মাদ্রাসা শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
Nearby clinics
Project Office-Mirpur Dosh Dhaka
1216
Shahalibag Mirpur/1
Main Road, Dhaka
Dhaka 1216
Gulshan, Dhaka
Mirpur Dohs, Dhaka
1216
Level, Dhaka
Fair Plaza, Dhaka
1216
Road No-6. Plot No-454. Mirpur Dohs, Dhaka
Dhaka 1216
Road Avenue-10
এখানে মাদ্রাসা শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-?
জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি?
‘'সেখানে রয়েছে আনত নয়না রমণীগণ, যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি’'-
(সূরা রহমানের ৫৬ আয়াত)
ইবনুল জাওযী (রহঃ) এর ব্যাখ্যায় বলেন, এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের শারীরিক মিলন সম্ভব
(যাদুল মাসীর ৪/২১৪)।
তবে এটি দুই অবস্থায় হতে পারে।
👉(১) ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে ।
👉(২) জাগ্রত অবস্থায় অনুভবের মাধ্যমে।
আর মানুষের সাথে জিনের মিলন সম্ভব বলেই রাসূল (সাঃ),স্বামী-স্ত্রীর মিলনের পূর্বে পঠিতব্য দো‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন
" আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা"
(বুখারী হা/৫১৬৫; ফাৎহুল বারী, উক্ত হাদীছের আলোচনা ৯/২২৯ পৃ.)
বিসমিল্লাহ
কাকে বিয়ে করবেন?
চলুন একটা চমৎকার হিসেবের মাধ্যমে জেনে নিই।
আমাদের মহানবী (সাঃ) শিখিয়েছেন,“যখন কেউ আপনার মেয়ের জন্য প্রপোজাল নিয়ে আসে,এবং তার ভালো দ্বীন আছে,ভালো চরিত্র আছে,তাহলে আপনার মেয়েকে তার সাথেই বিয়ে দিন।তবে হ্যাঁ,অবশ্যই আপনার মেয়ের ইচ্ছে থাকতে হবে।”
যদি আপনার মেয়ের ইচ্ছে থাকে, তাহলে বিয়ে দিন।যদি সে অনিচ্ছুক হয়,তাহলে তার মতামতকে প্রাধান্য দিন।সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীন এবং উত্তম চরিত্র খুঁজুন,যতক্ষণ কারোর দ্বীন এবং উত্তম চরিত্র থাকবে,ততক্ষণ সেখানে বারাকাহ থাকবে৷
""দ্যাটস দ্য হাদিস""
যদি কারোর দ্বীন এবং আখলাক থাকে,তাকে ১ পয়েন্ট দিন।
তার জন্য লিখুন ১
যদি সে সুদর্শন হয়,তাহলে ১ এর ডান পাশে একটা জিরো দিন।কত হলো?১০......
এবার যদি তার সম্পদ থাকে,তাকে আরো একটা জিরো দিন ১ এর পাশে।কত হলো?১০০।
যদি ভালো বংশের হয়,তাহলে আরো একটা জিরো।টোটাল হলো ১০০০।
এবার যদি তার আরো বাড়তি পজিটিভ সাইড থাকে,সবকিছুর জন্য একটা করে জিরো বাড়ান।কিন্তু দ্বীন এবং আখলাকের জন্য কত দিয়েছিলেন?১ নম্বর।
এখন যদি কারোর দ্বীন এবং আখলাকই না থাকে,তাহলে ১টাই মুছে ফেলুন।
কী থাকলো তার আর? =জিরো!!!
তার কিছুই থাকলো না।
এভাবেই আমাদের মুসলিমদের সঙ্গী নির্বাচন করা উচিত।
গুড লুকিং?মাশাআল্লাহ! বংশ আছে?আলহামদুলিল্লাহ! সম্পদশালী?আলহামদুলিল্লাহ!
আরো কিছু?আলহামদুলিল্লাহ!
কিন্তু যদি তার দ্বীন এবং আখলাকই না থাকে,তাহলে তার কিছুই নেই।
শুধু শুধু তার জন্য সময় নষ্ট করছেন।
আপনি এই সম্পর্কে হতাশ হবেন।
আপনি সঙ্গী নির্বাচনে তার মাঝে যে কোনো কিছু খুঁজুন,সমস্যা নেই।কিন্তু একটা বিষয়ের সাথে কখনো কম্প্রোমাইজ করবেন না।সেটা হচ্ছে_
“দ্বীন এবং আখলাক”
____________________
_________________
_____________
মূল লেকচারঃমুফতি ইসমাইল মেঙ্ক
অনুবাদঃমাহবুবা শাওলীন স্বপ্নীল
কপি
#দ্বীনদার_পাত্র_পাত্রী_চাই
আমরা বিয়ের জন্য শুধু দ্বীনদার পাত্র আর পাত্রী খুঁজি।
দ্বীনদার বলতে একদম মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাফেজ মাওলানা মুফতি বুঝাই।
পাত্রীর ক্ষেত্রেও মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেমা হাফেজা চাই।
আর ভাবি শুধু দ্বীনদার হলেই বুঝি সংসারটা একটা জান্নাতের বাগীচা হয় !
সুখটা তো আসলে মানুষের ইলমের উপর নির্ভর করে না,সুখ নির্ভর করে আমলের উপর,আখলাকের উপর ,সুখ নির্ভর করে নাসিবের উপর,সুখ নির্ভর করে কে কত টা আল্লাহর সান্নিধ্যে গেল তার উপর।
আমাদের এই ধারণাটা অনেক ভুল,যে শুধু মাত্র মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেম/আলেমারাই দ্বীনদার।
দ্বীনদার বলতে আসলে কী বুঝায়? অনেক বেশি ইলম নাকি অনেক বেশি আমল ? জানেন তো সে আলেমের ইলমের কোনো দাম নাই যদি না সে আমল না করে আর দাওয়াহ না দেয় ...
