Valobasar sitol chaya ।। ভালবাসার শীতল ছায়া

আমাদের পেজে নিজের লিখা শেয়ার করতে লেখা পাঠাতে পারেন ইনবক্স এ।

22/06/2024

ভাইরে ভাই। এটা সেরা। ❤️

22/06/2024

ফিমেইল 4/এই নাটকগুলো থেকে যা যা শিখতে পারবেন..(থার্ড ক্লাস ক্যারেক্টারগুলো প্রমোট করে নর্মালাইজ করা হচ্ছে, হ্যাঁ থার্ড ক্লাস মানুষ বাংলাদেশে অভাব নাই, কিন্তু সেগুলো প্রমোট করে নরমালাইজ ও মডারনাইজ করা দেশ ও দশের জন্য ভয়াবহ অশনি সঙ্কেত। এইসব ব্যাপারে আইন করা উচিৎ)

১-প্রচুর গালিগালাজ
২-অশ্লিলতা
৩-কিশোরগ্যাং
৪-বেহায়াপনা
৫-সমকামীতা প্রমোট করছে

এই নাটক বয়কট করুন৷ টাকা দিয়ে দূরে থাক ফ্রিতেও দেইখেন না.

10/06/2024

কোকা-কোলা রিসেন্টলি একটা বিজ্ঞাপন ভিডিও বানিয়েছে। বিজ্ঞাপন ভিডিওটায় তারা বলতে চাইতেছে যে, ফিলিস্তিনের ভূমিতেও কোকা-কোলার ফ্যাক্টরি আছে। অথচ আমরা জানি যে, ফিলিস্তিনে কোকের ফ্যাক্টরিও তৈরি হইছে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা জায়গা দখল করে। এসব বিষয় কিন্তু তারা বলবে না। তারা এই বিজ্ঞাপনটার মাধ্যমে আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলেছে, মক করেছে।

বিশেষ করে এই বিজ্ঞাপনের নাট্য অভিনেতাদের চিনে রাখা দরকার। তরুণ প্রজন্ম এদের আবার খুব কদর করে। এদেরকেও সামাজিকভাবে কয়বট (শুদ্ধটা পড়ুন) করা দরকার।

এবারের ঈদে কোক কিনবেন না। তবে ঈদে বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের কোকের বিষয়ে অবশ্যই সচেতন করবেন কিন্তু! আর সবসময় কয়বট চালু রাখুন।

08/06/2024

আমার এক বন্ধু বিরাট বড় কোকের পাগল, সে কোকের পিছনে এই দুই বছর যত টাকা ঢালছে তাতে মনে হয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এক দুই খান বাড়ি বানানো যেতো।
ইদানীং সে কোক খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
এর আগেও ওজন কমানোর তাগিদে সে একশ চল্লিশ বারের বেশি কোক ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে, ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তার কোকের জন্য গলা শুকিয়ে গেছে, সে ঝপাৎ করে কোক কিনে খাওয়া শুরু করেছে। এইবারও আমরা তাই ভেবেছি, দুদিন পরই কপকপ করে কোক খাবে।
কিন্তু সে খেলোই না। শুধু কোক না, পেপসি টু যত ই*স*রা*ইলের পন্য বাদ দেওয়া সম্ভব সবই বাদ দিয়ে ঝিম মেরে বসে রইলো। অন্যসব বাদ দেওয়া তার জন্য দূরহ নাও হতে পারে, কিন্তু চার মাস সে কোক পুরো ছেড়ে বসে আছে এই তথ্য তার নিজের আম্মা জানার পরও বিশ্বাস করেনি,
আমরা তো দূরের কেইস।
কারণটা খুব সাধারণ, তার একার কোক খাওয়া না খাওয়াতে হয়তো তেমন কিছু আসবে যাবে না, কিন্তু এটা তার জন্য মনের শান্তি।
দুনিয়ার এক প্রান্তে নির্বিচারে গনহত্যা চলছে, আর সেই গনহত্যার মূলনায়কের একটা প্রডাক্ট বর্জন করে যতটা সম্ভব প্রতিবাদ করছে।

আর দশটা মানুষের প্রতিবাদ হয়তো এই লেভেলেই থেমে যেতো, কিন্তু সে আরেকটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল, টার্ম ফাইনালের প্রেজেন্টেশনের পিপিটি ফাইলের শেষ স্লাইডকে আমরা বলি থ্যাংক ইউ স্লাইড। এই স্লাইড অন্য সবাই ফুল পাতা লতা দিয়ে সাজিয়ে একসার করে। সে পুরো উলটো কাহিনি করে বসলো।
থ্যাংক ইউ স্লাইডের বদলায় গাজার ধ্বংসস্তপের ছবি সাথে হ্যাশট্যাগ স্টপ গাজা জেনোসাইড দিয়ে প্রেজেন্টেশন শেষ করলো। পুরো রুমে পিন পতন নিরবতা। দুই কোর্স ইন্সট্রাকটর কটকট করে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

"রিসার্চ ওয়ার্কে রাজনীতি ঢুকানোর কারণে তোমাকে আমি জিরো দিতে পারি এই তথ্য জানো?" এক স্যার খড়খড়ে গলায় বলল।
আমার বন্ধু শান্ত গলায় বললো, "এটা রাজনীতি না স্যার, এটা জেনোসাইড। এখানে নির্বিচারে মানুষ মারা হচ্ছে। রিসার্চ করে কি লাভ যদি মানুষই না বাচে? সাইন্স ইজ ফর পিপল।"

আরেক কোর্স ইন্সট্রাকটর কড়া গলায় বলল, এতে কি লাভ হলো? তোমার এই প্রেজেন্টেশন তো ই*জ*রা*&ইল দেখে নাই যে তারা তোমার প্রতিবাদের ঝড়ে উড়ে যুদ্ধ থামাবে।"
"এই রুমের ত্রিশজনের মত মানুষ আছে, স্যার। এই ত্রিশজন মানুষ এই প্রেজেন্টেশন দেখবে। তারা আজকে একবার হলেও এই গণহত্যার কথা ভাববে। ত্রিশজনের মধ্যে পনেরজন বাসায় গিয়ে এটা নিয়ে সার্চ দেবে, শেয়ার দেবে। এই পনেরজনের মধ্যে একজন হয়ত ভবিষ্যতে বড় কোনো পজিশনে যাবে। আমাদের পক্ষ থেকে সে তখন বলতে পারবে। ইট'স লাইক এ চেইন রিয়েকশন।"
আমার বন্ধুর উত্তরটা ছিলো এইরকম।

ক্লাশের পিনপতন নিরবতা ভেঙে তালির শব্দে সে দিন ডিন অফিস থেকে লোক পর্যন্ত ছুটে এসেছিলো।

