Biocare Bangladesh

Bio Libido Booster
দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা সমাধানে শতভাগ আয়ুর্বেদিক টনিক।।
বিস্তারিত জানতে ও চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে কল করুন
০১৭৩৭৯৯০৪১১

Biocare Bangladesh updated their address.

‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সত্যসহ, সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী হিসেবে।’ (সুরা-২ আল বাকারা, আয়াত: ১২৯)

Biocare Bangladesh-র পক্ষ থেকে শারদীয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা

🌿যারা ব্রণ ও মেছতার সমস্যায় ভুগছেন তাহারা কমেন্ট করুন।🌿

🌿ত্বকের কালোদাগ,মেছতা দূর করতে সপ্তাহে ২-৩দিন এলোভেরা মাস্ক ব্যবহার করুন।☘️

🌿সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন
ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খান।
এটি পাকস্থলীকে সুস্থ রাখবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।🌿

🌿 অতিদ্রুত বীর্যপাত রোধে ছালেব মিছলি

☘️সায়েন্টিফিক নাম Orchis Mascula.Orchis অর্থ Te**is এবং Masculus অর্থ পুরুষ প্রজাতি।এটি দেখতে পুরুষের অন্ডকোষ বা টেস্টিস এর মতো বিধায় এমন নাম।

🌿প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মনীষীগণ পুরুষের যৌনসংক্রান্ত রোগে এটি ব্যবহার করে আসছেন।
অত্যন্ত কার্যকরি এ ভেষজটি পুরুষের স্পার্ম বা শুক্রাণু উৎপন্নের পাশাপাশি শুক্রাণু ঘন করে অতিদ্রুত বীর্যপাতের মতো সমস্যাকে সমসাধান করে খুব নিমিষেই।
🍀এছাড়াও এটি পুরুষের যৌনআকাঙ্খা বৃদ্ধি করে, যৌন দূর্বলতা দূর করে, সাধারণ ও মানসিক দূর্বলতা দুরকরে মনকে প্রফুল্য রাখে।

🌿খাবার নিয়মঃ ৫-১০ গ্রাম পাউডার দিনে ২ বার খাবার পর।
বিস্তারিত জানতে ও প্রডাক্ট পেতে কল করুন
০১৭৩৭৯৯০৪১১

☘️ত্বকের দাগছোপ দূর করতে পেয়াজঃ

পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। শরীরের যেকোনো কালো দাগ, পিগমেন্টেশন কমাতে তাই পেঁয়াজ বেশ কার্যকরী।
🌿পেঁয়াজ থেঁতো করে টাটকা রস বের করে নিন, তাতে দিন এক চিমটি হলুদ! এবার এই মিশ্রণটা মুখে প্রতিদিন মাসাজ করুন। ত্বক হবে দাগছোপ মুক্ত।

🌿সকাল বেলা কখন ঘুম থেকে উঠছেন?

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, সূর্য ওঠার ৪৮মিনিট পূর্বে ঘুম থেকে উঠবেন।
এ সময়কে বলা হয় " ব্রম্মমূহর্ত"।
আর আয়ূর্বেদ শাস্ত্রমতে, পৃথিবী সৃষ্টি ও হয়েছে এ সময়ে।তাই এ সময় প্রকৃতি থাকে নীরব ও পৃথিবী থেকে সকল পজিটিভ এনার্জি নিঃসরিত হয়।
আধুনিক বিজ্ঞান ও বলছে, সকাল সকাল ঘুমানো ও ঘুম থেকে ভোরে ওঠার কথা।

🌿 ঘুম থেকে কি করনীয়???
১. প্রথমেই যেটা করনীয়, খালিপেটে ১ গ্লাস পানি পান করুন।
অথবা ত্রিফলা জল ও খেতে পারেন।
২. পাক প্রার্থনার জন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বা ওযু করে যার যার ধর্মমতে,প্রার্থনা করুন।
৩. ৩০ মিনিট হাঁটুন। খালিপায়ে মাটির রসের সান্নিধ্য নিন।
৪. গুরপাক খাদ্য খাবেন। আয়ুর্বেদ মতে,সকাল বেলা ভারী খাবার খাবেন।
৫ কর্মে মনোযোগী হোন।🌿

