Khati Food bazer BD

Organic Fitmart

30/07/2023

বর্তমান ভেজাল পন্যের ভিড়ে খাঁটি পন্যের নিশ্চয়তা তা আবার অনলাইনে হ্যাঁ আমরাই দিচ্ছি, টাকা দিয়ে বিশ্বাস কেনার অফার.........ধন্যবাদ।

11/08/2022

দেশি সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করে পৌছে দিচ্ছি আপনাদের হাতে।আপনার প্রয়োজন হলে আপনিও নিতে পারেন আমাদের কাছ থেকে। ৫ লিটার খাটি সরিষার তেল মাত্র ১২৫০ টাকা।
অর্ডার করুন :whatsappএই নাম্বারে: ⁨01758331331

30/07/2022

জৈব সার তৈরির প্রস্তুত প্রনালী

বসত বাড়ীর জৈব সার কারখানা
মাটির গঠন ও গুণাগুণ ঠিক রাখতে হলে জৈব সার ব্যবহার করেই একে উৎপাদনক্ষম করতে হবে। তাই জৈব সার তৈরী ও সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রত্যেক কৃষক ভাইয়ের যত্নবান হওয়া উচিত। সামান্য উদ্যোগ নিয়ে নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে প্রায় বিনা খরচে জৈব সার তৈরী করা সম্ভব। নিজস্ব শ্রম ও গৃহস্থলী থেকে প্রাপ্ত খড়কুটা লতাপাতা, কচুরিপানা, ছাই, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা,
গোবর গো-চনা, বাড়িঘর ঝাড়ু দেয়া আবর্জনা ইত্যাদি পচিয়ে বা সংরক্ষণ করে প্রত্যেক কৃষক বাড়িতে ছোটখাটো একটি সার কারখানা গড়ে তুলতে পারে। এই জৈব সার ব্যবহারে মাটির উৎপাদিকা শক্তি যেমন ঠিক থাকবে ঠিক থাকবে অন্যদিকে রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতাও কিছুটা হ্রাস পাবে।

গোবর সার সংরক্ষণ পদ্ধতি
গরুর মলমূত্র একত্রে মিশিয়ে ও পঁচিয়ে যে সার তৈরী করা হয় তাই গোবর সার। এই সার বাংলাদেশের কৃষকের কাছে অত্যন্ত পরিচিত ও উত্তম মানের সার। এত অধিক পরিমাণ জৈব সার অন্য কোনো গৃহপালিত পশুপাখি থেকে পাওয়া যায় না। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে এত মূল্যাবান সারটির বিরাট অংশ বিনষ্ট হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় অযত্ন ও অনিয়মে গোবর জড় করে রাখা হয়। অনেকে গর্ত করে গোবর সংরক্ষণ করেন ঠিকই কিন্তু উপরে আচ্ছাদন না থাকায় রোদ ও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই এভাবে যে সার তৈরী করা হয় তা মাটি বা ফসলের জন্য কোনো কাজে আসে না। এ ছাড়া আজকাল গোবরকে জ্বালানি হিসাবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সম্পদের একক ব্যবহারে জমিতে সারের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অথচ এই গোবরকে বায়ো-গ্যাম হিসাবে ব্যবহার করার পরেও সার হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। সরাসরি গোবরকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করার ফলে এক-তৃতীয়াংশ গোবর সার বিনষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন যেটুকু গোবর পাওয়া যায় তা সযত্নে সংরক্ষণ করা উচিত। কারন কাঁচা গোবর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ঠিক নয়। আবার সাধারণত গোবর জমা করে রাখলেও সারের গুণগত মান নষ্ট হয়।