গল্প এখানেই শেষ। তবে একটা ছোট তথ্য শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। সেই প্রেজেন্টেশন আমার বন্ধু পেয়েছিল ২০ মার্ক। পুরো প্রেজেন্টেশনে মার্ক ছিলো ১৫, এক্সটা ৫ নাম্বার সে পেয়েছে খুব সহজ একটা কারনে, কারণ সে তার শেষের স্লাইড দিয়ে প্রুভ করতে পেরেছে "রিসার্চ ইজ ফর পিপল।"
এবং একটা ছাত্র ছাত্রীও, আমাদের মিনমিনা... টপারগুলো পর্যন্ত বিন্দুমাত্র কথা বলেনি তার মার্কিং নিয়ে।

আমার এই কাহিনি শেয়ারের উদ্দেশ্য খুব সাধারণ। রা*ফায় যে গনহত্যা চলছে, তা নিয়ে যারা শেয়ার করছে বা লেখালিখি করছেন তারা প্রায়শই হয়ত শুনে যাচ্ছে, "তুমি একলা কি করবা? তারা কি তোমার কথায় যুদ্ধ বন্ধ করবে?"

উত্তরটা হচ্ছে একা একা না। আপনার আমার শেয়ার করা এই লেখা বা ভিডিও আর দশটা মানুষের কাছে যাবে, তারাও দেখবে আর জানবে পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে আপনার আমার মতোই মানুষগুলো কি ভয়ংকর বিভীষিকাময় দিন কাটাচ্ছে...

কেউ শুনুক, আর নাই বা শুনুক।



[সংগ্রহীত এবং কিঞ্চিৎ সক্ষেপিত লিখা]

কপি করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

12/05/2024

সাধারণত ছেলেরা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।
মেয়েরা ১৫ এর আগেই।
সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।
গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।
যে ছেলেটা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হইলো ১৭ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর পর।
এই ১৫ বছর সে কি করবে?
পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কতটুকু পসিবল? বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?
এই দেশে ম-দ বিক্রি নি-ষি-দ্ধ না। কিন্তু ম-দ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি খাওয়াইতে হয়!
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?
আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন যে কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে। মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে। পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। সবই এই সমাজ জানে। একসেপ্ট করে। এক্সেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত। এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।
আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?
আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। খালি এই একটা বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না। সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর!
কুরআন বলে আগে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্‌র!🌸 -(সূরা নূর)❤️
অথচ ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।
"বউ কে খাওয়াবি কি? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।
বউ কি হাতি? নাকি ঘোড়া? তার তো ১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি। তাইনা?
বিসিএস দিয়ে ৩৫ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে হবে ।
নিজের পায়ে ঠিক-ঠাক দাঁড়াতে দাঁড়াতে সঠিক জিনিসটি দাঁড়ানোর সময় পেরিয়ে যায়.....
এখন ভাবুন, ইসলাম ধর্মে বিয়েকে অর্ধেক দ্বীন কেন বলা হয় !
তারপরও পরিবার এবং সবার ব্যক্তিগত মতা মত থাকতেই পারে😊😊😊

02/05/2024

অবসরপ্রাপ্ত ডি আইজি অবসরের অনেক বছর পর তার শহরের একটি থানায় গেলো জিডি করতে ।কেউ তাকে সালাম দিলো না, এগিয়ে এলো না, কারণ কেউ তাকে চিনতে পারেনি। থানায় যারা কাজ করছেন সবাই নতুন।

তিনি নিজেকে সাবেক ডি আইজি হিসেবে পরিচয় দেন।পরিচয় পাওয়ার পর একজন অফিসার তাকে চা অফার করেন এবং কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেন, "অবসরের পর আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?”

সাবেক ডি আইজি বলেন,"প্রথম ২/১ বছর খুব খারাপ লেগেছে।নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে।এখন আমি বুঝতে পেরেছি, দাবা খেলা শেষ হওয়ার পরে রাজা এবং সৈনিকদের একই বাক্সে রাখা হয়। পদ, পদবী, উপাধি, শান-শাওকাত সবই অস্থায়ী। মানুষের ভালোবাসাটা স্থায়ী, বিনয় ও সদাচরণ দিয়ে যা অর্জন করতে হয়।”

সময় যার যার জীবনের হিসেব বুঝিয়ে দেয়!

30/04/2024

আমার মতো এমন আর কে কে আছেন 😁😅😂🤣

29/04/2024

কোন হিন্দু ছেলে যদি কোন মুসলিম মেয়ের কাছে ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে বুঝে নিবেন তার মতলব খারাপ,
তার টার্গেট হলো মুসলিম মেয়েটার সতিত্ব হরন করা, কাজেই মুসলিম মা- বোনেরা হুসিয়ার হোন, নিরাপদ থাকুন।
ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক ছেলে আছে আলেম আছে। ইসলাম সম্পর্কে তাঁদের জানার প্রয়োজন হলে তাঁরা ঐ সমস্ত লোকদের কাছে যাবে। কোনো বোন তাঁদের ফাঁদে পা দিবেন না।

