A1 House Telecom

দোকানের থেকে অনেক কম রেটে অফার নিন আমাদের থেকে।

14/09/2023

ধামাকা ১৪/৯/২০২৩ 🥰👇

BL 599👉414💸(50gb) ♨️

BL 698👉494 💸(25+700) ♨️

BL 367👉229 👉 (600minit) ♨️

BL 507👉334 💸(840minit) ♨️

BL 998👉718💸(50+1600) ♨️

গ্রামীন ৬০ জিবি ৪৮০ টাকা ✅
গ্রামীন ৩৫ জিবি+৭০০ মিনিট ৫৯০ টাকা

স্টকের উপর নির্ভর করে দাম বাড়ে কমে🔥🔥

Contact: 01714-530579

30/08/2023

চলিতেছে জিপি ধামাক 🔥🔥

Helpline: 01714-530579

16/08/2023

🔥জিপি রিচার্জের আগুন কমিশন অফার🔥

🔥 ৪.০০% কমিশন 🔥
অর্থাৎ প্রতি হাজারে ৪০৳ কমিশন

14/08/2023

Banglalink Dhamak Offer

🙋‍♂️698👉30GB+700Min👉 499 Tk🔥

🙋‍♂️599👉50 GB👉420 Tk 🔥

🙋‍♂️507👉840Min👉320 Tk 🔥

🙋‍♂️367👉600 Min👉220 Tk🔥

Stok 250+ p*s
🫶🫶
বাংলালিংক= চায়ের দামে শরবত 🥰

A1 House Telecom
01714-530579

Photos from A1 House Telecom's post 13/08/2023

আজ বাংলালিংক+জিপি ধামাকা।
রবি+এয়ারটেল তো প্রতিদিন আছেই

বিস্তারিত যোগাযোগ 01714-530579

06/08/2023

জিপি ১০জিবি+৩০০ মিনিট 🥰
১ মাস মেয়াদ,সব জিপি নাম্বারে পাবে
দাম মাত্র ২২০ টাকা।

দ্রুত লুফে নিন 🔥🔥🔥

Helpline: 01714-530579 Whatsapp

27/07/2023

বাংলালিংক ধামাকা যাচ্ছে আজ 🔥🔥

23/07/2023

আলহামদুলিল্লাহ
প্লে-স্টরে ১০০০+ ডাউনলোড ডান 🔥
বর্তমান ব্যবহারকারী সংখ্যাঃ ১২০০+

আপনিও চাইলে ফ্রিতে আমাদের সার্ভিস নিতে ইনবক্স করুন
বিস্তারিত হেল্পলাইন: 01714-530579

23/07/2023

দাম কমলো 🥰🥰

Photos from A1 House Telecom's post 23/07/2023

GP Dhamak
👉23/07/23 👈

জিপি বান্ডেল ক্যাম্পেইন।
আজকের অফার আগামীকাল পাবেন না ❎

একাউন্ট নিয়ে নিজের অফার নিজেই নিন 🥰🥰
আমাদের সফটওয়ার নিতে ইনবক্স করুন।

নিজের অফার নিজে নিতে একাউন্ট করুন ফ্রি।
ইনবক্সে তথ্য দিয়ে একাউন্ট বুঝে নিন 👇👇
১.নাম
২.মোবাইল নং
৩.জিমেইল

Whatsapp: 01714-530579

16/07/2023

GP Dhamak
👉16/07/23 👈

জিপি+বিএল বান্ডেল ক্যাম্পেইন।
আজকের অফার আগামীকাল পাবেন না ❎

একাউন্ট নিয়ে নিজের অফার নিজেই নিন 🥰🥰
আমাদের সফটওয়ার নিতে ইনবক্স করুন।

১০ টাকা খরচে নিজেই রিটেইলার হয়ে যান।

Whatsapp: 01714-530579

Photos from A1 House Telecom's post 11/06/2023

Banglalink+GP Dhamak
👉11/06/23 👈

জিপি+বিএল বান্ডেল ক্যাম্পেইন।
আজকের অফার আগামীকাল পাবেন না ❌

একাউন্ট নিয়ে নিজের অফার নিজেই নিন 🥰🥰
ফ্রিতে আমাদের সফটওয়ার নিতে ইনবক্স করুন।

10/06/2023

Add Balance on A1 House Telecom ✅

কিভাবে A1 House Telecom এ টাকা এড করবেন দেখে নিন।

Helpline: 01714-530579 (Whatsapp)

08/06/2023

Banglalink 50GB 420 TK 🔥
Banglalink 60GB 490 TK 🔥

Validity: 30 Days ♥️

দাম কম বেশি হয় কয়েকঘন্টা পর পর।

✅ আমাদের এপ্স থেকে নিজেই নিজের প্রয়োজনীয় অফার কিনুন।
প্রতিদিন সকল অপারেটরের ২০০+ প্যাকেজ চালু থাকে।

Photos from A1 House Telecom's post 06/06/2023

আজকে সকল সিমেই কম দাম চলছে ♥️

ফ্রিতে একাউন্ট নিতে
নিজের নাম,নাম্বার এবং জিমেইল পেজের ইনবক্সে দিন।

Whatsapp: 01714-530579

04/06/2023

GP Dhamaka AllBD

35GB+800 Min == 645 Tk
50GB+1600 Min== 745 Tk

যাদের প্রয়োজন নিয়ে নিন।

ফ্রি তে নতুন একাউন্ট নিতে ইনবক্স করুন।

04/06/2023

ফ্রি তে একাউন্ট নিতে ইনবক্স করুন ✅

♥️ বাংলালিংক ধামাকা ♥️

30GB+700 Min == 535 Tk 🔥
40GB+800 Min == 630 Tk 🔥
50GB+1000 Min== 680 Tk 🔥

সকল প্যাকের মেয়াদ ৩০ দিন।
শুধুমাত্র আজকের জন্য এই রেট 🔥🔥

30/05/2023

জিপি সকল বিভাগের অফার।

ফ্রি তে রিটেলার একাউন্ট নিয়ে আপনিও নিজের
এবং কাষ্টমারদের জন্য অফার নিতে পারবেন।

হাউজ রেটে অফার নিতে আজই ইনবক্স থেকে ফ্রি তে একাউন্ট করে নিন।

30/05/2023

ফ্রিতে আকাউন্টে নিতে ইনবক্স করুন

BL 35GB 390 Tk
BL 50GB 455 Tk
BL 60GB 520 Tk
BL 80GB 569 Tk

30 Days Validity. 🥰
বাংলালিংক মাসের শেষ ধামাকা আজ

Retailer Account Free 🔥🔥

A1 House Telecom 12/05/2023

_রিটেলার একাউন্ট ফ্রি_ ❤️

🔥 *A1 House Telecom* 🔥

সুবিধা সমুহঃ
✅ হাউজ রেটে অফার
✅ গ্রুপ থেকে কম রেট
✅ অটো রিচার্জ ২৪ ঘন্টা চালু
✅ রিচার্জে কমিশন ২.৫%
✅ অটো এড বেলেন্স
✅ একই বেলেন্সে রিচার্জ+ড্রাইভ
✅ মাসিক কোনো তার্গেট নেই
✅ দ্রুত অভিযোগ সমাধান

একাউন্ট নিতে তথ্য দিন ইনবক্সে।
১. নাম
২. নাম্বার
৩. জিমেইল

_টেলিকম প্রতিদিন চালু থাকে_ 🥰

*আপনার বিশ্বাসের প্রথম স্থান*
*Notice Group* ♥️♥️
https://t.me/A1HouseTelecom

Whatsapp:
https://chat.whatsapp.com/HU9JaBTTvxxFw7gU0VIzKg

A1 House Telecom হাউজ রেটে খেলা হবে, একাউন্ট নিতে ইনবক্স করুন

08/05/2023

❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️
সুখবর! সুখবর! সুখবর!!
❤️A1 House Telecom এ আপনাকে স্বাগতম❤️

