Rinku Debnath
Nearby computer & electronics services
1213
Banani
Tejgaon
1213
বনানী
1000
Banani
Banani
Banani
Banani
1213
Banani Dhaka
Banani . Dhaka
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটাকে জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় খাবার নষ্টের অপরাধে ৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়। এই সামান্য অর্থ তাঁর জন্য বড় কোনো বিষয় ছিল না। তবে সেদিন রেস্তোরাঁয় গিয়ে তিনি যা শিখেছেন, তিনি তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
তিনি লেখেন— “বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জার্মানি। একবার সহকর্মীকে নিয়ে হামবুর্গে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম আমি। যেহেতু আমরা খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম, সেজন্য বেশ অনেকটা খাবার অর্ডার করেছিলেন আমার সহকর্মী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাবারই ছুঁয়ে দেখা হলো না আমাদের।"
এরপর আমি ও আমার সহকর্মী যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ওই সময় এক বয়স্ক মহিলা বিরক্ত হয়ে বললেন, “তোমাদের খাবার নষ্ট করা উচিত হয়নি।”
সহকর্মী ওই মহিলাকে উত্তর দিল, “আমরা টাকা দিয়ে খাবার কিনেছি। খাবার খাব না ফেলে দেব এটাতে তোমার মাথা ঘামানোর কী আছে?”
এই উত্তরে বেশ ক্ষেপে গেলেন ওই মহিলা। সঙ্গে থাকা আরেকজন তৎক্ষণাৎ ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার পোশাক পরা এক ব্যক্তি এসে হাজির হলেন।
ওই ব্যক্তি সবকিছু শুনে আমাকে এবং সহকর্মীকে ৫০ ইউরো জরিমানা করে বসলেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যাই আমি।
তারপর সেই কর্মকর্তা রাগান্বিত সুরে বললেন: "তুমি যা খেতে পারবে, শুধুমাত্র তাই অর্ডার কর। ❝টাকা তোমার ঠিকই, কিন্তু সম্পদ সমাজের তথা দেশের ❞
এই পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা খাবারের অভাবে ভুগছে। সম্পদ নষ্ট করার কোনো অধিকার তোমার নেই।"
সংগৃহীত
অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে।
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয় তাহলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছুক্ষণ কথা বলে একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে নিবো।
কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে ঝক্কির বিষয় ছিলো এটি যে, আমি তাঁর বাসা চিনিনা। আবার তাঁর ফোন নাম্বারও কারো কাছে নেই। কয়েকজন বন্ধু মারফতে কেবল এটাই জানলাম মানুষটি মনিপুরীপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার সমেত থাকেন।
কিন্তু মনিপুরী পাড়ায় তো হাজারের উপর বাড়ি। তিনি কোন বাড়িতে থাকেন এটি কি করে বের করবো! জানা নেই কিছুই। কেবল ভাবনা যদি কোনভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ মিলে। সেই চিন্তা থেকেই গেলাম মণিপুরীপাড়ায়। কয়েকজন বয়স্ক লোককে জিজ্ঞেস করলাম, সবার প্রতিউত্তর একটাই, এমন নামে তো কাউকে চিনিনা।
হঠাৎ মনে হলো আমি এলাকার সিকিউরিটি ইনচার্জের সাহায্য নিচ্ছিনা কেন! কারণ সিকিউরিটি ইনচার্জ হয়তো জানতে পারে। মণিপুরী পাড়ার সিকিউরিটি ইনচার্জকে ফোন দিয়ে পরিচয় বলে তাঁর নাম জানিয়ে বললাম যদি ফোন নাম্বার বা বাসার ঠিকানাটা পাওয়া যায়। সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ফোন নাম্বার আমার কাছে নেই, তবে বাসার ঠিকানাটা দিতে পারি। তিনি তো বাসা থেকে তেমন বের হননা। কারো সাথে দেখাও করেননা কথাও বলেন না। কারো সাথেই যোগাযোগ নেই। অতঃপর সিকিউরিটি ইনচার্জ মারফত বাসার ঠিকানাটা পাওয়া গেল।
ঠিক তখনই লোডশেডিং শুরু হওয়ায় এক ঘণ্টা তিনি যে বিল্ডিংয়ে থাকেন সে বিল্ডিংয়ের চারপাশে ঘুরঘুর করলাম। বিদ্যুৎ আসতেই বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম চতুর্থ তলায়। মনে তখন ধুকধুক করছে। যদি একটাবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তবে কি প্রথমে কি করবো তাই ভাবছি। ভাবলাম প্রথমে তাঁর পা ছুঁয়ে সালাম বা নমস্কার জানাবো।
চারতলায় উঠে কলিংবেল টিপতেই ভিতর থেকে প্রশ্ন এলো ' কে এসেছেন ? আপনি কে?' বললাম, 'একটা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।'
জবাব পেয়ে দরজা খুলেই বললেন ‘কি প্রয়োজন? কোথা থেকে এসেছেন?’ বললাম, ‘অমুক পত্রিকা থেকে এসেছি একটা বিশেষ দরকারে। তিনি বললেন 'কি দরকার?' আমি বললাম, 'যদি অনুমতি দেন তো একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে এবার আপনি আসতে পারেন।’