29/04/2024

দুই খা*নিকের পোলার এখন ঠিক করা উচিত কে আগে গরম শিক নিবে!
সাকিব বিন রশিদ, পোস্টটা ডিলিট করলেন কেন? কোন জায়গায় 'নারী' শব্দটা দেখেই বিচার বিবেচনা না করেই এইযে চরম উত্তেজনায় ‘ফাল' দিয়ে বিপ্লব করতে নেমে যান, এরজন্য কোন অনুশোচনা হয় না আপনার? অবশ্য এটাই প্রথমবার না, এটাই তার আদি ও আসল স্বভাব! আবার টিজ করে ‘গফরগাঁওয়ের কুদ্দুস' ট্যাগ লাগায়ে দিচ্ছেন, অথচ আপনার নিজের কাজটা তো গফরগাঁওয়ের কুদ্দুসের চেয়েও ফাতরা লেভেলে চলে গেলো।
বাটপার 'অ-সময় টিভি' ক্লিকবেইট একটা নিউজ করলো তাদের জাতস্বভাব বজায় রেখে। নারী আম্পায়ারের অধীনে মুশফিক -মাহমুদউল্লাহদের ম্যাচ খেলতে আপত্তি টাইপের নিউজ তারা করে ফেললো। তাদের দেখাদেখি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে আরও কয়েকটা মিডিয়া এটা নিয়ে নিউজ করতে লাগলো।
সাধারণও যেসব নিউজের সোর্স থাকে অসময় টিভি কিংবা বাহাত্তর টিভি, সেগুলোর নেচার বাই ডিফল্টই ঘাপলা, এটা সচেতন সবাই জানে এতদিনে। সেটা বোধহয় জানেনা শুধু সাকিব বিন রশিদরাই!
তাইতো ওরা নিউজ করে শেষ করতে পারে নাই, এর ভেতরই সো কল্ড প্রগতিশীল গোষ্ঠীরা হুক্কাহুয়া ডাক তুলেছে। এক শিয়াল হুক্কাহুয়া ডাক দিলে বাকীরাও যে কাজকাম ফেলে সেই ডাকে শামিল হয়, এটা তো জানেন-ই।
আর কোন ইস্যু যদি হয় ‘নারী/মেয়ে' কেন্দ্রিক, তাইলে আবার সাকিব বিন রশিদ ব্রোরে থামায় কে! অতীতেও এরকম বেশকিছু হুক্কাহুয়া ডাকে শামিল হয়ে পাবলিকের চোখে ধরা খেয়েছেন তিনি!
মূল ঘটনা হল— নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসিকে নিয়ে কোন আপত্তিই ছিলো না মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ কিংবা তামিমদের। মাঠে আপত্তি করা তো দূরে থাক, টিমগুলোর ক্যাপ্টেন, কোচ কিংবা অন্য কোন প্লেয়ার গোপনেও কোন রিপোর্ট করেনাই নারী আম্পায়ারের বিরুদ্ধে।
বরং যেটা হয়েছিলো, সেটা হলো জেসির অভিজ্ঞতা ছিলো তুলনামূলক কম, আর ২৫ এপ্রিলের ম্যাচটা ছিলো লীগের রানারআপ নির্ধারণীর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ৷ মাঠের প্লেয়াররা না, বরং ক্লাবগুলোর কিছুটা আপত্তি ছিলো এই আম্পায়ারকে নিয়ে, তাও সেটা ‘নারী' হওয়ার জন্য নয়, বরং আম্পায়ারের এইক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতার জন্য। ওই নারীর জায়গায় হুবহু ওই প্রোফাইলের একজন পুরুষ আম্পায়ার থাকলেও হয়ত সেই আপত্তিই তুলতো ক্লাবগুলো। তারপরও এটা ক্লাব কর্তৃপক্ষের ইস্যু। তাদের সাথে সময় টিভির সাংবাদিকরা বোঝাপড়া করতে পারতো।
কিন্তু তারা সেটা না করে নিউজের মাধ্যমে টার্গেট করলো মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের নাম। এর আরেকটা কারণ হতে পারে— মুশফিক মাহমুদউল্লাহরা এমনিতেই খুব প্র্যাকটিসিং মুসলিম, তার ওপর আবার বড় দাড়িও আছে৷ নারীর প্রতি আপত্তির ব্যাপারটা তাই কোন না কোনভাবে এদের গায়ে যদি লাগানো যায়, তাহলেই প্রোপাগান্ডাটা মানুষকে গেলানো সহজ হবে। তাছাড়া নিউজের সাথে তারা যে ছবি ব্যবহার করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মাঠে মুশফিক দাঁড়িয়ে আছেন অন্য ব্যাটারকে নিয়ে কোন কিছু নিয়ে অসন্তোষ নিয়ে। মানে ছবিটা আবহটা এমন যে সেটা দেখলে মনে হবে মুশফিক এভাবেই খেলা বন্ধ করে প্রতিবাদ করছে নারী আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। অথচ ওই ফুটেজটা ম্যাচের অন্য একটা সিদ্ধান্তের সময়কার ফুটেজ। ভালো মত এই ব্যাপারটা বুঝবার চেষ্টা করলেই বুঝবেন কীভাবে ছলচাতুরী করে এই প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছিলো।
২৫ তারিখের ম্যাচের পর ২৭ এপ্রিল দৈনিক খবরের কাগজে একটা বিশাল সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জেসি। সেখানে তিনি বরং তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ-র মত সিনিয়র প্লেয়ারদের প্রশংসা করেছেন এজন্য যে তারা মাঠে সহযোগিতা করেছেন।
২৮ তারিখ অন্য একটা অনলাইন পত্রিকার সাক্ষাৎকারে “নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে চান নি ক্রিকেটাররা” ইস্যুতে তার কাছে জানতে চাইলে জেসি বলেন—
“আমি রীতিমত বিস্মিত। ক্রিকেটাররা মাঠে কখন নামতে আপত্তি করলো? আমি গণমাধ্যমেই পড়লাম এমন খবর। অথচ মাঠে তো সবাই আমার প্রশংসা করলো…।”
এইছিলো ঘটনা। শুধু সাকিব বিন রশিদ না, প্রগতিপাড়ার এরকম বহু পাবলিকই গতকাল থেকে জেগে উঠেছে চরম উত্তেজনায়। পা চাটতে চাটতে এবং চাটুকারিতা করতে করতে পঁচে গলে যাওয়া সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা তো সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক মাহমুদউল্লাহদের পশ্চাৎদেশ দিয়ে নাকি উনি গরম রড ঢুকাবেন! এই ক্যাটাগরির বহু পোস্ট চোখে পড়লো গতকাল থেকে!
যাইহোক, সাকিব বিন রশিদ, গফরগাঁওয়ের কুদ্দুসদের তো পঁচানি দিচ্ছিলেন ব্যাপক জোশে, তো আপনার নিজের এসেসমেন্ট কী এখন নিজের কাছে? অবশ্য এই ঘটনা থেকেও আপনার কোন লাজলজ্জা হবে বলে মনে হয় না। অতীতেও হয় নাই, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। কারণ কোন জায়গায় 'নারী' নামক শব্দ দেখলেই ঠিক-ভুল যাচাই করার ন্যূনতম ধৈর্যটুকুও না দেখিয়ে ভবিষ্যতেও যে আপনি বীরদর্পে উত্তেজিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়! অনলাইন স্ফিয়ারে আপনার স্বভাবটা মোটামুটি জানি জানি জন্যই এমন শক্ত অনুমান করে ফেললাম!

বাই দ্যা ওয়ে, উনার ওই পোস্টে যেই জবাবটা দিয়েছিলাম, সেটা কেমন হয়েছে?
আর সাকিব বিন রশিদ, আপনার প্রতি একটা ফ্রেন্ডলি সাজেশন হল— আপনি এখন সোজা সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজার বাসায় গিয়ে তার সাথে দেখা করতে পারেন কিন্তু! হয়ত ক্রিকেটারদের পশ্চাৎদেশে ঢুকানোর জন্য রড গরম করতে বসে গিয়েছিলেন উনি, কিন্তু তার আগেই প্রোপাগান্ডাটা ধরা পড়ে যাওয়ায় ওই গরম রড এখন বেকার ফেলে রেখে কী করবেন উনি? ভেবে দেখুন, আপনি গিয়ে দেখা করতে পারলে তরিকাটা হয়ত আপনার ওপরেই.... যাই হোক, থামি আপাতত এখানেই!😁


