M"N" POMAL
all
পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম শব্দের
দীর্ঘতম অনুভতির
নাম হচ্ছে
মা......
দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দুধের চেয়ে দই বেশি মূল্যবান। যদি এটি আরও খারাপ হয় তবে এটি পনিরে পরিণত হয়। দই এবং দুধ উভয়ের চেয়ে পনির বেশি মূল্যবান। এবং যদি আঙ্গুরের রস টক হয়ে যায়, তবে এটি ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুরের রসের চেয়েও বেশি দামী।
আপনি খারাপ নন কারণ আপনি ভুল করেছেন। ভুল হল এমন অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসাবে আরও মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ত্রুটি করেছিলেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে পরিচালিত করেছিল।
আপনার ভুলগুলি আপনাকে হতাশ হতে দেবেন না। এটা নিখুঁত করে তোলে যে অনুশীলন নয়. আমরা যে ভুল থেকে শিখে নিখুঁত করে তোলে!
ভুল থেকে ভয় পাবেন না, আরও বড় পদক্ষেপ এগিয়ে চলুন।
If milk gets bad, it becomes yoghurt. Yoghurt is more valuable than milk. If it gets even worse, it turns to cheese. Cheese is more valuable than both yoghurt and milk. And if grape juice turns sour, it transforms into wine, which is even more expensive than grape juice.
You are not bad because you made mistakes. Mistakes are the experiences that make you more valuable as a person. Christopher Columbus made a navigational error that made him discover America. Alexander Fleming’s mistake led him to invent Penicillin.
Don’t let your mistakes get you down. It is not practice that makes perfect. It is mistakes we learn from that makes perfect!
Don't be scared of mistakes, more bigger steps ahead just keep going....
আপনি ও **চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না **
খলিফা উমর রাঃ মৃত্যুদন্ডের আসামী কে ছেড়ে দিলেন, জামিনদার আবু যর গিফারীর কারণে তারপর-----
দোষী এক ব্যক্তিকে টেনে-হিঁচড়ে খলীফার দরবারে নিয়ে এসেছেন দুই যুবক। তারা তাদের পিতার হত্যার বিচার চান।
"এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।"
খলীফা হযরত উমর (রা) সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন যে তার বিপক্ষে করা অভিযোগ সত্য কিনা। অভিযোগ স্বীকার করল সে। তারপর সেই ঘটনার বর্ণনা দিলঃ
"অনেক পরিশ্রমের কাজ করে আমি বিশ্রামের জন্য একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্প সময়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র বাহন উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত।
অভিযোগকারী এই দুই যুবকের বাবাকে আমার মৃত উটের পাশে পেলাম। সে আমার উটকে তার বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই কারণে আমি হঠাৎ করে রাগান্বিত হয়ে পড়ি এবং তার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি। ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"
বাদী’রা জানালেন- "আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই।"
সব শুনে হযরত উমর (রা) অপরাধী যুবককে বললেন, "উট হত্যার বদলে তুমি একটা উট দাবি করতে পারতে, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা। এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।"
ঐ ব্যক্তি বললো, "আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের রাখা কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন, আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণগুলি পরিশোধ করে আসতাম।"
খলিফা হযরত উমর (রা) বললেন, "তোমাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক সময়ের জন্য যেতে দিতে পারি।“
"এখানে আমার কেউ নেই যে আমার জিম্মাদার হবে।" নিরুপায় হয়ে ঐ ব্যক্তি জানালো।
এই সময় হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত একজন সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রা) দাঁড়িয়ে বললেন, "আমি হবো ঐ ব্যক্তির জামিনদার। তাকে যেতে দিন।"
আবু যর গিফারীর (রা)র এই উত্তরে সভায় উপস্থিত সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার উপর হত্যার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী! তার জামিনদার কেন হচ্ছেন আবু যর!!!
