হিল উইমেন্স ফেডারেশন
Hill Women’s Federation (HWF) is a representative organisation of the Jumma women in the Chittagon
রাষ্ট্রীয় মদদে পিসিপি'র সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট এবং ছাত্র ইউনিয়নের পাঁচ নেতা-কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে সংহতি সমাবেশে।
বিকাল ৩ টা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পিসিপির শ্রদ্ধা নিবেদন
বিপুল চাকমাসহ চার জনকে হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার ও পাহাড়ে সেনাশাসন বন্ধের দাবি
মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন পিসিপির নেতৃবৃন্দ
‘পাহাড়ে সেনাসৃষ্ট নব্য রাজাকারদের খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হোন’ এই আহ্বানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ’৭১ সালে পাকা হানাদারদের হাতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৩) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা ও ঢাকা শাখার সভাপতি নরেশ ত্রিপুরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অমল ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এদেশের জনগণের বিজয়ে প্রাক্কালে পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল। আমরা আজকের এই দিনে তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি। পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা এদেশের জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা স্বাধীনতার পূর্বে এদেশের মেধাবী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে যেভাবে জাতিকে মেধাশূণ্য করার পাঁয়তারা চালিয়েছিল, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রও একই পন্থা বেছে অবলম্বন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সেনাশাসন জারি রাখার মাধ্যেমে পাহাড়ি জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, খুন-গুম, অপহরণ করে পাহাড়ি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রতিনিয়ত একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে সেখানকার সেনাবাহিনীর নির্দেশনায় তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী পাহাড়ি রাজাকাররা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাবেক ছাত্র নেতা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে হত্যা ও হরি কমল ত্রিপুরাসহ ৩ জনকে অপহরণ করেছে। আমরা এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা সেনা কর্মকর্তা ও তাদের সৃষ্ট নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারসহ অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাশাসন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
বিপুল চাকমাসহ ৪জনকে হত্যার প্রতিবাদে ও অপহৃত ৩জনকে উদ্ধারের দাবিতে আগামীকাল পিসিপির সংহতি সমাবেশ
আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে “পাহাড়ে সেনা শাসন রুখো, জনগণের লড়াইয়ে একাত্ম হও”, শহীদ বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিনের খুনী-জল্লাদদের গ্রেফতার ও সেনাসৃষ্ট নব্যমুখোশ ‘মোত্তালেব বাহিনী’ ভেঙ্গে দেয়ার দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর উদ্যোগে এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত পাহাড়ে খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির সংহতি সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আহ্বানে:
১. শুভাশীষ চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক, পিসিপি, কেন্দ্রীয় কমিটি
যোগাযোগ নং: ০১৮৫০৩২০৯৪৬
২. নরেশ ত্রিপুরা, সভপাতি , পিসিপি, ঢাকা শখা
যোগাযোগ নং : ০১৬০৯০১৪২৫৩
পানছড়িতে হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ০৩ সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ
------------------------
খাগড়াছড়ি পানছড়িতে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙারে বাহিনী কর্তৃক গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং ইউপিডিএফ-এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা, মিলন চাকমাকে অপহরণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
সমাবেশে পিসিপি চবি শাখার সাধারন সম্পাদক রোনাল চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অঙ্কন চাকমা, চট্টগ্রাম নগর সভাপতি সোহেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী নীতি চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট ভূলন ভৌমিক, সাম্যবাদী আন্দোলন চট্টগ্রাম নগরের নেতা অপু দাশ গুপ্ত, গনতান্ত্রিক ছাত্র জোট চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী নগর শাখার আহ্বায়ক আবিদ ইসলাম প্রমুখ।