উন্নত পদ্ধতিতে যেভাবে গোবর সার তৈরী করবেন
১। গোয়াল ঘরের কাছাকাছি সামান্য উঁচু স্থান বেছে নিয়ে ১.৫ মিটার চওড়া, ৩ মিটার লম্বা ও ১মিটার গভীর গর্ত তৈরী করুন। গোবরের পরিমাণ বুঝে গর্ত ছোট, বড় বা একাধিক গর্ত করতে পারেন।
২। গর্তের তলা ভালোভাবে পিটিয়ে সেখানে খড়/কাঁকর/বালি বিছিয়ে নিন যাতে পানি সহজে শুষে নিতে পারে অথবা গর্তের তলা এবং চারপাশে গোবর দিয়ে ভালভাবে লেপে নিতে পারেন। গর্তের চারিদিকেই তলদেশের দিকে একটু ঢালু রাখতে হবে এবং গর্তের উপরে চারপাশে আইল দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে যেন বর্ষার পানি গর্তে যেতে না পারে।
৩। গর্তের পাশ থেকে গোবর ফেলে গর্তটি ভরতে থাকুন অথবা গর্তটিকে কয়েকটি ভাগেভাগ করে কয়েক দিনে এক একটি অংশ ভরে পুরো গর্ত ভরাট করা ভালো।
৪। গর্তে গোবর ফলার ফাঁকে ফাঁকে পুকুর বা ডোবার তলার মিহি মাটি ফেলুন, এতে স্তর আঁটসাট হয় এবং সার গ্যাস হয়ে উবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৫। প্রায় দেড় মাস পর সারের গাদা ওলটপালট করে দিতে হবে। যদি গাদা শুকিয়ে যায় তবে গো-চনা দিয়ে ভিজিয়ে দিন কারণ, গো-চনাও একটি উৎকৃষ্ট সার।
৬। গোবরের সাথে টিআসপি (ঞঝচ) ব্যবহার করলে জৈব সারের মান ভালো হয়। গোবরের গাদার প্রতি টনের জন্য ১৫-২০ কেজি টিএসপি ব্যবহার করতে পারেন।
৭। কড়া রোদে গোবর যেন শুকিয়ে না যায় আবার বৃষ্টিতে ধুয়ে না যায় সে জন্য গাদার ওপরে চালা দিয়ে দিন। খড়, খেজুর পাতা কিংবা তালপাতা দিয়ে কম খরচে এই চালা তৈরী করতে পারেন।

এমনিভাবে সংরক্ষণের ২ মাসের মধ্যেই গোবর পচে উত্তম মানের সার তৈরী হয় যা পরবর্তীতে জমিতে ব্যবহার করার উপযোগী হয়। জৈব সার ব্যবহার করে রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভশীলতা কমিয়ে আনুন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সচেষ্ট হন।

প্রফেসর ডঃ মোঃ সদরুলআমিন উদ্ভাবিত বায়োএক্টিভেটেড পদ্ধতিতে সহজেই ২৮ দিনে উন্নত মানের কম্পোস্ট তৈরী করা।

কচুরি পানা দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরী
কম্পোস্ট তৈরীর আসল কাঁচামাল কচুরিপানা ছাড়াও খড়কুটা, ঝরাপাতা, আগাছা, আবর্জনা, ফসলের অবশিষ্টাংশ একত্রে মিশিয়ে পচানো হয়-যা থেকে উৎকৃষ্ট মানের কম্পোস্ট উৎপাদন সম্ভব। বর্ষায় বাংলাদেশে ডোবা-নালাসহ জালাঞ্চলগুলো কচুরিপানায় ভরে ওঠে। যার ফলে পানি দূষিত হয় এবং মশার উপদ্রব বাড়ে। অথচ এই কচুরিপানাকেই আমরা কম্পোস্টের আসল কাঁচামাল হিসাবে গণ্য করতে পারি। আমরা সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরী করতে পারি-

১। স্তূপ পদ্ধতি
২। গর্ত পদ্ধতি

স্তূপ পদ্ধতি
অতিবৃষ্টি ও বন্যাযুক্ত এলাকার জন্য স্তূপ বা গাদা পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরী করতে হবে। বসতবাড়ির আশপাশে, পুকুর বা ডোবার ধারে কিংবা ক্ষেতের ধারে যেখানে বন্যার কিংবা বৃষ্টির পানি দাঁড়াবার কোন সম্ভাবনা নেই এমন জায়গাকে স্তূপ পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরীর স্থান হিসাবে নির্বাচন করতে হবে। স্তূপের উপরে চালা দিতে হবে অথবা গাছর নিচে স্থান নির্বাচন করতে হবে যাতে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়।

স্তূপের আকার
এই পদ্ধতিতে গাছের ছায়ায় মাটির ওপর ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ১.২৫ মিটার প্রস্থ ও ১.২৫ মিটার উচুঁ গাদা তৈরী করুন। আপনার সুবিধা অনুযায়ী এই মাপ কম-বেশি করতে পারেন। প্রথমত কচুরিপানা অথবা অন্যান্য আবর্জনা ফেলে ১৫ সে. মিটার স্তূপ তৈরী করুন। স্তর সাজানোর আগে কচুরিপানা টুকরা করে ২/৩ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার সাজানো স্তরের ওপর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ২০০ গ্রাম টিএসপি ছিটিয়ে দেয়ার পর স্তরের উপরিভাগে ২.৫/৫ সে. মি. পুরু করে কাদা ও গোবরের প্রলেপ দিয়ে দিন। এতে পচন ক্রিয়ার গতি যেমন বাড়বে অন্যদিকে সুপার কম্পোস্ট তৈরী হবে। এভাবে ১.২৫ মিটার উঁচু না হওয়া পর্যন্ত ১৫ সে. মি. পুরু স্তর সাজানোর পর পর ইউরিয়া ও টিএসপি দিয়ে তার ওপর গোবর ও কাদা মাটির প্রলেপ দিন। গাদা তৈরী শেষ হয়ে গেলে গাদার ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করুন।