❤️বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম বিশ্বস্ত টেলিকম। ❤️

❤️মাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে আপনার হাতের সিমটিকে বানিয়ে নিতে পারেন রিচার্জের সিম❤️

✅ মোবাইল রিচার্জে ২.৫% কমিশন ✅

❤️পরের উপর নির্ভরশীল না থেকে আসুন নিজেই কিছু করি ❤️

"A1 House Telecom" এপ্স এর মাধ্যমে আপনি একটি অ্যাপ দিয়ে সকল সিমের রিচার্জ করতে পারবেন এবং প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টা ড্রাইভ অফার পাবেন! প্রতিটি অফারে থাকবে ১০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন। আমাদের এই অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০-১ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে ইনশাআল্লাহ ❤️

যারা অনলাইনে অফারের ব্যাবসা করতে চান! এই পোস্টটি শুধু মাত্র তাদের জন্য!!! ❣️

🏆 কম দামে অফার নেওয়া এখন একদম সিম্পল
আপনি মসজিদ-মাদ্রাসায় 🎗️স্কুল-কলেজে লেখাপড়া বা চাকুরী-ব্যবসার পাশাপাশি এই একাউন্ট দিয়ে অনলাইন বা এলাকায় ব্যবসা করতে পারবেন৷

"A1 House Telecom" সকল শ্রেণির মানুষদের জন্য ব্যবহারের উপযোগী। কারণ; ছোট থেকে নিয়ে অফারের দাম শুরু! এবং ৩দিন ৫দিন ৭দিন ১০দিন ১৫দিন ৩০দিন মেয়াদের অনেক অনেক অফার পাচ্ছেন।🎁 ১৮০+ অফার থাকছে প্রতিদিন
(পছন্দ না হওয়ার সুযোগ নেই)

সুবিধা সমূহ 👇👇
১. ☞ মাসের সেল নিয়ে কোনো প্রকার টার্গেট নেই।
২. ☞ সারাজীবনে একটি অফার না নিলেও
একাউন্ট বাতিল হবে না।
☞রিটেইলার একাউন্ট একদম ফ্রি 🔥🔥
৩. ☞ নিজে নিজেই নগদ/রকেট/বিকাশ এর মাধ্যমে অটোমেটিক টাকা এড করতে পারবেন।
৪. ☞ নিজেই নিজের একাউন্ট থেকে নিজের এবং অন্যজনকে অফার নিয়ে দিতে পারবেন।
৫. ☞ একাউন্টে ১টাকাও স্টক ব্যালেন্স রাখা লাগে না।🤔
যেমনঃ- ৭৯৯অফারটির মূল্য যদি ৫৯৯টাকা হয়। ২০০টাকা কমিশন পাচ্ছেন। তাহলে আপনি আমাদের এপ্স থেকে ৫৯৯টাকা এড করেই অফারটি নিতে পারেন। ❤️ সকল অফারের একই সিস্টেম।

৬. ☞ ২ বার করে নাম্বার, ২ বার করে পিন কোড বসানোর ঝামেলা নেই।
৭. ☞ এই টেলিকমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান। ইত্যাদি ইত্যাদি
৮ ☞ সব সময় যেকোন সমস্যার মুহূর্তে সমাধান পাবেন ❤️
এখানে দুইভাবে ইনকাম করার সিস্টেম রয়েছে।
১/ মিনিট-এমবির ড্রাইভ অফার বিক্রি/সেল করে।
(প্রতিটি অফারে ১০টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন।)
২/ অন্যকে একাউন্ট খুলে দিয়ে।
(প্রতিটি একাউন্টে ৫০টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত।)

সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।
♻👉নতুনদের আলাদাভাবে গুরুত্ব সহকারে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

একাউন্ট খোলার চার্জঃ

👉 সাব এডমিনঃ- ৫০০ টাকা ।
👉 হাউজঃ- ২০০ টাকা ।
👉 ডিজিএমঃ- ১০০ টাকা ।
👉 ডিলারঃ- ৫০ টাকা
👉 রিটাইলারঃ- ফ্রি 🥰
সিমিত সময়ের জন্য!

যদি অন্য কাউকে একাউন্ট করে এবং অফার দিয়ে ইনকাম করার ইচ্ছে থাকে, তবে বড় লেভেল নিতে পারেন।
আর যদি শুধু নিজে অফার নিবেন অথবা অন্যজনকে অফার দিবেন এমন হয়। তবে পার্সোনাল বা ডিলার একাউন্ট নিতে পারেন।

👇একাউন্ট করার জন্যে 👇
পেইজে নক করতে পারেন অথবা নিছে what's app রয়েছে সেখান থেকে সরাসরি এডমিনকে নক দিতে পারেন।

Whatsapp: 01621427912
https://wa.me/message/CVUREX5H2DDYB1

Telegram: https://t.me/A1HouseTelecom

সরাসরি কল দিবেন: 01714530579

28/03/2023

আসসালামু আলাইকুম,

রোমান্টিক ভালবাসার গল্প
এখন নতুন নামে নতুন কার্যক্রমে
A1 House Telecom (নতুন নাম) ✅

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,পেইজটা আগেরমত একটিভ না থাকায় অনেকে ইনবক্স করেন,কিন্তু সবার ব্যস্ততার কারণে আগের মত আর সম্ভব হচ্ছে না।

এখন থেকে এই পেইজে টেলিকম সার্ভিস দেওয়া হবে।
অর্থাৎ মোবাইলের ইন্টারনেট,মিনিট,বান্ডেল প্যাকেজ হাউজ রেটে কিনতে পারবেন।✅

খুব দ্রুতই কার্যক্রম শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ সবাইকে ♥️

15/03/2023

নীলার ডিভোর্স হওয়ার ছয় মাস পর রিজভী নামের এক অবিবাহিত তরুণ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে নীলা শান্ত গলায় বললো,"আমাকে বিয়ে করলে সমাজ কী বলবে জানো?"
"কী বলবে?"
"আমি কিছু বলবো না। শুধু বলবো, আমাকে বিয়ে করার কথাটা তোমার পরিবার, আত্মীয় এবং বন্ধুদের বলবে। তখন নিজেই জানতে পারবে সমাজ কী বলবে?"

রিজভী ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করতে চায় শুনে তার বাবা মা ভীষণ ক্ষেপে গেলেন।

মা বললেন,"তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? একটা অবিবাহিত ছেলে হয়ে ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করবি?"