✍️Saiyed Abdullah

25/04/2024

বিজ্ঞাপনটার কথা কি আপনাদের মনে আছে ?
বর্তমানে দেশের তীব্র দাবদাহের প্রেক্ষাপটে খুব মনে পড়ছে।
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল খায়ের অভিনীত একটা বিজ্ঞাপন শৈশবে বিটিভিতে প্রায়ই দেখতাম। যতদূর মনে পড়ে, কবিরাজ আবুল খায়ের গ্রামের একটি জায়গায় লোকজন জড়ো করে বলতে থাকেন-

“আল্লাহর দান এই গাছ। যারা চিনতে পারে, তারা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারে, আর যারা চিনতে পারে না তাদের জন্য আছি আমি। আমি কবিরাজ। গাছ নিয়ে আমি প্রশ্ন করি, আপনারা উত্তর দেন।”

কবিরাজ – “গাছ আমাদের কি কামে লাগে?”
জনতা — “গাছ আমাগো অনেক কামে লাগে।”
কবিরাজ –“যেমন?”
জনতা –“গাছ আমাদের নানা রকম ফল দেয়।”
কবিরাজ — “আর?”
জনতা — “গাছ আমাদের ছায়া দেয়।”
কবিরাজ — “আর?’
জনতা — “লাকড়ি দেয়, চুলা জ্বালাই।”
কবিরাজ – “আর?”
জনতা — “কাঠ দিয়া খাট পালঙ্ক বানাই।”
কবিরাজ — “হের লাইগা-বেবাক গাছ কাইটা ফালাইতাসে। কিন্তু আসল কথাটা কেউ কইলেন না। দমের কথা ! প্রতিটা নিঃশ্বাসের লগে আমরা যে অক্সিজেন নেই, সেটা কে দেয়?”

“ভাইসব… একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আর দেয় ওষুধ যা আমি আপনাগো পৌঁছাইয়া দেই। সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?”

বৃক্ষ মালিক — “কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?”
কবিরাজ — “আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?”
বৃক্ষ মালিক — “আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।”
কবিরাজ — “এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ।”
বৃক্ষ মালিক — “আছিলো , কাইট্টা ফালাইছি।”
কবিরাজ — “আপনের গাছ?”
বৃক্ষ মালিক — “হ । টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।”
কবিরাজ — “গাছ লাগাইছিলো কে?”
বৃক্ষ মালিক — “আমার বাবায়।”
কবিরাজ — “আপনি কী লাগাইছেন ?”
বৃক্ষ মালিক — “আমি কী লাগাইছি?”
কবিরাজ — “হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।”

কবিরাজ আবারো সবাইকে জড়ো করে বলতে শুরু করেন —
“আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না।
প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি?
অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?”

জনতা- “আহো, মিয়া ভাই তোমারে নিয়া একটা চারা গাছ লাগাই আর মনে মনে কই সবুজ দুনিয়া দেখতে চাই, বুক ভইরা দম নিতে চাই। আর আমাদের সন্তানেরা, তোমাগোর লাইগ্যা টাকার গাছ লাগাইলাম। অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম।“
আবুল খায়েরের ছবি- "আজ রবিবার" নাটক থেকে নেয়া।

Courtesy: হুমায়ূনের ভুবন

23/04/2024

এক বৃদ্ধ লোক তার গরুটিকে জবাই করে আস্ত গরুর কাবাব তৈরি করলো। এরপর তার কন্যাকে ডেকে বললো-“আমাদের যত আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব আছেন তাদেরকে দাওয়াত দাও, ডাকো। একসাথে বসে খানাপিনা করি।

কন্যারত্নটি রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করে ডাকতে লাগলো-“আমাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে! দ্রুত আসুন সবাই। আগুন নিভাতে সহায়তা করুন!”
সবাই এলো না। কেউ কেউ ঝামেলা মনে করলো।
কেউ কেউ দৌড়ে এলো পানির বালতি নিয়ে।

বিকেলে খেতে বসে আশপাশে তাকিয়ে বৃদ্ধ অবাক। কাউকেই তো চেনেন না তিনি। এরা কারা?

কন্যা বাবাকে বললো-”বাবা, যারা আমাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে এসেছেন সহায়তা করতে তারাই আমাদের আপনজন। আত্মীয় কিংবা বন্ধু তারাই। তাই তাদেরকেই দাওয়াত করেছি।

একটা কথা সবাই মনে রাখবেন-“যারা আপনার বিপদে এগিয়ে আসে না তারা আপনার সাথে এক টেবিলে বসে খাবার যোগ্যতা রাখে না;।