পিসিপি সভাপতি অঙ্কন চাকমা বলেন, পানছড়িতে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড করে সরকার যে রক্ত রক্ত খেলায় মেতে উঠেছে সেটা হাসিনা সরকারের ফ্যাসিস্ট রূপ। এই খুন-রক্ত আপনার গায়ে এসেও লাগবে৷
বিপুল চাকমার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন,বিপুল চাকমা খাগড়াছড়িতে ইতি চাকমাকে হত্যা, কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্টে তনু হত্যা, আলুটিলা ভূমি রক্ষার আন্দোলন এবং বিলাইছড়িতে সেনা সদস্য কতৃক ০২ সহোদরা মারমা কিশেরীকে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন সহ সারা দেশে নিপীড়িত-নির্যাতিত-মেহনতি মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগনের মুক্তির আকাঙ্খায় ছাত্র-যুব সমাজকে সংঘটিত ও সচেতন করতে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম চষে বেড়িয়েছেন। বিপুল চাকমার বহু সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারী রয়েছে। তাঁরাও আগামী দিনের বিপুল হতে প্রস্তুত রয়েছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবং লড়াই সংগ্রামের শেষ ফলাফল তাঁরা দেখতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরে দিন-দুপুরে ০৭ খুনের ঘটনার কোন বিচার না হওয়া এবং অপরাধীদের সেনাদের আশ্রয় প্রশ্রয় প্রদান ও ব্যবহার গতকালের ঘটনা তৈরি করেছে।
সভানেত্রী নীতি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হচ্ছে এগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিকামী জনগণের আন্দোলনকে দমন করারা জন্য। শাসকগোষ্ঠীর অঙ্গুলি হেলনে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব ধ্বংস ও জনগণের মনে ভয় ধরানোর জন্য শাসকরা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
এ্যাডভোকেট ভুলন লাল ভৌমিক বলেন, পাক হানাদার বাহিনীর মতন বর্তমান সরকার পাহাড়ে ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী তৈরি করে পাহাড়ের জনমানুষের উপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণকে নিজেদের অধিকারের জন্য নিজেদেরকে শহীদের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে।
সমাবেশের আগে ডিসি হিল থেকে মিছিল প্রেস ক্লাব হয়ে ঘুরে এসে চেরাগী পাহাড় মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়। গতকাল ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রামের চেরাগী মোড়ে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংহতি জানিয়ে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নগর সভাপতি দীপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের চট্টগ্রাম নগর আহবায়ক অ্যানি চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম নগর সম্পাদক এস এম মেহেদী হাসান, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের নেতা তিতাস চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল চবি শাখার সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী চবি শাখার সংগঠক সাইদুজ্জামান রেদোয়ান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের চট্টগ্রাম নগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শুভ চাক।
খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন জায়গায় কালো পতাকা উত্তোলন
-----------------------------------
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে মোতালেব বাহিনীর (নব্যমুখোশ বাহিনী) দুর্বৃত্ত কর্তৃক গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপি’র সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার জনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর বাজার, জামতলি, গিরিফুল, ছোটনালাসহ পানছড়ির বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
#পাহাড়েহত্যাকান্ড
#সেনাশাসন
#এইচডব্লিউএফ
#ইউপিডিএফ
#পার্বত্যচট্টগ্রাম
সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত আপোষ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিন সংগ ২রা ডিসেম্বর ' ৯৭ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত আপোষ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে PGP-PCP-HWF - এর ...
‘ফিলিস্তিন সংহতি দিবস’ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম হোমআন্তর্জাতিক‘ফিলিস্তিন সংহতি দিবস’ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সব খবর ‘ফিলিস্তি....
