Turn To Allah
জান্নাতের পথে
পৃথিবীতে সবাই ভালোবাসার কাঙ্গাল! আপনাকে মনে রাখা উচিত — ‘আপনাকে যদি কেউ পছন্দ না করে তাহলে পৃথিবীতে এমন কেউ আছে যিনি আপনাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করবেন। আপনার জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুনিয়ার কেউ তাকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না, আর আপনার জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়নি দুনিয়ার সবাই এক হয়েও তাকে আপনার করতে পারবে না।’
-In sha allah
আচ্ছা আপনার বয়স কত?!"
আপনি আপনার বয়সের, সম্ভাব্য হায়াতের কতটুকু অংশ ইতিমধ্যে অতিবাহিত করেছেন?"
আপনি কী জানেন, প্রতিটা সূচনার-ই সমাপ্তি আছে?"
আপনার সমাপ্তি কোথায়?"
জান্নাতে নাকি জাহান্নামে?"
❝কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি অর্জন করবে,
এবং কেউ জানেনা কোন স্থানে কোন অবস্থায় সে মারা যাবে❞!~[সূরা লুকমানঃ-৩]~🌸
Amatullah Hajera Islam
#আল্লাহুম্মাগফিরলি💔
একবার এক ইহুদি ব্যক্তি উমার (রা) কে বলেন, "তোমাদের কুরআনে এমন একটা আয়াত আছে সেটা যদি আমাদের কিতাব তাওরাতে থাকত, তাহলে আমরা খুশিতে উৎসব উদযাপন করতাম!"
কথা শুনে উমর বললেন কোন সেই আয়াত
সেই আয়াতটি হচ্ছে সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াত।
❝ .... যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।❞ (কুরআন ৫ : ৩)
আয়াতটি শুনে উমর বললেন, "হ্যাঁ আমার স্পষ্ট মনে আছে, এই আয়াতটি প্রিয় রসূল ﷺ এর নাযিল হয়েছিল আরাফার দিনে, শুক্রবারে, যখন তিনি আমাদেরকে বিদায় খুতবা দিচ্ছিলেন ..."
সুবহানআল্লাহ! এই সেই আরাফাহর দিন বছর ঘুরে আবারো চলে আসলো!
হয়তো অনেকে সারাদিন রোজা রাখেন, জিকির করার চেষ্টা করেন, অনেক দোয়ার লিস্ট রেডি করা থাকে দুই হাত তুলে করার জন্য — আরাফার দিনের সুন্দর সুন্দর আমল গুলোর সাথে কুরআনের এই আয়াতটাও যেন আমাদের অন্তরে গেঁথে যায় যে, আমরা যে কি পরিমান লাকি! এবং কি অসম্ভব সৌভাগ্যবান যে, আল্লাহ সত্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন!
আমাদেরকে রাস্তায় রাস্তায় পাগলের মত ঘুরে বেড়াতে হয় না জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ানোর জন্য! আমরা সমাজের এপ্রুভাল না পেলে ডিপ্রেসড হয়ে যাই না! মানুষ ছেড়ে চলে গেলেই হতাশ হয়ে যাই না, কারণ আল্লাহ তায়ালার নূর আমাদের সাথে আছে। হারাম সম্পর্কের টান, অশ্লীলতা মাদক এবং অনেক দূষিত বিষয়ে থেকে পথভ্রষ্ট হওয়ার আগেই আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন!! আসলেই কত চমৎকার এই জীবন পদ্ধতি এবং কত সুন্দর একটা আয়াত আরাফার দিনে নাযিল হলো!
এমনকি একজন ইহুদি ব্যক্তি কিনা এই আয়াতকে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে, তার নিজের ধর্মের জন্য এরকম একটা আয়াত চাচ্ছে!
প্রশ্ন হচ্ছে আমরা বিশ্বাসী মুসলিম হিসেবে আসলে কতটুকু এই আয়াতকে মূল্যায়ন করতে পারি?
অসম্ভব সৌভাগ্যবান আমরা মুসলিমরা! অনেক লাকি, আলহামদুলিল্লাহ।
আরাফার দিনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সবার নেক আমল কবুল করে নিক
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম 🌿
#রাইটিং_থেরাপি
©️ শারিন
যারা কুরআন পড়ে, তারা কেমন মানুষ হয়?
― কুরআন পড়া মানুষ তার জিহ্বাকে তার আপন শত্রুর থেকেও বেশি ভয় পায়। সে এমন ভাবে তার জিহ্বার সাথে লড়াই করে যেভাবে সে এক হিংস্র শত্রুর সাথে লড়াই করতো, যেন জিহবার ক্ষতিগুলো তাকে দুনিয়া এবং আখিরাতে ধ্বংস করতে না পারে।
― কুরআন পড়া মানুষ যে জিহবা দিয়ে আল্লাহর কালাম উচ্চারণ করছে, সেই একই জিহবা দিয়ে সে গীবত করতে পারে না। সে কারো জন্য অন্তরে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ পুষে রাখতে পারে না। প্রতি রাতে সাধারণ মানুষেরা যখন তাদের পুষে রাখা অযাচিত ঘৃণাগুলোকে আরো পরিচর্যা করে গড়তে থাকে, কুরআন পড়া মানুষ সযতনে নেতিবাচক আবেগগুলোকে অন্তর থেকে বের করে দেয়।
সে মন থেকে কারো খারাপ দেখতে চায় না। সে মানুষের হক আদায়ের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করে না, এবং দুনিয়ার উপকরণ নিয়ে অন্যকে হিংসা করতে ভয় পায়। সে যদি কখনো হিংসা করে, শুধুমাত্র দ্বীন ও ইলম অনুসারে হালাল প্রতিযোগিতা করে, যেন তার নেকীর পাল্লা ভারি হয়।
― সাধারণ মানুষ যে বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, কুরআন পড়া মানুষ এ সমস্ত বিষয় নিয়ে হাসি-তামাশায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনা। কারণ সে চায়না অনর্থক আবেগ তার অন্তরের ক্ষতি করুক। যে অন্তর কুরআন ধরে রাখে, সবটুকু দিয়ে সে তার অন্তরের পবিত্রতা রক্ষার চেষ্টা করে।
যখন তার মনে প্রশান্তি আসে, তার মুখে স্নিগ্ধ হাসি দেখা যায়। সে কৌতুক করতে গিয়ে সীমা-লঙ্ঘনের ভয় করে। এবং যদি কখনো সে মজা করে কথা বলে, সে এমন কথা বলে, যা সত্য। তার চেহারা থাকে খুব উপভোগ্য, এবং তার কথাগুলো হয় মানসম্পন্ন।
― যে কুরআন পড়ে, সে মুখ দিয়ে শব্দ উচ্চারণ করে ইলমের সাথে। যখন সে চুপ থাকে, সে চুপ থাকে ইলমের সাথে। যেখানে তার নাক গলানোর কোন প্রয়োজন নেই, সেখানে গিয়ে সে টুঁ শব্দটিও করে না।
― যদি সে কখনো কারো দোষ নিয়ে কথা বলে, সেটা কেবলমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য ও মানুষের কল্যাণের জন্যই বলে। এবং যখন সে কারো ব্যাপারে কথা বলতে নিশ্চুপ থাকে, শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য এবং মানুষের কল্যাণের জন্যই সে চুপ থাকে।
― পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ দুনিয়ার ডিগ্রী, বাড়ি, গাড়ি সম্পদ সহ অনেক কিছু অর্জন করে ফেলে তবে, দুঃখজনকভাবে ঐ মানুষগুলোর দ্বীনের বুঝ, গভীর জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা নেই। সেই দিকে একজন কুরআন পড়া মানুষ অনেক অল্পই দুনিয়া থেকে অর্জন করে, কিন্তু তার দ্বীনের জ্ঞান, ইসলামের বুঝ, গভীর প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা থাকে খুব তীক্ষ্ণ।
কুরআন যারা পড়ে, তারা অন্তরে আল্লাহর ভয় ধরে রাখে, গোপনে এবং প্রকাশ্যে সবার সামনে তারা আল্লাহর ভয় রক্ষা করে। তারা কি খাচ্ছে, কি ধরনের কাপড় পড়ছে, কীভাবে কথা বলছে, কীভাবে নিজেকে পেশ করছে―প্রতিটা ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় পেয়ে, আল্লাহকে ভালবেসে নিজেকে গোছাতে থাকে। ..❞
শুধুমাত্র শাইখের উত্তরটা পড়তে পড়তেই অন্তরের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো ...