21/04/2024

😂🤣

19/04/2024

হিন্দু মা ও ছেলের কিছু কথোপকথন।
🙄ছেলে = মা তাজমহল এতো সুন্দর তাজমহল আমরা বানিয়েছি তাই না ???
😥 মা = জ্বী না , যিনি বানিয়েছিলেন উনার নাম শাজাহান বাদশা , উনি মুসলিম ছিলেন ।
ছেলে = ওহ । আচ্ছা তাহলে কুতুবমিনার নিশ্চয়ই আমরা বানিয়েছি ???🙄
মা= জ্বী না । উনিও মুসলিম ছিলেন । উনার নাম কুতুবুদ্দিন আইবক ।😥
ছেলে = । তাহলে লালকেল্লা নিশ্চয়ই আমরা বানিয়েছি ??🙄
মা = না । ওটাও মুসলিম শাসকরা বানিয়েছে ।🤧
ছেলে = তাহলে পুরাতন কেল্লা আমরা বানিয়েছি ??🙄
মা= না। পুরাতন কেল্লা মুসলিমরা বানিয়েছে ।😔
ছেলে =তাহলে চারমিনার নিশ্চয়ই আমরা বানিয়েছি😕
মা= না। চারমিনার মুসলিম শাসকরা বানিয়েছে।😟
ছেলে = মা আমি শুনেছি ভারত প্রথম মিসাইল তৈরি করেছিল , মিসাইল হিন্দু শাষকরা বানিয়েছে তাই না😀
মা= না । ভারতে প্রথম মিসাইল আবিষ্কার করেছিলেন টিপু সুলতান । উনিও মুসলিম।😪
ছেলে= মা আমি শুনেছি ভারতের সবচেয়ে বড় ও পুরাতন রোড গ্ৰান্ড ট্রাঙ্ক রোড ।
প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ।
আচ্ছা মা সেটা তো আমরা বানিয়েছি ??😌
মা=না । গ্ৰান্ড ট্রাঙ্ক রোড আমরা বানায়নি ।
গ্ৰান্ড ট্রাঙ্ক রোড একজন মুসলিম শাসক বানিয়েছি , উনার নাম শের শাহ 🙁
ছেলে = তাহলে মোঙ্গলদের সাথে যুদ্ধ আমরা করেছি , তাই না ?? 🤗
মা = না । আলাউদ্দিন খলজি মোঙ্গলদের সাথে যুদ্ধ করেছেন । সেই যুদ্ধে আলাউদ্দিন খলজি যদি পরাজিত হতো , তাহলে আজ ভারত ধ্বংস হয়ে যেতো ।😟
ছেলে = আচ্ছা তাহলে হাজারদোয়ারি পেশেস নিশ্চয়ই আমরা বানিয়েছি ??😲
মা = না বেটা । ওটাও মুসলিম শাসকরা বানিয়েছে।😔
ছেলে = আচ্ছা তাহলে মুঘল সাম্রাজ্য আমাদের ছিল, তাই না ???😯
মা = না । মুঘল সাম্রাজ্য মুসলিমদের সাম্রাজ্য ছিল ।😒
ছেলে = আচ্ছা জয় হিন্দ , এই শব্দটি আমরা প্রথম তৈরি করেছিলাম , তাই না ??🤤
মা = না । ওটাও একজন মুসলিম প্রথম বলেছিল ।😢
ছেলে = আচ্ছা মা , সারে জাহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা , এই শব্দটি আমরা প্রথম বলেছিলাম , তাই না ??? 🙂
মা = না , ওটা একজন মুসলিম কবি লিখেছিলেন । উনার নাম ইকবাল ।😢
ছেলে = আচ্ছা তাহলে ভারতের পতাকা আমরা বানিয়েছি, তাই না ???😯
মা = হ্যাঁ , তবে বলতে গেলে না । ভারতের পতাকা পিঙ্গলি ভেনকায়া তৈরি করলেও , তো
উনার তৈরি করা পতাকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি ।
ভারতের পতাকার Latest Update করেছিলেন একজন মুসলিম মেয়ে । উনার নাম সুরিয়া তৌওবজি , উনার বাড়ি হায়দ্রাবাদে ।😞
ছেলে = তাহলে প্রথম Satellite launch করেছিলাম আমরাই,তাই না মা ???😀
মা = জ্বী না । ভারত অনেক বার Satellite launch করেছিল , কিন্তু প্রতিবারই Failed হয়েছে ।
তারপর APJ. Abdul Kalam Azad প্রথম Successful ভাবে Satellite launch করেছিল ।😤😖
উনি না থাকলে আজ ভারত Satellite launch করতে পারতো না । 😭
ছেলে = তাহলে Nuclear weapons নিশ্চয়ই আমরা বানিয়েছি ???😡
মা = না । Nuclear weapons একজন মুসলিম আবিষ্কার করেছে ।
উনার নাম APJ Abdul Kalam Azad । 😭
উনি Nuclear weapons তৈরি না করলে আজকে চীন ও পাকিস্তান মিলে আমাদের আদর করতো ।😱
ছেলে = ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারত ছোড়ো আন্দোলন প্রথম আমরা করেছিলাম তাই না ??😨
মা = না । ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিল টিপু সুলতান ।😭

তাইলে আমরা কি করছি?? 😤

আর ভারতের জন্য মুসলিমরা কিছুই করেনি এইসব মিথ্যা রটিয়ে বেড়িয়েছি।🥴 এইবার থাম,

💞 অন্ধকারাচ্ছন্ন ইতিহাসের দুনিয়া থেকে বের হয়ে সত্যেকে জানুন 💙

[সংগ্রহীত ]

18/04/2024

সমাজের ট্যাবুকে কীভাবে ট্যাবু হিসেবেই মুভিতে তুলে আনা যায়, সেটা দেখিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।

সমকামিতা, শিশুকামিতা যে একটা বিকৃতি, হুমায়ূন সেটা চমৎকারভাবে তুলে এনেছিলেন ঘেটুপুত্র কমলা সিনেমাতে।

তখনও ফেসবুক ছিলো। আজ থেকে এক যুগ আগের কথা। অথচ একটা মানুষও এই মুভি সমন্ধে খারাপ কথা বলেছে? বা বয়কট হুমায়ূন স্লোগান দিয়েছে? রিঅ্যাক্ট করেছে?

করে নাই। কারণ হুমায়ূন সমকামিতাকে তুলে এনেছিলেন ক্যান্সার হিসেবেই। ওটাকে তিনি মানুষকে নর্মাল বলে খাওয়াতে যাননি।

বরং উনি দেখিয়েছিলেন, এই যৌন বিকৃতির স্বীকার হয়ে বাংলাদেশে একটা সময় কত শিশু মারা গেছে। জমিদাররা কতটা জুলুম করেছে নিছক খেলার বশে।

মনে আছে, সিনেমাটা দেখার পর যখন শুয়া উড়িল, উড়িল জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িল রে...গানটা বেজে উঠলো, আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করলো।

আমি জানি, সবার অভিজ্ঞতাই কম বেশি সেইম।

অথচ সিনেমাটাই তো ছিলো সামাজিক ট্যাবু নিয়ে, যেই ট্যাবু নিয়ে কথা বলতেও বাংলাদেশের লোকজন এখনও দ্বিধা করে। অথচ সেই ২০১২ সালে এই ট্যাবু নিয়ে মুভি বানাইয়া হুমায়ূন লোকজনরে কান্দাইয়া ছেড়েছেন।

কে বলেছে বাংলাদেশের মানুষ আর্ট নিতে পারে না? কে বলেছে বাংলাদেশের মানুষ ব্যতিক্রম কিছু দেখলেই রিঅ্যাক্ট করে?

হিজড়াকে মেইন ক্যারেক্টার করে হুমায়ূন একটা বইও লিখেছেন। নাম 'আমি এবং আমরা'। সেখানে হিজড়া ছেলেটার জন্য এতো মায়া হয়, কই, কেউ তো কোনদিন এই বইয়ের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত একটা বলে নাই?

কারণ, হুমায়ূন কোনদিন আলবাল বুঝাইয়া লোকজনরে বিকৃত কোন ধারণা গেলাইতে চান নাই। যতটুকু সমস্যা এক্সিস্ট করে, অতোটুকুই আনসেন।

আজকেও আপনি হিজড়াদের মানবেতর জীবন নিয়ে কোন সিনেমা বানান, মানুষ ঐটা দেখে চোখের জল ই ফেলবে।

বাট আপনি যখন দেখানোর চেষ্টা করবেন, সেক্স পরিবর্তন করা "স্বাভাবিক", পেনিস থাইকাও মেয়ে হওয়া "নর্মাল", তাহলে মানুষ কেন প্রতিবাদ করবে না?