জুম্ম চাদিগাং সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের ১০ম কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালী
৯ নভেম্বর ২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মানিকছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা বিরোধী প্রতিরোধ সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি গঠন
সদ্য গঠিত নারী আত্মরক্ষা কমিটি সদস্যদের আত্মরক্ষার কৌশল প্রদর্শন
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা বিরোধী প্রতিরোধ সমাবেশ করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, নারী আত্মরক্ষা কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ধর্ষণ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে মিছিলকারীদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত হয়। মিছিলে ধর্ষক সেনা-সেটলার ও দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের কুশপুত্তলিকা বহন করা হয়। পাহাড়িদের সমাজে তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানাতে মিছিলকারীরা একপর্যায়ে কুশপুত্তলিকা শুকরের মতো বহনেরও চেষ্টা করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ২০২৩) সকাল ১১টায় মিছিলটি মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেইট থেকে শুরু হয়ে উপজেলার পোস্ট অফিস সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধর্মঘরে এসে সমাবেশে রূপ নেয়। এতে মানিকছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, লক্ষীছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২,৭০০ জনের অধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
‘রাস্তাঘাট, ক্ষেত-খামার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-কর্মস্থল ও যানবাহনসহ সর্বত্র নারীর সম্ভ্রম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার’ লক্ষ্যে আহূত বিশাল এই প্রতিবাদ সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমার সভাপতিত্বে নারী আত্মরক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য রিপনা চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মানিকছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক ক্যহ্লাচিং মারমা, লক্ষীছড়ি ইউনিটের সংগঠক আপ্রুসি মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রজেন্টু চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাহাদুর ত্রিপুরা। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মারমা ওয়েলস ফেয়ার এসোশিয়েসন-এর প্রতিনিধি এচিং মারমা, সাবেক মহিলা মেম্বার ম্রাচিং মারমা ও সাবেক মেম্বার সদুঅং মারমা। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরু করার আগে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানিকছড়ি উপজেলা নারী আত্মরক্ষা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় কমিটির সদস্যরা সংগঠনের আনুষ্ঠানিক সূচনা তুলে ধরতে আত্মরক্ষার সংক্ষিপ্ত কসরৎ প্রদর্শন করে। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মিলি মারমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ আরম্ভ করা হয়।
সমাবেশে ইউপিডিএফের সংগঠক ক্যহ্লাচিং বলেন, এই মানিকছড়িতে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল অব্যাহত রয়েছে ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এখানে ধর্ষণ হলে পুলিশ-প্রশাসন অপরাধীর পক্ষালম্বন করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের জাতিগত নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য মুছে ফেলার জন্য সেনা-সেটলার, মুখোশ-দালাল দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। মানিকছড়ি-গুইমারায় সেনা-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নব্য মুখোশ বাহিনী অপহরণ-মুক্তিপণ আদায়সহ দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। কীভাবে সংগ্রাম করতে হয়, তা আমরা জানি। এ সরকারের ষড়যন্ত্র কোনো দিন সফল হবে না। আমরা পূর্ণসায়ত্ত্বশাসন কায়েমের লক্ষ্যে লড়াই করছি। গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে নেবো। পার্বত্য চট্টগ্রামে যাতে আর কোনো দিন ভূমি হারাতে না হয়, তার জন্য সবাইকে সতর্ক ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।
জননেতা ক্যহ্লাচিং পার্বত্য অব্যাহত ভূমি বেদখল ও নারী নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে জনসংহতি সমিতির নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় উস্মা প্রকাশ করেন। সমিতির নেতৃত্বকে সরকারের তাঁবেদারি ছেড়ে জনগণের আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান।
সমাবেশে নীতি চাকমা বলেন, আত্মরক্ষা প্রকৃতির প্রথম আইন। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে যদি আক্রমণকারী দ্বর্ুৃত্ত মারাও যায়, সেটি কোনো অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হবে না।
ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা প্রান্তিক, যারা দুর্বল সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন নির্যাতন হলে বিচার হয়না। এ যাবতকালে আমরা কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার পাইনি।