বললাম, ‘ভিতরে আসবো?’ পুরোটা বলার আগেই আমার মুখের উপর দিয়েই দড়াম করে তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বললেন, ‘আপনি চলে যান। আমি এসব বিষয়ে কথা বলিনা।'
আমার তখন কী যে অনুভূতি হয়েছিলো তা আমি আসলে ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমার দেশটির উপর তীব্র ঘৃণা জন্মালো। মনে হলো আমি মাটি খুঁড়ে তখনই ঢুকে পড়ি। কিংবা মরে যাই। আর তীব্র এক লজ্জাবোধ আমাকে চরমভাবে গ্রাস করলো। তিনি শিব নারায়ণ দাস যাকে আমরা সামান্য স্বীকৃতিটুকু দিতেও চরম কার্পণ্য করেছি।
তিনি সেই শিবনারায়ণ দাস যার নকশাকৃত পতাকা আমরা গোটা মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যবহার করেছি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় তাঁর নকশা করা পতাকাতেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
দেশ স্বাধীনের পর সে পতাকা থেকে মানচিত্র ছিঁড়ে তুলে পটুয়া কামরুল হাসানকে নিয়ে আমরা পতাকা সংশোধন করিয়ে শিবনারায়ণ দাসকে ইতিহাস থেকে পুরোপুরি মুছে দিয়েছি। মূল পতাকার নকশা করেও আজ অব্দি কোন প্রকার স্বীকৃতি পাননি শিবনারায়ণ দাস।
তিনি সেই শিবনারায়ণ দাস যিনি ১৯৭০ সালে ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা। ডাকসাইটে এই ছাত্রনেতা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণেও প্রাণ বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা হওয়ার পরেও কখনোই তিনি ন্যূনতম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটুকুও পাননি। তাঁর স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরীও নিজেও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
তাঁর বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক সতীশচন্দ্র দাস মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়ার পরেও শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি তো দূরের কথা; পাননি শহীদের স্বীকৃতিটুকুও।
কেন তাঁদের অভিমান হবেনা বলতে পারেন? কেন তাঁর আমাদের উপর রাগ হবেনা? আমার ভাগ্য ভালো যে তিনি আমার মুখের উপর দরজা আটকে চলে যেতে বলেছিলেন। অন্তত জুতাপেটা করেননি।
শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গী ছাত্রনেতারা মন্ত্রী হয়েছেন, নেহাতই হয়েছেন এমপি। কেউ পেয়েছেন দলের সর্বোচ্চ পদ, রাজপথে পাজেরো হাঁকিয়ে বেড়িয়েছেন। এটি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক ছিল। কারণ তাঁদের ত্যাগের ফলেই তো নির্মিত এই স্বদেশ। অথচ শিবনারায়ণ দাসকে আজ ধুঁকে ধুঁকে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয়।
আজ শিবনারায়ণ দাস মেয়ের কাছে একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয়ী হয়ে থাকেন। সেই বাড়ির প্রতিবেশীদের কাছেই শুনেছি চিকিৎসা করতে হলে আজো চারবার করে ভাবতে হয় শিবনারায়ণ দাসকে।
শিবনারায়ণ দাস যেন আজ এক বিস্মৃত ইতিহাস। যাকে আমরা স্রেফ ভুলে গেছি। আমাদের এক অনন্য কারিগরকে আমরা স্রেফ উচ্ছেদ করেছি। পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় পতাকার ইতিহাস লেখা হয়েছে তাঁকে বাদ দিয়েছি।
সর্বত্র জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম। নেই কোথাও শিবনারায়ণ দাসের নাম।
এসব ক্ষোভ অভিমান আর প্রচণ্ড কষ্টবোধ থেকেই পুরোপুরি নিভৃতচারী হয়ে গিয়েছিন শিবনারায়ণ দাস। প্রচার বিমুখ শিবনারায়ণ এড়িয়ে চলেছেন সমস্ত কিছু।
এই মানুষটিকে পদে পদে আমরা অপমান করেছি। লাঞ্ছিত করেছি, অপদস্ত করেছি। কিন্তু এরপরেও কি আমাদের বিন্দুমাত্র আত্মসমালোচনা হবেনা? এভাবেই শিবনারায়ণ দাস চলে গেছেন। আমরা কখনোই তাঁকে স্পর্শ করার সুযোগটুকুও পাইনি।
আজ সকালে চির ঘুমের দেশে পাড়ি জমালেন শিবনারায়ণ দাস। আমৃত্যু শিবনারায়ণ দাস সেই অভিমানটুকু জিইয়ে রেখেছিলেন।
কেনইবা রাখবেন না, আমাদের ইতিহাসের অনন্য সেই কারিগরকে যে আমরা তীব্র অবহেলিত, অবাঞ্চিত করে রেখেছিলাম। কি অদ্ভুত আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য ভাবতেই ভীষণ লজ্জা লাগে।
আজ মৃত্যুর পর হয়তো শিবনারায়ণ দাস পুষ্পস্তবক পাবেন। তাঁর কফিন হয়তো ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে। নানাজন নানা বিবৃতি দিবে। প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীরাও শোকবার্তা পাঠাতে পারেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে যে শিবনারায়ণ দাস ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচেছিলেন, সেই হিসেব টার কি হবে? হয়তো কখনো শিবনারায়ণ দাস মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় পদক পাবেন, তাতে আদৌ শিবনারায়ণ দাসের কি হবে?
