ব্লু-বুক নিয়ে আসে”। বাদী সরল বিশ্বাসে তার ইজিবাইক তালা বন্ধ করে রেখে বাচ্চুর কাছে গেলে চোর চক্রের আরেক সদস্য মহিউদ্দিন মোটর সাইকেল নিয়ে ইজিবাইক চালকের সামনে এসে থামিয়ে স্টার্ট বন্ধের অভিনয় করে বলে ”ভাই একটু ঠেলে স্টার্ট করে দেন।” এভাবে তাকে ব্যস্ত রাখে । অপরদিকে চোর চক্রের আরেক সদস্য মো: সাইফুল ইসলাম@চান মিয়া সিকদার ইজিবাইকটির তার কেটে ডাইরেক্ট লাইন করে দিয়ে ইজিবাইক সচল করে দিলে মোঃ ইমরান মোল্যা@ ইমন ইজিবাইকটি চালিয়ে নিয়ে পালিয়ে গোপালগঞ্জ চলে যায়।
পরে মো: সাইফুল ইসলাম@চান মিয়া সিকদার উক্ত ইজিবাইকটি গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ লাইন মোড় এলাকায় ৬০০০০ টাকা দিয়ে কিনে নেয় এবং ঐদিনই চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের আরেক চোরচক্রের সদস্য মোঃ আমির ফকির এর নিকট ৮০০০০ টাকায় বিক্রয় করে দেয়। আমির ফকির উক্ত ইজিবাইকটি ক্রয় করে কিছু মেরামত ও রং পরিবর্তনের জন্য জনৈক গ্যারেজ মিস্ত্রী নূর ইসলাম এর কাছে দেয়।
ইজিবাইক চালক ও মালিক বাদী আলম হাওলাদার তার ইজিবাইক চুরির বিষয়ে কচুয়া থানায় গেলে কচুয়া থানার ডিউটি অফিসার ঘটনাস্থলের বর্ণনা শুনে বলে ”উক্ত এলাকা মোড়েলগঞ্জ থানাধীন। আপনি সেখানে যান। সেই সাথে পিবিআই বাগেরহাট সম্প্রতি একটি মামলা উদঘাটন করেছে, আপনি সেখানে গেলে আরো ভাল সেবা পাবেন।” ইজিবাইক চালক ও মালিক বাদী আলম হাওলাদার মোড়েলগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দিয়ে আসেন এবং একই অভিযোগ নিয়ে পিবিআই বাগেরহাট অফিসে এলে পুলিশ সুপার পিবিআই বাগেরহাট মোঃ আবদুর রহমান মহোদয় বিষয়টি সাধারন ডাইরী ভুক্ত করে ছায়া তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত বিষয়ে এসআই গুরুদাস মন্ডলকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেন। উক্ত টিম ঘটনাটির শ্যাডো ইনভেস্টিগেশন করে পুরো চোরচক্রকে সনাক্ত করলে ইজিবাইক চালক ও মালিক মোঃ আলম হাওলাদারকে মোড়েলগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি নিয়মিত মামলা করতে বলে। তিনি মামলা রুজু করার পর (মামলা নং--- তারিখ ১৮/১/২৩) মামলাটি পিবিআই বাগেরহাট তদন্ত করার জন্য পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর অনুমতি চেয়ে পত্র প্রেরণ করলে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স অনুমতি প্রদান করে। পরে উক্ত টিম পটুয়াখালীর দশমিনা হতে চোরচক্রের সদস্য মোঃ আঃ কাদের(৪৫) কে গ্রেফতার করে ও তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢাকার গাজিপুর, নারায়নগঞ্জ এর রূপগঞ্জ এলাকা ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানা এলাকা ও কোটালীপাড়া থানা এলাকা থেকে একে একে ৯ জন সদস্য গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ২ টি ইজিবাইক, চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এছাড়াও চোরাই ইজিবাইক ক্রয় করার উদ্দেশ্যে রাখা ৫০০০০ হাজার টাকাসহ মোঃ আমির ফকিরকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য যে এই আমির ফকির এর হেফাজত থেকেই অত্র মামলার ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়।
অত্র মামলার অন্যতম আসামী সাইফুল ইসলাম@চান মিয়া সিকদারকে গ্রেফতার করার সময় তার অপর দুইজন সহযোগী সাইফুল ইসলাম ও রসুল আমিন হাওলাদার সাগরদের নিকট থেকে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় নড়াইল এর লোহাগাড়া এলাকা থেকে তারা এটি চুরি করে এনেছে। চালককে জুসের সাথে নেশা জাতীয় ঔষধ মিশিয়ে তা পান করিয়ে অজ্ঞান করে তারা এটি চুরি করে এনেছে। এ চক্রের অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম@চান মিয়া সিকদার এর হেফাজত থেকে চেতনানাষক ট্যাবলেট (LORAZEPAM 2mg) এর একটি পরিপূর্ণ পাতা যাতে মোট ৩০ টি ট্যাবলেট আছে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। তদন্ত অব্যহত আছে এবং তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।
খুনের যেসব মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়, সেগুলোর নথি অন্তত ৩০ বছর সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে পিবিআই।
জট না খোলা হত্যা মামলার নথি সংরক্ষণ থাকবে ৩০ বছর বর্তমানে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হয়েছে এমন খুনের মামলার নথি ১৪ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। এটি ৩০ বছর করতে পিআরবি সংশো.....