খলিফা বললেন, "আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত এই ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া হলো। জুম্মার আগে সে মদীনায় ফেরত না আসলে তার বদলে আবু যরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।"
মুক্তি পেয়ে ঐ ব্যক্তি ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবু যর গিফারী (রা) চলে গেলেন নিজ বাড়িতে।
দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেল। ঐ ব্যক্তির আসার কোনো খবর নেই। হযরত উমর (রা) রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবু যর গিফারির (রা) কাছে। পত্রে লিখা, আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই ব্যক্তি যদি না আসে, আইন মোতাবেক আবু যর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবু যর যেন সময় মত জুম্মার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। খবর শুনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবু যর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন।
জুমার পর মদীনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত যুবক এখনো ফিরে আসেনি। জল্লাদ প্রস্তুত। এই জল্লাদ জীবনে কত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসেব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না সে। আবু যরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর (রা) নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। হৃদয় তাঁর ভারাক্রান্ত। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু যর (রা) তখনও নিশ্চিন্ত মনে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু যর (রা) এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।
এমন সময় এক সাহাবী উচ্চ স্বরে জল্লাদকে বলে উঠলেন, "হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা সেই ব্যক্তির ঘোড়ার পদধুলি। একটু দেখে নাও।"
ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এ সেই ব্যক্তি। সে দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, "আমীরুল মুমিনীন, মাফ করবেন। রাস্তায় যদি আমার ঘোড়া পায়ে ব্যথা না পেত, তবে যথা সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে গিয়ে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি। তারপর বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আমার জামিনদার ভাইকে ছেড়ে দিন আর আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেননা কেয়ামতের দিন আমি খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।"
আশেপাশের সবাই একেবারেই নীরব। চারিদিকে একদম থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে! ঐ ব্যক্তির পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে।
খলিফা হযরত উমর (রা) যুবককে বললেন, "তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরেও কেন ফিরে এলে?"
উত্তরে সেই ব্যক্তি বলল, "আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।"
এবার হযরত উমর (রা) হযরত আবু যর গিফারী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কেন না চেনার সত্বেও ওই ব্যক্তির জামিনদার হলেন?"
উত্তরে হযরত আবু যর গিফারী (রা) বললেন, "পরবর্তিতে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অথচ অন্য কোন মুসলমান তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।"
এমন কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধের দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, "হে খলীফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা অভিযোগ তুলে নিলাম।"
হযরত উমর (রা) বললেন, “কেন তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছ?”
তখন সেই যুবক বলে উঠলো, "কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে নিজেই স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি"।।
[হায়াতুস সাহাবা-৮৪৪]
মাতৃভাষার নামে অতিরঞ্জন
জন্মের পর মানুষ যে ভাষায় প্রথম কথা বলে সেটা তার মায়ের ভাষা। সে ভাষার প্রতি তার ভালোবাসা ও ভালোলাগাটা অতি স্বাভাবিক। তবে প্রতিটি ভালোবাসা প্রকাশের নির্দিষ্ট সীমানা বেধে দিয়েছে প্রতিটি ভাষাভাষী মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামীন। সে সীমানা অতিক্রম করলে ধ্বংস অনিবার্য।
ভাষা নিয়ে আমরা অনেকেই গর্ব করি, এই ভাষা শ্রেষ্ঠ ভাষা আর আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি। আজ আরব, অনারব, ইংরেজ সবাই নিজ ভাষাকে সর্বোত্তম ও নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে। আসলে কোন জাতি কি ভাষার কারণে শ্রেষ্ঠ হতে পারে!? মানুষ শ্রেষ্ঠ হয় তার কর্মে। বিদায় হজ্বে রাসুল (সা:) বলেছেন- আরব অনারবের উপর প্রাধান্য নেই তাকওয়া ছাড়া (ইবনে হিশাম, বুখারী, মুসলিম)।
সকল ভাষাভাষী মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। আর রাসুলপাক (সা:)- আরবিকে ভালোবাসতেন, কারণ এ ভাষায় কুরআন নাযিল হয়েছে, জান্নাতের ভাষা, এই ভাষায় কথা বলতেন ও দ্বীন প্রচার করতেন (বুখারী,বায়হাকী))।
কিন্তু রাসুল (সা:) আসার আগে লাত, মানত, উযজা সহ সকল দেবদেবীর পূজা করা হত আরবের ভাষাতে। এখন এসব পূজাতে তারা যেসব শব্দ ব্যবহার করত তা কি শ্রেষ্ঠ নাকি নিৎকৃষ্ট?
