Easy Doctor Seba
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে।
হাতের মুঠোয় সকল মেডিঃ সেবা।
24/7 Best Medical Services in Bangladesh.
পেটের অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি অনেকের জন্যই একটি অস্বস্তিকর বিষয়। ছোট ছোট অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেদ জমে। পেট ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানে মেদ জমার অন্যতম কারণ এই অভ্যাসগুলো।
পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে এমন ১০টি অভ্যাস নিয়ে এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে।
এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো এড়ানো গেলে শুধুমাত্র পেটের মেদ নয়, বরং কোমরের মেদ, মুখের চর্বি, উরুর মেদ, নিতম্বের মেদ কমানো সম্ভব।
১. দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন
খাবার খাওয়া শুরু করার পর যখন সেই খাবার পেটে যায়, তখন পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায়—সহজ ভাষায় পেটের সাথে ব্রেইনের কথাবার্তা হয়। পেট ভরেছে কি ভরেনি তা বুঝতে ব্রেইনের ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দ্রুত খাবার খেলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে, কারণ পেট ভরে যাওয়ার খবরটি পাকস্থলী থেকে হয়তো অত দ্রুত ব্রেইনে নাও পৌঁছাতে পারে।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
অতিরিক্ত না খেয়ে ফেলার জন্য ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া এবং খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ বা ‘মনোযোগ সহকারে খাওয়া’ বলা হয়। এভাবে অতিরিক্ত ক্যালরি খেয়ে ফেলা এড়ানো সম্ভব। তবে কোনো কারণে যদি খুব দ্রুত খেতেই হয়, তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার প্লেটে নিয়ে সেটুকুই খেয়ে শেষ করুন। এতে বাড়তি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
২. কোনো বেলার খাবার বাদ দিবেন না
অনেকে সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে একবারে দুপুরে খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এক বেলা খাবার বাদ দিলে অপরবেলায় বেশি খাবার খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। একারণে পেটের মেদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটের মেদ কমাতে করণীয় আপনার যদি কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে এখন থেকেই তা বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। কোন বেলার খাবার বাদ দিবেন না। যদি কোনো কারণে খাবার বাদ পড়ে যায়, তাহলে পরের কোনো বেলায় যেন অতিরিক্ত ভোজন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
৩. বড় প্লেটের বদলে ছোট প্লেট বেছে নিন
এক্ষেত্রে মূল বিষয় প্লেটের আকার নয়, বরং কতটুকু খাবার শরীরে যাচ্ছে সেটি। সাধারণত প্লেটের আকারে বড় হলে প্লেটে বেশি খাবার আঁটানো যায়, ফলে অবচেতন মনেও সাধারণত খাবার একটু বেশী পরিমাণে নেয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষের মাঝেই সাধারণত প্লেটে যতটুকু খাবার নেওয়া হয় তার পুরোটাই শেষ করার প্রবণতা থাকে। কিছু খাবার বাকি থাকা অবস্থায় পেট ভরা মনে হলেও প্লেটে খাবার রেখে উঠে যাওয়া হয় না। এভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়, ওজন বাড়ে এবং শরীরে মেদ জমে।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে ছোট প্লেটে খাবার নিন। খাবার প্লেটে নেওয়ার সময় পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখবেন। এতে খাবার নষ্ট হওয়ার এবং প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
৪. সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাবেন না
দাওয়াত খেতে গেলে আমরা অনেক সময় সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খেয়ে ফেলি। এক্ষেত্রে প্লেটে কেউ খাবার দিয়ে দিলে সেটা শেষ করে ওঠা কর্তব্য হিসেবে ধরে নেই। আবার বাইরে বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতজনের সাথে দেখা হয়ে গেলে, পেট ভরা থাকার পরেও খাবার অর্ডার দেয়া হয়। এই অভ্যাসগুলো ওজন বাড়িয়ে মেদ-ভুঁড়ি জমানোর পেছনে ভূমিকা রাখে।
দাওয়াতে আরেকটি প্রচলন হলো সবশেষে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া। অতিভোজন বা ‘ওভারইটিং’ হলে একদিকে যেমন শারীরিক অস্বস্তিতে পড়তে হবে, অন্যদিকে শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা থাকে।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত খাবার শরীরে যেসব বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলো মাথায় রেখে কী পরিমাণ খাবার খাবেন সেটি ঠিক করে নিন। যদি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন বলে ঠিক করেন তাহলে অন্যান্য খাবারগুলো পরিমিত পরিমাণে বা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সামান্য কম খাবেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার তেমন স্বাস্থ্যকর নয়, তাই যতটুকু না খেলেই নয় ততটুকুই খাবেন।
৫. আনমনে খাওয়া পরিহার করুন
খাওয়ার সময়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে আপনি কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে সাধারণত মনোযোগ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। টিভিতে বা ফোনে খেলা, নাটক বা অন্য কিছু দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পেটের মেদ হওয়ার বড় সম্ভাবনা থাকে। কারণ তখন আনমনে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খাওয়া হয়ে যেতে পারে।
আবার অনেকের ক্ষুধা না লাগলেও টিভি দেখতে দেখতে কিছু একটা খেতে হবে এমন একটা অভ্যাস হয়ে যায়। এই খাবারগুলোও সাধারণত স্বাস্থ্যকর হয় না। দেখা যায়, ভাজাপোড়া, মুড়ি-চানাচুর এসব খাবার আমরা এক হাতে নিচ্ছি আর খাচ্ছি।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
এসব অতিরিক্ত, অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসে অতিরিক্ত ক্যালরি, যা থেকে শরীরে চর্বি জমার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়। তাই মেদ কমাতে কোন কোন সময়ে আপনি আনমনে খাবার খান সেটা খুঁজে বের করতে হবে। খাবারের দিকে পূর্ণ মনোযোগ, অর্থাৎ ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ এর চর্চা করতে হবে।
