Ratri Akter
� Alhamdulillah for everything �
Order for inbox
Location Narayanganj Bandar baluchor
Acrylic painting with canvas
Upcoming video
নিজের জায়গায় দাড়িয়ে কখনো অন্যের পরিস্থিতি অনুভব করা যায় না!! তারপরও আমরা এই কাজটিই সবচেয়ে বেশি করে থাকি নিজের স্থান থেকে অন্য মানুষটাকে বিচার-বিবেচনা করে থাকি কিন্তুু সেই মানুষ টার ভিতরের কথাগুলো কখনোই বুঝতে চেষ্টা করি না কখনোই বুঝতে চাই ও না.....
জ্বীন_রহস্য ( love story ) ❤
Writer.........Maishara Jahan
Part......... 3
সব জ্বীনরা আমার উপর হামলা চালায়। একেক করে সবার সাথে লড়াই করছি কিন্তু পারছি না। ওদের সাথে কিছুতেই পেড়ে উঠছি না। একসময় ওরা আমাকে নিয়ে অনেক উপরে উঠে তারপর নিচে ফেলে দেয়। নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। উঠে দাঁড়াতে পারছি না।
হঠাৎ উপর থেকে কে জেনো নিচে নেমে এলো আর সবাই ছিটকে পড়ে গেলো। আমাকে ঘিরে সে তার তলোয়ার দিয়ে সব জ্বীনকে আঘাত করছে।
কিন্তু একা সম্ভব না তাই আমিও উঠে দাঁড়ালাম। এতো ক্ষনে খেয়াল করলাম আমার সাথে যে লড়াই করছে সে একজন ছেলে।
সে তার এক হাত উপরে করতেই একটি তালোয়ার নেমে এলো। সে তালোয়ারটি আমাকে দিলো।আমার হাতে আসতেই তালোয়ারটি জ্বল জ্বল করে উঠলো।
যীন্নাত,,,,,,,, কিন্তু আমি তো তালোয়ার চালাতে পারি না।
,,,,,,,,, চেষ্টা করো এটা তুমার জন্য কোনো বড়ো ব্যাপার নয়।
কিছুই করার নেই চেষ্টা তো আমাকে করতেই হবে। তালোয়ারটা হাতে নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করে দিলাম।
দুজনে একেক করে সবাইকে মেরে দিলাম। আমি পায়ে ব্যাথ্যা পেয়েছি তাই গাছের ঘুরিতে বসে পড়লাম। ছেলেটির দিকে তাকালাম অদ্ভুত কাপড় পড়ে আছে কালো কালারের কিন্তু বেশ মানিয়েছে।কিন্তু মুখ দেখতে পারছি না। মুখ ঢেকে রেখেছে শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে তাও আবার স্পষ্ট না।
,,কে আপনি,,,( আমি আর কিছু বলার আগেই ওর এক হাত দিয়ে আমার মুখে কি যেনো মার্বেলের মতো ঢুকিয়ে দেয়। ওটা সোজা আমার পেটে চলে যায়।)
,,,,,,,, আমি যীনহা
,,,,,, আমাকে কি খাওয়ালেন।
তখনি খেয়াল করি আমার ক্ষত সব ভালো হয়ে যাচ্ছে, কোনো ব্যাথ্যা ও নেয়।
,,,,, সব ভালো হয়ে যাচ্ছে।
মাথা উঠিয়ে দেখি কেও নেয়। আশেপাশে ও নেয়।
যীন্নাত,,,,,,, কোথায় গেলো,, কি যেনো নাম বলেছিল যীনহা।
যীনহা,,,, যীনহা
দুররর কেওতো নেয়।চলে গেছে, কে এই যীনহা, আমাকে কেনো সাহায্য করলো। কিছু না বলে চলে গেলো।যতো এর রহস্য বের করার চেষ্টা করছি ততো গভীর হচ্ছে।
এখানে দাঁড়িয়ে আর বিপদ বাড়াতে চাই না। বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু এই তালোয়ার তো যীনহা এখানেই রেখে চলে গেছে। এখন কি করবো, এটা বাসায় নিয়ে যাবো কিভাবে। কোনো ব্যাপার না জালানা দিয়েই তো যাবো এটাকেও নিয়ে যেতে পারবো।
এখন বাসায় যেতে হবে ভালো লাগে না আবার কতোটা পথ হাঁটতে হবে, যদি উড়ে যেতে পারতাম।
একথা বলার সাথে সাথে তালোয়ার হাত থেকে হাওয়ায় ভাসতে থাকে, এর আকার বড়ো হয়ে যায়। আমার পায়ের কাছে এসে থামে।
,,,,,, এই জীবনে আরো কিছু দেখা বাকি আছে। আমি কি এর উপরে উঠে দাঁড়াবো। দাড়িয়ে দেখি
দাঁড়ানো মাত্র এটি আমাকে নিয়ে উড়া শুরু করে। আলিফ_লায়লার মতো। সোজা জালানা দিয়ে রুমে চলে আসি।প্রথম উড়েছি অনেক ভালো লেগেছে। দুবার পড়ে গেছি ঐটা কোনো বড়ো ব্যাপার না।
নিচে নামতেই এটা তার আগের আকারে এসে পড়ে। এটি লুকিয়ে রেখে আমি গোসল করতে যায়।
গোসল করে শুয়ে শুয়ে ভাবছি, কে এই ছেলে।আমাকে কেনো সাহায্য করলো, আর এতো দিন কোথায় ছিলো। দুরর চেহেরা দেখতে পারলাম না।
চেহেরা দেখালে কি হতো আমি কি খেয়ে ফেলতাম।আর যীন্নাত তুই ওর চেহেরা দেখে কি করবি।ওতো একটা জ্বীন আর তুই মানুষ। এক মিনিট ওতো মানুষ ও হতে পারে তাই না। আমি তো মানুষ কিন্তু কোনো জ্বীনের থেকে কম না, এমনটা ওর ক্ষেত্রে ও তো হতে পারে।আর আমাদের নামের কি মিল, যীন্নাত, যীনহা। ☺☺
দুররর কি ভাবছি এই সব। নামের মিল তো কি হয়েছে। না না এই সব ভাবলে হবে না।
জালানা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস এসে এক নতুন অনুভূতি জাগাচ্ছে। আজ রাতটা মনে হয় না ঘুমিয়েই চলে যাবে।
সকালে,,,,,,,
নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ি ভার্সিটিতে। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এই সময় একটা গাড়ি এসে থামে আমার সামনে।এটা আর কেও নয় আমাদের মুগ্ধ।
গাড়ি থেকে নেমে,,,,,,
