Advocate Zahir
Nearby law practices
Illovo Muse 198 Oxford Road Illovo Sandton 2194 Johannesburg, Rajshahi Division
Rajshahi Division 76804-421
Piso, Lima
Rajshahi Division
Rajshahi Division
Rehovot
Kotputli
Gauteng, Rajshahi Division
Dubai
Itiam Street Off Nepa Line Uyo, Uyo Itam
Munshiganj 1553
Calicut
Delhi
Lima
Advocate
Bachelor of laws (LL.B.), Master of laws (LL.M.)
সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না।
অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার ১৫০ টাকা, সে সময়ের ১৫০ টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।
ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল- এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা__
কবি মনের নীরব কান্না, যাতনা লিখে দিলেন কবিতায়__
"ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে
আমার গানের বুলবুলি।
করুণ চোখে চেয়ে আছে
সাঝের ঝরা ফুলগুলি।।
ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলা কে গান গেয়ে,
নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে,
বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যারাণী চুল খুলি।।
কাল হতে আর ফুটবে না হায়, লতার বুকে মঞ্জরী
উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস মর্মরী।
গানের পাখি গেছে উড়ে শূণ্য নীড়,
কন্ঠে আমার নেই যে আগের কথার ভিড়,
আলেয়ার এই আলোতে আর আসবে না কেউ কুল ভুলি।।
একজন সন্তানহারা পিতার কি নিদারুণ কষ্ট। যদিও এই মানুষটাই বাংলা সাহিত্যকে অনেক কিছু দিয়েছেন। দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, জেল খেটেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে সেই মানুষটার পিছন থেকে সবাই সরে যায়,একেবারে ভুলে যায়, যাদের জন্য তিনি সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে গেছেন।
তিনি আমাদের জাতীয় কবি। বিদ্রোহী কবি।
বিনম্র শ্রদ্ধা।
© সংগৃহীত।
#রিজিকের #স্তর:
রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর- খাদ্য, সম্পদ ইত্যাদি।
রিজিকের সর্বোচ্চ স্তর- সুস্বাস্থ্য/সুস্থতা ।
রিজিকের সর্বোত্তম স্তর- পূন্যবান স্ত্রী এবং নেককার সন্তান।
রিজিকের পরিপূর্ণ স্তর- আল্লাহর সন্তুষ্টি।
'বল, হে আল্লাহ্ ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর আর যার থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছে সম্মানিত কর আর যাকে ইচ্ছে অপদস্থ কর, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।'
আয়াত: ২৬, সূরা: আল ইমরান।
নামজারি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
এক পেয়াজেই বছর পার😀
১৭তম #বিজেএস #পরীক্ষা ২০২৪
আমাদের #গাজীপুর নিয়ে #ইত্যাদি #অনুষ্ঠান
আলহামদুলিল্লাহ ।
আমরা আল্লাহর কোন নেয়ামত অস্বীকার করতে পারবো? কোনোটিই পারব না । আমরা সর্বদা আল্লাহর নেয়ামতের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি।
দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায়
নাচলে লোকের স্বস্তি কোথায়?
#সাহরী ও #ইফতারের #সময়সূচি ২০২৪
#গাজীপুর , #ঢাকা , #বাংলাদেশ
#কবর #কবিতা – #পল্লী #কবি #জসীম #উদ্দীন
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!
হেস না হেস না শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে!
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে,
পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে।
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,
আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।
এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।
সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিনমান ভরি।
গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে,
ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধারে ঘরে পথ পেয়েছিল খুজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, বাছারে যাই,
বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, যাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়নজলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণব্যথার ছলে।
ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল আমার কবর গায়
স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।
সেই যে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরুছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়।
জোনকিমেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা! আয়;
ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!
এখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, দাদু যেন কাল এসে
দুদিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কশাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণবীণ!
কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে।
ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেহ ভালো,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়।
আমার বুজীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু, সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা!
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদির ছবিখানি মোর হদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।
একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে।
কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে।
আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি,
দাদু! ধরধর বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু,
কথা কস নাকো, জাগিয়া উটিবে ঘুমভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে,
দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে !
ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিয়ে ঘন আবিরের রাগে,
অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সুকরুণ সুরে,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূরে।
জোড়হাত দাদু মোনাজাত কর, আয় খোদা! রহমান।
ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যুব্যথিত প্রাণ।
মোঃ জহিরুল ইসলাম Zahir Dhaka, Bangladesh
কেউ তোমাকে নিয়ে হিংসা করলে তাকে হিংসা করতে দাও। কারণ তোমার গুন আছে বলে সে হিংসা করে।
দুঃখকে গ্রহণ করে নিন তাতে একদিন সুখ পাবেন।
"শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এত দিবেন যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে ।"
(সূরা-দোহা ০৫)
আলহামদুলিল্লাহ
#ফৌজদারী #কার্যবিধি ১৮৯৮
#নোট
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন কত সনে প্রণীত হয়?
উত্তর : ১৮৯৮ সনে।
২।ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে কতটি ধারা আছে?
উত্তর : ৫৬৫টি ধারা।
৩ : ফৌজদারী কার্যবিধির কার্যকারিতা কতটুকু?
উত্তর: ফৌজদারী কার্যবিধি বাংলাদেশের সর্বত্র প্রযােজ্য হবে।
৪ : বিচার্য বিষয় বলতে কি বুঝ?
উত্তর : মামলার ফলাফল যে সব তথ্যের উপর নির্ভর করে তাই বিচার্য বিষয়।
৫: অপরাধীর সহযােগীকে ক্ষমা প্রদর্শনের বিধান কত ধারায় আলােচিত হয়েছে?
উত্তর : ৩৩৭ ধারায়।
৬ : জামিনযােগ্য অপরাধ কি?
উত্তর : যে সব অপরাধ ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে জামিনযােগ্য বলে দেখানাে হয়েছে অথবা যা বর্তমান বলবৎ কোন আইন দ্বারা জামিনযােগ্য করা হয়েছে। তাই জামিনযােগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
৭ : অপরাধ কি?
উত্তর : অপরাধ বলতে যে সকল কার্য বা কার্যবিরতি বুঝায় বা বর্তমানে বলবৎ কোন আইনে শাস্তিযােগ্য।
৮ : চার্জ (Charge) কত ধারায়।
উত্তর : ২২১ ধারায়।
৯ : Cognizable offence কি ?
উত্তরঃ যে সকল অপরাধে পুলিশ অফিসার বিনা গ্রেফতারী পরােয়ানায় (Warrant) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে তাকে আমলযােগ্য বা Cognizable offence বলে। যেমন-চুরি, খুন, ডাকাতি ইত্যাদি।
১০ : Judicial proceeding কি?
উত্তরঃ Judicial proceeding বা বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম বলতে কার্যক্রমকে বুঝায় যাতে আইন সম্মতভাবে শপথপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে। [ধারা ৪(৬)]
১১ : আদালত গ্রাহ্য মামলা কি?
উত্তর : আদালত গ্রাহ্য মামলা বলতে ঐ সকল মামলাকে বুঝায়, যেখানে পরােয়ানা ছাড়াই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে।
১২ : Discharge কি?
উত্তর : সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে যেক্ষেত্রে বিচারের পূর্বেই আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাই Discharge বা মুক্তি। অবশ্য তাতে আসামী নির্দোষ প্রমাণিত হয় না। দোষ প্রমাণিত হলে পরে তাকে ধরা যায় বা গ্রেফতার করা যায় । (২৪১ক ধারা)
প্রশ্ন ১৩ : Dismiss কি?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ২০২ ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদির জবানবন্দী নিয়ে তদন্তের ফল দেখে বা অনুসন্ধানের পর যদি দেখতে পান যে, আসামীর বিরুদ্ধে আপাত দৃষ্টিতে কোন মামলা নেই তাহলে তিনি নালিশ বা অভিযােগের আবেদন বাতিল (dismiss করে দিতে পারেন।
১৪ : খালাস (Acquittal) কি?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫-জ ধারা অনুসারে সাক্ষ্য প্রমাণাদি গ্রহণের পর বিচারে আসামী নির্দোষ হলে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয় ইহাই খালাসের আদেশ।
১৫ : F.I.R এর পূর্ণ অর্থ কি?