৬. মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন
মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও শরীরে মেদ জমতে পারে। আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগি, তখন আমাদের শরীরে ‘কর্টিসল’ নামের একটি হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে।
কর্টিসল হরমোন ওজন বাড়াতে, বিশেষ করে পেটের মেদ বাড়াতে আরও তিনটি কাজ করে—
শরীরের অন্যান্য জায়গা, যেমন: পিঠ, উরু ও নিতম্বের চেয়ে পেটে চর্বি জমতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘সেন্ট্রাল অ্যাডিপোসিটি’ বলা হয়।
গ্রেলিন নামের একটি হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন বেশি বেশি ক্ষুধা অনুভব করার পেছনে দায়ী।
লেপটিন নামের আরেক হরমোন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। লেপটিন আমাদের পেট ভরে আছে এমন অনুভব করায়।
অর্থাৎ এই হরমোনের কারণে সহজে পেট ভরে না, বারবার ক্ষুধা লাগে, এবং বেশি খেয়ে ফেলার কারণে যে চর্বিটা তৈরি হয় সেটি শরীর মেদ হিসেবে জমিয়ে রাখে।
মেদ কমাতে তাই মানসিক চাপকে সময়মতো ও সঠিকভাবে মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পছন্দের কাজ করা, মেডিটেশন ও প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মানসিক চাপকে মোকাবেলা করতে হবে।
৭. অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুন
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের সাথে ওজন বেড়ে যাবার একটি সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। রাত জাগলে কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করতে পারে। এভাবে খাওয়া অতিরিক্ত খাবারের ক্যালরি শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়, ঘুমিয়ে থাকলে সেই অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়া হতো না।
রাত জেগে কাজ করার সময় খাবার হিসেবে সাধারণত ক্ষতিকর ফ্যাট বা চিনিযুক্ত খাবার, অথবা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নেওয়া হয়। খাবারটি স্বাস্থ্যকর কিনা তা নিয়ে তখন সাধারণত চিন্তা করা হয় না।
এছাড়া নিয়মিত যদি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হয়, তখন সেটা মানসিক চাপ বা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে। এই স্ট্রেস আবার বিভিন্নভাবে বাড়তি ওজন এবং মেদ জমার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। ঘুম না আসা নিয়ে আমাদের নিদ্রাহীনতা কারন ও প্রতিকারআর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
৮. সাদা চাল, সাদা আটার বিকল্প বেছে নিন
সাদা চাল, সাদা আটা তৈরি করার সময় ফাইবার বা আঁশসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ফেলে দেয়া হয়। ফাইবার খাবারকে আস্তে আস্তে হজম করতে সহায়তা করে। ফাইবার ফেলে দেয়ার কারণে খাবার গুলো দ্রুত হজম হয়, রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সাদা চাল ও সাদা আটার মত প্রক্রিয়াজাত শস্যদানা বেশি খাওয়ার সাথে মেদ জমার সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে লাল চাল বা ঢেঁকীছাঁটা চাল (কুড়াকাটা চাল হিসেবেও পরিচিত) এবং লাল আটার মতো গোটা শস্যদানা বেশি খাওয়ার সাথে পেটের মেদ কমানোর সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
লাল চাল বা লাল আটার স্বাদের সাথে অনেকেই অভ্যস্ত নয়, তাই প্রথমে এটি ভালো না-ই লাগতে পারে। কিন্তু এইটা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে। তাই আস্তে আস্তে হলেও এগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে শুরুর দিকে সাদা চাল বা সাদা আটার সাথে কিছুটা লাল চাল বা আটা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৯. ‘লো-ফ্যাট বা ফ্যাট-ফ্রি খাবার’ খাওয়ার আগে মোড়ক যাচাই করে নিন
লো-ফ্যাট খাবার খেয়ে মেদ তৈরি হতে পারে—এ কথা শুনে খটকা লাগতেই পারে। এর কারণ হলো, লো-ফ্যাট বা ফ্যাটমুক্ত খাবারকে সাধারণত স্বাস্থ্যকর মনে করা হলেও, এসব খাবারও কখনো কখনো অস্বাস্থ্যকর হতে পারে।
একটি খাবারকে লো-ফ্যাট হিসেবে তৈরি করার সময় সেখান থেকে ফ্যাট সরিয়ে বা কমিয়ে ফেললে অনেকের কাছেই তা কম সুস্বাদু মনে হয়। তাই খাবার সুস্বাদু করে বিক্রি বাড়াতে খাবার প্রস্তুতকারীরা সাধারণত এসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করে বাজারজাত করে থাকে।
পেটের মেদ কমাতে করণীয়
অতিরিক্ত চিনি প্রচুর ক্যালরি যুক্ত করে, খাবারটিকে অস্বাস্থ্যকর বানায় এবং ওজন বাড়ায়। তাই এখন থেকে লো-ফ্যাট বা ফ্যাট-ফ্রি কোনো খাবার কেনার আগে, তাতে চিনি যোগ করা হয়েছে কি না তা মোড়কের লেখা থেকে দেখে নিন।
১০. শুয়ে বসে না থেকে অ্যাকটিভ হোন
শুয়ে-বসে থাকলে যে শরীরে মেদ জমে তা প্রায় সবারই জানা। এর খুবই সহজ সমাধান হলো সপ্তাহে ৫ দিন মাত্র ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটা। সারা সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করেই আপনি অনেক উপকার পাবেন। এতে রোগব্যাধির সম্ভাবনা কমবে, শরীরের চর্বির পরিমাণও কমবে। রাতারাতি চর্বি কমার আশা করবেন না। হাঁটা চালিয়ে যাবেন, সাথে কিছু ভারোত্তোলন ও অন্যান্য স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে পারলে আরও ভালো। অন্য কোনো ব্যায়াম আপনার জন্য উপযুক্ত হলে সেটিও করতে পারেন। অনেকদিন ধরে কোনো শারীরিক পরিশ্রম করেননি এমন ব্যক্তিও আমাদের শূন্য থেকে পাঁচ কিলোমিটার গাইডটি অনুসরণ করে দৌড়ানো শুরু করতে পারেন।
জিমে না গিয়েও ঘরে বসে, কোন যন্ত্র বা ব্যায়ামের উপকরণের সাহায্য ছাড়াও মেদ কমানোর ব্যায়াম শুরু করা যায়। ইউটিউব বা গুগলে নিচের শব্দগুলো লিখে খোঁজ করলে ব্যায়ামের নির্দেশনাযুক্ত এমন অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। এমন কিছু শব্দ হলো—
Pushup
Pullup
Plank
Squat
আমরা আশা করবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পেটের মেদ কমানোর উপায়গুলোর ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন এই পরামর্শগুলো পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি কোমরের মেদ, উরুর মেদ, নিতম্বের মেদ ও মুখের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে।
Omega-3 Fatty Acid: শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা সম্পর্কে জানেন?
