Jr.Rubel Babu
Nearby media companies
Rajshahi
5900
Joypuhat
Joypurhat
Joypurhat
5900
002
ইসলামিক পেইজ
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সংক্ষিপ্ত জীবনী,,,
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক ,
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক,,,?
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক,,,,!!
সালাত সম্পর্কে,,,!!
মাযহাব সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা সকলের শুনা দরকার,,,,!!
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক,,,,!!
রিজিক কাকে বলে,,
রিজিক সম্পর্কে ,আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক,,,,!!
. দু' ঈদের দিনে নারীদের ঈদগাহে যাওয়া এবং পুরুষদের থেকে পৃথক থেকে খুতবায় শারীক হওয়ার বৈধতা প্রসঙ্গে
১৯৪১-(১২/...) 'আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... উম্মু আতিয়্যাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন। আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে বের করে দেই- পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনী সবাইকে। তবে ঋতুবতী মহিলারা সালাত থেকে বিরত থাকবে। বাকী পুণ্যের কাজে ও মুসলিমদের দু'আয় শারীক হবে। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কারো কারো চাদর ওড়না নেই। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার জন্য বোন তাকে নিজ চাদর বা ওড়না পরিয়ে দিবে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯২৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৩৩)
Umm 'Atiyya reported: The Messenger of Allah (ﷺ) commanded us to bring out on'Id-ul-Fitr and 'Id-ul-Adha young women, menstruating women and purdah-observing ladies, menstruating women kept back from prayer, but participated in goodness and supplication of the Muslims. I said: Messenger of Allah, one of us does not have an outer garment (to cover her face and body). He said: Let her sister cover her with her outer garment. باب ذِكْرِ إِبَاحَةِ خُرُوجِ النِّسَاءِ فِي الْعِيدَيْنِ إِلَى الْمُصَلَّى وَشُهُودِ الْخُطْبَةِ مُفَارِقَاتٌ لِلرِّجَالِ وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ، سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُخْرِجَهُنَّ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى الْعَوَاتِقَ وَالْحُيَّضَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ فَأَمَّا الْحُيَّضُ فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِحْدَانَا لاَ يَكُونُ لَهَا جِلْبَابٌ قَالَ " لِتُلْبِسْهَا أُخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا " .
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মুসলিমরা এতো পিছিয়ে কেন ,,,,
ডঃ জাকির নায়েক ,,,,!!
সূরা ২১. আল-আম্বিয়া
আয়াত নং ৩০
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾
অনুবাদঃ
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? -(আল-বায়ান)
অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ আর যমীন এক সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম, আর প্রাণসম্পন্ন সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? -(তাইসিরুল)
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখেনা যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবেনা? -(মুজিবুর রহমান)
তাফসীরে আহসানুল-বায়ান
(৩০) অবিশ্বাসীরা কি (ভেবে) দেখে না যে, [1] আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী একসঙ্গে মিলিত ছিল; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি[2] এবং প্রত্যেকটি সজীব বস্তুকে পানি হতে সৃষ্টি করেছি; [3] তবুও কি ওরা বিশ্বাস করবে না?
[1] এখানে বাহ্যিক চক্ষু দিয়ে দেখা নয় বরং অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, তারা কি চিন্তা-ভাবনা করে না? তারা কি জানে না?
[2] رَتق এর অর্থ বন্ধ, মিলিত। এবং فَتق এর অর্থ বিদীর্ণ করা, খোলা, আলাদা করা। অর্থাৎ, আকাশ ও পৃথিবী শুরুতে একত্রে মিলিত ছিল অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করি। আকাশকে উপরে উঠিয়েছি, যেখান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ হয়। আর পৃথিবীকে এমন এক স্থানে রেখেছি যাতে নানান উদ্ভিদ উৎপন্ন করার উপযোগী হয়। (এ আয়াত হতে মহাকাশের মহাবিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া যায়। -সম্পাদক)
[3] পানির অর্থ বৃষ্টির পানি বা ঝরনার পানি হলেও একথা পরিষ্কার যে, পানি দ্বারা উদ্ভিদ জন্মে এবং প্রতিটি জীবের নবজীবন লাভ হয়। আর যদি এর অর্থ বীর্য হয়, তাহলেও অর্থের কোন সমস্যা হয় না। কারণ প্রতিটি জীবের অস্তিত্বের মূলে রয়েছে এই বীর্য (কারণবারি); যা পুরুষের পৃষ্ঠদেশ হতে বের হয়ে স্ত্রীর গর্ভাশয়ে স্থান লাভ করে।
তাফসীরে জাকারিয়া
৩০. যারা কুফরী করে তারা কি দেখে না(১) যে, আসমানসমূহ ও যমীন মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে, তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম(২); এবং প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে(৩); তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?
