Noor Taanish Agro
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Noor Taanish Agro, Dairy Farm, Houriachala, Mouchak, Kaliakoir, Gazipur.
অনেকে UMS বানানোর পদ্ধতি জানতে চেয়েছেন UMS খাওয়ানোর আগে জানতে হবে UMS টা আসলে কি?
এবং কিভাবে কাজ করে।
ইউরিয়া হলো নন প্রোটিন নাইট্রোজেন কম্পাউন্ড। UMS এর অন্যতম উপাদান ইউরিয়াকে রুমেন মাইক্রো ফ্লোরা গুলো মাইক্রোবিয়াল হজম প্রক্রিয়ায় এমোনিয়া ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরির মাধ্যমে প্রোটিন এ রূপান্তরিত হয়।
ইউরিয়া সার সরাসরিভাবে গরুকে মোটাতাজা করে না; বরং পুষ্টিমান সুষম খাদ্য ও গরুর হজম ক্ষমতাই দ্রুত মোটাতাজাকরণ করে। UMS খড়ের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয় যাহা আশঁজাতীয় খাবার।
তবে ইউএমএস সুষম দানাদার খাবারের বিকল্প নয়।
(UMS) ইউরিয়া ও নালীগুড় (নাইট্রোজেন ও এনার্জি) একত্রে পানি দিয়ে গুলিয়ে খড়ের সাথে মিশালে খড়ের পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও গরুর হজম ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
১ কেজি UMS বানাতে প্রতি কেজি খড়ের জন্য ৫০০ মিলি পানি ২৫০ গ্রাম নালী গুড় ও ২৫-৩০ গ্রাম ইউরিয়া দিতে হবে।
আপনাদের আরো সহজ ভাবে বোঝাতে ৪ কেজি UMS তৈরীর একটা নমুনা দিলামঃ
প্রথমে খড় ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এর পর একটি পরিষ্কার নতুন পলিথিন বিছিয়ে সেখানে খড় গুলো ছিটিয়ে রাখতে হবে। একটি পরিষ্কার বালতি বা পাত্রে ২ লিটার পানি নিয়ে সেখানে ১২০ গ্রাম (সর্বোচ্চ) ইউরিয়া পরিমাপ করে নিয়ে ভালভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। এরপর ১ কেজি পরিমান নালীগুড় গুলোতে হবে। নালীগুড় ও ইউরিয়া মিশ্রিত পানি পলিথিনে রাখা খড়ে একটু একটু করে ছিটিয়ে নিতে হবে ও খড় গুলো উপর নিচ করতে হবে ও ভালভাবে মিশ্রিত করতে হবে।
মিশ্রন করার ১৫-২০ মিনিট পর থেকে গরুকে খেতে দেওয়া যাবে।
গরুকে UMS কেন দিবেন?
১)গরুর রুমেনের প্রয়োজন মোতাবেক আস্তে আস্তে খড়ের সাথে ইউরিয়া থেকে নাইট্রোজেন এবং মোলাসেস থেকে শর্করার সরবরাহ পেয়ে থাকে । শুধু তাই নয় , মোলাসেস একইভাবে খনিজ পদার্থও পশুকে সরবরাহ করে।
২)উক্ত খাদ্য প্রণালী গরুর রুমেনের পরিবেশ সঠিক রাখে । ফলে খড় জাতীয় খাদ্যের পরিপাচ্যতা বৃদ্ধি পায়।
UMS ব্যবহারে সুবিধাঃ
১) UMS বাছুর, বাড়ন্ত, দুগ্ধবর্তী ও গর্ভবতী গরু অথবা মহিষকে তাদের চাহিদা মতো খাওয়ানো যায় ।
ছয় মাস বয়সের উপরের যেকোন গরুতে ইউএমএস ব্যবহার করা যাবে। গর্ভবতী গাভীতেও আপনি নিশ্চিন্তে UMS ব্যবহার করতে পারবেন।
২)শুধু UMS খাওয়ালেও ওজন বৃদ্ধি পাবে; তবে সুষম দানাদার যোগ করা হলে কার্যকারীতা আরও বৃদ্ধি পায়।
UMS খাওয়ানোর নিয়মঃ
১) UMS প্রতি ১০০ কেজি ওজনের গরুকে সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে।
২) UMS খাওয়ানোর এক ঘন্টা পূর্বে ও খাওয়ার ১ ঘন্টা পর পানি সরবরাহ করতে হবে। এই সময়ের ভিতর পানি দেওয়া যাবে না।
৩)খড় ছাড়া UMS নালীমিশ্রিত পানি সরাসরিভাব কখনই গরুকে খাওয়ানো যাবে না।
৪)UMS ২ দিন পর্যন্ত রেখে খাওয়ানো যাবে।
৫)খুব সকালে বা রাতে UMS খাওয়ানো ঠিক নয় (সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত হলো আদর্শ সময়)। সকালে যেকোন খাবার খাওয়ানোর পর UMS খাওয়ানো উত্তম।