এগুলো এমন মানুষের বৈশিষ্ট্য, যারা কুরআন পড়ে!
আমরা কি আদৌ কুরআন পড়া মানুষদের মত হতে পেরেছি??
👉🏼👉🏼 ইমাম মুহাম্মদ বিন হুসেন আল আজরীর (রহ) উত্তর থেকে কিছু অংশ নেওয়া...
#রাইটিং_থেরাপি
কুরআন পড়া মানুষ (১)
©️ শারিন
শা'বান ১৪৪৪
#যারা_কুরআন_পড়ে
পরিচিত অপরিচিত অনেক ভাইবোনই আমার হাজবেন্ড বা আমার সাথে নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কের কথা, সমস্যা ও জটিলতার কথা শেয়ার করেন৷ কিছু ব্যাপার আমরা নিজেরাই আমাদের আশেপাশের পরিবারগুলোতেও ঘটতে দেখেছি। এবং এই অভিজ্ঞতাগুলো থেকে বুঝতে পেরেছি যে এমন কিছু আচরণ আছে যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়েজ নয়, কিন্তু কাজগুলো দৃষ্টিকটু বা কষ্টদায়ক, যার ফলে পরিবারের সুখশান্তি কমে যায়।
যেমন - এরকম একটি ব্যাপার হলো-- স্ত্রী কে প্রয়োজনীয় হাতখরচ না দেয়া। কিংবা স্ত্রীর হাতে কোনো টাকা না দেয়া। (এবং আমি সেইসব মুসলিম পরিবারের কথা বলছি, যেখানে স্ত্রীরা স্বামীর বাধ্য। যারা সাংসারিক দায়িত্বেই কমবেশি সারাদিন কাটিয়ে দেয়। বাইরে গিয়ে জব করে না, বা তাদের আলাদা কোনো ইনকাম সোর্স নেই।)
উক্ত সংসারে স্বামী হয়তো স্ত্রীর প্রয়োজন মাফিক সবকিছুই সামনে হাজির করছে। খাওয়াদাওয়া, বাসাভাড়া, কাপড়চোপড়, ওষুধপত্র সবই এনে দেবে; কিন্তু স্ত্রীর হাতে একটি টাকাও দিতে নারাজ। কোনো যুক্তি বা কারণ ছাড়াই তারা স্ত্রীকে এভাবে ট্রিট করে। অনেকে আছে -- হয়তোবা স্ত্রীর হাতে খরচাবাবদ কিছু টাকা দেবে ঠিকই, কিন্তু পরে আবার সেই টাকার হিসাব নেবে কড়ায়-গণ্ডায়৷ এই ধরণের বৈবাহিক সম্পর্ক একজন নারীকে যথেষ্ট চাপের মুখে রাখে। তার মন স্বামীর প্রতি বিরাগভাজন হয়ে ওঠে। এবং এ কথা মনে হওয়া তার জন্য মোটেও অস্বাভাবিক না যে -- স্বামী তাকে বিশ্বাস করে না, বা তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।
আমাদেরকে একটা বিষয় বুঝতে হবে -- দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা। স্বামী সংসারের কর্তা, এই জন্য যদি সে মনে করে যে স্ত্রীর ওপর ইচ্ছামতো ছড়ি ঘোরাতে পারবে, বা "আমি তো সব দেখেশুনেই রাখছি, বউর হাতে টাকা দেয়ার কী দরকার!" কিংবা "মেয়েদের হাতে টাকা থাকলে তাদের বাইড় বাড়ে" ইত্যাদি... এই মানসিকতা বা দৃষ্টিভঙ্গী সংসারের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ তা'আলা পুরুষকেই ভরণপোষণের দায়িত্ব দিয়েছেন, ফলে সে পরিবারের জন্য টাকা কামাই করে৷ আর একইভাবে নারীরা যারা আল্লাহর বিধানের কদর করে, তারাও এই দায়িত্ব স্বামীর ওপর ছেড়ে দিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। এখনকার অনেক প্র্যাকটিসিং মুসলিম নারী আছে, যাদের নিজেদের উচ্চশিক্ষা বা কাজ করার দক্ষতা আছে, চাইলেই তারা ঘরের বাইরে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারতো। কিন্তু আল্লাহর বিধানের কদর করে বিধায় স্বামীর পাশাপাশি নিজেরাও জব করতে নেমে যায় না। প্রয়োজন ছাড়া উপার্জনের কাজে জড়িত হয় না। সংসারের খেদমতে বিনামূল্যে শর্তহীনভাবে নিজেকে পুরোপুরি উজার করে দেয়। এই যে আল্লাহর কথা মেনে নিয়ে স্বামী-সংসারের প্রতি একজন স্ত্রীর নি:স্বার্থ ইনভেস্টমেন্ট -- এমন স্ত্রীকে কদর করতে পারাই বুদ্ধিমান স্বামীর বৈশিষ্ট্য। স্ত্রীর প্রতি মনোভাবটা যেন এমন না হয়, "সারাদিন ঘরে বসে কী করো" বা, "টাকা তো আমিই কষ্ট করে কামাই করি, তুমি তো কামাই করো না তাইলে তোমারে দিব কেন?"