আমি এমন শত মানুষ দেখেছি যারা আলেম, যাদেরকে চোখে দেখেছি,উঠাবসা করেছি যারা একদম আগাগোড়া মাদরাসার লাইনের।
আবার এমন শত মানুষ দেখেছি প্লাস উঠাবসা করেছি যাদের আগাগোড়া জেনারেল লাইনের।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, জেনারেল লাইনের একটা মানুষ যখন হিদায়াত প্রাপ্ত হয় তখন সে অন্য সাধারণ ৮/১০ টা আলেম থেকেও বেশি আমলদার হয়। তার মাঝে ইলম থাকেনা ঠিক,কিন্তু যা থাকে তাই সে নিয়মিত আমল করে। দুনিয়ার মোহ বা চাকচিক্য আলেমদের থেকেও এদের বেশি দেখা হয়ে যায়, তাই হিদায়াতের পর এরা শুধু আল্লাহকেই আঁকড়ে ধরে রাখে।
হিদায়াতের আগে তারা অনেক পাপ করে। গান বাজনা, হারাম প্রেম, বেপর্দা ইত্যাদি মারাত্মক গুনাহে জড়িত থাকে,এরপর একবার যখন রহমতের পরশ পায় তখন সারা জীবন এদের এই পাপ কাজ স্মরণে তওবা ও ইস্তগফারে কাটে। একজন আলেম থেকেও বেশি অশ্রু তারা ফেলে আল্লাহর কাছে।কারন জাহিলিয়াতের যে আজাব তা আলেমরা বুঝে না, যা কিনা হিদায়াত প্রাপ্তরা বুঝে।
আরেকটা বিষয় হল,যারা একবার পাপ করে আসে,তাদের জানা থাকে পাপের স্বাদ,তাই তারা ২য় বার সে পথে পা বাড়ায় না,অপর দিকে যারা পাপ করে বড় হয়না নিষিদ্ধ পাপ তাদেরকে সব সময় টানে।
হিদায়াত প্রাপ্তদের জন্য দ্বীনি ইলম অর্জনটা কষ্টসাধ্য, সমাজে পরিবারে দ্বীন পালনটা কষ্টসাধ্য, তাও সে জিহাদ করে চলে। সে শুদ্ধ করে তিলাওয়াত করতে না পারার জন্য কান্না করে,সে ঠিক ভাবে পর্দা করতে পারেনা সার্কেলের সবার হাসাহাসি বা পরিবারের বাধার জন্য। সে প্রতিনিয়ত আল্লাহর সাহায্য চায়।
অন্য দিকে একটা আলেম পরিবারের আলেম ছেলে/মেয়েরর জন্য ইলম অর্জন বা আমল করা খুবই সহজ।আর সহজ বিধায় সে আলসেমি করে। তার এইসবের জন্য দুয়া করা লাগে না,কান্না করা লাগে না বা সাফার করা লাগে না। সে ভাবে অনেক ইলম অর্জন করে, হাফেজ আলেম হয়ে অনেক সওয়াবের অধিকারী হয়ে গেছে, তার আশেপাশের কেউই তার আগে যেতে পারবে না,তাই আসলে আমলে অনেক ঘাটতি থাকে। সত্যি বলতে হিদায়াত প্রাপ্তদের থেকে আলেমদের মাঝে আমলে ঘাটতি থাকে বেশি।
আলেমরা জন্ম সুত্রে পর্দা করা,দাড়ি রাখা, ইসলামি লিবাস পরা ইত্যাদি পেয়ে থাকে, খানাপিনার মত এইগুলাও একটা সাধারণ কাজ,
অপর দিকে হিদায়াত প্রাপ্তরা সব সময় সেভ করা গালে শুধু মাত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমে বিগলিত হয়ে সেখানে দাড়িকে বড় হতে দেয়। একটা চুল খোলা টাইট কামিজ পরা মেয়ে হুট করে সব ঢেকে বোরকা পরা শুরু করে মারাত্মক আল্লাহভীতি বা প্রেম থেকে।
এইযে এই দাড়ি রাখার প্রেম, এই প্রেমটা কিন্তু কখনো রেজার না লাগানো গাল টা বুঝেনা,হয়ত বুঝে কিন্তু সেই হিদায়াত প্রাপ্তর মত করে বুঝে না।
একজন আলেমা যখন রাস্তায় বের হয় পূর্ন পর্দা করে, তার মাঝে একবারের জন্যও অনুশোচনা কাজ করেনা। কিন্তু সেই হিদায়াত প্রাপ্তা ঠিকই বার বার মাফ চায় তার আগের বেপর্দা দিনের কথা গুলো ভেবে।
আল্লাহ কাদের ভালবাসেন? আল্লাহ লকে অধিক স্মরণকারীদের,উনার আজাবের ভয়ে ভীত হয়ে উনার পথেই ফিরে আসা মানুষদের,বার বার তওবাকারীদের,ইলম অর্জন করার পিছে ছোটা মানুষদের।
না আমি বলছিনা সকল আলেমরা এমন কিংবা আমি বলছিনা আলেমরা দ্বীনদার নয় কিংবা আলেমদেরকে বিয়ে করা থেকে অনুৎসাহিতও করছিনা। আমি শুধু বলছি দ্বীনদার বলতে যে শুধু আলেমকেই বুঝি তা কিন্তু নয়। মানুষ বিয়ের জন্য যদি শুধু আলেম চায় তাহলে এই হিদায়াত প্রাপ্তরা কই যাবে? দ্বীন শেখার কোন শেষ বয়স নেই, আমি এমনও অনেক ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার দেখেছি যারা পড়াশুনা শেষ করে মাদ্রাসার লাইনে পড়েছেন। হাফেজ আলেম হয়েছেন।
জেনারেল লাইনের কাউকে পাত্র বা পাত্রী হিসেবে রিজেক্ট করে দিয়েন না। বা এও ভাব্বেন যে এদের বিয়ে করলে আপনি সুখি হবেন না।
এমন অনেক আলেমের পরিবার আছে,যেখানে নিত্য অশান্তি লেগে থাকে। আবার এমন অনেক হিদায়াত প্রাপ্তর পরিবার আছে যা আসলেই জান্নাতের বাগীচা হয়ে থাকে।
যারা দুনিয়ার মোহে ছুটে প্রকাশ্যে,তাদের আপনি রিজেক্ট করতে পারেন,কিন্তু যদি দেখেন জেনারেল লাইনের কিন্তু দ্বীন পালনে খুব সচেষ্ট, পর্দা করছেন বা সুন্নতি বেশ ও লেবাস পরছেন।দ্বীনি ইলমের পিছে সময় ব্যয় করছেন, ইবাদাতে যথেষ্ট যত্নশীল তাদেরকে রিজেক্ট করে ভুল করবেন না, এরা হতে পারে আপনার জান্নাতের বাগিচা খননের সঙ্গী।
#হিদায়াত_প্রাপ্ত_পাত্র_পাত্রী_চাই
©
আসুন, বিয়েকে সহজ করি
জাবের রাযি. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম সাহাবি। বিয়ে করে বাসর রাত শেষ করে মসজিদে নববিতে ফজরের নামাজ পড়তে এসেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাপড়ে মহিলাদের শাড়ির রঙ দেখে জিজ্ঞাসা করলেন: হে জাবের, তুমি কী বিয়ে করেছো? তিনি বললেন: হ্যাঁ।
এ হাদিস থেকে আপনি কল্পনা করুন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে বিবাহ কত সহজ ছিল! জাবের রাযি. এর মতো প্রসিদ্ধ সাহাবির বিয়ের কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে পারেন নি। হাদিসে এ ধরণের বহু ঘটনা পাওয়া যায় যে, কোন সাহাবি এসে বলেছেন হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে বিয়ে দিন। তিনি সে মজলিসে তাকে বিবাহ দিয়ে দিয়েছেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে স্পষ্ট বলেছেন, যে বিয়েতে খরচ যত কম হবে, আল্লাহ সে বিয়েতে তত বেশি বরকত দান করেন। মানুষের চরিত্রের সুরক্ষার জন্য ইসলাম বিয়েকে একেবারে সহজ করে দিয়েছে। দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ঈজাব, কবুল পাওয়া গেলে বিয়ে হয়ে যায়। ইসলাম পুরুষের উপর আবশ্যক করেছে সামর্থনুযায়ী মোহর দেওয়া। এমনভাবে তাওফিক থাকলে নিজের বাড়িতে ওলিমা করার নির্দেশ দিয়েছে।
বর্তমানে আমাদের বিয়েতে নানা ধরণের কূ সংস্কার যুক্ত হয়েছে। একজন মধ্যবিত্ত লোকের মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে জন্মের পরেই তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই তিনি তার বিয়ের আনুসাঙ্গিক খরচ, যৌতুক নিয়ে ভাবতে থাকেন! ঋণ করে কোনভাবে বিয়ে দিতে পারলেও তার নিস্তার নেই। বিয়ের পর জামাইয়ের ফরমায়েশ অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে মেয়ের উপর নেমে আসে অত্যাচারের পাহাড়!
এমনভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেও বিয়ের আগে বহু চিন্তা করতে হয়। বিয়ের সময় বরযাত্রী বাবৎ খরচ, স্বর্ণ জোগাড় করা, গায়ে হলুদ করা সহ নানা আয়োজনে বিয়ের কথা চিন্তা করলেই তাকে কয়েক লাখ টাকার কথা ভাবতে হয়। লাখ টাকার মালিক না হলে সে পিছিয়ে যায়! কারণ, মানুষ তো আর তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিবে না!
যে সমাজে বিয়ে যত কঠিন হবে, সে সমাজে ব্যভিচার, পাপাচার, অশ্লীলতা ততো বৃদ্ধি পাপে। আর অশ্লীলতা এমন একটি গুনাহ, যা আরও হাজার গুনাহের দরজা খুলে দেয়। তাই আসুন শপথ করি, আমরা শরিয়তের নির্দেশনা মেনে বিয়ে করব। নিজেদের মেয়েদের শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ে দেবো। কূসংস্কার থেকে বেঁচে থাকব। আগে নিজেকে বদলাই। নিজেকে বদলানোর মাধ্যমে সমাজ বদলানোর কার্যক্রম শুরু হোক।
বয়স বেড়ে গেলে আইমিন ৩০ পেরিয়ে গেলে মেয়েরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পাত্র পায়না, তাদের যোগ্য পাত্ররা ২০-২৫ এর মেয়ে বিয়ে করে, এই নিয়ে ২৭/২৮ পার করা নারীদের আপত্তি আর হা হুতাশ দেখে দেখে চোখ ব্যথা হয়ে গেছে!!
হু, বাংলাদেশে মেয়েরাই শুধু বিশাল যোগ্যতার অধিকারী হয়। তাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ছেলে পাওয়া কষ্টকর!! পুরুষরাতো খালি ক্ষেত খামারে কামলা দেয়!! ওদের আর যোগ্যতা!! 😒😒
মূলত সত্যিটা হল, ছেলেরা বেকার, কর্মজীবী, ছোট পেশা বড় পেশা সব ধরনের মেয়ে বিয়ে করে বলে ছেলেদের মেয়ে পেতে সমস্যা হয়না। আর উচ্চ যোগ্যতার ফ্যান্টাসিতে ভোগা সব মেয়ে তাদের উচ্চাভিলাসী মেন্টালিটি আর ফ্যান্টাসির কারনে খালি সুপ্রতিষ্ঠিত আর বেটার চয়েজ খুঁজতে খুঁজতে বয়স শেষ করে ফেলে বলে তাদের "বেটার" চয়েজটা আর পাওয়া হয়না।
কারন কোন পুরুষের এত ঠেকা পড়ে নাই কাঠখড় পুরিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে, নিজের তরুণ বয়সটা যোগ্যতা ফ্যান্টাসিতে ভোগা নারীদের অবহেলায় সঙ্গীহীন থেকে পার করে নিজের সেক্রিফাইসে যোগ্যতা অর্জন করে ফার্টিলিটি পিরিয়ড আর তারুণ্যের সীমা শেষ করা মেয়ের খায়েশ মেটাবে।
প্রত্যেকটা পুরুষ কিশোর বয়স থেকে একটা মেয়েকে স্ত্রী রূপে কল্পনা করে, বিয়ে করে, মহিলাকে নয়। বাস্তবে ধরা না দেয়া পর্যন্ত এই মেয়ে রূপটাই তাদের মনে মগজে গেঁথে থাকে। তাই তারা বিয়ের বেলায় মেয়ে খোঁজে।
বেটার চয়েজের আশায় অর্থের মাপকাঠিতে মানুষকে জাজ করা নারীরা পুরুষদের বয়স্কা মহিলা বিয়ে না করতে চাওয়ার ব্যাপারে আঙ্গুল তুলেই বা কিভাবে?? পুরুষরা কি সংসারে কোন বয়স্কা মহিলার উচ্চশিক্ষিতের সার্টিফিকেট আর চাকুরির পজিশন ধুয়ে পানি খাবে?? ওটাতো নারীদের আবশ্যিক খাদ্য!!
পুরুষরা উচ্চ যোগ্যতা আর বেটার চয়েজ ফ্যান্টাসিতে ভোগেনা, শুধু নারীরাই ভোগে৷ তাই সঠিক বয়সে যোগ্যতার দোহাই দিয়ে তরুণ পাত্র রিজেক্ট করে করে নিজের বয়স বাড়ালে, তাদের যোগ্যতা(!) অনুযায়ী পাত্র না পাওয়ায় পুরুষদের দায় কিভাবে হয়?? দায় একমাত্র তাদের নিজের উচ্চ যোগ্যতা ফ্যান্টাসির।
কথা ঠিক না বেঠিক?? 😉😉
( সংগ্রহিত)
স্ত্রী সহবাসের পর তৎক্ষণাৎ গোসল এবং কিছু ভুল ধারণা
▬▬▬◖◯◗▬▬▬
প্রশ্ন: সহবাস এর পরপরই কি গোসল করতে হবে? যদি ভুল বশত: না করা হয় তাহলে উপায় কি?
উত্তর:
নিম্নে প্রশ্নটির উত্তর প্রদান করা হল। পাশাপশি তুলে ধরা হল, সমাজে প্রচলিত সহবাস পরবর্তী কতিপয় কুসংস্কার ও ভুল ধারণা:
◉◉ গোসল ফরজ হলে সালাতের পূর্ব পর্যন্ত গোসল বিলম্ব করা জায়েজ আছে:
স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ ইত্যাদির কারণে গোসল ফরজ হলে তৎক্ষণাৎ গোসল করা আবশ্যক নয়। বরং ঘুম, ব্যস্ততা বা প্রয়োজনে বিলম্ব করা জায়েজ আছে। এ মর্মে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
➧ ১) হাদিসে এসেছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ لَقِيَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ جُنُبٌ فَانْسَلَّ فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ فَتَفَقَّدَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ " أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقِيتَنِي وَأَنَا جُنُبٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ حَتَّى أَغْتَسِلَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لاَ يَنْجُسُ " .
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি একবার মদিনার কোন এক রাস্তায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ পেলেন। তিনি (আবু হুরায়রা রা.) তখন অপবিত্র অবস্থায় ছিলেন। এই কারণে তিনি আস্তে করে পাশ কেটে চলে গেলেন এবং গোসল করলেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তালাশ করলেন। পরে তিনি এলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন: আবু হুরায়রা, তুমি কোথায় ছিলে?