এছাড়া গরু মোটাতাজাকরন, গাভী পালন, ছাগল পালন, খাসী/পাঠা মোটাতাজাকরনে সুষম ব্যালেন্স দানাদার খাবারের পাশাপাশি ইউএমএস(UMS) খাওয়ানো যেতে পারে।
Collected from nadim agro
আলহামদুলিল্লাহ আজকে একটি গাভির বাচ্চা হইছে। আল্লাহর রহমতে বকনা বাচ্চা হইছে। শবাই দুয়া করবেন
গারল গুলুর লুম ছোট করা হইতেছে। এই মেশিনটা কয়েকদিন আগে চায়না থেকে আনা হয়েছে। ভালোই কাজ করতেছে দেখলাম।
Noor Taanish Agro
COVID 19 নামক এক মহামারী মানুষের মধ্যে ধারণ করেছিল।
এখন গবাদিপশুর মধ্যে (L*D) Lumpy skin disease ভাইরাস এক মহামারী রূপ ধারণ করছে।
লাম্পি স্কিন ডিডিজ (এল এস ডি) আমাদের দেশে ২০১৯ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস হতে প্রথমে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছিল এবং পরবর্তীতে ২-৩ মাসের মধ্যে সারা দেশের গবাদি প্রাণীতে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট মারাত্মক চর্মরোগ। রোগটি সংক্ষেপে এলএসডি বা চামড়ার পিন্ড রোগ বা ফোস্কা রোগ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। কোন কোন অঞ্চলে এই রোগে গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা এই রোগের নমুনা সংগ্রহ করে PCR পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটিকে লাম্পি স্কিন ডিডিজ (L*D) হিসাবে সনাক্ত করে।
•রোগের কারণ
এলএসডি একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট চর্মরোগ, যা গবাদি প্রাণীর জন্য প্রাণঘাতী রোগ। রোগটি আফ্রিকায় এবং পরবর্তীতে তুরস্কের খামারের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। রোগটি মূলত লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ( L*DV ) দ্বারা হয় যা কেপরিপন্ন ভাইরাস (Capripox virus) জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। যখন এই ভাইরাস ছাগলে সংক্রামিত হয় তখন বলা হয় গোট পক্স আবার যখন ভেড়ায় সংক্রামিত হয় তখন বলা হয় শীপ পক্স। গরুতে এই ভাইরাস সংক্রামিত হলে রোগটিকে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এল এস ডি) বলা হয়। প্রথমত এই রোগটি মশা- মাছি, রক্ত চোষা আঁঠালী বা মাইট দ্বারা আক্রান্ত প্রাণী হতে অন্য প্রাণীতে ছড়ায়। আক্রান্ত প্রাণীর লালা, দুধ, নাকের ডিসচার্জ (Nasal discharge) এবং সিমেন (Semen) এর মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে।
রোগের লক্ষণ
ক) আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর হয় যা ১০৪° থেকে ১০৫° ফাঃ হতে পারে এবং একই সাথে ক্ষুধামন্দা দেখা যায়। জ্বরের সাথে নাক-মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হয়।
খ) গরুর শরীরের লিম্ফনোডগুলির আকার বেড়ে যায়। প্রাণীর চামড়ার নিচে ফোস্কা বা গুটি দেখা যায়। ফোস্কা থেকে লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়।
গ) আক্রান্ত প্রাণীর চোখ দিয়ে পানি পড়ে। চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখের
কর্নিয়া ঘোলা হয়ে যেতে পারে।
ঘ) আক্রান্ত প্রাণীর মুখে ও পায়ে ক্ষত হয়। প্রাণীর চলাফেরা এবং খাদ্য গ্রহণে
সমস্যা হতে পারে।
