Avas Bangla Healthcare
"প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম" - আভ?
নিয়মিত যৌন মিলনের দৈহিক উপকারিতা
ভালোবাসা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শারীরিক মিলন। আবার এটি শারীরিক প্রয়োজনীয়তার এক প্রকার বহিঃপ্রকাশও বটে। শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে। যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে। শারীরিক মিলন বা যৌন মিলনের ফলে ২৭টি বা অধিক উপকারী দিক আছে।
গবেষনার বলা হয় ৩ (তিন) থেকে ৭ (সাত) মিনেটের যৌনমিলন মোটের উপর “পর্যাপ্ত”। কিন্তু তিন মিনেটের কম সময় “খুব কম সময়” এবং তের মিনিটের বেশি সময় মিলন “খুব লম্বা সময়”।
গবেষনায় পাওয়া তথ্য মতে, যৌনবিষয়ে সঠিক শিক্ষা, অঞ্চল, চামড়ার রঙ এবং শাররীক আকারের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে যৌনমিলনে সময়-ব্যপ্তির তারতম্য দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার সহ (বাদামী চামড়ার–মধ্যম আকারের মানুষ) এতদাঞ্চলের দম্পতীদের মিলনকালের (পেনিট্রেটিভ সেক্স) গড় সময় ৪ (চার) মিনিট কে “পর্যাপ্ত” বলা হয়েছে। এর সাথে উল্লেখ্য–এ অঞ্চলের নারীরা অজ্ঞতা এবং সঙ্গী খারাপ মনে করবে এই ধারনা থেকে মিলনকালে সক্রিয় না থাকার কারনে পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় অনেক কম হারে পূর্ণকাম-তৃপ্তি অর্জন করে থাকেন।
মিলনকালে মাত্র শতকরা ১৭ ভাগ নারী পূর্ণ তৃপ্তি (উন্নত বিশ্বে একযুগ আগে তা ছিল ২৫%, যা বর্তমানে ৪৫% এ এসে দাড়িয়েঁছে) প্রাপ্ত হন। তাই মিলন-পূর্ব-সিঙার (ফোর-প্লে) এর জন্য বেশি সময় ব্যয় করুন।
শারীরিক বা যৌন মিলনের ফলে নর-নারীর উপকারী দিকগুলি :
১। জীবন কাল বাড়ে :
নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যেঅক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় :
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয় ৷ নিয়মিত যৌনমিলন শরীরে IgA অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। যা রোগ প্রতিরোধে অপরিহার্য্য।
৩। ভালো ব্যায়াম :
শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়,রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিকমিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
৪। ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় :
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিস্কৃতি পান৷
৫। পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয় :
যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশী ব্যাথা হযে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
৬। মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি :
মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
৭। ভালোবাসা বাড়ে :
শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারীতা ভীষণ জরূরী৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদেরসম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷
৮। কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে :
শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আরনিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন ফূর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
৯। ভালো ঘুম হয় :
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷
১০। আত্মবিশ্বাস বাড়ে :
শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতর কার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
১১। ওজন কমে :
শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷
১২। সৌন্দর্য্য বাড়ে :
শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
১৩। ভালো ত্বক :
শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
১৪। প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কম হয় :
নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷
১৫। হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি :
শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷
১৬। কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি :
মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷
১৭। বিশ্বস্ততা বাড়ে :
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তার একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷
১৮। রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় :
শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷
১৯। মূত্রনালী ও গ্রন্থির সুরক্ষা :