সমস্যারে সমস্যা হিসেবে দেখান। মানুষ কিচ্ছু বলবে না।

ঘুষ খাওয়া একটা অপরাধ। একটা বিকৃতি। এইটাকে যদি স্বাভাবিক হিসেবে দেখান, মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাবেই। তার জন্য মানুষকে প্রতিক্রিয়াশীল না বলে বরং নিজেদের সমস্যাটা স্বীকার করে নেন।

অস্বাভাবিক বিকৃতিরে আপনি স্বাভাবিক বলে চালাইয়া দিবেন, আর ঐটা নিয়ে হইচই হলে তখন মানুষ খারাপ, মানুষ আর্ট বোঝে না বলে ভিক্টিম সাজলে হবে?

কোনটা আর্ট, আর কোনটা ধান্দাবাজি, সেইটা এই দেশের মানুষ খুব ভালো করেই বোঝে।

বোঝে বলেই হুমায়ূনের ঘেটুপুত্র কমলা দেখে যেই মানুষ চোখের পানি ফেলে, সেই মানুষই আবার এলজিটিভির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।

এর মধ্যে হিপোক্রেসি নাই। বরং অত্যন্ত সুন্দর একটা সচতনতা আছে বলেই আমার বিশ্বাস।

18/04/2024

কবিতায় আর কী লিখবো
যখন যুদ্ধ শেষে বিধ্বস্ত পায়ুপথ হয়ে ওঠে সাফল্যের সোপান!

কবিতা আর কী লিখবো
যখন বিচিহীন এলাইলাম ভিখারি হয়ে ওঠে
নারী জাগরণের অগ্রদূত!

15/04/2024

ট্রানজিট প্রসঙ্গ ঃ
ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ( চিকেন নেক) দিয়ে বাংলাদেশ- নেপালের দূরত্ব মাত্র ২১ কিলোমিটার। এই অংশ দিয়ে বাংলাদেশ নেপালের সাথে কম খরচে সড়কপথে বানিজ্য করতে চায়। কিন্তু আজও ভারত সেই ট্রানজিট দেয় নাই।
অন্যদিকে কোলকাতা - ত্রিপুরার ১,৬০০ কিমি দূরত্ব বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের জন্য এখন মাত্র ৪০০ কিমি। ( তথ্য ও ছবি ~ গুগল, কালেরকন্ঠ)

14/04/2024

মার হালারে 😆😜😁😃🤣

14/04/2024

মিঠামইন এর রাস্তার আল্পনায় 'ছবিটা দেখতে খুব অদ্ভুত সুন্দর হইলেও রোড সেইফটি নিয়া একবারো ভাবলো না শিল্পীরা!! এইটা একটা রাস্তা। লেন ডিভাইডার মার্কার হারায়ে গেছে শিল্পের ঠ্যালায়। এবং ড্রাইভিং এর সময় নানা রঙ খুবই ডিস্ট্র‍্যাক্টিং। রোড সেইফটি কম্প্রোমাইজ করে শিল্প করার আইডিয়াটা খুবই বাজে। বৈশাখে কত জায়গায় আলপনা করার সুযোগ আছে!! কিন্তু সৌন্দর্যের চাইতে সেইফটি যে বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেটা এই বোদ্ধাদের প্লিজ একটু বুঝায়ে দেন।'

- নিশাদ আদনান

14/04/2024
12/04/2024

চাপার জোরে হাজার বছর।
৩০ বছর = হাজার সাল ।

10/04/2024

‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।

আপনাকে এবং আপনার
পরিবারের সবাই কে জানাই
ঈদ-উল-ফিতর এর শুভেচ্ছা।

🌙 ঈদ মুবারক 🌙

07/04/2024

এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো - 🙂

১. মাইর খাবার পরে কাঁদলে।
২. মাইর খাবার পর না কাঁদলে।
৩. না-মারা সত্ত্বেও কান্নাকাটি করলে।
৪. খেলা নিয়ে বেশি মেতে থাকলে।
৫. খেলতে গিয়ে মাইর খেয়ে আসলে বা কাউকে মারার নালিশ আসলে।
৬. বড়দের আড্ডায় ঢুকলে।
৭. বড়দের কথার উত্তর না-দিলে।
৮. বড়দের কথায় ত্যাড়া উত্তর দিলে।
৯. অনেকদিন মাইর না-খেয়ে থাকলে।
১০. কেউ উপদেশ দেওয়ার সময় গুনগুন করে গান করলে।
১১. বাড়িতে অতিথি এলে বা কারও বাড়ি গিয়ে সালাম না করলে।
১২. অতিথি এলে তাকে খাবারের প্লেট দিতে যাওয়ার সময় প্লেট থেকে খাবার মুখে দিয়ে ধরা পড়লে।
১৩. অতিথিরা খাওয়ার সময় খাবারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলে।
১৪. অতিথি বাড়ি চলে যাওয়ার সময় তার সাথে যাওয়ার বায়না ধরলে।
১৫. খেতে না-চাইলে।
১৬. সন্ধ্যা নামার আগে বাড়ি না-ফিরলে।
১৭. প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে খেয়ে চলে এলে।
১৮. জেদ দেখালে।
১৯. কারও সাথে মারামারি করে হেরে এলে।
২০. কাউকে বেশ করে পিটিয়ে এলে।
২১. স্লো মোশনে খেলে।
২২. ফাস্ট ফরোয়ার্ড স্কেলে খেলে।
২৩. সকালে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে।
২৪. রাতে ঘুমোতে না-চাইলে।
২৫. শীতকালে গোসল করতে না চাইলে।
২৬. গ্রীষ্মকালে বেশিক্ষন গোসল করলে।
২৭. অন্যের গাছ থেকে আম, পেয়ারা পেড়ে খেলে।
২৮. স্কুলে টিচারদের কাছে মার খেয়েছি খবর পেলে।
২৯. জোরে উচ্চারণ করে না পড়ে চুপচাপ বসে পড়ার ভান ধরলে বা বিড়বিড় করে পড়লে।
৩০. পড়ার বইয়ের মধ্যে গল্পের বই রেখে পড়ছি ধরা পড়ে গেলে।
৩১. পরীক্ষার আগে টিভি দেখলে।
৩২. দুধ খেতে না চাইলে।
৩৩. আচার চুরি করে খেলে।
৩৪. উষ্ঠা খেয়ে পড়ে গেলে উঠিয়ে আবার মারা হতো।
৩৫. কারও বাসায় বেড়াতে গিয়ে নিজের বাসা মনে করে লন্ডভন্ড করলে।
৩৬. স্কুলের সামনের কোনো দোকান থেকে বাকিতে কিছু খেলে বা খেলনা কিনলে।
৩৭. দুপুরে না ঘুমালে।
৩৮. পাশের বাসার কেউ পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পাইলে।
৩৯. খাতার পৃষ্ঠা নষ্ট করলে।
৪০. বই দাগাদাগি করলে।
৪১. শোকেস থেকে নতুন প্লেট, গ্লাস বের করলে।
৪২. পুকুরে ডুবাইতে ডুবাইতে চোখ লাল করে ফেললে।
🙊