আসলে ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে এর সঠিক প্রয়োগে, শুধু জন্মসূত্রে এ ভাষা অর্জন করাতে নয়। আজও আরবে মদের বোতলে আরবি লেখা হয় আর এদেশে অশ্লীল গালি, গান, কবিতা বাংলাতে লেখা হয় চাইনিজে নয়। আসলে কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়াতে তা শ্রেষ্ঠত্ব পায় যা দ্বারা আল্লাহর ইবাদাত করা হয় ঠিক তেমনি আরবি ভাষাতে যেসব দেবদেবীর পূজা করা হত তা নিৎকৃষ্ট। আর জন্মসূত্রে পাওয়া ভাষা নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করা বোকামী কারণ আমাদের জন্ম ও সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের নিজ ইচ্ছায় নয়। প্রত্যেক ভাষাভাষী ব্যক্তিই মহান আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা বলেন- “এবং তার নির্দেশবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা, বর্ণের বৈচিত্র্য। অবশ্যই জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শন (সুরা রুম -২২)।
আল্লাহ বলেন- “আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রাসুলকে স্বজাতির ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছি, যেন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখা করতে পারে (সুরা ইব্রাহীম -৪)। আল্লাহর আসমানী কিতাবসমূহ বিভিন্ন নবীর কাছে বিভিন্ন ভাষায় নাযিল হয়েছে আর আল্লাহর ব্যবহৃত ভাষার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কি হতে পারে!? প্রকৃতপক্ষে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা তাদের ভাষাকে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে আর এসব ভাষার সাল, মাস, দিনের সাথে ধর্মীয় ইবাদাতগুলো জড়িত। যেমন- মুসলিমরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হিজরি সাল ও আরবি মাস গণনা হত যা আমাদের ইবাদাতের সাথে জড়িত। ইংরেজরা এসে এই উপমহাদেশে খ্রিষ্টীয় সাল চালু করে যা তাদের ইবাদাতের সাথে জড়িত। January হতে শুরু করে June পর্যন্ত নামগুলি দেবদেবীর নাম আর Staruday হতে Friday সবই দেবদেবীর নাম।
আর বাংলা সাল ও বারের জন্মদাতা সমাট্র আকবর দ্বীনি ইলাহী নামক ধর্ম প্রচার করেন। আর ধর্মের পালন, আনন্দ উৎসব পালনের জন্য বিভিন্ন নামে মাস ও সপ্তাহের নাম রাখেন। যেমন- বিশাখা (বৈশাখ), জষ্ঠী (জৈষ্ঠ), শনি, রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহঃ, শুক্র সবই দেবতার নাম। আকবরের রাজদরবারে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল বেশি আর তিনি ওদের সন্তুষ্টির জন্য সম্মানপ্রদর্শন হিসেবে দেবদেবীর নামে নামকরন করেন।
মুসলিমদের আন্তর্জাতিক ভাষা ছিল আরবি কিন্তু তারা ক্ষমতা হারিয়েছে তাই আরবির বদলে তারা ইংরেজিকে মেনে নিচ্ছে। আজও চাকরির জন্য এদেশে বাংলা ভাষার দক্ষতা খুজে না, ইংরেজির দক্ষতা খুজে। জালেম পাকিস্তানি শাসকরা যদি নিজস্ব সংবিধান বাদ দিয়ে ইসলামী সংবিধান কুরআন দ্বারা শাসন করতো যার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র হয়েছিল।
তাহলে পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তান সবাই নিজ নিজ ভাষায় কথা বলতে পারতো, আর যেহেতু কুরআন দ্বারা শাসিত হতো তাই দুদেশের দাপ্তরিক বা কমন ভাষা হতো আরবি। আর কুরআন দ্বারা শাসিত দুদেশের মুসলিমরা দ্বীনদারিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদ, চাকরি, সম্মান ও মর্যাদা পেত। তাদের অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদের ফলে যুদ্ধ হয়। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- “যখনই তারা আল্লাহ ও তার রসুলের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, তখনই তাদের বিজাতীয় শত্রুকে (আল্লাহ) তাদের উপর বিজয় করে দিবেন, ফলে তারা মালিকানাধীন অনেককিছু দখল করে দিবে। যতক্ষণ শাসক আল্লাহর বিধান অনুযায়ী শাসন করবে না, আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয় কার্যকরী করবে না, ততক্ষন আল্লাহ অভ্যন্তরীন সংঘাত লাগিয়ে রাখবেন।” (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫ম খন্ড পৃ-৩৬৩, ইবনু মাজাহ ৪০১৯)।
পাকিস্তান গঠনের সময় অঙ্গীকার করেছিল এটা শরীয়াভিত্তিক রাষ্ট্র হবে। আর মুসলিমরা কালেমা পড়ে সাক্ষ্য দেয় তাদের জীবন আল্লাহর বিধানমতে চালাবে। কিন্তু তৎকালীন শাসকগণ কুরআনের সংবিধান বাদ দিলে সে অঙ্গীকার ভঙ্গ হয়। ফলে পরস্পর সংঘাত, যুদ্ধ ফলশ্রুতিতে পাকরাষ্ট্র শত্রুপক্ষের নিকট পরাজিত হয়। এরপর কারগিল যুদ্ধেও ভারত তাদের কিছু ভূখণ্ড দখল করে নেয় এবং ভারতের ক্ষতির ভয়ে চীনের সাথে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে কাশ্মীরের কিছু অংশ উপহার দেয়।
আমরা আজ সে পথে হাটছি, ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শিরক করছি আর শিরকি মাস ও সপ্তাহের নাম, বৈশাখী নববর্ষ, বর্ষা ও বসন্ত বরণ পালন করতে গিয়ে শিরকে লিপ্ত হচ্ছি। কিন্তু এই ভাষাতেই এসব কুফর ও শিরকের বিরোধীতা করলে কেউ বলবে দেশদ্রোহী ও কেউ বলবে পাকিস্তানের দালাল। এসব নিয়ে দেশে অভ্যন্তরীন সংঘর্ষ চলছেই।
আসলে ভাষা ও দেশকে ভালোবাসা মানে কি এই শিরকী অনুষ্ঠান ও হারাম গানবাজনায় অর্থ অপচয় করা? অথচ যে রমনা, গুলশানসহ বহুস্হানে এসন উৎসব পালন করা হয় তার চারপাশে বহু ফুটপাতের শিশু, অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কষ্টে জীবনযাপন করে। তারা তো এদেশের মানুষ ও বাংলা ভাষায় কথা বলে তখন তথাকথিত দেশপ্রেমের চেতনা কোথায় থাকে!?