কম্পোস্ট স্তূপ পরীক্ষা
কম্পোস্ট স্তূপ তৈরী করার এক সপ্তাহ পর শক্ত কাঠি গাদার মাঝখানে ঢুকিয়ে দেখুন গাদা অতিরিক্ত ভেজা কিনা। যদি ভেজা হয় তবে গাদার উপরিভাগে বিভিন্ন অংশে কাঠি দিয়ে ছিদ্র করে দিনে যেন বাতাস ঢুকতে পারে। ২/৩ দিন পর গর্ত বা ছিদ্রগুলো মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিন।
আবার গাদা অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে ছিদ্র করে পানি অথবা গো-চনা ঢেলে দিন। এতে সার ভালো হবে। কম্পোস্ট তাড়াতাড়ি পচে সার হওয়ার জন্য স্তর সাজানোর ১ মাস পর প্রথমবার এবং ২ মাস পর দ্বিতীয় বার গাদার স্তরগুলো উল্টিয়ে দিন। এ সময় কম পচা আবর্জনাগুলো গাদার মাঝখানে রাখুন। আবর্জনা সার ঠিকমতো পচলে ধূসর বা কালো বর্ণ ধারণ করবে এবং আঙ্গুলে চাপ দিলে যদি গুঁড়া হয়ে যায় তবে মনে করবেন মাঠে ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। উল্লেখিত পর্দাথের মাপগুলো যদি ঠিকমত দেয়া হয় তবে এ জাতীয় কম্পোস্ট গাদা ৩ মাসের মধ্যে উন্নতমানের সারে রূপান্তরিত হয়।

গর্ত পদ্ধতি
পানি দাঁড়ায় না কিংবা কম বৃষ্টিপাত এলাকা কিংবা শুকনো মৌসুমে গর্ত পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরী করা যঅয়। গাছের ছায়ার নিচে বাড়ির পেছন দিকে অথবা গোশালার পাশেই কম্পোস্ট গর্ত তৈরী করা সব দিক থেকে সুবিধাজনক।
আপনার প্রাপ্ত স্থানের সাথে সঙ্গতি রেখে গর্ত তৈরী করুন। তবে ১.২৫ মিটার প্রস্থ, ১ মিটার গভীর ও ২.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গর্ত তৈরী করুন।
গর্তের তলায় বালু অথবা কাঁকর দিয়ে দরমুজ করে দিন যাতে জলীয় পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে। প্রয়োজনে ধানের খড়ও বিছিয়ে দিতে পারেন, তাও সম্ভব না হলে গোবর কাদার সাথে মিশিয়ে গর্তের তলা এবং চারপাশে লেপে দিন। মনে রাখবেন গর্তের ওপর দিকে ভুমি থেকে খানিকটা উঁচু করে আইল তৈরী করে দিতে হবে যাতে কোন রকমে পানি গড়িয়ে গর্তে পড়তে না পারে।
এবার গাদা পদ্ধতির মতো করে গর্তে কচুরিপানা স্তরে স্তরে সাজিয়ে কম্পোস্ট তৈরী করুন। অথবা গোয়াল ঘরে গোবর, গো-চনা, পাতা, আখের ছোবড়া, কলাপাতা যাবতীয় উচ্ছিষ্ট অংশ গর্তে ফেলুন। সম্ভব হলে গো-চনার সাথে কাঠের গুঁগা মিশিয়ে দিতে পারলে ভাল হয়।
এমনি এক একটি স্তরের ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে দিন। মনে রাখবেন, মাটির প্রলেপ দেয়ার আগে স্তর ভালভাবে ঠেসে দিতে হবে। গর্ত ভরাট না হওয়া পর্যন্ত এমনিভাবে স্তর তৈরী করুন।
প্রত্যেকটি স্তর তৈরীর পর মাটির প্রলেপ দেয়ার আগে পরিমান মতো ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। এরূপ একটি গর্তে তিন টন আবর্জনার জন্য ১/২ কেজি ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হবে। গর্ত ভরাট হয়ে যাওয়ার পর গোবর ও মাটি মিশিয়ে উপরিভাগে প্রলেপ দিয়ে দিন।
সার যাতে শুকিয়ে না যায় তা পরীক্ষা করতে হবে। গর্তের মাঝখানে ছিদ্র করে দেখতে হবে, যদি শুকনো মনে হয় তবে ছিদ্র দিয়ে পানি ঢালতে হবে। জৈব পদার্থে পানির পরিমাণ ৬০-৭০ ভাগ থাকা বাঞ্ছনীয়।
এভাবে তিন মাস রাখার পর এই সার ব্যবহার উপযোগী হবে।