রাষ্ট্রকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে হয়। ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ সরকার তা মানছে না। কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধর্ম হচ্ছে অপরাধী-দোষীদের শায়েস্তা করা। আর যারা ভালো এবং দুর্বল তাদেরকে রক্ষা করা। কিন্তু এই সরকার নিগৃহীত ও আক্রান্ত তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে না। সে কারণে নারীদের নিজেদেরই আত্মরক্ষা করতে হবে।
আজকের সময়ের দাবিতে নারী আত্মরক্ষা কমিটি গঠন খুবই জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নাগরিক হিসেবে আমরা মান-সম্মান অধিকার নিয়ে জীবন-যাপন করি, রাষ্ট্র তা চায় বলে মনে হয় না। নারীরা শিক্ষা দীক্ষা লাভ করবে, যোগ্যতার সাথে চাকরি করবে স্বাবলম্বী হবে, তার কোনো পরিবেশ নেই। কারণ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ক্ষেত-খামার, কর্মস্থল ও রাস্তার যানবাহন কোনো জায়গা নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। সবখানে নারীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও সেটলার পুনর্বাসনের পর থেকে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সেনা-সেটলারই পাহাড়ে নারী নিরাপত্তার প্রধান হুমকি।
আমরা যদি দেখি ২০২০ সালে খাগড়াছড়ি বলপিয়ে আদামের ধর্ষণের ঘটনা, লংগদুতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা। এতে ধর্ষকরা গ্রেফতার হলেও সুষ্ঠু বিচার হয় নি। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। কাজেই নারী সমাজের আর বসে থাকার কোনো অবস্থা নেই। কারণ এখন বিচারের জন্য কোর্টে গেলেও ন্যায় বিচার মেলে না। আইনের ফাঁক গলিয়ে যারা দুষ্কৃতকারী, অপরাধী তারা জামিন পায়। আমরা লংগদুতে ধর্ষক আব্দুর রহিমের হাইকোর্টের বিচারিক কার্যক্রম লক্ষ্য করেছি। নিম্ন আদালত যদি পক্ষপাতিত্ব করতো তাহলে না হয় কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেছে হাইকোর্টও সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার করছে না, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমাদের আস্থার জায়গা কমে গেছে। আমরা আর কোনো জায়গায় নিরাপদ নই।
পাহাড়ে উপর্যপুরি নারী ধর্ষণ, অব্যাহত ভূমি বেদখল থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে দমন-পীড়ন তীব্র হচ্ছে। এ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা নারী আত্মরক্ষা কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়েছি।
এই সরকার হচ্ছে অবৈধ সরকার। নারীদের সম্ভ্রম রক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। যারা প্রান্তিক, দুর্বল তাদের সুরক্ষা দিতে পারে না। শুধু পাহাড়ি নয় এই অবৈধ সরকার যারা বৃহত্তর বাঙালি জাতিগোষ্ঠী, তাদের ওপরও অত্যাচার চালাচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের হাতে পাহাড়ি বাঙালি সবাই এখন নিষ্পেষিত। অবৈধ সরকারকে উৎখাত করে দেশে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে সংগঠিত হওয়ার জন্য তিনি জোর আহ্বান জানান।
সমাবেশে যুবনেতা রজেন্টু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। শুধু তাই নয় সারাদেশে সড়কের নিরাপত্তার অব্যবস্থাপনার ফলে জনগণের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কাপ্তাই ৬সেনা সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা, মানিকছড়ির চক্কিবিলের ধর্ষণের ঘটনাসহ রামগড়েও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হলেও সুষ্ঠু বিচার হয় না, দুর্বৃত্তরা দৃষ্টান্তমূলক সাজা পায় না। সে কারণে বার বার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে নিরাপত্তার নামে সেনা, পুলিশ মোতায়েন আছে। কিন্তু বাস্তবে তারা রক্ষকের নামে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে সেনা প্ররোচনা ও অংশগ্রহণে নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল, পাহাড়ি উচ্ছেদ ও পাহাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে চলেছে। তিনি এসব দুর্বৃত্ত ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ছাত্র নেতা বাহাদুর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশব্যাপী বৃহৎ বাঙালি জাতির পাশাপাশি আমরা পাহাড়ি সংখ্যালঘুরা আজ নিরাপত্তাহীন। আজকে সারাদেশব্যাপীতে যে যৌন সহিংসতা তা বিরাট আকার ধারণ করেছে। ১৯৮০ সালে সমতল থেকে পার্বত্য এলাকায় নিয়ে আসা বহিরাগত সেটলাররা প্রতিনিয়ত কোন না কোন জায়গায় ভূমি বেদখল করে চলেছে। আমাদের পাহাড়ি নারীদের সম্ভ্রমহানি করছে, ধর্ষণ করছে, কিন্তু তার সঠিক বিচার হচ্ছে না।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষকদের কঠোর সাজা দেওয়ার আহ্বান জানান। এলাকায় এলাকায় সংগঠিত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে শেষে ধর্ষক সেনা-সেটলার, দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতীকী হিসেবে কুশপুত্তলিকায় জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে পেটানো হয়, ক্ষুব্ধ নারী ও যুবকরা লাথি মেরে ঘৃণা প্রকাশ করে। এ সময় প্রতিবাদী শ্লোগান ধ্বনিত হয়, ক্ষুব্ধ নারী ও ছাত্র-যুব-জনতা ধর্ষণ ও দালালি-প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
বার্তা প্রেরক
(এন্টি চাকমা)
সদস্য, হিল উইমেন্স ফেডারেশন
কেন্দ্রীয় কমিটি।
ফোন : ০১৮২৬০৩০৩৬৬
বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে আহ্বান
আসুন, কন্যা শিশু তথা নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হই!