অনেক পুরুষলোক আছে, যারা স্ত্রীর বেলায় টাকা খরচের ক্ষেত্রে এতটা হিসেবী যে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কটা ভালোবাসার সম্পর্কের বদলে যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নেয়। স্বামীর কত ইনকাম স্ত্রী জানেও না বা স্ত্রীকে জানতে দেয়া হয় না, স্ত্রীর কাছে গোপন করে স্বামী তার সব টাকা অন্যান্য নানান খাতে খরচ করে, স্ত্রীকে তার প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে গড়িমসি করে -- এসব পরিস্থিতিতে দেখা যায়, একসময় স্ত্রীরাও স্বামীর থেকে টাকা হাসিল করার জন্য ডেসপারেট হয়ে ওঠে। মিথ্যা বলে, ঝগড়াঝাটি করে বা চাপ দিয়ে টাকা আদায় করে নেয়। দিনকে দিন সম্পর্কটা হয়ে যায় বিষের মতো। কড়ায়-গণ্ডায় স্ত্রীর থেকে হিসাব নেয়া আর যেকোনো উপায়ে স্বামীর থেকে আদায় করে চলতে হয় যে সংসারে, সেখানে আর যা-ই হোক সুখ থাকে না।
স্ত্রীর হাতে নিয়মিত টাকা দেয়া, সামর্থ্য অনুযায়ী তার পরিবারের দেখভাল করা, খরচাবাবদ দেয়া টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ না করা -- এ কাজগুলোর মাধ্যমে সহজেই স্ত্রীর মনজয় করা যায়। এ কাজগুলো স্বামীর ওপর ফরয তা না, তবে উত্তম বৈশিষ্ট্য এবং অসামান্য সওয়াবের কাজ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
"তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম যে তার স্ত্রীর সাথে উত্তম।" (তিরমিযী)
"সাওয়াবের আশায় কোনো মুসলিম যখন তার পরিববার-পরিজনের জন্য খরচ করে, তা তার জন্য সাদাকা হিসেবে পরিগণিত হয়।" (বুখারী, মুসলিম)
"কোনো দিনার তুমি আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ, কোনো দিনার তুমি ব্যয় করেছ ক্রীতদাসকে মুক্ত করার জন্য, কোনো দিনার তুমি সাদাকা করেছ মিসকীনের জন্য এবং কোনো দিনার তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করেছ। সাওয়াবের দিক থেকে সর্বোত্তম হল যা তুমি তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ।" (মুসলিম)
তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা ব্যয় করবে, আল্লাহ তাঁর প্রতিদান তোমাকে দেবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লোকমাটি তুলে দিবে এর প্রতিদানও আল্লাহ তোমাকে দেবে।" (বুখারী, মুসলিম)
চিন্তা করুন, স্ত্রীর মুখে তুলে দেয়া এক লোকমার জন্যেও সওয়াব আছে। আর স্ত্রীর হাতে টাকা দেয়ার জন্য সওয়াব থাকবে না?
এমন অনেক ঘটনা দেখেছি, যেখানে স্ত্রী তাকে দেয়া হাতখরচার টাকা জমিয়ে উল্টো স্বামীর বিপদের সময় সাহায্য করেছে। মাসিক খরচের টাকা নিজের শখ পূরণের পিছে ব্যয় না করে উল্টো স্বামীর পরিবারের জন্য উপহার কিনে এনেছে। এর মানে অবশ্যি এই না যে, স্ত্রীকে টাকা দিয়ে স্বামীরা মনে মনে তার কাছ থেকে এগুলো প্রত্যাশা করা শুরু করবে৷ স্ত্রীর হাতে কিছু টাকা স্বামীর এমনিতেই রাখা দরকার, যেহেতু টাকার জরুরত পাগলেরও আছে৷ কেন দরকার, কোন কাজে দরকার -- সেটা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট উল্লেখ করা এই আলোচনার উদ্দেশ্য না, এক এক জনের কাছে সেটা এক একরকম হতে পারে। তবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন যেকোনো মানুষই বারবার অন্যের কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিতে লজ্জাবোধ করবে। সে বাইরে কাজ না করে ঘরে বিনামূল্যে শ্রম দিচ্ছে। এজন্য তাকে যেন লজ্জিত হতে না হয়৷ স্বামীর কাছ থেকে কটু কথা, অপমানজনক উক্তি শুনতে না হয়৷
স্বামী যখন স্ত্রীকে ভালোবেসে এই কাজটুকু করবে, অর্থাৎ তাকে নিয়মিত হাতখরচ, বা তার কাছে সামর্থ্য অনুযায়ী মাসিক একটা এমাউন্ট দিয়ে রাখবে, তখন স্ত্রী বাইরে কাজ না করেও স্বাধীনভাবে খরচ করার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। এবং খুটিনাটি খরচের জন্য অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে না বা সামান্য ব্যাপারে কৈফিয়ত দিয়ে স্বামীর থেকে চেয়ে নিতে হচ্ছে না বলে স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তো এমনই হওয়া উচিত -- মধুর, ভালোবাসার। প্রতিযোগিতার নয়, সম্মান, মমতা ও সহযোগিতার। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবার সংসারকে সুন্দরভাবে হেফাজত করুক, আমীন।
কপিড ফ্রম : আনিকা তুবা আপু
[১]
ভাব টা দেখছেন ভাবী? আমরা মনে হয় আর নামাজ কালাম পড়িনা! যত্ত সব!
আর ছাদে আসলেও ওই খিমার না কি যেন, ওটা পড়ে ভুত সেজে আসতে হবে? ভাব দেখে আর বাঁচিনা!
নীলা ভাবীর সাথে সবাই সম্মতি জানালো।
মুনিয়া ভাবী বলে উঠলো....ঠিক বলেছেন ভাবী। এতো বেশি হুজুরগীরি আবার ভালো না। সুন্দর বলে এত দেমাগ দেখায়, বাপ রে বাপ! মনে হয় ছাদের সব মানুষ উনার দিকেই তাকিয়ে থাকবে!
বাচ্চাটার কথা ভাবুন একবার। একটু বাইরে গেলে ওকেও হিজাব পড়িয়ে নিয়ে যায়। গরমে বাচ্চাটার কতই না কষ্ট হয়! হুজুরগিরি না ছাই!
আর বাচ্চাটাও যা হয়েছে! হিজাব পড়েও কেমন তিড়িং বিড়িং করে খেলতেছিল! ছোটবেলা থেকেই ওকে জঙ্গি ট্রেনিং দিচ্ছে নাকি!
মিতু ভাবীর কথায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো ছাদের সবাই।
তানি ভাবী, নীলা ভাবী, মিতু ভাবী, মুনিয়া ভাবী....এরা সবাই সেই লেভেলের আড্ডাবাজ আর চা খোর। মেসেঞ্জারে এদের চ্যাট গ্রুপের নাম "গরম গরম চা, ফু দিয়ে খা"। নামটা অবশ্য মিতু ভাবীর দেওয়া!
মিতু ভাবী গ্রুপের বিবিসি নিউজ। এপার্টমেন্টের যে কোন খবর সবার আগে তার কানেই পৌঁছায়।
আর তানি ভাবী, মাস তিনেক হলো এপার্টমেন্টে এসেছে। এসেই সবার সাথে জমে ক্ষীর।
[২]
ইসলামী অনুশাসনে চলে বলে অনেক বছর একই বাসায় থাকলেও খুব কম মানুষই সাইদার পরিবারকে চেনে! মেয়ে মারিয়াম পেটে থাকাকালীন সকালে রোদ পোহাতে যেয়ে কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে সাইদার।
বহুদিন পর সাইদা সেদিন ছাদে গিয়েছিল। ছাদেই "গরম গরম চা, ফু দিয়ে খা" গ্রুপের সদস্যদের সাথে দেখা হয়ে গেল। সালাম দিয়ে কুশল বিনিময়ের পর মেয়ে মারিয়ামকে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলো সে। তারপর মাগরিবের আজানের কিছু সময় আগেই ছাদ থেকে নেমে গেল। সাইদা নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেল কানাঘুষা!
আরে ভাবী জানেন, সেদিন কি হয়েছে?
হুজুরনী নাকি ভালো কেক বানাতে পারে। তাই একটু গিয়েছিলাম টিপস নিতে। যেয়ে তো আমার মাথাই নষ্ট!
কি দেখলেন যেয়ে? তানি ভাবী জিজ্ঞেস করলো।
মুনিয়া ভাবী কাহিনী স্টার্ট করবেন এর মধ্যেই আযান পড়ে গেলো। প্রস্তাব হলো সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় বাকি কাহিনীর অবতারণা হবে।
আজকের চায়ের আড্ডা মিতু ভাবীর বাসায়। আড্ডা টা বেশ ভালই জমেছে। তানি ভাবী মুনিয়া ভাবীকে হুজুরনী সাইদার বাকি কাহিনী শুনাতে বললেন।
মুনিয়া ভাবী গলা খাকারি দিয়ে শুরু করলেন...
ওইদিন আমি যেয়ে কলিং বেল চাপতেই শাড়ি পরা সাজুগুজু করা এক মেয়ে এসে দরজা খুলে দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম সাইদা ভাবী কোথায়? মেয়েটা বলে উঠল জি বলুন! আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলাম আরে এ তো হুযুরনী!
সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি বলেন হুজুরনী শাড়ি পড়েছিল?
হুম। তারপর ভিতরে গেলাম। দেখলাম ঘরটা কি সুন্দর করে সাজানো গোছানো! ছোট বাচ্চা নিয়ে কেমনে এত সুন্দর করে ঘর সাজিয়ে রাখে আল্লাহই জানে!
মিতু ভাবী বলল...তারপর?
তারপর কেক বানানোর টিপস নিলাম। হুজুরনীরে যা সুন্দর লাগতেছিলো! আমি তো শুধু তাকিয়েই ছিলাম।
শাড়ি পরেছেন যে? স্পেশাল কিছু?
জিজ্ঞেস করতেই হুযুরনী বললো স্বামীর জন্য সেজেছে! স্বামীর জন্য সাজগোজ করা নাকি সুন্নাত!
বুঝেন অবস্থা! ভাব আর কি!
কিন্তু তাই বলে সাজগোজ করে বাসায় বসে থাকবে? নীলা ভাবীর চোখে বিস্ময়।
মুনিয়া ভাবী বলল আরো কাহিনী আছে শুনেন!
আমি চলে আসার সময় খেয়াল করলাম হুজুরনীর চুল কালার করা!
কিইইই....!!
সবাই একসাথে বলে উঠল!
হুম সে আর বলতে। কি সুন্দর মেহেদী রং!
আমি তো আর একটু হলেই বেহুঁশ হয়ে যেতাম! ভাগ্যিস আমার ছেলে সাথে ছিলো। ও হুযুরনীর মেয়ের খেলনা নিয়ে আসবে বলে বায়না ধরলো। আর চিল্লানো শুরু করলো। কোন উপায় না দেখে হুযুরনী খেলনা টা দিয়ে দিল।
তানি ভাবী জিজ্ঞেস করলো... তারপর?
তারপর আর কি! হুজুরনীর স্টাইল দেখে এসে আমি এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি!
সাথে সাথেই হাসির রোল পড়ে গেলো চায়ের আড্ডায়।
আর তানি ভাবী ব্যাঙ্গ করে বলতে লাগলেন...আর সেই গল্প শুনতে শুনতে আমাদের চা হয়ে গেল শরবত! আড্ডায় আবার হাসির রোল পড়লো .....
[৩]
সকালে মিতু ভাবীর বুয়া টা কাজে আসতে পারেনি। ছেলের ডায়রিয়া করেছে। ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে সন্ধ্যায় কাজে এসেছে।
এতক্ষণ ধরে কাজ করতে করতে সেও একজন নিরব শ্রোতা হয়ে শুনছিল সাইদার কাহিনী।
গত মাস থেকে সাইদার বাসায় নতুন কাজ নিয়েছে বুয়া! কথা টা মনে পড়তেই মিতু ভাবী বুয়া কে কাছে ডাকলো।
-বুয়া শুনো....
তুমি তো হুজুরনীর বাসায় কাজ নিয়েছো। হুজুরনীকে আবার কিছু বলোনা।
আর হুজুরনী এতো স্টাইল করে এটা তো কোনদিন বলো নাই?
-কি আর কইতাম আফা। আমার সামনেও তো হে ঘোমটা দিয়া থাহে।
-কিইই....! তোমার সামনেও মাথায় কাপড় দিয়ে থাকে?
-হ আফা। আফনেরা যেমনে ওড়না ছাড়া খোলামেলা থাহেন, হে তো এমনে থাহে না।
-তাই নাকি? ওর সাথে থেকে থেকে তুমি ভালই ট্রেনিং নিচ্ছো বুঝা যাচ্ছে। কয়েকদিন থেকে বোরকা পড়ে জঙ্গি সেজে আসো। আবার আমার বরের সামনে যাওনা। যত্তসব! এসব হুজুরগীরি ছেড়ে কাজে মনোযোগ দাও। যত্তসব আজব চিড়িয়া!
আবারো হাসির রোল পড়ে গেল ভাবীদের চায়ের আড্ডায়।
[৪]
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া আলাইকুমুস সালাম আফা।
-আপনার ছেলের কি খবর? ডায়রিয়া ভালো হয়েছে?
-জি আফা। মোটামুটি ভালই।
-ওকে বেশি বেশি পানি, ফলের রস, ডাবের পানি এগুলো খাওয়ান। দেখবেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
-জি আফা। কাপড় তো ভিজানো নাই। আইজকা কি তাইলে ঘর মুইচ্ছা দিমু?
-হুম দেন।
ঘর মোছা শেষে সাইদার সামনে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়ালো বুয়া।
-কিছু বলবেন?
-হ আফা। আফনে এই বাসার মহিলাগো লগে মিইশেন না। হেরা খুব বেশি ভালা না।
-আচ্ছা ঠিক আছে। এই দুশো টাকা নিয়ে যান। ছেলেকে ডাব কিনে খাওয়াবেন।
-আফা জানেন হেরা আফনেরে নিয়া ঠাট্টা মশকরা করে?