03/04/2024

আমি চেয়েছিলাম তুমি হও হুমায়ূন আহমেদের কোনো এক উপন্যাসের সহজ সরল নায়িকার মতো প্রাণবন্ত। কোন কোন ঘুম না আসা রাত্তিরে তুমি ওপাশ থেকে ফোন করে গান ধরো, যদি মন কাঁদে তুমি ফিরে এসো, ফিরে এসো এক বর্ষায়।

ফাইভস্টার রেস্তোরার দামি ম্যানুর কফির স্বাদ না খুঁজে মাঝেমধ্যে ওই শ্যাঁতশ্যাঁতে হোটেলের সিঙ্গারর গাল ভাঙার আবদার করো। খাওয়া শেষে খুব শক্ত করে হাত চেপে ধরে রিকশায় চড়ে শহর দেখতে দেখতে হয়ে ওঠো চমৎকার প্রেমিকা।

বৃষ্টি হলে শাড়ি চুড়ি পরে চোখে গাঢ় করে কাজল দিয়ে সাজুগুজু করো। চিঠিতে লিখে রাখো বৃষ্টি নামার আনন্দের সংবাদ, চিঠির খামে ভরে রাখো কয়েকফোঁটা বৃষ্টি।

জন্মদিন এলে ওসব চিঠি কুরিয়ার করে পাঠাও সঙ্গে পাঠাও গুনে গুনে বেশ কয়েকটি কদমফুল।

অথচ, অথচ তুমি নিজেকে জড়ালে ওয়েস্টার্ন পোশাকে। আমার প্রাণবন্ত স্নিগ্ধ প্রেমিকা না হয়ে বুকের অন্দরের গোপন ফিতা দেখিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়ে উঠলে নষ্টালজিক এক নারী। নাপিত থেকে মুচি তোমার বুকের সাইজ মেপে তোমাকে প্রশংসায় ভাসায়, ডুবায়, চুবায়।

আমি খুঁজি প্রেম, তুমি যৌনতা। আমি চাই একটু তোমার কাঁধে মাথা রাখতে, তুমি চাও কামনার আগুনে জ্বলেপুড়ে আঙ্গার হতে। আমার এই সব চাওয়াকে তুমি খেইত্যা বলে উপাধি দাও। তুমি মেনে নাও পৃথিবীর যাবতীয় অশ্লীলতা, অথচ আমাকে বলো লম্পট।

আমি বোধহয় সেইসব খেইত্যা মানুষদের দলে ভিঁড়েছি যাদের এখনও কবিতা পড়লে হৃদয় শূন্য হয়ে আসে, জোছনা দেখলে হতে চায় গৃহত্যাগী, বৃষ্টি দেখলে বিড়াল ছানার মতো প্রিয়তমার বুকে ঢুকে বসে থাকতে চায় চুপচাপ।

আমি বোধহয় সেই-সব খেইত্যা প্রেমিকদের দলের মানুষ যারা শুধু প্রেমিকার প্রেমটুকুই চিনেছে, প্রেমিকার শরীর ছোঁয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।

তুমি হয়তো জানো না, শরীর যদি আমায় টানতো তবে আমি পৃথিবীর এক'শো তিরানব্বইটি দেশের নারীর নগ্ন শরীরের দিকে ছুটতাম, তোমাকে কেন্দ্র করে ঘুরতাম না।

03/04/2024

৬ অক্টোবর ২০১৯।
রাত ৮.১৩।
বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
-- বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ তে আয়।
-- কেনো?
-- গেলেই দেখতে পাবি।
-- কখন যাওয়া লাগবে?
-- এখনই। তোর ল্যাপটপ এটা?
-- হ্যাঁ।
-- মোবাইলটাও দে।
--কেনো?
-- দিতে বলছি তাই দিবি। ভাইরা বলছে।
মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ছেলেটাকে নিয়ে তারা রওনা দিলো ২০১১ নাম্বার রুমের উদ্দেশ্যে। এই ছেলেটা কোন সাধারণ ছেলে ছিলো না। বুয়েটের EEE বিভাগে ২০১৮ সালে ভর্তি হওয়া এই ছেলের নাম আবরার ফাহাদ রাব্বি। অসাধারণ মেধাবী এই ছেলে ঢাবি 'ক ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষায় ১৩ তম হয়েছিলো। চান্স পেয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলেও। বড় ভাইদের ডাকে ২০১১ নাম্বার রুমের দিকে পা বাড়ানো আববার তখনো জানতো না, "অনন্ত মহাকালে এই যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে"।

আবরারের অপরাধ ছিল তাদের চোখে মারাত্মক! ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছে সে। আবরারেরই রুমমেট মিজানের সন্দেহ, "আবরার শিবির করে।" তাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আজ এই আয়োজন। কক্ষে ঢোকার পরই মোবাইল আর ল্যাপটপ চেক করা শুরু করে তারা। তেমন কোন প্রমাণ না পেয়ে রুমে থাকা রবিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
-- এদিকে আয়। চশমা খোল।
আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচন্ড জোরে তার গালে কয়েকটি চড় মারে। হাত দিয়ে গাল চেপে বসে পড়ে আবরার। এরই মধ্যে মোরশেদ কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। ইফতি প্রথমে রবিনের মতোই গায়ের জোরে থাপ্পড় মারে আবরারকে। এরপর হাতে তুলে নেয় ক্রিকেট স্ট্যাম্প। পিঠে, পায়ে, পায়ের তালুতে, হাতে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে। প্রচণ্ড শক্তিতে মারার কারণে কয়েক বাড়ি দেওয়ার পরই স্ট্যাম্প ভেঙে দুই টুকরা হয়ে যায়। আবরার ততক্ষণে চিৎকার দিতে দিতে লুটিয়ে পড়েছে মেঝেতে। সেই চিৎকার শুনে আশেপাশের রুমের জানালা ভয়ে দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। এহতেসামুল, রাব্বি ও তানিম আরেকটি নতুন স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। এবার অনিক স্ট্যাম্প হাতে তুলে নেয়। একাধারে মাটিতে লুটিয়ে থাকা আবরারের সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করে অনিক নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মেঝেতে পড়ে কাতরাতে থাকে আবরারের শরীর। সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদ ও শামিম স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে মারতে শুরু করে। আবরার তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করে কিন্তু তাতে কারো মন গলেনি। কারো মধ্যেই মনুষ্যত্ব ফিরে আসেনি। বরং জীয়ন এগিয়ে এসে অনিক থেকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে।

রাত সাড়ে দশটা। অমানুষিক মার খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে গোঙাতে থাকে আবরার। ইফতি ধমক দিয়ে টেনে দাঁড় করায়। তারপর সর্বশক্তিতে কয়েকটি চড় মারে। এরপর আবার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকে।