বর্ণাঢ্য র্যালি ও
রাণী কালিন্দীর সাহসিকতা ও সুশাসন নিয়ে পথ নাটক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কদুকছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা
হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের উদ্যগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাঙামাটিতে ব্যতিক্রমী কন্যা শিশু দিবস উদযাপন রাঙামাটিতে শিশু র্যালী, পথ নাটক, নারী সমাবেশসহ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপিত হয়...
পাহাড়ে কন্যাশিশুদের নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান
দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ
১ অক্টোবর ২০২৩
দৈনিক যুগান্তর
১ অক্টোবর ২০২৩
দৈনিক কালের কন্ঠ
১ অক্টোবর ২০২৩
কাউখালীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত - CHT News কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজশনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাঙামাটির কাউখালীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে র্যালি .....
জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে দীঘিনালায় প্রতিবাদী নাটক, নৃত্য ও চিত্র প্রদর্শনী করেছে জুফা - CHT News দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজশনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জুম্...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে কুদুকছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পথনাটক
পাহাড়ে কন্যা শিশুদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: নীতি চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের কন্যা শিশু ও নারীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালীর পরবর্তী আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
কর্মসূচি বানচাল করে দেয়ার লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে কুদুকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর নানা তৎপরতা, শিশু-কিশোরদের জিজ্ঞাসাবাদের পরও উত্তর কুদুকছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে র্যালি সহকারে শতাধিক ছোট ছোট কন্যা শিশুরা নিজেদের তৈরি কাগজের বিভিন্ন রঙের ফুল হাতে নিয়ে শাসকের অন্যায় অত্যাচারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের মাতৃভাষায় মুখরিত স্লোগানে পায়ে হেঁটে র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। কন্যা শিশুরা কর্মসূচির মূল ভেন্যু কুদুকছড়ি বড় মহাপুরুম উচ্চ বিদ্যালয়ে ফটকে পৌঁছলে শিশুদের অপেক্ষারত মায়ের তুল্যা ৪ শতাধিক নারী তাদের স্বাগত জানান।
“আসুন, কন্যা শিশু তথা নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হই” এই স্লোগানে সকাল ১১টায় রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়ি বড় মহাপুরুম উচ্চ বিদ্যালয়ে ফটকে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও রাণী কালিন্দীর সাহসিকতা ও সুশাসন নিয়ে পথা নাটকের আয়োজন করা হয়। এতে ৫ শতাধিক কন্যা শিশু ও নারী অংশগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রিনিসা চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা।
সমাবেশের নারী নেত্রী নীতি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কন্যা শিশু-নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই। শাসকের নিপীড়নের ফলে তারা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে না। সেনা-সেটলার কর্তৃক নিজ গৃহে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এলাকায়, বাজারে, পথে ঘাটে ধর্ষণ, লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শিকার হয়। রাষ্ট্রীয় বাহিনী পাহাড়ি নারীদের ধর্ষণ, নির্যাতনকে জাতিগত নিপীড়ন হিসেবে বেছে নিয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর কাপ্তাইয়ে সেনা সদস্য কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী কতিপয় দালাল দুর্বৃত্তকে দিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর নারী নেত্রী এন্টি চাকমাসহ তিন জনকে সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে দীঘিনালায় অপহরণ হয়। এছাড়াও পাহাড়ি জনগণের ওপর প্রতিনিয়ত নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে তাদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
কালিন্দী রানী বীরত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তেজস্বীনি নারী রাণী কালিন্দী ব্রিটিশ ঔপনেবিশক শাসকদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রাজ্য শাসন করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসক ক্যাপ্টন লুইন ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে রাণীর হাতে অপদস্ত হয়েছিলেন। নারী হয়েও তিনি প্রায় দেড় যুগ রাজ্যে শাসন করেছিলেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সমাজের মধ্যে অনুপ্রেরণাকারী একজন। আমরা তাকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করছি।
