Jahangir Alam
......
কাল কেয়ামত শুনলে একদল কাফনের কাপড় এর দামও বাড়াই দিবে! একটা বোট এর ভাড়া ২০-৫০ হাজার অব্ধি রাখা হচ্ছে! লজ্জা লজ্জা ‼️
এক নজরে জেনে নিন ভারতের কোন বাঁধে বাংলাদেশের কোন জেলায় বন্যা হতে পারে
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, যার প্রধান নদীগুলো ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই নদীগুলোর ওপর নির্মিত ভারতের কিছু বড় বাঁধ বাংলাদেশের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন হঠাৎ করে এই বাঁধগুলোর পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। ভারতের এই বাঁধগুলো বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিপজ্জনক এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন। নিচে বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে ভয়ংকর কয়েকটি বাঁধের উল্লেখ এবং তাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. ফারাক্কা ব্যারেজ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, গঙ্গা নদী
প্রভাব: পদ্মা নদীতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বর্ষাকালে বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের কারণ হয়। রাজশাহী, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. টিপাইমুখ বাঁধ
অবস্থান: মণিপুর, বরাক নদী
প্রভাব: সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে, যা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ব্যাপক ক্ষতি করে। এছাড়াও, নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. গজলডোবা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, তিস্তা নদী
প্রভাব: তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রংপুর, লালমনিরহাট, এবং কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা সৃষ্টি করে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের কারণ হয়।
৪. ধুবরী বাঁধ
অবস্থান: আসাম, ব্রহ্মপুত্র নদী
প্রভাব: ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা ময়মনসিংহ এবং জামালপুর জেলায় তীব্র বন্যা সৃষ্টি করে।
৫. পোখরা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, মহানন্দা নদী
প্রভাব: মহানন্দা নদীতে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে, যা পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ব্যাপক ক্ষতি করে।
৬. করণফুলী বাঁধ
অবস্থান: ত্রিপুরা, কর্ণফুলী নদী
প্রভাব: চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্ণফুলী নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. কংসাবতি বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, কংসাবতি নদী
প্রভাব: বাঁধটি কংসাবতি নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার কারণ হতে পারে।
৮. বড়দা বাঁধ
অবস্থান: গুজরাট, বড়দা নদী
প্রভাব: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
৯. শোন নদীর বাঁধ
অবস্থান: বিহার, শোন নদী
প্রভাব: শোন নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণ হতে পারে।
১০. জালঢাকা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, জালঢাকা নদী
প্রভাব: জালঢাকা নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায় এবং কৃষি জমির ক্ষতি করে।
১১. টেহরি বাঁধ : এই বাঁধ গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত, যা শেরপুর, জামালপুর, এবং ময়মনসিংহ জেলার ওপর প্রভাব ফেলে। বর্ষাকালে বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে এই জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১২. ইন্দিরা সাগর বাঁধ : নর্মদা নদীর ওপর নির্মিত এই বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া পানি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নীলফামারী, দিনাজপুর, এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৩. আলমাটি বাঁধ : কৃষ্ণা নদীর ওপর অবস্থিত এই বাঁধ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, এবং যশোর জেলার নদীগুলোর পানির প্রবাহে প্রভাব ফেলে, যা বর্ষাকালে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
১৪. উকাই বাঁধ : তাপি নদীর ওপর নির্মিত উকাই বাঁধের প্রভাব বাংলাদেশে পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় পড়ে। এই বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া অতিরিক্ত পানি তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যা বন্যার কারণ হতে পারে।
জলবণ্টন এবং বাঁধ ব্যবস্থাপনা একটি আন্তর্দেশীয় ইস্যু, যা আন্তর্জাতিক আইন এবং ন্যায্যতার ওপর নির্ভরশীল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তির মতো কিছু চুক্তি থাকলেও, ভারতের বাঁধগুলোর অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে যে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়, তা এই চুক্তির লঙ্ঘন। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, কারণ এর ফলে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
এই অবস্থার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের সরকারকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে এবং এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এই সমস্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
🚨ফেনীতে অন্ধকার নেমে আসছে , পানি বেড়ে চলছে, ইলেক্ট্রিসিটি নাই ‼️
শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। আবার পড়ুন, শেখ হাসিনা, The Iron Lady দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন! "শেখ হাসিনা পালায় না" বলা শেখ হাসিনাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন!
শেখ পরিবারের কেউ কি দেশে আছে এখন? না, নাই! তারাও পালিয়ে গিয়েছেন। উনারা বরং আরও আগেই গিয়েছেন। আওয়ামী লিগের নেতাকর্মী থেকে এমপি, মন্ত্রী কেউই জানেন না যে শেখ পরিবার পালিয়ে গিয়েছেন।
নেত্রীর আদেশে যখন আপনারা রাজপথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, নিজের অমূল্য জীবন কুরবানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন আপনাদেরকে বাঘের মুখে ফেলে রেখে আপনাদের নেত্রী তার পরিবার পরিজনসহ সেইফ এক্সিট নিয়ে চলে গিয়েছেন।
বার বার কেন বলছি আপনাদেরকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার কথা কারণ আপনারা ম্যাটার করেন না আপনাদের নেত্রীর কাছে। না আপনি, না আমি, না দেশ! কিছুই ম্যাটার করে না। উনাদের ব্যাক্তিগত পরিবারতন্ত্র সবকিছুর উর্ধ্বে। এটাকে বলে কাল্ট সংস্কৃতি Cult Culture। এই কাল্ট পরিবার নিয়েই উনারা পালিয়ে গিয়েছেন।
একারণেই সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথম দিনেই স্পস্ট ভাষায় বলে দিয়েছে যে বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে তার পরিবারের কোন চিন্তা নেই। একটু খেয়াল করুন, উনি কিন্তু পরিবার বলেছেন, দল বলেন নি! কারণ উনাদের কাছে পরিবারটাই মুখ্য।
আওয়ামী লীগে এই কাল্ট সংস্কৃতি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। দলটির মধ্যে যেকোন ধরনের বিরোধ বা মতভেদ শাস্তির মাধ্যমে দমন করা হয়। এবং দলের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনার প্রতি যে কোন ধরনের সমালোচনা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হয়।
এই কাল্ট সংস্কৃতির কারণেই আহমদ হোসাইনের মতন বকলম মানুষ তিনবার একটানা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকেন। ওবায়দুল কাদেরের মতন একজন ভাড় এবং হিতাহিত জ্ঞ্যান বিবর্জিত মানুষ দলের সাধারণ সম্পাদক থাকেন ২-৩ মেয়াদে!