মুগ্ধ,,,,,, আরে যীনু তুমি এখানে।
যীন্নাত,,,,,,, কে যীনু
___ কেনো তুমি
___ আমার নাম যীন্নাত নোট যীনু
___ আরে এতো কঠিন নাম ডাকা যায় নাকি। আর ফ্রেন্ডরা নাম সট করে ডাকতেই পারে।
___ কে ফ্রেন্ড কার ফ্রেন্ড
___ কেনো আমরা তো ফ্রেন্ড।
___ আমরা কবে ফ্রেন্ড হলাম।
___ কেনো কালকে,,, ভুলে গেলে নাকি।
___ আমি কি বলেছি যে আমারা ফ্রেন্ড।
___ এটা আবার বলা লাগে নাকি ফ্রেন্ড তো হয়ে যায়। আচ্ছা যাই হোক চলো গাড়িতে বসো।
___ কেনো বসবো না আমি।
___ আরে চিন্তা করো না কিটনাপ করবো না তুমাকে।
___ করতে পারবে ও না।
___ করতে চাইও না। আমিও কলেজে যাচ্ছি তাই ভাবলাম তুমাকেও সাথে নিয়ে যায়।
___ ঠিক আছে চলুন।
গাড়িতে গিয়ে বসি। বেশ অনেক খন হয়ে গেছে কেও কোনো কথা বলছি না।
আমি ভাবলাম আমাকে কালকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবে।কেনো আমি এমন করছিলাম, এতো তারা হুড়াই চলে কেনো গেলাম। কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করছে না।
কেনো,,,, আর কাল ও আমাকে একটা উল্টো প্রশ্ন ও করলো না। যা বলেছি তাই শুনেছে অদ্ভুত। আমি মনে হয় একটু বেশি ভাবছি। সবার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে উত্তর দেওয়ার অব্যাস হয়ে গেছে।
মুগ্ধ,,,,,,, কি এতো ভাবছো।
যীন্নাত,,,,,,,, কিছু না।
কলেজে এসে নামি,, তখন ফারা, রোহান আর রিয়াদ দৌড়ে আসে।
কিরে দোস্ত কালকে না বলে চলে গেলি যে।
__ এমনি শরীরটা ভালো লাগছিলো না।
ফারা,,,,,,, কি ব্যাপার একে না তোর পছন্দ হয় নায় তাইলে ওর সাথে ওর গাড়িতে কি করছেন।
___ তুই যেমন ভাবছিস ওমন কিছু না।
ফারা,,,,,,,, চুপ থাক,এমন হেন্সাম একটা দুলাভাই থাকুক কে না চাই বল।
___ চুপ করবি।,,,,,, ধন্যবাদ মুগ্ধ
মুগ্ধ,,,,,,,, ফ্রেন্ডকে কি কেও ধন্যবাদ বলে নাকি।
ফারা__রোহান__রিয়াদ,,,,,,,,,, ফ্রেয়েয়েয়েন্ড
যীন্নাত,,,,,,, মাইর খায়বি কিন্তু আমার হাতে চল।
ক্লাসে গিয়ে বসি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত,,,,,,, এই ভাবে তাকানোর কি আছে।
একটু জোরেই বলি আমার কথা শুনে আশেপাশের কয়েক জন ভয়ে উঠে অন্য দিকে চলে যায়।
____ দেখো আমাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেয়। আমি তোমাদের কিছু করবো না কারন তুমরাতো আমার ফ্রেন্ড তাই না।যদি তোমাদের কেও বিরক্ত করে তাহলে আমাকে বলো আমি সব ঠিক করে দিবো।
তাও দেখি সবাই আবালের মতো তাকিয়ে আছে। নিজেকে নিজের কাছে এলিয়েন লাগছে।কিছু খন পর সবাই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে আমার সাথে।
স্যাররা এসে বললো একদিন পরে আমরা আর আমাদের সিনিয়ররা মিলে পিকনিকে যাবো কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজারে প্রথম ইয়ারতো তাই।
যীন্নাত,,,,,, আমি যাবো না।
ফারা,,,,,, মানে কি কেনো যাবি না।
যীন্নাত,,,,,,, আমার ভালো লাগছে না।
ফারা,,,,,, তুই না গেলে আমিও যাবো না।
রোহান,,,,,,,, ফারা না গেলে আমিও যাবো না।
রিয়াদ,,,,,,, তোরা না গেলে আমি গিয়ে কি করবো।
যীন্নাত,,,,,,, কি অদ্ভুত,,, বাচ্চা নাকি তোরা।আর রোহান ফারা না গেলে তুইও যাবি না মানে।
রোহান,,,,,, মানে তোরা না গেলে।
যীন্নাত,,,,,,, আমি তো শুধু ফারার নাম শুনলাম।
ফারা,,,,,, কতো ইচ্ছে ছিল কক্সবাজারে যাবো,ঝিনুক কুড়াবো,,সমুদ্র দেখবো।মনে হয় এই জীবনে আর হবে না কক্সবাজার দেখা। হায়রে কপাল 🤧🤧
যীন্নাত,,,,,,, হয়ে গেলো শুরু,,,,, ঠিক আছে আমি যাবো।
ফারা,,,,, সত্যি,, আমি জানতাম তুই মানা করতেই পারবি না।
যীন্নাত,,,,, হয়ছে আর তেল মাখতে হয়বো না তেলের দাম বারছে। ( ঐখানে গিয়ে কোনো জামেলা যাতে না হয়। )
বাসায় চলে আসি আজকে তেমন কিছুই হয় না। খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত প্রায় ১ টা। ঘুমিয়ে আছি। কিছু একটার শব্দ পেয়ে হালকা একটু চোখ খুলি।
দেখি আমার টেবিলের সামনে কেও একজন দাঁড়িয়ে আছে। অন্ধকার তাই বুঝা যাচ্ছে না। শুধু লাল দুটো চোখ দেখা যায়।ভালো করে তাকিয়ে দেখি সাদা কাপড় পড়া,, লম্বা চুল, ভয়ানক দেখতে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত,,,,,,, কি ভাই এখানে কি।
,,,,,, এমনি আসছিলাম,, তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছো।
যীন্নাত,,,,,,,, হহহ যা তো এখান থেকে,, শান্তিতে ঘুমাতেও দিবেনা। তাড়াতাড়ি যা না হলে খবর আছে।
কিছু খন পর ঘুম ছাড়লো,, লাফ দিয়ে উঠলাম।এমনি আসছে মানে।কয় গেলো,,, আমার ঘরে কোনো জ্বীন এমনি কেনো আসবে। আর এক কথায় চলেও গেছে এতো ভদ্রজ্বীন দেখে তো মনে হলো না।