তিনি পাহাড়ে নারী নির্যাতন, জনগণের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে নারী সমাজকে সংগঠিত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে শাসকগোষ্ঠীর প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
রিনিসা চাকমা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের বহিরাগত সেটলার বাঙালিদের পুনর্বাসন করে পাহাড়িদের জায়গাগুলো কেড়ে নিচ্ছে। পাহাড়িরা আজ নিজ জায়গায় পরবাসী হয়ে ভূমিহীন অবস্থায় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাহাড়িরাও পাক্ বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও পাহাড়িদের পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে, তাদের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি মিলেনি।
তিনি, তিনি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে এবং নারী সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নারীরা “আমরা চাই নিরাপত্তা, চাই অধিকার; হাসিনা আমাদের নিরাপত্তা দাও; নিরাপত্তা হরনকারীরা আমাদের শত্রু, তাদের প্রতিহত করবো; টহল-তল্লাসি-নিরাপত্তা নামে সম্ভ্রমহানি বরদাস্ত করবো না; নরপশুদের চিহ্নিত কর, কন্যা শিশুদের রক্ষা করো; জাগ্রত হও নারী সমাজ” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশ শেষে দালাল, প্রতিক্রিয়াশীলদের কুশপুত্তলিকা দাহ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
বার্তা প্রেরক
(এন্টি চাকমা)
সদস্য, হিল উইমেন্স ফেডারেশন
কেন্দ্রীয় কমিটি।
ফোন : ০১৮২৬০৩০৩৬৬
https://dhakamail.com/education/121656
নারী নেত্রীসহ দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক এন্টি চাকমাসহ তিনজনকে অপহ....
সেনাবাহিনী মদদে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক এন্টি চাকমাসহ ৩জনকে ফিরিয়ে দাও!
#খাগড়াছড়ি #অপহরণ
#হিল_উইমেন্স_ফেডারেশন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিবৃতি
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী এ্যান্টিসহ ৩জনকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান
নব্যমুখোশ বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এ্যান্টি চাকমাসহ কলেজ শিক্ষার্থী কর্নিয়া চাকমা ও নিশা চাকমাকে অবিলম্বে নিরাপদে ও সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
আজ শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এ্যান্টি চাকমাসহ তার অপর দুই সহযোদ্ধা কর্ণিয়া চাকমা ও নিশা চাকমাকে নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তারা অপহরণের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানান।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে হীনউদ্দেশ্যে জন্যে শাসকগোষ্ঠীর লেলিয়ে দেয়া সেনাসৃষ্ট মুখোশবাহিনী এইচডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যান্টি চাকমাসহ তার দুই সহযোদ্ধাকে সাজেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ফেরার পথে দিঘীনালা থেকে অপহরণ করে।
সংবাদ মাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা বিশেষ করে অপরাধীচক্রের সাথে রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের যোগসাজশ থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন তথা রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের ইন্ধন থাকায় অপরাধীচক্র কর্তৃক এ ধরনের অপহরণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ২০১৮ সালে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমা একই অপরাধীচক্র নব্যমুখোশ বাহিনী নামে পরিচিত দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহরণের শিকার হয়।
নারী নেত্রীদ্বয় অভিযোগ করে বিবৃতিতে আরও বলেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশন যখনই নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামে, তখনই শাসকগোষ্ঠী তা স্তব্দ করে দেয়ার মতলবে অপহরণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
বিবৃতিতে নারী নেত্রীদ্বয় অবিলম্বে এইচডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যান্টি চাকমাসহ দুই জনকে কর্নিকা চাকমা ও নিশা চাকমাকে সুস্থ শরীরে ও নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়া এবং এ অপহরণের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বার্তা প্রেরক :
রিতা চাকমা
সাধারণ সম্পাদক
হিল উইমেন্স ফেডারেশন
কেন্দ্রীয় কমিটি।
মোবাইলঃ ০১৬৩৫৬১৩৮৬৩
বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম আত্মাহুতি দিবস আজ
বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম আত্মাহুতি দিবস আজ। ১৯৩২ সালের এই দিনে, চট্টগ্রামের ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমন কালে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। শত্রুর হাতে ধরা পড়ার আগেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সঙ্গে রাখা পটাসিয়াম সায়ানাইড বিষ খেয়ে আত্মাহুতি দেন তিনি।
