শুভশ্রীতনু পাল
hlw Everyone
পুরুষ মানুষ সুযোগ পেলে; কেবল মাত্র শারীরিক উত্তেজনা ও কামবোধ থেকে যেকোন নারী দেহের কাছে যেতে পারে! নারীদের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। নারী তার কামবোধকে সংযত করতে পারে। মানসিক আগ্রহ ও কোনরকম আবেগের জায়গা সৃষ্টি না হলে, নারীরা সাধারনত দেহের বিনিময় করেনা।
পুরুষের ভেতরও এক শ্রেণীর পুরুষ আছেন, যারা তার তীব্র কামবোধকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। সুযোগ থাকার পরও নারীরা যার তার সাথে নিজেকে ভাগ করেনা; এমন পুরুষের সন্ধান পাওয়া বিরল, তবে শূণ্য নয়।
যে পুরুষ সুযোগ থাকার পরও তার কাছের মানুষটির কথা ভেবে, নিজের কামনা ও বাসনাকে নিয়ন্ত্রন করে এবং সকল সুযোগ উপেক্ষা করে ঘরে ফিরে আসে, সে কেবল পুরুষ নয়; মহাপুরুষ! তাকে ভালোবেসো!
বন্ধুরা সাবধান😦😊
-আজকালকার মেয়েরা মানিয়ে নিতে জানে না। তারা স্যাক্রিফাইস করতে জানে না। তাদের রাগ-জেদ বেশি। তাইতো আজকাল সংসারে অনেক সমস্যা দেখা যায়।
এধরনের কথা গুলো আমি আমার আশেপাশের অনেককেই প্রায়ই বলতে শুনি প্রায়।
কিন্তু কেন?
এই বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত থাকে।
তবে কথা গুলোর মধ্যে অনেকটা সামঞ্জস্য থাকে।
আজকালের মেয়েরা লেখা-পড়া জানে। তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং আত্মনির্ভরশীল। তারা স্ব-নির্ভর। তাদের কেউ কেউ চাকরি করে, বিজনেস করে। নিজেরা ইনকাম করে। মেয়েদের মা-বাবারও যথেষ্ট Support আছে। তাদের সাথে কোনো অন্যায় হলে তারা মুখ বুজে সহ্য করবে কেন?
আমি বলি, উত্তর তো নিজেই দিয়েছেন। তারা কোনো অন্যায়-অত্যাচার মেনে নেবে কেন? আজকালকার মেয়েরা অবশ্যই মানিয়ে নেয়। নিতে জানে। তারা এক হাতে যেমন সংসার করতে জানে, কম্পিউটারের কাজও তেমন করতে জানে, তারা যেমন ঘরের কাজও জানে, তারা চাকরি কিংবা বিজনেস এর মাধ্যমে ইনকাম করে আর ৫ টা মানুষের দায়িত্বও নিতে জানে।
তারা বাচ্চা লালন-পালন করতেও জানে। আবার মেকাপ করে পরিপাটি হয়ে সাজতেও জানে। তারা যেমন সবাইকে নিয়ে সুন্দর মতো সংসার করতে জানে। তার সাথে কোনো অন্যায় হলে সে তার প্রতিবাদ করতেও জানে।
এখনকার মেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আত্মনির্ভরশীল তেমনই আদব-কায়দা, চাল-চলনে অত্যন্ত নম্র এবং ভদ্র। কিন্তু প্রয়োজনে এই মেয়েটাই কঠোর হতে জানে। দৃঢ় চিত্তে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে।
এখনকার মেয়েদের আত্মসম্মানবোধ অত্যন্ত তীব্র। কারণ তারা পরগাছা হয়ে বাঁচতে চায় না।
এখনকার মেয়েরা অন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিবাদ করতে শিখেছে। মানিয়ে নেওয়ার নাম দিয়ে চুপ থাকাটাও যে অপরাধ এটা জানতে শিখেছে।
আপনাদেরও সমস্যা এটাই যে আপনারা বাস্তবতা মানতে নারাজ। আপনারা আগের জেনারেশনের মানুষরা নিজেদের সাথে আমাদের তুলনা করেন। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল। ৩০/৪০ বছর আগের সময়ের সাথে এই যুগের তুলনা করাটা নিতান্তই বোকামি।
মেয়েরা বাইরে বেড়িয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রথমদিকে যেমন সমাজের নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলো। আস্তে আস্তে সমাজ যেমন তা সাদর আমন্ত্রণে মেনে নিয়েছে। একসময় মেয়েদের এই অপরিসীম সাহস এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনাও আপনারা ঠিকই মানিয়ে নেবেন। অবশ্যই নিবেন। নিতে তো হবেই। এর পাশাপাশি আপনারা কোনো মেয়ের সাথে অন্যায় আচরণ বা অত্যাচার করার আগেও হাজারবার ভাববেন। ভাবতে আপনি বাধ্য হবেন।
আর একটা কথাও প্রায়ই শোনা যায়। এখনকার মা বাবার প্রশ্রয়ে মেয়েদের সংসার ভাঙ্গে।
মা বাবা বলে, আমরা কি তোকে না খাওয়াতে পেরে বিয়ে দিয়েছি? তোর সাথে কোনো অন্যায় হলে, ঐখানে থেকে কষ্ট না পেয়ে চলে আয়।
এই কথাটাও তো সত্য।
আগে একেক জনের সাত আটজন করে সন্তান ছিলো। সেটা অবশ্য খুব বেশি দিন আগেও না। আমাদের মা বাবাদের ফ্যামিলি দেখেন তারা কয় ভাই বোন?