কি করতে এসেছিলো। কিছু কি খুজছিলো নাকি। বাহিরে গিয়ে দেখি আছে কি না।
বাড়ির বাহিরে গিয়ে দেখি একটা কাক ও নায়।
যীন্নাত,,,,,,,, ঐই কেরে তুই সাহস থাকলে সামনে আয়।( চিল্লিয়ে ) হুদায়।
,,,,,,,, তুমার জন্য ও কি বসে থাকবে এখানে।
যীন্নাত,,,,,,, কে রে
তাকিয়ে দেখি গাছে বসে আছে মুখশধারী। আজ আর ছাড়বো না।
যীন্নাত,,,,,,, তুমি,,,,, বলো কে তুমি, কোথায় থাকো, কি করো।
যীনহা,,,,,, চুপ করো।যেটা বলতে এসেছি সেটা শুনো।
___ কী???
___ যে জ্বীন এসেছিলো ও তুমার কিতাব,,তালোয়ার এই সব নিতে এসেছিল।
___ এতো সোজা না আমার জিনিস নেওয়া।জীবনে খুজেও পাবেনা। আর তালোয়ার ওটা আপনার আমি নিয়ে আসছি।
___ ওটা তুমারি ঐটা আর কারো হাতে কাজ করে না।
___ মানে কি আর তুমি আমার কিতাবের সম্পর্কে জানলে কিভাবে।
___ আমি সব জানি।
___ তার মানে আমার সব প্রশ্নের উত্তর আছে তুমার কাছে।
___ আছে কিন্তু বলতে পারবো না। যা বলছি তা আগে শুনো।
___ কি??
___ কাল জেনে গেছে তুমার কথা এখন থেকে এমন অনেক জ্বীন আসবে।ওরা যাতে তুমার ঘরে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য একটা কাজ করতে হবে।
____ কি কাজ।
___ যা করার আমি করে দিয়েছি এখন শুধু তুমি তিন বার আয়তুল কুরছি পড়ে তুমার তালোয়ার দিয়ে দরজার সামনে তিন বার আঘাত করবে। মনে থাকে জেনো।
____ হ্যাঁ কিন্তু,,,, তুমি,,
কোথায় গেলো। উফফ এর একবার খালি পাই।
যীনহা যা বললো তাই করলাম। রাতে এতো সাদের ঘুম বাদ দিয়ে এগুলা করতে কার ভালো লাগে।
কে তুমি অচিনা পুরুষ। আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াও কেনো। কাল আমি তুমার মুখ দেখেই ছাড়বো।
চলবে,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
জ্বীন_রহস্য ( love story ) ❤
Writer........ Maishara Jahan
Part....... 2 +3
,,,,,,,, এই দাঁড়াও, এই দিকে আসো।
যীন্নাত,,,,,,,, জ্বি আমাকে ডাকছেন।
,,,,,,,, হুম তুমাকে,, কথা না বাড়িয়ে এদিকে আসো।
যীন্নাত,,,,,, বলেন কেনো ডেকেছেন।
,,,,,,, আরে বলবো, বলবো এতো তাড়া কিসের আগে ভালো করে দেখতে তো দাও।
যীন্নাত,,,,,,,, ভালো করে দেখেন,,,,, দেখা হয়েছে এখন আমি আসি।
,,,,,,,,, দেখতে যেমন মারাত্মক তেমন কথা।যানো আমরা কে?
যীন্নাত,,,,,,, আপনি জানেন না আপনি কে,ভুলে গেছেন। তাহলে ডাক্তার দেখান তাড়াতাড়ি।
,,,,,, এই তুমার সাহস তো কম না,সিনিয়রদের সাথে বেয়াদবি করছো। চলো কান ধরে উঠবস করো।
যীন্নাত,,,,,,,, আপনার কি মনে হয় আপনি বলবেন আর আমি করবো।
দলের আরেক জন বললো,৷
,,,,,,, না থাক, এতো সুন্দর মেয়েকে কান ধরে উঠবস করানো ঠিক হবে না। এক কাজ করো আমাকে i love you বলো।
যীন্নাত,,,,,,,, ও ভাই আমার এতো খারাপ দিন আসেনি।
,,,,,,,,,, what do you mean that. যা বলছি চুপচাপ করো না হলে এই কলেজে টিকতে পারবা না।
যীন্নাত,,,,,,,, দেখেন আজ আমার এই কলেজে প্রথম দিন সো আমি আজ কোনো জামেলা বা মারামারি করতে চাই না।
,,,,,,,, কি ভালো করে বলো শুনিনি মনে হলো। মারামারি করবে তাও আমাদের সাথে একটা মেয়ে হয়ে। হাও ফানি 🤣😂
এমন সময় পিছনে থেকে আমার ফ্রেন্ডরা ডাকছে। ফারা, রোহান আর রিয়াদ।
ফারা,,,,,,,, কিরে এখানে কি করছিস।
যীন্নাত,,,,,,, দেখনা ওরা আমাকে বিরক্ত করছে।
রোহান,,,,,, কি ভাই অকালে মরার ইচ্ছে আছে নাকি।
,,,,,, ঐ কি ভাবছিস আমাদের হ্যা,মেরে এখানেই গেড়ে দিবো।
রিয়াদ,,,,,,, দেখেন ভাই জামেলা করবেন না। নাহলে একটা মেয়ের হাতে মার খেলে মানসম্মান থাকবে না।
,,,,,,,,,, অনেক হয়ছে তোরা ভালো কথার মানুষ না।
রিয়াদকে মারতে যায় অমনি যীন্নাত হাত ধরে ফেলে। এমন ভাবে ধরে বিচারা হাত তো ছুটাতেই পারছে না উল্টো ব্যাথ্যায় চিল্লাচ্ছে।
সব গুলোকে ইচ্ছে মতো পিটায়, সবার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
স্যার ও চলে আসে।
স্যার,,,, কি হয়েছে এখানে,, তোমারা আবার মারামারি করেছো।
,,,,,, না স্যার এই মেয়ে আমাদের মেরেছে।
স্যার,,,,,,,, কে তুমি
_ স্যার আমি যীন্নাত, ফাস্ট ইয়ারে।
_ তুমি ওদের মেরেছো ( অবাক হয়ে )
_ স্যার আমাকে দেখে কি মনে হয় যে আমি ওদের মারতে পারি।আমি তো আজ পর্যন্ত মশাও মারিনি ওদের কি মারবো।স্যার আমি বলছি কি হয়েছে, আমি এখানে নতুন তাই এরা আমার রেগিং করছিল। এখন এখানে দুই দল, এক দল বলে আমরা রেগিং করবো অন্য দল বলে ওরা করবে এই নিয়ে তাদের মধ্যে জামেলা শুরু হয়ে যায়। 😭😭
_ স্যার ও মিথ্যা বলছে।
যীন্নাত,,,,,,,, আপনি বললেই হলো,স্যারের কি বুদ্ধি নেয়।কে কি কাজ করতে পারে তা ওনারা দেখলেই বলেদিতে পারবে। আপনি বলুন স্যার আমি কি ওদের মারতে পারি।যানেন তো স্যার ওরা আমাকে অনেক বিরক্ত করেছে 😭😭
_ না স্যার বিশ্বাস করুন,,,,,
স্যার,,,,,,, এই চুপ বেয়াদব, আমাকে দেখে কি বোকা মনে হয়। এই এক মেয়ে তোমাদের মারবে। আসো আমার কেবিনে তোমাদের খবর আছে।
সবাই যীন্নাতের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত,,,,,,,, চল ক্লাসে যায় পড়ে না হয় ঘুরে দেখবো।