🌿হেয়ার ও স্কিনের কি ধরনের সমস্যায় আপনারা ভুগছেন?
কমেন্ট করুন☘️

🌿অনিয়মিত পিরিয়ড এ
একগ্লাস দুধের সাথে আধাকাপ দারুচিনি মিশিয়ে দিনে একবার পান করুন।
৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ড নিয়মিত হবে।🌿

Biocare Bangladesh Send a message to learn more

🌿ব্রনের ইনফেকশান বেশি হলে আক্রান্ত স্থানে লবঙ্গ চূর্নের পেস্ট লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
☘

🌿ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে তিনদিন
রাতে শোবার আগে
মন্জিষ্ঠা পাউডার পেষ্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।🌿

🍀যৌনজীবনকে রোমান্চকর করতে সপ্তাহে তিনদিন
(অশ্বগন্ধা + মধু) চূর্ন খান।
এটি স্পার্মের ঘনত্ব বাড়াবে।☘️

🌿চুল পড়া কমাতে☘️

সপ্তাহে তিন দিন রাতে শোবার আগে ভৃঙ্গরাজ তেল ব্যবহার করুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।
🍀🍀🍀

☘️ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে

🌿২-৩ টি নিমপাতার পেস্ট এর সাথে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।🌿

☘️ক্রনিক বা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্টকাঠিন্য বা পায়খানা কষা
"ব্রণ" এর অন্যতাম কারন।☘️
🌿বায়োকেয়ার

☘️এসিডিটি রোধে-

🌿প্রতিদিন সকালে খালিপেটে
একগ্লাস পানিতে ২-৩ চা চামচ ত্রিফলা পাউডার মিশিয়ে খাবার অভ্যাস করুন। ☘️

আলহামদুলিল্লাহ্
পাইলস্ বা অর্শ কতটা যন্ত্রণাদায়ক রোগ সেটি কেবল ভুক্তভোগীই জানেন।
১ মাস চিকিৎসায় অনেকটাই সফল আমরা।।
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বোনকে শেফা দান করবেন।

🌿পুরুষের যৌনতা
নিজের যে সমস্যাটি নিয়ে কথা বলতে পুরুষ আসলেই লজ্জা পান ও দ্বিধায় ভোগেন, সেটা হচ্ছে যৌন জীবনে সমস্যা বা নিজের শারীরিক দুর্বলতার কথা। নানান কারণে হতে পারে এই যৌন অক্ষমতা ও দুর্বলতা।

🙄কাউকে বলতে পারছেন না? এদিকে বুঝতে পারছেন না কী করবেন? নিজের সক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। হয়তো আপনার না বলা একান্ত গোপন কিছুর প্রশ্নের জবাব আছে এতে। সাথে এটাও জেনে যাবেন যে আসলে কী করবেন।

🌿পুরুষত্বহীনতা, অর্থাত্‍ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন।
বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে বাড়ছে ডিভোর্সও।
🌿কিন্তু কারণ কি?
পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে সক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই। হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোন একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে।

🌿শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে- ১)ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।

🌿২)পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যোনিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া

🌿৩)প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।
থাকতে পারে অনেকগুলো কারণ

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো- ডায়াবেটিস, লিঙ্গে জন্মগত কোন ত্রুটি, সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌনরোগ ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে। আবার অতিরিক্ত যৌন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মাস্টারবেট বা হস মৈথুন করা, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কেমিকেলযুক্ত অতিরক্ত ক্ষতিকর ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

🌿কী করবেন?