এই ভাষাকে ভালবাসি, এই ভাষাতেই আল্লাহ ও রাসুলের প্রশাংসা ছড়াবো কিন্তু এ ভাষার ব্যবহৃত অশ্লীল, শিরকীয় শব্দ ও আচার অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলব। কারণ মুমিনদের ভালোবাসা কখনও আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রাধান্য পায় না। সংগ্রহ
বাংলাদেশের আকাশে আজ শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামি ২৫ ফেব্রয়ারি রাতে সারাদেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।
কপি...........................
এইতো আমাদের মা
ছেলেকে বাসায় না পেয়ে যখন মা'কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ, তখন কোর্টের বারান্দায় সেই মা'য়ের সাথে কিছু কথোপকথন;
আন্টি কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমরা কেমন আছ? ভালো আছি।
আপনাকে কি মামলা দিয়েছে জানেন? না জানিনা।
তবে মামলা যা-ই হোক আমি খুব খুশি।
অনেক দিনের তপস্যা ছিল আমার। আল্লাহ এভাবে কবুল করবেন বুঝতেই পারিনি। ইসলামি আন্দোলনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো জেল খাটা। নবীর (সাঃ) এই সুন্নত হয়ত জীবনে কখনও পুরন হতো না। এই জালিম সরকার তা সু-ব্যাবস্থা করে দিল। তবে আমার ছেলে খুব ঘাবড়ে গেছে। ওকে বল বুকে হিম্মত রাখতে।
এভাবেই কথা হচ্ছিল রাবি সেক্রেটারিয়েট ছেলেকে না পেয়ে ধরে নিয়ে আসা আসামি মায়ের সাথে। চোখে আমার পানি ছল ছল করছিল।
লেখক : এ্যাড. সোহাগ বান্না ( Shohag Banna)
হে আল্লাহ...!!
আমার অন্তরে হিদায়ত পৌঁছে দিন, আর
আমার নিজের (নফসের) অনিষ্ঠতা
থেকে আমাকে রক্ষা করুন। ♥
নিজে জানুন,অন্যকে জানান 👇
১/ রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝেন আপনার পিছনে কেউ আছে ঘাড় ঘুরাবেন না, পুরু শরীর ঘুরিয়ে দেখোন,আর পিছনে না তাকানোই উত্তম।
২/ ঘরে, মসজিদে বা বিছানায় সাপ দেখলে প্রথমে মারবেন নাহ, চলে যেতে বলবেন, কারণ জ্বীনেরা সাপের রুপ ধারণ করতে পছন্দ করে, না গেলে বুঝবেন ওটা সাপ,মারতে পারেন বা তাড়িয়ে দিন।
৩/ যদি রাতে কখনো দেখেন গাছের ডাল বা বাঁশ ঝুকে আছে এর উপর বা নিচ দিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন নাহ, সুরা ইখলাস পাঠ করোন।
৪/ গভীর রাতে ঘরের বাহির থেকে কেউ একবার ডাকলে সারা দিবেন না, তিনবার ডাকলে সতর্কতার সহিত বের হোন।
৫/ যদি কখনো গাছের ডগায় বা ডালে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান,দ্বিতীয় বার না তাকিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যান।
৬/ যদি রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন আপনিই আপনার রুমে বসে আছেন, ভয় না পেয়ে চোখ বন্ধ করে আয়াতুল কুরসি পরবেন তারপর চোখ খুলুন, এটা আপনার সাথে থাকা ( কারিন জ্বীন)
৭/ রাতে কখনো চিত হয়ে ঘুমাবেন নাহ, আর যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন, বুকের বাম পাশে তিনবার থুথু ফেলবেন, (বুখারী)
৮/ পুকুরে বা নদীতে গোসল করার সময় যদি কেউ আপনার পা টেনে নিচের দিকে নিয়ে যায় এমন বুঝেন প্রথমে চিৎকার দিবেন, পরে কষ্ট হলেও দোয়া ইউনুস পাঠ করোন, পানির নিচে জ্বীন বাস করে।
৯/ যদি রাতেকখনো দেখতে পান কুকুর বা বিড়াল আপনার সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাহলে সাথে সাথে মাটিতে একটা বৃত্ত একে তার ভিতরে দাড়িয়ে যান,আর দোয়া ইউনুস পাঠ করোন।
১০/ যদি কখনো রাতের বেলায় পথ হারিয়ে ফেলেন বা একি রাস্তায় বারবার চলে আসেন, বা গন্তব্য মনে পরছে নাহ,আজান দিবেন ঠিক হয়ে যাবে, গয়রান- নামক জ্বীন আপনাকে ঘোরাচ্ছে।