রোহান,,,,,,, এই তুই কি খাসরে,, তোর তো আমার মতো বডি ও নাই এতো শক্তি কোন থেকে এসে।
যীন্নাত,,,,, ক্লাসে যাবে নাকি তরেও কিছু দেওয়া লাগবো।
রোহান,,,,,,, নো ইচ্ছা, চলেন যায়।
ক্লাসে যাওয়ার জন্য হাঁটছি তখন সামনে দেখি একটা ছেলে অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে মুশকি মুশকি হাসছে। তবে এটা ঐ জ্বীন নাতো যার কথা কাল পড়ছিলাম। সন্দেহ হচ্ছে।
যীন্নাত,,,,,,, ফারা শুন এখানে কোনো হেন্সাম ছেলে দেখতে পারছিস।
ফারা,,,,,, কেনো।
যীন্নাত,,,,,,, ভাবছি এবার একটা প্রেম করবো।
ফারা,,,,,,, সত্যি দাড়া আমি এখনি দেখছি।
যীন্নাত,,,,,৷ হুম ভালো করে দেখ।
ফারা,,,,,,, ঐদেখ লাল টিশার্ট পড়া ছেলেটা।
যীন্নাত,,,,,, না না ভালো লাগে না।
ফারা,,,,,, আরে যাক্কাস পুরা,, ঐদেখ কালো শার্ট কি হেন্সাম পুরো ক্রাস।
যীন্নাত,,,,,,,,, ( তার মানে ফারা ওকে দেখতে পারছে তাহলে ও জ্বীন না। এভাবে কেনো তাকিয়ে আছে )
ফারা,,,,,, কিরে ঐই ছেলেটা কিন্তু দরুন।
যীন্নাত,,,,,,, নারে ও একটু বেশিই হেন্সাম।
রোহান,,,,,,, মানে কি এখন বেশি হেন্সাম হলেও দোষ। তুই সারা জীবন সিংগেল মরবি।
যীন্নাত,,,,,,, এই যে কি প্রবলেম হাসছেন কেনো।
,,,,,,, আমার ইচ্ছা,,, কেনো হাসলেও কোনো প্রবলেম আছে নাকি।
যীন্নাত,,,,,,, তা নেই কিন্তু আমাকে দেখে কেনো হাসছেন।
,,,,,,,,,কোথায় আমি তো আপনাকে দেখে হাসছি না।
যীন্নাত,,,,,,, আমি দেখেছি আপনি আমাকেই দেখে হাসছিলেন।
,,,,,,, তার মানে আপনি আমাকে দেখছিলেন।
যীন্নাত,,,,,,,, আমি আপনাকে দেখছিলাম না, জাস্ট আমার চোখ চলে গিয়েছিলো।
,,,,, ঠিক আমারো চোখ চলে গিয়েছিলো।
যীন্নাত,,,,,,,, তাহলে সংযক্ত করুন আপনার চোখকে।
,,,,,,, আপনার টাও
ফারা,,,,,,,, চল এখান থেকে।
,,,,,,, আর শুনুন অভিনয় কিন্তু অনেক ভালো করেন।
যীন্নাত,,,,,,,, মারামারি ও অনেক ভালো পারি করে দেখাবো।
,,,,,,, উপসসস
ফারা,,,,,,, চলতো এতো হেন্সাম ছেলেকে মারবি আমি সহ্য করতে পারবো না। আর তাছাড়া ওর বডি দেখছোস তরেই না আবার।
যীন্নাত,,,,,,,, কি 🤨🤨🤨
_ কিছু না চল।
ক্লাস শেষ করে, আসলে শেষ না কয়েকটা ক্লাস করে চলে এসেছি, ভালো লাগছে না তাই। মনে হচ্ছে বড়ো কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
মাঠে একটা বেঞ্চে বসে আছি চুপচাপ ভালো লাগছে না। তখনি ঐই ছেলেটা আসে। আর পাশে বসে।
,,,,, হ্যালো,, একা একা কি করছো।
যীন্নাত,,,,,,, আপনি এখানে কেনো।
,,,,, আরে একা একা বসে আছো তাই ভাবলাম একটু কথা বলি।
_ কোনো দরকার নেয়।
_ আরে এমন করো না, দেখো তখনের জন্য সরি আমি এমনি মজা করছিলাম। তুমার নামটা কি জানতে পারি।
__ না জানার দরকার নেয়।
____ আরে দরকার আছে, পরে যখন দেখা হবে তখন তুমাকে কি বলে ডাকবো,, গুন্ডি,,রাগি মেয়ে এই সব বলে ডাকলে মানুষ কি বলবে।
___ যীন্নাত,,, যীন্নাত আমার নাম হয়েছে
____ যীন্নাত এটা আবার কেমন নাম।
_____ যেমনি হোক এটাই আমার নাম তা আপনার নাম কি??
___ মুগ্ধ 😊😊
___( সত্যি মুগ্ধ করার মতো।)
__ কি ভাবছো
___ কিছু না। ওকে এখন আমি আসি।
__ কলেজটা ঘুরে দেখবো।
___ চলো আমি দেখায়,,এই কলেজের কোনা কোনা আমি জানি।
___ লাগবে না আমি একা দেখে নিবো।
___ দুররর একা একা দেখলে ভালো লাগবে না কি।
____ আমার একা থাকতেই ভালো লাগে।
___ মিথ্যা কথা তুমার বকবক করতে ভালো লাগে কিন্তু কেনো জানি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চাও।
___ একটু বেশিই বুঝেন।
____ আচ্ছা যায় হোক চলো তুমাকে কলেজ ঘুরাই।
পুরো কলেজ ঘুরছি তাও আবার একটা অচিনা মানুষের সাথে। প্রথম এতো ভালো লাগছে।প্রথম মনে হচ্ছে আমি একটা স্বাভাবিক মানুষ। হঠাৎ পরিবেশটা থমকে গেলো।হাওয়া ভাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কেমন যানে গা ছমছমে ব্যাপার হয়ে গেছে।দূরে কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে হাওয়াতে ঢুলছে।ক্রমশ আমাদের কাছে আসছে।
বুঝতে আর বাকি রইলো ওরা মানুষ না।চোখ জোরা দেখে মনে হচ্ছে আমাকে গিলে খাবে।
যীন্নাত,,,,,,,, চলো এখান থেকে।
মুগ্ধ,,,,,,, চলো
তাড়াহুড়ো করে ঐখান থেকে চলে আসি।না না এখানে বেশি থাকা যাবে না।
আমাকে বাসায় যেতে হবে।
যীন্নাত,,,,,,,, আমি বাসায় যাচ্ছি।
মুগ্ধ,,,,,,,, চলো আমার গাড়ি করে তুমায় পৌঁছে দিয়।
যীন্নাত,,,,,, না আমি যেতে পারবো।
মুগ্ধ,,,,,,, কোনো কথা নয় চলো।
এখন কোনো কথা বাড়ানো যাবে না। কারন পরিস্থিতি ভালো ঢেকছে না।
যীন্নাত,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
মুগ্ধ তাড়াতাড়ি আমাকে বাসায় পৌঁছে দিলো। আমি কোনো মতে তাড়াতাড়ি রুমে যায়। গিয়ে তাড়াতাড়ি কিতাব খুললাম কারন আজ অনেক গুলো ছিলো।
সেখানে লেখা,,,,,,
কালজ্বীন আপনার সম্পর্কে জেনে গেছে। ও আপনাকে খুঁজে বের করে ফেলেছে।এখন ও আপনাকে মারার জন্য অপ্রান চেষ্টা করবে।ওর যেটা চাই সেটা আপনার কাজ থেকে নিয়ে ছাড়বে।
তাই ওর সৈনিক পাঠিয়েছে।
যীন্নাত,,,,,,,, কাল জ্বীন আমার কাছ থেকে কি চায়।আর আমাকে কেনো বা খুজছিলো।আমাকে মেরে ওর কি লাভ।