-আচ্ছা করুক। অন্যকে নিয়ে ঠাট্টা বা উপহাস করা কত বড় গুনাহ জানেন?
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।...অবশ্যই তারা হুতামাতে (জাহান্নামে) নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জানো হুতামা কী? তা আল্লাহর প্রজ্বলিত অগ্নি, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে। নিশ্চয় বেষ্টন করে রাখবে, দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে।’(সুরা হুমাজা: ১-৯)।
-জি আফা বুজবার পারছি। আমারে মাফ কইরা দেন। আমি আর অগো কতা শুনমু না। আমার সামনে কেউ ঠাট্টা উপহাস করলে মানা করুম।
-আচ্ছা যান তাহলে।
-মারিয়াম...মারিয়াম? এদিকে আসো মামনি।
তোমার আন্টি চলে যাচ্ছে। সালাম দাও।
-আসসালাইকুম(আসসালামু আলাইকুম) আন্নী(আন্টি)।
-ওয়া আলাইকুমুস সালাম।.............................................
উপরে বর্ণিত দৃশ্যপট টি মোটেও কাল্পনিক নয়। এটাই এখন আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র। ইসলামী অনুশাসন মানা পরিবার বা মানুষগুলোকে খুব কাছের আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, এমনকি কখনো কখনো নিজ পরিবারের মানুষ দ্বারাই ঠাট্টা বিদ্রুপের স্বীকার হতে হয়, যেটা খুবই গর্হিত কাজ। ইসলামে একজন মুসলমান অন্য মুসলমানকে ঠাট্টা উপহাস করার ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে।
✓মুমিনগণ,কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।
(সূরা হুজরাত -১১)
✓"হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, একে অন্যের অনুপস্থিতিতে দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো সেটাকে ঘৃণাই করে থাক। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশি তাওবাহ ক্ববূলকারী, অতি দয়ালু।"
(সূরা হুজুরাত -১২).....................
"আড্ডার আড়ালে"
শেফাত-ই-সুলতানা
#রৌদ্রময়ী
ইশ আমি যদি হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর স্ত্রী হতে পারতাম। বেশির ভাগ বোনেরই এই কথা।
এক মিনিট বর্তমানে বিবাহ এবং ডিভোর্স হয় অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে। আয়েশা রা. বলেন ২ মাস পার হয়ে যায় কিন্তু রাসূল ﷺ এর একটি স্ত্রীর ঘরেও চুলা জলে না। আমরা পানি এবং খেজুর খেয়ে দিন পার করতাম।
এক দিন নয় দুই দিন নয় টানা দুই মাস শুধু খেজুর আর পানি। বর্তমানে আপনার ঘরে দিনে ৩ বেলার বেশি চুলা জলে তবুও আপনি তার অর্থনৈতিক অবস্থার উপর সন্তুষ্ট নন।
C
"যে (ছেলে। বিশেষ করে মেয়ে) কথায় কথায় মৃত্যু কামনা করে পোস্ট করে। আমি দুর্ভাগা, আমি ভীষণ একা, আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে ইত্যাদি বলে পোস্ট করে। সে আসলে প্রকৃতপক্ষে বিয়ে করতে চাচ্ছে। সরাসরি না বলে প্রকাশটা একটু ভিন্নভাবে করছে এই যা। তাকে ধরে বেঁধে বিয়ে করিয়ে দিতে হবে।"
আতিক উল্লাহ হাফি.হজরতের পোস্টের কল্যানে তাদের পোস্টগুলোর গভীর ব্যাখ্যা জানা গেল তাহলে!
হা হা ..
#দুআ_কবুলের একটি আমল আছে যে আমলটি করলে আপনার দোয়া দ্রুত কবুল হবে ইংশা আল্লাহ।
সেই আমলটি সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের অবহিত করবো। তার আগে নিচের দোয়া কবুলের গল্প গুলো শুনুন তাহলে উপলব্ধি করতে পারবেন আমলটি কতটা কার্যকরী।
আমার দুইজন ফ্রেন্ড(মেয়ে) ছিলো ডিভোর্সী, তাদের জীবনটা খুব খারাপ যাচ্ছিলো। ফেইসবুক ভর্তি কষ্টের পোষ্ট। কল দিলে দীর্ঘনিশ্বাস, সামাজিক,পারিবারিক ভাবে মানসিক টর্চার সব কিছু মিলিয়ে তারা দুজনেই ডিপ্রেশনের চরম মাত্রায়। দুজনকেই আমি ভালোবাসতাম, ভালোবাসার জায়গা থেকে যখন যখন নিজের জন্য দোয়া করতাম তখন তখন ওদের জন্যও দোয়া করতাম যেনো আল্লাহ ওদের মনের মত জীবনসঙ্গী দান করে, সকল কষ্টের অবসান ঘটায়। তাহাজ্জুদ নামাজে, ফরজ নামাজের পর, সিজদায় ওদের জন্য দোয়া করেছিলাম।
অতঃপর দীর্ঘদিন পর প্রায় দুই বছর পর আলহামদুলিল্লাহ কিছুদিন হচ্ছে ওদের দুজনেই এখন খুব ভালো আছে। মনের মত জীবনসঙ্গী পেয়েছে, এবং নিজ নিজ সংসারে তারা সুখী।
আমি যেহেতু একজন মেয়ে, অন্য মেয়ের কষ্ট দেখলে খুব কষ্ট লাগে তাই কাউকে সমস্যায় পড়তে দেখলেই আমি দোয়া করতে থাকি তার জন্য। আমার এক কাজিনের দাম্পত্য কলহ চলছিলো ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার অবস্থা। দুজনে আলাদা থাকতো। শাশুড়ির সাথে মা'রামা'রি শ্বশুর দেয় গা'লাগা'লি স্বামীর অসুস্থতা ইত্যাদি নানান সমস্যায় জর্জরিত। ওদের জন্য দোয়া করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এখন তাদের একটা সন্তান হয়েছে এবং সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের বৈবাহিক জীবনের সমস্যা কাটিয়ে শান্তিতেই আছে।
আমার আরেক পরিচিত একটা মেয়ে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলো। পরকীয়া বলতে অন্য ছেলের সাথে ফোনে কথা, চ্যাট করতো, ওর স্বামী প্রবাসী স্বামীর সাথে কাজি ঝগড়া করতো। ওর স্বামীও প্রচন্ড রাগী তাই দুজনে সারাক্ষণ পরিবারে অশান্তি লাগিয়ে রাখতো। ঐ মেয়েটার হেদায়েতের জন্য দোয়া করেছিলাম+ওদের দাম্পত্য জীবনের কলহ যেনো আল্লাহ মিটিয়ে দেয় সেই জন্য দোয়া করেছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ ওরা এখন ভালো আছে, শান্ত আছে, দুজনের দাম্পত্য কলহ আর আগের মত নেই। টুকটাক রাগ অভিমান সবার ই হয় বাট আগের মত অশান্তি আর হয়না।