ঙ) আক্রান্ত প্রাণীটি দিন দিন দুর্বল হয়ে যায়। রক্ত শূন্যতাসহ বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দেয় । এই রোগে আক্রান্তের হার (Morbidity) অনেক বেশী হলেও
ভাল খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যুর (Mortality) হার কমানো সম্ভব।
(চ) আক্রান্ত গাভীর দুধের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যাওয়া, গর্ভপাত হওয়া, বন্ধ্যাত্বসহ ওজন অনেকাংশে কমে যায়। এ ছাড়াও এই রোগে প্রাণীর চামড়ার মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ার কারণে এই রোগে খামারীর ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে থাকে।
•রোগ প্রতিরোধ
আমাদের দেশে পূর্বে এই রোগের এত ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কোন তথ্য নাই । এই কারণে রোগটি প্রতিরোধে আমাদের কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। যে সকল দেশে রোগটি নিয়মিত সংক্রমণ বা endemic সে সকল দেশে এই রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্য L*D ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়। তবে এই রোগের ভাইরাস গোট পল্প বা শীপ পক্স ভাইরাসের পরিবারভূক্ত হওয়ায় গোট পক্ষ বা শীপ পক্স ভ্যাক্সিন দ্বারা রোগটি
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
মধ্যপ্রাচ্যের গরুতে শীপ পঙ্গু ভ্যাক্সিন ১০ গুণ বেশী হারে ব্যবহার করা হয়। তবে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে গরুর ওজন এর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা ৩ থেকে ১০ গুণ বেশী হারে শীপ পঞ্চ বা গোট পক্স ভ্যাক্সিন দেয়ার পরামর্শ প্রদান করেছেন। আক্রান্ত অঞ্চলে প্রাণীর চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা যায়। তবে endemic নয় এমন কিছু উন্নত দেশে রোগটি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করার পর পরই আক্রান্ত প্রাণীকে ধ্বংস করে রোগটি দ্রুত নির্মূল করে থাকে। এ ছাড়াও উত্তম খামার ব্যবস্থাপনা ( Good farm practice) এর মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন-
ক) খামার ও এর আশ পাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে চোষা মশা-মাছি নিয়ন্ত্রণ করা।
(খ) খামারে প্রাণীর জন্য মশারির ব্যবস্থা করার মাধ্যমে L*D ছাড়াও অন্যান্য রক্ত বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
(গ)আক্রান্ত প্রাণী দ্রুত অন্যান্য স্থানে সরিয়ে (Quarantine) পৃথকভাবে চিকিৎসা
পরিচর্যা করা।
(ঘ) আক্রান্ত প্রাণীর উচ্ছিষ্ট খাবার সুস্থ প্রাণীর সংস্পর্শে না এনে বিধিমত নষ্ট করা। (ঙ)আক্রান্ত খামারে সর্বসাধারণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চারণ ভূমিতে প্রাণী না নেয়া।
•চিকিৎসা
রোগটি ভাইরাস এর কারণে হয় বিধায় ফল্পসূ তেমন ভাল চিকিৎসা নাই। তবে রোগের লক্ষণ বিবেচনা করে চিকিৎসা প্রদান করা প্রাণী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে । এই রোগে প্রাণী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায় এবং প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
(১) আক্রান্ত প্রাণীর ফোস্কা বা গুটি ফেঁটে গেলে Povisep solution বা আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