মূত্রনালী থেকে বের হওয়া যেকোনো তরলই গ্রন্থির ময়লা নিঃসরণ করে থাকে। কিন্তু পর্যাপ্ত যৌন মিলন এর অভাবে যদি তরল পদার্থটি সঠিকভাবে নিঃসরিত না হতে পারে তবে তা থেকে পুরুষের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এই মূত্রনালীর গ্রন্থির সুরক্ষায় প্রতিদিন শারীরিক মিলন অবশ্যই প্রয়োজন।
২০। প্রজনন ক্রিয়ায় সহায়তা করে :
প্রতিদিন যৌন মিলন এ অভ্যস্ত হয়ে ওঠা একজন নারীর প্রজনন ক্রিয়ায় সক্রিয়তা বেশী থাকে। কেননা এটি প্রজনন বিভিন্ন অঙ্গ নির্দিষ্ট শেপে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত যৌন মিলনে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে, মাসিকের নানা সমস্যা দূর হয়।
২১। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় :
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সেক্স মহৌষধির কাজ করে। নিয়মিত সেক্স করলে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর আপনার ত্বক হয়ে ওঠে আরো বেশি উজ্জ্বল। শুধুমাত্র উজ্জ্বল ত্বক নয়, সেক্স করার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় আর আপনার ঠোঁট করে তলে আরও বেশি নরম ও সুন্দর।
২২। ত্বক পরিষ্কার করে :
প্রতিদিন সেক্স করলে আলাদা করে স্কিন পরিষ্কার করার দরকার নেই। বেশীরভাগ সময় সেক্স করার সময় প্রচুর ঘাম হয়। আর এতেই আপনার ত্বক পেয়ে যায় একটা ফ্রি ফেসিয়াল। ঘাম হওয়ার ফলে আপনার স্কিন পোরে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেড়িয়ে আসে,যার ফলে নতুন আর মুখ পরিষ্কার করার দরকার হয় না।
২৩। ব্রণ দূর করে :
নিয়মিত সেক্স করার ফলে আপনার হরমোন লেভেল কন্ট্রোলে থাকে। যার ফলে মুখে ব্রণ আসে না। আআপনি পাবেন পরিষ্কার উজ্জ্বল ত্বক আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল।
২৪। বলিরেখা দূর করে :
বয়সের চাপ সবার প্রথমে মুখের চামড়ায় পড়ে। তাই যদি ইয়াং থাকতে চান, তা হলে রোজ সেক্স করা কিন্তু মাস্ট। সেক্স করার সময় আপনার শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এই কারণে মুখের চামড়া থাকে টানটান। তাই সহজে মুখে বলিরেখা পড়ে না।
২৫। ত্বক রাখে কোমল ও নরম :
মহিলাদের মেনোপোজ হওয়ার পর স্কিন ক্রমশ ড্রাই হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুখের চামড়া সব থেকে শুষ্ক লাগে। অনেকেই ভাবেন মেনোপোজ হয়ে গেলে সেক্স চাহিদা কমে যায়। এই ধারনা পুরোটাই ভুল। বরঞ্চ ডাক্তাররা এই সময়তেও নিয়মিত সেক্স করতে বলেন কারণ এর ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা আপনাত ত্বককে করে তুলবে আরো বেশি কোমল ও নরম।
২৬। যৌন মিলন কোমরের মাংস পেশিকে শক্তি যোগায় : গর্ভবতী থাকার সময় যদি রোজ শারীরিক মিলন ঘটে তাহলে কোমরের মাংস পেশিকে শক্তি যোগায়৷ এই সময় ডাক্তাররা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন৷ যৌন মিলন এমন একটি ভাল ব্যায়াম যা হাড় এবং মাংস পেশিকে মজবুত করে ।
২৭। গর্ভবতীর রোগব্যাধি কম হয় :
যৌন মিলন শরীরকে রোগব্যাধি আক্রমণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। গর্ভবতী থাকার সময় শরীর রোগব্যধি আক্রমণ করার ক্ষমতা খুবই কম থাকে৷ তাই পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি যৌন মিলন শরীরে রোগব্যধি আক্রমণ করার ক্ষমতা বাড়ায়৷ কারণ শারীরিক মিলন রক্তে এলজিএ অ্যান্টিবডিজ এর পরিমান বৃদ্ধি করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
Collected
বার্ধক্য বিলম্বিত করার উপায়.....
আমরা বিশ্বাস করি, জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত। আমরা কতদিন বেঁচে থাকব, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে এবং আমৃত্যু সুস্থ থাকার চেষ্টা, আদিকাল থেকেই মানুষের প্রয়াস । ডিএনএ মিথাইলেশন বার্ধক্য এবং জিন প্রোগ্রামিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অর্থাৎমানুষ মরবেই - এটা তার ডিএনএ কর্তৃক নির্ধারিত . (DOI: 10.18632/aging.103408).
তবে, ডিএনএ একমাত্র নিয়ামক নয় - সত্যিকার অর্থে খাদ্য, একটিভিটি, বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি ইত্যাদি ফ্যাক্টর ডিএনএ মিথাইলেশন ও সুস্থ্য জীবন কালে বড় প্রভাব ফেলে।
বার্ধক্য বিলম্বিত করা বা আমৃত্যু সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হল - স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল। এগুলো ছাড়াও সুস্থতার জন্য আমাদেরকে আজীবন কতিপয় পারিপার্শ্বিক, শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আমৃত্যু সুস্থ থাকার কতিপয় টিপস :
১. খাদ্যসংযম অভ্যাস করা
* বেশি বেশি দেশীয় ফলমূল ও শাকসবজী খান ।
* পরিমিত ও প্রয়োজন অনুসারে ভাত-রুটি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খান ।
* নিয়মিত প্রাকৃতিক ও ঔষধি গুণসম্পন্ন চা ও কফি পান করুন ।
* পর্যাপ্ত ও পরিমিত পানি পান করা উচিত প্রয়োজন অনুসারে ।
* প্রাকৃতিক ভিটামিন, মিনারেলস , এন্টি-অক্সিডেন্ট , উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফ্যাট খাইতে হবে । ব্যালেন্স ঠিক রাখুন।