বাবা বললেন,"ডিভোর্সি মেয়েটা বিয়ে করতে চাইলে আরেকটা ডিভোর্সি ছেলেকে বিয়ে করুক। নতুবা কোনো বিপত্নীক ছেলেকে বিয়ে করুক। তোর মতো অবিবাহিত তরুণ, যে কিনা ভালো আয় করে, দেখতে ভালো, তুই বিয়ে করবি অবিবাহিতা মেয়েকে। ডিভোর্সি মেয়েকে তুই কেনো বিয়ে করবি?"
তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ডিভোর্সি মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দেবেন না।

আত্মীয়রা শুনে বললো,"তোর বয়স কম। তাই বাস্তব চিন্তা না করে আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিস। আমাদের পরামর্শ হলো, ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে না করা। অবিবাহিতা মেয়েকে বিয়ে না করে ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করাটা হবে চূড়ান্ত বোকামি।"
তারাও না করে দিলো।

বন্ধুরা শুনে বললো,"পাগল হয়ে গেলি? দেশে কি অবিবাহিতা মেয়ের অভাব পড়েছে, যে তোকে ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করতে হবে?"
তারাও না করে দিলো।

দুদিন পর রিজভী হতাশ স্বরে নীলাকে বললো,"কেউ রাজি হলো না। তোমাকে বিয়ে করতে চাই শুনে কেউ বললো, আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ বললো, আমি মূর্খের মতো আচরণ করছি। কেউ বললো, আমি পাগল হয়ে গেছি।"
"এবার বুঝতে পারলে তো ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করলে সমাজ কী বলে?"
রিজভী নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বললো,"যে যা বলে বলুক, আমি তোমাকে বিয়ে করবো।"
"সবার অমতে?"
"সবাইকে রাজি করানো হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু বাবা মাকে রাজি করানোর চেষ্টা করবো। হাল ছাড়ছি না। আমাকে একটু সময় দাও।"

মাস তিনেক পরের ঘটনা। রিজভীর বড়ো ভাইয়ের ডিভোর্স হয়েছে এক বছর হলো। তারপর পরিবারের সম্মতিতে সে এক অবিবাহিতা মেয়েকে বিয়ে করলো।

বিয়ের রাতে রিজভী বাবা মাকে বললো,"বড়ো ভাই একজন ডিভোর্সি হয়ে অনায়াসে অবিবাহিতা মেয়ে বিয়ে করছেন। আপনারা তাকে একবারো বললেন না, 'তুই ডিভোর্সি ছেলে, তুই অবিবাহিতা মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না। তুই বিয়ে করবি ডিভোর্সি মেয়েকে। নতুবা স্বামী মারা গেছে এমন মেয়েকে।' কিংবা ভাবীকেও বললেন না,'তুমি অবিবাহিতা মেয়ে হয়ে ডিভোর্সি ছেলেকে বিয়ে কোরো না।' কিন্তু আমি ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করতে চাই শুনে কতো কথা শোনালেন!"

মা বিরক্ত হয়ে বললেন,"ডিভোর্সি ছেলে আর ডিভোর্সি মেয়ে দুটো দুই ব্যাপার। তুই বুঝতে পারছিস না।"
"আমি ভালোই বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনারা বুঝতে পারছেন না। কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। মা, আপনি একজন নারী হয়ে নারীদের অবমাননা কেনো করছেন? একটা পুরুষ একের পর এক বিয়ে করে গেলেও তার গায়ে কোনো দোষ লাগবে না। অথচ একটা মেয়ের একবার বিয়ে হয়ে গেলে, সে অশুদ্ধ হয়ে যাবে? তার মূল্য কমে যাবে? এসব অর্থহীন ফালতু চিন্তা ভাবনা দয়া করে ত্যাগ করুন।"
তারপর বললো,"কে কী বলবে এসব ভাবার দরকার নেই। আপনারা আমার সুখের কথা ভাবুন। আমি যদি নীলাকে বিয়ে করে সুখী হই তাহলে আপনারা অখুশি কেনো হবেন?"

তারা বুঝতে পারলেন ছেলেকে আটকানো যাবে না। তারা নিরুপায় হয়ে সম্মতি দিলেন।

এর কয়েকদিন পর নীলাদের বাড়িতে রিজভীর পরিবারের সবাই গেলো।
বিয়ের তারিখ পাকা হবার পর রিজভীর বাবা মেয়ে পক্ষকে নিচু স্বরে বললেন,"বিয়েটা তাহলে ঘরোয়া ভাবে হোক। অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন নেই।"

নীলার বাবা বুঝলেন ছেলে পক্ষ কেনো অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করছে।
তিনি দীর্ঘশ্বাস চেপে বললেন,"ঠিক আছে, তাই হবে।"

রিজভী তখন বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,"এখানে মুরব্বিরা আছেন। তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ আমি এখন যে কথা বলবো, সেখানে ছোট্ট একটা গালি ব্যবহার করবো।"

উপস্থিত সবাই থতমত খেয়ে গেলো। তারা বুঝতে পারলো না, রিজভী কী কথা বলবে, যাতে গালি ব্যবহার করবে?

রিজভী গলা পরিষ্কার করে বললো,"যে সমাজ মেয়েদের নিচু চোখে দেখে, এবং যে সমাজের কথা ভেবে আমার বাবা মা, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, এই বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না, কারণ মেয়ে ডিভোর্সি, এবং অবশেষে যখন বাবা মা বিয়েতে রাজি হলেন, তখন আবারো সমাজের কথা ভেবে তারা বিয়েতে অনুষ্ঠান চাচ্ছেন না, ঘরোয়া ভাবে চুপেচাপে বিয়েটা করাতে চাচ্ছেন, কারণ ঐ একটাই, মেয়ে ডিভোর্সি।"
এরপর উঁচু গলায় বললো,"আমি সবাইকে স্পষ্ট বলতে চাই, ঐ শালা সমাজকে একটা শিক্ষা দেয়ার জন্য বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হবে না। বিয়েটা হবে ধুমধাম করে। যতো টাকা লাগে আমি দেবো।"

রিজভীর কথা শুনে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো।
কিছু সময় শব্দহীন কাটার পর নীলার বাবা রিজভীকে বললেন,"টাকা সমস্যা নয়। আমি অবশ্যই ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেবো।"
একটু থেমে বললেন,"তোমার কথা শুনে এতো ভালো লাগলো যে, বলে বোঝাতে পারবো না বাবা।"
বলতে বলতে তার চোখে পানি চলে এলো।

এই সময় রিজভীর মোবাইলে মেসেজ আসার শব্দ হলো। সে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো নীলার মেসেজ এসেছে। সেখানে কিছু লেখা নেই। শুধু দুটো ইমুজি দেয়া। কিন্তু ঐ দুটো ইমুজিতে সব কথা বলা হয়ে গেলো। একটা ইমুজি ভালোবাসার, অন্যটা হাসির।

উত্তরে রিজভী লিখলো,"কথা দিচ্ছি, তোমার ঐ হাসি আজীবন অক্ষুণ্ণ রাখবো ভালোবাসা দিয়ে। ইনশাআল্লাহ।"