তখন মা বাবা আসলেই মেয়েদের পর করে দিতো। তারা অন্য সন্তান নিয়ে তখনও যখন হাবুডুবু খাচ্ছে। চাইতো না টাকা খরচ করে বিয়ে দেওয়া মেয়েটাও ঘরে ফেরত আসুক।
তাই মেয়েটা যতোই কেঁদে কেটে সংসার করুক, তার সাথে যতই অন্যায় হোক, মা বাবা জানিয়েছে এইটায় সংসার।
আমরাও মানিয়ে নিয়েছি। তোমরাও মানিয়ে নাও। সকল অন্যায় মানিয়ে নেওয়াটাই তখন সংসারের নিয়ম ছিলো।
মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে সে মেয়েটা যখন অতি কষ্টের মাঝেও সংসার ধর্ম পালন করে যাচ্ছে, তখন মাথায় হাত বুলিয়ে মায়েরা বলে, বলেছিলাম না মা। এইটাই সংসার। সংসারে মানিয়ে নিতে হয়।
সে মেয়েটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মাথা নাড়ে। কারণ ততদিনে তার সংসার ছাড়া আর কোথাও কোনো অস্তিত্ব নেই।
সে মেয়েটা মা হয়, এখন তাদের সন্তান থাকে একটা/ দুইটা কিংবা সর্বোচ্চ তিন টা।
তাদের বড় করতে গিয়ে মা বাবা তাদের সর্বস্ব দিয়ে দেয়।
খুব নিম্মবিত্ত ছাড়া এখন খুব একটা ফ্যামিলি নেই যারা তাদের মেয়ে সন্তান দের লেখাপড়া করায় না।
তাদের মেয়েদের শখ আহ্লাদ পূরণ করে না।
সবাই কম বেশি তাদের মেয়েদের আদর, আহ্লাদ, ভালোবাসা, শিক্ষা দিয়েই বড় করে।
সেটা উচ্চবিত্ত হোক বা মধ্যবিত্ত।
মায়েরা তাদের চাপা দীর্ঘশ্বাস টা হাল্কা করে নিজের মেয়েকে তা পূরণ করতে দেখে।
ভোর সাতটা থেকে কোচিং এ নিয়ে ছুটে, স্কুলে সারাদিন বসে থাকে। ঘেমে নেয়ে একাকার। কখনো কখনো খাওয়াটাও ঠিকমতো হয় না। তবুও মায়েরা কষ্ট করে, খুব কষ্ট করে। যেন, মেয়েটা মানুষ হয়। যেন, মেয়েটাকেও তার মতো হাজারো অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করতে না হয়।
স্কুল, কোচিং বাসার পড়াশোনা সব মিলিয়ে মা বাবারা অনেক কষ্ট করেই তার সন্তানদেরকে মানুষ করে। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে।
অধিকাংশ মা বাবা আসলেই এখন শুধুমাত্র দায়মুক্ত হওয়ার জন্য বিয়ে দেয় না।
সমাজ নিয়মে, জাগতিক নিয়মে তার সন্তান কে নতুন কারো সাথে সংসার করতে হবে তাই মহা ধুমধাম করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মেয়েকে বিয়ে দেয়।
যদি দায়মুক্ত হওয়ার আশাতেই বিয়ে দিতো তাহলে এতো টাকা খরচ করে মেয়েদেরকে লেখাপড়া শিখাতো না।
তাই যে মা টা শুনে এসেছিল, মানিয়ে নাও এইটায় সংসার।
যার চোখের জল ফেলতে ফেলতে রাতগুলো ভোর হতো, সে মাই যখন তার মেয়েটা কষ্ট পায় তখন মাথায় হাত রেখে আলতো করে বলে, চিন্তা করিস না আমি তো আছি, এই সামান্য কথাটার মূল্য একজন মেয়ের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
তাই এত যত্নে পালন করা মেয়েকে যখন হুট করে জীবনে আসা অন্য মানুষ গুলো অধিকার সহকারে কষ্ট দেয়, অন্যায় আচরণ করে, মানসিক নির্যাতন করে, তখন সেই মা-বাবাও প্রতিবাদ করবে এটাই স্বাভাবিক। মা বাবা অবশ্যই বলবে, আমার সন্তান তুই। আমার কাছে ফেরত আয়। কারণ এখনকার মা বাবারআ জানে মৃত সন্তানের চেয়ে ডির্ভোসী সন্তান অনেক ভালো।
একটা সময় ছিলো যখন শ্বশুর বাড়িতে মেয়েরা অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এখনো গ্রামাঞ্চলে এসব ঘটনা হর হামেশাই চলতে থাকে। আসলে যাদের মাথা গুজার ঠাঁই নেই। যারা অল্প শিক্ষিত। যাদের আয় রোজগারের কোনো উপায় নেই তাদের উপর শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনের হার অনেক বেশি। তাদেরও মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ই থাকে না। মুখ বুজে সকল অন্যায় সহ্য করতে হয়।
কিন্তু যেসব মেয়েদেরকে মা-বাবা তাদের রক্ত পানি করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলে, যারা ইনকাম করে, যাদের মাথার উপরে ছাদ আছে এবং যাদের পায়ের নিচের মাটিটা অত্যন্ত শক্ত তারা স্বামী বা শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দেবর, ননদের কোনো অন্যায় আচরণ মুখ বুজে সহ্য করবে না এটাই স্বাভাবিক। অত্যন্ত স্বাভাবিক।
জীবনের প্রতিটি সূক্ষ্ম বিষয়ে সেই মেয়েটার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। একজন শিক্ষিত মা সন্তানের নাম রাখা থেকে শুরু করে সন্তানের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজে নিবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই হওয়া উচিৎ কারণ একজন সন্তানের জীবনের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী তার মমতাময়ী মা। আর মায়ের চেয়ে বেশি ভালো সন্তানকে আর কেউই বাসতে পারে না। কোনোদিনও না।
তবে আজকালের মেয়েরা মানিয়ে নিতে জানে না তেমন নয়। মেয়েরা ঠিকই মানিয়ে নিতে জানে, তবে শুধু একটু সম্মান আর ভালোবাসা পেলে দেখবেন মেয়েরা কি সুন্দরভাবে একা হাতে সবকিছু সামলে নিচ্ছে।
আদর, যত্ন এবং ভালোবাসা দিয়ে সংসারটাকে আগলে রাখছে।
একজন মেয়ের শুধুমাত্র এবং একমাত্র চাহিদা একটুখানি সম্মান আর ভালোবাসা। হ্যা সম্মান আর ভালোবাসা পেলেই মেয়েরা তাদের সারাটা জীবন একটা সংসারে উৎসর্গ করে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে একটুখানি সম্মান আর ভালোবাসা খুঁজতে খুঁজতেই মেয়েটা কবর পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
মেয়েদের মানিয়ে নেওয়ার দিন শেষ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিন শুরু।
লেখাঃ (ইফফা তাবাসসুম তালুকদার জান্নাত)
বি.দ্রঃ দোলনা বড়ুয়া তৃষা দিদির লেখার অনুকরণে।
জীবনের অনেক রূপ দেখেছি। একই জীবনে কাঁদতে কাঁদতে নিঃশ্বাস আটকে ফেলতে দেখেছি আবার সেই জীবনেই হাসির মাঝে প্রবল সুখ অনুভব করতে দেখেছি।
জীবন সুন্দর। অনেক বেশিই সুন্দর। যদি সেই জীবনের প্রতিটি সময় সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যায় তবেই মানুষ সেই সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করতে পারে।
জীবনের সব দিন সবার সমান যায় না। দুঃখের পরে সুখ আসে ঠিক যেমন শীতের পরে আসে বসন্ত। কান্নার পরে হাসি আসে ঠিক যেমন গ্রীষ্মের কাঠফাটা গরমের পরে বর্ষা প্রকৃতিকে শীতল করে দেয়। মানব জীবনও ঠিক তেমনই।
শুধু প্রয়োজন কষ্টের সময়গুলোতে ধৈর্য্য ধারণ করা। সৃষ্টিকর্তাও ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন। তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরষ্কার।