মা,,,,,,, যীন্নাত দরজা খুলো।
যীন্নাত,,,,,,, বলো মা কি বলবে।
মা,,,,,, আজকের দিন কেমন গেলো।
___ ভালো
মা,,,,,, খাবি চল।
____ মা আমি খেয়ে এসেছি, তুমি যাও আমি এখন একটু রেস্ট নিবো।
___ ঠিক আছে।
মা চলে গেছে। রুমে বসে আছি কিন্তু মনে হচ্ছে কেউ আমার জালানা ভেঙে দিবে। আমার নাম ডাকা হচ্ছে বার বার ভয়ানক আওয়াজে। কি করবো বুঝতে পারছি না। রুমে কিছু করা যাবে না তাহলে মা বাবা আমাকে আবার পাগল ভাববে।
আমাকে বাহিরে যেতে হবে অন্ধকার নেমে এসেছে।পাশে একটা জঙ্গল আছে সেখানে যাবো না হলে ওরা সব ঘরে চলে আসবে। আজ তো আমার প্রশ্নের উত্তর নিয়েই ছাড়বো।
চুপচাপ লুকিয়ে বাহিরে চলে এসেছি।তাড়াতাড়ি হাঁটছি জঙ্গলের দিকে। বুঝতে পারছি ওরাও আমার পিছনে আসছে।ভয়ংকর হাসি দিয়ে। এরা অনেক জন বুঝা যাচ্ছে। আগে এক অথবা দুজনের সাথে কিন্তু এবার অনেক কিভাবে কি করবো জানি না।
জঙ্গলে পৌঁছে গেছি।সবাই আমাকে গিরে দাড়িয়ে আছে। অন্ধকার তাও সবাইকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
সব জ্বীনরা আমার উপর হামলা চালায়।একেক করে সব সাথে লড়াই করছি। কিন্তু পারছি না। ওদের সাথে কিছুতেই পেড়ে উঠছি না। এক সময় ওরা আমাকে নিয়ে অনেক উপরে উঠে তারপর নিচে ফেলে দেয়।নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। উঠে দাড়াতে পারছি না। হঠাৎ......
চলবে............
......... 3
সব জ্বীনরা আমার উপর হামলা চালায়। একেক করে সবার সাথে লড়াই করছি কিন্তু পারছি না। ওদের সাথে কিছুতেই পেড়ে উঠছি না। একসময় ওরা আমাকে নিয়ে অনেক উপরে উঠে তারপর নিচে ফেলে দেয়। নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। উঠে দাঁড়াতে পারছি না।
হঠাৎ উপর থেকে কে জেনো নিচে নেমে এলো আর সবাই ছিটকে পড়ে গেলো। আমাকে ঘিরে সে তার তলোয়ার দিয়ে সব জ্বীনকে আঘাত করছে।
কিন্তু একা সম্ভব না তাই আমিও উঠে দাঁড়ালাম। এতো ক্ষনে খেয়াল করলাম আমার সাথে যে লড়াই করছে সে একজন ছেলে।
সে তার এক হাত উপরে করতেই একটি তালোয়ার নেমে এলো। সে তালোয়ারটি আমাকে দিলো।আমার হাতে আসতেই তালোয়ারটি জ্বল জ্বল করে উঠলো।
যীন্নাত,,,,,,,, কিন্তু আমি তো তালোয়ার চালাতে পারি না।
,,,,,,,,, চেষ্টা করো এটা তুমার জন্য কোনো বড়ো ব্যাপার নয়।
কিছুই করার নেই চেষ্টা তো আমাকে করতেই হবে। তালোয়ারটা হাতে নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করে দিলাম।
দুজনে একেক করে সবাইকে মেরে দিলাম। আমি পায়ে ব্যাথ্যা পেয়েছি তাই গাছের ঘুরিতে বসে পড়লাম। ছেলেটির দিকে তাকালাম অদ্ভুত কাপড় পড়ে আছে কালো কালারের কিন্তু বেশ মানিয়েছে।কিন্তু মুখ দেখতে পারছি না। মুখ ঢেকে রেখেছে শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে তাও আবার স্পষ্ট না।
,,কে আপনি,,,( আমি আর কিছু বলার আগেই ওর এক হাত দিয়ে আমার মুখে কি যেনো মার্বেলের মতো ঢুকিয়ে দেয়। ওটা সোজা আমার পেটে চলে যায়।)
,,,,,,,, আমি যীনহা
,,,,,, আমাকে কি খাওয়ালেন।
তখনি খেয়াল করি আমার ক্ষত সব ভালো হয়ে যাচ্ছে, কোনো ব্যাথ্যা ও নেয়।
,,,,, সব ভালো হয়ে যাচ্ছে।
মাথা উঠিয়ে দেখি কেও নেয়। আশেপাশে ও নেয়।
যীন্নাত,,,,,,, কোথায় গেলো,, কি যেনো নাম বলেছিল যীনহা।
যীনহা,,,, যীনহা
দুররর কেওতো নেয়।চলে গেছে, কে এই যীনহা, আমাকে কেনো সাহায্য করলো। কিছু না বলে চলে গেলো।যতো এর রহস্য বের করার চেষ্টা করছি ততো গভীর হচ্ছে।
এখানে দাঁড়িয়ে আর বিপদ বাড়াতে চাই না। বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু এই তালোয়ার তো যীনহা এখানেই রেখে চলে গেছে। এখন কি করবো, এটা বাসায় নিয়ে যাবো কিভাবে। কোনো ব্যাপার না জালানা দিয়েই তো যাবো এটাকেও নিয়ে যেতে পারবো।
এখন বাসায় যেতে হবে ভালো লাগে না আবার কতোটা পথ হাঁটতে হবে, যদি উড়ে যেতে পারতাম।
একথা বলার সাথে সাথে তালোয়ার হাত থেকে হাওয়ায় ভাসতে থাকে, এর আকার বড়ো হয়ে যায়। আমার পায়ের কাছে এসে থামে।
,,,,,, এই জীবনে আরো কিছু দেখা বাকি আছে। আমি কি এর উপরে উঠে দাঁড়াবো। দাড়িয়ে দেখি
দাঁড়ানো মাত্র এটি আমাকে নিয়ে উড়া শুরু করে। আলিফ_লায়লার মতো। সোজা জালানা দিয়ে রুমে চলে আসি।প্রথম উড়েছি অনেক ভালো লেগেছে। দুবার পড়ে গেছি ঐটা কোনো বড়ো ব্যাপার না।
নিচে নামতেই এটা তার আগের আকারে এসে পড়ে। এটি লুকিয়ে রেখে আমি গোসল করতে যায়।
গোসল করে শুয়ে শুয়ে ভাবছি, কে এই ছেলে।আমাকে কেনো সাহায্য করলো, আর এতো দিন কোথায় ছিলো। দুরর চেহেরা দেখতে পারলাম না।
চেহেরা দেখালে কি হতো আমি কি খেয়ে ফেলতাম।আর যীন্নাত তুই ওর চেহেরা দেখে কি করবি।ওতো একটা জ্বীন আর তুই মানুষ। এক মিনিট ওতো মানুষ ও হতে পারে তাই না। আমি তো মানুষ কিন্তু কোনো জ্বীনের থেকে কম না, এমনটা ওর ক্ষেত্রে ও তো হতে পারে।আর আমাদের নামের কি মিল, যীন্নাত, যীনহা। ☺☺
দুররর কি ভাবছি এই সব। নামের মিল তো কি হয়েছে। না না এই সব ভাবলে হবে না।
