Blue touch

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আনসার একাডেমী তিন নাম্বার গেট আদর্শ নগর এলাকায় মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেন ফেটে দেদারসে গ্যাস বেড়েছে যেকোনো সময় ঘটবে দুর্ঘটনা

মেহেরপুরের গাংনীতে মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় মাদক ব্যবসায়ী ছেকেন্দার, তার ভাই এসকেন্দারের উপর্যুপরি বাঁশ ও লাঠির আঘাতে মিনারুল ইসলাম নামের একজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। আহত মিনারুল ইসলাম মাইলমারী গ্রামের মৃত ছহির উদ্দীনের ছেলে।
শুক্রবার (৩০ জুন), বিকেলের দিকে উপজেলার মাইলমারী মন্ডলপাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মাইলমারীর মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে ছেকেন্দার আলী দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন ও প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রি করে আসছে। যা মাইলমারীসহ বিভিন্ন গ্রামের উঠতি বয়সের তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত ক্রয় করে সেবন করে মরন নেশায় মেতেছে। অনেকে এখান থেকে হেরোইন ও গাঁজা ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রিও করে থাকে। মাদক বিক্রিতে নিষেধ করলে তার বাড়িতে মাদক রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেবে এমন ভয়ও দেখানো হয়ে থাকে যে কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা। সকাল থেকে রাত অবধি দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ছেকেন্দার। এবিষয়ে ইতিপূর্বে সাংবাদিক নিউজ করলেও তিনাদেরকেউ বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী প্রদান করা হয়। অবশেষে এলাকা থেকে মাদক নির্মুল করতে উদ্যোগ নেন গ্রামের মিনারুল। ঈদের কয়েকদিন পূর্ব থেকেই এলাকায় মাদকাসক্তের উপস্থিতি দেখলেই তাদের ধাওয়া শুরু করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় মাদকাসক্তদের আনাগোনা কমে যায়। কিন্তু ঈদের পূর্বের দিন থেকে আবারও বেড়ে যায় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। মিনারুলও উঠে পড়ে তাদের ধাওয়া করতে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন ছেকেন্দারের বাড়িতে আবারও দলে দলে প্রবেশ করতে শুরু করে মাদকাসক্তরা। এমতবস্থায় মিনারুল ছেকেন্দারের বাড়িতে মাদকাসক্তদের আসতে নিষেধ করায় রাগান্বিত হয়ে ছেকেন্দার ওতার ভাই এসকেন্দারসহ কয়েকজন টেনেহিঁচড়ে মিনারুলকে ঘরের মধ্যে নিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং মাথায় আঘাত করলে মিনারুল গুরুতর ভাবে আহত হন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে মিনারুলের লোকজন ছেকেন্দারের বাড়িতে প্রবেশ করে ফ্রিজ ভাংচুর ও গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেও বক্তব্যে কিছুটা গরমিল পাওয়া যায়।
তবে এলাকালাবাসীরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে চাইলেও ছেকেন্দারের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এহেন ঘটনায় দু'পক্ষই গাংনী থানায় পৃথক পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষে মাদক ব্যবসায়ী ছেকেন্দারসহ সহযোগিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন অনেকেই, যদিও ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি হয়নি।
ভুক্তভোগী মিনারুল ইসলাম জানান, আমি মাদক নির্মূলে উদ্যোগ নেওয়ার পর ছেকেনের ব্যবস্থা মন্দা ভাব তৈরি হয়। প্রতি মাসে মাদক ব্যবস্থা করে ৪/৫ লাখ টাকা ইনকাম করলেও তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় আমাকে ঘরের ভিতর আটকে হত্যা চেষ্টা চালায়। আমার পরিবারের সদস্যদেরও হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকী ধামকী অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গাংনী থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনা হোক। যাতে করে এলাকায় নতুন করে আর কেউ মাদক ব্যবসা ও সেবন করতে সাহস না পাই।

এম এস স্পিনিং মিলস কারখানায় শ্রমিক বসন্ত