এবার আসি মূল পয়েন্টে,,, দাম্পত্য জীবনে রাগ অভিমান টুকটাক ঝগড়া সবার ই হয়, আমার স্বামীর সাথেও আমার হতো তবে সেটা জটিল কিছু ছিলোনা। তবে এই সামান্য টুকুও যেনো আল্লাহ মিটিয়ে দেয় তার জন্য আমি দোয়া করতাম, আর তার পাশাপাশি অন্য সবার জন্য দোয়া করতাম। যখন যখন আমার জন্য দোয়া করতাম তখন তখন অর্থ্যাৎ তাহাজ্জুদে, সিজদায়, ফরজ নামাজের পর দোয়া করতাম অন্যদের জন্যও।
কেনোনা রাসূল সাঃ বলেছেন কোনো ব্যাক্তি যখন অন্যর জন্য কোনো দোয়া করে ফিরিশতারা তখন বলতে থাকে আল্লাহ আগে দোয়াকারী ব্যাক্তিকে উক্ত জিনিসটি দান করো।
(আবু দাঊদঃ১৫৩৪)
আলহামদুলিল্লাহ অন্যদের দাম্পত্য জীবনের কলহ গুলোর পাশাপাশি আল্লাহ আমার দাম্পত্য জীবনের কলহ গুলোও মিটিয়ে দিয়েছেন। এখন আমরা দুজনও শান্ত থাকি সব সময়।
মাশাআল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ্যাৎ এটিই সেই আমল যা আপনার দোয়া গুলো দ্রুত কবুল করতে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।এজন্য নিজের জন্য দোয়া করার পাশাপাশি অন্যর জন্যও দোয়া করুন বেশি বেশি এটা একটি আমল যা আপনার দোয়া দ্রুত কবুল করবে ইনশা আল্লাহ। দোয়া করতেই থাকুন, দোয়ার সাথে আঠার মত লেগে থাকুন, হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন দোয়াও একটি ঈবাদাত, যতক্ষণ দোয়া করছেন ততোক্ষণ আল্লাহর ঈবাদাত ই করছেন।তাওয়াক্কুল আর ইয়াকিন বাড়ান যে অবশ্যই আমার দোয়া কবুল হবেই হবেই। আমার রব আমায় খালি হাতে ফিরাবেন না। ইনশাআল্লাহ।
সংগৃহীত
একটা কথা মনে রাখবেন, আল্লাহ সব কিছু দেখছেন, সব কিছুর হিসাব দিতে হবে, সব কিছুর বিচার হবে।
কেউ দেখছে না ভেবে গোপনীয়তার সাথে গুনাহ করবেন না।
Fact- "মোবাইল ফোন "
আসসালামু আলাইকুম।
হারাম সম্পর্কের চাইতে
একাকীত্ব উত্তম।
যতদিন বিয়ে না হয়,
একা থাকুন,
হালাল থাকুন.
আপনার জন্য যা উত্তম,
তিনি সঠিক সময়ে আপনাকে দান করবেন
ইন শা আল্লাহ।
জেনে রাখুন আল্লাহর সিদ্ধান্তই উত্তম।
C
ডেল্টা স্লিপ কী?
রাত ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সময়ের ঘুমকে ডেল্টা স্লিপ বলে। এই ঘুম যদি কেউ না পায় তাহলে বাকি ২৪ ঘন্টায় ২০ ঘন্টা ঘুমালেও ঘুমের আসল তৃপ্তি পাওয়া যায় না।
আর ডেল্টা স্লিপ না পাওয়ার ফলে ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া শুরু করে।
পড়তে, খেতে এবং যেকোনো কাজ করতে আলসেমি অনূভুত হয়।
-জিয়াউল হক স্যার।
আত্নীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়..!! (সুবাহানাল্লাহ)
বুখারীঃ ৫৫৫৯,৫৫৬০
প্রায়ই কঠিন সময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না কেন জানেন?
কারন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা বুঝাতে চান “তোমার জন্য কেবল এবং কেবল মাত্র আমিই আছি। আর কেউ না... একদম না...”❤
যারা নতুন সংসার শুরু করতে যাচ্ছেন বা করছেন_
১) চেষ্টা করবেন আম্মা-আব্বা, ভাই বোন থেকে স্বামীকে আলাদা না করতে৷ আপনি যদি স্বামীর আব্বা-আম্মাকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন তারাও আপনাকে ভালো জানবেন & তাদের ছেলেও আপনার আব্বা-আম্মাকে সম্মান করবে৷
২) জেনে নিবেন উনাদের পরিবারে কে কেমন খেতে পছন্দ করেন৷ পরিবারের অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করবেন৷
৩) বাসায় জামাই, ভাসুর, দেবর কেউ যখন না থাকে তখন শাশুড়ীর সাথে গল্প করুন, এক সাথে নামাজ পরুন, কোথাও ভালো তালিম হলে এক সাথে যান৷ ভাসুর, দেবরের সাথে পর্দা করুন৷
৪) স্বামী বাইরে থেকে আসলে কখনও সাথে সাথে কারো নামে কোন অভিযোগ করবেন না৷ হাত-মুখ ধোয়ার জন্য টাওয়াল দিবেন, আগে থেকে শরবত বা পানি রেডি রাখবেন৷ এতে সওয়াব ও ভালোবাসা ২ টাই হবে ইন শা আল্লাহ৷
৫) আপনি আপনার স্বামীর অর্ধাঙ্গি তাই উনার পরিবারও আপনার জীবনের একটা অংশ হয়ে যায়৷ তাই শাশুড়ী রাগ করলে আগে বুঝবেন কেন করছে৷ পরে ঠান্ডা মাথায় বুঝায় বলবেন।
৬) নামাজে সব সময় বারাকাহর দু'আ করবেন৷ সবার সাথে যেন সম্পর্ক ঠিক থাকে সেটা দু'আ করবেন৷
৭) তাদের ঘরে আপনাকে নিচ্ছে তাদের প্রিয় ছেলের জন্য অনেক আদর করে৷ তাই সেই সন্তানের জীবনে যেন কোন হায় না লাগে৷
৮) হয়ত বলবেন সব কেন আমাকেই করতে হবে?? আপনি যখন ছাড় দিবেন অপর দিক রশি এমনেই ঢিলা হয়ে যায়৷ আর যে আল্লহর জন্য কোন ঝগড়া ফাসাদে যায়না, ধৈর্য্য ধরে তার জন্য আল্লহ অনেক বড় পুরষ্কার রেখেছেন৷
৯) বৃদ্ধ বয়সটা অনেক হাহাকার ময়। আর যেই মায়েরা আগেই স্বামী হারিয়েছেন তারা জানেন জীবন কতটা যুদ্ধের৷
Haram relationship slowly destroy your Imaan.💔
বিয়ে কবে করবা? বাচ্চা কবে হবে?
এসব প্রশ্ন থেকে বিরত থাকাও একটি পারিবারিক/ইসলামিক শিক্ষা। জন্ম মৃ-ত্যু বিয়ে পূর্বনির্ধারিত, তা নিয়ে ধারণা না থাকলে শিক্ষার ঘাটতি আছে বুঝে নিবেন।
হতাশ কেন হচ্ছে বর্তমান দ্বীনদার মেয়েরা জানেন?