উত্তর : First Information Report মামলায় একে এজাহার বলে এবং ইংরেজী ভাষায় সংক্ষেপে F.I.R বলে। ইহার অর্থ প্রাথমিক তথ্য বিবরণ।
১৬ : কত ধারা মােতাবেক FIR হয়?
উত্তর : ১৫৪ ধারা মােতাবেক।
১৭ : কে F.I.R দিতে পারে?
উত্তরঃ কোন অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধ সম্পর্কে জ্ঞাত যে কোন ব্যক্তি F.I.R .বা এজাহার দায়ের করতে পারে।
১৮ : F.I.R কি?
উত্তরঃ কোন অপরাধ সম্পর্কে থানায় প্রাথমিকভাবে যে খবর দেয়া হয় তাই বা এজাহার যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।
১৯। FIR করার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি?
উত্তর : FIR দায়ের করার কোন সময়সীমা নেই। তবে অপরাধটি সংঘটিত হয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থানায় উক্ত অপরাধ সংঘটনের খবর দিতে হয়।
২০ : অভিযােগ কি?
উত্তরঃ কোন ক্ষমতাবলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আদালতে অপরাধ সম্পর্কে যে খবর দেয়া হয় তাই নালিশ বা অভিযােগ।
২১: অভিযােগ ও এজাহারের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর : অভিযােগ করা হয় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ও এজাহার দায়ের করা হয় থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের নিকট।
২২ : মামলা স্থানান্তর সম্পর্কে ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আলােকপাত করা হয়েছে?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৬, ৫২৬(খ) এবং ৫২৮ ধারা অনুযায়ী।
২৩: অনুসন্ধান (Inquiry) কি?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪(ট) মােতাবেক কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত। কর্তৃক পরিচালিত বিচার ব্যতিত সমস্ত কার্যক্রম।
২৪: পুলিশ অফিসার বিনা পরােয়ানায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারে কি?
উত্তর : Cr.P.C এর ৫৪ ধারার উল্লেখিত ০৯ টি ক্ষেত্রে একজন পুলিশ অফিসার বিনা পরােয়ানায় কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে।
২৫: গ্রেফতার কি?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪৬(১) অনুসারে কথা বা কার্যদ্বারা আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ অফিসার অথবা গ্রেফতারকারী অন্য কোন ব্যক্তি গ্রেফতার করার সময় যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার দেহ স্পর্শ বা আটক করবেন হন ।
২৬ : কত ধারায় পুলিশ অফিসার বিনা পরােয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে?
উত্তর: ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায়।
২৭ঃ হুলিয়া (Proclamation) কি?
উওর ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৮৭ মােতাবেক গ্রেফতারী এড়াবার জন্য যিনি আত্মগােপন করেছে তাকে অথবা পলাতক অপরাধীকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হবার জন্য আদালত যে লিখিত আদেশ দেন তাই হুলিয়া।
২৮ঃ ফেরারী অপরাধী কে?
উত্তর: অপরাধ করার পর যে ব্যক্তি গ্রেফতার এড়াতে চেষ্টা করে বা আত্মগােপন করে তাকে ফেরারী অপরাধী বলে।।
৩০ ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারা অনুসারে ভরণপােষণের মামলা দায়ের করা যায়?
উত্তর ঃ ৪৮৮ ধারা।
৩১ ঃ কত ধারা অনুযায়ী ফৌজদারী মামলা স্থানান্তর করা যায়?
উত্তর : ৫২৬ ও ৫২৬-খ ধারা।
৩২ ঃ আপীল কত ধারায়।
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫০, ৪০৫, ৪২৩-ঘ, ৪৮৬, ৫১৫, ৪২০ ও ৫২৪ ধারায় ।।
৩৩ ঃ আসামীকে কোর্টে হাজির করার কি কি পদ্ধতি আছে?
উত্তর : আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারী করে, ওয়ারেন্ট জারী করে অথবা অপরাধী ঘােষণা করে এবং তার সম্পত্তি ক্রোক করে।।
৩৪ ঃ ফৌজদারী মামলা কখন দায়ের করতে হবে এ সম্পর্কে আইনের বিধান কি?