(১) চোখে দেখে জানা হোক কিংবা বুদ্ধি-বিবেচনা দ্বারা জানা হোক। কেননা, এরপর যে বিষয়বস্তু আসছে তার সম্পর্ক কিছু চোখে দেখার সাথে এবং কিছু ভেবে দেখার সাথে। [ফাতহুল কাদীর]
(২) رتق শব্দের অর্থ বন্ধ হওয়া, আর فتق এর অর্থ খুলে দেয়া। উভয় শব্দের সমষ্টি رتق ও فتق কোন কাজের ব্যবস্থাপনা ও তার পূর্ণ ক্ষমতার অর্থে ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে আয়াতের অনুবাদ এই দাঁড়ায় যে, আকাশ ও পৃথিবী বন্ধ ছিল। আমি এদেরকে খুলে দিয়েছি। সহীহ সনদে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন এর অর্থ হচ্ছেঃ আসমান ও যমীন পরস্পর মিলিত ছিল তারপর আমরা সে দুটিকে পৃথকীকরণ করেছি। হাসান ও কাতাদা রাহেমাহুমাল্লাহ বলেনঃ এতদুভয়ের মধ্যে বাতাস দ্বারা পৃথকীকরণ করেছেন। [ইবন কাসীর; কুরতুবী]
মোটকথাঃ এ শব্দগুলো থেকে যে কথা বুঝা যায় তা হচ্ছে এই যে, বিশ্ব-জাহান প্রথমে একটি পিণ্ডের আকারে ছিল। পরবর্তীকালে তাকে পৃথক পৃথক অংশে বিভক্ত করে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা ইত্যাদি স্বতন্ত্র জগতে পরিণত করা হয়েছে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে বন্ধ হওয়ার অর্থ আকাশের বৃষ্টি ও মাটির ফসল বন্ধ হওয়া এবং খুলে দেয়ার অর্থ এতদুভয়কে খুলে দেয়া। [কুরতুবী] তখন এ আয়াতের অর্থে আরও এসেছে, “শপথ আসমানের, যা ধারণ করে বৃষ্টি, এবং শপথ যমীনের, যা বিদীর্ণ হয়”। সূরা আত-তারেক: ১১-১২]
(৩) অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণী সৃজনে পানির অবশ্যই প্রভাব আছে। এসব বস্তু সৃজন, আবিষ্কার ও ক্রমবিকাশে পানির প্রভাব অপরিসীম। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি যখন আপনার সাথে সাক্ষাৎ করি, তখন আমার অন্তর প্রফুল্ল এবং চক্ষু শীতল হয়। আপনি আমাকে প্রত্যেক বস্তু সৃজন সম্পর্কে তথ্য বলে দিন।” জওয়াবে তিনি বললেনঃ “প্রত্যেক বস্তু পানি থেকে সৃজিত হয়েছে”। [মুসনাদে আহমাদঃ ২/২৯৫]
অধ্যায়ঃ কবরের ফিতনা
কবরেও মানুষ ফিতনার সম্মুখীন হবে। যখন একজন মানুষকে কবরে রাখা হয়, তখন দুইজন ফেরেশতা এসে তাকে বসাবে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করবে- তোমার রব কে? তোমার দীন কি? তোমার নবী কে? এ তিনটি প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করবে লোকটির ভাগ্য। যদি লোকটি সঠিক উত্তর- আমার রব আল্লাহ, আমার দীন ইসলাম এবং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- দিতে পারে, তখন একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলবে, আমার বান্দা উত্তর সঠিক দিয়েছে, তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দাও। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হবে। জান্নাতের শীতল বাতাস ও সুঘ্রাণ আসতে থাকবে। সে জান্নাতের বড় বড় প্রাসাদ দেখতে পাবে এবং বলবে হে রব! তুমি কিয়ামত কায়েম কর, যাতে আমি আমার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে যেতে পারি।
আর যখন লোকটি তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। তখন সে বলবে, হায়! আমি কিছুই জানি না। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে সে বলবে, হায়! আমি কিছুই জানি না। আমি লোকদের এ ধরনের কথা বলতে শুনেছি। লোকটি দুনিয়াতে ঈমান আনে নি, দীনের আনুগত্য করে নি। সে দুনিয়াতে অন্ধ-অনুকরণ করত। অথবা দুনিয়ার ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ঈমান প্রকাশ করত আর অন্তরে কুফরকে লুকিয়ে রাখত। তখন কবরে লোকটি বলবে আমি দুনিয়াতে কতক লোককে এ ধরনের কিছু কথা বলতে শুনেছি তাই আমিও তা বলেছি। তখন একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলবে- আমার বান্দা মিথ্যা কথা বলছে। তোমরা তার জন্য জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও। তখন জাহান্নামে তার অবস্থান দেখতে পাবে এবং বলবে হে রব! তুমি কিয়ামত কায়েম করো না।
এ হলো একজন মানুষের কবরের পরীক্ষা ও ফিতনা। আদম সন্তান তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতি নিয়তই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। হায়াত মাওত এবং কবর সব জায়গায় পরীক্ষা দিতে হবে। তবে উত্তম পরিণতি তাদের জন্য যারা ধৈর্য ধরে হকের ওপর অটল অবিচল থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يُثَبِّتُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱلۡقَوۡلِ ٱلثَّابِتِ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۖ وَيُضِلُّ ٱللَّهُ ٱلظَّٰلِمِينَۚ وَيَفۡعَلُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ ٢٧﴾ [ابراهيم: ٢٧]
“আল্লাহ অবিচল রাখেন ঈমানদারদেরকে সুদৃঢ় বাণী দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। আর আল্লাহ যালিমদের পথভ্রষ্ট করেন এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন”। [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ২৭]
﴿جَنَّٰتُ عَدۡنٖ يَدۡخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنۡ ءَابَآئِهِمۡ وَأَزۡوَٰجِهِمۡ وَذُرِّيَّٰتِهِمۡۖ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَدۡخُلُونَ عَلَيۡهِم مِّن كُلِّ بَابٖ ٢٣ سَلَٰمٌ عَلَيۡكُم بِمَا صَبَرۡتُمۡۚ فَنِعۡمَ عُقۡبَى ٱلدَّارِ ٢٤﴾ [الرعد: ٢٣، ٢٤]
“স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যাতে তারা এবং তাদের পিতৃপুরুষগণ, তাদের স্ত্রীগণ ও তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা সৎ ছিল তারা প্রবেশ করবে। আর ফিরিশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে। (আর বলবে) ‘শান্তি তোমাদের ওপর, কারণ তোমরা সবর করেছ, আর আখিরাতের এ পরিণাম কতই না উত্তম”। [সূরা রা‘দ, আয়াত: ২৩-২৪]
অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে দীনের ওপর অটল-অবিচল থাকা এবং ধৈর্য ধারণ করার কারণে এ সম্মানের অধিকারী হলে। তোমরা ধৈর্য ধারণ করছ বলেই তোমাদের ওপর শান্তি। তোমরা এ পুরস্কার বা বিনিময় এমনিতে পাও নি। তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, ধৈর্য ধারণ করা ও হকের ওপর অটুট থাকার কারণেই এ ধরনের সাওয়াব বা বিনিময় লাভ করবে। তাদের বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, سَلَٰمٌ عَلَيۡكُم بِمَا صَبَرۡتُمۡۚ فَنِعۡمَ عُقۡبَى ٱلدَّارِ ‘শান্তি তোমাদের ওপর, কারণ তোমরা সবর করেছ, আর আখিরাতের এ পরিণাম কতই না উত্তম’।
আর যারা কাফির (আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন) তাদের বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ يَتَوَفَّى ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَضۡرِبُونَ وُجُوهَهُمۡ وَأَدۡبَٰرَهُمۡ وَذُوقُواْ عَذَابَ ٱلۡحَرِيقِ ٥٠ ذَٰلِكَ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيكُمۡ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَيۡسَ بِظَلَّٰمٖ لِّلۡعَبِيدِ ٥١﴾ [الانفال: ٥٠، ٥١]