তিনি বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, আপনার সঙ্গে যখন আমার সাক্ষাৎ হয় তখন আমি অপবিত্র অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি গোসল না করে আপনার সাথে উঠবস করাকে অপছন্দ করেছি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “সুবহানাল্লাহ! মুমিন তো অপবিত্র হয় না।” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম। সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর/৭১০ অধ্যায়ঃ ৩/ হায়েজ)
হাদিসের বক্তব্য: “মুমিন তো অপবিত্র হয় না" এর অর্থ হল, মুমিন অভ্যন্তরিণভাবে কখনো নাপাক হয় না। বাহ্যিকভাবে শরীরে নাপাকি লাগলে শরীর নাপাক হয় কিন্তু তার মধ্যে ঈমান থাকায় অভ্যন্তরিণভাবে সে পবিত্র থাকে (জীবিত ও মৃত সর্বাবস্থায়)। পক্ষান্তরে কাফির বাহ্যিকভাবে যদি পরিষ্কারও থাকে তবে ঈমান না থাকার কারণে সে অভ্যন্তরিণভাবে নাপাক।
ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন:
فيه جواز تأخير الاغتسال عن أول وجوبه
“এ হাদিসে গোসল ফরজ হওয়ার পর তা বিলম্ব করার বৈধতা পাওয়া যায়।” (সহিহ বুখারির ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারী)
➧ ২) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
عن غضيف بن الحارث، قال: قلت لعائشة: أكان النبي صلى الله عليه وسلم يغتسل قبل أن ينام؟ وينام قبل أن يغتسل؟ قالت: نعم. قلت: الحمد لله الذي جعل في الأمر سعة
গাযীফ ইবনুল হারিস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি আয়েশা রা. কে প্রশ্ন করলাম, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি ঘুমের পূর্বে গোসল করতেন অথবা গোসলের পূর্বে ঘুমাতেন?
তিনি বললেন: হ্যাঁ।
আমি বললাম: আল হামদু লিল্লাহ-সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি বিষয়টিতে ছাড় রেখেছেন। (সহিহ আবু দাউদ, হা/২২৬)
➧ ৩) এ ছাড়াও সহিহ সনদে প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সহবাসের পর শরীর নাপাক অবস্থায় রমাযান মাসে ভোর রাতে সেহরি খেয়েছেন। তারপর ফজরের আজান হলে গোসল করে মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য গেছেন। যেমন:
- উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত,
ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺣﻠﻢ، ﻓﻴﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ .
“রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় (অর্থাৎ স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নাপাক অবস্থায়) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজর হয়ে যেত। অত:পর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন।” (সহিহ বুখারি, হা/১৮২৯, মুসলিম, হা/ ১১০৯)।
- স্ত্রী উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. বর্ণনা করেন:
ﻛﺎﻥ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﺃﻫﻠﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ.
“সহবাসের ফলে নাপাক অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজর করে ফেলতেন। অত:পর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন।” (সহিহ বুখারি, হা/ ১৯২৬)
আর এ কথা ঠিক যে, তিনি ভোর রাতে সেহরি খেতেন এবং তার উম্মতকে সেহরি খেতে উৎসাহিত করেছেন। এখান থেকে বুঝা যায়, তিনি ভোর রাতে নাপাক অবস্থায় (গোসলের পূর্বে) রোজার জন্য সেহরি খেয়েছেন। তারপর ফজর উদিত হলে গোসল করে সালাতে গেছেন।
উল্লেখ্য যে, একটি হাদিসে এসেছে: “যে ঘরে জুনুবি ব্যক্তি (গোসল ফরজ হয়েছে এমন নাপাক ব্যক্তি) এবং কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।” এই হাদিসটি মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে জইফ বা দুর্বল। তবে যে ঘরে কুকুর আছে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ মর্মে অন্য একটি সহিহ হাদিস রয়েছে।
- সালাতের সময় হলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করার পর সালাত আদায় করা আবশ্যক। কেননা সালাতের জন্য পাক-পবিত্রতা অর্জন করা পূর্বশর্ত।
◉◉ স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করতে বিলম্ব করলে ওজু করা মুস্তাহাব:
স্ত্রী সহবাসের পর কেউ ইচ্ছে করলে তৎক্ষণাৎ গোসল করে নিতে পারে আবার ইচ্ছে করলে বিলম্বও করতে পারে। বিলম্ব করতে চাইলে অজু করে নেওয়া উত্তম।
➧ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
في الصحيحين أن عمر استفتى رسول الله صلى الله عليه وسلم: أينام أحدنا وهو جنب؟ قال: "نعم، إذا توضأ".
ওমর রা. রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করলেন, শরীর নাপাক অবস্থায় কি কেউ ঘুমাতে পারে?
তিনি বললেন: “হ্যাঁ, যদি অজু করে।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
قال ابن عبد البر: ذهب الجمهور إلى أنه ـ أي: الأمر بالوضوء للجنب الذي يريد
النوم - للاستحباب
“ইবনে আব্দুল বার বলেন, জুমহুর তথা অধিকাংশ আলেম এই মত ব্যক্ত করেছেন যে, যে জুনুবি (নাপাক) ব্যক্তি ঘুমাতে চায় তার জন্য ওজু করার নির্দেশ টি মুস্তাহাব পর্যায়ের।”
◉◉ সহবাসের পর গোসল করা সম্পর্কে কতিপয় ভুল ধারণা ও ভিত্তিহীন কথা:
১. সহবাসের সাথে সাথেই গোসল করতে হবে; নয়তো গুনাহ হবে।
২. সহবাস করে গোসলের পূর্বে মাটিতে পা রাখা যাবে না। অন্যথায় মাটি বদ দুআ করবে এবং অভিশাপ দিবে!
৩. সহবাস করার পর গোসলের পূর্বে কোন কিছুতে হাত দেয়া যাবে না। এই অবস্থায় কোন কিছুতে হাত দিলে তা অপবিত্র হয়ে যাবে!
৪. এ অবস্থায় রান্না-বান্না করলে বাড়ি থেকে লক্ষ্মী চলে যাবে। (এটি স্পষ্ট শিরক)।
৫. গোসলের পূর্বে হাতে কিছু নিয়ে দরজা ধরতে হবে।
৬. নাপাক অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না।
৭. এ অবস্থায় রান্না-বান্না করা যাবে না।
৮. ঘর-বাড়ি ঝাড়ু দেয়া যাবে না।
৯. সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো যাবে না।
১০. অবস্থায় দুআ-তসবিহ, জিকির-আজকার পাঠ করা যাবে না।
এ সবই কুরআন-সুন্নাহ বর্হিভূত ভুল ধারণা ও বাতিল কথা। ইসলামে এ সব কথার কোন ভিত্তি নাই।
আল্লাহ আমাদেরকে দীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ দান করুন এবং সর্ব প্রকার বাতিল ও কুসংস্কার থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।
➤ সংযুক্তি:
অনেকে প্রশ্ন করে যে, নাপাক অবস্থায় যদি মারা যায় তাহলে কি গুনাহগার হবে?
