Khondkar Golam Mortoza
Short Biography of the Poet English January 15,1947 Poet Khondokar Golam Mortozar Moni Jessore
Fuf
"কবি নজরুল"
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
পরাধীনতার জিঞ্জির ভেঙে
সাহিত্য সাগরে তুমি কবি নজরুল।
কবিতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে,
গানের ভুবনে হলে বুলবুল।
তোমার লেখনি প্রেরণা মোদের,
জাতীর বেঁচে থাকার আশা।
তোমার গানে মুগ্ধ বাঙ্গালী,
খুঁজে পেয়েছে ভালবাসা।
ছন্দে ছন্দে গান,
দামামার মাঝে।
উন্নতশির গগন ভেদী রণরঙ্গনে,
মুহুমুহু কামান গর্জে।
তুমি সেই নজরুল দেশ মাতৃকার টানে,
যুদ্ধসাজে অস্ত্রহাতে,
শত্রু নিধনে দূর্বার রণে
কাটিয়েছে কতদিন, ঘুমাওনি রাতে।
অবশেষে যুদ্ধ শেষে
জয়ী তোমার দেশ।
মুক্তি পেল ভাষা,
তোমার লেখনি জাগ্রত আজ
প্রতিষ্ঠিত তোমার জাতি, তোমার আশা।
অসতি নারী
"খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা"
নরের জীবনে অসতি নারী
করে বিভ্রাট।
ছলনাময়ী নারী,
দুশ্চরিত্রহীনা লম্পট।
নরকে নারী করেছে বন্দি,
অসতি নারী মানে না সন্ধি।
তাই তারা ঘর গড়ে,
ঘর ভাঙ্গে।
স্বামীর অগোচরে দেহ মেলায়
অপারের সঙ্গে।
ভাল লাগা ভালবাসা অসতি নারীর জন্য
সময়ের ব্যাপার মাত্র।
নিবিড় প্রেম কথাটি ভ্রষ্টানারীর জন্য
কামনার একটি রাত।
এরপর সব শেষ,
প্রেম প্রীতি ভালবাসা,
এ জাতীয় নারীর প্রতি বিশ্বাস
সৎ পুরুষের জন্য সর্বনাশ।
এসব নারী সম্ভমহীনা বেঈমান,
দোজকের কীট।
অসতি নারী ছলনাময়ী
ভয়ঙ্কর চিট।
এ জাতীয় নারীর করতে নেই বিশ্বাস,
এদের চরিত্রে কুৎসিত রূপ
সাপিনীর নিশ্বাস।
অসতি নারী সুন্দর পুরুষের
জন্য অভিশাপ।
ছলনাময়ি নারীর ভালবাসা
ভয়ঙ্কর পাপ।
মা
একটি শব্দ মধুর অতি
যখন শুনি মা।
হাজার শব্দ মলিন তখন,
হয়না মায়ের তুলনা ॥
ক্ষুধা তৃষা যাই ভুলে যাই,
মায়ের দুগ্ধ পানে।
সকল ব্যথা দুঃখ ভুলি,
মায়ের ঘুমপড়ানি গানে ॥
হাঁটি, হাঁটি, পায়ে, পায়ে,
বয়স যখন হয়।
মা আমার ছাঁয়ার মত,
পাশে পাশে রয়।।
হাতটি ধরে চলতে আমায়,
মা যোগায় যখন শক্তি।
শিশু থেকে কিশোর হয়ে,
পাই যেন মুক্তি ॥
এমনি ভাবে সকল কাজে
মাকে পাশে পাই।
তার চেষ্টায় সফলতা
আমরা খুঁজি তাই ॥
মা ছাড়া মোর আপনজন,
আরতো কেহ না।
আদরিণী, সোহাগিণী
আমার সোনার মা।।
পুত্র আর ভাইপো নিয়ে তোলা ছবি
শুভ নববর্ষ ১৪৩১
ঈদ মোবারক
স্বাধীনতার সংগ্রাম
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
মুজিব মানেই স্বাধীনতা,
মুজিব মানে বাংলাদেশ।
শেখ মুজিবের বজ্রকণ্ঠে,
মুক্ত স্বাধীন বঙ্গদেশ।
দেশের সেরা মুক্তিযোদ্ধা,
দেশ জনতার আন্দোলন।
পরাস্ত ঐ পাকবাহিনী,
বাংলা ছেড়ে পলায়ন।
জয় বাংলা শ্লোগানে,
পাকবাহিনী কম্পমান।
বঙ্গবন্ধুর হুঙ্কারে,
ভেঙ্গে গেল পাকিস্তান।
যোগ্য নেতার নেতৃত্বে,
দেশ জনতা একসাথে।
মুক্তি যোদ্ধার বিজয় গাঁথা,
ছড়িয়ে পড়ে ঘাটে মাঠে
সবখানে একই ধ্বনি,
শহর বন্দর গাঁও গ্রাম।
ভাইয়েরা আমার তোমরা জানো,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।
একুশে ফেব্রুয়ারী
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
ভাই হারানো দুঃখের ব্যথা
ভুলতে কি আজও পারি?
রক্তে ঝরা রাঙ্গা এ প্রভাত
এলো একুশে ফেব্রুয়ারী।
বর্ণমালা বাঙ্গালী জাতির,
বাঁচা মরা অধিকারে।
যুদ্ধে যোদ্ধা বরকত সালাম
রক্তের মালা পরে।
রফিক জব্বার শফিক বরকত
শত শহীদের তরে।
শ্রদ্ধা জানাতে বারে বারে ফিরি
একুশে ফেব্রুয়ারী।
গলে গলে সবে একসাথে মিলে
লড়েছে বাঙালী নারী।
বাংলার বাঙ্গালী জাতিকে বাঁচাতে
এলো একুশে ফেব্রুয়ারী।।
"মনে মনে ভাবি আমি"
(খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা)
মনে মনে ভাবি আমি
ভাবি একা বসে।
মৃত্যু হলেও হয় যেন,
সোনার বাংলাদেশে ॥
মাটির বুকে আমার বাসা,
সোনার দেশ আমার আশা।
পাই যেন সব সময়ে,
দেশ জনতার ভালবাসা ॥
গ্রাম-গঞ্জ শহর ময়,
দেশের উন্নয়ন যেন হয়।
এই আশাতেই পথ চাওয়া,
সোনার বাংলার প্রত্যশায় ॥
কুয়াশা ঘেরা শীতের সকাল
(তোমায় জানতে ইচ্ছা করে)
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
তোমায় জানতে ইচ্ছা করে মাওলা,
তোমায় দেখতে ইচ্ছা করে।
কোনরূপে আছ তুমি,
কোনরূপে জাহিরে ।
তোমায় জানতে ইচ্ছা করে মাওলা,
তোমায় দেখতে ইচ্ছা করে।
অনেক রূপের জগৎ তোমার,
তুমি জাহির কোন রূপে।
তোমার কোন খেলায় সৃষ্টি মোরা,
ভবে এলাম কোন পাপে।
তোমায় জানতে ইচ্ছা করে মাওলা,
তোমায় দেখতে ইচ্ছা করে।
পাহাড় পৰ্ব্বত নদী নালা,
সমুদ্র আর, গাছপালা।
কোন রূপে কোন খেলা,
তুমি খেলছো নিরালয়ে।
তোমায় জানতে ইচ্ছা করে মাওলা,
তোমায় দেখতে ইচ্ছা করে।
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা,
জীব বৈচিত্র রং এর মেলা।
সেথায় খেলছ্যে খেলা নিরবধি,
সারা রাত দিনের বেলা।
তোমায় জানতে ইচ্ছা করে মাওলা,
তোমায় দেখতে ইচ্ছা করে।
জয়তু হাসিনা
(খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা)
গণতন্ত্রের মানসকন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির গর্ব দেশরত্ন
রাজনীতিতে অনন্যা।
বাংলা ভাষার মর্যাদা নিয়ে
দেশ করেছেন আলো।
বিশ্ব মাঝে বাঙ্গালী জাতি
ভাষার মর্যাদা পেল।
ফারাক্কা চুক্তি জাতীয় মুক্তি
নদী ভরেছে জলে।
যোগ্যনেত্রীর নেতৃত্ব তাই
উৎপাদন মাঠে, ঘাটে, কলে, মিলে।
শান্তিচুক্তি দেশের মুক্তি
দিলেন হাসিনা।
পাহাড়ের ধন, যা ছিল অজানা
দেশবাসির সবি, হলো তা জানা।
বিশ্বমাঝে ঠায়পেল জাতি,
ক্রিকেটে এনেছে মান।
বিশ্বকাপে খেলবে বাঙ্গালী।
শেখ হাসিনার অবদান।
বিদ্যুৎ বাতি পাকা সড়ক,
গ্রামের বেড়েছ মান।
কৃষকের গোয়ালে দুধের গাভী
মাঠ ভরা পাকা ধান।
এমন নেত্রী বঙ্গে জন্মে
দেশ হয়েছে ধন্য।
বিশ্ব দিয়েছে ডক্টরেট উপাধি
তিনি বিশ্ব বরেণ্য।
গর্ভে ভরেছে মোদের বুক
নেত্রিকে হলো জানা
বঙ্গবন্ধু নয়নের পুতলি
জয়তু শেখ হাসিনা।
"নিত্য পন্যের দাম বৃদ্ধি জনমনে অশান্তি "
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বাদশ নিবাচনের শুভেচ্ছা দেশবাসীর জন্য আপনি অনেক গৌরব সময় উন্নয়ন করেছেন। দুঃখের বিষয় আপনার এ-ই উন্নয়ন নিত্য পন্যের দাম বৃদ্ধির কারনে মূলান হতে বসেছে । বিষয়টির দিকে ক্ষিয়াল রাখবেন। ধন্যবাদন্তে,গোলাম মোত্তজা মনি (যশোর)
#স্বাধীনতা
" খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা "
স্বাধীনতা তুমি রক্তে ভেজানো,
কৃষক বধুর ছেলের।
স্বাধীনতা তুমি পুত্র হারা,
করুন ব্যথা মায়ের।
স্বাধীনতা তুমি লাল রক্তের,
গোলাকার এক পিন্ড।
স্বাধীনতা তুমি বধুর কান্না,
বিধবা নারীর অশ্রু ভেজা গণ্ড।
স্বাধীনতা তুমি ধানের ক্ষেতের
স্নিগ্ধ বাতাসের দোলা,
স্বাধীনতা তুমি বধুর হাতের,
লাল টুকটুকে বালা।
স্বাধীনতা তুমি বাংলা মায়ের,
মুক্ত ঝরা হাসি।
স্বাধীনতা তুমি কৃষকের ক্ষেতের
সোনালি ধান রাশি রাশি।
স্বাধীনতা তুমি দেশ জনতার
হাসি কান্নার খেলা।
স্বাধীনতা তুমি নব দিগন্তে
লাল সূর্যের মেলা।
স্বাধীনতা তুমি বাঙ্গালী জাতির
জমে থাকা শত ব্যথা
তিল তিল করে জমানো স্বপ্ন,
আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
"সুখের সংসার"
{খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা}
পুত্রবধু বৌমা আমার,
যেদিন আসলো মোদের ঘরে।
জোসনাভরা চাঁদের আলোয়,
উঠলো ঘর ভরে।
শত মানুষ পাড়া পরশি,
আমার যত আপনজন।
বৌমা দেখে সবাই খুশি,
ভোরলো সবার মন।
দোয়া করলো সকল জনে,
হাসি মুখে দেখলো সবে একমনে।
মহল্লাবাসি আমার সকল,
নিকট দুরের আত্মীয় সজন।
বৌমা দেখে সবার প্রাণ জুড়াই,
তার মুখের মিষ্টি ভাষা।
সুন্দর চাহনি দেখতে বাহার,
"বিস্ময়" দারুন খাসা।
বাড়ির সবে বৌমা পেয়ে দারুন খুশি,
আলোয় যেন ভরে গেল ঘর।
নতুন বৌও এর আগমনে,
আমাদের সুখের সংসার।
কারবালার মাটির বুকে
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
কারবালার ঐ মাটির বুকে,
ঘুমিয়ে আছে আমার “ইভা” সোনা।
সে ছিলো আমার প্রাণের স্পন্দন,
কানিজ ফাতিমা আমার আদরের কন্যা।
বিশটি বছর লালন করে,
বিয়ের পর সে স্বামীর ঘরে।
পাইনি সুখ একটুও সে,
আঘাত করে তার ক্যান্সারে ।
সে অনেক আশায়,
স্বামীর ভালবাসায়,
গড়ে ছিলো সংসার।
যন্ত্রণায় তার সুখের স্বপ্ন,
হয়ে গেল ছারখার।
মৃত্যুর সময় জড়িয়ে ধরে,
বলেছিল ও'মা ও বাবা,
তোমরা আমায় দোয়া করো,
তার যেন পাই দেখা।
এর একটু পরেই ঘুমিয়ে গেল,
আর হলোনা কথা।
সেই থেকে মন কাঁদে,
প্রাণে অনেক ব্যাথা ।
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমেরিকার বর্তমান সরকারের গায়ের জ্বালা"
গোলকার গোলাম মোর্তুজা মনি যশোর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমেরিকা বর্তমান সরকারের গায়ের জ্বালা। দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদ তারা এই বিষয়টি মনে রেখেছে। ফলে আমেরিকার বাংলাদেশি দোসর স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি জামাতে ইসলাম ও পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক গোষ্ঠির সাথে আমেরিকার যুগপথ আন্দোলনের মিল থাকায় বর্তমান স্বাধীন দেশটির উপর দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক কুনজর রয়েছে। মার্কিন সাম্রজ্যবাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে পাকিস্তানের লুটেরা দখলদার সন্ত্রাসি শাসকদের হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভুলণ্ঠিত করতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এই সময়ে ভারতের অনমনীয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন থাকার কারণে এবং রাশিয়ার প্রতিরোধের কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধের বাধাদান থেকে আমেরিকা পিছু হটে। ফলে ভারতের মিত্র শক্তির সহায়তায় ও বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ফলে স্বাধীনতার পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্রনায়ক বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক ও পরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রাপ্তির সদ্য স্বাধীন দেশ গড়তে মনোনিবেশ করেন। ঠিক ঐ সময়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে এ দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং নবগঠিত সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দলীয় বেইমান খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদের নেতৃত্বে এবং সেনা শাসক মেজর জিয়াউর রহমানের পরোক্ষ সহযোগিতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের অথযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তৎকালীন সময়ে অনেক নাটক বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারী রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চে মঞ্চস্থতা হয়। এরপর জিয়া সরকারের পতনের পর পরবর্তীকালে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেন এবং ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হয়ে দেশবাসীর জন্য উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন।শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করায় বর্তমান আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদ বিষয়টি পছন্দ করেনি। এই দেশটি সর্বসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশটাকে দরিদ্র্য ও ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টার কারণে আমেরিকার মনে শেখ হাসিনা ভীতি দেখা দেয়। কারণ আমেরিকার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন দারিদ্রতায় যেন দিনাতিপাত করে। এই দেশটি যেন তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল রুপে পরিগণিত হওয়ায় আমেরিকার বর্তমান সরকারের এই হীন উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। ফলে দেশটাকে ধ্বংস করতে জামাতে ইসলামি সহ জাতীয়তাবাদি দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা সোনার বাংলাদেশকে ধ্বংসের জন্য জ্বালাও পোড়াও নীতিতে অটল থেকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত রেখেছে। আমেরিকা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে জ্বালাও পোড়াও নিতি বাংলাদেশের অনিষ্ট করে যাচ্ছে, ফলে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রতিদিন আগুনে পুড়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। এই বর্তমান আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদ তাদের কুটনৈতিক বুদ্ধির চালে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে এই দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
"কলঙ্কিত ইতিহাস"
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
তেসোরা নভেম্বর শোকাবহ,
জেল হত্যা দিবস।
নজির বিহিন নিষ্ঠুরতার,
কলঙ্কিত ইতিহাস।
উনিশশ পচাত্তরের এই দিনে,
ঘাতকের বুলেটের আঘাতে।
শহীদ জাতীয় চার নেতা,
“অবাক পৃথিবী” ব্যথিত দেশজনতা।
খুনি মোসতাক তার লোভ লালসা,
স্থায়ী করতে রাষ্ট্র ক্ষমতা।
গড়ে তোলে সন্ত্রাসি গোষ্ঠি,
আর খুনিদের একতা ।
চারনেতা সৈয়দ নজরুল,
তাজউদ্দীন আহম্মেদ ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী,
কামরুজ্জামান।
যারা ছিলেন দেশ ও জাতির প্রাণ,
তাদের খুনের ইন্ধনে ছিলো পাকিস্তান।
একে একে চারবীর হলেন শহীদ,
ঘাতকের বুলেটের আঘাতে।
সেই কলঙ্কিত ইতিহাস আজও জাতির ললাটে,
বারে বারে তাই ঘুরে ফিরে আসে,
তেসোরা নভেম্বরের প্রভাতে ।
সোনার বাংলার প্রত্যাশায়
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
হরতাল নয়,অবরোধ নয়,
দেশের সম্পদ নয় অপচয় ।
হিংসা ভুলে উন্নয়নে,
দেশ জনতার কাম্যতাই ॥
বোমার গর্জন বন্দ হোক,
জান মালের নিরাপত্তায় ।
যানবাহনে আগুন কেন?