মহান বিজয় দিবসে সকল শহীদের প্রতি পিবিআইয়ের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
আজ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ মহান বিজয় দিবস। এক অবিস্মরণীয় বীরত্বগাথা গৌরবময় দিন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার দিন আজ। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩তে পদার্পণের দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের দেশ হিসেবে জানান দেয়ার দিন আজ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জন করেছিল বিজয়। গণতন্ত্রের চেতনা স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের এই দিনে। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ আর সীমাহীন কষ্টের প্রহর কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালের এই দিনে। সেই সব বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্বক শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পিবিআই বিভিন্ন ইউনিট।
পিবিআই বগুড়া জেলায় কর্তৃক "প্রেস রিলিজ গাইড লাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা" অনুষ্ঠিত
পিবিআই বগুড়া জেলা কর্তৃক ০১ (এক) দিন ব্যাপী "প্রেস রিলিজ গাইড লাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা" অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় সঞ্চালক হিসেবে জনাব কাজী এহসানুল কবীর, পুলিশ সুপার, পিবিআই, বগুড়া জেলা মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব জেএম রউফ, জেলা প্রতিনিধি, কালের কণ্ঠ, বগুড়া জেলা ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুর রহিম, ক্যামেরা পার্সন, জেলা প্রতিনিধি, নাগরিক টিভি, বগুড়া জেলা। উক্ত কর্মশালায় বগুড়া,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ পিবিআই এ কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) পদ মর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই কুমিল্লা জেলায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইন্স ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মসূচী' অনুষ্ঠিত
গত ইং ১২/১২/২০২৩ তাং মঙ্গলবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকা হতে বিকাল ০৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত 'প্রেস রিলিজ গাইডলাইন্স ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মসূচী' শীর্ষক১ (এক) দিন ব্যাপী ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন জনাব মোঃ মিজানুর রহমান পুলিশ সুপার পি বি আই কুমিল্লা। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক জনাব আবু মুছা, জেলা প্রতিনিধি মাই টিভি কুমিল্লা। আলোচক জনাব অমিত মজুমদার। সম্পাদক জাগো কুমিল্লা। এতে আরো অংশগ্রহণ করেন পি বি আই কুমিল্লা, ফেনী এবং নোয়াখালি জেলার ইন্সপেক্টর এবং সাব-ইন্সপেক্টরবৃন্দ।
পিবিআই ময়মনসিংহ জেলায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইন্স ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
আজ ১২/১২/২৩ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় মিডিয়া উপযোগী প্রেস রিলিজ গাইডলাইন্স ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন জনাব বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রতিনিধি, ৭১ টেলিভিশন ও দৈনিক জনকণ্ঠ এবং ভিডিও এডিটিং বিষয়ে আলোচক ছিলেন জনাব দেলোয়ার হোসেন, ক্যামেরা পার্সন, যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক কালবেলা। কর্মশালা সঞ্চালন করেন জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার, পুলিশ সুপার, পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা। নাগরিকদের কাছে সহজবোধ্য, সাবলীল ভাষা ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত ও কার্যকর প্রেস রিলিজ তৈরি করার কলাকৌশল আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ভিডিওগ্রাফি ও স্টিল পিকচারের মাধ্যমে কোন বিষয় প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপনের বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পিবিআই ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলার কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ। উক্ত কর্মসূচি ০৯.০০ ঘটিকায় শুরু হয়ে ১৬.০০ ঘটিকায় শেষ হয়।
পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার বলেন, বর্তমান সময়ের আলোকে এ ধরনের যুগোপযোগী বিষয়ে সকল পেশাজীবীদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। সাংবাদিকতার মতো ঝুঁকিপূর্ণ মহান ও কষ্টসহিষ্ণু পেশায় নিয়োজিত সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