আমরা যে সব স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করি তার মধ্যে বেশির ভাগ খাদ্যেই থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এমনকি মাছের তেলের মধ্যে রয়েছে এই উপাদানটি। শরীরে এই উপাদানটির অভাব থাকলে দেখা দেয় একাধিক রোগ, তাই সাপ্লিমেন্টও উপলব্ধ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের। কিন্তু কেন! আমাদের শরীরে এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কী প্রভাব ফেলে জানেন?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মূলত তিন রকমের হয়, যথা- এএলএ (ALA), ইপিএ (EPA) এবং ডিএইচএ (DHA)। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফ্লাক্স সিড, মাছের তেল, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, বাদাম এবং আরও খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়।
১) দূর করে মানসিক অবসাদ- ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ একটি মানসিক রোগ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এই মানসিক রোগের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে এবং এই মানসিক অবসাদের সমস্যাকে দূর করে। তার সঙ্গে উন্নত করে মানসিক স্বাস্থ্য। ইপিএ (EPA) মূলত ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম।
২) চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে- ডিএইচএ নামে একটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার চোখের রেটিনার একটি প্রধান কাঠামোগত উপাদান। দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা এবং অন্ধ হওয়ার জন্য দায়ী ম্যাকুলার ডিজেনারেশনকে এটি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
৩) ভ্রূণের মস্তিষ্কে বিকাশে সক্ষম- গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অস্টিজম সহ একাধিক রোগকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তার সঙ্গে শিশু অবস্থাতেও মস্তিষ্কের বিকাশে এবং শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
৪) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এইচডিএলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এই সব কারণে হ্রাস পায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। সুতরাং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান।
৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম- গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব মানুষের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বেশি তাদের মধ্যে ৫৫% কোলন ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। এছাড়াও এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদানটি প্রস্টেট ও স্তন ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৬) আস্থমার প্রতিরোধ করে- বিশেষত শিশুদের মধ্যে আস্থমার উপসর্গ এবং এই রোগকে পুরোপুরি দূর করতে এবং প্রতিরোধ করতে সক্ষম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তার সঙ্গে প্রাপ্তবয়ঃস্কদের মধ্যেও আস্থমার উপসর্গকে দূর করতে সহায়ক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
৭) প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
আপনার পছন্দের ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে👇👇
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
শিশুর প্রথম দাঁত ও তার যত্ন
শিশুর প্রথম দাঁত উঠা, এটি যেনো বাবা-মায়ের জন্য অন্যতম একটি আনন্দঘন মুহূর্ত। কিন্তু এ আনন্দের সাথে দুশ্চিন্তার ছাপও দেখা যায়-
• কিভাবে দাঁতের যত্ন নিতে হবে?
• কি করলে দাঁতের গঠন ভালো হবে?
• কিভাবে দাঁতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে?
• কিভাবে দাঁতের রক্ষনাবেক্ষন করলে দন্তক্ষয় থেকে রেহাই পাওয়া যাবে?
আর নয় দুশ্চিন্তা, শিশুর দাঁত ওঠার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যাবে শিশুর দাঁতের যত্ন নেয়া:
• শিশুদের প্রথম দাঁত সাধারণত ৬-৮ মাস বয়সে উঠে থাকে
• অনেকের ক্ষেত্রে ১০ মাস বয়সেও দাঁত উঠে থাকে
• দাঁত উঠার সাথে সাথে দাঁতের যত্ন করা প্রয়োজন
• খাবার পরে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করিয়ে দিতে হবে
• প্রতিদিন দিনে ২ বার ফিঙ্গার টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে
• ১ বৎসর বয়স পর্যন্ত কোনো টুথপেস্ট ব্যবহার করা লাগবে না
• ১ বছর বয়সের পর থেকে সঠিক পরিমান টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে
• দাঁতে কোনো অবাঞ্চিত দাগ অথবা গর্ত দেখা দিলে শিশু দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন,
আপনার পছন্দের ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে👇👇
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
পাইলস কি, এর কারণ, লক্ষণ ও করনীয় ?
অর্শ বা পাইলস কি?
মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে।
অর্শ বা পাইলস কেন হয় (অর্শের কারণসমূহ):
অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ
১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া
৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন
৪. গর্ভাবস্থা
৫. লিভার সিরোসিস
৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া
৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ
তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা
৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা
৯. বৃদ্ধ বয়স
১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা
১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।
অর্শ বা পাইলস কিভাবে বুঝব (অর্শের লক্ষণসমূহ):
i) মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ
১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া
২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে
৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া
৪. কোন কোন ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।
ii) মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ
১. মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়
২. কখনও কখনও রক্তপাত বা মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।
অর্শ বা পাইলস রোগে করণীয়:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি(প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পান করা
৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ বেশী গ্রহণ না করা
৯. মল ত্যাগে বেশী চাপ না দেয়া
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।
অর্শ বা পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার:
শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি।
অর্শ বা পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার:
খোসাহীন শস্য, গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ পরোটা, লুচি, চিপস ইত্যাদি।
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে।
হাতের মুঠোয় সকল মেডিঃ সেবা।
24/7 Best Medical Services in Bangladesh.
Easydoctorseba.com একটি অনলাইন ভিত্তিক মেডিকেল সেবামূলক ওয়েবসাইট। Easydoctorseba.com এর লক্ষ্য দেশের সকল মানুষের যেকোনো শারীরিক সমস্যায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণের সহজ একটা যোগসূত্র স্থাপন করা।
Easydoctorseba.com এ যে কোন ব্যাক্তিই ফ্রি এ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং সব ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সিরিয়াল দিতে পারবেন মাত্র ১ মিনিটে। এছাড়াও Easydoctorseba.com এর মাধ্যমে সেরা হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ সকল গ্রুপের রক্ত এবং সকল এসি ও নন-এসি এ্যাম্বুলেন্সের তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার পাবেন খুব সহজে।
Easydoctorseba.com মেডিকেলের সকল বিষয়বস্তু গুলো খুব সহজ ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।
Easydoctorseba.com এ ৩৫+ অধিক শ্রেনির হাজারও আভিজ্ঞ ডাক্তারদের মধ্য থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ডাক্তারের সিরয়াল দিতে পারবেন খুব সহজে।
এছাড়াও আপনার যেকোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের জন্য আমাদের কল সেন্টারে যোগাযোগ করে আপনার প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহন করতে পারবেন খুব সহজেই।
𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
কল করুন: 01781-961660,
01610-280075
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
অস্টিওপরোসিস কী.....? হাড় ক্ষয় কেন হয়, সেরে ওঠার উপায় কী.....?
অস্টিওপোরোসিস বা অস্টিওপোরেসিস (ইংরেজি: Osteoporosis) হল ক্যালসিয়াম এর অভাব জনিত একটা রোগ।
এটি হাড়ের এমন এক ধরণের ক্ষয় রোগ যা আপনার হাড়কে ভীষণ দুর্বল করে ফেলে, যার কারণে সামান্য আঘাতেই ভেঙ্গে যায় বা ফেটে যায়। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির মতে, দেশটির মোট জনসংখ্যার অন্তত তিন শতাংশ অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত এবং পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ।
চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগে আক্রান্তদের অনেকেই তাদের রোগ সম্পর্কে জানেন না এবং আক্রান্তদের সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না হলে এমনকি ছয় মাসেই মৃত্যু ঘটতে পারে।
সোসাইটির গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যদিও তাদের অনেকের জানাই নেই যে তারা হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের অধ্যাপক একেএম সালেক বলছেন ৫০ বছর বয়সী যারা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের প্রতি দশজনের নয়জনই নারী। তবে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে সাধারণত এ অনুপাত হয় ৬:৪ বা ৭:৩।
চিকিৎসকরা বলছেন তাদের ধারণা আগামী পাঁচ বছরে নন-কমিউনিকেবল যেসব রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয় তার মধ্যে শীর্ষ পাঁচে এই হাড় ক্ষয় রোগ উঠে আসবে।
"হার্ট, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সমস্যার পর হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হবে বলে আমরা ধারণা করছি," বলছিলেন মিস্টার সালেক।
হাড় ক্ষয় কেন হয়.....?
কারও যদি ধূমপান, অতিরিক্ত মদপান ও মাদক সেবনের মতো অভ্যাস থাকে, সেটিও অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ানোর কারণ। আবার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে, হাইপার থাইরয়েডিজম বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের কারণে যেকোনো বয়সীদের অস্টিওপরোসিস হতে পারে।
অস্টিও অর্থ হাড় এবং পরোসিস অর্থ পোরস বা ছিদ্র। সে হিসেবে অস্টিওপরোসিস বলতে বোঝায় যখন হাড়ে বেশি পরিমাণে ছিদ্র থাকে।