“আর যদি তুমি দেখতে, যখন ফেরেশতারা কাফিরদের প্রাণ হরণ করছিল, তাদের চেহারায় ও পশ্চাতে আঘাত করে, আর (বলছিল) ‘তোমরা জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন কর’। তোমাদের হাত আগে যা প্রেরণ করেছে সে কারণে এ পরিণাম। আর নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের প্রতি যুলুমকারী নন”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৫০-৫১]
একজন মানুষ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফিতনার মধ্যেই বাস করতে হয় এমনকি যখন তাকে কবরে রাখা হয় তখনও তাকে ফিতনার সম্মুখীন হতে হয়। সুতরাং যে কোন ফিতনাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ ফিতনা থেকে নাজাত পাওয়ার একমাত্র উপায়, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা। কুরআন ও সন্নাহকে আঁকড়ে ধরার জন্য আল্লাহর দীন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার কোনো বিকল্প নেই। দীন সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য চেষ্টা ও সাধনা দরাকার। শুধু আশা আর ধারণা-প্রসূত হলে আল্লাহর দীনের জ্ঞান লাভ করা যায় না। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمِنۡهُمۡ أُمِّيُّونَ لَا يَعۡلَمُونَ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّآ أَمَانِيَّ وَإِنۡ هُمۡ إِلَّا يَظُنُّونَ ٧٨﴾ [البقرة: ٧٨]
“আর তাদের মধ্যে আছে নিরক্ষর, তারা মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া কিতাবের কোনো জ্ঞান রাখে না এবং তারা শুধুই ধারণা করে থাকে”। [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ৭৮]
অধিক অধ্যয়ন করা, অনেক কিতাব পড়া ও বেশি বেশি লেখা পড়া দ্বারা দীনি ইলম লাভ করা সম্ভব নয়। দীন লাভ করতে হলে আলেম ও আহলে ইলমদের নিকট শিক্ষা লাভ করতে হবে। তবেই সত্যিকার ইলম শেখা হবে। ইলম আলেমদের থেকেই শিখতে হবে। নিজে নিজে পড়া-শুনা করে ইলম অর্জন করা যায় না। বর্তমানে অনেক মানুষ মনে করে বই পড়ে পড়ে আলেম হওয়া যায়। আবার অনেককে দেখা যায় অনেক কিতাব পড়ে হাদীসের ‘জারহ ও তাদিল’-এর কিতাব পড়ে বা তাফসীর ইত্যাদির কিতাবাদি পড়েন। তারা এভাবে পড়া শুনা করে নিজেদের আলেম মনে করেন। না, এ ধরণের পড়া লেখা দ্বারা এলম অর্জন বা কোন বুনিয়াদি শিক্ষা অর্জন নিয়মের আওতায় পড়ে না। কারণ, সে তো ইলম কোন জ্ঞানীদের কাছ থেকে শিখে নি। সুতরাং তাকে অবশ্যই আলেম ফকীহ ও শিক্ষকদের আলোচনায় ও দরসে বসতে হবে। ইলেম শিখার জন্য ত্যাগ শিকার করতে হবে।
ومــن لـم يــذق ذل التعلــم ســاعـــة * تجـــرع كـــأس الجهــل طول حيــاتــه
“যে ব্যক্তি কিছু সময় শেখার জন্য অপদস্থ হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করেন নি, সে সারা জীবন অজ্ঞতার গ্লানিই পান করতে থাকবে”।
ইলম দীনদার আলেম এবং ফকীহ যারা আল্লাহ কিতাব ও সুন্নতের গভীরতা সম্পর্কে অবগত তাদের থেকে শিখতে হবে। শুধু নিজে নিজে বই পড়া দ্বারা ইলম হাসিল করা সম্ভব নয়। শেখার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি। শেখার জন্য শিক্ষার দরজাসমূহ দিয়ে প্রবেশ করতে এবং বের হতে হবে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمِنۡهُمۡ أُمِّيُّونَ لَا يَعۡلَمُونَ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّآ أَمَانِيَّ وَإِنۡ هُمۡ إِلَّا يَظُنُّونَ ٧٨﴾ [البقرة: ٧٨]
“আর তাদের মধ্যে আছে নিরক্ষর, তারা মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া কিতাবের কোনো জ্ঞান রাখে না এবং তারা শুধুই ধারণা করে থাকে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৭৮]
শিক্ষার অনেক দরজা রয়েছে। ইলম বহনকারীর সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক শিক্ষক। তোমাদের অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই মসজিদ হোক, মাদরাসা হোক এবং কলেজ, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি হোক।
মোটকথা, যতদিন পর্যন্ত আলেমগণ থাকবেন, তাদের থেকে জ্ঞান আহরণ করার সুযোগ থাকবে, ততদিন আমরা তাদের থেকে দীনি ইলম হাসিল করব। আর যদি আমরা নিজ গৃহে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করি এবং তাতে কিতাবের লাইব্রেরি বানিয়ে বই পড়তে থাকি, তাতে ইলম শিক্ষা করা হবে না -এতে সময় নষ্ট হবে। আল্লাহর দীন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ কেবলই ফকীহদের থেকে শিখতে হবে। আর একা একা ইলম অর্জন করা কোনো নিয়মের আওতায় পড়ে না।
অনুরূপভাবে নাজাতের উপায় হলো, মুসলিম জামা‘আতের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং মতবিরোধ, মতানৈক্য, দলাদলি এবং সালফে সালেহীনের বিপক্ষ দলের প্রতি ঝুঁকে পড়া হতে বিরত থাকা। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজাতপ্রাপ্ত দল সম্পর্কে বলেন, هم من كان على مثل ما أنا عليه اليوم وأصحابي তারা হলো, যারা আমি এবং আমার সাহাবীদের আদর্শের ওপর আছে তারা। তারপর যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুকরণ করেন। অর্থাৎ যারা পূর্বের মনিষী যারা অতিবাহিত হয়েছেন তাদের অনুসরণ করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [الحشر: ١٠]
“যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু”। [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ১০]
বিরুদ্ধ দলের সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া, সাহাবীগণকে গালি দেওয়া, উলামা, ইমাম ও মুজতাহিদদের ভুল ধরা তাদের মূর্খ-কাণ্ডজ্ঞানহীন ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা একজন মানুষকে গোমরাহির দিকেই নিয়ে যায়। তবে যাকে আল্লাহর রহমত পেয়ে বসে বা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে এবং মুসলিম জামা‘আতের সাথে যোগদান করে তারা ছাড়া। আর মুক্তিপ্রাপ্ত দল এখানে একটিই। যাদের বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে তেহাত্তর ফিরকা হবে তাদের একটি ছাড়া আর বাকী সবাই জাহান্নামী হবে। জাহান্নামী হওয়া বিভিন্ন কারণ হবে। কেউ হবে কারণ সে কাফের। আবার কেউ হবে কারণ সে গোমরাহ, আর কেউ হবে কারণ সে ফাসেক। মোট কথা একমাত্র একটি দল ছাড়া বাকীরা সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করল, তারা কারা? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, من كان على مثل ما أنا عليه اليوم وأصحابي রাস্তা একটিই এবং মুক্তিপ্রাপ্ত দলও একটি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَنَّ هَٰذَا صِرَٰطِي مُسۡتَقِيمٗا فَٱتَّبِعُوهُۖ وَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلسُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمۡ عَن سَبِيلِهِۦۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٥٣﴾ [الانعام: ١٥٣]
“আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫৩]
গোমরাহীর পথ অসংখ্য অগণিত, যার কোনো নির্ধারিত সংখ্যা নেই। বর্তমানে ফিরকা ও দল এত বেশি যে এদের কোন নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কিন্তু সঠিক ও হক দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত মাত্র একটি। যাদের বিষয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ كَذَلِكَ».