রাত এগারোটা। ২০১১ নাম্বার কক্ষে এসে হাজির হয় এস এম মাহমুদ সেতু। এসেই সবাইকে জিজ্ঞেস করলো,
-- কি অবস্থা? কিছু বাইর হইছে?
-- না, কোন কিছু বলতেছে না।
-- মারতে থাক।
সেতুর নির্দেশে আবরারকে আবার ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা শুরু হয়। ইফতি ও অনিক আবরারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে। হাতের কনুই দিয়ে পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করে। উৎসাহিত হয়ে তখন সবাই মিলে প্রচন্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। আবরারের কুঁকড়ে যাওয়া শরীর থেকে তখন শুধু গোঙানি শোনা যাচ্ছিলো।

রাত সাড়ে এগারোটা। কিছুক্ষণের জন্য রুম থেকে বের হওয়ার আগে অনিক ও রবিন অন্যদের বলে যায়,
-- তোরা অর কাছ থেকে যেমনেই হোক তথ্য বের কর।
এবার মনির ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করে। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, তানিম, জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। বাইরে থেকে আবার রুমে ঢুকে অনিক হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প তুলে নেয়। এরপর আবরারকে প্রচন্ড জোরে একটানা আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করে। মুমূর্ষু আবরার তখন বমি ও প্রস্রাব করে ফেলে। ব্যথায় চিৎকার করার মতো শক্তিও অবশিষ্ট নেই। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। শ্বাসকষ্ট দেখে ইফতি আবরারের মাথার নীচে বালিশ দেয়। পরপর আরো কয়েকবার বমি করে আববার। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়ে মুছে জামা কাপড় বদলানো হয়।

রাত সাড়ে বারোটা। ইফতি ও মেহেদীর নির্দেশে আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। ইফতি মোশাররফ হলের মেস বয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আসে। ২০১১ নম্বর রুমে আবরারের বমি তাকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
২০০৫ নম্বর কক্ষে আনার পর ইফতি বলে,
-- তোরা এবার অর থেকে তথ্য বাইর কর। বুয়েটে কে কে শিবির করে বাইর কর।
দুই-একজন আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,
-- ভাই, অবস্থা বেশ খারাপ। হাসপাতালে নেওয়া দরকার।
এই কথা শোনার পর রবিন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।
-- যা বলছি তাই কর। এইগুলি সব নাটক। ভং ধরছে। তোরা শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।

রবিনের রেগে ওঠা দেখে সবাই ভয়ে জলদি আবরারকে আবার ইন্টারোগেট শুরু করে। কিন্তু আবরারের মুখ থেকে কোন শব্দ আসে না। নিশ্চল, নিস্তেজ পড়ে থাকা দেহ কোন সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আরেক দফা পেটানো শুরু হয়।

রাত দুইটা। সিদ্ধান্ত হয় আবরারকে হল থেকে বের করে পুলিশে দেওয়া হবে। মেহেদী চকবাজার থানা পুলিশকে ফোন দেয়, "হলে একটা শিবির ধরা পড়েছে। এসে নিয়ে যান।" চকবাজার থানা পুলিশ একটা টহল দল পাঠায় শেরে বাংলা হলের গেইটে। কিন্তু দেরী হওয়ায় গেইট থেকে পুলিশকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

রাত আড়াইটা। ইফতি, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে নিশ্চল আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে এনে রেখে দেয়। সিঁড়ির লাইটের আলোয় আবরারের খালি গায়ে তখন স্পষ্ট কালো কালো দাগ। সারা শরীরে স্ট্যাম্পের বাড়ির কারণে কালশিটে পড়ে আছে। চোখ বন্ধ। তবে চেহারায় কোন যন্ত্রণার ছাপ নেই। বরং সেখানে প্রশান্তির চিহ্ন। নিষ্ঠুর অমানুষদের এই পৃথিবী ছেড়ে স্রষ্টার সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার প্রশান্তি।

রাত তিনটা। খুনীরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনে। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে ঘোষণা দেন সে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, তোষক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ এর কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল আবরারের মৃতদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বুয়েটের চিকিৎসককে চাপ দেন। খুনীরা সিদ্ধান্ত নেয় আবরারের লাশ গুম করে ফেলা হবে। কিন্তু ততক্ষণে কিছু শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় তার নতুন পরিকল্পনা করে। আবরারের লাশের সাথে কিছু মাদক দিয়ে গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আবরারের সহপাঠীদের দৃঢ়তায় সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

৭ অক্টোবর ২০১৯। ভোরের আলো ফোটার আগেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপহার পায় এক সতেজ তাজা লাশ। পাঁচ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতনে মৃত ফর্সা শরীরটার সবখানে শুধু লাল আর কালোর মিশ্রণ। দেশের পক্ষে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্ত মহাকাশের পথে।

***
©️
লেখা- মারুফ হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Category

Website

Address


Banani
Dhaka
1213

Other Writers in Dhaka (show all)
অনুরণন অনুরণন
H#43, Apt#C1, Road#113, Gulshan
Dhaka, 1212

i wish i could be eighteen again..

Trivuz.net Trivuz.net
Road 19, S14, Uttara
Dhaka

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী স?

Saleh noor likhon Saleh noor likhon
Dhaka, 1206

Educator,Writer,Researcher,Youtuber, Master Reviewer &Master photographer(Google)

Jubaida Gulshan Ara Hena Jubaida Gulshan Ara Hena
Mirpur/1
Dhaka, 1216

ইসলামিক জীবন -Islamic life ইসলামিক জীবন -Islamic life
Dhaka

exploring the beauty of Islam.

Abdur Rahman AR Abdur Rahman AR
Dhaka

আসসালামু আলাইকুম

Sakib Sakib
Dhaka

"Determination is most effective ways to achieve your coveted goal"

Fake Smile ツ Fake Smile ツ
Dhaka
Dhaka, 1205

জীবনটাকে কেঁদে ভাসিয়ে দেওয়ার চেয়ে হা?

𝕀𝕥'𝕤 𝕊𝕦𝕞𝕚'𝕤 𝕎𝕠𝕣𝕝𝕕 𝕀𝕥'𝕤 𝕊𝕦𝕞𝕚'𝕤 𝕎𝕠𝕣𝕝𝕕
Dhaka

কারো প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই।নিজের প্রতি আমার এক আকাশ সমান অভিযোগ।😌🥀🖤💌🫶🫰💁‍♀

Writer Mahbub Writer Mahbub
Dhaka, 3100

vedio creator

সন্ধ্যা-𝙎𝙤𝙣𝙙𝙝𝙖 সন্ধ্যা-𝙎𝙤𝙣𝙙𝙝𝙖
Dhaka, 3702

পেইজটি লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন.! 🌸

Udash Udash
Dhaka