হাড়ে বেশি ছিদ্র থাকা মানে বোন ডেনসিটি বা হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া। এতে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সহজেই হাড় ভেঙ্গে যাওয়া বা ফ্র্যাকচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাড় দুর্বল হওয়ার এই স্বাস্থ্যগত অবস্থাই অস্টিওপরোসিস।
হাড়ের দু'টি অংশ থাকে। ওপরের শক্ত আবরণটিকে বলা হয় কমপ্যাক্ট বোন। ভেতরে স্পঞ্জের মতো ছিদ্র ছিদ্র করা স্তরটিকে বলা হয় স্পঞ্জি বোন বা ট্রেবাকুলার বোন।
অস্টিওপরোসিস হলে হাড়ের ওপরের আবরণ বা কম্প্যাক্ট বোন অনেক পাতলা হয়ে যায় এবং স্পঞ্জি অংশটির ছিদ্র বেড়ে যায় বা ঘনত্ব কমে যায়, যা হাড়কে দুর্বল করে ফেলে।
হাড় সাধারণত একদিকে ক্ষয় হতে থাকে আরেকটি গঠন হতে থাকে। যদি ক্ষয় হওয়ার গতি, নতুন হাড় গঠন হওয়ার গতির চাইতে কমে যায়, তখনই অস্টিওপরোসিস হয়।
কম্প্যাক্ট বোনের গঠন প্রতি ১০ বছর অন্তর আর স্পঞ্জি বোন প্রতি তিন বা চার বছর পর পর বদলায়।
মূলত বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় দুর্বল হতে থাকে যা বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে কিছু মানুষের এই হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্যমতে, মানুষের হাড় সবচেয়ে বেশি মজবুত অবস্থায় থাকে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে। এরপর থেকে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে।
উপসর্গ :-
আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আপনার অস্টিওপরোসিস আছে কিনা সেটা আগে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাড় ভাঙলে বা ফ্র্যাকচার হলেই কেবল বিষয়টি সামনে আসে।
প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না কিন্তু পরিস্থিতি যখন জটিল রূপ নেয় তখন রোগীর -
ঘাড়ে, কোমরে, মেরুদণ্ডে প্রতিনিয়ত ব্যথা হয় পেশী ব্যথা করে বা পেশী দুর্বল লাগে বয়স্কদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমে যায় বা কুঁজো হয়ে যায়, কারণ হাড় ক্ষয় হওয়ার কারণে মেরুদণ্ড শরীরের ভার নিতে পারে না, এজন্য মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে শরীর ঝুঁকে আসে ,অনেক সময় হাড় ভেঙে যায়
পাঁজরের হাড় নীচের দিকে ঝুলে পড়ে
হাড় না ভাঙ্গা পর্যন্ত অস্টিওপরোসিস সাধারণত কষ্টকর হয় না, তবে মেরুদণ্ডের হাড় একবার ভাঙলে সেটা দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে হয়।
পরীক্ষা :-
অস্টিওপরোসিস পরীক্ষা করা হয় ডুয়েল এনার্জি এক্স রে অ্যাবজরপ-শিওমেট্রি বা সংক্ষেপে ডেক্সা স্ক্যানের মাধ্যমে।
এখানে রোগীকে শুইয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ স্ক্যান করা হয় যা সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত পদ্ধতি। এটা করতে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে, এক্ষেত্রে শরীরের যে অংশটি স্ক্যান করা হচ্ছে তার উপর সময় নির্ভর করে।
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের হাড়ের সাথে তুলনা করে রোগীর হাড়ের ঘনত্ব পরিমাপ করা হয়। এই গণনা করা হয় টি স্কোর দিয়ে।
পরীক্ষায় রোগীর টি স্কোর যদি মাইনাস দুই দশমিক পাঁচ বা তার কম আসে, তাহলে বুঝতে হবে তার অস্টিওপরোসিস আছে।
এছাড়া পরীক্ষায় রোগীর হাড়ের পরিস্থিতি কয়েকটি গ্রেডে ভাগ করা হয়। রোগীর হাড়ের অবস্থা কোন গ্রেডে আছে, রোগীর বয়স, লিঙ্গ, ভবিষ্যতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি কতোটা আছে, আগে হাড় ভেঙেছিল কিনা সেটার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।
আপনার যদি অস্টিওপেনিয়া অর্থাৎ প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা পড়ে তাহলে আপনার হাড় সুস্থ রাখতে এবং অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
যদি অস্টিওপরোসিস ধরা পড়েই যায় তাহলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি চলাফেরায় সাবধান হতে হবে এবং নিয়মিত চোখের দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রতিরোধ :-
অস্টিওপরোসিস প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধের ওপর বেশি জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রোগের ঝুঁকি যেহেতু বয়সের সাথে বাড়ে তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। আমরা বয়স্কদের শুয়ে বসে থাকতে বলি। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে শারীরিক পরিশ্রম করা বেশ জরুরি।
যারা নিয়মিত কায়িক শ্রম করেন বা শরীরচর্চা করেন তাদেরও হাড়ের গঠন মজবুত হয়, হাড় ক্ষয়ের গতি কমে যায় এবং হাড় গঠনের গতি বেড়ে যায়।
রক্তের ক্যালসিয়াম, ফসফেট সেইসাথে অ্যাস্ট্রোজেন, টেস্টোটেরন ও গ্রোথ হরমোন হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
তাই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, প্রোটিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেলে সেইসাথে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে, অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিদিন অন্তত ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে।
সেইসাথে ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করতে হবে।
চিকিৎসা :-
হাড় মজবুত করার ওষুধ দিয়ে অস্টিওপরোসিসের চিকিৎসা করা যায়।
প্রতিনিয়ত আমাদের যে হাড় গঠন হচ্ছে সেটা কেমন মজবুত হবে, সেটা নির্ভর করবে শরীরের সেরাম ক্যালসিয়াম লেভেলের ওপর।
মানবদেহের প্যারাথাইরয়েড হরমোন ও ক্যালসাটোনিন হরমোন আর ভিটামিন ডি এই সেরাম ক্যালসিয়াম লেভেলকে প্রভাবিত করে।
চিকিৎসকরা সাধারণত রোগীর পরিস্থিতি বুঝে, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট, ন্যাসাল স্প্রে, সাপ্তাহিক বা মাসিক ট্যাবলেট, বছরে একবার হরমোনাল ইনজেকশন, হরমোনাল ওষুধ, ইত্যাদি প্রেস্ক্রাইব করে থাকেন।
মেনোপজের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এমন নারীদের ওষুধ বা ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ানো হয় যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে এসব ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সে বিষয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া দরকার।
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
চোখ সুস্থ রাখতে মেনে চলুন ৭ নিয়ম.