-প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিত্‍সা নিন। এতে লজ্জার কিছুই নেই।লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী।

🌿- আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।

🍀নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

🍀সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সেক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

-
☘️যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন। মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে।

☘️ নিয়মিত আধাঘন্টা ব্যায়াম করুন।
🍀পুষ্টিকর জাতীয় খাবার গ্রহন করুন।
অশ্বগন্ধা,ছালেব মিছরী,শতমুলী পাউডার করে নিয়মিত খান।
☘️ দুধ, মধু খেতে পারেন। এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির সাথে যৌন আকাঙ্খাও বৃদ্ধি করবে।
🍀 প্রচুর পানি খাবেন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাবেন।
মনেরাখবেন,,,আমাদের জীবন আমাদেরকেই সঠিকভাবে পরিচালিত করতে হবে।

🍀🍀🍀প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে আমাদেরকে মেসেজ করুন।
অথবা কল করুন
০১৬৮১৯২৩০৭৫

🌿চুল পড়া বন্ধ করার আয়ুর্বেদিক বা প্রাকৃতিক উপায়ঃ

চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে মানুষ বের করেছে নানা উপায়। বর্তমান বিশ্বে নারী ও পুরুষের সবচেয়ে কমন ও সাধারণ একটি সমস্যা হলো চুলপড়া আর এ সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য তারা ব্যবহার করছে নানা ধরনের কেমিকেলযুক্ত ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট।
কিন্তু এ ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহারে আমরা কতটুকুই বা উপকার পাচ্ছি?
চুল কেরাটিন জাতীয় একপ্রকার প্রোটিন দ্বারা তৈরি যার ৯৭ শতাংশ প্রোটিন এবং ৩ শতাংশ পানি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন ৭৫ থেকে ১০০ টি চুল পড়া স্বাবাবিক কিন্তু এর বেশি হলে এটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে চুল পড়ার এ সমস্যাকে "এলোপেসিয়া " বলা হয়।
ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে " দাউস ছালব" বলা হয়ে থাকে। দাউস ছালব আরবি শব্দ। দাউস অর্থ রোগ এবং ছালব শব্দের অর্থ খেক শিয়াল অর্থাৎ দাউস ছালব অর্থ খেকশিয়ালের রোগ।
খেকশিয়ালের শরীরে এক প্রকার চর্মরোগের কারনে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুল ঝড়ে পড়ে তাই এ ধরনের নাম করন করা হয়েছে।
আক্রান্ত স্থান:
সাধারণত স্ক্যাল্পে বা মাথার ত্বক এ রোগে আক্রান্ত হলেও কখনও কখনও দাড়ি,গোফ,চোখের পাপড়ি, ভ্রুর ত্বক ও আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

চুল পড়া বন্ধ করতে হলে প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের জনা দরকার সেটি হলো চুল পড়ার সঠিক কারণ নির্ণয় করা।

🌿চুল পড়ার কারণঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এটি হলো একটি Auto Immune Disease অর্থাৎ শরীরের এন্টিজেন ও এন্টিবডির মধ্যে সৃস্ট অস্বাভাবিক বিক্রিয়া এর কারনে এ রোগ হয়।

ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে,
আমাদের শরীরে থাকা আখলাত বা ধাতুরস বা Body fluid এর মধ্যে ছফরা বা পিত্ত বা Bile ও সওদা বা এসিডিক কনডিশান এর আধিক্যের কারণ এ রোগ হয়ে থাকে।

🌿আয়ুর্বেদ চিকিতসা বিজ্ঞান মতে,
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞান ত্রিদোষ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করে থাকে।ত্রিদোষ অর্থাৎ তিনটি দোষ আর সেগুলো হচ্ছে বায়ু,পিত্ত,কফ।
এলোপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যেগুলো ১.Nervous Temperament( বায়ু)
২.Bilious Temperament (পিত্ত)
৩.Phlegmatic Temperament(কফ)
বলে থাকে।

আয়ুর্বেদে ত্রিদোষের ভূমিকাই মূখ্য আর জীবাণুর ভূমিকা গৌণ।কারন মানুষের শরীরে ত্রিদোষ যখন সাম্যাবস্থায় অর্থাত অবিকৃত অবস্থায় থাকে তখন শরীরের যাবতীয় কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।ফলে জীবাণু তার কর্মশক্তি বিস্তার করতে পারে না।কিন্তুু যখন এই ত্রিদোষ(বায়ু,পিত্ত,কফ) সাম্যাবস্থা হতে বিচ্যুত হয় তখন মানব দেহ সহজেই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।ফলে নানা রকম রোগ হয়।