জালানা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস এসে এক নতুন অনুভূতি জাগাচ্ছে। আজ রাতটা মনে হয় না ঘুমিয়েই চলে যাবে।
সকালে,,,,,,,
নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ি ভার্সিটিতে। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এই সময় একটা গাড়ি এসে থামে আমার সামনে।এটা আর কেও নয় আমাদের মুগ্ধ।
গাড়ি থেকে নেমে,,,,,,
মুগ্ধ,,,,,, আরে যীনু তুমি এখানে।
যীন্নাত,,,,,,, কে যীনু
___ কেনো তুমি
___ আমার নাম যীন্নাত নোট যীনু
___ আরে এতো কঠিন নাম ডাকা যায় নাকি। আর ফ্রেন্ডরা নাম সট করে ডাকতেই পারে।
___ কে ফ্রেন্ড কার ফ্রেন্ড
___ কেনো আমরা তো ফ্রেন্ড।
___ আমরা কবে ফ্রেন্ড হলাম।
___ কেনো কালকে,,, ভুলে গেলে নাকি।
___ আমি কি বলেছি যে আমারা ফ্রেন্ড।
___ এটা আবার বলা লাগে নাকি ফ্রেন্ড তো হয়ে যায়। আচ্ছা যাই হোক চলো গাড়িতে বসো।
___ কেনো বসবো না আমি।
___ আরে চিন্তা করো না কিটনাপ করবো না তুমাকে।
___ করতে পারবে ও না।
___ করতে চাইও না। আমিও কলেজে যাচ্ছি তাই ভাবলাম তুমাকেও সাথে নিয়ে যায়।
___ ঠিক আছে চলুন।
গাড়িতে গিয়ে বসি। বেশ অনেক খন হয়ে গেছে কেও কোনো কথা বলছি না।
আমি ভাবলাম আমাকে কালকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবে।কেনো আমি এমন করছিলাম, এতো তারা হুড়াই চলে কেনো গেলাম। কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করছে না।
কেনো,,,, আর কাল ও আমাকে একটা উল্টো প্রশ্ন ও করলো না। যা বলেছি তাই শুনেছে অদ্ভুত। আমি মনে হয় একটু বেশি ভাবছি। সবার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে উত্তর দেওয়ার অব্যাস হয়ে গেছে।
মুগ্ধ,,,,,,, কি এতো ভাবছো।
যীন্নাত,,,,,,,, কিছু না।
কলেজে এসে নামি,, তখন ফারা, রোহান আর রিয়াদ দৌড়ে আসে।
কিরে দোস্ত কালকে না বলে চলে গেলি যে।
__ এমনি শরীরটা ভালো লাগছিলো না।
ফারা,,,,,,, কি ব্যাপার একে না তোর পছন্দ হয় নায় তাইলে ওর সাথে ওর গাড়িতে কি করছেন।
___ তুই যেমন ভাবছিস ওমন কিছু না।
ফারা,,,,,,,, চুপ থাক,এমন হেন্সাম একটা দুলাভাই থাকুক কে না চাই বল।
___ চুপ করবি।,,,,,, ধন্যবাদ মুগ্ধ
মুগ্ধ,,,,,,,, ফ্রেন্ডকে কি কেও ধন্যবাদ বলে নাকি।
ফারা__রোহান__রিয়াদ,,,,,,,,,, ফ্রেয়েয়েয়েন্ড
যীন্নাত,,,,,,, মাইর খায়বি কিন্তু আমার হাতে চল।
ক্লাসে গিয়ে বসি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত,,,,,,, এই ভাবে তাকানোর কি আছে।
একটু জোরেই বলি আমার কথা শুনে আশেপাশের কয়েক জন ভয়ে উঠে অন্য দিকে চলে যায়।
____ দেখো আমাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেয়। আমি তোমাদের কিছু করবো না কারন তুমরাতো আমার ফ্রেন্ড তাই না।যদি তোমাদের কেও বিরক্ত করে তাহলে আমাকে বলো আমি সব ঠিক করে দিবো।
তাও দেখি সবাই আবালের মতো তাকিয়ে আছে। নিজেকে নিজের কাছে এলিয়েন লাগছে।কিছু খন পর সবাই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে আমার সাথে।
স্যাররা এসে বললো একদিন পরে আমরা আর আমাদের সিনিয়ররা মিলে পিকনিকে যাবো কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজারে প্রথম ইয়ারতো তাই।
যীন্নাত,,,,,, আমি যাবো না।
ফারা,,,,,, মানে কি কেনো যাবি না।
যীন্নাত,,,,,,, আমার ভালো লাগছে না।
ফারা,,,,,, তুই না গেলে আমিও যাবো না।
রোহান,,,,,,,, ফারা না গেলে আমিও যাবো না।
রিয়াদ,,,,,,, তোরা না গেলে আমি গিয়ে কি করবো।
যীন্নাত,,,,,,, কি অদ্ভুত,,, বাচ্চা নাকি তোরা।আর রোহান ফারা না গেলে তুইও যাবি না মানে।
রোহান,,,,,, মানে তোরা না গেলে।
যীন্নাত,,,,,,, আমি তো শুধু ফারার নাম শুনলাম।
ফারা,,,,,, কতো ইচ্ছে ছিল কক্সবাজারে যাবো,ঝিনুক কুড়াবো,,সমুদ্র দেখবো।মনে হয় এই জীবনে আর হবে না কক্সবাজার দেখা। হায়রে কপাল 🤧🤧
যীন্নাত,,,,,,, হয়ে গেলো শুরু,,,,, ঠিক আছে আমি যাবো।
ফারা,,,,, সত্যি,, আমি জানতাম তুই মানা করতেই পারবি না।
যীন্নাত,,,,, হয়ছে আর তেল মাখতে হয়বো না তেলের দাম বারছে। ( ঐখানে গিয়ে কোনো জামেলা যাতে না হয়। )
বাসায় চলে আসি আজকে তেমন কিছুই হয় না। খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত প্রায় ১ টা। ঘুমিয়ে আছি। কিছু একটার শব্দ পেয়ে হালকা একটু চোখ খুলি।
দেখি আমার টেবিলের সামনে কেও একজন দাঁড়িয়ে আছে। অন্ধকার তাই বুঝা যাচ্ছে না। শুধু লাল দুটো চোখ দেখা যায়।ভালো করে তাকিয়ে দেখি সাদা কাপড় পড়া,, লম্বা চুল, ভয়ানক দেখতে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত,,,,,,, কি ভাই এখানে কি।
,,,,,, এমনি আসছিলাম,, তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছো।
যীন্নাত,,,,,,,, হহহ যা তো এখান থেকে,, শান্তিতে ঘুমাতেও দিবেনা। তাড়াতাড়ি যা না হলে খবর আছে।
কিছু খন পর ঘুম ছাড়লো,, লাফ দিয়ে উঠলাম।এমনি আসছে মানে।কয় গেলো,,, আমার ঘরে কোনো জ্বীন এমনি কেনো আসবে। আর এক কথায় চলেও গেছে এতো ভদ্রজ্বীন দেখে তো মনে হলো না।