১১/ রাতে ঘুমের মধ্যে যদি দেখেন আপনার বুকে কেউ ভর করে আছে চিৎকার দিবেন নাহ লাভ নেই কারণ আপনার চিৎকার কেউ শুনতে পাবেনা, আপনার জানা যেকোনো সুরা বা আয়াত পাঠ করোন।
১২/ মরা মানুষের আত্মা আপনার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন কিছু ঘটলে ভয় না পেয়ে আয়াতুল কুরসি পরবেন, জ্বীনেরা এমনটা করে থাকে। শুধু সালাম দিয়ে চলে যান।
১৩/ কবরস্থান পবিত্র জায়গা হলেও সেখানে (ঘুল) নামক জ্বীন থাকে, সতর্ক হওয়া উচিত।
১৪/ আয়নার মধ্যে জ্বীন প্রবেশ করতে পারে তাই পর্দা দিয়ে রাখবেন, বাতরুমের আয়না রাতে না দেখা ভালো।
১৫/ যদি কখনো দেখেন আপনি মিষ্টি জাতীয় কিছু খাচ্ছেন পিঠা বা অন্য কিছু সামনে বিড়াল খেতে চাচ্ছে অবশ্যই তাকেও খেতে দিন,সাপ আর বিড়ালের রুপ ধারণ করতে জ্বীন পছন্দ করে আর ওদের প্রিয় খাবার মিষ্টি।
১৬/ মাগরিবের সময়, ঠিক দুপুর বেলায় এবং রাত ১২ টার দিকে জ্বীনদের প্রভাব বেশি থাকে, এই সময় সতর্ক থাকবেন বাচ্চা দের সতর্ক রাখবেন, বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করবেন।
১৭/ অতিরিক্ত রাগ করবেন নাহ, রাগের সময় আমাদের মুখের কথা যখন আটকে যায় তখন জ্বীনেরা আমাদের শরীরে প্রবেশকরে, রাগের সময় দাড়িয়ে থাকলে বসে যান,বসে থাকলে শুয়ে যান।
ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।
১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!
২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!
৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!
৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!
-----------------------------------------------
বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"। এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!! যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!
যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!
হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে! এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!! যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান।
💗💗💗লেখা:তামিম সরকার তালহা...! 💗💗
Follow Eros Sajib
াড়াই_বিষাক্ত_রাসায়নিক_মিশিয়ে_তৈরি_হচ্ছে_বিভিন্ন_ব্রান্ডের_জুস !
অধিক লাভের আশায় কোমলমতি শিশুদের মুখে বিষ তুলে দিচ্ছে অসাধু চক্র ! পুরান ঢাকার কামালবাগে অন্তত ১৫টি এ ধরনের কারখানার রয়েছে ! নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি কারখানার মালিক জানিয়েছেন ঝামেলা এড়াতে প্রত্যেক কারখানা থেকে মাসিক ৫০০০টাকা খেদমত প্রদান করতে হয় বড়বাবুদের !
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ বা টিআইবি তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলছে,(২০ইমার্চ ২০১৪) বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার এবং গাফিলতির কারণেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এজন্য তারা আইনের প্রয়োগের অভাব, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি আর আইন প্রয়োগে সরকারের অনীহাকেও দায়ী করেছেন। এছাড়া ভেজাল খাবার সনাক্ত করণে ল্যাবরেটরির সীমাবদ্ধতা আর সচেতনতার অভাবতেও ওই প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে।
গত একবছর ধরে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আইনি কাঠামো আর ভোক্তাদের সাথে কথা বলে টিআইবি দেখতে পেয়েছে, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্ব থাকলেও, তাদের মধ্যে সমন্বয় নেই এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগেরও অভাব রয়েছে।
ভোক্তাকে সচেতন হইতে হইবে সর্বাগ্রে !