কম্পোস্ট ব্যবহারের নিয়ম
ধান পাট, আলু, গম ও শাকসবজির মাঠে কম্পোস্ট ব্যবহার করা যায়। বেলে দোআঁশ, বারিন্দ্র ও লালমাটি এবং মধুপুরগড় এলাকার জন্য কাম্পোস্ট বেশ কার্যকারী। কম্পোস্ট জমিতে ছিটিয়ে দেয়ার সাথে চাষ দিয়ে মাটির সাথ মিশিয়ে দিন।

প্রত্যেক বাড়িতে জৈব সার কারখানা গড়ে তুলুন

লতাপাতা ও গাছগাছলি দিয়ে সবুজ সার তৈরী
সবুজ সার কী? এরকম প্রশ্ন উথাপিত হওয়া স্বাভাবিক। এ প্রশ্নের সহজতর জবাব হচ্ছে-কোনো উদ্ভিদকে সবুজ অবস্থায় চাষ দিয়ে মাটির সাথে মেশানোর ফলে পচে গিয়ে যে সার তৈরী হয়, তাকেই সবুজ সার বলে। অন্য কথায় বলা যায় যে, মাটির জৈব পদার্থের ক্ষয়পূরণ বা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একই স্থানে কোনো ফসল জন্মিয়ে সবুজ গাছগুলোকেব মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়াকে সবুজ সার বলে। জমিতে এই পদ্ধতিতে সবুজ সার ব্যবহারের ইতিহাস স্মরণাতীতকাল থেকেই চলে আসছে। রোমানগণ সর্বপ্রথম মিশ জাতীয় শস্য সবুজ সার হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

সবুজ সার জাতীয় গাছর পরিচিতি
শুঁটি এবং অশুঁটি উভয় জাতীয় গাছ দ্বারাই সবুজ সার করা যায়। সবুজ সারের উপযোগী প্রায় ৩০টির মতো শুটি এবং ১০টির মতো অশুঁটি জাতীয় শস্য রয়েছে। আমাদের দেশে সচরাচর শুঁটি জাতীয় গাছই সবুজ সার হিসাবে ব্যবহারের জন্য চাষ করা যায়। এগুলোর মধ্যে ধৈঞ্চা, বরবটি, শণই প্রধান। এ ছারা শিম, খেসারি, মাশকলাই, মুগ, মটর, মসুর, ছোলা, সয়াবীন, চীনাবাদাম, অরহর প্রতৃতিও শুটি জাতীয় শস্য। অশুঁটি জাতীয় গাছের মধ্যে রয়েছে ভুট্টা, ধান, গম, খোয়ার, ইক্ষু, সূর্যমুখী, বাজরা, তুলা, তামাক প্রভৃতি।

কিভাবে সবুজ সার প্রস্তুত করবেন
বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী দু্'একটি আদর্শ সবুজ সার জাতীয় ফসালের চাষ ও সবুজ সার প্রস্তুত প্রণারী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।

শুঁটি জাতীয় সবুজ সার
শুঁটি জাতীয় সবুজ সারের উপযোগী গাছ সারা বছরই চাষ করা যায়, তবে শীতের সময় এর বাড় বাড়তি কম হয়।