উত্তর: যেহেতু সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস বা স্বপ্নদোষ জনিত কারণ, হায়েজ, নেফাস ইত্যাদি শরিয়ত সম্মত কারণে নাপাক হয়েছিল এবং ইসলাম প্রদত্ত সুযোগ থাকার কারণে গোসল করতে বিলম্ব করেছিল সেহেতু গোসলের পূর্বেই যদি মৃত্যুবরণ করেও ইনশাআল্লাহ তাতে তার কোন গুনাহ হবে না।
এক্ষেত্রে দাফনের পূর্বে তাকে যে গোসল দেওয়া হবে সেটি তার নাপাকি এবং দাফন উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে: হানজালা রা. এবং হামজা বিন আব্দুল মোতালিব রা. নাপাক অবস্থায় যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়েছিলেন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬✪◯✪▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
FOYSAL MAHMUD >>বিয়ে : অর্ধেক দ্বীন (অফিসিয়াল)
"বউয়ের গ্যানগ্যানানি প্যানপ্যানানি, হজম করা, গিলে ফেলা, সবর করা, আল্লাহর জন্যে তাকে মাফ করে দেয়া।"
"এটাও যে একটা এবাদত! তা অনেক পুরুষই জানেনা।"
বাসার কাজের মেয়েটিকে বড় বউ জিজ্ঞাসা করল, তোমার তো বিয়ে হয়েছিল, তো ভাঙলো কিভাবে?
মেয়েটি পেঁয়াজ কাটা বন্ধ করে উদাস মনে মাথাটা নিচু করে বলল, আমিই ছাইড়া দিছি।
কেন?
আফা! শাশুড়ি সারাদিন কাম করাইতো। এত্তো খাটান খাটাইতো যে আর পারলাম না।
তো! এখন কি করো?
কোনো জবাব না দিয়ে হেসে দিয়ে বলল, এহনো কাম করি।
ফরিদপুরে বেশ কয়েকটা 'মেয়েদের অনলাইন উদ্যোক্তা গ্রুপে' এ্যাড থাকায় প্রতিদিন বেশকিছু উদ্যোক্তার সাথে সামান্য কথা হয়।
ঘটনা হলো- সেদিন একটা মেয়ের সাথে সামান্য ইনবক্সে চ্যাটিং হল। মেয়েটি ছিল গরুর ভূড়ির উদ্যোক্তা।
গরুর ভুড়ি পরিস্কার করে একেবারে রান্না করার উপযোগী করে বিক্রি করে। এমন বিক্রেতা অন্তত ১০/১২ জন আছে। আমি এদের প্রোফাইলগুলা ঘুরেঘুরে দেখি। বেশ সাজানো-গোছানো, পরিপাটি মেয়ে। আমি দেখলাম- এই যে ব্যবসার নামে, নিজ পায়ে দাড়ানোর নামে মেয়েগুলা এখন গর্বের সাথে বিজ্ঞাপন দিয়ে গরুর ভুড়ি পরিস্কার করে বেঁচতেছে.... এই মেয়েগুলাই ঘর সংসার করার সময় কখনো যদি জামাই বলে- গরুর ভুড়ি খাইতে মন চাইতেছে। একটু পরিস্কার করে রান্না করবা?
এরপরে এদের প্রতিক্রিয়া হবে- সংসারের আয়ু ওখানেই শেষ।
ব্যাপারটা একদমই বানিয়ে বানিয়ে বলতেছি না। জীবন থেকে নেয়া।
সবাই এক রকম না। তবে, বেশিরভাগই এমন।
তুমি আমাকে খাইস্টা পাইছ? তোমার এত বড় সাহস তুমি আমাকে গরুর ভুড়ি সাফ করতে বলো? আমার বাপের বাড়িতে আমি কোনদিন নিজের হাতে ভাত পর্যন্ত খাইনি..... অমুক সমুক.... কত চুল....
একেবারে আমার বাড়ির কাজের বুয়ার মত....
আরেকটা পরিচিত উদ্যোক্তাকে ইনবক্সে জিজ্ঞাসা করলাম, বিজনেস কেমন চলছে।
আর ভাইয়া বলবেন না,খুবই ভালো চলছে। সারাদিন রান্না-বান্না করতে হচ্ছে। কাস্টমারের ভালো রিভিউ এর জন্য সারাদিন ব্যস্ত থাকি। বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল করার সময় পাই না। ভাবছি ওকে একটা ডে কেয়ারে দিয়ে দেব। সন্তানের ভবিষ্যতটা যাতে ঠিক থাকে।
স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়েটিকে আর কোনো রিপ্লাই না দিয়ে শুধু একটা লাইক দিয়ে স্কীপ করলাম।
অথচ, ও ওর স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছিল অসুস্থ শাশুড়ির খেদমত করা নিয়ে দ্বন্দ্বে।
একজনকে দেখলাম এ মাসে তার কত টাকার থ্রী-পিচ বিক্রী হয়েছে তার রিভিউ দিচ্ছে। এ মাসে আঠারো হাজার পাঁচশ টাকা বিক্রী হয়েছে। ক্যাপশনে লিখেছে আলহামদুলিল্লাহ্।
তার প্রোফাইল চেক করে দেখলাম, সে শুধুমাত্র নিজের একটা পরিচয় থাকবে এ জন্য অনলাইন বিজনেস শুরু করেছে।
মুসলিম ধার্মিক (যেহেতু ক্যাপশনে 'আলহামদুলিল্লাহ্' লিখেছে তাই বললাম আর কি) একটি মেয়ে শুধু সমাজে নিজের একটি পরিচয়ের জন্য বিজনেস করছে, নিজের ছবি,মোবাইল নম্বর পাবলিক করছে, সন্ধ্যার পরে নিজে গিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে হোম ডেলিভারী দিয়ে আসছে.... ক্যামনে সম্ভব বুঝিনা।
বাজবাড়ীর বউ ফরিদপুরের মেয়ে। বিদেশী কসমেটিকসের ব্যবসা করে। প্রতিদিন বেশ কিছু পোস্ট চোখে পড়ে। তিনটা তার প্রোডাক্টের পিকচার, একটা তার নিজের পিকচার। এভাবে চারটা করে ছবি প্রতিদিন পোস্ট করছে। তাকে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নিজের ছবি প্রতিদিন দেয়ার কারন কি?
কমেন্টে সেদিন মাত্র তেইশটা মেয়ে আমাকে গালিদিয়ে বুঝিয়ে দিল, তাতে আমার কি!ভালো না লাগলে স্কীপ করেন, এভাবে ব্যঙ্গ করার মানে কি! মা বোন কি ঘরে নাই!প্রোফাইল দেখে তো হুজুর মনে হয়, এখানে কি করেন! একজন তো বলল, হুজুর হয়ে ফেসবুক ব্যবহার! লুইচ্চা হুজুর ব্লা ব্লা ব্লা.....