খান জাহান আলী মাজার পুকুরে অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই, বাগেরহাট
গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সকাল অনুমান ৮.৪৫ ঘটিকার সময় স্থানীয় একজন মহিলা বাগেরহাট খান জাহান আলী মাজার পুকুর একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। স্থানীয় লোকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাত মৃতদেহ পানি থেকে উত্তোলন করে। মৃতদেহ টির পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় পিবিআই বাগেরহাট পুলিশকে বিষয় টি অবগত করা হলে পুলিশ সুপার জনাব আবদুর রহমান পিবিআই, বাগেরহাট জেলার নির্দেশে পিবিআই ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ টি সনাক্তের উদ্দেশ্য আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে মৃতদের আত্মীয় স্বজনরা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
ভিক্টিমের আত্মীয় স্বজনরা জানান ভিক্টিম প্রহ্লাদ দাস@ভোলা (৫৩)গত ৩০/১১/২০২৩ তারিখ তার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তারা ১/১২/২০২৩ তারিখ কচুয়া, বাগেরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আজ সংবাদ পেয়ে তারা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
পিবিআই বাগেরহাট ভিক্টিমের আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই প্রধান জনাব বনোজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে পুলিশ সুপার জনাব আবদুর রহমান এর সার্বিক তত্বাবধানে এসআই কমলেশ এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম ছায়া তদন্ত অব্যহত রাখে। টিম বাগেরহাট শহরের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মোঃ ইউসুফ (৩৬) কে ঢাকার দারুস সালাম প্রিয়াঙ্গন আবাসিক এলাকা থেকে পিবিআই মেট্রো উত্তর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার এর সহায়তায় গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ শামসুল হক মুম্সি@শামসু (২৬) এবং শামসু এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ৩২) কে ভিক্টিমের অটোরিকশাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই চিতলমারী থানার বাসিন্দা।
আসামিরা জানায় যে, আটো চুরির উদ্দেশ্য তারা ভিক্টিমকে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করিয়ে তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে ভিক্টিমের অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
অটোটি ৩নং আসামি ক্রয় করে তার অংশ রেখে বাকি টাকা অপর দুই আসামি কে দেয়। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য তারা প্রায়ই এমন অটোরিকশা চুরি করে বলে পিবিআই এর নিকট স্বীকার করেছে।
বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কোর্ট এ প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
০৮ টি ডাকাতি মামলা, ০১ টি ধর্ষণ মামলার আসামী কুখ্যাত ডাকাত সুমন সরকার (৪০) পিবিআই, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার
কুখ্যাত ডাকাত সুমন সরকার (৪০), পিতা-মৃত আঃ সালাম সরকার ওরফে সালামত সরকার, মাতা-মৃত জোবেদা খাতুন, সাং-সাধারচর, ০২ নং-উত্তর সাধারচর ইউপি, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই কিশোরগঞ্জ জেলা। গত ০৫/১২/২০২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১০.১৫ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে বাদী মোঃ নবী হোসেন কর্তৃক দায়েরকৃত ডাকাতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২২/১০/২০২০ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় বাদীর পরিবারের সদস্যগণ যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় বাদীর বসত ঘরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশের রুমে থাকা বাদীর মেয়ে হাফসা (১৪) ও ভাতিজী আফছানা মিমি (১২) দ্বয়ের রুমের ভিতরে আলমারি ভাঙ্গার শব্দ শুনে বাদী ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে অজ্ঞাতনামা লোকদের দেখে আটক করার চেষ্টা করলে তারা বাদীদের সাথে ধস্তাধস্তি করে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে ০১ টি মটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী দেখতে পান যে, ডাকাতদল তার বসত ঘরের ক্যাচি গেইটের তালা কেটে ০১ টি মটর সাইকেল, আলমারী হতে ১,৭০,০০০/- টাকা, স্বর্ণের দুল, ০৩ টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এ সংক্রান্তে ভূক্তভোগী মোঃ নাবী হোসেন (৪২), পিতা-হাজী মোঃ সুরুজ আলী, সাং-ইমামেরচর, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় এজাহারনামীয় ০১ জন সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামী করে ভৈরব থানার মামলা নং-৩৮, তারিখঃ-২৬/১০/২০২০ ইং, ধারা-৩৫৭/৩৮০ সংযোজিত ৩৯৫/৩৯৭ দঃ বিঃ দায়ের করলে অফিসার ইনর্চাজ, ভৈরব থানা মামলাটি রুজু করত: এসআই (নিঃ) আঃ ছালাম এর উপর তদন্তভার অর্পণ করেন। বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে ও বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শে মামলাটি পিবিআই কিশোরগঞ্জ জেলা গত ০৫/১১/২০২৩ খ্রিঃ গ্রহণ করে।
পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই কিশোরগঞ্জ ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার, জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন, পিপিএম এর সার্বিক সহযোগিতায় এসআই (নিঃ) আবু কালাম মামলাটির তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তে জানা যায় যে, আসামীগণ যথা সুমন, আব্দুল্লাহ, রুবেল, আসাবুদ্দিন, আলামিন, আমজাদ, রিপন, জাহাঙ্গীর এবং জিল্লু সমবয়সী ও পরস্পরে বন্ধু। উক্ত আসামীগনের একটি সংঘবদ্ধ চুরি/ছিনতাই/ডাকাতি সিন্ডিকেট রয়েছে এবং উক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা র্দীঘদিন থেকে সড়ক ও নৌ পথে চুরি/ছিনতাই/ডাকাতি করে আসছে। ঘটনার সাত দিন আগে আসামী সুমন, আব্দুল্লাহ ও জিল্লু মিলে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক আসামীগণ ১। সুমন, ২। আব্দুল্লাহ, ৩। রুবেল, ৪। আসাবুদ্দিন, ৫। আলামিন, ৬। আমজাদ, ৭। রিপন, ৮। জাহাঙ্গীর, ৯। জিল্লু বাদী মোঃ নাবী হোসেনের বাড়ীর পিছনের মিলিত হয়। এরপর আসামী আমজাদ ও জাহাঙ্গীর কাটার দিয়া তালা কাটলে রুবেল, রিপন, আলআমিন এবং সুমন দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ০১ টি মটর সাইকেল, আলমারী হতে ১,৭০,০০০/- টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের দুল, ০৩ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী সুমন, জিল্লু ও আব্দুল্লাহ প্রত্যেকে ডাকাতির ১০,০০০/-টাকা ও ০১ টি করে মোবাইল নেয়। তারা চক্রের বাকী সদস্যদেরকে ৭/৮ হাজার টাকা করে দেয়। তারা স্বর্ণের দুল ১৫,০০০/- টাকায় আব্দুল্লাহ এর মার নিকট বিক্রয় করে প্রত্যেকে ২/৩ হাজার টাকা করে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। এছাড়াও আসামীগণ ডাকাতি করা মোটর সাইকেলটি তাদের বন্ধু দ্বীন ইসলামের কাছে ৫০,০০০/- টাকায় বিক্রয় করে প্রত্যেকে ৫০০০/- টাকা করে নিয়ে যার যার মত চলে যায়।
আজ ০৬/১২/২০২৩ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামী সুমন সরকার (৪০) কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে নিজেকে জড়িয়ে উক্ত ডাকাতির ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পিবিআই প্রধান
BTV: দুপুর ২টার সংবাদ -০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩: https://www.youtube.com/watch?v=-kQUxNjwXQc
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পিবিআই প্রধান
“ঢাকাবাসী” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন পিবিআই প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম(বার), পিপিএম। কর্মসূচী মধ্যে ছিল র্যা লী, ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে ও গাড়ি চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলায় উদ্বুদ্ধকরণ এবং পথসভা।
আজ ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ১১:৩০ টায় সাইন্স ল্যাবরেটরি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারী ও গাড়ি চালকদের মাঝে ফুল, লিফলেট, চকলেট বিতরনসহ গাড়িতে সচেতনতামূলক স্টীকার লাগান প্রধান অতিথি পিবিআই প্রধান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন “ঢাকাবাসী” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি জনাব মোঃ শুকুর সালেক। পায়রা উড়িয়ে উনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
“ঢাকাবাসী”সংগঠন কে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ডে (আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস) সারা পৃথিবীতে ভলান্টিয়ারদের উৎসাহিত করার জন্য এই দিবস পালন করা হয়। এই ভলান্টিয়ারিং সারা পৃথিবীর বড় ধরনের কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে যারা অংশগ্রহণ করেন ভবিষ্যতে তারা সমাজে অংশগ্রহণ করেন, সমাজ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করেন, সমাজ উন্নয়নে অংশগ্রহণ করেন, সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের পক্ষে থাকেন। সারা পৃথিবীর সকল দেশের সকল সমাজে এই ভলান্টিয়ারাই বিভিন্ন দূর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকেন। তিনি এই ‘ভলান্টিয়ার ডে’ তে যারা ভবিষ্যতে অংশগ্রহণ করবেন এবং যারা এই অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় আসছেন তাদের সকলকে এবং “ঢাকাবাসী”সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান।