২. পরিমিত ও প্রয়োজন অনুসারে খান
* সর্বদা পেটের ২০% খালি রেখেই খাওয়া শেষ করুন।
* ধীরে ধীরে চিবিয়ে চিবিয়ে খান।
* নিয়মিত ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা রোজা রাখুন।
৩. মুভমেন্ট :
* সপ্তাহে ৫ দিন সকালে হাঁটুন বা জগিং করুন।
* লিফট পরিহার করে সিঁড়ি ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
* নিয়মিত যোগব্যায়াম ও স্ট্রেসিং করুন।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
* প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
* ঘুমের ২-৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।
* ভোরে ঘুম থেকে উঠুন।
* প্রকৃতির কাছে যান, প্রকৃতিকে ভালবাসুন।
* প্রতিদিন আধা ঘন্টা রোদে থাকুন।
৭. স্ট্রেস কন্ট্রোল :
* তর্ক ও বিবাদ এড়িয়ে চলুন।
* পজিটিভ চিন্তা করুন।
* বই পড়ুন।
৮. বিনোদন :
* মাঝেমধ্যে প্রমোদ ভ্রমণ করুন।
* নিজে খেলাধূলা করুন।
* বাগান করুন, প্রাণী/পাখি/মাছ পালন করুন।
৯. বাজে খাবার ত্যাগ :
* চিনি, মিষ্টি ত্যাগ করুন।
* প্রসেসড ফুড পরিহার করুন।
* সয়াবিন, পাম ইত্যাদি বাজে তেল বর্জন করুন।
* ধুমপান ত্যাগ করুন।
* মদ্যপান পরিহার করুন।
১০. পারিবারিক ও সামাজিক জীবন :
* মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তানের সাথে সময় কাটান।
* সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
* একাকিত্ব দূর করার চেষ্টা করুন।
১১. চিকিৎসা :
* নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপ করুন।
* যথাসম্ভব ঔষধ কম খান।
* নিয়মিত ঔষধি খাবার খান।
* এন্টিবায়োটিক বিষয়ে সতর্ক হোন।
* সর্বদা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকুন।
১২. বিবিধ :
* ঝুঁকি এড়িয়ে চলুন।
* বয়স ভুলে সবসময় নিজেকে ইয়াং ভাবুন।
* ব্রেইনকে সক্রিয় রাখুন।
* জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করুন এবং তা অর্জনে ডুবে থাকুন।
* মুখ ,মন, ও সৌন্দর্যের যত্ন নিন।
* পরোপকারী ও স্বেচ্ছাসেবক হোন।
* উচ্চ বিলাসী পরিকল্পনা ত্যাগ করুন ও নিজের প্রাপ্তিতে পরিতৃপ্ত থাকুন।
* ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন ও প্রার্থনা করুন।
Sources: NIH News in Health, Healthline, VeryWell Health, New York Times, the Healthy, WebMD etc.
MRP Tk. : 840.00
ভাবনা বদলে দেয়ার মতো একজন চিকিৎসকের নিম্নরূপ পরামর্শ (স্বাস্থ্য সুরক্ষার ৭ টি গোপন রহস্য):
১) ভালো পানি
২) প্রয়োজনীয় ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য
৩) ফাস্টিং বা রোজা রাখা বা উপোস থাকা
৪) শ্বাস-প্রশ্বাস
৫) পর্যাপ্ত ঘুম
৬) দৈহিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম
৭) মনকে শান্ত রাখা বা মেডিটেশন ।
উপরের এই পরামর্শগুলো আসলে নতুন কিছুই নয়, তবে আমরা ভুলে যাই এবং এভাবে চলার চেষ্টা করি না। নিজেকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্যই এগুলো আবার দিলাম।
Collected
জীবনের Success কি??
যখন জন্ম নিলাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের "Success"!
যখন হাঁটতে শিখলাম মনে হল এটাই success!
যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই success!
এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা বা সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়াই success!
এরপর বুঝলাম, না, আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটাই success!
ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেজাল্টটা ধরে রাখাই success!
এখানেই শেষ নয়, এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো কোনো জায়গায় চান্স পাওয়াটাই success, যেটা পড়লে একটা ভালো চাকরি পাওয়া যাবে।
আরো পরে বুঝলাম যে, পড়া শেষে ভালো চাকরী পাওয়া এবং অনেক রোজগার করাটাই success।
এরপর বুঝলাম, নিজের টাকায় একটি ছোট বাড়ি করাই success।
পরে বুঝলাম, সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল success!
আবার ভুল ভাঙল, এরপর দেখলাম ভাল দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করাটাই আসল success।
বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে ভালো ভাবে বড় করাটাই success, ছেলে হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই success, মেয়ে হলে একটা ভালো ফ্যামেলীর ভালো চাকুরীর ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াটাই success।
এরপর এলো আমার রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক investment করে utilization করতে পারাই success!
এরপর যখন সবাই মিলে একাকী কবরে রেখে মাটি চাপার প্রস্তুতি নিল, মরার একটু আগেই বুঝলাম, পৃথিবীতে success বলে কোন কিছুই স্থায়ী লক্ষ্য নেই!