কি করতে এসেছিলো। কিছু কি খুজছিলো নাকি। বাহিরে গিয়ে দেখি আছে কি না।
বাড়ির বাহিরে গিয়ে দেখি একটা কাক ও নায়।
যীন্নাত,,,,,,,, ঐই কেরে তুই সাহস থাকলে সামনে আয়।( চিল্লিয়ে ) হুদায়।
,,,,,,,, তুমার জন্য ও কি বসে থাকবে এখানে।
যীন্নাত,,,,,,, কে রে
তাকিয়ে দেখি গাছে বসে আছে মুখশধারী। আজ আর ছাড়বো না।
যীন্নাত,,,,,,, তুমি,,,,, বলো কে তুমি, কোথায় থাকো, কি করো।
যীনহা,,,,,, চুপ করো।যেটা বলতে এসেছি সেটা শুনো।
___ কী???
___ যে জ্বীন এসেছিলো ও তুমার কিতাব,,তালোয়ার এই সব নিতে এসেছিল।
___ এতো সোজা না আমার জিনিস নেওয়া।জীবনে খুজেও পাবেনা। আর তালোয়ার ওটা আপনার আমি নিয়ে আসছি।
___ ওটা তুমারি ঐটা আর কারো হাতে কাজ করে না।
___ মানে কি আর তুমি আমার কিতাবের সম্পর্কে জানলে কিভাবে।
___ আমি সব জানি।
___ তার মানে আমার সব প্রশ্নের উত্তর আছে তুমার কাছে।
___ আছে কিন্তু বলতে পারবো না। যা বলছি তা আগে শুনো।
___ কি??
___ কাল জেনে গেছে তুমার কথা এখন থেকে এমন অনেক জ্বীন আসবে।ওরা যাতে তুমার ঘরে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য একটা কাজ করতে হবে।
____ কি কাজ।
___ যা করার আমি করে দিয়েছি এখন শুধু তুমি তিন বার আয়তুল কুরছি পড়ে তুমার তালোয়ার দিয়ে দরজার সামনে তিন বার আঘাত করবে। মনে থাকে জেনো।
____ হ্যাঁ কিন্তু,,,, তুমি,,
কোথায় গেলো। উফফ এর একবার খালি পাই।
যীনহা যা বললো তাই করলাম। রাতে এতো সাদের ঘুম বাদ দিয়ে এগুলা করতে কার ভালো লাগে।
কে তুমি অচিনা পুরুষ। আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াও কেনো। কাল আমি তুমার মুখ দেখেই ছাড়বো।
চলবে,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
জ্বীন_রহস্য ( love story ) ❤
Writer........... Maishara Jahan
Part....... 1
সাত তলা বিল্ডিং এর উপর দাড়িয়ে আছি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করবো। শুধু আজ না এই নিয়ে আমি তিন বার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছি। এই জন্য না যে আমার সাহস হয়নি। প্রতিবার আমি ছাদ থেকে লাফ দেয় কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে শূন্যে ভাসতে থাকি।
মনে হয় কেও যেনো আমাকে ধরে রেখেছে। কে বা কারা আমাকে বাঁচতে চাই তা দেখার জন্যই আমি আজ আবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করবো। আমি নিশ্চিত আজো আমি বেঁচে যাবো। আমাকে বাঁচাতে সে অথবা তারা অবশ্যই আসবে।
তার আগে আমি আমার সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলতে চাই।
আমার নাম যীন্নাত। এবার আমি ভার্সিটির প্রথম বর্ষে উঠেছি। আমার জীবনে তেমন কোনো সমস্যা নেয়।শুধু একটা ছাড়া আর সেটা আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।সেটা হলো আমি ছোট্ট বেলা থেকে জ্বীনদের দেখতে পায়।
আমার আশেপাশে কোনো জ্বীনপরী থাকলে আমি তাদের দেখতে ও শুনতে পায়। আর তার থেকেও বড়ো সমস্যা হলো এই কথা আমি যদি কাওকে বলি আর তারা যদি বিশ্বাস করে তাহলে ওরা অদ্ভুত ভাবে মারা যায়।
সমস্যাটা শুরু হয় যখন আমার বয়স দশ বছর। এর আগেও আমি জ্বীনদের দেখতে পেতাম কিন্তু বুঝিনি,, তাদেরও আমাদের মতো মানুষ ভাবতাম।
আমার বয়স যখন দশ বছর তখন আমারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়।এক বিকালে আমি বাগানে বসে বসে হাসছি,,, কারন বাগানে একটা গাব গাছ আছে। সেখানে কিছু মেয়ে বসে বসে কথা বলছে। তাদের কথা শুনে আমি হাসছি।
এমন সময় মা আসে,আমাকে হাসতে দেখে জিজ্ঞেস করে কেনো আসছি।
যীন্নাত,,,,,,, দেখো ঐ মেয়েরা কি সুন্দর,,, গাছে বসে আছে।
মা,,,,,,, কোন মেয়েরা
যীন্নাত,,,,,,, ঐ যে গাছে বসে আছে।
মা,,,,,,, বাবু ঐখানে কেও নেয়। গাছে কেনো মানুষ বসে থাকবে।
আমার অনেক অদ্ভুত লাগে। আমি তো দেখতে পাচ্ছি। আমি দৌড়ে গাছের কাছে গেলাম। মেয়ে গুলোকে ডেকে বললাম নিচে নামতে।মেয়ে গুলো অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে ছিলো।মা আমাকে জোর করে ঘরে নিয়ে আসে।
মা বাবা এই সবে বিশ্বাস করে না।তবে দাদি করেছিলো। আমাকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস ও করেছিলো।কিন্তু সকালে উঠে দেখি দাদি মারা গেছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
এর পর থেকে আমি অনেক জায়গায় জ্বীন দেখেছি এবং কথাও বলেছি। অনেক জ্বীন আমাকে মারার জন্য এসতো।আর জানি না কারা ঐ জ্বীনদের মেরে ফেলতো।আমার সামনে লাস পড়ে থাকতো আমি চিৎকার করতাম। সবাই আসতো কিন্তু বিশ্বাস কেও করতো না।
মা বাবা মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার আমাকে সব কিছু জিজ্ঞেস করে আমি বলি,, প্রথমে তারা আমাকে পাগল ভাবলেও পড়ে আমার রিপোর্ট দেখে অভাক হয়ে যায় আর কিছু বলার আগেই নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যায়।
এমন পরিস্থিতি এসেছিলো যে আমি যা দেখতাম তা নিজের কাছেই ভুল লাগতো।সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। নিজেকে পাগল পাগল লাগতো।