১৯১১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এই বিপ্লবী নারী অমর হয়ে আছেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীরত্বের প্রতীক হয়ে। তার শিক্ষাজীবন চট্টগ্রাম, ঢাকা ও কলকাতায়। সে সময়েই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। একপর্যায়ে হয়ে উঠেন মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী আন্দোলনের সহযোদ্ধা।
ইচ্ছে ছিলো বিজ্ঞানী হবেন। কিন্তু দেশমাতৃকার আহবান তাকে যোদ্ধা তৈরি করে। প্রীতিলতা ১৯২৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। স্বাধীনতার পটভূমিতে রচনা করেন নাটক। যা মঞ্চায়ন করেন নারীদের নিয়েই।
এক পর্যায়ে সূর্যসেনের বিপ্লবী বাহিনীর সদস্য হন প্রীতিলতা। ১৯২৪ সালে বেঙ্গল অর্ডিন্যান্সের জরুরি আইনে বিপ্লবীদের বিনাবিচারে আটক শুরু হলে সংগঠনে তার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বি এ পাশ করলেও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারনে ফল স্থগিত করা হয় তার।
১৯৩২ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব দখলে ১৫ জনের একটা বিপ্লবী দলের নেতৃত্ব দেন প্রীতিলতা। বর্ণবাদী এই ক্লাবে আক্রমন কালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হন বীরকন্যা প্রীতিলতা। সহযোদ্ধা বিপ্লবীদের আত্মগোপনে যাবার নির্দেশ দেন। নিজে আত্মহুতি দেন পটাশিয়াম সায়ানাইড নিয়ে।
বীর নারী প্রীতিলতা আজও মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন। যুগে যুগে তিনি বেঁচে থাকবেন ন্যায় ও স্বাধীনতার এবং সংগ্রামের প্রতীক হয়ে।
যারা সমতলের দুর্নীতিবাজ,ধর্ষকপনা, দালালীপনা অযোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের পাহাড়ে নিয়োগ দেয়া হয় যার ফলত ধর্ষণের মত অনেক ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংগঠিত হয় পাহাড়ে। যার ভুক্তভোগী পাহাড়ি সংখ্যালঘু জনগণ।
- নীতি চাকমা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে সেনা সদস্যদের কর্তৃক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নিন্দা ও প্রতিবাদ
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার মিতিঙ্গাছড়িতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের ৬ সেনা সদস্য কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থী এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধেমে জানতে পেরেছি যে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনীর ৬ জন সদস্য কর্তৃক পাহাড়ি এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা করে রাখতে সেনা সদস্যরা মিটিঙ্গাছড়ার পাড়ার প্রধান, ভিক্টিম পরিবার ও কয়েকজন মুরব্বীকে ক্যাম্পে ডেকে হুমকি প্রদান এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে ভিক্টিমকে ডেকে নিয়ে সেনাদের শেখানো কথা মতো জোরপূর্বক সাক্ষাৎকার নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণ প্রচলিত আইন বহিঃর্ভূত। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট কাপ্তাইয়ের সেনা সদস্যদের কর্তৃক পাহাড়ি এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনাকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ করে বলে, সারাদেশে নারী ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এসব ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না । পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষেত্রে এ ঘটনা আরো ভয়াবহ। সে অঞ্চলের ধর্ষণের ঘটনায় মেডিক্যাল রিপোর্টের ওপর গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভিক্টিম ও তার পরিবারকে হুমকি, হয়রানি করা হয়, জড়িতদের গ্রেফতার করা হলেও শাস্তি নিশ্চিত না করে আইনের ফাঁকে জামিনে বের করে দেয়া হয়। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেও তা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক এসবই ঘটনা ঘটলে তা বিচারের আওতায় আনা দূরে থাক, বলপ্রয়োগ করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ২০১৭ রাঙামাটির বিলাইছড়িতে দুই মারমা তরুণীকে সেনাবাহিনী সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় আমরা লক্ষ্য করেছি সেনাবাহিনী উক্ত ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা রাসেল মারমাকে দিয়ে ভিক্টিমকে উপস্থিতি রেখে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছিল, সেনা সদস্যরা ভিক্টিমের সাথে থাকা চাকমা রাণী য়েন য়েন কে হামলা করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভিক্টিমকে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু ঘটনার প্রতিবাদে সে সময় পাহাড় সমতলে তীব্র আন্দোলনের ফলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়নি।