পুরোটাই এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের তৈরী করা একটা competition। যার মূলে আছে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্খা, যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।
তখন বুঝতে পারলাম এর থেকে জীবনের প্রতিদিন বা প্রতি মূহুর্ত আনন্দের সঙ্গে সুস্থ থাকা ও অন্যের জন্য কাজ করতে পারাই success এর মূল লক্ষ্য হলে অনেক ভালো হতো!
কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি।
জীবন কে খুঁজুন, জীবন কে বুঝুন!
নিজেকে ভালবাসুন।
অন্যদের সম্মান দিন, ভালবাসুন। বিশেষ করে যাদের ভালবাসার খুবই প্রয়োজন।
শেষ অবধি ভালবাসাপূর্ণ, আনন্দঘন আর সুস্থ একটি জীবনযাত্রা সম্পন্ন করতে পারাই জীবনের তথাকথিত সফলতা!
মূল সফল হলো সে যে আখিরাতের পূজি করতে ব্যস্ত!
Vanishing Cram l ভ্যানিশিং ক্রীম
নিয়মিত ব্যবহারে নারী ও পুরুষের চেহারায় লাবণ্য আনয়ন, ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
Price : ৳100
Size : 50 gm
অর্ডার: পেজে ম্যাসেজ করুন
Soea Vegetable Milk l সয়াভেজিটেবল মিল্ক
হৃদরোগ, মন্দ কোলেস্টেরল দূর করে, গ্রোথ হরমোন নি:সরণ করায়
Price : ৳750
Size : 600 gm
বিস্তারিত জানতে ও অর্ডার করতে আপনার এলাকার স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন।
#আভাসবাংলা
#আভাসবাংলাহেলথকেয়ার
আভাস বাংলা হেলথকেয়ারের স্বাস্থ্যসেবা
আভাস বাংলার ‘হেলথকেয়ার কর্মসূচি' জনসাধারণের মধ্যে হারবাল খাদ্য, পথ্য ও ঔষধের সচেতনতা তৈরি ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। হারবাল খাদ্য ও পথ্য ব্যবহার করে একদিকে যেমন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত হারবাল ঔষধ ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
গ্রাম ও শহরের শিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিত নারীরা আভাস বাংলা হেলথকেয়ার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাস্থ্যসেবিকার কাজ করেন৷
তারা তাদের এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা ও সামগ্রী পৌঁছে দেন৷ আভাস বাংলা হেলথকেয়ার কর্তৃক প্রশিক্ষিত এই স্বাস্থ্যসেবিকারা দেশের অনেক মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন৷ নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিশিক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ও সাধারণ জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করে থাকেন তারা৷
#আভাসবাংলাহেলথকেয়ার
কুরআনের ৪ টি মোটিভেশনাল শব্দ খুবই উপকারী ছোট্ট হলেও ব্যাপক অর্থবোধক!!!
"লা তাহযান"
অর্থঃঅতীত নিয়ে কখনো হতাশ হবেন না।
"লা তাখাফ"
অর্থঃভবিষ্যত নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তা ন্যাস্ত করে দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
" লা তাগদাব"
অর্থঃজীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে। রাগ করবেন না।
" লা তাসখাত"
অর্থঃআল্লাহর কোন ফয়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না।
~সুবহানআল্লাহ❤
৯-১২ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য
এ সময় প্রায় বড়দের মত খাবার দেওয়া যায়। আগের তুলনায় আরো ঘন খাবার শিশু খেতে পারে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, ডাল, ভাত, দুধ-রুটি, দই, ক্ষীর, পুডিং ইত্যাদি খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াতে হবে।
#আভাসবাংলাহেলথকেয়ার
👉 গবেষণায় দেখা গেছে, ২-৩ চা চামচ মেথি গুঁড়া দিনে দুবার আহারের পূর্বে সেবন করলে রক্তের শর্করার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
👉 মেথিতে বিদ্যমান স্যাপোনিন রক্তের লিপিড ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
👉 জাম বীজে জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ভাল উপকারে আসে।
👉 জাম বীজ রক্তের স্টার্চ ও চিনিকে নিয়ন্ত্রন করে এবং শরীরে শক্তি যোগায়।
👉 সমীক্ষায় দেখা গেছে, জামবীজ ৩০% এর বেশি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে।
👉 দেহে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চিরতা অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়াও মেথি, জাম বীজ ও চিরতা গুঁড়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা সার্বিকভাবে মানুষকে সুস্থ রাখে ও স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন নিশ্চিত করে।