ভেজাল কিংবা নকল বন্ধে যেকোনো সচেতন নাগরিক
অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন । আমি মনে করি দেশের জন্য কাজ করতে সাংবাদিক হতে হয় না ! এ দেশ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন যে ঋণ পরিশোধ হবার নয় ! এখন আমাদের দেবার পালা ।
ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত! “পর্চা”, “দাগ”, “খতিয়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য।
১!“নামজারী” বা মিউটেশন কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
২!“জমা খারিজ”কাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।
৩!“খতিয়ান” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।
খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান…
ভূমি জরিপ: CS, RS, PS, BS কি?
৪!ভূমি বা Land কাকে বলে?
“ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর ২(১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদি, অনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফল, ঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে।”
৫! ভূমি জরিপ/রেকর্ড কাকে বলে? ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত।
আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ
এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ
প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;
1. CS -Cadastral Survey
2. SA- State Acquisition Survey (1956)
3. RS -Revitionel Survey
4. PS – Pakistan Survey
5. BS- Bangladesh Survey (1990)
ক) সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)
“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল।
জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
গ) আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)
সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বেও ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে আ. এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আর, এস জরিপের উপর নির্ভর করা হয়। এর খতিয়ান ও ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে।
ঘ) সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।
৬!“পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।
৭!“মৌজা” কাকে বলে?
যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।
৮!“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।
৯!“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।
১০!“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাকে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।
১১!“খানাপুরি” কাকে বলে? জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।
১২!“আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
১৩!“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
১৪!“খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।
১৫!“দাখিলা” কাকে বলে?
ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।
১৬!"DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।
১৭!“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
১৮!“নাল জমি” কাকে বলে?
২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।
১৯!“খাস জমি” কাকে বলে?
সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।
২০!“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধদ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।
২১!“ওয়াকফ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে।
২২!“মোতওয়াল্লী” কাকে বলে?
যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।
২৩!“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?
হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।
২৪!“ফরায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে।
২৫!“ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
২৬! “সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকস্তি বলে। সিকস্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকস্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
২৭!“পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
২৮!“দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।
ভূমির পরিমাপঃ
ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতকঃ
***************************
১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট
১ শতাংশ =১০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ
৫ শতাংশ = ৩ কাঠা = ২১৭৮ বর্গফুট
১০ শতাংশ = ৬ কাঠা = ৪৩৫৬ বর্গফুট
১০০ শতাংশ = ১ একর =৪৩৫৬০বর্গফুট
কাঠা পরিমাপঃ
****************
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট/৭২১.৪৬ বর্গফুট
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ/৮০.১৬ বর্গগজ
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
২০ কাঠা = ১ বিঘা
৬০.৫ কাঠা =১ একর
একরের পরিমাপঃ
******************
১ একর = ১০০ শতক
১ একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট
১ একর = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,৮৪০ বর্গগজ
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ১০ বর্গ চেইন = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
১ শতক = ০.৫ গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট
বিঘা পরিমাপঃ
*************
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট /১৪৫২০বর্গফুট
১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ/১৬১৩ বর্গগজ
১ বিঘা = ২০ কাঠা
৩ বিঘা ৮ ছটাক = ১.০০ একর
লিঙ্ক পরিমাপঃ
****************
১লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি /৭.৯২ ইঞ্চি
১লিঙ্ক =০.৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল
১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক
১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর
কানি একর শতকে ভূমির পরিমাপঃ
*******************************
১ কানি = ২০ গন্ডা
১ গন্ডা = ২ শতক
১ শতক =২ কড়া
১ কড়া = ৩ কন্ট ১ কন্ট = ২০ তিল
ফুট এর হিসাবঃ
*****************
১ কানি = ১৭২৮০ বগফুট
১ গন্ডা = ৮৬৪ বফু
১ শতক= ৪৩৫.৬০ বফু
১ কড়া = ২১৭.৮ বফু
১ কন্ট = ৭২ বফু
১ তিল= ৩.৬ বফু
বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণঃ
*********************************
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর
১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা
১৪৫২০বর্গফুট = ১ বিঘা
৪৮.৪০ বর্গগজ = ০১ শতাংশ
৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৭২১.৪৬ বর্গফুট = ১ কাঠা
৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
৪৫.০৯ বর্গফুট= ১ কাঠা
২০ বর্গহাত = ১ ছটাকা
১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত (প্রামাণ সাই)
শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন।
ডা. মরিচ বুকাইলি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছেন ফেরাউনের মমি করা লাশের দিকে। রাত গভীর হয়েছে। কিন্তু তিনি হিসেব মেলাতে পারছেন না৷ এ কী করে সম্ভব! কী এমন রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে এর পেছনে! শত শত বছর ধরে মেডিকেল সায়েন্সকে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি লাশ কীভাবে টিকে থাকল! লাশের দেহে পাওয়া গেছে লবন, যা প্রমাণ করে—এটিকে সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কেন কার্যকর হলো না লাশের শরীরে!