এর ফলে, আওয়ামীলিগ দলটি একটি স্বৈরাচারী সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা এবং তার ঘনিষ্ঠদের (মূলত পরিবার) নির্দেশ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না।
কিন্তু কেন?
আওয়ামী লিগ বরাবরই একটি ব্যাক্তি পূজারী রাজনৈতিক দল। এখানে শুধু নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের পূজা করা হয়। এর বাইরে বাকিদের তেমন কোন মূল্য নেই। আপনাদেরকেও এভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে যাই হোক না কেন নির্দিষ্ট ব্যাক্তির বাইরে কেই সমাদৃত হবে না এবং এই সুনির্দিষ্টদের সমালোচনাও করা যাবে না।
ব্যক্তিপূজার রাজনীতির ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো অনেকাংশেই শেখ হাসিনার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। দলটির ভেতরে যে কোন সিদ্ধান্ত বা পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনার অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
এই ধরনের কেন্দ্রীয়করণ দলের ভেতরে অন্য নেতাদের ক্ষমতা বা নেতৃত্বের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে, দলের ভেতরে ক্ষমতার ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে এবং এটি দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এই ব্যাক্তিপূজার কারণে কখনোই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রূপকার বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের নাম সামনে আসে না। সবকিছুতেই শুধু শেখ সাহেবের জয়জয়কার। অথচ উনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পুরোটাই পরিচালনা করেছিলেন তাজ উদ্দিন আহমেদ।
তাজউদ্দীন ছিলেন আওয়ামী লীগের অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান সংগঠক এবং তিনিই সেই ঐতিহাসিক ভাষণগুলোর স্রষ্টা, যা আমরা আজও উদ্ধৃত করি। তাজউদ্দীন পালিয়ে থাকা বিভিন্ন নেতাকে প্রথম সরকার গঠনের জন্য আড়াল থেকে বের করে এনে মুক্তিবাহিনী গঠন করেন।
তিনি নবগঠিত জাতির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সর্বোচ্চ মানের মানুষদের বেছে নেন;
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, যার বক্তব্য বাংলাদেরশের মানুষের সংকল্পকে তুলে ধরে সিনেটর টেড কেনেডির মাধ্যমের আমেরিকান জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়। মুঈয়েদুল হাসান, যিনি বিশ্বের অন্য শক্তিগুলিকে দূরে রাখতে সোভিয়েত-ভারত চুক্তি সম্পাদনের অংশ ছিলেন।
অ্যাডভোকেট নুরুল কাদের, যিনি ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির নির্বাচনী সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন জয় করেছিলেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, রেহমান সোবহান, ড. স্বদেশ বোস এবং তাদের মতো আরও অনেকে তার পরিকল্পনা সেল এবং পরামর্শক কমিটির অংশ ছিলেন।
এখন আপনি শুধু ঘোষকের নাম মুখে নেবেন কিন্তু যে আসল কাজটা করলেন তার নাম নেবেন না? এইটাই আওয়ামী লিগের ব্যাক্তি পূজার নীতি। এই ব্যাক্তি পূজার বাইরে কেউ যেতে পারবে না। সমালোচনাও করতে পারবে না।
শেখ সাহেব বাঁকশাল করেছিলেন শুধুমাত্র তার এই ব্যাক্তি পূজা ধরে রাখার জন্য। সবাইকে নিজের এবং নিজের দলের পূজা করতে বাধ্য করেছিলেন। ভিন্নমতের উপরে রক্ষীবাহিনী লেলিয়ে দিতেন তিনি। রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের অনেককেই পিটিয়ে বা গুলি করে হত্যা করেন।
উনার কন্যা একই ইমিউনিটি দিয়ে দিলেন ছাত্রলীগকে। বানিয়েছিলেন একটা অলিখিত রক্ষী বাহিনী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি আর দলাদলির লাইসেন্স দিয়ে রসদ সরবরাহ করলেন। ছাত্রলীগের হাতে কোন এক দৈববলে চলে এল পিস্তল, এমনকি সেমি অটোমেটিক রাইফেল!