(২) ফোডাগুলি না ফাটলে ঐ গুলির উপর (চামড়ার উপরে) Povisep solution বা আয়োডিন দিয়ে রং এর মত প্রলেপ দেয়া যায়
(৩) আক্রান্ত প্রাণীকে প্রচুর পানি বা চিটা গুড়ের সরবত খাওয়াতে হবে।
(৪) বিভিন্ন মিনারেল মিশ্রণ যেমন- ফেরাস সালফেট, কপার সালফেট, কোরাস্ট মিশ্রণ, জিংক মিশ্রণ খাওয়াতে হবে।
(৫) ভিটামিন-বি ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং এন্টি (Antihistamin ); বাথানাশক (Painkiller), এন্টিপাইরেটিক (Antipyretic) ঔষধ প্রাণীকে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
© প্রাণিস্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ
গরুর শ্বাসনালিতে ওষুধ আটকে গেলে করণীয়
গরুকে মুখে ঔষধ খাওয়াতে ১০০ শতাংশ সচেতন হতে হবেঃ
গরুর শ্বাসনালীতে ঔষধ গেলে লক্ষণ ও করণীয় কি? খাওয়ানোর সময় অবহেলা করার ফলে শ্বাসনালীতে ঔষধ চলে যাওয়ায় গরুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ঔষধ খাওয়ানোর সময় যে অনিয়মগুলো করা হয়
১।চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া।
২।নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা করে থাকি।
৩।বিভিন্ন বন্ধু বান্ধব ও আত্নীয়দের কাছে পরামর্শ নেওয়া, অথচ সেই বিষয়ে সে অজানা।
৪।ফেসবুক, ইউটিউবের একাধিক পরামর্শ গ্রহণ করে একটা কাজ না হলে আরেক টা অবলম্বন করা এই আইন চালু রাখা…..
শ্বাসনালিতে ঔষুধ গেলে গরুর বিভিন্ন লক্ষণঃ
১।ঘন,ঘন শ্বাস ফেলবে,
২।মাঝে মাঝে জিব্বা বাহির করে দেয়,
৩।জাবর কাটা বন্ধ করে দিবে,
৪।চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে,
৫।পেঁঠ ফাঁপা দেখা ও দিতে পারে,
৬।শরীলের তাপ কমে যেতে পারে,
৭।শেষ পরিণতি মৃত্যু ও হয়।
করণীয়ঃ
১।জোর করে কোন ঔষুধ গরুকে খাওয়ানো যাবে না।
২।ঔষধ গরুর খাবার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন।
৩।ঔষুধ খাওয়ালে খুবই খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪।গরুর পরিপূর্ণ লক্ষণ লক্ষ করে চিকিৎসা করতে হবে নয়তো দূঘ’টনা হতে পারে।
৫।প্রাথমিক ভাবে একটা খড়ের ৬/৮ আঙ্গুল অংশ নিয়ে আস্তে ধীরে নাকে ঢুকিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়াতে চেষ্টা করবেন।
৬।অজানা বিষয় হলে নিজের ইচ্ছা মতো চিকিৎসা করবেন না।
৭।শ্বাসনালীতে ঔষধ গেলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, সুতরাং উল্টাপাল্টা চিকিৎসা পরিহার করতে হবে।
৮।সমস্যা দেখা দিলেই প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করুণ নয়তো প্রাণী চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। এই সমস্যা হলে রিক্সটা অনেক অনেক বেশি। কারণ চিকিৎসা করলে উপকার হয় খুবই কম।
Dorper
Notun Goyal
সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় 'চোখ উঠা' কিংবা 'ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস' ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটি অতি দ্রুতই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে, এক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা আবশ্যক, আসুন নিজে সচেতন হই ও অন্যজনকে সচেতন করি।
চোখ ওঠার লক্ষণ ও উপসর্গ:
১. চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া
২. চোখের পাতা ফুলে যাওয়া
৩. চোখ দিয়ে পানি পড়া
৪. চোখে জ্বালাপোড়া করা, খচখচ করা