মেয়ে দ্বীনদার ছেলে পছন্দ করলেও মেয়ের পরিবার করছেনা, পরিবার পছন্দ করছে টাকাওয়ালা(আফসোস)
কষ্ট হলেও সংসার করে যাইয়েন।নিজেদের চাহিদা,পছন্দ না মিললেও এডজাস্ট করে নিয়েন।
একটা সংসারের মায়া পরে থাইকেন কখনো ডিভোর্স দেওয়ার চিন্তা মাথায় আইনেন না। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ডিভোর্সটাকে কেউ-ই সহজ করে নিয়েন না।
সেপারেশন কিংবা ডিভোর্স দু'জন স্বামী-স্ত্রী'কে সুখ দিতে পারলেও তাদের সন্তানকে কখনো সুখ দিতে পারেনা।
অথচ বাবা-মা হয়ে নিজেদের স্বার্থের জন্য আলাদা হয়ে তাদের সন্তানদের এতিম করে দেয়।
খুব কাছ থেকে দেখলাম; একটি বাচ্চার ৬বছরে তাদের মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। ১২বছর মা পালন করার পর আজ বাচ্চাটির বাবা এসে সারাজীবনের জন্য নিয়ে গেলো।বাচ্চার চিৎকারে যেনো আসমান-জমিন কাঁদছে!
এইজন্যই হয়তো- হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন;
বিয়ে করো কিন্তু তালাক দিও না, কেননা তালাকে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে!🖤
বিদ্রহঃ বাচ্চাটি আমার খুব কাছের কেউ কিন্তু সম্পূর্ণ পরিচয় দিতে না পারার জন্য দুঃখিত।তবে এইটুকু অনুরোধ; যখনই কেউ সংসারে আটকাবেন কিংবা আঁটকে আছেন তবে হ্যাপি না আর সন্তান আছে তারা কখনো ডিভোর্সটাকে সহজ করে নিবেন না প্লিজ।
#স্বামী_স্ত্রীর_সম্পর্ক_আসলে_কি?
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রুহের জগতে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বলে কোন সম্পর্ক ছিলো না। প্রতিটি রুহ-ই আলাদা।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) জান্নাতে ১ম মানুষ আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। তারপর সৃষ্টি করলেন হাওয়া (আঃ) কে। এবং বিয়ে দিলেন তাঁদের দুজনকে। সৃষ্টির সর্ব প্রথম পবিত্র সম্পর্ক #স্বামী_স্ত্রী।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? দুনিয়াতে আমরা নানা রকমের সম্পর্ক মেইনটেইন করি। আমাদের সম্পর্ক গুলোতেও অনেক আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করে। তারপরও একসময় আলাদা হতে হয়। ছোট বেলার মতো করে ভাই-বোনরা একসাথে থাকা হয়না। বাবা-মায়ের সাথেও থাকা হয়না সারাজীবন। যার যার নিজের নতুন পরিবার তৈরী হয়। তৈরী হয় সেই ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ সম্পর্ক।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? যদিও জান্নাতে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আমাদের দেখা হবে, কথা হবে (যারা যারা জান্নাতে যেতে পারবো)। কিন্তু সেখানেও যে সম্পর্কটি হবে সবার জন্য চিরস্থায়ী, তা হলো ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ পবিত্র সম্পর্ক।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ এই সুন্দর পবিত্র সম্পর্ক জান্নাত থেকেই শুরু হয়েছে, দুনিয়াতেও কিছু কালের জন্য দেয়া হয়েছে। আবার জান্নাতে গিয়েও অন্ততকালের জন্য এই সম্পর্ক থাকবে।
অথচ দুনিয়াতে থাকতে আমরা এই পবিত্র-সুন্দর ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ সম্পর্কটিকে কতটা-ই না মূল্যহীন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি। শয়তানের ওয়াসওয়াসায়, দুনিয়ার ধোকায়, চাকচিক্যে এই সম্পর্ককে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই না। একজন আরেকজনকে ধোকা দেই। যার যে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো, তা ঠিকভাবে পালন করিনা।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) আমাদেরকে কি হুকুম দিয়েছেন এবং নবীজি (ﷺ) এই ব্যাপারে কি বলেছেন, আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি এবং সেভাবে দুনিয়ায় এই পবিত্র সম্পর্কের হাক্ব আদায় করি। ইন-শা~আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও কামিয়াবী হাসিল হবে।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) বলেছেনঃ ❝তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক আর তোমরা (স্বামীরা) তাদের জন্য পোশাক।❞
#সূরা_বাক্বরঃ ১৮৭ ুরআন
নবীজি (ﷺ) বলেছেনঃ ❝তোমাদের মাঝে সেই ব্যাক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।❞
নবীজি (ﷺ) আরো বলেছেনঃ ❝কোন মহিলা যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে, তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তাহলে সেই মহিলা জান্নাতী।❞
বিয়ের আগে একজন( যুবক/ যুবতির) পুরুষ /নারী ঘটিত, অপরাধের ওজর থাকে। যদিও সেটা অপরাধই, তবুও মাত্রার বিবেচনায় বিয়ের পরের সময়ের তুলনায় কম। এটার সবচে বড় প্রমাণ হলো, শরীয়ত বিয়ের আগের ও পরের অবস্থাতে তারতম্য করেছে। শরীয়তের কাঠগড়ায় অবিবাহিত ব্যক্তির জিনার শাস্তি ও বিবাহিত ব্যক্তির জিনার শাস্তির ধরন আলাদা।
"একজনেরটা বেত্রাঘাত, অন্যজনেরটা মৃত্যুদণ্ড। কারণ একজনের ওজর আছে, অন্যজনের নেই। "
যারা বিবাহিত, তারাও ফিতনা থেকে মুক্ত না। তাই উচিত হলো, ফিতনার দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সেজন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উচিত নিজেদের ফোনের এক্সেস অন্যজনের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
কার সাথে কী চ্যাট করছে, কোথায় ব্রাউজ করছে, কী দেখছে এটা যেন দুজনেই দুজনেরটা চেক করতে পারে যে কোন সময়। এটা শয়তানের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী মাধ্যম। অনেক সময় আমরা ফোনকে 'পার্সোনাল ম্যাটার' হিসেবে মনে করে থাকি। একজন অন্যজনের ফোনের এক্সেস চাওয়াকেও নীচুতা ও চিপ মেন্টালিটির ভাবি। অনেকে আবার ভাবে, তাহলে কী সে আমাকে সন্দেহ করে? বিশ্বাস করে না? আসলে কিন্তু এগুলো কিছুই না। শুধুই ফিতনার দরজা বন্ধ রাখার একটা পদক্ষেপ এটা।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এসব ক্ষেত্রে 'পার্সোনাল জিনিস' বলে কোন দেয়াল না রাখা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ফিতনা থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।