ভারতীয় মেজর জেনারেল এস এস উবান এর ট্রেনিংপ্রাপ্ত রক্ষীবাহিনীর কাজ ছিল সরকারের প্রতি বিরোধিতা বা প্রতিপক্ষকে দমন করা এবং সরকারের পক্ষে কাজ করা। বর্তমান ছাত্রলীগও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করে, যা ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
রক্ষীবাহিনী মূলত বঙ্গবন্ধুর শাসনকে সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করত, যেখানে বর্তমান ছাত্রলীগ কাজ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন ও বাস্তবায়ন করতে।
শেখ সাহেবের পরবর্তী পূজ্য হয়েছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। পিও আপা, মমতাময়ী মা, লেডি অব ঢাকা, Mother of Humanity, কওমি জননী এবং এরকম অসখ্য উপাধিতে ভূষিত এবং ঘোষিত উনি।
শেখ সাহেবের পূজা হয়ছে, হয়েছে তার কন্যার। এবং এই তাদের পতনও হয়েছে। খুবই নির্মম এবং অসম্মানজনক পতন।
একজন সপরিবারে কতল হয়েছেন, আরেকজন ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত গণহত্যা সম্পাদন করে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এবার আপনারা কি করবেন?
দল সংশোধন করে সোহেল তাজের মতন কোন তরুণ, আধুনিক এবং সৎ মানুষের নেতৃত্বে নিজেদের রাজনৈতিক যোগ্যতা এবং ত্যাগের আত্মপ্রকাশ করবেন, নাকি আবারও সমূলে পালিয়ে যাওয়া শেখ পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের কোন ব্যক্তির পূজা শুরু করবেন?
©
যুগে-যুগে যত সরকার, যত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বড়-বড় entity ডাউনফল করেছে; তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল করেছে একটা জেনারেশনের পর আরেকটা জেনারেশনের ট্রানজিশনটা ধরতে না পারায়।
জেনারেশন জেড, কিংবা Gen-Z, এই জেনারেশনের ব্যাপারে আমার প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। কারণ মূলত ওরাই আমার ফরমায়েশি লেখা এবং প্রোডাক্ট— দুইটারই টার্গেট কনজিউমার।
ওরা সম্পূর্ণ আলাদা ধাঁচে বড় হয়েছে। ওরা সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেট দিয়ে ওদের জীবন চালায়। ওদের কোনো ব্যারিয়ার নাই। ওরা Global Citizen। দেশের সীমানা ওদেরকে আটকায় না।
আপনি টিভিতে যা-খুশি, দেখান। লাভ নাই। কেননা ওরা টিভি দেখেই না। এ-কারণে এরা স্বাধীন এবং স্বশিক্ষিত। ওদের learning source ওরা নিজেরাই। শেয়ারিং বেসিসে একজন আরেকজনের কাছ থেকে শেখে এবং পাশে থাকে।
এ-কারণেই Ten Minutes School-এর মতন প্রতিষ্ঠা এত জনপ্রিয়। ওরা ওদের মতোই কারো কাছ থেকে শিখতে চায় এবং খুব দ্রুত শিখতে চায়। দশ মিনিটেই শিখতে চায়।
এই যে দেশের IT সেক্টর নিয়ে আমরা এত বড়াই করি, এই সেক্টরের লাইফ লাইন কারা? এই Gen Z-ই তো। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কি এগুলো শেখানো হয়?
না, হয় না! তা হলে এরা শিখল কীভাবে?
ওরা নিজে-নিজে শিখেছে। মাসে লাখ-লাখ টাকা কামাই করছে তাদের স্বশিক্ষা দিয়ে, যা আপনার-আমার মতন পুরোনো প্রজন্মের কাছে কল্পনাতীত। তাই আমরা এখনো প্রাগৈতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গৌরব নিয়ে বড়াই করি।
এই যে মীর মুগ্ধ ছেলেটা কপালে গুলি খেয়ে মারা গেল, তার ফাইভার প্রোফাইল দেখলাম। সে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতন স্কেলের চেয়ে বেশি টাকা মাসে আয় করত।
সে কেন এসেছিল আন্দোলনে? সে দেখেছে তার বন্ধুরা স্ট্রাগল করছে। সে এসেছিল ভলান্টিয়ার হিসেবে। নিজের কামাই করা টাকায় পানি কিনে দিচ্ছিল। পানি খাওয়াতে এসে, কপালে গুলি খেল।
আইইউটি-এর একটা ছেলে মারা গেল। প্যারালাল ল্যান্ডিং করতে পারে— এমন ড্রোন বানিয়েছে সে, যার বাজারমূল্য প্রায় বারো লাখ টাকা। কে শিখিয়েছে তাকে এসব? সে নিজে-নিজে শিখেছে।
বাকি আন্দোলনকারীদের খোঁজ নিন। দেখবেন বেশিরভাগই এরকম। স্বশিক্ষিত ছেলেমেয়ে। যারা উল্টাপাল্টা সহ্য করতে পারে না।