৫. ঘুম হতে ওঠার পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে লেগে থাকা
কীভাবে চোখ উঠার জীবাণু ছড়ায়:
১. চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এটি হয়। অপরিষ্কার হাত, আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে, আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, গামছা ব্যবহারে চোখ উঠতে পারে।
২. অ্যালার্জি ধুলাবালির মাধ্যমে
চিকিৎসা :
যেসব কারণে চোখ ওঠে, সেসব বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
১. চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে
২. চোখে কালো চশমা পরতে পারেন
৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:
১. যখন আপনার চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়
২. চোখ ব্যথা থাকলে
৩. চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে অথবা দেখতে সমস্যা হলে
৪. চোখের সাদা অংশ ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে
যা করবেন না :
১. কোনো চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া চোখের ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিকার :
১. চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন।
২. চোখে হাত দেবেন না
৩. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ভালোমতো পরিষ্কার করুন
৪. যেসব জিনিসে অ্যালার্জিক তা থেকে দূরে থাকুন
৫. সাথে জ্বর সর্দি কাশি থাকলে তার চিকিৎসা নিন
৬. আক্রান্ত হলে ঘরে বিশ্রাম নিন
#সংগৃহিত
খামারে পাঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কিছু কথা-
আমরা খামারের জন্য অনেক কিছুই করি। কিন্তু পাঁঠা রাখতে অনেকে চাননা।আর এই পাঁঠা ছাড়া ছাগলের খামার করে লাভবান হওয়া অনেক কষ্টের।
ব্লাক বেঙ্গল ছাগল ছাড়া অন্য যেকোনো উন্নত জাতের ছাগল হিটে আসলে চেঁচামেচি করে না।এটাকে সাইলেন্ট হিট বলে।এই সাইলেন্ট হিট 2 ভাগে বিভক্ত।
১.
ক- প্রস্রাবের রাস্তায় সাদা পানির মতো মল ভাঙবে।
খ- বার বার অল্প অল্প প্রস্রাব করবে।।
গ-লেজ খাঁড়া করে ডানে বামে নাড়াচাড়া করবে।
ঘ- প্রস্রাবের রাস্তা গোলাপি অথবা লাল হবে।
ঙ- খাওয়া কম খাবে।
চ- অন্য ছাগলের সাথে বা সামনে যা পায় তাতেই মাথা দিয়ে মারতে থাকবে ও অন্য ছাগলের উপর উঠে যেতে চাইবে।
২.
উপরের কোন লক্ষ্যন বা পার্থক্য থাকে না,স্বাভাবিক ছাগল আর হিটে আসা ছাগলের মধ্যে।
পাঁঠা থাকলে এই দ্বিতীয় নাম্বার সাইলেন্ট হিট খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।আর না থাকলে কোনো ভাবেই বুঝার সুযোগ নেই।
যারা শখে কয়েকটি ছাগল পালন করেন। যার কারণে পাঁঠা রাখতে চাননা,তারা অন্তত একটা খাশী রাখতে পারেন, তাহলে ঐ খাসি বুঝিয়ে দিবে কখন ছাগি হিটে আসে।
আর যারা বাণিজ্যিক খামার করেছেন বা করতে চাচ্ছেন,তাঁরা অবশ্যই পাঁঠা রাখবেন অন্যথায় অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।কারন-
পাঁঠার মুখ আর শিং এর গোড়া থেকে এক ধরনের গ্যাস নির্গত হয় যা ছাগিকে হিটে আনতে সহযোগিতা করে।পাঁঠার প্রস্রাবের গন্ধ, ডাকাডাকি,ছাগিকে সময় মতো হিটে আনে।
যারা পেরেশানিতে থাকেন এই বিষয় নিয়ে যে ,বাচ্চার বয়স ৩/৫ মাস হয়ে গিয়েছে ছাগি হিটে আসছে না,পাঁঠা রাখলে এই পেরেশানি অনেকাংশে কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।।