তারা বলেন, পাহাড়ে দশকের পর দশক সেনাশাসন জারি রাখার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পাহাড়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, ভূমি বেদখল ও নারী নিপীড়নের ঘটনা অহরহ ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাহাড়ি জনগণকে ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে দেশের আইন ও বিচার প্রক্রিয়াকে স্থবির করে রাখা হয়েছে। ফলে অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সহজে পার-পেয়ে যায় এবং যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন তুলে নিয়ে পাহাড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগিব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাইদুল হক নিশান,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা।
বার্তা প্রেরক,
ফাহিম আহমেদ চৌধূরী
সাধারণ সম্পাদক
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল
০১৭২৫১১৬৩৩৯
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কাপ্তাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও রামগড়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায়
হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের নিন্দা ও প্রতিবাদ
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীর মিতিঙ্গাছড়িতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের ৬ সেনা সদস্য কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থী এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়ির রামগড়ে সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী এখন পাহাড়ি জনগণের নিরাপত্তার চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দ্বারা পাহাড়ি নারী, শিশু-কিশোরীরা প্রায়ই ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামে স্থানীয় মিতিঙ্গাছড়ি সেনা ক্যাম্পের সাদা পোশাক পরিহিত ৬ সেনা সদস্য কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় কার্বারিকে ক্যাম্পে ডেকে ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে, একই দিন রাতে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পাগলা পাড়া এলাকায় মো. রহমত উল্ল্যাহ (৪৫) কর্তৃক তার বাগানে কাজ করা এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রামগড় থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
নেত্রীদ্বয় অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে বিলাইছড়ির ফারুয়া অরাছড়িতে দুই মারমা বোনকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার না হওয়ার কারণে মিতিঙ্গাছড়ির গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়ার অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্টীয় বাহিনী ও সেটলার বাঙালি কর্তৃক এ যাবত সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়নি। ধর্ষকরা আইনের ফাঁক গলিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে পূনরায় একই ঘটনা সংঘটিত করে থাকে। এমন উদাহরণ হিসেবে রাঙামাটির লংগদুতে নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রহিমের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ ও কারাগার থেকে মুক্তির পর পূনরায় বিদ্যালয়ে যোগদানের ঘটনাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আর যেসব ঘটনায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী জড়িত থাকে সেসব ঘটনায় বিচার তো দূরের কথা ঘটনা ধামাচাপা দিতে বলপূর্বক যা যা করা দরকার তা করা হয়ে থাকে।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় অবিলম্বে কাপ্তাইয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা, রামগড়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত মোহাম্মদ রহমতকে গ্রেফতার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
বার্তা প্রেরক
এন্টি চাকমা
সদস্য
হিল উইমেন্স ফেডারেশন
মোবাইলঃ ০১৮২৬০৩০৩৬৬
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Website
Address
Khagrachari
কলেজ রোড।
Khagrachari, 4400
★বাঙালি জাতিয়তাবাদ ★ধর্মনিরপেক্ষতা ★গনতন্ত্র ★সমাজতন্ত্র
Khagrachari, 4400
শিক্ষা,সংহতি ও প্রগতি
Khagrachari, 4400
we want a peaceful hill tract.
Khagrachari Chittagong
Khagrachari, 4400
Organization of Parbatta Odikhar Forum
Swanirbar Bazar
Khagrachari, 1000
Hill Students' Council is a political organization for the Jumma students from CHT, Bangladesh.
Khagrachari, Chittagong
Khagrachari, KHAGRACHARI,CHITTAGONG, BANGLADESH
খাগড়াছড়ি জেলার একমাত্র অফিসিয়াল পেইজ
Swanibhar Bazar
Khagrachari
Ganotantric Jubo Forum (In English: Democratic Youth Forum) is a political organization for the Jumma youths in the Chittagong Hill Tracts.