ছেলেটার একটা বাইকের খুব শখ। বাবার সামর্থ্য নেই তাকে বাইক কিনে দেওয়ার। ছেলেটা হতাশ হয়ে ভাবছে জীবনটাই বৃথা। সেই জীবনেই সেই ছেলেটা কয়েক বছর পরে মানুষের মতো মানুষ হলো। অনেক বড় চাকরি পেলো। রোজকার করতে শিখলো। নিজের শখের জিনিস যখন তার নিজের উপার্জনের টাকায় কিনলো তখন যে তৃপ্তির হাসি হেসে মনে মনে বললো জীবন টা সত্যিই খুব সুন্দর।
মেয়েটার ডাক্তার হবার খুব ইচ্ছে। সরকারি মেডিকেলে চান্স পায় নি। বাবারও সামর্থ্য নেই তাকে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াবে। মেয়েটার কাছের কিছু বান্ধবী বাবার টাকার জোরে অনায়াসেই ভর্তি হয়ে গেলো প্রাইভেট মেডিকেলে। মেয়েটা তার জীবন নিয়ে চরম হতাশ। ভাবছে এ জীবন রেখে কি লাভ! সেই মেয়েটাই ১০ বছর পরে যখন ইউনিভার্সিটিতে ম্যাথম্যাটিকস এর প্রফেসর হিসেবে জয়েন্ট করলো তখন মনের ভেতর থেকে অন্যরকম একটা প্রশান্তির অনুভব করলো। তৃপ্তির হাসি হেসে মনে মনে ভাবলো, জীবন সত্যিই খুব সুন্দর।
ছেলেটা প্রেমে ব্যর্থ হয়েছে৷ তার কাছে টাকা নেই, ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা নেই জন্য তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে একজন বিত্তবান, একজন Well Established ছেলের সাথে বিয়ের পিড়িতে বসেছে। ছেলেটা সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে ভাবছে এ জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। জীবন টা রেখে কি লাভ! সেই ছেলেটাই ৫ বছর পরে যখন সরকারি চাকরিতে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পেলো তখন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন যাদের ঘরে বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে আছে তারা যখন বিয়ের প্রস্তাবের জন্য লাইন দেয়, ছেলেটা মনে মনে তৃপ্তির হাসি হাসে আর ভাবে জীবন সত্যিই খুব সুন্দর।
মেয়েটার গায়ের রঙ কালো। একটার পর একটা বিয়ের প্রপোজাল রিজেক্ট হয়ে যায়। এই লজ্জা, এই অপমান মেয়েটা কীভাবে সইবে? মেয়েটা ভাবে, এ জীবনে বেঁচে থেকে কি লাভ? সেই মেয়েটাই যখন পরিবারের সহযোগিতায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলো। ভালো একটা সরকারি চাকরি পেলো, তখন আর তার পরিবারকে মেয়ের বিয়ের প্রপোজালের জন্য Wait করতে হয় না। আশে পাশে থেকে ঘটকের লাইন পড়ে গেলো। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন একসময় যারাই বিভিন্ন অজুহাতে বিয়েগুলো ভেঙে দিয়েছে, তারাই তাদের ছেলের জন্য বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে মেয়ের বাবার দরজায় আসা শুরু করলো। মেয়ে এবং তার পরিবার মনে মনে তৃপ্তির হাসি হাসে আর বলে, জীবন সত্যিই খুব সুন্দর।
ছেলেটার সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে। সামান্য কিছু পুঁজি নিয়ে একটা ব্যবসা শুরু করলো, তখন আশে পাশের মানুষ নাক সিটকে কতো কথাই না বলছে। সেই ছেলেটাই যখন ১০ বছর পরে শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, তখন সেই মানুষগুলোই তাকে দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়। ছেলেটা মনে মনে তৃপ্তির হাসি হেসে ভাবে, জীবন সত্যিই খুব সুন্দর।
মেয়েটার পরীক্ষার রেসাল্ট তেমন ভালো না। তাকে দিয়ে চাকরি বা ব্যবসা কিছুই সম্ভব না। ঘর কন্যার কাজেও তেমন পারদর্শী না। কি হবে মেয়েটাকে দিয়ে! মেয়েটা কবিতা লেখে, আবৃত্তি করতে ভালো পারে, পাশাপাশি ভ্লগিংও করে৷ শুরুতে আশে পাশের মানুষের কতো কটু কথাই যে শুনতে হয়েছে৷ আস্তে আস্তে যখন পরিচিতি বাড়তে থাকে তখন নামী-দামী ব্যন্ডগুলো তার সিডিউল পাবার আশায় অপেক্ষায় দিন গুণে। মেয়েটা ইউটিউব চ্যানেল আর ফেসবুক পেজ থেকেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে, মেয়েটা যখন বাহিরে বের হয় তখন আশপাশে থেকে হাজার হাজার স্যালুট আসে। সবাই একটা সেলফি তোলার জন্য পাগল হয়ে যায়, তখন মেয়েটা তৃপ্তির হাসি হেসে ভাবে জীবনটা সত্যিই খুব সুন্দর।
হ্যা জীবন সুন্দর। অনেক বেশি সুন্দর। যদি সেই জীবন টা কে তুমি সুন্দর করে সাজাতে পারো। তোমার নিজের জীবন টা সাজানোর দায়িত্ব শুধু তোমার। মা-বাবা পাশে থাকবেন। অনুপ্রেরণা দিবেন। এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন। কিন্তু জীবনে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তোমার। শুধুই তোমার। মা-বাবা জীবনের সঠিক পথ প্রদর্শক। আমাদের সকলের জীবনে মা-বাবার অবদান অনস্বীকার্য। মা-বাবা তোমাকে সঠিক রাস্তাটা চিনিয়ে দিবেন। কিন্তু সেই রাস্তায় দৌঁড়ে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে হবে তোমাকেই।
জীবন সত্যি খুব সুন্দর। সেই সৌন্দর্য্য তুমি তখনই অনুভব করতে পারবে যখন সমাজে চলার মতো তোমার একটা আত্মপরিচয় তৈরি হবে। মাথা উঁচু করে চলার মতো আত্মনির্ভরশীল যখন তুমি হতে পারবে, তখনই তুমি জীবনের আসল সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করতে পারবে। পরিবার, সমাজ, বন্ধু-বান্ধব সব জায়গায় তোমার দাম কোটি গুণে বেড়ে যাবে। কিন্তু এই তুমিই যখন নিজের পরিচয় তৈরী করতে ব্যর্থ হবে, নিজের কাছে কোনো টাকা থাকবে না, সমাজে মাথা উঁচু করে বলার মতো কোনো পরিচয় থাকবে না, তখন তুমি কারো কাছে কোনো সম্মান তো পাবেই না, উল্টো তোমাকে আরও সবার কাছে থেকে মুখ লুকিয়ে চলতে হবে।
জীবনের পরিসর খুব ছোট। এই ছোট পরিসরের জীবনে একটা সেকেন্ডও নষ্ট করো না। আজ তুমি নিজের একটা আত্মপরিচয় তৈরী করো, নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলো, দেখবে পৃথিবী তোমাকে অনেক সুন্দর এবং সম্মানজনক একটা জীবন উপহার দিবে। তখন তুমি প্রতিটি মূহুর্ত উপভোগ করবে আর তৃপ্তির হাসি হেসে বলবে, জীবন সুন্দর, সত্যিই খুব সুন্দর, ভীষণ সুন্দর। 🥰
জীবন খুব সুন্দর যদি তুমি সাজাতে পারো।
লেখাঃ (ইফফা তাবাসসুম তালুকদার জান্নাত)
আজকাল অনেকেই বলেন, ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসুন! তবেই আপনি ভালো থাকবেন।