বয়স যখন ১৫ তখন প্রথম আত্মহত্যা করার চেষ্টা করি।কিন্তু পারি নি। বাসায় চলে আসি।রাতে ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ আমার হাতে ব্যাথ্যা শুরু হলো। উঠে বসে হাতের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ হাতে একটা কিতাব ভেসে উঠলো। একটুও ভয় পায়নি কারন এর থেকেও ভয়ংকর জিনিস আমি দেখেছি।
কিতাবের নাম #জ্বীন_রহস্য। সেখান থেকে আমি জানতে পারি আমি যাদের দেখি তারা হলো জ্বীন। এই কিতাবে জ্বীনদের সম্পর্কে অনেক কিছু দেওয়া আছে।তাদের সাথে লড়াই করার টেকনিক,, অনেক সূরা এগুলো ও আছে। কিন্তু আমি কেনো এগুলো দেখতে পায় তা জানতে পারিনি। এই কিতাবের লেখা আমি ছাড়া আর কেও পড়তে পারে না।
এখন আমি অনেকটা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি।কাওকে কিছু বলতেও পারবো না।এই কিতাবের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আর এখন কোনো জ্বীন আমাকে মারতে এলে তাদের সাথে আমি একাই লড়াই করতে পারি।এই সব দেখতে দেখতে এতোটাই অবস্থ হয়ে গেছি, যে এখন যদি আমার সামনে কাওকে খুন করে তার মাথা আমার হাতে ধরিয়ে দেয় তাও আমি ভয় পাবো না। কিন্তু আমার সাথে কেনো এই সব হচ্ছে।
এই সবের রহস্য আমাকেই বের করতে হবে।তাই দ্বিতীয় বার আত্মহত্যা করতে যায় এটা জানার জন্য যে কে বা কারা আমাকে বাঁচতে সাহায্য করে। হয়তো তাড়াই আমাকে সব বলতে পারবে।কিন্তু ছাদ থেকে লাফ দিলে চোখ বন্ধ হয়ে যায় তাই কিছুই দেখতে পারি নি।
এখন তৃতীয় বার চেষ্টা করতে যাচ্ছি। এবার আর চোখ বন্ধ করবো না। ছাদ থেকে লাফ দেয়। মাটিতে পড়ার আগে শূন্যে ভাসছি।কিন্তু কাওকে দেখতে পাচ্ছি না। মনে হলো কেউ যেনো নিচে নামিয়ে দিলো। এটা জ্বীন ছাড়া কেও হতে পারে না। কিন্তু কথা হলো আমি তো জ্বীনদের দেখতে পায় তবে এদের কেনো দেখতে পেলাম না।
আজও কোনো উওর ছাড়া বাড়ি ফিরে এলাম।
মা,,,,,,, এই তোর আসার সময় হলো। কাল থেকে ভার্সিটিতে যেতে হবে মনে আছে তো।
যীন্নাত,,,,,,,, হ্যা মা মনে আছে।
বাবা,,,,,,,, কোথায় গিয়েছিলে।
যীন্নাত,,,,,,,, বাবা বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
বাবা,,,,,,,, ঠিক আছে যাও মা ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো।
যীন্নাত,,,,,, ঠিক আছে বাবা।
,,,,,,,
মা,,,,,, তুমি কিছু বললা না সকালে গেছে রাতে আসলো।
বাবা,,,,,,, থাকনা,, আগে তো কোনো বন্ধু ছিলো না ওর কলেজে উঠার পর বন্ধু বানাইছে। তিন বছর ওর কোনো পাগলামি দেখি নাই।এখন মনে হয় ও স্বাভাবিক হয়েগেছে।
মা,,,,,, হুম তুমার জায়গা পাল্টানোর বুদ্ধিটা ভালো ছিলো।কাজে দিয়েছে আগের মতো কোনো পাগলামো করেনা।
,,,,,,,,
মা,,,,,, যীন্নাত মা তাড়াতাড়ি খেতে আয় সব ঠান্ডা হয়ে গেলো।
_ এই তো এসেগেছি,,,তাড়াতাড়ি খেতে দাও অনেক খুদা লেগেছে।
_ এতো খুদা লাগছে কেনো বন্ধুদের সাথে খেয়ে আছিসনি।
_ না আসলে তুমার হাতে খাবো তো তাই ওদের সাথে খায়নি।
_ কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করলো না, তাও করলাম।
_ যীন্নাত মা কাল তুমার ভার্সিটির প্রথম দিন, কিছু লাগবে তুমার।
_ না বাবা আমার কিছু লাগবে না।,৷৷৷,,,, ঠিক আছে আমার খাওয়া শেষ আমি রুমে গেলাম।
রুমে গিয়ে শুয়ে আছি ঘুম আসছেনা। হঠাৎ আমার হাত থেকে আলো বের হচ্ছে। এমন তখনি হয় যখন কোনো নতুন জাতের জ্বীন আমার ক্ষতি বা সাহায্য করার জন্য আসে বা এমনি সাক্ষাৎ হয়।
তখনি এই কিতাব আসে তার সম্পর্কে বলার জন্য।
আমি কিতাবকে আহবান করি,, কিতাব খুলতেই জ্বীনের সম্পর্কে বলে।
......লেখা........
রাজকীয় জ্বীন, অনেক সাহসী, শক্তি শালী, আজ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধে হারে নি। রুপ পাল্টাতে সক্ষম এছাড়াও আরো অনেক শক্তি ওর মধ্যে আছে যা সে প্রবল কষ্ট করে অর্জন করেছে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কার্য সিদ্ধি করার জান্য।............
যীন্নাত,,,,,,,, একি আর কিছু লেখা নেই কেনো। ওকে কিভাবে মারা যাবে তাতো লেখা নেয়। না থাক লেখা,, এমনিতেই আমার মধ্যে অনেক রাগ আছে আগে জিজ্ঞেস করবো কেনো আমাকে মারতে এসেছে যদি না বলে তাহলে ওর খবর আছে।আমার সব রাগ ওর উপর যারবো।
যাই হোক এখন ঘুমিয়ে পড়ি না হলে কাল উঠতে পারবো না।
সকালে,,,,,,,,,
যীন্নাত,,,,,,,,, মা আমি আসি,,
বাবা,,,,,,, চলো তুমাকে দিয়ে আসি।
যীন্নাত,,,,,,,, না বাবা আমি একাই যেতে পারবো।
বাবা,,,,,, ঠিক আছে সাবধানে যাও।
,,,,,,,,,,,,,
ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি কতোই না ইচ্ছে ছিল এই খানে পড়ার। যায় আগে ভিতরে ডুকে একটু ঘুরে নিবো।
ভিতরে ডুকতেই,,,,,,,
,,,,,,,,,, এই দাঁড়াও, এদিকে আসো।
যীন্নাত,,,,,,,, জ্বী আমাকে ডাকছেন।
,,,,,,,, হুম তুমাকে কথা না ভারিয়ে এই দিকে তাড়াতাড়ি আসো। ..
চলবে,,,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
Assalamualaikum
Sura mulk
Inbox for price ,,,,, and more information
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Address
Jatrabari
Fulbaria