সেবনবিধিঃ
মেথি – ১ চা চামচ মেথি গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিনে দুবার সেবন করতে হবে।
জাম বীজ – ১ চা চামচ জাম বীজ গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ও রাতে সেবন করতে হবে।
চিরতা – ১ চা চামচ চিরতার গুঁড়া হাফ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
সতর্কতাঃ
মেথি – দুর্বল ও গর্ভবতীদের মেথি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে হাইপোগ্লাইসেমিক শকে আক্রান্ত হতে পারে।
জাম বীজ – জামবীজ গুঁড়া সেবনকালে মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ উচিত নয়।
চিরতা – অতিরিক্ত সেবনে মাথা ব্যথা হতে পারে।
কালোজিরার উপকারিতা :
👉 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
👉 মাথাব্যথায় উপকারি।
👉 চুলপড়া বন্ধে কাজ করে।
👉 স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি।
👉 ডায়াবেটিসে উপকারি।
👉 কিডনি সমস্যায় উপকারি।
👉 হৃদরোগে উপকারি।
👉 বদহজম কমায়।
👉 চোখে সমস্যায় কাজ করে।
👉 উচ্চ রক্তচাপে উপকারি।
👉 জ্বর সারায়।
👉 যৌন-দুর্বলতায় উপকারি।
👉 স্ত্রীরোগে কাজ করে।
👉 স্নায়ুবিক উত্তেজনায়।
👉 সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
👉 বাত-ব্যথায় উপকারি।
👉 রুচি বৃদ্ধি করে।
👉 শরীর ব্যথায় উপকারি।
👉 গলা ও দাঁতের ব্যথায় কাজ করে।
👉 সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে উপকারি।
👉 ক্যান্সার প্রতিরোধক।
👉 অবসন্নতা-দুর্বলতা ও অলসতা কমায়।
👉 শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী।
👉 ঘা, ফোড়া ও সংক্রামক রোগ হয় না।
👉 কৃমি দূর করে।
👉 দেহের কাটা ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।
👉 ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা উপকার।
নিয়মিত স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ🌹
মাদারীপুর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন ভিক্তিক " স্বাস্থ্য কর্মী " নিয়োগ চলছে। নিজ ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী ও সর্বনিন্ম এস এস সি পাশ মহিলারা যোগাযোগ করুন।
যেনে রাখুন কিছু অসাধারন বিষয়🖤
✅প্রচলিত ধারণা Vs সঠিক ধারণা
⭕ প্রচলিত ধারণা :খালি পেটে ফল খাওয়া যাবে ক্ষতিকর
⭕সঠিক ধারণা: খালি পেটে ফল খাওয়া যাবে।
🔺বিশ্লেষণ:আমাদের অনেকের মাঝেই সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া যাবেনা এরকম একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আসলেই কি তাই!
সকালে খালি পেটে ফল খেলে কি হতে পারে চলুন জেনে নিই-
▪️ঘুম থেকে ওঠার পরে আমাদের দেহের কোষ এবং নার্ভ সিস্টেম কিছুটা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।এ সময় যদি খালি পেটে ফল খাওয়া হয় তাহলে আমাদের দেহ কোষ এবং লার্ভ সিস্টেম দ্রুত সচল হয়ে যায়। যা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে খুবই কার্যকরী।
▪️ সকালে খালি পেটে ফল খেলে পাচক রসের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় এবং খাবার দ্রুত হজম হয়। ফল এবং ফলের খোসার প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল রয়েছে।
▪️ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ফল দ্রুত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
▪️ফল খেলে আপনার কোষ গুলো প্রাণবন্ত এবং সতেজ থাকে ফলে সহজেই বয়সের ছাপ মুখে পড়বে না।
▪️নিয়মিত ফল খেলে আপনার নার্ভ সিস্টেম স্ট্রং হবে যা যেকোনো রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
▪️আমরা অনেকেই ওজন কমাতে চাই বা ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তা সবার মাঝেই রয়েছে যদি খালি পেটে সকালে ফল খান তাহলে আপনার ওজন দ্রুত কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
তবে টকজাতীয় ফল খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। কারণ টক জাতীয় ফল খালি পেটে খেলে অনকের হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ওষুধ থেকে বাঁচতে হলে চাই সুস্থ লাইফস্টাইল:
এই পোস্ট দেবার উদ্দেশ্য কিন্তু কাউকে হেয় করার জন্য নয়; তাই কেউ কাউকে হেয় করে কোন কথা না বলে যদি মূল যে বিষয় বোঝাতে চাই সেটা নিয়ে গঠনমূলক কথা বলি তাহলে খুশি হব।
এই রোগীটি নিয়মিত ডাক্তার দেখায় নিয়মিত ওষুধ খায় ডাক্তারের পরামর্শ যথেষ্ট মেনে চলে । আজ তার প্রাপ্তি ২৩ ধরনের ওষুধ এবং কিডনী নষ্ট ওনার বর্তমান Serum creatinine ৮.০৮।