ওদের রিপ্লে করা দেখে ভয়ে কমেন্ট ডিলিট করছি।
এই হল তাদের অবস্থা। জানি সবাই এক না।হয় শুধুমাত্র ওই তেইশ জনই খারাপ, বাকিরা সব ভালো। না হয় আমি খারাপ, ওই তেইশ জনই ভালো।
একটা মধু আপুকে দেখলাম মধুর ব্যবসা করে। নিজেই নিজের নিকনেম দিয়েছে "মধু আপা"। তিনিও নিজেই বাইসাইকেলে করে মধু হোম ডেলিভারী দিয়ে দেন। তার কোনো অভাব নেই। শুধুমাত্র নিজে কিছু করবেন আর স্বাধীনতার জন্য এই বিজনেসটা করে।
তাকে একদিন চ্যাটিংএ বললাম, সমাজে ছেলেরা মেয়েদের থেকে সবসময় এগিয়ে থাকে কেন জানেন?
সে বলল, আপনাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিই করেছেন বড় করে তাই।
আমি বললাম, ভূল। সঠিকটা হল, একটা ছেলে যতদিন বাপের হোটেলে খায় ততদিন সে নিজেকে স্বাধীন মনে করে। যেদিন সে চাকরী বা ব্যবসায় নামে বা সংসারের দায়িত্ব ঘাড়ে নেয়, সেদিন থেকে সে নিজেকে পরাধীন ভাবে। আর একটা মেয়ে যতদিন বাপের হোটেলে খায়, ততদিন সে নিজেকে পরাধীন ভাবে।
যেদিন সে চাকরী বা ব্যবসা শুরু করে বা সংসারের দায়িত্ব ঘাড়ে নেয়, সেদিন থেকে সে নিজেকে স্বাধীন ভাবে। যেটা বোকামী ছাড়া অন্য কিছু না।
মূলত আপনাদের চিন্তা ধারাতে সমস্যা।
তারপরই ব্লক.....
ফেসবুকে এখন নতুন ডিবেট শুরু হয়েছে বোনদের ব্যবসা করা নিয়ে। দ্বীনদার হয়েও বোনেরা কেন ব্যবসা নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন, তারা কি সুপ্ত ফেমিনিজমে আক্রান্ত কি না এটাই বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু। পুরো বিতর্কে বোনদের পক্ষে নিশ্চয়ই কিছু ভুলত্রুটি আছে, আবার ভাইদের পক্ষ থেকেও অনেকেই সীমা অতিক্রম করেছেন, এসব আদব-কায়দা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়, বরং আমি একজন মুসলিম হিসেবে মুসলিম বোনদের প্রতি কিছু কথা বলছি....
আগেই বলে রাখি, শরিয়ত সম্মত অপারগ হলে যেখানে শুকুরের গোশত খাওয়া জায়েজ, সেখানে শরিয়ত সম্মত বিপদগ্রস্থ মেয়েদের নিয়ে আমি কিছু বলবো না।কারন, তারা একেতো অপারগ, দ্বিতীয়ত তাদের সমস্যার সমাধান অনেক গবেষণার ব্যাপার।
আমার কথাগুলো যারা অপারগ নয়।শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে চিন্তা করে বিজনেস করছে, তাদের নিয়ে.....
আমি সাধারণত ফেসবুকের ডিবেটগুলো থেকে কনশাসলি দূরে থাকার চেষ্টা করি। এবারের বিষয়টা নিয়ে কদিন থেকেই কিছু কথা মাথায় ঘুরছিল, সত্যি বলতে ডিবেট শুরু হওয়ারও আগ থেকেই নিয়্যত ছিল কথাগুলো বলার, কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারি নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হলো কথাগুলো বলা এবং বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান যুগে ছোটোবেলা থেকে কয়েকটা ব্যাপার শুনে আমাদের সমাজের নারীরা বড় হয় যেমন,
১। আমাদেরকে বড় হয়ে কিছু একটা হতে হবে, প্রফেশনাল ক্যারিয়ার থাকতে হবে। এর জন্য ছোটোবেলা থেকেই প্রিপারেশন নিতে হবে। দ্রুত বিয়ে করা, অধিক সন্তান নেয়া - এই ব্যাপারগুলো এখানে নেগেটিভ কিংবা ‘ব্যাকডেটেড।’ সংসার সামলানোকে বলা হয়ে ‘বসে থাকা’, আর ঘরের বাইরের কাজই হচ্ছে ‘কাজ।’
২। শুধু মা কিংবা শুধু স্ত্রী হওয়াটা সমাজের চোখে তেমন আকর্ষণীয় কিছু না, আপনাকে সম্মান পেতে হলে, নিজের একটা আলাদা পরিচয় থাকতে হবে, অর্থাৎ মা বা স্ত্রী ছাড়াও আলাদা আরেকটা কোনো পরিচয়। সেটা কিন্তু নিয়মিত 'দান-সাদাকাকারী' বা 'রোজাদার' ইত্যাদি পরিচয় হলে হবে না, সেটা অবশ্যই কোনো একটা ক্যারিয়ার বা প্রফেশনের সাথে যুক্ত হতে হবে, তা নাহলে আপনার তেমন কোনো দেয়ার মতো “পরিচয়” নেই।
৩। নারীদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার দীক্ষা দেয়া হয়। নিজের কিছু উপার্জন থাকা ভালো, এই শিক্ষা দেয়া হয়। এবং তাদের মাথায় এই ভয় ঢোকানো হয় যে, স্বামী যদি না দেখে কিংবা মরে যায়, তাহলে তোমার কী হবে? অথবা, তুমি যদি নিজে টাকা কামাও, তাহলে স্বামী তোমাকে অসম্মান করতে ভয় পাবে।
উপরে যা বললাম, এগুলো সমাজের সেকুলারাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ। ছোটোবেলা থেকে এভাবেই আমাদের সমাজের নারীদের‘ব্রেইন-ওয়াশ’ করা হয়। এটা খুব দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া। দিনের পর দিন যখন একটা মেয়ে আপন মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবী, স্কুল-কলেজ, পাড়া-প্রতিবেশী,মিডিয়া ওভারঅল পুরো সোসাইটির কাছ থেকে একই কথা শুনে বড় হবে, তখন এটা তার মনন ও মস্তিষ্কে অবশ্যই প্রভাব বিস্তার করবে। সমাজের বেশিরভাগ মেয়েকেই তাই আমরা দেখি যে তারা উপরের মতোই চিন্তাধারা পোষণ করে। দ্বীনদার বোনেরা আলহামদুলিল্লাহ কনশাসলি কিছু বিষয় থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। যেমন - অল্প বয়সে বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তা, (সম্ভব হলে) অধিক সন্তান নেয়ার চেষ্টা করা, ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজের সংসার নষ্ট না করা ইত্যাদি। কিন্তু তারপরেও ফেমিনিজমের কিছু প্রভাব অনেকের মধ্যে থেকেই যায় আর এ কারণেই সম্ভবত ‘কিছু একটা করতে চাওয়ার’ এ প্রবণতা।
এখানে প্রথম কথা হলো, আমরা সমাজের এই ট্রেন্ড থেকে বের হয়ে আসলে চাই যে, আমাদের একটা উপার্জন থাকতেই হবে। সুবহানআল্লাহ, আজকে আমি ফেসবুকে যেদিকেই তাকাচ্ছি, মনে হচ্ছে যেন প্রত্যেকটা বোনই ব্যবসা করছে। আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, এই প্রত্যেকটা বোনেরই উপার্জন করার খুব জরুরি প্রয়োজন আছে। অতিরিক্ত আর্নিং এর আশায় শখের বশে সবাই বেচাকেনায় নেমে পড়েছেন, এটা হজম করাটা দুঃখজনক।
--- দ্বিতীয়ত, উপার্জন করতে গেলেও অনেক সময় এমন হয় যে, গায়রে-মাহরামদের সাথে কাজ করতে হচ্ছে, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোনো লাগছে, এমন পরিবেশে যাওয়া লাগছে, যা হিজাব পালন করা নারীদের জন্য সত্যিই অস্বস্তিকর। এসব কারণে বলছি, যদি নিতান্ত প্রয়োজন না থাকে, তাহলে শখের বশে কেন এই পথ নিজের জন্য বেছে নেবেন? দিনের শেষে কি আপনার খারাপ লাগবে না এমন পরিবেশে নিজেকে ঠেলে দেয়ার জন্য?