মানব দেহের সাতটি দেহ প্রকৃতির মধ্যে বায়ু প্রকৃতি ও পিত্ত প্রকৃতি অন্যতম।বায়ু প্রকৃতির লোকেদের চুল পাতলা হয়ে থাকে।
আবার পিত্ত প্রকৃতির লোকেদের শরীরে অধিক ঘাম,দূর্গন্ধযুক্ত এবং অকালে চুল পাকা ও পড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই এই দুই প্রকৃতির লোকেদের বায়ুনাশক ভেষজ ও ঔষধ এবং পিত্ত নাশক ভেষজ ও ঔষধ সেবন করা উচিৎ।
ত্রিদোষ তত্ব (বায়ু,পিত্ত,কফ) অনুযায়ী,চুল পড়া হলো বায়ু ও পিত্ত দোষের কারণ। অর্থাৎ চুল পড়া রোধে প্রথমেই আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো, শরীরে বায়ু পিত্ত কফ এর সমন্বয় সাধন করতে হবে।

এছাড়াও অন্যান্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে
১.বংশগত কারণ
২. পুষ্টির অভাব বা Malnutrition
৩.হরমোনাল ডিসঅর্ডার বা হরমোনের সমস্যা
৪.স্ক্যাল্পে সংক্রমণ
৫.Dandruff বা খুশকি
৬.উচ্চমাত্রার এন্টিবায়েটিক সেবন
৭.দীর্ঘমেয়াদী অসুখ
৮.Frustration বা হতাশা
৯.অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।

🌿চিকিৎসা বিধিঃ
চুল পড়া বন্ধ বা কমাতে আমাদের প্রথমেই সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে এবং কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা জরুরী।

আয়ুর্বেদ মতে,প্রাকৃতিক কিছু উপাদান যেমন আমলকি,মেথী,তুলশি, বাহ্যিকভাবে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করার পাশাপাশি আমাদের শরীরের দূষিত মাদ্দা বা পদার্থ বের করা জরুরী অর্থ্যাৎ শরীরের বায়ু,পিত্ত বা কফ এর সমন্বয় সাধন করতে হবে।

বায়ুনাশক ভেষজ:বেরেলা(Sida Cordifolia), শতমূলী,অশ্বগন্ধা,রাসনা

পিত্ত নাশক ভেষজ:রক্ত চন্দন,শ্বেত চন্দন,পটোলপত্র,দূর্বা,করলা ইত্যাদি।

ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে,
১.সওদা ও ছফরার আধিক্য কমাতে হবে।
২.ফসদ বা রক্ত মোক্ষম বা হিজমা করতে হবে।
৩.চুল বৃদ্ধিকারক তেল দিতে হবে।
৪.স্ক্যাল্পের ইনফেকশান দূর করতে হবে।
৫.সুষম খাদ্য খেতে হবে।
৬.অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার, জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুড পরিহার করতে হবে।
৭. নিজেকে টেনশান মুক্ত রাখতে হবে।
৮. দৈনিক শারীরিক ব্যয়াম বা মেডিটেশান বা যোগচর্চা করত হবে।
চিকিৎসাঃ
১.ভৃঙ্গরাজ তেল হালকা গরম করে নিয়মিত মাথার স্ক্যাল্পে মেসেজ করতে হবে।
২. ভৃঙ্গরাজ ও যষ্ঠিমধু সমপরিমান নিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথার সমস্ত অংশে ২ ঘন্টা রাখতে হবে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন।
৩. রক্ত পরিস্কারক ঔষধ খেতে হবে।
৪. অতিরক্ত খুশকি বা স্ক্যাল্পে ইনফেকশান দূর করতে নিম পাতার পাউডার পেষ্ট করতে লাগাতে হবে।
৫. আমলকি, মেথী, শিকাকাই, রিঠার পাউডার ব্যবহার করতে হবে।এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে বা শাম্পু হিসেবে কাজ করবে।
৬. চুলের প্রোটিনের ঘাটতি দূর করতে ডিমের কুসুম লাগানো যেতে পারে।
৬. ক্যাস্টর অয়েল, তিল তেল ও আমলা তেলের মিশ্রণ নিতে হবে।
৬. চুল গজাতে ১ পিচ বড় পেয়াজ ও ২-৪ কোয়া রসুন ব্লেন্ড করতে আক্রান্ত স্থানে ১৪ দিন লাগাতে হবে।