আপনার যদি যেকোন বড় হাসপাতাল বিশেষ করে BIRDEM এর কিডনী বিভাগে যান সব রোগীকে প্রশ্ন করেন আপনাদের কিডনী কিভাবে নষ্ট হল ওনারা কি উত্তর দিবেন ? ওনারা কি ডাক্তার দেখান নাই ? দেখিয়েছেন ওনারা কি উপদেশ মানেন নাই? মেনেছেন বা মানার চেস্টা করেছেন। যে খাবার ডাক্তারগন খেতে বলেছেন সেভাবেই খেয়েছেন তবুও আজ তাদের ওষুধ বেড়ে ২৩ টি হয়েছে কারো ক্ষেত্রে ৩২ টি পর্যন্ত ।
দেখবেন প্রেশার নিয়ে গেলে প্রথম একটি ওষুধ পরে দুইটি তিনটি এভাবে বেড়েই চলেছে । ডায়াবেটিস হলেও একই কথা একটি দুইটি তিনটি ওষুধ এরপর ইনসুলিন। চর্বি বাড়লেও বা লিভারে চর্বি জমলেও একই অবস্থা । হার্টের সমস্যা হলেও একই কথা এমনকি পেটের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলেও একই।
ভুলটা আসলে কার আমাদের রোগীদের, নাকি ডাক্তারদের নাকি আমাদের যারা এভাবে চিকিৎসা করতে শেখাচ্ছেন তাদের।
আমি যত বই পড়েছি গাইডলাইন পড়েছি সবখানে বলা আছে Lifestyle disease Lifestyle দিয়ে manage করতে হবে।
যাদের Lifestyle ভালো না ওষুধ তাদের সাহায্য করবে না আর আমি দেখেছি Lifestyle ভালো থাকলে ওষুধ লাগে না।
আমরা জানি Blood Acidic থাকলে Kidney নষ্ট হয়,
আমাদের অবশ্যই Acidic Food avoid করতে হবে আমাদের মেডিকেলে এটা শেখানোই হয়নি কোনগুলো Acidic food কোনগুলো Alkaline Food আমাদের Food drug Interaction শেখানো হয়নি তবে Drug drug interaction শেখানো হয়েছে।
আমাদের Insulin Resistance শেখানো হয়নি আমাদের Insulin Index ( কোন খাবার খেলে কত Insulin secretion হয়) শেখানো হয়নি । আমারা Glycemic Index Glycemic load বিবেচনা না করেই রোগীদের শরীরে Sugar বাড়ে এমন খাবার suggest করছি কারন এমনটিই আমাদের শেখানো হয়েছে।
আমাদের Autophagy এর Clinical Application শেখানো হয়নি Fasting দিয়ে যে চিকিৎসা করা যায় এটা শেখানো হয়নি এবং New England Journal এ স্পস্ট গাইডলাইন দেয়ার পরও আমরা সেটার ব্যাপারে অন্ধ এবং সেটার আলোকে রোগীকে পরামর্শ দেয়া তো দূরের কথা নিজেই যে একটু পড়ে দেখবো সেটাও দেখছি না।
Blood pressure বেশি থাকেল এবং প্রেশারের ওষুধ খেলে উভয়ই kidney নষ্ট করতে ভূমিকা রাখে যেকোন chemical medicine blood কে acidic করে দিতে ভূমিকা রাখে। প্রেশার বাড়ার সাথে খাবারের ভূমিকা আছে এ ব্যাপারে মেডিকেলে আমাদের শেখানো হয়নি যেসব খাবারের Insulin Index বেশি তারা Insulin এর মাত্রা বাড়ায় Insulin নিজে Aldosterone বাড়ায় শরীরে লবন এবং পানি ধরে রাখে Blood volume বাড়ে Blood pressure বাড়ে শরীরে পানি জমে পা ফুলে যায় (Oedema)।
Diabetes Type 2 মূলত Insulin Resistance এর কারনে হয় তাহলে এমন খাবার খাওয়া উচিত না যেটার Insulin Index বেশি।রক্তে Sugar বেশি হলে , Insulin বেশি হলে , kidney নষ্ট হয় ডায়াবেটিসের ওষুধও কিডনী নষ্ট করতে ভূমিকা রাখে। এ কারনেই সকল ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত কিডনী পরীক্ষা করতে হয় তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় সব রোগীরই কিডনী বিকল হয়। BIRDEM এ এরকম একটি বিভাগই আছে।
আমাদের যদি ঘুম ভালো না হয় যদি আমরা অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করি তবে আমাদের বডিতে stress hormone release হয় যার মাধ্যমে Blood Acidic হয় Blood pressure বাড়ে আর Diabetes ও বাড়ে আর Muscle ( protein) ভেংগে sugar তৈরি হয় এবং protein এর skeleton kidney দিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় আমরা অনেক রোগীর Urine এ Microalbumin পাই।তাহলে অতিরিক্ত stress আমাদের Kidney নষ্ট করে ।
Blood Acidic হলে অনেকরকম Inflammation হয় শরীরে অনেক ব্যথা বেদনা হয় যদি আমরা ব্যথার ওষুধ খাই তবে কিডনী নষ্ট হয় এটা আমরা অনেকেই জানি তবে জেনেও ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ওষুধ খেয়ে ফেলি।
একবার একটু ভাবুন আমরা ডাক্তারগন কি রোগীকে তার রোগের মূল কারন বুঝিয়ে দিচ্ছি তাদের Medicine এর side effects সম্পর্কে কোন counselling করছি নাকি শুধু ওষুধ লিখছি এবং ওষুধের ডোজ বাড়াচ্ছি।