“ঢাকাবাসী” সংগঠনের সভাপতি ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম সার্ক যুব স্বর্ণপদক বিজয়ী মো. শুকুর সালেক বলেন, আমরা প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন করে থাকি। এ সময় তিনি জন সাধারণকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংগঠন ফেডারেশনের সভাপতি জনাব দুলাল বিশ্বাস, হোপ-৮৭ এর কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব রেজাউল করিম বাবু, সাজ যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাজিয়া রহমান, যুব সংগঠক মেনন, সাথী নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি এড. লুৎফর আহসান বাবু, শাপলা সমাজ সেবা সংস্থা'র সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, ঢাকাবাসীর মহাসচিব শেখ খোদা বক্স ও ঢাকাবাসীর আজীবন সদস্য জনাব খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মিডিয়া জনাব মোঃ আবু ইউসুফ, নিউমার্কেট ইন্সপেক্টার (ট্রাফিক) জনাব জাহেদ।
পিবিআই এর ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খান এর অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা
পিবিআই পূর্বাঞ্চলের বিদায়ী ডিআইজি জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান চাকুরী হতে অবসর প্রাপ্ত হওয়ায় পিবিআই কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১.৩০ টায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম। পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর অফিসার-ফোর্স সহ ঢাকা ও আশপাশের ইউনিট প্রধানগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিদায়ী অতিথিকে ফুল, ক্রেষ্ট এবং উপহার সামগ্রী প্রদান পূর্বক বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিদায়ী অতিথি ডিআইজি জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান বলেন, বিদায় নিতে হয় তাই বিদায় নিচ্ছি। মন থেকে বিদায় নিতে পারছি না। সবাইকে নিয়ে যে বিশাল পরিবারে দীর্ঘ ৩২ বছরের পথচলা, কাজ করেছি, ভাব বিনিময় করেছি, এত বড় পরিবার থেকে কিভাবে বিদায় নেই? আমি ধন্যবাদ জানাই, আপনারা আমার শেষ কর্ম দিবসে আমাকে মন খারাপ হতে দেন নাই। আমার অত্যন্ত সৌভাগ্য ক্রিমিনাল এডমিনিস্টেশন দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, সেই অপরাধ প্রশাসন থেকেই বিদায় নিচ্ছি। আমি পিবিআই থেকে অপরাধ প্রশাসন সম্পর্কে চাকুরির শেষ সময়েও অনেক কিছু শিখেছি।
তিনি সকলের উদ্দেশ্যে উপদেশ প্রদান পূর্বক বলেন, পিবিআই যে উচ্চতায় উঠেছে তা ধরে রাখতে হবে। আমি আপনাদের সুনামে আনন্দিত হব। পিবিআইতে আমার কার্যক্রমে আপনারা বিভিন্নভাবে আমাকে সাহায্য করেছন। এটি আমি ভুলব না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা দিয়ে বিদায়ী অতিথি তার বক্তব্য শেষ বলেন-
“একদিন তরীখানা থেমেছিল এই ঘাটে লেগে,
বসন্তের নূতন হাওয়ার বেগে।
তোমরা সুধায়েছিলে মোরে ডাকি’
পরিচয় কোনো আছে না কি,
যাবে কোন্খানে।
আমি শুধু বলেছি, কে জানে।
নদীতে লাগিল দোলা, বাঁধনে পড়িল টান
একা বসে গাহিলাম যৌবনের বেদনার গান।
সেই গান শুনি’
কুসুমিত তরুতলে তরুণ তরুণী
তুলিল অশোক,
মোর হাতে দিয়ে তা’রা কহিল, এ আমাদেরি লোক।
আর কিছু নয়,
সে মোর প্রথম পরিচয়।”
প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, আমাদের ব্যাচে দুজন কবি ছিলেন। মোর্শেদুল আনোয়ার খান তাদের একজন। মোর্শেদুলের দ্বারা পিবিআই অনেক উপকৃত হয়েছে। তিনি পিবিআই’তে ফুটপ্রিন্ট রেখে গেছেন; উত্তরসূরীরা তা মনে রাখবে। পিবিআই প্রধান বিদায়ী অতিথি সুস্থ্যতা কামনা করেন। তিনি ভবিষ্যতেও কাজের মধ্যে থাকবেন এই প্রত্যাশা জ্ঞাপন পূর্বক পিবিআই প্রধান তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জনাব মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বিপিএম, পিপিএম বলেন, জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যার সুস্থ্যতার সাথে, সম্মানের সাথে, সহকর্মীদের ভালবাসার সাথে কর্মজীবন অবসান ঘটান, স্যারকে অভিনন্দন। স্যার অনেক বিষয়ে পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ডিআইজি, পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং সিলেট বিভাগ জনাব মোহাঃ আবদুল মালেক বলেন, সারদা থেকেই জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যারদের ব্যাচের লোকজনের সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাঁর বাচনভঙ্গি, দক্ষতা ও দিক নির্দেশনা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্যার, আসামীদের প্রতি অন্যায় ও অতি মাত্রায় আইনের প্রয়োগ যাতে না হয় তার প্রতি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব সায়েদুর রহমান বলেন, আজকের অনুষ্ঠান মন ভেঙ্গে দেয়ার অনুষ্ঠান। জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যারের বিদায় দিতে গিয়ে মন ভারাক্রান্ত হয়। স্যারের মতো কাজ জানা লোককে পিবিআই এবং বাংলাদেশ পুলিশ হারাতে যাচ্ছে যা অত্যন্ত বেদনার। পিবিআইতে আমরা স্যারের কাছে নিত্যই শিখেছি। ৩২ বছর স্যার পুলিশ প্রতিটি স্টেশনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চাকুরি করেছেন যা স্বরণযোগ্য। আমরা চাই আপনাকে অনুসরণ করতে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোঃ আহসান হাবীব পলাশ বলেন, জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যার ৪টি জেলার এসপি ছিলেন। এটা সৌভাগ্যের বিষয়। স্যারের সাথে কাজ করতে বিব্রতবোধ করতাম না কারণ স্যার সকলকে স্নেহতুল্য ছোট ভাইয়ের মতো দেখতেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার (সিআরও পূর্বাঞ্চল) জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যার একজন হাসিখুসি মানুষ। স্যার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মামলা দেখেছেন। এতেই বোঝা যায় তিনি একজন মানবিক পুলিশ অফিসার।
অনুষ্ঠানে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম-সেবা বলেন, বিদায়ী অতিথি জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যার শিক্ষকের মতো বই ধরিয়ে আইনের ধারাগুলোর ব্যাখ্যা করে মামলা নিষ্পত্তিতে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতেন। স্যারের পরিবার সুন্দর ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবার।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিআরও (পূর্বাঞ্চল) জনাব মোহাম্মদ ওসমান গণি, পিপিএম বলেন, জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান স্যার পেশাদারিত্ব এবং মানুষকে ন্যায় বিচার দেয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বিদায়ী অতিথি জনাব মোর্শেদুল আনোয়ার খান ২০২২ সালে পিবিআই’তে যোগদান করে ডিবিআই (পূর্বাঞ্চাল) এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১লা ডিসেম্বর ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্ল শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১২ তম বিসিএস এর পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি তাঁর কর্মজীবনে ০৪ টি জেলা (কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, কুমিল্লা এবং নেত্রকোণা জেলা) এর পুলিশ সুপার হিসেবে সাফস্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পুলিশ টেলিকম এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিরপরাধীদের হয়রানি ঠেকাতে পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপে থাকবে আসামির ছবি পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপে আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারি আরমানের নামের একাংশের সঙ্গে মো. আরমানের নাম মিল ছিল। এ ছাড়া দু...
সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা,
পিবিআই’য়ের হাতে প্রতারণা চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার
সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নেত্রকোণা জেলা। আজ ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ০২:০০ ঘটিকায় সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার নিকট থেকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ও বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট পদের ২টি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
আসামী হাবিবুল্লাহ বাগেরহাট জেলায় থাকাবস্থায় বিমানবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে নৌ-বাহিনীর অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নেত্রকোণার আটপাড়া থানার ০৫ জন ভুক্তভোগীর নিকট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে হাবিবুল্লাহ তার প্রথম স্ত্রীর বড় ভাই মহিবুল্লাহ ও তার ছোট ভাই মহিউদ্দীন, সাং-তফালবাড়ী, থানা-সরনখোলা, জেলা-বাগেরহাট তার মাধ্যমে চৌধুরী আবাসিক হোটেল, সোনাডাঙ্গা বাইপাস খুলনায় ভুক্তভোগী ১। আরিফ খান, পিতা-মোখলেছ উদ্দীন, ২। হাবিবুর রহমান, পিতা-আরাধন, ৩। মোঃ ফরহাদ মিয়া, পিতা-আব্দুল মুন্নাফ, ৪। সৌরভ, পিতা-সংগ্রাম, ৫। রাকিব, পিতা-শাহীন, আটপাড়া নেত্রকোণাদের নৌ-বাহিনীর অফিস সহায়ক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ভূয়া লিখিত পরীক্ষা নেয় এবং পরীক্ষা শেষে উক্ত হোটেলেই তাদেরকে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ২৭ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানের পিতা আরাধন পিবিআই, নেত্রকোণা জেলায় ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পিবিআই নেত্রকোণা জেলা ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে।
পিবিআই প্রাধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহীনুর কবির, পিবিআই, নেত্রকোণা এর সার্বিক সহযোগিতায় এসআই ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা ওঠে আসে এবং এর প্রেক্ষিতে প্রতারণা ঘটনায় আটপাড়া থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৭/০৭/২০২৩ খ্রিঃ রুজু হয়। পরবর্তীতে উক্ত থানায় আরও ০২ টি প্রতারণা মামলা রুজু হয় (আটপাড়া থানার মামলা নং-১৩ এবং ১৪, তারিখ-৩১/০৮/২০২৩ খ্রিঃ) রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী আত্নগোপন করেন। পিবিআই নেত্রকোণা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে পিবিআই নেত্রকোণা জেলার একটি চৌকস টীম খুলনায় ও সিলেটে অভিযান চালিয়ে গত ০২-১২-২০২৩ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ০২:০০ টায় সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজতে থাকা সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ও বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট পদের ২টা ভুয়া আইডি কার্ড বিধি মোতাবেক জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হাবিবুল্লাহ প্রতারণামূলকভাবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা গ্রহনের বিষয়টি স্বীকার করে।
এ বিষয়ে পিবিআই নেত্রকোণা জেলার ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহীনুর কবির বলেন “আসামী হাবিবুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিল। সে তার ২য় স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে নিয়ে খুলনার বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। গত ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে সে সিলেটে আসলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে বাল্যবন্ধুকে হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আসামি গ্রেফতার করল পিবিআই গাজীপুর।
পিবিআই গাজীপুরের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি ১। শ্রী জয় চন্দ্র রায় (১৯), পিতা- শ্রী কমল চন্দ্র রায়, সাং-নারায়নপুর দেবপাড়া, থানা- পার্বতীপুর,জেলা- দিনাজপুর বর্তমানে- সাং-কলাবাঁধা (মোঃ রাজিব মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে), থানা- কালিয়াকৈর জেলা গাজীপুরকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার মৌচাক এলাকা থেকে ২৯/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাত সাড়ে ৫ টায় গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী মোসাঃ মাজেদা খাতুন (৩৮), স্বামী মোঃ শিবলু খান, সাং দেওজানা, থানা-ঘাটাইল, জেলা টাঙ্গাইল,বর্তমান সাং কলাবাধা (ইউনুছ আলীর বাড়ীর ভাড়াটে), থানা- কালিয়াকৈর, জেলা- গাজীপুর এর ছেলে আজাদ খান (২০) তাদের সাথে বর্তমান ঠিকানায় থেকে রাজমিন্ত্রির যোগালীর কাজ করতো। গত ২৪/১১/২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় তার ছেলে বাসা হতে বের হয়। ঐ দিন রাতে আর বাসায় না ফিরলে তিনি তাঁর ছেলের মোবাইলে কল করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে তাকে অশালীন ভাষায় গালি দিয়ে তার ছেলেকে পেতে হলে টাকা দিতে হবে এবং টাকা যোগাড় করে জানাতে বলে। তিনি লোকজন নিয়ে তাঁর ছেলেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ২৭/১১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকায় লোকমুখে সংবাদ পান যে, কলাবাঁধা সাকিনে জনৈক মধু, পিতা-মৃত আফসার এর মাছের খামারে একজন যুবক পুরুষ লোকের লাশ পানিতে ভাসছে। এ সংবাদ পেয়ে তিনি বর্ণিত স্থানে যান এবং পানির মধ্যে একটি পুরুষ লোকের পচন ধরা ফোলা লাশ দেখেন। পরে পুলিশ এসে লাশ পানি হতে উপরে উঠালে লাশের গায়ে থাকা শার্ট, প্যান্ট ও কোমরে থাকা দুটি চাবি দেখে উক্ত লাশটি তার ছেলের লাশ বলে সনাক্ত করেন। তার ছেলের গালের ডান পাশে ছিদ্র যুক্ত জখম ও বুকের ডান পাশে দুটি ছিদ্র যুক্ত রক্তাক্ত জখম দেখতে পান। অজ্ঞাতনামা খুনি বা খুনিরা তার ছেলে আজাদ খানকে গত ২৪/১১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার পর যে কোনো সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে বা অন্য কোনোভাবে হত্যা করে এবং হত্যা রহস্য গোপন করার উদ্দেশ্য তার ছেলের লাশ বর্ণিত স্থানে মাছের খামারে পানিতে মাটি চাপা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার ছেলের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। বাদীনির দায়েরকৃত এরূপ এজাহারের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানার মামলা নং-২৭ তারিখ- ২৮/১১/২০২৩ খ্রিঃ ধারা-৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার. বিপিএম (বার), পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, বিপিএম এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ সালাউদ্দিন মামলাটি তদন্ত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী ও ভিকটিম আজাদ ছোট বেলার বন্ধু। তারা ছোট থেকেই একই এলাকায় বসবাস করে আসছে। আসামী শ্রী জয় চন্দ্র রায় ও ভিকটিম আজাদ রাজমিস্ত্রির জোগালীর কাজ করতো। আসামী ও ভিকটিম ও তাদের অপর বন্ধু বাধন একসাথে গাঁজা সেবন করতো। আসামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় টাকা রোজগারের কোন উপায় না পেয়ে তার বন্ধু ভিকটিম আজাদকে আটক করে বা হত্যা করে তার পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪/১১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রোজ শুক্রবার আসামী ভিকটিমকে নিয়ে মধুর টেক নামক এলাকায় গাজা সেবন করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। তখন আসামী একটি লাল চাদর গায়ে দিয়ে চাদরের ভিতরে একটি দা সাথে করে নিয়ে যায়। মধুর টেক মাছের খামারের গাছ তলায় বসে গঁাজা সেবনের জন্য গাঁজার স্টিক তৈরী করার সময় আসামী শ্রী জয় চন্দ্র রায় ভিকটিম আজাদের পিছন থেকে গলার ডান পাশের্ব তার সাথে থাকা দা দিয়ে স্বজোরে একটি কোপ দেয়। তখন ভিকটিম আজাদ মাটিতে লুটিয়ে পরে এবং আর্তনাদ করে বলতে থাকে “জয় এটা তুই কি করলি ? এটা করলি!”। আসামী জয় তখন তার হাতের দা ফেলে দিয়ে আজাদকে পাশের পুকুরের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামী জয় চন্দ্র রায় তার বন্ধু ভিকটিম আজাদকে পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে অপরপ্রান্তে থাকা ঝোপের নিচে মাটিচাপা দিয়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও আসামীর চাদরটি নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলেও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা’টি ঘটনাস্থলেই ফেলে আসে। ঘটনাস্থল থেকে আসামী তার অপর বন্ধু বাধনের বাসায় এসে ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে বাধনের গেঞ্জি ও লুঙ্গি পড়ে। বাধন কাপড় ভেজার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামী জানায় যে, ভুতের ভয় পাওয়ায় সে গোসল করেছে। পরবর্তীতে রাত ০৯.৫২ ঘটিকার সময় আজাদের মোবাইল থেকে পর পর দুই বার ভিকটিমের মাকে ফোন দিয়ে তার ছেলের মুক্তিপনের জন্য ৬০ হাজার টাকা চায়। আজাদের মা বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় সে ফোন কেটে দেয়। পরদিন ভোরে আসামী শ্রী জয় চন্দ্র রায় পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা’টি নিয়ে এসে ২৫০/- টাকার বিনিময়ে ফেরিওয়ালার নিকট বিক্রয় করে দেয়। ভিকটিম আজাদের ব্যবহৃদ মোবাইলের সিম ভেঙ্গে বাড়ির পাশে লাল মাঠ নামক স্থানে ফেলে দেয় এবং মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে আসামীর মায়ের রুমে রেখে দেয়।
এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, বিপিএম বলেন এটি একটি হত্যা মামলা। অত্র মামলার বাদীনির দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর থানার মামলা ২৭ তারিখ-২৮/১১/২০২৩ খ্রিঃ ধারা-৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হলে আলোচ্য ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে পিবিআই গাজীপুর এর একটি ক্রাইম সিন টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে পিবিআই গাজীপুর মামলার ঘটনা সংক্রান্তে সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপরাধের কথা স্বীকার করে এবং গত ২৯/১১/২০২৩ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Telephone
Website
Address
House#16 , Road# 04 , Dhanmondi R/A
Dhaka
1206
Dhaka, 1362
Kadamtali Thana is a police station in Dhaka Division located on South Rayerbag Rd. Kadamtali Thana
Https://www. Facebook. Com/mridulhuda. Dhali
Dhaka, 1216
Hi, I am Mridul from Bangladesh. I am self employed. Owner in Z H Enterprise.
New Market
Dhaka
Official page of Assistant Commissioner, New Market Zone, Ramna Division of Dhaka Metropolitan Police (DMP)