ভালোবাসা মানে যদি ভালো থাকা হয়, তাহলে আমি তো ভালোবাসার মানুষগুলোকে ভালোবেসেই ভালো থাকি। তাকে সহযোগিতা করে স্বস্তি অনুভব করি, তাকে উপহার দিয়ে নিজে আনন্দ পাই, তার কথা চিন্তা করেই মন ভালো রাখি, তার বিশ্বাসের দাম দিয়েই নিজেকে বিশ্বাস যোগ্য করে তুলি, তার হাত ধরেই আমি ভরসার কাঁধ হয়ে উঠি, তার গলার আওয়াজ শুনেই ক্লান্তি মেটাই, তার হাসি মুখ দেখেই সব মন খারাপ দূর করি। এগুলোই তো আমার ভালো থাকা। বরং আমি ভালো থাকি না তার সাথে কথা না হলে, আমি ভালো থাকি না তাকে বহুদিন দেখতে না পেলে, আমি ভালো থাকি না সে অসুস্থ হলে, আমি ভালো থাকি না তার মন খারাপ থাকলে। আর নিজেকে নিজেই ভালোবাসা? এমন কোনো মানুষ নেই যে নিজেকে ভালোবাসে না। নিজেকে সবাই ভালোবাসে। তবে অন্যকে ভালোবেসে, অন্যের উপকার করে, অন্যের পাশে থেকে, অন্যকে উপহার দিয়ে যে সুখ,যে শান্তি, তার থেকে হাজার হাজার গুণ বেশি দিয়েও সে তৃপ্তি পাই না, যখন নিজেই নিজেকে দিই।
কলমে: সরজিৎ ঘোষ।
যারা সত্যিকারের ভালোবাসতে চেয়ে নিজেকে স্যাক্রিফাইস করে দিয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষেরই জীবনের বড়ো ট্রাজেডি হলো, তারাই ভালোবাসা পায়নি। নিজেকে নিঃশেষ করে বিলিয়ে দিয়েও দিন শেষে তাদের ভালো থাকা হয়নি। যে হাতটা শক্ত করে ধরে রাখতে চেয়েছিল, তার সেই বাঁধন কেটে দিয়ে একদিন না একদিন তারা ঠিক বেরিয়ে গেছেই।
এই পৃথিবীতে এমন কত মানুষ আছে, যারা ভালোবাসার মানুষটিকেই একটা ঘর ভেবেছিল, একটা আশ্রয় ভেবেছিল, ভেবেছিল এর কাছে থাকলেই হয়তো দুদণ্ড শান্তি মিলবে। উঁহু, শান্তি মেলেনি তার কাছে। উপলব্ধি করে ফেলে, জীবনে একটা ভুল মানুষকে সে বেছেছে। অশান্তির কুয়োতে থাকতে থাকতে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা আর থাকে না।
ভালোবাসার মানুষ গুলো কেমন হয় জানেন? বেশির ভাগ মানুষই কোনো একজন মানুষকে নিবিড় করে কাছে পেয়ে গেলে আর তাকে গুরুত্ব দেয় না। তার ভালো থাকা বা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না। অথচ একটা সময়? কে বলবে সেই মানুষটাই এটা? মেলে না, কিছুতেই মেলে না।
হঠাৎ একদিন ধরা পড়ে যায জীবনের কত কিছু বদলে গেছে। বদলে গেছে খুব চেনা মানুষটাই। কিন্তু বলতে পারেন, কেন বদলায় না হৃদয়ের গোপন কুঠিরে লুকিয়ে থাকা মায়ার শিকলটা? কেন ফিরে যাই বহু বছর আগে পেরনো জীবনের কোনো পুরোনো প্ল্যাটফর্মে? কেন বদলে যাওয়া মানুষের সাথে মনের ভিতরে আঁকা রঙ বেরঙের ছবি গুলো মুছে যায় না? মৃত্যুর নীলনদে কেনই বা সেই স্মৃতি তলিয়ে যায় না?
আসলে সব কেনর উত্তর হয় না। ভালোবেসে সবাই সুখ পায় না। ঘর বেঁধেও এক ঘরে এক সাথে থাকাও হয় না। এ জীবনে ভালোবেসে সবাই জেতে না। কেউ হারবে, কেউ হারিয়ে যাবে, বিকেলের ছাদে কেউ বা একা কাঁদবে, কেউ হয়তো বা আবার ভুলে জড়াবে এ শহরের ভালোবাসার ফাঁদে। ভালোবেসেই তো মরেছে মানুষ, ভালোবেসে আর বাঁচে ক'জন? কি ট্রাজিক জীবন! ভালোবেসে একটা না হওয়া ঘর অন্য কোথাও রয়ে যায়।
কলমে: সরজিৎ ঘোষ। Sarajit Ghosh
একজন আমাকে বলল, সে বার বার প্রেমে পরে।অনেকেই তার জীবনে এসেছে। বার বার আঘাত পেয়েও সে শুধরায় না আবার ভালোবাসতে চায়৷
মাঝে মাঝে তার নিজেকে অপরাধী লাগে।
আমি হেসে বললাম, এই তো বেশ ভালো কথা। তুমি একজন সুস্থ মানুষ। আর এইটায় তোমার স্বাভাবিকতা। এইটায় নিয়ম। আমরা অধিকাংশ মানুষ এই নিয়মেই চলি। আমাদের মানুষ আচারণ গত স্বাভাবিক ধর্ম এইটা।
আমি তো কোন সমস্যা দেখছি না।
সমস্যা তো তখন হবে, যখন তোমার একজন কে ছাড়া আর কাউকে কখনো কোন দিন ভালো লাগে নি। লাগবে না। ভালোবাসতে পারবে না।
সে হেসে বলল, খারাপ কেন? এইটায় তো প্রকৃত ভালোবাসা তাই না?
আমার দীর্ঘ শ্বাস টা শেষ বেলার সূর্যাস্তের ছায়ার মতো দীর্ঘ হলো, অনেক দীর্ঘ।
একজন ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসতে না পারা একটা অভিশাপ। একটা আজম্মা জীবন্ত অভিশাপ।
সে অবাকেই হলো।
বুঝিয়ে বলি?
ছোট বেলা থেকে বড় হওয়া স্কুল কলেজ ভার্সিটি বা সংসার। কত মানুষ তো প্রিয় হলো।
সবাই কি আর একই ছিলো?
মানুষের নিয়ম। মানুষের স্বভাব। ভুলে যাওয়া। নতুন করে আপণ করা ভালোবাসা।
কারো কাছে তোমার দাম ছিল না। ছেড়ে গেলে। এমন কাউকে পেলে যার কাছে তুমিই তার শেষ বাক্য।
সুখি হলে। ভালো থাকলে। এলোমেলো জীবন গুছিয়ে নিলে।
কিন্তু যদি তুমি একজন কে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসতে না পার এই সুখ টা জীবনেও পাবে না।
সে মানুষ টার কাছেই তোমার দাম থাকবে না। এলোমেলো জীবন শুধু ছন্নছাড়ায় হবে।
তোমার রাগ অভিমান অভিযোগ সে এক নিমিষেই ধূলিসাৎ করে বার বার মাড়িয়েই যাবে আর তুমি থেবে যাওয়া কাটার মতোই রবে।
তাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে না একটা অভিশাপ।
এই অভিশাপে এত অভ্যস্ত মানুষ হয়ে যায় যে চাইলেও বের হওয়া যাবে না।
স্বাভাবিক ভাবে কেউ একজন কথা না বললে আমরা অন্য কারোতে বিজি থাকি। তা প্রেম হবে তার দরকার নেই।
কিন্তু কিছু মানুষ এমন ভাবে বসে মনের জায়গায় জুড়ে তাকে জায়গা দিতে গিয়ে অন্য সব ঝেড়েঝুড়ে ফেলতে সমূলে।
তখন সে শেকড় ছড়ায় তার খেয়ালে। তাকে রোধ করা তখন আপনার সাধ্যে থাকে না।
সে কথা না বললে থেমে যাবে পুরো দুনিয়া।
সে না তাকালে বন্ধ হয়ে যাবে সব নিত্য কাজ। এলোমেলো জীবন বেপোয়োরা হয়ে উঠবে শুধু তার একটা অবহেলা মাখা শব্দে,
তার একটা আহ্লাদ বিহীন চাউনিতে।
তার নিস্পৃহ বাস্তবতা মাখা স্বরে।
আমি কখনো তোমার হবো না এই এক বাক্যে ভীষণ ভারী হিমালয় বসবে বুক জুড়ে। তুমি জানো না কীভাবে নামাতে হয় এই পাথর এই পাহাড়।
আবার তার আলতো স্পর্শ পেলে গলে যাবে তা, বয়ে যাবে গঙ্গা হয়ে।
উফফ। তুমি আবার হেরে যাবে। বার বার হেরে যাবে।
হারার যন্ত্রনায় তুমি কাতরাবে যেন ভীষণ শীতে কুকড়ে তুমি।
আর সে হয়ে উঠবে এক রাজতান্ত্রিক অত্যাচারী। যত বুঝবে সে ছাড়া তোমার অস্তিত্ব বিলীন, তোমার জীবনে সেই বট বৃক্ষ আর তুমি পরগাছা যেন সই।
তাই বলি, একজন ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসতে না পারাটা একটা অভিশাপেই বটে। জীবন্ত অভিশাপ।
#জীবন্ত_অভিশাপ
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
যে ছেলে গুলো খুব কেয়ার করে, হাতের চুড়ির, কানের দুলের রং মনে রাখে, কলা পাতার শাড়ির নাকি মেরুন কালার ব্লাউজ তার প্রশংসা করতে ভুলে না, ফোন দিতে দেরী হলে রেগে যায়, আবার নিজেই রাগ ভাঙ্গায়। এইসব ছেলেদের সহজে ভালোবাসা যায়, প্রেমে পড়া যায়, মনে দ্রুত জায়গা করে দেওয়া যায়। হাত টা সহজে ধরা যায়, এদের সাথে খুব দ্রুত মন ছাড়িয়ে শরীর ছোঁয়া যাই। এরা ছুঁয়ে যায়।
এদের দেওয়া কষ্ট গুলো খুব লাগে। ভেঙ্গে চুরমার করে। কিন্তু আবার কাটিয়ে উঠে পা বাাড়ানো যাই।
কখনো এক রোখা, ঘাড় ত্যাড়া, বেয়াদব ছেলে গুলো কে ভালোবেসে দেখেছো?
এরা মোট কথায় তোমাকে দেখবেই না। ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু তোমার চুড়ি আর দুল কেন এরা হাটতে হাটতে একটু শাড়ি উচু হয়ে দেখা যাওয়া পেটিকোট ও মনে রাখবে।
তুমি হয় একবার ব্যাগ খুলেছিলে তখন সে ফোনে মগ্ন ছিলে। কিন্তু বলতে পারবে কয়টা খুচরো আছে, যাওয়ার রিকশা ভাড়াটা আছে কিনা।
এদের সাথে রাগ করা মানে তার দায়ভার আবার নিজের গায়েই চাপানো। কারণ একরোগা ছেলেরা রাগ ভাঙ্গায় না, তেমনি সহজে রাগ ও করে না। তুমিই বিরক্ত হয়ে যাবে, রাগ কেন করে না? ঝগড়া কেন লাগায় না? আমার মান কেন ভাঙ্গায় না?
ঘাড় ত্যাড়া ছেলে গুলো লুতুপুতু প্রেমের গল্প বলে না। রাগ জেগে কথা বলবে তবে রাত বাড়লে তা শীররে পৌঁছায় না। যদি এদের বলা হয় তুমি আমায় একটু ভালোবাসো না, সে বুঝাতে আসবে না কতটা ভালোবাসে,
সে বলবে -তাইলে ঘুমাও।
এরা তোমার মা বাবা চৌদ্দগুষ্টি কেমন আছে কেমন নেই কি করে জিজ্ঞেস করবে না। কিন্তু কখনো কারো বাসায় গিয়ে ছোট মাসি শাশুড়ীর মোবাইল থেকে কখনো ফোন দিলেও তার নাম্বার রেখে দিবে।
এই ছেলে গুলো ভীষণ নাছোড়বান্দা হয়। তবে কখনো তোমাকে বিরক্ত করবে না। এরা কখনোই বলে না, পাসওর্য়াড দাও, এর সাথে কথা বলো না, ওকে ব্লক দাও, এই ড্রেস টা পড়বে না। বেড়াতে যাবে না। কাল দেখা করতেই হবে। এইভাবে কখনোই জ্বালাবে না।
এরা বলে চুল কেটো না, নক রেখো না, লাল লিপস্টিক টা একদম দিবে না। এরা হয়ত বায়না ধরে একবার শাড়ি পড়ে দেখা কর। এর বেশি তেমন কিছুই না।
এদের এই জ্বালা গুলো বুঝতে হলে তোমাকে তাকে ভালোবাসতে হবে। ভীষণ রকম ভালোবাসতে হবে। এদেরও রাগ হয়, কিন্তু তার প্রকাশ টা ধরতে গেলে তোমাকে তাকে তার চেয়েও বেশি চিনতে হবে।
এরা রেগে গেলে চিল্লায় না, কিংবা কথা বন্ধ করে না। এমন ঠান্ডা গলায় ভালোবাসি বলবে যেন তোমায় এখন কোন গিরিখাত টেনে নিলো নিচে। এই রাগ গুলো ভয়াবহ হয়, কিছু না বলে কিছু না করেই তোমার সারা শরীর জ্বালিয়ে মারবে। ভীষণ কষ্ট হবে।
এই ছেলে গুলোর ভালোবাসায় না কোন পিঞ্জর থাকে, না আকাশে বিস্তৃত থাকে। শুধু এদের চিন্তাভাবনার চারিপাশ জুড়ে থাকে। সে থাক না থাক ভালোবাসার রেশ রয়ে যায় আজীবন।
এদের কে তুমি ছেড়ে যেতে পারবে না। তুমি ভয় পাবে এই না ছেড়ে যায় তোমার। ব্যাপারটা অদ্ভুত রকম সত্য যে এরা কখনোই তোমায় ছেড়ে যাবে না। তোমার ভয় টাও আবার দূর করবে না। ওটা তোমার বিশ্বাসেই তোমাকে দূর করতে হবে। এদের জীবন তোমার অস্তিত্ব নিয়ে বার বার তুমি প্রশ্ন তুলবে। এরা বুঝাবে না।
এদের জীবন তোমার অস্তিত্ব যে কত টা জুড়ে তা তোমাকে তোমার বিশ্বাসে খুঁজে নিতে হবে। যেদিন পেয়ে যাবে সেদিন তার জীবনে সে অস্তিত্বের পরিধিতে নিজেকেই ক্ষুদ্র মনে হবে তোমার।
তোমার ভুল গুলো এরা হেসে উড়িয়ে দিবে, তোমার অপরাধ এরা সহজে ক্ষমা করে দিবে, তোমার প্রতরণায় এরা একটুও ভেঙ্গে যাবে না।
বলবেও না প্লিজ আর করো না।
শুধু বলবে, আচ্ছা ঠিক আছে।
তুমি ভাববে তোমার কিছুতেই তার কিছু এসে যায় না। কিন্তু যদি তুমি সে নিস্পৃহতা বুঝতে পারো তুমি কল্পনাও করতে পারবে না কি তপ্ত আগ্নেয়গিরি তারা বুকে পুষে রেখেছে। তার এক কণা ও যদি তোমার নিশ্বাস ছুয়ে যায় তুমি আজীবন জ্বলতে থাকবে।
কিন্তু তুমি বুঝবে না। এদের সবাই বুঝে না। এদের রাগ অভিমানের মতো এদের ভালোবাসা বুঝতে গেলে তোমাকে তাকে তার চেয়েও বেশি রকম ভালোবাসতে হবে। তোমায় জানতে হবে তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার অস্তিত্ব।
এইসব ছেলে গুলো ভীষণ রকম একগুয়ে হয়। তাদের ভালোবাসা গুলো বেপরোয়া হয়, তাদের পাগলামি লাগাম ছাড়া হয়। তোমাকে হারতে হবে বার বার।
এরা কখনো তোমার পথ আটকায় না, এরা কি রকম নিষ্ঠুর উদাস শূন্য চোখে তোমার চলে যাওয়া দেখবে তুমি আৎকে উঠবে।
এরা কখনো জানাতে আসবে না কতটা এখনো মিস করে তোমায়, কি যন্ত্রনায় বিশাল কোলাহলে তোমায় একামনে ভাবতে পারে, ঢেউয়ের বাতাসে কি পরিমাণ হু হু করে উঠে কামড়ে ধরে এদের।
তোমাকে ভালোবাসার জন্য এদের তোমাকে লাগে না। ভালোবেসে যেতে পারে বাসের ভীড়ে একটু জায়গা পেয়ে জানলার সিটে বসে বাইরে একটু লাগা বাতাসের সাথে। ভালোবেসে যেতে পারে তোমাকে দেখে পাশ কাটিয়ে গিয়েও।
এরা কোন কষ্ট করে না একটা সর্ম্পক বাঁচিয়ে রাখতে, কিন্তু কি অদ্ভুত কষ্ট জমিয়ে রাখে তা শুধু যখন পূর্ণতা পাবে সে সুখের বৃষ্টিতে খুঁজে নিতে পারবে।
এরা অদ্ভুত রকম ভালোবাসতে পারার ক্ষমতা রাখলেও এদের ভালোবাসার পূর্ণ হওয়ার কৌটা বরাবর শূন্য থাকে৷
এরা কখনো দোহায় দেয় না, কোন প্রমাণ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে না, এরা কখনো আটকে দাঁড়িয়ে রবে না। তুমিই বিরক্ত হবে, ভাববে তার কাছে তোমার চলে যাওয়া কোন কিছুই না।
কিন্তু যদি সে পাশে সরে দাঁড়ানো বুঝতে চাও তাহলে পাশে দাঁড়িয়ে হাতটা ধরতে হবে। কি মায়া আছে তাতে।
যদি তাও চলে যাও। এরা ফিরেও তাকায় না। এদের দেওয়া কষ্ট গুলো খুব বেশি লাগে না। শুধু পাথর চাপা পড়ে সব।
এদের ভুলা যাবে না। এগিয়ে যাবে হয়ত কিন্তু ওখানেই ঘুড়পাক খাবে আজীবন।
এদের ভালোবাসলে খুব প্যারা। মন জুড়ে এমন অস্তিত্ব করে নেবে তুমি নৈমত্তিক কাজের ব্যস্ততায় ধুলো ফেলতে পারবে, মুছবে পারবে না।
এদের ভালোবাসে আটকে রাখা খুব কঠিন মনে হয়। মনে হয় কি কুক্ষনেই না ভালোবেসেছি।
কিন্তু এদের ভালোবাসা পাওয়া টা ভাগ্যের ব্যাপার। খুব কম ভাগ্যবতী মেয়ে এইরকম একগুঁয়ে, ঘাড় ত্যাড়া, বেয়াদব ছেলেটার ভালোবাসা হতে পারে।
#একগুঁয়ে_ঘাড়_ত্যাড়া_বেয়াদব_ছেলেদের_ভালোবাসতে_নেই
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
#রিপোস্ট
নারী
জন্ম সূত্রে কারো কন্যা,
ধর্ম সূত্রে কারো পত্নী।
আর কর্ম সূত্রে কারো মা।
আমাদের মনে এই ছবি আঁকা রয়েছে। একজন নারীকে নিয়ে তাই না, একটা অতুলনীয় ভূমিকা রয়েছে নারীদের আমাদের জীবনে।
আর নারী ছাড়া আমারা কিছুই নয় ,
কিন্তু অধিকারের সেখানে আমার একটা ভুল করে বসি।
যখন নারী একজন কন্যা থাকে।যখন সে জন্ম নেয়,তখন তার ওপর অধিকার থাকে তার পিতার আর তারপর যখন বিয়ে হয়ে যায় তখন তার অস্তিত্বের ওপর অধিকার থাকে তার স্বামীরআর যখন তিনি মা হন তখন নিজেই তিনি জীবনের সমস্ত অধিকার দিয়ে দেন তার সন্তান কে,
আমরা কি কখনো এটা ভেবেছি, যে নারী সবার কল্যান করছে। তার জীবনের ও অধিকার তার কাছেই থাকা উচিত, তাই না।
তার নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত সে নিজেই নিতে পারে।
নিজেই নিজের ভাগ্যের রচয়িতা হতে পারে।
আর এর জন্য আমাদের নিজেদের পাল্টাতে হবে।কারন এই ধারণা সেটা আজ বা কালকের ব্যাপার নয় ।
এটা ঘটে চলেছে বহু বছর ধরে আর চলতেই থাকবে।যদি আমারা এটা না বদলাই।
আর এটা তখনি সম্ভব হবে যখন আমারা নিজেদের ভিতর পরিবর্তন আনতে পারব।
তাই আজকের পর থেকে এই মুহূর্ত থেকে কোনো নারীর ওপর অধিকার অকারন অধিকার স্থাপনের আগেসহস্র বার ভেবে দেখবেন।যখন নিজের অধিকার কেড়ে নিতে বাধ্য হবেন । তখন শুধু এবং শুধুমাত্র বিনাশই ঘটবে
রাঁধে রাঁধে 🙏
ভালোবাসায় অভিমান অবশ্যম্ভাবী। কখনো কখনো দরকারীও। কারণ, যত্ন পেলে অভিমান হয়ে ওঠে আরও গভীর ভালোবাসা। আরও অন্তরঙ্গ অনুভব। কিন্তু ক্রমাগত উপেক্ষা ও অপমানে অভিমান রূপান্তরিত হয় অহমে। আর অহম একবার জেগে উঠলে তা ধ্বংস করে দেয় সব। সেই ধ্বংসস্তুপ সারানোর সাধ্য কারো থাকে না। ভালোবাসারও না।
~ আগুনডানা মেয়ে।
My pretty woman 👩❤️
তুমি আমি চা আর চাঁদ 🖤🌸
মেয়েদের অনেক ইচ্ছা থাকা সত্বেও মা-বাবার
জন্য কিছুই করতে পারে না😓
ডিম্বাণু আর শুক্রাণুর মিলনের পর থেকে নতুন একটা প্রাণ সৃষ্টির আয়োজন চলে নারীর জরায়ুর অন্ধকার গৃহে।
একটা আত্মা অবয়ব পেতে শুরু করে। সে স্থান চায় তার অবস্থান গড়ার। তখন সে হাত, পা, মস্তকহীন—লড়াই করার শক্তি তার নেই। সেই রিক্ত, শক্তিহীন, দুর্বল এক প্রাণকে জরায়ুর ভেতরে—যেখানে তার সর্বশেষ আশ্রয়, সেখান থেকে উৎখাত করা, টুকরো টুকরো করে হত্যা করা—এর চেয়ে বড়ো নিষ্ঠুরতা আর কী হয়!
মাতৃত্ব কী অদ্ভুত এক মায়ায় ঘেরা। মাতৃজঠর পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ স্থান। পুরুষ সবসময় দাতা শুনেছি, কারণ সে বীর্য দেয়। আর নারী দেয় স্থান। এই একটু স্থান পাবার জন্য আত্মারা ঘুরতে থাকে বিভিন্ন রূপে। এখানে পুরুষ আসলে দাতা না, সে এক মাধ্যম—যেমন মাধ্যম নারীও।
আমি এক মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নই। আমি জানি, পৃথিবীতে কেউ আপন হয় না। আমি কারও আপন নই, আমারও আপন বলে কেউ আসলে নেই। আমার সন্তান আমার একান্ত নিজের নয়, সে-ও অন্যকারুরই অংশ। তাই পৃথিবীতে নিজস্ব বলে একদমই কিছু হয় না। সব আপন জিনিসই অন্যের।
আবার পর বলেও কেউ হয় না। রাসায়নিকভাবে আমরা একই উপাদানে তৈরি, আত্মিকভাবে আমরা এক পরমাত্মা থেকে সৃষ্ট। সমস্ত সৃষ্টিই আসলে সেই পরমাত্মারই অংশ। না আমরা কিছু সৃষ্টি করতে পারি, না ধ্বংস। আমরা কেবল কাজ করতে পারি এবং কর্মফল ভোগ করি। পৃথিবী কর্মময়।
নিষ্কাম কর্মেরও ফল থাকে। আমরা কীভাবে ভোগ করি, সেটাই মুখ্য।
মানুষ কিভাবে লাখ লাখ টাকা জমায় ভাই?
আমার হাতে শুধু দশ টাকা থাকলেও মনে হয়, এই টাকা রেখে কী হবে! যাই কিছু কিনে আবার ফকির হয়ে থাকি।
~🥱
ছবিতে আমার সাথে যে মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে সে আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। এখন আর সে আমার গার্লফ্রেন্ড নাই। আমাকে বিয়ে করে আমার জীবন প্রেমিকা শূণ্য করে দিয়েছে। এমনকি ইয়াং মেয়েদেরা সাথে আমার কথা বলা নিষেধ করে দিয়েছে।
আজকে তার জন্মদিন।
প্রেম আর প্রণয় মিলিয়ে তার সাথে প্রায় বারো বছর কাটিয়ে দিলাম। খুব ভালো মেয়ে, আমার কাছে দেনমোহর ছাড়াও কিছু টাকা পায়। দিচ্ছি, দেব করে দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছি। সে চায় না, মাঝে মাঝে খোঁটা মারে শুধু। অপেক্ষায় আছি, আর দশ বারো বছর পেরোলে আশা করি খোঁটাও দেবে না।
দীর্ঘ সময় একজন মানুষের সাথে থাকলে কথারা ফুরিয়ে যায়, আলোরা হারিয়ে যায়। আমাদের কথারা ফুরিয়ে যায়নি, আলোও হারিয়ে যায়নি।
টরোন্টোতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে নয়টা দশটার মধ্যে। আমি আর সেঁজুতি জ্যাকেট-ট্যাকেট পড়ে রাত বারোটার দিকে হাঁটতে বাইর হই, দুইটা পর্যন্ত হাঁটি।
সবাই জিজ্ঞাসা করে, রাতের বেলা তোমরা কই যাও?
উত্তর দেই, আমরা হাঁটি।
'কোথায় হাঁটো?'
'রাস্তায় রাস্তায় হাঁটি।'
অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে, এই ঠান্ডার মধ্যে এত রাতে হাঁটো কেন? তোমাদের কী সমস্যা?
আমাদের কী সমস্যা আমরা জানি না। হতে পারে এই সমস্যার নাম ভালোবাসা। হতে পারে স্রেফ পাগলামী। তবে সমস্যা একটা আছে সেটা বুঝি, তা না হলে, ভুতুড়ে ঠান্ডা শহরে মাঝরাতে হাহা হিহি করতে করতে দুইজন মানুষ কেন ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটবে?
শুভ জন্মদিন সেঁজুতি। আমার সাথে আজীবন হাঁটো। হাহা হিহি করতে করতে আমরা অনেক কঠিন পথ পার হয়ে যাব।
এই উছিলায় এই চমৎকার মেয়েটিকে আপনারাও শুভ জন্মদিন জানাতে পারেন, তার ফেসবুক নাই, তবে আপনাদের শুভকামনা পৌঁছে দেয়া হবে।
FB 3719 - कैलाश पर्वत की अद्भुत कल्पना, साधना प्रार्थना और उसका महत्व, अभी तक ना जाना गया है, और न जाना जायेगा , लेकिन उसकी आराधना पूर्ण होने की अभिलाषा, अब इस उम्र में असंभव सी
--বাজারে ঘুরছিলাম,
-হঠাৎ গণিত স্যারের সাথে দেখা
-স্যার :ফ্লেক্সিলোডের দোকানটা কোন দিকে একটু বলতে পারবা?
-আমি:অবশ্যই স্যার,এইতো ২৭৮° ডিগ্রি ঘুরে যান।তারপর ৩০ মিটার -হাটুন।উৎপন্ন কোণ কে পিথাগোরাস এর সূত্রে ফেলে বর্ধিত করুন। -tan থিটার আসন্ন মানের অনুপাতে যে রাস্তাকে ছেদ করেছে তাকে -সমদ্বিখন্ডিত করে ৫০ মিটার হাটুন।
-সেখানেই দোকান।
-উফ কি যে শান্তি লাগতেছে🤣
শুভশ্রীতনু পাল
মানুষের আসল সৌন্দর্য কিসে?
যেসব আপুরা ফটোল্যাব দিয়ে ছবি এডিট করছেন তারা একটু সতর্ক হোন। কারণ, ফটোল্যাব দিয়ে যখন কোনো ছবি এডিট করা হয় তখন অবশ্যই নেট অন করে করতে হয়। ঠিক তখনই ওদের সার্ভারে আপনার সেই ছবিটি আপলোড হয়ে যায় এবং সেখান থেকে চাইলেই ওরা আপনার ছবি দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলতে পারবে। কারণ, আপনি নিজের অজান্তেই ওদেরকে ডেটা চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
এ্যাপ ডাউনলোড করার পর ওরা আপনার কাছ থেকে এক্সেস চায়। নেক্সট অপশনে চেপে আপনি এ্যাপে ঢুকতে সক্ষম হন আর সাথে সাথে ওদেরকে ডেটা চুরি করার সুযোগও করে দেন। যেখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ইনফরমেশন চুরি হয়ে যাচ্ছে সেখানে এগুলো তো সামান্য ব্যাপার। অথচ আপনি এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছেনই না। ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে নিজের ছবি চুরি হতে দিচ্ছেন। যেকোনো সময় এই ছবি দিয়ে আপনার যেকোনো ক্ষ তি করে দিতে ওদের দুই মিনিট সময় লাগবে না।
সব ট্রেন্ডে এটেন্ড করা জরুরি নয়। একটু সতর্ক হোন।
শুভশ্রীতনু পাল
ছবিটার চাইতে বড় সত্য আর কিছু আছে?
বাংলাদেশের প্রতিটা হিন্দু সর্বদাই ছবিটার মত পরিস্থিতির মুখোমুখি।
বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদের একটা হাত হিন্দুদের পায়ে রাখে, আরেকটা হাত গলায় রাখে। যখন যে হাতের প্রয়োজন, তখন সেই হাতের ব্যাবহার করে।
পুজো আসছে, ইতিমধ্যেই হিন্দুদের উপর মুসলমানরা তাদের ইস্লামিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভেঙে।
তারপর শুরু হচ্ছে নির্বাচন এর হাওয়া। ২০০১-২০০৬ সালে হিন্দুদের উপর বিএনপি জামাত কি ভয়ানক অত্যাচার করেছিলো তা আমরা সবাই জানি। আর এটাকে মনে করিয়ে দেওয়ার ঈমানী কাজটা করে আওয়ামিলীগ।
দিন শেষে ওরা সবাই মুসলমান। কি আওয়ামিলীগ, আর কি বিএনপি-জামাত। সবাই মিলেমিশেই হিন্দুদের ঘৃণা করে, এই দেশ থেকে "ভুমিপুত্র হিন্দুদের" সরকারি পরিকল্পিনায় বিতারিত করে। এইসব বিষয়ে সারা বিশ্ব তেমন কোন উচ্চবাচ্য করে না বা কোন পদক্ষেপও নেই না।
তবে ইদানিং শুনলাম, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের উপর ভিত্তি করে এক সেনশন প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে! যদি তাই হয় তাহলে বাংলাদেশের ৮০% মুসলমান হিন্দুবিরোধীই শুধু নয়, হিন্দু নির্যাতনে সরাসরি ভুমিকা রাখে। তার প্রধান কারণ.... ধর্মীয়, সামজিক, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যাবস্থা। গত ৫২ বছরে শুধু সাম্প্রদায়িকই হয়েছে।
খেলাধুলা থেকে শুরু করে প্রফেশানাল লাইফ...... কোথায় নাই হিন্দুদের উপর মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন??
অবশেষে তাদের গত ১ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস বিয়ে আজ পরিপূর্ণ হলো!🙂❤️
ছবিঃ মুনজিরিন ও আয়মান সাদিক
[ সংসারী ছেলে মা কে ডেকে বলছে ]
--- মা একটা কথা বলি?আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
--- তুই চাইলে আমি কি না করতে পারি? বল তোর সব কথা আমি রাখবো।
--- "তোমার বৌমা বলছিলো...তোমার তো বয়স হয়েছে।এখন তো তোমার শরীরের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।আর এই বাড়িটা তো খুব একটা ভালো না।ছোট ঘুপচি.......!!তোমার কাশিটাও বেড়ে গেছে।আরো তো ডায়াবেটিস আছেই, হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা আরো কতো কি!"
--- "হ্যাঁ রে... মনে হয় আর বেশিদিন....!
--- " আহ... থামো তো মা।তোমার সব সময় দেখা শোনার জন্য কাউকে রাখতে হবে।
আচ্ছা আমাকে তাহলে গ্রামের বাড়িতে...।
--- না না ওই যে বৃদ্ধাশ্রমের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে ভর্তি করালে কেমন হয়?এটাই বলছিলো তোমার বৌমা।ওখানে অনেকে থাকবে তোমার মতোই।তাদের সাথে গল্প করতে পারবে আর এ বাড়ীতে তো কেউই নাই, আমি ব্যাবসায় দৌড়াচ্ছি,তোমার বৌমা অফিসে আর মিঠু তো সারাদিনই স্কুলে।ওখানে তুমি আরামেই থাকবে মা।মা এটাই আমার.... মানে আমাদের অনুরোধ ছিলো।"
--- "আচ্ছা তুই চাইলে তাই হবে"।
--- "থ্যাংকস মা......।
--- আচ্ছা কালকে বিকেলেই কিন্তু তাহলে ওখানে যাচ্ছো। তোমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখবে।"
পরের দিন,
অস্বস্তিকরজ্যামে আটকে আছে মা-ছেলে।নীরবতা ভাঙলেন মা.......!
--- "বাবা ওখানে আমাকে দেখতে যাবি তো ?পারলে একটা ফোন কিনে দিস আমাকে..."?
--- " হা হা হা ...মা তুমি ফোন দিয়ে কি করবে ?আহা... ওখানে ফোন আছে তো......"।
কিছুক্ষন পরে একটা পাঁচতলা বাড়ীর সামনে এসে গাড়ি থামালো।
আবার বেশ কিছুক্ষন নিরব থেকে এবার ছেলে বলে উঠলো...।
--- "নামো মা..... এটাই তো ওই বৃদ্ধাশ্রম মা।দেখেছো!বলেছিলাম না তোমার পছন্দ হবে।
তোমার জন্য দোতালার দক্ষিনের ঘরটা বুকিং করে রেখেছি।"
টিং ডং টিং ডং(দরজা খুললো)
"হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ ! !
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ 'মা' ! ! !"
'
'
'
দরজা খুলতেই চমকে গেলেন মা।আরে ওই তো তার একমাত্র নাতি আর বৌমা বিশাল একটা কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এতো বেলুন আগে কখনো দেখেননি।এতো আয়োজন করে কখনো কেউ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানায় নি।আরে ওই তো তার দুই মেয়ে আর তাদের জামাই দাঁড়িয়ে।ওদেরও ডেকে এনেছে তার পাগল ছেলেটা।
" হ্যাপি বার্থ ডে মা"
মাঃ "তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস (কান্নাভেজা কন্ঠে)
কিন্তু এটা কার ঘর?"
--- " বাড়ির ফলকে নাম দেখোনি!বাবার নামে রেখেছি।মা পুরো বাড়িটাই আমাদের।এবার তুমি আরামে থাকতে পারবে মা।
--- "তুই না ! !এমন কি কেউ করে?(কান্না ভেজা চোখে জোরে জোরে মাথা নাড়ছেন।
আনন্দে কথা বলতে পারছেন না)
পার্টি শেষে ঘুমাতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে মায়ের ডাক।হাতের ব্যাগটা আঁতিপাঁতি খুঁজে একটা কৌটা বের করে ছেলের হাতে ধরিয়ে দিলেন।
--- " নে এটার আর দরকার হবে না।(ইঁদুরের বিষ)
চিন্তা করেছিলাম যদি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসিস তাহলে সেদিনই খেয়ে নেবো।"
--- "ধুর মা কি যে বলো !এটায় তো সেসব আমি কাল রাতেই পাল্টে তোমার ক্যালসিয়ামের ওষুধ ভরে রেখেছি।তুমি ঘুমাও।"
মার আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই।আর কিছু না হোক তার ছেলেকে অন্তত মানুষ করতে পেরেছে সে।যাক আজকের ঘুমটা সত্যিই আরামের হবে,ঘুমের ঔষুধ খেতে হবে না ।।
---------সমাপ্ত (অণুগল্প)--------
বাবা_মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম নয়,,,
নিজের কলিজায় জায়গা দিয়ে রাখো।।😊
(সংগ্রহীত)
(ভালো লাগলে এরকম সুন্দর সুন্দর গল্প পেতে অবশ্যই পেইজটি ফলো করবেন। ধন্যবাদ)
Click here to claim your Sponsored Listing.
MGH MUNNA
শুধুমাত্র বিনোদন দেওয়ায় এই পেজের কাজ
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Address
Kulaura Moulvibazar
Kulaura
3251
Kulaura, Shylet
Kulaura, 3230
papa ka raja mammi ki ladla vaiyo ka shan beheno ki jan kuch khas nahin bas yehi hai meri pehechan 💥
Kulaura
Assalamu Alaikum I'm Hafiz Maulana Anamur Rhaman I'm working oh as or shairman of " Dawat - e Imahi Bangladesh
Kulaura
Kulaura, 3230
Welcome to my page. On this page I will share with you my videos, travel videos, lifestyle videos etc