৭.ক্যাস্টর অয়েলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। চুল পড়া কমাতে এই তেল খুবই কার্যকর। এতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই চুলকে পুষ্টি সমৃদ্ধ করে। অল্প নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

৮.চুলপড়া বন্ধ করতে
বটগাছের লতানো শিকর মূল ও নারকেল তেলের মিশ্রণটি মাথার ত্বকে নিয়মিত ম্যাসেজ চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

১ লিটার নারকেল তেল সহ প্রায় ৩০০ গ্রাম বট মূলের বোঁড়া গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথমে তিন থেকে চার দিনের জন্য ছায়ায় মূলটি শুকিয়ে নিন। মূলের শুকনো অংশটিকে চূর্ণ করে ১৫ দিনের জন্য এটি নারকেল তেলে নিমজ্জিত করুন। মিশ্রণটি সঠিকভাবে মিশ্রিত হয়ে গেলে, এটি ছাঁকুন এবং বোতলটিতে একইভাবে সংরক্ষণ করুন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই সংমিশ্রণটি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। এটি চুল পড়ার অন্যতম সেরা প্রতিকার এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের টিপস।

৯.চুলের কন্ডিশনার জন্য ইউনানী টিপসঃ
চুলের কন্ডিশনার হিসবে জিরা, মেথি বীজ এবং হেনার মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ইউনানী পণ্য তৈরির জন্য প্রথমে জিরা এবং মেথির মিশ্রণটি ভাল করে ভাজুন। এই মিশ্রণটি পানির সাথে মেশান এবং ১ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এতে মেহেদি ব্যবহার করে পেস্ট তৈরি করুন এবংমাথার ত্বকে পেস্টটি প্রয়োগ করুন এবং ১-১.৫ ঘন্টা রেখে দিন। এই ইউনানী মিশ্রণটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে।

১০.চুল বৃদ্ধির জন্য ইউনানি তেল:
ভেষজ তেল তৈরির জন্য, কারিপাতা(1 টেবিল চামচ), জবা ফুলের পাপড়ি গুড়া (2 চামচ), নারকেল তেল (৩০০মিলি), বাদাম তেল (৫০মিলি) এবং সজিনা গাছের পাতার গুড়া ব্যবহার করা হয়। সমস্ত পাতা এবং ফুল শুকিয়ে গুড়া করতে হবে।এবার মিশ্রণটিতে নারকেল তেলে মিশিয়ে নিন এবং অল্প আঁচে গরম করুন যতক্ষণ না গুঁড়ো ঠিক মতো মিশ্রিত হয়। এরপর ঠান্ডা করে সুতি মসলিন কাপড়ে ছেঁকে নিন। নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা

দীর্ঘদিনের খুশকিতে যষ্ঠীমধু পাউডার, আমলকী পাউডার ও তিল অর্ধেক চামচ নিয়ে একসঙ্গে বেঁটে মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।
১১.চুল গঠনে কেরাটিনঃ
চুল গঠনের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হল কেরাটিন নামের প্রোটিন। ডিম, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু, আম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ ইত্যাদি খাদ্যে ভালো পরিমাণে কেরাটিন থাকে।

১২.চুল পড়া কমাতে বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ

চুলের পুষ্টির জন্য বায়োটিন নামক উপাদানের খুব দরকার।বায়োটিন ভিটামিন বি গোত্রের একটি ভিটামিন, যা ভিটামিন এইচ বা বি৭ নামেও পরিচিত। এটি শরীরে তৈরি হয় না। দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমেই এর চাহিদা পূরণ করতে হয়। আবার বেশি মাত্রায় গ্রহণ করলেও এটি শরীরে জমে থাকে না। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫০-১০০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন প্রয়োজন হয়। যা দৈনন্দিন খাবার থেকে মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

চুল, ত্বক, ও নখের গঠনে বায়োটিনের ভূমিকা রয়েছে।যেকোনো ধরনের ডাল, সয়াবিন, চাল, গম, ভুট্টা, বাদাম, ফুলকপি, ডিমের কুসুম, কলিজা, কলা, মাশরুম, চিনা/কাজু বাদামে যথেষ্ট পরিমাণ বায়োটিন থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাদ্যগুলো সচেতনতার সাথে যোগ করা উচিত।