"পুনর্মিলনের গল্প"
- রুদ্র আজাদ

08/03/2023

গল্প : রৌদ্রের হাতছানি
লিখা : বাউন্ডুলে ( শাহরিয়ার আহমেদ

বন্ধু এক প্রকার জোর করেই আমায় এই বিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলো ।আমি বিয়ে বাড়িতে এসে অসহায়ের মতো বসে আছি আর করুন দৃষ্টি দিয়ে কখনো বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বলছি “ দোস্ত চল না চলে যাই , আমার বালা লাগেনা বা* “ কিন্তু সে আমার কোন কথা শুনলো না । উল্টো দাতের সাথে দাতের প্রবল ঘষর্ণ মেরে আমায় গালি দিয়ে যাচ্ছে ।
যাক আমি আবারো চুপ করে বসে পড়লাম, হঠাৎ করেই মনে হলো চোখ খুব মনকাড়া কিছু একটা দেখেছে তাও খুব সল্প সময়ের জন্য । তাই সেই সুন্দর মোমেন্ট কে মনে করার জন্য মস্তিষ্ক এর উপর পচন্ড চাপ প্রয়োগ করছে । ফলে মস্তিষ্ক আমার হাত এবং পা এর উপর জোর প্রয়োগ করে দিলো ,ব্যাস আমি পিছু নিয়েছি খুব সুন্দর কিছু অবলোকন করার জন্য । আমি হাটতে হাটতে একটু সামনে গিয়েই দেখলাম যে সেই মনকাড়া দৃশ্য টা ছিল একটা মেয়ের প্রতিবিম্ব, আর সেই মেয়েটা আমার কয়েকফুট দুরে বসে মুরগির ঠ্যাং চাবাচ্ছে । জীবনে আমি হয়তো এই প্রথম সে কোন মেয়ে মুরগির লেগ পিস গোগ্রাসে চাবাচ্ছে তা দেখে আমি ফিদা হয়ে গেছি ।আমি চিন্তা করতে লাগলাম আমার এই প্রথম ভালোলাগার অনুভূতির কথা যদি আমি আমার বন্ধু শাকিল কে বলি তাহলে সে নিশ্চই চুদনা বলে একটা গালি দিবে ।
যাই হোক আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি বেশ অনেকক্ষন হবে , মেয়েটাও বুঝতে পেরেছিলো যে আমি তাকিয়ে আছি । হঠাৎ করেই দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে আসতে লাগলো আর আমিও হালকা করে চেপে যাবো ভাবচ্ছি ঠিক তখন-ই মেয়েটা বলে উঠলো
- এই যে হ্যালো ……?
- জ্বী আমাকে বলছেন ?
- জ্বী জনাব, তা আপনার কি খুব ক্ষুধা পেয়েছে ?
- আমার কপালে কি এমন কিছু লিখা ভেসে উঠছে ?
- তাহলে খাওয়ার সময় এমন করে তাকিয়ে ছিলেন কেন ?
- দেখছিলাম একটা মেয়ে কিবাবে ৩/৪ টা মুরগির ঠেং একাই গিলতে পারে । আর চিন্তা করছিলাম বাকি জীবন আমি কি করে মেয়েটাকে খায়িয়ে রাখবো । তাইতো বিয়ের কথা বলতেই মা বলতো যে বউকে খাওয়াবি কি ? এখন আমি কি করে আম্মুকে বলবো যে ৪/৫ টা লেগ পিস হলেই হতো ।
- আপনি কি মঝা করছেন আমার সাথে ?
- নাহ্ আমি তো শুধু মাত্র আমার মনের শিশুসুলভ ভাবটা প্রকাশ করলাম ।
- দেখতে তো দামড়া লাগে কিন্তু কোথাই কি বলতে হবে তা জানেন না বুঝি ?
- এই যে এতদিন কাউকে খোঁজে পাই নি তো যে শিখিয়ে দেবে, এখন থেকে আপনি আছেন তো ।
- আপনার কি মাথা গেছে একদম ?
- এখন থেকে এটাও তো আপনার জিনিস তো কই যায় না যায় তা দেখে রাখবেন নাহ আপনি ??
- বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু , আমার ভাইয়া যদি দেখে তাহলে আপনার ১২ টা বাজবে । আমাদের পরিবার সমন্ধে আমি জানেন না কিছু ।
- অলরেডি ২ টা বেজে গেছে,আর সমস্যা কি শশুর বাড়ি সমন্ধে জেনে নেবার বহুত সময় আছে ।
- ধ্যাত পাগল একটা ……….
অতঃপর মেয়েটা চলে গেল আর আমি নেশার দৃষ্টিতে মেয়েটার চলে যাওয়া দেখছি আর ভাবছি যে উপ্পস আমার ভাবষৎ বউটা এত সুইট ক্যান ? আরো অনেক কিছুই চিন্তা করেছি কিন্তু তা বলা যাবে না । কোথা থেকে যেন বন্ধু পিঠ চাপড়ে বললো
- কিরে সবুজ শাড়ী পড়াটাকে ভালো লাগছে নাকি ?
- অবশ্যই
- চল আগে পেটের পূজা দিই, তারপর না হয় তোর প্রেমের একটা ব্যবস্থা করবো ।
তারপর আমি আর শাকিল খেতে গেলাম। আমার প্লেটে যখন একটা লেগ পিস দিলো আমি আবারো সেই সবুজ শাড়ি পড়া মেয়েটার সাজে ঢুবে গেলাম। চোখ,নাক,গাল,ঠোট সবকিছু মনে হয় আমার জন্যই এত সুন্দর করে বানিয়েছে ।আমি লেগ পিস এর দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছি আর স্বপ্নে তাকে কল্পনা করে যাচ্ছি ।আমার এই অবস্থা দেখে আমার বন্ধু গুতা দিয়ে বললো
- বাই**দ আগে গিল, তারপর মুরগির ঠ্যাং তোর যেখান দিয়ে খুশি সেখানে দিয়ে রাখিস । জীবনে কতো চুতিয়া টাইপ রোমিও যে আমি দেখমু আল্লাহ জানে । আগের বারের মতো আমার ৩৪ বছরের আন্টি র উপর ক্রাস খাইস না ।
- দুর হ্লা আমি কি জানতাম নাকি যে বয়স ৩৪+ হবে ? এত মেকআপ করেছে যে আমি তো ভাবছি মাত্র ক্লাস টেন এ পড়ে ।
- তোর ভাবনার নানির বাসা খালি কর আর এখন খা বাপ আমার ।
আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাহিরে গিয়ে একটা সিগারেট ধরলাম । একটা তৃপ্তি ময় টান দিতেই দেখি মেয়েটা আমার থেকে একটু দুরে । আর তখন ই কেহ নীরু বলে ডাক দিলো তাকে ।তারমানে মেয়েটার নাম নীরু । আমি সিগারেট টানতে টানতে নীরুর নামটা বেশ কয়েকবার জপিতে লাগলাম । তারপর একটা ছোট ভাই এর মাধ্যমে মেয়েটার ফোন নাম্বার জোগার করে ফেললাম । এর মধ্যে সেই বিয়ে বাড়িতে নীরুর সাথে আরো কয়েকবার চোখাচোখি হলো , অল্প কথাও হলো । অবশ্য এটা কে কথা না বলে জগড়া বলা যায় ।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে বেশ অনেকদিন হলো, কিন্তু আমি নীরুকে এখনো ফোন দিই নি । চিন্তা করে যাচ্ছি দেব কি নাহ । এর মধ্যেই আমাদের এলাকার একটা ঝামেলা চলে আসলো আর তা নিয়ে শুরু হলো বেশ মারামারি । সন্ধ্যায় আমরা আমাদের এন্ট্রি গ্রুপের সাথে বেশ বড় রকমের মারামারিতে চলে গেলাম ।যার ফলে পুলিশ চলে এসেছিলো ।যাই হোক আমি আর আমার কয়েকটা বন্ধু তখন সেখান থেকে চলে এসেছিলাম ,যদিও আমাদের শরীরে এখনো অনেক জায়গায় রক্তের দাগ লেগে আছে । এই রক্ত দেখে আমার লেগ পিস ওয়ালীর কথা পড়ে গেল । আর তা মনে করে বন্ধুদের দিকে এক পাটি দাত বের করে বললাম
- দোস্ত আমার তো তোর ভাবির কথা মনে পড়ে গেছে রে !
- হ্লা এদিকে তান্ডব করে তোর এখন রোমিও গিরি করতে ইচ্ছে করছে ? তুই মানুষ হবি কবে ভাই ?
- এমন করিস ক্যান দোস্ত ?
- যা বাপ কল লাগা আর প্রেম শুরু কর ।
তারপর নীরুর নাম্বারে ডায়াল করার সাথে সাথে ই অপর পাশ থেকে কেউ ফোনটা রিসিভ করলো ।
- হ্যালো ……..
- কোন দিকে হেলবো জান ?
- দুরু যা এই কেডা আপনি ?
- সোনা তুমি এমন করে কথা বলতেছো কেন ?
- ওহ আপা কেডা জানি আপনার মোবাইলে ফোন দিয়া কি সব কইতেছে ( অপর পাশ থেকে কথাটা কেউ বলে উঠলো )
আমি কল টা হোল্ড করে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বললাম
- দোস্ত আমি তো ভুলে ওর বাসার কাজের বুয়ারে সোনা জান বইলা ফেলছি ।
- হ্লা পো তুই যাবি এখান থেকে ? জীবনে কোন কাজটা তুই ঠিকমতো করছিলি বল তো ?
- এখন কি করবো ?
- কি আবার কথা বল তোর পাখির সাথে ।
আমি কলটা আনহোল্ড করে বললাম
- কিহ লেগ পিস কেমন আছো ?
- আপনি আমার নাম্বার ও জোগার করে ফেলেছেন ?
- যেহেতু ভালোবাসি তাই এটা জোগাড় করতে কতক্ষন ?
- আপনি কি আমাকে চিনেন যে ভালোবাসি বলছেন ?
- সামনে অনেক সময় আছে চিনা জানার জন্য ।
- আপনার মাথায় সমস্যা আছে ,ডাক্তার দেখান ।
এই এখান থেকে শুরু হয় আমাদের কথা বলা , আমি প্রতিদিন নীরু কে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতাম আর কম হলেও শ বার তাকে ভালোবাসি এটা বললাম ।আস্তে আস্তে আমরা ফেসবুকে চ্যাটিং এ ব্যস্ত হয়ে যেতে লাগলাম । আমি তাকে এতটাই বিরক্ত করতাম যে সে আমার সাথে কথা না বলে কোন উপায় ছিল না । সে আমার ১৫ টা সিম নাম্বার বল্ক করে দিয়েছিল ।তবুও কারো না কারো মোবাইল দিয়ে ফোন দিতাম ই তাকে ।আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যে সখ্যতা তৈরি হলো । সে কিছুটা হলেও আমার জন্য ভালোলাগা টা প্রকাশ করতে লাগলো । সে আমার বিষয়ে জানতে চাইলো । বলে দিলাম যে আমার উল্টা পাল্টা চলার জীবনের কথা, মারামারি ,পুলিশের দৌড়ানো খাওয়া সব কিছু । তবুও সে আমার প্রতি কিছুটা র্দূবল । এমন করে আমি তারসাথে ২ মাস কথা চালিয়ে গেলাম এবং প্রেম ও হয়ে গেছে আমাদের মধ্যে ।এখন সময় দেখা করার । আমাদের দেখা করাটা অনেক টাফ ছিল কেননা আমি ঢাকায় থাকতাম আর সে থাকতো চট্টগ্রাম এ ।
আমাদের প্রেমে থাকাকালীন সময় প্রথম দেখা হয়েছিলো হাসপাতালে । কেননা আমি যেদিন তার সাথে দেখা করতে যাই সেদিন সে আমার কাছে আসার সময় ছোট এক্সিডেন্ট হয় ।ফল সরূপ আমি দৌড়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি সে বেডে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে । আর তার বাম পা কিছুটা কেটে গেছে যার ফলে হাটতে পারছে না । আমি গিয়েই তার নাক টেনে বললাম
- হাসপাতালে আসার এতই ইচ্ছে তাহলে বলতে বেবি প্ল্যান টা না হয় আরো আগে থেকেই করে রাখতাম ।
- তুমি বদমাইশি কমাবানা তাই নাহ ?
- এটকু দেখে চলতে পারো না তুমি ?
- আমি তো ইমু স্যারের কথা ভাবতে ভাবতে এসেছিলাম তাই কোথাই কি রেখে কি দেখবো তা ভুলেই গেছি ।
- দেব এক চড় , তারপর বুঝবা ।
- হইছে, এখন একটা হাগ দাও না প্লিজ ।
আমি হাসপাতালে ই তাকে জড়িয়ে ধরলাম , এর মধ্যে প্রকাশ পেলাম আমার চোখ কিছুটা ভিজে গেছে এই বদ মেয়েটার জন্য । আমি যখন শুনেছিলাম সে হাসপাতালে আমি আনমনেই কান্না করে দিয়েছিলাম ।হয়তো এটাই ভালোবাসা । সে তখন আমার বুকে মাথা রেখে ফুচকা খাবার বায়না শুরু করে দিলো ।আমি নীরু কে আমার এক কাধে ভর দিয়ে বের করে নিলাম হাসপাতাল থেকে।তারপর বাহিরে গিয়ে দুজন ফুচকা খেতে লাগলাম ।
অবশ্য সেই দিনটা আমাদের জন্য আসলেই খারাপ দিন ছিলো ।কেননা নীরুর ভাই আমাদের একসাথে দেখে ফেলেছিলো । আর নীরুর ভাই এলাকায় বেশ দাপট নিয়ে চলতো, আমার মতো তিনিও গাড় ত্যারা ই ছিল এলাকাতে । সেদিন রাতে নীরুকে বাসায় অনেক কিছুই সয্য করতে হয়েছিলো আমার জন্য । তাকে মারধর ও করেছিলো তার বাসার লোকজন । এমন কি তার মোবাইল ও নিয়ে গিয়েছিলো ।
তার কয়েক দিন পর নীরু আবার স্বাভাবিক ভাবে আমার সাথে কথা বলতে লাগলো ।ধীরে ধীরে আমি নীরুর কথায় চেইন্জ হতে লাগলাম । মারামারি , খারাপ চলাফেরা আগে থেকে কমিয়ে দিলাম, তাকে নিজের কাছে পাবার জন্য জব শুরু করলাম ।অবশ্য আমি তখন অর্নাসে পড়া ছাত্র । আমাদের প্রেমের প্রায় ৮ মাস হয়ে গেল আর মধ্যে আমি নীরুর সাথে ৫ বার দেখা করেছি মাত্র । এর মধ্যে আমি অনেকটা বদলে ও গিয়েছিলাম ।
কোন জিনিস ই ভালো ভাবে চলার পর সামনে খারাপ কিছু চলে আসে এটা হয়তো প্রকৃতির নিয়ম । আমাদের বেলায় ও তাই হয়েছিলো ।নীরুর বাসায় বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে । এখানে নীরুর কোন মতামত কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি । সে যখন আমার কথা তার পরিবারে বলেছিলো তখন তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে । সে যখন আমার সাথে ভিডিও কলে ছিল তখন তার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমার শরীরের রক্ত প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে লাগলো ।
- ইমু আমি আমার পরিবারকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু তারা আমার কোন কথা শুনে নি ।এদিকে এক বয়স্ক লোকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে ।
- সবাইকে মেরে তারপর তোমাকে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে ।
- আস্তে আমার বিয়ের এখনো ২ মাস বাকী আছে । আমি দেখি তাদের বুঝাতে পারি কিনা ।
- চলো কাল আমরা বিয়ে করে ফেলি ।
- তারপর !!
- তারপরের টা পরে দেখবো , আমি কাল আসছি তোমাদের এলাকায় ।
- আচ্ছা ।কিন্তু সাবধান ! আমার ভাই জানলে তোমায় খুন করে ফেলবে ।
- তোমার ভাই তো এখনো জানে না আমি কিহ ।
- আমি বলছি না তোমায় যে আগের সব সঙ্গ বাদ ।
- ঠিক আছে ।
তারপরের দিন আমি আমার ২ টা বন্ধুদের নিয়ে তার এলাকায় চলে গেলাম । তারপর তার এলাকা থেকে দুরে গিয়ে আমরা বিয়ের কাজ শেষ করে নিলাম । যদিও আমার কপালে তখন বাসর রাত্র ছিল না কিন্তু বাসর দিন পালন করেছি বন্ধুদের সিকিউরিটির মাধ্যমে । আমি নীরুর গালে প্রথম সেদিন চুমু খেয়েছিলাম আর হাতে হাত রেখে বলছিলাম
- চলো তাহলে তোমার হাসপাতালে যাবার ইচ্ছাটার প্ল্যানিং এখন ই শুরু করি ।
- মাথায় খালি এই ধান্দা থাকে তাই না ?
- তো নিজের বউ রে নিয়ে যদি বেবি প্ল্যানিং এর ধান্দা না থাকে তাহলে কি অন্যের বউরে নিয়া থাকবে ?
- তাকিয়ে দেখ তো অন্য মেয়েদের দিকে । চোখ তুলে ফেলবো ।
- তাহলে আসো না কিছুমিছু করি ।
বাই*** মাদ** রোমিও, এই পাব্লিক প্রেসে তোদর এগুলা অফ কর । আমাদের দিয়া আর দেখা যায়তেছে না । এদিকে আমরা টেনশন করে মরছি কখন কোথা থেকে ঝামেলা শুর হয় আর তুই আছস তোর রোম্যান্স নিয়া ।
- দেখছো নীরু আমার বন্ধুরা জেলাস ফিল করতেছে ।
- তোর জেলাসের বাপরে আমি আঙ্কেল ডাকি ।
বলেই হারামি গুলা তেড়ে আসলো আমার দিকে, আর আমিও দৌড় শুরু ।সেদিন অনেক হ্যাপি ছিলাম, বন্ধুদের জন্য এত বড় একটা পদক্ষেপ খুব সহজে আমি নিয়ে ফেলেছিলাম । নীরু সেদিন তার মতো করে বাসায় চলে গেল, সে স্বাভাবিক ভাবে বাসায় থাকা শুরু করলো । কিন্তু কোন ভাবেই সে বিয়ে ভাঙ্গতে পারছিলো না ।শেষ মেশ সে বাসায় আমাদের বিয়ের বিষয়টা জানিয়ে দেয় । যার ফলে তার বাসায় তাকে আটকে রেখে আবারো মারধর শুরু করে । কিন্তু তখন ও তারা আমাদের মেনে নেবে না বলে ঠিক করেছিলো ।
ফলে নীরুর বিয়ের ৩ দিন আগে আমি তাকে নিয়ে পালিয়ে আসলাম । সোজা তাকে আমার বাসায় উঠেছিলাম । আমার পরিবার খুব সহজে ই মেনে নিয়েছিলো । শুধু আব্বু কিছুটা অভিমান করেছিলো আমার উপর । কিন্তু ওনি ই নীরুর প্রতি ছিল সন্তুষ্ট তাই আমাদের তেমন কোন সমস্যা ই হয় নি ।

- তাহলে তো তোমাদের সমস্যা শেষ ই, এতগুলো মানুষ কে মারার কি প্রয়োজন ছিল ইমু ? ( এসিপি স্যার আমার দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো )
- স্যার গল্প তো এখনো আমি শুরু ই করিনি ।
- মানে ?
- মানে আমি আপনাকে মাত্র আমাদের গল্পের মধ্যভাগ পযন্ত বলেছি । মেইন গল্প তো বলা ই হয় নি ।
- বলতে পারো, কেননা তোমার হাতে অনেক সময় আছে ।আমার এই সেইফ হাউজে কেহ আসামি খোঁজতে আসবে না । আচ্ছা তুমি বলো তো তুমি কি নীরু কে খুন করে ফেলেছো ?
- ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই স্যার গল্পে ……….

তারপরের দিনগুলো আমাদের খুব সুন্দর করে কেটে যাচ্ছিলো। আমি রোজ অফিসে যাবার আগে নীরুর কপালে চুমু খেয়ে যাওয়া আর রাতে বাসায় আসার সময় তার জন্য ছোট কিছু না কিছু নিয়ে আসা । মনে হচ্ছিলো আমি আমার জগৎ এ সবচেয়ে সুখি মানুষ । আমাদের পরিবারের সাথে নীরু একদম মিসে গিয়েছিলো । এর মধ্যে নীরুর পরিবার নীরুর সাথে যোগাযোগ করেছিলো এবং অনেক হুমকি ও দিয়েছিলো । কিন্তু প্রতিবার নীরু বলতো আমায় যে আগের মতো খারাপ হয়ে উল্টা পাল্টা কিছু করার প্রয়োজন নেই । আমি তার কথা শুনে যেতাম। তো একদিন রাত্র প্রায় ৩ টা বাজে, আমাদের বাসায় কলিংবেল চাপলো কেউ । আমি ঘুম ঘুম চোখে দড়জা খুলতেই দেখি নীরুর ভাই , মা সহ আরো কয়েকজন পুলিশ নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির । আমি কিছু বলার আগেই আমাকে কারেন্ট এর শর্ক মেশিন দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে ফেললো আর পাগলের মতো আমাকে মারধর শুরু করলো ।সাথে আমার বাবা কেও মারতে শুরু করলো। এগুলো দেখে নীরু যখন আমার দিকে দৌড়ে আসলো তখন তার চুলে ধরে হিংস্র ভাবে তাকে মারা শুরু করলো । নীরুর নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরতে লাগলো ।তবুও নীরু তার মা র পা ধরে কান্না করতে করতে বলতে লাগলো
- মা আমি প্রেগন্যান্ট , আমাদের ছেড়ে দাও ।
এ কথা শুনার পর তারা আরো বেশি হিংস্র হয়ে নীরুর পেটে লাথি মারতে লাগলো । আর আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে নীরুর করুণ ভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে যাচ্ছি । সে রাতে আমাকে আর আমার বাবাকে প্রচুর মারধর করে ওয়ার্নিং দিয়ে গিয়েছিলো । যেন আমরা নীরুর সাথে যোগাযোগ না করি ।আর আমার বিরুদ্ধে মামলা ও করেছিলো তখন তারা ।
নীরুকে যখন তারা টানা টানি করে নিয়ে যেতে লাগলো সে তখন কান্না করে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো
- আমি ভেবেছিলাম তোমায় সারপ্রাইস দিবো ইমু যে আমি প্রেগন্যান্ট, কিন্তু এমন টা হবে তা বুঝতে পারিনি ।
তারপর আবারো নীরুর মুখে কয়েকটা থাপ্পড় দিয়ে তাকে অচেতন করে দিলো । সে রাতে আমার পরিবারের আর কেহ ঘুমাতে পারেনি । এলাকার লোকজন অনেকে জানলো এ বিষয় টা আবার অনেকে হাসাহাসি ও করতে লাগলো । তখন বাবা আমায় একটা কথা ই বলেছিলো যে “ নীরু কিন্তু আমার বাড়ির বড় বউ, আর তার পেটে থাকা বাচ্চাটাও আমাদের ,সুতরাং নীরুর এ বাড়িতে আসতেই হবে “
বাবা প্রচুর জেদ নিয়ে কথাটা বলেছিলো আমায় । আমি আমার বন্ধুদের সব একসাথে করলাম আর সব কিছুই বললাম ।এর মধ্যে আমি নীরুর সাথে এখনো কোন যোগাযোগ করতে পারিনি । প্রায় ১০ দিন পর নীরু আমায় অন্যকারো নাম্বার দিয়ে ফোন দিয়ে বলতে লাগলো
- ইমু আমার পরিবার এই বাচ্চা টা নষ্ট করতে চাচ্ছে । আর আমাকে বলছে তোমায় ছেড়ে চলে আসতে । প্লিজ কিছু করো ।
- আচ্ছা আমি দেখতেছি । তুমি একটু শান্ত হও
আমি নীরুর বাসায় ফোন দিলাম, বললাম যে আমাদের ক্ষমা করে দিতে । আর আমাদের কে আমাদের মতো থাকতে দিতে । কিন্তু তারা তখন আমায় একটা কথাই বলতো যে তাদের বাড়িতে যেতে এবং মেয়েকে নিয়ে আসতে । আমি জানতাম তারা এটা বলবে কেননা নীরু বলেছিলো আমায়, যে আমি আসলে তারা আমাকে প্রচুর মেরে ড্রির্বোস পেপারে সাইন করিয়ে নিবে । এমন করে আরো অনেক দিন চলে গেল । তারা আমার পরিবারকে অনেক চাপে রেখেছিলো যেন আমি নীরু কে ছেড়ে দেই । আমি তখন ও অনেক চুপ আর শান্ত থেকে বিষয়গুলো দেখছিলাম । এরমধ্যে নীরুর পরিবার নীরুর সাথে ভালো ব্যবহার করে তার মন জয় করে নিলো । আর বারবার আমাকে তাদের এখানে নীরুর মাধ্যমে ডাকতে লাগলো । যদিও নীরু তাদের নাটক টা বুঝতে পারছিলো না, কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম যে তারা কি করতে যাচ্ছে । শেষ একদিন ফোন দিয়ে নীরু কান্না করতে করতে বলতে লাগলো
- ইমু ওরা আমার বাচ্চাটাকে নষ্ট করে দিয়েছে ।
- মানে কি বলছো ? কিবাবে ?
- আমি জানি না,আমি তো শুধু তাদের কথামতো কিছু মেডিসিন নিচ্ছিলাম। এখন জানতে পারলাম আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে ।
- তুই আমার বাচ্চা নষ্ট করছোস । নয়তো তুই জানিস না কোন মেডিসিন নিলে বাচ্চা ঠিক থাকে আর কোনটা নিলে বাচ্চা নষ্ট হয় ?
- ইমু প্লিজ শান্ত হও ।
- আমি এতদিন চুপ ছিলাম , এখন তুই আর তোর পরিবারের সব কয়টাকে নিজ হাতে মারবো । তুই আমার বাচ্চারে খুন করছোস ।
- ইমু,ইমু, প্লিজ আমার কথা শুনো । তুমি আমায় মেরে ফেলো তবুও আমার কথাটা শুনো প্লিজ!!!!!!!
আমি আর কিছুই বললাম না, ফোনটা কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখলাম ।প্রচুর কান্না পাচ্ছিল তখন আমার , কি করবো কিছুই আমার মাথায় আসছিলো না । বারবার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল আমার বাচ্চাকে আমি পৃথিবীতেই আসতে দিতে পারিনি । নিজের ভেতর তীব্র অপরাধবোধ কাজ করছিল । তারপর চিন্তা করলাম আমি সুসাইড করবো । আমি যখন সর্ম্পূণ ভাবে ভেঙ্গে গিয়েছিলাম তখন নীরু আমার বন্ধুকে ফোন দিয়ে সবকিছু বলেদিয়ে ছিলো । বন্ধুরা ছুটে এসে আমার পাশে দাড়ালো, তারা আমার অবস্থা দেখে হয়তো কিছু বুঝতে পেরেছিলো তাই শাকিল কাধে হাত চেপে বললো