ধৈঞ্চা
ধৈঞ্চা বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়াতে ভাল জন্মায়। দু-একটি চাষ ও মই দিয়ে ধৈঞ্চার বীজ বৈশাখ/জ্যৈষ্ঠ মাসে ঘন করে বুনে দিন। বীজ বোনার আগে শিকড়ের শুঁটির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি বীজ ঘন করে ছিটিয়ে বুনে তা হালকা চাষ দিয়ে বীজগুলো মাটির নিচে ফেলে দিন। কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই দেখবেন দু'মাসের মাধ্যে গাছে ফুল দেখা দিয়েছে। তখনই গাছ সবুজহ সার তৈরীর উপযুক্ত হয়েছে ধরে নেবেন। গাছ বেশি লম্বা হয়ে গেলে ২/৩ টুকরা করে কেটে নিয়ে ঐ ক্ষেত্রে মই দিয়ে গাছ মাটির সাথে মিশিয়ে দিন ক্ষেত্রে সামান্য পানি থাকলে ধৈঞ্চা মই দেয়ার পর খুব সহজে কাদামাটির সাথে মিশে যায়। সাধারণত প্রথম চাষ দেয়ার ১০/১২ দিনের মাথায় পুনরায় চাষ ও মই দিন। দেখবেন মোট ১০/১৫ দিনের মাথায় ধৈঞ্চা গাছ মাটির সাথে মিশে গিয়ে সুবজ সারে পরিণত হয়েছে। ধৈঞ্চা সারের পর রোপা আমন ভালো জন্মায়- তাই ধৈঞ্চা চাষের পর রোপা আমনের চাষ করুন।

শণ
শণ একটি উৎকৃষ্ট সবুজ জাতীয় সার। ধৈঞ্চার অনুরূপ পদ্ধতিতে হেক্টরপ্রতি ৪০/৫০ কেজি বীজ ঘন করে উঁচু জমিতে বপন করুন। শণ গাছ দাঁড়ানো পানি সহ্য করতে পারে না। তাই ক্ষেতে নালা রাখুন। গাছ ১.২/১.৫ মিটার উঁচু বা ৭/৮ সপ্তাহ পর ফুল দেখা দিলেই ধৈঞ্চার মতো মই দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। ১৫ দিন পর আবার মই দিয়ে ক্ষেতের পানির সাথে মিশিয়ে দিন। এমনি গাছ পচে যেতে সময় লাগকেব এক মাস। শণ গাছ পচে গিয়ে মাটিতে উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার প্রস্তুত করে।

বরবটি
বরবটিও সবুজ সার হিসাবে চাষ করা যায়। যদিও বরবটি মানুষ ও পশুখাদ্য হিসাবেই বেশি চাষ হয় তথাপি চীনে সবুজ সার হিসাবে চাষে এর ফলন বেশি।
বরবটি উঁচু জমির শস্য। পানি দাঁড়ালে ভাল কখনও হয় না। লাল মাটির জন্য খাড়টি অত্যন্ত উপযুক্ত সবুজ সার। অত্যন্ত দ্রুত বর্ধনশীল বরবটি গাছে মাত্র ছয় সপ্তাহের মাঝেই ফুল আসে এবং তখনই তা সবুজ সার হিসাবে ব্যবহারের উপযুক্ত হয়। ঐ সময় চাষ দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে সবুজ সার প্রস্তুত করতে হয়।