বাংলাদেশে আমি অনেক মানবিক ডাক্তারের সঙ্গে কাজ করেছি তারা রোগীদের কষ্ট বুঝে আমাদের সবার উচিত মানবিক ডাক্তার হওয়া । তবেই আমাদের কেউ কসাই বলবে না গুটিকয়েক ডাক্তার টেস্ট লিখে কমিশন খায়, ওষুধ কোম্পানীর টাকা নেয় চুক্তি করে ওষুধ লিখে, ইনসুলিন লেখে, রোগী রেফার করে টাকা নেয়, ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা নেয়, অপ্রোয়জেন অপারেশন করে কিন্তু বেশিরভাগ ডাক্তারতো অনেক ভালো মানবিক প্র্যাকটিস করে । গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য পুরো ডাক্তার সমাজের অপমান মেনে নেয়া যায় না । আমি মনে করি ডাক্তারী পেশাটা অন্য পেশার চেয়ে অনেক আলাদা সকল পেশাই মানবিক পেশা তবে এখনও বাংলাদেশের মানুষ ডাক্তারদের ভালোবাসে এবং ভালোবাসে বলেই তাদের কাছে মানবিকতা আশা করে । তারাই তো কোর্টে গিয়ে সরকারি অফিসে গিয়ে মানবিকতা আশা করে না কারন তার mindset বলে দেয় কোথায় কি আশা করি উচিত।
আমি সবাইকে বলবো ডাক্তারদের ভালোবাসুন তাদেরকে আরো মানবিক হতে সাহায্য করুন।
লম্বা পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বি: দ্র: এখানে যিনি রোগীকে এতগুলো ওষুধ দিতে বাধ্য হয়েছেন তার জায়গায় যে কেউ এত ওষুধ দিতে বাধ্য হবেন এমনকি আমি হলেও। আর রোগীকে আমি নিজেও কোন ভালো পরামর্শ দিতে পারি নাই কারন বার বার বলেছি Organ damage হলে আমাদের কারো কিছু করার থাকে না।
আবারও বলছি বাজে মন্তব্য করবেন না পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো সচেতেন না হলে আমাদের সবারই এমন পরিনতি হবে, তাই চলুন এগুলো থেকে বাঁচতে চাইলে Lifestyle ঠিক করুন ।
আজকের টিপস💘স্বাস্থ্য পরামর্শ স্পন্সর করেছে -
=============================================
জেনে নিন টিপস / স্বাস্থ্য বার্তা💘
#জ্বর_সর্দি_কাশির_রোগীরা_নিজ_বাসায়_চিকিৎসা
নিন
হোম কোয়ারান্টাইনে থাকুন-অন্যকে বিপদমুক্ত রাখুন।
🚩🚩 পরামর্শ 📣📣
প্রথমত আপনি আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইনে একা থাকুন অন্য সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন থাকুন।
১।প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি পান করুন।
২।সকল প্রকার ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩।ডেইলি তিনবার হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গলা পরিষ্কার করুন।
৪।গ্রিন টি পান করুন লেবু-আদা দারচিনি মিক্স করে।
৫।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাবেন ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
৬।সাথে #জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল বা নাপা ৫০০ এমজি,ট্যাবলেট ভরা পেটে ১+১+১+১ বার।
#সর্দি থাকে এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট যেমন ডেসলর ১০এমজি১+০+১ বা এলাকট্রল ১০ এমজি১+০+১ অথবা ফেক্সোফেনাডিন ৬০ এমজি ১+০+১ বার যেকোন ১ টি খাবেন।
#গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেতে পারেন ওমিপ্রজল২০ এমজি ১+০+১ খালি পেটি ২ বেলা।।
#পাতলা_পায়খানা বা পেটের সমস্যায় Tab.Metro 400 mg 1+1+1 ভারা পটে ৩ বেলা খাবেন।
#শুকনা_কাশি হলে সিরাপ Ambrox ২ চামচ করে তিন বেলা খাবেন।
াশি হলে সিরাপ মিউকোলিট ২ চামচ করে ৩ বেলা খাবেন।।
হালকা #শ্বাসকষ্ট হলে Tab Monas10 mg প্রতি রাতে ১ টি।।।
৭।মানসিকভাবে দুর্বল হবেন না কারণ সকল জ্বর গলাব্যথা মানেই করোনা আক্রান্ত লক্ষন না। কারণ এই সিজনাল চেঞ্জ এর কারণে অনেক সময় এ ধরনের জ্বর গলাব্যথা হয়ে থাকে এবং নিয়ম কানুন মেনে চললে আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন।
৮।সর্বোপরি বার বার হাত ধোয়া মুখ নাকে হাত না দেওয়া। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
৯।মনে রাখবেন মানসিক দুশ্চিন্তা নিজে একটি রোগ এবং অন্য সকল রোগ কে ডেকে আনে তাই মানসিক দুশ্চিন্তা না করে যার যার স্রষ্টাকে স্মরণ করুন এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলুন। মানসিকভাবে দুশ্চিন্তা করলে আপনার প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে এবং আপনি যেকোনো রোগাক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে।
১০। ফুসফুস ভালো রাখতে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।
#ধুমপান🚭🚭 পরিহার করুন।
১১। যার যার ধর্ম অনুশারে স্রষ্টাকে স্মরণ করুন এবং প্রার্থনা করুন।
১২। জনসমাগম ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত উপদেশসমূহ মেনে চলুন এবং গুজব ছড়ানো ও গুজবে কান দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১৩। #শ্বাসকষ্ট বেশি হলে বা অবস্থা খারাপ মনে হলে সরকারি হটলাইনে বা সাস্থ্য কেন্দ্র যোগাযোগ করুন।। হটলাইন ৩৩৩।
খাদ্য কি?