গার্মেন্টস কেন পুড়ে ছাই ॥
পেট্রোল বোমার আর গানপাউডারে,
মানুষ কেন দগ্ধ হয়।
সোনার ছেলেরা জঙ্গি কেন?
কোন প্রভুর ইশারায়।।
শোনেন বন্ধু দাদা মশায়।
শোনেন দেশের মুসলিম ভাই
বিভেদ ভুলি উৎপাদনে,
সোনার বাংলার প্রত্যাশায় ॥
বাবা
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
জন্মদাতা, বাবা তুমি,
তুমি বংশের মান।
তোমায় নিয়ে গর্ব সবার,
তুমি সবাকার সম্মান।।
মোদের শিক্ষার উন্নতিতে,
তোমার অবদান।
সকল কাজে তোমার মেধায়,
পেয়েছি সম্মান।।
মিটিয়েছ তুমি সকল আশা,
যা কিছু প্রয়োজন।
জগৎ সংসারে, যে টুকু পাওয়ার,
সবই তোমার উন্নয়ন।।
তুমি দিয়েছো স্নেহ, আদর,
অফুরন্ত ভালোবাসা ।
তোমার জন্যে সবে মোরা,
পেয়েছি বাঁচার আশা।।
শেষ চরণে তোমার দিবসে,
তোমাকে করি স্মরণ ।
বেঁচে রঙ বাবা মোদের স্মৃতিতে,
বাবা বেঁচে থাক আমরণ।।
রিমঝিম বৃষ্টি
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
রাত করে ঝুম, ঝুম,
মোর চোখে নেই ঘুম।
রাতভর, রিম, ঝিম, রিম,
ঝিম বৃষ্টি আর বৃষ্টি ||
গান, গায়, ঝি, ঝি, পোকা,
টিপ, টিপ, আলো দেয় জোনাকি ।
সুন্দর মনোরম সেই সৃষ্টি
রাতভর বৃষ্টি, আর বৃষ্টি।।
ঘুমে, ঘুমে, বাড়ি ঘরে মানুষে,
সারাদিনের খাটুনের ক্লান্তি ।
বৃষ্টির আবেশে দেহ মনে,
নেমে আসে শান্তি ৷।
দূর মাঠে, খালে বিলে,
বৃষ্টির শা, শা শব্দ ।
রুই, কাতল মাছ গুলি,
জেলেদের জালেতে জব্দ।।
ধোড়াসাপ, পুটি মাছ, ধরে ঐ,
ছুটে চলে ডাঙ্গায় ।
ডোবার কিনারে বসে,
কোলা ব্যাংঙ দল বেধে গান গায়।।
সু, মধুর সুন্দর সেই সৃষ্টি,
রাতভর বৃষ্টি আর বৃষ্টি।।
হযরত গরীব শাহ্ (রহঃ)
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা মনি
যশোরের বুড়ি ভৈরব নদীর কুলে
ঘুমিয়ে আছেন শাহেন শাহ।
আল্লাহর ওলি নবীর উম্মত,
হযরত গরীব শাহ্ (র)।
সবার দুঃখে হাত তুলে ঐ,
তিনি কাঁদেন খোদার কাছে।
ভুলপথে বান্দা তোমার,
দুঃখ ব্যথায় আছে।
মাফ করে দাও হে রহমান,
তোমার বান্দার গোনাহ।
মিনতি আমার চাইছি আমি,
সকল ভক্তের পানাহ্।
রোগে শোকে তোমার দাস,
হয় যেন নিরাময় ।
বিশ্বপালক আল্লাহ তুমি,
সকল বান্দার সহায়।
মহান খোদা আল্লাহর ওলির,
এমন প্রার্থনায় ।
যশোর বাসির সব বিপদে
খোদা পাশে রয়।
একারণে হাজার মানুষ,
হিন্দু-মুসলিম গণ।
মাজার দর্শন জিয়ারতে,
আসেন সর্বক্ষণ।
মহাপুরুষ গরীবশাহ বাবা,
মহান আল্লাহর দান।
ঘুমিয়ে আছেন বকুলতলায়,
যশোরের সম্মান।
সুখের সংসার
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা মনি
মনোয়ারা আমি তোমায় ভালবাসি,
ভালবাসবো জীবনভর।
তুমি আমার চোখের আলো,
তোমায় নিয়ে সংসার।
ছেলে-মেয়ে আমাই স্বজন,
তোমার অবদান।
তোমার জন্যে আমার উপর,
আল্লাহ মেহেরবান।
বউ হয়ে যেদিন আসলে ঘরে,
ঘর আলো করে।
চাঁদ যেন উকি দিলো,
আমার কুঁড়ে ঘরে।।
ভালবেসে বুকের মাঝে,
তোমায় দিলেন ঠাঁই।
পেয়ে তোমায় খুশি আমি,
খুশি সর্বদায় ।