চোখ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের আলো নিভে গেলে পুরো জীবনটাই হয়ে যাবে অন্ধকার। তাই চোখের যত্ন নিতে হবে।
২ মিনিটে পড়ুন
অথচ, প্রতিদিনের কাজের চাপে আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান চোখের যত্ন নিতে ভুলে যাই। কিন্তু লাইফস্টাইলে বা অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসলে চোখ সুস্থ থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব।
ঠান্ডা পানির ঝাপটা নেওয়া
আমাদের প্রত্যেককেই কোনো না কোনো কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া, আমরা সারাদিনে অনেকক্ষণ টিভিতে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখি। তার জন্যও তাকিয়ে থাকতে হয় টিভি স্ক্রিনের দিকে। এসব কিছুর ফলে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, টানা কাজের মাঝে কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে অন্তত ২০ মিনিট অন্তর চোখ সরিয়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
সানগ্লাস ব্যবহার
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করতে চশমা বা সানগ্লাস পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রোদে বের হলে ইউভি প্রোটেকশনযুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যাতে সূর্যের প্রখর তাপ চোখে লাগতে না পারে।
সাকসবজি
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর শাকসবজি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সবুজ শাকসবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও প্রতিদিন টাটকা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: চুল ঝরছে? গোপনে এই ৪ অসুখ শরীরে বাসা বাঁধেনি তো!
সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকানো
সকালে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ ভালো থাকে। এমন কথা আমরা ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের কাছে শুনে থাকি। চোখ সুস্থ রাখতে বয়সকাল পর্যন্ত আমাদের এই অভ্যাস জারি রাখা প্রয়োজন।
পরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করা
চোখের চাপ কমাতে আপনার হাতই যথেষ্ট! তবে আগে হাত দুটি খুব ভালো করে ঘষে গরম করে নিন। এবার সেই গরম তালুর অংশ চোখের ওপর রাখুন। বড় শ্বাস নিন ও নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। ঘুমের সমস্যা কমবে এই উপায়ে। তবে সবার আগে হাতে পরিষ্কার করে নেবেন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানের ফলে দৃষ্টিশক্তি এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে তা সমাধানের আর কোনো রাস্তা থাকে না।
চেকআপ করা
চোখ ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চোখের চেকআপ করানো দরকার। যাতে অল্প কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা করান
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
মোটা হওয়া অথবা ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়।
আশপাশে পরিচিতদের মধ্যেই দেখবেন, কেউ না কেউ ওজন নিয়ে চিন্তিত। কেউ বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত, আবার কেউ কম ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায়। অতিরিক্ত ওজন যেমন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে সেটিও শঙ্কার কারণ হতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাস মানা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন বাড়ানোর জন্য আবশ্যক। এখানে ওজন বাড়ে কোন খাবারে, ওজন বৃদ্ধির ব্যায়ামগুলো কি এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য কোন বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে — তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
যাদের ওজন কম তাদেরকে অনেক বেশি খাবার খেতে বললে তারা কিন্তু সেটা খেতে পারবেন না। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে। ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত খাবার যোগ করতে হবে। এগুলো প্রধান খাবারের মাঝে মাঝে নাস্তা হিসেবে খেতে হবে। কোল্ড ড্রিংকস, চিনির শরবত, ফাস্টফুড জাতীয় সকল খাবার খেয়ে ওজন বাড়াতে হবে বিষয়টা অবশ্যই এমন না। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই ওজন বাড়াতে হবে, যাতে শরীরের কোন ক্ষতি না হয়।
ওজন বাড়ানোর খাবার তালিকা :-
ওজন বাড়ানোর খাবার সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার এবং হালকা নাস্তা হিসেবে কোন খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে তা তুলে ধরা হলো। এই খাবারগুলো কেন, কিভাবে, এবং কী পরিমাণে খেতে হবে তা জানতে নিচে পড়ুন।
সকালের নাস্তা:
ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন, তার মধ্যে রয়েছে দুধ, ডিম, খেজুর ও কলা।
দুধ: শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই দুধে পাওয়া যায়। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২ আছে। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে, আর ভিটামিন বি-১২ রক্ত তৈরিতে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। দুধ খাওয়ার একটি বড় সুবিধা হলো, অন্যান্য খাবারের সাথে খুব সহজেই এক গ্লাস দুধ খেয়ে নেয়া যায়। ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তার পাশাপাশি যেকোনো বেলার খাবারের সাথে এক গ্লাস দুধ খাওয়া যেতে পারে।
ডিম: ডিমকে ‘প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন’ বলা হয়। এর কারণ এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। ডিমে থাকা ভিটামিন-এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন বি২ ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। ডিমে জিংক নামের মিনারেল থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ডিম আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ।
ডিম সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় এবং প্রায় সব খাবারের সাথেই খাওয়া যায়। তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তার সাথে ডিম খেয়ে নেওয়া যেতে পারে।
পড়ুন: ডিম খাওয়ার উপকারিতা
(অন্যান্ন ব্লগ লিঙ্ক ধরবে )
খেজুর: এটি একটি অসাধারণ পুষ্টিগুণের ফল। এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া এতে আয়রন আর ফলিক এসিড আছে, যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। খেজুরে ফাইবার বা আঁশ থাকে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। সকালে কয়েকটা খেজুর খেয়ে নিলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
কলা: কলায় ভিটামিন বি-৬ আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার আছে, যা হজমে সাহায্য করে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে সম্পর্ক আছে। এছাড়া কলা খুব সহজলভ্য, বাজারে সারা বছরই পাওয়া যায়। খাওয়ার আগে কেটে নেওয়ার বা সময় নিয়ে ছিলিয়ে খাওয়ার ঝামেলা না থাকায়, সহজেই যেকোনো সময় ১টা বা ২টা কলা খেয়ে ফেলা যায়।
এই খাবারগুলো শুধুমাত্র সকালেই খেতে হবে, বা প্রতিদিনই খেতে হবে — বিষয়টি এমন নয়। এখানে সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকা থেকে একটি বা দুটি খাবার সুবিধামত যুক্ত করতে পারবেন আপনার ওজন বাড়ানোর খাবারের তালিকায়।