--- তৃতীয়ত, যদি আপনার অফুরন্ত অবসর থাকে, বা পরিবারের কাজ করতে করতে হাপিয়ে উঠে আপনি নিজের মানসিক বিকাশ বা স্বস্তির জন্য কিছু হালাল কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে চিন্তা করুন তো বোন, আপনাকে কেন ‘ব্যবসাই করতে হবে’? আল্লাহ তো উপার্জের দায়িত্ব নারীদেরকে দেন নি। অবশ্যই টাকার প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষাটা সহজাত। কিন্তু আল্লাহ যদি আপনাকে “কিছু একটা” করার সময় দিয়ে থাকে, সে কিছু একটা কেন ‘ব্যবসা’ হতে হবে?
আমি মনে করি, যেসব বোনদের অর্থের প্রয়োজন নেই, তারা স্রেফ ‘কিছু একটা করা’র স্বার্থে ‘অর্থ-কেন্দ্রিক’ কাজে ব্যস্ত না হয়ে ‘খিদমাহ-কেন্দ্রিক’ বা ‘সার্ভিস-বেইসড’ কাজের কথা চিন্তা করতে পারেন। এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে যে, অর্থের ইনভলভমেন্ট থাকলেই ‘কিছু একটা করা’ হলো, আর অন্য কিছু করা মানেই ‘কিছু না।’
নন-মনিটারি বা সার্ভিস বেইসড কাজ তাহলে বোনদের জন্য কী হতে পারে? স্রেফ কয়েকটা আইডিয়া দিচ্ছি। এটা নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তারই সুযোগ আছে। যেমন--
- ইলম অর্জন। এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে থেকে বের করে আরো বেশি সহজলভ্য করা। সেকুলারাইজেশনের দৌরাত্ম্যের এ যুগে বোনদের মধ্যে দ্বীনের বুঝ আশঙ্কাজনকভাবে কম, অথচ তাদের হাতেই পরবর্তী জেনারেশনকে দেখভাল করার দায়িত্ব। শুরুটা হতে পারে হায়েজ, নিফাস ,তাজউয়িদ বা সঠিক নিয়মে কুরআন তিলাওয়াতের কোনো কোর্স দিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে আরেকটু অ্যাডভান্সড বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেন। একটা পর্যায়ে যখন এগুলো রপ্ত করবেন তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে অন্যদেরকে শেখাবেন এবং লেখালেখি করবেন। এগুলোকে ইসলামি ‘দায়িত্ব’ হিসেবে নেবেন।
- আপনি হিফজ করতে পারেন। কুরআনের প্রতিটা আয়াত জান্নাতে আপনার পদমর্যাদা এক ধাপ, এক ধাপ করে বাড়িয়ে দেবে।
- হাতে সময় এবং কমিটমেন্ট থাকলে দীর্ঘমেয়াদি কোনো কোর্সে ঢুকতে পারেন, যেমন - ইসলামি কোনো একটা সাবজেক্ট নিয়ে ব্যাচেলরস করা বা মাদ্রাসায় মাওলানা পড়া। আর এখন এগুলো অনলাইনে অনেক অ্যাভেইলেবল।
- আরবি শেখার জন্য আপনি সময় দিতে পারেন, কারণ কুরআন বুঝতে আরবি শেখার কোনো বিকল্প নেই। আর আপনার যদি ইতিমধ্যে দ্বীনের কিছু ইলম থেকে থাকে, তাহলে সেটা উম্মাহর স্বার্থে কাজে লাগান। যেমন - ফ্রি তে বোনদেরকে আরবি শেখান, তাজউয়িদ শেখান।
- হিজামা পারলে বোনদেরকে হিজামা করে দিন। কত দরকারি একটা কাজ!
- লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ইসলামি আর্টিকেল, বই ইত্যাদি লিখুন। ইংরেজিতে ভালো হলে অনুবাদের কাজ করুন। একটা সিরিয়াস প্রজেক্ট হিসেবে পরিকল্পনার অধীনে কাজগুলো করুন, স্রেফ যা-মাথায়-আসলো তা নয়।
- নিজের বাসায় সপ্তাহে একদিন দ্বীনি আলোচনা করুন। সেখানে পাড়া-প্রতিবেশি, বান্ধবীদের দ্বীনের দাওয়াত দিন।
- আপনি ভালো রাঁধতে জানেন, দাওয়াত দিয়ে মানুষকে দ্বীনের কথা বলুন।
অনেকে বলতে পারেন, কাজের বিনিময়ে টাকা নেয়াটা কি দোষের কিছু? না, টাকা নিতে দোষ নেই। বা ইসলামি কাজ মানেই ফ্রি হতে হবে সেটাও নয়। কিন্তু যে বোনদের প্রয়োজন নেই, টাকা কামানো যেন তাদের মূল উদ্দেশ্যে পরিণত না হয়, এটা জরুরি। বিশেষ করে, আমরা যারা স্বচ্ছল, তারা কেন আমাদের মূল্যবান সময় বেঁচাকেনা বা অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করব যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করা হচ্ছে না? ওপরের যে কাজগুলোর উদাহরণ দিলাম সেগুলো দিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরে না কিন্তু ইসলামের চাকা ঘোরে। এই ক্রাইসিসের সময়টায় উম্মতের অর্ধেক হিসেবে আপনাদের উপর অনেকটাই দায়িত্ব এসে বর্তায় যে আপনারা অর্থ-কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে বরং উম্মাহর সেবায় অধিক আগ্রহী হন।
আমাদের জীবন সংক্ষিপ্ত আর জীবনের সময়গুলো অল্প কিছু কাজেই ইনভেস্ট করতে পারব। তাই টাকা উপার্জনই যেন আপনাদের মূল লক্ষ্য হয়ে না দাঁড়ায়। বিশেষ করে, আমাদের অর্থাৎ নারীদের। চাকরি ও ক্যারিয়ারকে পায়ে ঠেলে যারা দ্বীন পালনে উৎসাহী হয়েছে, এখন যেন ফেসবুকের একটা সহজ টাকা-কামানোর প্ল্যাটফর্ম পেয়ে এই ফিতনায় জড়িয়ে না যান। নিশ্চয়ই আপনাদের জীবনে কিছু প্রায়োরিটি থাকা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতটা দীনহীন হালতে জীবন কাটিয়ে গেছেন, সে কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি। (আমি গরিবি হালতে চলতে বলছি না, তবে সম্পদের লোভ যেন পেয়ে না বসে সেটাই বলছি।) প্রিয় নবীর অন্তরে সবসময় থাকতো উম্মতের ফিকির। আমাদের মধ্যে উম্মতের জন্য সে ফিকির কোথায়?