বলছি প্যারিসের এক ল্যাবরেটরির কোনো এক মধ্যরাতের দৃশ্যপট নিয়ে। এই দৃশ্যপটটি যে সময় সংঘটিত হচ্ছিল, সে সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া মিত্রা। তিনি মিসর সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন—তার দেশ ফেরাউনের মমিকে ফ্রান্সে নিতে চায়। উদ্দেশ্য মমিটি নিজেদের আয়ত্বের ভেতরে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা করা। সে সময়কার মিসর সরকার ফ্রান্সের এই অনুরোধ বিবেচনা করে সায় দিলো তাতে। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ফেরাউনের মমি নিয়ে আকাশে ওড়া বিমানটির গন্তব্য প্যারিস।
বিমান যথারীতি পৌঁছে গেল প্যারিস এয়ারপোর্টে। ফেরাউনের মমি করা লাশ বিমান থেকে অবতরণ করল অনেকটা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। এককালের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মিশর শাসক বলে কথা! মমিকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে স্বয়ং উপস্থিত হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। সাথে উজির নাজির অমাত্যবর্গ। বিমানের সিঁড়ি দিয়ে ফেরাউনের মমি নামানো হচ্ছে। সবার মধ্যেই টান টান উত্তেজনা। সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীবর্গ এবং ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ। কুর্নিশ করে ফেরাউনকে স্বাগত জানালেন তারা।
জমকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেওয়া হলো এককালের মিশর অধিপতি ফেরাউনের মমি করা লাশকে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হলো মমি, যেখানে অপেক্ষমান ফ্রান্সের সবচেয়ে বড়ো সার্জনগণ। তারা ফেরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা নিয়ে স্টাডি করবেন। এই মমির টিকে থাকার পেছনের গোপনীয়তা আবিষ্কার করাই তাদের লক্ষ্য। উদঘাটন করবেন এর হাজার হাজার বছর ধরে অবিকল টিকে থাকার গভীর এবং জটিল রহস্য।
এই গবেষক দলের প্রধান ডা. মরিস বুকাইলি। গবেষক দলের মধ্যে যারা থেরাপিস্ট ছিলেন, তারা চাচ্ছিলেন—ক্ষত অংশগুলো ঠিক করে মমিটিকে পুনর্গঠন করবেন। কিন্তু ডা. মরিস বুকাইলির দৃষ্টি ছিল ভিন্ন দিকে। তিনি প্রথমেই ফেরাউনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করতে চাচ্ছিলেন। এ নিয়েই ভাবতে শুরু করলেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘ গবেষণার একপর্যায়ে মৃত্যুরহস্য স্পষ্ট হয়ে উঠল তাঁর কাছে। পানিতে ডুবেই যে ফেরাউনের মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হলেন তিনি। কিন্তু লাশটি টিকে থাকল কীভাবে, সেই রহস্যের কোনো কুল-কিনারা করতে পারলেন না। ব্যাকটেরিয়া এখানে অকার্যকর কেন?
অতঃপর ডা. মরিচ বুকাইলি রিপোর্ট তৈরি করলেন এবং বললেন, 'এটি এক নতুন আবিষ্কার, যা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারে।' এরমধ্যে তাঁর এক কলিগ জানালেন—ফেরাউনের ডুবে যাওয়া এবং তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে মুসলিমদের ধর্মীয় পুস্তক আল কুরআনে বলা হয়েছে। কথাটা বিস্মিত করল ডা. মরিসকে। তিনি পালটা প্রশ্ন করলেন, 'এটা কীভাবে সম্ভব? এই মমি পাওয়া গেছে সবেমাত্র সেদিন; ১৮৮১ সালে, আর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে! আরবের লোকজন প্রাচীন মিসরীয়দের মমি করার পদ্ধতি জানতোই না। আমরাই তো এটা জানলাম মাত্র কয়েক দশক আগে!'
ডা. মরিস বুকাইলি সেই রাতে ফেরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দীর্ঘসময় বসে রইলেন। গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন তাঁর কলিগের কথাটি। বাড়তে থাকল তাঁর কৌতূহল। এ বিষয়ে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত তথ্যগুলোর খোঁজ নিতে লাগলেন। তিনি দেখলেন—বাইবেলে ফেরাউন কর্তৃক মুসা আলাইহিস সালামের পিছু নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষমেষ ফেরাউনের লাশের কী হয়েছিল, সে সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। তিনি ভেবে পেলেন না—আরবের মরুভূমির এক নিরক্ষর মানুষের আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এমন একটি তথ্য তাহলে কী করে জানবার কথা! এ তো অবিশ্বাস্য!