দুপুরের খাবার
ডাল: ডাল খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ আছে। মুরগি, গরু ও খাসির মাংস থেকে যেমন প্রোটিন পাওয়া যায়, ডাল থেকেও তেমন প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু গরু-খাসির মাংসে কিছু ক্ষতিকর চর্বি থাকে, ডালের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি নেই। এছাড়া আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই সবগুলোই সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন। পাতলা ডালের তুলনায় ঘন ডাল খাওয়া ভালো।
আমাদের পেটের ভেতরে কোটি কোটি জীবাণু আছে। এর মধ্যে অনেক জীবাণু আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ করা, ভিটামিন তৈরি থেকে শুরু করে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেয়। এই উপকারী জীবাণুগুলোকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশেষ কিছু খাবার আছে। এগুলোকে বলা হয় প্রিবায়োটিক খাবার। ডাল এক ধরনের প্রিবায়োটিক খাবার। ডালের পেটের ভেতরের উপকারী অণুজীবগুলোকে সুস্থ রাখে। তাই ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্টে ডাল রাখা ভালো। সকালের নাস্তায় কলার কথা বলা হয়েছে, কলাও এক ধরনের প্রিবায়োটিক — অর্থাৎ, উপকারী জীবাণুর খাদ্য।
মুরগির মাংস: দুপুরের খাবারে মুরগির মাংস রাখা যায়। সাধারণত যদি এক টুকরো খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে ওজন বাড়াতে ২ টুকরো করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। অনেকে গরু-খাসির মাংস বেশী করে খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে, তবে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। গরু-খাসির মাংস খেয়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব হলেও এগুলোর অস্বাস্থ্যকর চর্বির কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর সময়েও এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। গরু-খাসির মাংস থেকে যেই প্রোটিন আসতো, মুরগির মাংস, ডিম ও ডাল থেকে আপনি তা অনায়াসেই পেয়ে যাবেন।
টক দই: দুপুরের খাবার শেষে এক বাটি টক দই খেতে পারেন। টক দই দুধ দিয়ে বানানো, তাই এতে দুধের পুষ্টিগুলো থাকে। শুধু তাই নয়, টক দইতে অনেক উপকারী জীবাণু থাকে। টক দই খাওয়ার মাধ্যমে পেটের ভেতরের উপকারী অণুজীবগুলোর মত নতুন আরও অনেকগুলো উপকারী জীবাণু দেহে যোগ করতে পারেন। এগুলো পরে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবে।
তবে মিষ্টি দই এড়িয়ে চলা গেলে ভালো। মিষ্টি দইতেও উপকারী জীবাণু আছে কিন্তু এতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা হয়। অনেক চিনি, অস্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এগুলো বেশী খেলে শরীরের মাংসপেশি না বেড়ে চর্বি বেড়ে যেতে পারে। এভাবে ওজন বাড়লেও তা স্বাস্থ্যকর হবে না, বরং উল্টো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তবে মিষ্টি দই কখনোই খাওয়া যাবে না, তা নয়। হঠাৎ হঠাৎ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তবে নিয়মিত না খাওয়াই ভালো।
রাতের খাবার :-
দুপুরের জন্য যেসব খাবার উল্লেখ করা হয়েছে, ওজন বৃদ্ধির জন্য সেগুলো রাতের খাবারের সময়েও প্রযোজ্য। দুপুরে ব্যস্ততার বা বাসার বাইরে থাকার কারণে যদি কিছু বাদ পড়ে যায়, তা রাতের খাবারে যোগ করে নেওয়া যেতে পারে।
হালকা নাস্তা বা স্ন্যাকস
বাদাম: ওজন বাড়ানোর জন্য একটা খুব ভালো নাস্তা হচ্ছে বাদাম। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম — আপনার সুবিধামত যেকোনো ধরনের বাদাম খাওয়া যাবে। বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে, অনেক ধরনের মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার আছে। এটিও একটা প্রিবায়োটিক খাবার, অর্থাৎ পেটের ভেতরে থাকা উপকারী জীবাণুকে সুস্থ রাখে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য নাস্তায় কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন।
ওজন বৃদ্ধিতে দুপুর-রাতের খাবারের পরে বাদাম খাওয়া যায়। কেনার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন এতে কোনো উপাদান মেশানো না থাকে — যেমন চিনি, লবণ ইত্যাদি। বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে থাকেন, তারা বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। কারণ বাজারে অনেক ধরনের চিনি, লবণ মেশানো বাদাম প্যাকেটে কিনতে পাওয়া যায়।
কিসমিস: নাস্তার জন্য বাদামের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন। কিসমিস যেহেতু আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয়, অল্প পরিমাণ কিসমিসেই অনেক ভিটামিন আর মিনারেল থাকে। তবে কিসমিস খেলে কারও কারও দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেটা ঠেকাতে শুধু কিসমিস না খেয়ে বাদাম বা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কিসমিস খাবারে যোগ করতে পারলে ওজন বাড়াতে সেটা অনেক সহায়তা করবে।
বিভিন্ন ধরনের বীজ: ওজন বাড়ানোর আরেকটা উপায় হল খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ যুক্ত করা। সম্ভব হলে মিষ্টিকুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বীজ, তিলের বীজ — এগুলো ভাত বা তরকারির ওপর হালকা করে ছিটিয়ে খেতে পারেন। একেকটা বীজ একেক ধরনের পুষ্টি বহন করে।
যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা ফলের মধ্যে আভোকাডো খেতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। আমাদের দেশে এই ফলটা সহজে পাওয়া যায় না, পেলেও দাম অনেক বেশি হয়।
সময়মত খাবার খান
খাবারের সময় ঠিক রাখুন।
অর্থাৎ সকালের নাস্তা সময়ের অভাবে খেতে পারলেন না, দুপুরে খেতে ইচ্ছে করলো না, কিংবা রাতে একেকদিনে একেক সময়ে খাবার খাচ্ছেন, এসব সুস্থ শরীরের জন্য একেবারেই অনুচিত।
ফলে ওজন বাড়াতে চাইলে বা কমাতে চাইলে এই নিয়ম সবার জন্যই এক।
তা হচ্ছে সময়মত খেতে হবে।
বড় কোন অসুবিধা না থাকলে প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
পর্যাপ্ত ঘুমান
শরীরকে যথাযথ কাজ করানোর অবস্থায় সুস্থ রাখার জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজন।
ওজন বাড়ানোর জন্যও একথা সত্য। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে।
ঘুম এর থেকে কম হওয়া যাবে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে যাওয়া খাবার ঠিকমত হজম হবে না, এবং শরীরে পুষ্টির যোগান ঠিকমত হবে না।
ঘুম যাতে পর্যাপ্ত হয়, সেজন্য সময়মত ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুমানোর আগে একটু হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করা যেতে পারে।
ব্যায়াম করুন
অনেকে ভাবেন ওজন কমানোর জন্য মানুষ ব্যায়াম করবে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা দরকার।
প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়বে, হজম প্রক্রিয়া ভালো হবে এবং ঘুম ভালো হবে।
এজন্য জিমে যেতে পারেন, চাইলে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন, কিংবা ইয়োগা, সাইক্লিং বা সাঁতারও কাটতে পারেন।
শারীরিক কসরতের সাথে মানসিক প্রশান্তির জন্য ইয়োগা করতে পারেন।
ওজন বাড়াতে কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন?