পরিশেষে সকলের প্রিয় প্রানীগুলোর সুস্থতা ও সফলতা কামনা করছি।
Farm er Horiana sagi
গাভীর গর্ভকালিন সময় রোগ (জরায়ু বের হওয়া) সম্পর্কে জানুন
জরায়ু বের হওয়া
গাভীর বাচ্চা প্রসবের পর যোনীপথ দিয়ে জরায়ু বের হয়ে আসাকে Uterine Prolapse বলে। তবে কিছু কিছু গাভী গর্ভকালিন সময়ে শুয়ে থাকলে আংশিক বের হতে দেখা যায় এবং দাড়িয়ে গেলে আবার ভেতরে ঢুকে যায়। যেসব গাভীর বাচ্চা প্রসবের ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে জরায়ু সম্পুর্ন বের হয়ে আসে সেসব গাভীতে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান দ্বারা জরায়ু ভেতরে সময় মত না ঢুকালে অবশেষে রক্তক্ষরন হয়ে মারা যায়। এ রোগের কারন লক্ষন চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কারনঃ-
প্রধানতঃ গাভীর শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অভাবে এ রোগ হয়।
বাচ্চা হওয়ার সময় অতিরিক্ত কোঁথ দিলে।
প্রসবের সময় বাচ্চা হ্যাচকা টান দিয়ে বের করলে।
জরায়ুতে অত্যাধিক চর্বি জমলে।
বাচ্চার সাইজ বড় হওয়ার কারনে আটকে যাওয়া গাভীতে এ রোগ বেশি হয়।
দুর্বলতা ও অপুষ্টিতে ভুগলে সেই গাভীতেও হতে পারে।
গর্ভফুল আটক বা অনভিজ্ঞ লোকের দ্বারা প্রসব করালে।
লক্ষনঃ-
বাচ্চা প্রসবের পর আর দাড়িয়ে থাকতে পারে না বিধায় শুয়ে পরে।
শুয়ে থেকে জোরে জোরে কোঁথ দিতে থাকবে।
যোনীপথে জরায়ুর আংশিক অংশ বের হতে দেখা যাবে এবং এক পর্যায়ে সম্পুর্ন জরায়ু বের হয়ে যাবে।
অনেক সময় জরায়ু উল্টো হয়ে বের হওয়ার কারনে গোটা গোটা Cotyledon দেখা যাবে।
চিকিৎসাঃ-
গর্ভকালিন সময়ে যেসব গাভী শুয়ে থাকলে জরায়ু বের হয় inj: Calcium Forte-M 100cc (10% Dextrose Saline) সহযোগে ধীরে ধীরে রক্ত শিরায় দিতে হবে। যদি তাতেও জরায়ু বের হওয়া বন্ধ না হয় তাহলে পুনরায় ৭ দিন পর আবার উক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম করতে হবে।
inj: Newdecaphosphen 17cc করে ৪ দিন পরপর মাংশে অথবা শিরায় তিন ডোজ। উক্ত চিকিৎসা দেওয়ার পরও যদি জরায়ু বের হওয়া বন্ধ না হয় তাহলে যোনীপথ সুতা দিয়ে সেলাই করে রাখতে হবে বাচ্চা হওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। প্রসব ব্যাথা উঠা মাত্রই সেলাই কেটে দিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। যদি সম্পুর্ন জরায়ু বের হয়ে আসে তাহলে নিন্ম পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিতে হবে
প্রথমেই জরায়ু পলিথিনের উপড় নিয়ে এন্টিসেপটিক যুক্ত ঠান্ডা পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোন ময়লা জরায়ুর গায়ে লেগে না থাকে।
বের হওয়া জরায়ু ব্যাথা থাকার কারনে ফুলে যায়, ফলে ফোলা জরায়ু যোনীপথে ঢুকাতে কঠিন হয়ে পড়ে। তাই জরায়ুর ফোলা কমানোর জন্য চিনি অথবা বরফ দিয়ে কিছুক্ষন চেপে ধরতে হবে। এতে করে জরায়ু ছোট হয়ে যাবে এবং যোনীপথ দিয়ে ঢুকাতে সহজ হবে।
জরায়ু ঢুকানোর সময় যদি গাভী কোঁথ দিতে থাকে তাহলে inj: Nospa 15ml মাংশে দিয়ে নিতে হবে। যদি তাতেও কোঁথ দেয়া বন্ধ না হয় তাহলে 5% Dextrose saline সহযোগে Calcium forte-m 100cc ধীরে ধীরে রক্ত শিরায় দিলে সম্পুর্ন কোঁথ দেয়া বন্ধ হবে এবং স্যালাইন দেয়া কালেই জরায়ু ঢুকানো সম্পন্ন করতে হবে।