উত্তর : ফৌজদারী মামলা দায়েরের কোন নির্দিষ্ট বিধান আইনে নেই। তবে ঘটনাটি ঘটার সংগে সংগেই মামলা দায়ের করা প্রয়ােজন। কারণ বিলম্বের কারণে ন্যায়বিচারের বিঘ্ন ঘটে।
৩৫ ঃ চার্জ গঠন কত ধারায়?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪২ ধারায়।
৩৬: ৩৯৯ ধারায় কি বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : তরুণ অপরাধীর চরিত্র সংশােধনের জন্য আটক রাখার বিধান বর্ণিত হয়েছে।
৩৭ ঃ পুলিশের কাছে স্টেটমেন্ট রেকর্ডের ধারা কত?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারায়।
৩৮ ঃ ১৪৫ এবং ১০৭ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর ঃ ১৪৫ ধারার বিধানগুলাে আবেদনমূলক এবং ১০৭ ধারার বিধানগুলাে বিবেচনামূলক।
৩৯ ঃ কোন পুলিশ অফিসার কি কোন স্ত্রীলােকের দেহ তল্লাশি করতে পারে?
উত্তরঃ না। মেট্রোপলিটন মহিলা পুলিশ অফিসার তল্লাশির প্রয়ােজন হলে শালীনতা বজায় রেখে তল্লাশি করতে পারে।
৪০ ঃ C.S এর অর্থ কি?
উত্তর ঃ charge sheet.
৪১ ঃ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ কত ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দোষ স্বীকারােক্তি করা হয়?
উত্তর ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়।
৪২ ঃ C.D এর অর্থ কি?
উত্তরঃ Case Diary.
৪৩ ঃকোন ধারা অনুসারে অ-আমলযােগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট পরিবেশন করা হয়?
উত্তর ঃ ১৫৫ ধারা।।
৪৪ ঃ কোন ধারানুসারে সরেজমিনে অনুসন্ধান করা হয়?
উত্তর ঃ ১৪৮ ধারা।
৪৫ ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির কোন কোন ধারায় রিভিশন সংক্রান্ত বিধান রয়েছে?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৫, ৪৩৯ ও ৪৩৯-ক ধারায়।
৪৬ ঃ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা কি?
উত্তর ঃ অনধিক ৫ বছর জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
৪৭ : ভরণপােষণের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল চলে কি?
উত্তর : না।
৪৮ : হাইকোর্টে রিভিশন করার ক্ষমতা কত ধারায় বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৯ ধারায়।
৪৯ ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারানুসারে দায়রা জজ রিভিশনের ক্ষমতা প্রয়ােগ করে?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৯(ক) ধারা অনুসারে।
৫০ ঃ অভিযােগ খারিজ করণের বিরুদ্ধে আপীল করা যায় কি না?
উত্তর ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারা মােতাবেক খারিজ করণের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়?
৫১ ঃ স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরােধের ফলে শান্তিভঙ্গের আশংকা দেখা দিলে কত ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়?
উত্তর : ১৪৫ ধারা।
৫২ঃ দায়রা আদালতের বিচার পদ্ধতি কত ধারায়?
উত্তর : ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫(ক) হতে ২৬৫(১) ধারায়।
৫৩ঃ বিপদ অথবা আসন্ন বিপদের জরুরী পরিস্থিতিতে অস্থায়ী আদেশ জারী করার ধারা কত?
উত্তর: ১৪৪ ধারা।।।
মোঃ জহিরুল ইসলাম
Zahir
BSS, LL.B, LL.M
#আখেরী #মোনাজাত #বিশ্ব #ইজতেমা প্রথম পর্ব ২০২৪
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Gazipur
1700
মাওনা চৌরাস্তা
Gazipur, 1740
আমরা যদি আইনের জন্য শ্রদ্ধা কাম্য করি, তাহলে আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধা করার মতো আইন বানাতে হবে।
Judge Court
Gazipur
Hello! I am Advocate A.K.M. Hossain Uzzal. I am here to help you.
Gazipur, 1740
a provide effective and innovative legal solutions to our clients in a time-bound manner adhering to internationally acceptable standards of quality. To attain professional excelle...