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য ওজন বাড়ানোর ডায়েটের পাশাপাশি অবশ্যই নিয়মিত ওজন বৃদ্ধির ব্যায়াম করতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করার অভ্যাস একদমই না থাকলে অল্প অল্প করে শুরু করবেন। তবে শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাওয়া উচিত নয় :-
* সাগু: সাগুর প্রায় পুরোটাই শর্করা। অর্থাৎ শুধুমাত্র এক ধরনের পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে। ১০০ গ্রাম সাগুদানায় প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণ ১ গ্রামের চেয়েও কম, আর ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণও নগণ্য। তাই এটি খুব পুষ্টিকর একটা খাবার নয়। সাগুদানা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তবে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর চেয়ে যেসব খাবারে ওজন বাড়ে আর পুষ্টিও অনেক থাকে, সেগুলো খেয়ে ওজন বাড়ানো শ্রেয়।
* কাস্টারড-পুডিং: এগুলোতেও সাধারণত প্রচুর পরিমাণে চিনি দেয়া থাকে। অতিরিক্ত চিনি বা তেল-চর্বি যুক্ত খাবার যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেটা ওজন বাড়ানোর সময়েও এড়িয়ে চলা ভালো। নাহলে শরীরে চর্বি জমে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি চিনি ছাড়া শুধু দুধ, ডিম ও ফলমূল দিয়ে কাস্টারড বা পুডিং বানিয়ে খেতে চান, সেটা খেতে কোনো সমস্যা নেই।
* মোটা হওয়ার জন্য কোন ওষুধের সাহায্য নেবার প্রয়োজন নাই। কোন ভিটামিন, বা অন্য কোন খাদ্য উপাদানের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করুন।
* মোটা হওয়ার জন্য অনেকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেয়ে থাকেন। এর ফলে শরীরের নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা নিয়ে সারাজীবনের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে পারেন।
* শুকনা বলে লোকে ঠাট্টা করলেও মনে রাখবেন সুস্থতা জরুরি। সেজন্য ওজন কম হলে হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। করো কারো জিনগত কারণেও ওজন কম থাকে, হয়ত চেষ্টা করেও মোটা হতে পারেন না অনেকে। ফলে ভালো দিকটি মাথায় রেখে সন্তুষ্ট থাকুন।
⚛️ জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন।
🌐𝐕𝐢𝐬𝐢𝐭 𝐎𝐮𝐫 𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞: www.easydoctorseba.com
অথবা,
☎কল করুন: 01781961660
দেশ সেরা সকল ডাক্তারদের সন্ধানে,
ইজি ডাক্তার সেবা সবসময় আপনার পাশে।
পেজটিতে Like দিয়ে সঙ্গে থাকুন সবসময়।
#ইজি_ডাক্তার_সেবা
#ডাক্তার_এপয়েন্টমেন্টে
#ক্লিনিক #হাসপাতাল #মেডিকেলসেবা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Gazipur Chowrasta
Gazipur
1700
Gazipur, 880
Golden Verse Specialised Hospital & Digital Diagnostic Lab. is a private hospital in Sadar Gazipur.
Sotota Homeo Hall/Homeopathy Hospital/Shafipur Bazar, Kaliakair
Gazipur, 1751
Sotota Homeo Hall - Homeopathy Hospital- "Permanently cure your illness with Our treatment" Our thera
Mujar Mil Bus Stand, Nirman Housing, Kashimpur (adjacent To Nabinagar-Chandra Highway)
Gazipur
•General,Laparoscopy •Colorectal Surgery •Laser Surgery •Urology •Gynae & Obstetric •ENT •Orthopaedic & Trauma Surgery •Outdoor •Indoor •Doctor&Nurse •Two OT(AC) •PROVIDING MEDICAL...
Abedullah-Sabedullah Road, #13 No Word, Bason
Gazipur
Our Hospital is a national Hospital. It's fully equipped with all the latest medical technology to p
Gazipur, KALIAKAIR,
জরুরী বিভাগ,প্যাথলজি,এক্স-রে,ডায়ালাই?
কোনাবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বের বিল্ডিং ব্যাংক এশিয়ার নীচতলা, রূপজান টাওয়ার
Gazipur, 1346
রোগকে মূল থেকে স্থায়ীভাবে নির্মূল কর?
Amraid Bazar Kapasia Gazipur( Gazipur T**e Highway)
Gazipur, 1730
I am a Banker. I make this specialized hospital for physiotherapy like CRP