এই যে স্বশিক্ষা এবং স্বনির্ভরতা এই দুইয়ের কারণে এদের আত্মমর্যাদা প্রচণ্ড রকমের। আপনি জাস্ট তাদেরকে অপমান করতে পারবেন না পূর্ববর্তী জেনারেশনেগুলোর মতন।
জেন-জির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো ওরা খুব ডিরেক্ট। যা চায় সরাসরি বলবে, যা করতে চায় সরাসরি করবে।
ঘোরানো-প্যাঁচানো ডিপ্লোম্যাসিতে ওরা খুব বিরক্ত হয় এবং যেহেতু ওরা পৃথিবীর সবকিছুরই কম বেশি জ্ঞান রাখে (মিনিটে-মিনিটে Google করে) ওরা খুব ভালো করেই বোঝে কোনটা মুলা ঝোলানো আর কোনটা আন্তরিকতা।
এর আরেকটা উদাহরণ দিই, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতন বুদ্ধিজীবীকে মোটামুটি মুছে দিতে তাদের একদিনও সময় লাগেনি। এ-রকম ভয়ংকর বুদ্ধিবৃত্তিক পতন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর একটাও ঘটেনি আমার জানামতে।
এর কারণ জাফর ইকবাল ডিরেক্ট না। তার ভুলকে ভুল, ঠিককে ঠিক বলার মতন সাহস কিংবা ইচ্ছে ছিল না। এর ফলে ওনার বুদ্ধিজীবী থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতে রুপান্তরিত হতে একদিনও লাগেনি।
মিলেনিয়ালদের মধ্যে যদি আপনি খোঁজ নেন দেখবেন বিশজনে হয়তো একজন নিজের জীবনের বাইরে বর্তমান পৃথিবীর খবর রাখছে। কিন্তু জেন-জি প্রতি দশে পাঁচজনই এসব খবর কম-বেশি রাখে।
এই যে গত ছয়-সাত বছরে অনেকগুলো আন্দোলন হলো দেশে, দুই দফা কোটা, এক দফা সড়ক-আন্দোলন, ছোট একটা কোভিড-আন্দোলন। ওদের কথা একটাই ছিল— বদলান। পরিবর্তন আনেন। হয় করেন, না পারলে সরেন।
সরকার পরিবর্তন তো চায়নি ওরা। চেয়েছিল সরকারের মন-মানসিকতার পরিবর্তন। একটু চিন্তা করুন। যখন সরকার নিজেকে মডিফাই করতে অস্বীকার করল, তখন ওরা বলল— এবার তাহলে হোক সরকার পরিবর্তন।
জেন-জির সহজাত প্রবৃত্তি এটাই। রাষ্ট্র বোঝেইনি তাদের সাইকোলজি। কেননা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কাছে এই জেনারেশনের উপর কোনো প্রপার রিসার্চ নাই। সেই প্রাগৈতিহাসিক divide and rule দিয়ে তাদেরকে দমন করতে গিয়ে উল্টো আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন।
এই যে পুলিশের সাথে ক্ল্যাশ হলো। পুলিশের কাজ ওদের ভালো লাগেনি। ওরা শ্লোগান দিল— 'পুলিশ চুদি না।'
আপনি-আমি এটাকে গালি হিসেবে নেব। কিন্তু ওরা বোঝাচ্ছে আমরা পুলিশকে কেয়ার করি না। । ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ওরা দিনে কম করে হলেও বিশবার I don't give a f**k (I don't care) কথাটা শোনে। তারই স্রেফ বাংলা অনুবাদ এইটা।
এই যে গালি। এইটা ওদের রাগ-ক্রোধ প্রকাশের ভাষা। এই ভাষাকে অস্বীকৃতি দিতে পারেন কিন্তু অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
একইভাবে তাদের ওপর গুলি করার পর তারা 'বন্দুক চুদি না' বলে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আপনি আমি হয়তো অনেক লম্বা শব্দ চয়ন করতাম।
যেমন ধরুন 'যুগে যুগে বন্দুকের নল কিংবা বুলেট দিয়ে কোনদিন কোন রাষ্ট্র ছাত্র-আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারেনি' অথবা 'আমরা বীর বাঙালি ছাত্রসমাজ এসব বন্দুকের গুলির পরোয়া করি না।' সাথে ৫২-৬৯-৭১ এ-রকম কতকিছুই!
কিন্তু ওরা এক লাইনে শেষ করে দিয়েছে— বন্দুক চুদি না।
ধরুন, রাষ্ট্র গালি খেয়ে গুলি করে দিল। এবার যেমন করেছে। তখন ওরা কি ভয় পায়? না! পায় না! কেননা রাষ্ট্র তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। তারা জানে রাষ্ট্র ভুল এবং রাষ্ট্রকে তার ভুল সংশোধন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে অপমান করেছেন। তারা রাস্তায় আন্দোলনে চলে এসেছে। ছাত্রলীগ তাদেরকে পিটিয়েছে, ওরা আরও বেশি অপমানিত হয়েছে, আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। আর গুলি করাটা ছিল ভীমরুলের চাকে ঢিল মারার মতন।
ওরা তখন বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করেছে, 'খানকির পোলা, গুলি করলি কেন?'