আমাদের সমাজে জাহেলিয়াতের জয়-জয়কার। হাজারো নারীরা দ্বীনের আলো পাচ্ছে না। হাজারো মেয়েরা দ্বীনের বুঝ কিছুটা পেয়েও সঙ্গ এবং পরিবেশের অভাবে ইসলামের সরলপথ থেকে ছিটকে পড়ছে। অনেকে মুসলিম থেকে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নিজের ‘কিছু একটা করতে চাওয়া’ থেকে বরং এই ভয়ংকর জাহেলিয়াত থেকে সমাজকে মুক্ত করার জন্য আপনি কিছু করতে পারেন। আপনার কোন যোগ্যতা বা জ্ঞানকে ইসলামের পক্ষে কাজে লাগানো যায়। যেমন- আপনি এসব জাহেল বোনদের জন্য কিছু লিখুন। সময় বের করে অন্তত দু জন বোনকে ব্যক্তিগত ভাবে দাওয়াহ দিন। পাঁচ জন বোনকে কুরআন পড়তে শেখান। কয়েকজন বোনের ডিপ্রেশন দূর করতে তাকে কাউন্সিল করুন, সময় দিন, সঙ্গ দিন, পজিটিভ কথা বলুন। যে যেভাবে পারেন, উম্মাহর খেদমতে নিজেকে কাজে লাগান। আল্লাহর সৈনিক হিসেবে দ্বীনের সেবা করুন। কিংবা যোগ্যতা না থাকলে, নিজের মধ্যে সে যোগ্যতা তৈরির জন্য সময় দিন। আর যদি এগুলোর কিছু করার অবস্থা বা পরিস্থিতি না থাকে, তাহলে আপনাকে কেউ বাধ্য করছে না। কিন্তু নিজের অবস্থাই যদি কারো এত শোচনীয় হয় যে মানুষকে দেয়ার মতো কিছুই তার ঘটে নেই, তাহলে সে কেন প্রয়োজন ছাড়া টাকার পিছে ছুটবে? তার জন্য তো নিজেকে ইসলামের আলোকে সাজিয়ে তোলা আরও বেশি জরুরি।
নিজের নিয়্যতকে প্রশ্ন করুন বোনেরা, বারবার নিয়্যতকে পরিশুদ্ধ করুন। আর্নিং করতে চান কেন? আদৌ জরুরত আছে? নাকি এমনি শখ, আনন্দ বা অবসর কাটাতে? যদি কারণ না থাকে, তাহলে চিন্তা করুন, এরচেয়ে জরুরি কোনো কাজ কি আপনার জীবনে নেই, যেটা করে হয়ত আপনি আর্নিং করতে পারবেন না, কিন্তু আনন্দ পাবেন, শখ পূরণ হবে, বা অবসরকেও উত্তম কাজে লাগানো হবে?
নারী সাহাবীরা যে কেউই আর্নিং করেন নি, তা না। কিন্তু নারীদের আর্নিং করাটা সে যুগের পপুলার ট্রেন্ড ছিল না। সে যুগে নারীদের আর্নিং করাটাকে প্রশংসার নজরে দেখা হতো না, বরং তারাই সাধারণত বাইরে কাজ করতে গেছেন, যাদের খুব অভাব-অনটন বা আর্থিক প্রয়োজন ছিল। এটাকে তারা নিজেদের “পরিচয়” বা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে দেখতেন না। এবং অবশ্যই যারা প্রয়োজনের খাতিরে বাইরে কাজ করেছেন, তাদের জন্য পর্দা, কাজের পরিবেশ, কাজের ধরণ, হালাল নাকি হারাম, স্বামীর অনুমতি আছে কিনা, সংসারের প্রাথমিক দায়িত্বগুলো কোনোপ্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা এগুলিও বিবেচনায় রাখার বিষয় ছিল। হাতেগোণা খুব অল্প উদাহরণই আমরা হয়ত আনতে পারবো, যে নারীরা সে সময় বাইরে কাজ করতেন, বা প্রয়োজন ছাড়াও উপার্জন করতেন। বরং অধিকাংশ উদাহরণই আমরা এমন পাই যে নারীরা ইবাদত, আমল, ইলম অর্জন, সন্তান, পরিবার – মোট কথা সমাজ নির্মাণে ব্যস্ত ছিলেন। মোটাদাগে বললে, টাকা-কামানোটা তাদের কাজ ছিল না। এখনকার সময়ে দুই-একটা উদাহরণ টেনে নারীদের উপার্জন করাটাকে অনেকে পাইকারি রেটে জায়েজ বানিয়ে দেয়, কিন্তু ভাইবটা এমন থাকে যে বাকিরাও ভাবতে থাকে কিছু একটা করে উপার্জন করতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা যেন! ইসলামের সেরা নারীদের কাহিনি পড়বেন, ইনশাআল্লাহ আপনারা নিজেরাই দেখবেন তারা এসব থেকে কত যোজন যোজন দূরত্বে বাস করতেন।
শেষ কথা বলব, ফেমিনিজমকে হয়তো আমরা ঘৃণা করি, কিন্তু জেনে না-জেনে সেই ক্যারিয়ার, নিজের একটা প্রফেশন থাকা, নিজে উপার্জন করা, নারী হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া, নিজের একটা পরিচয় বানাবার এক সূক্ষ্ম দুষ্টচক্রে হয়ত আমরা পড়ে গেছি। তাই বোনদের সাবধান হওয়া জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, যেসব বোন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আর্থিক লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে উম্মাহর খেদমতের নিয়্যতে আল্লাহর পথে নিজেদের মূল্যবান সময় ও শ্রম ব্যয় করছেন ও করবেন, আল্লাহর নজরে তারা বেশি মর্যাদার অধিকারী।
(সংগৃহিত ও পরিমার্জিত)
Click here to claim your Sponsored Listing.
★আমাদের কাজ সম্পর্কে ও কিভাবে আমাদের কাছে বায়ো দিবেন★
আসসালামু আলাইকুম ।
মাদ্রাসা শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
পেইজের মুল লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করা ।
পাত্র-পাত্রী রা তাদের ডিটেইলস বায়োডাটা আমাদের ফরমেট অনুযায়ী বা আমাদের ফরমেটের কাছাকাছি ফিলাপ করে আমাদের পেইজের ইনবক্সে দিবেন ।
Category
Contact the practice
Website
Address
Mirpur
1216
402/1 Middle Monipur Mirpur 2[near Mikewalla Mosque]
Mirpur, 1216
***** ফাইভ স্টার ম্যারেজ মিডিয়ার