“আমার উম্মত হতে একদল সব সময় হকের ওপর অটল অবিচল থাকবে। যারা তাদের বিরোধিতা করবে বা তাদের অপদস্থ করবে কিয়ামত পর্যন্ত তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না”।[1] তবে তাদেরকে মানুষ হালকা ভাবে দেখবে তাদেরকে মানুষ মূর্খ বলে গালি দিবে, তাদের গাফেল বলবে। অথচ তারা সত্যকে জানে অন্যরা জানে না। এ সব ক্ষেত্রে মুসলিমের ওপর দায়িত্ব হলো সে কারও কথা শুনবে না। তাদের কথা শুনবে যারা রাসূলের বাণী অনুসারে ‘এখন আমি এবং আমার সাহাবীরা যার ওপর আছে’, তাদের অনুসরণ করে। এ ছাড়া নাজাতের কোনো উপায় নেই।
[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯২০
ইসলাম ধর্মের অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন নারী ,,,,!!
ডাঃ জাকির নায়েক ,,,,,,।।
সত্যিকারিক সমাজে নারীরা যেসব পেশা নেবে,
ডাঃ জাকির নায়েক,,,!!
কুরআন সাত উপ (আঞ্চলিক) ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। সহীহ বুখারী (তাওহীদ নং৪৯৯২. ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনু হাকীম (রাঃ)-কে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় সূরাহ ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনেছি এবং গভীর মনোযোগ দিয়ে আমি তাঁর কিরাআত শুনেছি। তিনি বিভিন্নভাবে কিরাআত পাঠ করেছেন; অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এভাবে শিক্ষা দেননি। এ কারণে সালাতের মাঝে আমি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্যত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু বড় কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সে সালাম ফিরালে আমি চাদর দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, তোমাকে এ সূরাহ যেভাবে পাঠ করতে শুনলাম, এভাবে তোমাকে কে শিক্ষা দিয়েছে? সে বলল, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই আমাকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছ। কারণ, তুমি যেভাবে পাঠ করেছ, এর থেকে ভিন্ন ভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন।
এরপর আমি তাকে জোর করে টেনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে গেলাম এবং বললাম, আপনি আমাকে সূরাহ ফুরকান যেভাবে পাঠ করতে শিখিয়েছেন এ লোককে আমি এর থেকে ভিন্নভাবে তা পাঠ করতে শুনেছি। এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। হিশাম, তুমি পাঠ করে শোনাও। তারপর সে সেভাবেই পাঠ করে শোনাল, যেভাবে আমি তাকে পাঠ করতে শুনেছি। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবেই অবতীর্ণ করা হয়েছে। এরপর বললেন, হে ‘উমার! তুমিও পড়। সুতরাং আমাকে তিনি যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবেই আমি পাঠ করলাম। এবারও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবেও কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ কুরআন সাত আঞ্চলিক ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। সুতরাং তোমাদের জন্য যা বেশি সহজ, সেভাবেই তোমরা পাঠ কর। [২৪১৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬২৬)
অবশেষে মুফতি রেজাউল করিম আবরার স্বীকার করলেন নবী (ছাঃ) জোরে আমিন বলতেন,,,//
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহিরীতে বরকত রয়েছে।[1] বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিযী ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, ইবনু মাজাহ ১৬৮২, আহমাদ ১১৫২৯, ১২৮২৩, দারেমী ১৬৯৬।
জুলুম আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ অত্যাচার করা, অবিচার করা, কাউকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা অন্যায়ভাবে কাউকে শারীরিক-মানসিক-আর্থিক কষ্ট দেয়া। জুলুম একটি জঘন্যতম অপরাধ। এ ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। সব ধর্ম মতেই জুুলুম মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন-সুন্নাহ জুলুম এবং জালিমের শাস্তির ব্যাপারে কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছে। কঠোর ভাষায় জুলুমকে নিষেধ করেছে।
আল্লাহ বলেন : ‘তুমি কখনো মনে করো না যে, জালিমেরা যা করে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল, তবে তিনি সে দিন পর্যন্ত তাদের অবকাশ দেন, যেদিন তাদের চু হবে স্থির। ভীতবিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছোটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে (আশা) শূন্য। যেদিন তাদের শাস্তি আসবে, সেদিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক করো, তখন জালিমরা বলবেÑ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছু কালের জন্য অবকাশ দিন, আমরা আপনার আহ্বানে সাড়া দেবো এবং রাসূলদের অনুসরণ করব। (আল্লাহ বলবেন) তোমরা কি আগে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের কখনো পতন হবে না? অথচ তোমরা বাস করতে তাদের বাসভূমিতে যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল এবং তাদের প্রতি আমি কি করেছিলাম (অর্থাৎ কী কঠিন শাস্তি দিয়েছিলাম) তা তোমাদের কাছে ছিল সুস্পষ্ট এবং আমি তোমাদের কাছে তাদের (শাস্তির) দৃষ্টান্তও উপস্থিত করে ছিলাম। তারা ভীষণ চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু আল্লাহর কাছে রয়েছে তাদের চক্রান্তের শাস্তি। তাদের চক্রান্ত এমন ছিল না যে, পাহাড় টলে যায়। অথবা তাদের চক্রান্ত ছিল পাহাড় টলে দেয়ার মতো কঠিন। (এসব সত্ত্বেও আল্লাহ তাদের সব ষড়যন্ত্রকে ও চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়ে তাদেরকে কঠিন শাস্তি প্রদান করেছেন) তুমি কখনো মনে করো না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলদের প্রতি প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করেন। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।’ (অতএব জালিমকে আল্লাহ অবশ্যই কঠিন শাস্তি প্রদান করবেন, দুনিয়ার কোনো শক্তিই তা ফেরাতে সম হবে না) (সূরা ইব্রাহীম, ৪২-৪৭) আল্লাহ বলেনÑ ‘আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে, তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর মতো পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল বিদগ্ধ করবে, এটি কত নিকৃষ্ট পানীয়, জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়।’ (সূরা কাহফ; ২৯) আল্লাহ বলেন; তাদের সতর্ক করে দাও আসন্ন দিন (কেয়ামত) সম্পর্কে এবং দুঃখকষ্টে তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে। জালিমদের জন্য কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু নেই এবং যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে এমন কোনো সুপারিশকারীও নেই। (সূরা মুমিন, ১৮) এভাবে কুরআনুল কারিমের অনেক আয়াত রয়েছে,যাতে জালিমের কঠিন শাস্তির কথা আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ জালিমকে সুযোগ দেন, ছাড় দেন না। জালিমকে তার জুলুমের শাস্তি অবশ্যই ভোগ করতে হবে, মাজলুমের কাছে মা চেয়ে মাফ করানো ছাড়া এ শাস্তি থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।
এভাবে অনেক হাদিস রয়েছে, যাতে জালিমের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে, যেমনÑ রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন : ‘জুলুম করা থেকে বেঁচে থাক; কেননা জুলুম কিয়ামতের দিন বহু অন্ধকারের কারণ হবে।’ (বুখারি, মুসলিম) জালিম জুলুমের কারণে কিয়ামতের দিন বিভিন্ন ধরনের অন্ধকারে পতিত হবে। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রতি জুলুম করেছে, তার সম্মান বা অন্য কোনো বিষয়ে, তবে সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয়, ওই দিনের আগে যে দিন তার কাছে দিনার-দিরহাম কিছুই থাকবে না (মৃত্যু বা কিয়ামত দিবসের আগে)। যদি তার কাছে নেক আমল থাকে, তবে তার জুলুম পরিমাণ নেকি নেয়া হবে, আর যদি তার কাছে নেকি না থাকে, তাহলে মাজলুম ব্যক্তির গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে।’ (বুখারি) আবু মূসা রা: বলেনÑ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে (এক নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত) অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে পাকড়াও করেন, তখন আর তাকে ছাড়েন না। অতঃপর তিনি আয়াতটি পাঠ করলেন, ‘আর এ রূপেই তখন তিনি কোনো জনপদের অধিবাসীদেরও পাকড়াও করেন, যখন তারা অত্যাচার করে। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও হচ্ছে অত্যন্ত যাতনাদায়ক ও কঠিন (সূরা হুদ; ১০২)। আলী রা: বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; ‘তুমি মাজলুমের বদদোয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো, কেননা সে আল্লাহর দরবারে নিজের হক প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ তায়ালা কোনো হকদারকে তার হক হতে বঞ্চিত করেন না।’ (বায়হাকি) আওস বিন শুরাহবিল রা: থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সা:-কে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জালিমের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তার সাথে চলে; অথচ সে জানে যে, সে জালিম তাহলে সে ইসলাম হতে বের হয়ে গেল।’ (বায়হাকি) রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন; ‘মাজলুমের বদদোয়া থেকে বাঁচো, কেননা মাজলুমের বদদোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি) অর্থাৎ মাজলুমের দোয়া সরাসরি আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।
জালিম যতই শক্তিশালী হোক না কেন, যতই মতাধর হোক না কেন, আল্লাহর শাস্তি হতে কখনো সে রেহাই পাবে না। আল্লাহর শাস্তি বিলম্ব হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর শাস্তি যখন আসবে, দুনিয়ার এমন কোনো শক্তি নেই, তা ঠেকাতে পারে। আল্লাহ সুযোগ দেন, ছাড় দেন না। আল্লাহ বলেন : ‘আমি তাদেরকে অবকাশ দিয়ে রাখি। আমার কৌশল অতি শক্তিশালী।’ (সূরা নুন, ৪৫) ‘যারা আমার আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, আমি তাদের অজ্ঞাতে তাদেরকে ধীরে ধীরে পাকড়াও করব। আমি তাদের অবকাশ দিচ্ছি, নিশ্চয় আমার কৌশল অতি শক্ত।’ (সূরা আরাফ; ১৮২, ১৮৩) ‘আল্লাহ তাদের নিজেদের অবাধ্যতার মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরার জন্য ঢিল দেন।’ (সূরা বাকারাহ ১৫) আল্লাহ অতীতে কাউকে ছাড় দেননি, যতই তার শিকড় শক্ত হোক। ফেরাউন তার শক্তির দাম্ভিকতায় নিজেকে রব বলে দাবি করেছে। স্বীয় মতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য এবং এ পথের কাঁটাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য সে দেশের সব নবজাতক পুত্রসন্তানদের জবেহ করেছে। কিন্তু মহান আল্লাহ যা করার তা করবেনই, দুনিয়ার কারো কোনো শক্তি নেই তা রোধ করার। আল্লাহ বলেনÑ নিশ্চয় তোমার রব যা চান, তা তিনি করবেনই। (সূরা হুদ, ১০৭) ‘যা তিনি চান, তা তিনি করবেনই’ (সূরা বুরুজ, ১৬) ‘নিশ্চয়ই তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন’। (সূরা বুরুজ, ১২)’ আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে জালিমদের কঠিন শাস্তি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছেন। নিকটাতীতেও দেখা যায়, জালিম শাসকেরা কিভাবে লাঞ্ছনা নিয়ে মতাচ্যুত হয়ে অপমানের গ্লানি নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে। ইরানের পাহলভি ও ফিলিপাইনের মার্কোস তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর একটি কথাও জেনে রাখা প্রয়োজন, মহান আল্লাহর সাথে তাঁর ইবাদতে, মতায়, আইন রচনায় প্রভৃতিতে অন্য কাউকে শরিক করা হলো সবচেয়ে বড় জুলুম। আল্লাহ বলেন; ‘নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম’ (সূরা লোকমান, ১৩) এমনিভাবে আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করা, আল্লাহর দীনকে অমান্য করা, নবী-রাসূলদের দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করাও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ এ কারণে অতীতের অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেনÑ ‘এবং আমি নিদর্শন রেখেছি মূসা আ: এর ঘটনায়, যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠালাম, তখন সে মতার দম্ভে মুখ ফিরিয়ে নিলো এবং বলল, এ একটা জাদুকর বা উন্মাদ। সুতরাং আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম এবং তাদের সমুদ্রে নিপে করলাম এবং সে তিরস্কৃত হলো। এবং নিদর্শন রয়েছে ‘আদের ঘটনায়, যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম অকল্যাণকর বায়ু, এটি যা কিছুর ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল, তাকেই জরাজীর্ণ করে দিয়েছিল। আরো নিদর্শন রয়েছে সামুদের কাহিনীতে, যখন তাদেরকে বলা হলো, তোমরা ভোগ করে নাও কিছুকাল। তারা তাদের প্রতিপালকের কথা অমান্য করল, ফলে তাদের প্রতি বজ্রাঘাত হলো এবং তারা দেখছিল। তারা উঠে দাঁড়াতে পারল না এবং তা প্রতিরোধও করতে পারল না। আর (ধ্বংস করেছিলাম) ইতঃপূর্বে নুহের আ: সম্প্রদায়কে, তারা ছিল ফাসেক সম্প্রদায়।’ (সূরা জারিয়াত, ৩৮-৪৬) এভাবে ধ্বংস করেছেন লুত আ:, সামুদ আ: সম্প্রদায়সহ আরো অনেক সম্প্রদায়কে, যারা আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াতকে অস্বীকার করেছিল। যাদের ধ্বংসাবশেষ অদ্যাবধি রয়েছে। আল্লাহ বলেন; ‘ বলো (হে মুহাম্মদ) তোমরা ভূপৃষ্ঠে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণাম কি হয়েছে, তা গভীর অভিনিবেশসহকারে ল করো। (সূরা আনয়াম, ১১)’ বলো! পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো এবং দেখ, অপরাধীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে।’ (সূরা নামল; ৬৯)
আজ পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে যারা জুলুম করে যাচ্ছে, অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাচ্ছে, তাদের উচিত অতীত ইতিহাস থেকে শিা নেয়া, কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত শাস্তির ভয়ে ভীত হয়ে জুলুম অত্যাচারের পথকে পরিহার করা। এতে তারাও শান্তি পাবে এবং জাতিও মুক্তি পাবে। মনে রাখা দরকার, মতা-দম্ভ, অর্থ ও শক্তি এক দিন শেষ হবেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ
নামায না পড়াকে যারা ছোটখাট বিষয় মনে করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি- আসুন যেনে নেই নামাজ না পড়ার ভয়াবহতা কত ।
আল্লাহ কুরআনে বার বার জোর দিয়ে বলেছেনঃ
"যালিকা ইয়াওমুল হাক্কু" - এই দিন নিশ্চিতই আসবে!
যারা নামায পড়বেনা তাদের মাথা পাথর দিয়ে আঘাত করে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে...
নেক্সট টাইম ফরয নামায ত্যাগ করার আগে চিন্তা করবেন, আমি কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কথা বিশ্বাস করি?
যদি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি ফরয নামায কোনোমতেই ত্যাগ করতে পারবেন না।
আর যদি ত্যাগ করেন, তাহলে আপনি কি আল্লাহর কথা বিশ্বাস করলেন?
একটু চিন্তা করে দেখুন - এই আয়াতে আসলে কাদের কথা বলা হয়েছে...
"আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।" (বাক্বারাহঃ ৮)
*এই আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে এরা আসলে মুনাফেক, মুখে দাবী করে আমরা ঈমানদার অথচ তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান নেই...
***ফরয নামায না পড়ার শাস্তিঃ
একবার এক স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে কয়েকটি পাপের শাস্তি দেখানো হয়। উল্লেখ্য, নবী-রাসুলদের সব স্বপ্ন ওহী, অর্থাত আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য স্বপ্নঃ
একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "আজ রাতে আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বললো, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়ে ছিলো। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে। এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমি আমার সংগী দুইজনকে জিজ্ঞাস করলামঃ সুবহা’ন-আল্লাহ! এরা কারা? তারা পরবর্তীতে উত্তর দেন, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা কুরান মুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”।
সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৫৪৬।
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, হে আল্লাহ আমাদের অতীতের ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করো এবং ভবিষ্যতে সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তোওফিক দান করো, আমীন।
***নামায ওয়াক্ত অনুযায়ীই পড়তে হবে, নিজের মন মতো সময়ে পড়লে গ্রহণযোগ্য হবেনাঃ
"ইন্নাস-সালাতি কানাত আ'লাল মুমিনিনা কিতাবান মাওক্বুতা।"
অর্থঃ নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য সুনিদিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।
সুরা আন-নিসা, আয়াত ১০৩।
***ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায না পড়লে তার শাস্তিঃ
"ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লিন, আল্লাযীনা হুম আ'ন-সালাতিম সাহুন।"
অর্থঃ অতএব দূর্ভোগ ঐ সমস্ত নামাযীদের জন্য, যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন।"
সুরা আল-মাউন, আয়াত ৪-৫।
লক্ষ্যণীয় বিষয়ঃ এখানে উদাসীন বলতে যারা নামায পড়ে, কিন্তু দেরী কড়ে পড়ে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। যেই ব্যক্তি নামায পড়ে কিন্তু দেরী করে পড়ে, তাকেই যদি জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থানে (জাহান্নামের একটি চূড়াতে) যেতে হয়, তাহলে যেই ব্যক্তি নামায পড়েই না তার জাহান্নামের কোন কঠিন ও ভয়াবহ স্থানে যেতে হবে...?
কথা হলো ঈমান......
কেউ যদি সত্যিই বিশ্বাস করে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে - আর মৃত্যুর পরের জীবন দুনিয়ার জীবনের মতোই আরেকটা জীবন, বরং সময়ের দিক থেকে সেটাতো অনন্ত - তাহলে অবশ্যই সে যত যাই থাকুক অন্তত ফরয নামাযটা হলেও আদায় করার চেষ্টা করবে...