এই ডিরেক্টনেসের কারণে তারা প্রথাগত chain of command ভাঙতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না।
একটা জিনিস লক্ষ করেছেন কি না, এই শিক্ষার্থীরা আগে নিজেরা আন্দোলনে নেমেছে। তারপর তাদের বাবা-মা'দেরকেও সেই আন্দোলনে নিয়ে এসেছে। এইটা যে কী ভীষণ রকমের একটা বিপ্লব, চিন্তা না করলে বোঝা যাবে না।
একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটা। যেখানে নিরাপত্তার জন্যে পরিবার আন্দোলনে যেতে বাধা দেয়, সেখানে তারা পরিবারকে উলটো নিয়ে এসেছে আন্দোলনে। এদের এই ডিরেক্টনেস এই অদ্ভুত লিডারশিপ অ্যাবিলিটি নিয়ে এসেছে।
কারণ এদের ডিসিশন মেকিং খুবই খুবই ফাস্ট। যেসব তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে একটা সিদ্ধান্তে যেতে হয়। তারা অলরেডি সেগুলো মাথায় নিয়ে ঘোরে। এ-কারণেই তাদের অপিনিয়ন পরিবারের কাছে এখন প্রায়োরিটি পায়।
এরকম একটা সিনারিও বলি, মনে করুন অফিসের বস তাকে পাত্তা দিচ্ছে না বা তার চাহিদা মেটাচ্ছে না। এই অবস্থায় ওরা ডিরেক্ট ওই বসের উপরের লেভেলের বসের কাছে তার দাবি নিয়ে চলে যাবে। কীভাবে? ইমেইল করবে কিংবা লিংকডইনে সরাসরি যোগাযোগ করবে।
এরপরেও না পোষালে সরাসরি চাকরি ছেড়ে দেবে। কিন্তু, যদি, অথবা এসব প্যাঁচানো বিশ্লেষণ দিয়ে তাদের বোঝানো যায় না। পারবেনও না। ওরা সোজাসাপ্টা মানুষ। প্যাঁচ কম।
এর কারণ হচ্ছে, ওরা জন্মের পর থেকেই মাল্টিপল অপশনের দুনিয়ায় বড় হয়েছে। মুভি দেখছে, পছন্দ হয়নি, ক্লোজ করে আরেকটায় চলে যাবে।
নেটফ্লিক্সের মতন প্লাটফর্মের কারণে তাদের কাছে লাখ-লাখ অপশন। একই ব্যাপার গান শোনা, বই পড়া, রাজনীতি, নেতা থেকে শুরু করে প্রেম-ভালোবাসা পর্যন্ত। না পোষালে আবেগের ভার নিয়ে এরা বসে থাকে না। They just quit and move on.
গতকাল জানলাম ওরা ইউটিউব, নেটফ্লিক্স কিংবা টুইটারে ভিডিও দেখে 1.5x গতিতে। মানে যে গতিতে ভিডিওটা করা হয়েছে তার দেড় গুণ গতিতে। কারণ স্লো কোনকিছুই এই জেনারেশন পছন্দ করে না।
মোটামুটি সব বড় গবেষণায়ই দেখা গেছে যে, অনলাইনে ৭ সেকেন্ড হচ্ছে তাদের অ্যাটেনশন টাইম। এই টাইমের মধ্যে তাদের এটেনশন ধরতে পারলে পেরেছেন, না পারলে they just move on to the next thing।
তো এই হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। ওরা নেতা হিসেবে বুর্জোয়া Diplomat চায় না। ওরা চায় clean, fair and precise মানুষদেরকে নেতা হিসেবে যারা কথা কম বলে to the point কাজ করবে এবং প্রায়োরিটি বেসিসে অ্যাকশন নেবে। একইভাবে ওরা পলিসি মেকিংয়েও এসব মারফতি প্যাঁচঘোঁচ চায় না।
সামনের সময়টা খুব কঠিন আমাদের পূর্ববর্তী জেনারেশনের নেতাদের জন্যে। বিশেষ করে Boomers কিংবা Gen X-দের জন্যে। ২০০০-পূর্ববর্তী জেনারেশনগুলোর মতন বাজেভাবে এই জেনারেশনকে ট্রিট করলে আমও থাকবে না, ছালও থাকবে না
©
Zadhid Ahmed Powell
প্রিয় কবি বলেছিলেন বহু বছর আগে, অথচ আমরা বুঝলাম সবে মাত্র।
শুদু কোটা না সব দুর্নীতি নিয়ে যেদিন বাঙালী এভাবে মিছিলে রাজপথে আন্দোলন করবে,
যেদিন বাঙালী আওয়ামীলীগ বা বিএনপির পরিচয় না দিয়ে দুর্নীতিকারী কে দুর্নীতিকারী বলতে পারবে, সেদিন বাঙালী দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাবে!
দেশ যারা চালাচ্ছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যাদের রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে আজ পর্যন্ত, তাদের কে যারা দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে সহযোগিতা করছে এখানে প্রমান করে যে রাষ্ট্র নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, রাষ্ট্র এই দায় অস্বীকার করতে পারে না?
একেই বলে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে
টেম্পু
বিলুপ্তপ্রায় রাজপথের চীরচেনা বাহনটি।কবে কখন কিভাবে এদেশে টেম্পুর আগমন ঘটে তা সঠিক নির্নয় করা না গেলেও ষাটের দশক থেকে রাজধানী সহ বেশ কিছু শহরে চোখে পড়ার মত ছিলো।স্বাধীনতার পর সত্তর দশকে সারাদেশের শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে পরে।আশির দশকে ঢাকা,চট্রগ্রামের রাজপথে টেম্পুর যানজট ছিলো হরহামেশা।বাস,ও জীপের পরেই ছিলো এ টেম্পুর দাপট।
তারপরই নেমে এলো সিএনজি।নব্বই দশকজুড়ে টেম্পু ও সিএনজি ছিলো শহরাঞ্চলের সাধারণ যাত্রী পরিবহনের অন্যতম ভরসা।২০০০ সালের পরপরই কালো ধোয়া ও শব্দ দূষনের অভিযোগে প্রধান প্রধান শহরে টেম্পুকে নিষিদ্ধ করা হলো।
এই গাড়িগুলো তবুও জেলা শহরে কোনমতে ঠিকে ছিলো।এর পরের দশকে বৈদ্যতিক চার্জে চালিত অটো রিক্সা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় চালক ও যাত্রীরা লুফে নেয়।এতেই কপাল পুড়ে অর্ধশত বছরের রাজপথের বাহন টেম্পুর।
আজও হয়তো কোথাও কোথাও দুই একটা থাকতে পারে তবে তা সংখ্যায় নগন্য।
আজকের প্রজন্মের অনেকেই এ বাহনটির যাত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই।
মানুষের সবচাইতে দুর্বল অঙ্গ হচ্ছে মন। এই মনকে আমরা প্রশ্রয় দিয়ে মাথায় উঠিয়ে রাখি। তাইতো খুব সামান্য সামান্য বিষয়ে সে কষ্ট পায়, চিন চিন করে।
মনকে প্রশ্রয় নয়, শক্ত করতে হবে পরিস্থিতি ও মানুষের পল্টিবাজী স্বভাবের সাথে। ওকে বুঝাতে হবে, সৃষ্টিতে শুধু তুমিই তোমার, আর কেউ তোমার নয়। তাই তোমার সুখ দুঃখের দায় শুধু তোমারই। তুমি শক্ত থাকলে পৃথিবী নরম, আর তুমি যদি নরম হও পৃথিবী গরম।
মনকে অবহেলা করতেও জানতে হবে, যোদ্ধা বানাতে হবে। আহলাদ দেয়া চলবেনা, আহলাদ দিলেই মাথায় উঠে দুর্বল হেয় বার বার ভেঙ্গে পরবে।
©
মূলত যাদের বাগান ১০তলা বিল্ডিংয়ের উপরে তাদের অনেকেই বলেন গাছে প্রচুর ফুল আসে কিন্ত সে তুলনায় ফলন কমহয়,তাদের এবং মাটিতে লাগানো গাছের জন্যও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে।
(আমের মুকুলে মাছির কাজ কি?)