বড় ছেলে নয়ন এলো,
মিষ্টি সোনার মুখ ।
সব দুঃখ ভুলে গেলাম,
পেলাম দারুন সুখ।
স্মৃতি এলো তোমার কোলে,
সুখ-শান্তি এলো ফিরে।
সুমন ববির আগমনে,
তোমায় থেকে একটু দূরে।
হঠাৎ কাজে জড়িয়ে গেলাম,
মনে পাইনা সুখ।
নিলা ইতা শোভা এলো,
গর্বে ভরে বুক।
তাইতো তোমায় ভালবাসি,
দেখলে তোমার মুখের হাসি ।
সংসার আমার সোনায় ভরা,
একগুচ্ছ ফুলের রাশি।
এই দেখে দারুন খুশি,
সত্যি তোমায় ভালবাসি ।
সোনায় সোনায় ভরা মোর ঘর,
সুখি আমি দারুন সুখি, সুখের সংসার।
আমাদের গ্রাম
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা
সবুজ পাতার ছায়াঘেরা,
আমাদের ছোট গ্রাম।
তালসারি নারিকেল,
গাছে পাকে আম।
ধান ক্ষেতের ধারে ধারে,
বাবলা গাছের সারি।
পৌষ মাসে সোনালি ধান ,
মাঠ গেছে ধান ভরি।
বাঁশবনে বাদুড়ের কিচিমিচি,
ঘু ঘু ডাকে বাবলা গাছে।
কোকিলেরা গান গায়,
চড়ুই পাখি নাচে ।
এ গায়ের পাশ দিয়ে,
কুলকুল বয়ে যায় নদী ।
জেলে ভাই ধরে মাছ,
ভর দুপুরের রোদি ।
চৈত্রের দুপুরে,
হাটুজল পুকুরে।
পিপাসায় জল খায়,
পাড়ার খেকি কুকুরে।
সকালে সন্ধ্যায় মক্তবে,
কোরআন পাঠের ধুম।
মন্দিরে গীতাপাঠ,
করেন পুরোহিতগণ।
গাঁয়ের মসজিদে,
আজানের ধ্বনি।
মোল্লা মুসল্লি ছুটে চলে ,
নামাজে শুনে মধুর বাণী ।
শঙ্খ আর উলু ধ্বনি ,
পূজা পার্বন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ,
ভরে যায় মন।
খেলাধুলা হই চই ,
চলে অবিরাম
কাঁচা সোনা রোদ মাখা ,
আমাদের গ্রাম।
কবি নজরুল
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা মনি
পরাধীনতার জিঞ্জির ভেঙে
সাহিত্য সাগরে তুমি কবি নজরুল।
কবিতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে,
গানের ভুবনে হলে বুলবুল ।
তোমার লেখনি প্রেরণা মোদের,
জাতীর বেঁচে থাকার আশা ।
তোমার গানে মুগ্ধ বাঙ্গালী,
খুঁজে পেয়েছে ভালবাসা ।
ছন্দে ছন্দে গান,
দামামার মাঝে।
উন্নতশির গগন ভেদী রণরঙ্গনে,
মুহুমুহু কামান গর্জে ।
তুমি সেই নজরুল দেশ মাতুর্কার টানে,
যুদ্ধসাজে অস্ত্রহাতে,
শত্রু নিধনে দূর্বার রণে
কাটিয়েছে কতদিন, ঘুমাওনি রাতে ।
অবশেষে যুদ্ধ শেষে
জয়ী তোমার দেশ ।
মুক্তি পেল ভাষা,
তোমার লেখনি জাগ্রত আজ
প্রতিষ্ঠিত তোমার জাতি, তোমার আশা ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Jessore
74000
Manirumpur Jessore Khulna
Jessore, 7440
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সংবাদ প্রকাশ। এডমিন জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
Jessore, 7340
অনলাইন মার্কেটপ্লেস, কাজ করি খাটি গুড় ও ফলমূল নিয়ে। সরাসরি গ্রামের কৃষক এর কাজ থেকে
Jashore Khulna
Jessore, 7460
Abhaynagar Correspondent at Bangla Tv Former Abhaynagar Correspondent at SATV
Keshpur Jessore
Jessore
দেশের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে চাই