খাদ্য কোনও জীবের পুষ্টি সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত কোনও পদার্থ। খাদ্য সাধারণত উদ্ভিদ, প্রাণী বা ছত্রাকের উত্সের মধ্যে থাকে এবং এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন শর্করা, চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন বা খনিজ থাকে।
পথ্য কি?
পথ্যকে আরোগ্যকারী খাদ্যও বলা হয়। পথ্য নির্বাচনের সময় রোগের ধরন, রোগীর খাদ্যাভ্যাস, রোগীর পথ্য গ্রহণের ক্ষমতা যেমন দেখতে হবে , তেমন রোগীর আর্থিক সঙ্গতিও বিচার করতে হবে। দীঘস্থায়ী অসুখে এটার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তবে সকল অবস্থাতেই পথ্য হবে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয়।
প্রসঙ্গ: খাবার স্যালাইন।
সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
"প্রচণ্ড গরম পড়েছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র...
কৌতূহল নিয়ে দেখছি কী করে!!
হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল... একটু ঝাঁকি দিল... এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল... সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই...
জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?
- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না... তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভালো।
এরকম ভুল প্রায় লোকই করে... সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো... কী আর হবে!! কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না... বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপজ্জনক...
কয়েক মাস আগের কথা... ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
একটু সন্দেহ হলো... জিজ্ঞাসা করলাম, কী খাইয়েছেন বাবুকে?
- কেন? স্যালাইন।
- বানিয়েছেন কীভাবে?
- হাফ গ্লাসের মতো পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলিয়েছি।
- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?
- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?
তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক... কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।
মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমতো খাবেন। এটি ওষুধ... বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচণ্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।
এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলাতে হবে... ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে... আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।
এর কম পানিতে বানালে লবণের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে... বেশি পানিতে বানালে লবণের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।
একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।
কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না... কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না... এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন...
একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি-রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।
আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না.. এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোনো অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
সংগৃহীত
Sabu shop নামে একটি তথাকথিত দ্রুত রং ফর্সা হয় এমন ক্রিম বিক্রি করে আসছে। এ ধরনের ক্রিমের মাধ্যমে নারীরা মূলত স্কিন ক্যান্সার নিজে ডেকে এনেছেন এতোদিন ধরে!
এই শপে যে প্রোডাক্ট বিক্রি হতো, সেগুলোর বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন আছে কিনা তাও প্রশ্নবিদ্ধ!
এগুলো কি ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়, তাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতোটা এগুলো বিবেচনায় নিয়ে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক!
ধানমন্ডি আর মিরপুর ব্রাঞ্চে এদের দোকান CID পুলিশ সিল করে দিয়েছে৷
এমন আরো যারা আছে এদের সবাইকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হোক৷
মজার বিষয় হচ্ছে এইসব গুলোর Promotion এর জন্য দেশের অনেক নাইকা-মডেলরাও টাকার বিনিময়ে এইসব ফালতু জিনিস এর Promotion করেন।
এদেরকে ও আটক করে শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Website
Address
Dr Tota Road
Madaripur
মন্টু মিয়া সড়ক
Madaripur, 7902
SELIM HOMEO MEDICAL BADAMTOLA MADARIPUR
Madaripur, 7900
কোন পন্য দ্রুত হাতে পেতে পেইজ এ ইনবক্স করুন অথবা নিচের নম্বর সমূহে কল করুন / অফিস ভিজিট করুন।
Dokkhin Dudkhali Madaripur
Madaripur, 413211
polli dr akkas kazi
Madaripur Asma Complex Supermarket Dhaka
Madaripur, 226010
প্রিয় গ্রাহক আমরা পন্য নয়, বিশ্বাস বিক্রি করি। মিথ্যা বলে বলে হালাল ব্যবসা কে হারাম করবো না।
গ্রামঃ উত্তর দুধখালী, পোস্টঃ হবিগঞ্জ, থানা জেলা মাদারীপুর সদর
Madaripur, 7903
১। সকল প্রকার মধু, গাওয়া ঘি, মধুময় বাদাম, কাঠের ঘানিতে ভাঙ্গা সরিষার তেল। পাওয়া যায়