- ইমু সবকিছু যদি এখানেই শেষ হয়ে যায় তাহলে আগরে সব কষ্টগুলো কোন কাজের হবে না ।
- তাহলে আমি কি করবো, ওরা আমার বাচ্চাকে খুন করেছে ।
- তুই নীরুকে ভালোবাসিস, আর তুই জানিস নীরু কখনো ইচ্ছা করে এটা করবে না ।সে বুঝতে পারেনি ।
- আমার নীরুকে আর প্রয়োজন দেই ।
- এই পাগলামির মানে হয় না ইমু ।তুই জানিস নীরু সুসাইড করতে চেয়েছিলো ??
- কি বলিস ? কখন ?
- গতকালকে , তুই শুধুই নীরুকে ব্লেম দিস না । সত্যটা তুই ও জানিস আমরা ও জানি ।
- এখন কি করবো তাহলে ?
- চল নীরু কে নিয়ে আসি ।
- সেখানে গেলে অনেকগুলো লাশের উপর দিয়ে তাকে নিয়ে আসতে হবে । আর আমি আমার কোন বন্ধুদের সমস্যায় ফেলতে চাই না ।
- সমস্যা আর কি হবে, মামলা তো সেই কলেজ লাইফ থেকেই সবকয়টায় খেয়ে আছি । এইবার না হয় কাজের কাজ করি ।
- নাহ্, আমি চাই না আর এগুলো ।
- তোর চোখের সামনে তোর বউকে তারা মারধর করেছে এটা জানিস শুধু কিন্তু সেখানে যে তার চাচাতো ভাই তাকে সম্মানহানি করতে চেয়েছে তা জানিস ?
- মানে ?
- মানে টা খুব সাধারণ ইমু । তারা নীরুকে শেষ করে দিবে । তুই তো বুঝে গেছিস তাদের পরিবারের বিষয়ে ।
- নীরুকে জানিয়ে দে আমি কাল আসছি ।
- গুড, সাথে আমরা ২৫ জন ।
পরের দিন সকালে আমরা ২৫ জন বেরিয়ে গেলাম । অবশ্য কাল রাতে আমি নীরুর পরিবারে ফোন দিয়েছিলাম যেন নীরু কে আমার কাছে দিয়ে দেয় ।কিন্তু তারা আগের মতো ই বলতে লাগলো “ তুমি আসো কথা বলি তারপর নিয়ে যাও “ আমি জানি তারা আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যানিং করছে । আমি আমার বন্ধুদের বলে দিলাম যে কি করতে হবে সেখানে । সবার আগে আমি প্রথমে তাদের বাসায় যাবো একা সাথে ফোন কল কানেক্ট থাকবো । খারাপ কিছু হলেই সবাই সেখানে ঢুকে নীরু কে নিয়ে আসবো । বিষয় টা সিনেমার মতো হতে হবে ।
প্ল্যানিং অনুযায়ি আমি নীরুর বাসায় প্রবেশ করলাম ।নীরুর মা আমাকে সোফায় বসতে দিলো, আমি সালাম দিয়ে কথা এগুতে লাগলাম ।তারমধ্যে নীরু ব্যাগ গুছিয়ে আমার পাশে এসে বসলো ।
- মা যা হয়েছে তা ভুলে যান আর আমাদের মাফ করে দেন ।
- তুমি তো আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে পারবে না এখান থেকে ।
- আইন অনুযায়ি সে আমার স্ত্রী , তাকে নেওয়ার অধিকার আমার আছে ।
এটা বলার সাথে সাথে কোথা থেকে যেন নীরুর সৎ ভাই আর চাচাতো ভাই আমাকে আক্রমন করে বসলো ।আমি প্রস্তুত ছিলাম, নীরুকে বাহিরে গাড়িতে গিয়ে বসতে বললাম আর শুরু হলো শশুর বাড়িতে এক তান্ডব । সাথে সাথে আমার বন্ধুরা ভেতরে প্রবেশ করলো, সব মিলিয়ে খুব খারাপ ভাবে মারামারি শুরু হয়ে গেল । আমি পকেটে থাকা ছুড়ি টা নিয়ে নীরুর চাচাতো ভাই আর সৎ ভাই কে রক্তাক্ত করে দিলাম । এর মধ্যে যারা এসেছিলো তাদের সবাইকে আমরা খুব বিশ্রি ভাবে আহত করলাম । তারপর সেখান থেকে সাথে সাথে বের হয়ে যেতে লাগলাম , এলাকার অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছে ।কিন্তু তারা কেহ আমাদের কিছুই বলেনি । কেননা তারাও প্রতিদিন নীরুর কান্নার শব্দে বুঝে গিয়েছিলো ভেতরে কি চলছে । আমরা ২৬ জন বাইকে করে সেখান থেকে চলে যেতে লাগলাম । সেখানকার রাস্তাও হয়তো সেখান আমাদের তান্ডবে ভয় পেয়েছিলো তাই রাস্তাটাও একদম ফাকা পড়ে ছিলো ।
আমি নীরুকে নিয়ে আমাদের এলাকায় চলে আসলাম, যদিও তারসাথে এখনো কোন কথা আমি বলিনি । এর মধ্যে খবর পেলাম আমার নামে এটেম টু র্মাডার এর মামলা করে দিয়েছে ।কিন্তু তারা এ মামলা করার আগের রাতে ই আমি তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দিয়েছিলাম ।সাথে তাদের দেওয়া হুমকি গুলো আমার মোবাইলে সংরক্ষিত ছিলো তাই সেগুলো ও প্রমান হিসেবে দিয়ে এসেছিলাম ।তারা হয়তো জানে না এই খেলায় আমরা বেশ পুড়ানো । হঠাৎ শাকিল আমায় বলতে লাগলো
- তুই নীরুকে নিয়ে মাস ২ এর মতো কোথাও চলে যা । এখানকার পরিস্থিতি আমরা দেখছি ।
- আমি চলে গেলে তো আমার বাসায় সমস্যা হতে পারে ।
- আঙ্কেল এর সাথে কথা হয়েছে আমার, সাথে আমরা তো আছি ই ।
- তোদের সমস্যা হবে না ?
- নাহ্ শুধু তোকে ফোন দিলে তুই এসিপি স্যারের সাথে একাকী গিয়ে দেখা করে আসিস ।তুই জানিস অবশ্য কি করে কি করতে হবে আর এর মধ্যে খবর টা এমন করে ছড়িয়ে দেবো যে নীরুকে ওরা মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো সে তার অবস্থা এখন খারাপ ।
- আচ্ছা ।
রাত্র প্রায় ১২ টা সকল বন্ধুদের বিদাই দিয়ে আমি আর নীরু বাসে উঠে গেলাম। আমি জানি আমার বন্ধুরা ঠিকই সবকিছু মেনেজ করে নিবে । জানালার পাশে নীরু বসেছিলো তার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম মেয়েটার উপর অনেক দখল গেছে এই ক দিন তার উপর তার সাথে আমি ও কথা বলিনি । আমি নীরুর হাতটা শক্ত করে চেপে ধরতেই সে আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো । তার কান্নায় শব্দ হচ্ছিল বলে মেয়েটা আমায় কামড়ে ধরেছে ।
- আমাকে মাফ করে দিও ইমু ।
- সরি যে তোমার উপর রাগ করেছিলাম ।আসলে মাথা ঠিক ছিলো না ।
- তুমি না আসলে আমি হয়তো মরেই যেতাম ।
- আমি আমার বাচ্চার লাশের উপর দিয়ে গিয়ে তোমাকে নিয়ে এসেছি শুধুমাত্র ভালোথাকার জন্য ।
- ওরা আমার বাবুটা মেরে ফেলেছে ইমু ।
- শান্ত হও, আমি আছি তো ।
সেদিন রাতে নীরুকে জড়িয়ে শুয়েছিলাম, যদিও কোন একটা কারনে চোখ টা ভিজে যাচ্ছিল কিন্তু সাথে সাথে ই চোখ টা মুছে নীরুর কপালে একটা চুমু খেলাম । কেননা মেয়েরা কান্না করে হালকা হতে পারে কিন্তু ছেলেরা শত কষ্টেও কান্না করতে পারেনা । তাদের শুধু ভালো থাকার অভিনয় করতে হয় ।তারপর প্রায় ১ মাস আমি আর নীরু ছোট একটা কুটিরে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছিলাম ।