বেঁচে থাকতে যে মানুষটিকে আমরা মূল্যায়ন করিনি, স্রেফ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও কার্পণ্য করেছি, সেই মানুষটার সামান্য পচা ফুলের স্তবকে কি আসে যায়?
-আহমাদ ইশতিয়াক
মানুষের শত্রু মানুষ নিজেই।
এই নারীকে চেনেন? ইনি কারোর জন্যে কিছু করেননি। কেউ তার জন্য কমবেশি দরকারি কিছু নয়। তবুও সারা বিশ্ব তাকে চেনে। কেন? তার নাম। কথায় বলে নামে কি আসে যায়? না, অনেক সময় অনেক কিছু আসে যায়।
তার বাবা কার্ল বেঞ্জ ১৮৮৬ সালে কম্বাটসন ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। এর ঠিক তিন বছর পরে তার জন্ম। পরে ডিমলারের সাথে গাড়ি বানানো শুরু হয়। অন্যতম জগদ্বিখ্যাত এই গাড়ি।
বাবা কার্ল বেঞ্জ যিনি গাড়ির নাম রাখেন তার কন্যার নামে। তিনি হলেন সেই বাবার কন্যা মারসিডিজ। সেই গাড়ি হলো মারসিডিজ বেঞ্জ। কিছু না করেও পৃথিবী পরিচিত এক নাম।
collected
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Contact the business
Website
Address
Banani
Dhaka
Ground Floor, House # 302 Road # 4, Baridhara DOHS
Dhaka, 1212
Complete web solutions including domain, hosting, design, development & digital asset management.
House 7/9 (4th Floor), Block B, Lalmatia
Dhaka, 1230
A team of developers creating unique web applications.
Daffodil Plaza, 4/2 Sobhanbag (6th & 7th Floor) Mirpur Road, Dhanmondi
Dhaka, 1207
Daffodil Institute of IT runs professional BBA, CSE, BTHM, MBA & MTHM programs under the NU.
Mirpur DOHS
Dhaka, 1216
Guest blogger for Search Engine Journal, Social Media Today and more. Pioneering internet marketing professional from Bangladesh. SEO, PPC, SMM Consultant.
Suite 2A, House 231, Road 06, Mohammadi Housing Limited
Dhaka, 1207
An industry-leading complete web solution & online infrasturcture service provider with a human touch
Suvastu Warda, House-20 (8th & 10th Floor), Road-Shahjalal Avenue, Sector-4, Uttara
Dhaka, 1230
An ISO 9001:2015 and ISO/IEC 27001:2013 certified R&D and Full Stack Software Development Company.
Plot# 592, Lift# 03, Road# 08, Avenue# 05, Mirpur DOHS
Dhaka, 1216
To change the world, how it communicates and how flow of Information could change our entire Human ra
Wakil Tower (8th Floor), Gulshan-Badda Link Road, Gulshan-1
Dhaka, 1212
JhoroTEK has been established to provide IT Consultancy, Software Design & Development, SMS Solution
Dhaka
Dhaka, 1205
46-48 New Elephant Road Suvastu Arcade IT Park Near BATA Signal Opposit of South East Bank Level :5,
Apt. 5-B, 75/C Asad Avenue Salimullah Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207
A global web design and development company specializing in WordPress themes and plugins development
Bashati Condominium, Road 17, Banani
Dhaka, 1213
This page provides information about WIWGROUP. We invite you to visit our website at http://www.wiwg