আর যার ঈমান শুধু মুখে, অন্তরে নাই - সে বলবেঃ এই পড়বো, পড়া দরকার, কাপড় খারাপ ব্লা ব্লা। কিন্তু পড়ার জন্য যে উদ্যোগ ও চেষ্টা করা দরকার সেটা কোনোদিন করবেনা।
আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ ৫ ওয়াক্ত নামাযী হিসেবেই মৃত্যু দান করুন, আমীন
আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার সর্বোত্তম উপায় হলো আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া। অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকেও আপনার আশ্রয় চাই,,,//
টাকা দিয়ে ফিতরা আদায়ের হাদিস আসমান নিচে জমিনের উপরে একটাও নেই !!
ফিতরা আদায় করতে হবে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে।
আলোচকঃ-) - শাইখ আছমত আলী খান ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, যিনাকারী যখন যিনা করে তখন আর সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পান করে তখন তার আর ঈমান থাকে না। যখন ডাকাত এভাবে ডাকাতি করে যে, যখন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে তখন তার ঈমান থাকে না। এভাবে কেউ যখন গনিমতের সম্পদ খেয়ানত করে, তখন তার ঈমান থাকে না। অতএব সাবধান (এসব গুনাহ হতে দূরে থাকবে)।’(বুখারি : ২৪৭৫; মুসলিম: ৫৭; আবু দাউদ : ৪৬৮৯; নাসায়ি : ৪৮৭০; তিরমিজি : ২৬২৫; ইবনে মাজাহ : ৩৯৩৬)
কবরের শাস্তি ,,,,,
প্রিয় ভাই সকল! আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ইমামগণ কবরের শাস্তি এবং শান্তির ব্যাপারে ঈমান আনা ওয়াজিব হওয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা এখানে তুলে ধরলাম।
প্রত্যেক মানুষ (নিম্নের) তিনটি স্তর অতিক্রম করে থাকে।
ইহকালীন জীবন
বারযাখী জীবন
পরকালীন জীবন বা চিরস্থায়ী জীবন, যার কোনো শেষ নেই।
বারযাখী জীবন একটি বিরাট জীবন, যেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা রয়েছে, হয় শান্তি না হয় শাস্তি, যা কুরআনের আয়াত এবং হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। আর এটাই সালাফ এবং ইমামদের তরীকা যে, যখন কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয় তখন সে শান্তি না হয় শাস্তিতে থাকে।
রূহ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর শাস্তিতে অথবা শান্তিতে বাকী থেকে যাবে, কখনো শরীরের সাথে সম্পৃক্ত হলে তখন রূহের সাথে শরীরেরও শান্তি বা শাস্তি হবে। অতঃপর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সে দিন রূহকে শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হলে তার রবের জন্য কবর থেকে উঠে দাঁড়াবে।[1]
কুরআনের যে সকল আয়াত দ্বারা কবরের শাস্তি প্রমাণিত হয় তা এই: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَحَاقَ بَِٔالِ فِرۡعَوۡنَ سُوٓءُ ٱلۡعَذَابِ ٤٥ ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗاۚ وَيَوۡمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ أَدۡخِلُوٓاْ ءَالَ فِرۡعَوۡنَ أَشَدَّ ٱلۡعَذَابِ ٤٦﴾ [غافر: ٤٥، ٤٦]
“ফির‘আউন গোত্রকে শোচনীয় ‘আযাব গ্রাস করল, সকাল সন্ধায় তাদেরকে আগুনের সম্মুখে পেশ করা হয় এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সে দিন আদেশ করা হবে, ফির‘আউন গোত্রকে কঠিনতম ‘‘আযাবে পেশ করাও।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৪৫-৪৬]
হাফেজ ইবন হাজার রহ. এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, ফির‘আউন এবং তার অনুসারীদের রূহসমূহ কিয়ামত পর্যন্ত সকাল-সন্ধায় আগুনের সম্মুখীন করা হবে, যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন তাদের রূহ এবং শরীর গুলো আগুনে একত্রিত করা হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿وَحَاقَ بَِٔالِ فِرۡعَوۡنَ سُوٓءُ ٱلۡعَذَابِ ٤٥ ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗاۚ وَيَوۡمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ أَدۡخِلُوٓاْ ءَالَ فِرۡعَوۡنَ أَشَدَّ ٱلۡعَذَابِ ٤٦﴾ [غافر: ٤٥، ٤٦]
“ফির‘আউন গোত্রকে শোচনীয় ‘আযাব গ্রাস করল, সকাল সন্ধায় তাদেরকে আগুনের সম্মুখে পেশ করা হয় এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সে দিন আদেশ করা হবে, ফির‘আউন গোত্রকে কঠিনতম ‘আযাবে পেশ করাও।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৪৫-৪৬]
ব্যাখ্যা: যন্ত্রনার দিক দিয়ে কঠিন এবং অপমানের দিক দিয়ে বড়। এ আয়াতটি কবরে বারযাখের শাস্তির ওপর প্রমাণিত আহলে সুন্নাতের মূল দলীল। আর এটাই আল্লাহর বাণী:
﴿ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗاۚ﴾ [غافر: ٤٦]
“সকাল সন্ধায় তাদেরকে আগুনের সম্মুখীন করা হবে।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৪৬][2]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَوۡمَ لَا يُغۡنِي عَنۡهُمۡ كَيۡدُهُمۡ شَيۡٔٗا وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ ٤٦ وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُواْ عَذَابٗا دُونَ ذَٰلِكَ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٤٧﴾ [الطور: ٤٦، ٤٧]
“অতঃপর তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দিন, যেদিন তাদের ওপর বজ্রাঘাত পতিত হবে। সেদিন তাদের চক্রান্ত কোনো কাজে আসবে না এবং তাদেরকে কোনো সাহায্য করা হবে না। আর যালিমদের জন্য এ ছাড়াও রয়েছে অন্য শাস্তি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।” [সূরা আত-তূর, আয়াত: ৪৫-৪৭]
আল্লাহর এ বাণী:
﴿وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُواْ عَذَابٗا دُونَ ذَٰلِكَ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٤٧﴾ [الطور: ٤٧]
“আর যালিমদের জন্য এ ছাড়াও রয়েছে অন্য শাস্তি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না” [সূরা আত-তূর, আয়াত: ৪৭] দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বারযাখে শাস্তি হওয়া; যেমন ইবন কাইয়্যুম তার কিতাবে (আর-রূহে) ইঙ্গিত দিয়েছেন।[3]
তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা একটি বড় জামা‘আত কবরের ‘আযাবের ওপর দলীল সাব্যস্ত করেছে। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা একজন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যে সকল সহীহ হাদীস কবরের ‘আযাব সাব্যস্ত করে তা অনেক মুস্তাফিজ হাদীস (যার সনদে দু’জন করে সাহাবী রয়েছে) এবং কতিপয় উলামা তা মুতাওয়াতির বলেছেন।[4] তার মধ্যে বারা ইবন ‘আযিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীস, যা সুনান (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন মাজাহ) ও মুসনাদে এসেছে। আর আমি পূর্বে যা উল্লেখ করেছি তাই বর্ণনার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ।
কবরের ‘আযাব সাব্যস্তকারী হাদীসগুলো নিম্নরূপ:
ইমাম বুখারী তার সহীহ বুখারীতে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার হাদীস নিয়ে এসেছেন, তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহূদী মহিলা তার নিকট এসে কবরের ‘আযাবের কথা উল্লখ করলে তিনি বলেন, আল্লাহ তোমাকে কবরের ‘আযাব থেকে রক্ষা করুন। অতঃপর তিনি কবরের ‘আযাব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কবরের ‘আযাব সত্য।[5]
আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এর পর যখনই তাঁকে সালাত পড়তে দেখেছি তখনই তিনি কবরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।
আসমা বিনতে আবূ বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় দাঁড়িয়ে কবরের ফিতনা উল্লেখ করেছেন, যেখানে মানুষ ফিতনার সম্মুখীন হবে। তা উল্লেখ করার সাথে সাথে সাহাবীগণ আর্তনাদ করতে শুরু করলেন। ইমাম নাসাঈ আসমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কথাটি আরো সামান্য বৃদ্ধি করে বলেন যে, সাহাবীগণ চিৎকার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেষ কথাটি আমার বুঝতে অসুবিধা হলো। তাদের চিৎকার একটু থামলে আমার নিকটবর্তী একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আল্লাহ তোমায় বরকত দিন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শেষ কথায় কী বলেছেন? বললেন, তিনি বলেছেন, (আমার নিকট অহী এসেছে যে, নিশ্চয় তোমরা কবরে ফিতনার সম্মুখীন হবে, যা দাজ্জালের ফিতনার সমকক্ষ প্রায়।[6]
যায়েদ ইবন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বনী নাজ্জারের একটি বাগানে তাঁর খচ্চরের উপর ছিলেন। আমরাও তাঁর সাথে ছিলাম। হঠাৎ তাঁর খচ্চরটি এমনভাবে লাফাচ্ছিল যে, তাঁকে ফেলে দেওয়ার উপক্রম হলো। তখন তিনি সামনে ৪/৫টি বা ৬টি কবর দেখতে পেলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, এ কবরবাসীদেরকে কেউ চেন কি?
এক ব্যক্তি বলল আমি চিনি।
তিনি বললেন: তারা কখন মারা গেছে?
বলল: মুশরিক অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি বললেন: নিশ্চয় এ উম্মত কবরের পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। যদি তোমরা তাদেরকে দাফন না করতে তাহলে কবরের শাস্তি আমি যা শুনি তোমাদেরকেও তা শুনানোর জন্য আল্লাহর নিকট দো’আ করতাম। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারা বলল, তখন আমরা আল্লাহর নিকট কবরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলাম। তিনি বললেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাও। তারা বলল, তখন আমরা আশ্রয় চাইলাম। তিনি দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাইতে বললে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইলাম।[7]
সহীহ মুসলিমে এবং সুনানের কিতাবসমূহে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যখন তোমাদের কেউ সালাতে শেষ তাশাহ্হুদ সমাপ্ত করবে তখন আল্লাহর নিকট চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় চাইবে, (জাহান্নাম ও কবরের ‘আযাব থেকে, জীবন মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে)।”[8]
কবরের ‘আযাবের হাকীকতের ওপর প্রমাণীত দলীলসমূহ যা ইমাম মুসলিম রহ. তার সহীহ মুসলিমে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের দো‘আটি তাদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে কুরআনের কোনো সূরা শিক্ষা দিতেন।[9]
দো‘আটি হলো:
«اللهم إني أعوذبك من عذاب جهنم وأعوذبك من عذاب القبر واعوذبك من فتنة المحيا والممات واعوذبك من فتنة المسيح الدجال».
“হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট জাহান্নামের ‘আযাব, কবরের ‘আযাব, জীবন মৃত্যুর ফিতনা এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।”
বুখারী ও মুসলিমে আবূ আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা গোধূলির সময় বের হলে একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে তিনি বললেন, ইয়াহূদীদের কবরে শাস্তি হচ্ছে।[10]
প্রিয় ভাইসকল, পূর্বের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কবরে মানুষের একটি অন্য রকম জীবন রয়েছে, যার বৈশিষ্ট্য আলাদা এবং এতে শরীরের সাথে রূহের যে সম্পর্ক তা একটি বিশেষ সম্পর্ক। মানুষের জীবনে শান্তি বা শাস্তি লাভ হবে পৃথিবী জীবনের প্রেরিত আমল অনুযায়ী।বারযাখী জীবন একটি অদৃশ্য জীবন, কুরআন ও হাদীস দ্বারা যেভাবে প্রমাণিত হয় সেভাবেই ঈমান আনা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলার তাওফীকে অতি শিঘ্রই তা বিশ্লেষণাকারে বর্ণনা করব। সেই সাথে কবরের ‘আযাব বা শাস্তিসহ এর সাথে সম্পৃক্ত কতগুলো মাসআলা বৃদ্ধি করে আলোচনা করব। আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, যিনি দানশীল, তিনি যেন আমাদের এবং আমাদের পিতা-মাতাসহ সকল মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দের কবরকে জান্নাতের বাগিচা বানিয়ে দেন।
>
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Joypurhat Panchbibi
Joypur
Rajshahi
Joypur, 5900
- স্বপ্নগুলো কাচের দেয়ালে বন্দি...! - দেখা যায় কিন্তু ছোঁয়া যায় না..!
Panchbibi
Joypur, 5910
Hello Welcome to My page.. My name is Sumon Khalko.. I am a Freelancer &Entrepreneur