- উস্তাদ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
আমাদের সমাজে বিবাহের প্রতি উৎসাহের পাশাপাশি সংসারে নারী পুরুষের অধিকার আর দায়িত্ব নিয়েই নয়, বরং তাদের বোঝাপড়া ও পরিচালনার বাস্তবিক এক্টিভিটি নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত। এবং খুব বেশি বেশিই হওয়া দরকার। যেন তাড়াহুড়োর সাথে বৈবাহিক জীবনে প্রবেশের ফলে তারা কোন ফ্যান্টাসির জগতে না থাকে এবং নতুন এই বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে সাংসারিক জীবন নিয়ে বিতৃষ্ণ না হয়ে উঠে। বরং মানসিকভাবেও সাংসারিক জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে।
আমি দেখেছি, নামাজ রোজা আদায় সহ দ্বীনের প্রতি আবেগ থাকলেও অনেকেই বাবা মা, স্বামী স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ প্রত্যেকের অধিকার ও তার সীমা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখে না। বলতে গেলে এই জায়গাগুলোতে শরীয়তের নির্দেশনা ও সীমারেখা গ্রহণের মানসিকতাই অনেক মা বাবা, স্বামী স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রাখে না। বরং হয়ত বাবা মায়ের ইমোশনাল ব্লাকমেইলের কারণে স্বামী স্ত্রীর অধিকারকে দিনের পর দিন খর্ব করে যাচ্ছে কিংবা স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণের কারণে অবহেলা করে যাচ্ছে বাবা মায়ের প্রতি। এই জায়গাগুলোতে প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও তার সীমারেখা নিয়ে সচেতন থাকলে ও ইসলামী শরীয়ার কাছে নিজেদের সোপর্দ করলে একটা ব্যালেন্স কিংবা ভারসাম্যতা তৈরি করা খুবই সহজ।
কিন্তু রাগ, ইগো, ইমোশন, সামাজিকতা আর অন্ধ মায়ার জাঁতাকলে নিয়মিত পিষ্ট হচ্ছে অনেকের অধিকার, নির্যাতিত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। রাষ্ট্রীয় সংকটের চেয়েও পারিবারিক সংকট আরো ভয়াবহ হয়। এটা ব্যক্তিকে জীবন থেকে অতিষ্ট করে তোলে। তার মানসিক স্বাস্থ্যকে চিরতরে অসুস্থ করে দেয়। যেই অসুস্থতা ভাইরাসের মত অনেক মনকে দূষণ করে ও হত্যা করে।
আমাদের পরিবারগুলো যদি সুস্থভাবে গড়ে উঠতে না পারে, তবে অসুস্থ পরিবার নিয়ে মুসলিম প্রজন্মের জাগরণ ও বিপ্লবের কল্পনা করা যায় না। তাই জাগরণের অংশ হিসেবেই পরিবারগুলোকে সুস্থ মানসিকতার উপর প্রতিপালন করা এবং উঠিয়ে আনা জরুরী। তবেই এখান থেকে দ্বীন বিজয়ের শক্তি আহরণ করা যাবে সফলভাবে। আর পরিবার কাজ করবে উম্মাহর শক্তিশালী এক দূর্গ হিসেবে।
🌸🌸
।।দ্রুত বিয়ের আমল।।
১) বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা।
২) সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
৩) বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও দোয়াবিহীন না যায়।
৪) আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী।
৫) অনেক সময় জাদু-সিহর করে বিয়ে আটকে রাখা হয়। এজন্য রুকইয়া করা।
৬) নিয়মিত সদকা করা।
🤍
বিয়ে করো কিন্তু তালাক দিও না, কেননা তালাকে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে!🖤
- হযরত আলী (রাঃ)
বাচ্চাদের জন্য সহজ রুকইয়াহ ও নিরাপত্তার প্রেসক্রিপশন
১. আসরের পর থেকে নিয়ে মাগরিবের ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত বাচ্চাদের নিয়ে বের হবেন না।
২. বাচ্চাদের রুমে(পুরো বাসাতেই রাখা ঠিক না) কোন প্রকাশমাণ প্রাণীর ছবি ও পুতুল রাখবেন না।
৩. ফজর ও মাগরিবের পর আয়াতুল কুরসি-১ বার, ইখলাস, ফালাক ও নাস ৩বার করে পড়ে ফুঁ দিবেন।
৪. রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক ও নাস ১বার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে শরীর মুছে দিবেন -৩বার।
৫. মাগরিবের ২০মিনিট পুর্বে দরজা ও জানালা বিসমিল্লাহ বলে বন্ধ করে দিবেন এবং মাগরিবের ১৫-২০ মিনিট পর খুলে দিতে পারবেন যদি প্রয়োজন হয়। খোলার সময় বিসমিল্লাহ বলে খুলবেন।
৬. মানুষ ও জ্বীনের বদনজর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে :- দুরুদে ইব্রাহিম (১বার), সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক ও নাস (প্রতিটি ৭বার করে পড়বেন), দুরুদে ইব্রাহিম (১বার) পড়ে ডান কানে হালকা করে ফুঁ দিয়ে দিবেন এবং সমস্ত শরীরে ফুঁ দিয়ে দিবেন।
৭. পানি(উপরে উল্লেখিত সুরা ও আয়াত পড়ে পানি তৈরি করবেন) অল্প করে পান করাবেন এবং অল্প পানি দিয়ে মাথা, আইভ্রু, হাত ও পায়ের তালুতে মাসেহ করে দিবেন(দিনে কমপক্ষে ৩বার)
৮. এই দুআটি সকাল-সন্ধ্যা ১/৩/৫/৭ বা এর বেশি বেজোড় সংখ্যকবার পড়ে ফুঁ দিবেন:-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-এর জন্য এই বলে (আল্লাহ্র) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
আমি তোমাদের দু’জনকে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে নিচ্ছি যাবতীয় শয়তান ও বিষধর জন্তু থেকে এবং যাবতীয় ক্ষতিকর চক্ষু (বদনযর) থেকে।
উ‘ইযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁয়া হা-ম্মাহ্, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্(একজনের ক্ষেত্রে উ'ইযুকা পড়বেন)।
বুখারী ৪/১১৯, নং ৩৩৭১; ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীস থেকে।
~রুকইয়াহ সার্ভিস বিডি
Afiyah Women's Hijama Center
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Website
Address
Iskcon Temple Road, South Sahadevpur
Feni, 3900
International Society For Krishna Consciousness (ISKCON), Feni, Chottogram, Bangladesh
Feni, 4167
if you claim yourself Muslim, but you do not pray five times a day. There is a very simple Question : Why don't you pray? You should know the answer
Feni Sadar
Feni, 3900
Ummah is an Arabic word meaning "community". It is distinguished from shaʻb, which means a nation with common ancestry or geography.
Shanti Road
Feni
this is an islamic page ,where you will find all kinds of islamic videos like- waz,azan,quran recitation and much more.so follow the page and keep supporting me thanks.