মাছি যেকোনো ফল/ফুলের জন্য উপকারী। মাছি বিভিন্ন প্রজাতির হয়,যেহেতু মাছিরা মুলত ফুলের রেনুর আশপাশে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া খেয়ে বেড়ায়। মাছির গায়ে/পায়ে পরাগ রেনু লেগেযায় একফুল থেকে আরেক ফুলে উরাউরি করার ফলে এবং পরাগ রেনু ফিমেল ফুলের সংস্পর্শে এসে পরাগায়ন ঘটে।
আবার.....
মৌ-মাছি ঠিক একই কাজ করে, তবে মৌমাছি ফুলের রেনুর নিচে জমে থাকা মধু আহরণ করে,ব্যাকটেরিয়া নয়।
🟥আমের ৬০% পরাগায়ন হয় মাছির মাধ্যমে..
বাতাসের মাধ্যমে ১০% পরাগায়ন হয়..
বাকি ৩০% মৌমাছি সহ অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে হয়।
(দ্বিমত থাকলে নিজেই দেখেনিবেন আমের মুকুলে কোন মাছির আনাগোনা বেশি)
(পরাগায়ন শুধু মাছির মাধ্যমে হয়?)
না পরাগায়ন শুধু মাছিতেই সীমাবদ্ধ নয়...পরাগায়ন আপনি নিজের হাতেও করে দিতে পারেন, পরাগায়ন বাতাসের মাধ্যমেও হয়,মাছি/প্রজাপতি/ভোমরা/মৌমাছি সহ বিভিন্ন পতঙ্গের মাধ্যমে হয়।
(সুতরাং শুধুমাত্র মৌমাছি দিয়ে পরাগায়ন হয় এই ধারনা সম্পূর্ণ ভূল) যেমন শরিফা বা সৌদি খেজুর গাছে হ্যান পলিনেশন বা হাত দিয়ে পরাগায়ন করতে হয় ভালো ফলন পেতে।
🟥সবচেয়ে বড় কথা হলো যেকোনো মেল ফুল ফিমেল ফুলের সংস্পর্শে এলেই পরাগায়ন ঘটে।
(আমের ফুল ফোটার পর পরবর্তী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে পরাগায়ন নাহলে সেফুল ঝরে যায় সুতরাং স্ত্রীফুল ধরে রাখতে মাছের দাওয়াত দিয়ে মাছি নিয়েআসা মন্দের নয়।)....আশাকরি পরাগায়নের বিষয়টি ক্লিয়ার।
(কাচা মাছে পিপড়া/গন্ধ /কাক আনাগোনা থাকলে?)