চুল পড়া কমাতে DOS থেরাপিঃ DOS শব্দের পুরো অর্থ হলো Doctrine of Signature।
আমাদের মানবদেহের যে সকল অঙ্গ প্রকৃতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের ফল,ফুল ইত্যাদির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সে সকল উদ্ভিদ, ফুল বা ফল মানব দেহের ঐ সকল অঙ্গের সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয় অর্থ্যাৎ ঐ সকল ভেষজ ঐ অঙ্গের টনিক হিসাবে ব্যবহৃত হয় যেমন আখরোট দেখতে মানুষের ব্রেইনের মতো কিংবা সীম বীচ কিডনী সদৃশ,মাশরুম দেখতে কানের মতো।
ঠিক তেমনি সহস্র বছর ধরে চুলের সমস্য সমাধানে Maidenhair furn উদ্ভিদটি আফ্রিকা,ইন্ডিয়া ও ইসরায়েলের কিছু সম্প্রদায় ব্যবহার করে আসছে।
Maidenhair শব্দের অর্থ হলো কুমারীর চুল।
এটি চুল পড়া কমাতে ও চুলের বৃদ্ধিতে বেশ উপকারী।

চুল পড়া কমাতে হিজামা:
হিজামা অতি প্রাচীন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে কাপিং থেরাপি বলা হয়।মূলত মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীর হাত ধরে এ চিকিৎসার শুরু হলেও কালের বিবর্তনে চৈনিক চিকিৎসকগণ এর প্রচার ও প্রসার ঘটান এবং বর্তমানে চীনে এর ব্যপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
প্রাকযুগে মহিষের শিং দিয়ে এ চিকিৎসার কথা উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে এর আধুকায়ন ঘটেছে।
মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে Prophetic Medicine বা তিব্বে নবী বা রসুল( সাঃ) এর চিকিৎসা পদ্ধতি বলা হয় এবং হিজামা প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদিস ও রয়েছে।
হিজামা সাধারণত ২ ভাবে করা হয়ে থাকে।
🌿Dry cupping
🌿Wet cupping
সাধারণত DHT হরমোন এর কারণে স্ক্যাল্পের রক্ত সন্ঞালন ব্লকেজ হয় ফলে হেয়ার ফলিকল প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
হিজামা স্কাল্পের রক্ত সন্ঞালন বাড়িয়ে চুলের পুষ্টি যোগায়।
এক্ষত্রে DRY এবং WET দুটোই কার্যকরি। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে,এ থেরাপির সাথে অবশ্যই চুলের পুষ্টি নিশ্চিত করে এমন সব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

🌿Refference:
১.ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূলনীতি - হাকীম হাফেজ আজিজুল হক
২.আয়ু্রবেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূলনীতি

৩.মুয়ালীজাত - ডাঃ মোঃ শাহাবুদ্দিন

লেখকঃ
ডাঃ শরিফুল ইসলাম
বিইউএমএস
অল্টারনেটিভ মেডিসিন স্পেশালিষ্ট
০১৭৩৭৯৯০৪১১

🌿ত্বকের যত্নে
অর্গানিক স্কিন কেয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন - বায়োকেয়ার বাংলাদেশ এর সিইও
ও অল্টারনেটিভ মেডিসিন স্পেশালিষ্ট মোঃ শরিফুল ইসলাম।
ক্রেডিট গোজটু - আতিফ আতাউর❤️

ধন্যবাদ "'কালের কন্ঠ
অশেষ কৃতজ্ঞ -- বন্ধু আতিফ আতাউর

অর্গানিক স্কিন কেয়ার | কালের কণ্ঠ শুধু অর্গানিক খাদ্যদ্রব্যই নয়, রূপচর্চাতেও মানুষ এখন বেছে নিচ্ছে অর্গানিক উপাদান। ত্বকের যত্নের বিভিন্ন টোটকা

শোক থেকে শক্তি
শোক থেকে জাগরণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা