Shourov Squad

মহারাজ আপনার মেয়েকে সাপে দংশন করেছে, আমি চুষে দিয়েছি।।

- নাগরাজ ইলিয়াস কাঞ্চন

গল্প:- #অদ্ভুত_শাস্তি (পর্ব ৩)
লেখক:- র.র 🎭

এই লাশ তো ৪ বছর ধরেই এখানে। তবে ১ ঘন্টা আগে কিভাবে কল দিলো। ভাবতে ভাবতে হটাৎ সামিয়া রিয়াজের হাত ঝাপটে ধরে। রিয়াজ পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখে সামিয়া বড় বড় চোখ করে রিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে।

রিয়াজ ভয় পেয়ে পিছনে লাফ দেয়। লাশ সহ রিয়াজের সাথে ফ্লোরে পড়ে যায়। এক অদ্ভুত ঘটনা। লাশ এখনো রিয়াজের হাত ধরে আছে। অনেক শক্ত করে ধরে আছে হাত। রিয়াজ ফ্লোরে পড়ে পিছু ছুটতে থাকে । লাশটাও ছেচকি খেতে খেতে রিয়াজের সাথে যাচ্ছে। অবশেষে রিয়াজ লাশের হাতে প্রচুর শক্তি দিয়ে লাথি মারে। আর সঙ্গে সঙ্গেই লাশ রিয়াজের হাত ছেড়ে দেয়। রিয়াজ দৌড়ে লাশঘর থেকে বের হয়ে যায়। রিয়াজকে এমন হয়রান হতে দেখে ডক্টর ইয়াসিন রিয়াজের কাছে দৌড়ে আসে। রিয়াজ প্রচন্ড ঘাবড়ে আছে। ডক্টর সাহেবকে রিয়াজ বললো,
- ডক্টর সাহেব, লাশঘরে কোন ঝামেলা আছে। আপনি জলদি আমার সঙ্গে চলুন।
- কি ঝামেলা হয়েছে, আমাকে খুলে বলুন।
- আপনি আগে চলুন তো।
কথাটা রিয়াজ অনেক রেগে গিয়ে বললেন। ডক্টর সাহেব ভয় পেয়ে যান রিয়াজের কথা শুনে । রিয়াজের ধমকের সাথে ডক্টর সাহেব নিজেও, লাশ ঘরের দিকে ছুটে যেতে লাগলেন। তাদের সঙ্গে হসপিটালের আরো কয়েকজন নার্সও দৌড়ে আসে।রিয়াজ সহ ডক্টর সাহেব সাথে নার্সরা লাশঘরে এসে উপস্থিত হয়। ভিতরে প্রবেশ করতেই রিয়াজ থমকে যায়। এতক্ষণ ঘামে মাখামাখি করছিলো রিয়াজ। এইবার ঘামের প্রভাবে যেনো গোসল সেরে ফেললো। ডক্টর সাহেব রিয়াজকে জিজ্ঞেস করলেন," কই,কি হয়েছে এখানে?"। রিয়াজ কোনো উত্তর দিতে পারেনি। দিতেও ব্যর্থ হয়। কারণ সামিয়ার লাশ ফ্লোরে নেই। লাশ আগের মতোই সিটে শুয়ে আছে। উপরে আগের মতো সাদা কাঁপন পেছানো। রিয়াজ আরো ডিপ্রেশনে চলে যায়। এই মাত্র লাশটি রিয়াজের হাত ধরেছিলো। তার সাথে গড়াগড়ি করে ফ্লোরে নেমেছে। প্রায় দরজার কাছাকাছি এসে গিয়েছিলো। তাহলে আবার সব ঠিকঠাক হলো কিভাবে। ডক্টরকে আর কিছু না বলেই রিয়াজ লাশঘর ত্যাগ করে। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। প্রকাশ করা মানে নিজেকে পাগল নামে উপাধি দেওয়া। যা রিয়াজ মোটেও করতে যাচ্ছে না। হসপিটাল থেকে বের হয়ে রিয়াজ সোজা গাড়িতে বসে। কি হলো এইটা। এতো বড় অসম্ভব একটা কুকর্মা ঘটে গেলো। যার উত্তরের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। আবার এক দিক থেকে উত্তর পাওয়া যায়। যে লাশ, অর্থাৎ ৪ বছরের পুরনো লাশ যদি নিজের চোখ মেলতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি একটা জীবন্ত মানুষের হাত ধরতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি এক ঘন্টা কল দিতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি জীবিত হতে পারে। তবে শুয়া থেকে উঠে সিটে কেনো যেতে পারবেনা। এখন সিটে যাওয়ার উত্তরটা নাহয় বের হলো। কিন্তু বাকি প্রশ্নের উত্তর? তা কোথায় পাবে। যদিও সাথে আরো হাজারো প্রশ্ন বাকির লিষ্টে আছে। যেমন এই লাশের সাথে ফাতেমার সম্পর্ক কি। আর কে এই সামিয়া। এতো বছর পর কেনো কান্ড শুরু করে দিলো। কেনো সে ফিরে এলো। তার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করলো। তার সাথেও কি কোনো সম্পর্ক আছে? থাকলেও সেটা কি? রিয়াজকে কেনো এই মামলায় জড়িত হতে হলো? কত গুলো প্রশ্ন জমা হলো। সিম্পল ধর্ষণের একটা মামলা থেকে ৪ বছর পিছিয়ে গেলো। কি হয়েছিলো ৪ বছর আগে? রহস্য! রহস্যের উত্তর খোজাটাও একটা রহস্য হয়ে যাচ্ছে। যত এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াজ,ততই কঠিন হচ্ছে সব কিছু।এর শেষ কোথায়..?

ভাবতে ভাবতে রিয়াজ গাড়ি স্টার্ট করে। এখন সে কি করবে,তার কূল কিনারা কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। যাই করতে যায়,তাতেই রহস্যের জাল ঝাপটে আসে। একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে।
রিয়াজ ফিরতে যাচ্ছে বাড়িতে। যাওয়ার কথা থানায়। কলের রহস্য বের করতে গিয়ে অকাল মৃত্যুর ইঙ্গিত। ভাবনার মাঝে হটাৎ রিয়াজের চোখ আটকে যায় রাস্তার পাশে।সাথে সাথেই কষিয়ে ব্রেক করে রিয়াজ। রিয়াজ এখন নির্জন একটি পথে। শহর থেকে তার বাসায় যেতে যে দুরুত্ব, তার মাঝে এই নির্জন এলাকা। দুই পাশে ইয়া বড় বড় গাছ। জঙ্গলের মতো হয়ে আছে সব কিছু। গাড়ির লাইটের আলোয় রিয়াজ দেখতে পায়,রাস্তার পাশে গাছের সাথে কিছু একটা ঝুলে আছে। এমতাবস্থায় যদি কিছু থাকে,অবশ্যই কোনো ভূত প্রেত হবে। হয়তো কোনো লাশ ঝুলে আছে। রিয়াজ এমনি ভেবে নিয়েছে। কারণ আজকাল নাকি এরকম ঘটনা প্রায় ঘটে। রিয়াজ গাড়ি থেকে নামতে মোটেও রাজি নন। এইটা হয়তো অশরীরীর কোনো প্লেন। রিয়াজ গাড়ি থেকে নামলেই হয়তো দেখবে তার উপর এট্যাক করেছে সে। রিয়াজ আবার গাড়ি স্টার্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি চোখ যায় লুকিং গ্লাসের দিকে। রিয়াজ পিছনের সিটে সামিয়া বসে আছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা রিয়াজ। সামিয়া ৪ বছর আগে মারা গেছে। এখন ৪ বছর পর ওর পিছু কেনো নিলো। ভয় পেয়ে রিয়াজ দরজা খোলেই দৌড় দিতে লাগলো। আর তখনি খেয়াল করে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা সেই বস্তুর উপর। যেমন ভেবেছিলো,একটা লাশ ঝুলে আছে। গলায় দড়ি। অর্থাৎ ফাসি দেয়া লাশ। কিন্তু এইটুকুর মধ্যে থাকলেও হতো। রিয়াজ আরো বেশি অবাক হয়।কারণ ওটা রিয়াজের নিজের লাশ। হতভম্ভ হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। সামনে যদি রিয়াজের লাশ ঝুলে থাকে,তবে সে কে? এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো রিয়াজ মৃত। এখন ওর আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সামনেই ওর দেহ ঝুলে আছে।অন্য কিছু ভাবার আগেই রিয়াজ আবার দেখে,লাশটা নড়াচড়া করতেছে। হাত পা ধীরে ধীরে নড়ছে। ভয় পেয়ে রিয়াজ আবার নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসে। কিন্তু এইবার পিছনের সিটে সামিয়াকে দেখতে পায়নি রিয়াজ। সাহস করে আবার গাড়িতে উঠে রিয়াজ। আর দ্রুত স্টার্ট দিয়ে পালাতে লাগলো।ছুটতে লাগলো নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

বাসায় এসে রিয়াজ নিজের রুমে চলে যায়। রিয়াজের রুমে তার আম্মু, টেবিলে খাবার রেডি করে রেখেছে। রিয়াজ খাবারে মন দিতে পারেনি। কি সব হলো ওর সাথে। এতো অলৌকিক ঘটনা ঘটে কখনো? আসলেই এমন হয়? ভূত প্রের বিশ্বাস করেনা রিয়াজ। এইগুলা শুধুমাত্র গল্পে পড়েছে শুনেছে। এখন নিজের চোখেই দেখলো সব কিছু। নিজেকে মানতে পারেনা রিয়াজ। একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর হয়ে ভূত নিয়ে ভাবতে হচ্ছে? অদ্ভুত পরিস্থিতি, সাথে ঘটনা।
ভাবতে ভাবতে রিয়াজ বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। নিশ্চুপ হয়ে সেই কালো মায়ার মাঝে হারায়। সামিয়া রিয়াজের পিছু কেনো নিলো। ফাতেমার কেস থেকে এই কেসে কোন সংযুক্ত আছে? ৪ বছর পর এই সামিয়া হটাৎ কেনো জাগ্রত হলো? তাও এসেই রিয়াজের দিকে টার্গেট। এমন এক ঘটনা,যা কাওকে বললেই হেসে উড়িয়ে দিবে। না পারবে কাওকে বলতে,না পারছে সমাধান খুঁজতে। কারো হেল্প নিতে গেলে যদি ওর চাকরীটাও যায়?

তখনি কারেন্ট চলে যায়। হুট করেই লাইট অফ। রিয়াজ বারান্দায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে। আবার নতুন কিছু হতে যাচ্ছে নাকি। রিয়াজ কান খাড়া করে চারপাশের হাব বুঝার ট্রাই করে । তখনি কানে এলো দরজা খটখট করার শব্দ। নিশ্চয় সামিয়া আবার এসেছে। কোমর থেকে পিস্তল বের করে রিয়াজ এইবার প্রস্তুতি নেয়। ভূতকে গুলি করবে। বাচলে বাচবে,নয়তো মরবে। রিয়াজ বারান্দা থেকে সোজা রুমের দরজার সামনে আসে। অন্ধকারে স্পষ্ট রুম বুঝা যায়না। রিয়াজ শুধু দেখে যাচ্ছে কালো ছায়ার মত কেও রুমে দাড়িয়ে আছে। আর কিছু ভাবেনি রিয়াজ। সোজা গুলি মারতে লাগলো। তখনি রিয়াজের মনে পড়লো,কারেন্ট যাওয়ায় ওর আম্মু চলে আসেনি তো?

চলবে....?

[ কে,কে এই সামিয়া। কি তার পরিচয়। ৪ বছর পর ফিরে এলো কেনো? এসে রিয়াজকে ধরেছে কেনো? ফাতেমার খুনিকে বের করতে গিয়ে,সে খুন হবে নাতো? আর গুলি করলো কাকে রিয়াজ?

(গল্পের টুইস্ট ধরে রাখতে লেখক এবং গল্পের আসল নাম হাইড রাখা হলো, শেষ পর্বে সকল তথ্য দেওয়া হবে)
পরের পর্ব পেতে একাধিক কমেন্ট করুন__________

গল্প:- #অদ্ভুদ_শাস্তি ( পর্ব-২)
লেখক:- র.র 🎭

রোকনের মা তখনি জ্ঞান হারায়। রিয়াজ বমি করতে গিয়েও থেমে যায়। এইটা কিভাবে হলো? আসামী খুঁজতে এসে আসামীর খুনিকে খোজার পথ বের হয়ে এলো। ধর্ষণ যদি রোকন করে থাকে,তবে তাকে কে মারলো? এতক্ষণ সব ঠিকঠাক ছিলো। এখন বিশাল বড় রহস্যের কারণ কি হতে পারে?

রিয়াজ ফিরে এলো বাসায়। বাসায় আসার পরই রিয়াজের মা জিজ্ঞেস করলো,
- আজ এতো অস্থিরতায় দেখা যাচ্ছে কেনো?
- আর বলোনা মা। অনেক ডিপ্রেশনে আছি। যাইহোক, আমি সামলে নিবো। খাবারের কি কি আছে।
- আলু ভর্তা আর ডাল।
- আম্মু, ভালো খাবার থাকতে প্রতিদিন এসব কি রান্না করো তুমি? ফ্রিজে মাংস তো আছে তাইনা?
- পরশু বাসায় মেহমান আসবে। তোর জন্য মেয়ে দেখছি আমি। এখন এসব রান্না না করে সেদিন রান্না করি। তাহলে তো আর আউট টাকা খরচ হবেনা।
- তুমি একজন ইন্সপেক্টরের মা। এতো হিসেব করলে হয় বলো?
- যেখানে ভর্তা দিয়ে আমাদের চলে যাবে,সেখানে মাংস রান্না করে টাকা উড়ানোর মানে হয়?
- হা হা হা,তুমিও না? এইজন্য বাবা তোমাকে বকা দিতো ভালো ভাবে।
- তাই তো এখন কেও নেই। উনি সব উজাড় করে দিতো। দেখ, তোর বাবার মৃত্যুর পর কেও এখন আমাদের খবরটাও নেয়না। সবাই স্বার্থের পূজারি।
- আচ্ছা ওয়েট,তুমি কি বললে একটু আগে? ভর্তা দিয়ে চললে,মাংস কেনো রান্না করবা। অর্থাৎ কাজ একই,চালাচ্ছো দুইভাবে।যেভাবে লাভ হয় আরকি।
- এইতো,তোর মগজে ঢুকেছে।
- ইয়েস,আম্মু তুমি তো আমার ডিপ্রেশন দূর করে দিলে।
- অমা,সেটা কিভাবে।
- পরে জানাচ্ছি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি।ডাল আর ভর্তা রেডি করো।

রিয়াজ চলে আসে নিজের রুমে। ভাবতে লাগলো, রোকনের খুনি কে হতে পারে। রোকন নিশ্চয় কাজটা একা করেনি। অর্থাৎ রোকনের সাথে আরো কয়েকজন আছেই।ফাতেমার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসেনি এখনো। এতক্ষণে আসার কথা। কিন্তু ওর বডি দেখে এইটুকু বুঝা যায়,ধর্ষণকারী আরো অনেকে।জড়িত আছে আরো অপরাধী। তারা হয়তো রোকনকে খুন করে দিয়েছে। অর্থাৎ রোকনকে খুন করলে,তারা ধরা পড়বেনা।কারণ রোকনকে সন্দেহ আমরা করবো এইটা তারা আগেই জানতো। রোকন মৃত অর্থাৎ জিজ্ঞাসাবাদ করার কেও নেই। কিন্তু বাকিরা কারা। ওর বন্ধুরা তো রিয়াজের সাথেই ছিলো। তারাও খুনি না। তাহলে খুনি কে। এখন ফাতেমার খুনিকে বের করতে হলে রোকনের খুনিকে বের করা লাগবে। ডাল আর ভর্তার মতো, যেটায় লাভ সেটাই আমরা আগে দেখি। রোকনের মৃত্যুতে তারা বেচে যাবে,তাই রোকন খুন। ভালো ফান্দি খুঁজেছে ওরা।এইবার আমাকে খুঁজতে হবে।
রিয়াজ ফ্রেশ হয়ে নিছে আসে।খাবার খেতে বসে ওর আম্মুর সাথে। এর মধ্যেই রিয়াজের ফোন বেজে উঠে।রিসিভ করে রিয়াজ হ্যালো বলার পরই ওপাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে কেও বলল,
- আমি খুন হয়েছি।আমি প্রতিশোধ নিবো। তুই তোর জায়গায় অটল থাক। নয়তো ঝুঁকিতে পড়বি।
- মানে? কে আপনি?

কল কেটে যায়। রিয়াজ আবার সেই নাম্বারে কল দেয়। কিন্তু কল ঢুকেনা। খাবার টেবিল থেকে উঠে রিয়াজ তার আম্মুকে বলল,
- আমি থানায় যাচ্ছি একটু। তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
- আরেহ,খাবারটা তো শেষ করে যা।আর এতো রাতে কিসের কাজ পড়লো তোর।
- পরে বলি? আর খাবার ঢেকে রাখো।এসে খেয়ে নিবো।
বলেই রিয়াজ বাসা থেকে বের হলো। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ছুটতে লাগলো থানার দিকে। ড্রাইভিং অবস্থায় কল দেয় সাইবার-৭১ এ। ওখানের ইয়াসিন আরাফাত কল রিসিভ করে বললেন?
- জ্বী স্যার। বলুন কিভাবে সাহায্য করতে পারি।
- আমি আপনাকে একটা নাম্বার এস এম এস করেছি। দ্রুত এই নাম্বারের লোকেশন সহ সকল ইনফরমেশন চাই। এক্ষুনি।
- জ্বী স্যার,আমি জানাচ্ছি আপনাকে।
কল কেটে রিয়াজ হসপিটাল কল দেয়। ডক্টর কল রিসিভ করতেই রিয়াজ বলল,
- ফাতেমা নামক মেয়েটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনো আসেনি কেনো। এতো সময় তো লাগার কথা নয়?
- সরি স্যার। আসলে লাশের এখনো পোস্টমর্টেম করা হয়নি।
- হোয়াট,আজ কতদিন হয়েছে লাশ পাঠানো হয়েছে। এখনো করা হয়নি কেনো?
- যেখানে লাশ খুঁজে পাচ্ছিনা আমরা। সেখানে পোস্টমর্টেম কিভাবে করবো।
- লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মানে? আপনাদের হেফাজতেই তো ছিলো।
-জ্বী স্যার,সব ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু পোস্টমর্টেম করার সময় দেখি, এইটা ফাতেমার লাশ নয়। অন্য একটি মেয়ের লাশ। যার পোস্টমর্টেম অনেক আগেই করা হয়েছে। আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই লাশ আরো ৪ বছর আগের লাশ। যার পরিচিত কেও এখনো লাশ নিতে আসেনি।
- আমি হসপিটাল আসতেছি। অপেক্ষা করুন।

রিয়াজ কল কেটে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রিয়াজ। কিছুক্ষণ পর হসপিটাল গিয়ে দেখে ডক্টরা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজ বলল," আমাকে মর্গে নিয়ে যান"। ডক্টররা রিয়াজকে মর্গে নিয়ে যায়। রিয়াজ মর্গে গিয়ে দেখে ফাতেমার লাশের জায়গায় অন্য একটি লাশ। এতো সিকিউরিটি থাকতেও লাশ কিভাবে চুরি হলো তা অজানা। সিসি টিভি ফুটেজেও নাকি কোনো তথ্য নেই। রিয়াজকে ডক্টর বলল,
- আমরা বুঝতে পারছিনা স্যার কিভাবে কি হলো। একটা লাশ কিভাবে হারিয়ে যেতে পারে। আর সেই জায়গায় এই অদ্ভুত লাশ কিভাবে গেলো।
- হসপিটাল ছেড়ে আপনারা সিকিউরিটি গার্ডে দাঁড়ান। কে বলেছে ডক্টর হতে,যেখানে লাশের হেফাজত করা হয়না।
- আমরা আসলেই সরি স্যার।
- এই লাশটা যেনো কার বললেন?
- সামিয়া নামের একটি মেয়ের। গত চারবছর ধরে এখানে আছে। ওর কোনো পরিচিত কোক আসেনি।
- হসপিটাল দিয়ে গিয়েছিলো কে?
- তাও এক পথচারী।
- তার কোনো পরিচয় নেই?
- না স্যার, উনি এসে এই বডি দেয়। আমরা চিকিৎসা করতে যাই। আর তখনি মেয়েটি মারা যায়। হসপিটাল আনতে দেরি করেছিলো। আমরা বের হয়ে দেখি,লোকটা নেই।
- আপনারা আসলেই সিকিউরিটি গার্ডে জব করা উচিৎ। প্রতিটা পদেই ভুল।
- সরি স্যার।
- সরুন আমার চোখের সামনে থেকে। একা থাকতে দিন।
- স্যার, লাশঘরে থাকবেন নাকি।
- হ্যা, আপনারা পারলেন না,অন্তত আমি লাশ পাহারা দেই? যান সবাই।
প্রচণ্ড রেগে যায় রিয়াজ। রিয়াজের ধমকে সবাই বের হয়ে গেলো। ফাতেমার লাশ গায়েব হবে কিভাবে। আর একই জায়গায় এই সামিয়ার লাশ এসেছে কিভাবে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না ফেলে ফাতেমার খুনিকে বের করবে কিভাবে। রোকনও খুন। আর তো কোনো ক্লু নেই। চিন্তিত হয়ে যায় রিয়াজ। এর মধ্যে রিয়াজের ফোনে রিং বেজে উঠে। রিসিভ করতেই সাইবার-৭১ থেকে ইয়াসিন আরাফাত বললেন,
- স্যার,আপনার দেওয়া নাম্বারটি গত চার বছর থেকে বন্ধ। এই নাম্বারের কোনো সিম নেই একটিভ।
- মানে? ১ ঘন্টা আগেই কল দিয়েছিলো আমাকে। এই নাম্বার থেকেই।
- না স্যার। ৪ বছর এইটা অফ।
- ইউজার কারীর নাম কি।
- তার নাম সামিয়া। গত ৪ বছর থেকে সিম বন্ধ করে রেখেছে।

রিয়াজ এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। ফোনটা হাত থেকে ফেলে দেয়। সামিয়া বলতে এই লাশের কথা বলছে নাতো? এই লাশ তো ৪ বছর ধরেই এখানে। তবে ১ ঘন্টা আগে কিভাবে কল দিলো। ভাবতে ভাবতে হটাৎ সামিয়া রিয়াজের হাত ঝাপটে ধরে। রিয়াজ পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখে সামিয়া বড় বড় চোখ করে রিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে।

চলবে....?

কোথাও সামিয়ার সাথে এই ঝামেলার কোনো সূত্রপাত নেই তো? ফাতেমার লাশ গায়েব,রোকন খুন,খুনি কে তা অজানা। এর উপর এই ৪ বছর আগের লাশ। তাও ১ ঘন্টা আগের কল। যে সিম ৪ বছর ধরেই বন্ধ,সে সিম থেকে কিভাবে কল আসে। কি হচ্ছে এসব? কি মনে হচ্ছে?

পিন: (গল্পের টুইস্ট ধরে রাখতে লেখক এবং গল্পের আসল নাম হাইড রাখা হলো, শেষ পর্বে সকল তথ্য দেওয়া হবে) পূর্বের পর্ব গুলোর পোস্ট লিংক এই পেস্টের প্রথম কমেন্টে দেওয়া আছে!

পরের পর্ব পেতে একাধিক কমেন্ট করুন__________

গল্প:- #অদ্ভুত_শাস্তি (পর্ব ১)
লেখক:- র.র

আমাকে ধর্ষণ করে যখন ওরা রামপুরা ব্রিজের নিছে ফেলে যায়। তখন মনে হয়েছিলো মৃত্যুর মুখে চলে এসেছি আমি। আমার যৌনাঙ্গ প্রচণ্ড ব্যাথা করছিলো। ওরা ৩ জন ছিলো। আমি চিৎকার দিয়ে ডাকছিলাম সবাইকে। রাস্তায় অনবরত বাস ট্রাকের শব্দে হারিয়ে গিয়েছিলো আমার চিৎকার। কেও শুনেনি। পশুর মতো ওরা ঝাপটে পড়েছিলো আমার উপর। রক্তাক্ত দেহ নিয়ে শুয়ে আছি। ঘুম পাচ্ছে। প্রচণ্ড ঘুম। শেষ ঘুম হয়তো। কারণ ওরা ধর্ষণ শেষে আমার গলা কেটে দিয়েছে। ঝরঝর করে রক্ত প্রভাবিত হচ্ছে। চোখের পাতা আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে চোখের উপর ঢেকে যায়।

ফাতেমার শেষ মনের কথাগুলো এমন ছিলো। ভাবতে ভাবতে অতল ঘুমে হারিয়ে যায় সে। এদিকে সকাল বেলা টোকাই গ্রুপ ব্রিজের নিছে এসে ফাতেমার লাশ দেখতে পায়। পার্শ্বচরী লোকদের তৎক্ষণাৎ খবর দেয় তারা।লোকজনের ভিড় জমে যায়। ফাতেমার লাশের পাশে কয়েকটা কুকুর আর পোকামাকড় ঘুরছিলো। পাজামা অর্ধেক নামানো। বোরখা পড়ে আছে পাশে। অর্ধ উলঙ্গ ফাতেমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন ফেসবুক লাইভ আর ছবি তোলায় ব্যস্ত। টিভির পর্দায় ফাতেমার লাশ অতিবাহন হচ্ছে। ফাতেমার মা বাবা নিজেদের মেয়েকে সারারাত খুঁজে পায়নি। কিন্তু সকালে এইভাবে টিভির পর্দায় পাবে। তা তাদের কল্পনায় ছিলোনা। যে ৩ জন ধর্ষণ করেছে। তারা টিভির সামনে বসে আনন্দে মেতেছে। তাদের কথোপকথন।

- দেখ দেখ দেখ বন্ধু। এই খানক** বেশি বলেছিলো। প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে না দিলে এই হাল কি হতো?
- হতোনা বললেও ভুল। তিন বন্ধু মিলে রাজি হবার পরেও ধর্ষণ করতাম। তবে মরতে হতোনা হয়তো। দেমাগ দেখিয়েছিলো। রুপের বড়াই করুক এইবার পোকামাকড়ের সামনে।হা হা হা

এইভাবে খুশিতে মেতে যাচ্ছে তারা। অন্য দিকে ফাতেমার লাশ পুলিশ এসে নিয়ে যায়। পোস্টমর্টেম করার জন্য লাশ পাঠানো হয় লাশঘরে। ফাতেমার শরীর কাটা হবে। পরিক্ষা নিরীক্ষা করে রিপোর্ট বের হবে। হয়তো কোনো ক্লু পাবে। কিডনি সহ নানান দামী অঙ্গ বের করে নিবে তারা। বিক্রি হবে ভালো দামে।

ফাতেমার বাবা-মা পুলিশের কাছে রিপোর্ট লিখতে যায়। ইন্সপেক্টর রিয়াজ সাহেব কেস হাতে নেয়। ফাতেমার বাবাকে ইন্সপেক্টর রিয়াজ প্রশ্ন করে।
- আপনাদের কি মনে হয়। মেয়ের সাথে কারো রিলেশন ছিলো? সে কি প্রেম করতো?
- না সাহেব। আমার মেয়ে পড়াশুনা ছাড়া কিছু বুঝতো না। খাবার টেবিলেও সে পড়াশুনা নিয়ে ভেবে যেতো। বড্ড সাদাসিধে ছিলো আমার মেয়ে।দয়া করে ধর্ষণ কারীদের খুঁজে শাস্তি দিন স্যার। আমার মেয়ের মতো আর ১০ টা মেয়ের এই অবস্থা যেনো না হয়। কঠিন ও কঠোর শাস্তি দিন স্যার।
বলেই ফাতেমার বাবা কান্না করে দেয়। ইন্সপেক্টর রিয়াজ উনাকে বলল,
- কান্না করলে আপনার মেয়েকে ফিরে পাবেন না। আপনি আমাকে বলুন ওর কোনো শত্রু ছিলো?
ফাতেমার বাবা চোখ মুছে আবার বললেন,
- না স্যার। আমার মেয়ের শত্রু ত দূরে থাকুক,কোনো বন্ধুও ছিলোনা। শুধু একটা মেয়ে ছিলো জেরিন নামের। সে আমার মেয়েকে প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময় নিয়ে যেতো। একই কলেজে পড়তে দুজন।
- হুম। এমন কেও ছিলো? যে আপনার মেয়েকে বিরক্ত অর্থাৎ ইভ টিজিং করতো?
- ওরকম জানিনা স্যার। আমার মেয়ে কখনো এসব ব্যাপারে কিছু বলেনি। তবে ধর্ষণ হওয়ার ৪ দিন আগে থেকে তাকে চিন্তিত দেখা যেতো।
- কি নিয়ে। পড়াশুনা নিয়ে?
- পড়াশুনা নিয়ে যেমন চিন্তা করতো,তার চেয়েও বেশি চিন্তিত ছিলো। আমি ভেবেছিলাম পড়াশুনার জন্যেই চিন্তিত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে অন্য কোনো কারণ ছিলো।
- আচ্ছা। আপনার কাওকে সন্দেহ হয়?
- আমার মেয়ে পর্দাশীল ছিলো স্যার। জানামতে কেও তাকে বিরক্ত করতো না। কাকে সন্দেহ করবো বলুন স্যার।
- কেও নেই?
- না,তবে ওর বন্ধু জেরিনকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো কোনো ক্লু পাবেন স্যার।
- ঠিক আছে। আপনারা যান। দরকার হলে আমি আপনাদের বাসায় যাবো।
- ঠিক আছে স্যার। তবে স্যার,যারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে,তাদের এমন শাস্তি দিবেন। যাতে পরবর্তী সময়ে একজন ধর্ষক ধর্ষণ করার আগে ১০ বার ভাবে।
- হুম। আপনারা নিশ্চিতে বাসায় যান।শাস্তি তারা পাবেই।

রিয়াজ অফিসে বসে ভাবছে। যে মেয়ে পর্দা করতো। শত্রু বিহীন জীবনযাপন করতো।তাকে কে রেপ করলো? রিয়াজ জেরিনের বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই। হয়তো তার থেকে কিছু জানা যাবে।
অফিস থেকে বের হয়ে রিয়াজ গাড়ি নেয়। যাওয়ার সময় একটা ধমকা আবহাওয়া বয়ে গেলো।এমন মনে হয়েছে তার। যেনো কঠিন কিছু হতে যাচ্ছে। তবে যাইহোক, ধর্ষণকারীকে ধরতেজ হবে।
রিয়াজ জেরিনের বাসায় যায়। জেরিনের বাবা রিয়াজকে বসিয়ে মেয়েকে পাঠায়। জেরিনের উপস্থিতি টের পেয়ে রিয়াজ বলল,
- ভয় পেয়ো না। আমি তোমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসিনি। তবে যা জিজ্ঞেস করবো তার সঠিক উত্তর দিবে।
- হ্যা স্যার। বলুন।
- ফাতেমাকে লাষ্ট ৪ দিন থেকে অস্থিরতায় দেখা গিয়েছে। রাস্তায় কেও হুমকি দিতো?
- স্যার,এই ব্যাপারে আমিও কিছু জানিনা। তবে সে বলেছিলো রোকন নামের কেও নাকি তাকে কি বলেছে। কি বলেছে তাও জানিনা। আমাকে বলেনি।
রিয়াজ ভ্রু-কুচকে জেরিনের দিকে তাকায়। মুখে রাগি ভাব এনে বলল,
- প্রথমত তুমি বলেছিলে কিছু জানোনা। এরপর বের হয়েছে রোকন। রোকন কিছু বলেছে সেটাও জানো,কিন্তু এইটা জানোনা আসলেই কি বলেছে। কথা বলায় ঠোট কাপা,পা কাপা,আর তোমার ঘাবড়ে যাওয়া ফেস দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কথা লুকাচ্ছো। জেলের ভাত তুমি খাবে,নাকি রোকন খাবে।
- না না স্যার, আমি সত্যিটা বলছি। ফাতেমাকে নাকি রোকন বিরক্ত করতো। প্রেমের প্রস্তাব দিতো। আমার কাছে ফাতেমা সব শেয়ার করতো। আবার রোকন বলেছে,যদি এসব কাওকে বলে,তাহলে জীবন নষ্ট করে দিবে। আমার তো মনে হয় রোকনই ফাতেমাকে রেপ করেছে।
- রোকনকে কোথায় পাবো এখন?
- হাতিরঝিলে। ওখানে বসে সে মেয়েদের ইভ টিজিং করে প্রতিদিন সন্ধ্যা।
- ওর কোনো ছবি আছে?
- হুম,আমার ফোনে আছে।
জেরিন রিয়াজকে রোকন ও তার দুই বন্ধুর ছবি দেখায়। রিয়াজ ছবি দেখে আবার বলল,
- ফাতেমার সাথে তোমার শেষ কবে দেখা হয়েছিলো?
- রেপ হওয়ার দিন বিকেলে। নতুন বোরকা কিনতে যাবে বলেছিলো। আমার তাড়া ছিলো সেদিন। তাই আমি চলে এসেছিলাম।
- হুম। থাকো তবে। আবার দরকার হলে আসবো আমি।

ইন্সপেক্টর রিয়াজ জেরিনদের বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে সোজা হাতিরঝিল আসে। ঘুরতে ঘুরতে রিয়াজ নোটিশ করে। এখানে ঘুরাঘুরির নামে নষ্টামো চলছে। একজন ছেলে আর একজন মেয়ে পাশাপাশি বসে রেষারেষি করছে। এইটুকুই ঠিক ছিলো। আরো সামনে গিয়ে দেখে মেয়ের কাধে ছেলের হাত। এইটুকুও ঠিক ছিলো। আরো সামনে গিয়ে দেখো ওপেন ছেলে-মেয়ে জড়িয়ে ধরে ঠোট মিলন করছে। হাজার হাজার পাবলিকের সামনে এসব। নোংরামির সীমা ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। আমেরিকার নিয়মেই চলছে বাংলাদেশে।এদের মা-বাবার অদৌ পরিচয় ঠিক আছে কিনা জানেনা সে। আর এমন না হবারই বা কি আছে। এদের মা-বাবাও এদের মতো নষ্টামি করে এসেছে হয়তো। আর এই কথাটা এদের সন্তানদের অন্যরা বলবে,যেটা রিয়াজ এখন ভাবছে। ডিজিটাল দেশ বানাতে গিয়ে নোংরা দেশে পরিণত করে ফেলেছে। এই দেশে ধর্ষণ হবেনা? এই দেশে নারীর নিরাপত্তা কে দিবে? কার দোষ কে দিবে? ছেলের? নাকি মেয়ের? যেখানে আমার দেশের জনগনই খারাপ,সেখানে সুশীল বিচার কে চাচ্ছে? যে বিচার চায়,সে কি সুশীল? নষ্ট বাংলাদেশ। রিয়াজ এক বুক ঘেন্না নিয়ে রোকনকে খুঁজতে লাগলো। কিছুদূর গিয়ে দেখে রোকনের দুই বন্ধু বসে আছে। রিয়াজ তাদের কাছে গিয়ে বলল,
-রোকন কোথায়?
হটাৎ এমন প্রশ্ন শুনে ওরা ঘাবড়ে যায়। পালানোর চেষ্টা করলে প্রমান ছাড়া জেলে যেতে হবে। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে ওরা সাহস করে বসে। আর ইন্সপেক্টর রিয়াজকে বলল,
- রোকন আমাদের বন্ধু ঠিকই।কিন্তু আমাদের সাথে মিশে না। খুবি কম মিশে আরকি।
- আমি প্রশ্ন করেছিলাম রোকন কোথায়।
- ও বাসায়। আজ আসবেনা বলল।
- ওয়েট ওয়েট,আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছি রোকন কোথায়। তোমরা এমন ভাব নিয়েছো,যেনো বলেছি রোকনের সাথে তোমাদের সম্পর্কের কথা জানতে চেয়েছি। হটাৎ তাকে দূরে সরিয়ে কি প্রমান করতে চাচ্ছো। তোমরা ওর সাথে অপরাধটা করোনি তাই তো?
- না,না স্যার। ও কিসের অপরাধ করেছে আবার। সেটাই তো বুঝতে পারিনি।
- চলো আমার সাথে।
- কোথায় স্যার।
- রোকনের বাসায়।

রোকনের বাসার কলিং বেল বেজে উঠে। রোকনের মা এসে দরজা খোলে। উনি দেখে রিয়াজ আর রোকনের দুই বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজ বলল,
- রোকন বাসায় আছে?
- হ্যা আছে। কিন্তু কি হয়েছে স্যার।
- ওর সাথে কিছু কথা ছিলো। কথা বলিয়ে দিতে পারবেন?
- হুম। ভিতরে আসুন।
রোকনের মা রিয়াজকে নিয়ে যায় রোকনের রুমের সামনে। এরপর রোকনের মা বলল,
- রোকন সেই দুপুর থেকে দরজা খোলছে না। খায়ও নি।আপনি দেখুন কি হয়েছে ওর।
- হুম।ডাক দিন।
- কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি। খুলছে না।
- ওয়েট।

রিয়াজ নিজেও কয়েকবার ডাকলো। দরজা পেটালো। কিন্তু রোকন দরজা খোলেনা। রিয়াজ অবশেষে উপায় না পেয়ে দরজা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়। রান্নাঘর থেকে লোহার একটা দণ্ড এনে দরজার লকে আঘাত করে। আর নিমিষেই দরজার লক খোলে যায়। রিয়াজ ভিতরে প্রবেশ করে এমন কিছু দেখবা,তা ভাবনাতেও ছিলোনা। রোকনের পা আলাদা। মাথা আলাদা। দুই হাত কেটে আলাদা আলাদা জায়গায় রেখে দিয়েছে। মাথাটা কেটে ফ্লোরে ফেলা হয়েছে। আর ওর কাটা হাতের মুঠোয় ওর লজ্জাস্থান কেটে রেখে দেওয়া। রোকনের মা তখনি জ্ঞান হারায়। রিয়াজ বমি করতে গিয়েও থেমে যায়। এইটা কিভাবে হলো? আসামী খুঁজতে এসে আসামীর খুনিকে খোজার পথ বের হয়ে এলো। ধর্ষণ যদি রোকন করে থাকে,তবে তাকে কে মারলো? এতক্ষণ সব ঠিকঠাক ছিলো। এখন বিশাল বড় রহস্যের কারণ কি হতে পারে?

চলবে....?

[ আপনার কাছে প্রশ্ন,
- রোকনের খুনি কে?
- রোকনই কি ধর্ষণকারী?
- আচ্ছা? এর মধ্যে জেরিন বা অন্য কারো হাত আছে?
- আসল খুনি রিয়াজ নাতো? আপনার কি মনে হয়?

(গল্পের টুইস্ট ধরে রাখতে লেখক এবং গল্পের আসল নাম হাইড রাখা হলো, শেষ পর্বে সকল তথ্য দেওয়া হবে)
পরের পর্ব পেতে একাধিক কমেন্ট করুন__________

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছোট্ট গুপ্তকে দেখে আমি ভাবতাম, বাহ! কি ভদ্র ছেলেটা!

কারণ সে কথা খুব কম বলতো। মাথা নিচু করে ছবি আঁকতো। কোনো হাওকাও ছিলো না।

একদিন দেখলাম, আমাদের কেয়ারটেকার গ্যারেজে নামাজ পড়ছে। এর একটু সামনে গুপ্ত সাইকেল চালাচ্ছিলো। হঠাৎ দেখলাম, গুপ্ত এক লাফে কোত্থেকে জানি একটা অ্যারোসলের বোতল বের করলো। তারপর নামাজে দাঁড়ানো কেয়ারটেকারের লুঙ্গির নিচে হাত ঢুকিয়ে স্প্রে করে এক দৌড়ে পালিয়ে গেলো। ঘটনার আকষ্মিকতায় আমি চোদনা হয়ে গেলাম।

পরে কেয়ারটেকার কইলো, ভাই, এই শাউয়ার নাতি প্রায়ই আমার লগে এমন করে।

সেদিন আমি বুঝেছিলাম, এই ছেলে একদিন অনেকবড় নষ্ট, চরিত্রহীন ও লম্পট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে। মেয়েদের দেহ ও মন নিয়ে কিছুদিন গোপনে খেলে টেলে ভেগে যাবে।

তাই ওকে অ্যাডমিন বানানোর সময় ওর নামকরণ হয়েছিলো – দ্যা অ্যাসাসিন ফাকার। বাংলায়, গুপ্তচোদক।

- মাকস

হুমায়ূন আহমদের কাজ ছিল মেয়েদের নামের শেষে বতী লাগানো। কি নাম হবে যদি আপনার নামের সাথে বতী যুক্ত করা হয়?

একটাও ছবি না তুলে গোটা একটা ঈদের দিন পার করে ফেললাম!🤧

Bf ke husband vabtacho boin
amio Afran Nisho ke Apurbo vabtam.🙂

ইন্টার পরীক্ষার দুই মাস আগে যখন হুশ আসলো, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার বন্ধু ফ্র্যাব তখন কইলো, আরে চিন্তা করিস না। আমি তোরে পড়ামু। তারপর শ্লায় এমন পড়ান পড়াইলো, ডাইরেক্ট ফেইল মারলাম। একদিকে শাউয়ারা সেকেন্ড ডিভিশন পাওয়ার আনন্দে বোতল খুলসে, আর আমি দিশাহারা হইয়া ভাবতেসি সস্তায় উন্নতমানের দড়ি কই পাওয়া যায়? তখন আমার সামনে দেবদূতের মতো উদয় হলেন প্রিয় বড় ভাই ডাঃ দুদুচাষী। উনি বললেন, ইয়াং ম্যান, আমিও ইন্টার ফেইল। জাল সার্টিফিকেট বানায় মেডিকেলে পড়তেসি। তোমারেও ব্যবস্থা করে দিতেসি। পয়সা ম্যানেজ করো।

বাসায় জানাইলাম ফার্স্ট ডিভিশন পাইসি। খুশিতে বাপে ১০০ কেজি মিষ্টি কিনা বিলাইতে দিলো। পনেরো কেজি বিলায়া বাকি মিষ্টি কেজিতে বিশ টাকা ডিসকাউন্টে আবার সেইম দোকানে বেইচা দিলাম। তারপর পোলাপান নিয়া রাত দেড়টার দিকে চাষাড়া থেইকা চুরি করলাম একটা বেবিটেক্সি। সেই টাকায় আমার সার্টিফিকেট হইলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইলাম।

আজও যখন মাঝে মাঝে মনেহয় যে ইন্টারের মতো ল্যাওড়া মার্কা পরীক্ষা জীবনে দ্বিতীয়বার দিতে হয়নাই, হুদা কামেই মনটা ভালো হয়া যায়। মনেহয় পৃথিবীটা খুব সুন্দর।

- সভাপতি

Science Arts Commerce

😂 😮 ❤️

মাঝেমধ্যে 'অদ্ভুত টাইপের ক্ষুদা' লাগে! কি জানি খাইতে ইচ্ছে করে! কিন্তু কি খাইতে ইচ্ছে করে ওইটা ই বুঝে উঠতে পারিনা! 😑

Jader ammu onk friendly Tara asolei onk lucky.♥

আমি মনে করি, নিজের হ্যাপিনেস, সুন্দর রিলেশনশিপ কিংবা গভীর রিলেশনশিপ, কোনোটাই মানুষকে দেখাতে নেই,

নিজের জীবনে হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া, একটু কম কম দেখাও, দেখালেও নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে দেখাও, প্রাইভেসি মেইনটেইন করে, কারন মানো আর নাই মানো সবাই কিন্তু তোমার ভালো চায় না!❤️🌸

মন খারাপ থাকলে কি করেন?🌸

এদেশের আবহাওয়া পড়ালেখার অনুপযুক্ত। এই গরমে যারা ক্লাস করে, তাদের এমনেই পাশ দিয়ে দেওয়া উচিত!

বেশী গরম লাগলে, রাস্তায় হুট করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ুন

দেখবেন আশেপাশের মানুষ দৌড়ে এসে আপনাকে বাতাস করছে, মুখে পানি ছিটাচ্ছে!!😌

পেট খারাপ করছিলো।
একটা হোটেলে গেলাম রাতের খাবার খাইতে। মাছ মাংস কিছুই খাইতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না। বয়কে বললাম, ভাত, ডাল আর আলু ভর্তা দিতে।
পাশের টেবিলে দেখি ৩ জন বসে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে। একজন আবার আমার বন্ধু শিহাবের মতো দেখতে। আমি আলু ভর্তা দিয়ে ভাত মেখে মুখে দিতে দিতে কয়েকবার শিহাবসদৃশ মানুষটার দিকে তাকাচ্ছিলাম।
একটুপর দেখলাম, এক বাটি গরুর মাংস দিয়ে গেলে বয়। বললো, ঐ টেবিল থেকে আপনার জন্য দিছে, টাকা ওনারা দেবে, আপনে পেট ভরে খান।
আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। অপমানিতবোধ করলাম না একটুও। মনে হলো, এখনও এই পৃথিবীর মানুষ কতো ভালো। এই নক্ষত্রভরা রাতে ৩ জন মানুষ চাচ্ছে, আরও একজন মানুষ তাদের মতো করে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাক।
আমি খাওয়া শেষ করে মোট ৪ জনের বিল দিয়ে চুপিচুপি চলে আসলাম। এই নক্ষত্রভরা রাতে ঐ ৩ জন মানুষও জানুক, ভালোবাসা ছোঁয়াছে।

- অমিতাভ বিন বকসি 🌸

প্রথম ঘুষ খাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে উঠেছিলো ২০০১ সালে।

এর আগে আমি শুধু আমার বস ও সিনিয়রদের ঘুষ নিতে দেখেছি। কিভাবে চাইতে হয়, আমি জানতাম না। ভেন্ডরদের এমনিতেই কাজ দিয়ে দিতাম। এক বছর পর্যবেক্ষণ করে একদিন বস আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তো জীবনে বড় হতে পারবা না। কমিশন নাও না কেনো?

আমি বললাম, লজ্জা লাগে।

উনি বিরক্ত হয়ে বললেন, লজ্জা লাগলে চাকরি ছেড়ে চলে যাও। সবার মাঝে একজন ঘুষ না নিলে একটা ইমব্যালেন্স তৈরি হয়। এটা ডিপার্টমেন্টের জন্য খারাপ। তুমি আজই নতুন ভেন্ডরকে কাজ দেওয়ার আগে ঘুষ চাইবা। নাইলে খবর আছে।

আমি বললাম, ঠিক আছে।

তারপর দুপুরে একজন ভেন্ডর আসলো। তাকে মোট ৪ লক্ষ টাকার জিনিস ডেলিভারি দিতে হবে। উনি সামনে বসে হাত কচলাচ্ছিলেন। আমি কিভাবে ঘুষ সম্পর্কিত আলোচনা শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে কিছুক্ষণ পর কাজটা তিনিই সহজ করে দিলেন। বললেন, বস, এতো বড় কাজ দিলেন, উপহার নিবেন না? কত দিবো?

এ কথা শোনার পর আমার মাথা ফাঁকা হয়ে গেলো। কত টাকা নেওয়া যায়? ভাবলাম ৫ হাজার টাকা বলি। কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না দেখে আমি তাকে হাতের পাঁচ আঙ্গুল দেখালাম।

উনি মুচকি হেসে আমাকে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন।

তারপর বাথরুমে গিয়ে সেটা খুলে দেখি, ৫ না, তিনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।

আমি সেদিন বুঝতে পারি, বড় হতে হলে শুধু নির্লজ্জ না, নজরও উঁচা করতে হবে।

উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যতীত বেঁচে থাকা আর শাউয়ার নাতি হয়ে জীবিত থাকার মাঝে আসলে কোনো পার্থক্য নেই।

Rojar mash boin apadoto ar sare pora pic story dis na.

আমি মেট্রিক দিসি ১৯৭২ এ। সেদিন আসিলো ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা। হলে ধুমায় নকল চলতেসে।

একেতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ, পোলাপান পড়ার সুযোগ পায়নাই। অন্যদিকে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা। কেউ কিছু কইতেও পারতেসিলো না। এর মাঝে এক স্যার আইসা আমার পাশের বেঞ্চের ছেলেটারে ধরলো। সে বই খুইলা লিখতেসিলো। স্যার তারে জিগাইলো, বাবা, তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। নকল করতেসো ক্যান?