মাছ শুটকি করলে যেমন পিপড়া আসে এবং গন্ধ হয়। এটা মেনে নিয়ে যারা করতে পারবেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি আর যেখানে মাছের গন্ধে কাক আসবে সেখানে মাছিতো পাশের বাসার আন্টি....সুতরাং প্রোটকল স্ট্রং করে ঝাপিয়ে পরুন। 🙂
©
বর্তমানে মধ্যবিত্তরা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ তাছাড়া দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে, যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য আমার এই লেখাটিঃ-
১. মৌজা = গ্রাম।
২. জে.এল নং = মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।
৩. ফর্দ = দলিলের পাতা।
৪. খং = খতিয়ান।
৫. সাবেক = আগের/পূর্বের বুজায়
৬. হাল = বর্তমান।
৭. বং = বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম
লিখে।
৮. নিং = নিরক্ষর।
৯. গং = আরো অংশীদার আছে।
১০. সাং = সাকিন/গ্রাম।
১১. তঞ্চকতা = প্রতারণা।
১২. সনাক্তকারী = যিনি বিক্রেতাকে চিনে।
১৩. এজমালী = যৌথ।
১৪. মুসাবিদা = দলিল লেখক।
১৫. পর্চা = বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে
নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
১৬. বাস্তু = বসত ভিটা।
১৭. বাটোয়ারা = বন্টন।
১৮. বায়া = বিক্রেতা।
১৯. মং = মবলগ/মোট
২০. মবলক = মোট।
২১. এওয়াজ = সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে
সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ
বলে।
২২. হিস্যা = অংশ।
২৩. একুনে = যোগফল।
২৪. জরিপ = পরিমাণ।
২৫. এজমালী = কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক
শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা
এজমালী জোত বলে।
২৬. চৌহদ্দি = সীমানা।
২৭. সিট = নকশার অংশ বা মৌজার অংশের
নকশাকে সিট বলে।
২৮. দাখিলা = খাজনার রশিদ।
২৯. নক্সা = ম্যাপ।
৩০. নল = জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।
৩১. নাল = চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।
৩২. পিং = পিতা।
৩৩. জং = স্বামী।
৩৪. দাগ নং = জমির নম্বর।
৩৫. এতদ্বার্থে = এতকিছুর পর।
৩৬. স্বজ্ঞানে = নিজের বুঝ মতে।
৩৭. সমূদয় = সব কিছু।
৩৮. ইয়াদিকৃত = পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে
শুরু করিলাম।
৩৯. পত্র মিদং = পত্রের মাধ্যমে।
৪০. বিং = বিস্তারিত।
৪১. দং = দখলকার।
৪২. পত্তন = সাময়িক বন্দোবস্ত।
৪৩. বদল সূত্র = এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।
৪৪. মৌকুফ = মাপ।
৪৫. দিশারী রেখা = দিকনির্দেশনা।
৪৬. হেবা বিল এওয়াজ = কোন জিনিসের পরিবর্তে
ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।
৪৭. বাটা দাগ = কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে
থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং
নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।
৪৮. অধুনা = বর্তমান।
৪৯. রোক = নগদ।
৫০. ভায়া = বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।
৫১. দান সূত্র = কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে
দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া
গন্য হয়।
৫২. দাখিল খারিজ = কোনো জোতের ভূমি ও জমা
হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে
প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে
তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।
৫৩. তফসিল = তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে
লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।
৫৪. খারিজ = যখন কোনো সরকার বা জমিদার
কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে
পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন
তাহাকে খারিজ বলে।
#ভূমিপরামর্শক পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
৫৫. খতিয়ান = প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক
ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়
তাহাকে খাতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি
নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম,
খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম,
তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক
দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা,
ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি)
দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ,
হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।
৫৬. জরিপ = সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই
সার্ভে করা হইয়া থাকে।
৫৭. এওয়াজ সূত্র = সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা
জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা
জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত
বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।
৫৮. অছিয়তনামা = যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে
তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর-
অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে
কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে
অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত
প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি
লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।
৫৯. তফসিল = বিক্রিত জমির তালিকা।
৬০. নামজারী = অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম
খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।
৬১. অধীনস্থ স্বত্ত্ব = উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী
স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে
অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।
৬২. আলামত = ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর,
মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি
বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।
৬৩. আমলনামা = কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে
কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া
ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে
আমনামা বলে।
৬৪. আসলি = মূল ভূমি।
৬৫. আধি = উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক,
অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ
বলে।
৬৬. ইজারা = ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের
জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা
নেওয়া।
৬৭. ইয়াদদন্ত = স্মারকলিপি।
৬৮. ইন্তেহার = ঘোষণাপত্র।
৬৯. এস্টেট = ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত
মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে
জমিদারী বা এস্টেট বলে।
৭০. ওয়াকফ = ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে
উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।
৭১. কিত্তা = চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে
এক একটি কিত্তা বা পট বলে।
৭২. কিস্তোয়ার জরিপ = গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো
কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার
৭৩. কিস্তি = নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার
অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।
৭৪. কায়েম স্বত্ত্ব = চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া
ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।
৭৫. কবুলিয়ত = মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি
করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত
বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর
রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।
৭৬. কটকোবালা = সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে
জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয়
তাহাকে কটকোবালা বল।
৭৭. কান্দা = উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও
কান্দা বলে।
৭৮. কিসমত = মৌজার অংশকে কিসমত বলে।
৭৯. কোলা ভূমি = বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে
কোলা ভূমি বলে।
৮০. কোল = নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান
স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে
তাহাকে কোল বলে।
৮১. খানাপুরী = প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব
রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম
বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।
৮২. খামার = ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার,
খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।
৮৩. খাইখন্দক = ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের
অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।
৮৪. খিরাজ = কর, খাজনা।
৮৫. খানে খোদা = মসজিদ।
৮৬. খসড়া = জমির মোটামুটি বর্ণনা।
৮৭. গর বন্দোবস্তি = যে জমির কোনো বন্দোবস্ত
দেওয়া হয় নাই।
৮৮. গরলায়েক পতিত = খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়,
জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত
বলে।
৮৯. গির্বি = বন্ধক।
৯০. চক = থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক
বলে।
৯১. জমা বন্দী = খাজনার তালিকা।
৯২. চাকরাণ = জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ
করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি
দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।
৯৩. চাঁদা = জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা
বলে।
৯৪. চটান = বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে
চটান বলে।
৯৫. চালা = উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)
৯৬. চর = পলিমাটি গঠিত ভূমি।
৯৭. জবর-দখল = জোরপূর্বক দখল।
৯৮. জমা = এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে
খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।
৯৯. জোত = এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।
১০০. জজিরা = নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয়
তাহাকে জজিরা বলে।
১০১. জায়সুদী = হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং
কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট
বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়,
যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে
ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল
করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।
১০২. জালি = এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে
জন্মে।
১০৩. টেক = নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি
উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।
১০৪. টাভার্স = ঘের জরিপ।
১০৫. ঠিকা রায়ত = নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে
দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে
রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।
১০৬. ঢোল সহরত = কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা
দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া
জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।
১০৭. তামিল = আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন
করা।
১০৮. তামাদি = খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময়
অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।
১০৯. তুদাবন্দী = সীমানা নির্দেশ।
১১০. তহশিল = খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট
এলাকাকে তহশিল বলে।
১১১. তলবানা = সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত
ফিস।
১১২. তলববাকী = বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।
১১৩. তালুক = নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।
১১৪. তরমিম = শুদ্ধকরণ।
১১৫. তরতিব = শৃংখলা।
১১৬. তৌজি = ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয়
ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে
তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক
নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার
জোতকেও তৌজি বলা হয়।
১১৭. দিয়ারা = পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১১৮. দর পত্তনী = পত্তনীর অধীন।
১১৯. দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা = দখলদার হিসেবে যে
প্রজার স্বত্ত্ব আছে।
১২০. দশসালা বন্দোবস্ত = দশ বৎসরের মেয়াদে
বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।
১২১. দিয়ারা = পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১২২. দাগ নম্বর = মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে
সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর
বলে।
১২৩. দরবস্ত = সমুদয়।
১২৪. নথি = রেকর্ড।
১২৫. দেবোত্তর = দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।
১২৬. দেবিচর = যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের
পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।
১২৭. দিঘলি = নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী
একপ্রকার প্রজা।
১২৮. নক্সা ভাওড়ন = পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের
সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায়
না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে
ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক
লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে
যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন
জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার
নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।
১২৯. নামজারী = ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক
নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে
প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী
বলে।
১৩০. নাম খারিজ বা জমা খারিজ = ১৬ আনা
জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত
ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬
আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ
করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম
খারিজ বা জাম খারিজ বলে।
সবকিছুই আছে মনেরই মাঝে
আমার নিঃসঙ্গতার আমার সম্প্রচার
তোমার কাছে
কিভাবে... আমাকে... বিদায় দিলে
নিশ্চিন্ত কি হবে আর সবই অন্ধকার
আলোর দেয়ালে নতুন এক আঁধার
যখন সূর্যটা উঠে আমার মনের ভেতরে
তখনো কেন ছায়ার মাঝে
এই হৃদয়... এই সংশয়... এই প্রত্যয়
বিস্তৃত অনুভূতি সবসময় স্মৃতি
বেদনার পাশে আকাঙ্ক্ষাপ্রীতি
আমার হাত চলে যায় আমার পুরনো খাতায়
কত কি লেখা তোমার মায়ায়
জড়িয়ে... নিশ্বাসে... আশ্বাসে
নীলের উপর নীল ধরে তুমি উঠে গেলে
কার শুন্যে
তাকালেনা ফিরে তুমি
গ্রাহ্য করলেনা মাটির সততা
এতোই কি লোভনীয় ছিল সেই নীলের চমক
আসক্ত করেছে সেই ভয়াবহতা বিষন্নতা
সবুজের টানে তুমি চলে গেলে মলীন বনে
বুঝলেনা ঠান্ডা ঘরের
নীরিহ (এখনো তোমাকে আমি চাই)
নিস্তব্ধ (সবুজের মাঠে আমি যাই)
নির্জন (এখনো তোমার ছায়ায়)
https://m.youtube.com/watch?v=g5qkcTELUWU
নিয়মানুগ অপরাধবোধগুলো
মুক্তি দেয় আমায়
প্রশান্তির শ্বাস ফেলি আমি
মাটির সোঁদা গন্ধে
মাতৃগর্ভে গুটিয়ে নিজেকে সমর্পন করি
বিধাতার কাছে অসংলগ্নতায়
আমার ভয় আমাকে সাহসী করে
আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে
সময় স্থির, আমার বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন জগতে
হোক না কৃত্রিম, তবু একান্তই আমার
বাস্তবতা নয়, স্বপ্নও নয়
মাতৃগর্ভে গুটিয়ে নিজেকে সমর্পন করি
বিধাতার কাছে অসংলগ্নতায়
আমার ভয় আমাকে সাহসী করে
আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে
এ যেন সব কিছুর শেষ
যার কোনো শুরু ছিলো না
যে শুরু প্রস্তুতিপর্ব অনন্ত
যে শেষ বারেবারে ফিরে আসে
কাঙ্ক্ষিত বিষণ্ণতার কাছে অকৃত্রিমতায়
কৃত্রিম ভালোবাসায়
আমার ভয় আমাকে সাহসী করে
আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে
আমার ভয় আমাকে সাহসী করে
আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে...
Shikarokti By Arbovirus | Album 64m 53s | Official lyrical Video Band : ArbovirusAlbum : 64m 53sLyric : ArbovirusTune : ArbovirusMusic : ArbovirusLabel : G Series
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Website
Address
Feni
3900
Opening Hours
Monday | 09:00 - 17:00 |
Tuesday | 09:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Friday | 09:00 - 17:00 |
Saturday | 09:00 - 17:00 |
Feni, 3921
Hi, i Am Nazrul Islam. From Bangladesh. Welcome To My page. like | Comment | Share