এসিপি স্যার একটা সিগারেট মুখে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো
- তারমানে তুমি নীরুকে মেরে ফেলো নি ?
- আমি তো তার মধ্যেই বেচে থাকি স্যার ।
- তারমানে তুমি সকল প্ল্যানিং করে আমার কাছে এ রাত্রি বেলায় এসেছো ।
- জ্বী, কেননা আপনি আমায় অনেক আগে থেকেই চিনেন । আর জানেন আমি কতদুর যেতে পারি ।
- তোমার ভয় করে না ?
- স্যার আপনার ওয়াইফ মানে আমাদের তমা ভাবীর আর আপনার ঘটনাতেও কিন্তু আমরা ছিলাম, তা মনে আছে তো ?
- তুই পারিস ও বটে ইমু , আচ্ছা অনেক দিন হলো বাহিরে থেকেছিস এবার নীরুকে নিয়ে বাসায় যা ।
- জ্বী স্যার ।
- আচ্চা ইমু তুই যেহেতু নীরুর পরিবারের কাউকে খুন করিস নি তাহলে তাদের পরিবারের এতজনকে কে খুন করলো ?
- স্যার আমি কি জানি, আমি তো সব সত্য টা বললাম ই ।
- আচ্ছা তুই যা, আমি দেখছি ।
এসিপি স্যারের সাথে সর্ম্পক টা অনেক আগের । যখন তিনি এসিপি হয় নি তখন থেকেই । আমি স্যারের বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম ।এখন সময় নীরু কে নিয়ে আমার বাসায় যাবার ।নীরু কে আবারো কথা দিয়েছি যে এখন থেকে ভালো হয়ে যাবো , আর মারামারি করবো না । তাইতো সবকিছু পেছনে ফেলে শুরু করলাম নীরুকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা । যদিও বা নীরুর পরিবারের হত্যা টা একটা রহস্য! থাক না কিছু রহস্য ।
নীরুর কপালে একটা ছোট চুমু দিলাম সে আমার চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলো
- কি জনাব! হুট করে এত ভালোবাসা কেন ?
আমি তার কথা শুনে আবারো একটু চুমু খেয়ে রুদ্ধ গোস্বামীর বলা বাক্য টাই তাকে ফিরিয়ে দিলাম
” তুমি ছাড়া আলোহীন সূর্য আমি। মূর্খরাই বলে পুরুষ শ্রেষ্ঠ। তুমি নারী। তোমাকে ভালোবাসার জন্য এই একটি কারনই যথেষ্ট “ ।

গল্প : রৌদ্রের হাতছানি
লিখা : বাউন্ডুলে ( শাহরিয়ার আহমেদ

Want your business to be the top-listed Computer & Electronics Service in Jhenida?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

আলহামদুলিল্লাহ প্লে-স্টরে ১০০০+ ডাউনলোড ডান 🔥বর্তমান ব্যবহারকারী  সংখ্যাঃ ১২০০+আপনিও চাইলে ফ্রিতে আমাদের সার্ভিস নিতে ইন...
Banglalink Bundle 698,798,898  #bloffer#a1housetelecom #SIMOffer #allsimoffer #houseoffer Helpline: 01714530579 Whatsapp
Add Balance on A1 House Telecom ✅কিভাবে A1 House Telecom এ টাকা এড করবেন দেখে নিন।Helpline: 01714-530579  (Whatsapp)
#a1housetelecom #bloffer

Telephone

Website

Address


Jhenidah Sadar, Dhaka
Jhenida
7300

Other Telecommunication Companies in Jhenida (show all)
Masum Telecom and Broadband Service Masum Telecom and Broadband Service
Jhenida, MTBSL

Internet Service Provider

Techedu Techedu
Hunger Free World
Jhenida, 7350

এই পেজে কম্পিউটার,মোবাইল ,ডিজিটাল ডিভ?

DIPON KUMAR DIP DIPON KUMAR DIP
Kaligonj
Jhenida, 7350

Hi I am Dipon Kumar Dip Welcome Dipon Kumar Dip Page & Youtube Channel. Videography,Photography, Edting, Baul song. Please like & Subseribe Page & Youtube Your Imagine Our Creation...