সেই পোলা কইসিলো, স্যার ডিস্টার্ব কইরেন না। কুরআন হাদিসের ব্যাপার৷ ভুল গেলে গুনাহ হইবো।

- এলাকার মুরুব্বি চাচা আকমল ব্র।

ইন্টারের মেয়েদের প্রথম পছন্দ, ছাত্রলীগ নেতা!🙂

ছোটবেলা একটা ইন্সিডেন্টের কথা মনে পড়লে খুব হাসি পায়।
এক সন্ধ্যায় দাবা নিয়ে বসেছিলাম বড় ভাই এসে বলল চল আমার সাথে দাবা খেল?
আমি বললাম তোমার সাথে পারবো না তুমি অনেক ভালো খেল।
তখন তিনি বলছিলেন আচ্ছা ঠিক আছে তুই ডান হাতে খেলবি আর আমি খেলব বাম হতে।
তখন কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গেছিলাম, এখন বুঝতে পারতেছি কত বড় বোকা ছিলাম আর এখনো আছি।

Kaloo chele, forsha meye is normal.
Bt forsha chele, kalo meye.
Babare.🌚

Tmder gf-bf ache valo kotha eita abr story diya dekhano lage naki.

আজ এক সুন্দ্রী অভিনেত্রীর সাথে কথা হচ্ছিলো। কথা প্রসঙ্গে মাকসের কথা আসলো। অভিনেত্রী জানালেন, তাদের পরিচয় ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে। এরপর কয়েকদিন কথা হয়েছে। তারপর থেকে মাকস নাকি তার সাথে দেখা করে না, কথাও বলে না।

আমি বললাম, উনি এমনই বিশাল মাপের বাটপার। আমাদেরও ফোন ধরে না। দেখা করে না।

অভিনেত্রী বললেন, ভালো মানুষেরা নাকি এমনই হয়। মাকসের মতো ভালো ছেলে নাকি তিনি জীবনে দেখেননি।

ঠিক এ কারণেই নারী জাতির কপালে দুঃখের শেষ নেই। কষ্ট তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী।

- গুপ্ত

হাহা যখন দেও তখন কি আসলেই হাসো??😐

রেডিওতে শুনলাম এক আরজে বলছে, ‘পেহলা বসন্তে আপনি কি কি করছেন এসএমএস করে জানান’

আমি এসএমএস করে দিয়েছি, “পেহলা বসন্তমে আমার পেহলা কাজ, আপনাকে সামনে পাইলে পেহলাই আচমকা একটা থাপড় দিয়ে দেয়া। এই কাজটা যদি আপনার আব্বা বা, আম্মা পেহলা পেহলা করে থাকত, দেশে এই হারে অপসংস্কৃতি বেড়ে উঠত না”

Maybe ,
Class 9-10 were the best days in everyone's life.❤️

এখনকার বাচ্চাদের গরমের ছুটি দিলে বাবা মায়েরা কক্সবাজার, সাজেক ঘুরতে নিয়ে যায়,
আর
আমাদের সময় ধইরা মুসলমানি করায় দিতো

কেমন আছে কাজিনের সাথে প্রেমে লিপ্ত সমাজের বোঝারা?🙂

Squad এর ১৩০১ তম ফলোয়ার মাহমুদুল হাসানকে সম্মানসূচক ব্যান প্রদান করা হলো। আমরা তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

কথা হচ্ছিল জাল নোট বানানর এক কারিগরের সাথে

সে বেজায় বিরক্ত

সে আমাকে হিসাব কষে দেখালো যে ৫০০ টাকার একটা জাল নোট বানাতে তার এখন খরচ পড়ছে ৫২৩ টাকার মত

কাগজের দাম বাড়তির দিকে, কালির দাম বাড়তির দিকে, মজুরি বাড়তির দিকে, প্রেসে বিদ্যুৎ খরচ বাড়তির দিকে, কারেন্ট না থাকায় জেনারেটর যে চালামু, সেই ডিজেলের দামও বাড়তির দিকে

পুসামু কেমনে? এগুলান নিয়েও একটু লেইখেন

আজ জিলাপি পাই নাই তো কি হয়েছে? যে ভাগ করতেছিলো তার জুতা ড্রেনে ফেলে দিয়ে আসলাম'!! 😎

মাঝে মাঝে এরকম নেটওয়ার্ক চলে যাওয়া ভালো… এতে বাঙালীর বিজ্ঞানচর্চা বাড়ে

শসাওয়ালা শসা ছিলতে ছিলতে বলছে, ‘আইজ মাটিতে এমন কুফ দিসে, নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে গেসে’

”কুফ?”

‘হ্যা কুদালের কুফ’

“কে দিসে?”

‘কোন এক বজ্জাতে শিউর দিসে… এক্কেরে ভাইভার অফটিক কাইটা ফেলাইসে’

“আচ্ছা কথা কম… শসার দিকে তাকায়ে শশা ছিলো… না হলে দেখা যাবে তোমার নিজের ফাইবার অফটিক তুমি নিজে কাইটে ফেলাইসো”

…খাওয়া শেষে অফিসে ফিরতে ফিরতে রিকশাওয়ালা বলছে;

‘কামটা দেখসেন স্যার? সেটেলাইট ঘুরায়ে দিসে’

“কেমনে ঘুরাইসে?”

‘রিমুট দিয়া’

“তারপর?”

‘ঘুরায়ে তাদের নিজের অফিসের দিকে নিয়া গেসে’

“কে?”

‘কে আবার? বাংলালিঙ্ক’

কথা শেষ হতেই রিকশাওয়ালা আকাশের দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে রইলো

আমিও তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ

হ্যা স্যাটেলাইট মনে হচ্ছে আসলেই গ্রামীণ ফোনের হেড অফিসের দিক থেকে ঘুরে বাংলালিংকের অফিসের উপর চলে এসেছে… আমারও হালকা হালকা বিশ্বাস হচ্ছে

বিপদে বন্ধুর হো'গা মারুন

মশা একটি অসামাজিক জীব এবং প্রতিশোধপরায়ণ প্রাণী। আপনি একটি মশাকে মেরে ফেললে দলবেঁধে অন্যান্য মশারা আপনাকে চুষতে আসবে। তাই মশা পরিবারের সবাইকে নিয়ে চিল করুন। রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি দুদু চা সেবন করুন, সাথে মানসম্মত একটি ব্রি টানুন। তবে কেরু খাবেন না প্লিজ। কেরুর উৎকট অ্যালকোর গন্ধ মশারা একদম নিতে পারে না।

Ajj jara 10 tai ghum theke uthcho tara Pakistani.🙂👍

Ekta gan vallagle ganta sunte sunte tena tena kora porjonto sunte thaki.

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে দেশের প্লেয়ারদের নিয়ে ট্রল করলে তারা ফর্মে ফিরে আসে!