জৈব সারের উপকারিতা
এখন কৃষি ক্ষেত্রের প্রেক্ষাপট অনেক বদলেছে। ৬০-এর দশকের আগে এদেশে দেশী জাতের ধান আবাদ হতো। তখন যা উৎপাদন ছিল তাতেই আমাদের চলে যেত। জনসংখ্যা বাড়ছে, খাদ্যের প্রয়োজন বাড়ছে, তাই ৬০-এর দশক থেকে আস্তে আস্তে শুরু হল সেচ আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের।
গত ৩০ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে একই জমিতে একই ফসলের চাষ, রাসায়নিক সার ব্যবহার, জৈব সারের ঘাটতি- সব কিছু মিলে মাটি আজ তার উর্বরা শক্তি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে। আমরা উচ্চ ফলনশীল শস্যের চাষ করতে গিয়ে শস্য বেড়ে ওঠার জন্য তার যত্ন নিচ্ছি। খাবার দিচ্ছি এবং পরবর্তীতে তার কাছ থেকে কাঙ্খিত ফলন পাচ্ছি। কিন্তু মাটির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করছি কি?
মাটির খাদ্য হচ্ছে জৈব সার বা জৈব মিশ্রণ। গোবর একটি জনপ্রিয় বহুল প্রচলিত এবং উৎকৃষ্টমানের জৈব সার। জ্বালানি ঘাটতির কারণে মূল্যবান এই সার এখন জ্বালানি কাজে ব্যবহার হয়। ফসল সংগ্রহের পর খড় নাড়া কিংবা মোচা জমিতে রেখেই পুড়িয়ে মাটির সাথে মিশ্রিত দেয়া হত। পরবর্তীতে সেখান থেকে তৈরী হত মাটির খাদ্য। আজ এগুলো সবই ব্যবহার করা হয় অন্য কাজে। তাহলে মাটির খাদ্যের রইল কি? আমরা যদি গত ৩০ বছর ধরে রাসায়নিক সার ব্যবহারের পাশাপাশি জমির জন্য প্রয়েজনীয় পরিমাণজৈব সার ব্যবহারের ধারা অব্যাহত রাখতে পারতাম তবে সম্ভবত বলা যেত যে, আগামী ২০ বছরে বাংলাদেশের আবাদি জমিগুলো থেকে ফসল উৎপাদনের মাত্রা বর্তমানের মতোই অব্যঅহত রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু একথা বলার মতো প্রেক্ষাপট আর নেই। বহু দিন ধরে প্রচেষ্টার পর কৃষি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমান সময়ে এসে আমরা খাদ্যে হয়তো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার পথে- এটি একটি বিরাট সাফল্য। ৫৬ হাজার বর্গমাইল ভূমির এই দেশে প্রায় ১৫ কোটি মানুষের খাদ্যের উৎপাদন চাট্টিখানি কথা নয়। উৎপাদন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। শস্যের সাথে মাটির সমন্বয় মোটামুটি ঠিক থাকলেও এর পর থেকে উৎপাদন হবে নিম্নমূখী। ফসলের এই উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৫-৩০ বছর আগে যে ফল আমরা ভোগ করছি আজ। আজ যে পরিকল্পিত প্রক্রিয়া শুরু হবে সেই ফলাফল আসবে আগামী এক দু'দশক পর। কৃষি ক্ষেত্রের এ জাতীয় পরিবর্তন আসতে ২০-২৫ বছর সময় লেগে যায়।
তথ্য সূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত

Want your business to be the top-listed Food & Beverage Service in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Fassion World

We are providing many kind of fashionable goods.......................

Telephone

Address


Dhaka
1209

Other Organic Grocery Stores in Dhaka (show all)
Ghorerbazar.com Ghorerbazar.com
Dhaka
Dhaka, 1200

ঘরের বাজার একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যার প্রধান লক্ষ্য প্রতিটি ঘরে অর্গানিক ফুড পৌঁছে দেয়া।

POLLI MART Organic POLLI MART Organic
Kaderia Madrasha Road, Aziz Moholla
Dhaka, 1207

POLLI MART is a trusted online organic shop. We are cultivating most of our products and others are directly supplied by the farmers. We really do care about what we sell, how we p...

Sraya Organic Corner Sraya Organic Corner
174/1 Tejkunipara, Tejgaon
Dhaka, 1215

Hello! Welcome to Sraya Organic Corner. Here you can find various organic food and groceries. All pr

HollyHerbs HollyHerbs
Dhaka

Fit Treat BD Fit Treat BD
Naya Bazaar
Dhaka, 1100

We sell organic food। Promoting a healthy lifestyle.

The Organic Garage The Organic Garage
Dhaka, 1219

The Organic Garage - name of organic food items. You can buy our organic foods which are completely made with natural way in village. Eat fresh and be healthy. For more informatio...

RUZEN Organic zone RUZEN Organic zone
Mohammodpur, Kaderabad Housing, Dhaka
Dhaka, 1207

Ruzen is an online shop where you can get 100% pure & original organic products and the best service from us.

Farmer Group Farmer Group
Road#10, Avenue#10, Mirpur DOHS
Dhaka, 1216

ফার্মার গ্রুপ মানেই কৃষকের পণ্য, খাঁটি পণ্য । #organicfoodshop #peanutbutter #ghee #coconutoil

Dry Fruit Cart Dry Fruit Cart
Block-A, Line-5, Section-6, Mirpur-Dhaka
Dhaka, 1216

Dry Fruit Cart is a trusted online shop. Consumer's trust and satisfaction is our main target.

DeshiSob-দেশীসব DeshiSob-দেশীসব
15 New Eskaton
Dhaka, 1000

দেশীসব অর্গানিক পন্যের সমাহার

Lajij shop Lajij shop
Dhaka
Dhaka, 1230

আল্লাহ ব্যবসাকে করেছেন হালাল আর সুদক?

Easy হাঁটবাজার Easy হাঁটবাজার
Dhaka, 1214

আপনার নিত্যদিনের ফ্রেশ এবং ভেজাল মুক্ত বাজারের এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।