নাছোড়বান্দা ডা. বুকাইলি। তিনি মরিয়া হয়ে উঠলেন প্রশ্নগুলোর উত্তর জানবার জন্য। তিনি এ-ও বুঝতে পারলেন—এসব প্রশ্নের উত্তর হুবহু পেতে হলে তাঁকে ধর্মীয় গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করতে হবে। সেগুলোতে উপস্থাপিত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে তাঁকে। সে রাতে নির্ঘুম রাত কাটালেন তিনি। এরপর তাওরাত (তোরাহ্) সংগ্রহ করলেন। দেখলেন—তাওরাতে লেখা রয়েছে, 'পানি এলো এবং ফেরাউনের সৈন্য ও তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিলো। যারা সমুদ্রে ঢুকল, তাদের কেউই বাঁচতে পারল না।' কিন্তু ফেরাউনের লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছুই বলা নেই তাওরাতে। তাহলে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ এই তথ্য কী করে জানলেন!
এ পর্যায়ে ডা. মরিস কোনো একটি মুসলিম দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। উদ্দেশ্য—সেখানকার প্রখ্যাত অটোপসি বিশেষজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের সাক্ষাৎকার নেওয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে তাঁর সমগ্র গবেষণার ফলাফল অবহিত করলেন এবং এ বিষয়ে কুরআনের কোনো বক্তব্য সত্যিই রয়েছে কি না জানতে চাইলেন। তখন মুসলিম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পবিত্র কুরআন খুললেন এবং সংশ্লিষ্ট আয়াতটি ডা. মরিসকে পড়ে শোনালেন। আয়াতটি এমন, 'সুতরাং আজ আমি তোমার দেহটি সংরক্ষণ করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল।' [সূরা ইউনুস : ৯২]
কুরআনের এই আয়াতটি শোনার পর সত্যি সত্যিই হতভম্ব হয়ে পড়লেন ডা. মরিচ বুকাইলি। সেই মুহূর্তে তাঁর মনে হলো—এই গ্রন্থটি মানুষের রচিত হওয়া কোনোভাবেও বাস্তবসম্মত নয়৷ আরবের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে শত শত বছর আগে মিশরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার এমন বিবরণ দেওয়া একজন নিরক্ষর মানুষের পক্ষে রীতিমতো অসম্ভব।
কুরআনের এই অভিনব সত্য দর্শনে সেই মুহূর্তেই তিনি জোর গলায় চিৎকার দিয়ে ঘোষণা দিলেন, 'আমি ইসলামে বিশ্বাস করি, আমি এই কুরআনে বিশ্বাস করি।'
এ ঘটনার পর ফ্রান্সে ফিরে গেলেন ডা. মরিস বুকাইলি। কিন্তু তখন তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ। বিশ্বাসের হিরণ্ময় জ্যোতিতে উদ্ভাসিত৷ পরবর্তী ১০ বছর পেশাগত ডাক্তারি প্রাকটিস বন্ধ রাখলেন এবং গভীর সাধনার মধ্য দিয়ে শিখে ফেললেন আরবি ভাষা। এরপর সমগ্র কুরআন আদ্যোপান্ত গবেষণা করলেন তিনি। সবকিছুই বিস্মিত করছিল তাঁকে। সেই অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে লিখে ফেললেন পৃথিবীবিখ্যাত বই, 'Bible Quran & Science.' এই বই পৃথিবীর অন্তত ৫০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটির একটি উক্তি হলো, 'The Quran does not contain a single statement that is assailable from a modern scientific point of view'. অর্থাৎ কুরআনে এমন একটি তথ্যও নেই, যা আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
'কুরআন সাধকদের গল্প-২'/ লাবিব আহসান
তথ্যসূত্র :
1. The story of Maurice Bucaille’s inspiring conversion to Islam-ARAB NEWS.
2. The men who never became Muslims : The cases of Dr. Keith Moore & Dr. Maurice Bucaille.
3. Maurice Bucaille Embraces Islam.
4. Professor Maurice Bucaille and Pharaoh Ramesses.
6. Lecture of Dr. Zakir Naik.
7. Dr. Maurice Bucaille Converted to islam after a deeper study about Pharaoh.
8. Somewhereinblog.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Feni Sonagazi
Feni
Feni Town
Feni, 3900
- চিঠি লিখার মতো কোনো শব্দ নেই" অথচ হাজারো মন খারাপের গল্পে' ভরপুর এই শূন্য চিঠি.!
Feni Sadar, Feni
Feni, 3902
I am an advanced digital marketer, Grow your business with me.