জরায়ুকে কোনরূপ মোচড়ানো ছাড়াই সঠিক স্থানে স্থাপন করতে হবে এবং ৪টি রেনামাইসিন ট্যাবলেট জরায়ুতে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
এর পর যোনীর (Va**na) উপড়ের অংশ মোটা সুতা দ্বারা সেলাই দিতে হবে যাতে পুনরায় জরায়ু বের হতে না পারে।
গাভীকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন পিছন দিক উচু ও সামনের দিক নিচু থাকে।
জরায়ুতে যাতে কোন সংক্রমন হতে না পারে এজন্য পেনিসিলিন গ্রুপের inj: Penbacllin দৈহিক 100kg/2.5cc করে ২৪ ঘন্টা পরপর মাংশে দিতে হবে ৪/৫ দিন।
গবাদিপশুর খামারে দৈনিক কাজের রুটিনঃ--------
গবাদিপশুর তথা গরুর খামারে দৈনিক কাজের রুটিন নিচে দেওয়া হল-
১। ভোর ৫ থেকে ৬ টার মধ্যেই খামারে গরু থাকার স্থান কিংবা গোয়াল ঘড় পরিস্কার করতে হবে।
২। সকাল ৬ থেকে ৭টার মধ্যে খামারের গরুকে দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।
৩। সকাল ৭ থেকে ৮ টার মধ্যে গরুর দুধ দোহন করতে হবে।
৪। সকাল ৮ থেকে ৯ টার মধ্যে গরুকে কাঁচা ঘাস বা খর খেতে দিতে হবে।
৫। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাভীকে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে গরু ও গরুর থাকার ঘর পরিস্কার করতে হবে।
৭। দুপুর ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে গরুকে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।
৮। বিকেল ৩ থেকে ৫ টার মধ্যে গরুর দুধ দোহন করতে হবে। যদি আগে দুধ দোহন করা হয় তাহলে পরে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।
৯। বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কাঁচা ঘাস বা খর খেতে দিতে হবে।
১০। রাত ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে গোয়াল ঘড় ও পানির হাউজ পরিস্কার করে পরিষ্কার পানি দিয়ে রাখতে হবে।
উপরোক্ত কাজের রুটিন অনুসরন করলে গরুর যত্নের কোন ঘাটতি থাকবে না। আর খামারের অবস্থান ও পরিবেশের উপর ভিত্তি করে উপরোক্ত রুটিন পরিবর্তন করা যেতে পারে।
লেখাটি ভাল লাগলে সেয়ার করে অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিবেন।
ধন্যবাদ।
খামারের নতুন অতিথি
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Houriachala, Mouchak, Kaliakoir
Gazipur
1700
Modern Moore Rangpur
Gazipur, 123
We are engaged with faithful and fresh food producing.
Atrora, Fawgan, Sreepur
Gazipur, 1741
A.R Agro Farm is a 100% Halal meat and milk production farm
IUT Road, West Kalmeshwar, Board Bazar, Gazipur City Corporation
Gazipur, 1704
Pabna Dairy Farm family works hard to provide high quality of farm fresh milk and dairy products ever
Narayankul, Pubail, Kaliganj
Gazipur, 1721
দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের একটি বিশ্ব
Kaliakoir
Gazipur, 1750
Our products: Fresh Milk, Red Meat and high quality cows and bulls.
Muradpur, P. O: Shakashor, Thana: Kaliakoir
Gazipur
Deshi Chicken, Natural Fresh Fruits and Vegetables
Vill: Taki Bari, P. O: Salna Bazar
Gazipur, 1703
Our AGRO & DAIRY based farm which is loacated in Takibari, West Salna, Gazipur.